ভারতে জাটীয়ত। ৪ মন্তজাটিকত। এবং ব্রবীন্্নাথ প্রুধথ খও বিদ্যোদয় রা: প্রাইভেট বিমিটেভ ৭২ মহাত্মা গান্ধী রোড ॥॥ কলিকাতা ৯ প্রথম প্রকাশ ॥1 প্রচ্ছদ || সধীন ভট্টরাচার ॥ ব্লক || স্ট্যাণ্ডার্ড ফটে। এনগ্রেভিং কোং মূল্য £ দশ টাক বিচ্যোদয় লাইব্রেরী প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে শ্রীনীলরতন ঞট্টোপাধ্যাম্ম কর্তৃক প্রকাশিত এবং শ্রীঅম্বতলাল কু কতৃক জঞানোদয় 'প্রেস (১৭ হায়াৎ খ! লেন, কলিকাতা! ৪) হইতে মুদ্রিত || ॥ লেখকের কথা ॥ প্রা নয় বৎসর পূর্বে আমি ঘ্ুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী রবীন্দ্রনাথ শিরো- নামা একটি দীর্ঘ গ্রবন্ধ লিখি এবং উহ! বাংলাদেশের কোন বিখ্যাত মাসিক পত্রিকায় প্রকাশের জন্ত পাঠাই । প্রবন্ধটি পাঠ করিয়া” সম্পাদক মহীশয় যথেষ্ট প্রশংসা করিলেন বটে, কিন্তু আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে আরো কিছু তথ্যাদি সংকলন করিবার পরামর্শ দিলেন। তাহার প্রর হইতে খ্ববীন্্রনাথের সমগ্র রচনাবলী আরো! গভীরভাবে পাঠ করিবার চেষ্টা করিলাম। ক্রমশই আমার মনে এই ধারণ। দৃঢ় হইতে লাগিল যে, সামগ্রিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কবিগুরুর রাভনৈতিক চিন্তাধার, কার্কলাপ ও রচনবলীর তখনও পর্যস্ত প্রকৃত মৃল্যাযন হয় নাই | এবং তখন হইতেই আমি এই কার্ষে নিজেকে নিয়োজিত করিলাম । ববীন্দ্র-রচনাবলী পাঠকালে এ কথাও আমাব মনে হইয়াছে যে, দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে কবি ষে সকল কথা বলিয়। গিযাছেন এবং নিজের যে সকল পবিকর্পন। ব।স্তবে রূপায়িত করিবার চেষ্টা করিমাছেন, তর্দানীন্তন বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাহার সেই সকল রচন! 9 কর্মপ্রচেষ্টার তাংপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূণ কবিব সেই রাজনৈতিক চিন্তা ও কর্মপ্রচেষ্টার ক্রমবিকাশের ধারাটি সম্যক উপলব্ধিব জন্য আমি একদিকে যেমন তাহার রচন! ও কার্ষের পটভূমিক! বিশ্লেষণ করিয়া কবিব নিজেবই রচন! হইতে তাহার বক্তব্য তুলিষ। ধরিয়াছি এবং তাঁহার কার্যাবলী বিশ্লেষণের প্র/স পাইয়াছি, অপরদিকে তেমনি তুলনামূলকভাবে তদানীস্তন 'নতবুদ্দ ও চিন্তানায়কগণের চিস্ত। ও কর্মের পরিচয় হিসাবে তাহাদের নিজেদেরই বন্ধব্য উদ্ধত করিয়াছি এবং তাহাদের কর্মধারাঞ পরিচয় দিয়াছি। আমার মনে হয, এইনকল ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ও তদানীস্তন নেতৃবৃন্দের বক্তব্য আমার ভাষাষ না বলিষা' তাহাদের নিজস্ব উক্তি হইতে উদ্ধৃত করিয়া দেওয়াই শ্রেয়। ১৯৫৭ সালের ডিসেম্বরের শেষভাগে পিতৃব্যগ্রতিম স্রী'প্রভাতকুমার মৃখোপাধ্যাম মহাশষেব সহিত আমি দেখা করি । সেই সময় আমি আমার রচনার অংশবিশেষ তাহাকে পাঠ করিয়া শুনাই, এবং আমার পরিকল্পনার কথা তাহাকে খুলিয়া বলি শুনিযা তিনি আমাকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করিলেন । তিনি তাহার “রবীন্ত্র- জীবনী"র সাহাধ্য লইবার জন্য আমাকে নির্দেশ দিযাছিলেন। আমি 'রবীন্দ্রজীবনী” ঢা অন্ঠসরণ করিয়াছি; এবং আমার বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ সম্পফিত এই ধরনের কোন ' কাজে অগ্রসর হইতে হইলে তাহার “রবীন্দ্রজীবনী” (চার খণ্ড ) অপরিহার্য গ্রন্থ । এইখানে আমি তাহার নিকট আমার আস্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি । তাহীর কনিষ্ঠ পুত্র অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় মুখোপাধ্যায় আমার বিশেষ বন্ধু, এবং ভাবে তিনি আমাকে সাহায্য করিয়াছেন। তীহার নিকট কৃতজ্তাগ্রকাশ বাহুল্যমাত্র ৷ এই গ্রন্থ প্রণয়নকালে আমি পরমশ্রদ্ধাম্পদ মুজফফর আহমদ সাহেবের নিকট হইতেও বহু উৎসাহ ও প্রেরণ। পাইয়াছি। রবীন্দ্রনাথ ও সমকালীন জাতীয় আন্দোলনের বছ তথ্য ও সংবাদ দিয়! তিনি আমাকে সাহায্য করিয়াছেন । এজন্য আমি তাহার নিকট আন্তরিক রুতজ্ঞ। এই গ্রন্থ রচনাকালে পুস্তকাদি দিয়! ও অন্যান্তভাবে ধাহারা সাহায্য করিয়াছেন, তাহাদের মধ্যে বন্ধুবর শ্রীঅধীর বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীনির্মল চৌধুরী এবং শ্রদ্ধের শীন্প্রকাশ রায় মহাশয়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজ লাইব্রেরী হইতেও বহু ছুপ্রাপ্য গ্রস্থাদির সাহায্য পাইয়াছি। বঙ্গীয় সাহিত্য- পরিষদের শ্রীসনৎ গুপ্ত মহাশয় প্রবাসী, *1০0(শ। [০৮1০ প্রভৃতি পত্র পত্রিকার পুরাতন ফাইলগুলি দেখিতে দিবার স্থযোগ দিয়াছিলেন। ইহাদের সকলের নিকট আমি আমার রুতজ্ঞত৷ জ্ঞাপন করিতেছি । ইহ। ছাড়া, অধ্যাপক হৃদয়রঞ্জন বিশ্বাস, অধ্যাপক কৌশান্বীনাথ মল্লিক, অধ্যাপক জগণী)শ্বর সান্যাল, অধ্যাপক মহাদেব চট্টোপাধ্যায়, শ্রীউমাপ্রসাদ চক্রবর্তী, ডাঃ ননী গুহ, ডা নৃপেন্দ্রকিশোর সাহ, ডাঃ গুণেন রায়, ডাঃ শক্তিসাধন কারক, ডাঃ শরদীশ রায়, শ্রীমুকুল বন্ধ, শ্রীস্থরেন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীদেবী সিংহ, শ্রীবিনয় চট্টোপাধ্যায় ও শ্রীভূতেশচন্দ্র চৌধুরীর নিকট হইতে৪ আমি বিভিন্নভাবে সাহাধ্য পাইয়াছি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখষোগা, শ্রীসরোজ মুখোপাধ্যায় ও শ্রীসরোজ দত্ত মহাশয়ের নিকট হইতে আমি যে সাহায্য পাইয়াছি, তাহাও ভুলিবার নহে । সকলের নাম উল্লেখ সম্ভব দনহে, তবুও ধাহাদের নিকট হইতে আমি বিভিন্ন প্রকারে সাহায্য পাইয়াছি, তাহাদের সকলের নিকট আমি আমার রুতজ্জত| জানাইতেছি | অন্ঠলেখন, পুস্তকসংগ্রহ ইত্যাদি ব্যাপারে শ্রীমতী গীতশ্র। চক্রবর্তী, শ্রীনতী কণিক। চৌধুরী 'ও শ্রীমতী গৈরিকা সরকার যেভাবে পরিশ্রম ও সাহায্য করিয়াছেন, তাহা বিশেষভারে উল্লেখযোগ্য । কিন্তু বন্ধুবর শ্্রীবন্ধিম চট্টোপাধ্যায়ের নিকট আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞত। [ ২ ] জানাইতেছি। আমার মূল পা্জুলিপিতে অনেকস্থানে তীহার পরামর্শমত রচনা- রীতি ও ভাষার পরিবর্তন করিতে হইয়াছে । বিচ্যোদয় লাইব্রেরীর প্রধান শ্রীদীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়কে ৪ আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞত| 9 ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি । “বিদ্যোদয়ের কর্ণধার হিসাবে একমাত্র মুনাফার দিকে ন| তাকাইয়া ইতিপূর্বে তিনি অনেকগুলি অমূল্য মহা গ্রন্থ প্রকাশ করিয়া বাংলাদেশের প্রকাশন-ক্ষেত্রে দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিয়াছেন। আমার এই গ্রস্থও তাহার সেই দুঃসাহসিক প্রচেষ্টার অন্যতম দৃষ্টান্ত । পরিশেষে দুই-একটি কথ বলা! প্রয়োজন মনে করি। “ভারতে জাতীয়তা ও আস্তর্ভাতিকত। এবং রবীন্দ্রনাথ ছুই খণ্ডে প্রকাশিত হইবে। বর্তমান গ্রস্থথানি প্রথম খণ্ড । ইহাতে রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবন হইতে শুরু করিয়! ১৯১৮ খ্রীষ্টার অর্থাৎ প্রথম মহাযুদ্ধের অবসান-কাল পর্যস্ত তদানীস্তন বাস্তব অবস্থার পটভূমিকায় রবীন্দ্নথ এবং তৎকালীন নেতৃবৃন্দ ও চিস্তানায়কগণের রাজনৈতিক চিন্তা এ কার্ধাবলীর বিস্তারিত পরিচয় তুলিয়া ধরিবার চেষ্টা কর! হইয়াছে। মার একটি কথা, নান! কারণে গ্রন্থমধ্যে কয়েকটি মুদ্রণ প্রমাদ রহিয়। গিয়াছে। তন্মধ্যে যেগুলি গুরুতর, সেগুলির একটি শুদ্ধিপত্র গ্রস্থশেষে সংযোজিত হইল। কিন্ত তথোর দিক হইতে একটি ক্রটির কথ৷ এখানে উল্লেখ কর প্রয়োজন মনে করি। গ্রস্থমধ্য ১০২নং পৃষ্টার ২৫ লাইনে আছে, “.-স্থধীন্দ্রনাথ ব্যবসা উপলক্ষে কুন্িয়। চলিয়। আসেন।” কিন্তু এ তথা ঠিক নহে । রবীন্দ্রজীবনীকার শ্রীপ্রভাত- কুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট জানিতে পারিলাষ, স্ধীজ্্নাথ এই সময় ওকালতিতে প্রবেশ করেন। এই গ্রন্থের অংশবিশেষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে । গ্রন্থথানি পাঠক-পাঠিকাগণের নিকট লমাদর লাভ করিলে আমার শ্রম সার্থক মনে করিব । নেপাল মুমদার ॥ বিষয়-নির্দেশ | বিষয় লেখকের কথা পূর্বাভাষ দৃষ্টিভঙ্গির প্রশ্নে জন্মকাল ঠাকুর পরিবার স্বাদেশিকত। £ হিন্দুমেল। ও সন্ধীবনী সভ। বিলাত-ভ্রমণ ও বিশ্ব-সাহিত্যে প্রবেশ পারিবারিক অধ্যাত্ম সাধনার প্রভাব াহিত্যে স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ পাশ্চাত্য সভ্যত। সম্পর্কে মোহভঙ্গের শুরু ইলবার্ট বিল 9 নানৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত কংগ্রেস কংগ্রেস ও রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীষবার বিলাতঘাজ্র। বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তনের পরে 'সাধনা'র যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধাবলী এবার ফিরাও মোরে রাজা ও গজ পাণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও জাতীয় এঁক্যোর প্রশ্নে কংগ্রেস বনাম জমিদার বিতগায রবীন্দ্রনাথ বর্ষশেষ রবীন্দ্রনাথ ও ভ্রিপুর। রাজপরিবার নৈবেছ্য বঙ্গদর্শনে হিন্দুজাতীয়ভাবাদ শান্তিনিকেতন ব্র্ষবিষ্যালয় ভারতবর্ষের ইতিহাস-বিচারে রবীন্দ্রনাথ [৩] ১ 9 ৩০ ৬৫ ৩১ বিষয় বঙগদর্শনে রাজনৈতিক প্রবন্ধ স্বাধীনতা-সংগ্রামে বাংলার স্বদেশী আন্দোলনের স্থান বঙ্গ ভের প্রস্তাব ও ফুনিভার্সিটি বিল সফলতার সছুপায় ইম্পীরিয়লিজ ম্‌ দেশীষ রাজ্য এবং অবস্থ। ও ব্যবস্থা! স্বদেশী সংগীত স্বদেশী আন্দোলনে ও জাতীয় শিক্ষার প্রশ্নে গ্রামসংগঠনে ও এদেশে ইংরাজ-শাসন প্রসঙ্গে বরিশাল প্রাদেশিক সম্মেলন শিক্ষা-সমস্তা ও রবীন্দ্রনাথ হিন্দু-মুসলমান সমস্ত। ও গণসংযোগের প্রশ্নে অরবিন্দ ও রবীন্দ্র ক্ববাট কংগ্রেস ও পাবন। প্রাদেশিক সম্মেলন সন্কাসবাদ ও রবীন্দ্রনাথ প্রাযশ্চি ও শারদোত্সব বিশ্বননিবত। ও বিশ্বজাগতিকতা-বোধের বিকাশ গোরা গীতাঞ্জল অচঙাধতন ততীযবার বিলাতযাত্র। আমেরিকাষ মহাযুদ্ধের পূর্বে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজী প্রথম মহাযুদ্ধের সুচনাপর্বে ঘরে-বাইরে জাপানযাত্র। দ্বিতীয়বার আমেরিকায় ম্যাশনালিজ ম্‌ মৃহাযুদ্ধ-কালে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজী মহাযুদ্ধের অবসানে পরিশিষ্ট [১] [২] [৩] [৪7 [€] নির্ঘণ্ট ্রস্থপ্জী শুদ্ধিপত্র || চিত্রসূচী ॥। রবীন্দ্রনাথ বিলাতে £ প্রথমব।র কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের সহিত স্বদেশী যুগে £ ১৯০৫ জাপানে ১ ১৯১৩৬ [ ১১ ] ৪8২৫ ৪২৯ 9৩১ ৪৩২ 9৩৩ ৪৩৫ ৪৫১ ৪৫৩ ॥ পূর্বাভাষ ॥ [১] ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বাংলাদেশের রেন্টোস আন্দোলনের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে, একথা গ্রায় সকলেই একবাক্যে হ্বীকার করিবেন। ইহার বিস্তারিত বিবরণ এই গ্রন্থের বিষয় নহে। তবুও ইহার মুল কথাটি আমাদের আলোচনা করিতে হইবে। & আমাদের দেশের রেনেসাস বা নবজজগরণ অত্যন্ত কৃশপ্রাণ এবং তাহা অগ্রসয় হইয়াছে অত্যন্ত ক্ষীণ ধারায়। কিস্তু ইউরোপের নবজাগরণ অর্থাৎ রেনেসাস সর্বপ্রসারী ও একটি সবাত্মক বিপ্রব। দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, সংগীত, সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি--সমস্ত দিকেই সেপানে নবজাগরণের প্রাণশক্তির দুর্বার প্রবাহ ও আত্মপ্রকাশ। আমাদের নবজাগরণের প্রত্যুষে আমরা গণতান্ত্রিক বিঙ্ুবমুগের ইউরোপকে দেখিয়াছি । ফলে আমাদের মস্তিষ্ক দিয়া স্বকীয় কিছু মৌলিক চিন্তা করিতে হয় নাই। অথচ লক্‌-হিউম-দেকার্তে, রুশো- ভলটেয়ারের ইউরোপকে যথার্থভাবে আমরা গ্রহণ করিতে পারিলাম কই? রেনেদাসের যুগ হইতে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ধুগ (১৪৫৩ ্রী--১৮৩০ শ্রী: )--এই সুদীর্ঘকালব্যাগী ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মনীষার যে উন্মেষ দেখিতে পাওয়া যায়; লিওনার্দো দ।-ভিঞ্ি, কোপান্লিকাস, গ্যালিলিও, কেপ্লার, ক্রনো, নিউটন হইতে ডারউইন পর্যন্ত, কিংব! বেকন, হব্‌স্‌, লক্‌, দেকার্ডে, হিউম, কাণ্ট, হেগেল, রুশো, ভলটেয়ার, দিদেরে| হইতে মিল, বেস্থাম পর্যস্ত যে সব প্রবল-প্রাণ দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক ও মনীষীর আবির্ভাব দেখ যায়, আমাদের দেশে রেনে্ীসের সব থেকে গৌরবোজ্জল যুগেও ইহাদের সমকক্ষ মনীবী ও চিন্তাবিদ, কয়জন দেখিতে পাওয়া যায়। বলা বাহুল্য, ইহার কারণ ইউরোপের বিশেষ সমাঁজ-অর্থ নৈতিক (৪০1০- 9007702010) ব্যবস্থ। | মধাযুগীয় বর্বরতা ও তামসিকতার গর্ভ হইতে আধুনিক ইউরোপের যে বলিষ্ঠ বৈপ্লবিক আত্মপ্রকাশ আমর! দেখিতে পাই, সেই বিপ্লবের প্রেরণা আসিয়াছে তাহার আপন সমাজের গর্ভ হইতে। পক্ষান্তরে আমাদের নবজ্বাগরণের প্রেরণ আমাদের বাস্তব সমাজব্যবস্থা হইতে যতখানি না জাদিয়াছে, তাহা অপেক্ষাও অধিক আসিয়াছে ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের রসাম্বাদনের ফলে, এবং তাহাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইংরাজের সাম্রাজ্যবাদী শাসন উপলক্ষে | এক আমদানি হইয়া । রেনে্গাসের জন্সক্ষণে ইউরোপের সামস্ততাস্ত্িক 'সমাঙ্গের মধ্যে সেদিন ধন্তন্ত্রের প্রাণশক্তির নিদারুণ আকৃতি ও আবেগ দেখ! দিয়াছিল। আধুনিক জড়বাদী দর্শন ও বিজ্ঞানের, আধুনিক ইউরোপীয় শিল্প-সাহিত্য ও রাজনীতির প্রধান চালিকা শক্তি ছিল সেদিন ইউরোপের ধনতাস্ত্রিক উংপাদিক। শক্তি ও তাহার সমাজব্যবস্থ।। নবজাত ধনতন্ত্ব ও বুর্তোয়া-সমাজ সেদিন ইউরোপে এক মহত্তর বিপ্লব সাধন করিয়াছিল । কিন্ত আমাদের মধ্যযুগীয় সামস্ততাস্ত্রিক সমাজে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের “কল্যাণে ধনতন্ত্র জন্মগ্রহণ করিলেও, এবং বহু দুর্লজ্ঘা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করিয়। তাহ। অতি ধীরে ধারে ক্ষীণ ধারায় বিকশিত হইলেও একথা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে» ইংরাজের সাম্ত্রাজ্যবার্দী শোষণ-নীতি আমাদের দেশের অর্থ নৈতিক এক্তি-সম্পদকে ভাঙিয়া লণ্ডভণ্ড করিয়। দিয়াছিল। ইংরাজ তাহার সাম্রাজ্যবাদী শোষণযস্ত্রের নিম্পেষণে জাতীয় শিল্প অথবা আমাদের বুর্জোয়াদের কোনে! দৃঢ় অর্থ নৈতিক বনিয্লাদ গড়িয়া তুলিতে দেয় নাই! বস্তত পক্ষে, উনিশ শতকের মধ্যভাগেই আমাদের দেশে ব্রিটিশ পু'জির মাধ্যমেই পুঁজিবাদী অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন হয় ( ১৮৫৩ গ্রী্টাবে ভারতে প্রথম রেলপথ স্থাপন, চাঁবাগিচ। প্রতিষ্ঠা ১৮৫২ সালে, ১৮৫৩ গ্রীষ্টাবে বোম্বাইতে প্রথম কটন মিল, ১৮৫৪ শ্রীষ্টা্ধে রানীগঞ্জে প্রথম কোলিয়ারী, ১৮৫৫ সালে প্রথম জুট মিল স্থাপন, ইত্যাদি। ইহাদের মধ্যে কেবল কটন মিল অর্থাৎ বন্ত্রশিল্পের মাধ্যমেই দেশীয় পুঁজি কিয় পরিমাণে বিকাশ লাভ করিতে পারে ।)। সেই কারণেই আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কোনে! দৃঢ় অর্থনৈতিক বনিয়াদ না-থাকার জন্তই আমাদের রেনেসাস এত কৃশপ্রাণ, ক্ষীণ ও দূর্বল। ১৮৫৭ সাল পর্বস্ত আমাদের দেশে বুদ্ধিজীবীরা ইংরাজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলির দালালী কিংবা! মুতসুদ্দীগিরি অথব| সরকারী চাকরি করিম! নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। “চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে'র পর দেশে যে নূতন জমিদারশ্রেণীর উদ্ভব হয়, তীহাদের অধিকাংশই এ বুদ্ধিজীবী মুৎহুদ্দীশ্রেণী হইতে আসিয়াছেন। ঠাকুর-পরিবার তাহার প্রকুষ্ট উদাহরণ । একদিকে ইহার! যেমন নৃতন জমিদারী ক্রয় করিতেছিলেন, অপরদিকে ইংরাজ বণিকদের অনুকরণে নীলকুঠি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে তৎপর হইয়া উঠিলেন। অর্থাৎ আমাদের বুর্জোয়া- শ্রেণীর সামস্ততন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহিত অতি গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক ছিল। ঠিক এই কারণে তখনই সামন্ততস্্র ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রাম ব। বিপ্লবের কোনো তাগিদ তাহাদের থাকিল ন| | তাই দেখা যায়, সাওতাল-বিজ্রোহ ব৷ নিপাহী-বিত্রোহ কিংবা নীল-বিদ্োহের মতে! এত বড়ো স্বর্ণ স্থযোগে [ ছুই ] আমাদের বুর্জোয়ার৷ নেতৃত্ব দিতে পারেন নাই। কেননা সেদিন নাছিল তাহাদের দৃঢ় অর্থনৈতিক বনিয়াদ, না-ছিল তাহাদের চেতনা ও মানসিক প্রস্ততি। তাই তাহাদের জীবনদর্শনে ও আচরণে যুক্তিবাদ ও ভক্তিবাদ, অধ্যাত্মবাদ ও জড়বাদ, সংক্কারবাদ ও বিপ্রববাদের এত তাত্বিক গৌজামিল ; তাই তাহাদের রাজনৈতিক সংগ্রামে এতখানি ঘিধা ঘন্ব জড়তা ও ন্ববিরোধিতা। এক কথায়, আমাদের দর্শন ও সমাঁজবিপ্রবের প্রেরণ ও তাগিদ সমাজের ভিতর হইতে আসে নাই। তাই মুষ্টিমেয় বুদ্ধিজীবীর ধার-করা গ্রাণ-প্রবাহ সংস্কারবাদের খাতে ধীরে ধীরে সমাজের উপরে উপরে বহিয়াছে। তাই দর্শন-বিপ্লব না হইয়া হইল ধর্মসংস্কার, সমাজ-বিপ্লব না-হুইয়৷ হইল সমাজ-স-স্কার, বৈপ্রবিক রাজনীতি না হইয়া হইল নিয়মতান্ত্রিক ও সংস্কারবাদী রাজনীতি । সর্বত্রই সামস্ততন্ত্ ও সাম্রাজ্যবাদের সহিত আমাদের বুর্জোয়াশ্রেণীর আপস-রফ! চলিল, আর তাহার নীতি কৌশল হইল সংস্কারবাদ (19107001577) | কিন্ত এই সংস্কারবাদী আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সংগ্রামের পূর্বপ্রস্ততি বল! যাইতে পারে। শুধু ইউরোপেই নয়, প্রত্যেক দেশেই সংস্কারবাদী আন্দোলনের বিশিষ্ট একটি এঁতিহাসিক ভূমিক' আছে; তাহাকে লঘু করিয়৷ দেখাও ঠিক নহে । কিন্ত আমাদের বুর্জোয়াদের এই সংস্কারবাদী আন্দোলন দেশের বৃহত্তম জনগণ অর্থাৎ গ্রামা"্*লের সেই বিপুল জনসাধারণকে এতটুকু স্পর্শ করিতে পারে নাই। ভারতের কৃষক বিভ্রোহগুলির প্রতি এবং ১৮৫৭ সালের জাতীয় বিদ্রোহের প্রতি উপেক্ষা এমনিতেই আমাদের বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে জনগণকে সন্দিগ্ধ করিয়াছে । তাহ! ছাড়া, দেশের শাসনকার্ধোপলক্ষে এবং বিদেশী ব্যবসায়ী কোম্পানীর কর্মচারী ও দালালদের মাধ্যমে ষে বুদ্ধিজীবীদের সহিত গ্রামবাসীদের পরিচয় হইয়াছে, তাহার! ছিলেন দেশে ওউপনিবেশিক ও সামস্ততাস্ত্রিক শোষণ শাসন কায়েমে সহায়তাকারী । অবশ্ঠ ইহার প্রধান কারণ আমাদের রাজনৈতিক পরাধীনতা ৷ আমাদের দেশে সামস্ততন্ত্র ও উদীয়মান ধনতস্ত্রের বিরোধটি সরাসরি ও একমাত্র বিরোধ ছিল না। জাতীয় স্বার্থের দিক হইতে বিচার করিলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদই তখন দেশের অর্থ নৈতিক বিপর্যয় ও সর্বনাশের প্রত্যক্ষ কারণ হইয়া দীড়াইয়াছে। ব্রিটিশ শাসনে দেশের সাধারণ ও ক্কষিজীবী মান্ষের জীবনে ছৃঃখকষ্ট তখন অবর্ণনীয় হইয়! উঠিয়াছে। তাহারই প্রতিক্রিয়ায় স্বতক্ফ, ভাবে সার! দেশব্যাপী বিক্ষিপ্ত রুষক-বিপ্রোহ দেখ! দিল, তাহারই প্রতিক্রিয়ায় “সিপাহী-বিজ্রোহ" € অংশত ) জাতীয় বিত্রোহ আকারে অভিব্যক্তি পাইল। [ তিন ] রবীন্দ্রনাথ ॥ খ কিন্তু প্রশ্ন থাকিয়া যায়, তবুও বুদ্ধিজীবীরা ইংরাজবিরোধী ব। সাম্রাজ্যবাদ- বিরোধী সংগ্রামে অবতীর্ণ হইতে পারিলেন না কেন? পূর্বেই তাহার কারণ উল্লেখ ॥ অপর একটি প্রধান কারণ হইল, তৎকালীন ব্রিটিশ সাআাজাবাদের দ্বৈত-চরিত্রূপ। ভূলিলে চলিবে না৷ যে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের তখনও একটি প্রগতিশীল ভূমিকা! ছিল । শত শত বৎসরের জড়বৎ স্থিতিশীল জী “এশিয়াটিক” সমাজ-সভ্যতায় ব্রিটিশ শাসন-ব্যবস্থা একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনিয়াছিল। “একথা সত্য যে ইংরাজ তাহার জঘন্ত স্বার্থের দ্বারা প্রণোদিত হইয়াই ভারতবর্ষে সমাজবিপ্লব সংঘটিত করিয়াছে এবং যেভাবে মে এই কাজে আগাইয়াছে তাহ অত্যন্ত বর্বরোচিত। তবুও ইংরাজের অপকর্ম যতই থাকুক না কেন, এই বিপ্লবের প্রবর্তন করিয়! সে তাহার নিজেরই অজ্ঞাতসারে ইতিহাসের যন্ত্র হিসাবে কাঁজ করিয়াছে এই সাম্রাজ্যবাদের কল্যাণেই আধুনিক সভ্যতা, জান- বিজ্ঞান ও যন্ত্রশিল্লের সহিত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের পরিচয় হইয়াছে । এই সকল কারণে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে তাহার! এশিয়ার পরিত্রাতা ও মুকিদাত৷ হিসাকে দেখিয়াছিলেন। তাছাড়া, বিশেষ করিয়া বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় অর্থনৈতিক দিক হইতে প্রায় সম্পূর্ণভাবে ইংরাজের উপর নির্ভরশীল ছিল। তাই ব্রিটিশ শাসনকে তাহার নিজের শ্রেণীস্বার্থের খাতিরেও প্রয়োজন হইয়াছিল । মধ্যযুগীয় কুসংস্কার ও সামাজিক অন্তায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য এবং গণতান্ত্রিক শাসন-সংস্কার প্রবর্তনের জন্য ইংরাজ-শাসনকেই তাহারা প্রধান অস্ত্র করিতে চাহিম্নাছিলেন। পরবর্তীকালে 'ভারত-সভা” ও “ভারতের জাতীয় কংগ্রেস” ইহাদের উত্তরসাধকের ভূমিকা গ্রহণ করে । | ইংরাজ-শাসন ব। ব্রিটিশ সাআাজ্যের এই “কল্যাণকামী রূপ'টি সম্পর্কে বাংলার রেনেসাসের নেতৃবর্গ কিরূপ মোহগ্রন্ত হইয়াছিলেন, রামমোহনের নিয়োদ্ধংত উক্তি হইতে তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইবে, £ 01077000100], 01919069১ 17 00]. 5016101) 06৮06101)) ছা 2০- 00017615077 111) 000. 110111019 0791009 6০ 010৫, 101. 609 19195511065 0 13618) 1016 20 1018019 ৪00. 81180010915 19:5১ 00986160885 00106110009 1) 168 100100%0197% 00091861010 101 08171001198 60 0010)9.% [ 0.0. 91)099 (901660)-10761191) 0105 01 19100717012) 105 ০]. ]. 1). 280] ১৮৩১ খ্রীষ্টান প্রসন্নকুমার ঠাকুর সগর্বে বলিয়াছিলেন, “গু$ ৩ ০০ 60 8১৪ 89159) 186 00561111016 মাত 0110. 0196 12706119]) 91 2 06561 9 0010) 019 210. 211 11015, [ চান্স ] [100181) 00 21] 10098109, 85 95918 10 [19011973106 6০ [72750 (05621010017, [ [11019 09296৮6, 015 4) 1831 ] বিলাতে গিয়৷ ছ্বারকানাথ ঠাকুর আবেগ-আধ্নুত কণ্ঠে ইংরাজ্জ-প্রশস্তি গাহিতে গিয়া! এমন কথা বলিতেও ছিধা করেন নাই, 41 195 1010512110 আ)0 8916 0116 01150 2১0 001) 8]]15 €0 109099৮1009, 107) 601 0001)8018 8100. 81009, 16728 197101800 686 99116 00৮ 60 96 0150186 1196100 70 21929 0981) 150 1189. ৪1100009000. 99910118111) 1760509 110 0১০0 10110, 2170. 1)0 "79৪ 61) 1786 া)0 18৮ 110000090 & [00109] 9180 19672189116 ০7097 ০0? €1)17105 10 6100 15856,5 [10191100 0010/70 1016871501৮ 01 [08781090800 1201৩, 0, 94] কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাকাল হইতে তারপর বহুদিন পর্যস্ত কংগ্রেসের সভামঞ্চ হইতে ইংরাজের উদ্দেশে এই একই স্থরে একই ভাষায় প্রশস্তি ও স্ততিবাদ কর! হইয়াছে । রেনেসাসের যুগ হইতে স্বদেশী আন্দোলচনর যুগ পর্যস্ত আমাদের বুদ্ধিজীবী শ্রেণী বুর্জোয়া! সমাজের অনুকূল সমাজ-অর্থ নৈতিক অবস্থা ও পরিবেশ সার জন্য ধর্ম ও সমাজ-সংস্কার, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষার প্রসার, মাতৃভাষা ও শিল্প-সাহিত্যের পুনরুজ্জীবন, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রয ও গণতান্ত্রিক চেতনার প্রসার প্রভৃতি আন্দোএনে তাহাদের সকল উদ্যম ও শক্তি নিয়োজিত করিয়া আসিয়াছেন। [ ২ 7 বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের এই রেনেসাস অর্থাৎ নবজাগরণ যুগের শ্রেষ্ঠ পুরুষ রামমোহন রায় । এতথানি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদার ও প্রবলপ্রাণ এবং ।বহুভাষাবিদ ও বন্ুশাস্ত্র্ পণ্ডিত ব্যক্তি সে যুগে আর দেখা যায় নাই। ইউরোপের যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি লইয়! তিনি হিন্দু বৌদ্ধ ইসলাম ও খ্রীস্টধর্মের শ্রেষ্ট ধর্মগরস্থরাজি পাঠ করিয়াছিলেন। তাহার দৃষ্টিভঙ্গিতে ছিল একটি গভীর সত্যান্গসন্ধিংসা ও আস্তরিকতা৷ । আরবী, ফারসী, সংস্কৃত, ইংরাজী, গ্রীক, হিক্র প্রভৃতি ভাষায় তাহার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও দখল ছিল । তাহা ছাড়, বাংলা ভাষাকে নৃতনভাবে রূপদান করার কাজে তাহার অবদান কম নহে; বাংলাদেশে ইংরাজী ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা-প্রসায়ের আন্দোলনে মহাত্মা হেয়ারের পাশে রামমোহনের নামও চিরদিন উজ্জ্বল হইয়া থাকিবে। সতীদাহ, বহুবিবাহ, জাতিভেদ গ্রভৃতি হিন্দুসমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সমাজসংস্কার আন্দোধানেও তীহার অবদান অপরিসীম । বাংলার মৃধ্যযুগীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন রক্ষণশীল হিন্দু [ পাচ এ সমাজকে সর্বপ্রথম আঘাত হানিলেন রামমোহন রায়। অপরদিকে ইউরোপের শ্রেঠ সম্পদকে, ইউরোপের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে প্রবল শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সহিত গ্রহণ করিবার প্রথম আহ্বান শুনা গেল তাহার নিকট হইতে । রামমোহনই আধুনিক বাংলা তথ! ভারতবর্ষের প্রকৃত জনক, তিনিই জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রকৃত আঙ্টা । অপরদিকে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ন্থাধীনতা-সংগ্রাম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক চিস্তাধারাকে বিপুল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে অভ্যর্থনা জানাইয়াছেন রামমোহন রায় । ১৮৩০ গ্রীষ্টাব্বের ১৫ই নভেম্বর রামমোহন বিলাত যাত্রা করেন। শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিতেছেন, “মানবের আত্মাকে রামমোহন অতি পবিত্র চক্ষে দেখিতেন। মনে করিতেন, এই মানবাত্মা সেই বিশ্বাত্মারই অঙ্গীভূত। সকল প্রকার সামাজিক দাসত্ব ও 'রাজনৈতিক অত্যাচার ও দাসত্বকে তিনি এইজন্য অন্তরের সহিত স্বণা করিতেন। এই কারণে পৃথিবীর যেকোনো বিভাগে লোকে স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা করিত তাহারই সহিত তাহার হৃদয়ের যোগ হইত, এবং ম্াধীনতা লাভ-প্রযাসে কোনে! জাতি অরুতকার্ধ হইতেছে জানিলে তিনি মর্মাহত হুইতেন। ইটালীয়ানগণ অনেক চেষ্টার পর ষখন অস্ট্রীয়াবাসিগণের নিকট পবাস্ত হইল, তখন সেই সংবাদে রামমোহন রায় কলিকাতাতে শয্যাস্থ হইলেন, নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে পারিলেন না। অপরদিকে স্পেনে যখন নিয়মতন্ত্রপ্রণালী প্রতিষ্ঠিত হইল তখন তিনি আনন্দে কলিকাতার টাউন-হলে ভোজ দিলেন। তাঁহার উধ্বতন কর্মচারী ডিগ্বীসাহেব লিক্্নাছেন যে, তাহার 'নিকট কর্ম করিবার সময় ডিগ্বী অনেকবার দেখিয়াছেন যে রামমোহন রায় ফরাসী বিপ্লবের বিবরণ জানিবার জন্য ব্যগ্রতাসহকারে বিলাতী ডাকের অপেক্ষা করিয়া থাকিতেন, যদি দেখিতেন যে স্বাধীনতা! পক্ষের পরাজয় হইতেছে তাহা হইলে দরদর ধারে ভ্রাহীর ছুই কপোলে অশ্রথারা বহিত। কুমারী কলেট বলিয়াছেন যে, ইংলগু-গমনকালে গুড্‌হোপ অন্তরীপে গিয়া জাহাজে পড়িয়া গিয়া রামমোহন রায়ের পা ভাঙিয়া গিয়াছিল। কিস্ত যখন তিনি দেখিলেন যে, ফরাসী-জাহাজে স্বাধীনতার পতাকা উড্ডীন করিয়াছে তখন ভগ্নপদ লইয়াই সেই জাহাজে গিয়৷ সেই পতাকাকে অভিবাদন করিবার জন্য ব্যগ্র হইলেন। তাহার জাহাজের কাণ্ডেন অনেক নিষেধ করিলেন, সে নিষেধ তিনি কোনোমতেই : স্তনিলেন না? ভগ্নপন্দে অতিকষ্টে জাহাজে গিয়া সেই পতাকাকে অভিবাদন করিলেন। আসিবার সময় ফ্রান্সের জয়ধ্বনি করিতে করিতে আসিলেন।” [ শিবনাধ শাস্ত্ী- প্রবন্ধাবলী ] [ছয়] বিন্ময়-বিমুগ্ধ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়! উঠিয়াছেন, “কী স্বাধীনতাপ্রিয়ত। ! কী মানবাত্মার মহত্বজান !” ভারতবর্ষে সে একট! এমন ধুগ, যখন ইউরোপের সহিত আমাদের দেশের তুলনা করিয়া এদেশের বুদ্ধিজীবীর! নিজেদের সম্পর্কে লজ্জা, হীনত! ও দৈন্ত অনুভব করিতেন। তাহাদের দৃষ্টিকে আধুনিক ইউরোপ অভিভূত করিয়াছিল বটে, কিন্তু ইউরোপের ঘটনাবলী ও প্রগতিশীল আন্দোলনের তাৎপর্য গ্রহণ করিবার মত বা সেই সম্পর্কে কিছু চিত্ত! করিবার মত চিন্তার স্বচ্ছতা তাহাদের মধ্যে দেখা যায় নাই। অথচ সে-যুগের ভারতবর্ষে ইউরোপের প্রধান ঘটনাবলী ও শ্রেষ্ঠ প্রগতিশীল আন্দোলন এবং ভাবধারার সহিত রামমোহনের এই একাত্মবোধ কিরূপে সম্ভব হইল, ভাবিতে বিন্ময় লাগে। স্েচ্ছাচারী রাজার নিকট হইতে নিয়মতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র আদায় করিয়াও নেপ্ল্স্বাসিগণ পুনরায় অগ্ট্রীয় সৈম্তগণ কতৃক পরাধীনতার নাগপাশে আবদ্ধ হইতে বাধ্য হইলে রামমোহন সেই সংবাদ শুনিয়! মর্মাহত চিত্তে ১১ই আগস্ট ১৮২১-এ এক পত্রে (সিঙ্ক বাকিংহামকে ) লিখিয়াছিলেন, ১১] 30181091880 02800900150 92001162775 85 1075 0517? 2,060 01 01501716829 01735 ]02001)169 60 11000052100. 06005 ০01 099])061) 100৮৮ 11050) 19601) 010 1005 11] 109) 111617069]5 81109008911]. স্পেনের শ্বৈরাচার হইতে দক্ষিণ আমেরিকার উপনিবেশগুলির মুক্তিসংবাদে উৎফুল্ল হইয়৷ রামমোহন তাহার বাসভবনে এক বিরাট ভোজসভার আয়োজন করেন। সেই ভোজসভায় তিনি বলিয়াছিলেন, “57126! 0080]16 7 60190 1179011910010 ৮০ 000 ৪0100277601 085 10110 01011001705 ছড1)07০৮0] 0005 27€$ 01 10৮0৮] 111800181800600 105 177৮79565) 2০010101) 0 19100115889 2” ইউরোপের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনগুলিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাতীয় মুক্তি-আন্দোলনকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাইতেছেন ভারতবর্ষের মত পশ্চাৎপদ পরাধীন উপনিবেশের একজন অধিবাসী-_ সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপের পক্ষে ইহা যেমন লজ্জাজনক, ভারতবাসীর পক্ষে ইহা ততোধিক গৌরবের কথা। ভারতবর্ষে আন্তর্জাতিক ভাবধারায় চিন্তা করিবার ইহাই প্রথম নজির; এবং এদেশের তদানীন্তন বান্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইহার তাৎপর্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । রামমোহনের সমকালীন, এমনকি পরবর্তীকালে বহুকাল পর্বস্ত আমাদের [ সাত ] জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের কাহাীকেও এই ধরনের আন্তর্জাতিক দৃষ্টি- ভঙ্গিতে চিন্তা করিতে দেখা যায় ন!। ইংলগ্ডে থাকিতে বেস্থাম, মিল, রম্বে! গ্রভৃতি শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিধ ও স্থধীবর্গের সহিত রামমোহনের পরিচয় হয়। ইংলগ্ডের পার্লামেণ্টে তখন [০100 731]]-এর 439০0070. 7980170, চলিতেছে । রামমোহন বলিলেন, এ বিল পাস না করিলে তিনি ইংরাজ জাতির সহিত সকল সম্পর্ক ছিন্ন করিবেন। ১৮৩২ গ্রীষ্টাবে ২৭শে এপ্রিল বেডফোর্ড স্কোয়ার হইতে এক পঞ্জে তিনি লিখিতেছেন, 0) 90185158875 10০৮ 79701) 1)0৮907, 010 791020098 01)0 9116-0910181)928) 100৮ 106৮997) 111001শ৮9 280 ৮0105 ঠ1700$1)006 856 0110. ; 106৮5961) 10186109270. 17100561009 91১0. 109৮79০1) 11017 2180. 70120 “130 টি) 2 19190৮10702. 019 10886 0৮01)05 0110196075, আও 01987015 109200156 61196 110075] 1)1175017)109 11) 1)0116108 2150 0:91100101) 11859 10091) 10176 07500191]5, 100 992501199 2911011)9 70010, 180৮ দম160)961)00770 0012 01019051100, 8100 01086119001 0991)06 8180 1016065.” রিফর্ম বিল পাস হইয়া যাওয়ার পর রামমোহন লিখিতেছেন ( বেডফোর্ড স্কোয়ার, ৩১শে জুলাই ১৮৩২ ), “] 20) 2)০0 1)91)0)5 ...010 67০ ০001)1069 811090885০1 016 13010110) 131118) 1)0৮%10)5917017)5 056 ড1010116 01019031101) 9110 ৮1৮ ০01 00116109%] [00170110165 00 0) 1027 01076 211500055- 1070 112610) 0908 100 1৩17867" 09 & 10705 01 089 197 া1)0 0800 €0 1111 01১01 1)111808 26 80০ 63017010909 1095 60 61০ 010১ 01 61৪ 1)০010)10 108 & 1)67100. 01 010৮79708০0 65 087৭, 701)0 11010156918 10850 17001509615 20174 ঠাপা] 01501091790 092 00655 2150 [070৬1090 ০ 1)০০1১1) সা16]) 181997)8 01 820011770 61917 7111)9- 11001002710 1075 0146 8০ 109010197 056 70)151)5 [9001016 ০01 10106191709 10589 100৭1 11) 1109 1178107502* 00 61)6118, 01)9708181706 101110110 81016 2100 110678] [)01117011)105, 96 0৪ 89779 1090 10878181)1175 10710995 ০০0:০016107) 9%1)0. 91291) 2106509868১ 017 [901)110 1070099017769,7 [ গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী-_প্রীঅরবিন্দ ও বাংলায় হ্বদেশী যুগ ॥॥ পৃঃ ৫৮-৫৯ ] এতখানি রাজনৈতিক সচেতনত। ও প্রগতিশীল চিন্তাধার৷ সমকালীন ভারতবর্ষে আর ঝ্ঞহারও মধ্যে দেখা যায় না। তাছাড়৷ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক মিলন ও এঁক্যের কথাও সর্বপ্রথম বলিয়াছেন রামমোহন রায়। [ আট] কিন্তু জাতীয় ক্ষেত্রে, রামমোহন তখনই ব্রিটিশ সরকারের বিরোধিতা করিতে চাহিলেন না। রামমোহন ভাবিলেন, ইংরান্ধ শাসনের আওতার মধ্যে থাকিয়া আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতার শ্রেষ্ট সম্পদ আয়ত করিয়! লওয়াই দেশের তৎকালীন অবস্থায় প্রাজ্োচিত ও যুক্তিযুক্ত হুইবে। তাই তিনি মন্তব্য করিলেন, ইংরাজেরা আমেরিকায় যেভাবে বসতি করিয়াছিল সেইভাবে তাহারা যদি ভারতবর্ষে বসতি করে, তবে ভারতের তাড়াতাড়ি মঙ্গল হইবে । তিনি খলিলেন, “ধরুন, এখন হইতে প্রায় একশে! বছরের মধ্যে, ইউরোপীয়দের সংস্পর্শে আসিয়া এবং আধুনিক কলা, বিজ্ঞান এবং সাধারণ ও রাজনীতিক জ্ঞান আয়ত করিয়া ভারতবাসী উন্নততর চরিত্রের মালিক হইয়! উঠিল। তখন তাহাকে হেয় করিবার যদি কোনো অন্তায় বা নির্দয় নীতি গ্রহণ করা হয় তখন সে কি তাহাকে প্রতিরোধ করিতে চেষ্টা করিবে না? একথা ভূলিলে চলিবে না যে ভারতবর্ষের অবস্থা আয়ার্ল্যাণ্ডের অবস্থা হইতে অনেক পৃথক | আয়ার্ল্যাণ্ডে রাজদ্রোহস্থচক কিছু ঘটিলে ইংরাজ নৌ-বাহিনী পাঠাইয়া তাহা দমন করা সহজ । কিন্ত ভারতবর্ষ যদি এ দেশের চারভাগের একভাগ জ্ঞান ও বীর্যের অধিকারী হয়, তাহা হইলে তাহার দূরত্ব, এর্বর্ধ ও বিপুল জনসংখ্যার ফলে .' মিক্ররাষ্ট্র হিসাবে একটি বিশেষ মূল্যবান ভূমিকা গ্রহণ করিবে, অথবা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও অত্যন্ত চাঞ্চল্যকারী এক শক্তিশালী শক্র 'হসাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্তিত্বকেই আপদগ্রস্ত করিয়! তুলিবে।” [ নরহরি কবিরাজ-- স্বাধীনতার সংগ্রামে বাংল! ॥ পৃঃ ৬ ] অর্থাৎ ইংরাজের সহিত সহযোগিতার ভিত্তিতেই দেশ স্বাধীনতার জন্য প্রস্তত হইতে পারিবে । কিন্তু সহযোগিতা! বলিতে রামমোহন ইংরাজের শোষণ-শাসনকে নিধিচারে সমর্থন করিতে বলেন নাই। ইংলগ্ডের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অনুসরণে স্বদেশের জাতীয় স্বার্থের দাবিগুলি লইয়া! আন্দোলন করিবার কথা তিনি চিন্তা করিয়াছিলেন। সকলেই জানেন, ১৮২৩ সালে মুদ্রায্ত্রের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা হইলে রামমোহন তাহার তী'ব্র প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। আত্মশক্তি অর্জন ও জাতীয় প্রস্ততির জন্য ধর্ম ও সমাজসংস্কার, গণতান্ত্রিক চেতন! ও আধুনিক ইউরোপীয় শিক্ষার ব্যাপক প্রসারকল্লে তিনি উদ্যোগী হইয়াছিলেন। বস্ততপক্ষে, ইহাই ছিল বাংলাদেশের সমগ্র রেনেনাস আন্দোলনের মুল লক্ষ্য । [ ৩ ] ইউরোপে সামস্ততস্ত্রের বিরুদ্ধে বুর্জোয়াদের দীর্ঘকালব্যাপী সংগ্রামের “মধ্যে ব্মামরা বৃর্জোয়াদের প্রধানত তিনটি মরণাস্তিক আঘাত হানিতে দেখিতে পাই। [ নয় ] প্রথম ও তীয় আঘাত আসিয়াছিল মার্টিন লুখার ও পরে ক্যালভিনের প্রোটেন্টান্ট ধর্ম সংস্কার-আন্দোলনে । বুর্জোয়ারা তৃতীয় ও চূড়ান্ত আঘাত হানিল “করাসী-বিপ্লবে'র (১৭৮৯ ) মাধ্যমে, আর সেই আঘাতেই ইউরোপের সামস্ততন্ত্রের চূড়ান্ত পরাজয় হইল এবং ধনতন্ত্র জয়লাভ করিল। প্রোটেস্ট্যান্ট বা! ধর্মসংস্কার-আন্দোলন হইল বুর্জোয়াদের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও বিপ্লবের পূর্বপ্রস্ততি। এতিহাসিক দিক হইতে বিচার করিলে এই ধর্মসংস্কার-আন্দোলন' অতীব গুরুত্বপূর্ণ । ভারতবর্ষে বাংলার রেনেসাসের যুগে ব্রাহ্মধর্ম, অনেকখানি ইউরোপের প্রোটেস্ট্যাপ্ট বা ধর্মসংস্কার-আন্দোলনের ভূমিক! গ্রহণ করিয়াছে। রামমোহনের যুগ হইতে বাংলাদেশের স্বদেশী আন্দোলনের যুগ পর্যস্ত আমাদের বুদ্ধিজীবীশ্রেণীর মধ্যে এই ধর্মসংক্কার-আন্দোলনের উপর অত্যধিক কৌক লক্ষ্য করা যায়, এবং মূলত উহা! হিন্দুধর্ম সংস্কার-আন্দোলন। প্রথম হইতেই আমাদের বুদ্ধিজীবীদের এই হিন্দুধর্ম সংস্কার-আন্দোলন শহর-বন্দরের (বিশেষ করিয়া কলিকাতা ও তৎপার্বব্তী অঞ্চলের ) অল্পসংখ্যক বুদ্ধিজীবীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে উহা এতটুকুও স্পর্শ করিতে পারে নাই। কিন্তু ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে শহর ও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ ও স্বল্পবিত্ত মানুষদেরও (09912) ও ৪০৪17 শ্রেণীর মানুষদেরও) ব্যাপকভাবে অংশ গ্রহণ করিতে দেখা গিয়াছে । অথচ আমাদের ক্ষেত্রে তাহ! হয় নাই কেন? প্রথমত-_ভারতবর্ষ বু জাতি, বহু ধর্ম, বু ভাষাভাষী মানুষের এক বিশাল দেশ । রেনেসাসের যুগে ইউরোপের কোনে দেশেই এত জাতি-উপজাতি ও ধর্ম- সম্প্রদায়ের সমস্যা ছিল না। ইউরোপের ধর্ম সংস্কার-আন্দোলনের মূল লক্ষা ছিল পোপ ও রোমান ক্যাথলিক চার্চ । দ্বিতীয়ত-_-আমাদের দেশে ইপনিবেশিক শোষণের ফলে কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে বুর্জোয়৷ সম্প্রদায় প্রায় একেবারেই গড়িয়া উঠিতে পারে নাই বলিলেই চলে। একমাত্র কলিকাত। ও তংপার্বর্তা শহর- গুলিতে খুব অল্পসংখ্যক ইংরাজি-শিক্ষিত হিন্দু বুদ্ধিজীবী ব। বুর্জোয়া সমাজ গড়িয়া উঠিয়াছিল। বলা বাহুল্য, তাহার কারণ আমাদের ওঁপনিবেশিক পরাধীনতা, তাহার কাকণ ইংরাজ সরকারের শিক্ষানীতি । এই প্রসঙ্গে স্মরণ রাখা দরকার, রাজনৈতিক স্বাধীনতা থাকার জন্ত জাপান আমাদের বহুপরে দেশে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও পাশ্চাত্য শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন করিয়৷ অচিরেই উহাতে পারদর্শা হইয়া উঠে। অথচ আমাদের দেশে উনবিংশ শতাব্দীর প্রায় মধ্যভাগ পর্ধস্ত. মফংম্বল ব! গ্রামাঞ্চলে ইংরাজি বা স্কুল-কলেজী শিক্ষার এতটুকুও ব্যবস্থা ছিল না। ১৮৫৭ সালেই কলিকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই [ দশ] বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য আরব্ধ হয়। বস্ততপক্ষে উহার পর হইতেই গ্রামাঞ্চলে ধীরে ধীরে আধুনিক ইংরাজি-শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর উদ্ভব হইতে থাকে । এই কারণেই কলিকাতা ও তৎসন্লিহিত অঞ্চলের ধর্ম-ও সমাজসংস্কার আন্দোলনের প্রকৃত তাৎপর্য গ্রহণ করা গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণের পক্ষে সম্ভবপর হয় নাই । কিন্ত বাংলাদেশের রেনেসীস আন্দোলনে অন্ততম অসঙ্গতি ও দুর্বলতা দেখা দিয়াছে মুসলমান সম্প্রদায়কে লইয়া। সকলেই জানেন, নানাকারণে হিন্দুদের মত মুসলমানদের বুর্জোয়া-শ্রেণী তখনও গড়িয়। উঠে নাই । 'মুয়াফিজ ভূমি'গুলি নষ্ট করিয়া দিবার ফলে এবং বিশেষ করিয়। “চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত” প্রবতিত হওয়ার পর মুসলমান ভূম্যধিকারীগণ অধিকাংশই বিনষ্ট হইলেন। সাধারণভাবে ইহারা ইংরাজকে ভালো চোখে দেখিতেন না এবং ইংরাজি ভাষ৷ ওপাশ্চাত্য শিক্ষার উপর তাহাদের স্বাভাবিক বীতরাগ ছিল। ১৮৫৭ সালের পর শ্যর সুলতান আহ মদ খানই মুসলমান যুবকদের মধ্যে ইংরাজি ও পাশ্চাত্য শিক্ষার আন্দোলন শুরু করিলেন । বস্ততপক্ষে আধুনিক মুসলিম বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় গড়িয়া উঠিতে অধিক বিলম্ব হইয়াছে এবং এই কারণে মুসলমানদের পক্ষে সংস্কার-আন্দোলনে যোগ দেওয়া সম্ভব হয় নাই । অপরদিকে, বাংলার এই রেনেসাস আন্দোলন মূলত হিন্দুধর্ম ও সমাজ- সংস্কার-আন্দোলন হওয়ার ফলে সাধারণভাবে উহা! মুসলমানগণকে আকৃষ্ট করিতে পারে নাই। আমাদের এই নবধুগে একমাত্র ডিরোজিওর শিশ্তাগণ তথ। “ইয়ং বেঙ্গল” গোষ্ঠীই সাধারণভাবে ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন। রামগোপাল ঘোষ, রসিকরুষণ মন্লিক, তারাচাদ চক্রবর্তী, দক্ষিণারঞন মুখোপাধ্যায়, প্যারীটাদ মিত্র, হরচন্দ্র ঘোষ, শিব্চন্দ্র দেব, রামতন্থ লাহিড়ী, রাধানাথ শিকদার প্রমুখ ব্যক্তিগণ এই গোষ্ঠীর প্রবন্তা ছিলেন। সে-যুগে ইহাদের মধ্যেই ইউরোপীয় জড়বাদী বা বস্তবাদী দর্শনের প্রভাব পড়িয়াছিল সবচেয়ে বেশী । প্রাচীন ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাহার! যে প্রচণ্ড বিদ্রোহাত্মক সংগ্রাম করিয়াছিলেন আজিকার দিনেও তাহার তুলনা মিলে না। কিন্ত ইহারা ছিলেন কিছুটা উৎকেন্দিক । ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার ভাঙার নামে অনেক ক্ষেত্রে তাহার। ইউরোপীয় কৃষ্টিকে ষাস্ত্রিকভাবে এদেশে প্রয়োগ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। তবুও বাংলাদেশে স্বদেশগ্রীতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা জাগ্রত করিতে ইহাদের অবদান কম নহে । আমেরিকার স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও ফরাসী-বিপ্রবের আদর্শের পতাকাতলে বসিম্বা ইহারা শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন। আফ্রিকার দাস-ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে, মরিশস দ্বীপে কুলি চালানের বিরুদ্ধে এবং রায়তদের উপর অকথা অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইহারা সমালোচন! করিয়াছিলেন । বিশেষ করিয়া ১৮৫০ সালে “কাল! আইনের? (3180 [ এগারো ] 111) বিরুদ্ধে রামগোপাল ঘোষ যে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করিয়াছিলেন, তাহা! সে-যুগের একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা । বিদেশ! শ্রেতাঙ্গ বণিক সম্প্রদায় সেদিন একযোগে তাহার বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিয়াছেন, “***তধন দেশের এমনি অবস্থা! যে, সেই উৎকৃষ্ট আইনগুলির সপক্ষে বলিবার জন্য কেহই ছিল না। তখন কেবলমাত্র রামগোপাল ঘোষ লেখনী ধারণ করিলেন 3 এবং 4 2 [01018105 01) ০0117) 10158 ০) 00001501015 021190 8180৮. 4০৪ নামে একখানি পুস্তিক। প্রকাশ করিলেন। ইহাতে কলিকাতা- বাসী ইংরাজগণ তাহার প্রতি এমনি চটিয়! গেলেন যে, তাহার! সমবেত হইয়া তাহাকে ৪ 07001817] 9০০1৫6-র সহকারী সভাপতির পদ হইতে অধঃকৃত করিলেন ।-""” [রামতন্্ লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ॥ পৃঃ ১২৭ ] বস্ততপক্ষে, এই ঘটনার পর হইতেই দেশে সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত হইল । শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিতেছেন, “কাল! আইনের বিরোধী ইংরাজগণ জয়যুক্ত হইলেন; যে আন্দোলনের ঝড় উঠিয়াছিল তাহা থামিয়া গেল" কিন্তু দেশীয় শিক্ষিত দলের মনে একট! গভীর অসস্তোষ থাকিয়া গেল। একতা ও আন্দোলনের দ্বারা কি হয় তাহা তাহার চক্ষের উপর দেখিলেন।:"'এই সকল কারণে শিক্ষিত দলের মধ্যে রাজনীতির আন্দোলনের জঙ্য সম্মিলিত হইবার বাসন! প্রবল হইল। তাহারা বুঝিলেন স্বদেশের হিতের জন্য সমবেত হওয়া আবশ্তক | সে সময়ে দেশীয় শিক্ষিত দলের মধ্যে দুইটি সভা ছিল; প্রথমটি দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত 7301)65] [.900- 1,01000” 48800186107 বা বঙ্গদেশীয় জমিদার সভা ।-..কিন্তু ্বারকানাথ বাবুর মৃত্যুর পর ইহা৷ এক প্রকার মৃত্যু দশায় পড়িয়াছিল। দ্বিতীয় সভাটির কথ৷ উল্লেখ অগ্রেই করিয়াছি, তাহ৷ জর্জ টমসনের প্রতিষ্ঠিত নব্যবঙ্গের “ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি” । এরূপ প্রশ্ন উঠিল, উভয় সভাকে মিলিত কর! যায় কি না? রামগোপাল ঘোষ, দিগম্বর মিত্র প্রভৃতি কতিপয় ব্যক্তির উদ্যোগে ও উৎসাহে অবশেষে এ সম্মিলন কার্য সমাধা হইল। ১৮৫১ সালের ৩১শে অক্টোবর এক সাধারণ সভা আহৃত হইয়া, উক্ত উভয় সভা সম্মিলিত করিয়৷ বর্তমান “ব্রিটিশ ইত্ডিয়ান এসোসিয়েশন" স্থাপিত হইল ।-"* [&ঁ ॥ পৃঃ ১৯২-৯৩] রাজ! রাধাকাস্ত দেব এই কমিটির প্রথম সভাপতি এবং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম সম্পাদক । কমিটির অন্ান্ত সভ্যদের মধ্যে রাজা কালীকৃফঃ দেব, হরকুমার ঠাকুর, প্রসন্ত্কুমার ঠাকুর, জয়কফ মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ দেব, [ বাক্সে ] রামগোপাল ঘোষ, প্যারীচাদ মিত্র, দিগম্বর মিত্র প্রভৃতির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । প্রায় সাথে সাথেই অক্ষয়কুমার দত্ত-দেবেন্্রনাথ-বিস্ভাসাগর প্রমুখ চিন্তানায়ক ও সমাজসংক্কারকগণ করুক ইংরাজি শিক্ষা ও ইউরোপীয় ভাবধার! প্রসারের আন্দোলন প্রবল হইয়া উঠিতে থাকে । ছাদের মধ্যে অক্ষয়কুমার দর্ত ও বিচ্যাসাগরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ৷ দেবেন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত “তত্ববোধিনী পত্রিকা'য় আধুনিক বিজ্ঞান ও পাশ্চাত্য জড়বাদী ভাবধারার উপর অক্ষয়কুমারের বিভিন্ন প্রবদ্ধাবলী সে যুগের শিক্ষিত সমাজ এক বিরাট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করিয়াছিল। এই প্রসঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিয়াছেন, “*""ত্রাঙ্ছগণ বেদের অভ্রান্ততাতে বিশ্বাস করিতেন । অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় এই উভয়ের প্রতিবাদ করিয়া বিচার উপস্থিত করেন। প্রধানত তাহারই প্ররোচনাতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয় বিষয়ে গভীর চিন্তায় ও শাস্ত্রা্গসন্ধানে প্রবৃতত হন ।"'-১৮৫* সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বহু অন্ুসন্ধান ও চিন্তার পর অক্ষয় বাবুর অবলম্বিত মত যুক্তিসিদ্ধ জানিয়া, বেদাস্তবাদ ও বেদের অন্রাস্ততা- বাদ পরিত্যাগ করিলেন। তাহার সাহায্যে 'ব্রাঙ্গধর্ম” নামক গ্রন্থ সংকলিত হইল ; ইহা চিরদিন মহধির ধর্মজীবনের পরিণত ফলম্বরূপ বিদ্যমান রহিয়াছে ।"--” | & ॥ পৃঃ ২০০ ] শুধু তাহাই নহে, অক্ষয়কুমার তবববোধিনী পত্রিকায় স্ত্রী-শরিক্ষা! ও নারী স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা, স্বাস্থ্যচর্চ॥ মদ্যপান নিবারণ, নীলকরদের অত্যাচার ও রায়তদের ছুরবস্থ! প্রভৃতি বিষয়েও লেখ! শুরু করেন। অপরদিকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দেশে শিক্ষাপ্রসার ও শিক্ষাপদ্ধতিতে এক বিরাট রূপান্তর আনিবার চেষ্টা করিলেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষরূপে তিনি সংস্কৃত শিক্ষার পাশাপাশি ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষার গ্রচলন করেন। সাথে সাথে মাতৃভাষার মাধ্যমে জনশিক্ষা-প্রসারের উপরে গুরুত্ব আরোপ করিয়া তিনি লিখিয়াছিলেন, “জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার_ইহাই এখন আমাদের প্রয়োজন । আমাদের কতকগ্চলি বাংলা স্কুল স্থাপন করিতে হইবে, এই সব স্কুলের জন্য প্রয়োজনীয় ও শিক্ষাপ্রদ বিষয়ের কতকগুলি পাঠ্যপুস্তক রচন। করিতে হইবে, শিক্ষকের দায়িত্বপূর্ণ কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে পারে, এমন একদল লোক হি করিতে হইবে) তাহা হইলেই আমাদের উদ্দেস্ সফল। মাতৃভাষায় সম্পূর্ণ দখল, প্রয়োজনীয় বহুবিধ তথ্যে যথেষ্ট জ্ঞান, দেশের কুসংস্কারের কবল হইতে মুক্তি_ [ তেরে ] শিক্ষকদের এই গ্ণগুলি থাক! চাই। এই ধরনের কতকগুলি' লোক গড়িয়া তোলাই আমার উদ্দেশ্তয-আমার সংকল্প ৷ ইহার জন্ত আমাদের সংস্কৃত কলেজের সমস্ত শক্তি নিয়োজিত হইবে ।-*-৮ [ সাহিত্য-সাধক-চরিতমাল! £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৩৯] প্রধানত তাহারই প্রচেষ্টায় বাংলা, বিহার ও উড়িস্ায় ১০১টি পাঠশাল। স্থাপিত হয় (১৮৪৪ ) এবং তাহারই এঁকাস্তিক চেষ্টায় উহার মাধ্যমে বাংলা শিক্ষার প্রসার ঘটে। তাছাড়া, স্ত্রী-শিক্ষার প্রসার-আন্দোলনে বিদ্যাসাগর সে-যুগের অন্যতম পুরোধাম্বরূপ ছিলেন ।" যদিও সমাজসংস্কারআন্দোলনে “বিধবা বিবাহ" প্রচলন করিবার জন্য তাহার নাম জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকিবে । বিদ্যাসাগরের প্রবল স্থাজাত্যবোধ এবং সরল অনাড়ঘ্বর অথচ দৃঢ় ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বহুকালব্যাপী আমাদের জাতীয় চরিত্র গঠনে অদৃশ্যভাবে কাজ করিয়াছে । রবীন্দ্রনাথ সশ্রদ্ধচিত্তে বিদ্যাসাগর-চরিত্রের এই দিকটি উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছেন, “মহতব্যক্তির এই নিজত্বপ্রভাবে একদিকে স্বতন্ত্র, একক, অন্যদিকে সমস্ত মানব জাতির সবর সহোদর । আমাদের দেশে রামমোহন রায় এবং বিদ্ভাসাগর উভয়ের জীবনেই ইহার পরিচয় পাওয়া যায়। একদিকে যেমন তাহারা ভারতবর্ষীয়, তেমনি অপরদিকে যুরোপীয় প্রকৃতির সহিত তাহাদের চরিত্রের বিস্তর নিকট সাদৃশ্য দেখিতে পাই। অথচ তাহা! অন্করণগত সাদৃশ্য নহে। বেশভূষায়, আচারে- ব্যবহারে তাহারা সম্পূর্ণ বাঙালী ছিলেন; স্বজাতি ও শাস্ত্রজ্ঞানে তাহাদের সমতুল্য কেহ ছিল না'; স্বজাতিকে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের মূলপত্তন তাহারাই করিয়৷! গিয়াছেন__অথচ নির্ভীক বলিষ্ঠতা, সত্যচারিতা, লোকহিতৈষা, দৃঢপ্রতিজ্ঞা এবং আত্মনির্ভরতায় তাঁহার! বিশেষরূপে যুরোপীয় মহাজনদের সহিত তুলনীয় ছিলেন। মুরোপীয়দের তুচ্ছ বাহা অস্থকরণের প্রতি তাহার! যে অবজ্ঞা প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতেও তাহাদের মুরোগীয়স্থলভ গভীর আত্মসম্মানবোধের পরিচয় পাওয়। যায় । মুরোপীয় কেন, সরল সত্যপ্রিয় সাওতালেরাও যে অংশে মন্থুম্যত্বে ভূষিত, সেই অংশে বিদ্যাসাগর তাহার স্বজাতীয় বাঙালির অপেক্ষা সাওতালের সহিত আপনার অন্তরের যথার্থ এক্য অনুভব করিতেন ।” | [ চরিত্র পুজা-___রবীন্ত্র-রচনাবলী £ ৪র্থ খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৮০ ] ধর্মবিশ্বাসের দিক হইতে অক্ষয়কুমার ও বি্যাসাগর-- উভয়েই ছিলেন কিছুটা সংশয়বাদী । এই প্রসঙ্গে শ্রীঅসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতেছেন, *-"*অধ্যাত্ম শাস্ত্র, যাহা। প্রত্যক্ষ জানের অতীত অতীন্দরিয়" অক্ষয়কুমারের তাহার প্রতি শ্রদ্ধা! ছিল না । কিন্তু বিশ্ববস্তর মূলে যে ভগৃবৎ সত্তা আছে _সমস্ত [ চৌদ্দ] বৈচিত্র্য, বৈসাদৃশ্ ও আপাত-বিরোধের যিনি নিদান, সেই ঈশ্বর সম্বন্ধে অক্ষয়কুমারের সংশয় ছিল না। জ্ঞানবাদ তাহাকে নিরীশ্বরবাদ অথবা সংশয়বাদের অতলম্পর্শা গহ্বরে নিক্ষেপ করে নাই। বিদ্যাসাগর যেমন পুরোপুরি কৌৎপন্থী হইয়! পড়িয়াছিলেন-"", হিন্দু ত্রাঙ্ম--কোনো ধর্ষের প্রতি তাহার অন্তরের নিষ্ঠা ছিল না৮_ অক্ষয়কুমার সেই একই আবহাওয়ায় বর্ধিত হইয়াছিলেন, বরং তিনি বিশুদ্ধ জ্ঞানবাদ- জাত বিজ্ঞান ও গণিত চর্চা! করিয়! ভৌমনীতি-নিয়মের প্রতি অধিকতর আকৃষ্ট হুইয়াছিলেন; তিনি জর্জ কুম্ব এবং কৌতের তত্বদর্শনও জানিতেন। কিন্ত ঈশ্বরবাদ ত্যাগ করেন নাই ।” [ উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ ও বাংল! সাহিত্য || পৃঃ ২৭৯] এই সময়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যক্ষেত্রে বিষ্ভাসাগর, ঈশ্বর গুপ্ত, রঙ্গলাল, মধুস্থদন, দীনবন্ধু, বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্ত্র, নবীনচন্ত্র প্রমুখ লেখকগণের আবির্ভাব বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে এক নবযুগের সুচনা করিল । ইহাদের রচনা ও সাহিত্যবর্মে ক্রমেই ম্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার ঘটিতে থাকে । ঠহাদের মধো সর্বপ্রথমে কবি ঈশ্বর গুপ্তের নাম উল্লেখ করা যাইতে পারে । বঙ্ষিমচন্দ্ লিখিয়াছেন, “মহাত্মা! রামমোহন রায়ের কথ। ছাড়িয়া দিয়া রামগোপাল ঘোষ ও হরিশচন্ু মুখোপাধ্যায়্-* খাঙ্গালাদেশে দেশবাৎদল্যের প্রথম নেতা! বল! যাইতে পারে। ঈশ্বর গুষ্টের দেশবাৎসল্য তাহাদিগেরও কিঞ্চিৎ পূর্বগামী। ঈশ্বর গুপ্তের দেশবাৎসল্য তাহাদের মত ফলগ্রদ না হইয়াও তাহাদের অপেক্ষাও তীব্র ও বিশুদ্ধ |” মাতৃভাষা” “ম্বদেশ', “ভারতের অবস্থা” ও “ভারতের ভাগ্যবিপ্লব--ঈশ্বর গুপ্তের এই চারিটি কবিতাকে বাংলার স্বাদেশিকতার প্রথম উদ্বোধন সংগীত বলিলেও অততযুক্তি হয় না। “ম্বদেশ' কবিতায় কৰি লিখিয়াছেন। “মিছা মণি মুক্তা হেম, হ্বদেশের প্রিয়প্রেম, তার চেয়ে বত্ব নাই আর। সুধাকরে কত সুধা, দূর করে তৃষ্ণা ক্ষুধা স্বদেশের শুভ সমাচার || ভ্রাতভাব ভাবি মনে, দেখ দেশবাসিগণে, প্রেমপূর্ণ নয়ন মেলিয়!। কতরূপ গেছ করি, দেশের কুকুর ধরি, বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া 1 [ পনেরো! ] অবশ্ট একথাও সত্য যে, তৎকালীন অন্থান্ত বুদ্ধিজীবীদের মত ঈশ্বর গুধও ইংরাজ-শাসন ও স্বজাতির স্বার্থের মধ্যে এক সমস্থার্থবোধ আবিষ্কার করিতেন। এই কারণেই সিপাহী-বিভ্রোহ ও রুষক-বিভ্রোহগুলিকে তিনি সমর্থন করিতে পারেন নাই, এই কারণেই “শিখ যুদ্ধ" “কাবুল যুদ্' ও “বরদ্ধ যুদ্ধে' ইংরাজ-বিজযে তিনি ইংরাজের জযগান গাহিম্বাছিলেন। তবু ইহাও স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, নীলকর ও রাজপুরুষদের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র সমালোচন! ও বিদ্রুপ করিতে ছাডেন নাই। কিন্তু ঈশ্বর গুধ ইংরাজি শিক্ষা বা প্রগতিশীল সমাজসংস্কার-আন্দোলনগুলিকে ভালে চোখে দেখিতে পারেন নাই। এই কারণেই তাহার ব্যক্তিজিবনে ও সাহিত্যকর্মে স্ববিরোধিত৷ প্রকট হুইয় উঠিয়াছে। ঈশ্বরগুণ্তের শিশ্যবর্গের মধো বঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সর্বাপেক্ষ। লব্বপ্রতিট কবি। শ্রস্কুমার সেন মহাশয় লিখিতেছেন, “রঙ্গলালের কাব্যেব মূল স্থুর হইতেছে দেশগ্রীতি ও স্বাধীন্তাপ্রিয়ত। ৷ তাহাব গুরুর কাব্যেও দেশগ্রীতি ফুটিযাছিল বটে, কিন্তু সে গ্রীতি আত্মসচেতন ছিল না । তাহ ছাডা, ঈশ্বরচন্দ্র স্বাধীনতাপ্রিয়ত|। অবধি পৌছাইতে পারেন নাই । বঙ্গলাল গুরুর অপেক্ষ। একধাপ বেশী আগাইযা গিষাছেন। বঙ্গলালেব ভাষাও ঈশ্ববচজ্ে ভাষা অপেক্ষা অধিকৃতব মাজিত। রঙ্গলাল জ্ঞাত ও হজ্ঞাতসাবে অনেক ভাব ইংরেজ কবি স্বট, মুব ও বায়বনের লেখা হইতে আত্মসাৎ কবিয়াছেন।* বক্ষলাল যথার্থই আধুনিক বাঙ্গাল! সাহিতোর প্রথম কবি। " [ বাঙ্গালা সাহিত্যেব কথা | পৃঃ ১৫১ ! দুস্বাধীনতা হীনতাষ কে বাচিতে চায় হে, কে বাচিতে চায়? দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পবিবে পায় হে, কে পরিবে পায় ?” বঙ্গলালেব এই কবিতাটি সে-যুগে বিরাট আবেগ-উদ্দীপনার কৃষ্টি কবিয়াছিল এই সময়ে বাংল। ভাষা! ও গগ্যরচনার আঙ্গিকের ক্ষেত্রে প্যারীঠাদ মিত্রের “আলালী ভাষা” একটি আলোডনেব হৃষ্টি করে। ইহার অনতিকাল পরেই হরিশ মুখোপাধ্যাষ, দীনবন্ধু মিত্র ও মাইকেল মধুস্দন দত্তের আবির্ভাব। এই সময়কার একটি প্রধান উল্লেখযোগ্য ঘটনা নীল বিদ্রোহ (১৮৫৮-৫৯)। এই সমর হরিশ মুখোপাধ্যায় শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অত্যাচারিত নীল চাষীদের পক্ষ গ্রহণ করিয়া ভাহার সম্পাদিত “হিন্দু প্যার্ট্িফ” প্ত্রিকায তীব্র [ যোলে! ] ভাষায় লিখিতে থাকেন। প্রধানত তাহারই প্রচেষ্টার ফলে গভর্নমেন্ট প্ডিগে। কমিশন" নিযুক্ত করেন। হরিশ এই কমিশনের সমক্ষে নীল চাষীদের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। ফলে নীলকর সাহেবদের সমন্ত ক্রোধ ও আক্রোশ গিয়া পড়িল হরিশের উপর। তাহারা আদালতে হিন্দু প্যাট্্রিয়টের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিলেন। মামলায় হরিশ সর্বন্বাস্ত হইলেন । এই সব নান! হাঙ্গামা ও দুশ্চিন্তায় হরিশের শরীর ভাঙিয়৷ পড়িল। অল্প ৰ্বিছুদিনের মধ্যেই তাহার মৃত্যু হয় (১৮৬১)। ঠিক এই কালেই সাহিত্যক্ষেত্রে দীনবন্ধু মিত্রের আত্মপ্রকাশ । ১৮৬০ সালে তাহার স্ববিখ্যাত 'নীলদর্পণ' বাহির হইল । এই একটি মাত্র নাটক সমগ্র বঙ্গদেশকে প্রচণ্ডভাবে আলোড়িত করিয়া তুলিয়াছিল। এই প্রসঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিতেছেন, «**একদিকে যখন ইপ্ডিগো কমিশন ও পেট্রয়টের সহিত বিবাদ প্রভৃতির উপক্রম, তখন অপরদিকে ১৮৬* সালের আশ্বিন মাসে দীনবন্ধু মিত্রের স্থ্বিখ্যাত “নীলদর্পণ' নাটক প্রকাশিত হইল। এই আর এক ঘটনা যাহাতে বঙ্গসমাজে তুমুল আন্দোলন তুলিয়াছিল। কোন গ্রস্থবিশেষে যে সমাজকে এতদূর কম্পিত করিতে পারে তাহ! অগ্রে আমর! জানিতাম ন।। 'নীলদর্পণ' কে লিখিল, তাহা! জানিতে পার! গেল না; কিন্তু বাসাতে বাঁসাতে “ময়রানী লে। সই নীল গেজেছ কই?" ইত্যাদি দৃশ্ঠের অভিনয় চলিল। যতদুর স্মরণ হয় মাইকেল মধুস্থদন দত্ত এই গ্রন্থ ইংরাজীতে অনুবাদ করেন। পাদরী জেমস্‌ লঙ্‌ সাহেব তাহা নিজের নামে প্রকাশ করিলেন। ইংলগ্ডেও আন্দোলন উপস্থিত হইল। নীলকরগণ আসল গ্রস্থকারকে ন। পাইয়া! ইংলিসমান পত্রিকার সম্পাদককে মুখপাত্র করিয়া ১৮৬১ সালের ১৯শে জুলাই লং-এর নামে আদালতে অভিযোগ উপস্থিত করিলেন ।” [ রামতন্ু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ॥ পৃঃ ২২৪ ] ১৮৬১ সালে মাইকেল মধুস্দন দত্তের বিখ্যাত “মেঘনাদবধকাব্য' প্রকাশিত হয়। সমস্ত সংস্কার ও বন্ধনের বিরুদ্ধে মাইকেলের বিভ্রোহ সাধনা যেন মূর্ত হইয়া উঠিয়াছে এই কাব্যখানিতে । রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “মেঘনাদবধকাব্যে কেবল ছন্দোবন্ধে ও রচনাপ্রণালীতে নহে, তাহার ভিতরকার ভাব ও রসেব মধ্যে একট! অপূর্ব পরিবর্তন দেখিতে পাই ।."*ইহার মধ্যে একট! বিদ্রোহ আছে। কবি পয়ারের বেড়ি ভাডিয়াছেন এবং রাম-রাবণের সম্ব্ধে অনেকদিন হইতে আমাদের মনে একটা বাধাবাধি ভাব চলিয়' আগিয়াছে ্পর্বাপূর্বক তাহারও শাসন ত্তাডিয়াছেন। এই কাঁধধ্যঃরাম-লক্্রণের চেয়ে প্লাবণ- ইন্জিৎ বড়ো! হু উঠিয়ে । যে ধর্মভীরু সর্বদাই কোন্টা কতটুকু ভালো ও [ সতেরো! ] কতটুকু মন্দ তাহা! কেবলই অতি সুম্্ভাবে ওজন করিয়৷ চলে, তাহার ত্যাগ দৈন্ত আত্মনিগ্রহ আধুনিক কবির হৃদয়কে আকর্ষণ করিতে পারে নাই । তিনি শ্বতস্ফে শক্তির প্রচণ্ডলীলার মধ্যে আনন্দবোধ করিয়াছেন ।"".যে শক্তি অতি সাবধানে সমন্তই মানিয়! চলে তাহাকে যেন মনে মনে অবজ্ঞা করিয়! যে শক্তি ম্পর্যাভরে কিছুই মানিতে চায় না, বিদায়কালে কাব্যলক্মী নিজের অশ্রুসিক্ত মালাখানি তাহারই গলে পরাইয়! দিল ।” [ সাহিত্য-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৮ম খণ্ড ॥ পৃ£ ৪১৩ ] মাইকেল যেমন একদিকে প্রাচীন কুসংস্কার ও সামস্ততান্ত্রিক ভাবধারার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়াছেন, অপরদিকে তেমনি সে-যুগের অত্যুগ্র সাহেবিয়ানাকেও তিনি তীব্রভাবে বিদ্রুপ করিয়াছেন । সংবাদপত্র-সাহিত্যে ঈশ্বর গুপ্তের “সংবাদ প্রভাকর", দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের “সোমপ্রকাশ' দেবেন্্রনাথের “তত্ববোধিনী পত্রিকা” হরিশের “হিন্দু প্যাটিয়ট' এবং রামগোপাল ঘোষের বেঙ্গল স্পেক্টেটর” সে-যুগে শ্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী ভাবাধারার প্রসারে বিশেষভাবে সহায়ত৷ করে । ইহার অনতিকাল পরেই সাহিত্যক্ষেত্রে বস্কিমচন্ত্র, নবীনচন্্র, হেমচন্দ্র, এবং স্বাদেশিকতা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে রাজনারায়ণ বস্থ, স্থরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বস্থুর আবির্ভাব বাংলায় তথ৷ ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার জোয়ার আনিল। 1 আঠারো ] ॥ দৃষ্টিভঙ্গির প্রশ্নে | জগতের মহান শিল্পী ও সাহিত্যিকদের রচনা এ চিন্তাধারার মধ্যে সে যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য ও বিরোধ-সংঘাতগুলি প্রতিফলিত হয়। কোনো মহান ও প্রবল- প্রাণ শিল্পীকে বুঝিতে হইলে সেই যুগটি এবং সেই দেশের সমাজ ও জাতীয় জীবনের সংগ্রামের বৈশিষ্ট্যগুলি ভালে! করিয়! বিশ্লেষণ কর! প্রয়োজন । রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক ও রাজনৈতিক মতবাদটি বুঝিতে হইলে এদেশের তৎকালীন বিশেষ বাস্তব অবস্থাটি ভালে! করিয়! বুঝিতে হইবে | রবীন্দ্রনাথের জীবন-দর্শন ও রাজনৈতিক মতবাদ সবকিছুর সম্পর্কীন নিবিশেষ ব| 'হঠাৎ-একদিন- পড়িয়া-পাওয়া গোছের কিছু একটা সম্পূর্ণ মতবাদ নহে; তাহার স্তর আছে, অন্তর্িরোধ আছে, ক্রমবিকাশ আছে--পরিপকত। আছে । শুরু হইতে শেষ পর্যস্ত এই সুদীর্ঘ ক্রম-পরিণতির ধারাটি আমাদের লক্ষ্য করিতে হইবে। এই অন্বেষগর উপাদান ও তথ্যাদি রবীন্দ্রনাথ কিংবা রবীন্ত্র-যুগের মস্তিফ্ষের অধ্যেই শুধু নাই, সে-যুগের সমাজ-অর্থ নৈতিক ( 9০০10-6০0107010 ) ও রাজনৈতিক অবস্থ। এবং তাহার ক্রমপরিণতির সুদীর্থ ধারাটির মধ্যেও পর্যাঞ্ধ পরিমাণে ছড়াইয়। রহিয়াছে । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ একদিন তাহার রাজনৈতিক মৃতবাদটিকে একটি বাস্তববাদী এঁতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করিবার কথ! বলিয়াছিলেন (ডঃ শচীন সেনের 2০1161681 01১1199021)5 ০01 1২8150181790) গ্রন্থের পর্যালোচন। প্রসঙ্গে )। এই সম্পর্কে কবি সেদিন বলিয়াছিলেন, “**""বালাকাল থেকে আজ পধস্ত দেশের নানা অবস্থা এবং আমার নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘকাল আমি চিন্তা করেছি এবং কাজও করেছি। যেহেতু বাকারচনা করা 'আমার স্বভাব সেইজন্তে যখন ষ! মনে এসেছে তখনি ত৷ প্রকাশ করেছি। রচনাকালীন সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনের সঙ্গে সেই-সব লেখার যোগ বিচ্ছিন্ন করে দেখলে তার সম্পূর্ণ তাৎপর্য গ্রহণ করা সম্ভবপর হয় নাঁ। যে মানুষ সুদীর্ঘকাল থেকে চিন্তা করতে করতে লিখেছে তার রচনার ধারাকে ধতিহাসিকভাবে দেখাই আগত ।-."তেমনি করেই অন্তত আমার সম্বন্ধে জানা চাই যে ন্ুস্টরতির মু্তে। বিষয়ে কোনো বাধ! মত একেবারে স্থসম্পর্ণভাবে ১ রবীক্্রনাথ ॥ ১ কোনো এক বিশেষ সময়ে আমার মন থেকে উৎপন্ন হয় নি, জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে নানা পরিবর্তনের মধ্যে তার! গড়ে উঠেছে । সেই-সমস্ত পরিবর্তনপরম্পরার মধ্যে নিঃসন্দেহে একটা এক্যস্থত্র আছে । সোটিকে উদ্ধার করতে হলে রচনার কোন্‌ অংশ মুখ্য, কোন্‌ অংশ গৌণ কোন্টা তৎসাময়িক, কোন্টা বিশেষ সময়ের সীমাকে অতিক্রম করে প্রবহমান, সেইটে বিচার করে দেখা চাই। বন্তত সেটাকে অংশে অংশে বিচার করতে গেলে পাওয়। যায় না, সমগ্রভাবে অনুভব করে তাকে পাই।” [ রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক মত--কালাস্তর ॥| পৃঃ ৩৪১-৪২ ] এই ধরনের বস্তবনিষ্ঠ ও এতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করিলে আমরা রবীন্দ্র নাথের রাষ্ট্রনৈতিক মতবাদটি বুঝিতে পারিব। রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ জীবনকালব্যাপী রচনাবলী, কাজকর্ম, সাধন! ও চিন্তাধারার ক্রমপরিণতির ধারাটি যদি এই ধরনের এঁতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার-বিশ্লেষণ কর! যায়, তাহা৷ হইলে দেখ। যাইবে যে, তৎকালীন ভারতের প্রধান প্রধান ঘটনাবলী ও গুরুতর সমস্তাগুলি তাহার চিন্ত/-ভাবনার বিষয়বস্ত হইযাছে। শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নহে,_-তৎকালীন সমগ্র বিশ্বের যাবতীয় জরস্ত সম্ত্ঠাবলী তাহাকে বিশেষভাবে বিচলিত করিয়াছে। সার! জীবন কবি বিশ্বসমস্তায় গভীরভাবে চিস্ত। করিয়াছেন _অজন্ম লিখিয়াছেন, বিস্তর কথা বৰিয়াছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাধনা এবং তাহার রচনাবলীর পধালোচনা৷ করাই হইতেছে এই গ্রন্থ প্রণয়নের আসল উদ্দেশ্ট ও কৈফিয়ত। | জন্মকাল ॥ ১৮৬১ স্রষ্টার ৭ই মে (১২৬৮ সন ২৫শে বৈশাখ ) কলিকাতার বিখ্যাত “ঠাকুর পরিবারে' রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মকান প্রায় সমন্ত দিক হইভেই জাতির ইতিহাসে এক মহা- সন্ধিক্ষণ। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক হইতে ভারতের ইতিহাসে একটি বিরাট পরিবর্তন ও রূপান্তর এই সমদ্ম হইতেই স্থচিত হইয়াছে । অল্ন কিছুকাল আগেই সীওতাল বিদ্রোহ, “সিপাহী বিদ্রোহ" ও 'নীল বিদ্রোহ" অনুষ্ঠিত হইয়া গিয়াছে। এই বিদ্রোহগুলি একদিকে যেমন ভারতের ইংরাজ-শাসনকে বিপর্যস্ত ও সন্বস্ত করিয়। তৃলিয়াছিল, অপরদিকে তেমনি ভারতের স্বাজাতিকত| ও জাতীয়তাবোধকে উদ্বোধিত কাঁরয়। দিয়া গিয়াছে । সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতে কোম্পানীর রাজত্বের অবসান হয় এবং ভারতবর্ষ সরাসন্ি ব্রিটিশ পার্লামেপ্টের শাসনাধীনে আসে । ভারতের আধুনিক শিল্পযুমের অতি প্রাথমিক ভিত্তি,_-সেই রেলপথ, কয়লাকুঠি, পাটকল, কাপড়ের- কল, চা-বাগান ইত্যাদি শিল্পগুলির ভিত্তি স্থাপন হয় অল্প কিছুকাল আগেই (১৮৫২-৫৮ সালের মধ্যেই) । ১৮৬১ সালে হাইকোট প্রতিষ্ঠিত হইল । এ বংসরই [750121) 099000] £১০ট পাশ হওয়ার ফলে ব্যবস্থাপক সভাসমূহে বে-সরকারী সভ্য মনোনয়নের ব্যবস্থ। হয় । অপরদিকে রামমোহন রায় প্রবর্তিত ধর্ম-সংস্কার, সমাজ-সংস্কার ও শিক্ষা-সংস্কার আন্দোলন ক্রমশই গভীর ও ব্যাপক আকার ধারণ করিতে থাকে । শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় তাই বলিয়াছেন, “বলিতে কি ১৮৫৬ হইতে ১৮৬১ পর্যন্ত এই কাল বঙ্গমমাজের পক্ষে মাহেন্্ক্ষণ বলিলে হয়। এই কালের মধ্যে বিধবাবিবাহের আন্দোলন, ইত্ডিয্বান মিউটিনী, নীলের হাঙ্গামা, হরিশের আবির্ভাব, সোমগ্রকাশের অত্যুদয়, দেশীয় নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের তিরোভাব ও মধুস্থদনের আবির্ভাব, কেশবচন্দ্র সেনের ্রাঙ্মমমাজে প্রবেশ ও ব্রান্ষমাজে নবশক্তির সঞ্চার গ্রভৃতি ঘটন! ঘটিয়াছিল। ইহার গ্রত্যেকটিই বঙ্গনমাজকে প্রবলরূগে আন্দোলিত করিয়াছিল |...” [ রার্মজ্গ লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গমাজ ॥ পৃঃ ২২৪-২৫ | ও একদিকে দেবেন্্নাথ ও কেশবচন্জরের হিন্দু সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ব্রা্মধ্ম গ্রচার, অপরদিকে “ইয়ং বেঙ্গল” গোষ্ঠীর ধর্মের বিরদ্ধে বিজ্রোহ এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতি ও ভাবধারার আন্দোলন দেশের শিক্ষিত সমাজে এক অভিনব জাগরণ ও প্রাণচাঞ্চল্য আনিয়া দিয়াছে। অক্ষয়কুমার দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজনারায়ণ বন, ঈশ্বরুন্তরবিস্তাসাগর, প্যারীটাদ মিত্র, রামগোপাল ঘোষ, রমিককৃষ মল্লিক, রেভারেও কৃফমোহন, মাইকেল মধুনদন, দীনবন্ধু মিত্র, রাজেন্্লাল মি্ধ ও হরিশ মুখোপাধ্যায়ের স্তায় গ্রতিভাধর ও ব্যক্তিত্বসম্পনন পুরুষের আবির্ভাব জাতির শিক্ষা-সংস্কৃতি ও চরিত্রে এক প্রচণ্ড রূপাস্তর সুচনা করিল । সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে “হিন্দু প্যাটি যু” “সোমপ্রকাশ' ও “তত্ববোধিনী পত্রিকা' এবং সাহিত্যক্ষেত্রে মাইকেল মধুন্দন ও দীনবন্ধু মিত্র প্রমুখ সাহিত্যিকদের আবির্ভাব বঙ্গভাষা ও বঙ্গসাহিত্যে এক অভিনব যুগের হুচনা করিয়াছে। এক কথায়--জাতির আত্মস্থ হওয়ার সর্বতোমুখী প্রচেষ্টা এই যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য এই সময় হইতে জাতির স্বজাত্যাভিমান ও জাতীয়তাবোধ স্থৃতীব্র হইয়া উঠিতে থাকে। ॥ ঠাকুর পরিবার ॥ রবীন্দ্রনাথের মানস ও চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে তাহার পারিবারিক এঁতিহের প্রভাবটি কম গুরুত্বপূর্ণ নহে, একথা প্রায় সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিবেন। অনেকেই জানেন যে, এমনিতেই পীরালিসমাজতুক্ত ঠাকুর পরিবার প্রাচীন হিন্দুসংস্কারগুলি মানিয়া চলিতেন না । ফলে সামাজিক দিক হইতে তাহার! প্রায় “একঘরে? রহিয়! গিয়াছিলেন। পরবর্তীকালে কলিকাতায় আসিয়! বিদেশী ব্যবসায়ী কোম্পানিগুলির দালালী ও মুৎসদ্দীগিরি করিয়! ইহার! আধ্িক দিক হইতে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। বস্ততপক্ষে দ্বারকানাথই ঠাকুর পরিবারের বিরাট জমিদারী ও ধনসম্পত্তির প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়।ছিলেন। বল| বাহুল্য, দ্বারকানাথ ছিলেন তৎকালীন বুর্জোয়া সমাজের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা» রামমোহনের প্রধান সহায়ক। হিন্দু সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রামমোহনের পার্থ থাকিয়৷ তিনি সংগ্রাম করিয়াছিলেন । হিন্দু কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও “জমিদার-সভা' স্থাপন, ইংলগ্ড ও ভারতবর্ষের মধো দ্রুত ডাক বিনিময় ব্যবস্থা, সতীদাহ-নিবারণ এবং মুদ্রাযস্ত্রের স্বাধীনতা প্রভৃতি ব্যাপারে রামমোহনের সাথে দ্বারকানাথের নামও ম্মরণযোগ্য | তিনি অবশ্ঠ রামমোহনের ধর্মমত গ্রহণ করেন নাই তবে ব্রাঙ্মসমাজ-মন্দির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাহার আস্তরিক সমর্থন ও সহানুভূতি ছিল । হিন্দু সমাজের বহু কুসংস্কার তিনি ভাঙিয়া দিয়াছিলেন বটে, তবে তাহার পারিবারিক জীবনে পৃজ। ও আচার-অনুষ্ঠানে তিনি তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্ভন আনিতে পারিলেন ন। যেমন আনিলেন পুত্র দেবেন্ত্রনাথ ঠাকুর । দেবেন্দ্রনাথ বাংলায় এক নবসুগ প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান হোতা । তিনিই রামমোহনের ধর্মমতকে পূর্ণ ও পরিণত রূপ দিয়া, এ ধর্মের নামকরণ করিলেন ্রাহ্মধর্ম । অবশ্য এই কার্ষে তাহার সহায়ক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত ও কেশবাচন্তর সেন। দেবেন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত 'তত্ববোধিনী সভ' এবং “তত্ববোধিনী পত্রিকা? (১৮৪৩) ্রাহ্মধর্মের তত্ব ও আল্া নিকপণের কার্ধে সীমিত ছিল না, ইউরোপীয় দর্শন-বিজ্ঞান ও প্রাচীন ভারতের মূল্যবান ধর্মশান্ত্র ও সংস্কৃত সাহিত্যের তরে গ্স্থরাজি বাংলায় অনুদিত হুইয়! পত্রিকাতে প্রকাশিত হইত। দেবেন্ত্রনাথ প্রাচীন হিনদুধর্ষের বছ ২৫8, কুসংস্কার ও বিধিব্যবস্থা ভাঙিয়! দিয়! তাহার ব্রান্ষধর্ম ও তত্ববোধিনী সভার মাধ্যমে হিন্দুধর্ম ও সংস্কৃতির একটি বৈপ্লবিক রূপান্তর আনিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। প্রসঙ্গত ইহা! ম্বরণ রাখা দরকার যে, 'রামমোহনের সমস়্ও প্রকাশ্তে ব্দপাঠ হইত না, পাছে অন্রাক্ষণ কেহ শ্রবণ করিয়! ফেলে ।” দেবেন্দ্রনাথই ব্রাঙ্ষপমাজমন্দিরে প্রকান্তে বেদপাঠের ব্যবস্থ। করিয়াছিলেন । ব্রাহ্ষধর্মের উল্লেখযোগা সংস্কারগুলি সম্পর্কে দেবেন্্রনাথের অবদান অধিকতর উল্লেখযোগ্য ৷ এই প্রসঙ্গে প্রীগ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিতেছেন, “******অক্ষয়কুমীর দত প্রভৃতির তীক্ষ বিশ্লেষণী মনীষার প্রভাবে দেবেন্দ্রনাথের নিজের ও ব্রাক্মমমাজের মত ও বিশ্বাসের পরিবর্তন সাধিত হইতেছিল। রামমোহন রায় যে একেশ্বরবাদী মণ্ডলী স্থাপন করেন, উহার মতবাদের নাম দেন “বেদাস্ত- প্রতিপাস্ত ধর্ম' (১৮২৬ আগস্ট ২০। ১৭৫০ শক ভাত্র ৬)। ১৮৩ অব্ধে (জাঙ্গুয়ারী ২৩। ১১ই মাঘ- বুধবার ) চিৎপুর রোডে মণ্ডলীর নৃতন মন্দির গৃহ গ্রতিষ্ঠিত হয়। দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্মসমাজ্ের ভার লইবার পরে তত্ববোধিনী সভার এক অধিবেশনে স্থির হইল যে, অতঃপর বেদাস্তপ্রতিপাস্ ধর্ম নামের পরিবর্তে 'ব্রাহ্মধর্ম' নাম অবলম্বন কর! হইবে (১৮৪৭ মে ২৮)। এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়৷ যে কি দুর্ধর্ষ মানসিক বলের পরিচয় তাহা আমরা কল্পনাতেও আনিতে পারি না ।, বেদ অভ্রান্ত ও ধর্ষের উৎসরূপে এতকাল স্বীরূত হইয়। আসিতেছিল, সেই মতের ভাঙন ধরিল, 'শতসহত্র-যুগযুগাস্তরের অজিত মানসিক শৃঙ্খল নিবিবাদে ও সহজে খসিয়৷ গেল ।*. | - “বেদাস্তপ্রতিপাস্ঘ ধর্ম যদি সত্যধর্ম না হয়, তবে সত্যধর্ম কী, এই প্রশ্বের সমাধান করিতে গিয়া 'আরাঙ্গধর্ম, গ্রন্থের হৃষ্টি। উপনিষদাদি বহু গ্রস্থ হইতে বিশেষ বিশেষ অংশ গ্রহণ করিয়। দেবেন্দ্রনাথ এই গ্রন্থ সম্পাদন করেন; কিন্ত কোথাও এ সব অংশের মূলনির্দেশ করেন নাই । ইহার কারণ বোধ হয় প্রাচীন গ্রস্থসমূহে যুক্তি ও সহজ জ্ঞানের পরিপন্থী বনু মতবাদ আছে, তিনি তাহা স্বীকার করিয়া লইতে প্রস্তত ছিলেন না । দেবেন্দ্রনাথের মন পাশ্চাত্য দর্শন ও যুক্তিবাদের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল বলিয়া তিনি কোনো প্রাচীন শ্রস্থকে 'শাস্ত্রের স্থান দিতে পারিলেন না । এইজন্ত ভাষা! উপনিষদাদি হইতে গৃভীত হইলেও ব্রাহ্ষধর্ম গ্রন্থের বক্তব্য বিষয় ও তাহার শৃঙ্ধল| সম্পাদনের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে স্বয়ং গ্রহণ করিলেন ।” [ রবীন্দরজীবুনী : ১ম খণ্ড || পৃঃ ৯] প্লেবেদ্রনাথের এই ধর্মমত ব্যাপকভাবে গৃহীত হউক বা নাই হউক নিঃসন্দেহে ইহা সনাতনী হিন্দু সমাজের ও ধর্মের বিরুদ্ধে একটি তযস্কর বিস্রোহ। কিন্ত 'দেবেন্্রনাথের ব্রাঙ্গধর্ম আসলে ইউরোপীয় যুক্তিবিজানে পরিশোধিত হিন্দুধর্ম । 'বেদাস্ত, উপনিষদ ও বৈদিক মন্ত্রের উপর তাহার ছিল অবিচলিত ভক্তি ও আস্থা? অপরদিকে মধ্যযুগীয় মরমীয়! সাধুসস্তদের প্রতিও তাহার গভীর আকর্ষণ ছিল। তাই তাহার ধর্মসাধনার মধ্যে একটি অতিষ্ত্রীয় রহশ্যবাদী অধ্যাত্ম-সাধনা প্রবল হইয়৷ উঠে। রবীন্দ্রনাথের উপর পিতার ও পরিবারিক ধর্মসাধনার এই এঁতিহ্বোর প্রভাব ছিল অসীম, _-আলোচনাকালে আমরা ইহা! দেখিতে পাইব | শ্রাহ্ধ, বিবাহ, উপনম্বন ও অন্তান্য আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াদি এবং গার্হস্থ্য আচার- অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও দেবেন্দ্রনাথ একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন -শানিলেন। তিনি পিতার শ্রান্ধ ও দ্বিতীয় কন্। সুকুমারীর বিবাহ সনাতনী পৌত্তলিক পদ্ধতি বর্জন করিয়া “বৈদিক প্রথাসম্মত অপৌন্তলিক অনুষ্ঠানে সম্পন্ন করাইয়াছিলেন। মেয়েলী ও পারিবারিক অন্ষ্ঠানাদির ক্ষেত্রেও তিনি বহু পরিবর্তন আনিলেন। এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখিতেছেন, *.-.ব্রাঙ্গধর্মমতে দেবেন্দ্রনাথের ইহাই প্রথম অপৌতলিক বিবাহ অনুষ্ঠান 1... স্থকুমারীর বিবাহে দেবেন্দ্রনাথ প্রাচীন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করিলেন) পৌত্বলিকত! রহিত করিবার উদ্দেস্টে তিনি তুলসীপত্র, বিশ্বপত্র, কুশ, শালগ্রামশিলা, গঙ্গাজল ও হোমায়ি বর্জন করিয়া এক নূতন অন্ষ্টানপদ্ধতি সংকলন করিলেন ও তন্ষায়ী কন্তাব বিবাহ দিলেন। "নৃতন পদ্ধতিমতে কন্যার বিবাহ দানের ফলে দেবেন্্রনাথের পরিবারের সামাজিক পরিধি আরো! সংকীর্ণ হইয়া! আসিল । "''নিজশৃহে পুজাপার্বণ বন্ধ হওয়ায় ও অন্তের গৃহে পূজাদিতে নিমন্ত্রণ অগ্রাহ করায় সাধারণ হিন্দুসমাজের সহিত ঠাকুর পরিবারের বিচ্ছেদটা আরও স্পষ্ট হইয়! উঠিল । “গৃহদেবতার পূজ! বদ্ধ করিয়| দেবেন্দ্রনাথ বাটীতে সমবেত ব্রদ্ষোপাসনা বিষয়ে মনোযোগী হইলেন। চণ্তীমগ্ুপে দৈনিক ব্রদ্োপাসন! প্রবত্ঠিত হইল, প্রতিমার পীঠস্থানে উপাসনার বেদী নিমিত হইল : ব্রাহ্গধর্মের বীজমন্ত্র শ্বেতপ্রস্তরে উৎকীর্ঘ করিয়! ভিত্তিগাত্রে প্রোথিত হইল । পূজাপার্বণ লুপ্ত হইল বটে, কিন্তু তিনি কতকগুলি নৃত্তন উৎসবের প্রচলন করিলেন; জামাইবণঠী, ভ্রাতৃদ্ধিতীয়া প্রভৃতি সামাজিক নির্দোষ পাবণগুলিও তাহার পরিবারে চলিত রহিল। নূতন উৎসবের মধ্যে 'মাঘোৎসব' (১১ই মাঘ) ত্বাহারই প্রবর্তন; এ ছাড়া 'নববর্ধ' ( ১লা বৈশাখ ), 'ভাদ্রোৎসব' (৬ই ভাত্র ), 'ীক্ষার্দিন' (৭ই পৌষ ) প্রভৃতি উৎসব প্রবর্তন করিয়া প্রাচীন পালপার্বণের অভাব দূরীকরণের চেষ্টা করেন।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ১০-১১] ণ দেবেন্নাথ হিন্দুধর্মের ও সমাজের অনেক কুসংস্কারের বিরোধী ছিলেন বটে, কিন্ত তাহার মধ্যে এমন একটি পরিচ্ছন্ন আভিজাত্যবোধ ছিল, যাহার ফলে তিনি বেশ কিছুটা রক্ষণশীলত! অবলম্বন করিয়া চলিতেছিলেন। বিশেষত ব্রাক্ষসমাজের নবীনগন্থী ও অপেক্ষাকৃত প্রগতিশীল অংশটি যখন ধর্ম, সমাজ ও নারী গ্রগতির ক্ষেত্রে সংস্কার-আন্দোলনকে আরো প্রসারিত করিতে চাহিলেন তখনই তীহাদের সাথে দেবেন্্রনাথের বিরোধ শুরু হইল। বিরোধীপক্ষের নেত৷ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথের ্রিয়শিক্ কেশবচন্ত্র সেন। এই প্রসঙ্গে শিবনাথ শরস্তরী মহাশয় লিখিতেছেন, "যাহা হউক প্রাচীন দলের নেত৷ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও যুবকদলের নেত। কেশবচন্ত্র সেন, ইহাদের মধ্যে পরামর্শ ও কার্ধের একতা বহুদিন রহিল না। নবীন ব্রাক্মগণ অধিক দিন মুখে জাতিভেদের নিন্দা করিয়! এবং কাধত উপবীত ত্যাগ করিয়া এবং সকল জাতি মিলিয়৷ একত্র পান ভোজন করিয়াও সন্তষ্ট থাকিতে পারিলেন না। ১৮৬৪ সাল হইতেই তাহার বিভিন্ন জাতীয় নরনারীর মধ্যে বিবাহ স্ব্ধ স্থাপন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন এবং এই ধুয়া ধরিলেন যে, উপবীতধারী ব্রাহ্মণ আচার্ধগণ বেদীতে বসিলে তীহার! উপাসনাতে যোগ দিতে পারেন না। দেবেন্দ্রনাথ এতদূর যাইতে প্রস্তুত ছিলেন না । তিনি প্রথম প্রথম উপবীতত্যাগী উপাচার্য নিযুক্ত করিতে অগ্রসর হুইয়াছিলেন; কিন্তু নবীন ব্রাক্মগণ যখন বিভিন্ন জাতীয় ব্যক্তিগণের মধ্যে বিবাহ নম্বন্ স্থাপন করিতে অগ্রসর হইলেন, তখন এপথে ইহারা কতদূর যাইতে পারে ভাবিয়া চমকিয়া গেলেন। তাহার রক্ষণশীল প্রকৃতি আর অগ্রসর 'হুইতে চাহিল না ।' এই স্থলে প্রাচীন ও নবীন ত্রাক্মদলে বিচ্ছেদ ঘটিল। অগ্রসর ব্রা্মল স্বতন্ত্র কার্ধক্ষেত্র কৃরিলেন; ধধর্মতত্ব' নামে মাসিক পত্রিকা বাহির করিলেন এবং ১৮৬৬ সালের নভেম্বর মাসে দেবেন্দ্রনাথের সমাজ ত্যাগ করিয়া “ভারতবর্ষায় ব্রাহ্মদমাজ' নামে ছবতন্ত্র সমাজ স্থাপন করিলেন । তদবধি দেবেন্দ্রনাথের সমাজের নাম “আদি ব্রাক্ষসমাজ' হইল ।” [ রামতন্ লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ॥ পৃ: ২৫* ] ইতিমধ্যে দেশের বাত্যব অবস্থার বহু পরিবর্তন হইয়াছে। সমাজ-অর্থ নৈতিক ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে যে সব উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিয়াছে, সেগুলির ফলে, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলন ধর্মশিক্ষা ও সমাজ-সস্কারের আবরণে প্রধানত এতদিন যাহা চালিত হইয়াছে, তাহা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতে শুরু করিয়াছে । অর্থাৎ উদীয়মান যুবশক্তি এই সময় ক্রমশই রাজনৈতিক ও জাতীয়ভবাদী ভাবধারা স্থা্র করার কাজে অধিক তৎপর হুইয়! উঠিতে থাকেন। ঠিক এই যুগাসদ্ধিক্ষণেই রবীন্জনাথ জন্মগ্রহণ করেন। ষ্ এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ঢেউ ঠাকুর পরিবারেই যেন বেশী করিয়া দেখ দিল। বস্তত সেই নবপপ্রত্যুষে ঠাকুর পরিবারই যেন জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রধান উৎসকেন্ত্র হইয়া! উঠিয়াছিল। দেবেন্দ্রনাথের পুত্র ছিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিজ্রনাথ, _ভ্রাতুষ্পুত্ গণেন্দ্রনাথ ও গুণেন্দ্রনাথ এবং এই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজনারায়ণ বস্থ ও নবীনদের মধ্যে নবগোপাল মিত্র ইত্যাদি অনেকেই এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে মাতিয়! উঠিলেন। শিক্ষাদীক্ষা, আদব-কায়দা ও সংস্কার-আন্দোলনের ক্ষেত্রেও যে সব প্রশ্নে কেশবের সহিত দেবেন্দ্রনাথের বিরোধ সৃষ্টি হইয়াছিল, স্বয়ং দেবেন্দ্রনাথের পুত্রেরাই দেবেন্দ্রনাথের সেই নিষেধের গণ্ডি ভাঙিয়া দিয়া প্রগতিশীল ভাবধার৷ আনয়ন করিলেন। দেবেন্দ্রনাথ পুত্রদের পথ ছাড়িয়া দিয়া ধর্ম ও সমাজ সংস্কার-আন্দোলন হইতে কাধত অবসর গ্রহণ করিলেন। এখন হইতেই দেবেন্্রনাথের পুত্রদের যুগ শুরু হইল। শিল্প, সাহিত্য, নাটা, ললিতকল! চর্চায় এই পরিবার তখন বাংল! দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রগতিশীল ধারা প্রবর্তন করিয়াছিলেন। ঠাকুর পরিবারের এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও শিল্পচ্চার আবহাওয়া রবীন্দ্রনাথকে যে কী বিপুল পরিমাণে প্রভাবিত করিয়াছে, সে সম্পর্কে 'জীবনস্থতিতে তিনি লিখিয়াছেন, “ছেলেবেলায় আমার এক মন্ত সুযোগ এই ছিল যে, বাড়িতে দিনরাত্রি সাহিত্যের আবহাওয়! বহিত।..-সাহিত্য এবং ললিতকলায় তাহাদের উৎসাহের সীম! ছিল না। বাংলার আধুনিক যুগকে যেন তাহার! সকল দিক দিয়াই উদ্‌্বোধিত করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। বেশে-ভূষায় কাব্যে-গানে চিত্রে-নাট্যে ধর্মে-স্বাদেশিকতায়, সকল বিষয়েই তাহাদের মনে একটি সর্বাঙ্গসম্পূর্ণ জাতীয়তার আদর্শ জাগিয়া উত্ঠিতে- ছিল।.."বাংলায় দেশান্থরাগের গান ও কবিতার প্রথম স্ত্রপাত তাহারাই করিয়া, গিয়াছেন। সে আজ কতদিনের কথ! যখন গণদাদার রচিত “লজ্জায় ভারতষশ গাহিব কী করে গানটি হিন্দুমেলায় গাওয়া হইত ।৮ [ জীবনস্থৃতি ॥| পৃঃ ৬৫] এককথায়, প্রাচীন সনাতনী হিন্দুধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যেমন ঠাকুর পরিবার সংগ্রাম শুরু করিলেন, তেমনি আধুনিক যুগের উদ্বোধন ও স্থ্টির উন্মাদনায়, ভাহার! মাতিয়া উঠিলেন। ॥ স্বাদেশিকতা ঃ হিন্দুমেলা ও সজীবনা সভা ॥ [ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা, স্বাদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদ, শিল্প ও সাহিত্য-সাধনাঃ_- ঠাকুর পরিবারের এই ত্রয়ী সাধনার ধারাই সমভাবে বালক রবীন্দ্রনাথের মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে । সিপাহী বিদ্রোহ, বীটনের 918০0 8111-এর পরাজয ( ১৮৫০ )এবং নীল বিদ্রোহের (১৮৬৯) পর থেকেই আমাদের বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে জাতীযতাবোধ জাগ্রত হইতে দেখ। যায়। আমাদের এই জাতীয়তাবোধের পিছনে একটি গভীর রাজনৈতিক ও সমাজ-অর্থ নৈতিক কারণ নিহিত রহিয়াছে । ভারতবধে তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শোষণনীতি পূর্ণভাবে কায়েম হইয়াছে-- অর্থনীতির ভাষায় যাহাকে বল! যায় ঢ581506 0০90101-এর যুগ । এই নৃতন কৌশলে শোষণনীতির ফলে ভারতবর্ষের প্রাচীন অর্থ নৈতিক বনিয্বাদ প্রায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হইতে বসিয়াছে-_বিশেষ করিয়া! ভারতের সম্বদ্ধ কুটির-শিল্প । ভারতবর্ষ ইংলগ্ডের কাচামাল সরবরাহের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হইল, পক্ষান্তরে আমাদের অধিকাংশ পণ্যদ্রব্য ইংলওড হইতে আমদানি হইতে লাগিল। বস্তুত ভারতের কীচামাল ক্রততর উপায়ে নিঃশেষ করিবার উদ্দেস্তেই রেলপথ, পাটকল, কাপড়ের কল ইত্যাদির মাধ্যমে পুঁজি 9 যস্ত্রশিল্পের আমদানি হইল । এককথায়, ভারতবর্ষের বুকে ইংরাজ সাম্রাজ্যবাদী শোষণ ক্রমশই তীব্র হইতে শুরু করিল। আমাদের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় ইহাতে বিচলিত ও ক্ষুন্ধ হইয়। উঠিলেন। অপর- দিকে দেশবিদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাস পাঠ ও ইংরাজী শিক্ষার ফলে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শ্বাদেশিকতা ও জাতীয়তাবোধ ধীরে ধীরে জাগ্রত হইতে থাকে, পূর্বেই তাহ। উল্লেখ করিয়াছি। এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পুরোধাদের মধ্যে ছিলেন,-ন্থুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনারায়ণ বস্থ, বস্কিমচন্তর, নবীনচন্ত্র, হেমচন্দ্, মনোমোহন বস্থ, নবগোপাল মিত্র এবং ঠাকুর পরিবারের ছিজেন্্নাথ, গণেন্্রনাথ, সত্যন্্রনাথ 9 জ্যোতিরিজ্রনাথ প্রভৃতি অনেকেই । ইতাদের মধ্যে স্থরেন্্রনাথ ও রাজনারায়ণ বন্থর নাম সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য। ফরাসী বিপ্লব, আমেরিকার স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাঁস ও ইতালীর শ্বাধীনতা- ১9 সংগ্রামের সংবদই ছিল আমাদের এই জাগরণ ও প্রেরণার প্রধান উৎস। বিশেষত ইতালীর স্বাধীনতা-সংগ্রামের নীতি-কৌশল এবং ম্যাৎসিনি-গ্যারিবজ্ডির জীবনচরিত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বিচলিত ও মুগ্ধ করিয়াছিল। কিন্ত তখনই রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু করিবার মত কোনে৷ পূর্ব-্রস্ততি ও সঙ্গতি তাহাদের ছিল ন|। ইতালীর গুপ্ত বৈপ্লবিক সংগঠনের অনুকরণে তখন ছু'একটি গুপ্ত প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছিল, তবে উহাদের পিছনে তখনে৷ কোনো সুস্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও কার্ধ-সুচী ছিল না। জ্যোতিরিক্্রনাথ ও রাজনারায়ণ-বন্র উদ্মোগেই এই ধরনের একটি গুপ্ত সংগঠন গড়িয়া উঠিয়াছিল ( স্ভীবনী সভা )। 'আমাদের লক্ষ্যে তখনে! পধন্ত ব্রিটিশ রাজত্বের উৎখাতের প্রশ্নটিই আসে নাই, পরস্ত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তখনও ইংরার্জ-রাজত্বের প্রয়োজন প্রবলভাবে অন্তভব করিতেছেন। ইংরাজ-শাসনের পক্ষপুটের আড়ালে তাহার! আরো পরিপুষ্ট হইতে চাহিয়াছেন--তাহার জাতীয় অর্থ নৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী ও প্রসারিত করিতে চাহিয়াছেন। সেই কারণে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পদ্ধতিটি ইহাদের অনুকূল নীতি হইয়াছে । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বাতন্তরয ও গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জাতীয় শিল্পের প্রসার ও চাকরির ক্ষেত্রে অধিকতর ভারতীয় নিয়োগ এবং অন্যান্য ুযোগ-সুবিধার জন্য ইহারা সংগ্রাম শুরু করিলেন। এইসব দাবিই আমাদের জাতীয় আন্দোলনের পুরোধা, এবং নেতৃবর্গের লেখায়- বক্তৃতায় এইগুলিই প্রকট হইয়! দেখ! দিল । রাজনারায়ণ বন্থু তাহার “সেকাল ও একাল” গ্রন্থে লিখিলেন, “বর্তমান বঙ্গলমাজের রাজ্যবিষয়ক অবস্থা সন্তোষজনক নহে ।*'*-**মেকালের বাঙালিরা তাহাদিগের রাজ্যাসম্বন্ধীয় অবস্থায় সন্তষ্ট ছিলেন । তাহারা তত ইংরেজি শিক্ষালাভ করিতেন না, তাহার! রাজ্যতত্ব তত সুক্ষ্রূপে বুঝিতেন না।**"এই সকল কারণে তাহার! ডাহাদিগের রাজ্যসন্বন্ধীয় অবস্থায় সন্তষ্ট থাকিতেন। : এক্ষণে নান। কারণে চতুর্দিকে অসস্তোষ বৃদ্ধি পাইতেছে। ইংরেজি শিক্ষার দ্বারা আমাদিগের হৃদয়ে উচ্চ উচ্চ বাসনার উদ্রেক হইতেছে, কিস্তু রাজপুরুষের। আমাদিগের সেই সকল বাসন! পূর্ণ করিতেছেন না। আমর! গবর্ষেন্টের দোষদকল বিলক্ষণ বুঝিতে 'পারিতেছি, কিন্তু আমারদিগের হাত পা বাধা, সে সকল দোষ সংশোধন বিষয়ে আমাদের কোনো! কথাই চলে ন1।” [ সেকাল ও একাল; পৃঃ ১৪৯ ] এঁ পুস্তকেই তিনি অন্তত্র লিখিতেছেন, “বস্তুত জগৎগ্তুদ্ধ লোক কি কখনও কেরাণী অথবা স্কুলমাস্টার অথবা উকীল ১১ হইতে পারে ?..শিল্প ও বাণিজ্যের গ্রতি অমনোযোগের জন্ত দিন দিন আমরা; দীন হইয়া পড়িতেছি। ইংলগ্ডের উপর আমাদের নির্ভর দিন দিন বাড়িতেছে। কাপড় পরিতে হইবে, ইংলগ্ড হইতে কাপড় না আইলে আমরা পরিতে পাই না। ছুরি, কাচি ব্যবহার করিতে হইবে, বিলাত হইতে প্রস্তুত না হইয়া আইলে আমর! তাহা ব্যবহার করিতে পাই না। এমন কি বিলাত হইতে লবণ না আসিলে আমরা! আহার করিতে পাই না । দেশলাইটি পর্যস্ত বিলাত হইতে প্রস্তুত হইয়া না! আসিলে আমরা আগুন জালিতে পাই না। দেশ হইতে কিছুই হইতেছে না ।” [ এ ॥ পৃঃ ৬৪-৬৫ ] চাকরি-ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ও এদেশীয় বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বৈষম্য ও বর্ণবিছবেষের অন্তর্বেদন। ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের লেখায় বাহির হইয়া আসিল। তিনি লিখিলেন, “বিড়াল পাতের নিকট থাকুক, মে'ও মে'ও করুক- মাছের কাটা খাক্‌..'কিস্ত সিভিল সাঙিসের দিকে নুলে! বাড়ালেই চপেটাঘাত।” জাতীয় শিল্প গড়িয়৷ তুলিবার আহ্বান জানাইয়া৷ ভোলানাথ চন্দ্র লিখিলেন, “এখন আমাদের বিলাতী দ্রব্য বর্জনের প্রয়োজন রয়েছে ।--*আমাদের আত্মকর্তৃত্বে জাতীয় স্কুল-কলেজ, জাতীয় সংবাদপত্র, জাতীয় ব্যান্ধ, জাতীয় চেম্বার অব কমার্স; জাতীয় মিল ও ফ্যাক্টরী, জাতীয় বাজার, ফার্ম-ডক্‌ প্রভৃতি তৈরি করতে হবে ।” [ ভোলানাথ চন্্র_লাইফ অব দিগম্থর মিত্র ॥ পৃঃ ৯৭-৯৯ ] এতিহাসিক দিক হইতে বিচার করিলে “বিিশ-ইপ্ডিয়ান এযাসোসিয়েশন” (81091) 10380 ১8500880019) 1851 ), গডিয়ান লীগ” ([280187 16886, 1875), এবং 'ভারত সভা; (15081) 45805180101), 1876) এদেশের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান । কিন্তু মূলত এইগুলি ধনী-অভিজাত সম্প্রদায় ও উচ্চ সরকারী কর্মচারীদের আধা-রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল। ইহাদের মধ্যে ভারত-সভার কিছুটা স্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। স্থুরেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজকার্য হইতে অবসর গ্রহণ করিবার পর আনন্দমোহন বস্থর সহিত মিলিত হুইয়৷ ভারত-সভা স্থাপন করিলেন (১৮৭৬ )। আনন্দমোহন: তাহার প্রথম সেক্রেটারি হইলেন। এদেশীয় সিবিলিয়ানগণের দাবি-দাওয়া লইয়া এযাজিটেশন আন্দোলন করাই ছিল এই সংগঠনের প্রধান কাজ । কিন্তু ইত্ডিয়ান লীগ ব! ভারত-সভার পূর্বেই প্রথম স্বাদেশিকত৷ ও জাতীয়তা বাদী আন্দোলন এবং সংগঠনের শুত্রপাত হৃহইয়াছিল ঠাকুর পরিবার হুইতেই। অবশ্ত রাজন্ারায়ণ বস্থই ছিলেন এই আন্দোলনের প্রধান খনত্িক । ১৮৬৫ থৃঃ তিনি ঠাকুর পরিবারের ছ্িজেন্্রনাথ, গণেন্দ্রনাথ ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ৯৭ 'এবং নবগোপাল মিত্র প্রভৃতিকে লহয়! প্রথমে "শ্বাদেশিকদের সভা'র নামে একটি সংগঠন করেন। প্রায় ছুই বৎসর পরে ইহারা এ কয়জনে মিলিয় (প্রধানত ঠাকুর পরিবারের সর্বপ্রকার সাহায্যে ও পৃষ্ঠপোষকতায় ) “হিন্দুমেলা' স্থাপন করিলেন। দেশের শিল্প-সম্পদ, কৃষি, শিক্ষা-দীক্ষাঃ সাহিত্য, কল! ও শিল্পচর্চা, ক্রীড়াকৌতুক প্রভৃতি অর্থাৎ, জাতির সামগ্রিক জীবনে একটি স্বাদেশিকতাবোধ জাগরিত করাই ছিল ইহার মুল উদ্দেস্ত। )হিন্দুমেল! সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়া ব্রজেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতেছেন, : “ঘ্বজাতীয়দের মধ্যে সভা! স্থাপন করা ও শ্বদেশীয় ব্যক্তিগণের দ্বারা স্বদেশের উন্নতিসাধন করার উদ্দেস্ট্ে ১২৭৩ সালের চৈত্র-সংক্রান্তির দিন (১২ই এপ্রিল, ১৮৬৭ ) কলিকাতার উপকণ্ঠে বেলগাছিয়া! ভিলায় চৈত্রমেলার প্রথম অনুষ্ঠান হয়। প্রথম তিন বৎসর চৈত্রসংক্রান্তির দিন অনুষ্ঠিত হইয়াছিল বলিয়া ইহা 'চৈত্রমেল! নামে পরিচিত ছিল। প্রধানত কলিকাতার উপকণ্ঠে কোনো! এক উদ্ভানে প্রতি বৎসর এই মেলার আয়োজন হইত; জনচিত্ে দেশানুরাগ উদ্দীপিত করিবার মানসে মেলায় জাতীয়-শিল্প প্রদর্শনী খোলা হইত, দেশীয় ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যান্নাম প্রদ্িত হইত; ইহা ছাড়া জাতীয়-সংগীত কবিত। পাঠ ও বক্তৃতাদির ব্যবস্থা হইত। এই মেলার পরিকল্পনাটি রাজনারায়ণ বস্থর। মহর্ষি দেবেন্্রনাথের 'আম্বকূল্যে (৭ই আগস্ট, ১৮৬৫ তারিখে ) প্রথম প্রকাশিত “ন্াশনাল পেপার" পত্রের সম্পাদক নবগোপাল মিত্রের উদ্ধোগে ও গণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আন্ুকৃল্যে ও উৎসাহে ইহার প্রতিষ্ঠ। হয়। জোড়াসাকে ঠাকুর পরিবারের নিকট এই স্বদেশী মেলা অশেষ প্রকার খণী। গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম তিন বৎসর মেলার সম্পাদক এবং নবগোপাল মিত্র সহকারী সম্পাদক ছিলেন ।” [দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে যংকিঞ্চিৎ_ বিশ্বভারতী পত্রিকা, ১৩৫২ বৈশাখ-আবাঢ় ১৮৬৭ সালের প্রথম অধিবেশনের পর হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য ও কার্ধনূচী সম্বন্ধে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় পরবৎসর মেলার সাংবৎসরিক অধিবেশনের কাধবিবরণীতে সম্পাদক গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাহা! সর্বসাধারণের সমক্ষে পাঠ করেন। ইহা! অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করিয়া নিয়ে উদ্ধত করিয়া! দিতেছি, “১৭৮৮ শকের চৈত্রসংক্রান্তিতে যে একটি জাতীয় মেল! হইয়াছিল, স্বজাভীয়- দিগের মধ্যে সন্তাব স্থাপন কর! ও স্বদেশীয় ব্যক্তিগণ দ্বারা ম্বদেশের উন্নতিসাধন করাই তাহার উদ্দেস্ত। “উদ্দেস্ত সাধনোপায় ছয় শ্রেণীতে বিভক্ত হয়-- “১। এই মেলাতুক্ত একটি সাধারণ মণ্ডলী সংস্থাপিত হইবে । তাহারা হ্ন ১৩ জাতিকে উপরোক্ত লক্ষ্যসকল সংসাধন জন্ত একদলে অভিভূক্ত এবং ব্বদেশীয় লোকগণমধ্যে পরম্পর বিদ্বেষভাব উন্ম'লন করিয়া উপরোক্ত সাধারণ কার্ধে নিম্বোগ করত এই জাতীয় মেলার গৌরব বৃদ্ধি করিবেন। “২। প্রত্যেক বৎসর আমাদিগের হিন্দু সমাজের কতদূর উন্নতি হুইল, এই বিষয়ের তত্বাবধানের জন্য চেত্রসংক্াস্তিতে সাধারণের সমক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত বৃত্তাস্ত পাঠ কর! হইবে। “৩। অম্মদ্দেশীয় যে সকল ব্যক্তি স্বজাতীয় বিদ্যান্থণীলনের উন্লতিসাধনে ব্রতী হইয়াছেন তাহাদিগের উৎসাহ বর্ধন কর! যাইবে । “৪ প্রতি মেলায় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর লোকের পরিশ্রম ও শিল্পজাত দ্রব্য সংগৃহীত হইয়। প্রদিত হইবে । “৫। প্রতি মেলায় সংগীতনিপুণ ব্যক্তিগণের উৎসাহ বর্ধন কর! যাইবে । “৬। ধাহারা মল্পবিদ্যায় সুশিক্ষিত হইয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছেন, প্রতি মেলায় তাহার্দিগকে একত্র করিয়া উপযুক্ত পারিতোধিক বা! সম্মান প্রদান কর! যাইবে এবং স্বদেশীয় লোকমধ্যে ব্যায়ামশিক্ষ! গ্রচলিত করিতে হইবে ।” [ গ্রস্থপরিচয়-_জীবনস্থতি || পৃঃ ১৯২-৯৩ ] রা আলোচন! করিলে দেখা যায় বে এ ধরনের কোনে জাতীয় সংস্থা বা সংগঠন গড়িয়া উঠে নাই। দেশের স্বাবলন্বন ও একটি সর্বতোমুখী জাতীয় বিকাশের কথা ইহারা চিন্তা করিতেছিলেন'। ধনী-অভিজাত শ্রেণী, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, রষক, কারিগর, শিল্পী, মজুর--এককথায দেশের আপামর জনসাধারণকে হিন্দুমেলার উৎসবপ্রাঙ্গণে সমবেত ও একত্রিত করিবার যে পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা তাহার! করিয়াছিলেন, ইতিপূর্বে ভাহা আর দেখা যায় নাই। এইখানেই ইত্ডয়ান লীগ, ভারত-সভ৷ বা পরবর্তীকালে কংগ্রেসের সভা-সম্মেলনগুলির সহিত ইহার প্রধান পার্থক্য । কিন্তু এসব সত্বেও ইহার একটি প্রধান দুর্বলতা ও মারাত্মক ক্াটি রহিযা গেল, _হিন্দুমেল! হিন্দু সম্প্রদায়ের বাহিরে অন্ত কোনো! জ্ঞাতি ব! সম্প্রদায়ের কথ! ভাবিতে পারে নাই । বস্তুত হিন্দুমেলার সময় হইতেই বাংলাদেশে হিচ্ছু জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রবল হইতে শুরু করে। কিছুকাল পরে এই মেলার মূল উদ্যোক্তা, রাজনারায়ণ বস্থ 4 014 [78005 1০০ নামে একটি পুস্তিকা লিখিলেন। সেকালে এই পুস্তিকাটি এক শ্রেণীর বুদ্ধিন্বীবীদের মধ্যে বিরাট চাঞ্চল্য আনিয়াছিল ;+--এই আলোচনায় আমর! পরে আসিব । তবে হিচ্দুমেলার এই উৎসব হিন্দু-খেষা' বা ১৪ সাম্প্রদায়িক-গম্ধী হইলেও তৎকালীন বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ইহা! সর্বপ্রথম একটি ব্যাপক ম্বাদেশিকতাবোধের জোয়ার আনিল। আমাদের জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে ইহার এঁতিহাসিক ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নহে। ১৮৬৭ সালে যখন _হিন্দুমেলার_ এ্রথম- অধিরেশখন- হয়, রবীন্্রনাথ্রে_ বয়স তখন মাত্র পাচ_ বসর। বাল্যকাল হইতেই এই হিন্দুমেলা' ও পারিবারের স্বদেশী উত্তেজনার আবহাওয়ায় কবি বডে| হুইয়া! উঠিতেছিলেন। বালক রবীন্দ্রনাথ একদিন কিশোর কবি ববীন্দ্রনাথে পরিণত হইলেন, সেদিন হিন্দুমেলায় হও তাক পড়িল হিন্ুমেলার নবম অধিবেশন হয় পার্শাবাগানে। সেই অধিবেশনেই রবীন্দ্রনাথ তাহাব প্রথম স্বদেশমূলক কবিতা! “হিন্দুমেলার উপহার' পাঠ করেন। রবীন্দ্রনাথের বাল্যজীবনে পাঁবিবাবিক এই স্বদদেশগ্রীতি যে গভীরভাবে তাহাকে প্রভাবিত কবিয়াছিল, তাহা তিনি নিজ মৃখেই বন্ুবার উল্লেখ করিয়াছেন । কবি স্বয়ং তীহাব “জীবনস্থতি'তে এই সম্পর্কে লিখিতেছেন, “বাহির হইতে দেখিলে আমাদেৰ পবিবারে অনেক বিদেশী প্রথার চলন ছিল কিন্তু আমাদেৰ পরিবারেব হৃদযের মধ্যে একটা স্বদেশাভিমান স্থির দীষ্থিতে জাগিতেছিল | স্বদেশের প্রতি পিতৃদেবেব “য একটি আন্মবিক শ্রদ্ধ। তাহাব জীবনেব সকলপ্রকাৰ বিপ্লবেব মধ্যেও অক্ুপ্ন ছিল, তাহাই আমাদের পরিবাবন্থ সকলেব মধ্যে একটি প্রবল স্বদেশপ্রেম সঞ্চাব কবিষ। বাখিযাছিল | বস্বৃত, সে- সমঘটা স্বদেশপ্রেমেব সময নয । তখন শিক্ষিত “লোকে দেশেব ভাষা এব দেশেব ভাব উভয়কেই দূবে ঠেকাউয়। বাখিযাছিলেন । আমাদের বাডিতে দাছাবা চিববাঁল মাতৃভাষার চর্চা কৰিষ। আসিয়াছেন। আনাব পিতাকে তাহাব কোনো নৃতন আত্মীয় ইংবেজিতে পত্র লিখিযাছিলেন, নে পত্র লেখকেব নিকট তখনই ফিব্যি! আসিষাছিল। “আমাদের বাডিব সাহায্যে হিন্দূমেলা বলিয়৷ একটি মেল! স্য্টি হইযাছিল। নবগোপাল মিত্র মহাশষয এই মেলাব কর্মকর্তীরপে নিষোজিত ছিলেন। ভাবতবর্ষকে স্বদেশ বলিয়া! ভক্তিব সহিত উপলব্ধিব চেষ্টা সেই প্রথ্র হয় । মেজ্দ্াদা সেই সুময়ে বিখ্যাত জাতীয় সংগীত “মিলে সৃবে ভাবতসস্তান' ৰচনা কবিয়াছিলেন। এই মেলায দেশেব স্তবগান গীত, দেশান্মবাগেব কবিতা পঠিত, দেশী শিল্প ব্যাযাম প্রভৃতি গ্রদর্ণিত ও দেশী গুণীলোক পুরস্বত হইত। “লর্ড কার্জনের সময় দিল্লীগরবাব সম্বন্ধে একটা গগ্প্রবন্ধ লিখিয়াছি, লর্ড লিটনেব সময লিথিয়াছিলাম পন্টে--তখনকাব ইংবেজ গবর্মেন্ট রুসিয়াকেই ভষ ১৫ করিত কিন্তু চৌন্দ-পনেরে৷ বছর বয়সের বালক কবির লেখনীকে ভয় করিত না। --*সেটা পড়িয়াছিলাম হিন্গুমেলায় গাছের তলায় দাঁড়াইয়া । শ্রোতাদের মধ্যে নবীন সেন মহাশয় উপস্থিত ছিলেন ।**** [ জীবনস্থতি ॥ পৃঃ ৭৭-৭৮] কবি এখানে হিন্দুমেলায় গাছের তলায় দীড়াইয়া যে কবিতা পাঠের কথা উল্লেখ করিয়াছেন বস্তুত উহ! হিচ্দুমেলায় কবির দ্বিতীয় কবিত| পাঠ । ১৮৭৫ থুঃ পার্শাবাগানে হিন্দুমেলার নবম অধিবেশনে হিন্দুমেলার উপহার নামে সর্বপ্রথম তাহার ম্বরচিত কবিতা পাঠ করিয়াছিলেন। বালক কবির. এই ব্ুচনাটি তৎকালীন স্বদেশৃত্বুক_ কুব্তাির_ ভাব ও. আঙ্গিকে (নবীনচন্ত্র, হেমচজ্ ও বিহারীলালের অনুসরণে ) লেখা । হিন্দুমেলার উপহার কবিতাটির কয়েকটি স্তবক এইব্ূপ, ১ ১৪ হিমান্ত্রি শিখরে শিলাসন পরি তা যদি না হয় তবে আর কেন, গান ব্যাস-খাষি বীণ| হাতে করি-_- হাসিবি ভারত! হাসিবিরে পুনঃ কাপায়ে পবতশিখর কানন, সেদিনের কথা জাগি শ্থতিপটে কীপায়ে নীহার শীতল বায়। ভাসে না নয়ন বিষাদ জলে? ৪ ১ বংকারিয়। বীণা কবিবর গায়, অমার আধার আস্ুক এখন, কেনরে ভারত কেন তুই, হায়, মরু হয়ে যাক ভারতকানন, আবার হাসিস ! হানিবার দিন চন্্রনূর্য হোক মেঘে নিমগন, আছে কি এখনে! এ ঘোর ছুঃখে। প্রকৃতি শৃঙ্খল! ছি'ড়িয়া যাক। ১৮ ২১ ভারতকস্কাল আর কি এখন, যাক্‌ ভাগীরথী অগ্নিকুণ্ড হয়ে, "পাইবে হায়রে নৃতন জীবন, প্রলয়ে উপাড়ি পড়ি হিমালয়ে, ভারতের ভম্মে আগুন জালিয়া ভুবাক ভারত সাগরের জলে, আর কি কখনে। দিবেরে জ্যোতি । ভাঙিয়া চুরিয়া ভাসিয়! যাক্‌। ২২ মুছে যাক মোর স্মৃতির অক্ষর শূন্যে হোক লয় এ শুন্য অন্তর, ডুবুক আমার অমর জীবন, অনন্ত গভীর কালের জলে। 'জীবনস্থৃতি'তে কবি দিল্লীদরবার সম্পর্কে হিন্দুমেলায় যে কবিতাপাঠের কথা বলিয়াছেন, উহা! ১৮৭৭ গ্রীষ্টাবে হিন্দুমেলার একাদশ অধিবেশনে পঠিত হয়। সমসাময়িক কোনো পত্র-পত্রিকায় উহ। প্রকাশিত হয় নাই। কিন্তু জ্যোতিরিজ্্- নাথের 'ম্বপ্রময়ী” নাটকে উহ্বাকে একটু রদবদল করিয়। ব্যবহার করা হইয়াছে । খুব সম্ভব স্বপ্রময়ী নাটকের প্রয়োজনের স্বার্থেই এত্রিটিশ-এর স্থলে 'মোগল" শব ব্যবহার কর। হইয়াছে । হিন্দুমেলার উৎসব-প্রাঙ্গণে কবিতাটির মূল পাঠের সময় নিশ্চয়ই “ত্রিটিখ' শব্দটি ছিল, নতৃব! কবি একথ! বলিবেন কেন যে, “লর্ড লিটনের সময় লিশিয়াছিলাম পছ্যে-_ তখনকার ইংরেজ গবর্মেন্ট রুসিয়াকেই ভয় করিত, কিন্ত চৌদ্দপনেরে! বছর বয়মের বালক কবির লেখনীকে ভয় করিত না। এইঙ্গন্য সেই কাব্যে বয়সোচিত উত্তেজন৷ প্রভৃত পরিমাণে থাক! সতেও তখনকার প্রধান সেনাপতি হইতে আরস্ত করিয়া পুলিসের কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত কেহ কিছুমাত্র বিচলিত হইবার লক্ষণ প্রকাশ করেন নাই । টাইমস্‌ পত্রেও কোনে! পত্রলেখক এই বালকের ধুষ্টতার প্রত্তি শাসনকতাদের এদাসীন্যের উল্লেখ করিয়। বুটিশ রাজত্বের স্থায়িত্ব সম্বন্ধে গভীর নৈরাশ্ঠ প্রকাশ করিয়া অত্যু্ণ দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করেন নাই ।” [ জীবনস্থৃতি ॥। পৃঃ ৭৮] স্পষ্টই বুঝা যায়-_-কবিতটি মূলপাঠের সময় নিশ্চয়ই “ব্রিটিশ” শব্কটি ছিল নতুব! কবির এতসব কথ! বলিবার কোনে। প্রয়োজনই ছিল ন।। অথবা ইহাও হইতে পারে যে কবিতাটি মূলপাঠের সময় “ব্রিটিশ কথাটিই ছিল, পরবর্তীকালে লিটনের 'ভার্নাকুলার প্রেস আযাক্ট-এর কবলে পড়িবার আশঙ্কায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্বপ্রম্য়ী নাটকে কবিতাটি একটু রদবদল করিয়া ব্যবহার করা হইয়াছে এবং ব্রিটিশের স্থলে “মোগল? শব্দটি ব্যবহার কর! হইয়াছে । দিল্লীদরবার সম্বন্ধীয় কবিতাটির অংশবিশেষ নিয়ে উদ্ধৃত করিতেছি ('ব্রিটিশ' শবটি এইস্থলে আমরা ব্যবহার করিয়াছি )। “দেখিছ না অয়ি ভারত সাগর, অয়ি গে। হিমাতি দেখিছ চেয়ে, প্রলয়কালের নিবিড় আধার ভারতভাল ফেলেছে ছেয়ে । অনন্য সমুদ্র তোমারই বুকে, সমুচ্চ হিমাত্রি তোমারি সম্মুখে, নিবিড় জীধারে, এ ঘোর দুর্দিনে, ভারত কীপিছে হরষ-রবে । শুনিতেছি ন।কি শত কোটি দাস মুছি অশ্রজল, নিবারিয়া শ্বাস, সোনার শৃঙ্খল পরিতে গলায় হরষে মাতিয়া নী সবে? তুমি স্ুনিতেছো৷ ওগো হষাল, ভারত গাইছে বিটের ভয়, বিষ্ন নয়নে দেখিতেছ তুমি-_কোথাকার এক শুন্য মরুভূমি, ১৭ রবীজ্রনাথ ॥ ২ সেথা হতে আসি ভারত-আসন লয়েছে কাড়িয়া করিছে শাসন, তোমারে শুধাই হিমালম-গিরি ভারতে আজি কি স্থখের দিন? তবে এইসব দাসের দাসেরা, কিসের হরষে গাইছে গান? ০০৯০০০০০০০০ তান? বিটশরাজের মহিমা গাহিযা ভূপগণ ওই আসিছে ধাইয়া রতনে রতমে মুকুট ছাইয়া ব্রিটিশ চরণে লোটাতে শির-- অই আসিতেছে জয়পুর রাজ, ওই যোধপুর আসিতেছে আজ ছাড়ি অভিমান তোয়াগিয়া লাজ আসিছে ছুটিযা অযুত বীর ! হারে হতভাগ্য ভারত-ভূমি, কণ্ঠে এই ঘোর কলঙ্কের হার পরিবারে আজি করি অলঙ্কাব গৌরবে মাতিষা উঠেছে সবে? তাই কাপিতেছে তোর বক্ষ আজি ব্রিটিশ রাজের বিজয় রবে? ব্রিটিশ বিজষ করিয়া! ঘোষণা, যে গাষ গাক আমর! গাব না, আমরা গাব না হরষ গান, এসো গো৷ আমরা যে ক-জন আছি, আমরা ধরিব আর এক তান ।” ভারতবর্ষের তৎকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলীর পটভূমিকায় রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাটি অতীব তাৎপর্যপূর্ণ বিলাতের রক্ষণশীল দলের ধুরন্ধর সাম্রাজ্যবাদী নেতা ডিস্রেলী তখন প্রধান মন্ত্রী। ডিস্রেলী তাহার যোগাতম শিশ্ত লর্ড লিটনকে বডলাট পদে নিযুক্ত করিষ! ভারতবর্ষে পাঠাইয়াছিলেন । ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্ধে ডিস্রেলী একটি আইন পাশ করি মহাবানী ভিক্টোরিয়াকে 'কাইজার-ই-হিন্দ+ (ভারতের রাজ-রাজেস্বরী ) উপাধিতে ভূষিত করিলেন। লও লিটন ১৮৭৭ সালে মোগল সমাটদের স্যাষ বিপুল সমারোহে ও এশ্বর্য-আড়ম্বরে দিলীদরবার আহ্বান করিম! মহারানী ভিক্টোরিয়।কে এ উপাধি- প্রদানের কথা ঘোষণা করিলেন । ভারতের সামস্ত নৃপত্তি ও দেশীয রাজ্যের রাজন্যবর্গ এ দরবারে আনষ্ঠানিক- ভাবে মহারানীর নিকুট তথা ব্রিটিশ সাআ্রাজ্যের নিকট বশ্ঠতা৷ স্বীকার করিলেন । এতদিন এইসব দেশীয় রাজন্যবর্গ নামমাত্র হইলেও ব্রিটিশের “মিত্ররাজ)' হিসাবে ১৮ পরিগণিত হইয়। আগিতে ছিলেন। কিন্তু এই দিল্পীদরবারের পর প্রকাশ্যে ও আহুষ্ঠানিকভাবে ভারতে ব্রিটিশরাজের একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব শ্বীকার করিয়! লইয়া দেশীয় রাজ্যগুলি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তভূক্ি হইয়া গেল । দিল্লীতে মহাসমারোজে যখন দরবার হইতেছিল, ভারতের দক্ষিণপ্রাস্তে এক ভয়াবহ ছুঙিক্ষে লক্ষ লক্ষ লোক তখন অন্নের জন্য হাহাকার করিতেছে । দক্ষিণ ভারতে এমন ভাব ছুভিক্ষ আর ইতিপূর্বে তেমন দেখা যায় নাই । বিশেষজ্ঞদ্র মতে এই ছুভিক্ষের ফলে প্রীয় বাহান্্ লক্ষ লোক মারা যাষ। বালক রবীন্দ্রনাথের মানদপটে এই ভারতবর্ষেব চিত্রটি উদিত হইসা! তাহাকে ভয়ানক বিচলিত করিব তুলিয়াছিল। তাহার প্রতিক্রিয়ায় হিন্দুমেলার এ কবিতাটি বাহির হইয| আপিল । দেনীব রাগ্যবর্গেব দ্ণ্য ব্রিটিশ পদলেহন -ও স্বতিবাদে কিশোব কবিব তীব্র স্বাঙ্গাত্যবোধ ভঘানক আহত 9 অপমানিভ-৪বাধ করিয়াছে | দেশীব বানন্যবর্গের প্রতি তীব্র ঘ্বণ। ও বিদ্রপ ভ্তানাইযা কিশোব কি গাহিলেন,_ “ব্রিটিশ বিজ্ব করিঘ। ঘোষণ'» যে গা গাক অ'মর! গাব ন' আমরা গাব না হরষ গান, এসো গো আমব। যে ক-ক্তুন আহি, আমব| ধ্বিব আর এক তান।” শুধু হিন্দুমেলাই ন্য, ঠাকুব পবিবারেব উদ্যেগে ইতালীর বৈপ্লবিক গুপ্ন সংগঠনগুলির অন্ুকবণে একটি গুপ্ সংগঠন গণ্য উঠ্িযাছিল, একথা পূর্বেই বলিষাছি । রাজনাবাধণ বস্থু ও জ্যোতিবিন্্নাথ ঠ'কুব ছিলেন এই গুপ্ত সগঠনেব প্রতিঠাত। ও নেতৃস্থানীম ব্যক্তি । এই সংগঠনের নাম ছিল 'সজীবনী সভ'। তখনই ব্রিটিশ বাজত্বের উংখাত করা ঈহাদের উদ্দেশ্ত ও লক্ষ্যের মধ্যে ছিল ন | তবে স্বদেশসেবা এবং কিছু বীযবান সাহসী ও দু চরিত্রেব দেশকমী স্থষ্টি করণই ছিল এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য | উহাদের স্বচ্ছ ও পরক্কার “কানো রাজনৈতিক চেতন! ছিল না। ইছাদেব চালচলন হাব-ভাব গুপ্ত ও সাংকেতিক “্ইল। এই সম্পর্কে জ্যোতিরিন্্নাথের জীবনস্থৃতি ভইতে জান। যাষ, “সভার অধাক্ষ ছিলেন বৃদ্ধ রাক্তনারাষণ নস্থ । কিশোর রবীন্দ্রনাথ ও এই স্ভশ্ব সভ্য ছিলেন। পরে নবগ্গপাল বাবুকে ও সভা শ্রেণী ভুক্ত করা হৃইযাছিল | সভ'ব আসবাবপত্রের মণ্যে ছিল ভাঙ। ছোট টেবিল একখানি, কয়েকখানি ভাঙা চেযার ও আধখান। ছোট টানাপাখা--তাও আবাব একদিক ঝুলিষা পড়িযাছিল। “জাতীয় হিতকর ও উন্নতিকর সমস্ত কাই এই সভা অন্ষষ্ঠিত হইবে, ইহাই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। যেদিন নৃতন কোনও সভ্য এই সভাষ দীক্ষিত হইতেন ১৪১ সেদিন অধ্যক্ষ মহাশয লাল পটবস্ত্র পরিয়া সভায় আসিতেন। সভার নিয়মাবলী অনেকই ছিল, তাহার মধ্যে প্রধান ছিল মন্্রগুপ্তি ; অর্থাৎ এ-সভায় যাহা কথিত হইবে, যাহা৷ কৃত হইবে এবং যাহা শ্রুত হইবে, তাহা অ-সভ্যন্দের নিকট কখনও প্রকাশ করিবার কাহারও অধিকার ছিল না । “আদি-্রাঙ্মসমাজ পুস্তকাগার হইতে লাল রেশমে-জড়ানো! বেদমন্ত্রের একখানা পু'থি এই সভায় আনিয়া রাখা হইয়াছিল । টেবিলের দুইপাশে দুইটি মূড়ার মাথা থাকিত, তাহার দুইটি চক্ষুকোটরে ছুইটি মোমবাতি বসানো ছিল। মড়ার মাথাটি মৃত ভারতের সাংকেতিক চিহ্ৃ। বাতি ছুইটি জালাইবার অর্থ এই যে, ম্বৃত ভারতের প্রাণ সঞ্চার করিতে হইবে ও তাহার জ্ঞানচক্ষু ফুটাইয়া' তুলিতে হইবে। এ ব্যাপারের ইহাই মূল কল্পনা । সভার প্রারস্তে বেদমন্ত্র গীত হইত-_সংগচ্ছধ্বম্‌ সংবদধ্বম্‌। সকলে সমন্বরে এই বেদমন্ত্র গান করার পর তবে সভার কার্য ( অথাৎ কিন! গল্পগুজব ) আরম্ত হইত। “কার্যবিবরণী জ্যোতিবাবুর উদ্ভাবিত এক গুপ্ত ভাষায লিখিত হইত। এই গুপ্ত ভাষায় “জীবনী সভা'কে “হাঞ্চ পাম্‌ হাফ, বলা হইত।” [ জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ভীবনস্থতি | পৃঃ ১৬৬-৬৭ ] এহেন সব্জীবনী সভায় কিশোর কবি রবীন্দ্রনাথ একজন তরুণ সভ্য ছিলেন। বড়োদের সহিত তিনিও স্বাদেশিক উত্তেজনায় মাঁতিয। উঠিয়া তাহাদের পাশে-পাশে থাকিয়া ঘুরাফিরা করিতেন। জীবনস্থৃতিতে কবি ইহার বিস্তারিত বিবরণ দিয়াছেন ( জীবনস্থতি ॥ পৃঃ ৭৮-৭৯ দ্রষ্টব্য )। শুধু সঞ্জীবনী সভাই নহে-_জ্যোতিরিন্্রনাথের স্বাদেশিক_-সাধনার থানা উত্তট পরিকল্পনা ও কর্মপ্রচেষ্টা ছিল। দেশের সর্বজনীন পোশাক্‌-কি_ ধরনের হইবে-_ সে' লইয়া তাহার গবেষণার অন্ত ছিল না। ম্বদেশী দেশলাইয়ের ক্রখানা, শ্বদেণী কাপড়ের কল তৈয়ারির পিছনে এই স্বদেশ-পাঁগল স্বাক্ষর -বছু পরিশ্রম বহু অর্থ বহু উদ্ম ব্যয় হইয়াছে । সর্বশেষ করুণ ও হাস্যকর ট্রাজেডির কথা রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন “জাহাজের খোল” প্রসঙ্গে । কিরূপে কাগজের বিজ্ঞাপন দেখিয়! জ্যোতিদাদা! একটি জাহাজের খোল কিনিলেন এবং তাহাতে ইঞ্জিন বসাইয়া বিদেশী জাহাজ কোম্পানীগুলির সহিত প্রতিযোগিতায় নামিয়! কিরূপে সর্বস্বান্ত হইয়া তিনি ঘরে ঢুকিলেন--সে কাহিনী বর্ণনা করিতে গিয়া কবি যত কৌতুকাবহ রস সৃষ্টি করিয়াছেন, ত্বদেশ- পাগল দাদাটির সেই সব উত্ভুট মহৎ প্রচেষ্টার জন্য লেখনী যেন সংযম রক্ষা! করিয়া চলিতে পারে ৬ ॥[বিলাত-ভ্রমণ ও বিশ্ব-সাহিত্যে প্রবেশ ॥ ঠাকুর পরিবারের সাহিত্য ও শিিক্প-চর্চার আবহাওয়া যে বাল্যাবস্থ। হইতেই রবীন্দ্রমানসে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করিয়াছে, একথ। পূর্বেই বলিয়াছি। ধর্মশান্্, সংস্কৃত সাহিত্য ও বেষ্চব সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরাজী সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং পাশ্চাত্য দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার একটি সুষ্ঠ ও বলিষ্ঠ পারিবারিক কালচারের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ মানুষ হইয়া উঠিয়াছেন। অতি অল্প বয়সে তিনি সেক্সপীয়রের অনুবাদ করিয়াছিলেন । ইংরাজী সাহিত্য চ্চার বিষয়ে অক্ষয় চৌধুরী মহাশয়ের প্রভাব খুব অল্প নহে, কবি নিজেই জীবনস্থৃতিতে একথ! লিখিয়াছেন। অবশ্য কবির স্কুল-জীবনে সাহিত্যচর্চ ও জ্ঞান-বিজ্ঞান অন্ুশীলনেন 'প্রতি অগ্গরাগ বা প্রেরনা অন্তত শিক্ষায়তন হইতে বড়ো একটা পাইয়াছেন বলিয়া জান! যায় না। পরবর্তীকালে বিলাত-যাত্রার পূর্বে আমেদাবাদ বাসকালেই তাহার ইউরোপীয় সাহিত্য পাঠে একাগ্র নিষ্ঠ। দেখা যায়। সত্যেন্দ্রনাথ তখন আমেদাবাদে সেশন- জজ ছিলেন। বিলাত-যাত্রার পুরে রবীন্দ্রনাথকে ইংরাজী ভাষা, কথাবার্তী ও আদব-কায়দ! সম্পর্কে কেতাছ্রস্ত করাই ছিল সত্যেন্বনাথের আসল উদ্দেশ্য । এই সময কবি ইংরাজী সাহিত্য গভীরভাবে পাঠ করিবার চেষ্টা করেন। এই সম্পর্কে তিনি নিজেই “জীবনম্থৃতি' (খসড়া পাগুলিপি-তে ) লিখিয়াছেন, “মেজদাকে বলিলাম, “আমি ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস বাংলায় লিখিব, আমাকে বই আনিয়া দিন।” তিনি আমার সগ্ভুখে টেন্‌ প্রভৃতি গ্রন্থকার রচিত ইংরেজি ভাষা ও সাহিতা সংক্রান্ত রাশি রাশি গ্রন্থ উপস্থিত করিলেন । আমি তাহার ছুরূহতা বিচার মাত্র না করিয়া অভিধান খুলিয়া পড়িতে বসিয়! গেলাম | সেই সঙ্গে আমার লেখাও চলিতে লাগিল। এমন কি আ্যাংলো-স্যাক্সন ও আযংলো-নর্মান সাহিত্য সম্বন্ধীয় আমার সেই প্রবন্ধগুলাও ভারতীতে বাহির হইয়াছিল । এইরূপ লেখার উপলক্ষে আমি সকাল হইতে আর্ত করিম! মেজদাদার কাছারি হইতে প্রত্যাবর্তন পর্বস্ত একান্ত চেষ্টায় ইংরেঙ্জি গ্রন্থের অর্থ সংগ্রহ করিয়াছি।” [জীবনম্থৃতির খসড়া-_বিশ্বভারতী পত্রিকা, ১৩৫০ পৌষ ॥ পৃঃ ১২১] আমেদাবাদ ও বোম্বাই বাসকালে রবীন্দ্রনাথ শুধু যে ইংরাজী সাহিত্যই পাঠ ৮ করিয়াছিলেন তাহা নহে, সেই অল্প বয়সেই তিনি দাস্তে, পেত্রার্ক, গ্যেটে প্রসৃতি মহাকবিদের শ্রেষ্ঠ রচনাবলী পাঠ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । এবং শুধু তাহাই নহে,__ভারতী পত্রিকায় তিনি এই সব কবিদের রচনার অংশ- বিশেষ তর্জমা করিয়। প্রকাশের জন্য পাঠাইতে লাগিলেন । এই সময় ভারতীতে তাহার “বিযাত্রীচে, দাস্তে ও তাহার কাব্য (১২৮৫ ভাত্র) “পিত্রার্ক ও লরা' (১২৮৫ আশ্বিন) এবং "গ্যেটে ও তাহার প্রণয়িনীগণ, (১২৮৫ কাতিক ) প্রভৃতি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছিল । ১৬।১৭ বৎমর বয়সের কবির পক্ষে ইহা কম দুঃসাহসের কথা নয়। রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে তাহার এই ইউরোপীয় সাহিত্য পাঠ সম্পর্কে বলিয়া ছিলেন, 41 10556161)85€ 0160 60 566 26006 16810) 0£ 06৪05 2 136 11061980016 0£ 006 চ01019621) 1817508865, 10178 60:65 1 £911163 ৪ 6911 11800 00 00610 13950105110, 1065 1 ৪5 500178 [ 0250 00 8279:0801) 1021706) 106010015866]5 00100819210 7:1751151) 02105198000, ]:191160 0006115, 8100 £616 16 005 7১1098 00 0০ 068156, 1081)66 16709817550. ৪. 01956. ৮০০01. €0 1216. “8150 জা212060 60 10907 03610021 1106780015 8100 15 128.0106 77617)6 112 0815519007 1 03000£00 ] 1090 ০808100 ৪ £1170796 ০6 006 1651065 00616. 5010075866]5 [10066 ৪.1021558017217 1905 £:000 9361292105 2190. 25160 1761 13610, ] 01056] 1১810 ৫01 50206 12010195১০৫ 061176 18096] 00101516660, 13301) 85 000 £& £০০৫ 0081155, ][ 83 2500 71656151086. [1080 006 05910861003 1801110 10101) 96109 006 €0 £3655 1006 1069101716 0০ 85115. 105680০1061 02070£06 ]11990. 81100961029566150 006 191)69956, ভা31০1) 8৪ 1306 60০, 2 90০০666০) 1)05/6৬০2) 10 8০008 00080 [76106, 106 2. 1081) 81051775170 51661 0209511)8 8121050তাও 02005 ভ10) 6256, 810. ]:600150 10110961)56 19168.5116, [00967 1 0050. 006006. 806 0128 588 00০0 81010161005. ভ/105 006 00610 0£ 00০ 11016 06102171105 16817001010 6০ 00100810006 78056, [ 0611656 2 £00190 105 60028150600 006 818০6 7006 1176 0776 100 188 2655 ৫0: 811 00 ৫0015 000 ৪৪ 2 85081 5858001 100 15 60161986604 10) 50106 £1)619] £065৫- 200105 0006079016 ০5 1000 100109866. 701061]5 50681006 ] ৫০ 2506 10507 205 0306006 2190 2 006 92706 2 10081)5 00062 £:626 10010011001165 215 0081 00 206. [1058016 ঠও 501/0670101815 110181) 11581980015 : 9066 05 ৪. 7২৪0198161151)1)81) 8190 71001110650, 7. 29.] ১৬ বল। বাহুল্য, ইউরোপীয় মহাকবিদের রচন! পাঠ এ বয়সেই রবীন্দ্রনাথের চিত্তের গ্রারতা ও বিস্তার আনিয়! দিতে সাহায্য করিয়াছে । এবং ইহা! পরবর্তী- কালে তাহার দৃষ্টিতে স্বাদেশিক সংকীর্ণতার গণ্ডি ভাঙিয়। বিশ্বব্যাপী প্রসারতা আনিয়া দিতেও সাহায্য করিয়াছে । কবি-চিত্তের এই প্রসারতা আরও আনিয়৷ দিয়াছে তাহার বিলাত-ভ্রমণ এবং বিশ্ব-ভ্রমণ। ১৮৭৮ খ্রীষ্টান্দের ২০শে সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ তাহার মেজদাদা সত্যেন্ত্রনাথের সহিত প্রথম বিলাত যাত্র। করেন। কবির বয়স তখন প্রায় ১৭ বৎসর । মেজবৌদিদি তাহার শিশু পুত্রকন্তাদের লইয়। ইহার কিছুকাল পূর্বেই ব্রাইটনে আসিয়। বাম করিতেছিলেন | ববীন্দ্রনাথ ব্রাইটনের একটি স্কুলে কিছুদিন পড়িয়াছিলেন। পরে তারকনাথ পালিত মহাশয়ের পরামর্শক্রমে সত্যেন্ত্রনাথ তাহাকে লগ্নে ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি করিয়া দিলেন। সেখানে লোকেন পালিত তীহাক্প সহপাঠী ছিলেন। লগুন ইউনিভার্সিটিতে পাঠকালে কবিকে সর্বাপেক্ষ। গভীর আকর্ষণ করিয়াছিল মলি (হেন্রি মপ্জি ) সাহেবের পঠনরীতি ও সাহিতার্্ঠ। । কবি বহুবার সশ্রদ্ধ চিত্তে মলি সাহেবের নাম উল্লেখ করিয়াছেন । তাহ। ছাড়! ইউনিভার্নিটি লাইব্রেরিতে লোকেন পালিতের সহিত তীহার. সাহিত্য চর্চার কথাও তিনি জীবনস্থৃতিতে উল্লেখ করিয়াছেন । রবীন্দ্রনাথের জীবনে এই বিলাত-ভ্রমণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা | যৌবনের প্রারস্তেই এই ভ্রমণ তাহার ধর্মীয় গৌড়ামি বা! ম্বাদেশিক সংকীর্ণতার বাধাগুলি অনেকখানি ভাঙিয়৷ দিয়াছে । ইংলগ্ডের স্বাধীনচেতা নরনারীর স্বচ্ছন্দ বিচরণ, পার্লামেন্টে গ্লাডস্টোন ও ব্রাইট প্রমুখ উদারমতাবলম্বী নেতৃবর্গের বাস্সিতা, ইংলগ্ডের শিল্প-সাহিত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং মনীষ। তাহাকে অভিভূত ও মুগ্ধ করিয়াছিল । শুধু তাহাই নহে,_ইউরোপীয় সংগীত, নৃত্য ও শিল্পকলার প্রাথমিক পাঠ তিনি এইবার ইংলগু-বাসকালে বেশ কিছুটা লইয়াছিলেন। কবি তাহার জীবনম্থতি এবং মুরোপ প্রবাসীর পত্রে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচন। করিয়াছেন। ইহারা রবীন্দ্রমানস-্াঠনের অমূল্য উপাদান । ২৩ ॥ পারিবারিক অধ্যাত সাধনার প্রভাব | শিশুকাল হইতেই ঠাকুর পরিবারের ধর্ম ও আধ্যাত্মিক সাধনার ভাব ক্বির জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। কবির বয়স যখন ১১ বৎসর সেই সময় তাহার উপনয়ন হইয়া যায় (১৮৭৩, ফেব্রুয়ারি ৬)। দেবেন্দ্রনাথ ইতিপূর্বে পিতার শ্রাদ্ধ ও মধ্যম কন্যা! ুকুমারীর বিবাহ অপৌত্তলিক ক্রান্বধর্ম মতে দিয়্াছিলেন একথা পূর্বেই বলিয়াছি। এইবার হিমালয় হইতে ফিরিয়াই ( ১৮৭২-এর শেষভাগে ) কনিষ্ঠ পুত্র ও জ্যেষ্ঠ দৌহিত্রদ্বয়ের এক সাথেই (রবীন্দ্রনাথ, সোমেন্ত্র ও সতাপ্রসাদ ) উপনয়নের ব্যবস্থা করিলেন। এই উপনয়ন-বিষয়ে তিনি আচার্য আনন্দচন্্র বেদীস্তবাগীশ-এর সহিত পরামর্শক্রমে বৈদিক মন্ত্র চয়ন করিয়! এক অভিনব ব্রাঙ্গধর্ম- সম্মত উপনয়ন অনুষ্ঠানের বিধিব্যবস্থ। উদ্ভাবন করিলেন। তদশ্ুসারে বালকত্রয়ের উপনয়ন-ক্রিয়! সম্পন্ন হুইয়। যাঁয়। বির জীবনে এই উপনয়ন ও গায়নত্ীমন্তের প্রভাব অতীব গভীর হ্ইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং বহুবার বহু ক্ষেত্রে এ কথার উল্লেখ করিয়াছেন । জীবনস্থতিতে কবি এই সম্পর্কে লিখিতেছেন, “একবার পিত|৷ আদিলেন আমাদের তিনজনের উপনয়ন দিবার জঙ্যয। বেদাস্তবাগীশকে (আননচন্ত্র-লেখক ) লইয়! তিনি বৈদিক মন্ত্র হইতে উপনয়নের অনুষ্ঠান নিজে সংকলন করিয়! লইলেন। অনেক দিন ধরিয়া দালানে বসিয়া বেচারামবাবু প্রত্যহ আমাদিগকে ব্রাহ্ষধর্মগ্রন্থে-সংগৃহীত উপনিষদের মন্ত্রগুলি বিশুদ্ধ রীতিতে বারংবার আবৃত্তি করাইয়া লইলেন। যথাসম্ভব প্রাচীন বৈদিক পদ্ধতি অনুসরণ করিয়! আমাদের উপনয়ন হইল ।:.* “নৃতন ব্রান্ধ হওয়ার পর গায়্রীমন্ত্রট/াী জপ করার দিকে খুব একটা ঝোঁক পড়িল। আমি বিশেষ যত্বে একমনে এই মন্ত্র জপ করিবার চেষ্টা করিতাম। মন্ত্র এমন নহে যে সে-বয়সে উহার তাৎপর্য আমি ঠিকভাবে গ্রহণ করিতে পারি। আমার বেশ মনে আছে, আমি “ভৃভবঃ স্বঃ এই অংশকে অবলম্বন করিয়া মনটাকে খুব করিয়া! গ্রসানিত করিতে চেষ্টা করিতাম। ***"গায়ন্ীমন্ত্রের কোনে! তাৎপর্য আমি সে-বয়সে যে বুঝিতাম তাহা নহে, ঠি কিন্তু মানুষের অন্তরের মধ্যে এমন কিছু একটা আছে সম্পূর্ণ না বুঝিলেও যাহার চলে। তাই আমার একদিনের কথ! মনে পড়ে--আমাদের পড়িবার ঘরে শান- বাধানো মেজের এককোণে বসিয়! গায়ত্রী জপ করিতে করিতে সহসা আমার ছুই চোখ ভরিয়া! কেবলই জল পড়িতে লাগিল । জল কেন পড়িতেছে তাহা আমি নিজে কিছুমাত্র বুঝিতে পারিলাম না।.*.আসল কথা, অন্তরের অস্তঃপুরে যে-কাজ চলিতেছে বুদ্ধির ক্ষেত্রে সকল সময়ে তাহার খবর আসিয়া পৌছায় না।” [ জীবনস্থৃতি || পৃঃ ৪০-৪৩ ] রবীন্দ্রনাথের সার! জীবনব্যাগী এই ধর্ম ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রভাব প্রবল ছিল। শুধু উপনিষদার্দির মন্ত্রের উপরই তাহার গভীর শ্রদ্ধাই ছিল না--আদি ব্রাহ্মমাজের বহু বিধিব্যবস্থা ও সংস্কারাঁদি তিনি বহুদিন পর্যস্ত অন্ধভাবে মানিয়! চলিতেন। অবশ্য যুক্তিবাদের কঠোর শাস্ত্ীটি বু বার বহু সংস্কারের ক্ষেত্রে তাহাকে তর্জনী তুলিয়া তিরস্কার করিয়াছে । (রবীন্দ্রনাথের সারা জীবনব্যাপী ছুইটি পরম্পরবিরোধী চিন্তাধারার তীব্র অন্তদ্বন্ব দেখ! যায়। একদিকে বেদ-বেদান্ত-উপনিষদাদির প্রভাব, অপরদিকে ইউরোপীয় দর্শন ও জ্ঞানবিজ্ঞানের উপর অসীম শ্রদ্ধা । একদিকে প্রাচীন হিন্দু- সভ্যতার বৈদিক যুগের পুনরুথানের প্রয়াস, অপরদিকে আধুনিক গণতান্ত্রিকতা ও বিশ্বমানবতীবাদ _একদিকে আধ্যাত্মিকতা, অপরদিকে আধুনিক রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান৮_এককথায় তাঁহার প্রাচীন চিন্তাধারার সহিত আধুনিক চিন্তাধারার বিরোধটি তাহার চিন্তায় ও সাধনায় অত্যন্ত প্রকট হৃইয়! উঠিয়াছে। রবীন্দ্রনাথ তাহার এই পরম্পরবিরোধী চিন্তাধারার একটা আপস ও সংগতি রক্ষ। করিয়া চলিতে চাহিয়াছেন__জগতের বহু জলন্ত প্রশ্নে ও সমস্যায় একটি মধ্যপন্থ। অবলম্বনের চেষ্ট। করিয়াছেন। বিশ্বের ও দেশের যাবতীয় রাজনৈতিক গভীর সমস্থা ও প্রশ্নের ক্ষেত্রে আধুনিক রাজনীতির স্থানাধিকার করিয়াছে তাহার ধর্মভাব ও আধ্যাত্মিকতা, এ-কথা কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। তাহার কাছে উপনিষদের মহান শ্লোকগুলি যেন অমৃতের সন্ধান দিয়াছে । বর্তমান বিশ্বের সমস্তাগুলি যত আধুনিকই হউক না কেন, উহার মূলকথ! ঘেন প্রাচীন খধির! চিন্ত! করিয়! গিয়াছেন। যেন জগতের চড়ান্ত সমাধানগুলি এ শ্লোক ও মন্তরগুলির মধ্যে নিহিত রহিয়াছে । ইহার পশ্চাতে রহিয়াছে, বাল্যকাল হইতেই কবিমানসে তাহার পারিবারিক ধর্মসাধন।র এতিহের গ্রভাব। এই প্রসঙ্গে শ্রদ্ধাম্পদ শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিতেছেন, "রবীন্দ্রনাথের উপর ক্রাহ্গধর্মগ্রস্থোদ্বত উপনিষদাদির মন্ত্রের ও বিশেষভাবে ৫ গায়ত্রীমন্ত্রে প্রভাব অতীব গভীর ।...রবীন্দ্রনাথের ধর্ষণ ও 'শাস্তিনিকেতন উপদেশমালা পাঠে জানা যায় যে সংস্কৃত যন্ত্র ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি তাহার অন্গরাগ যেমন অকত্রিম তেমনি গভীর | রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং একসময় পর্যস্ত উপনয়নাদির হিন্দুস-স্কারে বিশ্বাসবান ছিলেন ; কারণ আমর! দেখিতে পাই তিনি য্থাবিধি জ্যেষ্ঠ পুত্রের উপনয়ন সম্পন্ন করেন, কনিষ্ঠ কন্তার বিবাহ সময়ে সাধারণ ্রাহ্মমমাজভুক্ত জামাতাকে উপনয়ন ধারণের জন্য অত্যন্ত জিদ্‌ করা হইয়াছিল বলিয়। আমরা জানি। রবীন্দ্রনাথ বহুকাল এইসব সামাজিক আচারকে স্বয়ং মানিয়া চলিয়াছিলেন। প্রাচীন মন্ত্রের প্রতি তাহার গভীর শ্রদ্ধা জীবনের শেষদিন পৰস্ত অঙ্ষু্ছিল। তবে একথা স্বীকার করিতেই হইবে যে রবীন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে তাহার মজ্জাগত সামাজিক সংস্কারসমূহ হইতে মুক্তিলাভ করিয়াছিলেন |.” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ১ম খণ্ড || পৃঃ ৩৬ ] রবীন্্জীবন আলোচনা-কালে দেখ! যায় যে, প্রায় প্রথম মহাযুদ্ধের কাল হইতেই তীহার প্রাচীন ধর্মসংস্কার ও চিন্তাধারার পরিবর্তন হইতেছে এবং ক্রমশ দেশের ও বিশ্বের সমাজ-অর্থ নৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্তাবলী তাহার স্থানাধিকার করিতেছে। যথাস্থানে আলোচনাকালে দেখ যাইবে, ক্রমশ এ সময় হইতেই স্বাহার দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞান-খেষ৷ ও আধুনিক হইয়াছে। বাল্যকাল হইতেই রবীন্দ্রনাথের মানসিক সত্তার উপর তাহার পারিবারিক ধর্মসাধনা ও আধ্যাত্মিকতার প্রভাব কত গভীর হইয়াছিল, কবি স্য়ং শেষজীবনে “মান্ষের ধর্ম" গ্রন্থে তাহার একট। বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করিয়াছেন, “-*আমার জন্ম যে-পরিবারে সে-পরিবারের ধর্মসাধন একটি বিশেষ ভাবের । উপন্গিষদ এবং পিতৃদেবের অভিজ্ঞতা, রামমোহন এবং আর-আর সাধকদের সাধনাই আমাদের পারিবারিক সাধনা । আমি পিতার কনিষ্ঠ পুত্র। জাতকর্ম থেকে আরম্ভ করে আমার সব সংস্কারই বৈদিক মন্ত্র দ্বার অন্ষিত হয়েছিল, অবশ্য ব্রাঙ্মমতের সঙ্গে মিলিয়ে |" উপনয়নের সময় গায়ন্রীমন্ত্র দেওয়! হয়েছিল। কেবলমাত্র মুখস্থভাবে না। বারংবার স্থম্পষ্ট উচ্চারণ লরে আবৃত্তি করেছি এবং পিতার কাছে গায়্রীমন্ত্রের ধ্যানের অর্থ পেয়েছি। তখন আমার বয়স বারো৷ বৎসর হবে। এই মন্ত্র চিন্তা করতে করতে মনে হৃত বিশ্বতুবনের অস্তিত্ব আর আমার অস্তিত্ব একাত্মক। ভূভৃবঃ স্ব:__এই ভূলোক, অস্তরীক্ষ, আমি তারই সঙ্গে অথণ্ড। এই বিশ্বত্রন্ধাণ্ডের আদি-অস্তে যিনি আছেন তিনি আমাদের মনে চৈতন্য প্রেরণ করছেন। ' চৈতন্য ও বিশ্ব, বাহির ও অন্তরে সৃষ্টির এই দুই ধারা এক ধারায় মিলছে । শঙ “এমনি করে ধ্যানের দ্বার৷ যাকে উপলব্ধি করছি তিনি বিশ্বাত্মাতে আমার আত্মাতে চৈতন্যের যোগে যুক্ত । এই রকম চিন্তার আনন্দে আমার মনের মধ্যে একটা জ্যোতি এনে দিলে । এ আমার স্পষ্ট মনে আছে |” [ মানবসত্য-_মাচ্ষের ধর্ম ॥ পৃঃ ৭৮-৭৯ ] এইভাবে বাল্যকাল হুইতেই পিতার ও পারিবারিক ধর্মসাধনার প্রভাবে কবি- মানস সংগঠিত হইয়াছে । রবীন্দ্রনাথের “মিষ্টিক্ধর্মী” সাহিত্য ও জীবন-দর্শনের 'মূল-উৎস সন্ধানে আমাদের এইখানে আদিতে হইবে । পরবর্তীকালে, 'প্রক্ুত্ধংগীত' রচনাকালে তাহার জীবনে প্রথম আধ্যাত্মিকতার স্ুরণ দেখিতে পাওয়। যায়। প্রভাতসংগীত রচনাকালে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২১ বংসর। ইতিপূর্বে বিলাত হইতে ফিরিয়া আসিয়। 'বাল্ীকি-প্রতিভা”, ভগ্রহদয়” “বিবিধ প্রসঙ্গ” “সন্ধ্যাসংগীত' প্রভৃতি লিখিয়াছিলেন। প্রভাতসংগীত রচনাকালে তিনি কিছুদিন জ্যোতিরিন্্রনাথের সহিত দশ নম্বর সদর ট্রাটের বাড়িতে ছিলেন। প্রভাতসংগীতের প্রথম কবিতাই “নিঝরের স্বপ্নভঙ্গ ! ইহাতেই রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক কবি-সন্ত। ব| অন্তর-প্ররুতি প্রথম বহিমুখী উচ্ছ্বাসের বাধাবন্ধহীন মুক্তি পাইয়াছে। রবীন্দ্রনাথ মানুষের ধর্ষ গ্রন্থে ইহার বিস্তারিত বিশ্লষণ ও ব্যাখ্য। করিয়াছেন, “তখন গ্রস্থ্যষে ওঠ। প্রথ! ছিল। :..সেই ভোরে উঠে একদিন চৌরঙ্গির বাসার বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলুম । তখন ওখানে ফ্রি ইস্কুল বলে একটা ইস্কুল ছিল। রাস্তাটা পেরিয়েই ইস্কুলের হাতাট। দেখ। যেত। সেদিকে চেয়ে দেখলুম, গাছের আড়ালে সুয উঠছে। যেঘনি স্থধের আবির্ভাব হল গাছের অন্তরাল থেকে, অমনি মনের পরদা খুলে গেল। মনে হল মানুষ আজন্ম একটা আবরণ নিয়ে থাকে । সেটাতেই তার স্থাতন্ত্য। স্বাতন্ত্রের বেড়া লুপ্ত হলে সাংসারিক প্রয়োজনের অনেক অস্থবিধা । কিন্তু সেদিন স্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার আবরণ খসে পড়ল। মনে হল সত্যকে মুক্ত দৃষ্টিতে দেখলুম । মানুষের অন্তরাত্মাকে দেখলুম । ছুজন মুটে কাধে হাত দিয়ে হাসতে হাসতে চলেছে। তাদের দেখে মনে হল, কী অনির্চনীয় হুন্দর। মনে হল না তারা মুটে। সেদিন তাদের অস্তরাত্বাকে দেখলুম, যেখানে আছে চিরকালের মানুষ ।*"* “সেই সময়ে এই আমার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞত! যাকে আধাত্মিক নাম দেওয়া যেতে পারে। ঠিক সেই সময়ে বা তার অব্যবহিত পরে যেভাবে আমাকে আবিষ্ট করেছিল, তার স্পষ্ট ছবি দেখা যায় আমার সেই সময়কার কব্তাতে,_ প্রভাতসংগীতের মধ্যে ।""* ৭ «..আহং-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ষে-জীবন সেটা মিথ্যা । নানা অতিকৃতি দুঃখ ক্ষতি সব জড়িয়ে আছে তাতে । অহং যখন জেগে উঠে আত্মাকে উপলব্ধি করে তখন সে নৃতন জীবন লাভ করে । এক সময়ে সেই অহং-এর খেলাঘরে বন্দী ছিলুম। এমনি করে নিজের কাছে নিজের প্রাণ নিয়েই ছিলুম, বৃহৎ সত্যের রূপ দেখি নি। আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের 'পর, কেমনে পশিল গুহার আধারে প্রভাতপাখির গান! . না জানি কেনরে এতদিন পরে জাগিয়। উঠিল প্রাণ । জাগিয়া উঠেছে প্রাণ, ওরে উথলি উঠেছে বারি, ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি । “এট। হচ্ছে সেদিনকার কথা যেদিন অন্ধকার থেকে আলো এল বাইরের, অসীমের ৷ সেদিন চেতন| নিজেকে ছাড়িয়ে ভূমার মধ্যে প্রবেশ করল। সেদিন কারার দ্বার খুলে বেরিয়ে পড়বার জন্ে, জীবনের সকল বিচিত্র লীলার সঙ্গে যোগ- যুক্ত হয়ে প্রবাহিত হবার জন্যে, অন্তরের মধ্যে তীব্র ব্যাকুলত। ৷ সেই প্রবাহের গতি মহান বিরাট সমুদ্রের দিকে । তাকেই এখন বলছি বিরাট পুকুষ। সেই যে ম্বহামানব তারই মধ্যে গিয়ে নদী মিলবে, কিন্তু সকলের মধ্যে দিয়ে। এই যে ডাক পড়ল, সুর্যের আলোতে জেগে মন ব্যাকুল হয়ে উঠল, এ আহ্বান কোথা থেকে । এর আকর্ষণ মহা! সমুদ্রের দিকে, সমস্ত মানবের ভিতর দিয়ে সংসারের ভিতর দিয়ে, ভোগ ত্যাগ কিছুই অস্বীকার করে নয়; সমস্ত স্পর্শ নিয়ে শেষে পড়ে "এক জায়গায় যেখানে-_ কী জানি ক্লী হল আজি, জাগিয়! উঠিল প্রাণ, দুর হতে শুনি যেন মহাসাগরের গান। সেই সাগরের পানে হৃদয় ছুটিতে চায়, তারি পদপ্রান্তে গিয়ে জীবন টুটিতে চায়। “সেখানে যাওয়ার একটা ব্যাকুলতা অন্তরে জেগেছিল। মানবধর্ষ সম্বন্ধে যে বক্তৃতা! করেছি, সংক্ষেপে এই তার ভূমিকা । এই মহাসমুদ্রকে এখন নাম দিয়েছি চি মহামানব | সমস্ত মানুষের ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান নিয়ে তিনি স্বজনের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত। তার সঙ্গে গিয়ে মেলবারই এই ডাক |” [ মানবসত্য-_মান্ষের ধর্ম ॥ পৃঃ ৭৯-৮৬ ] কবির এই আত্মবিশ্লেষণ অত্যন্ত তাৎপর্ধপূর্ণ। ইহাকেই বলিতে পারা যায় রবীন্দ্রনাথের কবি-সত্তা, তথ| রবীন্ত্রমানসের মূল মর্মকথ|। প্রভাতসংগীতের মধ্যে রবীন্ত্রমানসের সর্বপ্রথম এমন একটি চেতনার. উন্মেষ দেখিলাম যাহা বিশবপরতি সর্বোপরি মানুষের প্রতি গভীর আকর্ষণ ও প্রেম এবং একাত্মবোধ আনিয়া দিয়াছে। সেই বয়সেই কবি আপনার মধ্যে 'মহামান্বের মৃহাসমূক্রে'র মিলনের আহ্বান শুনিলেন। রবীন্দ্রনাথের এই আধ্যাত্মিক. মানবতাবাদ উপনিষদিক মানবতাবাদ হইতে প্রাণ শক্তি 'আহ্রণ করিতে চাহিঘাছে । রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থতির পাগুলিপিতে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতাটি সম্পর্কে লিখিয়াছিলেন, “একটি _ অভূতপূর্ব অদ্কুত হৃদ়ন্ফ,তির দিনে নির্করের স্বপ্নভঙ্গ লিখিয়াছিলাম, কিন্তু সেদিন কে জানিত এই কবিতায় আমার-সমহ্ত-ব্রাব্যের ভূমিকা "লখ! হইতেছে ।” কিন্তু ইহাতে শুধু রবীন্দ্রনাথের সমস্ত কাবোরই ভূমিকা লেখা হয় নাই, রবীন নাথের সার | জীবনের রাজনীতির ভূমিকাও এই কবিতার মধ্যে লিখিত রহিহু! গিয়াছে। _রবীক্ছনাথেরধ্াজনীতি9/মূল-উৎস. অন্সন্ধানে বাহির হইলে শেষ পথস্ আমরা কবির আধ্যাত্মিক মানবতাবাদের নিকট আসিয়া উপস্থিত. হইব | কিন্ক নিবরের স্বপ্নভঙ্গে কবি মহাযানবের মহাসমুদ্রকেই দেখিলেন__নিবিশেষ্‌ মান- বতাকেই দেখিতে পাইলেন? বিশেষ যুগের মান্য, পৃথিবীর দেশে দেশে অগণ্দিত সমন্তাভারক্রিষ্ট আর্ত মানবকে তিনি তখনও দেখিতে পান নাই। পরবর্তীকালে জগতের ঘটনা-বিকাশের সাথে সাথে কবি-মানসের কী .ফ্রেত- বিন্ময়কর পরিবর্তন .দেখিতে_ পৃষ্ইী। পৃথিবীর দেখে... দেশে যেখানে মান্তষ উৎগীভিত ও লাঞ্ছিত হইয়ছে, কবি-মনর, তৎক্ষণাৎ তাহার প্রতিক্রিয়! ও. ড় জাগিয়াছে। মান্ুষের_ প্রতি এই অপরিদীম ভালোবাসা ও গভীর একাস্থিক দরদই তাহার আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চিন্তাধারার আড়ষ্টতা সংকীর্ৃতা.ভাড্যি দিয় ক্রমাগতই তাহা! পরিবতিত ও পরিশোধিত করিষছে। ২৯ | সাহিত্যে স্বদেশপ্রেম ও জাতায়তাবাদ || আমাদের জাতীয় চেতনায় জাতীয়তাবাদী সাহিত্যের একটি এঁতিহাসিক ভূমিক৷ আছে। আমাদের দেশের, বিশেষ করিয়৷ বাংলাদেশের জাতীয় জাগরণের' পশ্চাতে আমাদের জাতীয়তাবাদী সাহিত্যের যে বিরাট ভূমিকা রহিয়াছে তাহার মূল্যায়ন সহজসাধ্য নহে। ঈশ্বর গুপ্ত, মধু্দন, রঙ্গলাল, হেমচন্্র, বস্ছিমচন্্র দীনবন্ধু, নবীনচন্ত্র প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকগণের জাতীয়তাবাদমূলক সাহিত্যকর্মের পর্যালোচনার স্থান অন্থাত্র, তবুও এখানে একটি কথ! বল! দরকার যে, বাংলার' জাতীয় জাগরণের প্রায় সমস্ত উদ্দীপন! ও প্রেরণার পশ্চাতে আমাদের জাতীয়তা- বাদী সাহিত্যের অবদান কম নহে। বাংলা সাহিত্যে স্বাদেশিকতা ও স্বদেশগ্রীতি ঈশ্বর গুপ্তের কবিতায় প্রথম প্রকাশ পায়। বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া স্বদেশের কুকুর পূজা করিবার আহ্বান জানাইতেও তিনি ঘিধা বোধ করেন নাই | তাহার পর রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ কর! যাইতে পারে। “অবাস্তব, কাল্পনিক পরিবেশে স্কুল প্রণয়লীলার স্থানে তিনি এঁতিহাসিক পটভূমিকায় দেশপ্রেমকে গ্রহণ করিলেন কাবোর বিষয়রূপে ।* 'রঙ্গলালের প্রায় সমসাময়িক মহাকবি মধুস্থদনের লাহিত্যকর্মেও আমর! তাহার সামস্ততন্ত্রের প্রতি ঘবণা এবং স্বাধীনতা প্রিয়ত৷ ও স্বদেশগ্রীতির স্বাক্ষর দেখিতে পাই। মধুস্থদনের পরেই বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র, নবীনচন্ত্র, রমেশচন্র প্রমুখ সাহিত্যঅষ্টার রচনায় তীব্র স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার জোয়ার আসিল। বঙ্ধিমচন্দ্র বাংলার গগ্যরীতি ও উপন্যাস রচনায় বিরাট এক বৈপ্লবিক রূপান্তর আনিলেন, এবং শুধু তাহাই নহে, _বক্কিমচন্্র সার! দেশকে জাতীয়তার বেদমন্তরে দীক্ষিত করিতে চাহিলেন ; তীহার 'মৃণালিনী", “চম্্রশেখর”, “কমলাকান্তের দপ্তর” “আননমঠ” ও দেবী চৌধুরানী'র মধ্যে সর্বপ্রথম এক বলিষ্ঠ জাতীয়তাবাদের বন্- নির্ধোষ শুনা গেল। প্রায় অর্থশতাবীর অধিককাল ধরিয়া বন্ধিমচন্দ্রের জাতীয়তাবাদী সাহিত্য বাংলাদেশের স্বাদেশিক সংগ্রামে গ্রবল প্রেরণা ও উদ্দীপনা যোগাইয়াছে। ভার্তবর্ষের স্থাধীনত৷ সধগ্রামের ইতিহাস জুড়ি বঙ্কিমচন্দের “বন্দে মাতরমূ! ধ্বনি ভারতের জনমানসে এক অভূতপূর্ব উদ্দীপন! ও উন্মাদনার স্থটি করিয়াছে ৩৪ ব্ধিমচন্দ্রেে রাজনৈতিক মতবাদ আলোচনা করিলে কয়েকটি স্ববিরোধী ভাবধার! লক্ষ্য কর! যায়। প্রথম জীবনে ইতালী ও আমেরিকার স্বাহীনত! -সংগ্রাম এবং ফরাসী বিপ্লবের সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার আদর্শ তাহাকে অভিভূত করিয়াছে। ইউরোপের শ্বদেশগ্রীতি, বীরত্ব এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মনীধাও তাঁহাকে এককালে মুগ্ধ করিয়াছিল। কালক্রমে ইউরোপের সাম্রাঙ্গাবাদী এক্িগুলির পররাজ্নুষ্ঠন প্রবৃত্তি দেখিয়! ইউরোপ সম্পর্কে তাহার মোহভঙ্গ হয়। তিনি বলিলেন__ “মুরোপীয় 28010961500 একট। ঘে'রতর পৈশাচিক পাপ। যুরোপীয় 08 0061509- ধর্মের তাৎপর্য এই যে, পব-সমাজের কাড়িয়। ঘরের সমাজে আনিব। স্বদেশের সমৃদ্ধি করিব, কিন্তু অন্যজাতির সর্বনাশ করিয়া তাহা! করিতে হইবে ।” আবে। বলিলেন, “"""যষে সমাজ বলবান সে দুর্বল সমাক্তেব কাডিঘা খায। অসভ্য সমাজের কথ|। বলিতেছি ন।, সভ্য যুরোপের এই রীতি ।” [ মোহিতলাল মন্মালার-_বাংলাব নবধুগ ] একসময ইউরোপের কাল্পনিক সমাজবাদের প্রভাব ও তাহার উপর পর্চিয়াছিল। অপরদিকে হিন্দু_ জাতীরুতাবাদ ও হিন্দুধর্মসংস্কার আন্দোলনে 9 তাহার গভীব আভ্ত্ঠাণ লক্ষ্য কর যাদ। বঙ্ষিমচন্্র শেষ জীবনে কিছুট। প্রতিক্রিয়াপন্থী হইমা পড়্যাডিলেন এ কথাও অ্বীকাব কবিবার উপাষ নাউ। বস্থৃতপক্ষে নবাপন্থীদের সমাজ-স-স্কার আন্দালনের প্রগতিশীল_দিকৃগুলিৰ তিনি বিরোধিত। করিয়াছিলেন । এবং এই প্রসর্ণে আরও একটি কথা বল! দ্রকার যে বঙ্িমচন্্রের প্রবন্ধ- সাহিত্য 'বঙ্গদেশের কষক'-এ, -পবান মণ্ডলদেব' দ্েখ। গেলে ও -তাহার, উপন্ু'্ গল্পে পবান মগ্ডলদের' কোনো চধিত্র-চিত্রণ দেখা যায ন। | এই পিক হইতে দীনবন্ধু মিত্রেব “নীলদর্পণ' একটি বিশ্মবকর কষ্টি। 4 পবান নগুলবাই নহে, বালাব কৃষককুলেব অত্যন্ত নিষানতত শ্রেণীব কুষকেব' নীলদ্পণের মঞ্চ অপিকাব কবিব। বস্যাছে। নীলকবদেব অমানুষিক নিধাতন ও অত্যাচাবেব বিরুদ্ধে গ্রত্তক্ষভাবে বুদ্ধিজাবী শেণা কিছু করিতে সাহস পান নাই বটে, কিন্তু সংবাদপত্র ও সাহিত্যেব মাধামে তাহ'ব। নিধাতিত নীলচাধাঁদেব পক্ষাবলঘ্ধন ক্বিষা আগাইয়া আমিয়াছিলেন। তাহাব ফলে শ|সক শ্রেণী ও নীণকর সাহেবদেব কোপদুষ্টিতে পড়িযা ইহাদ্বে অনেককেই নিষাতন ও শান্তিতোগ করিতে হইযাছে। মহাপ্রাণ হরিশ মুখোপাধ্যায় মৃত্যুর পরও তাহাদের বোধদৃষ্টি হইতে রেহাই পান ন”, হরিশের বিধবা সত্ী-পুত্রকেও অকথ্য লাগ্ছন! ও নিষাতন ভোগ করিতে হইযাছে। নীলদর্পণকে উপলক্ষ করিয়া. বাংলার বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর সহিত ইংরাজ শাস্ন- ৩১ কর্তৃপক্ষ, ও ইউরোপীয় নীল্কর সাহেবদের বেশ একটি | নীলদর্পণ নাটকটি মঞ্চস্থ করিবার ব্যাপারে কলিকাতায় বুদ্ধিজীবী ও অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে একট আলোডন ও সাড। পড়িয়! যায়। রেভারেগ্ড_ লং-সাহেব নাটকখুনির_ ইংরাী অনুবাদ প্রকাশ করিবার জন্ত আদালতে শাস্তিভোগ করেন। তৎকালীন ভারত এবং বাংলাদেশের অন্য কোনো! কুষক বিদ্রোহের প্রতি আমাদের বস্ধিসতীবী শ্রেণীর এত্থান্রি ব্যাপক সমর্থন লক্ষ্য করা যায় ন!। সাওতাল বিদ্রোহ, নীল. বিদ্রোহ, ওয়াহাবী _আন্দোলন, ২৪ পরগনার তিত মিঞার 1 বিদ্রোহ, পাবন! ও বগুড়ার. কলুধ্ক. অদ্যু্থানগুলির মধ্যে সময়ের ব্যবধান খুব বেশী নুহে। এইসব কৃষক বিদ্রোহগুলির পিছনে যে গভীর নির্যাতন ও শোষণ ব্যবস্থার কারণগুপি নিহিত ছিল, মূলত তাহা এক। অথচ নীল বিভ্রোহই বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর সমর্থন লাভ করিল, অন্যগ্তলি করে নাই-__ইহর কারণ কি? নীলকর সাহেবেব। বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী, এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর প্রতিঘবন্দী, ইহাই কি অন্যতম কারণ ? যাহাই হোক, আমাদের জাতীয় চেতনাব ইতিহাসে নীলদর্পণের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে, যাহ বঙ্কিমচন্দ্র বা সমকালীন এদেশীয় কোনো সাহিত্যিকের সাহিন্টা- হুষ্টির মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং সামাজিক মূল্যে যাহারা নিতান্তই অকিঞ্চিংকর, সেই সব “তুচ্ছ লোকেবা'ও নীলদর্পণের পাত্র- পাত্রী হইযাছে, ইহা চিন্ত! করিযা বিস্মিত না হইয়। পার! যাষ না। পববর্তা কালে নীলদর্পণের অনুকরণে 'জমিদার-দর্পণ' প্রভৃতি লিখিবাব প্রচেষ্টা দেখা যায । কিন্তু তবুও নীলুদর্পণ আনন্দমঠের স্থান অধিকার করিতে পারে নাই। আনন্দমঠ সন্ন্যাপী বিদ্রোহে পটভূমিকায লিখিত। উপন্তাসখানিতেে মুসলমান- রাঙ্জত্বের অবসান বণিত হইলেও বঙ্ষিমচন্ত্র ইহাতে পরাধীনতার নাগপ্রাশ ছিন্ন করিবারই .আহ্বান জানাইযাছেন। স্বদেশী যুগে -তাই আ্ানন্দঘঠ . ছিল দেশকর্মীদের কাছে গরেন“অআগিরেদ? | আনন্দমঠ ও দেবী চৌধুরানীর মধ্যে বঙ্ছিমচন্দ্র এক বীরপ্রসবিনী হিন্দু জাতি গডিতে চাহিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র সারা_ ভাবতবর্ধকে “বন্দে মাতরম্‌* সংগীত দিয়া গেলেন। এই একটি মাত্র সংগীত আসমুদ্রহিমাচল. ভারতের জাতীয এঁক্য গড়িযু! _তুলিয়াছিল, একথ৷ তুলিয়। গেলে চলিবে ন|। আনন্দমমঠে আমরা নীলদর্পণের_ _নিরধাতিত কৃষক শ্রেণীর কথা শুনি নাই বটে, ত্ববে আনন্দমঠেই আমরা জাতির র মুক্তি : আন্দোলনের কথা শুন্লাম; - যদিও_. উপন্যাসথানিতে বঙ্ধিমচন্ত্রের হিনদুজাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভ্দি দুটিভঙ্গি অত্যন্ত প্রকট হৃইয়া! উঠিয়াছে। ৩৭ এই প্রসঙ্গে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ঘটন। হইল ঘে, বঙ্ষিমচন্্র ব্খন “বঙ্গদর্শনে ধারাবাহিকভাবে আনন্দমঠ লিখিতেছেন ( বঙ্গদর্শন ; ৭ম খণ্ড, ১২৮৭ চৈত্র হইতে ৮ম খণ্ড, ১১৮৮ আশ্বিন এবং ৯ম থণ্ড, ১২৮৯ বৈশাখ-জোষ্ঠ ), প্রায় একই সময়ে রবীন্দ্রনাথ “ভারতী পত্রিকায় তাহার প্রথম উপন্যাস “বৌঠাকুরানীর হাট" লিখিতেছেন (ভারতী, ১১৮৮ কাতিক হইতে ১২৮৯ আশ্বিন) । গ্স্থাকারে উভয় রচন। দুইটি প্রকাশিত হয় ১৮৮৩ সালের জানুয়ারী নাসে। 'অথচ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গির কী বিরাট পার্থক্য! বহ্থিমচন্দ্র ইতিপূ্বেই চর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), মুণালিনী (১৮৬৯), চন্ত্রশেখর ( ১৮৭৫), রাজসিংহ (১৮৮২ ) প্রভৃতি ইতিহানিক এবং জাতীয়তাবাদমূলক এ বারত্বব্যঞ্তক রচনাদি এরণয়ন করিরাছিলেন । সাহিত্যে সে-এক উগ্ন জাতীঘ়ত,বাদের নু? । সেই যুগে প্রাচীন ইতিহাস থাটিয়। বীরত্ব-কাহিনী আবিষ্কারের নেশা আমাদের পাইয়। বসিগ্নাছিল। অর্ধেক ইতিভাস অর্ধেক সাহিত্য € কল্পনার রঙচ$ মিশাইয়। আদর্শ বীবত্বব্যঞ্ক উপন্যাস কষ্টি করিবার দিকেই আমাদের কোক ছল বেশী। এই কালের কপা বলিতে গিয়৷ রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে এ স্জ্ড় বলেন, “তখন আলেকজান্দারের থেকে আরম্ভ করে ক্লাইভের আমল পযন্থু রায় প্রতিদ্বন্বিতায় ভাক্তনর্ষ বারবার কিরকম পরান্থু অপমানিত হয়ে এস্ছে এ কাহির্নীই দিনক্ষণ তারিথ ও নামমাল। সমেত প্রত্যহ কণ্চস্থ করেছি। অগেরবের ইতিহাসদরুতে রাজপুতদের বীরত্বকাহিনীর €য়েনিস থেকে বেট্ুকু ফসল ংগ্রুহ কর। সম্ভব তাই নিয়ে স্বজাতির মহব-পরিচয়ের দারুণ ক্ষুধ! মেটাবার চেষ্ট। কর: হত । সকলেই জানেন, সে সময়কার বাংল। কাবা নাটক উপন্যাস কিরকছ ঢুঃস্ভ বাগ্ভায় টডের রাক্স্থান দোহন করতে বসেছিল । এর থেকে স্পষ্ট বোঝ? ধর, দশের মধো আমাদের পরিচয় কামনা কিরকম উপবাসী হয়েছিল ।-..সেই “এটাকে কটি আমরা দীন বলে জানি ত৷ হলে বিদেশী বীর জাতির ইতিহাস পড়ে আমদের দ*নভাকে তাড়াবার শক্তি অন্তুরের মো পাই নে ।" | বৃহত্তর ভারত-_কালান্তর ॥ পৃঃ ৩০৬ 7 এমন একটি যুগে রবান্দ্রনাথ বৌঠাকুরানীর হাট লিঘিলেন। সেই উৎকট জাতীন্বতাবাদের যুগে রবীন্দ্রনাথ প্রতাপাদিতাকে কোনো আদশ বীর চরিত্র রূপে চিত্রিত ন। করিয়। তাহাকে নুশংস দুরাচার রূপে অঙ্গিত করিয়াছেন ৷ রবীন্দ্রনাথ প্রভাপাপিত্য সম্পর্কে কোনে। প্রামাণা এতিহাসিক তথ্যাদি পান নাই । প্রতাপচন্ত্ 'ঘ্ামের 'বঙ্গাধিপ পরাজগ্' (১৮৬৯) নামক গ্রন্থ হইতেই বৌঠাকুরানীর হাট ২৩৩ রবীন্রনাথ ॥ ৩ লিখিবার প্রেরণা পাইয়াছিলেন। বঙ্গাধিপ পরাজয়ে প্রতাপ-চরিত্রের যে বর্ণনা আছে, রবীন্দ্রনাথের বৌঠাকুরানীর হাটের প্রতাপ-চরিত্রের সহিত তাহার অনেকখানি সাদৃশ্য ব! মিল আছে। আসল কথা, রবীন্দ্রনাথকে এতিহাসিক “বীরগাথার ভূত" পাইয়া! বসে নাই। রবীন্দ্রনাথ উপন্াস সৃষ্টি করিতে চাহিয়াছিলেন। ইতিহাস হইতে জাতির শোধ, বীরত্ব, স্বাধীন্তাপ্রিয়তা ও সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের নজির খু'ঁজিয়। বাহির করিবার নামে তিনি কখনও সত্য-মিথ্য। ও কল্পনার রঙচঙ মিশাইয়া ইতিহাসকে বিরুত করেন নাই। এক সময় রবীন্দ্রনাথকে প্রাচীন হিন্দু সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বের মহিমা প্রচারে পঞ্চমুখ দেখিতে পাই । কিন্তু কোথাও তিনি প্রাচীন হিন্দু জাতির শৌধ, বীধ এ সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব গ্রমাণ করিতে চাহেন নাই । তিনি প্রাচীন ভারতের দর্শন, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক শক্তির মহিম! কীর্তন করিয়াছেন । এ ক্ষেত্রে, সেই জাতীয়তাবাদী সাহিতা স্পষ্টির যুগে, রবীন্দ্রনাথ যদি বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র ও রমেশ দত্তকে অন্সরণ করিয়া প্রতাপ-চবিত্রকে আদর্শ বাঙালী বীর চরিত্র রূপে অস্কিত করিতেন তবে তাহাতে বিস্মিত হইবার কিছু ছিল না। কিন্ত রবীন্দ্রনাথ তাহা করেন নাই এবং এই বিষয়ে ভুল বেশ কিছুটা সচেতন ছিলেন বলিয়। মনে হয়। রবীন্দ্রনাথ স্ব্ং প্রতাপ-চবিত্র সম্পর্কে রবীন্দ্-রচনাবলীর ভূমিকায় লিখিতেছেন, “স্বদেশী উদ্দীপনার আবেগে প্রতাপাদিত্যকে এক সময়ে বাংলা দেশের আদর্শ বীরচরিত্রূপে খাড়া করবার চেষ্টা চলেছিল । 'এখনে। তার নিরু্তি হয় নি। আমি সে সময়ে তীর সন্দ্ধে ইতিহাস থেকে যা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিলুম তার থেকে প্রমাণ পেয়েছি তিনি অন্যায়কারী অত্যাচারী নিষ্ঠর লোক, দিললীশ্বরকে উপেক্ষা করবার মতে! অনভিজ্ঞ উদ্ধত্য তার ছিল কিন্তু ক্ষমত| ছিল না। সে সময়কার ইতিহাসলেখকদের উপরে পরবর্তী-কালের দেশাভিমানের প্রভাব ছিল না। আমি যে সময়ে এই বই অসংকোচে লিখেছিলুম তখনো তার পূজা প্রচলিত হয় নি।” [ রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১ম খণ্ড ॥ পূঃ ৩৭৪ ] বৌঠাকুরানীর হাটের ক্রন্ততম বৈশিষ্ট্য এই ঘে, রবীন্দ্রনাথ একটি এঁতিহাসিক রাজপরিবারের কাহিনী লিখিতে গিয়৷ বাংলার জনজীবনের চিত্র আকিতে ভুলে নাই। অবশ্ত এঁতিহাসিক দিক হইতে এইসব গ্রামবাসী নর-নারীদের ঠিক প্রতাপাদিত্যের যুগের বলিয়! মনে হয় না । ইহার প্রায় ত্রিশ বৎসর পরে রবীন্দ্রনাথ বৌঠাকুরানীর হাটের কাহিনী ভাঙিয়া “প্রায়শ্চিত্ত নাটকটি রচনা করেন। +৩৪ ॥ পাশ্ঠাত্য সভ্যতা সম্পর্কে মোহভঙ্গের শুরু ॥ ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারী মাসে রবীন্দ্রনাথ বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তন করেন । তখন তাহার বয়স মাত্র আঠারে। বৎসর । রবীন্দ্রনাথের জীবনে বিলাত-ভ্রমণ (এবং ধিদেশ-ভ্রমণ ) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটন।। পারিবারিক কালচারের আবহাওয়ায় ইউরোপীয় সংস্কৃতির সহিত যে পরোক্ষ পরিচম্ন ছিল, বিলাতে আসিয়! তাহ৷ প্রত্যক্ষভাবে জানিলেন ৷ ইউরোপের শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মনীষ। তাহাকে অভিভূত করিয়াছে । পালামেন্টে প্লাভস্টোন ও জন ব্রাইটের বক্তৃতা, সেখানকার ব্যক্তিম্বাতশ্তরাবোধ ও গণতাস্থ্বিক সামাজিক পরিবেশ, সেখানকার স্বাধীনচেতা! নর-নারীর স্বচ্ছন্দ বিচরণ প্রভৃতি দেখিয়৷ ইউরোপ সম্পর্কে তাহার গভীর শ্রদ্ধা জন্মে। জীবনে বহুবার বহুক্ষেত্রে পশ্রহ্নচিত্তে এই মহত্তর ইউরোপের কথ! তিনি ম্মরণ করিয়াছেন । জীবনের শেষ মুহুর্তে যখন তিনি ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী সভ্যতার তীব্র নিন্দাবাদ করি! বার বার তাহাকে অভিসম্পাত ও বিনিপাত জানাইতেছেন, তখনও তিনি এই মহত্রম আধুনিক ইউরোপকে শ্রদ্ধা ন! জানাইয়৷ পারেন নাই । ম্বৃত্যুর কয়েক মাস পর্বে “সভ্যতার সঙ্কট" প্রবন্ধে তিনি বালান্বতি রোমন্থন করিয়া এই ইউরোপকে শ্রদ্ধা জানাইলেন। তিনি বলিলেন £ “বৃহৎ মানববিশ্বের সঙ্গে আমাদের প্রত্যক্ষ পরিচয় আরম্ভ হয়েছে সেদিনকার ইংরেজ জাতির ইতিহাসে । আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্যে উদঘাটিত হল একটি মহৎ সাহিত্োর উচ্চশিখর থেকে ভারতের এই আগন্ধকের চরিত্রপরিচয় ।-..তখন ইংরেজি ভাষার ভিতর দিয়ে ইংরেজি সাহিত্যকে ক্চানা ও উপভোগ করা ছিল মাজিতনন! বৈদগ্ধোর পরিচয় । দিনরাত্রি মুখরিত ছিল বার্কের বাগ্ষিতায়, মেকলের ভাষাপ্রবাহের তরঙ্গভঙ্গে ; নিয়তই আলোচন! চলত সেক্স পিয়ারের নাটক নিয়ে, বায়রনের কাব্য নিয়ে এবং তখনকার পলিটিক্মে সবনানবের বিজয় ঘোষণায় । তখন আমরা স্বজাতির স্বাধীনতার সাধনা আরম্ভ করেছিলুম, কিন্তু অন্তরে অন্তরে ছিল ইংরেজ জাতির গদাধের প্রতি বিশ্বাস। সে বিশ্বাস এত গভীর ছিল যে এক সময় আমাদের সাধকেরা স্থির করেছিলেন যে, এই বিজিত জাতির স্বাদীনতার পথ বিজ্ী জাতির দাক্ষিণোর দ্বারাই প্রশস্ত হবে ।..মানবমৈত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয় দেখেছি ইংরেজ-চরিত্রে, তাই আন্তরিক অ্ধা নিয়ে ইংরেজকে হৃদয়ের উচ্চাসনে বসিয়েছিলেম । তখনো সাম্রাজযমদমত্ততায় তাদের স্বভাবের দাক্ষিণ্য কলুষিত হয় নি। “আমার যখন বয়স অল্প ছিল ইংলগ্ডে গিয়েছিলেম। সেই সময় জন্‌ ব্রাইটের মুখ থেকে পার্লামেন্টে এবং তার বাহিরে কোনো কোনো সভায় যে বক্তৃতা শুনেছিলেম তাতে শুনেছি চিরকালের ইংরেজের বাণী। সেই বক্তৃতায় হৃদয়ের ব্যাপ্তি জাতিগত সকল সংকীর্ণ সীমাকে অতিক্রম করে যে প্রভাব বিস্তার করেছিল সে আমার আজ পধস্ত মনে আছে এবং আজকের এই শ্রীত্রষ্ট দিনেও আমার পূর্স্থৃতিকে রক্ষা করছে।'তাই, ইংরেজের যে সমাহিত আমাদের মন পু্টিলাভ করেছিল আজ পর্যন্ত তার বিজয়শঙ্খ আমার মনে মন্দ্রিত হয়েছে । “.-.এই গেল জীবনের প্রথম ভাগ । তারপর থেকে ছেদ আরম্ভ হল কঠিন দুঃখে । প্রতাহ দেখতে পেলুম, সভাতাকে যার চরিত্রউৎস থেকে উৎসারিতরূপে স্বীকার করেছে, রিপুর গ্ুবতনায় তারা৷ তাকে কি অনায়াসে লঙ্ঘন করতে পারে ।” [ সভাতার সঙ্কট - কালাম্তর ॥ পঃ ৩৮২-৮৪ ] এই লেখার কয়েক বৎসর পূর্বে 'কালান্তর" প্রবন্ধেও তিনি তাহার্প্রথ জীবনের ইংরাজী সাহিত্য ও ইংরাজ জাতির সহিত প্রত্যক্ষ পরিচয়ের প্রভাবের কথাও মুক্তকণ্ে স্বীকার করিয়াছিলেন । কিন্ত বিলাত হইতে, প্রত্যাবর্তনের পর রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা! ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশেষ কোনে! পরিবর্তন লক্ষা কর| গেল না। রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাতা সংস্কৃতি গ্রহণ করিতে পারিলেন না। বরঞ্ণ পাশ্চাত্য সভ্যত। সম্পর্কে তাহার মনে সংশয় ও বিরুদ্ধভাব জন্সিতে থাকে । ইউরোপের সাহিত্য ও জ্ঞান- বিজ্ঞান, বিশেষ করিয়া, ইউরোপের সংগীত ও চিত্রকলা সম্পর্কে তাহার উচ্চ ধারণার কোনো পরিবর্তন হয় নাই সতা, পরস্ত দেশে ফিরিয়। ইউরোপীয় সংগীতের সহিত দেশীয় সংগীতের সংমিশ্রণের তাহার এক অভিনব প্রচেষ্ট! দেখিতে পাওয়া যায়, একথাও স্বীকার করিতে হইবে। কিন্তু ইউরোপীয় সনাজ-সভাতা ও রাজ- নীতিকে তিনি গ্রহণ করিতে পারেন নাই । ইউরোপীয় জাঁতিগুলির পররাজ্য লুন ও সাত্রাজ্যলিগ্সা দেখিতে পাইয়! তখন হইতেই ইউরোপীয় সভ্যতার উপর তাহার মনে সংশয় ও সন্দেহ জন্মিতে শুরু করে। ফলে ইউরোপকে গ্রহণ করিবার প্রশ্নে তাহার মনে একটি অন্তবিরোধ ও দ্বন্ব দেখিতে পাঁওয়। যায়। যথাসময়ে আলোচনাকালে আমরা ইহ! দেখিতে পাইব। বল। বাহুল্য রবীন্দ্রনাথ রাজনীতিবিদ্‌ ব| সমাজতাত্বিক নহেন। রবীন্দ্রনাথ শন রর হস্ত রহ 82 ॥ রি ী চি হও হা 5 সপ রনি শর পোকার ২ ্ জরা 7 বহি 1 ল 77 4৮ 22 চপ ৫ লা সপ সুতি বলাতে 1 12০৮০৮ প্রচত গু ছি ॥ ৮০ র৮০০০ 8 া্িজ”-৯ পিস িস্সেপী সা ভি.” 9 [৪ ॥. | : 88051 ূ রা ৃ 2১6৮৮ তি 88৯ ৮ চপ টু 8. ৃ ২ ৃ ১7. 85%৮8৯টট কবি এবং সাহিত্যিক । সমাজ, সভ্যতা, বিশ্বসমস্তা ও জাতীয় সমস্যা সম্পর্কে খুব গভীরভাবে কিছু চিন্ত! করিবার মত বয়সটিও তখন অনুকূল নহে । বিলাত হইতে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সাহিত্য ও কাব্যচর্চায় তিনি ডুবিয়৷ গেলেন। বয়সটা পুরা রোমান্সের । জ্যোতিরিক্্নাথ ও অক্ষয় চৌধুরীর সহিত দেশী ও বিলাতী সুরের সংমিশ্রণে এক অভিনব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলিতেছে । মাঝে মাঝে অভিনব ধরনের গীতিনাট্য রচনা ও তাহার অভিনয়ও চলিতেছে । জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মানময়ী গীতিনাট্যে তিনি স্থুরসংযোজন এবং অভিনয় করিয়াছিলেন । কিছুদিন পর বাল্মীকি প্রতিভ।, ভগ্ন-হৃদয় এবং সন্ধ্যাসংগীত রচনা করিলেন। কিন্ত এই নিরবচ্ছিন্ন শিল্প-স্থটির মধ্যেও মাঝে মাঝে কবির মনে গভীর প্রশ্ন দেখাংদিয়াছে । সন্ধ্যাসংগীত রচনার পরে ভারতীতে তিনি পর পর বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি লঘু রচনা লিখিলেন ( ১২৮৮ সালের শ্রাবণ হইতে ১২৮৯ সালের বৈশাখ পস্ত )। উহাই পরে বিবিধ প্রসঙ্গ নামে গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয় (১৮৮৩ সেপ্টেম্বর )। রবীন্দ্রনাথ “জীবনস্থৃতি'তে এই গ্রন্থের কৈফিয়ত হিসাবে বলিয়াছিলেন, “সে৪ কেঞ্ুন! বাধা লেখ নহে,_নেও একরকম যাখুশি তাই লেখা ।...তথন সেই একটা বোৌকের মুখে চলিয়াছিলাম-মন বুক ফুলাইয়। বলিতেছিল, আমার যাহ! ইচ্ছ। তাহাই লিখিব-__কী শিখিব, সে খেয়াল ছিল ন। কিন্তু আমিই লিখিব এইমাত্র তাহার একটা উত্তেজন। |” এই বলিয়। কবি লেখাগুলির গুরুত্ব লঘু করিতে চাহিয়াছেন। অবশ্য লেখাগুলি এমনিতেই বিভিন্ন ও বিচিত্র বিষয়ে এবং সবগুলির মধ্যেই তরল ও লঘু রস-স্ষ্টির চেষ্টা রহিয়াছে । ইহার মধো দয়ালু মাংসাশী" প্রবন্ধটিতে কবি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের ইঞ্গিত করিয়াছেন । ইহাতে রস-হৃষ্টি ও পরিহাসচ্ছলে রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ সাত্রা্তাবাদকে তীব্র বিদ্রপ করিবার প্রলোভন সংবরণ করিতে পারেন নাই। তিনি প্রবন্ধের এক জায়গায় লিখিতেছেন, “বিখ্যাত ইংরেজ কবি বলিয়াছেন যে, আমর! বোক! জানোয়ারের মাংস খাই, যেমন ছাগল, ভেড়া, গরু ।--'দেখা যাক, বোক। জানোয়ারের কি খায়। তাহার। উত্ভিজ্জ খায়। অতএব উত্ভিজ্জ যাহারা খার তাহারা বোক।। এমন দ্রব্য খাইবার আবশ্যক ? নির্বোধদের আমরা গাধা, গরু, ঘোড়।, হৃস্তিমূর্থ কহিয়া থাকি । কখনো! বিড়াল, ভন্থুক, সিংহ, ব্যাতবমূর্থ বলি না। উদ্ভিজ্জভোজীদের এমন নাম খারাপ হহয়। গিয়াছে যে, বুদ্ধির যথেষ্ট লক্ষণ প্রকাশ করিলেও তাহাদের ছুর্নাম ঘোচে না। নহিলে “বাদর' বলিয়া সম্ভাষণ করিলে লোকে কেন মনে করে তাহাকে নির্বোধ ৩ বল! হইল। উত্তিদ-ভোজী ভারতবর্কে ইংরাজশ্বাপদেরা দিব্যি হজম করিতে পারিয়াছেন; কিন্তু পাকযস্ত্রের প্রতি অল্প অল্প বিশ্বাস থাকাতে মাংসাশী কান্দাহার গ্রাস করিলেন, ভাল হজম হইল না; পেটের মধ্যে বিষম গোলযোগ বাধাইয়। দিল। মাংসাশী জুলুভূমি ও ট্রান্সভাল পেটে মূলেই সহিল না। ...অতএব মাংসাশী প্রাণীর লোভ এড়াইতে যদি ইচ্ছা! থাকে তবে মাংসাশী হওয়া আবশ্তক | নহিলে আত্মত্ব বিসর্জন করিয়া পরের দেহে রক্ত নির্মাণ করাই আমাদের চরম সিদ্ধি হইবে।” [ রবীন্ত্র-রচনাবলী-_অচলিত সংগ্রহ ; ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৩৪৯ ] এই প্রসঙ্গে ম্মরণ রাখা দরকার রবীন্দ্রনাথ কী পটভূমিকায় এই প্রবন্ধ লিখিতেছেন। ইংলগ্ের তখন সাত্রাজ্যবিস্তার নীতি অত্রন্ত প্রবলভাবে দেখা দিয়াছে। পার্লামেপ্টে তখন ঘোরতর সাম্রাজ্যবাদী ডিয়রেলীর নেতৃত্বে রক্ষণশীল দলের মন্ত্রিত্ব। ডিস্রেলীর সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকার ওলন্দাজ উপনিবেশ ট্রান্সভাল ও অরে প্রদেশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যতুক্ত করিবার আদেশ হয়। এবং তাহার সময়ই আফ্রিকার জুলুদের সহিত ইংরাজদের প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। এদ্দিকে ভারতবর্ষে বড়লাট লিটনের আফগান-নীতির ফলে “দ্বিতীয় আফগান যুদ্ব' শুরু হইয়াছিল। যুদ্ধে আফগানদের পরাজয় হয়। লর্ড ভিউ” আফগানিস্তানকে বিভক্ত করিয়! কান্দাহারে একটি স্বত্ত্্রাজ্য গ্রতিষ্টিত করিতে চাহিলেন ( ১৮৮* )। কিন্তু ওদিকে পার্লামেণ্টে উদারনৈতিক দলের (গ্লাডন্টোন ) জম্বলাভ হওয়ার ফলে পূর্বতন আফগান-নীতি পরিত্যক্ত হইল। ফলে, লিটনকে পদত্যাগ করিতে হয় । তাহার পরিবর্তে লর্ড রিপন বড়লাট হইয়া আসিলেন। এই সময় আফগানিস্তানে গৃহব্বাদ শুরু হুইয়! যায়। যাহা হউক, রিপন ব্রিটিশের জন্ত' কিছু সুবিধা আদায় করিয়! লইয়া আফগানিস্তান হইতে ব্রিটিশ সৈন্য সরাইয়। আনিলেন। এই সময় ইংরাজ-আফগান সন্ধির ফলে ব্রিটিশ বালুচিন্তান নামে একটি প্রদেশ গঠিত হইল এবং কোয়েটাতে সৈন্য রাখিবার ব্যবস্থাও স্বীরুত হইল। বোলান গিরিপথ ইংরাজদের দখলে আসিল । কিছুদিন পূর্বে চীনে আফিম ব্যবসাকে কেন্দ্র করিয়! ইংরাজ ও ইউরোপীয় সায্রাজ্যবাদীর! কিভাবে চীনের সর্ধনাশ করিতে উদ্যত হইয়াছে, সেই সম্পর্কে ভারতী পত্রিকায় তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেন। প্রবন্ধটির নাম “চীনে মরণের ব্যবসায়' (ভারতী, ১২৮৮ জোট ॥| পৃঃ ৯৩-১০*)। এই সময় “096 [000-911031) 01000 পু'৪৫, নামে একটি পুস্তক পাঠের ফলে, তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের জঘন্য উদ্দেশ্য ও ফড়যন্ত্রের কথা জানিতে পারেন । ডক্টর ক্রীস্টলীব (৭136০00:6 0107151116) নামে একজন জার্যান পাদরী এই পুত্তিকার লেখক। রবীন্দ্রনাথ উহার ইংরাজী তর্জমা পাঠ করিয়াছিলেন । এই পুস্তক পাঠ করিবার ফলে তাহার মনে একটি গভীর প্রতিক্রিয়া হয়,_-তাহার ফলেই এই প্রবন্ধ। প্রবন্ধটিতে তিনি চীনে ইংরাদ্দের কুট অভিসন্ধির তীব্র সমলোচন! করিলেন। তিনি বলিলেন, “একটি সমগ্র জাতিকে অর্থের লোভে বিষপান করানে৷ হইল । এমনতর নিদারুণ ঠগীবৃতি কখনে। শুন! যায় নাই । চীন কাদিয়া কহিল,-“আমি অহিফেন খাইব ন|। ইংরেজ বণিক কহিল “সে কি হয়? চীনের হাত দুইটি বাঁধিয়া তার মুখের মধ্যে কামান দিয় অহিফেন ঠাসিয়। দেওয়! হইল, দিয়! কহিল--ষে আহিফেন খাইলে তাভার দাম দাও ।? বহুদিন হইল ইংরেজের! চীনে এই অপূর্ব বাণিজ্য চালাইতেছেন।".*৮ তিনি আর দ্রেখাইলেন যে, ভারতবর্ষে ইংরাজ ব্যবসায়ীর আফিমের চাষ প্রবর্তন করার ফলে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এ দেশের দর্বনাশ হইতেছে । তাই তিনি দেশবাসীকে এই বিষয়ে সতর্ক করিয়া দিলেন | অষ্টাদশ শতাব্দী হইতেই ইংরাজ ব্যবসায়ীর! আফিমের ব্যবসা উপলক্ষে চীনে উপস্থিত হয 1 নির্লজ্জের মত তাহার! সেদিন একথাও ঘোষ্ণ। করিয়াছিল যে, আছিমের ব্যবসা-স্ুন্ধে বলপ্রয়োগের দ্বারাও ইউরোপের সহিত চীনের যে সংযোগ্ন স্থাপিত হইয়াছে, ইহার ফলে অসভ্য চীন আন্তে আস্তে সভ্য হইয়। উঠিবে। আমল কথা, ইংব'্জ ব্যবসায়ীর। সমস্ত দেশটিকে চুখোর বানাইয়া ব্লীব ও নির্জীব করিয়া! তুলিতে চাহিয়াছিল। অপরদিকে, এই ব্যবসা হইতে ইংরাজ ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি ডলার মুনাফা লাভ হইতে থাকে । ১৮৩৮ শ্রীষ্টাব্ধে এক ক্যান্টনেই ৪০১*০* পেটি আফিম আমদানি হয়, যাহার বাজার-মূল্য প্রায় ৩০,০০০১০০* সিলভার ডলার। ফলে, সমগ্র চীনের সামাজিক ও অর্থ নৈতিক জীবনে এক দারুণ বিপর্যয় আসিল। জাতির স্বাস্থযও অত্যন্ত বিপন্ন হইল। ইহার ফলে চীনের এক শ্রেণীর লোক বিদ্রোহী হইয়৷ উঠিলেন। হাজার হাজার পেটি আফিম রাজার আদেশে নষ্ট করিয়। দেওয়! হইল । ইহার ফলে ১৮৪০ খ্রীষ্টাব্দ “অহিফেন যুদ্ধ' ( 6179 00070 ৬/৪:) শুরু হয়। যুদ্ধে প্রবল পরাক্রান্ত ইংরাজ শক্তির নিকট চীনকে পরাজয় স্বীকার করিতে হয়। ফলে চীনের কয়েকটি প্রদেশ ও বন্দর ইংরাজদের অধিকারে আসে। চীন ক্রিটিশের অর্ধ-উপনিবেশিক দেশে পরিণত হইল। ইংরাজদের এই ভাগ্যজয়ের ফলে আস্তে আস্তে অন্তান্ত ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি প্রলুব্ধ ইইয়! চীনের 'দিকৈ থাবা! বাড়াইয়। আগাইয়া। আসিল। এইসব ঘটনা রবীন্দ্রনাথ আগ্রহের সহিত লক্ষ্য করিতেছিলেন, এবং তাহার ৩ঞ্ ফলে রবীন্ত্রনাথের মনে কী গভীর প্রতিক্রিয়ার স্যার হয় তাহাও এই রচনাগুলিতে স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। ইংরাজ জাতি ও ইউরোপীয় দেশগুলির এই বর্ধর সাম্রাজ্- লালস! কবির মনে গভীর রেখাপাত করিয়া চলিয়াছে। ফলে, ইউরে!গীয় সভ্য সম্পর্কে তাহার মনে আন্তে আন্তে একটি দারুণ দ্বণা ও বীতরাগ জন্মিতে থাকে। ইংলণ্ডে থাকাকালে যে-ইউরোপ তাহাকে অভিভূত করিয়াছে, দেশে প্রত্যাবর্তনের অনতিকাল পরেই সেই ইউরোপ সম্পর্কে তাহার তীব্র সংশয়, বিদ্বেষ ও বীতরাগ লক্ষ্য না করিয়া পারা যায় না। তাই 'সভ্যতার সঙ্কটে ইউরোপের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করিয়া আবার পরক্ষণই লিখিলেন, . «***এই গেল জীবনের প্রথম ভাগ। তারপর থেকে ছেদ আরম্ভ হল কঠিন ছুঃখে। প্রত্যহ দেখতে পেলুম-_সভ্যতাঁকে যারা চরিত্র-উৎ্স থেকে উৎসারিত রূপে স্বীকার করেছে, রিপুর গ্রবর্তনায় তার! তাকে কী অনায়াসে লঙ্ঘন করতে পারে 1” সেই ছেদ--সেই কাল যে এখন হইতেই শুরু হইল তাহাতে সন্দেহ নাই। 'কালাস্তর' প্রবন্ধেও তিনি তাহার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখযোগা পরিবর্তন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণ করিয়াছেন । তিনি লিখিয়াছেন, “ক্রমে ক্রমে দেখা গেল, মুরোপের বাইরে অনাস্মীয়মগ্ডলে যুরোগীয় সভাতাত্ব" মশালটি আলে! দেখাবার জন্যে নয়, আগুন লাগাঁবার জন্যে । তাই একদিন কামানের গোল! আর আফিমের পিও একসঙ্গে বর্ধিত হল চীনের মর্মস্থানের উপর | ইতিহাসে আজ পর্ধস্ত এমন সর্বনাশ আর কোনো দিন কোথাও হয় নি।-৮ [ কালান্তর ॥ পৃঃ ১৩] স্বদেশেও তিনি উঠিতে বমিতে ইংরাজ সাম্রাজ্যবাদীদের নির্মম শোষণনীতি ও জঘন্য" মনোবৃত্তির পরিচয় পাইতেছেন। প্রতি মুহূর্তেই দেশবানীকে এদেশীয় ইংরাজদেয় হাতে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হইতে দেখিতেছেন। 10700181 11100 নামে একটি এদেশীয় ইংরাজ পত্রিকা! 578175100081)কে উদ্ধৃত করিয়৷ সদস্তে লিখিয়াছিলেন, %1০8 00060] 8750 8170 01061) 50681 €0 0061), রবীন্দ্রনাথ এই ওদ্ধত্য বরদাস্ত করিতে পারেন নাই। ভারতী (১২৮৮ জ্যেষ্ঠ ) পতিকায় "“জুতা-ব্যবস্থা' নামক প্রবন্ধে তিনি ইহার তীব্র গ্রতিবাদ ও সমালোচনা করিয়াছিলেন । দেশবাসীকে ইহা! নীরবে সহ করিতে দেখিয়! এ প্রবন্ধে তিনি তাহাদের তীব্র ্লেষ ও বিদ্রুপ করিতেও ছাড়িলেন না। এককথায়, ইউরোপ সম্পর্কে কবির মোহভঙ্গ শুরু হইল এখন হইতেই। ॥ ইলবার্ট বিল ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত ॥ ইতিমধ্যে দেশে “ইলবার্ট বিল" লইয়৷ প্রবল উত্তেজন! শুরু হইয়! গেল। লর্ড রিপন তখন বড়লাট। ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে ব্যবহার সচিব স্যর কুর্টনি ইলবার্ট একটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করিলেন। এতদিন পরযস্ত দেশীয় জন্জ বা! ম্যাজিস্ট্রেটগণ ইউরোপীয় অপরাদীদের বিচার করিতে পারিতেন না; কিস্তু এই খসড়ায় দেশীয় বিচারকদের সেই অধিকার দেওয়া হইয়াছিল। ইউরোপীয়ের! ক্ষিপ্ত হইয়া এই বিলের তীব্র সমালোচন৷ করিতে লাগিলেন । শেষ পর্যস্ত এই আপস হয় যে, ইউরোপীয়ের! ইচ্ছ। করিলে বিচারের সময় ইউরোপীয় জুরীর জন্য প্রার্থনা! করিতে পারিবেন । ১৮৮৪ গ্রীষ্টাৰে এই বিল পাশ হইয়। যায়। এই আন্দোলনের সময় দেশবাসী এদেশীয় ইউরোগীয়দের মানস-রূপটি অত্যস্থ নগ্রভাবে দেখিতে পাইল । দেখিতে পাইল, কী ভয়ঙ্কর তাহাদের স্বাজাত্য অহমিকা- বোধ ও জাতিবিদ্বেষ। তাহাদেরই বাবহারশান্্রের (00115150626 )' মৌলিকতম বিষয় ৪ আইন-সংস্কারগুলি যখনই এদেশে বিধিবদ্ধ হইতে চলিয়াছে. তখনই তাহাদের মিথা! ও জঘন্য স্বাঙ্গাত্যাভিমানবোধ আহত হইয়াছে; নিলজ্জের মত এই আইনকে বানচাল করিবার জন্য তাহার! সমস্বরে তঞ্জন-গঞ্জন স্তর করিয়াছে। এই “ইলবার্ট বিল আন্দোলনের সমম্নই ভারতবর্ষের ত্দানীস্তন পররাষ্ট্রসচিব সেটন্‌ কারু অত্যন্ত লঙ্জার সহিত মস্তবা করেন, "সামান্য বাঙলার অধিবাসী চা-কর কিংবা নীলকরের সহকারী থেকে আবস্ত করে প্রাদেশিক রাজধানীর প্রখ্যাতনাম! সংবাদপত্র সম্পাদক, প্রাদেশিক প্রধান রাজকর্মচারী থেকে আরম্ত করে সিংহাসন অধিরঢ রাজপ্রতিনিধি পযন্ত উচ্চ-নীচ, সকল ইংরেজ মনে মনে এই বিশ্বাস পোষণ করে আসছেন যে, তার। এমন একটা জাতিতে জন্মগ্রহণ করেছেন যে-জাতি ভগবং-নির্দেশেই অপর জাতিকে বশ্বতভাধীনে আনবে ও শাসন করবে। এই আইন পাশ করার ফলে ইংরেজদের সেই সযদ্বপোধিত ধারণ! বিষম আঘাত লাভ করল ।”--টমসন্‌ ও গ্যারেট [ জওহরলাল নেহরু- ভারত সন্ধানে ॥॥ পৃঃ ৩৬২ ] কিন্ত বিস্ময়ের ব্যাপার, দেশের এতবড়ে। একটা উত্তেজনাকর ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথের মনে কোনে। প্রতিক্রিয়। দেখ! যায় নাই। ইলবার্ট বিলকে কেন্জ্র ৪১ 'করিয়৷ দেশবাসী ও ইউরোপীয়দের মধ্যে যে স্বা ও জাতিবিছেষের ভাব তীব্র হইয়া উঠিয়াছিল, সে সম্পর্কে তাহার কোনো মন্তব্য ব! প্রতিবাদ দেখ! যায় না। কিছুদ্দিন পূর্বে সামান্ত একটি ব্যাপারকে উপলক্ষ করিয়া নুরেন্্নাথের কারাগার হইয়া! যায়। সে সম্পর্কেও তাহাকে কিছু মন্তব্য করিতে দেখ! যায় না। রবীন্দ্রজীবনীকার আমাদের বলিতেছেন যে, তখন তিনি কারোয়ারে সত্যেন্্রনাথের নিকট থাকায় কলিকাতার উত্তেজনার বিশেষ কিছু জানিতে পারেন নাই, কলিকাতায় থাকিলে কবির স্পর্শচেতন মন ইহাতে নিশ্চয়ই সাড়া দিত। কিন্তু দেশে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে বা তাহার অনতিকাঁল পরে সার! দেশময় যে সব রাজনৈতিক উত্তেজন! ও আন্দোলন চলিতেছে তাহাকে রবীন্দ্রনাথ একেবারেই সমর্থন করেন নাই, পরস্ত এইসব রাজনৈতিক আন্দোলনগুলিকে তিনি তীব্র ও তীক্ষ ভাষায় বিদ্রপ করিয়৷ আক্রমণ করিয়াছিলেন । স্থরেন্্রনাথ কারাগার হইতে মুক্তিলাভ করিবার পর দেশের রাজনৈতিক এ দেশহিতৈষী কাধকলাপ পরিচালনার জন্য 'ন্াশন্তাল ফাণ্ড' নামে একটি “ফাণ্ড' ব! ধনভাগ্ডার স্থাপন করিলেন । ইহার কিছুদিন পর স্ুরেন্দ্রনাথ, আনন্দমোহন বন্থ, শিবনাথ শাস্ত্রী, হ্বারকানাথ গাঙ্গুলি প্রমুখ কয়েকজনের উদ্যোগে “ইপ্ডিয়ান হ্যাশহ্যাল কনফারেন্স” ( ২৮শেশ৩০শে ডিসেম্বর, ১৮৮৩ ) আহ্বান কর! হয়। এইসব আন্দোলনের দাবি ও বিষয়বস্তগুলি একান্তই বুদ্ধিজীবীশ্রেণীর ছিল, ভারতের বৃহত্তর জনসাধারণের কোনো উল্লেখযোগ্য দাবি-দাওয়ার বিষয় লইয়া আন্দোলন করিবার কথ! তখনও তাহাদের মনে উদয় হয় নাই । ফলে আন্দোলন কলিকাত৷ ৪ শহরাঞ্চলের বিশেষ একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী এবং যুবকদের মধ্যেই সীমাব্ধ ছিল। ইউরোপীয়দের ন্যায় সমান স্থযোগ-স্থবিধালাভ ও জাতীয় অবমাননাকর বিষয়গুলির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাই ছিল ইহাদের মূল লক্ষ্য । সে- যুগের আন্দোলন স্বভাবতই “আ্যাজিটেশন"মূলক ছিল। সভাসমিতিতে ভাবাবেগপূর্ণ ও উত্তেজনাকর ভাষায় বক্ৃত।৷ করিয়া ইংরাজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্ট! চলিত এবং বক্তৃতাগুলি ইংরাজী ভাষায় হইত। রবীন্দ্রনাথ বা! ঠাকুর পরিবারের লোকেরা কেহই এই ধরনের আন্দোলনগুলি ভালো চোখে দেখিতে পারেন নাই। এই আন্দোলনগুলির মধ্যে এদেশীয় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীশ্রেণীর সংকীর্ণ শ্রেণীন্বার্থ ই উৎকটভাবে ফুটিয়া উঠিত এবং দেশের সর্বসাধারণের ছুঃখ-ুর্দশার কথা বিন্মাত্রও থাকিত না বলিয়াই তাহাদের এই বিরূপতা। রবীন্দ্রনাথ এই দু্টিভঙ্গিকে তীব্র আক্রমণ করিয়া একটি প্রবন্ধে বলিলেন, “এখন 'ভ্রাতাগণ” ভিগ্নিগণ'* “ভারতমাতা' নামক কতকগুলা শব কটি €ৰ হইয়াছে, তাহারা অনবরত হাওয়া! খাইয়! খাইয়। ফুলিয়৷ উঠিতেছে ও তারাবাজির মত উত্তরোত্তর আসমানের দিকেই উড়িতেছে, অনেক দূর আকাশে উঠিয়া হঠাৎ আলো! নিবিয়! যায় ও ধপ্‌ করিয়। মাটিতে পড়িয়া যায়। আমার মতে আকাশে এরূপ ছুশে! তারাবাজি উড়িলেও বিশেষ কোনে সুবিধ! হয় না, আর ঘরের কোণে মিটুমিট করিয়। একটি মাটির প্রদীপ জলিলেও অনেক কাজে দেখে ।* [ চেঁচিয়ে বলা--ভারতী, ১২৮৯ ॥ পৃঃ ৫১১-১৬ ] তখন “নেশন” গ্যাশন্যাল', 'ন্যাশান্তালিজিম্‌ প্রভৃতি শব্গুলির ব্যাপক ব্যবহারও প্রচলন হইতেছে । রবীন্দ্রনাথ এ-সম্পর্কে মন্তব্য করিলেন, 'স্যাশনল শব্টার ব্যবহার অত্যন্ত প্রচলিত হইয়াছে । ন্যাশনল থিয়েটর, স্টাশনল মেলা, ন্যাশনল পেপর ইত্যাদি. | সম্প্রতি ন্যাশনল ফণ্ড আর একটা কথ। শুনা যাইতেছে ।--একমাত্ব 0০911605] ৪8100190-ই এই অন্তষ্ঠানের উদ্দেশ্য |” : তিনি বলিলেন, “আমাদের দেশে 70০01100651 8£1580102 করার নাম ভিক্ষাবৃত্তি করা ।""ভিক্ষুক মানষেরও মঙ্গল নাই, ভিক্ষুক জাতিরও মঙ্গল নাই । -উংরেজদের কাছে ভিঙ্গা পাইয়! আমর। আর সব পাইতে পারি, কিন্তু আত্মনির্ভর পাইতে পারি না।'"-ভিক্ষার ফল অস্থায়ী__আত্মনিভরের ফল স্থায়ী ।--.গবর্ষে্টকে চেতন করাইতে তীহার! যে পরিশ্রম করিতেছেন, নিজের দেশের লোককে চেতন করাইতে সেই পরিশ্রম করিলে যে বিস্তর শুভফল হইত ।” [ স্তাশনল ফণ্ড--ভারতী, ১২৯০ কাক ] স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, রবীন্দ্রনাথ এই ধরনের 7০1101081 ৪£1050100- গুলিকে সমর্থন করিতেছেন না, প্রন্ত তীব্র বিরোধিতা করিতেছেন । এইসব প্রবন্ধগুলির মধো রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত, তিনি সে-যুগের রাজনৈতিক আন্দোলনগুলিকে সমর্থন করিতে পারেন নাই । কেননা উহার মধ্যে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী উৎকট শ্রেণীন্বার্থ ই প্রকটিত হইয়া উঠিয়াছিল। দ্বিতীয়ত, রবীন্দ্রনাথ রাজনীতির স্থলে সমাজ-সংস্কার ও শিক্ষ।- সংস্কার আন্দোলনকেই অগ্রাধিকার দিতে চাহিলেন। রাজনীতির প্রতি সন্দেহ ও বীতরাগ তাহার এখন হঈতেই পরিষ্কার লক্ষ্য কর! যায়। তিনি বলিলেন, "আমাদের সমাজের পদে পদে এতশতপ্রকার কর্তবা রহিয়াছে যে, কতকগুলো বাধিবোল বলিয়া সময় ও উদ্যম নষ্ট করা উচিত হয় ন।।-*.এত স""জিক শক্র চারিদিকে রহিয়াছে তাহাদের কে নাশ করিবে !*"*আগে দেশের অবস্থা সম্বন্ধে উদাহরণ সংগ্রহ কর, ভাবিতে আরম্ভ কর ও বলিতে শেখ, তাহা হইলে আর ৪6৩ সকলে শুনিতে আরম্ভ করিবে ।” এইসব সামাজিক সংস্কারের সহিত তিনি শিক্ষা-সংস্কারের উপর জ্জোর দিয়! বলিলেন, “বন্ববিষ্যালয়ে দেশ ছাইয়া সেই সমুদয় শিক্ষা বাংলায় ব্যাপ্ত হইয়া পড়ুক। ইংরেজিতে শিক্ষ! কখনই দেশের সর্বত্র ছড়াইতে পারিবে না।” [ন্তাশনল ফণ্ড--ভারতী, ১২৯০ কাণ্িক ॥| পৃঃ ২৯৩ ] লক্ষণীয়, রবীন্দ্রনাথ জনসংযোগ ও জনচেতনার উপর এখন হইতেই জোর দিতে চাহিয়াছেন। সেই যুগের বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলনে জনন্বার্থের প্রতি উদাসীনত। বা জনসংযোগহীনতা তাহাকে পীড়৷ দিয়াছে। সে-যুগের রাজনীতি, ইংলগ্ডের নিয়ম্তাস্ত্রিকতার “ঢউসর্বন্ব* আন্দোলনে পরিণত হইয়াছিল । তাহাদের আবেদন- নিবেদনের সবটাই ছিল উপরওয়ালাদের কাছে অর্থাৎ ইংরাজ সরকারের কাছে, দেশের জনগণের কাছে নহে। তাই তাহাদের ভাষার মাধ্যম ছিল ইংরাজী । কিন্তু দেশের জনগণকে সচেতন করিতে হইলে তাহা জনগণের ভাষ| হওয়া দরকার-_-বাংলা ভাষ। হওয়! দরকার । অপরদিকে দেশের জনসাধারণের দিকে তাকাইলে দেখ! যাইবে যে, জনসাধারণ “যে তিমিরে সেই তিমিরেই" রহিয়া গিয়াছে । শ্বাদেশিক প্রস্ততিতে রবীন্দ্রনাথ জনশিক্ষাকে সর্বাগ্রাধিকার দিতে চাহিলেন ; এবং সে-শিক্ষা বাংলাভাষার মাধ্যমে হওয়া দরকার । “বঙ্গবিদ্যালয়ে ছাইয়া সেই সমুদয় শিক্ষা বাংলায় ব্যপ্ত হইয়া পড়ুক । ইংরেজিতে শিক্ষা কখনই দেশের সর্বর ছড়াইতে পারিবে ন1।”-_এই কথা বাংলাদেশে বোধ হয় বিদ্যাসাগরের পরে রবীন্দ্রনাথের মুখেই শুন! গেল। সেই যুগে এই "কথা বলার তাৎপর্য যে কী গভীর তাহা নিশ্গাই কাহাকে? বলিয়া বুঝাইবার প্রয়োজন হইবে না। সেই যুগের আন্দোলনে ইংরাজ রাজপুরুষদের নিকট হইতে সমর্থন বা “বাহব।* পাইবার অত্যুগ্র লোভ ছিল। যাহাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ এত “নালিশ তাহাদের নিকট হইতেই এই স্বীকৃতি পাইবার লালসাকে রবীন্দ্রনাথ মানসিক দৈ্য বলিয়া! অভিহিত করিলেন। কিছুদিন আগে টাউন হলে কয়েকজন ইংরাজ রাজপুরুষকে লইয়া একটি জনসভ! হয়। সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথের জাতীয় মর্ধাদাবোধ যেন অত্যন্ত স্পর্শচেতন হইয়া পড়ে। তিনি কঠোর বিদ্রপ ও শ্লেষাত্মক ভাষায় তাহাদের আক্রমণ করিয়! লিখিলেন, “সেদিন টাউন হলে একটা মস্ত তামাশ! হইয়া গিয়াছে । ছুইচারিজন ইংরেজে মিলিয়া আশ্বাসের ডুগৃড়ুগি বাজাইতেছিলেন ও দেশের কতকগুলি বড়লোক বড় বড় পাগৃড়ি পরিয়া নাচন আরম্তু করিয়া! দিয়াছিলেন।""" “***্যাহার! দেশকে অপমান করে দেশের কোনো স্থপুত্র তাহাদের সহিত সম্পর্ক রাখিতে পারে না। একটুখানি সুযোগের প্রত্যাশায় যাহার! গ্লাতের পাটি সমন্ডট। বাহির করিয়া! তাহাদের সহিত আস্মীয়ত৷ করিতে ঘাইতে পারে তাহাদিগকে দেখিলে নিতান্তই ত্বণাবোধ হয়|” [*টৌন্হলের তামাশা-_ভারতী, ১২৯* পৌষ ॥ পৃঃ ৪১৮ ২১] সেকালে ইংরাজ রাজপুরুষদের হাতে এদেশীয় মাহষের! প্রতিদিন প্রতিহূর্তে কিভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হইত, সে-ইতিহাস কাহারও অজানা নাই। তাহার! যে রাজার জাত' তাহারা যে আমাদের 'দগ্ুমুণ্ডের হর্ভা-কর্তী-বিধাতা'-- সে-কথাট! উঠিতে-বসিতে, খাইতে-গুইতে তাহাদের বুটের লাথি খাইয়া বুঝিতে হইত। অসহায় দেশবাসী নিরুপায় রুদ্ধ আক্রোশে গুমরিয়া মরিত। জাতির এই অপমানের জাল! রবীন্দ্রনাথকেও ভোগ করিতে হইয়াছে । এই সময়কার “হাতে-কলমে নামক প্রবন্ধে তিনি ইহার প্রতিরোধের আহ্বান জানাইলেন, “আজকাল প্রতিদিন প্রাতে উঠিয়াই ইংরেজ কর্তৃক দেশীয়দের প্রতি অত্যাচারের কাহিনী একটা-না-একটা শুনিতেই হয় ।"** “ - যতবার মফন্বেলে একজন ইংরেজ একজন দেশীয়ের প্রতি অত্যাচার করে, যতবার এই দেশীয়ের পরাভব হয়, যতবার সে অদৃষ্টের মুখ চাহিয়া! সেই অত্যাচার ও পরাভব নীরবে সহা করিয়। যায়, যতবার সে নিজেকে সর্বতোভাবে অসহায় বলিয়। অন্তভব করে, তন্তবারই যে আমাদের দেশ দাসত্বের গহ্বরে এক-পা করিয়। আরও নাবিতে থাকে | কেবল কতকগুলো মুখের কথায় তুমি তাহাকে আত্মমধাদা শিক্ষা দিবে কি করিয়া ?.-"শিক্ষা দিতে চাও এক কাজ কর। একবার একজন ইংরেজের হাত হইতে একজন এদেশীয়কে ত্রাণ কর। একবারও সে বুঝিতে পারুক ইংরেজ ও অদুষ্ট একই ব্যক্তি নহে।.."ইংরেজের প্রতিদিনকার ব্যবহারগত যথেচ্ছাচারিত। দমন করিয়৷ খন দেশের লোকেরা আপনাদিগকে কতকট! তাহাদের সমবক্ষ জ্ঞান করিবে, তখনই আমাদের যথার্থ উন্নতি আর্ত হইবে, দাসত্বের থরথর-ভীতি দূর হইবে ও আমরা নতশির আকাশের দিকে তুলিতে 'পারিব। মে কখন হইবে, যখন আমাদের দেশের সাধারণ লোকেরাও ইংরেজের প্রতিকূলে দণ্ডায়মান হইয়া কথঞ্চিৎ আত্মরক্ষার প্রত্যাশা! করিতে পারিবে। সে শুভদদিন বা কখন আসিবে, যখন স্বদেশের লোক স্বদেশের লোককে সাহায্য করিবে। এ যে শিক্ষা, এ যথার্থ শিক্ষ|, এ জিহ্বার ব্যায়াম নহে, ইহাই শ্বদেশহিতৈষিতার প্ররুত চর্চা |” [ হাতে-কলমে--ভারতী, ১২৯১ আশ্বিন ॥ পৃঃ ২৩৪ ] রবীন্দ্রনাথ এমনি একটি উদাহরণ দিলেন। দেশের যাবতীয় সমস্থ ও ছুঃখ- কষ্টের ব্যাপ|রে তিনি দেশকর্মীদের সরকারের কাছে আবেদন-নিবেধন ন! করিয়। ৪9€ তাহাদের স্বয়ং প্রতিকারের জন্ত আগাইয়া আমিবার আহ্বান 'জানাইলেন। এইখানে একটি জিনিস লক্ষ্য করিবার মৃত যে, রবীন্দ্রনাথ রাষ্ট্রের (90566 ০: 39567200601) ভূমিকাটি সম্যক উপলব্ধি করিতে পারিলেন না । বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী সরকার দেশের সম্পদকে যেভাবে নিঃশেষ করিতেছিল এবং শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক দিক হইতে তখন যেসব অমান্তষিক অত্যাচার ও নির্ধাতন চলিতেছিল, তাহার গুরুত্বকে লঘু করিযা দেখা ঠিক ছিল না। অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক সংস্কার, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রা ৷ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য এযাজিটেশন-আন্দোলনের বিরাট তাৎপযাটি রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করিতে পারেন নাই । আমাদের দেশের বাস্তব অবস্থায়, রাজনৈতিক সংগ্রামের কুচনাপর্বে, আন্দোলন এ ধরনের “এ্যাজিটেশন*মূলক হইতে বাধ্য । অবশ্য রবীন্দ্রনাথ এইসব আন্দোলনের ক্রটিবিচ্যুতি ও নেতিমূলক যে-সব বিষয়গুলির দিকে অঙ্গুলিসংকেত করিয়! জনসংযোগ ও শিক্ষা-সমাজ-সংস্কারমূলক আন্দোলনের ডাক দিলেন, এঁতিহাসিক দিক হইতে উহার তাৎপর্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবু প্রায় এই সময় হইতেই রবীন্দ্রনাথের রাজনীতির প্রতি বীতরাগ লক্ষ্য করা গেল। ॥ কংগ্রেস ॥ ১৮৮৫ খ্রীষ্টা্ব জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় বৎসর । এ বৎসরই ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের জন্ম হয়। সারা ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বে দেখা যায় নাই । ১৮৮৫ গ্রীষ্টাবে বোম্বাই শহরে কংগ্রেসের প্রথম সম্মেলন হয়। সভাপতি নির্বাচিত হন বিখ্যাত ব্যবহারজীবী উমেশচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায় । সকলেই জানেন যে, আযালন অক্টোভিয়ান হিউম্‌ নামক জনৈক ইংরাজ সিবিলিয়ান ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্ররুত জনক। মিঃ হিউমের এই সংগঠন গড়িয়া তুলিবার পশ্চাতে যে বিশেষ গুঢ় উদ্দেশ্রাটি ছিল, সেই সম্পর্কে শ্রীসীতারামীয়! তাহার “7১6 77150015 0£ 006 [7)0121) 900708] 0078:655, গ্রন্থে লিখিতেছেন, “০১১0 12010061080 010100796801981915 ০51061১06 0080 08৪ 701161581 01500107661) ৪৪ £010£ 017061:8:0015....30€ 008৫ 21) 01£81)1560 10001)5 ৬23 81680 100 0108 006 0601916 061806 100) 2 50086 01 100706155575685, আ৪10060 0০ 0০ 50006001198, ০5 19101) আ৪3 10616] 10628150 & 800061) 5£0161)0 00001681 0:£ 80018010 ০0086, 10010061506 000031005 0615009, 10006 01 08101615 214 109001)6 ০ 0822815, 8০5 1658115 0£ 18 1655875655$ 1১101) 05 ৪ 006 0098165061056 ০0 101069 10161)6 22 085 06৮6106 11700 & 22010091 £:৪৬৮০1০ 5301) আ€16 0106 88811818 11095 01 006 106০0817 1) 90100085. [70006 00616500020 15501550 0 0060, 8 5816 58155 101 0019 0107650 8100 006 (01381688 ৪৪ 51801) ৪1) 00016.” [7006 71500506036 10029100108] 00198:653. 0. 8 বল| বাহুল্য, ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ কিংবা রাজনৈতিক স্বাধীন্তালাভ কংগ্রেসের উদ্দেশ্ট বা লক্ষা ছিল না। সেষুগের কংগ্রেস ছিল, সেকালের সরকারী কর্মচারী ও বুদ্ধিজীবীদের একটি আধারাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সারা ভারতের জাতীয় এক্য প্রতিষ্ঠা এবং বুদ্ধিজীবীদের একটি নিখিল ভারত সংগঠনের মধ্যে সংহত ও সংঘবদ্ধ করাই ছিল ইহার অতি প্রাথমিক লক্ষ্য। ব্রিটশের উপর কংগ্রেমনেতৃবৃন্দের ছিল অসীম আস্থা। ইংরাজী শিক্ষা ও ৪৭ শাসন-সংস্কারগুলির জন্য ইংযান্গের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় ইহাদের মাথা! নত হইয়া আসিত। তখন কংগ্রেস ইংরাজন্শাসনের দীর্ঘ জীবন কামন। করিয়া উহারই পক্ষপুটের আড়ালে আশ্রয় লইয়া নিজেদের পরিপুষ্ট ও সাবালক করিয়। তুলিবার কথ। সগর্ধে ও উচ্চকণ্ঠে ঘোষণ! করিত । ১৮৮৫ গ্রীষ্টাব্ষে কংগ্রেসের প্রথম বোম্বাই অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় উপসংহারে বলিলেন, 10018 1390 ১661 40006 ০05 21696 83176811800: 006 20156 0£ 70019) 2170 006 10016 ০০0০৮৮ ৪৪ 20015 £186610] 6০0 17061 (01 2৮, 5156 1080. 81560 (06100 01061 5156 080 81৬61 0156100 181] আ৪৪১ 2100, ৪০০৮৪ 211, 5156 17980 81৬61 006170 006 16500081016 016551798 ০৫ ৬/০৪০ত) 2৫0080101, 306 2 £:6526 0621] 5611] 16009817760 00 19৩ 00156. ৮56 00016 7010£1659 002 0801১16 10806 10 500580101 900. 1008621158] 0:০930210059 006 86266] 01310 ০6 006 15181001800 70011015981] 10800615 2174 0005 15621751 00611 065116 101 0০011610581 20817061060. [76 00008106008 00611 06815 0০ ০০ £€০৬০1১০৫ 860010176 00 0156 10693 0৫ 60৮61770061) 02655216196 এ) 01016 “85 18 180 ভাত 10800200198268016 100 00617 000100180 105915 10 006 31105 (09৬6121861)0 4১11 00586 0065 06512:60 আ৪5১ 0080 006 08813 ০016 006 (30৬61001060 51)0010 06 আ10615604 8100 0090 006 1১6০০125 800010 0856 0161 71006 8100 16810100806 51081611010, 006 01500551017 0080 0010 0805 17918০6 1 [1515 €000£1655 9110, 115 0611556, ০০ 85 80981)0986005 00 095 10011725 80000120165 23, 106 চ85 8036, 10 0014 ০০ 0০ 00০ ০০০16 পট 18156. [ 0019£555 1:6510610615] £00165525 £ ৬০1. 1. 7. 3-4] কংগ্রেসের দ্বিতীয়-অধিবেশন হয় কলিকাতায় (১৮৮৬)। কলিকাতা- অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত ভন দাদাভাই নৌরজী। প্রা চারিশতাধিক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেন। সভাপতির অভিভাষণে ব্রিটিশ-প্রশস্তি গাহিয়৷ নৌরজী বলিলেন, « [615 001 ৫০০৭ 609100155 0086 ০ 815 01061 2, 10016 10101) [081055 10 99981012 ৫0: 03 00107366110 01013 109006]. (006675). ১১,906 ৪ 00108 25 00881015 02006231105) 1016 87৫ 80161801016 0015 (1106 0/6675,.) 21061 17000 0156 0069001 19180] 2 18 0019 001781539 ৪1755615101 56010101) 800 16৮৫. 1100 8881081 006 13210151) 03056120067) (0265 01 410, %০0 1) ০1, ৪৮ 85 1৮ 8590061 96056 10 005 1003290500 0 ৫56 52655 01 0581 39568106796 2 (7565 ০7 1758, (৪).০ +,.11786 0৪ 89688 006 1166 1052) 00. 0:051910 01781 জাত 825 8০581 6০ 056 080০০06 (07%6679) 3 058 6 010061508150 08856 0656565 200811815 2015 2851 500522509০0 057 08 জাত €00:058015 80:69 00৩ 600081502 1086 1298 85560. €০ 029১ €56 156 তআ 11696 আ12801) 1085 19658 7০0:36৫ 00. 015১ 00117007805 £1020 081510658 150০ 1817 2700 0658615806 ও৪ 0065 1067 1658010, 6086 8067)85 ৪:6 00806 107 65০ ০০০1০, 006 2069015 £0 01062 2585 1 8156 0515 1557 1685013 ০ 18856 16811)50 81705086 006 48710068806 £81800 ৫6829050 02215 ৮5 09০ 11896 ০1 266 81150 ০1511859501, (17082 ০786675 )...৯ [ 1010. 2. ০-8৪.] ভারতবর্ষে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় ষে সব থেকে অনুগত ও বিশ্বস্ত রাজভক্ত , প্রজ্ঞা” কবে কখন “সেক্রেটারী অব স্টেট' এবং অন্তান্ত রাজপুরুষের! এই মর্মে মন্তব্য ও সার্টিফিকেট দিয়াছিলেন, তাহারই উল্লেখ করিয়া তিনি বিনীত কণ্ঠে ইংরাজের ক্যাছে আবেদন জানাইলেন, ৬/০ 5819) 01061656016, 0:০066৫ 10 005 0000956 86161015 800 আঃ 6৬০1: 50260610০55 0386 001 101615 ০ 00061508170 €25 7 0086 0065 00 01061568590 0503 100008568 2100 8156 ০:৫৫ 00 93 62915588101)5 0৫ 10510, 2034 আত 15660 006 10 (0156 16850 5816 £02 2) 100028,015006186 ০0£ 088105815 ০: 205 010818৬ 0 09:05:58 আ110 10695 0£ 80105610806 006 7815015 0০67 0086 1295 ০৩ 036 0108 05 180001176 1016590252016 ০02 11173150056 81501510815 01: 01100065. (11080 6786278)...৮ [ 17080. 0.9] ইহা হইতেই সে-যুগের কংগ্রেস নেতৃবর্গের ও কংগ্রেস সেবীদের মনোবৃত্তি ও চিন্তাধারার প্রকৃতিটি স্পষ্ট হইয়৷ পডে। ইহার পূর্বে সিপাহী বিজ্রোহ্‌, সাওতাল বিদ্রোহ ও অন্ান্ত কৃষক বিদ্রোহগুলিকে কি কারণে বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় সমর্থন করিতে পারেন নাই, তাহাও বুঝিতে কষ্ট হয় না। তাহার প্রধান কারণ, আমাদের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের কোনে! দৃঢ় অর্থনৈতিক বনিয়াদ ছিল না । ভারতের জাতীয় শিল্প তখনও ভালোভাবে গড়িয়া উঠে নাই এবং সম্ভপ্রন্থত শিল্পপতিশ্রেণীর সহিত তখনও বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর সংযোগ স্থাপিত হয নাই। রুজি- রোজগার ও কর্মসংস্থানের দিক হইতে ইহার! ছিলেন প্রায় সম্পূর্ণভাবে ইংরাজ সরকারের উপর নির্ভরশীল । দেশীয় সিবিলিয়ান, উচ্চ রাজকর্মচারী, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তার ও কিছু অভিজাতশ্রেণীর ইংরাজী শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায়ই ৪৯ রদীন্রণাথ ॥ ৪ ছিলেন এই স্যাচ্দোলনের প্রাণ-স্বরূপ। ইংরাজ-পূর্বকালের সামস্তত়া্িক সহাজ* ব্যবস্থার তুলনায় এইসব বুদ্ধিজীবীরা অধিকতর স্থবিধা! ও ব্যক্তিস্বাতন্্য অনুভব ফরিয়াছিলেন। দ্বিতীয়ত, ইংরাজ সাম্রাজ্যবাদের কল্যাণেই আধুনিক জান-বিজান ও আধুনিক ইউরোগীয় সভ্যতা-সম্পদের সহিত তীহাদের পরিচয় হইয়াছিল। ইংরাজী সাহিত্য ও ইংলগ্ডের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনও তাহাদের এতথানি অভিভূত করিয়াছিল যে, এদেশে ইংরাজের সাম্রাজ্যবাদী শোষণ-নীতির প্রকৃত রূপটি স্তাহাদের কাছে ধর! গড়ে নাই বা তাহার গুরুত্ব লঘু হইয়া পড়িয়াছে। দাদাভাই নৌরজী বলিলেন, তীহার! “হাড়ে-মজ্জায় ভ্িটিশ-ভক্ত । কথাটা মিথ্যা নছে। এদেশে সাম্রাজ্যবাদী শোষণরূপাট যে তাহার! একেবারেই দেখিতে পান নাই এমন নহে । তীহাদের ধারণাঁ_-ইংরাজের, বিশেষ করিয়া ইংলগ্ডের পালামেন্টের, বিবেক ও হৃদয় আছে। ঠিকমত তাহাদের অভাব-অভিযোগের কথাগুলি আবেদন- নিবেদনের মাধ্যমে বলিতে পারিলে তাহার স্থবিচার হইবে । | পালণমেণ্টের সন (১৮৩৩), মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ ), হাইকোর্ট স্থাপন ও কাউন্সিল এ্যাক্ট ( ১৮৬১ ), লিটনের আমলে '্ট্যাটুটারী সিভিল সাভিস” (১৮৭৯) রিপনের আমলে “লোকাল গবর্ণমেন্ট এ্রাক্ট' ও “ফ্যাক্টরি আ্যাক্ট', 'হাশ্টার কমিশন', “ইলবার্ট বিল এবং সর্বশেষে লর্ড ভাফরিনের আমলে 'পাবলিক সার্ভিস কমিশন" _বস্তত এইসব সংস্কারগুলির ফলে তাহাদের ধারণ! হইয়াছে বুবিব৷ আস্তে আস্তে দেশবাসীর দাবিগুলি ইংরাজ মানিয়! লইবে। -রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথ! তখন তাহার! ধারণার মধ্যেও আনিতে পারেন নাই। এমনকি জাতীয়-শিল্পের সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের দাবি-দাওয়াও কংগ্রেসের প্রথম যুগে বছদিন পর্যন্ত শোনা! যায় নাই । সে যুগের কংগ্রেসের দাবি-দাওয়া মধ্যে তৎকালীন নেতৃত্বের শ্রেণী-চরিত্রের রূপটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছিল। যখা--একটি “রয়েল-কমিশন' নিযুক্ত করিবার দাবি, সম্ভ-নিষুক্ত “পাবলিক সার্ভিস কমিশনে" গবর্ণমেণ্টের পূর্বাপর ঘোষণান্থ্যায়ী অধিকতর দ্বদেশীয় ব্যক্তি নিযুক্ত করিকীর এবং ইংরাজ সিবিলিয়ানদের স্যার তাহাদের সম- অধিকার দানের দাবি, ব্যবস্থাপক সভার (15281518055 0০913০11) অধিক সন্তাবারণ ও সংক্কার এবং নির্বাচনদূলক প্রতিনিধি প্রেরণ ব্যবস্থার দাবি ইতযাি ইত্যাছি। আরর্শ (189০185 ), তত্ব ও রাজনীতির বালাই তাহাদের ছিল ন|। ১৮৩৩ রীযান্দের পারণমেক্বের সনদ ও ১৮৫৮ এষ্টানের “মহাক়্ানীর ঘোষণাপত'ই ছিল স্ব তাহাদের সফল উৎসাহ ও উদ্দীপনার উৎস। এইসব ঘোষণাপত্রের কথা বলিতে গিয়া নেতৃবর্গ সে-বুগে কিরকম ভাবাবেগে অভিভূত হইয়া! পড়িতেন, কৌতুহলী পাঠকের অবগতির অস্ত নিয়ে তাহার একটি দৃষ্টান্ত উদ্ধৃত করিতেছি। তখন পাবলিক সাডিস কমিশন বপিয়া্ছে। কংগ্রেসমঞ্চ হইতে লর্ড ডাফরিন ও কমিশনকে লক্ষ্য করিয়া! নৌরজী বলিলেন ( ১৮৮৬ ), 4৯3 820901062 0:০০: 0£ 0106 19665186107089 0৫6 0001 13110181) 10165, 8৪ (81: 0806 858 53 56815 ৪6০১ 0617 005 12380%68 ০0৫ [75088 084 006 606103615৩8 10115 10061808190 00611181065, 006০ 80806570612 0 775818159, ০ 0061: 0৬৩ 1165 আ1]1, 06০1060 1080 00০ 70110 ০ 12081250 08880 0০ ০৪ 6০৪:08 [0019 [0776 800 £0001581) ৬ ৪৪ 00৪ 06086 ; 056 00950101) ৪৪ 01501158860 67010 ৪1] 7১015 ০ 51০ ; 009 080661 0£ 815106 ১০1101551 ১0৬61 6০ 00৪ 0০০16, 006 1050955161)055 0৫6 0১61: ০81980£5 ৪150 0101061 ০50178$06191010108 5০:6০ ৪]1 60119 18060, 82 005 50201151018 জা৪৪ 50206 (0১ 12 1200150818016 8210 108100180025 €21058, 0080 096 ০০1০5 ০৫ 23110852712 81709010 ০০ ৪ 2০91105 0£ 1130106 ( 07665 )১ 006 0০11০5 ০6 80980560060 06 0186-5150) 01 006 100109929০6 ( 07665 ) : ঘা) ৪৪ 00 ০6 :6£31460 ৪8 ৪ 0350 019০6৫ 05 030৫ 12 00611 10817705, 81750 12 052 ৫06 01501998186 ০01 0056 0950, 00651680156 0080 006 আ০০1৫ ০110 006 40181 0800 ০6 ৫00" ৪3 1৭0 118০90185 ৪116৫ 1 ,..11018 2৩ 006 6$561)66 ০01 025 ০০1০5 0 1833 817৫ 1 005 ৪০৫ 0: 0580 5681 16 83 1810 ৫0 : “1086 150 75805601006 5810 06121601165, 002 225 1090019]- ৮০০ 500160০0 0£ 1219 1131655 1655106176 00616150811, ৮ 158801 ০0015 06103 16211810175 01806 0৫ 01109 065061)0, ০0101 01: 817 01 06100, ৮০ 01880160 1010 13010171£ 8125 019০6, ০006 0: 610105- 101 81)067 06 8210. ০020091)5. (১0107060 0786678750 ). 4৬6 ০ 000 6 ০০14 300, 85৮. 101 25016 010819 00058) 8190 811 61956 00 01683 0১018 006 00000185102 8150 (00৮61200610 18, 088 0065 81000810 170. 10006901% £0900 05 [1 07851061616 086 01680 90081706515 01756606000 33 50 56815 85০, 10612 জ৪ 001561563 615 0০0০9110016 2211800606৫ €ড€1) 0০0 85 001: 10 (2,0৫2 ০76678 ) 'মহারানীর ঘোষণার কথা উল্লেখ করিতে গিয়! তিনি বলিলেন, "..৩ [81185 08000 68006 10:80, ৪01093060 05 006 88006 188 80৫ 20৮15 16501555) ৪5 ১6606, ৪0৫ £২%০ 03 0086 £1011908 ৫৯ 0০০18098108 50010 আত 8100816066৩: 90126 8030 266:610668 8৪ 082 70880900806) 85861 5%60 0080 0565 (018806: ০0৫ 1833, ..১৮৮এ৫ট 16 50236100668 800 & 88054 8730 81021008 ০1781661 ০01 00212 11061:665 008৮ 1 62128 6৬৬ ০011৫) 8৪ 1 068128 ০ 88006 106611186006 80৫ 00 1189 105 2006:-000856, 0880 €০ ০2 20806 ৫০0 6501200286 46 €0 20619025, (066৫) [ 1910--০০, 1516 ] এমনি একটি স্ুবিধাবাদ ও ভোঁষপনীতির মধ্যে কংগ্রেসের জন্ম হয়। এই ঘাসবুলভ তোষণনীতির জন্ত ইহাদের খুব বেশী দোষ ঘ্েওয়! যায় না। কেননা শ্রেণী হিসাবে বুদ্ধিজীবীর] তখন ইংরাজ সরকারের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তবুও কংগ্রেসের এতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্ধকে একেবারেই লঘু করিয়৷ দেখা ঠিক হইবে না। দেশের শাসনকার্ধ দেশের যোগ্য লোকদের দ্বারা! চালিত হইবে-_ এই দাবি অত্যন্ত সীমাবন্ধক্ষেত্রে হইলেও কংগ্রেস সারা ভারতবর্ষের জাতীয় দাবি হিসাবে উপস্থিত করিয়াছে । সার! ভারতের জাতীয় এঁক্য ও সাম্প্রদায়িক এঁক্যের' দাবিতে সর্বভারতীয় বা নিখিল ভারত প্রতিষ্ঠান হিসাবে কংগ্রেসের অস্াুদয় একটি অতীব এঁতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । লক্ষ্য করিবার বিষয়, শুরু হইতেই মুসলমানগণ কংগ্রেস হইতে দূরে দূরে খাকিলেন। তৎকালীন মুসলমান সমাজের অন্যতম নেতা শ্তর সৈয়দ আহমদ মুসলমানদের কংগ্রেসে যোগদানের বিরোধী ছিলেন। তবুও একশ্রেণীর মুসলমান বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় কংগ্রেসে যোগদান করিলেন। কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে মাত্র ২ জন, দ্বিতীয় অধিবেশনে ৩৩ জন এবং বষ্ঠ অধিবেশনে ১৫৬ জন মুসলমান প্রতিনিধি ( মোট ৭*২ জন প্রতিনিধির মধ্যে ) যোগান করিয়াছিলেন । ॥ হত্গ্রেস ও রবীজ্্নাথ ॥ ভারতবর্ষের রা্গনীতিক্ষেত্রে কংগ্রেসের এই আবিরাব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মনে বিশেষ কিছু প্রতিক্রিরা লক্ষ্য করা! যায় না। ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে কলিকাতায় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি অংশ গ্রহণ করিয়াছিলেন বটে, তবে সে সম্পর্কে তিনি কোথাও কোন মন্তব্য করিয়াছেন বলিয়া জানা ঘায় না। এই অধিবেশনেই কংগ্রেসমগুপে তিনি “মিলেছি আঙ্ মায়ের ডাকে গানটি গাহিয়াছিলেন। তবে স্পষ্টই বুঝা যায়, কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদন এব: নির্লজ্জ ইংবাজস্ততি তাহার আদৌ ভালে! লাগে নাই। অল্প কিছুকাল আগে বাংলাদেশে “ইলবার্ট বিল আন্দোলন"-যুগের রাজনীতির সহিত কংগ্রেস-রাজনীতির বিশেষ কোনে পার্থক) তিনি লক্ষ্য করিলেন না। স্বভাবতই কংগ্রেসের এই নব আন্দোলনের উন্মাদনাকে তিনি একটু সন্দেহের চোখে দেখিতেছিলেন বলিয়! মনে হয়। অপরদিকে, কংগ্রেস-আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলাদেশে নৃতন এক ধর্ম- আন্দোলনের সুগ্রপাত হইতে থাকে । সাহিত্য-সম্তাট বন্ধিমচন্দ্র এই ধর্ম-আন্দোলনেৰ নুত্রপাত কবিলেন। বঙ্ধিমচন্দ্র ইতিপূর্বে ধর্মসংস্কাব ও সমাজসংস্কার আন্দোলন গুলিকে যে খুব ভালো চোখে দেখিতে পারেন নাই-_এবথ প্রায় সকলেরই জানা আছে। বঙ্ধিম-সাহিত্যে দেশ জাতীয়তাবাদের অগ্রিমস্ত্রে দীক্ষিত হইয়াছে -_-একথা অস্বীকার করিবার উপায় নাই, তবুও ধর্ম জিজ্ঞাসা ও সামাজিক প্রশ্নে তিনি সনাতনী হিন্দুধর্ম ও হিন্দুমাজকে রক্ষা কবিবার পক্ষে ছিলেন। এই সময় বন্িমন্্র াশ্চাতাদর্শনের সহিত গীতার সমন্বয় কবিষা! হিন্দুধর্মের এক নব-ভাম্ক রচন! করিতে শুরু করিলেন । রবীন্দ্রনাথ ইতিপূর্বে আদি ব্রাঙ্মদমাজের সম্পাদক নির্বাচিত হইয়াছিলেন। তিনি বঙ্গিমচন্ত্রের বিরদ্ধে আদি ব্রাক্ষসমাজের পক্ষ লইয়া লেখনীর মাধ্যমে ধর্মযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন । কী কারণে বুঝ। যায় না, এই সময় রবীন্দ্রনাথের মধ্যে ্রাহ্মধর্মবাদ' যেন প্রবল হইয়া উঠে। বোধ হয়, সম্পাদকপদ্ধে বৃত হইয়া উহাব গুরদাযিত্থ সম্পর্কে তিনি অতি-সচেতন হুইয়! উঠিয়াছিলেন। সেই সময় ভারতী পত্রিকায় ্রাহ্বধর্ষকে 'পৃথিবীর ধর্ম বলিতেও তিনি দ্বিধা বোধ করেন নাই। তিনি ১ এমন কথাও বলিলেন, *তরানষধর্ম পৃথিবীর ধর্ষ বটে, পৃথিবীকে আমরা এ ধর্ম হইতে বঞ্চিত করিতে পারি না, চাহিও না। ক্রাদ্ধর্ষের জন্য পৃথিবী ভারতবধের নিকট খণপী।” [ বাজ! রামমোহন রায়-_ভারতী, ১২৯১ মাঘ ॥ পৃঃ ৪৫৮-৭৯ ] ইহা! হইতেই বুঝা যায়, তাহার মধ্যে সেধিন একটি উগ্র ধর্ম-অহমিকাবোধ দেখা দিয়াছিল। অবশ্ঠ বৈদিক সংস্কৃতির নামে তিনি কখনও পাশ্চাত্য সভ্যতার যহত্বম অবদানগুলির অবমাননা সহ করেন নাই। এই প্রসঙ্গে স্মরণ থাকিতে পারে এই সময় শশধর তর্কচূড়ামণির প্রভাবে পডিয়! চন্দ্রনাথ বন্থ, যোগেন্্রনাথ বন্থু প্রমুখ একদল হি্দুধর্ষের “বৈজ্ঞানিক' ব্যাধ্যা করিয়া যখন “আরধামি'র কোলাহল তুলিয়াছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তখন কী তীত্র ৪ তীক্ষু ভাষায় তাহাদেব ব্যঙ্গ-বিদ্রপে জর্জরিত করিয়াছিলেন। রবীন্জসাহিত্যের পাঠক মাত্রই জানেন, এই সময় 'দামু ও চামু, (১২৯২) “আর্য ভ অনাধ' ( ১২৯২ ) প্রভৃতি ব্যঙ্গ-রচনাগুলি কী প্রসঙ্গে ও কাহাদের উদ্দেস্টে রচিত হয়। হিন্গুসমাজের বাল্যবিবাহ ও অন্তান্ত সামাজিক সংক্কারগুলি লইয়াও উপরোক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হিন্মসংস্কারগন্থীদেৰ সহিত তীহাব মসীযুদধ শুরু হয়। “হিন্ুবিবাহ' নামক একটি প্রবন্ধে (ভারতী, ১২৯৪ আশ্বিন ॥| পৃঃ ৩১৪-৪৮), তিনি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিয়া! হিন্দুবিবাহ সম্বন্ধে প্রগতিশীল কথ! বলিলেন। রবীন্দ্রনাথ তখন 'মানসী' কাব্যরচনায় ব্যস্ত । এই সময়ে বেশ কিছুদিন তাহাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাব্য ও শিল্পহ্থািতে নিমগ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। বয়সটি রোমান্সের । তাই মানসী বচনার রোমার্টিক পরিবেশেব সন্ধানে কখনো দাঞ্জিলিডে, কখনো! বা গ্রাজিপুরে গোলাপ বাগিচাব সন্ধানে বাহিব হন।' মানসী প্রচনা শেষ করিয়া পর পর কবি মায়ার খেলা”, 'রাজাবানী”, “বিসর্জন? প্রভৃতি নাটক ও গীতি-নাট্যগুলি রচনা করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন এই একটান! কাব্যচর্চা ও শিল্পসাধনা, জাগতিক সমস্ত সমন্য। হইতে এই গলায়নপরতার ফলে মাঝে মাঝে মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও আত্মসমালোচনার ভাবও জাগে । তারই ফলে “ছুরস্ত আশা', “দেশেব উন্নতি প্রভৃতি কবিতাগুলি বাহির হট়্া আসে। মাঝে মাঝে মত্ত আশা সর্পসম ফোসে। ইচ্ছা হয়_“ইছার চেয়ে হতেম যদি আরব বেছুইন' অথবা “বিপদমাঝে বাপায়ে পড়ে শোঁণিত উঠে ফুটে, সকল দেহে সক্ষল মনে জীবন জেগে উঠে। অন্ধকারে সুর্ধালোতে+ সন্ভরিয়! সৃতুল্োতে রৃঙ্যময় চিত হতে মত্ত হাসি টুটে |... [ ছরত্ত আশা ] এই নিক্ষপত্রব জীবনে মাঝে মাঝে কথি বিষেকের তীর কযাঘাত অন্ত করেন। তাহারই অভিঘাতে লিখেন “স্ত্রীঅভিষেক'। কলিকাতায় “এমারেন্ড থিয়েটারে' এই বন্ৃত৷ পাঠ করেন (১৮৯*, মে ১৫)। কী রাজনৈতিক পটভূমিকায় ববীন্্রনাথ এই বন্তৃত। পাঠ করেন, তাহা! বিবেচনা! করিয়া! দেখ! দরকার | ১৮৬১ শ্রীষ্টাব্ধে লর্ড ক্যানিং-এর আমলে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভ। (1:.0887 ০০21211) গঠিত হয়। বল! বাল্য, ইহা আদে প্রতিনিষিত্বমূলক ছিল না, সমন্য সদস্যই ইংরাজ সরকার কক মনোনীত হইতেন। প্রতিষ্ঠাকাল হইতেই কংগ্রেস ব্যবস্থাপক সভার সম্য-সংখ্য। বৃদ্ধি ও কথঞ্চিৎ প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের সৃ্‌ গুপ্রন তৃলিতে থাকেন । উচ্চ রাজকার্ধে অধিকতর স্বদেশী নিযবোগ ও ইংরাজ সিভিলিয়ানদের স্তায় সম-অধিকারের দাবিও কংগ্রেসমঞ্চ হইতে শুনা গেল। এই বিষয়ে তস্তের জন্ত “পাবলিক সার্ভিস কমিশন" বসিল (১৮৮৬)। সিপাহী বিশ্রোহের পর হুইতেই ইংলগ্ডের পা্লামেপ্ট ও এদেশীয় ইংরাজ রাজপুরুষেরা ভারতীয় বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর প্রতি লক্ষ্য রাখিম্বাছিলেন। তাহার! বুঝিয়াছিলেন, ভারতবর্ষে ইংরাজ-পাসনের পক্ষে বুদ্ধিজীবী শ্রেণী অধিক আগ্রহশীল এবং আপাতত আহাদের নিকট হইতে বিপদের আশঙ্কা নাই। সেই কারণে, কংগ্রেস তাহার শ্চনাপর্বে বহু ইংরাজ রাজপুরুষ ও পালমেন্টের উদারনৈতিক দলেব আশীর্বাদ, 'লাড করিয়াছিল । ভারতবর্ষে ইংরাজ-শাসনের সুদূরপ্রসারী স্বার্থের কথ। চিন্তা করিয়া ইংরাজ এইসব বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর দাবি-দাওয়ার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়াছিলেন এবং কিছু কিছু শাসন-সংস্কারও কবিতে চাহিয়াছিলেন। এব্যাপারে পালণমেণ্টের উদারনৈতিক দলের আগ্রহ ছিল বেশী। কিন্ত ১৮৮৬ সালে আয়র্লগ্ডে হোমরুলের প্রশ্নে গ্লাডস্টোনকে পরাজয় স্বীকার করিতে হয়, এবং রক্ষণশীল দলের জয় হয়। লর্ড সলস্বেরি তখন প্রধানমন্ত্রী, ভারত-সচিব হইলেন লর্ড ক্রমূ। ১৮৮৮ গ্রীষ্টাব্বের প্রথম ভাগেই পাবলিক সার্ভিদ কমিশনের (এইচিশন্‌ কমিশন) অবন্ত-রিপোর্ট বাহির হইল এবং কিছুদিন পরে উহার উপর ভারত সরকারের মন্তব্যলিপিও প্রকাশিত হইল। এ বৎসরই চালর্স ভ্রাডলাফ ( 01581165 9150180581) ) দীর্ঘ ১১ মাস তাস্তের পর ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন প্রথার অঙ্গকৃলে "হাউ অব কমন্দে' তাহার 411000581) 000150115 7২৪০০০ 9111১ আনয়ন করিলেন। ফলে সেখানে তীব্র বাঙাজবাদ শুরু হইল। ভ. 700৫6: এবং ৮ 0২. 08100য় মত কিছু প্রতিক্রিয়াঈ্ল সন্ত হিন্দুসুলমানের কাল্পনিক বিরোধের জিগিরও তুলিলেন। এই গোলমালের মধ্যে ভারত-সচিব লর্ড ক্রস্‌ “ছাউস অব লর্ডসে' তাহার 82508805 0906418 11) উপস্থাপিত করিলেন । এই বিলে বর্ধিত ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদদের বাজেটে অংশ গ্রহণ ও প্রশ্গোতয়ের অধিকার থাকিলেও নির্বাচিত নদন্ক প্রেরণের অধিকারটি নান! অজুহাতে অত্যন্ত চতুরতার সহিত বাদ দেওয়া হইয়াছিল । প্রাচাদেশীয় এঁভিহ্যে নির্বাচন-ব্যবস্থ। কোনোকালেই ছিল না, স্থতরাং ভারতীয় পরিপাকঘন্তরে নির্বাচন-বাবস্থা আছে৷ পরিপাক হইবে না, ইহাই হইল প্রধান যত্ত্রী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রধান অজুহাত। এই বিল হাউস অব কমন্সে আসিবামান্্ই উদারনৈতিক দলের পক্ষ হইতে ব্রাডলাফ (80991908১) তীব্র আক্রমণ করিলেন এবং পাটা একটি নৃতন বিল আনিলেন। ভারতবর্ষেও কংগ্রেসমঞ্চ হইতে প্রতিনিধিমূলক নির্বাচনের পক্ষে এই বিলের ভীত্র সমালোচন! চলিতেছিল। রবীন্দ্রনাথ মন্ত্রী-অভিষেক প্রবন্ধে নির্বাচনের পক্ষ লইয়! লিখিলেন, “নির্বান করিবে কে? গবর্ষেন্ট করিবেন, না আমরা কত্সিব? গবর্ষেপ্টের দ্বারা মন্ত্রী নিয়োগ অপেক্ষা সাধারণ লোকের দ্বার! মন্ত্রী-অভিষেক অনেক কারণে আমাদের নিকট প্রীর্থনীয় মনে হয়। ''মীমাংসা করিবার পূর্বে সহজ বুদ্ধিতে এই প্রশ্ন উদয় হয়, কাহার সুবিধার জন্ত এই নির্বাচনের আবশ্তক হইয়াছে? আমাদেরই জন্ত ।*..অতএব সকলেই বলিবেন ভাবত শাসনের মুখ্য উদ্দেস্ট ভারতবর্ষেরই উন্নতি। আমাদেরই স্থবিধা আমাদেরই কাঙ্জ। সেই আমাদের কাজের জন্ত আমাদের লোকের সাহায্য প্রার্থনীয় হইয়াছে। সহজেই মনে হয় আমর| বাছিয়! দিলে কাজটাও ভালো হইবে, আমাদের মনেবও সন্তোষ হইবে ।” , | ” প্রধানমন্ত্রী লর্ড সল্স্বেরি (401৫ 98118:5) নির্বাচনপ্রথার বিরুদ্ধে যুক্তি তুলিয়। বলিলেন, “***256 61120619165 ০৫ 61500017) ০0: £056100106726 ৮5 12976551068001) আ৪5 1006 218 68806112 10695 800 0086 10 1৫ 106 96 6950650) 0501005 ০0: 68৪60 00505.” এই দেশীয় ইংরাজী সংবাদপত্রগুলি সলস্বেরির যুক্িন্ন প্রতিধ্বনি করিয়া বলিতে লাগিলেন যে “ভারতবর্বাহেক। প্রাচ্যজাতীয়, স্ভুতএব তাহাদের হন্ডে মন্ত্রঅভিষেকের ভার দিলে তাহার! পিজেরাই অসস্তষ্ট হইবে।' রবীন্দ্রনাথ ইহাদের যুক্তি খণ্ডন করিয়! বলিলেন, “পূর্ব ও পশ্চিম যদিও বিপরীত ধিফ তথাপি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য মানব প্রন্কৃতি সম্পূর্ণ বিক্বোধী ধর্মাবলন্বী নহে ।-''আঁাদের মানবগপ্রকৃতির এতদূর পর্যন্ত বিকার হঃ মাই ছে, তোময়! বুধন মহৎ, অধিকার. আমাদের হত্ডে তুলি দিবে বান আরা আসন হব” ৬১ “আর কিছু নাহউক তোমাদের নিকটে আমাদের বেদনা, আমাদের অভাব জানাইবার অধিকার আমাদের হন্যে সমর্পণ করিলে অধিকতর হুখ-সম্ভোগের কারণ হইবে এটুকু আমর! পূর্বদিকে বাস করিয়াও একরকম বুঝিতে পারি। অপেক্ষাকত পশ্চিমবাসী যোদ্ধজাতীয়দের মানসিক প্রকৃতি যে এবিষয়ে আমাদের হইতে কিছুমাত্র পৃথক্‌ তাহাও মনে করিতে পারি না। অতএব ছুখনিবেদনের স্বাধীন অধিকার পাইলে ভারতবর্ষ যে অনম্তষ্ট হইবে, ইংলগুবাসী ভারত- হিতৈষীগণকে এরূপ গুরুতর দুশ্চিন্ত হইতে ক্ষান্ত থাকিতে অনুরোধ করিতে পারি।” ভারতবর্ষে ইংরাজ-শাসন-সংস্কারগুলির উপর সেদিন রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছুট। মোহ দেখ! যায়। এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতৃবর্গের সঙ্গে তাহার অস্ভুত সাদৃশ্যও দেখিতে পাওয়া যায়। সাম্রাঙ্্যবাদী ইংরাজের হীন ও জঘন্ত অভিসন্ধি ক্ষণকালের জন্তও তাহার মানস-পট হইতে অপসারিত হইয়াছিল । মহত্বর বিবেকবুদ্ধিসম্পনন ইংরাজ-চরিত্রই তাহার মানসপটে ভা'্সিতেছিল। ভারতবর্ষে ইংরাজের পাসন- সংস্কারগুলির পিছনে তিনি সেই বিবেকবুদ্ধিদম্পন্ন ইংরাজকেই দেখিতেছিলেন। তাহাদেরই উদ্দেশে তিনি বলিলেন, “তোমাদের প্রতি ভক্তি আছে বলিয়াই কথা কহি, নহিলে নীরব থাকিতাম। সেদিনের কংগ্রেসআন্দৌলনের প্রতি তাহার আত্তরিক সমর্থনের কথাও তিনি ঘোষণা! করিলেন, “কংগ্রেসের বিরোধী পক্ষে যোগ দিতে পারিব না. 1, বহুদিন পর ইহার কৈফিয়ত হিসাবে তিনি এক পত্রে লিখিয়াছিলেন, “যখন 'মস্ত্রী-অভিষেক' লিখেছিলুম, তারপর এখন কালের প্রকৃতি বদলে গেছে, তাই এ লেখাটি এখনকার মনের মাপে মিলবে না। ছুই কালের মধ্যে প্রধান পার্থক্য এই যে তখন রাজদ্বারে আমাদের ভিক্ষার দাবি ছিল অত্যন্ত সংকুচিত । আমর! ছিলুম দাড়ের কাকাতুয়া, পাখা ঝাপটিয়ে চেঁচালুম পায়ের শিকল আরো! ইঞ্চি কয়েক লম্ব! করে দেবার জন্য 1.".তখন সেই ইঞ্চি ছুয়েকের মাপের দাবি নিয়ে রাজপুরুষের মাথ। গরম হয়ে উঠত। আমি সেই চোখ রাঙানির জবাব দিয়েছিলুষ গরম ভাষায় । কিন্তু মনে রাখতে হবে, এ ছিল আমার ওকালতি সেকালের পরিমিত ভিক্ষার প্রার্থীদের হয়ে।” [শনিবারের চিঠি, ১৩৪৬ মাঘ ॥ পৃঃ ৪৭৫ ] মনে হয়, কোন ব্যক্তিত্বশালী কংগ্রেস নেতার প্রভাব ও অন্থরোধে উত্ুদ্ধ হইয়া ববীন্রনাথ এই বক্তৃত! পাঠ করিয়াছিলেন। প্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিয়াছেন যে, ১৮৯০ সালে কলিকাতায় কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয় তাহাতে সভাপতি ফিরোজ শাহ মেহতা, রবীন্দ্রনাথ, স্থবোধচজ্জ মল্লিক, উমেশচন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রডৃতির যুক্ত ফটে। আছে। €গ পার্লামেন্টারী শাসন-সংস্কারের প্রতি তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃবর্গের অত্যধিক মোহের অপর একটি কারণ হইতেছে, পার্লামেণ্টে গ্লাডস্টোন প্রমুখ উদ্ধার মতাবলম্বীদের ( আপেক্ষিকভাবে ) নমনীয় ও্পনিবেশিকবাদ। চার্লস ব্রাডলাফ € 918019)8) ) হাউস অব কমন্সে লর্ড ক্রসের বিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিয়। পাল্টা যে নৃতন বিল পেশ করিয়াছিলেন, তাহাতে ( সীমাবদ্ধভাবেও) নির্বাচনের পক্ষে কথ। বল! হইয়াছিল এবং গ্লাডস্টোনের তাহাতে পূর্ণ সম্মতি ছিল। ইহার ফলে তাহাদের ধারণা হইয়াছিল, ইংলগ্ডে যথার্থ ই এক ধরনের বিবেকী ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আছেন, ধাহারা ভারতবর্ষের ঘথার্থ কল্যাণ কামন! করেন। সে-যুগের কংগ্রেস নেতৃবর্গের পার্লামেণ্টের উদার মতাবলম্বীদের উপর ক্ষী অসীম শ্রদ্ধা ও আস্থার ভাব ছিল, তাহ নিয়ের একটি দৃষ্টান্ত হইতে পরিস্ফুট হুইযা উঠিবে। ১৮৯০ সালে কপিকাতা-কংগ্রেসে সভাপতির অভিভাষণে ফিরোজ শীহ মেহত৷ এক জায়গায় বলিলেন, ০০০, 93158018080 085 1016 09018 056 12008016 8796016% ০৫ ০1908101078 100 [010 00955 19616617176 1085 51:6805 80600460060 2 067 7111, 08860 018 055 88006 11768 ৪8৪ [1,01৫ 0০:9835 9111, 006 15165117810 ৮5 00০ 82510081002 ০0 006 19017501016 101 আ10101) ০ 21:6 £18100106,1096 811] আহ] ০০ 1510 ৮০০:৪ 5০৩: 102 5০0 501381061:80102.,.... ০.০, 105 05৬ 93111 1085 018 006 00961 1081), ৪11 006 616106065 0£ 9050693 21) 108 1850621. 105 2000980 801161156 10611615 0086 10 £800615 00150 1৮ 006 ০801809089 0105 5816510]15 অ৪181060 2100 76570158916" +01518193 0£ 80206 06 0156 165 ড1561055 ০ 1১৪৮০ ০: 1980... ১০১০০ 26 28:60 117, 31780190819 1093 160০6217015 06018160 0220 1)6 588 80017011560 (0 885 01086 096 ০001:86 196180560 25 10100 108 26665161505 00 006 03056100060 23111, |) 6100685050217)8 00 0৮817) & 16009831001) 06 0116 51600156 32215010165 ৪৪ ৪01019560 25 21. 09180800756 ভ1)0 £1/061- 4150 00 1)8%5 500002060 10300 105 ৪১26০19.১..% [000£658 70651061705] 4১001655652 ৬০]. 1. 2. 20-73.] মন্তব্য নিপ্রয়োজন। উঠ | দ্বিতায়বার বিলাতযাত্র। ॥ ১৮৯০ গ্রীষ্টান্দের ২২শে আগস্ট রবীন্দ্রনাথ সত্যেন্্রনাথের সহিত দ্বিতীয়বার বিলাত যাত্রা! করেন। পথিমধ্যে কবি জাহাজে সমুদ্র-গীড়ায় আক্রান্ত হইয়! পড়িলেন। জলপথে বিচিত্র নৈসগিক চিত্র, বিভিন্ন দেশের নরনারীর বিচিত্র মনোভাব ইত্যাদির বিবরণ 'যুরোপযাত্রীর ভায়ারি'তে আমরা পাই । ইহার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা তিনি এ পুম্তকে লিখিযাছেন। একজন উচ্চ রাজকর্মচারী ভারতীয়দের প্রতিনিধিমূলক শাসনতস্ত্রের দাবির বিরূপ সমালোচনা করিতেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাহার প্রতিবাদ করিম্ন। বলিলেন, “তোমর! সবদ। আমাদের প্রতি প্রকাশ্ঠ ওদ্ধত্য ও অবজ্ঞা দেখাইয়া থাক, সেইটি আমাদের শিক্ষিত লোকদের পক্ষে অসহা। অন্তরের মধ্যে সেই অপমান অন্তভব করি বসেই মাম্র! জাতীয় আত্মসম্মান রক্ষা করার জন্য আজ এত চেষ্টা করচি।-*.*আমাদের দেশের বর্তমান প্রধান দুর্দশা হচ্চে এই যে, যারা আমাদের আন্তরিক ত্বণা করে তারাই আমাদের বলপূর্বক উপকার করতে আসে। যারা আমাদের মানুষ জ্ঞান করে না, তারাই আমাদের শান্তিরক্ষা করে, লেখাপড়। শেখায়, স্থবিচার করবার চেষ্টা করে। প্রতিদিন এরকম অবজ্ঞার দান গ্রহণ করতে বাধ্য হলে আমাদের আত্মসম্মান আর থাকে না।” [ মুরোপযাত্রীর ডায়ারি ॥ পৃঃ ৩৫ ] ইহা হইতেই বোঝা যায়, কবির জাতীয় মর্ধাদাবোধ কী স্থৃতীব্র ছিল। ইতালী ও ফ্রান্স ঘুরিয়া তাহারা ইংলগ্ডে আসিয়া পৌছাইলেন ( ১০ই সেপ্টেম্বর )। কিন্তু এই ইংলগ তাঁহাকে মুগ্ধ করিতে পারিল না । এইবারে ইংলগ্ডে থাকিতে প্রায়ই স্যাভয় থিয়েটার ও লাইসীয়ম নাট্যশালায় যাইতেন, ন্যাশন্তাল গ্যালারীর চিত্র-সংকলনগুলিও তাহার মনে গভীর রেখাপাত করিয়াছিল, কিন্তু তবুও ইংলগ্ত এইবার তাহাকে গভীরভাবে আকর্ষণ করিতে পারিল না। কবির মানসিক অস্থিরতা ও চাঞ্চল্য ইংলগ্ড আমিবার পথেই লক্ষ্য কর! গিয়াছিল। কিন্ত এখানে আসিয়া অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হাপাইয়া' উঠিলেন এবং ৯ই অক্টোবর দেশের পথে যাত্রা করিয়! ওরা নভেম্বর বোম্বাই পৌছিলেন। ৫৯ ইংলগু যাত্জাকালে কবির বয়ন ২৯ বৎসর ছিল। একেবারে কীচা বয়স বলা! চলে ন।। অথচ তাহার দৃষ্টিভঙ্গিতে তেমন গভীরত্ব দেখা! যায় না। 'ুরোপধাত্রীর ডায়ারি' পাঠ করিগ্না আমর! তাহার গভীর রসপিপাস্থ মনটির পরিচয় পাই বটে, কিন্তু জীবন ও জগতের গভীর বাস্তব সমস্তাগুলি তাহাকে বিচলিত করিয়াছে বলিষ! মনে হয় না। উনবিংশ শতকের শেষ ভাগে ইংলগ্ড ইউরোপ তথা পৃথিবীর চিস্তা-জগতে এক দারুণ বিপ্লব আনিয়াছে | তখন ডারউইনের 1985০6:) ০1 14081), ও ক্রপট্‌ুকিনের 1410089] 440 তত লইয়। উত্তেজনাপূর্ণ সমালোচন! চলিতেছে । ১৮৮৭ সালেই কার্ল মার্কসের 085 8105] ইংলগ্ডে প্রকাশিত হইয়াছে । পরবৎ্দরই স্যামুয়েল মুব কর্তৃক 4010090073150 7/80165500+-র ইংরাজী তর্জন! প্রকাশিত হয়। ১৮৮৯ সালে একঙ্ষেলসের নেতৃত্বে দ্বিতীয় আস্তর্জাতিকেব প্রতিষ্ঠা হয়। অপরদিকে সিড্নি ওয়েব ও বান্না শ এই সময় সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা'র প্রচার করিতেছিলেন। ১৮৮৯ স্রীষ্টাব্ে বার্নার্ড শব 68181) 5885, প্রকাশিত হয় ॥ ইহার কিছুই তাহাকে স্পর্শও করিল না। ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়, এই ইংলগ্ডকে তিনি কেন দেখিতে পাইলেন না । উনিশ শতকের শেষভাগে যে সব মহামনীষী ইংলগ্ডে বসিষ! জ্ঞান-বিজ্ঞানেব সাধনা করিযাছেন, তাহাদের সাধন-সম্পদে জগতের যে জ্ঞান-ভ গাব সমৃদ্ধ হংয়। উঠিয়াছিল-_তাহার সিংহদবজ! রবীন্দ্রনাথেব নিকট উন্মুক্ত হইল না । রবীন্দ্রনাথ ইউরোপীয় সভ্যতার গভীর মর্মকেন্দ্রে প্রবেশ করিবার চেষ্ট। করিলেন না। তিনি দূর হইতেই সুমন্তাগুলিকে যেন স্পর্শ করিয়াই চলিয়া আসিলেন। তাহার কারণ রবীন্দ্রনাথের বিশেষ কবি প্রকৃতি । মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও জগতের সমস্যাবলী অহোরাত্র তীব্র মর্মপীড়ায় তখনও তাহাকে অশাস্ত ও অস্থির করিয়া তুলে নাই। মানসীর কবির অন্বিষ্ট ব্রিটিশ মিউজিয়াম হইতে পারে না-_মানসী কাব্যে ষে অশান্তি, হতাশ! ও গভীর নৈরাশ্ঠবোধ ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহার পিছনে রহিয়াছে যৌবনের ও মানবের শাশ্বত প্রেমের গভীর বেদনাবোধ। আধুনিক যন্ত্রযুগের বাস্তব জীবনের কর্মচা্চল্য তাহার কাছে রূঢ় ও কর্কশ বোধ হইয়াছে । ফলে ইউরোপকে তাহার ভালো! লাগিল না, দেশে প্রিয়জনের সারিধ্য ও বাংলার গ্রাম-প্রক্কৃতির মধো ফিরিবার বাসনা অদম্য হইয়। উঠিল । কবি “জীবনস্থতির খসডা'় তাহার এই সময়কার মানসপ্রক্কতির একটি বিশ্লেষণ করিয়াছিলেন । কুবির পরবর্তী চিন্তাধারাঁয় ও কার্ধকলাপে সেই মানস- প্রকৃতির গভীর প্রভাব রহিয়াছে । তাই উহ! উদ্ধত করিয়া দিভেছি : ও “..“ে-বিলাত যাইতেছিলাম সেখানকার জীবনের উদ্দীপনাকে কোনোমতেই আমার হাদয় গ্রহণ করিতে পায়ে নাই। আমি আর-একবার বিলাতে যাইবার সময় লিখিয়াছিলাম-_ “নিচেকার ডেকে বিদ্যুতের প্রথর আলোক, আমোদ-গ্রমোদের উচ্ছ্বাস, 'মেলামেশার ধুম, গান-বাজনা এবং কখনো কখনে! ঘূর্ণানৃত্যের উৎকট উন্মত্ত । এদিকে আকাশের পূর্বপ্রান্তে ধীরে ধীরে চন্দ্র উঠছে; ভারাগুলি ক্রমে শ্লান হয়ে আসছে, সমুদ্র প্রশান্ত ও বাতাস মৃদ্ধ হয়ে এসেছে; অপার সমুদ্রুতল থেকে অসীম 'নক্ষত্রলোক পর্যস্ত এক অখণ্ড নিস্তব্ধত, এক অনির্বচনীয় শাস্তি নীরব উপাসনার মতে ব্যপ্ত হয়ে রয়েছে। আমার মনে হতে লাগল, যথার্থ স্থুখ কাকে বলে এর! ঠিক জানে ন।। স্ুখকে চাবকে চাবকে যতক্ষণ মত্ততার সীমায় না নিয়ে যেতে পারে ততক্ষণ এদের যথেষ্ট হয় না। প্রচণ্ড জীবন ওদের যেন অভিশাপের মতে! নিশিদিন তাড়া করছে; ওর! একট! মন্ত লোহার রেলগাড়ির মতো৷ চোখ রাউিয়ে, পৃথিবী 'কীপিয়ে, হাপিয়ে, ধুঁইয়ে, জলে, ছুটে, প্রকৃতির ছুই ধারের সৌন্মধের মাঝখান দিয়ে ছম করে বেরিয়ে চলে যায়। কর্ম বলে একটা জিনিস আছে বটে কিন্ত তাবই কাছে আমাদের মানবজীবনের সমস্ত স্বাধীনত! বিকিয়ে দেবার জন্যেই আমরা জন্মগ্রহণ করি নি সৌন্দয আছে, অস্তঃকরণ আছে, সে ঢুটে। খুব উচু জিনিস। “আমি বৈলাতিক কর্মশীলতার বিরুদ্ধে উপদেশ দিতেছি না। আমি নিজের কথ|। বলিতেছি। আমার পক্ষে বাংলাদেশের এই আকাশভর! আলো, এই দক্ষিণের বাতাস, এই গঙ্গার প্রবাহ, এই রাজকীয় আলস্য, এই আকাশের নীল ও পৃথিবীর সবুজের মাঝখানকার দিগন্তপ্রসারিত উদার অবকাশের মধো পরিপর্ণ আত্মসমর্পণ, তৃষ্ণার জল ও ক্ষুধার অন্নের মতোই আবশ্তক ছিল।-*"" বিলাত হইতে ফিরিয়। আসিবার অল্লকালমধ্যেই কয়েকটি চিঠির উল্লেখ করিয়! এ খসড়ার এক জায়গায় কবি বলিতেছেন, «.."আশ্চর্য এই, আমার সবচেয়ে ভয় পাছে আমি ফুরোপে গিয়ে জন্মগ্রহণ করি। কেনন|, সেধানে সমন্ত চিত্রটিকে এমন উপরের দিকে উদ্ঘাটিত রেখে পড়ে থাকবার জো নেই, এব" পড়ে থাকাও সকলে ভারি দোষের মনে করে। হয়তো একট! কারখানায় নয়তো ব্যাঙ্কে নয়তে। পার্লামেণ্টে সমস্ত দেহ মন প্রাণ দিয়ে খাটতে হবে। শহরের রান্তা যেমন ব্যবসাবাণিজ্য গাড়িঘোড়৷ চলবার জন্যে ₹ট-বীধানো- কঠিন, তেমনি মনটা শ্বভাবটা বিজ্নেদ্‌ চালাবার উপযোগী পাকা করে বাধানো, স্পতাতে একটি কোমল তৃণ, একটি অনাবশ্তক লত৷ গজাবার ছিত্রটুকু নেই। ৬১ ভারি ছাটাছোটা গড়াপেটা আইনে-বীধ! মজবুত রকমের ভাব। কীজানি তার চেয়ে আমার এই কল্পনাপ্রিয় আত্মনিমগ্ন বিস্তৃত আকাশপূর্ণ মনের ভাবটি কিছুমাত্র অগৌরবের বিষয় বলে মনে হয় না। “এখনকার কোনো কোনে! নৃতন মনন্তত্ব পড়িলে আভাস পাওয়া যায় ষে একটা মানুষের মধ্যে যেন অনেকগুল! মানুষ জটলা করিয়া বাস করে, তাহাদের স্বভাব সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। আমার মধ্যেকার যে অকেজো! অদ্ভুত মাচ্চ্ষট। সথদীর্থকাল আমার উপর কর্তৃত্ব করিয়া আলিয়াছে,_যে-মান্যটা শিশুকালে বর্ধার মেঘ ঘনাইতে দেখিলে পশ্চিমের ও দক্ষিণের বারান্দায় অসংফত হুইয়! ছুটিয়া বেডাইভ... তাহারই জবানি কথা এই ক্ষুদ্র জীবনচর়িতের মধ্যে অনেক গ্রকাণিত হুইবে। কিন্তু একথাও বলিয়া রাখিব, আমার মধ্যে অন্য ব্যক্তিও আছে-_যথাসময়ে তাহারও পরিচয় পাওয়া যাইবে ।” [ পাওুলিপি-_-জীবনস্থতি ॥ পৃঃ ২১৬ ] ইহাই রবীন্দ্রনাথের কবিপপ্রককৃতি। এই বিশেষ কবি-প্রকৃতিই অন্যতম কারণ, যাহার জন্ত ইউরোপ তাহাব ভালে! লাগে নাই। একথা সত্য ষে ইউরোপের ধনতান্ত্রিক সভ্যতা মান্তষকে চূডান্ত উংকেন্ত্রিক করিয়া ছাডিয়াছে--জীবন হইতে কাব্য, হ্বদয়াবেগ ও সুম্্ অন্লুভূতিগুলিকে সমূলে উৎপাটিত করিতে চাহিয়াছে। কিন্তু ইহাই কি ইউরোপীয় সভ্যতার চূডাস্ত ব৷ সব কথা? ইংলগুকে ত্ুহার ভালে। না-লাগিবার আর একটি কারণ, ইংরাজ জাতির সাম্রাজ্যবাদী লালসা । ইংলগ্ডের এই সমৃদ্ধির [পিছনে রহিবাছে ভারতবর্ষ ও আফ্রিকার মত মহাদেশগুলিব সম্পদ অপহরণ ও শোষণ-তিনি ইহা লক্ষ্য করিয়াছিলেন । ইংরাজ কুবি টমাস হুডের (102083 [30০) “5০908 ০£ 026 0১4৮ পড়িয়া তাহার মনে যে গভীর প্রতিক্রিয়৷ হয় তাহা তিনি “ফুরোপ-যাত্রীর ডায়ারিব খসডায় লিপিবন্ধ করিয়াছিলেন । তিনি লিখিতেছেন, “ভেবে দেখলে এর একটা অন্ধকার দিক আছে--'50280 0 571177৮ পড়লে তা৷ টের পাওয়া যায়__এই সুখ-সমৃদ্ধির অন্তরালে কী অসহা দারিদ্র্য আপনার জীবনপাত করচে-সেটা আমাদের চোখে পড়ে না কিন্তু প্ররুতির খাতায় উত্তরোত্তর তার হিসেব জমা হচ্ছে । প্রকৃতিতে উপেক্ষিত ক্রমে আপনার প্রতিশোধ নেবেই ।-'*আমাদের ভারতবর্ষে অনাদৃত ছূর্বল অজ্ঞান বহুষত্বলন্ধ জ্ঞানকে বিনাশ করেচে। যদি সভ্যত! আপনাকে রক্ষা করতে চায় ত প্রতিবেশীকে 'মাপনার সমান করে তুলুক। ছুট শক্তি যত একসঙ্গে সাম্য রক্ষ করে কাজ করে ততই মঙ্গল। -যেমন আকর্ধণ-বিপ্রকর্ষণ-্বার্থ এবং পরার্থ--আপনার উন্নতি ও চতৃষ্পার্থের উন্নতি নইলে চতুষ্পার্থ তার প্রতিশোধ তোলে- বর্ধরত| সভ্যতাকে ধ্বংস করে । খু আমার ত সেইজন্যে মনে হয়_আশ্চর্য নেই যে ভবিষ্যতে কাফ্রির! মুরোপ জয় করবে ।"""সুরোপীয় সভ্যতার আদিজননী গ্রীসকে যে তুর্ক জাতি অভিভূত করবে একি পেরিক্লীসের সময়ে কেউ কল্পনা করতে পারত? আলোকের মধ্যে ভয় নেই, কেননা তার উপর সহশ্র চক্ষু পড়ে আছে-কিস্তু যেখানে অন্ধকার জমা হচ্ছে, বিপদ সেইখানেই গোপনে বল সঞ্চয় করচে-_সেইখানেই প্রলয়ের গুপ্ত জন্মভূমি ।” [ বিশ্বভারতী পত্রিকা, ১৩৫৬ মাঘ-চৈত্র ॥ পৃঃ ১৫৮ ] এই লেখা পড়িয়া মনে হয়, সাম্রাজ্যবাদ ও আধুনিক জগতের সমস্ঠাগুলি সম্পর্কে কবি চিন্তা-ভাবনা করিতেছেন । তাছাড়া ইংলগ্ডের সামাজিক জীবনের কয়েকটি প্রগতিশীল বিষয়ে তাহার আকর্ষণও লক্ষ্য কর! যায়। বিশেষত সেখানকার বাক্তিস্বাতন্ত্র ও নারী-স্বাধীনতাঁ। দেশে ফিরিবার অনতিকাল পরে “হিতবাদী” পত্রিকায় তাহার “অকাল-বিবাহ" প্রবন্ধ লইয়া চন্দ্রনাথ বস্থুর সহিত যে বিতর্ক হয় তাহাতে তাহার চিন্তায় ইউরোপীয় ভাবধারার প্রভাব দেখা যায়। আসলকথা, দুইবার বিলাত-ভ্রমণের পর তাহার মনে একটি গভীর অস্তঘ্প্ছ চলিতে থাকে, যাহ! অত্যন্ত স্বাভাবিক | বিলাত হুইতে ফিরিরা 'আসিবার পর মানসী পুস্তিকা আকারে বাহির হয়। এই সময় প্রমথ চৌধুরী মহাশয় মানসীর সমালোচনা! প্রসঙ্গে বলেন যে, উহার মধ্যে 06881 ও 168181090101/-এর ভাবটাই প্রবল হইয়া উঠিয়াছে । জবাবে কবি সেই পত্রের এক জায়গায় লিখিয়াছিলেন, “.**এখন এক একবার মনে হয় আমার মধ্যে ছুটো বিপরীত শক্তির ঘন্ৰ চলচে। একটা আমাকে সর্বদা বিশ্রাম এবং পরিসমাপ্তির দিকে আহ্বান করচে, আর একট! আমাকে কিছুতে বিশ্রাম করতে দিচ্চে না। আমার ভারতবর্ষীয় শান্ত প্রকৃতিকে মুরোপের চাঞ্চল্য সর্বদা আঘাত করচে--সেইঙ্গন্টে একদিকে বেদনা! আর একদিকে বৈরাগ্য। একদিকে কবিতা আর একদিকে ফিলজাফি। একদিকে দেশের প্রতি ভালোবাসা আর একদিকে দেশহিতৈষিতার প্রতি উপহাস। একদিকে কর্মের প্রতি আসক্তি আর একদিকে চিন্তার প্রতি আকর্ষণ। এই জন্তে সবশুদ্ধ জড়িয়ে একট নিক্ষলতা ও ওঁদাস্ত ।”*** [ চিঠিপত্র £ ৫ম খণ্ড ॥। ১৮৯১, জানুয়ারী ২৯ ] কবির এই আত্মবিক্লেষণ হইতে তীহার মানস-প্ররুতির অন্তর্বিরোধের স্বরূপটি কিছুটা স্পষ্ট বুঝা যায়। ৬৩ ॥ বিলাত হইতে প্রত্যাবতনের পরে । বিলাত হইতে ফি্রিবার কিছুকাল পরে রবীন্দ্রনাথকে জমিদারি দেখাগুনার ব্যাপারে উত্তরবঙ্গে যাইতে হইল। কবির জীবনে সবচেয়ে বড়ো উরীজেডি যে, তাহাকে জমিদার সাজিতে হইয়াছিল। জমিদারি প্রথাকে রবীন্দ্রনাথ কী চোখে দেখিয়াছিলেন তাহ। পরে আলোচনা করিব; তবে রবীন্দ্রনাথ জমিদার-পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়াও যে “জমিদার হইতে পারেন নাই, এবথা অত্তাক্তি নহে। *লেখাপড়! শিখিয়া বিলাত হইতে ব্যারিস্টার হইযা আসিতে পারেন নাই' আর দ্বশজনেব মৃত সামাঞ্জিক গ্রতিষ্ঠালাভও তিনি করিতে পারেন নাই, ব্যক্তিগতভাবে উপার্জনের কোনো অবলঘ্বনও ছিল ন|। এই অবস্থায় দেবেন্্রনাথের আদেশ কতকটা বাধা হইয়াই মানিয়! লইতে হইয়াছিল । জমিদারিতে তাহার আসক্তি ও লোভ ছিল একথা বল! যায় না। অবশ্ত রবীনত্রজীবনীকার শ্রীগ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিয়াছেন, “রবীন্দ্রনাথ জমিদারিবিষ্যায় ও বিষয়-বুদ্ধিতে বাংলার জমিদারদের মধ্যে শ্রেটস্থান অধিকার করিতেন এ-কথা পূর্ববঙ্গের কোনো জমিদারের মুখে শোন 1” “জমিদারিবিদ্ায় ও রিষয়-বুদ্ধিতে বাংলার শ্রেষ্ঠ জমিদার অর্থেতিনি কি বলিতে চাহিয়াছেন বুঝ| যায ন|। তবে সে-যুগে জমিদারি চালাইতে হইলে যে এঠতা, চৌর্ধবৃত্তি, জুরত। ও অন্থান্ত গুণাবলীর (1) প্রয়োজন হইত, রবীন্দ্রনাথের মধ্যে তাহা ছিল না| একথা গ্রায় নিঃসংশয়ে বল! যায়। *নানসী' ও “সোনার তরী'র কবি এবং একজন 'পাকা-জমিদারে'র মধ্যে কী করিয় সঙ্গতি থাকিতে পারে, তাহা জানিবার কৌতৃহল থাকিয়া যায়। এই পতিসরে থাকাকালীন “ছিন্নপত্রে' আমর! রবীন্দ্রনাথের একটি পত্র পাই, যাহাতে জমিদারির সহিত ক্ঠাহার কবিপ্রন্কৃতির অসঙ্গতি ও বিরোধটি অত্যন্ত স্পষ্ট হই ফুটিয়! উঠিয়াছে। একখানি পঞ্জে তিনি লিখিতেছেন, “সকালে উঠে***লিখছিলুম*''এমৎকালে-''রাজকারধ উপস্থিত হল--প্রধান- মন্ত্রী মৃহ্ষ্বরে বললেন, একবায় রাজসভায় আসতে হচ্চে। কি করা যায় লক্ষ্মীর তলব সুনে সরম্বতীকে ছেড়ে তাড়াতাড়ি উঠতে হল--সেখানে ঘণ্টাখানেক দুরূহ রাজকার্ধ সম্পন্ন করে এইমাত্র আসচি। আমার মনে মনে হাসি পায়--মামার ৬৪ নিজের অপার গান্ভীখ ও অতলম্পর্শ বুদ্ধিমানের চেহারা কল্পনা করে সমস্তটা একটা প্রহসন বলে মনে হয়।প্রজারা যখন সসন্ত্রম কাতরভাবে দরবার করে, এবং আমলার! বিনীত করযোড়ে দাড়িয়ে থাকে, তখন আমার মনে হয় এদের চেয়ে এমনি আমি কি মস্তলোক যে আমি একটু ইঙ্গিত করলেই এদের ন্সীবনরক্ষা এবং আমি একটু বিমুখ হলেই এদের সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে । আমি যে এই চৌকিটার উপর বসে বসে ভান করছি যেন এই সমস্ত মান্নষের থেকে আমি একটা হ্বতন্ত্ সি, আমি এদের হর্ভীকর্তীবিধাত, এর চেয়ে অস্ভূত আর কি হতে পারে! অন্তরের মধো আমিও যে এদেরই মতে দরিদ্র স্ুখতখেকাতর মান্চষ, পৃথিবীতে আমারও কত ছোট ছোট বিষয়ে দরবার, কত সামান্য কারণে মর্মান্তিক কান্না, কত লোকের প্রসম্নতার উপরে জীবনের নির্ভর । এই সমস্ত ছেলেপিলে-গরুলাঙ্গল-ঘরকন্া-ওয়াল! সরলহৃদয় চাষাভুষোরা আমাকে কি ভুলই জানে! আমাকে এদের সমজাতি মানুষ বলেই জানে ন।। সেই ভুলটি রক্ষে করবার জন্যে কত সরঞ্জাম রাখতে এবং কত আড়ম্বর করতে হয়।.*.-কি জানি বদি এ ভুলে আঘাত লাগে! চ155086 মানে হচ্ছে মান্ষ সম্বন্ধে মানষের ভুল বিশ্বাস ' আমাকে এখানকার প্রজারা যদি ঠিক জানতো, শাহলে আপনাদের একজন বলে চিনতে পারত, সেই ভয়ে সর্বদা সুখোশ পরে থাকতে হয়।” [ ছিন্পপন্র-_বিশ্বভারভী পত্রিকা, ১৩৫১ দ্বিতীয় সংখ্য। ॥ পৃঃ ৭৪-৭৫ ] ইহাতে “জমিদারের মুখোশ-পর। মানষটির অন্তরের কথাই বাহির হইযা পড়িযাছে | যাহাই হউক, জমিদারী-কাযোপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের একটি বড়ো লাভ হইযাছিল এই যে বাংলার বৃহত্তর কুষক-সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর বিচিত্র মানুষ ও তাহ।দের মনস্তত্বের সহিত তাহার বাস্তব পরিচয় ও অভিজ্ঞতা হইয়াছিল । গ্রামের বিভিন্ন সমস্তাগুলিও তিনি গভীরভাবে পধবেক্ষণ করিবার স্থযোগ পাইয়াছিলেন। তাহ! ছাডা পদ্ম। 5 উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দখ তাহার কাব্যপ্রবাহে অফুরন্ত প্রাণশক্তি ও বৈচিত্রা আনিয়া দিয়াছিল। শীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় অন্তমান করিতেছেন, এই উত্তরবঙ্গ ভ্রমণকালে রবীন্দ্রনাথ “মুরোপযাত্রীর ডাযারি'র ভূমিকা লিখিয়াছিলেন । বর্তমানে উহা ছুইভাগে চটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধে পরিণত হইয়াছে । “নূতন ও পুরাতন" প্রবন্ধটি “ন্বদেশ' গ্রস্থে এবং “প্রাচ্য ও প্রতীচা? প্রবন্ধটি “স্মাজ' পুস্তকে স্থানলাভ করিয়াছে । নান দিক দিয়া এই প্রবন্ধ দুইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ইউরোপ হুইতে ফিরিয়া 'আসিবার পর, পাশ্চাতা সভ্যতা ও সংস্কৃতির পর্যালোচনা করিবার ইচ্ছা তাহার প্রবল হইয়! উঠিয়াছিল। অপরদিকে জাতীয় জীবনের আদর্শ ও নীতির দিক হইতে ডু রধীত্রানাথ ॥ ৫ প্রচণ্ড বিভ্রান্তি ও দিশাহারার ভাব লক্ষ্য করিয়া তিনি উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিতেছিলেন। দীর্খ প্রায় দেড়শত বৎসর ইংরাজ-শাসনের ফলে ভারতবর্ষের অর্থ নৈতিক, রাজনৈতিক, সামাদ্ধিক, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক জীবনে বহু বিপর্যয় ও পরিবর্তন হইয়াছে । ইউরোপের সাহিত্য, দর্শন, জান-বিজ্ঞান ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি আমাদের আদর্শ ও চিস্তাজগতেও ভয়ানক আলোডন আনিয়াছে। সকলেরই মনে গভীর প্পরশ্ন,_এই নৃতন ভাবধারা- এই ইউরোপকে তাহার কী চোখে দেখিবে। ভারতের প্রাচীন ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি রক্ষ! করিবাব প্রশ্নেই বা কী দৃষ্টিভঙ্গি হইবে। অর্থাৎ ইংরাজ-শাসনের ফলে আমাদের বাস্তবজীবনে যে বিরোধ ও অর্ত্ঘন্ব চলিতেছিল, আমাদের চিন্তা ও আদর্শে জগতেও তাহার অনিবার্ধ গ্রতিফলন দেখা গেল। কিন্তু সে-যুগের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন সুস্থ বিচারবোধ অথবা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না_আশাও করা যায় না । বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি শুধু “আইডিয়া'র ক্ষেত্রে অথবা পুস্তক পাঠ কবার ফলেই আসে না, তাহার জন্য অনুকূল সামাজিক পরিবর্তনেরও আবশ্যক হয । ইংরাক্ত-শাপনেব' ফলে ইউরোপের জান-বিজ্ঞান পাইযাছি বটে, কিন্তু আমাদের বৃহত্তব সমাক্ত-অর্থ- নৈতিক জীবনে কোনে! গুণগত পরিবর্তন দেখা গেল না। ভারতবর্ষে যথার্থভাবে শিল্প-বিপ্লব হয নাই--প্রাচীন সামস্ততান্ত্রিক সমাজই কোনোক্রমে বীচিয়। রহিল। ফলে ইউবোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকেব দিকে ছুটিয়৷ যাইতে চাহিলেও 'আমাদেব পশ্চাং-ভাগ বাধ! রহিল প্রাচীন সমাজ-সংস্কৃতির খোটায়। অপবদিকে পরাধীনতার জালাষ একটি উগ্র ও তীব্র জাতীয়তাবোধও জাগ্রত হৃইযা উঠিয়াছে। ভাবতের প্রাচীন ধর্ম, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, নীতি, সব কিছুকেই শ্রেষ্ঠ বলিষ! প্রমাণ করিবার ঝৌকও দেখা গিয়াছে । চারিদিকে নূতন কবিয়! ধর্ম আন্দোলনে প্রবাহও দেখা দিয়াছে। এমনই একটি সমষে রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার মূল্যায়ন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। বলা বাহুল্য, নৃতন ও পুরাতন, প্রাচ্য ও প্রতীচা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথেন দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্য বৈজ্ঞানিক কিংবা! যুক্তিপূর্ণ হয় নাই। সে-যুগের প্রবন্ধ লেখকদের মত আবেগ-উদ্্বাস, অতিকথন ও বর্ণনার চাপে তাহার আসল বক্তব্যই যেন ঢাক! পড়িয়া গিয়াছে । নৃতন ও প্রাচীন, প্রাচয ও পাশ্চাত্য কাহাকেও তিনি সমর্থন করিলেন না। কিন্ত তবুও গ্রাচীন ভারতের দিকেই তাহার যেন গভীর আবর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। “নূতন ও পুরাতন' প্রবন্ধে তিনি প্রাচীন- পন্থীদের বক্তব্যকে এইভাবে রাখিতেছেন, প্হায়, ভারতবর্ষের পুরপ্রাচীর ভেঙে ফেলে এই অনাবৃত বিশাল কর্মক্ষেত্রের ১৯০ মধ্যে আমাদের কে এনে দাড় করালে! আমর! চতুদিকে মানসিক বাধ নির্মাণ করে কালশ্রোত বন্ধ করে দিয়ে সমস্ত নিজের মনের মতো গুছিয়ে নিয়ে বসেছিলুম । চঞ্চল পরিবর্তন ভারতবধের বাহিরে সমুব্রের মতে নিশিদিন গর্জন করত, আমরা অটল স্থিরত্বের মধো প্রতিষ্ঠা লাভ করে গতিশীল নিখিল সংসারের অস্তিত্ব বিস্বৃত হয়ে বসেছিলুম। এমন সময় কোন্‌ ছিদ্রপথ ঘিয়ে চির-অশান্ত মানবস্রোত আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে সমস্থ ছারখার করে দিলে । পুরাতনের মধ্যে নৃতন মিশিয়ে, বিশ্বাসের মধ্যে সংশয় এনে, সন্তোষের মধ্যে দুরাশার আঙ্গেপ উৎক্ষিপ্ত করে দিয়ে সমস্ত বিপর্যস্ত করে দিলে 1” পাশ্চাত্য সভ্যতাকে লক্ষ করিয়৷ তিনি বলিলেন, “তোমরা! অনেক জেনেছ, অনেক পেয়েছ কিন্তু সখ পেয়েছ কি” আমরা বে বিশ্বসংসারকে মাযা কলে বসে আছি এব. তোমর। (যে একে ঞ্ুব সত্য বলে খেটে মূরছ, তোমরা কি আমাদের চেয়ে বেশি সুখী হয়েছ? তোমরা যে নিত্য নৃতন অভাব আবিষ্কার করে দরিদ্রের দারিত্রয উত্তরোত্তর বাড়াচ্ছ, গৃহের স্বাস্থ্যজনক আশ্রয় থেকে অবিশ্রাম কর্মের উত্তেজনায় টেনে নিয়ে যাচ্ছ, কর্ষকেই সমস্ত জীবনের করা করে উন্মাদন'কে বিশ্রামের স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছ, তোমর। কি স্পষ্ট জানো তোমাদের উন্নতি কোথায় নিষে যাচ্ছে % “মামর! সম্পূর্ণ জানি আমর। কোথাষ এসেছি । আমরা গৃহের মধ্যে অল্প অভাব এবং গাঢ় ম্রেহ নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে নিতানৈমিত্তিক ক্ষুদ্র নিকটকর্ঠব্যঘকল পালন করে যাচ্ছি । " “ভারতবর্ষ সুখ চায় নি, সন্তোষ চেয়েছিল, ত| পেয়েওছে এবং সর্বভোভাবে সর্বত্র তার প্রতিঠ। করেছে । এখন আব তার কিছু করবার নেই। দে বরঞ্চ তার 'বিশ্রাম-কক্ষে বসে তোমাদের উন্মাদ জীবন-উত্প্রব দেখে তোমাদের সভাতীর চরম সফলত| সম্বন্ধে মনে মনে সংশষ অন্থভব করতে পারে ।''"না, কল যে রকম হঠাৎ বিগড়ে ষাষ, উত্তরোত্তর অতিরিক্ত বাম্প ও তাপ সঞ্চয় করে এঞ্জিন যে রকম সহস। ফেটে যায়, একপথবত্তী দুই বিপরীতমুখী রেলগাড়ি পরম্পরের সংঘাতে যেমন অকম্মাং বিপধস্ত হয় সেই রকম প্রবল বেগে একটা নিদারুণ :অপঘাঁত-মাপ্ত্রি প্রাপ্তি হবে ?” রবীন্দ্রনাথ এখানে ইউরোপীয় সভাতা৷ সম্পর্কে গভীর সংশয় প্রকাশ করিতে- ছেন। বলা বাহুল্য, তিনি পাশ্চাত্য দেশের ধনতান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদী “ভ্যতার প্রতিই ইঙ্গিত করিতেছেন। কিন্তু পরিবর্তন .একট। আসিগ়াছে। পাশ্চাত্য সভ্যতা কৃতকট! অনিবার্ষভাবে খু আমাদের উপর আসিয়া পড়িঘ্নাছে। অপরদিকে প্রাচীন হিশ্ুসমাজও আর নাই; বর্ণ, বৃত্তি অর্থাৎ সামাজিক ও অর্থ নৈতিক জীবনে একটি ওলটপাঁলট ও বিপধয় হুইয়! গিয়াছে । তাই তিনি এই নগ্ন বাস্তব সত্যটির দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া প্রাচীনপন্থীদের প্রতি বলিলেন, “কিন্তু সম্প্রতি ব্যাপারটা এইরকম হযেছে যে, আমরা জটা নখ কেটে ফেলেছি বটে, সংসারের মধ্যে প্রবেশ করে সমাজের লোকের সঙ্গে মিশতেও আরম্ভ করেছি, কিন্ত মনের ভাবের পরিবর্তন করতে পারি নি। এখনো আমর! বলি, আমাদের পিতৃপুরুষেরা স্তদধমাত্র হরীতকী সেবন করে নগ্নদেহে মহত্বলাভ করেছিলেন, অতএব আমাদের কাছে বেশভৃষা আহারবিহার চালচলনের এত সমাদর কেন? এই বলে আমর৷ ধুতির কৌচাটা! বিস্তারপূর্বক পিঠের উপর তুলে দিয়ে দ্বাবের সম্ুখে বসে কর্মক্ষেত্রের প্রতি অলস অনাসক্ত দৃষ্টিপাতপূর্বক বাধু সেবন করি। “এটা আমাদের স্মরণ নেই যে যোগাসনে যা পরম সম্মানার্য, সমাজের মধো ত৷ বর্বরতা । প্রাণ না থাকলে দেহ যেমন অপবিত্র, ভাব না থাকলে বাহ্ান্নষ্ঠানও তদ্রপ। “তোমার আমার মতো! লোক যার! তপশ্যাও কৰি নে হবিষ্যও খাই নে, জুতে। মোজা পরে ট্রামে চড়ে পান চিবতে চিবতে নিয়মিত আপিসে ইন্কুলে যাই, যাদের 'আতন্ঘোপাস্ত তন্প তন্ন করে দেখে কিছুতেই প্রতীতি হয় ন। এর! দ্বিতীয় যাজ্জবন্ধা, বশিষ্ট্য, গৌতম, জরৎকাক্র, বৈশম্পায়ন কিংবা ভগবান কৃষ্কহ্বৈপায়ন , ছাত্রবৃন্দ__ যাঁদের বালখিল্য তপন্বী বলে এ পর্যন্ত কারো ত্রম হয় নি, একদিন তিনসন্ধ্যা ম্লান করে একটা হুরীতকী মুখে দিলে যাদের তারপরে একাদিক্রমে কিছুকাল আপিস কিংবা কলেজ কামাই করা অত্যাবস্তক হয়ে পডে, তাদের পক্ষে এ রকম ব্রহ্ষচধের বাহাড়ম্বর কর|, পৃথিবীর অধিকাংশ উদ্যোগপরায়ণ মান্তজাতীয়ের প্রতি খর্ব নাসিক! সীটকার করা কেবলমাত্র যে অদ্ভুত, অসঙ্গত, হাশ্যকর তা নয়, কিন্তু সম্পূর্ণ ক্ষতিজনক ।* কিন্তু ভাহা হইলে উপায় কি-_-পথ কোথায়--সমাধান কিসে? তাহার উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “কিস্তু তার চেয়ে যদি সত্যকে ভালোবাসি; বিশ্বাস অনুসারে কাজ করি, ঘরের ছেলেদের রাশীকৃত মিথ্যার মধ্যে গোলগাল গলগ্রহের মতো না করে তুলে সত্যের শিক্ষায় সরল সবল দৃঢ় করে উন্নত মত্তকে দাড় করাতে পারি; যদি মনের মধ্যে এমন নিরভিমান উদারতার চর্চা করতে পারি যে চতুর্দিক থেকে জান এবং মহ্ত্বকে সানন্দে সবিনয়ে সাদর সম্ভাষণ করে আনতে পারি, ঘদি সংগীত শিল্প বি সাহিতা ইতিহাস বিজ্ঞান প্রভৃতি বিবিধ বিষ্ভার আলোচনা করে, _দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করে, পৃথিবীতে সমস্ত তন্রতন্ন করে নিরীক্ষণ করে এবং মনোযোগ সহকারে নিরপেক্ষভাবে চিত্ত! করে আপনাকে চারিদিকে উন্মুক্ত বিকশিত করে তুলতে পারি তাহলে আমি যাকে হিন্দুয়ানি বলে থাকি ত৷ সম্পূর্ণ টিকবে কিন বলতে পারি নে, কিন্তু প্রাচীনকালে যে সজীব সচেষ্ট তেজন্বী হিন্দুসভ্যতা ছিল তার সঙ্গে অনেকটা আপনাদের এক্যসাধন করতে পারব ।".- “নিজের মধ্যে সজীব মন্ত্যত্ব থাকলে তবেই প্রাচীন এবং আধুনিক মন্থ্ত্বকে, পূর্ব ও পশ্চিমের মনুয্যত্বকে নিজের ব্যবহারে আনতে পার! যায়। “মৃত মন্নস্যই যেখানে পডে আছে সম্পূর্ণরূপে সেইখানকারই | জীবিত মনুত্য দশ- ুদকের কেন্দ্রস্থলে ; সে ভিন্নতার মধ্যে এঁক্য এবং বিপরীতের মধ্যে সেতস্থাপন করে সকল সত্যের মধ্যে আপনার অর্ধিকার বিস্তার করে ; একদিকে নত ন! হযে চতুর্দিকে প্রসারিত হওয়াকেই সে আপনার প্রকৃত উন্নতি জ্ঞান করে ।” [স্বদেশ || পুঃ ১-২১] . প্রাচ্য ও প্রতীচ্যে'র মধ্যেও তিনি সেই একই কথা৷ বলিবার চেষ্টা করিলেন । ইউরোপের সম্ুদ্ধির পশ্চাতে রহিয়াছে তাহার ধনতাস্তিক 9 সাম্রাজ্যবাদী শোষণ। ইউক্বোপের যন্ত্রসভ্যত। কিভাবে শ্রমজীবী শ্রেণী ও নীচুতলার অগণিত জনমানবকে শোষণ করিয়। মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণীকে স্ফীত করিয়া তুলিতেছে তাহা ও তিনি লক্ষ্য করিয়াছেন। ইংরক্জ কবি টমাস্‌ ডের 5০080 0 775 58277 নামে কবিতাপাঠের ফলে তাহার মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়। হইয়াছিল তাহ। পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি । তিনি তাহার ভায়ারির খসড়ায মন্তব্য করিয়াছিলেন, “যেখানে অন্ধকার জম। হচ্চে, বিপদ সেইখানেই গোপন বল সঞ্চয় করচে, সেইখানেই প্রলয়ের গুপ্তভূমি। 'যুরোপযাত্রীর ডায়ারি'র ভূমিকায় বলিলেন, “প্ররুতির আইন অনুসারে উপেক্ষিত ক্রমে আপনার প্রতিশোধ নেবেই'-” [ প্রাচ্য 9 প্রতীচ্য--রবীন্দ্ররচনাবলী : ১২এ খণ্ড ॥ পৃঃ ২৩৭ ] ইউরোপের নারী-ম্বাধীনত।, পারিবারিক ও দাম্পত্য-জীবনের কয়েকটি সমস্যা সম্পর্কেও তিনি ইহাতে মন্তব্য করিযাছেন। তিনি বলিলেন, ইউরোপের নরনারী পারিবারিক ও দাম্পত্য-জীবনের মূল লক্ষা হইতে বিচ্যুত হইয়া পরম্পরকে প্রতিযোগী হিসাবে দেখিতেছে। তাহার ধারনা-_ভালোবাসাহীন এই যান্ত্রিক সম্পর্কে দাম্পত্য-জীবন কখন সুখকর ও বাঞ্ছনীয় নয, এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও আত্মস্থখসবন্থ ইউরোপীয় নারীদের তুলনায় দেশের অন্তঃপুরচারিণীরা অধিক স্থখী। বলা বাঁহুলা, কবির এই দৃষ্টিভঙ্গি নিতান্তই একদেশদর্শা এবং ভারতব্ষাম়ের চোখে দেখা । ইউরোপের বুর্জোয়! সভ্যতায় নরনারীর--বিশেষ করিয়া বুর্জোয়া ৬৪ সমাজের দাম্পত্য-জীবন ও নরনারীর সম্পর্কের মধ্যে অস্ুস্থ-জীবনবোধ সত্যই হ্ক্কারজনক ও তব; কিন্তু উহাই তো ইউরোপীয় নারী-্বাধীনতার সব কথা নয়। উহা একটি আংশিক চিত্রমাত্র--উহার অন্ত প্রগতিশীল দিকও আছে। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে উহার কতকগুলি অনিবাধ অসঙ্গতি ও সমস্য। দেখ। যায়--মান্তুষ তাহা দুর করিবার চেষ্ট! করে। ইউরোপের নারী-স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে পুথিবীর নারী-সমাজেব মুক্তির প্রথম সুচনা করিষাছে একথা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। অবশ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ইউরোপের নারী-স্বাধীনতার প্রগতিশীল দিকগুলির প্রতি মনে মনে আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। ভারতবর্ষের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নান! পরিবর্তন আমিতেছে, সেগুলিৰ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এদেশের নারীদেব সমস্তার কথা চিন্ত। কবিতেছেন। তিনি বলিলেন, «-.*দ্নেশের আর্থিক অবস্থার এমন পবিবর্তন হযেছে যে জীবনযাত্রার প্রণালী স্বতই ভিন্ন আকাব ধাবণ করছে এবং সেই কত্রে আমাদের একানবর্ত পরিবার কালক্রমে কথঞ্চিৎ বিশ্লিষ্ট হবার মতো! বোধ হচ্চে । সেই সঙ্গে ক্রমশ আমাদের স্ত্রীলোকদেব অবস্থ। পরিবর্তন আবশ্ক এব* অবশ্রস্ভাবী হুষে পডবে। কেবলমাত্র গৃহলুষ্ঠিত কোমল হৃদঘরাশি হযে থাকলে চলবে না, মেরুদণ্ডের উপর ভর করে উন্নত উৎসাহীভাবে স্বামীব পার্বচাবিণী হতে হবে । “অতএব স্ত্রীশিক্ষা প্রচলিত ন। হোলে বর্তমান শিক্ষিত সমাজে স্থামীস্ত্রীর মধ্যে সামগ্রশ্য নষ্ট হয। আমাদের দেশে বিদেশী খিক্ষ। প্রচলিত হওয়াতে, ইংরেজি যে জানে এবং ইংরেজি যে জানে না৷ তাদের মধ্যে একট। জাতিভেদের মতো দাডাচ্ছে, অতএব অধিকা*শ স্থলেই আমাদের বরকন্যার মধ্যে যথার্থ অসবর্ণ বিবাহ হচ্ছে । একজনের চিন্তা, চিন্তার ভাষা, বিশ্বাস এবং কাজ আর একজনের সঙ্গে বিস্তর বিভিন্ন।” [প্রাচ্য ও প্রতীচ্য- রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২শ খণ্ড ॥ পৃঃ ২৪৫-৪৬] ॥ 'সাধনা'র যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধাবলা ॥ ১২৯৮ সালে অগ্রহাযণ মাস হইতেই স্ধীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় “সাধনা? পত্রিক! প্রকাশিত হইল। স্বৃধীন্দ্রনাথ নামে সম্পাদক থাকিলেও, রবীন্দ্রনাথ এই পত্রিকার প্রধান লেখক ও প্রাণস্বরূপ ছিলেন। এই সাধন! পত্রিকায়ই রবীন্দ্রনাথের 'যুরোপযাত্রীর ডায়ারি' ও তীহার 'তৎকালীন বহু রাজনীতি-বিষমক প্রবন্ধাবলী প্রকাখিত তয়। পত্রিকার প্রকাশের প্রথম ভাগেই চন্দ্রনাথবাবুব সহিত তাহার “আহারতত্? ল্য একচোট বাদ-প্রতিবাদ হইয! যায়। মাথায় তাহার তখনও বিলাত্ের ব! ইউবোগীয সংস্কৃতির পর্যালোচন। কবিবার উগ্র ঝোক চাপিয়া রহিযাছে। “কর্মের উমেদার' ( সাধনা, ১২৯৮ মাঘ) নামক একটি প্রবন্ধে তিনি ইউরোপীয় সংস্কৃতির সমালোচন! করিলেন । ববীন্দ্রনাগের ধাবণা-_আধুনিক ইউরোগীয সংস্বৃতি ৪ সভাতার মূল লক্ষ্য হইতেছে, “জীবন-সন্ভোগের উপকরণ ও বস্তু কত বিচিত্র ও বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি কব। মায়।” তিনি বলিলেন, " সভ্যতার অসংখ্য আসবাব যোগাইয়! ওঠ! দিন দিন অসামান্য চেষ্টাসাধ্য হইয। উঠিতেছে । কল বাড়িতেছে এবং মান্ঘও কলের মতে! খাটিতেছে।... লোহার কলের সঙ্গে রক্তমাংসের মানুষকে সমান খাটিতে হইতেছে । কেবল বণিক সম্প্রদায় লাভ করিতেছেন ও ধনী সম্গুদায় আরামে আছেন।” কিন্ধ ইউরোপের সজীব ও স্বাধীনচেতা মান্টুষ এই অন্তায় ব্যবস্থ। বেশ দিন নানিয়া লইবেন না, রবীন্দ্রনাথ তাহা বিশ্বাস করেন। তাই তিনি বলিলেন, “যুরোপের মন্তধত্ব এইবপ ভীবস্ত এবং প্রবল থাকাতেই সহজে কোনো বিকারের আশঙ্কা হয না। কোনোরূপ বাড়াবাড়ি ঘটিলেই আপনিই তাহ! সংশোধনের চেষ্টা জাগিয়া উঠে।-"মাষ যেখানে স্বাধীন এবং স্বাধীনতাপ্রিয় সেখানে সত্বরই হউক বিলেই হউক সংশোধনের পথ মুক্ত আছে।” এই যাস্ত্রিকতা যেন এদেশের লোককেও পাইয়া বসিয়াছে। সহঃ সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার এবং বিধিনিষেধের চাঁপে এদেশের মাচযের স্বাধীন চিন্তা যেন লোপ পাইতে বনিয়াছে। তিনি বলিলেন, ৭৯ «আমাদের মানসিক রাজ্যে আমরা যন্ত্রের রাজত্বই বহন করিয়া আসিতেছি।*.*আমরা কলের কাজ করিবার জন্য একেবারে কলে তৈয়ারী হইয়াছি। মন পরাশর ভৃগু নারদ সকলে মিলিয়া আমাদের আত্মকর্তৃতব চূর্ণ করিয়৷ দিয়াছেন-..কখনেো! এমন স্বপ্নেও ভাবি না যে, স্বাধীন চেষ্টার দ্বারা আমাদের এঅবস্থার কোনো প্রতিকার হইতে পারে।” [ কর্মের উমেদার-_রবীন্ত্র-রচনাবলী £ ১২শ খণ্ড || পৃঃ ৪৬৭-৭১ ] লক্ষ্য করিবার বিষয়_ইউরোপ সম্পর্কে কবির তখনও দ্বিধা-ছন্ব রহিয়াছে। আধুনিক ইউরোপীয় পুঁজিবাদী সংস্কৃতির এ "উপকরণ 58152, জীবনের স্থসম সামঞ্জন্ত হারাইয়৷ ফেলিয়াছে,--কবি মাত্রেরই এই অভিযোগ । অথচ এইসব উপকরণকে বাদ দিয়াও তো৷ সভ্যতা আগাইতে পারে না । এবং উপকরণ-সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হইল আধুনিক যন্তশিল্প-সভ্যতা । পাশ্চাত্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ শেষ পর্যন্ত এই 'কর্ষ" ও “ন্্র-এব বিরুদ্ধে আসিযা পৌছাইভেছে। অথচ তিনি ধনতন্ত্কেও দেখিতে পাইতেছেন, এমন কি ভাবিকালের সমাজ-বিপ্লবকে ও দেখিতে পাঁইতেছেন , যদিও সে-দেখার মধ্যে বিজ্ঞানসম্মত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনার স্বচ্ছতা ছিল না । ইহার কিছুদিন পরে 'ন্ত্রীমজুর' নামে একটি প্রবন্ধে স্ত্রীমজুর সমস্য! লইয়া তিনি আলোচনা করিলেন । খুব সম্ভবত স্ত্রীমজুরদের পক্ষ লইা কিংবা ইহার বিভিন্ন সমন্য। লইয়। ইতিপূর্বে এদেশে কেহ আলোচনা করেন নাই। অবশ্থ এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, ১৮৯২ খ্রীষ্টাবে লর্ড ল্যান্সডাউনের সময় যে 'কারখান।-আইন' পাশ হয়, তাহাতে স্ত্রীমভুরদেরু যাহাতে নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত কাজ করান ন।-হয, জজ্জন্ত কিছুটা আইনগত সুবিধা দেওয়। হইয়াছিল । বলা বাহুলা, কলমালিকর৷ কোথাও সে আইন মানিয়৷ চলিত ন!। ইহার প্রায় বংসরখানেক পরে রবীন্দ্রনাথ কিছুদিনের জন্য রাজসাহীতে ছিলেন । বন্ধুবর লোকেন পালিত তখন রাজসাহীর জেলা-জজ। রবীন্দ্রনাথ লোকেন পালিতের আতিথ্য গ্রহণ করেন । সেখানে সাদ্ধাসভায় বছ গুণীজনের সমাবেশ হইত। এই রাজসাহীতেই ভিনি তাঁহার শিক্ষা-সম্পর্কীয় বিখ্যাত এঁতিহাসিক প্রবন্ধ “শিক্ষার হেরফের একটি জনসভায় (রাজসাহী এযাসোদিয়েশনে ) পাঠ করেন। প্রবন্ধটি সাধনায় ১২৯৯ সালের পৌষ সংখ্যায় গ্রকাশিত হয় । “শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধের বিস্তারিত আলোচনার স্থযোগ ও অবকাশ এখানে নাই। তবুও ইহার মূল কৃথাটি অতি অবশ্তই আলোচনা করা দরকার । কেননা এদেশের ইংরাজ সরকারের তৎকালীন শিক্ষানীতির মূল কথাটি রবীন্দ্রনাথই সর্বপ্রথম শখ উদঘাটন করিয়া দেখাইলেন। তিনিই সর্বপ্রথম স্বাধীন জাতীয় শিক্ষানীতির মূল কথাটি পরিষ্কার করিয়া দেশবাম'র সামনে উপস্থাগিত করিলেন। তিনি ইউরোপীয় সাহিত্য বা! জান-বিজ্ঞান পাঠের বিরোধী নহেন। কিন্তু উহার সহিত দেশের “ম্থাধীন পাঠে'রও আবশ্বকতার কথা বলিলেন। তিনি বলিলেন, “অত্যাবস্ক শিক্ষার সহিত স্বাধীন পাঠ না মিশাইলে ছেলে ভালো! করিয়া মান্য হয় ন।।” [ শিক্ষ। || পৃঃ ৭ ] তাহার বক্তব্য, ইংরাজী ভাষার মাধ্যমে যে শিক্ষা আমরা পাই, আমাদের বাস্তব জীবনের সহিত তাহার কোথাও সঙ্গতি ও সামগ্ুশ্ত থাকে না । ফলে তাহা কখনও আমাদের আন্তরিক বিকাশ ঘটাইতে পারিতেছে ন। । এই অসঙ্গতি ও বিরোধের ৬মূলকথাটাই হইতেছে, দেশের বৃহত্তর জনজ্ীবনের সহিত এই শিক্ষার কোনো সংযোগই ঘটিতে পারিতেছে না। কেননা বিদেশী ভাষার মাধ্যমে আমাদের জনশিক্ষার বা জনজাগরণের কোনোই সম্ভাবনা নাই । তিনি বলিলেন, “দেশের অধিকাংশ লোকের খিক্ষার উপর যদি দেশের উন্নতি নির্ভর করে, এবং সেই শিক্ষাব গভীরতা ও স্থায়িত্বের উপর যদি উন্নতির স্থায়িত্ব নির করে, তবে মাতৃভাষা ছাড়। যে আর কোনে। গতি নাই একথা কেহ না! বুঝিলে হাল ছাড়িয়া দিতে হয।” তিনি আরও বলিলেন, “রাজ! কত "আসিতেছে, কত যাইতেছে, পাঠান গেল, মোগল গেল, ইংরেন্গ আসিল, আবার কালক্রমে ইংরেজ যাইবে-_কিন্ধ ভাষা সেই বাংলাই চলিয়া আসিতেছে এবং বাংলাই চলিবে 1--'ইংরেজ যদি কাল চলিয়! যায়, তবে পরশ্ব & বড় বড় বিশ্ববিষ্ঠালয়গুলি বড় বড় সৌধবুছদের মতে প্রতীয়মান হইবে 1” [ গ্রস্থপরিচয়--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২ খণ্ড || পৃঃ ৬১৮ স্মরণ থাকিতে পারে, বেশ কিছুকাল আগে হইতেই রবীন্দ্রনাথ বাংলা-ভাষার মাধ্যমে জনশিক্ষাকে সর্বপ্রসারী করিয়া তুলিবাব কথা চিন্তা করিয়া আসিতেছেন। ১২৯৪ সালে “ভারতী' পত্রিকায় তিনি একই কথা বনিয়াছেন-_“বঙ্গবি্যালয়ে দেশ ছাইয়। সেই সমুদয় শিক্ষা বাংলায় খ্যাঞ্চ হইয়। পড়ুক । ইংরেজিতে শিক্ষ' কখনই দেশের সবত্র ছড়াইতে পারিবে না ।” [ ন্যাশনাল ফণ্ড-_ভারতী, ১২৯০ কাতিক ॥ পৃঃ ২৯৩ ) যাহাই হউক ঈশ্বরচন্দ্র বিষ্যাসাগরের পরে মাতৃভাষার মাধামে শিক্ষার বথ! সর্বপ্রথম বোধ হয় রবীন্দ্রনাথের কাছ হইতেই শোনা গেল। তিনি ধলিলেন, "আমাদের এই শিক্ষার সহিত জীবনের সামগুসন্তসাধনই এখনকার দিনের ৭৩ সর্ধপ্রধান মনোযোগের বিষয় হইয়া ধাড়াইয়াছে। কিন্তু এ মিলন কে সাধন করিতে পারে? বাংলা ভাষ। ও বাংল! সাহিত্য ।” [ শিক্ষার হেরফেব--শিক্ষা! | পৃঃ-১৩ ] এই প্রবন্ধটি সেযুগে বাংলাদেশে কী প্রতিক্রিয়ার স্থষ্টি করিয়াছিল, সে সম্পর্কে শ্ীগ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিতেছেন, “বাংলার তৎকালীন মনীধীর! একবাক্যে রবীন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধের স্থখ্যাতি করিলেন। কারণ এবাবৎ এদেশে শিক্ষাসম্বদ্ধে ক্রিটিসিজম্‌ তেমনভাবে হয় নাই। শিক্ষার গলদ কোন্থানে তিনি ঠিক সেই স্থানটিই নির্দেশ করিয়া দেখাইয়াছিলেন। বন্ষিমচন্ত্র তাহাকে লিখিলেন যে তিনি প্রবন্ধটি দুইবার পাঠ করিয়াছেন, 'প্রতিছত্রে আপনার সঙ্গে আমার মতের এঁক্য আছে।১ জান্টিদ্‌ (১৮৮৮) গুরুদাস বন্দ্যো- পাধ্যায় তখন কলিকাতা বিশ্ববিষ্তালষের ভাইস্‌ চ্যানসেলর ( ১৮৯০-৯২ ), তিনি লেখকের মতামত অন্মোদন করিয়া পত্র দেন; আনন্দমোহন বস্থু ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম র্যাংলার, তিনিও কবির মত সমর্থন করিলেন ।” [ রবীন্দ্রজীবনী : ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ২৭১] রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২ খণ্ডের গ্রন্থপরিচয়ে' ইহাদের মন্তব্যগুলি সংকলিত হইযাছে | এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, দেশের জাতীয়তাবাদের প্রধান মুখপাত্র সেই কংগ্রেস মণ্ডপ হইতে তখনও পযস্ত মাতৃভাষ। বা জাতীয় ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা নীতির পক্ষে কোনো কথাই শোনা গেল না। পরস্ধ মাতৃভাষাগুলি সম্পর্কে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটি লজ্ভা' ও সংকোচমিপ্রিত ভাব ছিল। এমন কি বা-লাদেশের প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মেলনগুলিতেও নেতৃবর্গ ইংরাজী ভাষা বত্ৃতাদি করিতেন। ইহার কিছুকাল পরে প্রাদেশিক ক:গ্রে সম্মের্লনীতেই তৎকালীন নেতৃবৃন্দের সহিত রবীন্দরনাথ-গোর্ঠীর বিরোধ বাধে । যথা- সময়ে আমর এ আলোচনায় আসিব । এই সময “স্তর লেপেল গ্রিফিন' নামক জনৈক ইংবাজ বাঙালী জাতির চরিত্রের প্রতি কটাক্ষপাত করিয়! অত্যন্ত অভদ্রোচিত ও কুংসিত ভাষায় গালাগালি করিযা “ফর্ট নাইট্লি রিহথযু” পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখিযাছিলেন। জাতির এই অপমান রবীন্দ্রনাথের পক্ষে নীরবে সহ করা সম্ভব হয় নাই । তিনি অত্যন্ত তীক্ষ শ্লেষাম্মক ও বিদ্রপাত্মক ভাষায় উহার প্রতিবাদ ফরিয়া সাধন! পত্রিকায় একটা জবাব দিলেন ( সার লেপেল গ্রিফিন--সাধনা, ১২৯৯ শ্রাবণ )। তিনি লিখিলেন, “কুকুর-সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকি কুকুর বলিয়া একটা বিশেষ জাত আছে। তাহাদের খেই খেই আওয়াজের মধ্যে কোনোপ্রকার গাস্তীর্ধ অথবা গৌরব নাই, কিন্ত নিংহের জাতে থেকি সিংহ কখনো শুন! যায় নাই। সার লেপেল গ্রিফিন ণ$ জুন মাসের “ফট নাইটুলি রিভিয়ু' পত্রে বাঙালিদের বিরুদ্ধে যে একট! প্রবন্ধ লিখিয়াছেন তাহার মধ্যে ভারি-একটা! খেই খেই আওযাজ দিতেছে । ইহাতে লেখকের জাতি নিরূপণ কর। কিছু কঠিন হুইয় পড়িয়াছে।” তীয় চরিত্রের অবমানন। হইলে রবীন্দ্রনাথের লেখনী 9 অত্যন্ত বঠোক ও তীক্ষু ক্ষরধার হইতে পারে । ভিনি বলিলেন, মাঝে মাঝে বক্রপক্ষ হইতে ছুই-একট। পাক। খাইলে কাঙ্জ দেয়, জাতির আলম্ত ও ভন্ত্রা ভাডিয়। যায় । তিনি বলিলেন, “কিন্ক লেখকের অভিপ্রায় যেমনি হউক, বাঙালিদের তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়। উচিত। কারণ উক্ত আধরয়াজের আর কোনে। ফল ন। হউক, আমাদিগকে সঙজগাগ করিধ! রাখে। বে সময একটুখানি নিদ্রাকর্ষণ হয়। আসে ঠিক সেই সমযে যদি এইরকম একট। বিদেশী হঠাৎ নামাদের প্রতি থেকাইয! আসে তাহাতে চটু করিয়। আমাদের তন্দ ভাঞিয়া যাইতে পারে ।” তিনি শালীনতাপুণ ভাষায় গ্রিফিন সাহ্কেবকে আত্মস্থ করিতে চাহিলেন, “**"আমি একট। তব বীপিয/ছিলাম যে, ইংরেজ রাজপুরুষের লেখায় যদ্দি-ব। কোনে! ন্থাবণে উদারতার অভাব লক্ষিত হয তথাপি তাভাব মধ্যে একট! সহত ান্রমধাদ। থাকে , কারণ, যে লোক সৌভাগ্যবান এবং ক্ষমতাবান তাহার লেখার মধো একটি বিনয এব, সেই বিনযের মো একটি প্রব্ল পৌরুষ থাকে। আমাদের মে! যাঃ রা দুর্ভাগ্য, শহাদের মুখ ছাড। অর কিছু নাই, সময়ে স্দ্যে অক্ষম আক্রোশে তাহাব| অমিতভা্ষী হইয। আপনর নিরুপায় দৌর্বল্যেরই পরিচয দেষ। কিন্তু গ্রিফিনের লেখা ই বেজি বডো কাগজে বাহির হইয। থাকে, এবং সেউসঙ্গে আমার গ্রিষত টিকে বিসর্জন দিতে হয় ।” [ রবীন্দ্-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড || পৃঃ ৫৩৫-৩৬ ] সেই সমঘে বাংলাদেশে নবকারপক্ষ হইতে ফৌজদারি আদালতগুলি হইতে ছুরি প্রথার অবসান কবিবার চেষ্টা চলিতে থাকে । বা'লার তৎকালীন লেফটেনাণ্ট গভনব স্তর চার্লস আলফেড ইলিয়টেব রিপোর্টেও এই জুরিপ্রথা অবসানের পক্ষে মন্তবা কব! হইয়াছিল । হাইকোটও জুরিপ্রথাব বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য করিলেন। ইহাদের যুক্তির স্বপক্ষে একটি কথাই পরিস্কট হইয়া উঠিয়াছিল, এদেশীয চরিত্রে জুরিপ্রথ! সহা হইবে না_-এদেশীয়ব। “জুরি প্রথার উপযুক্ত নহে। সার! দেশে শিক্ষিত সমাজে ইহা তীব্র বিক্ষোভের সঞ্চার করিল। ১৮৯২ গ্রীষ্টাকে কংগ্রেসের এলাহাবাদ অধিবেশনে শ্রীউমেশচন্দ্র “ন্দোপাধ্যায় তাহার সভাপতির অভিভাষণে বলিলেন, “ব০ ০0700181176 16801)60 005 90561106170 0000 00৩ ৭৫ 76016 826০066 008 005 8586610, 1080 81160. [৮ 13 00 ০56:10208 0658115 01) 006 08:60 0৫6 006 05615010620 00 ৫0 £০০৫ 60 05 0086 1083 06615 052 08056 ০01 006 ভ1000788] ০0: 0515 555020138৮6 08 20100 001: ভ611-আ1813619, ৪৪5 [. 1 6001৫ 10855 09306180004 005 8000 06 30561080060 41 00616 108৫ 5619 ৪105 1006 800 ০৫5 2 006 ০০০2০5 00. 006 800০৮... **১৫শ002 0015 88665809810 11618 85028860 06:902)9 138৮5 8£81090 0019 ৪98610 10 9685$0158 09569 15158] 65 105. 270৫ 00চা 005 19061508010) ০£ 096 141600217820090৭ 62001 9: 967089) 10019 8 0013 9816£9810. 10010 006 56562 0150150 10. 860851 আ1)6:6 50 6315660, 2064 006 ভা0015 260১16 ০0৫ [15019 19858 10621 00168061560 আহত) 2 116 100019৬8116 0016501018 19 20% ৪ 0:01150191 0036 21 17019620951] 0136) 210 0£ 0156 151810651 100001281906, [9 00616106১00) 1615 001 0065 0০ 68155 0015 2062501017 90১ 850 10610 081 9320289] 10160191610, 60 0106 0000956 5662৮ 0: 001 7061 0০0 £50 08015 18 0065 1986 10956 ৪10 00 ৪8০ 0086 00061 10815 06 006 ০০0190৮ 812 1000 05610815512 05 006 52006 €8106.% [ 00106255 19:6510619018] 4১৫00165565 : ৬০]. 1. 2.0. 114-16 ] সারা বাংলাদেশে “জুরি প্রথার অবসান লইয়। যখন তীব্র অসস্তোষ ও বিন্ষোন দেখা দিয়াছে। রবীন্দ্রনাথ সেই সময় কটকে কিছুকাল বিহারীলাল গুপ্তের আতি্থ্যি লইয়াছিলেন। বিহারীলাল তখন কটকের জেলা-জজ। এই কটকবাসক।লে এদেশীয় ইংরাজ শিক্ষিত শ্রেণীর সম্পর্কে তাহার কতকগুলি তিক্ত অভিজ্ঞতা স্থাষ্টি হয। “সেগুলি সম্পর্কে আমর! “ছিন্নপত্রে জানিতে পাই । কটকের [২৪] 5108৮ কলেজের ইংরাজ অধ্যক্ষ একদিন বিহারীবাবুর বাড়িতে সাদ্ধ্য- ভোজের মঙ্জলিসে বাঙালী-চরিত্রের প্রতি কটাক্ষপাত করিয! যখন বন্তৃত৷ করিতে- ছিলেন, রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তাহা অসহা গীড়াদায়ক ও অপমানকর বোধ হইয়াছিল । এই ঘটনার উল্লেখ করিয়! ইন্দির৷ দেবীকে যে পত্রটি লেখেন, তাহাতে তীাহাব মানসিক যাতনার অবস্থাটি পরিস্ছুট হইয়া উঠিয়াছিল। তাহার অংশবিশেষ এইরূপ, “জানিস বোধ হয় গবর্ষেন্ট আমাদের দেশে জুরি প্রথার উপর হত্তক্ষেপ করিতে চেয়েছিল বলে চারিদিকে ভারি একটা আপত্তি উঠেচে। লোকটা জোর করে সেই বিষয়ের কথা তুলে'''তর্ক করতে লাগল । বলল এ দেশের 00781 8081)0810 10জ--্এখানকার 166-এর 88০76311688 সম্বদ্ধে যথেষ্ট বিশ্বাস নেই, এরা জুরি হবার যোগ্য নয় । আমার যেকি রকম করছিল সে তোকে কি বলব! আমার ধ৬ বুকের মধ্যে রক্ত একেবারে ফুটছিল কিন্তু কথা খুঁজে পাচ্ছিলুম না ।-' "একজন বাঙালীর নিমন্ত্রণে এসে বাঙালীর মধ্যে বসে যারা এরকম করে বলতে কু্ঠিত হয় না তারা আমাদের কি চক্ষে দেখে!” [ বিশ্বভারতী পত্রিকা---১৩৫১, তৃতীয় সংখ্যা || পূঃ ১৪৪ ] ইহার প্রায় দুই বৎসর পরে এই ঘটনাটিকে উপলক্ষ করিয়া “অপমানের প্রতিকার, নামে সাধনা পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছিলেন। যথাসময়ে আমর! তাহার আলোচন। করিব । এই ঘটনার কয়েকদিন পরই পুরীতে আর একটি ঘটনায় এদেশীয় ইংরাজ রাজপুরুষদের সন্বন্ধে তাহার ঘ্বণার ভাব অত্যন্ত তীব্র হইয়া উঠিল। পুরীতে রবীন্দ্রনাথ ও বিহ্বারীবাবু সন্ত্রীক একদিন স্থানীয় ইংরাজ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের সহিত দেখ। করিতে গিয়ছিলেন। মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করিবার পর খরব আসিল যে, পরদিন সকালে আসিলে পর সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইবে । এই ঘটনায় তিনি অতান্ত অপমানবোধ করিয়াছিলেন । পরে তিনি ইন্দিরা দেবীকে লিখিয়াছিলেন, “আমাদেরই দেশের লোকের দোষ তারা পেটের দায়ে মানের দায়ে উমেদারী করতে সেলাম করতে যায়, সাহেবের আদিষ্ট সময়ে দ্বারদেশে অপেক্ষা করে থাকে স্ৃতরাং, আমি বঙ্গনামধারী এক ব্যক্তি যে আস্ফালন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ম্যাজিস্ট্রেট-পত্ধীর উপর সামাজিক কর্তব্যরক্ষান্বরূপ “কল” করতে যাব এ তাদের মনেও হয় নি।-'*পুরীর ম্যাজিস্ট্রেট আমার সঙ্গে পরদিন সাক্ষাৎ করলে এবং আমাকে নিমন্ত্রণ করলে আমি কি তাতে ভারি খুসি হয়েছিলুম ?*"'নিমস্ত্রণ অগ্রাহ্‌ করলে বড় বেশি স্পষ্ট অভিমান প্রকাশ করা হয় এবং তাতে যথার্থ অভিমানের খর্বত। হয়__-ত। ছাড়। বিহারীবাবুদের বিশেষ ক্ষুপ্জ কর! হয়।” উড়িস্তা হইতে ফিরিয়া আসিবার পর রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহেই আছেন। মাঝখানে রাজসাহীতে লোকেন পালিতের কাছে যান, আবার বর্শেষ ও নববর্ষ উপলক্ষে কলিকাতাও যাইতে হয়। কাব্য ও সাহিত্য স্থির দিক হইতে এই সময় তাহার কয়েকটি শ্রেষ্ঠ রচনার নাম উল্লেখ করা যাইতে পারে, “সোনার তরী" 'পঞ্চভূতের ডায়েরি, “চিত্রাঙ্গদা”, 'গোড়ায়-গলদ', “বিদায়-অভিশাপ' ইত্যাদি। ভাত্র মাসের (১৩**) প্রথমদিকে কবি কলিকাতায় আসিলেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি লইয়! কলিকাতায় তখন খুব উত্তেজনা! চলিতেছে । এই সময়ই চৈতন্য লাইব্রেরিতে এক জনসভায় তিনি 'ইংরাজ ও ভারত্বাসী' নামক প্রবন্ধটি পাঠ করেন। সভাপতি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। বঙ্ধিমচন্্রকে পূর্বাহ্েই প্রবন্ধটি পাঠ করিয়। শোনাইতে হইয়াছিল। খুব সম্ভবত বক্তৃতার কোনে অংশ ৭৭ সিডিশন্‌ পর্ধায়ে পড়ে কিন! তাহা জানিয়া! লইতে চাহিয়াছিলেন। প্রবন্ধটি শুনিবার পর অবশ্ঠ তিনি সানন্দে সভাপতিত্ব করিতে রাজী-হইয়াছিলেন । এই প্রবন্ধে ইংরাজ জাতির বর্ণবিছেষ ও জাতীয় আত্মস্তরিত| বর্ণন! করিতে গিয়া প্রথমেই তিনি ম্যাথু আর্নন্ড-এর একটি মস্তব্য উদ্ধৃত করিয়! দিলেন, 00015 13 0905108 1105 105৩ 290 81001781101 06 712108175 ০2০1০ 6০0 & 126610655 ভা10 1590 01065 10৬০ 810 8010916 ; ০01 €০6 71081151500810 96510326৮61 0০0 01681 ০01 21221095108 0063০ 11700600655 0১00 2 1806 106 ভা) €0 5056 আ10) 101058616. 76 50210959 81011915 10081621191 11166016805 10912 013 018 01 05101) 3 8230) 0650150 00652 12506001096 63০60 3০0৫) 81700 1200106. £8 05007010815 05616 15 150 11 19102 06066012170 100 02৩ 12065 175 13858 210115360.৮ ভারতে ইংরাজের স্বরূপ ইহা অপেক্ষাও ভয়াবহ ৷ ববীন্দ্রনাথ বলিলেন, “ইংরেজও আপনার চরিত্রের মধ্যে ওদ্বত্যকে যেন কিছু বিশেষ গৌরবের সহিত পালন করে। তাহার দ্বৈপায়ন সংকীর্ণতার মধ্যে সে যে অটল, এবং ভ্রমণ অথব। রাজত্ব উপলক্ষে সে যাহাদের সংস্গবে আসে তাহাদের সহিত মেলামেশা করিবার ষে কিছুমাত্র প্রয়াস পায় না, সাধারণ “জন”-পুঙ্গব এই গুণটিকে মনে মনে কিছু যেন শ্লাঘার বিষয় বলিয়া জ্ঞান করে। তাহার ভাবখান। 'এই, টেকি যেমন ন্বর্গেও টেকি তেমনি ইংরেজ সর্বত্রই খাড়া ইংরেজ, কিছুতেই তাহার অন্যথা হইবার জো! নাই। “আমাদের কোনো শক্রর উপদ্রব নাই, বিপদের আশঙ্কা নাই, কেবল বুকের উপর অকম্মাৎ সেই বুটট! আসিয়া পড়ে। তাহাতে আমরা বেদনা পাই"**কিন্ত' ইংরেজ সর্বত্রই ইংরেজ, কোথাও সে আপনার বুটজোডাট!| খুলিয়া আসিতে রাজি নহে ।” রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, ইংরাজ কোথাও ভারতবাসীর অন্তরলোকে প্রবেশ করিবার চেষ্টা করে ন।-_অন্তর জয় 'করাঁ তে! দূরের কথ। বরঞ্চ দূর হইতে এদেশীয়দের ত্বণ! ও অবজ্ঞার চক্ষে দেধিয়! থাকে । তিনি বলিলেন, « “মান্য তো৷ জড়যন্থ নহ্‌ যে তাহাকে বাহির হইতে চিনিয়! লওয়! যাইবে, এমন কি পতিত ভারতবর্ষেরও একট! হৃদয় আছে এবং সে হয়া মে তাহাব জামার আন্তিনে ঝুলাইয়া রাখে নাই |." ”--*মাঁছষের অত্যন্ত কাছে যাইবার যে ক্ষমতা সে একট! ছুলভ ক্ষমতা] । “ইংরেঙের বিশ্তর ক্ষমতা আছে, কিন্তু সেইটি নাই। সে বরঞ্চ উপকার করিতে অসশ্গত নহে, কিন্ত কিছুতেই কাছে আলিতে চাহে না । কোনোমতে উপকারটা ৮ সারিয়া ফেলিয়া অমনি তাড়াতাড়ি সরিতে পারিলে বাচে। তাহার পরে সে ক্লাবে গিয়া পেগ খাইয়! বিনিয়র্ড খেলিয়া৷ অন্থগৃহীতদের প্রতি অবজ্ঞাস্থচক বিশেষণ প্রয়োগ-পূর্বক তাহাদের বিজাতীয় অস্তিত্ব শরীরমনের নিকট হইতে যথাসাধ্য দূরীকৃত করিয়া রাখে ।” এদেশীয় আযাংলো-ইও্ডয়ান সমাজ ৪ রাজপুরুষদের আচরণ, ব্যবহার ও দুষটিভঙ্গির সমালোচন! করিতে গিয়। বলিলেন, “সর্বপ্রথম সংকট বর্ণ লইয়!| শরীরের বর্ণ টা যেমন ধুইযা-মুছিয়৷ কিছুতেই দূর কর। যায় না তেমনি বর্ণসন্বদ্ধীয যে সংস্কার সেট! মন হইতে তাডানে। বডে। কঠিন। শ্বেতকায় আর্ধগণ কালো রঙটাকে বহু সহস্র বর ধরিয়। ঘ্বণাচক্ষে দেখিয়। ৬আসিতেছেন | '-"কথাট। সকলেই বুঝিবেনণ শ্বেতকুষেঃ যেন দিনরাত্রিব ভেদ । . শ্বেতজাতি দিনের ন্যায় সদাজাগ্রত, কর্মশীল, অন্তসন্ধানতৎ্পর ; আব রুষ্ণজাতি রাত্রির ন্যায় নিশ্চেষ্ট, কর্মহীন, স্বপ্রকুহকে আবিষ্ট।-"*কথাট| এই যে, কালো র€ দেখিবামাত্র শ্বেতজাতির মন কিছু বিমুখ ন| হইয়া থাকিতে পারে না। “তার পরে বসনভূষণ-অভ্যাস-আচারে প্রত্যেক বিষষেই এমন-সকল বৈসাদৃশ্য আছে যাহা হৃদয়কে কেবলই প্রতিহত করিতে থাকে। “তাহার পরে, আমাদের মধ্যে ইংরেজের৷ যেভাবে আমাদের সম্বন্ধে বল।-কহ। করে, চিন্তামাত্র ৮। করিয়া আমাদের প্রতি যে-সমস্ত বিশেষণ প্রয়োগ করে, এবং আমাদিগকে সম্পূর্ণরূপে না জানিয়াও আমাদের যে-সমস্ত কুৎসাবাদ করিয়া থাকে, প্রত্যেক সামান্য কথাটিতে আমাদেব প্রতি যে বদ্ধমূল অপ্রেম প্রকাশ হই্যা' থাকে তাহ। নবাগত ইংবেজ অল্লে অন্নে সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়! শোষণ না করিষ! থাকিতে পারে ন।” এইসব ইংরাজ রাজপুরুষদের হাতে লাঞ্ছনা ও অপমান কী নিরুপায় ও দুঃসহ অবস্থার মধ্যে দিনের পর দিন দেশবাসীকে ভোগ করিতে হইতেছে, তাহারই করুণ বিবরণ দিতে গিষ। তিনি এক জায়গা বলিলেন, “...কে না জানে, দরিদ্র বাঙালি কর্মচারীগণ কতদিন সুগভীর নির্বেদ এবং স্ৃতীব্র ধিককারের সহিত আপিস হইতে চলিয়া আসে, তাহাদের অপমানিত জীবন কী অসহা দুর্ভর বলিয়া বোপ হুধ--সে তীব্রতা এত আত্যন্তিক যে, সে অবস্থায অক্ষমতম ব্যক্তিও সাংঘাতিক হইয়া উঠে, কিন্তু তথাপি তাহার পরদিন যথাসময়ে ধুতির উপর চাপকানটি পরিয়া সেই আপিসের মধ্যে গিয়া প্রবেশ কব এবং সেই মসীলিগ ডেস্কে চামড়ায় বাধানো বৃহৎ খাতাটি খুলিয়া সেই পিঙ্গলবর্ণ বড়োনাহেবের রুঢ় লাঞ্ছনা! নীরবে সহ্থ করিতে থাকে । হঠাৎ আত্মবিস্বৃত হইয়া ৭৯, 'সেকি এক মুহুর্তে আপনার বৃহৎ সংসারটিকে ডুবাইতে পারে ।-*"আমরা প্রাণ দিতে উদ্ভত হইলে অনেকগুলি নিরুপায় নারী, অনেকগুলি অসহায় শিশু ব্যাকুল বাহু উত্তোলন করিয়া আমাদের কল্পনাচক্ষে উদ্দিত হয় ।'**” তারপর এদেশের ইংরাজ সংবাদপত্রগুলির ও ইংরাজ সাহিতাক-কবিদের ভারত-বিদ্বেষের কথ! খলিতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন, “তাহার পরে ভারতবর্ষের অধিকাংশ ইংরেজি খবরের কাগজ আমাদের প্রতিকৃলপক্ষ অবলম্বন করিয়া আছে। চারুটি এবং আগ্ডার সহিত আমাদের নিন্দাবাদ ভারতবর্ষীয় ইংরেজের ছোটো! হাজরির অঙ্গ হইয়া পড়িয়াছে। .. “ইংরেজ কবিগণ গ্রীস ইটালি হাঙ্গেরি পোলাণ্ডের ছুঃখে অশ্রমোচন করিষাছেন। আমরা ততট| অশ্রপাতের অধিকারী নহি, কিন্ত এ-পর্বস্ত মহাত্মা এড্‌বিন্‌ আর্নল্ড্‌ ব্যতীত আর কোনো! ইংরেজ-কবি কোনো প্রসঙ্গ উপলক্ষে ভারতবর্ষের গ্রতি প্রীতি ব্যক্ত করেন নাই। "* “ভারতবর্ষ ও ভারতবর্ষীয়দের লইয়া আজকাল ইংবেজি নভেল অনেকগুলি বাহির হইতেছে। শুনিতে পাই, আধুনিক আ্যাংলো-ইত্ডিয়ান লেখক-সম্প্রদাষের মধ্যে রাড ইয়ার্ড কিপ্‌লিং প্রতিভায় অগ্রগণ্য । তীাহাব ভারতবর্ষীয় গল্প লইয়া ইংরাজ পাঠকেরা অত্যন্ত মুগ্ধ হইয়াছেন । “উক্ত গল্পগুলি পড়িয়! তাহার একজন অন্তরক্ত ভক্ত ইংরেজ কবির মনে কিব্প ধারণা! হইয়াছে তাহা! পড়িযাছি। সমালোচনা উপলক্ষে এড্মণ্ড গস্‌ বলিতেছেন, “এই-সকল গল্প পড়িতে পড়িতে ভারতবর্ষীয় সেনানিবাসগুলিকে জনহীন বালুকা- সূত্রের মধ্যবর্তী এক-একটি স্বীপের মতে| বোধ হয়। চাবি দিকেই ভারতবর্ষের অপরিসীম মরুমন্ততা--অধ্যাত, একঘেষে, প্রকাণ্ড । সেখানে কেবল কালা আদমি, পারিষ! কুকুব, পাঠান এবং সবুজ বর্ণের টিয়! পাখি, চিল এবং কুস্তীব এবং লঙ্্ ঘাসের নির্জন ক্ষেত্র । এই মরুসমদ্রের মধ্যবর্তী দ্বীপে কতক গুলি যুবাপুরুষ বিধবা মহারানীৰ কা করিতে এবং তাহার অধীনস্থ পূর্বদেশীষ ধনসম্পদপূর্ণ বর্বৰ সাম্্রাজা রক্ষা করিতে সুদুর ইংলগ্ড হইতে প্রেরিত হুইয়াছে।” “ইংরেজের তুলিতে ছ্চারতবর্ষের এই শু শোভাহীন চিত্র অঙ্কিত দেখিযা মন নৈরাশ্ে বিষাদে পরিপূর্ণ হইযা যায় । আমাদের ভারতবর্ষ তে। এমন নয। কিন্ত ইংরেজের ভারতবর্ষ কি এত তফাত ।” প্রবন্ধে তিনি ইংরাজের সাগ্ত্রাজ্যবার্দী শোষণের রূপটি খুলিয়া ধরিলেন, “ইংলগু, উত্তরোত্তর ভারতবর্ধকে তাহাদেরই রাজগোষ্ের চিরপালিত গরুটির মতে। দেখিতেছেন | গোঁয়াল পরিষ্কার রাখিতে এবং খোলবিচালি জোগাইতে চি. কোনে। আলম নাই, এই অস্থাবর সম্পত্তিটি যাহাতে রক্ষা হয় সে পক্ষে তাহাদের বত আছে, যদি কখনে। দৌরাত্ম করে সেজন্য শিং ছুট! ঘষিয়! দিতে ওঁদাসীন্ত নাই... । "আর, হতভাগ্য ভারতবর্ষের কোথাও একট! হৃদয় আছে এবং সেই হৃদয়ের সঙ্গে কোথাও একটু যোগ থাকা আবশ্তক সে কথার কোনো আভাসমাত্র থাকে না। ভারতবর্ষ কেবল হিসাবের খাতায় শ্রেণীবদ্ধ অস্কপাতের ছারায় নির্দিষ্ট । ইংলগ্ডের প্রাক্টিক্যাল লোকের কাছে ভারতবর্ষের কেবল মন-দরে সের-দরে টাকার দরে সিকার দরে গৌরব ।-.'ভারতবর্ষের সহিত যদি কেবল তাহার স্বার্থের সম্পর্কই দৃঢ় হয় তবে যে শ্যামাঙ্গিনী গাভীটি আজ ছুধ দিতেছে কালে গোপকুলের অধথা বংশবৃদ্ধি ও ক্ষুধাবৃদ্ধি হইলে তাহার লেজটুকু এবং ক্ষুরটুকু পধস্ত তিরোহিত হইবার গভ্ভাবনা। এই স্বার্থের চক্ষে দেখা হয় বলিয়াই তে ল্যাঙ্কাশিয়র নিরুপায় ভারতবর্ষের তাঁতের উপর মাশুল বসাইয়াছে আর নিজের মাল বিন! মাশুলে চালান করিতেছে ।” অত্যন্ত বিশ্ময়ের ব্যাপার, রবীন্দ্রনাথ যখন বেদনারুদ্ধ কণ্ঠে সার! জাতির লাছন! ও অপমানের বিরদ্ধে প্রতিবাদ তুলিয়া ইংরাজকে আসামীর কাঠগড়ায় ঈাড় করাইয়া! একটির পর একটি অভিযোগ করিতেছেন তখন কিন্তু কংগ্রেস- মঞ্চ হইতে উহার স্বপক্ষে কোনে! কথ! বলিতে শোনা গেল না । ইংরাজ জাতির স্তায়পরত। ও মহাচ্ছভবতার উপর কংগ্রেসের তখনও অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা | ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে দাদাভাই নৌরজী বলিলেন, ঠ০০০]:001 006 09৬5 000 005 51800 ০: 2 0000: 0386 1) 0691108 ভা 5001) 10301০2-10517589 98770917050 ০০০1০ ৪8 006 13001919১ ০ 2085 1550 10115 83511160 0020 ০ 51781] 1006 ভ91 2 210. [013 015 50131501010, ভ131০0, 10858 ৪8199০9205৫ 06 8£98850 21] ৫1890701065, [00956 06562: 19106150 205 1910 7) 05978016051) ০1592790061 2100 108৬০ ৪1255 ১০1:০৬০৫ 0086 006 006 ভা1]1] 50106 9/10618 0156 561)0117761)05 01 006 31191) ৪2৫02 8190. 001 31861095 9০950161867 01001817060 0০ 05 11) 001 01586 01058100617 ০9£ 006 79:0০191008001 0৫ 1858 ভা] 06 2:5911560, ৬1 “ঢু 0061 01956215 11 ০০ 001 50061780105 15 00610 5006217006186 080 70250 1580." ” [00972816555 01551061759] 4১001535568 : ৬০], নু. 10. 159] রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের এই আবেদন-নিবেদন-_এই বস্তৃতা ও বাগাড়ম্বরকে লক্ষ্য করিয়! এ গ্রবন্ধে বলিলেন, “আমর! আজ পৃথিবীর রণভূমিতে কী অস্ত্র লইয়! দাড়াইলাম। কেবল ৮১ রবীন্্রণাথ | ৬ বক্তৃতা এবং আবেদন? কী বর্ম পরিয়া আত্মরক্ষা করিতে চাঁহিতেছি । কেবল ছদ্মবেশ ? এমন কৰিয়! কতদিনই-ব! কাজ চলে এবং কতটুকুই-ব! ফল হয়।” অবশ্ত তখনও তিনি পরিফার কোনে! পথ দেখিতে পাইতেছিলেন না । তিনি জাতিকে পাগুবদের ন্তায় অজ্ঞাতবাসে থাকিয়৷ বল সঞ্চয় করিতে বলিলেন, “আনাদেরও এখন আত্মনির্যাণ-জাতিনির্মাণের অবস্থা, এখন আমাদের অজ্ঞাতবাসের সময় |” যে ইংরাজ প্রতি মুহূর্তে আমাদের অপমান করিতেছে তাহাদের হইতে সর্বতোভাবে দূরে থাকিবার তিনি পরামর্শ দিলেন । তিনি বলিলেন, "অতএব, সকল দিক পর্যালোচনা করিয়া! রাজাপ্রজার বিছেষভাব শমিত রাখিবার প্ররুষ্ট উপায় এই দেখা যাইতেছে, ইংরেজ হুইতে দুরে থাকিয়া আমাদের নিকট কর্তব্যদকল পালনে একান্তমনে নিযুক্ত হওয়া । কেবলমাত্র ভিক্ষা করিয়া কখনোই আমাদের মনের যথার্থ সন্তোষ হইবে না।"**আমাদের স্বভাববকে, সমস্ত ক্ষুদ্রতার বন্ধন হইতে মুক্ত করিতে পারিলে তবেই আমাদের যথার্থ দৈন্ত দূর হইবে এবং তখন আমর! তেজের সহিত, সম্মানের সহিত, রাজসাক্ষাতে যাতায়াত করিতে পারিব ৮ [ ইংরেজ ও ভারতবাসী- রবীন্দ্-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৩৭৯-৪২ ] ৬বীন্দ্রনাথ রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন না_ সক্রিষভাবে রাজনীতি তিনি কখনও করেন নাই। কিন্তু জাতীয় নিগ্রহ ও অবমাননার কাটাগুলি অহরহ তাহাকে বিদ্ধ করিয়াছে । মানসিক যন্ত্রণা অসহ্‌ হইয়া উঠিলে তীব্র ও কঠোর ভাষায উহার নিন্দা”ও প্রতিবাদ না করিয়া থাকিতে পারিতেন না। ম্মরণ রাখা দরকার--সেটা “সোনার তরী'র যুগ । পুরস্কার বা "মানস-হুন্দরী'র কবির পক্ষে কী করিয়া ইংরেজ ও ভারতবাসী” লেখা সম্ভব, তাহা ভাবিলে বিম্মিত না হইয়! পারা যায় না। ইহার কিছুকাল পরে সাধনার সম্পাদকীয় মন্তব্যে ইংরেজের আতঙ্ক (সাধনা, ১৩০* পৌষ ) নামক প্রবন্ধটি লিখিলেন। ১৮৯ সালের “ইও্িয়ান কাউন্সিল বিলে'র আন্দোলনের পর হইতেই কংগ্রেস ক্রমশই এদেশীয় বুদ্ধিজীবীদের একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ করিতে থাকে । বল! বাহুলা, ইংরাজ সরকার ইহাকে খুব ভালো! চোখে দেখিতে পারিল না। সরকারপক্ষ হইতে নানা! উপায়ে--নানা কৌশলে ভারতের এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও নবজাগ্রত জাতীয় এঁক্য-চেতনায় ফাটল ও বিরোধ বাধাইবার চেষ্টা চলিতে থাকে । ইংরাজ সরকার এই কথাটা স্পষ্ট বুঝিতে পারিয়াছিল যে, ভারতের হিন্সু-মুনলমানের সাম্প্রদায়িক বিরোধটি যদি পাকা-পোক্ত ৮৭ কর! যায়, এ দেশে ইংরাজ-শাসনের বনিয়াদটিও তাহা হইলে চিরস্থায়ী হইয়া উঠিবে। কংগ্রেসের সুচনাকাল হইতেই কংগ্রেস হইতে মুনলমান সমাজ যে কিছুটা নূরে দূরে থাকিতে লাগিলেন, তাহার গৃঢ কারণ সকলের নিকট পরিফার হইয! উঠিল। এমন সময় ইংবাজের হাতে একটি স্বর্ণ সুযোগ আসিয। গেল। এই সময় মহারাষ্ট্রে বাল গঙ্গাধর ভিলকের নেতৃত্বে এক নব হিন্দু'জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের স্ুত্রপাত হয়। তিনিই সাবজনীন গণপতি উৎসবের প্রবর্তন করিয়।- ছিলেন এবং এই উৎসবকে উপলক্ষ করি! মহারান্ট্ীয়দের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনা স্তটি করিষ। উনাকে জ্বাতীয় মুক্তি-আন্দোলনের দিকে প্রসারিত করিতে চাহিয়াছিলেন। তৃৎকালীন অন্ান্ত জাতীয় নেতৃস্থানীম ব্যক্তিদের ন্যায় তিলকও জাতীয় মুক্তি 'আন্দোলনকে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতেই চিন্ত| করিতেছিলেন। জাতীয় এঁক্য বলিতে তিনি সমগ্র ভারতের হিন্দু জাতির এক্য বুঝিতেন। এই সময় তিনি “গ্সোবক্ষণী সভা" আন্দোলন অর্থাৎ গোরক্ষ। সম্বক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সংস্কারকে উদ্বোধিত করিষ! হিন্দুদের মধ্যে ধীয ও জাতীয এঁক্যবোধ স্থত্টি করিতে চাহিলেন। বলা বাহুল”--এই গোরক্ষা আন্দোলন বাঙ্গনীতিবিদের চোখে নিঃসন্দেহ 'অত্যস্ প্রতিক্রিয়াশীল বলিয়া! বিবেচিত হইবে কিন্তু এঁতিহাসিক দিক হইতে বিচাব করিলে সে যুগে ঈহার মবদান কম নয়। তবে এই আন্দোলনে মুসলিম সম্প্রদায যতখানি ৬শক্কিত ও উত্তেজিত ন| হইয়াছেন ইংরাজ সরকার তাহার সহস্ব গুণ বেশী বিপদ ও আশঙ্ক| গণিতে লাগিলেন, মুনলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার কথ! চিন্ত! করিয!। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বোম্বাই বিহার উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষাকে কেন্দ্র করিয়। স্থানে স্থানে হিন্দুমুসলমানের বিরোধ বাধিয়! গেল। এই বিরোধের পশ্চাতে একটি অদৃশ্য হস্তও পরিষ্কার দেখা গেল। ইহারই পটভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ ইংবেজের আতঙ্ক নামক প্রবন্ধটি লিখিলেন। ইংরাজে আতঙ্কের পরিণাম যে কী মর্মান্তিক হইতে পারে,_-একটি এঁতিহাসিক ঘটনার অবতারণা করিতে গিয়৷ রবীন্দ্রনাথ সাওতাল বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করিলেন। সাওতাল বিদ্রোহকে রবীন্দ্রনাথ কী চোখে দেখিয়া ছিলেন, তাহা জানিতে পাঠকের কৌতুহল হওয়া স্বভাবিক। তাহা ছাড়! ইহা! প্রসঙ্গবহিভূ'ত হইবে না বিবেচন! করিয়া রবীন্দ্রনাথের উক্তিটি উদ্ধৃত করিয়! দিতেছি। “১৮৫৫ থৃষ্টাবে হিন্দু মহাজনদের দ্বারা একান্ত উৎপীড়িত হইয়! গবণে্টের নিকট নালিশ করিবার জন্য সীওতালগণ তাহাদের অরণ্য-আবাস ছাড়িয়া কলিকাতা-অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিল । তখন ইংরেজ সাওতালকে ভালো করিয়া চিনিত না। তাহার! কী চায়, কেন বাহির হইয়াছে, কিছুই বুঝিতে পারিল না। ৮৩ এ দিকে পথের মধ্যে পুলিশ তাহাদের সহিত লাগিল, আহারও ফুরাইয়া গেল-_ পেটের জালায় লুটপাট আরম্ভ হইল। অবশেষে গবর্ষেন্টের ফৌজ আসিয়! তাহাদিগকে দলকে-দন গুলি করিয়া ভূমিস্তাৎ করিতে লাগিল । “এই ঘটনার উপলক্ষে হাণ্টার-সাহেব বলেন, ভারতবর্ষে আংলো-ইগিয়ান- সম্প্রদায়ের সংখ্যা অল্প এবং তাহারা বহুসংখ্যক ভিন্ন জাতীয় অধিবাসীব ছাব! পরিবেহ্টিত।-- যখন আযংলে।-ইঞ্ডিয়ানগণ এইয়প কোনে কারণে অকস্মাৎ সন্ত হইয়া উঠে তখনই গবর্ষেন্টের মাথ| ঠাণ্ডা রাখা বিশেষরূপে আবশ্াক হয় ।*"" “উপরি-উক্ত সাওতাল-উপপ্রবে কাটাকুটির কার্ধটা বেশ রীতিমত সমাধা করিয়। এবং বীরভূমের রাঙা মাটি সাওতালের রক্তে লোহিততর করিয়! দিয়া তাহার পরে ইংরেজ-রাজ হতভাগ্য বন্তদিগের ছুংখনিবেদনে কর্ণপাত করিলেন । যখন বন্দুকের আওষাজটা বন্ধ করিযা তাহাদের সকল কথা ভালো করিয়া! শুনিলেন তখন বুঝিলেন, তাহাদের প্রার্থনা অন্যাষ নহে । "*” বলা বাহুল্য, সাওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বিবরণ ও তথ্য নিল নহে। অবশ্ত তখনও পর্বস্ত সাওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কে কোনো প্রামাণ্য ইতিহাস বচন! হয় নাই। কিন্তু সীওতাল বিদ্রোহের মূল কারণটির ফথ! বিবেচন৷ করিয়। কবি নিরীহ সাওতাল কৃষকদের প্রতি যে মর্মবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করিলেন তাহাও লক্ষ্য করিবার মত। সমকালীন আর কোনে! কবি সাহিতাক ব' নেতৃস্থানীয়কে সে্টুকুও সমবেদনা জানাইতে দেখা যায় নাই । যাহাই হউক, উপরোক্ত ঘটনাব উল্লেখ করিয়। রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “ইংরেজ ধখন কোনো! কারণে আমাদিগকে ভষ করে তখনই সেটা আমাদের পক্ষে বডে৷ ভয়েব বিষয় হুইয়। দাডায়--তখনই ভয়ের কম্পনে দয়াষায়৷ স্বিচাব আপাদমন্তক টলমল করিতে থাকে । “ইংরেজ হঠাৎ কন্গ্রেসের মৃত্তি দেখিয়া প্রথমটা! আচমক। ডরাইয| উঠিয়াছিল। তাহার কারণ, মানুষ চিরসংস্কারবশত স্বদেশী জুজুকে যতট! ভয় কবে, বিদেশী বিভীধষিকাকে ততটা নহে। এইন্গন্ত ভারতবর্ষের সুখশয়নাগারে হঠাৎ সেই পোলিটিক্যাল জুজুর আবির্ভাব দেখিয়া! ইংরেজের সুস্থ প্লীহাও চমকিয়! উঠিয়াছিল। “কিন্ত কন্গ্রেসটার উপরে প্রত্যক্ষভাবে কোনোরপে আঘাত কর! হয় নাই । “.."এই নবনির্ষিত জাতীয় জয়ঢাকের উপরে কাঠি না মারিয়া তাহাকে তলে তলে ছিদ্র করিবার আয়োজন করা হইল। মুসলমানেরা প্রথমে কন্গ্রেসে যোগ দিবার উপক্রম করিয়া সহস! যে বিমুখ হুইয়া দীড়াইল তাহার কারণ বোঝা “কিস্ত এতদিনে ইংরেজ এ কথা! কতকটা বুঝিয়৷ থাকিবে যে, হিন্দুর হত্যে পলিটিক্দ্‌ তেমন মারাত্মক নহে ।-.মুসলমান যদি দূরে থাকে তবে কন্গ্রেস হইতে আন্ত আশঙ্কার কোনো কারণ নাই । "কিন্ত ইতিমধ্যে ইংরেজের ভারত-শাসনক্ষেত্রে আর একটা নৃতন ভয় আসিয়া দেখ। দিয়াছে । সেটা আর কিছু নয় গোরক্ষণী সভা! | যাহাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য এই সভাটি স্থাপন করা হইয়াছে তাহার! যতটা নিরীহ, সভাটাকে ততট! নিরীহ বলিয়। ইংরেজের ধারণ! হইল না! । “কারণ ইংরেজ উহা বুঝিয়াছে যে স্বদেশ ও স্বজাতি-রক্ষার জন্ত যে হিন্দু এক হইতে পাবে না, গোষ্ঠ এবং গোজাতি-রক্ষার জন্ত চাই কি তাহারা এক হইতেও পারে |.** “এই কারণে গোরক্ষণী সভাট। ইংবেজের পক্ষে কিছু বিশেষ আতঙ্কজনক হইতে পারে । ফলেও তাহার প্রমাণ পাওযা যাইতেছে ।” সমগ্র প্রবন্ধটি পাঠ করিলে স্পষ্টই বোঝা যাষ, এই গোরক্ষণী আন্দোলনের প্রতি রবান্দ্রনাথের কোনো আস্থা বা সহান্রভূতিও নাই । আমলে ইহার অজুহাতে সবকাব্* হইতে যে সব হীন জঘণ্য অপকৌশল অবলম্বন করা হইয়াছে তিনি তাহারই সমলোচনা কবিলেন। তিনি বলিলেন, “কিন্তু গবর্ষেন্ট বলিতে যে কাহাকে বুঝায আমরা কিছুই বুঝিতে পারি না। গ্তব ৪যেডার্বদ 'ঈিখিযাছেন, এই-সমস্ত উপদ্রবে গবর্মে্টের কিছু হাত আছে, ল্যান্সডাউন বলেন, এমন কথা যে বলে সে অত্যন্ত ছুষ্ট। আমব! ইহার একটা সামঞ্জস্থ করিযা লই | “হিন্দুমুসলমানে যে বিরোধ সম্প্রতি প্রজলিত হইয৷ উঠিয়াছে ইহা গবর্ষেণ্টের পলিসি-সম্মত না হইতে পাবে, কিন্তু গবর্ষেন্টেব অন্তর্গত বিস্তর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইংবেজ বিস্তর ক্ষুত্্র ক্ষুদ্র ফুৎকাবে যে এই অগ্নিকাণ্ডের সুচনা করি! দিযাছে, আমাদের দেশেব লোকের এইরূপ বিশ্বাস। তুলার বস্তার মধ্যে আগুন ফেলিয়া যখন সমস্তটা ধরিয়া উঠিবার উপক্রম হহল তখন প্রবল পদাঘাতের দ্বার! সেটা নিবাণ করা হইতেছে ; তুলা বেচারি একে তে! পুডিল, তাহার পরে লাখিটাও অপরাপ্ত পরিমাণে খাইতে হইল ।” [. রবীন্দ্র-রচনাবলী : ১*ম খণ্ড ॥ পৃঃ &৩৭-৪১ ] ববীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে ইংরাজের সাম্রাজ্যবাদী বিভেদ-নীতিকে বুঝিবার চেষ্টা করিযাছেন-_তাহাকে বিদ্রপও করিয়াছেন সত্য, কিন্ত এখানে একটি জিনস লক্ষ্য না করিয়। পার! যায় না। তাহা হইতেছে, গোরক্ষার মত একটি কুসংস্কার আন্দোলনবে কেন্দ্র করিয়া যখন হিন্দু-মুদলমানের সাম্প্রদাযিক বিদ্বেষ ও ৮€ মনোমালিন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্ররোচিত এবং উত্তেজিত হইতেছে, এবং যে সময় নাকি হিন্দু-মুসলিম জাতীয় এঁক্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বিবেচিত হইতেছে, তখনও তিনি ইহার প্রতিবাদ করিলেন না। অথচ প্রাচীন সংস্কার- পন্থীদের বহু প্রতিক্রিয়াশীল মতামতকে তিনি তর্ক ও যুক্তির দ্বারা খণ্ডিত- বিখণ্ডিত করিয়াছেন। মনে হয়, সম্ভবত এই আন্দোলনের অন্যতম প্রবর্তক তিলকের প্রতি ব্যক্তিগত শ্রন্ধাভাব বশতই তিনি উহার প্রত্যক্ষ সমালোচনা করিলেন না। এমন সময় দক্ষিণআফ্রিকায় 'ম্যাটাবিলি-যুদ্ধে'র খবর আসিম্লা পৌছিল। টুথ" (7500) নামে একটি বিলাতী সাপ্তাহিক পত্রিক হইতে তিনি ম্যাটাবিলি- যুদ্ধের কিছু কিছু সংবাদ পাইলেন । সে এক উদ্ধাম সাম্রাজ্য-বিস্তারের যুগ। ইংলগু, ফ্রান্স, জার্মানী, রাশিয়া, প্রভৃতি ইউরোপীয় রাষ্্রগুলি এশিয়া ও আফ্রিকার আপন আপন উপনিবেশ ও সাম্রাজ্য বিস্তারে তৎপর হইয়া উঠিয়াছে। বিশেষ করিয়। আফ্রিকার স্বর্ণ ও খনিজ সম্পদ এবং কাচামালের লোভে বিশাল আফ্রিকা মহাদেশটিকে আপনাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ার। করিয়৷ লইবার তীব্র প্রতিযোগিত৷ পড়িয়! যায়। হ্‌হাদের মধ্যে ইংলও ও ফ্রান্স অধিক তৎপর হইয়া উঠে। ১৮১৫ গ্রীষ্টাব্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইংলগ্ডের একমাত্র কেপ-কলোনির উপর অধিকার ছিল; ১৮৭০ হইতে ১৯০*--এই কয় বৎসরের মধ্যেই ইংলণ্ড আস্তে আন্তে নাটাল, রোডেসিয়া, ট্যাঙ্গানাইকা, গোল্ডকোস্ট, সোমালিল্যাণ্ড, উগাণ্ডা ও মিশর দখল করিয়! লয় । আমাদের আলোচ্য পর্বে, ইংরাজ-সৈন্ দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাটাবিলিদ্রে এবং মিশর-বিপ্রোহ ( আরবি পাশার নেতৃত্বে )কে উৎখাত করিতে ব্যস্ত । "টুথ" পত্জিকায় এ বিবরণ পড়িয়া! ইউরোপীয় শক্তিগুলির উন্মত্-সাম্রাজ্য-লালসা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কী প্রতিক্রিয়া হইয়াছিল দেখা যাক। সাধনা পত্রিকায় 'রাজনী তির- ঘিধা' নামক একটি প্রবন্ধে ( সাধনা, ১৩০০ চৈত্র ) তিনি লিখিতেছেন, 'যুরোপীয় জাতি মুরোপে যত সভ্য, যত সদয়, যত স্ভায়পর, বাহিরে ততটা নহে, এপর্যস্ত ইহার অনেক প্রমান পাওয়! গেছে।-.. .প্ভ্য থুস্টান আমেরিকীয় কিরূপ প্রলয়ব্যাপার এবং অস্ট্রেলিয়ায় কিরূপ নিদারুণ লোকসংহার উপস্থিত করিয়াছিল সেই অপেক্ষাকৃত পুরাতন কথা পাড়িবার আবশ্তক দেখি না। দক্ষিণআফ্রিকায় ম্যাটাবিলি-যুদ্ধের বৃত্বাস্ত ভালে! করিয়া পর্যালোচনা করিয়। দেখিলেই, অধুস্টানের গালে খুন্টানি চড় কাহাকে বলে কতকটা বুঝিতে পারা যায় 1 ৮ "*-*টুধ-নামক বিখ্যাত ইংরেজি সাগ্তাহিক পত্রে এই যুদ্ধ স্বন্ধে যে কয়েকটি, পত্র ও প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে তাহ। পাঠকদিগকে পাঠ করিতে অনুরোধ করি । “পাঠ করিয়া যে কেহ বিশেষ আশ্বস্ত হইবেন বা আনন্দলাভ করিবেন এরূপ আশ! দিতে পারি না। তবে এইটুকু বুঝিতে পারিবেন, সভ্য জাতি যাহাকে আপনার অপেক্ষ! অল্প সভ্য জ্ঞান কবে তাহার নিকট আপন সভ্যতাকে এবং সেই সঙ্গে সেই অসভাটাকে বলিদান দিতে কুষ্ঠিত বোধ করে না । উনিশ শত বংসরের চিরসঞ্চিত সভানীতি যুরোপীয় আলোকিত নাটামঞ্চের বাহিরে 'অন্ধকার নেপথ্যদেশে ক্ষণপরিহিত ছদ্মবেশের মতো! খসিয়৷ পড়ে; এবং সেখানে যে আদিম উলঙ্গ মানুষ বাহির হইয়! পড়ে উলঙ্গ ম্যাটাধিলি তাহার অপেক্ষা নিকুষ্ট নহে । “*শ্বর্বর লবেঙ্থাল! ইংরেজদের প্রত্তি বাবহারে যে উদারতা এবং উন্নত বীর-হৃদয়ের পরিচদ দিয়াছে, উংরেজদের জ্রুর ব্যবহার তাহার নিকট লজ্জায় শ্লান হইয়া রহিয়াছে, ইংরেজদের পত্রেই তাহা প্রকাশ পাইয়াছে।” বিলাতী সংবাদপত্রেই ইংরাজ সামাজ্যনীতির সমালোচনা করিতে দেখিয়া রবীন্দ্র- নাথের ধারণ! হইল, ইংলগ্তের একশ্রেণীর মধ্যে ন্যায় ও বিবেকবুদ্ধি জাগ্রত হইয়াছে । তাহার ধারণা, “ইংরেজের যখন গৌরবের মধ্যাহুকাল ছিল তখন নীতির স্ুক্ম গঞগ্ডগুল| এক লক্ষে সে উল্লজ্ঘন করিতে পারিত। যখন আবশ্যক তখন অন্যায় কন্পিতে হইবে |” কিন্ত এখন ইংরাঙজ তাহ] নিরিচারে করিতে পারে ন|, এখন আর /স দম্ত করিয়া বলিতে পারে না, “কিসের ম্যাটাবিলি, কেই-বা লবেঙ্থ্ুল।। আমি ইংরেজ, আমি তোমার সোনার খনি, তোমার গরুর পাল লুঠিতে ইচ্ছা করি।” এখন তাহাকে সমালোচনা ও বিবেকবুদ্ধির সম্থুবীন হইতে হয়। তাহারই ভনা তাহাকে নান! ছল, নানা কৌশল, নান মিথ্যার আশ্রয় লইতে হয়। তিনি বলিলেন, “এইজন্য 'আঘাদের কতৃ'জাতীয়দের মধ্য হইতে আজকাল ছুই স্থরের গলা গুনা যায়। একদল প্রবলতার পক্ষপাতী, আর একদল প্রেম এবং শাস্তি এবং সুবিচার জগতে বিস্তার করিতে চাহ । “...আজকাল ভারতবর্ষীয় ইংরেজ-সম্প্রদায় ইহাই লইয়া সুতীব্র আক্ষেপ করে। তাহারা বলে. আমরা জোরের সহিত যে কাজটা করিতে চাই, ইংলগীয় ভ্রাতারা তাহাতে বাধা দিয়! বসে, সকল কথাতেই নৈতিক কৈফিয়ত দিতে হয়। যখন দস্থা ব্রেক সমুদ্রদিগ্বিজয় করিয়া বেড়াইত, যধন ক্লাইভ -*'রতভূমিতে ব্রিটিশ ধ্বজ! খাড়া করিয়া দাড়াইল, তখন নীতির কৈফিয়ত দিতে হষ্টলে ঘরের বাহিরে ইংরেজের ছেলের এক ছটাক জমি মিলিত না। ৮৭ “কিন্ত এমন করিয়া! যতই বিলাপ কব, কিছুতেই আব সেই অখণ্ড দোর্দাণ্ড বলের বয়সে ফিরিয়। ধাইতে পারিবে না। এখন কোনো জুলুমের কাজ করিতে বসিলেই সমস্ত দেশ ব্যাপিয়া একটা ছ্বিধা উপস্থিত হইবে । এখন যদি নিপীভিত ব্যক্তি ্থায়বিচার প্রার্থনা করে তবে স্বার্থহানিব সম্ভাবনা থাকিলেও নিদেন গুটিকতক লোকও তাহার সদ্বিচার কবিতে উদ্যত হইবে ।** এইজন্য বিদেশে ইংরেজ আজকাল কিঞ্চিৎ ছুর্বল, এবং সেজন্য সে সদ! অধৈধ প্রকাশ কবে ।* বুঝা! যাইতেছে, ববীন্দ্রনাথ তখনও ইংলটগুব একশ্রেণীর গ্যায় ও বিবেকবুদ্ধিৰ উপর কিছুটা আস্থা রাখিতেছেন। কিন্তু তিনি তাহাদেব কোনো কার্ধকবী ক্ষমতার উপর অতিরিক্ত মোহও বাখিতেন না । তিনি মনে কবিতেছেন, ইংরাক্গ জাতিব একটি বিষম মানসিক সংকট উপস্থিত হইয়াছে, “এক হিসাবে ইহার মধ্যে কতকটা শোচনীয়তা৷ আছে এদিকে ক্ষুধাৰ জালাও নিবারণ হয় নাই, ও দিকে পবের অন্নও কাডিতে পাবিবে না, এ এক বিষম সংকট ।'* অপরপক্ষে "পট, ভ্বয়া খাইতে হইবে । ক্রমে বংশবৃদ্ধি ও স্থানাভাব হইতেছে এবং সভ্যতাব উন্নতি-সহকাবে জীবনেব আবশ্যক উপকরণ অতিরিক্ত বাড়িয়া চলিয়াছে। “অতএব পঁচিশ কোটি ভাবতবাসীব অৃষ্টে যাহাই থাক, মোটা-বতনেৰ ইংরেজ কর্মচারীকে এক্সচেঞ্জের ক্ষতিপূবণস্বৰপ বাশি বাণ টীক। খবিষ' ছিতে হইবে । সে জন্য রাজকোষে যদি টাকাব অনটন পডে তবে পণ্যদ্রব্য মাশুল বসানো আবশ্যক হইবে। কিন্তু তাহাতে যদি ল্যাঙ্কাশিয়বেব কিঞ্চিৎ অস্্রবিধ' হয তবে তুলাৰ উপর মাশুল বসানে! যাইতে পাবে । তংপবিবর্ডে বৰঞ্চ পাবলিক এযার্ক কিছু খাটে৷ করিয়া এবং ছুততিক্ষ ফণ্ড, বাজেয়াপ্ত কবিষ! কাজ চালাইযা লইতে হবে ।” [ রাজনীতির দ্বিধা __ববীন্্র- £ ১*ম খণ্ড | পৃঃ ৪*৪-৮] নানাদিক দিয়! এই প্রবন্ধটি অত্যন্ত তাৎপঘপূর্ণ | দক্ষি” আক্রিকাব ম্যাটাবিলি- যুদ্ধ এবং ভাবতবর্ষেব ইংরাজ-শাসন, রবীন্দ্রনাথেব দৃষ্টিতে এখন আব বিচ্ছিন্ন ঘটনা নহে, তিনি এখন সাত্রাজযবাদেব সামগ্রিক রূপটি দেখিতে পাইভেছেন। সাম্রাজা- বাদকে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখাব চেষ্টা এদেশে এই প্রথম দেখা গেল। দ্বিতীয়ত আফ্রিকার নিপীডিত ও লাঞ্ছিত মানুষের সহিত এই গভীর একাত্মতাবোধ ইতিপৃবে এদেশে আর কোনে কবি, সাহিত্যিক কিবা অন্য কোনো দেশনেতাব মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। হতভাগ্য ম্যাটাবিলিদের প্রতি অকু% আত্তরিক সহান্ুভৃতি ও সমবেদনা বোধ হয় একমাত্র,কবি রবীন্দ্রনাথের নিকট হইতে আসিয়াছিল। তিনি অত্যন্ত কঠোর ও তীক্ষু ভাষায় সাত্্রাজ্যবাদকে বিদ্ঞপ করিলেন কিন্তু তবুও ইংলগ্ডের ৮৮ বিবেকবুদ্ধিসম্পন্প মানুষের উপর তাহার তখনও আস্থার ভাব বিস্মান। রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী প্রতিরোধ-সংগ্রামের কথা চিন্তা করিতে পারিতেছেন না (কর! সম্ভবও নহে, কেনন! সেট সাম্রাজ্য প্রসারের যুগ )। তিনি দেখিতেছেন, ইংলগ্ডের এক শ্রেণীর মধ্যে বিবেকবুদ্ধি জাগ্রত হইয়াছে । সেই জাগ্রত বিবেক- বুদ্ধির উপরও যেন ভরস। করিয়৷ বলিলেন, “কিন্ত যতদিন ইংরেজ প্ররুতির কোথাও এই সচেতন ধর্মবুদ্ধির প্রভাব থাকিবে, যতদিন তাহার নিজের মধোই তাহার নিজের স্থকৃতি-ছুষ্কৃতির একটি বিচারক বর্তমান থাকিবে, ততদিন আমাদের সভাসমিতি বাড়িয়া চলিবে ; আমাদের সংবাদ- পত্র ব্যাপ্ত হইতে থাকিবে । ইহাতে আমাদের বলবান ইংরেজগণ বিফল গাত্রদাহে ফতই অধীর হইয়! উঠিবে, আমাদের উৎসাহ এবং উদ্যমের আবশ্তকতা ততই আরও বাড়াইয়! তুলিবে মাত্র ।” [ এঁ- রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড || পৃঃ ৪৯৯-১০ ] মুখে একথ। বলিলেও রবীন্দ্রনাথ ভালো করিয়াই জানিতেন যে মুষ্টিমেয় দুই- চারিজন বিবেকী মানুষের কথায় ইংরাজ চলিবে না। ইংলগ্ডের রাজনীতি বা স্যাঘ্রাজানীতি নির্ধারণে হহাদের কোনোই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নাই । "ইংরেজ ও ভারতবাসী' প্রবন্ধে বলিয়াছিলেন-_“ইংরেজ সবত্রই খাড়া ইংরেজ---কোথাও সে 'আপনার বুট জোডাটা খুনিরা আস্তে রাজি নহে” কিংব। “ইংলগ্ডের প্র্যাকৃ্টিকাল 'লাকের কাছে ভাবতবধের কেবল মণদরে, সের-দরে, টাকার-দ্রে, সিকার-দরে (গীরব ।” 'মাসলৰথা; রবীন্দ্রনাথ উংলগ্ডের বিবেকী মান্তষের উপর খুব বেশী ভরসা করিতেন না, যদিও তাহাদের প্রতি কবির গভীর শ্রদ্ধার ভাব ছিল। ৮৯ ॥ এবার ফিরাও মোরে ॥ সাম্রাজ্যবাদের এই বর্বরোচিত উলঙ্গ আত্মপ্রকাশ, কবির মনে এক গভীর উত্তেজনা ও আলোড়নের সৃষ্টি করিয়াছে । চারিদিকে আর্ত ও নিগীড়িত মানুষের ক্রন্দনের মাঝে কবি আর 'মানসী' কিংবা 'সোনার তরী'র স্বরে তার বাঁধিতে পারিলেন না! এই আর্ত জনম্রোত যেন কবির মানসহুন্দরীর জায়গ! দখল করিয়া লইতে চাহিয়াছে-_কবি যেন নিজেই নিজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করিতেছেন। তাহারই গভীর প্রতিক্রিয়াস লিখিলেন অমর কবিতা এবার ফিরাও মোবে' ( ১৩০০, ২৩শে ফাল্গন)। কবির জীবনে আজ সংগ্রামের ডাক আসিয়াছে । “সংসারে সবাই যবে সারাক্ষণ শত কর্ষে রত, তুই শুধু ছিন্নবাধা পলাতক বালকের মতো মধ্যা্ছে মাঠের মাঝে একাকী বিষ তরুচ্ছায়ে দুরবনগন্ধবহ মন্দগতি ক্লান্ত তপ্ত বায়ে সারাদিন বাজা্লি বাশি। ওরে তুই ওঠ আজি । আগুন লেগেছে কোথা ? কার শঙ্খ উঠিয়াছে বাজি জাগাঁতৈ জগৎ-জনে । কোথ! হতে ধ্বনিছে ক্রন্দনে শৃন্ততল । কোন্‌ অন্ধকার কার।-মাঝে জর্জর বন্ধনে অনাথিনী মাগিছে সহায় । ক্ফীতকায় অপমান অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুষি করিতেছে পান লক্ষ মুখ দিয়! । বেদনারে করিতেছে পরিহাস স্বার্থো্ধত অবিচার,” আবার তখনই যেন করুণ কণ্ঠে মিনতি করিয়! বলিতেছেন, “এবার ফিরাও মোরে, লয়ে যাও সংসারের তীরে হে কল্পনে, রঙ্গময়ী। ছুলায়ো না সমীরে সমীরে তরজে তরঙ্গে আর, ভূলায়ো৷ না মোহিনী মায়ায় । বিজন বিষাদঘন অন্তরের নিকুপ্চছায়ায় রেখো না বসায়ে আর |"? কাব্যের ল্পলোক হুইতে নামিয়া আসিয়া কবি যেন কঠিন বাশ্তবের সক্ষে সংগ্রামের জন্ত আত্ম-প্রস্ততি করিতেছেন । রবীন্দ্রনাথের জীবনে এই সংগ্রামশীলতা ( ০0700801561)658 ) অত্যন্ত সাময়িক ;--পরবর্তী জীবনে মাঝে মাঝে এই সংগ্রামশীল মনটি প্রবল গর্জনে ফাটিয়। পড়িতে চাহিয়াছে। কিন্তু সক্রিয় সংগ্রামের ক্ষেত্রে তিনি অবতীর্ণ হইতে পারিলেন না। সার! জীবন রবীন্দ্রনাথের মনে এই গভীর অন্তর্বন্ঘ_-এই গভীর মর্মগীড়ন শুনিতে পাওয়া থায়। বল! বাহুলা, স্বাধীনতা-আন্দোলনের যুগে "এবার ফিরা মোরে" দেশকর্মীদের মুখে মুখে ফিরিত। এঁতিহাসিক দিক হইতে কবিতাটি বাংলা! কাব্যজগতে এক নৃতন যুগের স্ুচন! করিয়াছে। এই কবিতাতেই সর্বপ্রথম বাংলার দারিজ্রক্িষ্ট নিপীড়িত গ্রামবাসী জনতার একটি জলন্ত বান্তব চিত্র ফুটিয়। উঠিয়াছে। দেশকর্মীদেরও তিনি অন্গুলী-নির্দেশ করিয়। দেখাইলেন :এই জনতার দিকে, “--*গই যে দীডায়ে নতশির মূক সবে, ম্লীনমুখে লেখ। শুধু শত শতাব্দীর বেদনার করুণ কাহিনী . স্ন্ধে যত চাপে ভার বহি চলে মন্দগতি যতক্ষণ থাকে প্রাণ তার__ তারপরে সন্তানেরে দিয়ে যায় বংশ বংশ ধরি, নাহি ভসে অদৃষ্টেরে, নাহি নিন্দে ধেবতারে ম্মরি, মানবেরে নাহি দেয় দোষ, নাহি জানে অভিমান, পু ছুটি অন্ধুটি কোনোমতে করর্রিষ্ট প্রাণ রেখে দেয় বাচাইয়া। সে অন্ন যখন.কেহ কাড়ে, সে গ্রাণে আঘাত দেয় গবান্ধ নিষ্টর অত্যাচারে, নাহি জানে কার দ্বারে দাডাইবে বিচারের আশে. দূরিজ্রের ভগবানে বারেক ডাকিয়া দীর্ঘশ্বাসে মরে সে নীরবে ।-"” এই হইতেছে, বাংলাদেশের গ্রাম-জনতার জলন্ত বাস্তব চিত্র। ইহাদের কথা কেহ ভাবে না, ইহাদের কথা কেহ বলে না,__-ইহাই কবির গভীর অন্তর্বেদনার কথা । কংগ্রেসের কর্মসচীতে তখন এই জনতার কোনে। স্থানও ছিল না। রবীন্দ্রনাথ আত্ম-দীক্ষার ছলে দেশকর্মীদের সামনে এই “জনতার কর্মস্চী” মেলিয়৷ ধরিলেন। “-*'এই-সব মৃঢ় ম্লান মৃকমুখে দিতে হবে ভাষা, এই-সব শ্রাস্ত শু ভগ্নবুকে ধ্বনিয়৷ তুলিতে হবে আশ! , ডাকিয়া বলিতে হবে-_ “মুহূর্তে তুলিয়! শির' একত্র দাড়াও দেখি সবে 7." ৪৯১ তিনি বলিলেন, “অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়, চাই বল, চাই স্বাস্থা, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমাযু। সাহসবিশ্তুত বক্ষপট ।*.” বাঙল৷ কাব্য-সাহিত্যে কিংবা রাজনীতিতে এই কথা, এই স্থুর পূর্বে শোন। যায় নাই। দেশসেবকদের নৈতিক চরিত্র গঠনের আদর্শের ক্ষেত্রে বলিলেন “তারে করি না শঙ্কা । ছুর্দিনের অশ্রু জলধারা মন্তকে পড়িবে ঝরি, তারি মাঝে যাব অভিসারে, তার কাছে জীবনসর্বন্থধন অপিয়াছি যারে জন্ম জন্মধরি। কেসে। জানিনাকে। চিনি নাই তারে-_ শুধু এইট্রকু জানি, তারি লাগি রাত্রিঅন্ধকারে চলেছে মানবধাত্রী যুগ হতে যুগাস্তর-পানে ঝড়ঝঞ্চ ব্রপাতে জালাষে ধরিয়া সাবধানে অস্তরপ্রদীপথানি | --” একটি জিনিস লক্ষা করিবার মতো “য, রবীন্দ্রনাথ তৎকালীন জ্ঞাতীয়তাবাঘী কবিদের মতো! রাজ্তস্থান কিংব। ভারতের ইতিহাস হইতে সামরিক শৌধ ও বারত্বের কোনো নজির খুঁক্িতে যান নাই | তাভাব মাধ্যাম্মিক মানবতার আদর্শের সহিত বাহাদের চরিত্রের মিল আছে___সেই বৃদ্ধ, অতশাক, ভষ, চৈতন্যদেবের আদর্শকেই দেশসেবকদের সম্মুখে মেলিয়। ধরিলেন ৪৭ ॥ লাজ! ও প্রজা ॥ কিছুকাল পরে 'রাজ। ? প্রঙ্গা' নানক একটি প্রবন্ধে ( সাধনা, ১৩০১ চৈত্র ) রবীন্দ্রনাথ এদেশীয় ম্যাংলো-ইগ্ডয়ান সমাজের ভারতবিঘ্বেধী মনোভাবের তীব্র সমালোচন। করিলেন। (য ঘটনাটিকে উপলক্ষ করিয়! রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধ লিখিলেন ভাহা৷ কবির ভাষায় উদ্ধত করিয়া দেওয়াই শ্রেয়। “সিভিলিয়ান রাডীচি-সাহেব আইনলজ্ঘনপূর্বক উডিষ্যার কোনো এক জমিদারকে অপমান 9 গীড়ন করাতে তৎকালীন লেফ টেনাণ্ট গবর্নর ম্যাকডোনেল- সাহেব অন্থায়কারীকে একবৎসরের জন্য নিগৃহীত করিয়াছিলেন ।: “অনতিকাল পরেই ম্যাকূডোনেল-সাহেব যখন যথাসময়ে এলিয়ট সাহেবকে তাহার গদি ছাড়িয়৷ দিলেন তখন এলিয়ট আলিয়! ম্যাকূডোনেলের বিচারলজ্ঘন- পূর্বক রাডীচিকে নিগ্রহ হইতে মুক্ত করিয়া উচ্চতর পদে প্রতিষ্ঠিত করিলেন ।".*” তখন, প্রতিদিনই এমন কত ঘটনাই ন| ঘটিত। পূর্বেই বলিম'ছি, রবীন্দ্রনাথ ইংলগুবাসী ইংরাজের সহিত এদেশীয় ইংরাজদের একটি পাথক্য দেখিতেছিলেন। এদেশীয় ইংরাজদের সম্পর্কে তিনি বলিলেন, “.*স্বার্থের সহিত, ক্ষমতাগবের সহিত, পরাধীন দুর্বল জাতির নৈতিক আদশের সহিত, পরজাতিশাসনতন্ত্রের বিবিধ কুটিলতার সহিত সংমিজিত হইয়া ভারতবর্ষীয় ইংরেজের একটা বিশেষ স্বতন্ত্র নৃতন কর্তব্যনীতি গঠিত হইতে থাকে. তাহাকে অনেক সময় ইলগ্ডের ইংরেজ ভালো করিয়! চেনে না|." “দৃষ্টান্তম্বরূপে রাড্ইয়ার্ড কিপ্‌লিওের নাম উল্লেখ করা যাইতে পারে। তাহার অসামান্য দক্ষত। | সেই ক্ষমতাবলে তিনি ইংরেজের কল্পনাচক্ষে প্রাচ্যদেশকে একটি বৃহৎ পশ্ডশালার মতে টাড় করাইয়াছেন। তিনি ইংলগ্ডের ইংরেজকে বুঝাইতেছেন, ভারতবর্ধাঘ গবর্ষেন্ট একটি সার্কাস কম্পানি। তাহার! নানাজাতীয় বিচিত্র অপরূপ জন্তকে সভ্যজগতৎসমক্ষে স্থুনিপুণভাবে নৃত্য করাইতেছেন। স্ৃতীক্ষ কৌতৃহলের সহিত এই ভস্দিগের প্রকৃতি পখবেক্ষণ করিতে হইবে, যথাপরিমাণে চাবুকের সহিত ভষ এবং অস্থিধণ্ডের প্রলোভন রাখিতে হইবে এবং “সযৎপরিমাণ পশ্তবাৎমল্যেরও আবশ্তক আছে । কিন্ত ইহার মধ্যে নীতি গ্রীতি ও সভাতা আনিতে গেলে সাকাস রক্ষ। কর! দুর হইবে এবং অধিকারী মহাশয়েরও বিপদের সম্ভাবনা |” ৪৩ এইসব ভারতবিছেষী ইংরাজ সাহিত্যিক ও বাক্গপুরুষদের আচরণ ও ব্যবহারে কবি যে কী পরিমাণ ক্ষু্ধ ও বিচলিত হইতেছেন তাহা অশ্ুমান করা শক্ত নহে। স্বদেশ ও জাতির নিন্দা তিনি কোনোদিন সহা করিতে পারেন নাই । গর্বান্ধ সাম্রাজ্যবাদী-কবি কিপলিং-দের উদ্দেশ্বী করিয়। তিনি বলিলেন, “রাড ইয়ার্ড কিপলিং প্রভৃতি লেখকের লেখার মধ্যে যে একটি বলদপ-মিশ্রিত নিষ্ঠুরতার আভাস অনুভব কর! যায় তাহা হইতে মনে হয়, মানব মধ্যে মধ্যে সভ্যতার শততন্তনিমিত সুম্্ম সুদুঢ জাল ছিন্ন করিয়া ফেলিয়া আদিম অরণ্য প্রকৃতির বর্বরতার মধ্যে ঝাপ দিয়া পড়িতে ইচ্ছা করে। আযাংলো-ইত্ডিয়ানগণ ভারতবর্ষে আসিয়া! যেএক স্থৃতীব্র ক্ষমতা-মদিরার আম্বাদন পায় তাহাতে এই গ্রচণ্ড মত্ততার স্থঙ্টি করিতে পারে । এই প্রেমহীন কঠিন ক্ষমতাদস্ত প্রতিভাসম্পন পুরুষের লেখনীতে অরুত্রিম অসংকোচ পৌরুষ-আকারে একপ্রকার ভীষণ রমণীয়ত। ধারণ করে; তাহা ইংরেজের পক্ষে সাহিত্য, কিন্তু আমাদের পক্ষে মৃত্যুর নিদান।” তিনি বলিলেন, “আমার এত কথ। বলিবার তাপ এই ষে, কেবল ভারতবধে নহে ইংলগ্ডেও ক্রমে ক্রমে এই ধারণ! বিস্তৃত হইতেছে যে, ফুরোপের নীতি কেবল ফুরোপের জন্য | ভারতব্ষীয়ের। এতই স্বতন্ত্র জ্জাতি যে, সভ্যনীতি তাহাদের পক্ষে সম্পুণ উপযোগী নহে। “এরূপ অবস্থায় আমাদের ন্যায়ান্তায়বোধ প্রবল হইয়৷ উঠিলে ইংরেজের রাজনীতি বিপথগামী হইতে পারিবে না । ইংরেজ যখন জানিবে সমস্ত ভারতবর্ষ তাহার কাজের বিচার করিতেছে তখন ভারতবর্যকে সে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করিয়া কাজ ক।রতে পারিবে না। “সম্প্রতি তাহার লক্ষণ কিছু কিছু দেখা যাইভেছে।'.-তথাপি এখনও সম্পুণ ফল ফলে নাই। আমাদের সম্বন্ধে সকল সময়ে সকল অবস্থায় নীতি মানিয়া চলাকে ইংরেজ দুর্বলতা-ম্বীকার বলিয়া দেখে। আমাদের প্রতি অপরাধ করিয়া তাহাদের কেহ ন্তায়বিচারে দণ্ডনীয় হয় ইহা তাহারা লজ্জাজনক ও ক্ষতিজনক বলিয়৷ জান করেন। তাহার! মনে করেন, ভারতবর্ষায়ের নিকট ইহাতে ইংরেজের জোর কমিয়া যায়।"..বোধ করি রাডীচি-সাহেবের অসময়ে পদোন্নতি উপরিউক্ত পলিদিবশত |” কিন্ত তাহা! হইলে উপায় কি,_পথ কোথায়? তাহার উত্তরে তিনি বলিতেছেন, “যখন আমর! বহুকালব্যাপী* পরাধীনতার বিষময় শিক্ষা ভূলিতে পারিব, যখন প্রবলের অন্তায়াচরণকে বিধির বিধানের স্বরূপ নীরবে অবশ্যসহা বলিয়া! স্থির ৪৪ করিব না, ধখন অন্তায়ের প্রতিবিধান-চেষ্টা নিক্ষল হইলেও তাহাকে কর্তব্য বলিয়া জানিব এবং সেজন। ত্যাগ স্বীকার ও কষ্ট সহ করিতে পরাম্থুখ হইব না, তখন আমাদের ঘথার্থ আনন্দের দিন উপস্থিত হইবে । খন ব্রিটিশ গবর্ষেষ্টের স্তায়পরত। কদাচ স্বার্থ পলিসি এবং ব্যক্তিবিশেষের খেয়ালের দ্বার! বিচলিত হইবে না, অটল পর্বতের স্যায় প্রজাহদয়ের দৃঢ়ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত হইবে ।” [ রাজা ও প্রজ।-_রবীন্দ্র রচনাবলী £ ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৪২-৪৮ ] লক্ষ্য করিবার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ তৎকালাঁন অন্যান্য নেতাদের মতই ব্রিটিশ রাজত্বের উৎখাত ব| স্বাধীনতার কথ। তখনও চিন্ত! করিতে পারিতেছেন ন!। অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মতে। তিনিও ইংলগ্ডের ন্যায়নীতি ও স্থবিচার ভারতবধীয় প্রজাদের ক্ষেত্রে গ্রযোজ্া করিয়! তুলিবার কথা চিন্তা করিতেছেন । “জুরি-বিচার' পুনঃপ্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশে তখনও আন্দোলন চলিতেছে । জুরি-বিচার-প্রথ প্রত্যাহার করিয়! লইয়। স্বপক্ষে এদেশীয় ইংরাজ সমাজ বার বার এই কথাটাই বলিয়া আসিতেছিলেন যে, এদেশীয় লোকের ধর্মনীতি ও ন্যায়নীতির উন্নত আদণ শই-_জুরি হইবার উপযুক্ত মানসিক ও চারিত্রিক গুণাবলী ইহাদের নাই। সাম্রাজ্যবাদী ইংরাজের মুখে 'ন্যাষনীতি ও ধর্মনীতি'র বড়াই রবীন্দ্রনাথ সহ করিতে পারিলেন না। সাধন! পত্রিকা “অপমানের প্রতিকার (সাধনা --১৩০১ ভাদ্র ) -।মক একটি প্রবন্ধে তিনি এদেশীয় ইংরাজ সমাজের ্যায়-অন্তায় "বাধ ও নৈতিক চরিত্রের তীব্র সমালোচন। করিলেন । প্রায় দুই বসব পুবে কটকে বিহারীলাল গুপ্তের বাড়িতে “র্যাভেন শ" কলেজের ইংরাজ অধ্যাপক যে ধরনের অশিষ্ঠ আচরণ করিয়াছিলেন, তাহার কথা পৃৰেই উল্লেখ করিয়াছি । রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধের শুরুতেই সেই ঘটনার অবতারণা করিয়৷ এদেশীয় ইংরাঁজ-চরিত্রের সমালোচনা করিলেন । “আহারান্তে'.'প্রসঙ্গব্রমে জুরি প্রথার কথ! উঠিল। ইংরেজ প্রোফেসর কহিলেন, যে দেশের লোক অর্ধসভ্য, অর্ধ শিক্ষিত, যাহাদের ধর্মনীতির আদশ উন্নত নহে, জুরির অধিকার তাহাদের হস্তে কুফল প্রসব করে। « আমাদের নৈতিক আদর্শ কত মাত্র! উঠিয়াছে অথব! নামিয়াছে জানি না, কিন্তু ইহ! জানি, যাহার অতিথ্য ভোগ করিতেছি তাহার শ্বজাতিকে পরুষ- বাক্যে অবমাননা! কর! আমাদের শিষ্টনীতির আদর্শের অনেক বাহিরে । “অধ্যাপক মহাশয় আর একটি কথা বলিয়াছিলেন, যেকথা কেবলম।এ অমিষ্ট ও অশিষ্ট নহে, পরস্ত ইংরেজের মুখে অত্যন্ত অসংগত শুনিতে হইয়াছিল । তিনি বলিয়াছিলেন, জীবনের পবিভ্রত, অর্থাৎ জীবনের প্রতি হন্তক্ষেপ করার পরম- ৯৫ দুষণীয়ত। মন্বদ্ধে ভারতবাসীর ধারণা ইংরেজের তুলনায় অত্যন্ত স্বপ্লপরিমিত ॥ সেইজন্ত হত্যাকারীর প্রতি ভারতবর্ষায় জুরির মনে যথোচিত বিদ্বেষের উত্েক হয় না। “যাহার! মাংসাশী জাতি এবং যাহার! বিরাট হত্যাকাণ্ডের দ্বার! পৃথিবীর ছুই নবাবিষ্কৃত মহাদেশের (এশিয়া ও আমেরিকা- লেখকের) মধ্যে আপনাদের বাসযোগ্য স্থান পরিষ্কার করিয়া! লইম্মাছে, এবং সম্প্রতি তরবারির দ্বারা তৃতীয় মহাদেশের ( আফ্রিকা মহাদেশ-_-লেখকের ) গ্রচ্ছন্ন বক্ষোদ্েশ অল্পে অল্পে বিদীর্ণ করিয়া! তাহার শ্ত-অংশটুকু স্থখে ভক্ষণ করিবার উপক্রম করিতেছে, তাহার! যদি নিমন্ত্রণ-সভায় আরামে ও ম্পর্ধাভরে নৈতিক আদর্শের উচ্চ দণ্ডে চড়িয়া বসিয়৷ জীবনের পবিত্রত৷ ও গ্রাণহিংসার অকর্তব্যতা সম্বন্ধে অহিংসক ভারতবর্ষকে উপদেশ দিতে থাকে তবে “অহিংস পরমে! ধর্ম£ এই শাস্ত্রবাক্য ম্মরণ করিয়াই সহিষ্ুত। অবলম্বন করিতে হয়। “এই ঘটনা! আজ বছর-ছুয়েকের কথ! হইবে । সকলেই জানেন, তাহার পরে এই ছুই বৎসরের মধ্যে ইংরেজ-কর্তৃক অনেকগুলি ভারতবাসীর অপমৃত্যু ঘটিয়াছে এবং ইংরেজের আদালতে সেই-সকল হত্যাকাণ্ডে একজন ইংরেজেরও দোষ সপ্রমাণ হয় নাই । সংবাদপত্রে উপধ্পরি এই-দকল সংবাদ পাঠ কর! যায এবং ভারতবীয়ের প্রতি সেই মুগ্ডিতগুল্কশশ্র খঙ্গানাস! ইংরেজ অধ্যাপকের তীব্র ্বপাবাক্য এবং জীবন-হনন সম্বন্ধে তাহাদের নৈতিক আদর্শের শ্রেষ্টত্বাভিমান মনে পড়ে। মনে পড়িয়া! তিলমাত্র সান্বন৷ লাভ হয় না। “ভারতবর্ষীয়ের প্রাণ এবং ইংরেজের প্রাণ ফাসিকাষ্ঠের অটল তুলাদণ্ডে এক ওজনে তুলিত হুইয়। থাকে ইহা বোধ হয় ইংরেজ মনে মনে রাজনৈতিক কুদৃষটাস্তস্বরূপে গণ্য করে।” জুরি-বিচার পুনঃপ্রবর্তনের জন্য ভারতবর্ষীয়ের! ইংরাজজাতির ন্তায়পরত৷ ও মহান্থভবতার শ্রেষ্ঠত্বের দোহাই পাড়িয়া৷ তাহাদেরই পায়ের তলায় মাথা কুটিয়। কান্নাকাটি ও আবেদন-নিবেদন করিবে, _ইহাই ছিল সেযুগের আযাংলো-ইত্ডিয়ান সম্প্রদায়ের ধারণা । এদেশেক্ই কেহ কেহ যে, তাহাদেরই বর্ববতা, দস্থাবৃত্তি ও নরহত্যার অভিযোগে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করাইতে পারেন, একথা আংলো-ইগিান সম্প্রদায় কম্মিনকালেও কল্পনা করিতে পারে নাই। সত্য সত্যই সে-যুগে ন্তয কাহাকেও” এমনকি কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দকেও, জুরি-প্রথার পুন:ঃপ্রবর্তনের স্বপক্ষে এই ধরনের যুক্তি ও দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলিতে স্তনা যায় নাই। সে-ুগে কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনগুলির সভাপতির ৯৬ অভিভাষণে তন্নতন্ন করিয়া খুঁজিয়া কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না যে, এদেশীয় ইংরাজদের অমানুষিক অত্যাচার ও উতপীড়নের বিরুদ্ধে তাহারা কোথাও প্রতিবাদ করিয়াছেন। ১৮৪৫ স্রীষ্টাকে পুনা-কংগ্রেসে সভাপতি হুরেন্্রনাথকেই কেবল এই বিষয়ে কিছু বলিতে শোনা গেল । 0£10019] 08565 136076610, [11010968109 ১130 17301918---এই প্রশ্নে তিনি বলিলেন, [1 00215 50101)606100 2 52019061561) 1666101066০ 00০ 06101 8015 115080065 06 081101:2 ০06 133006 17 00805 011101091] 58565 1616 75010069179 216 006 9000560. 2150 172861569 0৫6 1010019 216 006 8£8115524 08165. 1613 2 41965016220. ৫6115862 1296621 60 €691 100 । 000 আশ 17856 2 11810 60 89969] £01 19610 0০ ৪11 1121)000178050 [15611319086 17066155060 10) 00150910116 002 1511 29005 ০06 0010151 108501০6....8£0 081055 [7402-96510156198, &, ৫15816 ০06 0821516,,..06018160 £20107 1085 10918206 £7) 002 97101:5106 [6£1518052 0001001] 0020 2. 51781 206 0৫6 17103950206 ৫0126 ০0: 9৫116৬০এ 0০ 0০ 00106 925 100016 ৫15950015 0 131161515 1016 00817 ৪ 5686 165596152 012 20 4৯918010 0৪8006-9610. 19 0608036 সা০ 10170 0586 0013 ০1985 06 08565 15 01298101175 2, 81686 0691 ০: 01598101968,001018 2100 01550156150 21000756006 20898869 ৪280 49 আ০৪1:212185 006 19010 01 002 30561001026 019012 01061) 01380 জ€ ০০1 10 ০0০: 005 0০ ০211 10100011610 206226101) 0০ 008 [080621 ০,*১ [ 0010£655 [91655106112] 4১201625865 : ৬০]. 1. 0. 239 ] কংগ্রেসের এই বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গির সহিত রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য কতখানি, পাঠক নিশ্চই তাহা বুঝিতে পারিবেন। রবীন্দ্রনাথ আরো বলিলেন, “কিন্ত বারংবার মুরোগীয় অপরাধীর অব্যাহতি এবং তৎসম্বদ্ধে কতৃপক্ষীয়ের ওদাসীন্তে ভারতবর্ষায়ের প্রতি ইংরেজের আস্তরিক অবজ্ঞার পরিচয় দেয় । সেই অপমানের ধিক্কার শেলের ন্যায় স্থায়িভাবে হৃদয়ে বিখিয়া থাকে 1... প্রাচ্য ভারতবাসী যখন নিরর্৫থক গুলি খাইয়া, লাখি খাইয়া! মরে তখন পাশ্চাত্য কতৃপুরুষদের কোনোপ্রকার ছুর্ভাবনার লক্ষণ দেখা যায় না।".. "কিন্ত আমাদিগের প্রতি কতৃ্জাতীয়ের এই যে অবজ্ঞা, সেজন্ত প্রধানত আমরাই ধিকৃকারের যোগ্য । কারণ, একথা কিছুতেই আমাদের বিস্ৃঙ হওয়া উচিত নয় যে, আইনের সাহায্যে সম্মান পাওয়। যায় না; সম্মান নিজের হস্তে আমর! সানুনাসিক স্বরে যে ভাবে ক্রমাগত নালিশ করিতে আরস্ত করিয়াছি তাহাতে আমাদের আত্মমরধাদার নিরতিশয় লাঘব হইতেছে ।” টপ রবীজ্রনাথ ॥ ৭ বুঝিতে কষ্ট হয় না যে, রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের এ আবেদন-নিবেদনের স্থরকে আদৌ সমর্থন করিতেছেন না। প্রসঙ্গত তিনি দুইটি ঘটনার উল্লেখ করিলেন। একটি ঘটনা এই যে, সেই খুলনার জেলাম্যাজিস্ট্রেট বেল্‌-সাহেৰ সামান্য কারণে আদালতের একজন বাঙালী মুহ্ুরিকে প্রহার করিয়া বসিলেন। নিরুপায় মুহুরি আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন।--অন্ত কেহ ইহার একটুও প্রতি- বাদ করিলেন না। জাতির এই নির্বার্ধ দাঁসস্থলভ ক্লীবত৷ রবীন্দ্রনাথের অসহা বোধ হইল। উপরোক্ত মৃহরি-মার! মামলাটির প্রসঙ্গে তিনি বলিলেন, '“*পকিস্ত ফরিয়াদির পক্ষের বাঙালি ব্যারিস্টার মহাশয় এই মক্দম প্রসঙ্গে বারংবার বলিয়াছেন, মুহ্থরী-মার৷ কাজটা ইংরেজের অযোগ্য হইয়াছে, কারণ বেল্-সাহেবের জান! ছিল অথবা জান! উচিত ছিল যে, মুহুরী তাহাকে ফিরিয়া মারিতে পারে ন]। “একথ। যদি সত্য হয় তবে যথার্থ লজ্জার বিষয় মুহ্ুরীর এবং মুছরীর শ্বজাতি- বর্গের। কারণ, হঠাৎ রাগিয়৷ প্রহার করিয়া বসা পুরুষের দুর্বলতা কিন্তু মার খাইয়া বিন। গ্রতিকারে ক্রন্দন করা কাপুরুষের দুর্বলতা । একথ| বলিতে পারি, মুহুরী যদি ফিরিয়া! মারিত ভবে বেল্‌-সাহেব )ষথার্থ ইংরেজের ন্যায় তাহাকে মনে মনে শ্রদ্ধ। করিতেন । “যথেষ্ট অপমানিত হইলেও একজন মুহুরী কোনে। ইংরেজকে ফিরিয়! মারিতে পারে না, এই কথাটি গ্রবসত্যবূপে অগ্লানমুখে স্বীকার করা এবং ইহারই উপরে ইংরেজকে বেশি করিয়া দোধার্থ করা আমাদের বিবেচনায় নিতান্ত অনাবশ্যক এবং লজ্জাজনক আচরণ । “মার খাওয়ার দরুন আইনমতে মুহ্রীর যেকোনো! প্রতিকার প্রাপ্য তাহা হইতে সে তিলমাত্র বঞ্চিত না হয় ততপ্রতি আমাদের দৃষ্টি রাখা উচিত হইতে পারে, কিন্তু তাহার আঘাত এবং অপমান-বেদনার উপর সমস্ত দেশের লোক মিলিয়৷ অজন্র পরিমাণে আহা-উহা! করার এবং কেবলমাত্র বিদেশীকে গালিমন্দ দিবার কোনো কারণ দেখি না ।**” তিনি মারে! বলিলেন, “এক বাঙালি খন নীরবে মার খায় এবং অন্ত বাঙালি যখন তাহ। কৌতূহলভরে দেখে এবং স্বহন্তে অপমানের প্রতিকারসাধন বাঙালির নিকট গ্রত্যাশাই করা যায় না একথ৷ ষখন বাঙালি বিন! লজ্জায় ইঙ্গিতেও স্বীকার করে, তখন ইহা বুবিতে হইবে যে, ইংরেজের দ্বারা হত ও আহত হইবার মূল প্রধান কারণ আমাদের নিজেদের স্বভাবের মধ্যে । গবর্েন্ট কোনে! আইনের দ্বারা, বিচারের দ্বার! তাহ! দূর করিতে পারিবেন না ।” ৪৮ “পুরস্কার” “মানস-স্থন্দরী' কিংবা 'উর্বশী'র কবি জাতিকে আজ এ কী নির্দেশ দিলেন! ধাহার! রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক মতবাদকে নেহাত “বৈষ্ণবী-মার্কা প্যান্সেজ'লো' কিছু একট! মনে করিতেন, তাহার! কবির এই এক কথায় কিছুটা বিস্মিত হইবেন, ইহ। স্বাভাবিক। আসলকথা, রবীন্দ্রনাথ জাতির কাপুরুষত। ও ক্লৈবাকে কোনোদিনই সম্থ করেন নাই। তিনি জাতীয় মানস ও চরিত্রে একটি সবাত্মক নৈতিক দৃঢ়তা দান করিতে চাহিয়াছিলেন। তিনি দেখিতে পাইলেন, আমাদের এই দাস- মনোবৃত্তি ও কাপুরুষতার মূল আরো! গভীরে এবং সেই মূল আমাদের সমাজের গভীরতম প্রদেশ পর্যস্ত বিস্তৃত । জাতীয় জীবনের সেই অন্যাষ ও ক্রটিবিচ্যুতির সপ উদ্ঘাটন কবিতে গিয়া তিনি বলিলেন, “বাঙালির প্রতি বাঙালি কিরূপ ব্যবহার করে সেইটে গোড়ায় দেখা উচিত, কাবণ তাহারই উপর আমাদের সমস্ত শিক্ষ। নির্ভর করে। আমর! কি আমাদের ভূৃত্যদিগকে প্রহার কৰি না, আমাদের অধানস্থ বাক্তিদের প্রতি গুঁদ্ধত্য এবং নিম্ন- শ্রেণীস্থৃদিগেব প্রতি সবদ! অসম্মান প্রকাশ করি না । আমাদের সমাজ স্তরে স্তরে উচ্চে নীচে বিভক্ত , যে ব্যক্তি কিছুমাত্র উচ্চে আছে সে নিম্ন তর ব্যক্তির নিকট হইতে অপরিমিত অধীনতা প্রত্যাশ। করে । "ভদ্রলোকের নিকট “চাষা-বেটা" প্রায় মন্্রয়োর মধোই নহে । “আমাদের সমাজে সর্বত্র অবস্তনের নিকট উচ্চতনের দাবির একেবারে সীম। নাই ! স্তরে স্তরে প্রতৃত্বের ভার পড়িয়৷ দাসত্ব এবং ভয় আমাদের মজ্জার মধ্যে সঞ্চারিত হইতে থাকে । আমাদের আজম্মকালের প্রতিনিয়ত অভ্যাস ও দৃষ্টান্তে আমাদিগকে অন্ধ বাধ্যতার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করিয়া রাখে; তাহাতে আমব৷ অধীনস্থ লোকের প্রতি অত্যাচারী, সমকক্ষ লোকের প্রতি ঈর্ষান্বিত এবং উপরিস্থ লোকের নিকট ক্রীতদাস হইতে শিক্ষা করি। সেই আমাদের প্রতিমুহূর্তের শিক্ষার মধ্যে আমাদের সমস্ত ব্যক্তিগত এবং জাতীয় অসম্মানের মূল নিহিত রহিযাছে ।"** "গৃহের এবং সমাজের শিক্ষায় খন আমর! সেই মন্ুত্যত্ব উপার্জন করিতে পারিব তখন ইংরেজ আমাদিগকে শ্রদ্ধা! করিতে বাধ্য হইবে এবং অপমান করিতে সাহস করিবে না ।” [অপমানের €ুতিকার- _রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড || পৃঃ ৪১০-১৭] এই প্রবন্ধে দেশবাসীকে যেমন তিনি একদিকে ইংরাজের অত্যাচার ও ও অপমানের বিরুদ্ধে পাল্টা আধাত ও প্রতিরোধের আহ্বান জানাইপেন,-- অপরদিকে তিনি আমাদের সামাজিক লাঞ্ছনা ও গীড়নের কারণগুলি দূরীভূত করিবার কথ৷ বলিলেন। এই প্রসঙ্গে একটি কথ! বল! দরকার, রবীন্দ্রনাথ সেই মুহূর্তে যে শ্রেণী-শোষণ বা! বর্ণসমাজের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে কথা বলিতেছেন, তাহা নহে । তাহার সামাজিক ধারণা তখনও বর্ণসমাঁজেয় পক্ষে । এ প্রবন্ধেই তিনি বলিতেছেন, “গুরুকে ভক্তি করিয়া ও প্রকে সেবা! করিয়া ও মান্তলোককে যখোচিত সম্মান দিয়াও মন্ুষ্যমাত্রের ষে একটি মন্থুস্তোচিত আত্মমর্ধাদা থাকা আবশ্যক তাহ রক্ষা করা যায়।” রবীন্দ্রনাথ কিছুটা “বুর্জোয়া! ব্যক্তিম্বাতন্তয* ও জাতীয় মর্ধাদাবোধের কথ বলিলেন। ইতিমধ্যে বোম্বাইয়ের সেতারা জেলার একটি সা্প্রদায়িককারণ-ঘটিভ মামলার গ্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি পড়িল। পূর্বেই বলিয়াছি,_-গোরক্ষা-আন্দোলনকে উপলক্ষ করিয়! ইংরাজ-সরকার ভারতবর্ষের হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিরোধ ও বিচ্ছেদ ঘটাইবার কাজে অত্যন্ত উৎসাহী হইয়া উঠিয়াছিলেন। সেতারা জেলার “বাই' নগরের ঘটনাটির পিছনে সত্যকারের কোনো সাম্প্রদায়িক বিরোধ ছিল না। সেখানে বহুকাল হইতেই উতভম্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পারম্পরিক স্ভাব ছিল। হিন্দুদের একটি পূজা! উপলক্ষে বাচ্ষস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করিয়! সেখানকার জেলাম্যাজিস্ট্রেট একটি আদেশ দিয়াছিলেন। হিন্দুরা সেই নিষেধাজ্ঞা মানিয়! লইতে পারেন নাই । নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অপরাধে সেখানকার তেরো জন হিন্দুর জেল হয়। এই ঘটনাটি রবীন্দ্রনাথের মনে গভীর আশঙ্কা জাগাইল। তিনি “স্থবিচারের অধিকার" নামক একটি প্রবন্ধে ( সাধনা, ১৩০১ অগ্রহায়ণ ) ইংরাজের হীন ও জঘন্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করিয়! দিতে চাহিলেন। প্রবন্ধের শুরুতেই তিনি এ ঘটনাটির উল্লেখ করিয়া বলিলেন, | “এমন করিয়া, যেখানে বিরোধ নাই সেখানে বিরোধ বীধিয়া উঠে, যেখানে বিদ্বেষের বীজমাত্র আছে সেখানে তাহা অঙ্কুরিত ও পল্পবিত হইয়া উঠিতে থাকে । প্রবল প্রতাপে শাস্তি স্থাপন করিতে গিয়! মহাসমারোহে অশান্তিকে জাগ্রত করিয়! তোল! হয়।'- “অনেক হিন্দুর বিশ্বাস, বিরোধ মিটাইয়া দেওয়া গবর্ষেন্টের আস্তরিক অভিপ্রায় নহে। পাছে কন্গ্রেস প্রভৃতির চেষ্টায় হিন্দুমুসলমানগণ ক্রমশ একাপথে অগ্রসর হয» এইজন্য তাহারা উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মবিদ্বেষ জাগাইয়া রাখিতে চান, এবং মুদলমানের দ্বারা হিন্দুর দর্প চূর্ণ করিয়া মুসলমানকে সন্তষ্ট ও হিন্দুকে অভিভূত করিতে ইচ্ছা করেন। "অথচ লর্ড ল্যান্গডাউন হইতে আরম্ভ করিয়! লর্ড হ্ারিস্‌ পর্ধস্ত সকলেই বলিতেছেন; এমন কথা যে মুখে আনে সে পাষগ মিথ্যাবাদী । ইংরেজ গবর্ষেন্ট ১৪৩ হিন্দু অপেক্ষা মুসলমানের প্রতি যে অধিক পক্ষপাত প্রকাশ করিতেছেন, এ অপবাদকেও তাহার! সম্পূর্ণ অমূলক বলিয়! তিরঙ্কার করিয়াছেন ।”"'" “কিন্তু হিন্দু-মুসলমান বিরোধে সাধারণের বিশ্বাস দুঢমূল হইয়াছে যে, দমনটা অধিকাংশ হিন্দুর উপর দিয়াই চলিতেছে এবং প্রশ্রয়টা অধিকাংশ মুসলমানেরাই লাভ করিতেছেন। এরপ বিশ্বাস জন্মিয়া যাওয়াতে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈর্ধানল আরে। অধিক করিয়া জলিয়! উঠিতেছে। এবং যেখানে কোনোকালে বিরোধ ঘটে নাই সেখানেও কর্তৃপক্ষ আগেভাগে অমূলক আশঙ্কার অবতারণা করিয়া একপক্ষের চিরাগত অধিকার কাড়িয়৷ লওয়াতে অন্তপক্ষের সাহস ও স্পর্ধা বাড়িতেছে এবং চিরবিরোধের বীজ বপন করা হইতেছে ।” ৬ রবীন্দ্রনাথ এই সব লইয়া ইংরাজ-সরকারের নিকট দরবার করিবার পক্ষপাতী নহেন । “গবর্মেন্টের নিকট সকরুণ অথবা সাভিমান ব্বরে আবেদন বা অভিযোগ করিবার জন্য প্রবন্ধ লিখার কোনো আবশ্যক নাই, সে কথা আমি সহশ্রবার স্বীকার করি। আমাদের এই প্রবন্ধ কেবল আমাদের স্বজাতীয়ের জন্য । আমর! নিজেরা ব্যতীত আমাদের নিজেদের প্রতি অন্যায় ও অবিচারের প্রতিকার কাহারও সাধ্যায়ত্ত নহে।” দল বীধিয়া বিপ্লষ করিবারও তিনি পক্ষপাতী নহেন। তাই তিনি বলিলেন, “দল বাধিযা যে বিপ্লব করিতে হইবে তাহা নহে-_-আমাদের লে শক্তিও নাই । কিন্তু দল বাঁধিলে যে একটি বৃহৰ এবং বল লাভ করা যায় তাহাকে লোকে শ্রদ্ধা না করিয়। থাকিতে পারে ন| |” রবীন্দ্রনাথ যে পার্ট বা দল গঠনের বিরোধী, ঠিক তাহা! নহে । তাহার ধারণা দল বাধিবার উপযুক্ত সময় ও সুযোগ আমাদের সমাজে নাই । কেননা, “...আমর! জানি যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি দণ্ডায়মান হইতে হয় তবে সর্বাপেক্ষা ভয় আমাদের স্বজাতিকে | যাহার হিতের কন্ত প্রাণপণ কর! যাইবে সেই আমাদের প্রধান বিপদের কারণ; আমরা যাহার সহায়ত করিতে যাইব তাহার নিকট সহায়তা পাইব না কাপুরুষগণ সত্য অস্বীকার করিবে, নিপীড়িতগণ আপন পীডা গোপন করিয়া যাইবে, আইন আপন বজ্তমুষ্ট প্রসারিত করিবে এবং জেলখানা আপন লৌহবদন ব্যাদান করিয়া আমাদিগকে গ্রাস করিতে আসিবে ।-*৮ সে যুগে দেশের অবস্থাটা প্রায় এই রকমই ছিল। কিন্তু তাই বসিয়া ষে দল-গঠন একেবারেই অসম্ভব ছিল বা তাহার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা থাকিবে না, ধ্রতিহাদিক একথা মানিয়া লইবেন না । আসল কথ! দল বা সংগঠন লইয়া! তিনি ১৬১ অত মাথা ঘামাইতেন না । তিনি যখনই যাহা অন্যায় ও অবিচার বলিয়া মনে করিতেন, ব্যক্তিগত ভাবে তখনই তাহার প্রতিবাদ করিতেন। তিনি মনে করিতেছিলেন, দেশে তখন প্রবল ব্যক্তিত্্সম্পন্ন, আদর্শ ও উন্নত চরিত্রের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির আবির্ভাবের প্রয়োজন । তিনি বলিলেন, “যখন ভারতবর্ষে স্তত কতকগুলি লোকও উঠিবেন ধাহারা আমাদের মধ্যে অটল সত্যপ্রিয় ও নির্ভীক স্যায়পরতার উন্নত আদর্শ স্থাপন করিবেন, যখন ইংরেজ অন্তরের সঙ্গে অনুভব করিবে যে, ভারতবর্ষ ন্যায়বিচার নিশ্টেষ্টভাবে গ্রহণ করে না, সচেষ্টভাবে প্রার্থনা করে, অন্যায় নিবারণের জন্য প্রাণপণ করিতে প্রস্তুত হয়, তখন তাহারা কখনও ভ্রমেও আমাদিগকে অবহেলা করিবে না, এবং আমাদের প্রতি স্তায়বিচারে শৈধিল্য করিতে তাহাদের স্বভাবতই প্রবৃত্তি হইবে না।” [ স্থবিচারের অধিকার- _রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪১৮-২৩ ] লক্ষ্য করিবার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ তখনও পর্স্ত সাম্প্রদাধিক সমস্যাকে গভীরভাবে বুঝিবার চেষ্টা করিতে পারেন নাই । “আমরা” ব1 “আমাদের সমাজ' বলিতে তিনি হিন্দু সমাজের অস্তভৃক্ত হিসাবে চিন্তা করিতেছিলেন। জাতীয় সমস্যাকে তিনি তখনও সাম্প্রদায়িকতার উধের্ব থাকিয়া বিচার করিতে পারেন নাই । “সাধনা” পত্রিকায় ইহাই তাহার সর্বশেষ রাজনৈতিক প্রবন্ধ । অবশ্য এ বৎসরে সাধনার মাঘ-সংখ্যায় “আব্দারের আইন নামক একটি প্রবন্ধে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচন! করা হইয়াছে এবং কেহ কেহ অন্যান করেন প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথের | শ্রীগ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় জানাইতেছেন, প্রবন্ধুট কোনো গ্রন্থে যুক্রিত হয় নাই এবং সাধনাষ উই) স্বাক্ষরিত নহে । তবে আমাদের সাধনায় রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধাটি তাহার রচিত বলিয| দাগ দিয়া দিয়াছিলেন।' যাহাই হউক, প্রবন্ধটি এখনও পর্ধন্ত নিঃসংশয়ে ববীন্দ্রনাথের বলিয়! গৃহীত হয নাই বলিয়া! এখানে উহার আলোচনা! করা ঠিক হইবে না। নানাকারণে ১৩০২ সালের মাঝামাঝি সাধনা প্রকাশ বন্ক হইয়৷ গেল ( ১৩০১, কান্তিকের পর )। ইহার প্রায় দেড় বৎসর পূর্বে স্থধান্দ্রনাথ ব্যবস! উপলক্ষে কুষ্টিযা চলিয়া আসেন। তাহার পরু হইতেই রবীন্দ্রনাথ উহার সম্পাদন! করিয়া আস্তে- ছিলেন। রবীন্ত্বকাব্যপ্রবাছে সেট! “চিত্রার শেষ-পর্ব। এই সময়ই তিনি তাহার বিখ্যাত কবিত৷ 'ছুই বিঘ! জমি' রচনা করিয়াছিলেন ( ১৩০২, জ্যেষ্ঠ ৩১)। নানা দিক দিয়া কবিতাটি বাংলার কাব্য-সাহিত্যে একটি নব যুগের স্ুচন। করিয়াছে। বাংলার শোঁধিত ও উৎপীড়িত কৃষক এই সর্বপ্রথম মুখর হুইয। বাংলা কাব্যে অবতীর্ণ হইলেন। উত্তম পুরুষের জবানীতে বাংলার নিপীড়িত ১৪৭ কষকদের লইয়া ইতিপূর্বে কোনে! কবিতা রচন! হইয়াছে বলিয়া! জানা যায় না। “জমিদার রবীন্দ্রনাথ” আজ তাহার শোষিত সর্বহারা প্রজাদের সহিত যেন ঘনিষ্ঠ ও নিবিড়ভাবে একাত্ম! হুইয়! গিয়াছেন। আজ তাহার “ওরা” যেন “আমি'তে পরিণত হইয়াছে; “জমিদার রবীন্দ্রনাথ আজ উপেন-চাষ।, মহাজনের দেনার দ্বায়ে যাহার একে একে সর্বন্য গিয়া! ভিটেবঝাড়ির “ছুই বিঘ| জমি” শেষ সম্বল মাত্র হইয়াছে । সেই ভিটেবাড়িটুকুরও উপর জমিদারের লুন্ধ দৃষ্টি পড়িয়াছে £ “শুধু বিঘে তুই ছিল মোর ভূ ই, আর সবি গেছে খণে। বাবু বলিলেন, 'বুঝেছ উপেন, এ জমি লই কিনে ।, কহিলাম আমি “তুমি ভূম্বামী, ভূমির অন্ত নাই, চেয়ে দেখো মৌর আছে বড়োজোর মরিবার মনরে! ঠাই ।, শুনি রাজ! কহে, “বাপু, জান তো! হে, করেছি বাগানগানা, পেলে ছুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা-_ ওটা দিতে হবে ।*"- একজন নিঃস্ব দ্েনাগ্রন্ত চাষীর ভিটেবাডিট্ুকুতে জমিদার-নন্দনের প্রমোদ- কানন গড়িয়া উঠে ইহাই হইতেছে জমিদারী ব্যবস্থায় বাংলার রুষক-জীবনের নিষ্টুর ট্রাজিক-পরিণতি। শুধু তাহাই নহে_সেই নিঃস্ব যান্তষটি যখন তাহার সাতপুরুষের ভিটেবাড়িথানি দিতে অস্বীকার কবে, তখন জমিদার-মহাজনশ্রেণী কী হিংস্র ও উগ্রমৃি ধারণ কবিতে পারে,_কত হীন ভঘন্ত অপকৌশল অবলম্বন করিতে পারে, এর কবিশায় তিনি তাহা দেখাইয়াছেন। ইহার আখানভাগ সকলেরই নিকট এতই স্পরিচিত যে উহার উল্লেখ করিবার প্রয়োজন বোধ করি না। “উপেনবেশী রবীন্দ্রনাথ বাংলার জাগ্রত বিবেক-বুদ্ধির নিকট আজ বিচাব প্রার্থন। করিতেছেন,_বাংলার সবস্থান্ত ছিন্নমূল কৃষকদের পক্ষ লইয়। । সাধনা বন্ধ হইয়৷ যাইবার পর রবীন্দ্রনাথ পতিসরেই আছেন । এই পতিসর়েই তিনি “চৈতালি'ব অধিকাংশ কবিতাগুলি রচন! করেন ( চৈত্র ১৩০২ হইতে আবণ ১৩০৩ )। চৈতালির কয়েকটি কবিতীয় তাহার শ্বদেশমূলক ভাব ও চিন্তাধারা স্পষ্ট হইয়! উঠে। রবীন্দ্রনাথ জাতির চরিত্রে একটি ইস্পাত-কঠিন দৃঢ়তা আনিবার কথা বলিতেছিলেন-__যাহারা নির্ভীক, গ্তাষপর ও সতানিষ্ঠ হইবে, যাহারা আদর্শের জন্ত জীবন উৎসর্গ করিতে প্রস্তুত থাকিবে, যাহার! ইংরাষ্ট বা বিদেশীযদের অন্ধ অনুকরণ করিবে না, যাহারা মনে-গ্রাণে স্বদেশী হইয়া উঠিবে ' চৈতালি কাব্যগ্রস্থে ্সেহ্‌গ্রাস” “বঙ্গমাতা” “অভিমান' “পরবেশ” প্রভৃতি কবিতায় উপরোক্ত ভাবই স্পষ্ট হইয়। উঠিয়াছে। স্ষেহগ্রাসে কবি বলিলেন, ১৬৩ “অন্ধমোহবন্ধ তব দাও মুক্ত করি__ রেখো না বসায়ে দ্বারে জাগ্রত প্রহরী হে জননী,... বেষ্টন করিয়৷ তারে আগ্রহ পরশে জীর্ণ করি দিয়! তারে লালনের রসে মন্যত্ব-স্বাধীনত৷ করিয়া শোষণ আপন ক্ষৃধিত চিত্ত করিবে পোষণ ? নিজের সে, বিশ্বের সে, বিশ্বদেবতার, সম্ভান নহে গে মাতঃ সম্পত্তি তোমার 1” বঙ্গমাত। কবিতায় এ কথাই আর একটু জোর দিয়া! বলিলেন, “পুণ্যে পাপে দুঃখে স্থখে পতনে উত্থানে মান্ুষ হইতে দাও তোমার সম্তানে পদে পদে ছোটে ছোটে! নিষেধের ভোবে বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো৷ না ভালোছেলে করে। প্রাণ দিয়ে, দুখ সযে, আপনার হাতে সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে | শীর্ণ শাস্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে দাও সবে গৃহ্ছাড লক্ষ্মীছাড়া করে । সাত'কোটি সম্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঞলি করে মানুষ কর নি ।” অভিমান কবিতায় তিনি তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করিয়৷ বলিলেন “কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ! বৃথা কর আস্ফালন, বুথা কর রোষ। যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্র।ণ, কেহ কতূ তাহাদের করে নি সম্মান। তই কাগজে কাদি, যত দিই গালি, কালামুখে পড়ে তত কলঙ্কের কালি। যে তোমারে অপমান করে অহর্নিশ তারি কাছে তারি 'পরে তোমার নালিশ ! নিজের বিচার দি নাই নিজ হাতে, পদাঘাত খেয়ে যি না পার ফিরাতে-_ তবে ঘরে নতশিরে চুপ করে থাক্‌, সাপ্তাহিকে দিখ্বিদিকে বাজাস্‌ নে ঢাক ।” অপমানের প্রতিকার ও স্ুবিচারের অধিকার প্রবন্ধে যেকথা বলিয়াছিলেন, অভিমান কবিতায় তীব্র শ্লেষ ও বিদ্রপের সহিত কবি সেইকথারই পুনরাবৃত্তি করিলেন। পরবেশ কব্তায তিনি বলিলেন, “কে তুমি ফিরিছ পরি প্রভুদের সাজ। ছদ্মবেশে বাড়ে না কি চতুগুণ লাজ। পরবস্ত্র অঙ্গে তব হয়ে অধিষ্ঠান মিনার লা সবাঙ্গে লাঞ্চনা বহি এ কী অহংকার । ওর কাছে জীর্ণ চীর জেনো অলংকার । সেকালের বুদ্ধিজ্জীবী শ্রেণী, এমনকি তৎকালীন কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দও, চিন্তায়- ভাবনায়, পোশাকে-আশাকে, চলনে-বলনে ইংরাজদের অনুকরণ করিতেন। কৰি পৰবেশ কবিতায় ইহাদের তীব্র ও তীক্্ম বিদ্রপে আক্রমণ করিযা দেশের মধো একটা তীব্র স্বাজাত্যবোধ জাগরিত করিতে চাহিলেন। ববীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের সমালোচনা করিলেও কংগ্রেস হইতে দূরে ছিলেন না। ইহার প্রায এক বৎসর পরে (১৩০৩ বঙ্গাৰ ৷ ১৮৯৬ খ্রীষ্টাব্)) কলিকাতায় কংগ্রেসের ভ্বাদশতম অধিবেশন হয়। সভাপতি ছিলেন ২. 7. 58581011 কংগ্রেসের উদ্বোধনের দিন রবীন্দ্রনাথ বিখ্যাত “বন্দে মাতরম্‌* গানটি উদ্বোধন-সংগীত হিসাবে গাহিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে ্রগ্রফুল্লকুমার সরকার লিখিয়াছেন, “ "১৮৯৬ সালে কলিকাতায় কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয়, তাহাতেও তিনি ( ববীন্দ্রনাথ ) যোগ দেন। লোকমান্য বালগঞ্গাধর তিলক এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন । এই অধিবেশনেই রবীন্দ্রনাথ বহ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত জাতীয় সংগীত “বন্দে মাতরম্‌” নিজে হুরসংষোগ করিয়া গান করেন। সেই হইতে “বন্দে মাতরম্‌' গান রবীন্দ্রনাথের প্রদত্ত সুরেই প্রতি বৎসর কংগ্রেসে গীত হইয়া আসিতেছে ।” [ জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ॥ পৃঃ ২৬ ] স্মরণ থাকিতে পারে, ইহার প্রায় দশ বৎসর পূর্বে কলিকাতায় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনেও রবীন্দ্রনাথ যোগদান করিয়াছিলেন। এবং সেবার তিনি “আমর! ১৬ মিলেছি আজ মায়ের ডাকে" গানটি সভামগ্ডপে গাহিয়াছিলেন। শোন! যায়, বন্ধিমচন্দ্র জীবিত থাকিতেই রবীন্দ্রনাথ “বন্দে মাতরম্‌, গানটির প্রথম অংশটি সুরসংযোগ করিয়! ব্িমচন্দ্রকে শুনাইয়াছিলেন। প্রায় এক বৎসর পর ১৮৯৭ সালে জুন মাসে নাটোরে কংগ্রেসের প্রাদেশিক সম্মেলনের অধিবেশন হয়। সভাপতি ছিলেন সত্যেন্্নাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথও এই সম্মেলনে যোগ দিয়াছিলেন। এই সম্মেলনেই সভার কাধ পরিচালন! ও বক্তৃতার ভাষার মাধ্যম লইয়া! প্রাচীনপন্থীদের সহিত রবীন্দ্রনাথ-অবনীন্দ্রনাথ প্রমুখ তরুণ দলটির বিরোধ বাধিল। বলা বাহুল্য, সেকালের কংগ্রেস নেতৃবুন্দ সকলেই নিজেদের ছোটখাটে। একটি করিয়। বার্ক, ব্রাইট, গ্লাডস্টোন মনে করিয়া তাহাদের অন্করণে নাটকীয় ভঙ্গিতে ইংরাজী ভাষার বক্তৃতা করিতেন। রবীন্দ্রনাথ ইহা! সহ করিতে পারিতেন না। বেশ কিছুদিন হইতেই তিনি ইহার প্রতিবাদ করিয়া 'আসিতেছিলেন, একথা পূর্বেই আলোচন। করিয়াছি । তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থ হইতে শুরু করিয়া সব কিছুতেই বাংল! ভাষা প্রচলনের দাবি করিয়া আসিতেছিলেন। নাটোর-সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ পূর্বাহ্েই অবনীন্দ্রনাথ প্রমুখ তরুণ প্রতিনিধিদের লইয়৷ বাংলা ভাষায় সভার কাষ পরিচালন! করিবার জন্য একটি আন্দোলন গড়িয়া তুলিবার পরিকল্পন| করিয়৷ রাখিয়াছিলেন। সভার কায শুরু হইলে যথাসময়েই তরুণের দল বাংল! ভাষার জন্য আন্দোলন করিতে লাগিলেন। ফলে ছুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড তর্কযদ্ধ শুরু হইল। শেষ পযন্ত তরুণ দলেরই জয়লাভ হইল। অবনীন্দ্রনাথ তাহার “ঘরোয়া? পুস্তিকায এই ঘটনাটির বিস্তারিত একটা সরস বর্ণনা দিয়াছেনু। তিনি লিখিতেছেন, ' “আগে থেকেই ঠিক ছিল, রবিকাক৷ প্রস্তাব করবেন, প্রোভিন্সিয়েল কন্ফারেন্স বাংল৷ ভাষায় হবে। আমরা ছোকরার! সবাই ববিকাকার দলে। আমরা বললুম, নিশ্চয়ই, প্রোভিন্দিয়েল কন্ফারেন্দে বাংল। ভাষার স্থান হওয়৷ চাই । রবিকাকাকে বললুম, ছেড়ে! না, আমর। শেষ পর্বন্ত লড়ব এজন্যে । সেই নিয়ে আমাদের বাধল চাইদের সঙ্গে । তার! আর ঘাড় পাতেন না। ছোকরার দলের কথায় আমলই দেন না। তীন্বা বললেন, যেমন কংগ্রেসে হয়, তেমনি এখানেও হবে--সব-কিছু ইংরেজিতে । অনেক তক্কাতন্কির পর দুটো দল হয়ে গেল। একদল বলবে বাংলাতে, আর একদল বলবে ইংরেজিতে । সবাই মিলে গেলম, প্যাণ্ডেলে। বসেছি সব, রুন্ফারে্স আরম্ভ হবে। রবিকাকার গান ছিল, গান তো আর ইংরেজিতে,হতে পারে না, বাঙলা গানই হলো । “সোনার বাংলা” গানটা বোধ হয় সেই সময়ে গাওয়া হয়েছিল-_ ১৯৩ “এখন প্রেসিডেন্ট উঠেছেন ম্পীচ দিতে, ইংরেজিতে যেই না মুখ খোলা, আমরা ছোকরার! যার! ছিলুম বাঁংলা ভাষার দলে, সবাই এক সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠলুম-_বাংল!, বাংলা । মুখ আর খুলতেই দিই না কাউকে । ইংরেজিতে কথা আরম্ভ করলেই আমরা চেঁচাতে থাঁকি-_বাংলা, বাংলা । মহা মুশকিল, কেউ আর কিছু বলতে পারেন না। তবুও এ চেঁচামেচির মধ্যেই দব-একজন দু-একটা কথা বলতে চেষ্টা করেছিলেন। লালমোহন ঘোষ ছিলেন ঘোরতর ইংরেজি- ঢুরস্ত, তার মতো ইংরেজিতে কেউ বলতে পারত না, তিনি ছিলেন পার্লামেপ্টারী বক্তা-তিনি শেষটায় উঠে বাংলায় করলেন বক্তৃতা । কী ন্ুন্দর তিনি বলেছিলেন, যেমন পারতেন তিনি ইংরেজিতে বলতে তেমনি চমৎকার তিনি আংলাতে৪ বন্ৃতা করলেন! আমাদের উল্লাস দেখে কে, আমাদের তো জযজয়কার । কন্ফারেন্দে বাংল! ভাষ। চলিত হলো । সেই প্রথম আমর! পাবলিক্লি বাংল! ভাষার জন্য লড়লুম ।” [ ঘরোয়! ॥ পৃঃ ৪২-৪৩ স্বাধীনত! ও জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকাবের অন্যতম প্রধান কথাই হইতেছে-_ মাতৃভাষার সর্বাঙ্গীণ বিকাশ । অথবা! এইভাবে বলা যায়-_একটি জাতির সববাঙ্গীণ বিকাশ তাহার মাতৃভাষার সর্বাঙ্গীণ বিকাশের সহিত পরম্পর ঘনিষ্ঠ- সমবন্ধযুক্ত । সেই হিসাবে রবীন্দ্রনাথের অবদান যে কী গভীর তাহা আর কাহাকেও বলিষ। বুঝাইয়৷ দিতে হইবে না । বহুকাল পরে, রবীন্দ্রনাথ এই ঘটনাটিকে উপলক্ষ করিয়! সে-যুগের রাজনৈতিক চিন্তাধারার সমালোচনা করিযাছিলেন। ইহাতে সে-যুগের কংগ্রেসী রাঙ্জনীতির সহিত তাহাব নিজস্ব বাজনৈতিক চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যাটি তিনি নিজেই অতি স্তন্দবভাবে বর্ণন। করিযাছেন (ডঃ শচীন সেনের 6011008] 70101195001) ০4 7২2517)07917801) পুস্তকের সমালোচন। প্রসঙ্গে )। তিনি বলিয়াছিলেন ( ১৩৩৬ সাল ), “সাধন! পত্রিকায় রাস্্রীয় বিষয়ে আমি প্রথম আলোচনা শুরু করি ।-." তখনকার দিনে চোখ রাডিষে ভিক্ষ! করা ও গলা মোট। করে গবর্মেন্টকে জুজুব ভম দেখানোই আমর! বীরত্ব বলে গণ্য করতেম। আমাদের দেশে পোলিটিকাল অধ্যবসায়ের সেই অবান্তন ভূমিকার কথাট! আজকের দিনের তরুণেরা ঠিকমতো কল্পন। করতেই পারবেন না। তখনকার পলিটিকসের সমস্ত আবেদনটাই ছিল উপরওয়ালার কাছে, দেশের লোকের কাছে একেবারেই না। সেই কারণেই প্রাদেশিক রাষট্রসশ্মিলনীতে, গ্রাম্যজনমণ্ডলীসভাতে, ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করাকে কেউ অসংগত বলে মনে করতেই পারতেন ন!। রাজশাহী-সশ্মিলনীতে নাটোরের ১৬৭ পরলোকগত মহারাজা জগদিজ্্নাথের সঙ্গে চক্রাত্ত করে সভায় বাংল! ভাষা প্রবর্তন করবার প্রথম চেষ্টা যখন করি, তখন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় প্রভৃতি ততসাময়িক রাষ্ট্রনেতারা আমার প্রতি একাস্ত ক্ুদ্ধ হয়ে কঠোর বিদ্রুপ করেছিলেন । বিদ্রপ ও বাধা আমার জীবনের সকল কর্মেই আমি প্রচুর পরিমাণেই পেয়েছি, এ ক্ষেত্রেও ভার অন্তথ! হয় নি। পর বৎসরে রুগ্ন শরীর নিয়ে ঢাকাঁকন্ফারেন্দেও আমাকে এই চেষ্টায় প্রবৃত্ত হতে হয়েছিল। আমার এই স্তিছাড়া উৎসাহ উপলক্ষে তখন এমনতরো! একট। কানাকানি উঠেছিল যে, ইংরেজি ভাষায় আমার দখল নেই বলেই রাষ্্রসভার মতে! অজায়গায় আমি বাংলা চালাবার উদ্যোগ করেছি। বাঙালির ছেলের পক্ষে ষে গালি সবচেয়ে লজ্জার সেইটেই সের্দিন আমার প্রতি প্রয়োগ করা হয়েছিল, অর্থাৎ ইংরেজি আমি জানি নে। এত বড়ে! দুঃসহ লাঞ্ছন। আমি নীরবে সহা করেছিলুম তার একট। কারণ, ইংরেজি ভাষ।-শিক্ষায় বাল্যকাল থেকে আমি সত্যই অবহেলা! করেছি; দ্বিতীয় কারণ, পিতৃদেবের, শাসনে তখনকার দিনেও মামাদের পরিবারের পরম্পর পত্র লেখা প্রভৃতি ব্যাপারে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার অপমানজনক বলে গণ্য হত।” [ রবীন্দ্রনাথের রাষ্্নৈতিক মত-_কালাস্তর ॥ পৃঃ ৩৪৪-৪৫ ] নাটোরের এ অগ্রীতিকর ঘটনার কিছুদিন রই কবি লিখিলেন “ভিক্ষায়াং নৈবনৈবচ'। এই কবিতায় তিনি বলিলেন, “যে তোমারে ন্বুরে রাখি নিত্য ঘ্বণ। করে হে মোর স্বদেশ, মোর| তারি,কাছে ফিরি সম্মানের তরে পরি তারি বেশ। বিদেশী জানে না তোরে, অনাদরে তাই করে অপমান-_ মোরা তারি পিছে থাকি যোগ দিতে চাই আপন সন্তান । তোমার য! দৈন্য মাত, তাই ভূষা মোর কেন সাহা ভুলি! পরধনে ধিক গর্ব! করি করজোড়, ভরি ভিক্ষা ঝুলি! পুণ্যহন্তে শাক-অন্ন তুলে দাও পাতে, যেন রুণচ।; মোটাবস্ত্র বুনে দাও যদি নিজ হাতে তাহে লজ্জা ঘুচে ।” এঁ সব ঘটনার পর কবির স্বাঙ্গাত্যবোধ ষে স্তীব্র হইয়! উঠিতেছে, তাহ। এই কবিতার প্রতিটি ছত্রে পরিস্ফুট হইয়! উঠিয়াছে। সাধনার যুগে কংগ্রেসের সহিত রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রধান পার্থক্য হইতেছে-_রাজনৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ইংলগুকে বা! ইংলগ্ডের নিয়মতান্ত্রিক পার্লামেপ্টারী রাজনীতিকে গ্রহণ করিতে পারিলেন ন1। পরস্ত ইউরোপের বাহিরে, ভারতবর্ষে এবং পৃথিবীর সর্বত্রই তিনি ইংরাজকে স্বপ্য শোষক ও উৎপীড়ক রূপেই লক্ষ্য করিতেছেন। অবশ্ট ইংলগ্ডের মুষ্টিমেয় একশ্রেণীর বিবেকী মানুষের প্রতি তিনি আস্তরিক শ্রদ্ধাভাব প্রকাশ করিতে ছিধ! করিতেছেন না। অপরদিকে, কংগ্রেসের তখনও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপর অসীম শ্রদ্ধা ও আস্থা! । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ অসভ্য ও বর্বর দেশগুলিকে সভ্য ও সুশিক্ষিত করিয়! তুলিবার মহান আদর্শে অনু গ্রাণিত, ব্রিটিশ সাম্াজ্যবাদ সর্বত্রই স্বাধীনতা ও গণতত্বের পবিত্র ধারক, বাহক ও রক্ষাকর্তা, ইহাই হইতেছে তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের ধারণা। ৯ংলগ্ের পার্লামেন্টারী রাজনীতি তাহাদের অভিভূত করিয়াছে। সর্ক্ষেত্রেই ইংলগ্ তখন কংগ্রেসের আদশস্বরূপ হইয়া উঠিয়াছে। কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিটি তৎকালীন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কংগ্রেস-নেত৷ স্বরেন্্নাথের বক্তৃতার মধ্যে আগ্যন্ত স্পষ্ট হইয়া! উঠিয়াছে। ১৮৯৫ খ্রীষ্টাব্দে পুনা-কংগ্রেসে তাহার সভাপতির অভিভাষণে সুরেন্দ্রনাথ এই বলিয়। উপসংহার করিলেন, £০০০01১০ 1006005 20050 50102 11010. [:1)8191)0. 10 [108191)0 ভ০ 10010 001 10050180101) 210 £01081106. [0 [51)5181)0 আআ 1001. 601 55100180195 2) 006 50008815,. 51010 010518770 120050 ৫0006 605 ০:0%0176 1081)09866 51101) চ/1]] 61711917000156 0801 206০16. চ:081270 15 ০0 001101081 £3106 2170 ০ 20019] 0:6০6196০: 10 006 6381060 901)616 ০£ ০011009] ৫005. 5:286115)0 10156005 085 00381)0 85 0150952 71117০10165 ০0: 11620010 13101) আ০ ০10618915 10) ০0 1166-0190. ৬০179৮০0261) 1650 00010 0106 50:0794 4০০৫ ০£ [0511১8 50105010500788] £166 00200... €,..006 2001656 106110986 আ1101) আ০ ০21) 16252 ০ 08: 010110161) 2250 003: 51011016101 ০11101617 15 0105 1061208£6 ০£ €12187850 1:151)63 58280181060 05 0106 10581 06৬011018 2170 096 66156756 2100008518500 01 81) 210091)0198060 0601015. 156 08 ৪০ ০: আআ] 501021061006 17 5800 00061) আা100 21878561108 1০৩৪1ে 0০ 006 91101810 ০010156001010,.]16 13 006 86 61:81)02 5৪৮ 6 1090৮ 60:58:04 ₹০--৮এ০ 00111586101), 06107081062 ১৬৬৪ 50000482061 83 21 1176687581 0800 0£ 0586 £16596 120019116 আ্10101 1095 150 00০ 1686 01 006 আ0:10. 006 0000619 06 166 1155000- 010195৮0080 13 1380 ৩ 1102 ৪০, 25812100 13 006 80805 00001321০06 1:65 10900198, 9125 1095 ০০৬৪16০ 0106 ০110 16 1:25 508055. 1018665১ 101006100 005 010095678% ৪১০৫৪ 0৫ ৮81- 991:1500, ৪5100 006 10006 06 1:65800109, ৬/1561:5561 00815 006 088 ০0৫ 7/0818170, 01615 6165 030৮ 610212)6165 1085৩ 0661 ৩8090115176 0.. ১.৮ [ 0078£655 71651060018] 4১007555259 2 ৬০1. ][. 7. %51-55 ] এই যুগে রবীন্দ্রনাথ যে পরিষ্কার কিছু একটা পথ দেখিতে পাইতেছিলেন, এমন নহে। কিস্তু কংগ্রেসের এ আবেদন-শিবেদনের স্থর তিনি কিছুতেই সমর্থন করিতে পারেন নাই । তখন ইংরাজ-রাজত্বের উচ্ছেদ বা! স্বাধীনতার কোনো প্রশ্নই উঠে নাই। তখনও পর্যস্ত দেশে ভালো করিয়া জাতীয়তাবোধই জাগ্রত হয় নাই। জাতীয় গ্রস্তুতিই তখন রবীন্দ্রনাথের কাছে সব-হইতে বড়ো কথ! । এই জাতীয় প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একদিকে তিনি মেমন দু চরিত্র গঠনের উপর জোর দিতেছেন, অন্যদিকে তেমনি একটি তীব্র স্বাজাত্য ঝ। জাতীয় মধাদাবোধকে জাগরিত করিতে চাহিলেন , কখনও বা তিনি বাংল! ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাকে দেশের সর্বত্র প্রসারিত করিতে চাহিলেন। এককথায়, তখন আমাদের চিন্তায়-ভাবনাষ, পোশাকে-আশাকে, ভাবে-ভাষায় তিনি একটি সুষ্ঠু ও সবাঙ্গীণ স্বদেশী কৃষ্টি গড়িয়। তুঁলিবার কথা চিন্ত। করিতেছেন । ১১৩ 1| গণতাজ্সিক আল্দোললে ও জাতায় একর প্রন্বে ॥ উনবিংশ শতাব্দীর খেষভ।গে ভারতের জাতীয় আন্দোলনের প্রবাহে আরো কয়েকটি প্রবল ভাবধারার শ্রোত আসিয়া! মিলিত হইল। একদিকে স্বামী বিবেকানন্দ, অপর দিকে মহারাষ্ট্রের বালগঙ্গাধর তিলকের অভ্যুদয় আমাদের মী ও জাতীয় চেতনায় একটি প্রবল আন্মোড়ন সৃষ্টি করিল। উভযেই ধর্ম আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনের দিকে প্রসারিত করিতে চাহিয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে তিলক শুধু জাতীয় আন্দোলনের কথাই চিস্ত/ করিতেছিলেন না; তিনি আমাদের জাতীয় আন্দোলনকে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সংঘর্ষের দিকে প্রসারিত করিতে চাহিলেন । তিলকের সংগ্রামের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ সাহাজ/ধাদের উৎখাত এবং স্বাধীনতালাভ । কিন্তু স্বাধীনতার অর্থ বলিতে তিনি বুঝিতেন-_সারা! ভারতবর্ষ জুডিয। এক অখণ্ড হিন্দুংরাজ্য । কংগ্রেসের এ আবেদন-নিবেদন কিংব! নিম্মমতান্ত্রিক আন্দোলনকে তিন আদৌ সমর্থন করিতে পারিতেছিলেন না। তিলকের আদর্শ-পুরুষ--শিবাজী । শিবাজী ও মহারাষ্থ্রীয় সৈম্তবাহিনী একধিন অসীম বীরত্বের সহিত মুঘল-আক্রমণের হাত হইতে দক্ষিণ ভারতকে রক্ষ। করিষাছে--এই এঁতিহাসিক ঘটনাই ছিল তাহার রাজনৈতিক-সংগ্রামের মূল প্রেরণা ও উৎসাহ । এই শিবাজীর আঘর্শে ই স্বাধীনতা-সংগ্রামের প্রস্ততির জন্য তিনি মহারাষ্ট্রে 'শিবাজী-উৎসবে'র প্রবর্তন করিলেন (১৮৯৭ )। ইতিপূর্বে “গোরক্ষা-আন্দোলন' ও “গণপতি-উৎসবে'র প্রবর্তন করিয়া তিনি অনুরূপভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীষ উন্মাদনাকে স্বাধীনতা-সংগ্রামেব প্রস্তুতির কাজে ব্যবহার করিতে চাহিয়াছিলেন। তাহার ফলে যে কী ধরনের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষভাব প্ররোচিত হইয়াছিল, পূর্বেই তাহা উল্লেখ করিয়াছি। ইতিমধ্যে বোম্বাইতে ভয়ঙ্কর প্রেগ দেখা দিল। ইংরাজ সরকার কিছু ইংরাঙ্গ সৈম্তকে প্রেগ-নিবারণ আঁভযানে মোতায়েন করিলেন । প্রেগ নিবারণের নামে এই ন্বেচ্ছাসেবকবাহিনী এমনসব উৎপাত-অত্যাচার আরম্ভ করিল, যাহার ফলে জনসাধারণ অভিষ্ঠ হইয়া উঠিতেছিল। তিলক ও নাটু-ত্রাতৃছয় ইহার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা করিয়া সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে লাগিলেন। কিন্তু কোনই ফল হইল না--অত্যাচার সমানে বাড়িয়া ১১১ চলিল। কিছুদিন পর অকস্মাৎ 'প্রেগ-কমিটির' €প্রসিডেটে ৬/. 0. 8৪4 পুনার প্রকাশ্ত রাজপথে দুইজন মহারাষ্্রীয় যুবকের আক্রমণে নিহত হইলেন (২২শে জুন, ১৮৯৭)। সেদিন “মহারানী' ভিক্টোরিয়ার “হীরক জুবিলি উৎসব'। সমগ্র আযাংলো-ইখ্ডিম়্ান সমাজ আতঙ্কে আর্তনাদ করিয়া! উঠিল । চারিদিক হইতে তাহারা এদেশীয় সংবাদপত্রগুলির কণ্ঠরোধ করিবার জন্য সরকারকে চাপ দিতে লাগিল। কয়েকদিন পরই নাটু্রাতৃ্য়কে গ্রেপ্তার করিয়া বিন! বিচারেই নির্বাসিত কর। হইল। প্রায় সাথে সাথেই র্যান্ড্‌ হত্যা মামলায় তিলককে গ্রেপ্তার করা হইল। এই মামলায় জজ. ও জুরিরা সকলেই ইংরাজ ছিলেন। বিচারে ভিলকের দেড় বৎসরের কারাদণ্ড হইল। ফলে সারা দেশে উত্তেজনা ও প্রতিক্রিয়ার স্থটি হইল। ইংরাজ সরকার সর্বপ্রথম এদেশীয় সংবাদপত্রগুলিকে দমন করিবার জন্য “সিডিশন বিল" লইয়া আগাইয়া আসিলেন। দেশের চারিদিকে এই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হইল। কংগ্রেস হইতেও ইহার বিরুদ্ধে তীত্র গুতিবাদ জ্ঞাপন করা হইল । ১৮৯৭ খ্রীষ্টাবে অমরাবভী-কংগ্রেসে সভাপতির মঞ্চ হইতে শঙ্করণ নায়ার বলিলেন, এ 03661931915 0৩ 41500610006 10100106161) 05 800155 01 00০ 00601 058 0156 00070619 দা61০ 005 1550]0 06 ৪ 00185- 12805 101 ভা1)1০)) 006 ৬2002001191 1791653 99 2:681001)0510165 010৩ 00561007961) 81765060 035 ৪0 01003615010 036 09515109795 ০0£ 87) ০010 19৮7 117661)060 60: 18571558 (10053 00 320০0150106 ০2866 0৫1 006 ০০০). 701,718 820 006 2016025 . ০06 ড8:28081151 020619 615 01956006650 7 800 ৪ 700121056 60:05 983 1000909820 00 006 7১0০0228711 01710208110, 705 21063 ০৫6৪0 0:000615 9085 2120 00050 16109172168 01010067. 16 ₹5০৪1]9 006 91:80 ৫853 ০0৫ 10530005115 ৫580061510. [1061 01 061500 20 01:006165 15 2 8106 16 5০00 815 11915 00 0৫ 8116585060১ 10901851091050) ৪100 5০০ [১:010610 56006866515 ৪৫ 006 জা]] 2150 01625016 016 0305610)106126 10003006106 5:০9810৫ 0০ 2181. ৬/০ 50211...52গ6588 001 61001980০ 0:০06656 988105 019 01:00০66176.” তখনও সিডিশন বিল আইনে পরিণত হয় নাই । এই প্রস্তাবিত বিলটির সম্পর্কে তিনি বলিলেন, [62085 ৮1008002500 01588:66281015 0:01011360702 0136 01088015680০00-৮ 28001506005 1৪৬ 06 9601001,,৬/6 0186 4406 (30562000010 ভা] 0681 11) 10100 0086 10 005 6150108- ১১২ 6973058 ০৫ 0013 ০0305, 212500176 101010 ০1060158 615600129 ০0% 000180 01901299809) 15 1056 061১1018116...%, [ 0০008595 1:581061081 4১.00165555 £ ০1. 1. 7০. 334-36 ] দেশের এই অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের পক্ষে চুপ করিয়! থাকা সম্ভব হইল ন|। সিডিশন বিল পাস হইবার পূর্বদিন কলিকাতা টাউন হলে এক জনসভায় তিনি “ক্রোধ? প্রবন্ধটি পাঠ করিলেন ( সাধনা, ১৩০৫ বৈশাখ )। কবি বলিলেন, “***অল্পদিনের মধ্যে উপযুপরি কতকগুলি অভাবনীয় ঘটনায় আমরা হঠাৎ আবিষ্কার করিয়াছি যে, বিনা চেষ্টায়, বিনা কারণে আমর! ভয় উৎপাদন করিতেছি ।-". * “ইতিমধ্যে একদিন দেখিলাম, গবর্মেন্ট অত্যন্ত সচকিতভাবে তাহার পুরাতন দগ্ডশালা! হইতে কতকগুলি অব্যবহৃত কঠিন নিয়মের প্রবল লৌহশঙ্খল টানিয়া বাহির করিষ! তাহার মরিচা সাফ করিতে বসিযাছেন।"*" “একদিন শুনিলাম, অপরাধিবিশেষকে সন্ধানপূর্বক গ্রেফ তার করিতে অক্ষম হইয। রোঘগন্ত গবর্মেন্ট সাক্ষীসাবুদ বিচার-বিবেচনার বিলম্বমাত্র ন! করিয়া একেবারে সমস্ত পুন৷ শহরের বক্ষের উপর রাজদণ্ডের জগদ্দল পাথর চাপাইয়া দিলেন। মামর। ভাবিলাম, পুনা বডে! ভযংকর শহর ! ভিতরে ভিতরে না জানি কী ভয়ানক কাণ্ডই করিয়াছে! “আজ পধন্ত সে ভযানক কাণ্ডের কোনো অন্ধিসন্ধি পাওয়। গেল না । “-**এমন সময তারের খবর আদিল, রাজপ্রাসাদদেব গুপ্ুচুডা হইতে কোন্- এক অজ্ঞাত অপবিচিত বীভৎস আইন বিছ্যাতের মতে। পড়িয়! নাটুত্রাতৃযুগলকে ছে। মারিধা কোথায় অন্তর্ধান করিযাছে। দেখিতে দেখিতে আকম্মিক গুরুবর্ষার মতে। সমন্ত বোম্বাই প্রদেশের মাথার উপরে কালো! মেঘ নিবিড় হইয়া উঠিল,.." ৷ "একদিকে পুরাতন আইনশৃঙ্খলের মরিচ| সাফ হইল, আবার অন্ত দিকে রাজ- কারখানায় নৃতন লৌহশৃঙ্খল-নির্মাণের ভীষণ হাতুড়িধ্বনিতে সমস্ত ভারতবর্ষ কম্পান্বিত হই! উঠিয়াছে।” সিডিশন বিল সম্পর্কে তিনি বলিলেন, “..-যদি রজ্ভ্রতে সর্পভ্রম ঘটিয়া থাকে তবে তাডাতাড়ি ঘবের প্রদীপ নিবাইয়া দিয়া ভয়কে আরও পরিব্যাপ্ত করিয়া তুলিতেছ কেন। যে একমাত্র উপায়ে আমরা আত্মপ্রকাশ করিতে পারি; তোমাদের নিকট আপনাকে পরিচিত করিতে পারি, তাহা রোধ করিয়। ফল কী। “সিপাহিবিত্রোহের পূর্বে হাতে হাতে যে রুটি বিলি হইয়াছিল তাহাতে একটি ১১৩ রবীজ্রনাথ | ৮ অক্ষরও লেখা ছিল ন|--সেই নির্বাক নিরক্ষর সংবাদপত্রই কি যথার্থ ভংকর নহে। '“*সংবাদপত্র যতই অধিক এবং যতই অবাধ হইবে, স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে দেশ ততই আত্মগোপন করিতে পারিবে না। যদি কখনও কোনো ঘনান্বকার অমাবস্তারাঞ্জে আমাদের অবলা ভারতভূমি ছুরাশার ছুঃসাহসে উন্মাদিনী হইয়া বিপ্লবাভিসারে যাত্র! করে তবে সিংহদ্বারের কুন্ধুর না ডাকিতেও পারে, রাজার প্রহরী না! জাগিতেও পারে, পুররক্ষক কোতোয়াল তাহাকে না চিনিতেও পারে, কিন্তু তাহার নিজেরই সর্বাঙ্গের কন্বণকিস্কিণীনৃপুরকেমুর, তাহার বিচিত্র ভাষার বিচিত্র সংবাদপত্রগুলি কিছু-নাঁকিছু বাজিয়া উঠিবেই, নিষেধ মানিবে না|" “রহস্তই অনিশ্চিত ভয়ের প্রধান আশ্রয়স্থান,'..রুদ্ববাক সংবাদপঞ্জের মাঝখানে রহস্তান্ধকারে আচ্ছন্ন হইয়া থাকা আমাদের পক্ষে বড়োই ভয়ংকর অবস্থা ।*."আঘাত করিলে আমরা বেদনা পাইব; ইংরেজ হাজার চক্ষু রক্তরণ করিলেও এ নিয়মটাকে দেশাস্তরিত করিতে পারিবেন না । “আজ সহসা জাগ্রত হইয়া দেখিতেছি, ছুর্বলের কোনো অধিকার নাই । আমরা যাহা! মনুম্তমাত্রেরই প্রাপ্য মনে করিয়াছিলাম তাহা দূর্বলের প্রতি প্রবলের স্বেচ্ছাধীন অনুগ্রহ মাত্র ।""" “আজ যদি অকম্মাৎ আমর। সেই ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত হই, রাজকার্ধ চালনার সহিত আমাদের সমালোচনার ক্ষুদ্র সম্বন্টুকুও এক আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়, এবং হয় আমরা নিশ্চৈষ্ট উদাসীন্তার মধ্যে নিমগ্ন. হইয়! খুকি, নয় কপটতা” ও মিথ্যা বাক্যের দ্বার। প্রবলতার রাজপদতগ্জে আপন মনুম্ত্বকে সম্পূর্ণ বলিদান করি, তবে পরাধীনতার সমস্ত হীনতার সঙ্গে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত আকাজ্ষার বাক্যহীন ব্যর্থ বেদন! মি্রিত হইয়া আমাদের দুর্দশা! পরাকাষ্ঠগ্রাপ্ত হইবে) যে সন্বন্ধের মধ্যে আদানপ্রদানেব একটি সংকীর্ণ পথ খোল! ছিল, ভয় আসিয়া! সে পথ রোধ করিয়া ধাড়াইবে ; রাজার প্রতি প্রজার সে ভয় গৌরবের নহে; এবং প্রজার প্রতি রাজার সে ভয় ততোধিক শোচনীয় । “এই মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতাঁবরণ উত্তোলন করিয়া লইলে আমাদের পরাধীনতার সমস্ত কঠিন কঙ্কাল এক মুহূর্তে বাহির হইয়া পড়িবে ।"**দুইশত বৎসর পরিচয়ের পরে আমাদের মানবসম্বদ্ধের এই কি অবশেষ !” [ কঠরোধ- রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪২৫-৩১ ] তীব্র আবেগময়ী ভাষাঁয় রবীন্দ্রনাথ সিডিশন বিল ও সরকারী দমন-নীতির সমালোচন|! করিলেন । কিন্তু লক্ষণীয়, রবীন্দ্রনাথের এই ভাষণে বিদ্রোহ বা ৯১৪ প্রতিরোধ-আন্দোলনের কোনো স্থান নাই, যদিও তৎকালীন বুদ্ধিজীবী সমাজে ভাষণটি গভীর উদ্দীপন! ও প্রেরণার সঞ্চার করিয়াছিল। এমন সময় কলিকাতাতেও ভয়ঙ্কর প্লেগ দেখা দিল। কিন্তু বোস্বাইনের মত প্লেগ নিবারক বাহিনীর তেমন উৎপাত অত্যাচার কলিকাতায় হইল না । বাংলার ত্দানীস্তন লেফটেনান্ট গভনর স্যর জন উড বার্ন দেশবাসীকে এই ব্যাপারে আশ্বাস জানাইয়া বিবৃতি দিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাহাতে খুশি। তিনি তখন “ভারতী'র সম্পাদক | ভারতীর 'প্রসঙ্গ-কথা'য় (১৩০৫ জ্যৈষ্ঠ ) তিনি বলিলেন, “এইরূপ ছুর্ধোগেই বিদেশী রাজার পক্ষে প্রজাদের হৃদ্যজয়ের দুর্লভ অবকাশ । এই সময়েই রাজা প্রমাণ করিতে পারেন যে, আমন পর হইয়াও পর নহি... “পরন্ত এই সময়ে পতিতের উপর পদপ্রহার, ব্যঘিতের উপর জবরদস্তি ভয়ের নিষ্ঠ্রত৷ মাত্র ।"."এবার পুযুনিটিভ পুলিন, নাটু-নিগ্রহ, সিডিশন-বিলের দ্বার| গবর্ষেন্ট উচৈংম্বরে ঘোষণা করিয়াছেন যে, আমর! স্ব্লসংখ্যক বিদেশী, আমরা ক্ষম। করিতে সাহস করি না । “দেখিলাম, পবর্ষেপ্টের উত্তরোত্তর রাগ ও জে? বাড়িয়। যাইতে লাগিল। যেখানে যত বেদন! শাসনকর্ত। সেখানে তত আঘাত করিতে কৃতসংকল্প । ভারতবর্ষের আদ্যন্তমধ্যে অশান্তির আক্ষেপ কোথাও প্রকাশ্ঠে ফুটিবার উপক্রম করিল, কোথাও গোপনে গুমরিয়৷ উঠিল ।.--এ দেশের সর্বসাধারণের মধ্যে একপ ক্ষুব্ধ অবস্থা আব কখনও দেখা যায নাই। “-.* আমাদের মন বিগডাইয়া গেলে আমরা কাগজে ছু-চার কথা বলিতে পারি, কিন্ত কর্তৃপক্ষের মন বিগড়াইয়৷ গেলে তাহার! আমাদের কাগজের গলা চাপিষা ধরিতে পারেন। আমরা ক্ষুব্ধ হইলে তাহা রাজবিদ্রোহ। কিন্তু রাজারা রুথিয়া থাকিলে তাহ। কি প্রজাবিদ্রোহ নহে ।-."” এই কথ|। বলিবার পর তিনি এদেশীয় রাজপুরুষ ও গোরা সৈন্যদের অত্যাচার নিধাতনের কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করিলেন। বন্থকালের সঞ্চিত এই অত্যাচার ও অপমানের জাল! কিভাবে দেশবাসীর মনে পুপ্তীভূত আক্রোশ ও বিদ্রোহের ভাব হৃি করিয়া! চলিতেছে, রবীন্দ্রনাথ তাহারই উল্লেখ করিয়া ইংরাজকে যেন সময় থাকিতেই সতর্ক করিয়। দিতে চাহিলেন। তিনি বলিলেন, “যাহা হউক, এইরূপ সংগঠন এবং সংঘর্ষে প্রজাদের আস্তরিক সম্তাপ যে ক্রিরূপ বাড়িয়া! উঠিতেছে তাহা পরিমাণ করিবার উপায় নাই। যে-সকল ইংরেজ কথায় কথায় ঘুষ! লাথি চড়, এবং শুয়র নিগর সম্ভাষণ প্রয়োগ করিতে সর্বদা প্রস্তুত ঠাহারা গ্রত্যহই ভারতবর্ষে কি প্রকার বিপৎপাতের ভিত্তি রচনা করিতেছেন তাহ! ১১৫ তাহার! জানেন না, এবং যে ইংরেজসমাজ এইকপ রূঢতা ও অবজ্ঞাপরতার বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার নৈতিক বাধা প্রদান করেন না তাহারা যে শাখায় বসিয়া আছেন সেই শাখা ছেদনে প্রবৃত্ত । “আমাদের প্রতি সাধারণ ইংরেজের এইপ্রকার ভাবই প্রজ্গাবিদ্রোহের ভাব। তাহারা আচারে ব্যবহারে ভাষায় ভঙ্গিতে সর্বদাই আমাদের মর্মস্থানকে ক্ষুব্ধ করিতেছেন। এমনকি, তাহাদের মধ্যে এমন মুঢ়চেতারও অভাব নাই যাহারা অসহা অবজ্ঞার আঘাতে গ্রজ়াহদযে অপমানক্ষত সর্বদা জাগাইয়৷ রাখাই রাজনৈতিক হিসাবে কর্তব্য জ্ঞান করেন। তাহারা পথে চলিতে চাবুক তুলিষ! সেলাম শিখাইতে শিখাইতে অগ্রসর হন। “ইহাকেই বলে প্রজাবিদ্রোহ এবং নিষত এই বিদ্রোহেই প্রজার হইয়া প্রজাপতির কালাগ্ি উত্তরোত্তর প্রজলিত হইতে থাকে । ইংরেজ কি সেই চিরজাগ্রত প্রজাপালকের বিশ্বনিযমেব প্রতিও প্রতৃত্বমদোদ্ধত ভ্রকুটি নিক্ষেপ করিবেন । প্রজাদের সংবাদপত্র সভা-সমিতি এবং বাগ্মীবর্গ আছে, রক্রমৃত্তি রাজ! মুহূর্তের মধ্যে তাহাদের বাগ্রোধ করিষ! দিতে পাবেন, কিন্তু প্রজাপতির সভা৷ নিঃশব্দ নীবব এবং তাহার বিচার স্থচির কিন্তু স্থুনিশ্চিত ।৮ [ প্রসঙ্গ-কথা-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৫০-৫৪ ] লক্ষ্য করিবার বিষষ, রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে 'প্রজাবিদ্রোহে'র একটি নৃতন সংঙ্ঞ। প্রযোগ করিতেছেন। প্রজাবিদ্রোহ-_সরকারের বিরুদ্ধে প্রজাদের বিদ্রোহ নহে, প্রজাসাধারণের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষীঘদের অত্যাচার নির্যাতনকেই তিনি প্রজাবিদ্বোহ নামে অভিহিত করিতেছেন । যদিও ইংরাজ সরকারের এই প্রজা- বিদ্রোহের বিরুদ্ধে তিনি কোনো প্রতিরোধ-সংগ্রামের কথা বলিতেছেন না। তখন সিডিশন আইন বলবৎ হৃইয়াছে। বোধহয, এই সিডিশন এডাইবার জন্যই ইংরাজ সরকারকে তিনি “চিরজাগ্রত প্রজাপালক' ও সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারালয়ের কথা ন্মরণ করাইয়া! দিতেছেন । সব চাইতে বডো৷ কথা, দেশবাসীব উপর আ্যাংলো-ইত্ডিয়ান সম্প্রদায়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি অবিরাম প্রতিবাদ ও লেখনী ধারণ করিয়া আপিতেছেন। প্রসঙ্গত্রমে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃবর্গের লঙ্জাকর ইংরাজ-গ্রশস্তির একটি নমুনা দিতেছি। ১৮৯৭ সালে শঙ্করণ নায়ার যে কংগ্রেস-মঞ্চ হইতে নাট্র- ভ্রাতৃদ্বয় ও তিলকের প্রতি অন্তায় বিচারের সমালোচনা করিলেন, সেই মঞ্চ হইতেই আবার তিনি বলিলেন, ৪,০76 10856 ভ10068860 8120 6 17856 21561) 081 19 006 ০০16- ১১৬ 5:80601) 01 03৩ 1018070180 0091166 0৫ 006 1518) 0£ ০001: [:0019:658. ৩ 161০/০০ 100 ০0 £০110-30916068 ০06 0015 5886 [77016 10 0০ 0:০91১6115 0? 0080 15180....৬6 01688 [75 00816801601 1967: 170658980 11) 1858 01 96806 2120 £7660.010. 19612 0106 0০08860 115585060 16 আ10) ৪ 02001181 9180016081506,.,1715100815006 ০0: 12180 1761 108106 15 52106180607 1) 81000956561 18150856006 900 0৫ 1061 1166 085 10661) ভা10001 2150 52186, 8100 11 56518 00 ০০206 1961 102176 ভ111 1181)015 1150 ও 01806 117 056 10610015 ০£ 0 065061)081505 ৪101)6 161) 07036 £:626 7961:901)8 17036 ৬116863 1185০ 01860 01১61 17) 096 12215 ০06 586815 ০০8 1000 0015 ড/0110 101 10196 02666 06 019 00৫: 17015 18170.৮ [০9138:653 [01651061709] £১07:55563 : ৬০]... 0. 318-19] ৮শুধু তাহাই নহে, পুনার ই-সব ঘটন| এনং সিডিশন বিলের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ- প্রমুখ সমালোচকদের তীব্র ইংরাজ সরকারবিরোধী কণঠস্বরকেও তাহারা নিন্দা করিলেন। সেই একই মঞ্চ হইতে শহ্করণ নায়ার বলিলেন, ৬৬৩ 46701650806 1009580 50017515 2125 21)661000618,065 121055856. 1) 00101012176 030৬ 210)106100 10628518165. ভ/০ 215 0020100 6০0 25901006 0008 80 01১16001010.9016 10628.5016 221150108৬6 1702610 006 6101)61 00 28190121502 01 0০ 61101 0£ 10066100618 ৬৬০ 10856 8150 0 12006170961 080 26561 211 ০০1: 581580101 1153 11) 70121081775 10006 0০ 076 10381010165 0£ 006 196201916 ০0: 708191)0 001: 162] ড151)65 2170 12611055 800 0096 006 7961501)5 আ1)0956 2:06101)5 816 ০11001960 216 010০1 ০0৮ 10100 2100 129 005৪6 005 ৪55661 01 (30৬6101017061)6 9০ 20080০10925 £181710 05 10618 601 ভ150100 00০ 62] 1850 15596০6 820 2502200, 4১05 ড1012102 0061:66072 ভ21] 9০ 05 17001061021) 16 10095 009510]15 0:656100 03 61012 5600011175 2, 1)68101008,,-27 [1010. 0. 337 ] আশ্চর্যের ব্যাপার__দেশে যখন পুনার ঘটনা ও সিডিশন বিল লইয়া ভয়ঙ্কর চাপা অসন্তোষ ধুমায়িত হইতেছে, তখন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে এসব মৌলিক অধিকার রক্ষার দাবিতে কোনো প্রবল আন্দোলন বা! “এযাজিটেশেন” করিতে দেখ গেল ন|। তাহাদের এই নীরব বা! মৃদ্ধ নমনীয় কণম্বরের মূল কারণ শস্করণ নায়ারের উক্তিতে পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে , ভয়--পাছে ইংরাজ চটিয়া যান। রবীন্দ্রনাথ কৌতুকের সহিত ইহ। লক্ষ্য করিতেছিলেন। তাই এ প্রবন্ধের শুনতেই কংগ্রেসের তৎকালীন নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করিয়! তীব্র শ্লেষ করিতে ছাড়িলেন না, “আযাজিটেশন্কারীগণও ভিতরে ভিতরে তাহার আভাস পাইয়াছেন, তাহাদের ১১৭ ব্যবহারে এন্সপ অনুমান করা যায়। কারণ, এবারে যে নিদারুণ আইনের দ্বারা নাটু-হরণব্যাপার ঘটিল সে সম্বন্ধে আমাদের দেশের বাগীসভাসমূহ অভূতপূর্ব বিজ্ঞতা-সহকারে সুদীর্ঘকাল নিন্তন্ধ ছিলেন । আমরা গোল করিতে বসিলেই পাছে গবর্মেন্টের মন আরও বিগড়াইয় যায় হয়তো এ আশঙ্কা তাহাদের ছিল।” [ প্রসঙ্গ-কথা-__রবীন্দ্-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৪৯ ] রবীন্দ্রনাথ পূর্বেই এমন একটা আঁচ বা আভাস পাইয়াছিলেন যে, কার্যকালে এই বাক্যবীরদের অনেককেই পাওয়া যাইবে না । তাই 'কঠরোধ' প্রবন্ধে তিনি ইহাদের লক্ষ্য করিয়া অত্যন্ত-বিনয়ের সহিত বলিয়াছিলেন, “আমি বিক্বোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নির্বোধও নহি । উদ্যত রাজদণ্ড- পাতের ছার! দলিত হুইয়া অকম্মাৎ অপঘাত মৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই ।:.'এমনস্থলে সর্বতোভাবে মৃক হইয়! থাকাই স্থুবুদ্ধির কাজ, এবং আমাদের এই ছূর্ভাগ্য দেশে অনেকেই কর্তব্যক্ষেত্র হইতে যথেষ্ট দূরে প্রচ্ছন্ন থাকিযা সেই নিরাপদ সদবুদ্ধি অবলক্বন করিবেন তাহারও ছুই-একটা লক্ষণ এখন হইতে দেখা যাইতেছে । আমাদের দেশের বিক্রমশালী বাগ্মী, ধাহারা! বিলাতি সিংহনাদে শ্বেতদ্বৈপায়নগণের চিতেও সহসা বিভ্রম উৎপাদন করিতে পারেন তাহাদের অনেকে বিবর আশ্রষ করিষা বাগরোধ অভ্যাস করিতে বসিবেন, দেশের এমন একটা ছুঃসময় আসন্ন। সে সময় দুর্ভাগ্য দেশের নির্বাক বেদন| নিবেদন করিতে রাজঘ্বারে অগ্রসর হইবে এমন দুঃসাহসিক দেশবন্ধু ছুর্লভ হইযা পড়িবে । যদিচ শাস্ত্রে আছে 'রাজছ্বারে শ্বশানে চ যস্তিষ্ঠতি স বান্ধব", তথাপি শ্রশান যখন রাজদ্বারের এত অত্যন্ত নিকটবর্তী হইযাঁছে তখন ভীত বন্ধুদিগকে কথঞ্চিৎ মার্জনা করিতে হইবে ।” [ কণ্ঠরোধ-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪২৪-২৫ ] কবি ও কল্সনাবিলাসী বলিয়া, ধনীর ঘরের আদরের দুলাল” বলিয়া রবীন্দ্রনাথের একটা অপবাদ শুন| যাইত। কিন্ত সত্যটি হইল যে, জাতির বহু ছুঃসময় ও দুধোগ- কালে দেশের বহু মহা-মহারণীরা যখন মৃষিকবিবরে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন, তখন এই কল্পনাবিলাসী আকাশচারী কবি মানুষটি বহু বিপৎপাত আসন্ন জানিয়াও জাতির সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়াছেন । উনিশ শতকের শেষভাগে দৈশের ধর্মসংস্কারক ও রাজনীতিবিদদের নিকট “ভারতবর্ষের জাতীয় এঁক্যে'র প্রশ্নটিই বডে। হইয়া দেখ! দেয়। এই সময় হইতে রবীন্দ্রনাথও জাতীয়তাবাদ, জাতিবিদ্বেষ ও ভারতবর্ষের জাতীয় এঁক্য গঠনের বিভিন্ সমস্ত! লইয়া চিন্তা করিতে শুরু করেন। ১৩*৫ সালে ভারতী পত্রিকায় (প্রসঙ্গ- কথা-_-ভারতী, ১৩০৫ শ্রাবণ )তিনি লিখিলেন, ১১৮ “ভারতবর্ষে হিন্দুগণ বিশেষ একটি জাতি বলিয়! গণ্য হইতে পারে কিন! তাহা! লইয়৷ কেহ কেহ তর্ক উত্থাপন করেন । সে তর্ক অসংগত নহে। “জগতে হিন্দুজাতি এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত । ইহাকে বিশেষ জাতি রূপে গণ্য করা যায় এবং যায়ওস্না। জাতীয়ত্বের সংকীর্ণতা ইহার মধ্যে আছে জাতীয়ত্বের বল ইহার মধ্যে নাই । ইহা এক অথচ অনেক, ইহা! বিপুল অথচ দুর্বল। ইহার বন্ধন যেমন কঠিন তেমনি শিথিল, ইহার সীম| যেমন দু তেমনি অনির্দিষ্ট । “ঘুরোপে জাতিগত উপাদানে রাজনৈতিক এঁক্যই সর্বপ্রধান। হিন্দুদের মধ্যে সেটা কোনোকালেই ছিল ন। বলিয়। থে হিন্দুর জাতিবদ্ধ নহে, সে কথ! ঠিক নহে।” ইহার পর তিনি ভারতবর্ষে আধ-অনার্ধের স্দীর্ঘকালব্যাপী সংঘর্ষ ও সংমিশ্রণের ফর্টল কিভাবে হিন্দুজাতি গড়িয়া উঠিয়াছে, তাহার বিবরণ দিয়া বলিলেন, “-**য্দিচ আমর! বনহুসংখ্যক আর্ধ-অনার্য এবং সংকর জাতি হিন্দুত্বনামক এক অপরূপ এঁক্য লাভ করিম্াছি, তথাপি আমব! বল পাই নাই। আমরা যেমন এক তেমনি বিচ্ছিন্ন । “এই ছূর্নসক্কার প্রধান কারণ, আমর। অভিভতভাবে এক, আমর! সচেষ্টভাবে এক নহি।--"” রখীন্দ্রনাথ বলিতেছেন, “এই বহু দেব-দুদবা, বিচিত্র পুরাণ এবং অন্ধলোকাচার- সংকুল আধুনিক বৃহৎ ধিকারের নাম হিন্দূত্ ।*"*কিন্ত এই বিকারের জন্য তত ক্ষোভ নাই বিচ্ছেদের জন্য যত । "- “এক্ষণে যিনি জচ়ীভূত হিন্দুজ্ঞাতির ঘধ্যে আচারে ব্যবহারে সমাজে ধর্মে আর্ধ- ভাবের একটি বিশুদ্ধ আদর্শ স্থাপন এবং রুত্রিম ক্ষুদ্র নিরর্থক বিচ্ছেদগুলি দূর করিয় সমগ্র লোকস্তুপের মধ্যে একটি সভীব এঁক্য সঞ্চার করিয়৷ দিবেন তিনিই ভারতবর্ষের বর্তমানকালের মহাপুরুষ | “পূর্বেই বলিয়াছি, রাষ্্রতম্্বাব একতা আমাদের ছিল না । এক্রকে আক্রমণ, শক্রর আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষ। এবং, এক »শসন্তন্ত্রের অধীনে পরস্পরের স্বার্থ ও শুভান্তভের একত্ব অনুভব আমর। কখনও দীর্ঘকাল করি নাই। আমর। চিরদিন খণ্ড থণ্ড দেশে খণ্ড খণ্ড সমাজে সংকীণ প্রাদেশিকতাদ্বারা বিভক্ত ।:..আমর৷ প্রাদেশিক, আমরা পল্ীবাসী ; বৃহৎ দেশ ও বৃহৎ সমাজের উপযোগী মতের উদারতা, প্রথার যুক্তি সংগতি এবং সাধারণ স্থার্থরক্ষার উদ্যোগপরত৷ আমাদের মধ্যে নাই ।... «এক্ষণে আমাদের প্রাদেশিক বিচ্ছেদগুলি ভাঙিয়া ফেলিবার সময় ১১৪ হইয়াছে ।"*"বর্তমান কালে হি'ছুয়ানির পুনরু্থানের যে-একটা হাওয়া, উঠিয়াছে তাহাতে সর্বপ্রথমে ওই অনৈক্যের ধুল৷ সেই প্রাদেশিক ও ক্ষণিক তুচ্ছতাগুলিই উড়িয়৷ আসিয়া আমাদিগকে আচ্ছন্ন করিয়াছে ।"." "অতএব একদিকে আমাদের দেশীয়তা, অপরদিকে আমাদের বন্ধনমুক্তি উভয়ই আমাদের পরিত্রাণের পক্ষে অত্যাবস্থাক ৷ সাহেবি অনুকরণ আমাদের পক্ষে নিক্ষল এবং হি দুয়ানির গৌড়ামি আমাদের পক্ষে মৃত্যু |” এখানে “জাতীয় এঁক্' বলিতে রবীন্দ্রনাথ যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়ের সম্মিলিত এঁক্যের কথা বলিতেছেন, তাহা! নহে। রবীন্দ্রনাথের এই জাতীয় এঁক, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার উধের্বনহে, পরস্ত তাহা হিন্দুধর্মের ধর্মগত এঁক্যের উপর প্রতিষ্টিত। ভারতবর্ষের মুসলমান, পার্শা, খ্রীষ্টান প্রভৃতি অন্যান্য সম্প্রদায়গুলিকেও এই এক্যবন্ধনে আবদ্ধ করিতে হইবে কিনা, এবং হইলে কিভাবে ও কিসের ভিত্তিতে এই এঁক্যগঠন সম্ভব হইবে--সেকথা রবীন্দ্রনাথ তখনও চিন্তা করিতে পারিতেছেন না । স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রতিষ্ঠিত “আর্ধসমাজ' আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলিলেন, “মহাত্মা! দয়ানন্দ স্বামী প্রতিষ্ঠিত আর্ধসমাজ ক্ষুদ্র হি'ছ্যানিকে আর্ধ-উদারতার দিকে প্রসারিত করিবার যে প্রয়াস পাইতেছেন এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাহা যেরূপ পরিব্যাপ্ত হইতেছে তাহাতে আমর! মহৎ আশার কারণ দেখিতেছি। “উক্ত সমাজের, অন্তত সমাজস্থাপয়িতা দয়ালন্দ স্বামীর প্রচারিত মতের প্রধান গুণ এই যে, তাহা দেশয়তাকেও লঙ্ঘন করে নাই, অথচ মনুম্যত্বকেও খর্ব করে নাই। তাহা ভাবে ভারতবর্ষীয়, অথচ মতে সার্বভৌঘিক 1" “এই সমাজের সমন্ত লক্ষণগুলি পর্যালোচনা! করিয়া আমর। আশা করিতেছি যে ইহা ভারতের আর একটি অভিনব সম্প্রদায়রূপে নৃতন বিচ্ছেদ আনয়ন ন৷ করিয়া সমস্ত সম্প্রদায়কে ক্রমশ এক করিতে পারিবে ।” রবীন্দ্রনাথ “হি'দুয়ানির গৌড়ামি'র বিরুদ্ধে কথ! বলিলেও সেই সময় তাহার ধর্মভাব তাহার দৃষ্টিকে এতথানি আচ্ছন্ন করিয়াছিল যে, “আর্ধসমাজে'র মত একটি সাম্প্রদায়িক ধর্ম-আন্দোলনের মধ্যেও তিনি মহৎ আশার লক্ষণ দেখিতে পাইলেন। অথব! ইহাও হইতে পারে, রবীন্দ্রনাথ সেই সময় আর্ধসমাজ সম্পর্কে বড়ো একটা খবর রাখিতেন না। আর্ধসমাজের “বৈদিক যুগে ফিরিয়া যাইবার আহ্বান' তাহাকে কিছুট। বিভ্রান্ত করিয়াছিল। তাহা! ছাড়া আর্ধসমাজ-প্রবতিত শিক্ষাবিস্তার আন্দোলন এবং হিন্মুমাজের নিরধাতিতদের সামাজিক মর্ধাদাদান প্রভৃতি আন্দোলনও তাহাকে কিছুটা আকুষ্ট করিয়াছিল, মনে হয়। ১২৩ ইহার পর রবীন্জরনাথ ইংরাজ জাতির ব্য জাতিবিদ্বেষ ও মিথ্যা জাতাহঙ্কার- বোধের তীব্র সমালোচনা করিয়া & প্রবন্ধেই বলিলেন, “ভিন্ন জাতির সহিত সংশ্রব ইংরেজের যেমন ঘটিয়াছে এমন আর কোনো মুরোপীয় জাতির ঘটে নাই। কিন্ত ইংরেজের পরজাতিবিদ্বেষ সমান স্থতীব্র রহিয়াছে। ইহা তাহাদের জাতীয়তার অততযুগ্ন বিকাশের পরিচয়স্থল 1... "আহারে বিহারে আচারে ও ভাবে ্বীপবাসী ইংরেজের সহিত মহাদেশবাসী মুরোপৌয়ের স্বপ্নই প্রভেদ, কিন্তু সেই প্রভেদগুলিও সাধারণ ইংরেজের মনে অবজ্ঞা এবং প্রতিকূল ভাব আনয়ন করে। তাহাদের জাতিসংস্কার এত দৃঢ় এত স্ৃকঠিন। “ইহার উপরে যখন পরজাতির সহিত স্বার্থের সংঘর্ষ জন্মিবার লেশমাত্র সম্ভাবনা ঘটে তখন ইংরেঙ্ের অসহিষ্ণত। সে অত্যন্ত বর্ধিত হইবে ইহ স্বাভাবিক 1” ইহার পর তিনি ভারতবর্য ও অন্যান্ত উপনিবেখগুলিতে ইংরাজ তির '্বণ্য জাতিবিদ্বেষ ও শোষণ-অত্যাচারের তীব্র সমালোচনা করিয়! বলিলেন, “ল্পধিন ইল ভতপূর্ব ভারত-স্টেট-সেক্রেটারি সার হেন্রি ফাউলার পার্লামেন্টে বলিয়াছিলেন, “ওআরেন হোট্টিংস এবং জর্ড ক্লাইভের কার্ধবিধি যদি পার্লামেণ্টের বিচারাধীন হইত তবে সম্ভবত ভারতসান্রাজ্য আমর! পাইতাম না।' তাহার এই বাক্যে পার্লামেন্টে খুব-একটা উৎসাহসচক করতালি পড়িয়াছিল। “একথাটার কি এই অর্থ যে, যেখানে স্বার্থ স্বজাতির এবং ছুখ পরজাতির সেখানে অত বিচার-আচার করিলে চলে না? পার্লামেন্টের মতো প্রকাস্ঠ বৃহৎ সভায় একথার উচ্ছ্বসিত অনুমোদন কি ধর্মনীতির মূলস্ত্রের প্রতি হুম্পষ্ অবজ্ঞা-প্রদর্শন নহে । “**্যে অবজ্ঞা ফাউলার সাহেবকে প্রকাশ্ত স্পর্ধা সহিত নিলক্ষ নীতিবিরুদ্ধ বাক্য বলাইয়াছে সেই স্পর্ধা এবং সেই অবজ্ঞাই ভারতবধীয় পাখাকুলিদের সম্বন্ধে কালম্বরূপ, সেই অবজ্ঞাই সমস্তিপুরে দরিদ্রদের বিবাহ উৎসবে হত্যাকাণ্ডের হাহাকার তুলিয়াছিল, সেই অবজ্ঞাই গোর|-বিভীষিকা- গ্রস্ত মারীপীড়িত দূর্ভাগাগণের অস্তিম অন্থনয় হইতেও কতৃপুরুষদিগকে বধির করিয়া রাখিয়াছিল।, ইংরাজের ও্পনিবেশিক বীভৎস রূপট্টর সম্পর্কে তিনি আরও বলিলেন, “ইংরেজের এই পরবিদ্বেষ, বিশেষত, নেটাল অস্ট্রেলিয়! প্রভৃতি উপনিবেশে ১২১ কিরূপ নখদস্তবিকাশ করিয়া উঠিয়াছে তাহা কাহারও অগোচর ' নাই। অথচ ইহাও দেখা যাইতেছে, ইংরেজ ভারতবর্ষীয় সৈন্তকে আফ্রিকার দুর্গম অরণ্যের মধো রক্তপাত করাইতে কুষ্টিত নহেন। তখন, এক রাজ্জীর প্রজা, এক সাম্রাজোর অধিবাসী, এমনসকল সৌভ্রাত্র্য-মধু-মাখা কথা শুনা যায়। ইংরেজ-মহারানীর অধিকার-বিস্তারে প্রাণপাত করিতে ভ'রতবাসীর কোনো বাধা নাই, কিন্তু সেই অধিকারে স্থানলাভ কর! তাহার পক্ষে নির্বাধ নহে। এইপ্রকার ব্যবস্থার মধ্যে যে-একট। ক্ষুদ্রতা৷ হীন্তা আছে তাহা ইংলগ্ড উপলবি করেন ন!-_তাহার সম্মুখভাগের মহত্ব লাঙ্গুলবিভাগের খর্বতার কোনো খবরই রাখে না। অথচ ওই খর্ব দিকটার লাঙ্গুল, আস্ফালন ব্যাপারে ন্যন নহে । দমন-শাসন- তাডন-তর্জনে সর্বদাই সে চঞ্চলিত। তাহার চক্ষু নাই বলিয়। চক্ষুলজ্জাও নাই। “চক্ষুলজ্ঞ! যে নাই ভারতবর্ষায় ইংরেজি খবরের কাগজে সর্বদাই তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। সমস্তিপুর-ব্যারাকপুবেব হত্যাব্যাপার ইংবেজি কাগজে কোনোপ্রকার আখা!' পাইল না, কিস্ক শালিমারের দুর্ঘটনা 'শালিমার ট্রেজেডি' নামে সমুচ্চত্ববে বারংবার ঘোষিত হইতে লাগিল 1... দেখিতে দেখিতে ইংরেজকর্তৃক কতকগুলি দেশীয় লোকের বীভৎস হত্যা পরে পরে সংঘাটত হইল-_ইংরেজ সম্পাদকগণ একেবারেই মৌন অবলম্বন করিলেন ।” [ প্রসঙ্গ-কথা-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৫৫-৬২ ] এই স্থ্দীর্থ লেখাটির প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ইংরাজের জাতিবিছেষ ও সাম্রাজাবাদী শোষণ-অত্যাচারের রিরুদ্ধে যে স্থতীব্র ঘ্বণা ও উদ্মা! গ্রকাশ পাইয়াছে, সমকালীন কোনো কবি, সাহিত্যিক বা রাজনীতিবিদের বক্তত। বা লেখায় তাহা দেখা ঘায় না। তখনও সিডিশন্‌ আইন বলবৎ রহিয়াছে । আইন বাচাইয়াও তিনি যে নির্ভীক সত্যনিষ্ঠা এবং স্বাজাত্যবোধ ও মানবতার পরিচয় দিয়াছেন, সে-যুগে তাহ অতীব দূর্লভ। এবং এই প্রসঙ্গে আরে! একটি উল্লেখযোগ্য কথ! এই যে, ভারতীষ সৈম্কে ইংরাজ-সাত্রাজ্য-বিস্তারের কাজে আফ্রিকায় ব| অন্তত্র ব্যবহার করা হইতেছে_ রবীন্দ্রনাথ তাহা তীক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ্য রাখিতেছেন। আফ্রিকার দেশগুলির প্রতি তাহার অকুগ সহানুভূতি ও দরদ তিনি পূর্বেই প্রকাশ করিয়াছেন। ভারতীয় “চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক*দের | ( 15061000160 18100137619 ) যে সেখানে, “এক সাম্রাজ্যের অধিবাসী” হিসাবে ইউরোপীয়দের ন্যায় সমদৃষ্টিতে দেখা হয় না» তাহাও তিনি লক্ষ্য করিতেছেন। স্মরণ থাকিতে পারে, গান্ধীজী তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের নিধাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য প্রত্তত হইতেছেন। কিন্ত তিনি তখন ব্রিটিশ ১২২ সাম্রাজ্যের উপর অসীম আস্থাশীল। ইংরাজের ওঁপনিবেশিক শোঁষণরূপ তিনি তখনও দেখিতে পান নাই। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইংরাজের সার্জজ্য-প্রসারী আক্রমণগুলির বিরুদ্ধে গান্ধীজী তখনও কোনো কথ! বলিতেছেন ন|। এই সময় “কলিকাত। মিউনিসিপ্যাল বিল+ লইয়৷ বাংলাদেশে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। “লোকাল গভর্নমেন্ট আযাক্ট' অনুযায়ী কলিকাতা-কর্পোরেশন এতদিন মোটামুটি ভালোভাবেই কাজ চালাইয়! আসিতেছিল। কিন্তু কর্পোরেশনের মধ্যে ক্রমাগতই কংগ্রেসপন্থী স্বাধীনচেতা বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর অনুপ্রবেশ ঘটিতে থাকে । তাহার ফলে এদেশীয় আযাংলো-ইগ্ডিয়ান সমাজ প্রমাদ গণিলেন। বাংলার লেফটেনাণ্ট গভর্নর স্যর আলেকজাগ্ডার মেকেঞ্ধি অকন্মাৎ কর্পোরেশনের এদেশীয় সভ্যদের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করিলেন। তিনিই কর্পোরেশনের স্থানীয় স্বায়ত্রশাসনের অধিকারগুলিকে খর্ব করিয়৷ উহাকে সরকারের তাবেদারিতে আনিবার জন্য 'কলিকাত৷ মিউনিসিপ্যাল বিল' উপস্থাপিত করিলেন । অবশ্য এপ্রিল মাসেই (১৮৯৮) তাহাকে অবসর গ্রহণ করিতে হয়। তীহার স্থলে আসিলেন স্যর জন উড্বার্ন। স্বায়তশাসন-অধিকারের উপর সরকারী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কংগ্রেস হইতে আযাজিটেশন-আন্দোলন শুরু হইল । ১৮৯৯ খ্রীষ্টাবে মাদ্রাজ-কংগ্রেসে সভাপতি আনন্দমোহন বস্থ এই বিলের প্রতিবাদে বলিলেন, “০.1 006 00551019015 0£ [15019 35 06791120০01 01১2 0০৫1 ০0: [1,008] ৯০16-050%611810061)0 ড1)101) 16 1785 21019560 5০ 1978 101) 58001) 22791060 5150655, 2. 701০০606076 ভ]] 102৮০ 0620. ০162- 06১ ৪00 2 010 111 1)96 0220. 50000 80 ৫ 28056 0 10101 1550 811 190976$ ০0৫6 11701915 1700015 0:095555...10 15 1909/ [:০- 2০9560 60 0091:6 ৪ 1201081 2180 7০৬০01010101581 ০1)41756 0 0106 12 আ, 60 06016 0706 (00100191001 0£ 21000956 €€]চ 168] 2১০61: 2190 10 ৮650 16 21 2. (51091070817) 1150 19 22 0:82019] ৪250 ৪. 00001186606 006 3০৬61000618) 2100 ৪. (5010010710006 11) ড/118010 00০ 29061085615 9111 ০০ 15015520060 ০5৮ ৪ 10061 00170 0:£ 105 10061096215. ... ৬৬ 8510 601 180 1731305. ৬৬০ 251 101 100 666185101) ০06 0০810500093 11017151090] 1181005, 306 6০ 100091016 0080 006 21610055 ০115801009- ০71960 2100 ৪৪.66081060 25 0106 216১ 13101) 1১8৮০ 50 1017 0261 61210566১ 1095 10000 ০৪ 02022 ৪2... [001061555 1১:6510610619] 4১00165565 : ০1, 1. 7. 352-59] রবীন্দ্রনাথ দেশের এইসব নিয়মতান্ত্রিক শাসন-সংস্কারগুলির সম্পর্কে একেবারেই উদাসীন ছিলেন, এমন কথা বলা যায় না। বিশেষ করিয়া ভূতপুব গভনর মেকেন্জি- ১২৩ সাহেব যখন বিলাতে বাঙালি কমিশনারদের প্রতি বিষোদগার করিয়া বক্তৃতা করিতে লাগিলেন, তখন রবীন্দ্রনাথের পক্ষে চুপ করিয়া থাক! সম্ভব হইল না। ভারতী পত্রিকায় 'প্রসঙ্গ-কথা'য় (ভারতী, ১৩০৫ আশ্বিন) তিনি ইহার জবাবে লিখিলেন, “আমাদের ভূতপূর্ব শাসনকর্তা ম্যাকেঞ্জি-সাহেব তাহাদের স্বদেশের শীতল বাস্ুতে ফিরিয়া গিয়াছেন। কিন্ত ভারতবর্ষের গরম এখনও তাহাকে ছাড়ে নাই। ইতিমধ্যে এক ভোজ উপলক্ষে বন্তৃত| করিয়াছেন, তাহাতে কলিকাত! মুনিসি- প্যালিটির বাঙালি কমিশনারদের প্রতি অতান্ত অবজ্ঞা প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাদিগকে গণ্যব্যক্তির মধ্যে আমল দেন নাই। “***ম্যাকেঞ্ি-সাহেব তাহার ভোজাবসানের বস্তৃতীয় বলিয়াছেন, কলিকাতার কর্তৃত্বভার অসাবধানে আমাদের হাত হইতে অনেকটা খসিয়া পড়িয়াছে। হায়। এইটুকুর প্রতিও লোভ !-." “*-ম্যুনিসিপ্যালধিল পাস করা যদি কর্তৃপক্ষের অভিপ্রেত হয় ত.ব ভতপৃ্ বঙ্গাধিপ এ সম্বন্ধে যতই চুপ করিয়া থাকেন ততই ভালে।। তিনি বিলাতে বসিষ! খানার পরে অসংযত বক্তৃত৷ করিয়া উপদ্রব বাড়াইয়! তুপিতেছেন। “গবর্ষেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের আত্মবিস্বৃতি ও ধৈষচ্যুতি আমরা বর্তমান- কালের একটা কুলক্ষণ বলিয়া গণ্য করি।:* সেই রকমের যেন একটা লক্ষণ দেখা যাইতেছে । অবশ্ঠ স্বজাতিপ্রেম সকল সমযেই স্বাভাবিক, কিন্তু আজকাল যেন ভারতবর্ষের সরকারি ও, বে-সরকারি ইংরেজ ক্রমশই ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হইতেছে । ভারতবর্ধায় ইংরেজি খবরের কাগজের নাড়ীতেও যখন বেগ প্রকাশ পায় তখন গবর্ষেপ্টেরও চক্ষু লাল এবং গাত্র উত্তপ্ত দেখিতে পাই । ইংরেজি খবরের কাগজে বাঙালিদের প্রতি ষে স্থৃতীত্র অলহিষুতা দেখ! যায় গবর্ষেণ্টের আচরণেও নান। আকারে তাহ! প্রকাশ হইয়! পড়ে । “অন্তত ম্যাকেঞ্জি-সাহেব সে ভাঝটি চাপিয়৷ রাখেন নাই। তিনি যদিচ বঙ্গদেশের শাসনকর্তা ছিলেন, ইংরেজি খবরের কাগজের সম্পাদক ছিলেন না, তথাপি. ইংরেজ প্রাপ্টার প্রভৃতিকেও স্থমিষ্ট স্সেহে অভিষিক্ত করিয়া গিয়াছেন। অথচ যে 'নিরন্ন জাতি আজ পর্যন্ত তাহার মুখের অন্নজল জোগাইতেছে তাহাদের ভদ্রমগ্ডলী সম্বন্ধে তাহার মুখে একটি মিষ্টিবাক্য জুটিল না! “কিন্ত আমর প্রার্থনা করি, নির্বাপিত আগ্নেয়গিরির ন্যায় এক্ষণে তিনি বিশ্রাম- লাভ করুন; এখনও অন্তর্জালার উত্তেজনায় তাহাকে যেন বাঙালিবিদ্বেষ উদগীর্ণ করিতে না হয়।” [প্রসঙ্গ কথা-_রবীন্্-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৬২-৬৬ ] ১২৪ এ দেশের ইংরাজ সম্প্রদায় সম্পর্কে পরের মাসে ভারতী পত্রিকার 'প্রসঙ্গ-কথাস্ ( ভারতী, ১৩০৫ কাতিক ) তিনি লিখিলেন, “রাজকর্মচারীগণ ব্যতীত অধিকাংশ ভারতবর্ষা় ইংরেজই বাণিজ্যছীবী। তুচ্ছতম উৎপাত উপলক্ষেই তাহারা গুরুতর আশঙ্কায় ত্রস্ত হুইয়া উঠিবেন ইহা স্বাভাবিক । কারণ ভারতশাসন কার্কে নিজেদের স্বার্থসাধন-হিসাব ছাড়৷ আর কোনে হিসাবে দেখিতে তাহার! বাধ্য নহেন। তাঁহাদের মুখ হইতে এমন কথা প্রায়ই শুনা যায় যে, এ ভারতবর্ষটা টুপিওআলারই ভারতবর্ষ । পাগড়িওআল| ও খালিমাথাগুলো কেবলমাত্র তাহাদের চা-বাগানের কুলি, নীলক্ষেত্রের চাষি, পাট- জোগানের পাইকর, এবং লাংকাশিয়রের খরিদদার | “**ইংরেজ বণিকগণ ভারতবর্ষকে যেখান হইতে নিরীক্ষণ করেন সে জায়গাটা যতই উচ্চ হউক তাহার ভিত্তি সংকীর্ণ, তাহ। ব্যক্তিগত বা সম্প্রদায়গত লাভক্ষতির উপর দাড়াইয়। ; একটু নাড়। খাইলেই তাহা ছুলিয়া উঠে ।-."* ইহাদের অমূলক ভীতির কারণগুলির পরিণাম শেষ পযন্ত এদেশয়দের পক্ষে যে কী মর্মান্তিক হইয়া উঠে, তাহার উদাহরণ দিতে গিয়া তিনি সাওতাল-বিজোহ সম্পর্কে হাণ্টার সাহেবেব মস্তব্যগুপি উদ্ধুত করিয়। দিলেন | এই শ্রেণীর ইংরাজের সহিত ইংরাজ রাজপুরুষশ্রেণী কিভাবে মিশিষা! একাকার হ্ইয়। যাইতেছে, রবীন্দ্রনাথ তাহা লক্ষ্য কিতেছেন। এ প্রবন্ধে তিনি বলিলেন, “আসল কথা, ভারতবর্ধায় ইংরেজসম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিকতার ঘনিষ্ঠতা উত্তরোত্তর বাড়িয়া চলিয়াছে।*-*এরূপ কুটুম্বিতা যখন স্বাভাবিক তখন উহার বিরুদ্ধে কোনো কথ! বলিবার জে! নাই । আমর! কেবল সরকারি ও বেসরকা'র উংরেজ কেমন করিয়া একাকার হইয়৷ আসতেছে তাহার কারণ নির্ণয় করিতেছি মাত্র। “এখন যেকোনো বিধান বা রাজনীতি ভারতবধীয় ইংরেজ-সাধারণের অপ্রিষ্ব তাহাতে হাত দিতে গেলেই সামাজিক চক্ষুলজ্জাটা অতান্ত অধিক হইয়া উঠে। টেনিস্‌-কোট নৃত্যশাল! শিকার-পার্টি রঙ্গমঞ্চ সংগীত সভায় ন্বসন্প্রদায়ের মতামতকে সর্বদা ঠেলিয়! চলা অসামান্য বলশালী লোকের কর্ম।**" “...আজকাল শাসনকর্তাদের পক্ষে শক্ত হইয়াছে ইংরেজ-সমাজের দ্বারা চালিত না হওয়! ; তাহাই তাহাদের পক্ষে দুবলতা। পাছে এমন কথা উঠে যে কন্গ্রেসের দলবদ্ধ কাতরতায় ভূলিল সেই মনে করিয়া কোনে উদ্ারনীতি-প্রবর্ত দ্বিধা] বোধ করা, ইহাই দূর্বলতা; ইংরেজ পত্রসম্পাদকের সহিত রাজসিংহাসন ভাগাভাগি করিয়া লওয়া, ইহাই দুর্বলত।। এখনকার ভারত শাসন-ব্যাপার ১২৫ ভারতবর্ষীয় ইংরেজের সামাজিকতাজালে আপদমত্তক জড়িত এবং সেইজন্যাই দুর্বল ।-*” [ প্রসঙ্গ-কথা- _রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৬৭-৭১ ] এদেশীয় ইংরাজ বুরোক্রাসি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের এই বিশ্লেষণ অবশ্ঠ খুব নিতূলি নহে । ইংরাজ বুযুরোক্রাসির সহিত ইংরাজ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী শ্রেণীর ঘনিষ্ঠতার আরও গুড় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ আছে, একথা আজ প্রায় সকলেই জানেন। তবুও মোটামুটি ভাবে রবীন্দ্রনাথ উহাদের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও একাত্মতা লক্ষ্য করিতেছিলেন। কংগ্রেসের একঘেয়ে আবেদন-নিবেদনের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ ক্রমশই বিরক্ত ও অতিষ্ঠ বোধ করিতেছিলেন। এমন সময় বরিশালের অশ্বিনীকুমার দত্তের নিকট হইতে কংগ্রেস সম্পর্কে একটি সমালোচনা পত্র পাইলেন। ভারতী পত্রিকায় এ সমালোচন৷ পত্রের উল্লেখ করিয়! কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কর্মসূচী সম্পর্কে তিনি কয়েকটি নৃতন প্রস্তাব রাখিলেন, যাহ! খুবই তাৎপর্যপূর্ণ (ভারতী, ১৩০৫ অগ্রহায়ণ )! তিনি বলিলেন, “সমালোচ্য পত্রথানির এক জায়গায় আভাস আছে যে, নৃতনত্বের হাস হওয়াতে আমাদের উৎসাহ ক্রমে ম্লান হইয়া আসিতেছে । কিন্তু যেমন বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারের সঙ্গে জগতের রহস্ত অধিকতর প্রসারিত হইয়া যায় তেমনি কাজ যত সম্পন্ন হয় উদ্যমের নৃতনত্ব ততই বাড়িতে থাকে । কিন্ত যেখানে কাজ নাই, কেবলই আয়োজন, সেখানে উৎসাহের নবীনত। কৃত্রিম উপায়ে রক্ষা করা অসাধ্য । তিক্ষাচর্যা যতই নৈপুপ্যসহকারে নব নব কৌশলে নিষ্পন্ন হউক, তাহাকে কাজ বলিয়! গণ্য করিতে পারি না। “প্রতি “বৎসর সমস্ত ভারতবর্ষ একত্র হইয়া অন্তত একটা-কিছু কাজ আমরা নিজের! যদি করিতে পারি, তবে সেই ক্তকার্ধতার উৎসাহে পরবৎসরের কন্গ্রেস আপনি সজীব হইয়া উঠিবে। 'দৃষ্টাস্তত্বরূপ একট! কাজের উল্লেখ করিতে পারি। বোশ্বাইয়ের পারি মহাত্মা শ্রীযুক্ত টাটা ভারতবর্ষে যে বিজ্ঞানপরীক্ষাশালার জন্ত প্রচুর অর্থদান করিয়াছেন তাহার সহিত সমস্ত ভারতের যোগসাধন করা কেবল কন্গ্রেসের ন্যায় কোনো বিশ্বভারত-সশ্মিলনী-সভার দ্বারাই সাধা। “উক্ত পরীক্ষাশাল! কেবলমাত্র শ্রীবুক্ত টাটার অর্থসাহায্যদ্বারা সম্পূর্ণতা লাভ করিতে পারে না। ভারতের ভিন্ন ভিন্ন গ্রদেশের গ্রতিনিধিগণ স্ব স্ব গ্রদেশ হইতে চাদা সংগ্রহ করিয়! যদি টাটা-সাছেবের এই প্রস্তাবটিকে প্রতিষ্ঠা দান করিতে পারেন তবে কন্গ্রেসের জন্ম সার্থক হয়। ১২৬ “এইরূপ শিল্প বাণিজ্য বিদ্যাশিক্ষ। গ্রভৃতি সর্ব বিষয়েই আমাদের স্থগভীর দৈন্য আমাদের দেশের লোকের মুখ তাকাইয়৷ আছে। সমস্ত ভারতবর্ষ একত্র হইয়া তিনটে দিনের একট! দিনও সেকথার কোনো! উল্লেখ হয় না, এমন মহৎ স্থযোগ কেবল প্রতিকূল রাজশক্তির রুদ্ধ লৌহদ্বারের উপর মাথা কুটিয়াই ফাটিয়া যায়__ ইহাতে আমাদের আশ! ও উৎসাহের কারণ কী আছে জানি না।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, ইহার ছুই বৎসর পূর্বে-পুনার এ হাঙ্গামার পর হইতেই ভারতীয় “নেটিভ'দের 'রুরকী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে' পাঠ করিবার অধিকার হরণ করিয়। লওয়৷ হয়। তাহার পর হইতেই কংগ্রেস ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হইতে এই বিষয় লইয়া সরকারের নিকট বহু স্মারকলিপি, বু আবেদন-নিবেদন ক্র! হয়। কিন্তু তাহাতেও ইংরাজ সরকারের মন গলে নাই। ববীন্দ্রনাথ স্পষ্টতই ইহার বিরোধী ছিলেন। এ প্রবন্ধে তিনি আরও বলিলেন, , “ফ্রান্স জর্মানি ইটালি প্রভৃতি যুরোগীয় দেশসকল স্বরাজ্যের বাণিজ্য-উন্নতি সাধনের জন্য যেসকল শিল্প-বিদ্যালয় বাণিজ্য-বিষ্যালয় প্রভৃতি স্থাপন করিতেছেন তাহা যদি সে সকল দেশের পক্ষেও অত্যাবশ্যক হয় তবে আমাদের দেশে তাহার যে কিরূপ প্রয়োজন, বলিয়া শেষ করা যায় না। আমাদের এ অভাব কে পুরণ করিবে । রাজা যদ্দি নাই করে তবে কি বসিয়া থাকিব এবং আবেদন করিব । “আমাদের রাজা “বিদ্শী; তাহারা যে রাজকর সংগ্রহ করেন তাহ মাহিনাপত্র পেন্ধন্‌ কম্পেন্সেশন, যুদ্ধবিগ্রহ, শৈলবিহার প্রভৃতিতে অনেকট! শুষিয়া যায় সেসমস্ত বিস্তর বাজেশ্খরচ খাটো! করিয়া দেশের ধন দেশের স্থায়ী হিতসাধনে বায় করিবার জন্য কন্গ্রেস বু বৎসর চীৎকার করিলেও রাজার কিরূপ মঞ্জি হইবে তাহা! কেহই বলিতে পারে না। সেই অনিশ্চিত আশ্বাসে স্বদীর্ঘ কাল বক্তৃতাদি না করিয়া আমরা যদ্দি সমস্ত ভারতের সমবেত চেষ্টায় একটা উপযুক্ত শিল্পবিষ্যালয় স্থাপন করিতে পারি তবে তাহাতেই কন্গ্রেসের গৌরব বাড়িবে। ..“আমাদের রাজ। যাহা পারে না বা করে না, কন্গ্রেস তাহাই নিজের সাধ্যমতে| করিবে, ইহাই তাহার ব্রত হউক । বিদেশী তো আমাদের অনেক করিয়াছে, এখন স্বদেশী কী করিতে পারে তাহাই দেখাইবার সময় আসিয়াছে--বৎসর বৎসর এখন আর সেই অভ্যন্ত পুরাতন ভিক্ষার বুলি হৃতশ্বাস কণ্ঠে পরের ভাষায় পরের দ্বারে ঘোষণ! করিয়া লেশমাত্র সখ হয় ন| ৷” সেদিনে একথ। বলার যে কি অসীম তাৎপর্য, তাহা! বলিয়া! শেষ করা ঘাব না। ইহাকে রবীন্দ্রনাথের 'বুর্জোয়া৷ মনোবৃত্তি' বলিয়া অভিহিত করিয়া উহার তাৎপধকে লঘু করিয়া দেখিলে ঠিক হইবে না। আমাদের স্বাদেশিক প্রস্ততির সেই প্রথম ১২৭ যুগে রবীন্দ্রনাথ আধুনিক ভারতবর্ষ গড়িয়া তুলিবার কথা বলিতেছেন। আমাদের জাতীয় শিল্প (18007791 17098 ) তখনও ভালোভাবে গড়িয়া উঠে নাই । 'কলিকাত। বিজ্ঞান-কলেজ” “বস্থ বিজ্ঞান-মন্দির', বা “যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ' তখনও বহুদুরে। রুরকি কলেজেও তখন ভারতীয় ছাত্রদের প্রবেশ নিষেধ । এমন দিনে তিনি ফ্রান্স-জার্মানির যত আধুনিক “শিল্প-বিষ্যালয়” “বাণিজ্য-বিষ্ালয়' প্রভৃতি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিতেছেন,_এবং সেই সকল বিদ্যালয় কংগ্রেসের উদ্যোগে ও এদেশীয় শিল্পপতি ও ধনীদের অর্থে 'জাতীয় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান' হিসাবে গড়িয়া তুলিবার কথা বলিতেছেন । যদিও রবীন্দ্রনাথের এই প্রস্তাব তখন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মনে তেমন সাড়। জাগাইতে পারে নাই। প্রসঙ্গত্রমে আর একটি কথা বল! দরকার যে, “বিদেশী তে। আমাদের অনেক করিয়াছে' ইত্যাদি কথা শুনিয়া ধারণা! হইতে পারে যে রবীন্দ্রনাথ বুঝি ইংরাজ রাজত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ । কিন্ত আদৌ তাহা নহে । এ কথার পরক্ষণই তিনি এ-প্রবন্ধে বলিতেছেন, “মহামারী ছুতিক্ষ গ্রভৃতিতে আমর! যখন অত্যন্ত উৎগীড়িত হইযাছিলাম সেই সময় হঠাৎ আমাদের গবর্মেন্টের যেরূপ চেহার! বাহির হইয়াছিল তাহাতে বুঝিয়্াছিলাম, আমরা তাহাদের আপনার নহি ।--*কিস্তু হঠাৎ যখন দেখিলাম তাহাও দ্বিধাবিদীর্ হইল, এবং তাহার মধ্যে ছুই নাটু-্রাত। কোথায তলাইয়া গেলেন, তখন রাজবিধানের প্রতি আমাদের যে-একটা! অটল শ্রদ্ধা ও নির্ভর এতর্দিন লালিত হইয়া উঠিতেছিল তাহার অপঘাত মৃত্যু হইল। সেই সময়ে ভারতবর্ষের আস্যো- পান্তে শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রের মনে একটা স্থগভীর রাজনৈতিক বৈরাগ্য জন্মিয়াছিল, মোহ ছুটিয়াছিল; বুঝিয়াছিলাম, নিজের চেষ্টায যতটুকু হয় তাহারই উপর যথার্থ স্থায়ী নির্ভর । “...কিন্ত সেদিনের কঠিন শিক্ষা আমবা এই অল্লকালের মধ্যেই যেন ভুলিতে বপিয়াছি।...সেই শিক্ষা কন্গ্রেস ও কন্ফারেন্সকে ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে এই ধিককত ভিক্ষাবৃত্তির অনন্ত লাঞ্ছনার পথ হইতে স্বচেষ্টায স্বকাষ সাধনের দিকে নি:সন্দেহে ফিরাইয়া আনিবে। তাহা যদি না আনিতে পারে তবে একদা এই কন্গ্রেসকে লজ্জা নৈরাশ্ত *ও অপমৃত্তার হাত হইতে কেহ রক্ষ! করিতে পারিবে না 1” [ প্রসঙ্গ-কথা-__রবীন্দ্-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড || পুঃ ৫৭৩-৭৫ ] ১২৮ ॥ হ্ৃংগ্রস ঘনাম জমিদার বিতণায় রবীজ্দ্রনাথ ॥ রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের দোষ-ক্রটির সমালোচনা করিলেও কংগ্রেসকে তিনি অন্তরের সহিত ভালোবাসিতেন। তিনি জানিতেন, কংগ্রেসই দেশের আশা- ভরসা । সেইজন্যই তিনি উহার সমালোচনা করিয়! উহার সংশোধনের চেষ্টা করিতেন। এবং সেই কারণেই কেহ কংগ্রেসের অন্তায় সমালোচনা করিলে তিনি কংচূঠুসের পক্ষ লইয়! উহার তীব্র সমালোচনা করিতেন। ইতিহাস-পাঠক মাত্রেই জানেন যে, এক শ্রেণীর জমিদার কংগ্রেসের শুরু হইতেই উহার বিরোধিত। করিয়। আসিতেছিলেন। আমাদের আলোচ্য পর্বে একদা রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায় কংগ্রেস-নেতা স্থরেন্্রনাথ বন্য্যোপাধ্যায়কে উপলক্ষ করিয়৷ কংগ্রেসকে কুৎসিত- ভাবে আক্রমণ করিলেন। এমন অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের পক্ষে চুপ করিয়া থাকা সম্ভব হইল না। ভারতী ( ১৩০৫ ভাদ্র ) “ুখুজ্ে বনাম বীডুজ্ে' প্রবন্ধে তিনি রাজ! প্যারীমোহনকে উপলক্ষ করিয়! বাংলার ব্রিটিশ-পদলেহী জমিদারশ্রেণীর ত্বণ্য দাস-মনোবৃত্তির তীব্র সমালোচনা করিলেন । তিনি বলিলেন, “রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি এক সম্প্রদায় জমিদারের মুখপাত্র হইয়া! কন্গ্রেসপক্ষীয়ের প্রতি অবজ্ঞাপ্রকাশপূর্বক আক্ষেপ করিয়াছেন যে, দেশের যাহার! "ন্যাচারাল লীডার' বা হ্বাভাবিক অধিনেত৷ ব! প্রকৃত মোড়ল, নানা অস্বাভাবিক কারণে ক্ষমত! তাহাদের হস্ত হইতে বিচ্যুত হইয়! পড়িতেছে। “**মুখুজ্জেমহাশয় মনে মনে বেশ জানেন যে, বীডুজ্জেমহাশয় কম লোক নহেন, কিন্তু সরকারের কাছে সে কথা বলিয়! স্থবিধা৷ নাই। তাহাদের বলিতে হয়, হুজুরের! যে কন্গ্রেসকে ছুচক্ষে দেখিতে পারেন না আমাদেরও ঠিক সেই দশা। প্ৃতরাষ্ট্র অন্ধ, গান্ধারী সেই আক্ষেপে নিজের চোখে কাপড় বাধিতেন, কারণ ভিনি সাধ্বী ছিলেন। গবর্মেন্ট যদি কাহারও প্রতি অন্ধ হন তবে মুধুজ্জে- মহাশয়ের কর্তব্য চোখে কাপড় বাধা, কারণ তাহার! খয়ের-খা!। “কেবল রাজভক্তি নহে, ইহার মধ্যে একটু পাকা চালও আছে। উপরওজালা রাজপুরুষেরা আজকাল যখন স্পষ্টত নৃতন জনসভাসকলের প্রতি বিদ্বেষ গ্রকাশ করিয়াছেন তধন একথা৷ বলিবার স্থযোগ হইয়াছে যে, সরকার যদি মুখুজ্জেমহাশয়- ১২৪৯ রবীজ্রনাথ ॥ ৯ দিগকে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াইয়া দেন তাহ! হইলে বাডুজ্জেমহাশয়র! আর এত বাড়াবাড়ি করিতে পারেন না। আমরা স্বভাবতই বড়ো লোক, তোমরাও আমাদিগকে বড়ে। করিয়া রাখো, কন্গ্রেস আপনি ছোট হুইয়া যাইবে ।** এই জমিদারশ্রেণীর চরিত্ররূপ সম্পর্কে তিনি বলিলেন, “.."আমাদের দেশে জমিদার জমিদারমাত্র | তিনি জুলুম করিয়া খাজন! আদায় করিতে পারেন কিন্তু সমাজে তাহার অধিক অধিকার নাই । তাহারই একজন দীন প্রজা! সমাজে হয়তো তাহা অপেক্ষা গ্রতাপশালী ।..আমাদের জমিদারবর্গ আপনাদিগকে ইংলগ্ডের সেই লর্ডশ্রেণীর সহিত তুলনীয় জান করেন, এবং তাহাদের ভাবভঙ্গি অন্ুকরণেরও চেষ্টা করিয়া থাকেন। তাহার! বলেন, আমরা জ্যারিসক্যাটদ্‌।-” .* আমাদের দেশে রাজা-রায়বাহাদুরদের দেখিয়াও লোকে অত্যন্ত অভিভূত হুইয়! পড়ে না। তাহার একটা কারণ এই যে, এই দকল পদবী বারা উপাধীধারিগণ সমাজে এক ইঞ্চি উপরে উঠিতে পারেন না... এই সব রাজা-রায়বাহাদুরদের ত্বণ্য সাহেব-তোষণ-নীতির সমালোচনা! করিতে গিয়। তিনি একটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিলেন, “সার আলফ্রেড ক্রফট্‌ হয়তো! ভালো লোক এবং বড়ো! লোক, কিন্তু বিষ্ঠাসাগর তাহা অপেক্ষা অনেক বেশি ভালে লোক এবং বড়ো লোক, এবং সকলের বেশি তিনি আমাদের স্বদেশী লোক । কিন্তু ক্রফট্-সাহেব ভারত ছাড়িয়া! ্বদেশে গিয়াছেন, সেই শোকে বিহ্বল হইয়া তাহার স্বৃতিচিহ্ননির্যাণে ধনিগণ উৎন্থৃক হইয়া! উঠিয়াছেন; আর বিষ্তাসাগর ইহ্‌সংসার ত্যাগ করিয়া গেলেন, দেশের : ধনশালীক্ঝ কোনৌপ্রকার চেষ্টা করিলেন না! ইহার! দেশের স্যাচারাল লীডর ! আমাদের স্বাভাবিক চালক! ইহার! কোন্দিকে আমাদিগকে চালন! করিবেন?” এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তব্য, “সেকালের ধনী জমিদারগণ নবাব-সরকারে প্রতিপত্তি ও পদবী-লাভের জন্য কিরূপ চেষ্টা করিতেন ও কোনো চেষ্ট! করিতেন কিনা, তাহা! আমর ভালোরূপ জানি না।"*কিস্ত তখনকার যাহা সাধারণ হিতকার্ধ--অর্থাৎ দিঘি খনন, মন্দির স্থাপন, বাধ নির্মাণ, এই-সকলকেই তাহারা যথার্থ কীতি বলিয়া! জান করিতেন, খেতাবলাঁভকে নহে 1” “অতএব দেখ! যাইতেছে, সেকালে বিশিষ্ট ব্যক্তির! সর্বসাধারণের সহিত যে হিতান্ষ্ঠানস্ত্রে বন্ধ ছিলেন, একালে তাহাও নাই ।.*ইহার! নিজ গৌরবেও উচ্চ নেন, সর্বসাধারণের সহিত এঁক্য দ্বারাও বৃহৎ বলিষ্ঠ নছেন। ইহারা বিলাতের ১৩9 লর্ডদের স্তায় ত্বত্ হেন, বিলাতের জননায়কদের স্তায়ও প্রবল নহেন। ইহার! বনম্পতির স্তায় বিচ্ছিন্ন বৃহৎ নহেন, ওধধির মতো ব্যাপ্ত বিস্ৃতও নছেন, ইহারা কুম্মাগুলতার ন্যায় একমাত্র গবর্ষেপ্টের আশ্রয়যটি বাহিয়া উন্নতির পথে চড়িতে চাহেন--তুলিয়া যান যে, সেই সংকীর্ণ রাজদণ্ডবাহী উচ্চত। অপেক্ষা গুলাসমাজের খর্বত৷ শ্রেয় এবং তৃণসমাজের নম্রতা! শোভন ।” উপসংহারে তিনি দেশের জমিদারদের লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “ব্তমান জমিদারগণ যদি সেকালের দৃষ্টান্ত অচুসারে, কেবল রাজার মুখ না চাহিয়া, খেতাবের লক্ষ্য ছাড়িঘ্া, জনহিতসাধন ও দেশের শিল্প-সাহিত্য রক্ষণ-পালনে সহায়তা করেন তবেই তাহাদের ক্ষমতার সার্থকতা হয় এবং গৌরব বাড়িয়া উঠে, [ রবীন্দ্র-রচনাবিলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৭৬-৮২ ] এই প্রবন্ধে যেমন তিনি কংগ্রেসের পক্ষ গ্রহণ করিয়! জমিদারশ্রেণীর তীব্র লমালোচন। করিলেন, পরমাসে ভারতীতে তেমনি তিনি কংগ্রেস-নেতৃত্বের সমালোচনা করিয়া “অপরপক্ষের কথা” প্রবন্ধে বলিলেন (১৩০৫ আশ্বিন ), “আমাদের দেশে যাহারা জননায়ক বলিয়! সর্বদা সভামঞ্চের উপর আরোহণ করেন তীাহাদেরও ভাঁবগতিক দেখিয়া আমাদের মনে আশ্বাস হয় না। বরঞ্চ আমাদের জমিদারদিগকে দেখিতে শুনিতে ঠিক আমাদের দেশের লোকের মতো, কিন্তু আমাদেন জননায়কদের অনেকেই যে দেশের মুরুব্বি বলিয়া আপনা- দিগকে প্রচার করেন সে দেশকে আচারে ব্যবহারে জীবনযাত্রায় অহরহ অপমানিত করেন।*"' প্জমিদারগণ দেশের জন্ত যাহা! করেন তাহা গবর্মেন্টের মুখ তাকাইয়া, ইহারা যাহা করেন তাহাও ইংরেজের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া । তাহার ভাষা ইংরেজি, তাহার প্রণালী ইংরেজি তাহার প্রচার ইংরেজিতে । ইংরেজ-ৃষ্টির প্রবল আকর্ষণ হইতে ইহার! আপনাদিগকে প্রাণ ধরিষা বিচ্ছিন্ন করিতে পারেন না ।* কংগ্রেসের ইংরাজ-মোহ ও ইংরাজ-অনুকরণ রবীন্দ্রনাথ আদৌ সহ করিতে পারেন নাই। ইহারা ভারতে বসিয়৷ ইংলগ্ের পার্লামেন্টের স্বপ্র দেখিতেন। দেশের মাটির সহিত, দেশের জনগণের সহিত ইহাদের কোনো সংযোগ বা পরিচয় ছিল না। দেশের ভাব-ভাষা, পোশীক-পরিজ্ছদের উপর ইহাদের অবজ্ঞায় রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত ব্যঘিত। তিনি বলিলেন, **.*আমরা দেশের হিত করির, কিন্তু দেশকে আমরা স্পর্শ করিব না! “দেশকে কেমন করিয়া স্পর্শ করিতে হয়। দেশের ভাষা বলিয়া, দেশের হজ্জ পরিয়!। ইংরেজের প্রবল আদর্শ হদি মাতার ভাষা এবং ভ্রাতার বস্ত্র হইতে ১৩১ আমাদিগকে দূরে বিচ্ছিন্ন করিয়া লইয়া যায় তবে জননায়কের পদ গ্রহণ ' করিতে যাওয়া নিতাস্তই অসংগত।* তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিয়া বলিলেন, “কিন্তু ভিন্নভাষী ভারতকে এক করিবার জন্য কন্গ্রেসের ভাষ৷ ইংরেজি হওয়া উচিত এমন তর্ক যাহার! এ স্থলে উত্থাপন করিবেন তীহা'র৷ আমার কথা সম্পূর্ণ বুঝিতে পারেন নাই। যেখানে ইংরেজি বল! দরকার সেখানে অবশ্য ইংরেজি বলিবে। কিস্তু তোমার ভাষাটা কী।"*'জনসভার বাহিরে দেশের সহিত তুমি কিরূপ সংশ্ব রাখিয়া চল।'*" “কংগ্রেস যেমন সমস্ত ভারতবর্ষের মিলন-সভা, কন্ফারেন্দ তেমনি সমস্ত বাংলার। সেই সমগ্র বাংলার মিলনক্ষেত্রে বাঙালির কী অভাব, বাঙালির কী কর্তব্য, সেও যদি আমরা ইংরেজি ভাষায় বলিবার প্রলোভন সংবরণ করিতে না পারি তবে তাহা হইতে কী প্রমাণ হয। এই প্রমাণ হয় যে, দেশকে যাহারা চালনা করিতে চাহেন তাহারা, হয দেশী ভাষা জানেন না, নয়, কর্তব্যের ক্ষতি করিয়াও ইংরেজি ভাষ। ব্যবহাব না৷ করিলে তীহাদের অভিমান চরিতার্থ হয় না। "অতএব ভালে! করিয়া দেখিলে দেখা যায়, জমিদারের চরিত্রে যে ঘুণ ঢুকিয়াছে আমাদের জননায়কদের চরিত্রেও সেই ঘৃণ। ইংরেজেব কৈশিকাকর্ষণ আমাদের ছুই পক্ষেরই মস্তকের উপরে ।”*** উপসংহারে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “ইংরেজের সহিত সমান অধিকার ভিক্ষা করিয়! লইবার জন্ত ইংরেজি ভাষা আব্শ্তক হইতে পারে, কিন্তু স্বদদেশকে উচ্চতর অধিকারের উপযোগী করিয়৷ তুলিবার জন্য দেশীয় ভাঘা, দেশীয় সাহিত্য, দেশীয় সমাজের মধ্যে থাকিয়া সমাজের উন্নতিসাধন একমাত্র উপায়। যাহারা স্বদেশ অপেক্ষা আপনাকে অনেক উধের্ব অধিষিত বলিয়! জানেন, যাহার স্বদেশের সহিত এক পঙ্ক্তিতে বসিতে লজ্জাবোধ করেন তাহারাও ঘ্বদেশকে অন্নগ্রহ করিয়া থাকেন, ্বীকার করি। কিন্তু সেটুকু না! করিয়া যদি তাহার! নিজের দেশকে নিজের উপযুক্ত জান করেন এবং নিজেকে স্বদেশের উপযুক্ত করিয়া তুলিতে চেষ্ট/ করেন, তবে তাহাতে তাহাদের আত্মসম্মান থাকে এবং দেশকেও সম্মান কর! হয়।” [ রবীজ্-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড ॥ পৃঃ €৮৩-৮৭ ] রবীন্দ্রনাথ প্ঘদেশী মন্ত্রে কাগ্রেসকে দীক্ষিত করিতে চাহিলেন। ১৯৫ সালের “্বদেদী যুগের? ইহাই পূর্থাভাস। বলা বাহুল্য, ঠিক এই ধরনের চিন্ত! ৯৩৭ সমকালীন ভারতবর্ষে অন্ত কাহাফেও করিতে দেখা যায় না। ববীন্দ্রনাথ একদিকে যেমন শ্বদেশী ক্র এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রবর্তনের কথ! চিন্তা করিতেছেন, অপরদিকে ইউরোপীয় সাহিত্য, জান-বিজ্ঞান এবং ইংরাজি ভাষার প্রতিও যধার্থ মর্ধাদা দিবার জন্য এ প্রবন্ধের শুরুতে বলিতেছেন, “জানম্পৃহা ও রসবোধ, বুদ্ধি এবং কল্পনা, সাহস ও বাহুবল, অধ্যবসায় ও আত্মসম্মানে যুরোগীয় জাতির যে এক মহোচ্চ আদর্শ ইংরেজি শিক্ষা আমাদের মনে জাজল্যমান করিয়া তুলিতেছে তাহার যদি কোনে! আকর্ষণ ন! থাকিবে তবে আমাদের শিক্ষাকে ধিক” বুঝা যায়, রবীন্দ্রনাথ একটি ভারসাম্য রক্ষা করিবার চেষ্টা ক'রতেছেন। তবে এইসব বিষয় লইয়৷ তখনও পর্বস্ত তিনি" খুব গভীরভাবে কিছু চিন্তা করিতে পারেন নাই। পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালের স্বদেশী আন্দোলনের যুগেই তিনি স্বদেশী কৃষ্টি ও জাতীয় শিক্ষার সমস্থা৷ লইয়া বিস্তারিত আলোচনা করিয়াছেন । পরের মাসের ভারতী পত্রিকায় (১৩০৫ কাত্তিক ) “আলভ্রী-কন্সার্ভেটিভ' নামে রবীন্দ্রনাথের একটি ব্যঙ্গ-প্রবন্ধ লক্ষ্য কর! যায়। পাইওনিয়র পত্রিকায় “আলা কন্সার্ভোটিভ' নামধাত্ী জনৈক জমিদার কংগ্রেসের বিরুদ্ছে৷ আক্রমণ করিয়া একটি পত্র লিখেন। এমন অবস্থায় রবীন্দ্রনাথকেই লেখনী ধারণ করিতে হয়। এবং আলঙ্রী- কন্সার্ভেটিভ প্রবন্ধটি উহারই জবাব। এ প্রবন্ধের এক জায়গায় রবীন্দ্রনাথ লিখিলেন, “আমাদের আলগ্রী-কন্সার্ভেটিভ যদিচ মহৌচ্চ জমিদার সম্প্রদায়তূক্ত তথাপি তাহার সংসারজ্ঞান যে একেবারেই নাই তাহা বলিতে পারি না। তাহার একটা কথায় অত্যন্ত চতুরতা প্রকাশ পাইয়াছে। তিনি বলিয়াছেন, কন্গ্রেস যে প্রচুর রাজভক্তি প্রকাশ করে, গোড়াতেই মহারানীর জয়কীর্ভন করিয়া কার্য আরম্ভ করে-_ ইহার অপেক্ষা! চালাকি তাহার পক্ষে আর কিছুই হইতে পারে না। “বাস্তবিক, চোরের কাছে চোর ধর! পড়ে । আমাদের দেশে একটা প্রবাদ আছে, “অতিভক্তি চোরের লক্ষণ' ৷ সেই অতিভক্তি কন্গ্রেসই প্রকাশ করুন আর আমাদের আলট্রা-কন্সার্ভেটিভ-সম্প্রদায়েরাই করুন ইহার প্রধান উদ্দেস্ত চুরি। ধাহারা ডাফরিন-ফণ্ডে টাকা দেন, ভূতপূর্ব সাহেব-কর্মচারীদের অভূতপূর্ব পাষাণ প্রতিমা প্রতিষ্ঠা দ্বারা দেশকে ভারাতুর করিয়া তোলেন, পাযোনিয়রকে গোপনে জিজ্ঞাসা করে! দেখি তাহাদের অতিভক্তির মূল্য কি সাহেবেরা বোঝে না। ইহার মধ্যে ফাকি দিয়া কিছু কি আদায়ের চেষ্টা নাই। আলগ্রাগণ ন! হয় নিজের জন্য উপাধি সন্ধান করেন, কন্গ্রেস ন! হয় দেশের জন্ত একটা-কিছু সুযোগের চেষ্টায় থাকেন। '” ১৩৩ জ্পষ্টউতই, রবীন্দ্রনাথ এখানে আপেক্ষিকভাবে কংগ্রেসকে বড়ো করিয়া তুলিয়। ধরিয়াছেন। রাজা-মহারাজারা হ্ষুত্র ব্যণ্তি-্ঘার্থে পদবী-লাভের ফিকিরে ঘুরিতেন। কংগ্রেসের দ্বার্থ--বিরাট দেশের দ্থার্থ। জমিদাররা যে নিছক সাহেবতোষণ করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন, তাহা! নহে। উপরস্ত, কংগ্রেস দেশ ও জাতির স্বার্থে যে সব দাবি লইয়! সংগ্রাম করিতেছিলেন, রাজা-মহারাজারা সেগুলি বিরোধিত! করিয়! ইংরাজের 'খয়ের-খাঁ-গিরি* করিয়াছিলেন। এ প্রবন্ধে তিনি এইসব রাজা-মহারাজাদের নির্লজ্জ-মোসাহ্বীগিরিকে তীব্র ব্যঙ্গ করিয়া লিখিলেন, “তবু অতিভক্তিতে তোমাদের কাছে কন্গ্রেসকে হার মানিতে হইবে। একবার ভাবিয়া দেখো, তুমি যে রাজভক্তির প্রচুর তৈল-লেপনে পায়োনিয়র পত্রটাকে সিক্ত করিয়া তৃলিয়াছ তাহার মধ্যে কত অভিসন্ধিই আছে। ওই-ষে মুখচচ্ছু সাহেবের মুখের উপর স্থাপন করিয়! অশ্রগদগদ কে বলিতেছ, সাহেব তোমারই জন্য দেশের লোকের কাছে গাল খাইলাম--(অতএব কিছু আশা রাখি 1) ঘর কৈন্থ বাহির বাহির কেম্ু ঘর, পর কৈনন আপন আপন কৈন্থ পর। (অতএব কিঞিৎ স্থুবিধা চাই ! ) নাথ, তুমি বল কন্গ্রেস মন্দ, আমিও বলি ভাই ;-( অতএব দেশের লোকের মাথার উপরে আমাকে চড়াই! দাও। ) বধু, তুমি ম্যুনিসিপযালিটি হইতে দিশি জঞ্জাল বিদায় করিয়া! বিলাতির আমদানি করিতে চাও সেই হচ্ছে 'জেনারেল সেট্টিমেন্ট অফ দি ক্লাস টু ছিবচ আই হাভ দি অনার টু বিলঙ্গ.।” ( অতএব তোমার পাদগীঠপার্থে আমাদিগকে স্থান দিষো! ) ভারতবর্ষের মস্ত্নাসভাই বল আর পৌরসভাই বল, সমস্ত আগাগোড়া! নৃতন নিয়মে পরিবর্তন করা আবশ্তক । (অর্থাৎ সকল সভাতেই তুমি বস সিংহাসন জুড়িয়া, আর আমি বসি তোর্মার কোলে । ) ইতি তোমার আদরের অতিভক্ত আলট্রা-কন্সার্ডোটভ ।* দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে এইসব রাজা-মহারাজ, রায়বাহাদুর- রায়সাহেবদের' (অল্প কয়েকজন বাদে ) কুখ্যাত দেশক্রোহিতার ভূমিকাটি ভূলিবার নয়। ইহাদের জঘন্ত মনোবৃতি রবীন্দ্রনাথকে এতখানি ক্ু্ধ ও উত্তেজিত করিয়াছিল যে তাহার মতে৷ শান্ত ও কঠোর-সংযমী কবির লেখনীও কী অসংযত হইয়া উঠিয়াছে, এ প্রবন্ধই তাঙ্থার সাক্ষ্য বহন করিতেছে। অথচ অত্যন্ত বিশ্বয়ের' কথ! এই যে, কংগ্রেস হইতে ইহার কোনো প্রতিবাদও হয় নাই; কংগ্রেস জমিদারী ব্যবস্থার অবসানও চাহে নাই। বরঞ্চ তৎকানীন কংগ্রেস নেতৃবুদ্দ কংগ্রেসের জন্ত এক ঝ্রেদীর রাজ-জমিদারদের আনুকূল্য ও পৃষ্ঠপোষকতা খুঁজিতেন। অবনত বাংলাদেশের স্বাধীনতাঁ-আন্দোলন ও শিক্ষা-আদ্দোলনে কয়েকটি জমিধার-পরিবারের বিশিষ্ট অবদান অনস্বীকার্য । কিস্ত বেশীর ভাগ ১৩৪ ক্ষেত্রেই জমিদারর! ছিলেন প্রবল অত্যাচারী ও উৎপীড়ক। স্বাধীনতা-আন্দোলনে দেশক্রোহিতা৷ করিয়া ইহারা ইংরাজের সাহায্য করিয়াছেন । প্রসঙ্গক্রমে লক্ষণীয়, যবীন্্নাথ নিজে জমিদার হইয়াও এইসব প্রতিক্রিয়াশীল জমিদারকে তীব্র আক্রমণ করিয়াছেন । কিন্ত রাজা-মহারাজ! ও জমিদার শ্রেণীর উপর রবীন্দ্রনাথের তখনও মোহ একেবারে যায় নাই। তাই অল্লকাল পরেই বাংলাদেশের কয়েকটি রাজপরিবারের (ফাহাদের সহিত কবির পূর্ব-ঘনিষ্ঠতা ছিল) মধ্যে তিনি দেশের অপূর্ব সম্ভাবনা দেখিতে পাইলেন, তাহাদের মাধ্যমেই তিনি প্রাচীন হিন্দু সভ্যতার পুনরুণানের স্বপ্ন দেখিলেন। যথাস্থানে আমর! এই আলোচনায় আসিব। ৬ রবীন্দ্রনাথ এই সময় যে কেবল রাজনৈতিক" ও শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধা- বলীই লিখিতেছিলেন, তাহা! নহে । এই সময়েই তিনি তাহার বিখ্যাত "গ্রাম্য সাহিত্য প্রবন্ধাট রচন। করেন। লোক-সংস্কৃতি, লোক-সাহিত্য সম্বন্ধে দেশকে সর্বপ্রথম রবীন্্রনাথই সচেতন করিয়াছেন । ইহার পনেরো বংসর পূর্বে ভারতী পত্রিকায় (১২৯* বৈশাখ) তিনিই সর্বপ্রথম গ্রাম্যগাথা ও প্রচলিত গীতসমূহ সংগ্রহ করিবার জন্য দেশবামীকে আহ্বান জানাইয়াছিলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ শুধু আহ্বান জানাইয়াই ক্ষান্ত ছিলেন না। ১৩০১ সালে সাহাজাদপুরে থাকাকালে তিনি গ্রামাঞ্চলের বনু গাথা সংগ্রহ করিয' “মেয়েলি ছড়া” নামে দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন ( ১৩৯১ আশ্বিন)। এ বংখসরই কয়েক মাস পরে 'সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকায় তিনি কলিকাতা অঞ্চলের ছড়াগুলি সংগ্রহ করিয়া প্রকাশ করেন (১৩০১ মাঘ)। আমাদের আলোচ্য পর্বে তিনি ভারতীতে লোক-সাহিত্য সম্বন্ধে সুদীর্ঘ আলোচনা করিলেন। লোক-সাহিত্য' গ্রন্থে এগুলি পরে সংকলিত হইয়াছে । “লোক-সাহিত্য' সম্বন্ধে আলোচনার ইহা! উপযুক্ত ক্ষেত্র নহে। তবুও একটি কথা এখানে বল! দরকার, জনগণের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা না থাকিলে, জনতার রসবোধ, শিল্পবোধ ও হ্ৃজনীশক্তির উপর অগাধ শ্রদ্ধা ও আস্থা না থাকিলে লোক-সাহিত্য সংকলনে উৎসাহ ও প্রচেষ্টা সম্ভব হয় না। ১৩৫ ॥ বর্যশেষ ॥ ইহার কিছুধিন পরই কবি লিখিলেন তাহার অন্যতম শ্রেঠ কবিতা 'বর্ষশেষ, (৩*শে চেত্র, ১৩০৫)। এই কবিতাটি লইয়৷ বছ আলোচনা--বহু তর্কবিতর্ক হইয়াছে। কেহ কেহ ইহাতে শেলীর 06 1০0 016 ড/6%: ড/20৫৮এর পরোক্ষ প্রভাব নক্ষ্য করিয়াছেন। কিন্তু কেহই তৎকালীন রাজনৈতিক পটভূমিকায় কবির বিক্ষুন্ধ মানসিক অবস্থাটির কথা চিন্তা করেন নাই। অথচ একটু ভালো! করিয়া লক্ষ্য করিলেই দেখা যায়, এই কবিতা রচনার পশ্চাতে অলক্ষিতে কবি-মনে রহিয়াছে পরাধীনত। ও দাসত্বের চাপে চ্যাপৃ্ট শাস্তশিষ্ট ভীরু জাতীয় চরিত্রে আলেখ্যটি। প্রাত্যহিক জীবনের তুচ্ছতাকে অতিক্রম করিয়া তখন মুক্ত ও বলিষ্ঠ প্রাণের আহ্বান কোথাও শুনা যাইতেছে না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সেই ঘবণ্য তোষণ-নীতি অবলম্বন করিয়! ইংরাজের দুয়ারে মাথা কুটিতেছেন। দেশের চারিদিকে ভীরু, ক্লীব, দাস-মনোবৃত্তি কবিকে অহরহ তীব্র পীড়ন করিতেছে। সাধনা ও ভারতীর রাজনৈতিক গ্রবন্ধগুলিতে এই ক্ষুন্ন, অশাস্ত কবি-মানুঘটি যে কী ছুঃসহ যন্ত্রণায় ছটফট করিয়াছেন, পূর্বেই তাহা আমর! দেখিয়াছি । মাঝে মাঝে তাহার নিজের মধ্যে সংগ্রামের বাসনা প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু বাধা তাহার ভিতরকার শাস্তশিষ্ট নিধিরোধ কবি ও সাংসারিক মানুষটি-_ যে মানুষটি আর দশজন বাঙালী ছা-পোষা মানুষের মত প্রাত্যহিক তুচ্ছতার মধ্যে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা । (ম্মরণ থাকিতে পারে কবি তখন শিলাইদহে স্ত্র-পুন্র-কন্যাসহ ঘোর সংসারী জীবন যাপন করিতেছেন। ওদিকে কুষ্টিয়ায় ঠাকুর-কোম্পানির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয় এবং এইসব লইয়া! কবিকেও চিন্ত। করিতে হয় )। কবি-জীবনের এই ছবন্ব-সংঘাত সম্পূর্ণ নৃতন নহে। “চিত্রা'র যুগে এবার ফিরাও মোরে, কবিতার মধ্যে এই হুন্ব-সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করিয়াছিল? পূর্বেই তাহা আলোচন| করিয়াছি । কি ব্যক্তি-জীবনে, কি জাতীয় জীবনে দণ্ডেদণ্ডে পলে-পলে জীবনের এই অবক্ষদ্- প্রতি মুহূর্তের এই মৃত্যু ও পরাজয়ের বিরুদ্ধে কবি যেন বিস্রোচু ঘোষণা! করিতেছেন। ১৩০৫ সালের ৩*শে চৈত্রের ভ্মঙ্কর কাল-বৈশাখীর ঝঁড়ে সহসা! কবি-মনের এই বিজ্রোহ মুক্তি পাইয়া ১৩৬ 'ষেন বদ্র-বিছ্াতের মত আকাশে-আকাঁশে গর্জন করিয়া ফিরিতেছে। অশান্ত বিক্ষৃৰ কবি আজ মহাগ্রাপের জয়গান গাহিয়! উঠিলেন, “বীণাতন্ত্রে হানে! হানো৷ খরতর ঝংকারবঞ্ধনা, তোলে উচ্চস্থর | হৃদয় নির্দয় ঘাতে বর্ধরিয় ঝড়িয়! পড়ুক প্রবল প্রচুর । গাও গান গ্রাণভর! ঝড়ের মতন উর্ধ্ববেগে অনস্ত আকাশে । উড়ে যাক, দূরে ঘাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে ॥ হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদ্দার জয়ভেরি, করহ অ'হ্বান। আমরা ধ্লাড়াব উঠি, আমরা! ছুটিয়া বাহিরিব, অপিব পরান ॥| চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব ন! বন্ধন ক্রন্দন, হেরিব ন৷ দিক্‌, গণিব না৷ দিনক্ষণ, করিব না! বিতর্ক বিচার-- উদ্দাম পথিক। মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্তত৷ উপকণ্ ভরি-_- খির শীর্ণ জীবনের শতলক্ষ ধিক্কার লাঞ্ছন। উৎসর্জন করি | শুধু দিনযাপনের, শুধু প্রাধারণের গ্লানি, শরমের ডালি, নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্র শিখা স্তিমিত দীপের ধুমাংকিত কালি, লাভক্ষতি-টানাটানি, অতি বুক ভগ্ন-অংশ-ভাগ, কলহ সংশয়. সহে না সহে না আর জীবনেরে খণ্ড খণ্ড করি দণ্ড দণ্ডে ক্ষয় || ৯৩৭ শ্তেনসম অকন্মাৎ ছিন্ন করে উধের্ধলয়ে যাও পন্ককৃণ্ড হতে, মহান মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি করে দাও মোরে বন্ধের আলোতে ।” লক্ষ্য করিবার বিষয়--কবি শুধু 'আমি”র কথাই বলিতেছেন না, “আমাদের' কথাও বলিতেছেন। 'আমি' এখানে উপলক্ষ মাঅ--“আমরা' (অর্থাৎ জাতি )' লক্ষ্য । রোমান্টিক কবি, ঝড়ের রাত্রে আকাশের বুক হইতে বনজ আহরণ করিয়া জাতির জন্য এক মৃত্যুগ্য়ী মহাপ্রাণ স্ট্টি করিতে চাহিলেন। বহুকাল পরে কৰি দ্বয়ং ইহার একট। ব্যাখ্যা দিয়! বলিয়াছিলের, “১৩০৫ সালে বর্শেষ ও দিঁনশেষের মুহূর্তে একটা প্রকাণ্ড ঝড় দেখেছি।'*"এই ঝড়ে আমার কাছে রুত্রের আহ্বান এসেছিল । যাঁ-কিছু পুরাতন ও জীর্ণ তার আসক্তি ত্যাগ করতে হবে-_-ঝড় এসে শুকনো পাতা উড়িয়ে দিয়ে সেই ভাক দিয়ে গেল। এমনিভাবে চিরনবীন ধিনি তিনি প্রলয়কে পাঠিয়েছিলেন মোহের আবরণ উড়িয়ে দেবার জন্তে। তিনি জীর্ণতার আড়াল সরিয়ে দিয়ে আপনাকে প্রকাশ করলেন । ঝড় থামল। বললুম, অভ্যন্ত কর্ম নিয়ে এই-যে এতদিন কাটালুম, এতে তো চিত্ত প্রসন্ন হলে! না। যে আশ্রয় জীর্ণ হয়ে যায় তাকেও নিজের হাতে ভাঙতে মমতায় বাধ! দেয়। ঝড় এসে আমার মনের ভিতরে তার ভিতকে নাড়া দিয়ে গেল; আমি বুঝলুম, বেরিষে আসতে হবে ।” [ গ্রস্থপরিচয়--রবীন্দ্-রচনাবলী £ "ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৩৮ ] ১৩৮ ॥ রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা-রাজপরিবার ॥ ১৩০৫-০৮ সাল--এই কালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে কোনো! উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক বা জাতীয় সমস্তা লইয়৷ চিন্ত! করিতে দেখা যায় না। কাব্য- সাহিত্যে এই কালের মধ্যে “কণিকা? “কথা, “কাহিনী” ও ক্ষণিকা, কবির উল্লেখযোগ্য সি । ব্যক্তিগত খবরের মধ্যে, জগদীশচন্দ্রের ধিলাতযাত্র! (তৃতীয় বারের জন্য) উপরক্ষে ত্রিপুরা-রাজপরিবারের সহিত কবির ঘনিষ্ঠতা, উল্লেখযোগ্য । কয়েক বৎসর পূর্বেই জগদীশচন্দ্রের সহিত রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠতা হয়। জগদীশচন্দের বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়বস্তর উপর রবীন্দ্রনাথের অসীম আগ্রহ ছিল। ১৩০৭ সালে জগদীশচন্দ্র তাহার গবেষণা প্রমাণ করিবার জন্য বিলাত যাত্রা করেন। রবীন্দ্রজীবনীর পাঠক মাত্রেই জানেন যে, জগদীশচন্দ্রের বিলাতের ব্যয়ভার সংগ্রহের ব্যাপারে ব্যক্তিগত কত লাঞ্ছনা! ও হীনত৷ স্বীকার করিয়াও কবিকে ত্রিপুরা-রাজপরিবারের ঘবারস্থ হইতে হইয়াছে । এই সম্পর্কে তিনি কর্ণেল মহিমচন্ত্র ঠাকুরকে লিখিয়াছিলেন ( ১৯০১), “কেবল জগদীশবাবুর কার্ধে আমি মান অপমান অভিমান কিছুই মনে স্থান দিতে পারি না-লোকে আমাকে যাহাই বলুক এবং যতই বাধা পাই না কেন তাহাকে বন্ধনমুক্ত ভারমুক্ত করিতে পারিলে আমি কৃতার্থ হইব-_ইহা। কেবল বন্ধুত্বের কার্ধ নহে, স্বদেশের কার্য । স্থৃতরাং ভিক্ষুভাবে আমি এবার মসংকোচে মহারাজের দ্বারে ধ্লাড়াইব ।” এই সময় অপর একটি পত্রে ত্রিপুরার মহারাজকে লিখিতেছেন, “মহারাজ আপনাকে স্পষ্ট কথা বলি_-যদি হূর্ভাগ্যক্রমে পরের অবিবেচনা দোষে খণজালে আপাদমস্তক জড়িত হুইয়! না-থাঁকিতাম, তবে জগদীশবাবুর জন্ত আমি কাহারও ছ্বারে দণ্ডায়মান হইতাম না, আমি একাকী তাহার সমন্ত ভার গ্রহণ করিতাম। ছুরবস্থায় পড়িয়া আমার সর্বপ্রধান আক্ষেপ এই যে দেশের হিতকার্ধের জন্ত পরকে উত্তেজনা করা ছাড়া আমার দ্বারা আর কিছুই হইতে পারে না।"."জগদীশবাবুর অন্ত আমি প্রত্যক্ষভাবে মহারাজের নিকট দরবার করিতে ইচ্ছুক-_-এজগ্ত আমি আগরতলায় যাইতে গ্রস্তত। ১৩৪ “মহারাজের পরিবারবর্গ নান! কথাই বলিবে, নানা অভিসন্ধি আশঙ্কা করিয়া আমাকে সংকুচিত করিবে, আমি ভাহা৷ শিরোধার্ধ করিব । [ বিশ্বভারতী পত্রিকা-_-জগদীশচন্দ্র-বিপিনচন্দ্র সংখ্যা | পৃঃ ১৩৭-৩৮ ] নাটোরের রাজপরিবারের সহিত পূর্ব হইতেই কবির ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্ত অরিপুরা-রাজপরিবারের সহিত কবির পূর্ব হইতে আলাপ-পরিচয় থাকিলেও এইসময় হইতেই উহ! নানা কারণে ও উপলক্ষে ঘনিষ্ঠতর হইয়া! উঠিতে থাকে । রবীন্দ্রনাথ দেশের জমিদার শ্রেণী বা! রাজা-মহারাজাদের সম্পর্কে যে খুব ভালে! ধারণা রাখিতেন, তাহা নহে। কিছুকাল পূর্বেই 'মুখুজ্জে বনাম বীডুজ্জে 'আলট্রী-কন্সার্তেটিভ' প্রবন্ধগুলি আলোচনাকালে আমর! উহা! দেখিয়াছি। তবুও বিশেষ কয়েকটি রাজপরিবার এবং দেশীয় রাজ্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এই সময় যেন বেশ কিছুটা আশাবাদী মত পোষণ করিতেছিলেন। কবি এমন কথাও ভাবিতেছিলেন যে, আমাদের জাতীয় ও ম্বাদেশিক আন্দোলনে এক শ্রেণীর উচ্চ রাজপরিবার বিশেষ একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করিতে পারেন। 'মুখুজ্জে বনাম বাঁড়ুজ্জে' প্রবন্ধটিতে তিনি এই "আদর্শ জমিদারে'র চিত্র আঁকিতে গিয়! লিখিয়াছিলেন, "পুরাকালের বডো জমিদারগণ রান্তাঘাট করিযা সাধারণের অভাবমোচন, যাত্রাগান প্রভৃতি উৎসবের দ্বারা সাধারণের আমোদবিধান, এবং গুণী পণ্ডিত ও কবিদের প্রতিপালন ছ্বার৷ দেশের শিল্প-সাহিত্যের রক্ষণ ও পালন করিতেন। উাহারাই আমাদেব দেশে দানশীলতার ও সমাজহিতৈষণার উচ্চ আদর্শ জাগ্রত করিয়া রাখিয়াছিলেন।-.. “বর্তমান জমিদারগণ যদি সেকালের ৃষটাস্ত অনুসারে, কেবল রাজার মুখ ন চাহিয়া, খেতাবের লক্ষ্য ছাড়িয়া, জনহিতসাধন ও দেশের শিল্প সাহিত্যের রক্ষণ- পালনে সহায়ত! করেন তবেই তাহাদের ক্ষমতার সার্থকত৷ হয় এবং গৌরব বাড়িয়া উঠে ।” নাটোর ও জিপুরা-রাজপরিবারের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ প্রাচীনকালের সেই আদর্শ জমিদারের স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। , এই ছুইটি পরিবারই রবীন্দ্রনাথের কাব্য ও সাহিত্যের গুণগ্রাহী ছিলেন। জগদীশচন্ত্রের জন্ত অর্থসাহায্য এবং “বঙ্গর্শন' ও শান্তিনিকেতন ব্রহ্ববিস্তালয়ের জন্ত তরিপুরারাজের আন্গকৃব্য লাভ করিয়া রৰীন্রনাথ কিছুটা যেন আশাছিত হুইয়! উঠিয়াছিলেন। বিশ্ব জুড়ি! সান্জাজ্যবাদের উল আত্মগ্রকাশ পূর্ব হইতেই কবির মনে এক তীন্র প্রতিক্রিয়ার সঞ্চার করিয়াঁছিল। তাহারই ফলে আধুনিক রাজনীতির প্রতি ১6০ কবির এই সন্দেহ ও বিমুখতা ; তাহারই ফলে কৰি প্রাচীন ভারতের এঁতিহের কোলে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি তখন প্রাচীন ভারতের পুনরভ্যুখানের স্বপ্ন দেখিতেছিলেন, ত্রিপুরার রাজা হইবেন সেই প্রাচীন ভারতের আদর্শ নৃূপতি। এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিতেছেন, “কবির মনে এই স্বপ্ন জাগিতেছিল যে ত্রিপুর! রাজদরবারের মধ্য দিয়! একটি আদর্শ রাজ্যশাসন তন্ত্র গড়িয়! তুলিবেন, যাহার পটভূমে থাকিবে হিন্দু নৃূপতির শ্রেষ্ঠ আদর্শ । সাহিত্যে, শিক্ষায়, শাসন-পরিকল্পনায় তিনি মহারাজকে নানাভাবে সছুপদেশ ও সহায়তা দ্বার! উদ্বুদ্ধ করিতে প্রয়াস পান। ত্রিপুরার মহারাজকে বর্ণাশ্রমের মহিমা ও ব্রাক্মপ্যধর্মের গৌরব ব্যাখ্যা করিয়া যে পত্র লিখিয়াছিলেন, জা! প্রকাশিত হইয়াছে।:..বঙ্গদর্শনের জন্য 'ষে সাহায্য চাহিযাছিলেন, তাহা ভারতের শ্রেষ্ঠ আদর্শ প্রচারের জন্য, তপোঁবনের পরিকল্পন| ও ভারতের হিন্দু বরণাশ্রমের শ্রেঠ আদর্শকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য ৷ রবীন্দ্রনাথ মহারাঁজকে যেসব পত্র লেখেন তাহার অধিকাংশের মধ্যে ভারতীয় হিন্দু আদর্শবাদের আলোচন! থাকিত; তাহার চিন্তকে নান! মঙ্গলকর্মে উদ্বুদ্ধ করিবার সকল প্রকার সাধু চেষ্টা রবীন্দ্রনাথ সাধামত করেন । কুমার ব্রজেন্দ্রকিশোরকেও যেসব পত্র লেখেন তাহাও ্ষত্রিয়ধর্মের গৌরব ও ব্রাহ্মণ্যধর্মের মহিম| সম্বন্ধে উপদেশ । মোট কথা ত্রিপুরা- রাজদরবারের সহিত রবীন্জনাথের ঘনিষ্ঠতার কথ| আলোচন! কবিলে গ্যেটের সহিত ৬৬০11061 রাজদরবারের সম্বদ্ধের কথ| স্মরণ হয ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৩৮১-৮৯ ] ১৪২ ॥ নৈবেন্য ॥ ১৩০৭ সাল। রবীন্দ্রনাথ তখন স্ত্রী-পুত্র-কন্তাদের লইয়া! শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বাস করিতেছেন। মাঝে মাঝে কার্যোপলক্ষে কলিকাতায় আদিতে হয়। এই সময় তিনি “নৈবেস্তের কবিতাগুলি রচনা করেন (১৩০৭ অগ্রহায়ণস্"ফান্তন )। ১৩০৮ সালের প্রথমভাগে উহা! পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হুয়। নৈবেষ্ের আলোচনার স্থান অন্যত্র হইলেও ইহাতে কবির আধ্যাত্মিক ধর্মভাবের সহিত তীহাব ত্বাদেশিকতাবোধের অঙ্তুত সংমিশ্রণ দেখ। যায়। এইজন্তই ইহার মূল কথাটা আমাদের আলোচনার আওতার মধ্যে আসিয়া যায়। প্রথমেই দেখ! দরকার, মানসিক কোন্‌ অবস্থায় এবং কিসের প্রেরণায় রবীন্দ্রনাথ নৈবেস্ত রচনা করিলেন । রবীন্দ্রজীবনী ও রচনাবলী ভালে! করিয়া আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, ইহার কিছুকাল পূর্ব হইতেই তাঁহার মানস-প্রকৃতিতে ছুইটি পরম্পরবিরোধী ধারার হন্বসংঘাত অত্যন্ত প্রবল হুইয়। উঠিতে থাকে । একদিকে তাহার বিশেষ কবি-প্রকৃতি, অপরদিকে সমাজচেতন৷ ও ্বদেশের সেব! করিবার বাসনা-- একদিকে ভাববিলাস ও কক্পনাপ্রিয়তা, অপরদিকে বাস্তবতাবোধ--একদিকে সংগ্রামবিমুখতা, অপরধ্দিকে সংগ্রামশীলতা । “চিত্রা'র যুগে “এবার ফিরাও মোরে, এবং পরে 'বর্ধশেষ' কবিতাটির মধ্যে এই ছন্ব-সংঘাত তীত্র আকার ধারণ করিয়াছিল। পূর্বেই তাহা আলোচনা! করিয়াছি। ইহার পর হইতেই তাহার এই মানসিক ঘন্সংঘাত বেশ কিছুকাল তাহার মধ্যে প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। উনিশ শতকের শেষভাগে পর পর দুইটি ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ (১৮৯৭ ও ৯৯), প্রেগ- কলেরা-মহামারী এবং একটি বড়ে৷ রকমের ভূমিকম্পের ফলে দেশবাসীর ছুঃখকইট অবর্ণনীয় হইয়া উঠিয়াছিল। কবির সংবেদননীল ও স্পর্শচেতন মনে ইহার তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হইল । ফলে কবির মনে সংগ্রামশীলতা ও দেশসেবা করিবার ইচ্ছা! প্রবল হুইয়! উঠিতে থাকে । নৈবেষ্যই হইতেছে কবির সেই মানসিক প্রস্ততি। রবীন্দ্রনাথ প্রধানত অধ্যাত্ববাদী ও অতীন্ত্রীয় রহম্যবাদী কবি। তাই স্বভাবতই কৰি তাহার ঈশ্বর ও জীবনদেবতা'র নিকট সংগ্রামের উদ্দীপন! প্রেরণা € শক্তি ভিক্ষা করিতেছেন। ৯৪% এই সংগ্রামের জন্ত কবির মানসিক গ্রন্ততির ন্বরূপটি কী, দেখ! ঘাক্‌। ৪৭ সংখ্যক কবিতায় তিনি লিখিলেন, “আঘাতসংঘাত-মাঝে ধ্াড়াইনু আসি। অঙগদ কুগুল কণ্ঠী অলংকাররাশি খুলিয়া ফেলেছি দুরে । দাও হস্তে তুলি নিজ হাতে তোমার অমোঘ শরগুলি, তোমার অক্ষতৃণ ৷ অন্তর দীক্ষা দেহে। রণগুরু | তোমার প্রবল পিতৃন্সেহ ধ্বনি উঠক আজি কঠিন আদেশে। ভাবের লমিত জোড়ে না দি নিলীন কর্মক্ষেত্রে করি দাও সক্ষম ব্বাধীন।” €শ সংখ্যক কবিতায় বলিলেন £ €6 সংখ্যক কবিতায়, “রাজভয় কার তরে হে রাজেন্দ্র? তুমি যার বিরাজ অন্তরে লভে সে কারার মাঝে ত্রিতুবন্ময় তব ক্রোড়, স্বাধীন সে বন্দীশালে। মৃত্যুভয় কী লাগিয়া হে অমৃত ?... “মোর মনুষ্যত্ব সে যে তোমারি প্রতিমা, আত্মার মহত্বে মম তোমারি মহিমা মহেশ্বর | সেথায় যে পদক্ষেপ করে, অবমান বহি আনে অবজ্ঞার ভরে, হোক-না সে মহারাজ বিশ্বমহীতলে তারে যেন দণ্ড দিই দেবদ্রোহী বলে সর্বশক্তি লয়ে মোর । **৮ ৭ সংখ্যক কবিতায় কবি বলিলেন, “ -*ক্ষম! যেথ! ক্ষীণ দুর্বলতা, হে রুত্র, মিঠুর যেন হতে পারি তথা তোমার আদেশে । যেন রদনায় মম সত্যবাক্য ঝলি উঠে খরখড়াসম ১৪৩ তোমার ইঙ্গিতে । যেন রাখি তব খান তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান। অন্তায় যে করে আর অন্ঠায় ষে সনে তব ঘ্বণা যেন তারে তৃণসম দহে ।” ৮৪ সংখ্যক কবিতায়, “মুক্ত করো, মুক্ত করে! নিন্দা-গ্রশংসার দুশ্ছেচ্য শৃঙ্খল হতে। সে কঠিন ভার যদি খসে যায় তবে মানুষের মাঝে সহজে ফিরিব আমি সংসারের কাজে-_ তোমারি আদেশ শুধু জয়ী হবে নাথ । ৯৯ সংখ্যক কবিতাষ কবি লিখিলেন। “তব কাছে এই মোর শেষ নিবেদন-_- সকল ক্ষীণতা মম করহ ছেদন দুঢ়বলে, অন্তরের অন্তর হইতে প্রভু মোর ।*** '“*বীর্ধ দেহো। ক্ষুদ্র জনে না করিতে হীন জ্ঞান, বলের চরণে না লুটিতে।-".” এইভাবে কবি তাহার জীবনদেবতার নিকট শক্তি-ভিক্ষা করিয়া, মহত্বর মানবতা ও স্তায়নীতিতে আপনাকে দীক্ষিত করিয়া সংগ্রামের সংকল্প গ্রহণ করিতেছেন। কবি যেন তাহার নিরধিরোধ সংগ্রামবিমুখ কবি-প্ররুতিটিকে তর্জনী তুলিয়া শাসন করিতেছেন_-সকল কবিতাতেই অলক্ষ্য এই ভাবটি ফুঠিয়া উঠিয়াছে। উনিশ শতকের শেষভাগে সাম্রাজ্যবাদ তাহার উলঙ্গ বর্বর মৃতিতে আত্মপ্রকাশ করিল। ১৮৮৬ খ্রীষ্টাবে ট্রাক্সভালে বোয়ার প্রজাতন্ত্র এলাকায় দ্বর্ণধনি আবিষ্কৃত হইলে দলে দলে ইংরাজ ওঁপনিবেশিকরা বোয়ার অঞ্চলে গিয়! ভিড় করিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী ম্লেসিল্‌ রোভস্‌ কায়রে! হইতে কেপ. পর্বস্ত ব্রিটিশ রাজ্য সম্প্রসারণে উদ্গ্রীব হুইয়! উঠিলেন। সামান্ততম অজুহাতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাদ তাহার প্রবল সামরিক শক্তি লইয়। বোমার প্রজাতন্ত্রের উপর ঝাঁপাইয়া পড়িল। ইহাই বোয়ার বুদ্ধ নামে পরিচিত ( ১৮৯৯--১৯০২)। হীনবল বুয়ার কৃষকদের হাতে সুশিক্ষিত ও প্রবল পরাক্রান্ত ইংরাজশক্তিকে প্রথম দিকে বারবার পরাজদ্ব ত্বীকার করিতে হুইয়াছে। কিন্তু অবশেষে বোয়ারদের পরাজয় ঘটে। অপরদিকে ১৪৪ প্রাচ্য ভূখণ্ডে সাম্রাজ্যবাদী শক্কিগুলি মহাচীনকে ভাগাভাগি করিয়া লইতে ব্যত্ত হইয়া পড়িল। ১৮৯৭ প্রীষ্টাবধে জার্মানী চীনের “কিয়াচো? অংশটি দখল করিয়া! লইল। দেখাদেখি রাশিয়াও চীনের কাছে পোর্টআর্থার দাবি করিয়! বসিল। ফ্রান্স ও ইংলগ্ড পুনরায় দক্ষিণ ও মধ্যচীনে আরও খানিকটা আধিপত্য বিস্তার করিয়া লইল। আমেরিক! ইতিমধ্যে ফিলিপাইন গ্রাস করিয়া চীনের কাছে “যাণিজ্যের দ্বার উম্মুক্ত করিবার” (026, 4০০: 7০011০5 ) দাবি লইয়া উপস্থিত হইল। সাম্্াজযবাদীদের এই উন্নত বর্বরতার বিরুদ্ধে চীনে এক ভীষণ বিস্বোহ দেখা দিল। ইহাই “বক্সার-বিদ্রোহ' (১৮৯৯---১৯*১) নামে পরিচিত। এই বিস্রোহকে দমন করিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, জার্মানী, রাশিয়া, জাপান প্রড়ৃতি শন্তিগুলি একজোটে চীন আক্রমণ করিল। শতাবীর অস্তে সাশ্রাজ্যবাদীদের উন্মত্ত দানবিকত৷ ও দব্্যবৃত্তি রবীন্দ্রনাথের মনে পাশ্চাত্য সভ্যত। সম্পর্কে এক গভীর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট করিল। তাহার মন পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি বিমুখ হুইয়া' উঠিল। দেশের চারিদিকে তখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মআন্দোলনও নৃতন করিয়! দেখ! দিয়াছে । এই অবস্থায় কৰি জাতীয় আদর্শের প্রশ্ন ধর্মগতভাবেই চিন্তা করিতে লাগিলেন । তাহার ধারণা হইল, পাশ্চাত্যের আদর্শ কখনও ভারতবর্ষের পক্ষে মঙ্গলজনক হইবে না। ভারতের প্রাচীন ধর্মাদর্শ ও তপোবন সভ্যতার যুগেই আবার ভারতকে ফিরিয়া যাইতে হইবে। কিন্ত সাত্রাজ্যবাদকে তিনি ক্ষমা করিতে পারিলেন না; অস্তরের সমস্ত স্বণাটুকু দিয়! তিনি (৬৪ সংখ্যক কবিতায় ) ইহার প্রতি বিনিপাত জানাইলেন, “শতাব্দীর হুর্ধ আজি রক্তমেঘ-মাঝে অন্ত গেল, হিংসার উৎসবে আজি বাজে অস্ত্রে অস্ত্রে মরণের উন্মাদ রাগিণী ভয়ংকরী 1... স্বার্থে স্বার্থে বেধেছে সংঘাত, লোভে লোভে ঘটেছে সংগ্রাম--প্রলয়মস্থন ক্ষোভে ভদ্ত্রবেশী বর্ধরত| উঠিয়াছে জাগি পন্ষশয্যা হতে। লজ্জা শরম তেম্াগি জাতিগ্রেম নাম ধরি প্রচণ্ড অন্তায় ধর্মেরে ভাাতে চাহে বলের বস্তায় । কবিদল চীৎকারিছে জাগাইয়! ভীতি শ্রশানকুদ্ুরদের কাড়াকাড়ি-গীতি।” ১৪৫ রধীজরনাথ ॥ ১, এই সময় কিপলিং গ্রভৃতি একদল কবি এম্পায়ার ও ইংরাজ জাতির মহিমা প্রচার করিয়! বর্ণ ও জাতি বিদ্বেষ প্রচার করিতেছিলেন। তাহাদের নির্লজ্জ বক্তব্যের পিছনে সাম্রাজ্যবাদী লালস! যে উৎকট ভাবে ফুটিয়া৷ উঠিয়াছিল রবীন্দ্রনাথ তাহাকে তীব্র ত্বণাভরে বিভ্প করিতে ছাড়িলেন না । বাংলার কাব্যে সাহিত্যে এ ভাব সম্পূর্ণ অভিনব ও অনান্বাদিত। শুধু এদেশেই নয়--বিশ্বের তৎকালীন কবিকুলের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক কবিই সাম্রাজ্যবাদ ও জাতীয়তাবাদের প্রতি বিনিপাত জানাইয়! সেই সময়ে কিছু লিখিয়াছেন। অপর একটি কবিতায় কবি লিখিলেন, "একের স্পর্ধারে কভু নাহি দেয় স্থান দীর্ঘকাল নিখিলের বিরাট বিধান। স্বার্থ যত পূর্ণ হয় লোভক্ষুধানল তত তার বেডে ওঠে _বিশ্বধবাতল আপনার থাগ্ঠ বলি না করি বিচার জঠরে পুরিতে চায়। বীভৎস আহার বীভৎস ক্ষধারে করে নির্দয় নিলাজ-_ তখন গঞ্জিয়! নামে তব রুদ্র বাজ। ছুটিয়াছে জাতিপ্রেম মৃত্যুর সন্ধানে বাহি স্বার্থতরী, গুপ্ত পর্বতের পানে ।” “জাতীয়তাবার্দের বিরুদ্ধে ইহাই বোধহষ তাহার প্রথম কবিতা । জাতীয়তার নামে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিব্র্গ কিভাবে দুনিয়াকে আপনাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা'" করিয়। গলইবার উদ্দেশ্তে স্বার্থ-সংঘাতে লিপ্ত হইয়াছে, কবি তাহা! গভীরভাবে লক্ষ্য করিয়াছেন। কবি ইহাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করিলেন বটে, কিন্ত ইহার বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ বা! প্রতিরোধ-সংগ্রামেরও ডাক দিতে পারিলেন না। কবির ধারণা, “ঈশ্বরের রাজদ্বে' কোনো! অন্তায়, কোনো! পাপাচারই বরদাস্ত হয় না, কঠিন শান্তি একদিন অন্যায়কারীর মাথার উপর নাধিয়া আসিবে। সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দরবারেইফ্ই অন্তায় ও পাপাচারের বিরুদ্ধে তিনি নালিশ জানাইয়। তাহার মানসিক যাতনা ও বেদনার ভার কিছুটা লাঘব করিতে চাহিলেন। বিংশ শতাবীর সৃচনাতেই পাশ্চাত্য জাতিগুলির সাম্রাজ্যবাদী লালসার বন্ৃ্যৎসব দেখিয়া! পাশ্চাত্য সভ্যতা সুস্পর্ক তাহার মোহ ভঙ্গ হইতেছে। তাহার ধারণ! ভারতবর্ধই একদিন পৃথিবীর পরিত্রাণ আনিবে-- ৪৬ “এই পশ্চিমের কোণে রক্তরাগরেখা নহে কত সৌম্যরশ্মি অরুণের লেখা তব নব প্রভাতের । এ শুধু দায় সন্ধ্যার প্রলয়দীপ্তি। চিতার আগুন পশ্চিমসমুদ্রতটে করিছে উদগার বিস্ফুলিঙ্গ, স্বার্থদীপ্ত লুপ্ত সভ্যতার মশাল হইতে লয়ে শেষ অগ্নিকণা। তোমার নিখিলপ্রাবী আনন্দ-আলোক হয়তো লুকায়ে আছে পূর্বসিদ্ধৃতীরে বহু ধের্ষে নম্র স্তব্ধ দুঃখের তিমিরে সর্বরিক্ত অশ্রুসিক্ত দেন্যের দীক্ষায় দীর্ঘকাল, ত্রাহ্মমূহূর্তের প্রতীক্ষায় ।” অপর একটি কবিতায় কবি বলিলেন, “কোরো না কোরো! না লজ্জা হে ভারতবাসী, শক্তিমদমত্ত ওই বণিক বিলাসী ধন দৃপ্ত পশ্চিমের কটাক্ষ সম্মুখে "$ভ্র উত্তরীয় পরি শাস্ত সৌম্য মুখে সরল জীবনখামি করিতে বহুন। দাঝিদ্রেরে সিংহাসনে করে৷ প্রতিষ্ঠিত রিক্ততার অবকাশে পূর্ণ করি চিত।” নৈবেদ্ের আরো কয়েকটি কবিতায় এই মূল ভাবটিই ফুটিয়া৷ উঠিয়াছে। লক্ষ্য করা যায়-_পাশ্চাত্যকে বর্জনের নামে আধুনিক সভ্যতার সম্পদগুলিকেও তিনি বর্জন করিতে চাহিলেন এবং উপকরণহীন গ্রাচীন ভারতীয় সভ্যতাকে পুনরুদ্ধার করিবার আহ্বান জানাইলেন। “নৈবেস্তে'র যুগ হইতেই রবীন্দ্রনাথের চিন্তাজগতে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ধার! প্রবল হইয়৷ উঠিতে থাকে, ইহা লক্ষ্য না করিয়া পার! যায় না এবং তাহা হইতেছে “হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদ'। ১৪৭ ॥ হঙ্গদর্শনে হিন্দু জাতীয়তাবাদ ॥ ১৮৯৭ ও ১৮৪৪ ত্রীষ্টাকে দেশে পরপর ছুইটি ভয়ঙ্কর তৃভিক্ষের পর কংগ্রেস নেতৃবর্গ দেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে কিছুটা সজাগ হইয়া! উঠিলেন। ইহারা যে কৃষিতে সামস্ততান্ত্রিক শোষণের অবসান কিংবা কোনো গণতান্ত্রিক ভূমি-সংস্কার আইনের কথা চিন্তা করিতেছিলেন, তাহা নহে। তৎকালীন প্রচলিত চিন্তাধার! অন্থ্যায়ী কৃষকের ছুঃখকষ্টেব লাঘব হয় এমন কিছু কিছু আইন সংস্কারের কথ ইহারা চিন্তা! করিতেছিলেন। ছুর্ভিক্ষের কারণ ও দেশের অর্থ নৈতিক অবস্থা সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ জস্তও তাহার! দাবি করিলেন। দেশেব দুভিক্ষ ও অর্থ নৈতিক সমস্তা। সম্পর্কে ইহার! কি ধরনের চিন্ত| ভাবনা করিতেন, তাহা নিয়ের দৃষ্টান্ত হইতে কিছুটা পরিষার হইবে। ১৯০৯ গ্রীষ্টাবে ডিসেম্বর মাসে লাহোর-কংগ্রেস অধিবেশনে, সভাপতি চন্দভারকর (টব, 0. 015913085811591) বলিলেন, «১০086 10015680০০0: 0608036 [109 2001)5002 68119 170 06 0610168, [15 2 56186 0065 816 11565220121) 10018 ; 001 190 10016 10765191016) £01 135691)06, 00812 1 11619170০01 6:৫5, 26006180666 ০0005 ৪৪ ৪৮16 6০ ৫06 0561 0015 5621 0 006 10650 16 2 006 ০6005 100006 2 1810196) 1), 81)00010 106 [18019 ০০ 2012 0০ ৫0 005 52056 110) 0106 নী] 68115 ?...1156 09650100. আ13801) 1085 0660 £01:017)8 16561£ 02 006 86120020811 8218005 00125 800 16801791916 1১01010158080015 05 00৮-৬05 00 18001068 0০০01: 2 ৮৫৫ ভ/) ৫০ 006 ০০০০: 10 87060586770 86561105, 8190 ভা 15 006 84979 100866/ ০: 006 ০6০০1০ &:০আ1)8 0০আা)? 1009 1006 0128 0586 8059০5 86008]5 61165680006 20917810150 01১৫০01৮ 1)01) 18 8০ ০000618 (%6033060 গর) 6618980 70820618 8৪ 8) 82856 (০ 1126 0136801012... এই ভুডিক্ষের ও আধিক ঘারিজ্যের ছুযোগে মহাজনশ্রেণীর হাতে রায়তের জমি হত্যাত্তরিত হইতেছে, এ কথারও তিনি উল্লেখ করেন। ১৮৭৯ গ্রীষ্টাবে 19০০০৪ 885001800565 8616: 4০৮ এবং 50005 28185058000 ৪017এর সমালোচন| করিয়! তিনি বলিলেন হে, উহার কোনো! ক্ষেতেই দুল উদ্দে্ সাধিত ১৪৮ হইতেছে না, এক মহাজনের পরিবর্তে অন্ত মহাজন আসিতেছে-সরায়তের ছুঃখ কষ্ট বা খণের বোঝা! লাঘব হইতেছে না। তিনি ভূমির রাজন্বও কিছুটা কমাইবার দাবি করিলেন । এবং এট উপলক্ষে তিনি দেশে কলকারখান| ও শিল্প-বিস্তারের (13008028] ৫6519190067% ) দাবি জানাইতেও ছাড়িলেন না । চন্দভারকর তাহার অভিভাবণে বলিলেন, “১০৮70068186 ঢ8108106 00120100185102 06018160058 056 1001- 21858000০0৫ 10008500168 ৪৪ 052 0015 ০0920019166 1500605 101 £807186, 71086 ৪৪ চসাঃডে 56818 ৪8০. 9306 810০০ 038৫ 1675016 ৪৪ 00806, 615 15001217088 ০6612 ৫0186 6০ 8৫581)06 0126 808868002) 800 0192 1651018 0£ 201:80006, (075 05০ ০0008105, 80506 00785 13956 19621 00176১ 0010001301010815 1361198795, ড712801 10856 1780 006 685০6 01 250358006 60০ 12010196101 0001: 177008065, 1৪ 10805 আ015061 01586 01061 0192 58:501086817068, 801) 21011150188 ০০ 0০00216 5922106 0 056 19100, 20811101980 01060 81০014 £০ ০0৫ 01 10 800 0086 91. 81063 14581] 82৫ 1515 5011628068 0 006 86০00 ঢ810172 (02012788910 81000109170 0086 10010106178 01 016 79158887765 15956 0662, 2180 216 66196, 1500০60 €০ 181001958 0৪-18000126198 7 "0685 85 606 060016 আ1)000 8 £80086 28 €00010689 8100 আ1)০ 210০8 6০9 2:61166-05 006 1502061 0065 81৩ 0196100, ,.% ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শোষণের হাত হইতে জাতীয় শিল্পগুলি সংরক্ষণের দাবি জানাইয়! তিনি বলিলেন, 5০১56 50185 ৫06 1150 02 656 30200251011] 1800365 ০1681] 900৩৪ 6108 5001 05০ 11:686106 0018055 20 [00890 18800505 আ1]1 065 8110-50-0০ 00021011068 ০0100১66- 00 (00041685 0:58106265] £১002655868 £ ৬০1. [. ০০, 43344] অত্যন্ত বিম্বয়ের কথা, দেশের এই ছূর্ভিক্ষ ও আর্থিক বিপর্যয়ের দিনে রবীন্দ্রনাথকে এ সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে কোনো কথা বলিতে দেখা গেল না। কংগ্রেসের এই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর তাহ'র কোনে। আস্থা ছিল নাঁ_ সত্য কথা, কিন্তু কৃষক ও গ্রামজীবনের ছুরবস্থার ব্যাপারে তাহার একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি ও আগ্রহ ছিল। অথচ এই সময় কৃষকের ছূরবস্থার কথ! লইয়। তাহাকে বিশেষভাবে কিছু বলিতে বা মন্তব্য করিতে দেখ! গেল না । তাহার প্রধান কারণ, তখন রবীন্দ্রনাথের মনে আদর্শগত (10801088081 ) প্রশ্নে বিরাট ঘবন্ব-সংঘাত চলিতেছিল,। ভারতবধে শিল্প-বিপ্লব হইবে কিনা ১৪৪ কিংবা ইউরোপের ব্যক্তিম্বাধীনত! ও গণতাহিক শাসন-সংস্কার হইবে 'কি হইবে না-এই সব প্রশ্ন তাহাকে বিচলিত করে নাই। ভারতবর্ষের জাতীয় আদর্শ কী হইবে, ইহাই তীহার কাছে তখন প্রধান প্রশ্ন। জাতীয় আদর্শের প্রশ্নে ভাক্কতবর্ধ কি ইউরোপীয় “্ভাশনালইজ ম্‌* ও সভ্যতাসংস্কতিকে অন্গুকরণ করিবে, নাঁ_-ভারতের প্রাচীন ধর্ম-সমাজ-সভ্যতাকে পুনরুজ্জীবিত করিয়! তুলিবে? ১৩১৮ সালের প্রথমভাগেই রবীন্দ্রনাথের সম্পাদনায় “বজ্ার্শন' নবপর্ধায়ে বাহির হইল। জাতীয় আদর্শ নির্ণয়ের প্রশ্নটি তখন সবার উপন্ন বড়ো হইয়া! দেখা দিয়াছে। বল! বাহুল্য, ' আমাদের জাতীয় চেতনার এই পরধায়টি অত্যস্ত বিচ্যুতির যুগ। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনায় যখন নাকি বস্তুবাদী ভাবধারার একান্ত আবশ্ঠক হুইয়। উঠিয়াছে, তখন আমর! নূতন করিয়া ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক আন্দোলনে মত্ত হুইয়! উঠিয়াছি। ফলে, ভারতবর্ষের ন্তায় বু জাতি, বহু ধর্ম ও বহু সম্প্রদায়ের দেশে জাতীয় এক্য সৃষ্টি করিবার প্রশ্নে যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক আদর্শের ব্যাপক প্রসার হওয়া! উচিত ছিল, সেখানে নৃতন করিয়া “হিচ্দু পুনরুজ্জীবনবাদ (21) 2০৮15911820) দেখা দিল। পাশ্চাত্য সভ্যতার অস্তর্ধিরোধ ও অসঙ্গতি- গুলির নজির দেখাইয়া! পাশ্চাত্যের সবকিছু বর্জনেরও একটা ঝৌক দেখ! গেল। স্বভাবতই বজ্গদর্শনে এইসব ভাবধারার প্রতিফলন দেখ! দিল। বঙ্গদর্শনের সম্পাদনাভার গ্রহণ করিয়াই রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার মূল্যায়নে প্রবুত্ত হইলেন। পাশ্চাত্য সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে ফরাসী এঁতিহাঁসিক গিজোর ( 21০) দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামতের সহিত পূর্বেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তাহারই সমালোচন! প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গদর্শন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা' নামে ' প্রবন্ধটি€লিখিলেন ( বজদর্শন, ১২০৮ জৈষ্ঠ )। এই প্রবন্ধের শুরুতেই তিনি গিজোর মত উদ্ভূত করিয়া বলিলেন যে অন্তান্ত সভ্যতার সহিত পাশ্চাত্য সভ্যতার মূল পার্থক্য এই যে, “অন্ান্ত সভ্যতায় এক ভাব--এক আদর্শের একাধিপত্যে অধীনতা-বন্ধনের সি করিয়াছিল, কিন্তু ফুরোপে কোনে! এক সামাজিক শক্তি অপর শক্তিগুলিকে সম্পূর্ণ অভিভূত করিতে না পারায়, এবং ঘাত প্রতিঘাতে পরম্পরকে.সচেতন অথচ সংযত করিয়। রাখায়, ফুরোপীয় সভ্যতায় স্বাধীনতার জন্ম হইয়াছে। ক্রমাগত বিবাদে এই সকল বিরোধী শক্তি আপসে একটা বোঝাপড়া করিয়া সমাজে আপন আপন অধিকার নির্দিষ্ট করিয়া লইয়াছে ; এইজন্ত ইহারা পরম্পরকে উচ্ছেদ করিবার জন্ত সচেষ্ট থাকে না, এবং নান গ্রতিকুলপক্ষ আপন স্বাতন্রা রক্ষ। করিয়! চলিতে পায়ে । “ইহাই আধুনিক বুরোগীয় সত্যতার মৃলপ্রতি, ইহাই ইহার শ্রেঠত্ব।” ১৫৬ রবীক্্নাথ গিজোর মতকে অস্বীকার করিলেন না। তিনি ইউয়োগীয় সভ্যতার আসল রহস্ত উদঘাটন করিতে চাহিলেন। তিনি বলিলেন, “সুরোগীয় সভ্যতাকে দেশে দেশে খণ্ড খণ্ড করিয়! দেখিলে, অন্ত সকল বিষয়েই তাহার হ্বাতন্্য ও বৈচিত্র্য দেখ যায়, কেবল একট! বিষয়ে তাহার এঁক্য দেখিতে পাই। তাহা রাষ্্ীয় স্বার্থ “ইংলগ্ডে বল, ফ্রান্সে বল, আর সকল বিষয়েই জনসাধারণের মধ্যে মত- বিশ্বাসের প্রভেদ থাকিতে পারে, কিন্তু স্ব স্ব রাষ্ট্রীয় স্বার্থ প্রাণপণে রক্ষা! ও পোষণ করিতে হইবে, এ সম্বন্ধে মতভেদ নাই | সেইখানে তাহারা একাগ্র, তাহার! প্রবল, তাহারা নিষ্ঠুর, সেইখানে আঘাত লাগিলেই সমস্ত দেশ এক মৃতি ধারণ করিয়া দণ্থয়মান হয়। জাতিরক্ষা আমাদের যেমন একটা গভীর সংস্কারের মতো হইয়া গেছে, রাষটরীয় স্বার্থরক্ষা ফুরোপের সর্বসাধারণের তেমনি একটি অস্তনিহিত সংস্কার ।” এই রাষ্ট্রীয় স্বার্থের প্রকৃতিটি কি? তাহার উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, «প্রত্যেক জাতির যেমন একটি জাতিধর্ষ আছে তেমনি জাতিধর্মের অতীত একটি শ্রেষ্ঠ ধর্ম আছে, তাহা মানবসাধারণের ।-.* “মুরোপীয় সভ্যতার মূলভিত্তি রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ঘদি এত অধিক স্ফীতি লাভ কয়ে যে ধর্মের সীমাকে অতিক্রম করিতে থাকে, তবে বিনাশের ছিত্র দেখা দিবে এবং সেই পথে শনি প্রবেশ করিবে । *্থার্থের প্রকৃতিই বিরোধ । যুরোগীয় সভ্যতার সীমায় সেই বিরোধ উত্তরোগুর কণ্টকিত হুইয়! উঠিতেছে। পৃথিবী লইয়! ঠেলাঠেলি কাড়াকাড়ি পড়িবে, তাহার পূর্বনূচনা দেখা যাইতেছে। “ইহাও দেখিতেছি, মুরোপের এই রাষ্ীয় স্বার্বপরতা৷ ধর্মকে প্রকাশ্তভাবে অবজ্ঞ। করিতে আর্ত করিয়াছে । “জোর যার মুলুক তার” এনীতি শ্বীকার করিতে আর লজ্জা বোধ করিতেছে না। “..*রাষ্ট্রতন্ত্রে মিথ্যাচরণ সত্যভঙ্গ, প্রবঞ্চনা, এখন আর লজ্জাজনক বলিয়া গণ্য হয় না। যেসকল জাতি মনুষ্তে মন্থুত্যে ব্যবহারে সত্যের মর্যাদা রাখে, স্তায়াচরণকে শ্রেয়োজান করে, রাষ্ট্রতন্্রে তাহাদেরও ধর্মবোধ অসাড় হুইয়া থাকে । সেইজন্ত ফরাসী, ইংরেজ, জার্মান, রুশ, ইহার! পরম্পরকে কপট, ভগ প্রবঞ্চক বলিয়! উচ্চম্বরে গালি দিতেছে । «ইহা! হইতে এই প্রমাণ হয় যে, রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে সুরোপীয় সভ্যতা এতই আত্যস্তিক প্রাধান্ত দিতেছে যে, সে ক্রমশই স্পর্ধিত হইয়া গ্রুবধর্ষের উপর হন্তক্ষেপ করিতে ১৫১ উদ্ভত হইয়াছে। এখন গত শতাবীর সামা-সৌভ্রাজরেক় মন্ত্র ুরোপের যুখে পরিহাস বাক্য হুইয়! উঠিয়াছে।” কবির ধারণা, পাশ্চাত্য দেশের নেশন ও রাই্রীর স্বার্থভিতিক সভ্যতাই হইল যত নষ্টের ও সর্বনাশের কারণ। কখনও বা তিনি উহাকে 'রিপুর প্রবল তাড়না” বলিয়া অভিহিত করিতেছেন। কিন্ত তিনি এই সত্য দেখিতে পাইলেন ন! ষে, পাশ্চাত্য নেশন ও রাষ্ট্রগুলি সেখানকার পু'জিবাদ্দী উৎপাদন-ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করিয়া গড়িয়া উঠিয়াছে। পুঁজিবাদের বিকাশ ও স্বার্থের কারণেই নেশন এবং রাষ্ট্র গড়িয়া উঠিয়াছে। পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত কারণের মধ্যে রহিয়াছে তাহার সাম্রাজ্যবাদী লালসা অর্থাৎ লোভ, কামনা ও রিঁপুর তাড়না, যাহা অনায়াসেই মানবতা ধর্ষাধর্মবোধ ও স্তায়নীভিকে পদদলিত করে। তখনও এদেশে বিজ্ঞানসম্মত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রচলন হয় নাই। ফলে তাহার চিন্তা ও দৃষ্টি অতীত এবং প্রতিক্রিয়ার দিকে ঝুঁকিল। তাহার ধারণা হইল, ভারতের প্রাচীন সমাজ ও ধর্মের আদর্শে জাতিকে গড়িয়া তোলাই শ্রেয়স্কর ; পাশ্চাত্যের ছাদে নেশন গড়িয়া তুলিলে তাহা আমাদের মৃত্যুর কারণ হুইবে। তিনি বলিলেন, " “নেশন শব্ধ আমাদের ভাষায় নাই, আমাদের দেশে ছিল না। সম্প্রৃতি ুরোপীয় শিক্ষা্ণে ন্যাশনাল মহত্বকে আমর! অত্যধিক আদর দিতে শিখিয়াছি। অথচ তাহার আদর্শ আমাদের অন্তঃকরণের মধ্যে নাই। আমাদের ইতিহাস, আমাদের ধর্ম, আমাদের সমাজ, আমাদের গৃহ কিছুই নেশন-গঠনের প্রাধাস্ত ক্বীকার করে না। মুরোপে স্বাধীনতাকে যে স্থান ধেয়, আমরা মুক্তিকে সেই স্থান দিই ।."দূরিপুর বন্ধনই প্রধান বন্ধন__তাহা ছেদন করিতে পারিলে রাজা- মহারাজার অপেক্ষা শ্রেষ্টপদ লাস্ভ করি।..আমরা গৃহের মধ্যেই সমস্ত ব্রন্ধাণ ও ব্রদ্ধাগুপতির প্রতিষ্ঠা করিয়াছি ।.* এই আদর্শ যথাযথভাবে রক্ষা করা স্তাশনাল কর্তব্য অপেক্ষ! দুরূহ এবং মহত্বর ।”*** বলা বাহুল্য, সে ধুগে এই ধরনের চিন্তা-ভাবনারই রেওয়াজ ছিল। উপসংহারে তিনি বলিলেন, “আমাঘের হিন্দুসভ্যতার মূলে সমাজ, ফুরোপীয় সভ্যতার মূলে রাষ্ট্রনীতি। সামাজিক মহত্বেও মানুষ মাহাত্যু লাভ করিতে পারে, রাষ্ট্রনীতিক মহত্বেও পারে। কিন্ত আমর! যদি মনে করি, সুরোপীয় ছাদে নেশন গড়িয়া তোলাই সভ্যতার একমাজ প্রকৃতি এবং মন্ন্তত্বের একমাজ লক্ষ্য; তবে আমর! ভূল বুঝিব 1” " গ্রাঙয ও পাশ্চাত্য সভাতা--শ্বদেশ ॥ পৃঃ ৫৫-৯১ ] ১৫২ তখন বোয়ার-যুদ্ধ চলিতেছে, সাম্রাজাবাদী শক্তিগুলিও সম্মিলিতভাবে চীনের ধিরুদ্ধে আক্রমণ চালাইভেছে। রবীন্দ্রনাথ গভীর আগ্রহের সহিত বিভিন্ন পত্র- পত্তিকায় এইসব সংবাদ পাঠ করিতেছিলেন। এইসব ঘটনাবলীতে ইউরোপীয় সভ্যতা সম্পর্কে তাহার যনোভাব আরও বিরূপ হইয়া উঠিতে থাকে । বঙ্- দর্শনে 'সমাজভেদ' ( বঙ্গদর্শন, ১৩০৮ আযাঢ়) নামক একটি প্রবন্ধে তাহার এই সময়ের মানসিক প্রতিক্রিয়াটি লক্ষ্য করা যায়। কোন্‌ প্রসঙ্গে তিনি এই প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন, কবি নিজেই প্রবন্ধের শুরুতে তাহার উল্লেখ করিয়! লিখিতেছেন, “গত জানুয়ারি মাসের “কণ্টেম্পোরারি রিভিমু' পত্রে ভাক্তার ভিলন “ব্যাপ্ত চীন এবং মেবশাবক মুরোপ' নাম দিয়া একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। তাহাতে যুদ্ধ উপলক্ষে ট্নবাসীদের প্রতি মুরোপের অকথ্য অত্যাচার বর্ণিত হইয়াছে। জঙ্গিস্‌ খা, তৈমুবলং প্রভৃতি লোকশক্রদিগের ইতিহাসবিখ্যাত নিদারুণ কীতি সভ্য মুরোপের উন্মত্ত বর্বরতার নিকট নতশির হইল। _ “আমরা যখন ফুরোপের শিক্ষা গ্রথম পাইলাম, তখন, মানুষে মানুষে অভেব, এই ধুয়াটাই সে শিক্ষা হইতে গ্রহণ করিয়াছিলাম। সেইজস্ক আমাদের নৃতন শিক্ষকটির সঙ্গে আমাদের সমস্ত প্রভেদ যাহাতে ঘুচিয়া যায়, আমরা সেইভাবে প্রস্তুত হুইয়া উঠিতেছিলাম। এমন সমম্ন মাস্টার মশায় তাহার ধর্মশান্ত্র বন্ধ করিয়া বলিলেন, পর্ব-পশ্চিমে এমন প্রভেদ যে, সে আর লঙ্ঘন করিবার জে! নাই। “এখন তে৷ দেখিতেছি, গালাগালি গোলাগুলির আদান-প্রদান চলিতেছে। নৃতন খ্রীষ্টান শতাবী এমনি করিয়া! আরম্ভ হইল। “ভেদ আছে স্বীকার করিয়া! লইয়া বুদ্ধির সহিত, প্রীতির সহিত, সহদয় বিনয়ের সহিত, তাহার অভ্যন্তরে যদ্দি প্রবেশ করিবার ক্ষমতা! না থাকে, তবেই খ্রীটীয় শিক্ষায় উনিশ শত বৎসর কী কাজ করিল? কামানের গোলায় প্রাচ্য ছুর্গের দেয়াল ভাঙিম্! একাকার করিবে, ন! চাবি দিয়া তার সিংহদ্বার খুলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিবে? চীন্বাসীর! ইউরোপীয় কলোনীগুলি ও ইউরোপীয় যিশনারীদের উপর আক্রমণ করিয়াছে--এই অজুহাতে সামাজ্যবাদদী শক্তিগুলি সশ্মিলিতভাবে চীনকে আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথ এই যুক্তি খগ্ুন করিতে গিয়া বলিলেন, "কুরোপ একথা সহজেই মনে করিতে পারে যে, ধর্ষপ্রচার ব! শিক্ষাবিস্তার লইয়া অধৈর্ধ ও অনৌদার্ধ চীনের বর্বরত! সপ্রমাণ করিতেছে । হিশনান্বী তো চীন রাজত্ব জয় কৰ্ধিতে ঘায় নাই। ১৫৩ “এই খানেই পূর্ব পশ্চিমের ভেদ আছে এবং সেই ভে ফুরোপ শ্রদ্ধার সহিত» সহিষুঃতার সহিত বুঝিতে চেষ্টা করে না--কারণ, তাহার গায়ের জোর আছে। " “বিবেকানন্দ বিলাতে যদ্দি বেদান্ত প্রচার করেন এবং ধর্মপাল যদি সেখানে, ইংরেজ বৌদ্ধসম্প্রদায় স্থাপন করেন, তাহাতে স্কুরোপের গায়ে বাজে না, কারণ ঝুরোপের গ! রাষ্ট্রত্র। জিত্রপ্টরের পাহাড়টুকু সমস্ত ইংলগ প্রাণ দিয়া রক্ষা করিবে, কিন্তু গরীস্টান ধর্ম সম্বন্ধে সতর্ক হওয়া সে আবশ্তক বোধ করে না। “পুর্বদেশে তাহার বিপরীত। প্রাচ্য সভ্যতার কলেবর ধর্ম। ধর্ম বলিতে রিলিজন্‌ নহে, সামাজিক " কর্তব্যতন্ত্--তাহার মধ্যে যথাযোগ্য ভাবে রিলিজন্‌ পলিটিকস সমস্তই আছে। তাহাকে আঘাত করিলে সমস্ত দেশ ব্যঘিত হইয়া উঠে কারণ সমাজেই তাহার শর্মস্থান, তাহার জীবনী-শক্তির অন্ত কোনে আশ্রয় নাই। "'সেই ধর্ষে আঘাত লাগিলে চীন মৃত্যুবেদনা পা এবং আত্মরক্ষার জন্ত নিষ্ঠুর হইয়া! উঠে । ' তখন রাজাই বা কে, রাজ্ঞাব সৈম্তই বা কে, তখন চীন সাম্রাজ্য নহে, চীন জাতি জাগ্রত হুইয়! উঠে ।” কিন্তু চীনের ব্যাপারটি অন্তরূপ ছিল । ১৮৪০ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম অহিফেন যুদ্ধের পর হইতেই ইউবোপীস্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি একে একে একটু একটু করিয়া সমগ্র চীনকে গ্রাস করিতে বসিল। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-বিষ্তাব ও ধর্ম-প্রচারের নামে ইউরোপীয় উপনিবেশিকগণ ও ধর্মপ্রচারকগণ সাম্রাজ্যবাদী শাসন-শোষণের পক্ষে ঘালাল ও অনুচরের কাজ করিতেছিলেন । এইসব ঘটনার পরে সারা চীনে ইউরোপীয়দের উপর দারুণ সন্দেহ, দ্বণা ও বিষ্েষের ভাব দেখ! দিল । দীর্ঘ- দিন ধরিয়া পুপ্তীভূত এই বিক্ষোভ একদিন বিদ্রোহের আকারে প্রকাশ পাইল। তাহারই কলে বক্সার-বিস্বোহ। বিদ্রোহের নেতৃবর্গের সম্মুখ কোনো ুম্পষ্ট আদর্শ ও হুট কর্মপন্থা ছিল না। প্রচণ্ড উত্তেজন।৷ ও উন্মাদনার মুখে ভাহারা ইউরোপীয় কলোনীগুলি আক্রমণ করিল এবং বহু ইউরোপীয় হত্যা করিল। যাহাই হুউক, রবীন্দ্রনাথ কিন্তু সাম্রাজ্যবাদকে কিছুতেই ক্ষমা করিলেন না। এই প্রবন্ধে তিনি অবশ্থ নিধিচারে মুরোপীয় সবকিছুকেই নিন্দা করিলেন না ।-- ইউরোপীয় ক্বাধীন প্রেমের সৌন্দর্য এবং ইউরোপীয় বনু মহাত্মা লোকের চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের প্রতি তিনি তাহার আত্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করিলেন । কিন্ত তিনি যে তন্বটি দাড় করাইতে চাহিলেন, তাহাতে প্রকৃতপক্ষে তিনি সাম্রাজ্যবাধী প্ররক্কাদের যুক্তির কবলেই জড়াইয়! পড়িলেন। কারণ তাহার বক্তব্য হইতে এই কথাটিই পরিস্ফুট হইয়। উঠিল যে, চীনের ধর্মীয় আবেগই বজ্মার বিজ্বোহের অন্ততম প্রধান কারখ। 'অবস্ত তিনি কিছুট! ভারসাম্য রাখিয়া উপসংহারে বলিলেন, ১৫৪ “বস্তত সভ্যতার ভিত! আছে-_সেই বৈচিত্্াই বিধাতার অভিপ্রেত। এই ভিন্নতার মধ্যে জানোজ্জল সহৃদয়তা লইয়া পরম্পর প্রবেশ করিতে পারিলে, তবেই এই বৈচিত্রের সার্থকতা । যে শিক্ষা ও অভ্যাসে এই প্রবেশের ছার রুদ্ধ করিয়া দেয়, তাহ! বর্বরতার সোপান। তাহাতেই অন্ঠায় অবিচার নিষ্ঠুরতার স্া্ট করিতে থাকে। প্রকৃত সভ্যতার লক্ষণ কি? সেই সভাত যাহাকে অধিকার করিয়াছে-_ স সর্বজ্ঃ সর্মেবাবিশ -তিনি সকলকে জানেন ও সকলের মধ্যে প্রবেশ করেন। যাহ! পাশ্চাত্য সভ্যতাকে সর্বদাই উপহাস করে ও ধিক্কার দেয়, তাহ! হ'ছুয়ানী, কিন্তু হিন্দু সভ্যতা নহে। তেমনি যাহা প্রাচ্য সভ্যতাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে, তাহা সাহেবিয়ানা কিন্ত মুরোপীয় সভ্যতা নহে। যে-আদর্শ অন্ত আদর্শের প্রতি ব্রি্ষপরায়ণ, তাহা! আদর্শ ই নহে। “সম্প্রতি মুরোপে এই অদ্ববিদ্বেষ সভ্যতার শাস্তিকে কলুষিত করিয়া তুলিয়াছে।'**সেইজন্তই বোয়ার পল্লীতে আগুন লাগিয়াছে,চীনে পাশবত! লজ্জাবরণ পরিত্যাগ করিয়াছে এবং ধর্মপ্রচারকগণের নিষ্ঠর উক্তিতে ধর্ম উৎপীড়িত হইয়া উঠিতেছে।” [ সমাজভেদ-স্যদেশ || পৃঃ ৭৭-৮৩ ] রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিযোগ ইউরোপের ধনতান্ত্রিক কৃষ্টি-_ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী সভ্যতার বিরুদ্ধে। কিছুকাল পরে বজদর্শনে (১৩০৯ আবাঢ়) 'ত্রাঙ্মণ' প্রবন্ধে ইউক্ণপের ধনতন্ত্রবাদ ও সামাজ্যবাদী রুষ্টি সমালোচনা! করিতে গিম্মা তিনি বলিলেন, “ইংলগ্ুকে যখন আমরা ধনী বলি, তখন অগণ্য দরিদ্রকে হিসাবের মধ্যে আনি না। মুরোপকে যখন আমরা স্বাধীন বলি, তখন তাহার বিপুল জনসাধারণের ছুঃসহ অধীনতাকে গণ্য করি না । সেখানে উপরের কয়েকজন লোকই ধনী, উপরের কয়েকজন লোকই স্বাধীন, উপরের কয়েকজন লোকই পাশব্তা৷ হইতে মুক্ত ।... অত্যাকাঙ্ষায় প্রত্যেককে প্রতিসুহূর্তেই লড়াই করিতে হইতেছে, সেখানে কর্তব্যের আদর্শকে বিশুদ্ধ রাখা কঠিন ।'** “সুরোপে বড়ো বড়ো সাঘ্রাজ্যগুলি পরম্পর পরম্পরকে লঙ্ঘন করিয়া যাইবার প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে, এ অবস্থায় এমন কথা কাহারো মুখ দিয়া বাহির হইতে পারে না যে, বরঞ্চ পিছাইয়া প্রথম শ্রেণী হইতে দ্বিতীয় শ্রেদীতে পড়িব, তবু অন্তায় করিব না। এমন কথাও কাহারে! মনে আসে ন! যে, বরঞ্চ জলে স্থলে সৈম্তসজ্জা কম করিয়া রাজকীয় ক্ষমতায় প্রতিবেশীর কাছে লাঘব দ্বীকার করিব, কিন্ত সমাজের অভ্যন্তরে স্ুখসন্ভোষ ও জানধর্ষের বিস্তার করিতে হইবে ।* ১৫৫ ত্বিনি আরও বলিলেন, *ন্ুরোগেও অবিশ্রাম কর্ষালোড়নের মাঝে মাঝে এক-একজন মনীষী উঠিয়া ঘূর্ণাগতির উদ্মত্ত নেশার মধ্যে স্থিতির আদর্শ, লক্ষ্যের আদর্শ, পরিণতির আদর্শ ধরিয়! থাকেন। কিন্তু ছুই দণ্ড দাড়াইয়া শুনিবে কে? সম্মিলিত প্রকাণ্ড স্বার্থের প্রচণ্ড বেগকে এই প্রকারের ছই-একজন লোক তর্জনী উঠাইয়! ক্ধিবেন কী করিয়া? বাণিজ্য-জাহাজ্জে উনপঞ্চাশ পালে হাওয়! লাগিয়াছে, মুরোপের প্রাস্তরে উন্মত্ত দর্শকবৃন্দের মাবধানে সারি সারি যুদ্ধঘোড়ার ঘোক্সদৌড় চলিতেছে, এখন ক্ষণকালের জন্ত থাগিবে কে ?'"'বর্তমানকালে সান্রাজ্যলোলুপতা সকলকে গ্রাস করিয়াছে এবং জগৎ ভুড়িয়! লঙ্কাভাগ চলিতেছে ।"."” [ত্রান্মণ-_শ্বদেশ || পৃঃ ৬৫-৬৭ এ রবীন্দ্রনাথ অর্থনীতি ও রাজনীতি শাস্ত্র পাঠ করিম্বা এসব কথা বলিতেছেন না । আ্যাডাম স্মিথ, রিকার্ডে, মার্কস, একেলস তিনি পাঠ করেন নাই। তিনি মূলত কবি। তাহার ব্বাভাবিক মানবতাবোধ, স্তায়-নীতি ও বিচারবুদ্ধি হইতে তিনি ইউরোপীয় সভ্যতা ও কৃষ্টির বিচার করিতেছিলেন। এশিয়া ও আফ্রিকার পরাধীন ও নিপীড়িত জাতিগুলির প্রতি ছিল তাহার অপরিসীম দরদ ও গভীর আত্তরিক সহানগভূতি। বম» ঘখন অত্যন্ত অল্প তখনই তিনি "চীনে মরণের ব্যবসায় প্রবন্ধে ইংরাজ ও ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের জঘন্ত অপকৌশলকে কী তীত্র ও কঠোর ভাষায় নিন্দা ও তিরস্কার করিদ্বাছিলেন, সে-কথ পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। তখন হইতেই সাত্রাজ্যবাদীদের একটি অপকর্ষ--একটি লুষ্ঠনকার্ধও তাহার সতর্ক দৃষ্টিকে এড়াইতে পারে নাই । বিংশ শতাবীর প্রারস্তেই সাম্রাজ্যবাঞ্জীদের এই পৈশাচিক উন্মাদনায় তিনি যেন অদূর ভবিষ্যতের প্রলয়ন্করী ছবিটি স্পষ্ট দেখিতে পাইলেন--পপৃথিবী লইয়া ঠেলাঠেলি কাড়াকাড়ি পড়িবে, তাহার পূর্বহ্চন! দেখ! যাইতেছে ।” অত্যন্ত বিস্ময়ের কথা, ভারতবর্ষে সকালীন কোনো রাজনীতিবিদ বা জাতীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে সচেতন হইতে দেখা গেল না। এমনকি ভারতবর্ষের তথা সমগ্র বিশ্বের অন্ততম শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ স্বয়ং গান্ধীজীকেও 'তধন আমরা সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে চেতন দেখিতে পাই নাই। গান্ধীজী তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় । সেখানে তিনি নিগৃহীত ভারতীয়দের পক্ষ গ্রহণ করিয়া আন্দোলন করিলেওঃ তখনও পর্যস্ত প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ( সতাগ্রহ ) শুরু কয়েন নাই। এমন লময় বুয়র বা! “বোয়ার-বুদ্ধ' দেখ! দিল। হীব্সভাল প্রজাতন্ত্র বোয়ারর! ভারতীয়দের কোনে! নাগরিক স্ব বা নাগরিক অধিকার দিতে রাজী হয় ১৫৬ নাই। ইংরাজ উপনিবেশিকরা এই অজুহাত লইয়া বোয়ারদের বিরুদ্ধ যুদ্ধ ঘোষণা করিল এবং এই অজুহাত দেখাইয়৷ তাহার আফ্রিকায় ও ভারতবর্ষে ভারতীয়দের সমর্থন ও সহযোগিত৷ আদায় করিতে চাহিল। অবশ্ত এই অনুহাত যে কতখানি মিথ্যা ও ভগ্ামী, তাহা বোয়ার-যুদ্ধের অনতিকাল পরেই ভারতীয়দের মর্েমর্ষে অন্থুভব করিতে হয়। আর তাছাড়া--ফ্রী স্টেট ( ঢ:6০ 90866 ) কেপ, কলোনী (096 01005), ট্রান্সভাল ও নাটাল,_ কোথাও ভারতীয়দের অবস্থা ও স্থযোগ- স্থবিধার বিশেষ কোনে! তারতম্য ছিল না । আসল কথা--টান্সভালের নবাবিষ্কৃত স্বর্ণথনির উপর সাম্রাজ্যবাদী লালস] ছাড়া ইংরাজদের অন্য কোনো! মহৎ উদ্দেশ্ঠ ছিল না। স্বয়ং গান্ধীজী পর্ধস্ত বিশ্বাস-করিতেন--“[€ 20350 ৮9০ 1818015 ০০)০206৫ 11801050156 15 01) 01)2 5106 ০৫ 005 09615. কিন্তু অত্যন্ত বিস্ময়ের কথ! এই যে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয়দের লইয়! একটি সেবা-বাহিনী (81010181706 ০০:15) সংগঠিত করিয়া এই যুদ্ধে গান্ধীজী ইংরেজদের প্রভৃত সাহায্য ও উপকার করিলেন । 9:10155 0100%6-এর উপর তখন তাহার অসীম শ্রদ্ধ/ ও আস্থা । যুদ্ধে ইংরেজপক্ সমর্থনের যুক্তিতে গাম্ধীজী বলিলেন, “[€ ০ 06516 0০0 ভা ০00: 05200100200 ৪০1)16ড5 ০00 ড7০16812 85 10610019615 01 006 793110151) 7000191169 10615 15 & 6০01001 09০9:001010 101: 55 ০৫০ ৪8০ ০5 1১611081105 820151 2) 005 ভ৪: 05 81] 006 20681952600]: 013009581...7106 80000110168 10095 1300 219855 ০ 11800 00৮ 80 1078 ৪23 006 ৪801655 ০৯৩ 81168191752 0০ 2 580866১1615 0221 01521 ৫000 £215615115 60 80002009090806 010610)5615659 8150 ৪০00:0 00611 50199010, €০ 8০৪ 0: 005 56216. অবশ্থ এই যুক্তি গান্ধীজীর সহগামী ও অন্গামীদের পক্ষে মানিয়৷ লওয়া সহজ হয় নাই। তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ এমন কথাও বলিলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়র৷ নিজেরাই একটি দাস গোঠী, এক্ষেত্রে বোয়ারদের ন্তায় একটি দুর্বল জাতির স্বাধীনতা-রক্ষার সংগ্রামে ভারতীয়দের সাহায্য করা উচিত। গান্ধীজী অবশ্ প্রধানত এই যুক্তিতে অটল রহিলেন যে, ১১106 10018109 63150606520 5০000 £১61155 13 0015 ০0: টিতে 0 18210151) 8001500. 8 11005 লি ৩ ৪]? 16081) 3 ৩ বং 6 ভও দিও ১ ডি 221 ট 2০০. এল ডি কল স্ ॥ রা | আক 8, রর প্শি 2৪ রি ২,811 ১৫৭ “্তায়নীতি'র প্রতি নি! ও তীহার জীবনদর্শনের মধ্যে খুঁজিতে বলিবেন। সে যাহাই হউক, গান্ধীজী তখনও সাম্রাজ্যবাদকে বুঝিতে পারেন নাই। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি যখন চীন, কিংবা এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শতি-সম্পদকে আত্মসাৎ করিবার জন্ত এ দেশগুলিকে লইয়া! শৃগাল-কুকুরের স্তায় "ানাছেডা করিতেছে, তখন সেইসব হতভাগ্য দেশগুলির পক্ষ লইয়া গা্ধীজীকে কোনো কথ বলিতে শোনা যায় নাই। ১৯০৬ সালে বোস্বাটা-বিভ্রোহ (8019869 ₹5৮611105 ) দেখা দিল, সেবারও তিনি একটি 81010018106 ০০৫৪ গঠন করিয়। ইংবাজদের সাহায্য করিম্বাছিলেন। গান্ধীজীর জীবনীকার লিখিতেছেন, “338:10158 1380 ৫০01১ ৪১০০৫ 006 ৭6106111059 16551 ০3৮ 05 06115560 0086 006 00105) 0019176 63150501601 006 আ616975 0৫ 096 আ 00৫... [06150011691---1081)98008 £ ৬০1. ] টেওুলকৰ আরও লিখিয়াছেন যে, “এই বিভ্রোহের ফলে গান্ধীজীর চোখ খুলিয়া যায়। তাহাব ফলে তিনি দুইটি বিষয়ের উপব গভীবভাবে চিন্তা করিতে থাকেন । প্রথমত ত্রহ্মচর্য, ঘ্িতীয়ত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দবিদ্র জীবন-যাপন |, কিন্তু বিস্ময়ের কথা, সাম্রাজ্যবাদকে তিনি চিনিতে পারিলেন না তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃবর্গ সাম্রাজাবাদকে কী চোখে দেখিতেছিলেন দেখা যাক । ১৮৯৭ খ্রীষ্টান্ধে অমবাবতী কংগ্রেস-অধিবেশনে শক্করণ নায়ার তাঁহার সভাপতির অভিভাষণে তৎকালীন ইংরাজ সবকারের বৈদেশিক নীতি ও [10891 ঢ175919০৪-এর সমালোচনা কুবিতে গিয়৷ বলিলেন, প..দ১৪ 01886561021 016 550610010075 15 006 211116915 ০১610 01006. 001 005 ০১০011০5152 2১28০6601 001105. ভ/6 10৪৬০ 11006 £6 813560108 0০ 6396০6 10100. 50100105680. ৮100 80০0 ০৪9০165 02 180210258]1 06561001086 ৪৪ ০002 ০0000 008828868, 101, 82018 67158 1065৫ 0০ ০গাসে 006 006 15000005 ৫৮৪০1৩৩]৩ 20606888101: 002 611-0617)6) জা 2100 8. 06180 0£ 1:01077860 068০5. ৬/০ 13855 150 €020118806 88811980022 38685190006, 88006101000]: 10010-আ656 01: 002: 1১0:00-6980 11010061516 5৬61 080 ০০022 19 10501560 11) ড8:) 5 111 ৮ ৫06 0০ 006 ০০01105 ০ সপ 0 606 80850 0০৮610060 ৪০ [:0100013 ২.১ কি চিত টি 2845950 £91 10 নি রে ৫ 17506 উনিও 1681019%5 2781181) 2016, 056 83811515 116850৫5 088156 6০ 285 006 60016 45986 ৫1980918 59201000190) £:010 [10018 0০ 006 6360. 01 ছ0015+5 13061:686 15 056 8035816.,.,5 [ 00156:685 70159606150191 £১00158565 : ০1. [. 2. 327-28 ] ১৮৯৯ গ্ীষ্টাবে কংগ্রেসের লক্ষৌ-অধিবেশনে সভাপতি ধমেশচন্ত্র দত্ত বলিলেন, “০০১[00615 88 006 08656102806 002 60302100039 711116815 09070100165, 890 006 1081066081706 0৫6 & 5886 &াণাড 06 0£ 0196 €58001068 ০01 10089, 0০৫ 601: 65০ ৮6001:61061008 ০0৫6 10029, ৮06 101: 006 1650131:61061)05 01 006 31105 00215 1 :28818, 4৯008, 820 25612 2 22101006,,..5 [ 1010. 0. 415 ] ৬১৯০১ শ্রীষ্টাবে কংগ্রেসের কলিকাতা অধিবেশনে ভি, ই. ওয়াচ্চা তাহার সভাপতির অভিভাষণে বলিলেন, “০০056 12016585620 111116815 63610016016 আ101015 1985 56680115 €টেসাে 8106 006 56125105০06 00260 98100088100 79201061) ৪০816 60615 021800 10852 81195610130 13605655809 601 2৫080307581 0839001 ১ 071 002 0166630০0৫6 107 23010817765 আ৪৪ 0066115 হ81860101050...155 00065561018) 15 71068010617 01616 15 ঠ্ 020653469 £0£ 086 12156 17016856 17 006 ঠ055 আ10108 188 ০০০1 আ105855৫ 51006 188০....৮ ইহার পর তিন্নি এই প্রসঙ্গে রষেল কমিশনের একটি রিপোর্ট হইতে উদ্ধৃতি দিয় বলিলেন, “[6 13 01981 000 65০ ৪০০৬০ 6360৪০6 0080 16 13 05185 00 186 120811)61081006 06 31105) 80016109805 21) 0106 2886 0086 01313 005 15 08810091160. 70015, 00616510125 06100815058 0086 005 3116150 71698015 55014 ০621 811 006 63:0210865. ভ/1790 আও 70856 00 11756558817615 0186 010. 056 (50561001060 2100 72811181061 6৪ 079 1010561550৫ 1081176 10018 085 006 01961 10115 006 82105028000 58113 601 006 00186. [ 1010. 00. 518-19. ] এই বক্তব্যগুলির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের বক্তব্যটি রাখিয়া বিচার করিলে উহার পার্থক্য স্পষ্ট হইয়া উঠিবে। রবীন্দ্রনাথ মোটামুটি সাঘ্রাজ্যবাদের সামগ্রিক রূপটি দেখিতে পাইভেছেন , অদূর ভবিষ্যতে উহার! যে পৃথিবীব্যাপী মহাসমৰ বাধাই তুলিবে, তাহাও যেন স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছেন। এবং তখনই ডিনি জেশবানীকে সতর্ক করিম্বা দিতেছেন, ভারতবর্ষ যেন এই স্বৃপ্য সাপ্রাজাবাদী সভ্যতাকে অন্থসরণ না করে। কংগ্রেস নেতৃবর্গ ইংরাজ সরকারের বৈদেশিক নীতির প্রতি ১৫৯ কোথাও বিনিপাত জানাইলেন না; তাহাদের আপত্তির, ভারতবর্কে বিপুল সামরিক ব্যয়ভার বহন করিতে হইতেছে বিয়া । একদিক দিয়া কংগ্রেসের এই আন্দোলনের তাৎগধ ছিল, কিন্তু সাম্তরাজ্যবাদকে তীহারা কোথাও ধিক্ক ত করেন নাই। সীমান্তের দেশগুলিতে কিংবা! এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে সাম্রাজ্যবাদির জঘন্ত আক্রমণগুলিকে নিন্দা! করিয়া কংগগ্রসে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নাই। নেশন কী, ন্ভাশনালইজম্‌ কী, ভারতবর্ষের জাতীয় এঁক্য বিধানে কি ইউরোপীয় “চ্যাশনালিজম্‌* (3801973811903)-এর আংঘর্শ ভারতের জাতীয় এঁত্যিহের পরিপন্থী হইবে না-_-এইসব প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথকে ক্রমাগতই আরো! গভীরভাবে বিচলিত করিতে লাগিল। এই সম্পর্কে তিনি ইউবোপীয় লেখকদের পুস্তক হাতের কাছে যাহ! মিলিল তাহাই পাঠ করিতে লাগিলেন। কিন্তু সেই সকল পুস্তক পাঠ করিয়া তিনি সন্তষ্ট হইতে পাবিলেন না। এই সম্পর্কে তিমি বঙ্গদর্শনে “নেশন কী” এবং “হিন্দুত্ব' ( বঙ্গদর্শন ১৩০৮ শ্রাবণ ) নামে দুইটি প্রবন্ধ লিখিলেন। এই প্রবন্ধে তিনি ফরাসী চিস্তাবিদ্‌ রেনণাৰ “নেশন-তত্ব' লইযা আলোচন! করিয়া! নেশনের মূল সংজ্ঞাটি খুঁজিয়া বাহিব কবিতে চাহিলেন। ইউরোপের বিভিন্ন নেশনেব মৌলিক উপাদানগুলিব পর্যালোচনা কবিতে গিয়া তিনি দেখাইলেন “**"জাতি, ভাষা, বৈষয়িক স্থার্থ, ধর্মের একা ও ভৌগোলিক সংস্থান নেশন-নামক মানস পদার্থ-কজনের মূল উপাদান নহে । তবে তাহার মূল উপাদান কী?” ইহার উত্তরে তিনি রেনার মতই উল্লেখ করিয়া বলিলেন, “নেশন একটি সজীব সৃত্তা, একটি মানস পদার্থ। ছুটি জিনিস এই পদার্থের ' অস্তঃগ্রর্ৃতি গঠিত করিয়াছে । সেই ছুটি জিনিস বস্তুত একই । তাহার মধ্যে একটি অতীতে অবস্থিত, আর একটি বর্তমানে । '**“্অতীতে সকলে মিলিয়া ত্যাগছ্ঃখ-ন্বীকার এবং পুনর্বার সেইজন্ত সকলে মিলিয়া গ্রস্ত থাকিবার ভাব হুইতে ন্দনসাধারণকে যে একটি একীভূত নিবিড় অভিব্যক্তি দান করে তাহাই নেশন ।"**তাহা আর কিছু নহে-- সাধারণ লম্মতি, সকলে মিলিয়! ঞ্লীকত্রে এক জীবন বহন করিবার স্ুম্পষ্টপরিব্যকত ইচ্ছা ৷ [ নেশন কী-_রবীন্জ-রচনাবলী : ৩য় থণ্ড | পৃঃ ৫১৮১৯] রবীন্জনাথ এই এঁক্যবোধকে শ্বাগত জানাইতেছেন, কিন্তু তাহা ইউরোপের আধুনিক 'বাষ্্রতমূলক স্তাশনাল এঁক্য” নহে। তিনি বলিলেন, “সত্যতার যে মহৎ গঠনকার্দ--বিচিজ্কে এক করিয়া! ভোলা-_হিন্ছু তাহার কী করিয়াছে দেখিতে হইবে । * এই এক করিবার শক্তি ও কারধকে ন্যাশনাল নাম টদ্ঠৎ দাও বা যেকোনে। নাম দাও, তাহাতে কিছু আসে যায় না, মাছ্ষ-বাধা লইয়াই বিষয়!» ইউরোপেন ন্তাশনাল এঁক্যের সহিত ভারতের সামাজিক এঁক্যের প্রভেদ নির্ণয়ে তিনি কতকগুলি এঁতিহাসিক তথ্য খাড়৷ করিতে চাহিলেন, “আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ায় কী ঘটিয়াছে? মুরোপীয়গণ যখন সেখানে পদার্পণ কবিল, তখন তাহার এ্রস্টান, শক্রর প্রতি প্রীতি করিবার মন্ত্রে দীক্ষিত। কিন্তু আমেরিকা-সস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদিগকে দেশ হইতে একেবারে উদ্ম.লিত না কবিয়া তাহারা ছাডে নাই--তাহাদিগকে পত্তর মতে হত্যা করিষাছে। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় যে নেশন বীধিয়াছে, তাহার মধ্যে আদিম অধিবাসীর! মিশ্ঞি। যাইতে পারে নাই। | “হিন্দুসভ্যতা যে এক অত্যা্চ্য প্রকাণ্ড সমাজ বীধিয়াছে, তাহার মধ্যে স্থান পায় নাই এমন জাত নাই। প্রাচীন একজাতীয় জাঠ ও রাজপুত , মিশ্রজাতীয় নেপালী, আসামী, রাজবংশী, ভ্রাবিডী, তৈলঙ্গী, নায়াব__সকলে আপন ভাষা, বর্ণ, ধর্ম ও আচাবের নান৷ গ্রভেদ সত্বেও স্থবিশাল হিন্দুসমাজের মধ্যে একটি বৃহৎ সামঞ্তন্ত পক্ষ! করিয়া! একত্রে বাস কবিভেছে। হিন্দুসভ্যতা এত বিচিত্র লোককে আশ্রয় দিতে গিয়া নিজেকে নানাপ্রকাবে বঞ্চিত করিয়াছে, কিন্তু তবু কাহাকেও পরিত্যাগ করে নাই-_-উচ্চ-নীচ, সবর্ণ-অসবর্ণ, সকলকেই ঘনিষ্ঠ করিয়। বীধিয়াছে, সকলকে ধর্ষেব আশ্রয দিয়াছে, সকলকে কর্তব্যপথে সংযত কবিয়! শৈথিল্য ও অধঃপতন হইতে টানিয়া রাখিয়াছে । “পরিধি ষত বৃহৎ তাহাব কেন্দ্র খু'ঁজিয়া পাওয়া ততই শক্ত। হিন্দুসমাজের এঁক্যেব ক্ষেত্র নিবতিশয় বৃহৎ, সেইজন্ত এত বিশালত্ব ও বৈচিত্র্যের মধ্যে তাহার মূল আশ্রয্টি বাহির কর! সহজ নহে ।” রবীন্দ্রনাথের এই তত্ব ও ব্যাখ্য। সম্পর্কে আধুনিক এতিহাসিকগণের মধ্যে মতইৈধতা থাকিতে পারে। সেই জাতীয় উন্মাদনার যুগে তাহার ধর্মীয় আবেগ-উচ্দ্বাস যেন অতিরিক্ত মাত্রায় ছাপাইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু একথা জনম্বীকার্ধ যে, যে-সব পাশ্চাত্য জাতি তাহাদের জাতীয়তাবাদের মহিম! প্রচার করিতে গিয়া এত দন্ত ও বডাই করে, উপনিবেশগুলিতে তাহারা সেখানকার জাতি ও গোঠীগুলির প্রতি যে অমান্থধিক নির্যাতন অপমান লাঞ্ছনা ও ত্বণার ভাব পোষণ করে, বববীন্দ্রনাথ অতি সুন্দরভাবে তাহা উদ্ঘাটন করিয়াছেন । যদিও হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজ-সভ্যতার ইতিহাসে ধর্ম বা জাতি-বিছবেষ নাই, হিন্দু বর্ণসমাজ্জে বর্ণবিদ্বেষ, সামাজিক লাঞ্ছনা, পীড়ন ও শোষগ-নিধাতন ছিল না বা নাই, একথা ১৬১ রধীজনাথ || ১১ এডিহাসিক মানিয়! লইবেন না। কল্পনায় তিনি এমন একটি আদর্শ হিন্ুসমাজের চিত্র দেশবাসীর সামনে উপস্থিত করিলেন যেখানে শোষণ, অত্যাচার, স্বপা, জাতি- বিদ্বেষ নাই, যেখানে সকলে পারম্পরিক গভীর সম্জ্রীতি, প্রেম ও ভালোবাসার নিবিড় সম্পর্কে আবন্ধ এবং মহৎ উচ্চ আদর্শে বিশ্বাসী । অক্ষ্য করিবার বিষয়--রবীন্দ্রনাথ রাজনৈতিক দিক হইতে জাতীয় এঁক্- চেতনার তাৎপর্য ও ভূমিকাটিও অস্বীকার করিতেছেন না। প্রশ্নটি তিনি স্বয়ং এইভাবে উত্থাপন করিয়া নিজেই উহার জবাব দিতেছেন, «“এ-ম্থলে আমাদের প্রশ্ন এই, আমর! প্রধানত কোন্‌ দিকে মন দিব? এঁকোর কোন্‌ আদর্শকে প্রীধান্ত দিব । দ্রাষ্ট্রনীতিক এ্রক্যচেষ্টাকে উপেক্ষা করিতে পারি না। কারণ, মিলন যত প্রকারে হয় ততই ভালো । কংগ্রেসের সভায় বাহার! উপস্থিত হইয়াছেন, তীহাদ্বা ইহা৷ অন্থুভব করিয়াছেন যে, সমস্তই যদি ব্যর্থ হয়, তথাপি মিলনই কংগ্রেসের চরম ফল।... “কিন্ত একথা আমাদিগকে বুঝিতে হইবে, আমাদের দেশে সমাজ সকলের বড়ো । অন্য দেশে নেশন নানা বিপ্রবের মধ্যে আত্মরক্ষা! করিয়া জয়ী হইয়াছে-_- আমাদের দেশে তদপেক্ষা দীর্ঘকাল সমাজ নিজেকে সকলপ্রকার সংকটের মধ্যে রক্ষা করিয়াছে। আমর! যে হাজার বৎসরের বিপ্রবে, উৎ্পীড়নে, পরাধীনতায়, অধঃপতনের শেষ সীমায় তলাইয়! যাই নাই, এখনে! ষে আমাদের নিয়শ্রেণীর মধ্যে সাধুতা ও ভত্রমগ্ডলীর মধ্যে মন্ুয্ত্বের উপকরণ রহিয়াছে, আমাদের আহারে সংযম এবং ব্যবহারে শীলতা৷ প্রকাশ পাইতেছে, এখনো যে আমর! পদে পদে ত্যাগ স্বীকার ' করিতেছি, বহুহুঃখের ধনকে সকলের সঙ্গে ভাগ করিয়া ভোগ করাই শ্রেয় বলিয়া জানিতেছি, সাহেবের বেহার! সাত টাকা বেতনের তিন টাকা পেটে খাইয়া চার টাক! বাড়ি পাঠাইতেছে, পনেরো! টাকা বেতনের মুহুরী নিজে আধমর! হুইয়! ছোটো ভাইকে কলেজে পড়াইতেছে-_সে কেবল আমাদের প্রাচীন সমাজের জোরে। এ সমাজ আমাদিগকে ্থুখকে বড়ে৷ করিয়া জানায় নাই--সকল কথাতেই, সকল কাজেই, সকল সম্পর্কেই, কেব্র কল্যা, কেবল পুণ্য এবং ধর্মের মন্ত্র কানে দিয়াছে। সেই সমাজকেই আমাদের সর্বোচ্চ আশ্রয় বলিয়৷ তাহার প্রতিই আমাদের বিশেষ করিয়। দৃষ্টিক্ষেপ কর! আবশ্তক।” গ্রাচীনের মোহ তাহাকে এতখানি পাইয়! বসিয়াছিল যে, হিঙ্ুধর্ম বা হিন্দু বর্ণ- সমাজের সামস্ততানত্রি শোষণ-আ্ত/যাচারকে তিনি একেবারেই দেখিতে পাইলেন না গরস্ধ হিনুসমাজের মধ্যে কেবল তিনি মহৎ মানবতাবোধ ও সমাজবোধকেই ১৬২ আবিষ্কার করিলেন। এই মানবতাবোধ ও সমাজবোধকে তিনি 'ব্ক্ষচেতনা” বলিয়াও অনেক সময় অভিহিত করিয়াছেন। যাহাই হউক, 'কী করিতে হইবে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলিলেন, « “*আমাদের পূর্বপুরুষের সেই নিয়ত-জাগ্রত মঙ্গলের ভাবাটিকে হৃদয়ের মধ্যে প্রাণবৎরূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া! সমাজের সর্বত্র তাহাকে প্রয়োগ করি, তবেই বিপুল হিন্দুসভ্যতাকে পুনর্বার প্রাপ্ত হইব। সমাজকে শিক্ষাদান, স্বাস্থ্দান, অন্নদান, ধনসম্পদ-দান, ইহা! আমাদের নিজের কর্ম, ইহাতেই আমাদের মঙ্গল "'স্বার্থের আদর্শকেই মানবসমাজের কেন্ত্রস্থলে না স্থাপন করিয়া, ব্রন্ষের মধ্যে মানবসমাঁজকে নিরীক্ষণ করা ইহাই হিন্দুত্ব। সমাজের নিচে হইতে উপর পর্যস্ত সকলকে একটি বৃহৎ নিরন্থার্থ কল্যাণবন্ধনে বাধা, ইহাই আমাদের সকল চেষ্টার অপেক্ষা বডে। চেষ্টার বিষয়। এই এক্যন্থত্রেই হিন্দুসম্প্রদায়ের একের সহিত অন্যের এবং বর্তমানের সহিত অতীতের ধর্ম যোগ সাধন করিতে হইবে ।” [হিন্দু ( ভারতবর্ষায় সমাজ )--রবীন্দ্র-রচনাবলী ঃ তৃতীয় খণ্ড ॥ পৃঃ ৫১৫-২৫ ] এই প্রবন্ধের প্রায় দুই মাস পরে বঙ্গদর্শনে “বিরোধমূলক আদর্শ নামক প্রবন্ধটি লিখিলেন ( বঙ্গার্শন, ১৩০৮ আশ্বিন )। এই প্রবন্ধাটর মধ্যে তিনি ইউরোপীয় 'ন্যাশনালিজম্‌* ও 'প্যাটি যটিজম্*কে খুব গভীরভাবে বুঝিবার চেষ্টা করিয়াছেন, লক্ষ্য করা খায় “কন্টেম্পোবারি রিভি পত্রিকায় জনৈক ওগুস্‌ৎ ব্রেয়াল, ইংরাজ ও ফরাসীদের মধ্যে আজন্ম শক্রতা ও জাতিবিদ্বেষের কথা উল্লেখ করিতে গিয়া গভীর আক্ষেপ করিয়! মন্তব্য করিয়াছিলেন, 'সুরোপ কি ইচ্ছা করিয়া বিধিমতে বর্বরভায় ফিরিয়া ধাইবে |, রবীন্দ্রনাথ এই সময় বিভিন্ন ইউরোপীয় পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির পরজাতিবিছেষের খবরাখবর বাখিতেছিলেন। এ প্রবন্ধে তিনি তাহার উপর মন্তব্য করিতে গিয়! বলিলেন, "সুরোপের বিদ্ভালয়ে যে ইতিহাস শিক্ষা! দেওয়া হয় তাহাতত অন্ত দেশের প্রতি বিরোধ প্রকাশ করিয়া নিজেদের দেশের গৌরব ঘোষণা কর! হয়। প্যাটি মটিক ভাবেব প্রতি লক্ষ্য করিয়! ছেলেদিগকে অন্ত দেশের সহিত স্বদেশের সাবেক কালের ঝগড়ার কথা ম্মরণ নরাইয়া৷ ভবিধ্যৎ পর্যস্ত সেই বিরোধ টানিয়া রাখা হয়।' “আজকাল ছুই পয়সা দিলেই খবরের কাগজে পড়িতে পাওয়া যায় যে, ধাতৃগত বিরোধের ভাব, অনিবাধ পার্থক্য এবং জাতিগত বিদ্বেষে পরম্পরের বংশাহ্থক্রমিক শক্রজাতির সহিত, আজ হউক বা কাল হউক, একট! সংঘর্ষ হইবেই। তাহাদের ১৬৩ মতে মাছযের প্রবলতম প্রবৃত্তি এবং স্তাযধর্মের উচ্চতম নীতিসকল ছুই জাতিকে ছুই বিপরীত দিকে ঠেলিয়৷ লইয়া গেছে। তাহার! বলে, নেশনদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের আশ। বাতুলের খেয়ালমাতর। ইত্াদি। “এই-সকল বিয়োধ-বিছেষের বাক্য লক্ষ লক্ষ খণ্ড ছাপা হুইয়৷ দেশে-বিদেশে বিতরিত হইতেছে। এই প্রাত্যহিক বিষের মাত্রা! নিয়মমতো পান করিয়া দেশের ক্ষতি হইতেছে সন্দেহ নাই ।» এই প্রসঙ্গে রবীজ্্নাথ ভারতবর্ষায়দের তথা প্রাচ্যদেশীয়দের প্রতি ইংরাজদের জাতিবিদ্বেষ ও নির্যাতনের কথাও পুনরুল্পেখ করিতে ছাড়িলেন না । এইসব তথ্য ও ঘটনাবলী হইতে ন্তাশানালিজম সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ক্রমশই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইভেছেন যে, “.**মিথ্যার দ্বারাই হউক, ভ্রমের দ্বারাই হউক, নিজেরে কাছে নিজেকে বড়ো করিয়া প্রমাণ করিতেই হইবে এবং সেই উপলক্ষে অন্য নেশনকে ক্ষুত্র করিতে হইবে, ইহা নেশনের ধর্ম, ইহা! প্যাটি যটিজমের প্রধান অবলম্বন । গায়ের জোর, ঠেলাঠেলি, অন্তায ও সর্বপ্রকার মিথ্যাচারের হাত হইতে নেশনতন্রকে উপরে তুলিতে পারে, এমন সভ্যতার নিদর্শন তো৷ আমর! এখনো যুরোপে দেখিতে পাই ল]। “***স্বার্থের বিরোধ অবশ্থস্ভাবী এবং স্বার্থের সংঘাতে মানুষকে অন্ধ করিবেই। ইংরেজ যদি ুদূর এশিয়ায় কোনো প্রকার স্থযোগ ঘটাইতে পারে ফ্রান্স তখনই সচকিত হইয়া! ভাবিতে থাকিবে, ইংরেজের বলবৃদ্ধি হইতেছে । প্রত্যক্ষ সংঘাত না হইলেও পরম্পরের সম্ৃদ্ধিতেও পরম্পরের চিত্বকে বিষাক্ত করে। এক নেশনের প্রবলত্ব অন্ত নেশনের পক্ষে সর্বদাই আশঙ্কাজনক | এস্থলে বিরোধ বিছেষ ' অন্ধত গমিথাপবাদ সত্যগোপন, এসমস্ত ন! ঘটিয়া থাকিতে পারে না।” স্পষ্টই লক্ষ্য কর! যাইতেছে, _ন্তাশনালিজম সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ পূর্বাপেক্ষা অধিকতর সচেতন হইন্ছেন। '্তাশনাল স্বার্থ ও 'রাই্রীয় ম্বার্খ যে এশিয়া- আফ্রিকায় উপনিবেশ বিস্তারের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু নহে, এবং এই স্বার্থের অবশ্স্ভাবী পরিণতি যে বিরোধ-সংঘর্ষ, ইহাও তিনি লক্ষ্য করিতেছেন । এই স্যশনাল স্বার্থ যে সভ্যতা, ধর্মহোধ ও ন্তায়নীতিকে চক্ষের নিমেষে পদদলিত করিতে এটুকু সংকোচি বা ঘ্িধা বোধ করে না, রবীন্দ্রনাথ ভাহাও লক্ষ্য করিতেছেন। এহেন দ্ভাশনালিজম কখনই ভারতবর্ষের জাতি-গঠনের আদর্শ হইতে পারে না, ইছাই কবির মত। তাই তিনি দেশবাসীকে এই বলিয়া সতর্ক করিয়া দিলেন, «নেশন অনেক সমুয় ধর্মকে উপেক্ষা ও উপহাস কয়া! আবন্তক বলিয়া জান করে, যাছুবলকে ভায়ধর্ষের অপেক্ষা বড়ে। বলিয়! স্পষ্টতই ঘোষণা করে ।:*, ১৬৪ “আমর! যদি বাধিবোলে ন! ভুলি, যদি 'প্যাটি যট'কেই সর্বোচ্চ বলিয়া! না মনে করি, যদি সত্যকে ন্ায়কে ধর্মকে স্তাশনালত্বের অপেক্ষাও বড়ে! বলিয়া জানি, তবে আমাদের ভাবিবাঁর বিষয় বিস্তর আছে। আমরা নিরুষ্ট আদর্শের আকর্ষণে কপটত। প্রবঞ্চনা ও অসত্যের পথে পা বাড়াইয়াছি কিনা, তাহ! চিন্ত। করিয়। দেখিতে হইবে । এবং ধর্মের দিকে ন|! তাকাইলেও স্ুবুদ্ধির হিসাব হইতে একথা পর্যালোচনা করিতে হইবে ষে, স্তাশনাল স্বার্থের আদর্শকে খাড়। করিলেই বিরোধের আদর্শকে খাড়া কর! হয়_-সেই আদর লইয়া আমরা কি কোনো কালে যুরোপের মহাকায় স্বার্থদানবের সহিত লড়াই করিয়া! উঠিতে পারিব ? “আমরা লড়াই করিতে পারি জ্ঞানে, ধর্মে। সেখানে আমাদের পৈতৃক মূলধন আন্ভে। সেখানে কেহ আমাদিগকে ঠেকাইবে না. 'সেখানে যে মহত্বের উপাদান আছে, তাহা সকল মহত্বের উচ্চে।” আমাদের জাতীয় সাধনার সেই প্রথম পর্বে ইউরোপীয় স্তাশনালিজম সম্পর্কে এইব্প সতর্কবাণী আর কাহাকেও করিতে দেখ! গেল না । যদিও রবীন্দ্রনাথ এই সময়ে ধর্ম ও স্তায়নীতিতে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন, তবু সেইসঙ্গে ইহাও স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, ধর্ম” বলিতে তিনি এখানে সভ্যসমাজসমূহের প্রচলিত স্ঠায়- নীতিগুলির কথাই বুঝাইতেছেন। সেই সঙ্গে ইহাও লক্ষণীয় যে, এই ধর্মবোধের সহিত তিনি তখন হইতেই «বিশ্ব নেশনত্বে'র কথাটিও অন্পষ্টভাবে চিন্তা করিতেছেন, “***স্বার্থের আদর্শ, বিরোধের আদর্শ যতই দৃঢ়, ফতই উচ্চ, যতই রন্বহীন হইয়া ধর্মের গতিকে বাধা দিতে থাকে, ততই তাহার বিনাশ আসন হইয়া আসে । সুরোপের নেশনতন্ত্রে এই স্বার্থ বিরোধ ও বিছেষের প্রাচীর প্রতিদিনই কঠিন ও উন্নত হইয়া! উঠিতেছে। নেশনের মূল গ্রবাহকে অতি-নেশনত্বের দিকে যাইতে ন! দিয়া, নিজের মধ্যেই তাহাকে বদ্ধ করিবার চেষ্টা প্রত্যহ প্রবল হইতেছে। আগে আমর! নেশন, তারপরে বাকি আর-সমস্ত কিছু, এই স্পর্ধা সমস্ত বিশ্ব- বিধানের প্রতি ভ্রকুটিকুটিল কটাক্ষ নিক্ষেপ করিতেছে । তাহার প্রলয়পরিণাম যদি-বা বিলম্থে আসে, তথাপি তাহ! যে কিরূপ নিঃসন্দেহ, কিরূপ সুনিশ্চিত, তাহ। আর্ধখষি দৃকষ্ঠে বলিয়া! গিয়াছেন-_ অধর্ষেপৈধতে তাবৎ ততো ভত্্রাণি পশ্ততি। ততঃ সপদ্বান্‌ জন্বতি সমূলস্ত বিনস্ততি ॥ “এই ধর্মবাধী সকল দেশের সকল কালের চিরন্তন সত্য, ভাশনালত্ের মূলমন্ত্র ইহার নিকট কুঞ্জ ও ক্ষণিক। নেশন শব্ধ অর্থ যখন লোকে তূলিয়! যাইবে ১৬৫ তখনও এ সত্য অক্লান রহিবে এবং খবি-উচ্চারিত এই বাক্য স্পর্ধামদমত্ত মানবসমাজের উধ্বে বজ্জমন্ত্রে আপন অনুশাসন প্রচার করিতে থাকিবে ।” [ বিরোধমূলক আদর্শ--রবীন্তর-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৯২-৯৬ ] রবীন্রনাথ তাহার সহজ ধর্ম-ও নীতিনিষ্ঠ! হইতে ন্তাশনালিজমেয প্রতি বিনিপাত জানাইতেছেন। আবার সেই সঙ্গে ইহাও লক্ষণীয় যে, রবীন্দ্রনাথ এই সময্ন আধুনিক যুগসমন্তার সমাধানে প্রাচীন আর্ধ খাধিদের নীতিকথ| ও ধর্মোপদেশগুলির এক নৃতন তাৎপর্য ও ব্যাখ্য/ আবিষ্কার করিলেন। সেই সময় প্রায় এই" একই দৃষ্টিভঙ্গিতে ইউরোপের স্তাশনালিজমের তীব্র নিন্দাবাদ করিতেছিলেন একজন প্রবলপ্রাণ ধর্মীয় নেতা । তিনি স্বামী বিবেকানন্দ । তিনি বলিলেন, “তুমি ইউরোগী, কোন্‌ দেশকে কবে ভালো করেছ? অপেক্ষাকৃত অবনত জাতিকে তোলবার তোমার শক্তি কোথায়? যেখানে ছুর্বল জাতি পেয়েছ, তাদের সমূলে উৎপাটন করেছ, তাদের জমিতে তোমরা বাস করছ, ভারা একেবারে বিনষ্ট হয়ে গেছে। তোমাদের আমেরিকার ইতিহাস কি? তোমাদের অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যাণ্ড, প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ, তোমাদের আফ্রিকা ? “কোথা সে সকল বুনে! জাত আজ? একবারে নিপাত, বন্য পশুবৎ তাদের তোমর! মেরে ফেলেছ।'.' “আর ভারতবর্ষ ত৷ কন্মিনকালেও করেন নি। আধরা অতি দয়াল ছিলেন। তাদের অখণ্ড সমুদ্রবৎ বিশাল হ্বদয়ে, অমানব-প্রতিভাসম্পন্ন মাথায়, ওসব আপাত-রমণীয় পাশবগ্রণালী কোনও কালেও স্থান পায় নি। স্বদেশী আহাম্মক! যদি আর্ধর! বুনোদের মেরে ধরে বাস করত, তাহলে এ বর্ণাশ্রমের হৃঙি কিহত? “ইউরোপের উদ্দেস্ট- সকলকে নাশ কোরে, আমর! বেঁচে থাকবো। আর্যদের উদ্দেন্ত-_-সকলকে আমাদের সমান করবো, আমাদের চেয়ে বড়ো করবে! । ইউরোপের সভ্যতার উপায়--তলওয়ার ; আর্ধের উপায় বর্ণ-বিভাগ । শিক্ষা সভ্যতার তারতম্যে, সভ্যতা শেখবার সোপান বর্ণ-বিভাগ ।-*"* [ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ॥ পৃঃ ১১*-১১ ] লক্ষ্য করিবার বিষয়, প্রাচা ও পাশ্চাত্য সভ্যতার তুলনামূলক সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গিতে রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দ উভয়েরই একটি মূলগত এঁক্য রহিয়াছে। উ্য়েই পাশ্চত্য সভ্যতার সাত্রাজ্যলোলুপত! ও পরজাতিবিদেষকে নিন্দাবা কৃরিতেছেন, উভয়েই হিন্দুসমাজের বর্ণারম্ধর্ষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ । অবস্ত 2%% অল্নকালের মধ্যেই বর্ণসমাজ সম্পর্কে বিবেকানন্দের মোহ দূর হয়; শেব-জীবনে তিনি সার! পৃথিবীব্যাপী 'শৃত্রেরাজত্বে'র পরধ্বনি শুনিতেছের দেখিতে পাই। রবীন্দ্রনাথ বঙ্গার্শনে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যত৷ বিষয়ক প্রবদ্ধগুলি লিখিবার অল্পকাল পূর্বেই বিবেকানন্দ উদ্বোধন” পত্রিকায় (প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রবন্ধটি লিখিয়াছিলেন। শুনা যায়, বিবেকানন্দের এই প্রবন্ধটি পড়িয়। রবীন্্নাথ অতান্ত যুদ্ধ হইয়াছিলেন। এই প্রসঙজে ডঃ ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত তাহার ১8108 ড1ড৫191)1)08--7812106 & 7:0১ পুস্তিকায় কুমুদবন্ধু সেনের একটি লেখার অংশবিশেষ উদ্ভৃত করিয়া দিয়াছেন । তিনি লিখিতেছেন, 005 8150 আ150 £8৬৩ 0:0061 80191665890590 6০ 2 (প্রাচ্য ও পাশ্ক্ত্য- লেখক ) ৪৪ 81500)61 19675010. 'ভ20) 108101014 (9161068, চত০ আও 2০০96 1২810215028198012£01:5 11005612 16£819£0£ 16 511 80000102150150 5620 883৪8 00০ 0110 £06 1 006 0960০901081) 00161 )001166 10010961 : 4৯ 11605 866 005 09911580101 01 *7001/7022780%9 ঠা) 067 5500150 861168 (68060 ৮5 13201750191996) 1880:6 )১ 0102 1915 1২21 391589050 10175691) (10815015 96128 81006 0106 6561011)8 ৪৫ 8 0,০10015 00 636 ভা 2150 250050 102 006 ০০০ 1৮26782 0 17586708610. ০ 5,১86 2105৩150220) 0336 502031786 11010 ২৪180 €০ 5০৪, 10৫85, 120180 ৪৪ 018158076 01)85 00০0 0158010- 5815, 775 জাওও 801100850 ৮০ 15681 [086 1 ৫10 1706 2696৫ 80 [75 88109 5০00 £0 ৪ 0206 81)0 158 0048 9000 04 15615 81781705. [ন০জ ০০110903191 9610£8166 ০81) 29681 8৪ ৪, 1151)6 9156 10:০6] 187085986 0086 9০ আ1]] 15511269601 1659008105৩ 10683, 8001) 1817608£6) 81001181715 5001) 161608208 11061581 18500) 8170 0156 10681 ০6 8510006515 ০০৪৪1) 006 856 82৫ 086 ৬655 0086 0013 ০০০ 50196811818 1100185108 0০ ০0126. 869068 0015 106 06821) 0০ 012155 006 ০০০ 130130264-1010. [009810198100 08116 006 ০০01 ভা6100 ৪আ৪+ ”" [| ১৬৪01 15608020098, 21১. 293-94 ] ॥ শান্তিনিকেতন ত্রক্ষাবিভালয় ॥ ১৩৮ সালের আশ্বিন মাস নাগাদ রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শান্তিনিকেতনে আসিবেন। এ বৎসরই “পৌধ-উৎসবে'র সময় শান্তিনিকেতন ব্রদ্ষচর্যারমের উদ্বোধন হয় ( ১৩৯৮ ৮ই পৌষ | ১৯০১ ২২শে ডিসেম্বর )। রবীন্নাথ তখন প্রাচীন বৈদিক ভারতের পুনরভ্াখানের স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। ইতিপূর্বে 'বন্গদর্শনে'র পূর্বাপর প্রীবন্বগুলির আলোচনাকালে আমর! কবির এই সময়কার চিস্তাধারার একটি বিস্তারিত পরিচয় পাইয়াছি। পশ্চাত্য দেশগুলির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উপর তীব্র সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ফলে কবি ক্রমশই ধর্ম ও স্তায়নীতিকে প্রবলভাবে আঁকডাইয়! ধরিতে চাহিলেন। সেইসঙ্গে স্বাদ্দেশিকতাকে তিনি ধর্ম ও ন্তায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিলেন। শান্তিনিকেতন ্রন্ধচর্ধাশ্রমের মধ্য দিয়া তিনি কিছু নিঃস্বার্থ আদর্শ চরিত্রের মানুষ স্যা্টী করিবার পরিকল্পনা করিতেছিলেন। কবি সেই সময় তাহার পরিকল্পনার কথা জানাইয়া বিলাতে জগদীশচন্ত্রকে লিখিতেছেন, "তুমি এখানে . কখনো আস নাই। জায়গাটি বডে৷ রমণীয়-".কলিকাতায় আবর্তের মধ্যে আমার আর কিছুতেই ফিরিতে ইচ্ছা করে ন|। : পূর্বেই লিখিয়াছি এখানে গ্াকটি বোর্ডিং-বিস্তালয় স্থাপনের আয়োজন করিয়াছি। পৌষ-মাস হইতে খোল! হইবে। গুটিদশেক ছেলেকে আমাদের ভারতবর্ষের দির্মল শুচি আদর্শে মানুষ করিবার চেষ্টায় আছি।” [ প্রবাসী, ১৩৪৫ বৈশাখ ] কিছুকাল পূর্বেই তিনি আর একটি চিঠিতে জগদীশচন্দ্রকে লিখিয়াছিলেন, "শান্তিনিকেতনে আমি একটি বি্যালয় খুলিবার জন্য চেষ্টা করিতেছি। সেখানে ঠিক গ্রাচীনকালের গুহ বাসের মতে! সমস্ত নিয়ম । বিলাদিতার নাম- গন্ধ থাকিবে না-ধনী-দরিভ্র সকলেই কঠিন ব্র্দচর্ধ না শিখিলে আমর! প্রত হিচ্ছু হইতে পারিব না। অসংযত প্রকৃতি ও বিলাসিভায় আমাদিগকে অষট ফরিতেছে-স্দারিজ্যকে সহজে গ্রহণ করিতে পারিতেছি না বলিয়াই সকল প্রকার ঠৈন্তে আমাদিগকে পরাভূত করিতেছে” [ প্রবাসী, ১৩৩৪ চৈত্র ] ১৩০৮ সালের পৌষ-উৎসবের সময় অচধাশ্রমের আছ্ষ্ঠটানিকভাবে উদ্বোধন ১৬৮ হইল। উহাত্ব কয়েকমাস পরে (১৩*৮ ২৮শে টৈত্র) ভ্রিপুরার মহারাজকুমার ব্রজেন্রকিশোর দেবমাণিক্যকে লিখিতেছেন, “আমি ভারতবর্ধীয় ব্রদ্ধচর্ধের প্রাচীন আদর্শে আমার ছাত্রদিগকে নির্জনে নিরুদ্ধেগে পবিত্র নির্ধলভাবে মানুষ করিয়া তুলিতে চাই--তাহাদিগকে সর্বপ্রকার বিলাতী বিলাস ও বিলাতের অন্ধ মোহ হইতে দূরে রাখিয়া ভারতবধের গ্লানিহীন পবিত্র দারিত্র্যে দীক্ষিত করিতে চাই। তুমিও বাহিরে না হউক, অন্তরে সেই দীক্ষা গ্রহণ কর। মনে দৃঢরূপে জান যে, দারিক্র্যে অপমান নাই, কৌপিনেও লজ্জা নাই, চৌকি টেবিল প্রভৃতি আসবাবের অভাবে লেশমাত্র অসভ্যতা নাই। যাহার ধনসম্পদ বাণিজ্য ব্যবসায় আসবাব আয়োজনের প্রাচুর্য সভ্যতার লক্গণ বলিক্কা প্রচার করে তাহার! বর্বরতাকেই সভ্যতা বলিয়া স্পর্য৷ করে। শস্তিতে সমন্ভোষে মঙ্গলে ক্ষমায় জ্ঞানে ধ্যানেই সভ্যতা , সহিষু। হইয়া, সংযত হ্ইয়া, পৃবিত্র হইয়া, আপনার মধ্যে আপনি সমাহিত হুইয়া বাহিরের সমঘ্ত কলরব ও আকর্ষণকে তুচ্ছ করিয়া দিয়া! পরিপূর্ণ শ্রদ্ধার সহিত একাগ্র সাধনার দ্বারা পৃথিবীর মধ্ো প্রাচীনতম দেশের সন্তান হইতে প্রথমতম সভ্যতার অধিকারী হইতে পরমতম বনদ্ধনমুক্তির আম্বাদ লাভ করিতে প্রস্তত হও ।." বিদেশী ম্েচ্ছতাকে বরণ করা অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়, ইহা হৃদয়ে গীঁথিয়া রাখিয়ো । ্ৰধর্মে নিধনং শ্রেয়: পর ধর্মো গয়াবহ |” [ প্রবাসী, ১৩৪৮ আশ্বিন ] উহার দিন দশ পরে (১৩০৯ ৭ই বৈশাখ) অপর একখানি পত্রে তিনি লিখিতেছেন যথার্থ ব্রান্ষণ ও ক্ষত্রিয় সমাজের অভাব হইয়াছে-_ছূর্গাতিতে আক্রান্ত হয়৷ আমর! সকলে মিলিয়াই শূদ্র হয়! পড়িযাছি।.*.আমি ব্রাহ্মণ আদর্শকে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করিবার সংকল্প হৃদয়ে লইয়া যথাসাধ্য চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়াছি। তুমি ক্ষত্রিয় আদর্শকে নিজের মধ্যে অনুভব করিয়া সেই আদর্শকে ক্ষত্রিষ সমাজে প্রচার করিবার সংকল্প হৃদয়ে পোষণ করিয়ো। ব্রাহ্মণের শাস্ত সমাহিত সাত্বিক ভাবকে তোমার বরণ করিলে চলিবে ন|। ক্ষাজতেজ ক্ষাত্রবীর্য না থাকিলে ব্রাহ্মণের প্রতিষ্ঠা কোথায়! সমাজে ধর্ষের উচ্চতম আদর্শকে সর্ঘপ্রকার অত্যাচার ও বিশ্ন হইতে স্থ্রক্ষিত করিয়া আশ্রয় দিবার জন্যই ক্ষাত্রতেজের মাহাত্ম্য | ".” রবীন্দ্রনাথের ধর্ষচেতন। প্রবল হুইয়! উঠিলেও--হাজ্ার হউক তিনি কবি। প্রাচীন যুগকে তিনি বার্থ এতিহাসিক দু্তে ন! দেখিয়া কালিদাস-ভবভূতি- প্রমুখ সংস্কৃত কবিদের কল্পনার দুটিতে দেখিতেছিলেন। শান্তিনিকেতন ১৬৪ বর্ষচর্যাজমকেও তিনি একটি আমর্শ তগোবনে ফপায়ণের স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। “তপোবন* কবিতাটির মধ্যে কল্পনায় যে তপোবনের চিত্র আকিয়াছিলেন, ( ১৯শে চৈত্র ১৩০২ ) “মনশ্চক্ষে হেরি যবে ভারত প্রাচীন-_ পুরব পশ্চিম হতে উত্তর দক্ষিণ মহারণ্য দেখা দেয় মহাচ্ছায়া লয়ে। রাজ রাজ্া-অভিমান রাখি লোকালয়ে অশ্বরথ দুরে বাধি যায় নতশিরে গুরুর মন্ত্রণ৷ লাগি- ল্লোতশ্থিনীতীরে মহর্ষি বসিয়া যোগাসনে, শি্তগণ বিরলে তনুর তলে করে অধ্যয়ন প্রশান্ত প্রভাত বায়ে, খধিকন্তাদলে পেলব যৌবন বীধি পরুষ বন্ধলে আলবালে করিতেছে সলিল সেচন। প্রবেশিছে বনঘ্বারে ত্যজি সিংহাসন মুকুটবিহীন রাজা, পক কেশজালে, ত্যাগের মহিমাজ্যোতি লষে শাস্ত ভালে ।” সেইরূপ তপোবনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির স্বাদেশিক প্রস্তুতির উদ্দেশ্ত কতখানি সাধিত হইবে কবি তাহা চিন্তা করেন নাই । লক্ষ্য করিবার বিষয়” _ কবিতাটিতে ধর্ম-সাধন অপেক্ষা-কবি-কল্পনাই মুখ্যভাব গ্রহণ করিয়াছে । বিষ্যালয় গরিচালন ব্যাপারেও কবির কোনো! বাস্তব অভিজত! ছিল না । এই কার্ধে তাহার প্রধান সহায় হইলেন ব্রদ্ধবান্ধব উপাধ্যায় । রবীন্দ্রনাথের মত তিনিও তখন আদর্শ হিশ্লুভারত গড়িয়! তুলিবার স্বপ্র দেখিতেছিলেন। তিনিও ছিলেন হিন্দু বর্াশ্রম ধর্মের একজন উগ্র পৃষ্ঠপোষক । রবীজনাথ ও ক্রক্ষবান্ধব যখন ব্রদ্ধচর্ধাশ্রমের মাধ্যমে দেশে কিছু আদর্শ চরিত্রের মানুষ হি করিবার পরিকল্পনা! করিতেছিলেন, ভারতের অন্ততম শ্রেষ্ঠ ধর্ষনেতা শ্বামী বিবেকানন্দ তখন পদচারী সঙ্্যাসীদের সংঘবদ্ধ করিয় ব্যাপক জনশিক্ষার কাজে তাহাদের নিয়োজিত করিবার স্বপ্ন দেখিতেছিলেন ৷ আমেরিকা হইতে ফিরিয়! আসিয়াই তিনি একটি ব্রদ্ধচর্যাশ্রম ও লংগঠনের প্রয়োজন অনুভব বরিয়াছিলেন। বিস্ত তাহা ভপোবন নহে । তিনি বলিলেন---“ড08 [09 806 65 ৪ 28:20 0£ 9617 008588010081168.% ১৯৪ তাহার ফলে “বেলুড় রামরু মিশনের স্থা্ট ৷ পরবর্তী কালে পুনরায় ইউরোপ ভ্রমণের ফলে বিবেকানন্দের দুিভজি ক্রমশই প্রগতির পথে অগ্রসর হুইয়াছে। সার! ভারত পরিভ্রমণের সময় দেশের জনগণের ছূঃখকষ্ট দেখিয়। ঠিনি বিচলিত হুইয়াছিলেন। তিনি দেখিয়াছিলেন, ব্রাহ্মণ ও বর্ণহিন্দুদের নির্যাতনের ফলে দেশের “শৃদ্র' সম্প্রদায়গুলি অহরহ কিভাবে অত্যাচারিত হইতেছে ফলে ব্পীশ্রম ধর্মের সকল মোহ তাহার ভাঙিয়া যায়। মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে তিনি এই নির্যাতিত জনগণের কথাই কেবল চিন্তা করিতেন। তাহার পরিকল্পনাটি ছিল, “টড 01818 160: [00/9, 25 10 1383 10661 46৬6196৫৪0৫ ০6715811560, 18 0069: [10856 001 500 06 01 15568 85 2001019 00616) ০ ০ &০ 1০০৪ ৫০০: ৫0 0001, 9০ 0986 26118101) 19 0:9580৮ 0০ €৬15০০৫5 10000 0108189, 63০60 06101)875, & 0০67 715০5 01 ১1680. 10090 75 105 5০০ 866 006 10650 ০৫ 06 10 10 [15089 1)010174 0106 20050 63581060 15118805 80699. ঢু 15 8 018001581 আ৪06 06 10611600551 60000801020 ৪৮০০০ 1165 02 0089 6800 0565 8096: £:0100....71065 10080 17855 & ০6666 05০5 ০01 01584 290 ৪ ০2৮6: 01656 01 298 00) 0061 9০168, 7106 £:680 08650101) 13, 190৬ 00 €6: 1080 ০666: 05065802124 06066172588 102 00555 50150560, 011189105... 77062 22509705 1065625 15 0০ 01010£19..7065 106561 100616615 100 00616118107) ০0: 00068... 800 0080 15 1506 006 588০ 278 10019, আ)515 006 0০০01: 16110আ8 020 10810 £200 10021038178 0০ 8028560 100 50706-০৫5 61562 08065 006 7:58 ০৪০ 01 0061 1081005, 2150 056 ০13110161) 6০ 1000815...176 11568 8১02 006 0০001:656 ০000) ভা0$01) 106 08310 1706 656 6০ ০0৫ ০8188: 01:05. ৩জ 05616 75150 1658502 0 006 800010 ৪৩০৩1 83019 6890:685.,,৬/61] 015610১ 205 01805 816১ 015616606, 00 25801 00686 2085868 0% [0018. 901990996 5০০ 808: ৪01১0০]8 ৪1 ০067 118018 0: 006 00০01, 801) 5০০ 08101500 6000806 03600. ন০জআ ০৪2 5০৮1? 1006 ৮০5৪ 02001 56818 ০010 760021 £০0 6০ 006 21008 0: 0০ 92], 0080 00 5০0৫ 800001....৬115 8150010 230 60008802 8০9 400 ৫০০: 0০0 ৫0029 895 ]. ]£ ৪ 0100890081+8 005 08015006005 €0 60100800199 ভা 1006 10666 0800 ৪৮ 096 7910080, ৪6 056 28০6০, 0036 18616561105 0৪? 0০ 81016 জ200 1010, 1106 1213 80800, 7306 00676 ৪7৩ 05656 ১৭১ 105000:509 800 090818805 0£ 2002)05, €3058008 0116 7০016 0 195 8111098] 1215176 1 সা) 1500 166 08655 1067) ৫০ 006 58086 ০৫ 02 0106 40661160098] 21856 ? ৮5 80০10 056৩ 000 21 00 006 1088868 & 11:06 ৪০০৪৮ 1১1960:5---819০06 2080 021085,,. ৬৬61], 00050 61] 590 038৫ | 220 1006 ৪ 561 £:6৪ট 06185561 ছা। 10010088010 858065108, 11565 10855 8580 10615, 800 8150 1586 066008৬1108 1 2068 6০0 5৪ 15 0055) 058 1৫ 16016861568 ৪ (65006150008 0০61, 71086 ৬ 0819 ৫০ 15 1080 00 00819860100 18155 1৮ 80002610010. 0013 06106180005 ১০6? 17 606 19815080005 10516 92100851158 ০01 [17055 19858 ৪০৫ €০ ০৩ (51960206680 16 আ1]| 28195 0156 1085568 ০? [ ড/০:88: ৬০1. ড্]]]. 9০. 85 90] ইহাও এক ধরনের স্বপ্ন-_বিক্ষুন্, অশান্ত এক সন্ন্যাসীব মহান স্বপ্ন ও পরিকল্পনা ; বাস্তব অবস্থায় ইহা কার্ধকরী হইবার কিছুমাত্র সম্ভাবনা! ছিল না। তবুও বিবেকানন্দ ভারতের অগণিত ক্ষুধার্ত নিপীডিত জনগণকে দেখিতে পাইতেছিলেন। তিনি ভারতের জনগণের মধ্যে এক “5166179156 16518018195 দেখিতে পাইলেন, ইহাদের জন্তই ব্যাপক জন-শিক্ষার কথ! বলিলেন। তিনি এমন কথাও ঘোষণা করিলেন, 7১০১0080679] 01511125010) 1895, ৬৬০, 1005) 25 26০68৪গ0 00 ৩6৪6৩ আ০01]: 00: 0১৩ 0০07, 31680 1 31680 1 [40 006 ০৩- 11655 10 ৪ 030৫ "20 58191500 8156 206 01680 13615, 15108 206 66610381 01158 10) 19685€10 | 0901 [ 11)088. 25 ৮০ ০০ 181860, ০৩ 9০০:/815 0০ 9৪ 16৫) 500581502 19 0০ 891650, ৪900 096 651] 06 01258007866 8 6০ ৮5 15090560., 3০ 22650515816, 100 5০0৫191 (52900 1] 70015 01680, 10016 00010105001 555- ০০৫5 1” [ ভ)9:85 5 ৬০1, [ড. 2. 313 ] এই চিন্তাধারার সহিত রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারার যে বিরাট একটি পার্থক্য আছে--তাহা নহে। রবীন্্রনাথও ব্যাপক জনশিক্ষার কথ! চিন্তা করিয়াছেন । ভিনিও বলিয়া আসিতেছেন, “অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বানু; চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্ল পরমায়ু, সাহস বিস্তৃত বক্ষপট ।” সাধন! ও ড়ারতীতে কবি দেশের জনসাধারণের বিডির সমস্কা। সম্পর্কে যে সব রাজনৈতিক প্রবন্ধ নির্িয়াছিলেন, সেগুলি সন্ধে ইতিপূর্বেই আমর! আলোচনা ১৭৭ করিয়াছি । সেই সকল প্রবন্ধে কবির যে চিন্তাধার! প্রকাশ পাইয়াছে, তাহার পাশাপাশি ব্রদ্ষচর্যাতরমের সুচনাকালে কবির এই ধর্মভাব ও উগ্র হিন্দুয়ানি উৎকটভাবে চোখে লাগে । ১৩০৯ সালে নববর্ষের দিন শান্তিনিকেতন আশ্রমে রবীন্দ্রনাথ তাহার বিখ্যাত 'নববর্ধ' প্রবন্ধটি পাঠ করিলেন। এই দীর্ঘ প্রবন্কটিতে তিনি পুনরায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির তুলনামূলক সমালোচন! করিয়া দেশকে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিতে ফিরিয়! যাইবার আহ্বান জানাইলেন। তিনি বলিলেন, “আজি নববর্ষে এই শুন্য প্রান্তরের মধ্যে ভারতবর্ষের আর একটি ভাব আমরা হ্বদয়ের মধ্যে গ্রহণ করিব । তাহা ভাবতের একাকিত্ব । এই একাকিত্বের অধিকার বৃহৎ অধিকার ।..*পিতামহগণ এই একাকিত্ব ভারতবর্ষকে দান করিয়া গেছেন। মহাভারত রামায়ণের ন্যায় ইহা আমাদেব জাতীয় সম্পন্তি 1” ইউরোপীষ ও ভারতীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করিতে গিয়৷ বলিলেন, *ুরোপ ভোগে একাকী, কর্ষে দলবদ্ধ । ভারতবর্ষ তাহার বিপরীত। ভারতবর্ষ ভাগ করিয়া ভোগ করে, কর্ম করে একাকী । ফুরোপের ধন-সম্পদ, আরাম-সথখ নিজের -কিস্ত তাহার দান-খ্যান দ্কুল-কলেজ, ধর্মচর্চ, বাণিজ্য-ব্যবসায়, সমস্ত দল বীধিযা। আমাদের সুখ সম্পত্তি একলার নহে,আমাদের দান ধ্যান অধ্যাপন, আমাদের কর্তব্য একলার “এই ভাবটাকে চেষ্টা করিয়া নষ্ট করিতে হইবে, এমন গ্রতিজ্ঞা করা কিছু নহে, করিয়াও বিশেষ ফল হয় নাই, হইবে না। এমন কি বাণিজ্য ব্যবসায়ে প্রকাণ্ড মূলধন এক জায়গায় মত্ত করিয়া! উঠাইষা তাহার আওতায় ছোটো! ছোটো সামর্থাগুলিকে বলপূর্বক নিক্ষল করি! তোলা শ্রেয়স্কর বোধ করি না। যন্ত্রতন্ত্কে অত্যন্ত সরল ও সহজ করিয়। কাজকে সকলের আয়ত কর, অন্নকে সকলের পক্ষে স্থলভ করা প্রাচ্য আদর্শ। একথা আমাদিগকে মনে বাখিতে হইবে ।” তিনি আরও বলিলেন, “-.“বাহির হইতে সভ্যতার বৃহৎ আযোজন দেখিযা স্তপ্ভিত হই-_-তাহার তলদেশে যে নিদারুণ নরমেধযজ্ঞ অহোরাত অনুষ্ঠিত হইতেছে, তাহা গোপনে থাকে 1" মাঝে মাঝে সামাজিক ভূমিকম্পে তাহার পরিণামের সংবাদ পাওয়! যায়। সুরোপের বড়ো দল ছোটো দলকে পিষিয়া ফেলে, বড়ে! টাকা ছোটো টাকাকে উপবাসে ক্ষীণ করিয়া আনিয়া শেষকালে বটিকার মতো চোখ বুজিয়া গ্রাস করিয়! ফেলে । +.*আমি কেবল ভাবিয়া দেখিতেছি, এই সকল কৃষধুমশ্বসিত দানবীয় কারখানাগুলার ভিতরে, বাহিরে, চারিদিকে মাহ্ষগুলাকে যে-ভাবে ভাল ১৭৩ পাকাইয়! থাকিতে হয়, তাহাতে তাহাদের নির্জনত্তের সহজ অধিকার--এফাকিত্তের 'আক্রটুফু, থাকে না।"*কাজের একটু হাক পাইলেই মদ খাইয়া গ্রমোযধে মাতিমা বলপূর্বক নিজের হাত হুইতে নি্কৃতি পাইবার চেষ্টা করে ।... ধ্যাহার৷ শ্রমজীবী, তাহাদের এই দশা । যাহার! ভোগী, তাহার! ভোগের নব নব উত্তেজনায় ক্লান্ত । নিমন্ত্রণ, খেলা, নৃত্য, ঘোড়দৌড, শিকার, ভ্রমণের ঝড়ের মুখে খ্ফ পত্রের মতো৷ দিনরাস্ত্রি তাহারা নিজেকে আবন্তিত করিয়া বেড়ায় । ' ষদি এক মুহুর্তের জন্য তাহার প্রমোদচন্রু থামিয়া যায়, তবে সেই ক্ষণকালের জন্ত নিজের সহিত সাক্ষাৎকার, বৃহৎ জগতের সহিত মিলনলাভ, তাহার পক্ষে অত্যন্ত দুঃসহ বোধ হয় ।” পুঁজিবাদী কৃষি-জীবনের এত হ্ন্দর ও নিখুঁত বর্ণনা সে-যুগে বডো একটা দেখা যায় না। কিন্তু ইহা ত একদেশদর্শী সমালোচনা--সর্বোপরি ইহা নেতিমূলক ও বর্জনমূলক সমালোচনা । পুঁজিবাদী সংস্কৃতিকে বর্জন করিবার নামে রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে আধুনিক বন্তরবিজ্ঞান ও শিল্প-সভ্যতাকেই বর্জন করিয়া ভারতের সামস্ততাস্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থায় ফিরিয়! যাইবার আহ্বান জানাইলেন, "ভারতবর্ষের এই একাকী থাকিয়া! কাজ করিবার ব্রতকে যদি আমর! প্রতোকে গ্রহণ করি, তবে এবারকার নববর্ষ আশিসবর্ষণে ও কল্যাণ-শস্তে পরিপূর্ণ হইবে । অপেক্ষ! না কবিয়! ষে যেখানে, আপনার গ্রামে, প্রান্তবে, পল্লীতে, গৃহে, স্থিরশাস্ত- চিত্তে ধৈধের সহিত--সম্ভোষের সহিত পুণ্যকর্ম--ম্ঙ্গলকর্ম সাধন করিতে আর্ত করি; আড়ম্বরের অভাবে ক্ষু ন! হইয়া, দরিদ্র আয়োজনে কুষ্ঠিত না হইয়া, দেশীয় ভাবে লঙ্জিত ন| হইয়া, কুটারে থাকিয়া, মাটিতে বসিয়া, উত্তরীয় পবিয়া। সহজভাবে বর্ষে প্রবৃত্ত হুই, ধর্মের সহিত কর্মকে, কর্মের সহিত শাস্তিকে জডিত করিয়া রাখি? চাতক পক্ষীর স্তায় বিদেশীর করতালিবর্ষপের দিকে উধ্বমুখে তাকাইয়! ন! থাকি; তবে ভারতবর্ষের ভিতরকার ঘথার্থ বলে আমরা বলী হইব ।*** “আমাদের প্রকৃতির নিভৃততম কক্ষে যে অমর ভারতবর্ষ বিরাজ করিতেছেন, আজি নববর্ষের দিনে তাহাকে প্রণাম করিয়া আমিলাম। দেখিলাম, তিনি ফললোলুপ কর্মের অনন্ত ভাড়ন! হইতে মুক্ত হয়! শাস্তির ধ্যানাসনে বিরাজমান, অবিরাম জনতার জড পেষণ হুইন্তে মুক্ত হইয়া আগন একাকিত্বের মধ্যে আসীন, “এবং প্রতিযোগিতার নিবিড় সংঘর্ধ ও ঈর্ধাকালিম! হইতে মৃক্ত হুইয়৷ তিনি আপন অবিচলিত মর্ধাদার মধ্যে পরিবেষ্টিত । এই যে কর্ষের বাসনা, জনসংঘের সংঘাত ও জিগীষার উত্তেজনা হইতে মুক্তি, ইহাই সমস্ত ভারতবর্ধকে বরদ্ের পথে ভর্বহীন, শোকহীন, মৃত্যু্থীন পরম মুক্তির পথে স্থাপিত করিয়াছে।” [ নব্বর্য--ন্বদেশ ॥। পঃ ২৫-৩২ ] 2৭8 তীত্র মানসিক প্রতিক্রিয়ায় ভাবাবেগে কবি বাহ! বলিলেন, তাহায় প্ররুত অর্থ হইতেছে__শ্থিতিশীল, জড়বৎ গতিহীন “এশিয়াটিকসমাজব্যবস্থা'য় দৃঢ়-আবন্ধ হইয়া থাকা । গতিশীল বৈচিন্রাপূর্ণ ইউরোপীয় সমাজসভ্যতার ছুরস্ত প্রাপচাঞ্চল্য ও কর্মচাঞ্চল্যকে কবি সহ করিতে পারিলেন না । অবশ্ত তাহার জন্ত ইউরোপীয় পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী বর্ধরতাই অধিক দায়ী | দ্বিতীয়ত, কবির বিশেষ মানসপ্রককৃতিও যে কিছু পরিমাণে দায়ী নয়-_একথা বল! যায় না। বিলাত-ত্রমণের অভিজ্ঞতা! সম্পর্কে জীবনস্বৃতির খসড়ায় এই বিশেষ কবি-প্রকৃতিটির তিনি বিস্তারিত বর্ণনা করিয়াছেন_ পূর্বেই তাহ! উল্লেধ করিয়াছি। বিবেকানন্দ তখন 40051287010 [6118801)" ও 40051781980 9০0০1615-র বপন ফ্দখিতেছেন। ইউরোপ-আমেরিকা ঘুরিয়৷ আসিবার পর তাহার স্থাদেশিক সংকীর্ণত! অনেকখানি কাটিয়। যাইতেছে । ১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্ের জানুয়ারী মাসে “1৩ 0:০৮15]) 06 113018 ৪20 1 5০0100101১৮ এই প্রসঙ্গে তিনি বলিতেছেন, $/৬/০1 006 508৬ 0£ [15018. 88৪17) ৪190681 ০1011060 ০0৬6: ০৩ ৪1006 0083563 0£ 00016 3১710811620) 036 ৬০৫1০ 580:460192] 16 7,506 3 006 0610£56 ০ 2 80600171505 02019581508 8£81) £0105 0০ তো) 056 আ1)016 ০0: [19018 1060 & 7016 170011858- তা ?...02 15 06 1501010011)9001 0৫ £0০0৫১...860158 00 10856 165 811-09৬61:81 40201199008 ০0561 0০ 1612801 8150. 01:58011) ০01 006 ০০০০৮? [5 00০ 58506-55802100, 00 12100810,-..., 25 0156 17080188865 ০1 005 01261606 :77077505 0০ 08165 01806 2.০. প০ 5156 ৪ 00180105156 91255761700 ৪11 002 01068010298, 1৪ 60600615 01050010....710061) আ18৪0 15 0০ 06 00186 ? «ড1)8 আ০ 80001 19956 13, 180 10856 000, ১6110081059 আ0৪6 08: 1016-180061:8--6561) 1380 200; 0090 আ103০18 006 38581088 1980 70086) 206117৮5006 176-51015007) 01 আ9101 19 1580808 60:00 0 1810 53506985801) 2000 006 £68৮ ৫525817)0 ০01 720106, 006 6160006 00 0 008 06006180009 ০0161, 515115176 006 1১016 জা 910..১.., ০ আ৪0 0086 006185, 0086 1056 ০01 17900161- 060০6, 0286 8116 0£ 96167161891005) 0080 10005058916 10100506, 80৪ 0635600 ঠি) 8০080105 059৮ ০000 ০0৫ 0198 0 0819056, 0086 00150 1001 10000561061 0156018106৪ 1006 005 50195609156 1০91878 ৮৪০৮ 60 006. 9850, আত আও 0086 538105856 85৫08 189010615 2:0)606৫ 01910) 800 6 আা৪1২0--61080 10061086 29126 06 8০05805 (09185) 128০1) জ11) 2০৬ 00:0089 0৩: €ভতাডে 5618) 1009 10680 6০ 1০9০৮.) (৬০6৪ : ৬০1, 1. ০০, 336-37 ] ১৭৫ আবার অন্তত্র তিনি বলিলেন, 14015 ৪00 685 5 056 19, 880 16 11808, 81065 00 18886 1061:861:6 0105 000৫55 16 15 80801036615 10606889815 008৮ 5156 01048 ০০৮ 135. 05880265800. 02:0৬ 00500. ১:098020880 81020728 056 10800080006 68200, 850. 2 16007 96 168৫5 60 1:60615৩ 1091 09028 08৮6 6০ 8196 1021 (30818510518 1866 00100290000 89 ৫680, [ ৬৬ ০25 : ৬০1. ৬]. 90, 310-11 ) পাঠক এই ছুই ভাববাদী মহান চিন্তানায়কের ভাবধারার পাথক্যটি অবস্তই বুঝিতে পারিতেছেন। বিবেকানন্দ ইউরোপীয় সভ্যতার প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রগতিশীল, এই ছুইটি দিকই লক্ষ্য করিয়াছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি হিন্দুধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ভধ্বে চিন্তা করিতে পারিলেন না। তাহার চিন্তাধারার মধ্যে এক তীব্র হ্ববিরোধিতা লক্ষ্য না করিয়া পারা যায় ন!। বিবেকানন্দ হিন্দু বর্ণ-সমাজের পীড়ন-অত্যাচারকে দেখিতে পাইলেন--অগণিত দরিদ্র নিরন্ম জনগণকে দেখিতে পাইলেন--এমনকি ইউরোপের প্রগতিশীল সমাজ- তান্ত্রিক ভাবধারার প্রতিও আকৃষ্ট হইলেন, কিন্তু তবুও ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব তিনি কাটাইয়৷ উঠিতে পারিলেন না । পরবর্তীকালে তিনি বেলুড় মঠে নৃতন করিয়া! মৃতিপূজার উৎসবও প্রচলন করিলেন। এই প্রসঙ্গে গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী মহাশয় লিখিতেছেন, “১৯০১ । অক্টোবর মাসে স্বামীজী বেলুড়মঠে ছুর্গাপৃজা করিলেন। ক্রমে লক্ষীপূজা ও স্টামাপুজাও হইল। এ তিনটি পুজ্জাতেই কুমারটুলি হইতে মৃত্ঠি আন! হইল। ধিনি মায়াবতী আশ্রমে পরমহংসদেবের ছবিপূজা এই বলিয়া আপত্তি করিলেন যে _অধ্বৈতবাদীর পক্ষে নরপৃজ| নিশ্রয়োজন, তিনি বেলুড়মঠে মৃত্তি আনিয়৷ লৌকিক বাহ্‌পুজা কেন প্রবর্তন করিলেন? বিশেষত সন্ন্যাসী নামে সংকল্প করিয়! কোনো! পুজা চলে না-_-অশাস্ত্ীয়। ইহার এই এক তাৎপর্য আছে বলিয়৷ অনেকে অন্ুমান করেন যে--এই সকল পৃত্ধাহষ্ঠান দেখিয়া চল্তি নৌকার গড্ডালিকা প্রবাহে জলমান আরোহিগণ আশ্বস্ত হইবেন যে বেলুড়মঠ হিন্দুঘঠ এবং স্বামী বিবেকানন্দ হিচ্ছু।..রক্ষণশীল হিন্দুসমাজে মৃত্তিপূজা প্রচলিত। অতএব বেলুড়মঠ বাংলার রক্ষণশীল হিন্দুসমাজের অস্ততূক্ত । [ প্রীঅরবিন্দ ও বাউলায় দ্বদেশী যুগ ॥ পৃঃ ২৫৩ ] যাহাই হউক, বিংশ শতানীর হৃচনাকালে স্বামী বিবেকানন্দ বা রবীজনাথ-_ কেহই ধর্ম ও সাস্পরদায়িকত! সম্পূর্ণভাবে কাটাইয়া উঠিতে পারিলেন না। ১৭% ভারতের বিশাল মুসলিম জনগণ সম্পর্কে তখনও পর্বস্ত এই ছুই মহাপুরুষ গভীরভাবে কিছু চিন্ত। করিতেও পারেন নাই । কিন্তু তবুও ধিবেকানন্দের রচন! ও বক্তৃতার মধ্যে আমর! অধিকতর প্রগতিশীল ভাবধারার প্রতিধ্বনি শুনিতে পাই। ইহার কারণ আধুনিক ইউরোপের সহিত তাহার প্রত্যক্ষ ও ঘনিষ্ঠ পরিচয় হইতে পারিয়্াছিল। যদিও তিনি বান্তবক্ষেত্রে সেই সব মতাদর্শের জন্য কোথাও সংগ্রাম শুরু করিতে পারেন নাই। বার বার আমেরিকা ও ইউরোপ ভ্রমণের ফলে বিবেকানন্দের পক্ষে ইউরোপের বিভিন্ন প্রগতিশীল মহলের চিন্তাধারার সহিত পরিচিত হইবার স্থযোগ হইয়াছিল। কিন্ত রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তাহা তখনও সম্ভব হয় নাই। এই কারণেই তখনও ইউরোপের প্রগন্ডিনীল চিন্তাধারার সহিত তাহার সম্যক পরিচ়ও হইতে পারে নাই। অথচ পরবর্তীকালে তাহার চিন্তাধারায় কী বিশ্ময়কর পরিবর্তনই না আসিয়াছে ! রবীন্দ্রনাথ তখন প্রাচীন ভারতের এ্রতিহা হইতে শক্তি-ভিক্ষ! করিতেছেন । কবি এই সময়েই “নববর্ষের গানটি রচনা করেন। এই নববর্ষের গানে কবি জাতির জন্য শক্তি-ভিক্ষা করিয়! বলিলেন, “দাও আমাদের অভয়মন্ত্ অশোকমন্ত্র তব। দাও আমাদের অমতমন্ত্র দাও গো জীবন নব। যে জীবন ছিল তব তপোবনে যে জীবন ছিল তব রাজাসনে মুক্ত দীপ্ত সে মহাজীবনে চিত্ত ভরিয়া লব। মৃত্যুতরণ শঙ্কাহরণ দাও সে মন্ত্র তব।” | বঙ্গদর্শন, ১৩৯৯ জ্যেষ্ঠ ] পর মাসেই 'ত্রাক্মণ' প্রবন্ধে ( বঙ্গদর্শন, ১৩০৯ আধাঢ ) ক্রান্ষপ্যধর্ষমের আধুনিক ব্যাখ্য। করিয়া কবি জাতিকে সত্যিকারের 'ত্রাক্মণ হইবার আহ্বান জানাইলেন। কী উপলক্ষে তিনি এই প্রবন্ধ লিখেন, স্চনাতেই কবি, তাহা উল্লেখ করিয়াছেন, "সকলেই জানেন, সম্প্রতি কোনে। মহারাষ্ী ব্রাঙ্মণকে তাহার প্রত পাছুকাধাত করিয়াছিল--তাহার বিচার উচ্চতম বিচারালম়ন পর্যস্ত গড়াইয়াছিল--শেষ বিচারক ব্যাপারটাকে তুচ্ছ বলিয়া উড়াইয়া দিয়াছেন ।” ১৭৭ রবীন্রনাথ ॥ ১২ এই প্রবন্ধটি লইয়া পূর্বেই আলোচনা! করিয়াছি। আমাদের বর্ণ-সমাজে স্রাঙ্গণের এডিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে কৰির ধারণা, “আমাদের দেশে সমাজতন্ত্র একটি স্থবৃহৎ ব্যাপার। ইহাই সমস্ত দেশকে নি্বমিত ধারণ করিয়া! রাখিয়াছে। ইহাই বিশাল লোক-সম্প্রদায়কে অপরাধ হইতে, সখলন হইতে রক্ষ1 করিবার চেষ্ট৷ করিয়া আসিয়াছে ।".. “সেই বৃহৎ সমান্জের আদর্শ রক্ষা! করিবার ও বিধিবিধান স্মরণ করাইয়! দিবার ভার ব্রাহ্মণের উপর ছিল। ব্রাহ্মণ এই সমাজের চালক ও ব্যবস্থাপক ।” এই '্রাঙ্মণের ভূমিকা প্রতিটি দেশের সমাজ-জীবনে বিভিন্ন রূপে আছে। কবি ছুখ করিতেছেন, এই ত্রাহ্ষণকে আজ কোনে! দেশেই দেখা যাইতেছে না _. না এদেশে, না ইউরোপে । তাহার জন্ত জাতীয় ও সমাজ-জীবনে এই মহাপাপাচার ক্থলন ও বিচ্যুতি দেখা দিয়াছে। ইউরোপের ধনতান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদী লালসার ফলে মানব সভ্যতার ভাগ্যা- কাশে যে বিপদ ও মহাবিপর্যয়ের কালে! মেঘ ঘনীভূত হইয়া উঠিতেছে, তাহারও কাবণ, তাহার মতে সে দেশে প্ররুত 'ত্রাঙ্মণের' অভাব । জগতের এই সমস্ত সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের ধারণা, “."কাজের একট! বেগ আছেই । সেই বেগে সে আপনার পরিণাম তুলিয়া যায়। কাজ তখন নিজেই লক্ষ্য হুইয়া উঠে। হ্ুদ্ধমাত্র কর্মের বেগের মুখে নিজেকে ছাডিয়! দেওয়াতে সুখ আছে। কর্মের ভূত কর্মী লোককে পাইয়া! বসে। “কুদ্ধ তাহাই নহে। কার্ধসাধনই যখন অত্যন্ত প্রাধান্ত লাভ করে তখন উপায়ের বিচার ক্রমেই চলিয়! যায়। সংসারের সহিত, উপস্থিত আবশ্বকের সহিত কর্মীকে নানাপ্রকার রফ! করিয়! চলিতেই হয়। “অতএব যে সমাজে কর্ম আছে সেই সমাজেই কর্মকে সংযত ন্লাখিবার বিধান থাকা চাই__অদ্ধ কর্মই যাহাতে মনুয্যত্বের উপর কর্তৃত্ব লাভ না করে এমন সতর্ক পাহারা থাকা চাই। কর্মীদলকে বারবার ঠিক পথটি দেখাইবার জন্ত, কর্ষকোলাহলের মধ্যে বিস্তদ্ধ স্থুরটি বরাবর অবিচলিতভাবে ধরিয়! রাখিবার জন্য, এমন একদলের আবশ্ঠক, যাহার1 যথাসম্ভব কর্ম ও স্বার্থ হইতে নিজেকে মুক্ত রাঁখিবেন। তহারাই ব্রাহ্মণ । এই ব্রান্ধণেরাই যথার্থ স্বাধীন 1... “ধর্ম ও কর্মের সামঞজন্ত রক্ষ। কর! এবং মানুষের চিত্ত হইতে কর্মের নাগপাশ শিথিল করিয়া! তাহাকে একদিকে সংসারব্রতপরায়ণ, অন্যদিকে মুক্তির অধিকারী করিবার অঙ্ক কোনো উপায় তো! দেখি না ।” রবীজরনাখের মূল বক্তব্যটি বুঝিতে কাহারও অন্থবিধা হয় না। কর্ম ও ধর্ম ১৭৮ বলিতে তিনি যাহ! বলিতে চাহিতেছেন, আধুনিক দর্শনের ভাষায় তাহাকে বলা যায় “)18166129] 1166, ও 9010005] 1165, | অবন্ত এই কর্ম ও ধর্মের সামঞজন্ত- রক্ষার নামে তিনি প্রকৃতপক্ষে বর্ণ-সমাজকেই সমর্থন করিলেন । “এই জন্যই কর্মকে সীমাবদ্ধ করা, কর্ষকে ধর্মের সহিত যুক্ত করা, কর্মকে প্রবৃত্তির হাতে, উদ্বেজনার হাতে, কর্মজনিত বিপুল বেগের হাতে ছাড়িয়৷ না দেওয়া; এবং এইজন্যই ভারতবর্ষে কর্মভেদ বিশেষ বিশেষ জনশ্রেণীতে নিদি্ কর! ।” [ ব্রাহ্মণ-স্যদেশ ॥ পৃঃ ৬১-৭৪ ] এইসাথে প্রকৃত ও যথার্থ ক্রাঙ্মণ হওয়ার যে সব গুণাবলী ও শর্ড তিনি আরোপ করেন, বাস্তবে এ-যুগে তাহ! অসম্ভব । তিনি বলেন, “ঝনদি প্রাচ্ভাবেই আমাদের দেশে সমাজ রক্ষা করিতে হয়, যদি মুরোপীয় প্রণালীতে এই বহুদিনের বৃহৎ সমাজকে আমূল পরিবর্তন কর! সম্ভবপর বা বাঞ্ছনীয় না হয়, তবে যথার্থ ত্রাহ্ষণসম্প্রদায়ের একান্ত প্রয়োজন আছে। তাহার! দরিদ্র হইবৈন, পণ্ডিত হইবেন, ধর্মনিষ্ঠ হইবেন, সর্বপ্রকার আশ্রম-ধর্মের আদর্শ ও আশ্রয় স্বরূপ হইবেন ও গুরু হইবেন ।” রবীন্দ্রনাথের এই আদর্শ প্রতিক্রিয়াশীল কিনা, সেই বিতর্কে না গিয়াও অন্তত একথা বল! যায যে, উহা প্রগতিশীল আদর্শ ও চিন্তাধারা নহে । রবীন্দ্রনাথ যখন বর্ণ-সমজ ও প্রাচীন ক্রাহ্ষণ্যধর্মের আদর্শে জাতীয় পুনগঠনের কথা চিন্তা করিতেছেন, বিবেকানন্দ তখন পৃথিবীব্যাপী 'শৃদ্ররাজত্ব' ( নিপীড়িতদের রাজত্ব) ও “সমাজতম্ত্ের পদধ্বনি শুনিতে পাইতেছেন। এমন কি, তখন তিনি নিজেকে “ন্ঠোসালিস্ট' বলিয়া দাবি করিতেও দ্বিধাবোধ করিতেছেন না। নানা ঘিধা-ত্বন্বেব মাঝেও তিনি "শৃদ্ররাজত্ব'কে অভ্যর্থনা জানাইলেন। তিনি বলিলেন, [850 2] 50206 0196 190000261 ( 50015 ) 2015. 05 805817- 085০৪ আ1]] 06 005 02501050101 0£ 10105 5108] ০0100:5---805 31580581)18868, (76110805 ) (106 106115)8 ০৫ 0010016, 110676 111 ১০ & 81690 01505005010 01 01019817 5000০901029, 006 ৫308- 07010815 £01010865 ভ1]] 06 1658 80৫ 1259. 5০০ 006 8:56 0062 0856 1080 03611 ৫85. ০ 8 006 0002 001: 00০ 1886--0055 10056 10855 1৮--20186 ০৪13 । 25886 40 200 006 20 ৪1] 006 01000100165 9০০৮ 056 £০14 0 811567 5681508105 (0০০৫৮ 86109 0০0 100 10001) ৪৪ €০ 009৫), 036 0018 20061) 1 556 0086 005 8010 808150810 1789 6610. 00818838 085 0০9০1: ০০016, 800 005 1200) 1100610720৪ ১৭৪ 500591156 00% 5508056 ] 0916 1৮ 29 ৪ 061:606 85580610) 503 10911 2 1085 25 ০৩666: 00215 150 ৮:659৫., 05 00051 55506008 10855 10861 62860. 2130 6010120 1178, [466 0088 036 ০০ 26৫18 101 100965178 5186) 20: 006 0৬615 0৫ 005 00806, 4৯ 5019020061010 01 10820 2150 01698001:5 19 1966661 017 21855 006 88106 61:8035 1)851104 1১:008 2130 01685801:68. [ ৬/০01158 : ৬০1. ডা]. 9. 343 ] বলা বাহুল্য, বিবেকানন্দেব এই 'শ্রমিকবাজ' ও “সমাজতন্ত্ৰ সহিত আধুনিক বৈজানিক সমাজতন্ত্রের সম্পর্ক নাই। ইউবোপেব সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ও তত্বেব গভীবেও তিনি প্রবেশ কবেন নাই। তাছাডা খাস ইউবোপেও তখন সমাজতাঙ্গিক আদর্শেব নান! তাত্বিক গোলমাল ও বিতর্ক চলিতেছিল। ভাবতবর্ষেব “00061 ০1৪$৪-গুলি সম্পর্কে বিবেকানন্দ বলিলেন, *শু*5০ 02815 15096 0৫ 1009, 15 07010 00610099569, "1102 00061 ০1988965 ৪:০ 01555408115 81301000151] 0680. [ ৬০188 : ৬০1. ড. 0. 81 ] আবেগ-আগুতক্ঠে তিনি ভারতেব মহান জনগণকে অভিবাদন জানাইলেন, * ০) 2৮6:7018000160 12190001108 10085855801 11)018 | [ 00 €০ ০০. [ ৬৬015 : ৬০01. ৬11, 0. 241. ] দেশের অভিজাত সম্প্রদায় ও আত্মস্তবী উচ্চবর্ণেব প্রতি তিনি বলিলেন, £৫০০১ড০0৫ 216 006 20100217865 (612 00008800 56818 010 1 ১. ঢ18101558 8130 019001659 51061660109 04 096 ৫680 00৫5 06 0886 [0018 0086 5০৩ ৪:০-জা)ড 6০ 5০৩ 1000 0101০815 1600০€ ড001:561$65 11860 0080 8150 01580176582 11) 006 21 7,55০, ০ 1006156 5০001961569 10 0১০ 5০010 8100 0£987681, 8170 160 6 [70018 81056 1) 5001 01805. 1466 0061 218০---000 ০0 006 068581)05 ০00586১ £:892108 006 010080 ০৩০ 0£ 005 10068 ০4 006 65156100918) 006 ০0০9৮161200 006 ৪০661. 166 1062 8281)6 1:00 0106 ০০০০5 81১01 21010 665806 0106 ০61) 0£ 006 12100686116 1766 061 21238178665 2000 00651200015) 6:01 07810 800 00102. 1097106608.+--185106 012. ৪1581000101 81811) 01965 ৩813 ০0831865006 0210. 59561500058 06 606 0880, 0616 ১০৫০:০ 5০৪, 86 5০0: 8355688018১ 006 10018 0086 15 0০ 66. .১১০--৮ড৪0$) 11200 8ঠ0 2190 06: 86618 180 20০:6--010] 1661১ ৩০৫ 6828 09612, ০ +50901961 0111 5০00 01881019681 0981 50৮ 111 1681 005 [389698191 810006 02 16178858816 [70019 1208508 ১৮৩ 10 06 ৮০০৩ 0£ 121111027) 00010615 8120 16561615008 00700890036 036 912156156. [ ড/01106 : ৬০1. ৬11, 2১, 308-10 ] বিবেকানন্দ ভারতের নিপীডিত জনগণের মধ্যে এক নৃতন রেনারাস, এক নৃতন ভারতবর্ষকে দেখিতে পাইলেন । ঠিক এই কথা সেদিন আর কাহাকেও বলিতে শোন! গেল না--এমন কি রবীন্দ্রনাথকেও নয় । এই সময় জগদীশচন্দ্র বিলাত হইতে 4.৪৫6৪ ০৫ 10100) 01545810081) নামে একটি পুস্তক রবীন্দ্রনাথকে পাঠাইয়! দেন । [১0৬৪ [01015190900 নামে জনৈক ইংরাজ ছদ্মনামে এই বই লিখিয়াছিলেন। পরে ১৯১২ সালে বিলাত- অ্রমণকালে কবির সহিত ইহার প্রত্যক্ষ পরিচয় হয়। রবীন্দ্রনাথ বঙ্গদর্শনে এই পুস্তিকীটির উপর 'চীনেম্যানের চিঠি” নামে একটি দীর্ঘ সমালোচনা প্রকাশ করেন ( বঙ্গদর্শন, ১৩০৯ আধাঢ )। *ডিকিনসনের এই পুস্তকখানি রবীন্দ্রনাথের সম্মুখে এক নৃতন দিক উদ্ঘাটিত করিল। লেখক এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সমাজ-সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি মূলগত- এক্য প্রতিপন্ন করিয়াছিলেন । রবীন্দ্রনাথ গভীর আগ্রহের সহিত এই তত্বটি অন্তধাবন করিতে চাহিয়াছিলেন। সমালোচন৷ প্রসঙ্গে তিনি বলিলেন, «প্রথমত ভারতবর্ষের সভ্যতা এশিয়াব সভ্যতার মধ্যে এঁক্য পাইয়াছে”_ ইহাতেও আমাদের বল, দ্বিতীয়ত এশিযার সভ্যতার এমন একটি গৌরব আছে, যাহা সত্য বলিয়াই প্রাচীন হইয়াছে, যাহা! সত্য বলিয়াই চিরস্তন হইবার অধিকারী, ইহাতেও আমাদের বল।” অবশ্ত এই তত্ব রবীন্্রনাথের কাছে সম্পূর্ণ নৃতন নহে । স্মরণ থাকি পারে, ইহার প্রায় এক বৎসর আগে চীনের বক্সার-বিদ্রোহ উপলক্ষে বঙ্গদর্শনে 'সমাজ- ভেদ' নামক প্রবন্ধে তিনি এইরকমই একটি কথা চিস্ত। করিতেছিলেন। এ প্রবন্ধে তিনি প্রাচ্য-সম্যতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলিষাছেন, “্রাষ্রতন্ত্রই মুরোপীষ সভ্যতার কলেবর, এই কলেবরটি আঘাত হইতে রক্ষা না করিলে তাহার প্রাণ বাচে না।.' পূর্দেশে তাহার বিপরীত। প্রাচ্য সভ্যতার কলেবর ধর্ম।"..বিপুল চীনদেশ শস্ত্রশাসনে সংযত হুইযা নাই, ধর্ম শাসনেই সে নিয়মিত ।-*'সেই ধর্মে আঘাত লাগিলে চীন মৃত্যুবেদনা পায়।”... এ প্রবন্ধে তিনি চীন ও ভারতের একটি প্রকৃতিগত ও মূলগত এঁকা ( অস্পষ্টভাবে ) প্রতিপন্ন করিতে চাহিয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ চীনেম্যানের চিঠি প্রবন্ধে চীনাম্যানের মূল বক্তব্যগুলি ব্যাখ্যা করিয়। চীন ও ভারতবর্ষের সমালোচনা প্রসঙ্গে বলিলেন, ১৮১ “ভারতবর্ষ সমাজকে সংবত সমল করিয়া তুলিয়াছিল, তাহা! সমাজের মধ্যে আবদ্ধ হইবার জন্ত নহে ।..'সে আপন সংহত শক্তিকে অনন্তের অভিমুখে একাগ্র করিবার জগ্তই ইচ্ছাপূর্বক বাহ্ৃবিবয়ে সংকীর্ণতা আশ্রয় করিয়াছিল ।'.' কেবলমাত্র পারিবারিক শৃঙ্খলা এবং সামাজিক হুব্যবস্থার দ্বারা আমি অমর হইব না» ভাহাতে আমার আত্মার বিকাশ হইবে না । সমাজ যদি আমাকে সম্পূর্ণ সার্থকতা ন! দেয়, তবে সমাজ আমার কে? সমাজকে রাখিবার জন্য যে আমাকে বঞ্চিত হইতে হইবে, এ-কথা স্বীকার কর! যায় না-_ম্ুরোপও বলে, 'ইনডিভিজুয়াল'-কে যে-সমাজ পঙ্গু ও প্রতিহত করে, ফে-সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করিলে হীনত৷ স্বীকার করা হয়। ভারতবর্ষ অত্যন্ত অসংকোচে নির্ভয়ে বলিয়াছে, আত্মার্থে পৃথিবীং ত্যজেৎ। সমাজকে মুখ্য করিলে উপায়কে উদ্দেশ্য কর! হয়। ভারতবর্ষ তাহ! করিতে চাহে নাই, সেইজন্ত তাহার বন্ধন যেমন দৃঢ়, তাহার ত্যাগও সেইরূপ সম্পূর্ণ ।” [চীনেম্যানের চিঠি-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৪র্থ খণ্ড ॥ পৃঃ ৪*৩-১৫] অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ আমাদের সামাজিক লক্ষ্য ও উদ্দোস্টে একটি আধ্যাত্মিকতা আরোপ করিতে চাহিতেছেন। স্বরণ থাকিতে পারে, স্বামী বিবেকানন্দও তখন প্রাচ্য সভ্যতার একটি এক্য 'আবিফার করিতেছেন। জাপানী শিল্পশাস্ত্রী ওকাকুরা' তখন বিবেকানন্দকে জাপানে লইয়া যাইবার জন্য এদেশে আসিয়াছেন। বিবেকানন্দ ও নিবেদিতার আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব তাহাকে অভিভূত করিয়াছে । ওকাকুরার “1116 106813 ০৫ 0১৪ :৪৪৮-এর মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ভাহার প্রথম কথাই ছিল €4818 1৪ 006,| নিবেদিতা এই গ্রন্থের ভূমিকা লিখিতে গিয়া! বলিলেন, ৮,১*/১818 25 2. 0158060 1151006 01868121500, ৫৪01) 19816 06061506171 00) 81] 006 00068, 055 ভা1)015 02:5800205 . 817816 ০010016 1865 0586 2519, 006 05165586 0090065, 13 6056561 0186.% এই প্রসঙ্গে শ্রদ্ধাম্পদ ড: ভৃপেজনাখ দত্ত তাহার '9জ৪001 ড£56581281308+ পুস্তকে লিখিতেছেন, 1060 ও58100101 1৩6001060 (010 006 ৬৬6৪০ 101 606 8660200 180965 106 105005580 & 0881)656 0:065801 0 4১: 87060 1815582 (008109156০0 113058, 70185 8০16০ 6০1৫ 806 ভা6: 0) 006 ০৬ 2, 2 19115 0086 16 ৪৪ 80৬ জা০ ৪5 26690251512 10: 006 10000506006 (01881018, 006 15785656 81656, 06012080816 85 8106 90 ৫000 12102 ৯ ০৪৫) 08782, 0181000) 80০01081710 05 2:)00067 08092656 0060580 081060 1702) ০2006 6০ 10059. 8100 58560 ৪৮ 006 36101 71৪05, 770:1 68106 25 ৪. 80006200 0£ [100181) £611807) 81) 1867 00; 25081661060. 101005611 00 912810- 6625, 991591 11626 156 ৫86৫. 50158100158 010 1906 1000 00801) 0£ [7)81851) 00৮ 20 5661008 00961561580 2660 2. 1208210080116 06911778 আ10) 1921১725190 ০০]1078] 50101)600008, 1৮ ৪৪ 16-আ1660 ৮ 006 91506 88. 876 0010 016 06616 ০00681060 06 88009 ০ 9 8151175 106০1985 07) 4১518. [006 ০০৮ চাও 70817060 [136 [06815 ০৫ 006 5৪5০ ৬10. 096 90011086001) ০0£ 006 00০01, & 47076 আ৬০ 800015850 036 1006116000918 06 [1018. [6 আও5 8190 81166 01)90116 ৪৪ 036 62157 01৪ 80-/181800 25158101) ০ 016 0১6 8121) ০০0170168 2881750 0০০10670091 [0761191- ও. [6 0 5810 0080 136 1766 9. 3.:71815 804. 00505 2100 91060 ০0৮61 056 98006 70:0008918, ১9 ৪ 165016, & 18101 01 176116060818 01 8৫$815080. ড153 1010060 ৪ 10096 ৪:০০ (81158 ৪১০০ 00110105. 50196 ০ 09100659+5 17068155 ৪0 1601) 10610 আঠা ৮০০৮ [ 9%8701 % 1968291)09--190006 210060 ০০. 116-17 ] যাহাই হউক, ইহা ছাড়াও বাংলাদেশে আর্টের নব-উদ্বোধনে ওকাকুরা ও নিবেদিতার অবদান কম নহে, একথ| শিল্পশান্ত্রীরা অনেকেই স্বীকার করেন। অনেকের মতে ওকাকুরাই সর্বপ্রথম এদেশে প্রাচ্য দেশগুলির ধর্ম ও শিল্প- সংস্কতির এঁক্য তত্ব উত্থাপন করেন। কিছুকাল পরে ভিনি জাপানী শিল্পী টাইকন্‌ ও হিসিদাকে অবনীন্দ্রনাথের নিকট প্রেরণ করেন। ॥ ভারতবর্ষের ইতিহাস-ঘিঢারে ববীন্দ্রনাথ ॥ ১৩০৯ সালে জ্যেষ্ঠ মাসে “আলোচন! সমিতি' ( মজুমদার লাইব্রেরির সহিত সংঙ্ষিষ্ট)-তে রবীন্দ্রনাথ দীনেশ্বচজের “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে'র একটি দীর্ঘ সমালোচনা গাঠ করিলেন। কিছুদ্দিন পর এ সমিতিতেই তিনি “ভারতবর্ষের ইতিহাস নামক প্রবন্ধটি পাঠ করেন। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “ভারতবর্ষের ঘে ইতিহাস আমরা পড়ি এবং মুখস্থ করিয়া পরীক্ষা দিই, তাহ! ভারতবর্ষের নিশীখকালের একটা ছু'ন্বপ্নকাহিনীমাত্র। কোথ! হইতে কাহারা আসিল, কাটাকাটি-মারামারি পড়িয়া গেল, বাপছেলেয় ভাইয়ে-ভাইয়ে সিংহাসন লইয়! টানাটানি চলিতে লাগিল, একদল যদি বা যায়, কোথা হইতে আর-একদল উঠিয়া পড়ে-_পাঠান- মোগল, পর্তৃগীজ-ফরাসী-ইংরেজ, সকলে মিলিয়৷ এই স্বপ্নকে উত্তরোত্র জটিল করিয়া তুলিয়াছে। “কিন্তু এই রক্রবর্ণে রঞ্জিত পরিবর্তমান স্বপ্দৃশ্যপটের দ্বার! ভারতবর্যকে আচ্ছন্ন করিয়া দেখিলে, যথার্থ ভারতবর্যকে দেখা হয় না। ভারতবাসী কোথায়,--এসকল ইতিহাস তাহার কোনো উত্তয় দেয় না। যেন ভারতবাসী নাই-_কেবল যাহারা কাটাকাটি-খুনোখুনি করিয়াছে, তাহারাই আছে। “নিজের দেশের সঙ্গে নিজের সম্বন্ধ এইরূপ অকিঞ্চিংকর বলিয়! জানিলে, কোথা হইতে আমরা! প্রাণ আকর্ষণ করিব? এইরূপ অবস্থায় বিদেশকে স্বদেশের স্থানে বসাইতে আমাদের মনে ঘিধামাত্র হয় না--ভারতবর্ষের অগৌরবে আমাদের প্রাণাস্তকর লজ্জাবোধ হইতে পারে না। আমরা অনায়াসেই বপ্িয়া থাকি, পূর্বে আমাদের কিছুই ছিল না এবং এখন আমাদিগকে অশন-বসন আচার-ব্যবহার, সমস্তই বিদেশীর কাছ হইতে ভিক্ষা করিয়া! লইতে হইবে ।” স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, ভারতবর্ষের ইতিহাস প্রণয়নের ব্যাপারে ইংরাজ এঁতিহাসিকদের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিকে রবীন্্নাথ স্বীকার করিয়া লইতে রাজী নহেন। রবীজ্ঞনাথের মতে--কেবল বৈদেশিক শক্তিগুলির ক্রমান্বয় অভিযান কিংবা বিভিন্ন রাজবংশের উত্থান-পতনের সাল, তারিখ এবং কাহিনীই ভারতবর্ষের ইতিহাস নহে। “হথলভান-প্রেয়সীদের * শ্বেতনর্যররচিত, কারুখচিত কবরচুড়া,.. "অশ্বের খুরধবলি, হস্ভীর বৃংহৃতি, অন্ত্রের বানা, হথদূরব্যাপী শিবিরের তরঙগিত পাুরতা, ১৮৫ কিংখাব-আন্তরণের হর্ণচ্ছটা, খোজাগ্রহরী-রক্ষিত প্রাসাদ-অন্তঃপুরে রহম্কনিকেতনের নিম্তব্ধ মৌন:..*__ইহাও ভারতবর্ষের ইতিহাস নহে । ইতিহাস-জিজ্ঞাসায় রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ের অন্ধুসন্ধান করিতেছেন-_ সৃউিভজিও তাহার স্বতন্ত্র। তিনি ভারতীয় সভ্যতার মর্মবাণী ও বৈশিষ্ট্যের অন্সন্ধানুক্ষরিলেন। তিনি বলিলেন, ভারতবর্ষের প্রধান সার্থকতা কী, এ-কথার স্পষ্ট উত্তর যদি কেহ জিজ্ঞাস করেন সে উত্তর আছে; ভারতবর্ষের ইতিহাস সেই উত্তরকেই সমর্থন করিবে । ভারতবর্ষের চিরদিনই একমাত্র চেষ্টা! দেখিতেছি, প্রভেদের মধ্যে এক্যস্থাপন কর! নানা পথকেই একই লক্ষ্যে অভিমুখীন করিয়! .দেওয়া এবং বনহুর মধ্যে এককে নিঃসংপয়রূপে অস্তরতররূপে উপলব্ধি করা;_বাহিরে যে সকল পার্থক্য প্রতীয়মান হয়, তাহাকে নষ্ট না করিয়া তাহার ভিতরকার নিগুচ যোগকে অধিকার করা । “..*মুরোগীয় সভ্যতা যে-এঁক্যকে আশ্রয় করিয়াছে, তাহ! বিরোধ-মূলক ; ভারতবর্ষায় সত ঘে-এঁক্যকে আশ্রয় করিয়াছে তাহা৷ মিলন-মূলক |... “বিধাতা ভারতবর্ষের মধ্যে বিচিত্র জাতিকে টানিয়৷ আনিয়াছেন ।"*এঁক্যমূলক যে সভ্যত৷ মানবজাতির চরম সভ্যতা, ভারতবর্ষ চিরদিন ধরিয়! বিচিত্র উপকরণে তাহার ভিত্তি নির্মাণ করিয়া আসিয়াছে । পর বলিষ! সে কাহাকেও দূর করে নাই, অনার্ধ বলিয়া সে কাহাকেও বহিষ্কৃত করে নাই, অসঙ্গত বলিয়া সে কিছুকেই উপহাস করে নাই। ভারতবর্ষ সমস্তই গ্রহণ করিয়াছে, সমস্তই স্বীকার করিয়াছে ।""'মুরোপ পরকে দূর করিয়া, উৎসাদন কবিয়া, সমাজকে নিরাপদ রাখিতে চায়; আমেরিকা, অন্ট্রেলিম্না, নিউজিল্যাণ্ড, কেপ-কলনিতে তাহার পরিচয় আমরা আজ পর্যস্ত পাইতেছি।..'হয় পরকে কাটিয়া-মারিয়া-খেদাইয়া নিজের সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষ1! করা, নয পরকে নিজের বিধানে সংযত করিয়া স্থ-বিহিত শৃঙ্খলার মধ্যে স্থান করিয়৷ দেওয়া, এই ছুই রকম হইতে পারে। যুরোপ প্রথম প্রণালীটি অবলম্বন করিয়া সমস্ত বিশ্বেব সঙ্গে বিরোধ উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছে--ভারতবর্ষ দ্বিতীয় প্রণালী অবলম্বন করিয়া সকলকেই ধীরে ধীরে আপনার করিয়া লইবার চেষ্টা করিয়াছে । যদি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, যদি ধর্মকেই মানব-সভ্যতার চরম আদর্শ বলিয়া স্থির করা! যায়, তবে ভারতবর্ষের প্রণালীকেই শ্রেষ্ঠত৷ দিতে হুইবে।” [ ভারতবর্ষের ইতিহাস-_স্বদেশ ॥ পৃঃ ৩৫-৪২ ] রবীন্দ্রনাথ এখানে ভারত-ইতিহাসের মর্ষবাণীটি যেমন তুলিয়া ধরিলেন, তেমনি সেইসাথে ভারতবর্ষের ইতিহীস-প্রণেতা--সেই ইউরোপীয়দের সাস্রাজ্য- ১৮৫ লোলুপতা, মিথ্যা শ্বাজাত্য-অহমিকা ও পরজাতি-বিদ্বেষকে তিনি মানবতা ও সংস্কাতির মানদণ্ড হইতে তীব্র আক্রমণ করিলেন। বলা! বাহুল্য, ইতিহাস-বিচারে রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কতখানি বিজ্ঞানসম্মত, সে-সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রহিয়াছে। অবপ্ত সেইসঙ্গে একথাও স্বীকার্ধ যে, সত্যকারের বিজ্ঞানসম্মত এতিহাসিক দৃষ্টিতজি তৎকালীন ভারতবর্ষে আশ! করা যাইতে পারে না। সেটা শ্বদেশী আন্দোলনের পূর্বমুহূর্ত। ম্মরণ থাকিতে পারে-_তাহার পূর্বে, প্রভৃতি সাহিত্যিক ও এরতিহািক ভারতের প্রাচীন ইতিহাস ঘ'টিয়া জাতীয় শৌর্য ও বীরত্বের কাহিনী রচনা করিয়া গিয়াছেন। সেই সময হইতেই একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি লইয| আমর! ভারতবর্ষের ইতিহাস বিচার ও প্রণয়নের চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলাম। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ সেই দৃ্টিভঙ্গিও গ্রহণ করেন নাই। তিনি প্রাচীন বৈদিক যুগ হইতে শুরু করিয়া মধ্যযুগীয় সাধু-সম্তগণ পর্যস্ত__ ভারতবর্ষের এই দীর্ঘ এতিহধারায় এঁক্য ও মিলনমূলক ধর্ষ ও অধ্যাত্মসাধনাই কেবল অন্বেষণ করিলেন, “পৃথিবীর সভ্যসমাজের মধ্যে ভারতবর্ষ নানাকে এক করিবার আদর্শরূপে বিরাজ করিতেছে, তাহার ইতিহাস হইতে ইহাই প্রতিপন্ন হইবে। এককে বিশ্বের মধ্যে ও নিজের আত্মার মধ্যে অনুভব করিয়া সেই এককে বিচিত্রের মধ্যে স্থাপন করা, জানের ঘারা আবিষ্কার কবা; কর্মের দ্বার! প্রতিষ্ঠিত করা, প্রেমের দ্বারা উপলব্ধি কর! এবং জীবনের ছারা প্রচার করা নান! বাধা-বিপত্তি-হুর্গাতি- স্থগতির মধ্যে ভারতবর্ষ ইহাই করিতেছে । ইতিহাসের ভিতর দিয়া যখন ভারতের সেই চিরন্তন ভাবটি অন্গুভব করিব তখন আমাদের বর্তমানের সহিত অতীতের বিচ্ছেদ বিলুপ্ত হইবে ।” [ এ স্বদেশ ॥॥ পৃঃ ৪৩-৪৪ ] ১৮ ॥ বঙ্গদর্শনে রাজনৈতিক প্রবন্ধ ॥ কৰি বঙ্গদর্শনে কেবল যে জাতীঘ আদর্শমূলক গ্রবন্ধ লিখিতেছিলেন তাহা নহে, সেই সময তিনি উহাতে পর পর এমন কয়েকটি রাজনৈতিক প্রবন্ধও লিখিলেন, তৎকালীন পটডূমিকাষ যেগুলির তাঁৎপর্য কম নহে। মা ডৈঃ” প্রবন্ধে (১৩*৯ কাতিক) তিনি নির্ভীক মৃত্যুববণের আহ্বান জানাইয়া জাতিকে “ম! ভৈ+ মন্ত্র দীক্ষিত করিতে চাছিলেন। তিনি বলিলেন, “মৃত্যু একটা প্রকাণ্ড কালে! কঠিন কষ্টিপাথরের মতে! | ইহাঁবই গাষে কিয়! সংসারের সমস্ত খাটি সোনার পরীক্ষা! হইয়া থাকে । "তুমি দেশকে বথার্থ ভালোবাস, তাহার চরম পরীক্ষা তুমি দেশের জন্য মরিতে পাৰ কি না। তুমি আপনাকে যথার্থ ভালোবাস, তাহাবও চরম পৰীক্ষা আপনাব উন্নতিব জন্য গ্রীণ বিসর্জন কব! তোমার পক্ষে সম্ভবপর কি ন|। “এমন একটা বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন 'ভয় পৃথিবীর মাথার উপরে যদি না ঝুলিত, তবে সত্য-মিথ্যাকে, ছোটে।-বডো-মাঝারিকে বিশ্ুদ্ধভাবে তুল! করিয়। দেখিবার কোনো! উপায় থাকিত ন!। “এই মৃত্যুর তুলায় যে-সব জাতির তৌল হুইয়া গেছে, তাহারা! পাস-মা্কা পাইয়াছে। তাহার! আপনাদিগকে প্রমাণ করিয়াছে, নিজের কাছে ও পরের কাছে তাহাদের আর কিছুতেই কুণ্ঠিত হইবার কোনো কারণ নাই। ম্ৃত্যুব স্থায়াই তাহাদের জীবন পরীক্ষিত হইয়া গেছে।"."যাহার প্রা আছে ভাহার বথার্থ পরীক্ষা প্রাণ দিবার শক্তিতে । যাহাব প্রাণ নাই বলিলেই হয় সে-ই মরিতে কুপণতা করে ।” কিন্তু হঠাৎ প্রাণ দিবার কথ! কবির মনে কেন উদয় হুইল? রবীন্দ্রনাথ কি বাংলার আসন্ন হ্বাধীনতা-সংগ্রামকে প্রত্যক্ষ করিতেছেন ? “***আরাম-কেদারায় হেলান দিয়া পোলিটিক্যাল সুখন্বপ্লে যখন কল্পনা করি 'সমঘ্য ভারতবর্ষ এক হইয়! মিশিয়া যাইতেছে", তখন মাঝখানে এই একটা দুশ্চিন্ত। উঠে যে বাঙালির সঙ্গে শিখ আপন ভাইয়ের মতো মিশিবে কেন? বাঙালি বি. এ এবং এম. এ, পরীক্ষায় পাস হইয়াছে বলিয্বা? কিন্তু যখন তাহার চেয়ে বড়া পরীক্ষার কখা উঠিধে তখন সার্টিফিকেট বাহির করিবে ১৮৭ কোথা হইতে? সুদ্ধমাত্র কথায় অনেক কাজ হয়, কিন্ত সকলেই জানেন চিড়ে ভিজাইবার সময় কথা৷ দধির স্থান অধিকার করিতে পারে ন|; তেমনি যেখানে রক্তের প্রয়োজন সেখানে বিশুদ্ধ কথ! তাহার অভাব পুরণ করিতে অশক্ত।” [ মা ভৈঃ __ রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৫ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৪১-৪৩ ] বুঝিতে কষ্ট হয় না, তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের বন্তৃত৷ বাগাড়ম্বরে কবি অতিষ্ঠ হুইয়! উঠিয়াছেন। ভারতবর্ষে সেটা “কার্জৰী যুগ'। ঘোরতর সাম্রাজ্যবাদী দাত্তিক বড়লাট কার্জনের ভারত-বিদ্বেষ এদেশে একটি গ্রবাদের মত হইয়া আছে। অল্পকাল পূর্বে কলিকাতা বিশ্ববিষ্ভালয়ের কন্ভোকেশন-উৎসবে ভাষণ-দান প্রসঙ্গে ( ৯৯৯২, ১৫ই ফেব্রুয়ারির কন্ভোকেশন বক্ততা) তিনি ভারতবাসীকে 'অত্যুক্তিবাদী' ও “অভিরঞনপ্রিয়' বলিয়! নিন্দাবাদ করিয়াছিলেন। কিন্তু অনতিকালের মধ্যেই বাঙালী শিক্ষিত সম্প্রদায় কলিকাতা টাউন হলে তীব্র প্রতিবাদ করিয়া! তাহার যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়াছিলেন। এই ঘটনার কয়েক মাস পর, সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের অভিষেক উপলক্ষে, লর্ড কার্জন দিল্লী নগরীতে এক বিরাট বাদশাহী দরবারের আয়োজন করিলেন (আগস্ট ১৯০৩)। এই সময় রবীন্দ্রনাথ “অতৃযুক্তি' প্রবন্ধটি ( বঙ্গদর্শন, ১৩০৯ কাত্তিক) রচনা করেন। পর পর কয়েকটি ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ, মহামারী ও ভূমিকম্পের ফলে দেশবাসীর ছুঃখ কষ্ট তখন অবর্ণনীয় হইয়৷ উঠিয়াছে। এমন দিনে দিল্লীর দরবারের এ নয়নাদ্ষকারী এশ্বর্-বিলাসকে তিনি অত্যুক্তি, অতিরঞ্জন ও আতিশয্য বলিয়৷ অভিহিত করিয়া কার্জন-সাহেবের কথারই যেন প্রত্যুত্তর দিলেন। তিনি বলিলেন, “এদিকে আমাদের প্রতি সিকি-পয়সার বিশ্বাস ইংরেজের মনের মধ্যে নাই; এত বড়ো দেশটা সমত্ত নিঃশেষে নিরস্ত্র ;-অথচ জগতের কাছে সামাজ্োর বলপ্রমাণ উপলক্ষে আমাদের অটলভক্তি রটাইবার বেলা আমরা আছি।'"* “ভাই বলিতেছিলাম, আগামী দিল্লির দরবার পাশ্চাত্য অতযুক্তি, তাহা৷ মেকি অত্যুক্তি। এদিকে হিসাবকিতাব এবং দোকানদারিটুকু আছে--ওদিকে গ্রাচ্য- সম্রাটের নকলটুকু না করিলে নয়। আমর! দেশব্যাপী অনশনের দিনে এই নিতাস্ত ভূয়া দরবারের আড়ম্বর দেখিয়া ভীত হইয়াছিলাম বলিয়৷ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়া বলিয়াছেন--খরচ খুব বেশি হইবে না... | কিন্তু সেদিন উৎসব করা চলে না, যেদিন খরচপত্র সাঁমলাইয়! চলিতে হয় ।:** “.*“তগ্ বালুক! হুর্ধের মতো! তাগ দেয়, কিন্ত আলোক দেয় না। সেইজন্ত 8৬৮7৮ তণ্ত বালুকার তাপকে আমাদের দেশে অসহ আতিশয্যের উদাহরণ বলিয়! উল্লেখ করে। আগামী দিষ্লিদরবারও সেইরূপ প্রতাপ বিকিরণ করিবে, কিন্ত আশ! ও আনন্দ দিবে না। শুদ্ধমাত্র দস্তগ্রকাশ সম্রাকেও শোভা পায় ন।-_উদার্ষের দ্বারা, দয়াদাক্ষিণ্যের দ্বার! দুঃসহ দস্তকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখাই যথার্থ রান্জোচিত।:*.” [ অতুযুক্তি__রবীন্ত্ররচনাবলী £ ৪র্থ খণ্ড || পৃঃ ৪৪৩-৪৭ ] বহুকাল পরে, এই রচনাটির পটভূমি ও তাৎপর্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ শ্বয়ং একটা ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন (ডঃ শচীন সেনের 7০1/01০8] 79111195011)5 ০1 চ801050281090) পুন্তকের সমালোচনা প্রসঙ্গে )। তিনি বলিয়াছিলেন, “ইতিমধ্যে কার্জন লাটের হুকুমে দিল্লীর দরবারের উদ্যোগ হল। তখন বাজশাসনের তর্জন স্বীকার করেও আমি তাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলুম। সেই প্রবন্ধ যদি হাল আমলের পাঠকের! পড়ে দেখেন তবে দেখবেন, ইংরেজের সঙ্গে ভারতবাসীর রাষ্িক সম্বদ্ধের বেদনা ও অপমানট। যে কোথায় আমার সেই লেখায় কতকটা প্রকাশ করেছি। আমি এই বলতে চেয়োইলুম, দরবার জিনিসটা প্রাচ্য , পাশ্চত্য কর্তৃপক্ষ যখন সেটা ব্যবহার করেন তখন তার যেটা শূন্যের দিক সেইটিকেই জাহির করেন, যেটা পূর্ণের দিক সেটাকে নয়। প্রাচ্য অন্নষ্ঠানের প্রাচ্যতা কিসে । সে হচ্ছে ছুই পক্ষেব নধ্যে আত্মিক সম্বন্ধ স্বীকার করা। তরবারির জোরে প্রতাপের যে সম্বন্ধ সে হল বিরুদ্ধসন্বন্ধ, আর প্রভৃত দাক্ষিণ্যের দ্বার! যে-সন্বন্ধ সেইটেই নিকটের। দরবারে সম্রাট আপন অজ উদাধ গ্রকাশ করার উপলক্ষ পেতেন_ সেদিন তার দ্বার অবারিত, তার দান অপরিমিত। পাশ্চাত্য নকল দরবারে সেই দ্িকটাতে কঠিন কৃপণতা, সেখানে জনসাধারণের স্থান সংকীর্ণ, পাহারাওয়ালার অস্ত্েশস্ত্রে রাজপুরুষদের সংশয়বুদ্ধি কণ্টকিত, তার উপরে এই দরবারের ব্যয়বহনের ভার দরবারের অতিথিদেরই পরে। কেবলমান্ত্ নত মস্তকে রাজার প্রতাপকে স্বীকার করবার জন্যেই এই দরবার 1... “বরঞ্চ এই রকম কৃত্রিম উৎসবে স্পষ্ট করে প্রকাশ করে দেওয়া হয় যে, ভারতবর্ষে ইংরেজ খুব কঠিন হয়ে আছে কিন্ত তার সঙ্গে আমাদের মানবসন্বন্ধ নেই, যাস্ত্রিক সম্বন্ধ । এ দেশের সঙ্গে ভাব লাভেব যোগ আছে, ব্যবহারের যোগ আছে, হৃদযের ঘোগ নেই ।"..” [ রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক মত- কালাস্তর ॥| পৃঃ ৩৪৬-৪৭ ] এই দিল্গীদরবার সম্পর্কে তৎকালীন কংগ্রেস-সভাপতি স্থরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যটি একবার এই সঙ্গে লক্ষণীয় । ১৯০২ গ্রীষ্টাবধে কংগ্রেসের আমেদাবাদ- অধিবেশনে তিনি তাহার অভিভাষণে বলিলেন, ১৮৪ ৭০ ০,]5 (00108:585520812) 10568 1538 90562:68815) 06581085156 10568 1018 ০০000, 820 06580086101 9০৬61618019 006 [7680 ০04 006 50866..,1599191156 ৮5 6015 1651176 ০0৫ 1055 810 16561610806 401 00০ 77684 ০: 006 9311618 00208016000, ০02 ৪80£350 5০05 ০161£2, আ০ 199810 ০6 1988 1১081650516 11111655 100 0:0:001)0 90:0৬7,..8:00 ০ 161091560 ০65010 206588025 010. 1318 108165515 1200৩ 01:... শু)০ 00:028002 20950001060 ০5 [715 1২091680+5 1110)658 0০০% 019০6 20 4১080961880. 16 ৪৪ 210 66126 ০৫ [101796129], 01 জ০:1৫- 7106 91£15165819052,...70 006 06০0015 ০ 10019, 0) (00101580101 ড2৪ 20. 2৬61৮ 0৫ 10181006 1000102006,. 0: 006 2৮ 0006 1 006 1019015 ০0৫ 0101: 16518610105 আ101 13116081109 2, 0106 ০0: 80818179 ৪৪ ০0০16 170096:01 ০৫ [710005009219.,,.10 2৪ 01:02056৫ 6০ ও616186 0০ (00:01980010) ৮5 ৪ 806৪ 1001581: €০ 02 13610 ৪ [06101 17 006 ০00156 ০0৫6 0106 1656 106৬ 0858,71106 100:021 075 06610 00০ 501০০০ ০৫ 21010086650 50130052195 ০০001019616 200. এ ছ/7618100,..00196 06 00610 1395 065011960 16 88 “27 ৪০৮ ০1 ২0081120 101: 650958£91006১ 91960189115 006 0৫ 01506 20 ৪ 0006 আ1561) 006 ০000615 15 1050 21006186108 £:010 006 001068 01 ৪ £6৪ (6800106**,৮ [ 0010816555 10:6520 6019] /১00155568 : ৬০]. ] 0.0. 537-98 ] স্বরেক্নাথ তাহার দীর্ঘ অভিভাষণে দরবারের বাদশাহী জাকজমক ও অপব্যয়ের খুবই ম্বছু আপত্তি তুলিলেন। বরঞ্চ অজত্র ইংরাজ-প্রশস্তিবাদ গাহিয়া বলিলেন, প্রতিটি দরবুর-অধিবেশনেই ভারতবর্ষ গুরুত্বপূর্ণ অধিকার লাভ করিয়াছে, আগামী দরবারেও বড়লাট কার্জন যেন তাহার পূর্বস্থরীদের গৌরবময় এঁতিহ্‌ অনুসরণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ও তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি, মেজাজ ও কণ্ঠন্বরের কী পরিমাণ পার্থক্য--আশা করি, পাঠক নিশ্চয়ই তাহ! বুরিতে পারিতেছেন। কিছুকাল পূর্বে সোমেশ্বর দাস নামে “এলাহাবাদের কোনে! দেশীয় ধনী ব্যাঙ্কর সবত্বরক্ষা উপলক্ষে তাঁহার কোনে ইংরাজ ভাড়াটিয়াকে ফুল গ'ছের টব লইতে বাধা দেন--সেই ম্পর্ধায় তাহার কারাদণ্ড হয়।* এই ঘটনাটি উপলক্ষ করিয়া রবীন্দ্রনাথ ব্গদর্শনে রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতি' নামক প্রবদ্ধটি ( বঙ্গদর্শন, ১৩০৯ কাণ্তিক ) লিখেন। এদেশে ইংরাজ-শাসনের এবং সামগ্রিকভাবে ইউরোপের সাম্রাজানীতির স্বরূপ উদঘাটন করিতে গিয়! রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে বলিলেন যে, এই রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি তাহার পোলিটিকাল স্বার্থের প্রয়োজনে মানুষের প্রচলিত ন্তায়নীতি ও ধর্মাধর্মবোধকে মুহুর্তে জলাঞলি দিতেও কুঠিত হয় না। তিনি বলিলেন, রী "***বিচারের নিক্কিতে সক্ষম-অক্ষম এবং কালো-সাঘায় ওজনের কমবেশি নাই। কিন্তু পোলিটিকাল প্রয়োজন বলিয়া একটা ভারী জিনিস আছে, সেট! যেদিকে ভর করে, সেদিকে নিক্তি হেলে । এ দেশে ইংরেজের প্রতি দেশী লোকের অন্ধ সন্ত্রম একটা পোলিটিকাল প্রয়োজন, অতএব সেরূপ স্থলে স্ক্্রবিচার অসম্ভব । ন্তায় বিচারের মতে একথা ঠিক বটে যে, ইংরেজের প্রতি দেশী লোক যে-ব্যবহার করিয়। যে-ণ্ড পায়, দেশী লোকের প্রতিও ইংরেজ সেই ব্যবহার করিয়! সেই দণ্ডই পাইবে। আইনের বহিতেও এসম্বদ্বে কোনো বিশেষ বিধি নাই। কিন্ত পোলিটিকাল প্রয়োজন ন্যায়বিচারের চেয়েও নিজেকে বড়ো বলিয়া জানে । "একথা ঠিক বটে, পাশ্চাত্য সভ্যতার আধুনিক ধর্মশান্ত্রে পলিটিক্স্‌ সর্বোচ্ছে, ধর্ম তার নীচে ।...পোলিটিকাল প্রয়োজনে ন্যায়বিচারকেও বিকারপ্রাপ্ত হইতে হয়, পায়োনিয়র তাহা একপ্রকারে স্বীকার করিয়াছেন। জজ বাট সোমেশ্বরের ব্যবহারকে ৪৪৫৪০1৮ অর্থাৎ দুঃসাহস বলিয়াছেন। স্বত্বরঙ্ষা উপলক্ষে ইংরেজকে বাধ! দেওয়া যে দুঃসাহস, বিচারক তাহাই দেখাইয়াছেন, এবং এই সাহসিকতার আঅপবাধে সন্্ান্ত ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়া বিচারক যে মানসিক গুণের পরিচয় দিয়াছেন, তাহাকে আমর! কোনোমতেই সাহসের কোটায় ফেলিতে পারি না। * এস্থলে দণ্ডিত যদি ৪৫9০£995 হয, তবে দগুদাতার প্রতি ইংরেক্তি কোন্‌ বিশেষণ প্রয়োগ করা৷ যাইতে পারে 1!” উপসংহারে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “ভয়ের কারণ এই যে, আমাদের মন হইতে প্রবধর্মে বিশ্বাস শিথিল, সত্যের আদর্শ বিকৃত হইয়৷ যাইতেছে । আমরাও প্রয়োজনকে সকলের উচ্চে স্থান দিতে উদ্যত হইযাছি। আ'ম্রাও বুঝিতেছি, পোলিটিকাল উদ্দেশ্তসাধনে ধর্মবুদ্ধিতে দ্বিধা অন্কভব কর! অনাবশ্তক । অপমানের দ্বারা যে-শিক্ষা অস্থিমজ্জার মধ্যে প্রবেশ করে, সে-শিক্ষার হাত হইতে নিজেকে রক্ষা করিব কী করিয়া? ধর্মকে যদি অকর্মণ্য বলিয়! ঠেলিয়। রাখিতে আরম্ভ করি তবে কিসের উপর নির্ভর করিব। বিলাতি সভ্যতার আদর্শের উপর ? বিশ্বজগতের মধ্যে এই সভ্যতাটাই কি সর্বাপেক্ষা স্থায়ী?” [ রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতি-_রবীন্দ্-রচনাবলী £ ১০য খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৯৮-৯৯ ] অল্পকাল পরেই কবির পারিধারিক জীবনে এক দারুণ বিপয় আসিল-_ 'অগ্রহায়ণের প্রথম ভাগেই কবিপ্রিয়া ম্ণালিনী দেবীর মৃত্যু হইল ( ৭ই অগ্রহায়ণ ১৩০৯)। পরম আত্মীয়ের এই বিয়োগ-ব্যথ! ও ছুঃখ বাহৃত কবিকে খুব বিচলিত করিয়াছে বলিয়া মনে হয় না। ইহার অল্পকাল পরেই তিনি বঙ্গদর্শনে জেশের-সমস্তা লইয়া! পর পর কয়েকটি প্রবন্ধ লিখিলেন। ১৪৯১ বিপিনচন্ত্র পালের সম্পাদনায় ৈ€জ [7089 পত্রিকা তখন খুব উত্তেজনাপূর্ণ প্রবন্ধ লিখিয়৷ দেশের মধ্যে চাঞল্য থা করিতেছে । বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনিই উগ্রপস্থী ও বিদ্রোহাত্বক আন্দোলনের স্কত্রপাভ করিলেন। ১২ই মার্চের £৪জ [7019 পত্রিকায় বিপিনচন্দ্র ভারতবর্ষে মুরোগীয় ক্রিমিন্তাল” নামক একটি প্রবন্ধে ইংরাজের ঘুধির পরিবর্তে পাণ্টা ঘুষি ফিরাইয়া' দিবার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাইয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ইহারই সমালোচনা প্রসঙ্গে “রাজকুটুস্ব' ও 'ঘুষাঘুধি' (বঙ্গদর্শন, ১৩১০ বৈশাঁখ ও ভাদ্র) নামক দুইটি প্রবন্ধ লিখিলেন। উক্ত প্রবন্ধদ্বয়ে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “সম্পাদক মহাশয় বলেন, আমরা যদি ঘুষির পরিবর্তে ঘুষি ফিরাইতে পারি, তবে রাস্তায় ঘাটে ইংরেজকে অনেক অন্তায় হইতে নিরম্ত রাখিতে পারি। কথাটা সত্য- মুষিষোগের মতো! চিকিৎসা নাই-_কিন্তু সম্পাদকের উপদেশ সহসা কেহ মানিতে রাজি হইবে না । তাহার গুটিকতক কারণ আছে। “একটি কারণ এই যে, আমরা একান্নবর্তা পরিরারে মান্য হইয়াছি--পরষ্পর মিলিয়া-মিশিয়! থাকিবার ষত-কিছু আদেশ-উপদেশ-অন্থশাসন সমস্তই শিশুকাল হইতে আমাদিগকে প্রত্যহ পালন করিতে হুইয়াছে। ঘুষাঘুধি করা, বিবাদ করা, পরের অধিকারে হত্তক্ষেপ কর! ও নিজের অধিকার লড়াই করিয়৷ রাখা, একান্নবর্তী পরিবারে কিছুতেই চলে না। আমাদের পরিবার ভালোমানুষ হইবার, পরস্পরের অঙ্ুকৃূলকারী হইবার, একটি রলারধানা বিশেষ। অতএব ঘুষিশিক্ষা করিলেও মানুষের নাসিকাগ্রে ও চক্ষুতারকায় তাহা নিধিচারে প্রয়োগ করিবার ক্ষিগ্রকারিতা আমাদের অভ্যাস হয় না।” চরাজকুটুম্ব--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৬০২] অর্থাৎ ঘুধির পরিবর্ভে ঘুষি ফিরাইয়! দিতে পারিলে ভালোই হয়, তবে উহ! বাঙালী শিক্ষা-দীক্ষ! ও কালচারের বাহিরে বাস্তবত উহা সম্ভব নহে। তাছাড়। এই নীতির একটা বিপদও আছে। 'ঘুষাঘুষিতে সেই সম্পর্কে বলিলেন, «আমি এ কথা ভয় হইতে বলিতেছি না। দ্াতভাঙা, নাক থ্যাবড়ানো, জেলে' যাওয়া অত্যন্ত গুরুতর অণুভ বলিয়া গন্ত নাই হইল। কিন্ত যে গরলকে পরিপাক করিতে আমর! শ্বাভাবিক কারণেই* অক্ষম, সেই গরলকে উত্রিক্ত করিয়া তোল! দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক কি না, জানি না।” “কিস্ত একট! অবম্থা আছে, খন ফলাফল বিচার অসংগত এবং অন্তায়। ইংরেজ ধখন অন্ঠায় করিয়া আমাকে অপমান করে, তখন যতটুকু আমার সামর্থ্য আছে তৎক্গদাৎ তাহার প্রতিকার করিয়া জেলে যাওয়া এবং মরাও উচিত। ইহ! নিশ্চয় জানিতে হইবে যে, হয়তো ঘুষায় পারিব ন! এবং হয়তে। বিচারশালাতেও ১৪২ দোষী সাব্যস্ত হইবে; তথাপি অন্তায় দমন করিবার জন্ত প্রত্যেক মানুষের যে ত্বর্গায় অধিকার আছে, যথাসময়ে তাহ যদি না! খাটাইতে পারি, তবে মনুয্ের নিকট হেয় এবং ধর্মের নিকট পতিত হইব 1... কিন্ত রবীন্রনাথের “-"*ভয়ের বিষয় এই যে, ধর্মকে বিশ্বাত হইয়া প্রবৃত্তির হাতে পাছে আত্মসমর্পণ করি, পরকে দণ্ড দিতে গিয়া পাছে আপনাকে কলুষিত করি, বিচারক হইতে গিয়া পাছে গুণ] হইয়া উঠি।...প্রবৃতি ও নিবৃত্তির ষে সামঞ্তন্ুপথ আছে তাহা অত্যস্ত দুরূহ হইলেও, তাহাই আমাদিগকে নিয়ত যত্্ে অন্ুদন্ধান ও অবলম্বন করিতে হইবে-_নতুবা বিনাশপ্রাপ্ত হইতেই হইবে। ধর্মের এই অমোঘ নিয়ম হইতে ফ্বুরোপ বা৷ এশিয়া কাহারও মিঙ্কতি নাই “অতএব ঘুষাঘুষি-মারামারির কথা যখন ওঠে, তখন সাবধান হইতে বলি । দেবতার তৃণেও অস্ত্র আছে, দানবের তৃণও শুন্য নহে-_অপ্রমত্ত হইয়। অস্ত্র নির্বাচন যদি করিতে পারি তবেই যুদ্ধের অধিকার জন্মে ।...” [ ঘুষাঘুষি__রবীন্্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড || পৃঃ ৬১১-১২ ] স্বরণ থাকিতে পারে, কিছুকাল পূর্বে রবীন্দ্রনাথ নিজেই ইংরাজের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিবাদ অবলম্বনের কথা বলিয়াছিলেন (সাধনার প্রবন্ধাবলী )। এখন কিন্ত এই সম্পর্কে তাহার ছিধা-ছন্ব উপস্থিত হুইয়াছে। তাহার কারণ, তাহার অতিরিক্ত ন্াযবোধ ও ধর্মভীরুতা। ইংরাজ এবং ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতিকে তিনি এই বলিয়৷ অভিযোগ করিয়া আসিতেছিলেন যে, উহু। পলিটিক্যাল স্থার্থ-প্রয়োজনে ন্যায়নীতি ও ধর্মকে জলাঞ্জলি দিয়া থাকে । অন্তায়ের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের নামে পাছে আমরাই স্তায়- নীতি ও ধর্ম নীতির সু্্ গপ্তিগুলি অতিক্রম করিয়া ফেলি_ইহাই রবীন্ত্রনাথের ন্ব ও দ্বিধা। গান্ধীজীর মতো “14062198+ ও 7:0০+-এর প্রশ্নটি এই সময় হইতেই তাহাকে যেন ভাবিত করিয়া তুলিয়াছে। পরবর্তীকালে, ঠিক এই কারণেই বাংলার সন্ত্রাসবাদী মান্দোলনকে তিনি সমর্থন করিতে পারেন নাই । যথাসময়ে আমর! সেই আলোচনায় অসিব। পরের মাসে রবীন্দ্রনাথ 'ধর্মবোধের দৃষ্টান্ত” প্রবন্ধটি লিখিলেন (বঙ্গদর্শন, ১৩১, আশ্বিন)। একদ। র্যাভেন শ কলেজের ইংরাজ-অধ্যাপক, এ-দেশীয়রা 'প্রাণের মাহাত্ম্য' (88:9০0105 ০৫115 ) বোঝে না, এই বলিয়! বিদ্রপ করিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে 'মৌব', 'ডেলি নিউজ' প্রভৃতি বিদেশী পত্র-পত্রিকা হইতে ইংরা্দ ও ইউরোপীয়ধের পরজাতি-বিদ্বষে ও উপনিবেশগুলিতে তাহাদের অর্া্বিক পীড়ন-নিধাতনের বহু তথ্য সংকলন করিয়া ইউরোগীয়দের 'প্রাণের ১৪৯৩ রবীন্রদাথ ॥ ১৩ মাহাত্ম্যবোধ' ও ধর্মবোধে'র দৃষ্টান্ত দিলেন। হেন্রি স্টাডেজ ল্যাগুর নামক জনৈক ইংরাজ পর্যটক গোপনে তিব্বত ভ্রমণ করিবার কালে তাহার পাহাড়ী অুচর ও বাহকদলের উপর কী অকথ্য অত্যাচার করিয়াছিলেন, তিব্বত “ভীরু রক্ষী- বাহিনীকে তাহার আট শ'গজী রাইফেল ছার! কিভাবে 'উচিতুশিক্ষা” দিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে তাহার বিস্তারিত বিবরণ দিলেন। তিনি ইউরোপীয় সভ্যতার মর্ম উদঘাটন করিতে গিয়া বলিলেন, «.-*ধর্মবোধ পাশ্চাত্য সভ্যতার আ্যন্তরিক নহে--স্বার্থরক্ষার প্রাকৃতিক নিয়মে তাহ! বাহির হইতে অভিব্যক্ত হইয়! উঠিয়াছে। এইজন্য ফুরোগীয় গপ্ডির বাহিরে তাহা! বিকৃত হুইয়! থাকে ।.. দয়াধর্ম রক্ষা করার চেষ্ঠাকে মুরোপ হূর্বলতা বলিয়৷ ঘ্বণা করিতে আরম্ভ করিয়াছে। যুদ্ধের সময বিরুদ্ধপক্ষের সর্বন্দ জালাইয়া দেওয়া, তাহাদের অনাথ শিশু ও স্ত্রীলোকদিগকে বন্দী করিবার বিরুদ্ধে কথা কহা৷ “সে্টিমেণ্টালিটি' ৷ ফুরোপে সাধারণত অসত্যপরত৷ দৃষণীয়, কিন্তু পল্িটিক্নে একপক্ষ অপর পক্ষকে অসত্যের অপবাদ সর্বদাই দিতেছে। গ্লীড্‌স্টোনও এই অপবাদ হইতে নিষ্কৃতি পান নাই। এই কারণেই চীনযুদ্ধে মুরোগীয় সৈন্ঠের উপজ্রব বর্বরতারও সীম৷ লঙ্ঘন করিয়াছিল এবং কংগো-প্রদেশে স্বাোন্ত্ত যেলজিয়ামের ব্যবহার পৈশাচিকতায় গিয়া পৌছিয়াছে। “দক্ষিণ আমেরিকায় নিগ্রোদের প্রতি কিরপ 'আচরণ চলিতেছে, তাহা নিউইয়র্কে প্রকাশিত পোস্ট” সংবাদপত্র হইতে গত ২রা তারিখের বিলাতী ডেলি নিউজে সংকলিত হইয়াছে । .তুচ্ছ অপরাধের অছিলায় নিগ্রো স্ত্ী-পুরুষকে পুলিস- কোর্টে হাজির কর! হয়__সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট তাহাদিগকে জরিমানা করে, সেই জরিমান৷ আদালতে উপস্থিত শ্বেতাজেরা শুধিয়া৷ ধেয় এবং এই সামান্ত টাকার পরিবর্তে তাহার! সেই নিগ্রোর্দিগকে দাসত্বে ব্রতী করে। তাহার পর হইতে চাবুক, লৌহশৃঙ্ঘল এবং অন্তান্ত সকল প্রকাব উপায়েই তাহাদিগকেই অবাধ্যত। ও পলায়ন হইতে রক্ষা! কর! হয়। একটি নিগ্রো স্ত্রীলোককে তো চাবুক মারিতে মারিতে মারিয়া! ফেল! হইয়াছে । *একটি নিগ্রো স্ত্রীলোককে হৈধব্য (0188105 )- অপরাধে গ্রেফতার কর! হইয়াছিল । হাজতে থাকার সময় একজন ব্যারিস্টার তাহার পক্ষ অবলম্বন করিতে স্বীকার করে ।".'ব্যারিস্টার ফী-এর দাবি করিয়া তাহার প্রাপ্য টাকার পরিবর্তে এই নিগ্রো। স্ত্রীলোকটিকে ম্যাক্রি-ক্যাম্পে চৌদ্দমাস কাজ করিবার জন্ত পাঠায় । প্লেখানে তাহাকে নয়মাস চাবিতালা দিনা বন্ধ করিয়া খাটানো হইগ্নাছে, জোর করিয়া আর-এক ব্যক্তির সহিত তাহার বিবাহ দিয়া বলা হইয়াছে. 'পলায়নের আশঙ্ক! করিয়! তাহার পশ্চাতে কুকুর ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছে, ১৪৪ তাহার প্রতু ম্যাক্রির তাহাকে নিজের হাতে চাবুক মারিয়াছে, এবং তাহাকে শপথ করাইয়া! লইয়াছে যে, খালাস পাইলে তাহাকে স্বীকার করিতে হইবে যে, সে মাসে পাঁচ ডলার করিয়া! বেতন পাইত। [ধর্মবোধের দৃষটস্ত__ন্বদেশ ॥| পৃঃ ৮৯-৯১ ] “ডেলি নিউজ বলিতেছেন, রাশিয়ায় ইহুদী হতা।, কংগোয় বেলজিয়ামে অত্যাচার প্রভৃতি লই! প্রতিবেশীদের প্রতি দোষারোপ কর! দুরূহ হুইয়াছে। +4৯6621 511100 £680 00৬61: 15 6100515 201700606 01 056 0708186 01 0:690108 অ100 08210810033 1081:51017653 006 2112 18065 18100 1৬ 50016500015 1016.৮ [ ধর্ম বোধের দৃষ্টান্ত-_ম্বদেশ ॥ পৃঃ ৮৯-৯০ ] বিংশ শতাবীর সুচনাকালেই রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদের এই বিশ্বজোডা নৃশ,স দানবীয তাগুবলীলা প্রত্যক্ষ করিতেছেন। প্রাণের মাহাম্ম্যবোধ', “মানবতা?, ন্যাষনীতি', গণতন্থ" 'সাম্-মৈত্রী-সৌন্রাত্র" প্রভৃতি বডে-বডে! কথ| বলিয়া যে-সব সাম্রাজ্যবাদী প্রবন্তাবা বডাই করে, ববীন্দরনাথ সর্বসমক্ষে তাহাদের স্বরূপ উদঘাটন করিযা দিলেন। শুধু তাহাই নহে, গ্রবন্ধটির ছত্রে ছত্রে পরিশ্কট হইয়! উঠিয়াছে নিখিল বিশ্বেব নিপীডিত ও লাঞ্চিত মানবের প্রতি তাহার অকুগ দরদ ও সহান্ভূতি । কবির মনে তখন হইতেই ভিতরে ভিতরে বিশ্বমানবতা ও আন্তর্জাতিকতা- (বাধের ক্রিয়া চলিতেছে , সভাতা৷ ও সংস্কৃতির সংকট কবিকে তখন হইতেই ভাবিত কবিয্না তুলিতেছে। এতথানি বিশাল দৃষ্টি, এইব্প বিশ্ববোধ 9 সংস্কৃতি-সচেতনতা ববীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দ ছাডা সমকালীন ভারতবর্ষে আব কাহারও মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। স্ত্রীর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক জীবনে শোক-ছুঃখ লাগিয়াই রহিল । মধ্যম! কন্া রেম্ুকাও দীর্ঘকাঁল রোগভোগের পর মারা যান। কবি এই সময়েই তাহার “উৎসর্গ' কাব্যগ্রন্থে অধিকাংশ কবিতা! রচনা করেন। উৎসর্গের মধ্ো কয়েকটি স্বদেশমূলক গান ও কবিতা আছে। পরবর্তীকালে এগুলি “সংকল্প ও স্বদেশ" গ্রন্থে সংকলিত হয় । ইহাদের মধ্যে "স্বদেশ", “নববর্ষের গান", “নববর্ষের দীক্ষা প্রভৃতি উল্লেখঘোগ্য। ম্বদেশ কবিতায় কবি বলিলেন ( উৎসর্গ ঃ ১৬ মংখ্যক কবিতা ১ “হে বিশ্বদেব, মোর কাছে তৃমি দেখ! দিলে আর্জি কী বেশে। দেখিস্থ তোমারে পূর্বগগনে, দেখিনু তোমারে স্বদেশে ।""" ১৪৯৫ “হৃদয় খুলিয়া চাহিনু বাহিরে, হেরিস্ত আজিকে নিমেষে-_ মিলে গেছ ওগো বিশ্বদেবতা, মোর সনাতন হ্বদেশে ।"..” কবির দৃষ্টিতে শ্বদেশ ও বিশ্বদেবতা যেন একাকার হইয়া! গিয়াছে। কিন্ত সেইসঙ্গে অতীত ভারতের তপোমৃত্তি কবিকে তখনও আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে। তিনি লিখিলেন, “শুনিম্থ তোমার স্তবের মস্থ অতীতের তপোবনেতে-_ অমর খধির হৃদয় ভেদিয়া ধ্বনিতেছে ব্রিতবনেতে |". তখন ভারতে শুনি চারি ভিতে মিলি কাননের বিহঙ্গগীতে প্রাচীন নীরব কণ্ঠ হইতে উঠে গায়ত্রী গাথা । হৃদয় খুলিয়া! ঈড়ান্থ বাহিরে স্তনিন্থ আজিকে নিমেষে, অতীত হইতে উঠিছে হে দেব, | তব গান মোর স্বদেশে ।+*-” নববর্ষের দীক্ষায় কবি দেশবাসীকে এই পণ লইতে আহ্বান জানাইলেন, “নব বৎসরে করিলাম পণ-_ লব স্বদেশের দীক্ষা, তব আশ্রমে তোমার চরণে হে ভারত, লব শিক্ষা। পরের ভূষণ পরের বসন তেয়ার্চিব আজ পরের অশন : যদি হই দীন, না হইব হীন ছাড়িব পরের ভিক্ষা ।**'* এই গান গাহিয়াই যেন ব্বদেশী আন্দোলনের উদ্বোধন হইল। ১৪% ॥ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার স্বদেশী আন্দোলনের স্থান ॥ উনবিংশ শতাবীর শেষভাগে সাম্রাজ্যবাদ বীভৎস নগ্মূ্তিতে আত্মপ্রকাশ করিল। চীন, পারস্য, কঙ্গো, ট্রান্সভাল, তিব্বত-_সর্বত্র তখন সাম্রাজ্যবাদের হিং থাবার নৃশংস নখরাঘাত। তথাপি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে প্রবীন কংগ্রেস- নেতৃবৃন্দের তখনও মোহভঙ্গ হইল না। 71018 7:0016-এর 'মঙ্গলকারী শক্তির ভ্পর তখনও তাহাদের অবিচল আম্থা। আঁবেদন-এ্যাজিটেশন করিতে পারিলে একধিন-না-একদিন ইংরাজ তাহাদের কানাডার মত উপনিবেশিক স্থায়ত্ব- শাসনের দাবি মানিয়া লইবে--তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের এই জাতীয় মনোবৃতিতে দেশের যুব-শক্তি লজ্জায়, ক্ষোভে ও ক্রোধে অধীর হইয়া উঠিতেছিল। সেই অশান্ত যুবশক্তির পঙ্ছ হইতে বিপিনচন্দ্র তীব্র ভাষায় বলিলেন, +৬/০ 10856 81855 0661 0655176 2170 02££10£. 006 0081555 13616 210 15 93110150 00000710066 1028 [+0100018) 216 ০০০০ 0688105 17500000105, ৬০ 108৬০ £$561 2 06৬ 18086 0০0 0০8176 : ০ 5811 16 8816201010." [ এআ [17019 1902 ] এদিকে পূর্বদিগন্তে তখন জাপানের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ সমগ্র এসিয়ায় প্রবল বিশ্বয়ের সঞ্চার করিয়াছে । ১৮৯৪-৯৫ খ্রীষ্টাবকে জাপান কোরিয়া ও ফরমোজ। অধিকার করিয়৷ লইল। ১৯০২ খ্রীষ্টাবে ইংলগ্ডের মত প্রবল পরাক্রমশালী দেশও জাপানের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সন্ধি স্থাপন করিল। রুদ্ধনিঃশ্বাসে তখন বাংলার যুবশক্তি এই দৃশ্য দেখিযাছে। দেখিযাছে, ইহার পূর্বে প্রবল পরাক্রান্ত ইংরাজ সৈম্য কিভাবে অশিক্ষিত বোয়ার রষকদের হাতে বারে বাবে লাগ্চিত হইয়াছে। ইতিমধ্যে আয়ার্ল্যাণ্ডের সিন্ফিন্-আন্দোলন ও রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের বনু রোমাঞ্চকর খববও আসিয়া পৌছিল। বাংলার যুবশক্তি এইসব সংবাদে উৎসাহিত ৪ চঞ্চল হইয়া! উঠিতে লাগিল। এমন সময় কার্জনের 'বঙ্গচ্ছেদ যেন দেশেব জন-জাগরণে একটি আশীর্বাদের মত আলিয়! উপস্থিত হইল। ১৯০৫ সালে ৭ই আগস্ট বঙ্গচ্ছেদের প্রতিবাদে বাংলাদেশে এতিহাসিক বয়কট ও স্বদেশী আন্দোলনের স্ত্রপাত হয়। অল্প কিছুদিন আগে ডঃ সান ইন্াৎ-সেনের নেতৃত্বে চীনে আমেরিকার পণ্যব্রব্য-বয়কট আন্দোলন অভূতপূর্ব সাফলা লাভ কবে (২৯৪)। অপরদিকে 'রুপ-জাপান যুদ্ধে'ও (১৯১৪ ফেব্রুয়ারী-১৯*৫ অক্টোবর ) ১৪৭ ত্র জাপানের হাতে প্রবল পরাক্রান্ত রুশ সৈম্ত-বাহিনী বার বার পধুদস্ত হইতে থাকে । এই সকল সংবাদে বাংলার যুবশক্তি উত্তেজিত ও উদ্দীপিত হয়! উঠিল। বাংলাদেশে বয়কট আন্দোলনে ইহার হুম্পষ্ট প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। এ সম্পর্কে স্থরেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিয়াছেন, +»*৮9০3০০০৮ 0: 300618 £০০৫৪ ৪৪ 000110]5 ৪0৪1৮৩৫--০০5 1১900 [ু 081800 ৪৪১--৮5 865628], ] 08000 ৪6 00306 810 006 8810)6 (01006. [10 11786 10882)0 23091595101) ৪6 ০0110 12166010£ 10 006 01902100 06 7081008, 150 20 988 12968060 20 700110 206612088 10610 17 00061 12001655811 60103 2 8150 0১6 90650685601 ১০৮০০৫৫ 9£ 4১006180819 £008 05 006 (1011)656 785" 191001880060 0190181900৫ £৯818 200 16100000650 ০5 0006 [00181 1)6 3১81১615.” [ 5. বব. 8996106০-- ৪6107 11 119817)8 ] বল! বাহুল্য, বাংলাদেশে স্বদেশী আন্দোলন মূলত সাত্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম হইলেও উহার নেতৃবর্গ তখনও ইউরোপের জড়বাদী দর্শন' কিংবা গণতাস্ত্রিক বিপ্লবের রাজনৈতিক দর্শন গ্রহণ করিতে পারেন নাই। পক্ষান্তরে উহা! প্রধানত হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়৷ প্রায় সমগ্র দেশের শিক্ষিত সমাজে এক স্থ্তীব্র শ্বাদেশিকতা ও স্বাজাত্যাভিমানের প্লাবন আনিয়াছিল। স্বদেশী আন্দোলন বাংলাদেশে একটা আকম্মিক ঘটনামাত্র নয়। রামমোহন- বিচ্যাসাগর-বঙ্িমচন্দ্র হইতে শুরু করিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলায় যে আন্দোলনের ধার! চলিয়া আসিতেছিল, .তাহাই এই ম্বদেশী আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াষিল। উনবিংশ শতাবীর শেষ দিকে ও বিংশ শতাব্দীর প্রারস্তে স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ কিভাবে জাতীয় আদর্শ নির্ণযের প্রশ্নে চিস্তার আলোড়ন তুলিয়াছিলেন, পূর্বেই তাহা আলোচনা করিয়াছি। ভারতবর্ষের জাতীয় চেতনায় বাংলাদেশের স্বদেশী আন্দোলনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক1 ও অবদান আছে। রাজনৈতিক : আলোচনা করিলে দেখা যায়, বাংলাদেশে এই সময় পাশাপাশি তিনটি রাজনৈতিক ধারা চলিতে থাকে । (ক) স্থরেন্ত্রনাথ, রাসবিহারী ঘোষ প্রমুখ মভারেটপস্থীগণ, ধাহার। কংগ্রেসের চিরাচরিত আবেদন-নিবেদনের নীতিতে বিশ্বাস রাখিয়া! ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ওপনিবেশিক স্বায়ত্রশাসন চাহিতেছিলেন। (খ) বিপিনচন্দ্রের বয়কট ও নিক্ষিয-প্রতিরোধ (0858156 76888091006 ) ১৪৮ আন্দোলন। বিপিনচন্দ্র দাবি করিলেন বিদেশ প্রভাবমূক্ত স্বাধীনত। | ১৯০৬ সালে তিনি :88:0961958187809+ পত্রিকায় পরিষ্কার ঘোষপ! করিলেন, “0001: 1068] 15 £:6620000১ ত101010 10681)8 8056102 0৫ 81) 101:6181 ০926:01,. 003: 2560900 15 178881%6 16585069106) ড10101 10681)5 018091960 26061000100868018 00 1:61086) 00 1215061 তত ড০101215 ০1 092500181:5 86:515৩ 6০ 006 (30561018616. (গ) অরবিন্দ নিবেদিতা বারীন ঘোষ প্রমুখ সম্ত্রাসবাদীদের গুপ্ত যড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন। প্রকাশ্টে ইহার। সকলেই 7855$56 765150811০6 নীতির পক্ষে থাকিয়া বিপিনচন্দ্রের সহিত একই সাথে কাজ করিতেছিলেন। ন্বদেশী আন্দোলনের যুগে বিপিনচন্দ্র ও অরবিন্দ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ প্রবর্তিত রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে বৈপ্লবিক সংগ্রামের সুত্রপাত করিল। এই প্রসঙ্গে ম্মরণীয়, অরবিন্দ প্রবতিত বিপ্লব আন্দোলন মহারাষ্ট্রের চরমপন্থী আন্দোলন হইতে অগ্ুপ্রেরণ। লাভ করিয়াছিল। সর্বশেষ একটি অভিনব আন্দোলনেব ধার| রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তন করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। উহা! জনসংযোগ ৪ পল্লীসমাজ গঠনমূলক আন্দোলন । যথাসময়ে আমরা ইহার বিস্তারিত আলোচন! করিব। অর্থনৈতিক £ অর্থনৈতিক দিক হইতে বাংলাদেশের বয়কট ও স্বদেশী আন্দোলনের একটি বিশেষ অবদান আছে। এই আন্দোলন সারা ভারতের দেশীয় শিল্প ও কলকারখানাগুলিতে অভুতপূর্ব উন্নতির গতিবেগ সঞ্চারিত করিয়াছে। বস্ততপক্ষে শ্বদেশী আন্দোলন দেশীয শিল্পকে (00156150009 11500090 ) আপেক্ষিকভাবে অধিকতর দু ও সংগঠিত করিয়াছে। স্বয়ং গোখ্লে বেনারস- কংগ্রেসে বলিলেন ( 1905 ), 403615012100609 006 00698020691? 10061006180 15 ১০০ 09000015 8180 হা) 60010002০ 100৮6126180. 1156 3068 ০01 19071185708 00 '015615 0৬71) ০001)05+ 25 01775 ০01 006 1500165 ৩015৩610185 0880 102৬2 ০৮6] 50060 00০ 106816 ০0৫6 10101081810... 94৫ 006 100৮0109618 018 155 00866118] 5106 13 81) 60010010080 0786 ) 8100 00008) 5616-461)5108 0:011181)0555 23661051556] 200616৫ 1200, 100050 56156 ও ৬৫1007015 €০01000010 17১11009596, 1১800615, 00 783016 ৪ 1658৫5 01551000001 01 50010 81105016585 ৪1 191:0006৫ ঠা) 0৩ ০০92 81700 00 6681285) 2 ১6109০005] 50090109500 01৮ ৫30000 ৮ 1066128776 026 06108180101 10018612095 0217785 1928৩15 1) 65০68806006 50015, 005 0166091055 0086 501100020 006 03656802 €0078010035091]5 826 5০ 8690 0386 0065 1:600316 036 ১৪৪ ০০-০০6:830 ০৫ 567 88116015 886105 6০ 81320500106 00600, ৬/1506562 581) 18610 20 হও 0156 0£ 01655 56108 18১ 6106:60076) ৪8 ভআ০:৩: (৫ 065 19852256575 58086 8100 8100010 06 ৫1০01086৫৪৪ 8801).৮ [00200815585 7716810617055] 40012658865 : ০1. 1. ০১. 69৪-9০ ] শিক্ষা শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশী আন্দোলন ভারতব্ধে সর্বপ্রথম জাতীয় শিক্ষার আদর্শ ও নীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ চিস্তা ও আলোচনার ুত্রপাত করিল। ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম কলিকাতাতেই জাতীয় বিশ্ববিষ্তালয় প্রতিষ্ঠিত হইল। দেশের সর্বপ্রথম জাতীয় কারিগরী শিক্ষা-গ্রতিষ্ঠান বেল টেকনিকেল স্কুলও এই সময় কলিকাতায় স্থাপিত হয় । সাহিত্য-শিল্প ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন £ বিংশ শতাবীর হৃচনাকাল হইতেই চিন্তানায়ক ও শিল্পশাস্ত্রীগণ ব্বদেশী সংস্কৃতিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিলেন । ভারতের প্রাচীন চারুশি ও কারুশিল্পকে ইহার! জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনরুজ্জীবিত করিবার আন্দোলন শুরু করিলেন । স্বদেশীযুগে বাংলাদেশেই ভারতীয় চিত্রশিল্প ও ললিতকলার প্ররুত রেনাসাস হইল । এ-ব্যাপারে বাংলাদেশ সার! ভারতের দীক্ষা- গুরু | এই আন্দোলনের ফলে সাহিত্য, শিল্প, সংগীত, নাটক, অভিনয়, পোশাক- পরিচ্ছদ--এক কথায় জাতির সমগ্র সংস্কতি-জীবনে স্বাদেশিকতা৷ ও স্বাজাত্যবোধের এক প্রবল জোয়ার আসিল। ॥ বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব ও মুনিভাপিটি' বিল ॥ ১৯১-০২ সালে লর্ড কার্জন শিক্ষা সংস্কারে প্রবৃত্ত হন । এই উদ্দেশ্তে ১৯*২ সালে 'বিশ্ববিষ্তালয় কমিশন” গঠিত হয় (২৭শে জানুয়ারী )। মোট ছয়জন সাশ্তের এই কমিশনে একজন মুসলিম সন্ত ছাড়া প্রায় সকলেই ইউরোপীয় ছিলেন। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ এই লইয়া আন্দোলন শুরু করিলে প্রায় মাসখানেক পরে খইন্দুদের পক্ষ হইতে বিচারপতি স্যর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে কমিশনে গ্রহণ কর! হয়। কমিশন প্রায় চার মাস পরে তাহাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেন (১৯*২, »ই জুন)। এই রিপোর্ট অন্থসারেই লর্ড কার্জন তাহার “যুনিভার্সিটি বিল" আনয়ন করিলেন । স্যর গুরুদাস এই কমিশনের সহিত 'একমত হইতে পারেন নাই । লর্ড কার্জনের এই বিল একদিকে যুনিভার্সিটিগুলিকে সরকারের তাবেদারিতে পরিণত করিতে এবং অপবদিকে ভাবতীয়দের উচ্চশিক্ষার সকল পথ বন্ধ করিতে উদ্ভত হইল। কার্জনের কূট অভিসন্ধি কাহারও নিকট অবিদিত রহিল না। কার্জনের ধারণা হইয়াছিল যে, উচ্চশিক্ষার ফলে এদেশীষদেব মধ্যে ক্রমেই রাজনৈতিক-চেতনা ও স্বাধীনতা-্পৃহা প্রবল হইয়া উঠিতেছে , বিশেষ করিয়া বাঙালী শিক্ষিত সম্প্রদায় বেশী রাজনৈতিক আন্দোলন ও “হৈ-চৈ করে। তাছাড়া তখন বেকার সমন্তাও বৃদ্ধি পাইতেছিল। নূতন আইনে শিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হইবে, ফলে দরিদ্র দেশবাসীর পক্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সম্ভাবনাও কমিয়া' আসিবে. এই সকল কারণে সার! দেশে ফুনিভার্সিটি বিলেব বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলন শুরু হইল। যুনিভার্সিটি বিল লইয়া যখন দেশময় আন্দোলন চলিতেছে, গ্রাফ সেই সময় ল্ড কার্জন “বঙ্গবিভাগ' বিল উপস্থাপিত করিলেন ( ১৯৯৩, ৩র ডিসেম্বর ক্যালক্যাটা গেজেটে প্রকাশিত )। বঙ্গদেশ বলিতে তখন-বজ, বিহার ও উড়িস্যা--এট তিনটি মিশ্রিত প্রদেশ বুঝাইত। একজন ছোটোলাট বা লেফটেনাণ্ট গভর্নর এই প্রদেশ শাসন করিতেন। বঙ্গবিভাগের স্বপক্ষে কার্জনের একমাত্র যুক্তি ছিল এই যে, এতবড়ো প্রদেশের প্রশাসনিক কাজে বহু সমস্যা ও অহুবিধা, হ্ৃতরাং 'বন্ধদেশকে প্রশাসনিক স্থবিধা অনুযায়ী পুনর্গঠিত করা প্রয়োজন । প্রস্তাবিত বিলে ২৬১ আসাম প্রদেশের সহিত রাজসাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগকে সংযুক্ত করিয়। পূর্ববঙ্গ ও আসাম" নামে একটি নৃতন প্রদেশ এবং অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ বর্ধমান ও প্রেসিডেন্সী বিভাগ এবং উড়িস্য/, ছোটনাগপুর ও বিহার লইয়৷ বঙ্গদেশ গঠনের পরিকল্পনা হয়। এই বঙ্গবিভাগের পশ্চাতেও কার্জনের যে কৃট রাজনৈতিক অভিসদ্ধি ছিল, সকলের নিকট তাহা স্থুম্পষ্ট হুইয়! উঠিল। যতকিছু রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আন্দোলনের উৎপতিস্থান এই বাংলাদেশ । সুতরাং বঙ্ববিভাগের ফলে বাঙালী জাতির শক্তি খর্ব ও খণ্ডিত হইবে । তাছাড়! “বঙ্গবিভাগের ফলে পূর্ববন্গে মুসলিমদের আধিপত্য স্থনিশ্চিত হইবে" এই প্রলোভন দিয়া কার্জন গোপনে গোপনে প্রতিক্রিয়াশীল মুসলিম অভিজাত সম্প্রদায়কে বঙ্গবিভাগের পক্ষে প্ররোচিত করিতে লাগিলেন। কার্জনের এই হীন অপকৌশলে সার! বাংলাদেশ জ্দ্ধ ও বিক্ষুব্ধ হইয়া! উঠিল। সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় বহিতে শুরু করিল। যুনিভার্সিটি বিল ও বঙ্গবিভাগ প্রস্তাবকে উপলক্ষ করি%া সারা বাংলাদেশে যে প্রচণ্ড উদ্দীপন! ও উন্মাদনার সৃষ্টি হইল, এবং তাহার ফলে যে অভূতপূর্ব শ্বাদেশিকতা- বোধ ও প্রত্যক্ষ-সংগ্রামের সুচনা! হইল, রবীন্দ্রনাথ তাহাকে দুইহাত বাড়াইয়া অভার্থনা জানাইলেন। বাংলাদেশের স্বদেশী সংগ্রামে তিনি যেন একটি অশ্রতপূর্ব স্থুর শুনিতে পাইলেন । বঙ্গদর্শনে “বঙ্গবিভাগ* প্রবন্ধের ( বঙ্গদর্শন, ১৩১১১ জোট ) সচনাতেই কৰি বলিলেন, "্বঙ্গবিভাগ ও শিক্ষাবিধি লইয়! আমাদের দেশে সম্প্রতি যে আন্দোলন হৃহয়া গেছে, তাহারু মধ্যে একটি অপূর্বস্থ বিদেশী লোকেরাও লক্ষ্য করিয়াছে। সকলেই বলিতেছে, এবারকার বক্তৃতাদিতে রাজভক্তির ভড়ং নাই, সামলাইয়া কথা! কহিবার প্রয়াস নাই, মনের কথ! স্পষ্ট বলিবার একটা চেষ্টা দেখ। গিয়াছে ।'*-কংগ্রেস প্রভৃতি রাষট্রনৈতিক সভাস্থলে আমরা সার বার দুইকৃল বাচাইয়া কথা কহিবার চেষ্ট! করিয়াছি ।'..এবার কিস্তু দুর্বল ভীরুর স্বভাবসিদ্ধ ছলাকল! বিশেষ দেখা যায় নাই-- প্রাজ্ঞ প্রবীণ ব্যক্তিরাও একেবারে হাল ছাড়িয়। দিয়া সোজা! সোক্তা কথ! কহিয়াছেন।” রবীন্দ্রনাথ এই স্থুরকে স্বাগত জানাইলেন। কিন্তু সেই সাথে তিনি কংগ্রেসের যে সকল প্রবীণ নেতার মধ্যে তখনও দোঁমনা ভাব রহিয়াছে, তাহাদের উদ্দেশে বলিলেন, “যদি সত্যই তোমার এই খারণ! হইয়া থাকে যে, বাঙালিজাতিকে দূর্বল করিবার উদ্গেশ্তেই বাংলাদেশকে খণ্ডিত কর! হইতেছে,-যদি সত্যই তোমার ও বিশ্বাস ঘে, মুনিভার্সিটি বিলের দ্বার! ইচ্ছাপূর্বক মুনিভার্সিটির প্রতি মৃত্যুবাণ বর্ষণ করা হইতেছে, তবে সেকথার উল্লেখ করিয়! তুমি কাহার করুণা আকর্ষণ করিতে ইচ্ছা করিতেছ।... “--*আর, মনের মধ্যে যদি অবিশ্বাস ন| জন্মিয়া থাকে, তবে অবিশ্বাস প্রকাশ করিতেছ কেন--অমন চড়। স্থরে কথ। কহিতেছ কেন - কেন বলিতেছ, “তোমাদের মতলব আমর! বুঝিয়াছি, তোমর! আমার্দিগকে নই করিতে চাও।” এবং তাহার পরক্ষণই কীদিয়া বলিতেছ,__“তোমর! যাহ! সংকল্প করিয়াছ তাহাতে আমর! নষ্ট হইব, অতএব নিরম্ত হও ।” বলিহারি এই "অতএব? 1” রবীন্দ্রনাথ যে স্তাষ্য স্বাধিকার অর্জনের জন্য বিদ্রোহ করিবার কথ৷ কল্পন! কঞ্জিতেছিলেন তাহা নহে । তীহার ধারণ। 9 বক্তব্য, “পরের কাছে স্ম্পষ্ট আঘাত পাইলে পরতন্ত্রত৷ শিথিল হইয়৷ নিজেদের মধ্যে এক্য স্থদৃচ হয়। সংঘাত ব্যতীত বড়ো কোনো জিনিস গড়িয়া উঠে না, ইতিহাসে তাহার অনেক প্রমাণ আছে । “দেশের প্রীকি আমাদের কথ! এই _ আমর! আক্ষেপ করিব না, পরের কাছে বিলাপ করিয়া আমর! ছুরবল হইব না। কেন এই রুদ্ধদ্বারে মাথা-খোডাখুড়ি, কেন এই নেরাশ্ট্ের ক্রন্দন 1.” তিনি বলিলেন, “আমরা নিজের দিকে যদি সম্পূর্ণ ফিরিয়া দ্াড়াইতে পারি, তবে নৈরাশ্টের লেখমাত্র কারণ দেখি না। বাহিরের কিছুতে আমাদিগকে বিচ্ছিন্ন করিবে এ কথা আমর! কোনে মতেই স্বীকার করিব না। বিচ্ছেদের চেষ্টাতেই আমাদের এক্যান্চভূতি দ্বিগুণ কবিয়া! তুলিবে। পৃৰে জড়ভাবে আমর! একক ছিলাম, এখন সচেতনভাবে আমরা এক হইব । বাহিরের শক্তি যদি প্রতিকূল হয়, তবেই প্রেমের শক্তি জাগ্রত হইযা উঠিয়। প্রতিকার চেষ্টায প্রবৃত্ত হইবে । সেই চেষ্টাই আমাদের যথার্থ লাভ ।” ইংরাজ সরকারকে লক্ষ্য করিয়। কবি বলিলেন, “হে রাজন্, আমাদিগকে যাহা যাচিত ও অযাচিত দান করিয়াছ তাহা একে একে ফিরাইয়া লও, আমাদিগকে অর্জন করিতে দাও। আমর! প্রশ্রয় চাহি না, প্রতিকূলতার দ্বারাই আমাদের শক্তির উদবোধন হুইবে। আমাদের নিদ্রায় সহায়তা করিও না, আরাম আমাদের জন্ত নহে, পরবশতার অহিফেনের মাত্রা প্রতিদিন আর বাড়িতে দিয়ো না--তোমাদের রুদ্রযৃত্ঠিই আমাদের পরিত্রাণ । জগতে জড়কে সচেতন করিয়া তুলিবার একইমাজ ২৩৩ উপায় আছে-আঘাত, অপমান ও একাস্ত অভাব; সমাদর নহে, সহায়তা নহে, স্থৃভিক্ষ নহে ।” [ বঙ্গবিভাগ-_রবীন্্-রচনাবলী £ ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৬১৩-১৯ ] ইংরাজের নিকট হইতে আঘাত ও সংঘাতই আমাদের পথ দেখা ইবে-_অর্থাৎ তিনি শক্রকে পক্র হিসাবেই--বিরোধকে বিরোধ হিসাবেই দেখিবার আহ্বান জানাইলেন। অবশ্ঠ সংগ্রামের বিষয়, লক্ষ্য ও পন্থা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের নিজন্ব কয়েকটি ধারণা ও মত ছিল, যথাসময়ে আমর! এই প্রসঙ্গে আসিব । ১৯০৪ গ্রীষ্টাবঝে কার্জন সাহেব সমন্ত দেশের জনমতকে উপেক্ষা ও পদদলিত করিয়া মুনিভার্সিটি বিল পাস করাইয়া লইলেন। বিলটি উত্থাপন-কালে ঘে এাজিটেশন ও প্রতিবাদ আন্দোলন দেখা গিয়াছিল ক্রমশই তাহা নিন্ডেজ হইয়। আদিল। দেশবাসীর এই নিক্কিয় নিশ্চেষ্টতা ও নৈরাশ্টবোধ কবিকে অত্যন্ত ক্ষুন্ধ ও ব্যথিত করিল। বঙ্গদর্শনে 'ুনিভার্সিটি বিল' প্রবন্ধে (বঙ্গদর্শন, ১৩১১, আধাঢ় ) চুন্ধ রবীন্দ্রনাথ ইহারই উল্লেখ করিয়া বলিলেন, “সুনিভাসিটি বিল পাস হইয়। গেছে, আমরাও নিম্তব্ধ হৃইয়াছি। যতক্ষণ পাস হয় নাই, ততক্ষণ আমর! এমন ভাব ধারণ করিযাছিলাম, যেন আমাদের মহ! অনর্থ- পাত ঘটিমাছে। যদি বস্ততই আমাদের সেইরূপ বিশ্বাসই হয়, তবে বিল পাস হইয়! গেল বলিয়াই অমনি স্থনিদ্রার আয়োজন করিতে হইবে, ইহাব হেত খুঁজিয়া পাওয়া যায় ন|। “দেশের সত্যই যদি কোনে। দারুণ অনিষ্ট ঘাটবার কারণ থাকে, তবে গবর্মেন্ট আমাদের দোহাই মানিলেন ন! ব্জিয়াই আমর! নিজেরাও যথাসাধ্য প্রতিকার-চেষ্টা করিব না, ইহার অর্থ কী। আন্দোলন সভায় আমরা যে পরিমাণে সুর চডাইয় কাদিয়াছিলাম, রং ফলাইয়৷ ভাবী সর্বনাশের ছবি আকিয্বাছিলাম, আমাদের বর্তমান নিশ্চেষ্টত1 কি আমাদের সেই পরিমাণ লজ্জ।র বিষয় নহে 1...” [ গ্রন্থপরিচয়-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৩য় খণ্ড ॥ পূ: ৬৪৭ ] বিলটির সমালোচন। করিতে গিয়৷ রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “আমাদের ভাবনার বিষয় এই থে, দ্রেশের বিচার দুর, অপ দূর্মূল্য, শিক্ষা যদি দুমূল্য হয়, তবে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে নিদারুণ বিচ্ছেদ আমাদের দেশেও অত্যন্ত বৃহৎ হইয়া উঠিবে। “. বিলাতি লাট আজকাল বলিতেছেন, যাহার টাকা নাই, ক্ষমত৷ নাই, তাহার বিস্তাশিক্ষার প্রতি অত্যন্ত লোভ করিবার দরকার কী? আমাদের কানে এই কথাটি! অত্যন্ত বিদেশী, অতান্ত নিষ্ঠুর বলিয়! ঠেকে ।” তিনি আরও বলিলেন, ৪ “.-*তাই বলিয়া বসিয়া বসিয়৷ আক্ষেপ করিলে চলিবে না। আমর! নিজেরা যাহ! করিতে পারি তাহারই জন্য আমাদিগকে কোমর বাধিতে হইবে । বিস্া- শিক্ষার ব্যবস্থা আমাদের দেশে সমাজের ব্যবস্থা ছিল-_রাজার উপরে, বাহিরের সাহায্যের উপরে ইহার নির্ভর ছিল নাঁ_-সমাজ ইহাকে রক্ষা করিয়াছে এবং সমাজকে ইহ। রক্ষা করিয়াছে । “সর্বাপেক্ষা এই জন্যই বিশেষ প্রয়োজন হইয়াছে--নিজেদের বিচ্চাদানের ব্যবস্থাভার নিজেরা গ্রহণ করা । তাহাতে আমাদের বিদ্যামন্দিরে কেম্ত্রিজ-অক্স- ফোর প্রকাণ্ড পাষাণ প্রতিরূপ প্রতিষ্ঠিত হইবে ন! জানি, তাহার সাজ সরগ্তাম দরিদ্রের উপযুক্ত হইবে, ধনীর চক্ষে তাহার অসম্পূর্ণতাও লক্ষিত হইবে, কিন্তু জাগ্রত মরছ্বতী শ্রন্ধাশতদলে আসীন হইবেন,.."দুর হইতে ভিক্ষুক বিদায় করিবেন ন। | "*-*এ স্থলে আমাদের একমাত্র কর্তব্য, নিজের! সচেষ্ট হওয়া ; আমাদের দেশে ডাক্তার জগদীশ বন্থ প্রভৃতির মতে! যে-সকল প্রতিভাসম্পন্ন মনস্বী প্রতিকূলতার মধ্যে থাকিয়াও মাথ! তুলিয়াছেন, তাহাদিগকে মুক্তি দিয়া তাহ!দের হন্ডে দেশের ছেলেদের মানুষ করিয়া তৃলিবার স্বাধীন অবকাশ দেওয়া ।...* [ মুনিভার্সিটি বিল-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৩য় খণ্ড || পৃঃ ৫৯৬-৯৯ ] অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ইংরাজ সরকারের সহিত সংস্রবহীন স্বাধীন জাতীয় বিদ্যালয় ও জাতীয় শিক্ষার কথা উত্থাপন করিলেন । কিন্তু কংগ্রেস নেতৃবর্গ তখনও স্বাধীন জাতীয় শিক্ষার কথা ভাবিতেছেন না , তাহার! বিলটিরই কেবল সংশোধনের দাবি জানাইলেন । যদিও ১৯০৩ সালে (ডিসেম্বর ) মাগ্রাজ-কংগ্রেসে সভাপতির অভিভাষণে লালমোহন ঘোষ মুনিভাসিটি বিলের সমালোচন! করিয়া উহার সংস্কার দাবি করেন, তাহাতে অন্ত সুরও শুন। যায । তিনি বলেন, 5,.১৬৬100) 1015 1020501050015 20 81:15:0018080 10285. 106 ড/9116০0 60 102105 0800 200090101891 11550105010785 8010108,01) ৪৪ [06815 ৪8৪ 009551915 05৩ 508150810 01 70010) 8100 02601. [৫ ৪৩ 1020018]15 0185080]6 £01 10300 00 00)067508130 আড় [00 * 00618 (310) 25 006 10810116506 001 001001৬ 0195565 1)8191961) 0০ 76 ) 8150110 06 81731900500 1005856 ৪ 5010 06 €00081001) ভা10101 ০০০: ০০০০165 ০1511017617 £ঠে। 0778192000০ 706 85016 0০ 17:5061৬6.” তিনি আরও বলিলেন, 5,,,80০)০০৫ 0০0 5০৪1: 81210581) 2 065116 1০185 ৫০01) 006 £011095/17£ 01220179165 : 5115015, 006 2000580101) 01 106 206০1716 8180010 ০06 ৪8৪ 0000০) 8৪ 09551016 11) 006 1)81:05 ০01 (105 16০১১16 । ৩৪ 56০02015) 096 2000158: 6015001 ০0৮61 025 60008110158] 1798080- (1008 81900101১06 06 118005 170611560 20 01001 18 1088 ০066 91901556008 0008181 00001 10858 0661 £003150 ৪)- (0560061 ৪. 16811016., “**৬৩ আআ) 8৪ 11015 30561100060 5015001 ৪৪ 09851016. ৬/০ 009 1906 ৪1) 01209106800 05 00৮ 1) 006 ৪ ০0 ০00: 0090:67 80006005,*-৬/65 00 206 8180 000 13018612005 ৩0116£65 00 96 10818585650 0০ 90006 11806166161)06,"-ত৩ 0 180 তা 81180007800 80800810 0£ 60028 2190. 00360: 0০ ৮০ 6৪৫৪৮- 1191060 12 0018 00০01: 00000. [ 0015£:658 10:551061)0581 £00165565 £ ৬০1, ]. 00. 64952 ] এই সময় দীনেশচন্দ্র সেন সখারাম দেউস্করের “দেশের কথা, পুস্তকের সমালোচনা করিয়া বঙ্গদর্শনের জন্য উহা রবীন্দ্রনাথের নিকট পাঠাইয়। দিয়াছিলেন। এই পুস্তক এবং উহার সমালোচন! পাঠ করিয়া রবীন্দ্রনাথের মনে প্যাটি যটিজম্‌ ও দেশের রাজনৈতিক আদর্শ সম্বন্ধে কয়েকটি গভীর প্রশ্ন দেখা দেয়। বঙ্গদর্শন “দেশের কথা' নামক একটি প্রবন্ধে (বঙ্গদর্শন, ১৩১১, শ্রাবণ ) তিনি এই প্রসঙ্গে আলোচন| করিতে গিয়া! বলিলেন, “...প্যাটি ্লটিজমের প্রতিশব দেশহিতৈষিতা নহে । জিনিসটা বিদেশী, নামটাও বিদেশী থাকিলে ক্ষতি নাই। যদি কোনে। বাংলা শব্ই চালাইতে হয়, তবে “্বাদেশিকতা” কথাটা ব্যবহার করা মাইতে পারে। “স্বাদেশিকতার ভাবখানা এই থে, স্বদেশের উধ্বে আর কিছুকেই স্বীকার না করা। ব্বদেশের্-লেশমাত্র স্বার্থে যেখানে বাধে না সেইখানেই ধর্ম বল, দয়া বল, আপনার দাবি উত্থাপন করিতে পারে-_কিন্ত যেখানে স্বদেশের স্বার্থ লইয়া কথা সেখানে সত্য, দয়া, মঙ্গল সমস্ত নীচে তলাইয়া যায়। স্বদেশীয় স্যার্থপরতাকে ধর্মের স্থান দিলে যে ব্যাপারটা হয় তাহাই প্যাটি যটিজম্‌ শবের বাচ্য হইয়াছে ।” ইংলও ফ্রান্স, জার্মানী, অদ্রিয়া প্রতি সাম্রাজ্যবাদী দেশের ন্যাশনালিক্গম্‌ ও প্যাটি যটিজমের প্রকৃত তাৎপর্ধটি রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে যেভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করিলেন, সমকালীন ভারতবর্ষে এমনটি আর কাহাকেও করিতে দেখা যায় না। ববীজ্জনাথ এখানে নৃতন কথ! কিছু বলিতেছেন না; এইরূপ কথ! তিনি অনেক দিন আগে হইতেই “বিরোধমূলক আদর্শ, 'রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতি' গ্রভৃতি প্রবন্ধে এবং সাধনা, ভারতী ও বঙ্গর্শনের রাজনৈতিক প্রবন্ধগুলিতে বলিয়া আসিতেছেন। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে সেই তীর স্বাদেশিক উন্মাদনায় পাছে আমরা ইউরোপের এই স্কাশনালিজম ও প্যাটি রটিজঘের আদর্শ পৃজা করি,--ইহাই রবীন্দ্রনাথের ২৩৬৬ উদ্বেগ ও আশঙ্ক! | বারবার তিনি দেশকে নানাভাবে নান! তত্ব ও তথ্যাদি দ্বারা এবং বনু পত্রপ'ত্রক! ও মনীষীর রচনা উদ্ধৃত করিয়া এ বিষয়ে সতর্ক করিয়া দিতে চাহিলেন। এ প্রবন্ধে তিনি আরও বলিলেন, “ এই সময়েই আমাদের মোহমুক্ত হওয়া! দরকার । অনিবা্ধ প্রয়োজনে যাহ। মামাকে লইতেই হইবে, তাহাব সম্বন্ধে অতিমাত্রায় মুগ্তভাব থাকা কিছু নয। একথ! যেন মনে না কবি, জাতীয় ্বার্থতন্ত্রই মন্তয্যত্বের চরম লাভ। তাহার উপবেও ধর্মকে বঙ্গ। কবিতে হইবে- মন্তম্তত্বকে ন্যাশনালত্বের চেয়ে বডো বলিষ। জানিতে হইবে । ন্যাখনালত্বেব স্থবিধাব খাতিরে মৃম্তগ্তত্বকে পদে পদে বিকাইয। দে এষা, মিখ্যাকে আশ্রয় কব, ছলনাকে আশ্রয় কুরা, নির্দযতাকে আশ্রয় করা প্রকৃতটাক্ষে ঠক! সেইকপ ঠকিতে ঠিকিতে "অবশেষে একদিন দেখা যাইবে, স্যাশনালত্ব স্থদ্ধ দেউলে হইবাব উপক্রম হইয়াছে । তাহাব প্রমাণ, বোয়ার যুদ্ধে ইংবেজেব তরফের রসদের মধ্যে বাশিবাশি ভেঙ্াল। জাপানের সঙ্গে যুদ্ধে বাশিয়াব পক্ষেও সেইরূপ দেখা গেছে। মন্ক্লান্বেৰ মঙ্গলকে যদি ন্যশিনালত্ত বিকাইয়! দেয়, "ত.ব ম্কাশনালত্তেব মঙ্গলকে ৪ একদিন ব্যক্তিগত স্বার্থ বিকাইতে আবন্ত কবিবে। ইহার অগ্যথ! হইতেই পাবে না। "* লক্ষ্য কবিবাব বিষয়, তখনও পযন্ত তিনি ধর্ম ও “ননুযৃত্বকে স্যাশন'লত্বেব চয়ে শেষ্ঠ ও বডো৷ করিয়! দেখিবাব আহ্বান জানাইতেছেন । কিন্ক ভাবতবর্ষেব সত পবাধীন ইপনিবেশিক দেশে স্বাদেশিকতা ও জ্ঞাতীযতাবাদেবও একটি প্রগতিশীল এবং তিহাসিক ভূমিকা আছে,--বিশেষ কবিযা যতক্ষণ পধন্ত ন সে-দেশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনেব নাগপাশ-বন্ধন ছিন্ন করিবাব জন্য স্বাধানতা-স.গ্রামে জাতীয় এক্যকে সংহত ও দুঢচতব করে। ববীন্দ্রনাথ ন্াশনালিজ্ঞম, প্যাটিযটিজম্‌ বা স্বাদেখিকতার এই এতিহাসিক ভূমিকাকে অস্বীকাব কবিতেছেন না, পরম্থ তিনি উহাকে একান্তই ভাবতীয এঁভিহ-সাধনায় গভিযা তুলিবার আহ্বান জানাইতেছেন। তাই এ প্রবন্ধের উপসহারে তিনি বলিলেন, “যাহা হউক, আমাদিগকে নেশন বাধিতে হইবে--কিন্ত বিলাতের নকলে নহে। আমাদের জাতির মধ্যে ষে নিত্যপদার্ঘট, যে প্রাপপদার্থটি আছে, তাহাকেই সর্বতৌভাবে রক্ষা করিবার জন্য আমাদিগকে এক্যবদ্ধ হইতে হইবে-_ আমাদের চিত্তকে, আমাদের প্রতিভাকে মুক্ত করিতে হইবে, আমাদের সমাজকে সম্পর্ণ স্বাধীন ও বলশালী করিতে হইবে । একার্ধে স্বদেশের দিকে আমাদের সম্পূর্ণ হায়, স্বদেশের গ্রতি আমাদের সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা চাই-_াহা শিক্ষা ও অবস্থার গুণে অন্তদিকে ধাবিত হইয়াছে তাহাকে ঘরের দিকে ফিরাইতে হইবে ।-*” ২৬৭ বল! বাছল্য, রবীন্দ্রনাথের এই যথার্থ ত্বাদেশিক সাধনায় ইউরোপের গণতন্ত্র ও পার্লামেন্টারী রাজনীতির কোন স্থান নাই। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগা- রবীন্দ্রনাথ সেই সময় বিখ্যাত ভ্রমণকারী 5৬৪ 73817-এর একটা রচন! পড়িয়া! ইংরাজদের তিব্বত অভিযান সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিতে পারেন । এ প্রবন্ধে তিনি তাহা উদ্ধত করিয়া ইংরাজ- সাম্রাজ্যনীতি সম্পর্কে দেশকে আরে। সচেতন করিয়া দিতে চাহিলেন। তিনি বলিলেন, “ইংরেজ কখনোই একথা ভাবে না যে, পৃথিবীতে ফরাসী সভ্যতার একট! উপকারিত। আছে, অতএব সে সভ্যতায় আঘাত করিলে সমস্ত মানবের স্থৃতরাং আমাদেরও ক্ষতি। নিজের পেট ভরাইবার জন্য আবশ্তাক হুইলে ফরাসীকে সে, বটিকার মত গিলিয়া ফেলিতে পারে ।'*এস্থলে ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য এশিয়া- আফ্রিকার ডালপালা! সমস্ত সুড়াইয়া খাইলে কোন দোষ দেধি না। অতএব তিব্বতে শাস্তিদূত প্রেরণের ব্যবস্থাকালে কপোলযুগল রক্তিম বর্ণ করিবার কোনো প্রয়োজন নাই ।-.. “বিখ্যাত ভ্রমণকারী 3৮ [360%৯-এর নাম সকলেই গুনিয়াছেন। ইংরেজের তিব্বত-আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলিয়াছেন £ “7195 [0781190 ০80098169 12 12966 15 ৪. £681) 7:০০ 01 026 [00051181190 0:008155 ভা1১০1) 566208 €০ ৫1591906618 0106 2০10০81 6215061)0165 ০৫ 0 (00068, 8190 9 68০6 0£ 13101) 0৫ 90510018 ০ 006 52981167 809055 8996878 01608110005. 4৯১ ৪029] 80866 জা ০1) 0068 1006 2088658 0115 00561 00 0616170 1561£ 1৪ ৫002060 00 060৪5, 10603611019 00151350928 01506. [8 02: 0116968 (80800 0006 06০215 006 10068151778 ০0 0176 ড০:5 7০৮৪ 005 10510190015 89 0058210৮000 51981015060 50531, 1500 8081 00 00 2001061% 1068০6 02 87:09 8130 £০০এ আ1]] 6০781058 17861)", 1139069৫ 0৫ 10818 05620361568 8100 05611681618 ঠা 01168050008016 810 20101916615 0561698 0087098, 50001) ৪1) 121050106 ৪৪ 006 73168616 0105 জা0০10 ৮০ 10070858916. 840 000৪915 50০ 68115 (15189$810. 66117889815 20010867556 10) 0009065 7১01105, 4£৯100 006 88706 (01011808108 5600. 00312155101). 82859 60 78991, 11) 005 15906 01 0061) 0156 01885 00 91006০৫ 006 25186658 (0100 80018 0১00178081015.” [ দেশের কখা--রবীঞ্জ-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড ॥| পৃঃ ৬১৯-২৩ ] অল্প কয়েকদিন পরেই তিনি তাহার বিখ্যাত প্রবন্ধ "্ঘদেশী সমাজ মিনার্ভা ৩ রঙগমঞ্চে চৈতন্য লাইব্রেরীর বিশেষ অধিবেশনে পাঠ করিলেন (৭ই শ্রাবণ, ১৩১১)। সভাপতি ছিলেন রমেশচন্দ্র দত্ত । সভায় এমন ভীষণ ভিড় হয় যে শেষ পর্বস্ত ঘোড়সওয়ার পুলিসকে ভিড় সামলাইতে হয়। পরে, এ প্রবন্ধটি পরিবর্ধিত আকারে ১৬ই শ্রাবণ কার্জন রঙ্গমঞ্চে পুনঃ পঠিত হয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, এই সময়ে বাংলাদেশে জলকষ্ট দেখা দেয়, তাহার নিবারণ সম্বন্ধে গভর্নমেন্টের মন্তব্য প্রকাশিত হইলে পর এই প্রবন্ধ লিখিত হয়। দেশের লোক জলকষ্ট নিবারণের জন্য বা অন্ান্ত গ্রাম-সংস্কার ও লোক- হিতকর কার্ষের জন্য অসহায়ভাবে ইংরাজ সরকারের দিকে তাকাইয়া থাকিবেন বা আন্রদন-নিবেদন ও “আ্যাজিটেশন্‌, করিবেন, রবীন্দ্রনাথ তাহা আদৌ সহ বা সমর্থন করিতে পারেন নাই । এই সম্পর্কে রবীন্দ্রন।থের প্রথম বক্তব্যই হইতেছে যে, পূর্বে এই সব লোফফহিতকর কাধ আমাদের সমাজই গ্রহণ করিয়া আসিত তাহা রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী ছিল না । তিনি বলিলেন, “ -*ত্রিটিশ গবর্ষেন্ট আ'সিবার পূর্বে আমাদের জলপিপাসা ছিল এবং এতকাল তাহাব নিবৃত্তির উপাষ বেশ ভালোবপেই হইযা আসিযাছে-.. | “আমাদের দেশে যুদ্ধবিগ্রহ, রাজ্যরক্ষা এবং বিচারকার্ধ রাজা করিয়াছেন, কিন্তু বিগ্যাদান হইতে জলদান পর্যন্ত সমন্তই সমাজ এমন সহজভাবে সম্পন্ন করিয়াছে যে এত নব নব শতাব্দীতে এত নব নব রাজার রাজত্ব আমাদের দেশের উপর দিয়! বন্যার মতো! বহিযা গেল, তবু আমাদের ধর্ম নষ্ট করিষা! আমাদিগকে পশুর মতে। করিষা দিতে পারে নাই". | “দেশে এই সমস্ত লোকহিতকব মঙ্গলকর্ম ও আনন্দ-উৎসব এতকাল অব্যাহত- ভাবে সমস্ত ধনিদরিদ্রকে ধন্য করিযা আসিয়াছে''" । “ইংরেজিতে যাহাকে স্টেট বলে, আমাদের দেশে আধুনিক ভাষায় তাহাকে বলে সরকার। -'বিলাত, দেশের সমস্ত কল্যাণকর্মের ভার স্টেটের হাতে সমর্পণ করিয়াছে--ভারতবধ তাহা! আংশিকভাবে মাত্র করিয়াছিল ।"*" “বিলাতে প্রত্যেকে আপন আরাম-আমোদ ও স্থার্থসাধনে ম্বাধীন-_তাহারা কর্তব্যভারে আক্রান্ত নহে--তাহাদেব সমস্ত বড়ো বড়ো কর্তব্যভার রাজশক্তির উপর স্থাপিত। আমাদের দেশে রাজশক্তি অপেক্ষারুত স্বাধীন--প্রজাসাধারণ সামাজিক কর্তব্দ্ার আবদ্ধ ।""" «..বিলাতে রাজশক্তি যদি বিপযস্ত হয়, তবে সমস্ত দেশের বিনাশ উপস্থিত ২৯৯ রবীন্দ্রনাথ ॥ ১৪ ইয়।'.আমাদের দেশে সমাজ যদি পঞ্ু হয়, তবেই বখার্থভাবে দেশের সংকটাবস্থা উপস্থিত হয়৷": "আজ আমরা সমাজের সমস্ত কর্তব্য নিজের চেষ্টায় একে একে সমাজবহিতূ্তি 'স্টেটের হাতে তুলিয়! দিবার জন্ত উদ্ধত হইয়াছি।-.'ইহাই বিপদ, জলকষ্ট বিপদ নহে ।” লক্ষা করিবার বিষয়, রবীন্্নাথ আধুনিক 'রাষ্ট্ের ভূমিকাটি সম্যক উপলব্ধি করিতে পারিতেছেন না। প্রাচীন সামস্ততান্ত্রিক এশিয়াটিক সমাজের সহিত আধুনিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের তুলনা! করিবার প্রশ্নে যে বৈজ্ঞানিক সমাজচেতনার আবশ্তক হয় রবীন্দ্রনাথের (ব! সমকালীন ভারতবর্ষে) তাহা! ছিল না। অবশ্ঠ ইংরাজ সরকারের 'বাষ্ট্র' হইতে বিশেষ কিছু আশ! করাই ভূল। কংগ্রেস নিয়ম- তান্ত্রিক আন্দোলনের পথে দেশবাসীকে ক্রমশই এই রাষ্ট্রের ভূমিকাটি সম্পর্কে সচেতন করিতেছিলেন। সেই হিসাবে কংগ্রেসের একটি এঁতিহাসিক ভূমিকা আছে। কিন্ত ইংরাজ-শাসিত রাষ্ট্র সম্পর্কে অতিমাত্রায় আশ! পোষণ করাই ছিল কংগ্রেসী নেতৃত্বের প্রধান ব্ছ্যতি। রবীন্দ্রনাথ তাহার পরিবর্তে মোটামুটি ্য়ংসম্পূর্ণ একটি “স্বদেশী সমাজে'র মাধ্যমে দেশবাসীর স্বাদেশিকত৷ ও সমাজবোধকে জাগ্রত কবিবার আহ্বান জানাইলেন। সেই সমাজে জনহিতকর ও সমাজ- উন্নয়নমূলক কাজগুলি দেশবাসীকেই ব্বতঃপ্রণোদিত হইয়া গ্রহণ করিতে হইবে, ইহাই রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তব্য। তিনি জাতির আত্মশক্তি ও জনশক্তির উপর বারবার গুরুত্ব আরোপ করিলেন । ছ্িতীয়ত, রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেনের তৎকালীন সভা-সম্মেলনগুলির কর্মস্চীর উপর আস্থ! স্থাপন করিতে পারেন নাই। ভৎপরিবর্ভে তিনি দেশের মেলাগুলিকে স্থুপরিকল্পিতভাবে সংগঠিত করিবার আহ্বান জানাইলেন, “পোলিটিক্যাল সাধনার চরম উদ্দেশ্ট একমাত্র দেশের হৃদয়কে এক করা । কিন্তু দেশের ভাষ! ছাড়িয়া, দেশের প্রথা ছাড়িয়া! কেবল বিদেশীয় হৃদয় আকর্ষণের জন্ত বহুবিধ আয়োজনকেই মহোপকারী পোলিটিক্যাল শিক্ষা! বলিয়৷ গণ্য করা আমাদেরই হতভাগ্য দেশে গ্রচলিত হইয়াছে । *..*প্রোভিনস্তাল কনফারেন্সকে যদি আমর! যথার্থই দেশের মন্ত্রণার কার্ষে নিযুক্ত করিতাম, তবে আমরা কি করিতাম? তাহ! হইলে আমর! বিলাতি ধণাচের একটা সভা না বানাইয়! দেশী ধরনের একটা বৃহৎ মেল! করিভাম। সেখানে যাত্রা- গান-আমোদ-আহ্লাদে দেশের লোক দূরদূরাস্ত হইতে একজ হইভ। সেখানে দেনী গণ্য ও কৃষিজব্যের প্রদর্শনী হইত । সেখানে ভালে! কথক, কীর্তন-গার়ক ও হ১৪ যাজার দলকে পুরস্কার দেওয়া! হইত । সেখানে ম্যাঙ্জিকলন প্রভৃতির সাহায্যে সাধারণ লোকদিগকে স্বাস্থ্যতত্বের উপদেশ বুস্পষ্ট করিয়া বুঝাইয়! দেওয়। হইত এবং আমাদের যাহ। কিছু বলিবার কথা আছে, যাহা-কিছু স্থখছুঃখের পরামর্শ আছে, তাহা ভল্রাভদ্রে একত্রে মিলিয়া৷ সহজ বাংল! ভাবায় আলোচনা করা যাইত।” ইহার ব্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়া! তিনি বলিলেন, "আমাদের দেশ প্রধানত পল্লীবাসী। এই পল্মী মাঝে মাঝে যখন আপনার নাড়ীর মধ্যে বাহিরের বৃহৎ জগতের রক্ত চলাচল অনুভব করিবার অন্ত উৎন্থৃক হইয় উঠে, তখন মেলাই তাহার প্রধান উপায়।... “ঞুই মেলা আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বাভাবিক । একটা সভা উপলক্ষে ঘি দেশের লোককে ডাক দাও, তবে তাহারা সংশয় লইয়া আসিবে, তাহাদের মন খুলিতে অনেক দেরি হইবে-_কিস্তু মেল! উপলক্ষে যাহারা একন্র হয় তাহারা সহক্তেই হৃদয় খুলিয়া আসে--সতরাং এইখানেই দেশের মন পাইবার প্ররুত অবকাশ ঘটে ।.." “বাংলাদেশে এমন জেলা নাই যেখানে নানা স্থানে বৎসরে নানা সময়ে মেলা না হইয়া থাকে--প্রথম্ত, মেলাগুলির তালিকা ও বিবরণ সংগ্রহ করা আমাদের কর্তব্য । তাহার পরে এই মেলাগুলির স্তরে দেশেব লোকের সঙ্গে যথার্থভাবে পরিচিত হইবার উপলক্ষ আমরা যেন অবলম্বন করি। “প্রত্যেক জেলার ভদ্র শিক্ষিত সম্প্রদায় তাহাদের জেলার মেলাগুলিকে যদি নবভাবে জাগ্রত, নব্প্রাণে সজীব করিয়া তুলিতে পারেন, ইহার মধ্যে দেশের শিক্ষিতগণ যদি তাহাদের হৃদয় সঞ্চার করিয়া! দেন, এই সকল মেলায় যদি তাহারা হিন্দু-মুসলমানেব মধ্যে সন্তীব স্থাপন করেন--কোনোপ্রকার নিক্ষল পলিটিক্সের সংঅব ন| রাখিয! বিদ্যালয়, পথঘাট, জলাশয়, ?গাচর-জমি প্রভৃতি সন্বদ্ধে জেলার যে-সমন্ত অভাব আছে, তাহার প্রতিকারের পরামর্শ করেন, তবে অতি অল্লকালের মধ্যে স্বদেশকে যথার্থ ই সচেষ্ট করিয়৷ তুলিতে পারেন ।” সেযুগের কংগ্রেস ও তাহার সভাসম্মেলনগুলির সহিত বিন্দুমাজ জন-সংযোগ ছিল না। শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, উচ্চপদস্থ কিংবা! অবসরপ্রাপ্ত সিভিলিয়ান্গণ, উকিল-ব্যারিস্টার-ডাক্তার--ইহারাই তধন কংগ্রেসে ভিড় করিতেন, এমন কি নিযমধ্যবিত্ত সম্প্রদায় তখনও পধস্ত কংগ্রেসে যোগ দেন নাই। দেশের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা স্বাস্থা, পথঘাট প্রভৃতি সম্পর্কে কংগ্রেস নেতৃবর্গ ছিলেন উদ্দাসীন। কংগ্রেসের এই জনসংযোগহীনতা--গ্রাম-সমন্তা ও লোকসংস্কৃতি ২১১ সম্পর্কে তাহাদের এই ওঁদাসীন্য ও অবজরবীন্দ্রনাথকে অত্যন্ত পীড়িত 'ও ক্ষুন্ধ করিয়! তুলিতেছিল। সম্ভবত সেই কারণেই তাহার এই 'রাজনীতি'বিমুখত| | এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, আধুনিক রাজনৈতিক দল আমাদের দেশে পূর্বে ছিল না_ কংগ্রেসের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম সারা ভারত-ভিত্তিতে এই রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি হয়। প্রথম যুগে কংগ্রেস বা এই জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসুচী যতই ক্রটিপূর্ণ হউক, তা সত্বেও তৎকালীন দেশের অবস্থায় সেই সকল দলের যে একটি বিশেষ তাৎপংপূর্ণ ভূমিকা! ছিল রবীন্দ্রনাথ তাহা সম্যক উপলদ্ধি করিতে পারেন নাই । কিন্তু ইহাও স্মরণীয় যে, তিনিই সর্বপ্রথম দেশের মেলাগুলির গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্ধ সম্পর্কে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিলেন। দেশের অবলুষ্তপ্রায লোক-সংস্কৃতিগুলির সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম দেশবাসীকে অবহিত করিতে চাহিলেন, উহাদের সংরক্ষণের দাবি জানাইলেন। আমাদের স্বাদেশিক সাধনার ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথের এই প্রচেষ্ট। অতীব গুরুত্বপূর্ণ । তৃতীয়ত, লক্ষণীয়, এই প্রবন্ধে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের প্রশ্নে তিনি' কল- কারখানার প্রয়োজনীয়ত। স্বীকার করিলেন। তিনি বলিলেন, “***একটা ছোট পল্লীকেই আমরা! প্রত্যক্ষভাবে আপনার করিয়৷ লইয়া তাহার সমস্ত দায়িত্ব স্বীকার করিতে পারি--কিস্তু পরিধি বিস্তীর্ণ করিলেই কলের দরকার হয়__দেশকে আমরা কখনই পল্লীর মতে করিয়া! দেখিতে পারি না--এইজগ্য অব্যবহিতভাবে দেশের কাঁজ কর! যায় না, কলের সাহায্যে করিতে হুয়। এই কল-জিনিসটা আমাদের ছিল না, সুতরাং ইহা৷ বিদেশ হইতে আনাইতে হইবে এবং কারখানা-ঘরের সমস্য সাজসরগ্রাম-আইনকাঙ্ন গ্রহণ না করিলে কল চলিবে না। “কথাটা অসংগত নহে । কল পাতিতেই হুইবে। এবং কলের নিয়ম যেদেশী হউক না কেন, তাহা মানিয়া না! লইলে সমস্তই ব্যর্থ হইবে । এ-কথা সম্পূর্ণ স্বীকার করিয়াও বলিতে হইবে, শুধু কলে ভারতবর্য চলিবে না-_যেখানে আমাদের ব্যক্তিগত হৃদয়ের সন্বদ্ধ আমরা প্রত্যক্ষভাবে অনুভব না করিব, সেখানে আমাদের সমন্ত প্রকৃতিকে আকর্ষণ করিতে পারিবে না 1” 'যন্ত্রসভ্যতা মানুষের মধ্যে* হৃদয়হীন যাস্ত্রিক-সম্পর্ক সৃষ্টি করিতেছে, ইহাই রবীন্দ্রনাথের ভয়। এবং সেই কারণেই আধুনিক কলকারখানা বা শিশ্প-সভ্যতাকে গ্রহণ করিবার প্রশ্নে তখনও তাহার মনে কিছুটা ছিধ! ও ছন্ঘ-সংঘাত চলিতেছে। চতুর্থত, রবীন্দ্রনাথ দেশে আদর্শ সমাজপতি ব1 নেতার আহ্বান জানাইলেন, “এক্ষণে আমাদের সমাজগ্বাতি চাই । তাহার সঙ্গে তাহার পার্যদসভ1 থাকিবে, কিন্ত তিনিই প্রত্যক্ষভাবে আমাদের সমাজের অধিপতি হইবেন |." ১২ “আমাদের প্রথম কাক্গ হইবে--যেমন করিয়া হউক, একটি লোক স্থির করা এবং তাহার নিকটে বাধ্যতা স্বীকার করিয়! ধীরে ধীরে ক্রমে ক্রমে তাহার চারিদিকে একটা ব্যবস্থাতন্ত্র গড়িয়া! তোল! ৷... [ স্বদেশী সমাজ-__রবীন্দ্র-রচনাবলী ; ওয় খণ্ড ॥ প: ৫২৬-৪৩ ] রবীন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধটি চারিদিক হইতে নান! সংশয় ও বিতর্ক তুলিল। “বঙ্গবাপী' পত্রিকায় বলাইঠাদ গোন্বামী হিন্দু-সমাজের পক্ষ হইতে এ গ্রবন্ধের বক্তব্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথকে কযেকটি প্রশ্ন করেন। রবীন্দ্রনাথ উহার জবাবে প্বিদেশী সমাজ প্রবন্ধের পরিশিষ্ট' নামক প্রবন্ধটি লিখিলেন ( বঙ্গদর্শন, ১৩১১ আশ্বিন্)। এ প্রবন্ধে তিনি তাহার বক্তব্যকে আরো পরিষ্াবভাবে বর্ণনা কবিষা উপসংহারে বলিলেন, “***আমি একথ। বলিতেছি না যে, আমার মতেই সমাক্গ গঠন করিতে হইধে। আমি বলিতেছি, আত্মবক্ষার জন্য সমাজকে ভাগ্রত হইতে হইবে, কর্তৃত্ব গ্রহণ করিতে হইলে । সমাজ যে-ক্কোনো উপাষে সেই কতৃত্লাভ করিলেই আপনার সমস্ত সমস্যার নীনাংসা আপনি কবিবে। তাহার সেই স্বরুত মীমাংস। কখন কিবপ হইবে আমি তাহ! গণন৷ করিয়া! বলিতে পারি না। অতএব প্রসঙ্গক্রমে আমি দু-চাবিটা কথ। যাহা বলিয়াছি, অতিশষ সুক্্রভাবে তাহার বিচার করিতে বস। মিথ্য। 1 ” [ রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৩য় খণ্ড ॥॥ পূঃ ৫৫৫৮] রবীন্দ্রনাথের এই স্বদেশী সমাজে পরিকল্পনা তাহার ছেলেবেলাকার হিন্দুমেলার স্থৃতির সুম্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য কর! যায়। যাহ। হউক, এই স্বদেশী সমাজের পরিকল্পনার একটি বিশেষ তাৎপয আছে। ব্রিটিশ রাজত্বেব অভ্যন্তরেই আর একটি 'পাণ্ট। সরকার' না হইলেও, একটি 'ন্বযংসম্ূর্ণ পাণ্টা সমাজনিয্্র-ব্যবস্থা'র পরিকল্পন। রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীর সামনে উপস্থিত করিয়াছিলেন । ্রীপ্রভাতকুমাব মুখোপাধ্যায় মহাশষ বলিতেছেন, “রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধ লিখিয়াই ক্ষান্ত হইলেন না, নিজ জমিদারীতে পযন্ত ইহার পরীক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । দেশেব কাজ সম্বন্ধে একটি বিস্তৃত খসড়া তালিকা এই সময মুদ্রিত হয় ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃং ১১৪ ] স্বদেশী সমাজের সশ্যদের জন্য প্রতিজ্ঞাপত্রের ভূমিকাটি এইরূপ ছিল £ “ স্বদেশী সমাজ [ পাঠক দয়া করিয়া নিজের অভিপ্রায়মত এই নিয়মাবলীর পরিবর্তন পরিবর্ধন ও পরিবর্জন করিয়া জোড়ামীকোয় ৬নং দ্বারকানাথ ঠাকুরের গলিতে শ্রীযুক্ত বাবু গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিকট পাঠাইয়া! দিবেন । ইহা! সর্বসাধারণের নিকট প্রকাশ্য ১৩ নহে। বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে যাহারা এই কার্ষে যোগ দিতে ইচ্ছুক আছেন তাহাদের নাম ও ঠিকানা এই সঙ্গে পাঠাইলে বাধিত হইব । ] আমর! স্থির করিয়াছি আমর! কয়েকজনে মিলিয়া একটি সমাজ স্থাপন করিব। আমাদের নিজের সশ্মিলিত চেষ্টায় যথাসাধ্য আমাদের অভাব মোচন ও কর্তব্যসাধন আমর নিজেরা করিব, আমাদের শাসনভার নিজে গ্রহণ করিব, যে সকল কর্ম আমাদের ্বদেশীয়ের দ্বার! সাধ্য তাহার জন্ অন্তের সাহায্য লইব না। এই অভিপ্রায়ে আমাদের সমাজের বিধি আমাদের প্রত্যেককে একান্ত বাধ্ভাবে পালন করিতে হইবে । অন্যথা করিলে সমাজবিহিত দণ্ড স্বীকার করিব। সমাজের অধিনায়ক ও তাহার সহায়কারী সচিবগণকে তাহাদের টন অধিকার অনুসারে নিবিচারে যথাযোগ্য সম্মান করিব । বাঙালি মাত্রেই এ সমাজে যোগ দিতে পারিবেন । সাধারণত ২১ বৎসর বয়সের নীচে কাহাকেও গ্রহণ কর! হইবে না । এ সভার সভ্যগণের নিয়লিখিত বিষয়ে সম্মতি থাকা আবশ্তক : ১। আমাদের সমাজের ও সাধারণত ভারতবর্ষীয় সাজের কোনে৷ প্রকার সামাজিক বিধিব্যবস্থার জন্ত আমরা গবর্ষেশ্টের শরণাপন্ন হইব ন|। ২। ইচ্ছাপূর্বক আমর! বিলাতি পরিচ্ছদ ও বিলাতি ভ্রব্য ব্যবহার করিব না। ৩। কর্মের অনুরোধ ব্যতীত বাঙালিকে ইংরেজিতে পত্র লিখিব না। ৪। ক্রিয়াকর্ষে ইংরেজি খানা, ইংরেজি সাজ, ইংরেজি বাছ্য, মগ্যসেবন, এবং আড়ম্বরের উদ্দেস্টে ইংরেজ নিমন্ত্রণ বন্ধ করিব । যদি বন্ধুত্ব বা অন্য বিশেষ কারণে ইংরেজ নিমস্ত্রণ করি তবে তাহাকে বাঁংল! রীতিতে খাওয়াইব। ৫ | যতদিন না আমর] নিজে শ্বদেশী বিদ্যালয় স্থাপন করি ততদিন যথাসাধ্য ত্বদেশ-চালিত বিদ্যালয়ে সম্তানদিগকে পড়াইব ৷ ৬। সমাজন্থ ব্যক্তিগণের ষধ্যে বদি কোনো প্রকার বিরোধ উপস্থিত হয় তবে আদালতে ন৷ গিয় সর্বাগ্রে সমাজ-নির্দিষ্টি বিচারব্যবস্থা গ্রহণ করিবার চেষ্ট! করিব। ৭। স্বদেশীয় দোকান হইতে আমাদের ব্যবহার দ্রব্য ক্রয় করিব। ৮। পরস্পরের মধ্যে মতান্তর ঘটিলেও বাহিরের লোকের নিকট সমাজ্জের বা সামাজিকের নিন্দাঞ্জনক কোনো! কথ! বলিব না ।” ['পন্ধিশিষ্ট _রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৮২-৮৪ ] ২১৪ ইহাব পর উক্ত গ্রচার-পুস্তিকায় শ্বদেশী সমাজের সামাজিক ব্যবহার, অর্থ নৈতিক পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কলাবিষ্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিচার ও সাহিত্য সম্বন্ধে বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ কবা হইয়াছিল। পরবর্তীকালে ১৯২০ সালে গান্ধীজী পরিকল্পিত অসহযোগ-আন্দোলনের মূল চরিত্রের সহিত ইহার সাদৃশ্ত লক্ষ্য কব! যায়। অথচ রবীন্দ্রনাথের চিন্তার মৌলিকত্ব সম্পর্কে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে কোথাও অকপট স্বীকৃতি দিতে দেখি ন|। চিরদিনই তিনি শুধু কবি ও কল্পনাবিলাসী হিসাবে স্বীরুতি পাইয়া! আসিম়্াছেন। স্বাদেশিকতাবোধকে তীব্র কবিবাব জন্য এই সময় কলিকতাষ “বীরপূজা' ও 'শিবান্তী উৎসবে'ব প্রবর্তন হয়। প্রা সাত বৎসর পূর্বে মহারাষ্ট্রে তিলকের নেতৃত্বে এই শিবাজী উৎসব প্রচলিত হয়- পূর্বেই সে সম্পর্কে আলোচনা করিয়াছি । কলিকাতায় শিবাজী উৎসবেব প্রচলন সম্পর্কে প্রফুল্পকুমাব সবকাব লিখিতেছেন, *১৯৪ সালেব আব একটি ম্মরণীয় ঘটন। কলিকাতায় "শিবাজী উৎসব? । ্রহষবান্ধব উপাধ্যায়, বিপিনচন্ত্র পাল প্রভৃতি নব জাতীয়তাবাদীদেব উদ্যোগে এই শিবাজী উৎসব অনুষ্ঠিত ছয। মহাবাষ্্রনেতা লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক এই উৎসবে যোগ দিবাৰ জন্য পুনা হইতে কলিকাতায় আসেন। এই শিবাজী উৎসবেব একটা প্রধান অঙ্গ ছিল শক্তিরূপিণী ভবানীব পুক্ঞা। এই উৎসব উপলক্ষে কলিকাতা টাউন হলে যে বিবাট সভ। হয়, ববীন্দ্রনাথ তাহাতে তাহার বিখ্যাত কবিতা “খিবাজী উৎসব" পাঠ কবেন। ৮ [ জাতীয় আন্দোলনে ববীন্দ্রনাথ ॥ পৃঃ ৪৪ ] বাংলাদেশে শিবাজী উৎসবেব অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন সখাবাম গণেশ দেউস্কর | এই সময তিনি 'শিবাজী দীক্ষা" নামে একটি পুস্তক লিখেন; ববীন্দ্রনাথ উহার ভূমিকা-্বরূপ "শিবাজী উৎসব" কবিতাটি লিখিয়া দিয়াছিলেন এবং উহ্থাই তিনি টাউন হলেব উৎসবে পাঠ কবিয়াছিলেন। এই কবিতায় তিনি শিবাজীকে শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামেব বীব অধিনায়করূপেই দেখেন নাই, তিনি দেখিয়াছেন, “তব ভাল উল্ভতাসিয়৷ এ ভাবনা তডিত্প্রভাবৎ এসেছিল নামি-- “এক ধর্মরাজ্য'-পাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত বেঁধে দিব আমি ।” এক ধর্মরাহ্য-পাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত বেঁধে দিব আমি” এই কথাটিই রবীন্নাথকে মুগ্ধ করিয়াছে । নতুবা শিবাজ্ী উৎসবের অন্ত কোনে! তাৎগর্ধ তাহাকে বিচলিত করিতে পারিত বলিয়। মনে হয় না। ২১৫ ভারতের জাতীয় এক্য বৈদ্দিক ধর্মের ভিত্তিতেই গড়িয়া উঠিবে, ইহাই কবির তৎকালীন ধারণা । এই এক ধর্মরাজ্যে যে, মুসলমান ও ভারতের অন্যান্ত সম্প্রধায়ের গৌরববোধ করিবার কিংবা মিলিত হইবার কোনোই সম্ভাবনা নাই-_- রবীন্জনাথ সেকথ! তখনও বুঝিয়া উঠিতে পারেন নাই। বস্ষিমচন্দ্ররমেশচন্দরে যুগ হইতে যে হিন্দু জাতীয়তাবাদ আস্তে আন্তে আমাদের দেশে পরিপুষ্ট হইতেছিল, ক্রমশই তাহ। উগ্রপস্থী রাজনৈতিক আন্দোলনের উপর ভয়ানক প্রভাব বিস্তার করিতে থাকে । রবীন্দ্রনাথও. সে প্রভাব হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত হইতে পারেন নাই । তবে একথাও ঠিক, রবীন্দ্রনাথের হিন্দুজাতীয়তাবাদ উহা হইতে ভিন্ন ধরনের । তাহার হিন্দুজাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত ছিল এক মহান মানবতা ও স্যায়নীতির উপর । লক্ষ্য করিবার বিষয়, উগ্রপন্থীদের মত অশ্বপৃষ্ঠারোহী উদ্যত তরবারি হস্তে শৌষ- বীর্ধের প্রতীক কোনো শিবাজীর মৃতি তিনি পৃজা' করিলেন না । তিনি বলিলেন, “সেদিন শুনি নি কথা-_-আজ মোরা তোমার আদেশ শির পাতি লব। কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে ভারতে মিলিবে সর্বদেশ ধ্যানিমন্ত্রে তব । ধবজ! করি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরীবসন-_ দরিদ্রের বল। “এক ধর্ষরাজ্য হবে এ ভারত এ মহাবচন করিব সম্বল ॥৮ শিবাজী উৎসবে ইহাই রবীন্দ্রনাথের মূল আকর্ষণ। তাই দেখিতে পাই, ইহার কিছুকাল পরে শিবাজজী উৎসবের সহিত যখন “ভবানীপুজা” সংযুক্ত হয়, তখন সেই ভবানীপুজার সহিত তাহার কোনো! সংশ্রব ছিল না। ২১৬ ॥ সফলতার সহৃপায় ॥ যুনিভাসিটি আইন পাস হইয়! গিয়াছে, বঙ্গবিভাগ প্রস্তাব লইয়া দেশে তখন তুমুল আন্দোলন চলিতেছে । এমন সময় কার্জন-সরকার ভাষ/-বিচ্ছেদ পরিকল্পন। লইয়! অগ্রসর হইলেন--ভারত সরকার বাংলার প্রাথমিক শিক্ষার সংস্কার সম্বন্ধে একটি পরিকল্পন! প্রকাশ করিলেন ( ১১উ মার্ড, ১৯০৪ )। উন গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা যে ভাষার মাধ্যমে প্রচলিত ছিল, তাহ। ছিল অত্যন্ত দুরূহ সংস্কৃতায়িত। সেই কারণে উহার সংস্কারের প্রশ্ন উঠে। সরকার এই" উদ্দেশে একটি তদন্ত-কমিটি বসাইলেন। কমিটিতে ছিলেন চারজন ইংরাঙ্জ এবং ভারতীয়দের পক্ষ হইতে কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত । এই তদন্ত-কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হইংল 1াংলাদেশে তুমুল উত্তেজন। দেখ! দ্রিল। কলিকাতায় জেনারেল এাসেমর্রি হলে রামেন্ত্রন্ুন্দর ত্রিবেদী মহাশয়ের সভাপতিত্বে যে প্রতিবাদ-সভ। হয ( ১৩১১, ফাল্গুন ২৭) তাহাতে রবীন্দ্রনাথ “সফলতার সদুপাষ, প্রবন্ধটি পাঠ করেন। কমিটির প্রস্তাবের সমালে চন! করিতে গিয়া তিনি বলিলেন, “দশম প্যারাগ্রাফে কমিটি বলিতেছেন-বাংল! নিম্ন প্রাইমারী স্কুলের প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকগুলির অধিকাংশ ন্যনাধিক সংস্কতায়িত ( 5817501161564) ভাষায় লেখ! হইয়া থাকে, তাহার মধ্যে এমন সকল পরিভাষা থাকে যাহা পল্লীবাসীর৷ বোঝে না । অতএব, এই-স্কুলেব উপযুক্ত আদর্শপাঠ্যগ্রস্ তৈরি করিবার জন্য কয়েকটি বিচক্ষণ কর্মচারী লইয়া একটি বিশেষ সমিতি স্থাপিত হউক। বইগুলি প্রথমে ইংরেজিতে লেখা হইবে, তাহাব পরে সরকার মঞ্জুর করিলে কমিশনার- সাহেব ও স্ুল-ইন্স্পেক্টরদের সঙ্গে পরামর্শ করিষ! শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টর বইগুলিকে স্থানীয় গ্রচলিত ভাষায় (19০81 ৮€12980091815 ) তর্জমা করিবার জন্য লোক নির্বাচিত করিবেন ।**" “একাদশ প্যারাগ্রাফে কমিটি বলিতেছেন-__ইংরেজি আদর্শপাঠাযপুস্তকগুলি যথেষ্ট পরিমাণ স্থানীয় প্রচলিত ভাষায় তর্জম! হওয়াটাকে কমিটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপার বলিয়া! মনে করেন। যথা, তাহাদের বিবেচনায় বেহারে অন্তত তিন উপভাষায় তর্জম! হওয়া চাই, ত্রিহুতি, ভোজপুরি এবং মৈথিলি; এবং বাংলাদেশে ' অন্ততপক্ষে উত্তর, পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম ভাষায় তর্জমা হওয়া উচিত হইবে ।-..* ২১৭ এই আপাতন্ুন্দর কথাগুলির পিছনে মূল ভাষাগুলিকে দুর্বল করিবার যে অভিসন্ধি ছিল, সে সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “বোঝ। যাইতেছে, কর্তৃপক্ষের তরফ হইতে আমাদের দেশটাকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেওয়াটা! একট! 20861 0£ 81596 10019001706 হুইয়! উঠিয়াছে ।"." “কর্তৃপক্ষ বলিতেছেন, আমর! নিতাস্তই চাষীদের উপকার করিতে চাই। হয়তে৷ চান:'''সে কথাটা বিশ্বাস কর। সহজ হইত, যদি দেখিতাম কর্তৃপক্ষের স্বদেশেও তাহাদের স্বজাতীয় চাষীদের এই প্রণালীতে উপকার করা হুইয়া থাকে । “ইংরেজের দেশেও চাষা যথেষ্ট আছে এবং সেখানে যে ভাষায় পাঠ্য গ্রন্ লেখ হয়, তাহ। সকল চাষার মধ্ো প্রচলিত নহে ।"**ল্যাংকাশিয়রের উপভাষায় ল্যাংকাশিয়রের চাষীদের বিশেষ উপকারের জন্য পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন হইতেছে না । স্পষ্টই দেখ! যাইতেছে, ইংলগ্ডে চাষীদের শিক্ষা! স্থগম করা যদিও নিশ্চয়ই 1020661০0৫6 £620 10010011800, তথাপি ইংলগ্ডের সবতত ইংরেজিভাষার এঁক্য রক্ষা কর! 0796: 01 81686 10190769106 | কিস্তু সে দেশে চাষীদের উপকার ও ভাষার অখণ্ডতা রক্ষা উভয়ই এক স্বার্থের অন্তর্গত, এ সম্বন্ধে কোনো পক্ষভেদ নাই-_স্থৃতরাং সেখানে ভাষাকে চার টুকরা৷ করিয়! চাষীদের কিঞ্চিৎ ক্লেশলাঘব করার কল্পনামাত্রও কোনো পাঁচজন বুদ্ধিমানের একক্রসম্মিলিত মাথার মধ্যে উদয় হইতে পারে ন11.-'জনসাধারণের শিক্ষার উপসর্গ লইয়াই হউক ঝ। যে উপলক্ষেই হউক; দেশের উপভাষার অনৈক্যকে প্রণালীবদ্ধ উপায়ে ক্রমশ পাকা করিয়া তুলিলে তাতে দেশের সাধারণ মঙ্গলের মূলে কুঠারাঘাত করা হয়, তাহা নিশ্চয়ই আমাদের পাশ্টাত্য কর্তৃপক্ষেরা, এমন-কি, তাহাদের বিশ্বস্ত বাঙালী সন্ত, আমাদের চেয়ে বরঞ্চ ভালোই বোঝেন।” বাংলা সাহিত্যের ভাষ। বড়ই বেশী সস্কতায়িত, এই অজুহাতে কর্তৃপক্ষ উহাকে গ্রামাঞ্চল হইতে নির্বাসিত করিবার মতলব করিতেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এই যুক্তি খণ্ডন করিতে গিয়া বলিলেন, “*-পুরাণপাঠ, কীঙন, পৌরাণিক যাত্রা, কথকতা, তরজা, কবির লড়াই প্রভৃতি যাহা-কিছু আমাদের সাধারণ লোকের উপদেশ ও আমোদের উপকরণ সমন্তই স্বভাবতই সংস্কতকথাকে দেশের সর্বত্র সফারিত করিয়া দিতেছে । দেশের পঞ্ডিতমণ্ডলীর সহিত দেশের সাধারণের এই জ্ঞানসম্বদ্ধের ভাবসম্বন্ধের পথ চিরদিন অবারিত আছে।-.'সেই ভাবার সহিত নিম্ন-সাধারণের চিত্তের যোগ রুত্রিম বাধার দ্বার! বিচ্ছিন করিয়! দেওয়া সরকারের পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয় হইয়াছে, এ কথা বলিলে ্বস্ত আমাদিগকে বিশ্বাস করিতেই হইবে--কিন্ধ চাঁধাদের মঙ্গলের পক্ষেও ১৮ ইহা প্রয়োজনীয়, এ কথা স্বয়ং রুষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত মহাশয় বলিলেও বিশ্বাস করিব না ।, ভাষার প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল, বিশেষ করিয়া আসামের ক্ষেত্যে এবং বাংলা- বিহারের উপজাতি-এলাকাগুলির ক্ষেত্রে । ববীন্দ্রনাথের পক্ষে সে-যুগে ভাষ।তত্বের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আয়ত্ত কর! সম্ভব ছিল না। রবীন্দ্রনাথ দেশের অন্ঠান্ত নেতৃবর্গের মত জাতীয় এক্যের প্রশ্নটিই বড়ো করিয়া দেখিতেছিলেন। তিনি দেখিতেছিলেন, বাংলার প্রাথমিক শিক্ষার ভাষাকে উপলক্ষ করিয়া কর্তৃপক্ষ দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সহিত গ্রামাঞ্চলের রুষকদের একটি বিচ্ছেদ ও ব্যবধানের প্রাচুর খাড়। করিবার অভিসন্ধি করিতেছেন । কিছুদিন আগে লর্ড কার্জন ভারতবাসীকে নিঃশঙ্কচিত্তে ব্রিটিশ সাত্রাজ্যতন্তে আত্মসমর্পণ করিবার আহ্বান জানাইয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাহার জবাবে কার্জনকে এবং সাম্রাজ্যবাদকে তীব্র বিদ্রুপ করিয়া বলিলেন, “."*সর্বনাশ ! আমাদের প্রতি এ কিরূপ ব্যবহার! এ যে একেবারে প্রণয়- সম্ভতাধণের মড শুনাইতেছে !:."আমরা অস্ট্রেলিয়ায় তাড়িত, নাটালে লাঞ্ছিত, স্বদেশেও কর্তব-অধিকার হইতে কতদিকেই বঞ্চিত, এমন স্থলে ইম্পীরিয়ল বাসর- ঘরে আমাদিগকে কোন্‌ কাজের জন্য নিমন্ত্রণ কর! হইতেছে ।» রবীন্দ্রনাথ ইহাকে বলির ছাগশিশুর সহিত তুলনা করিম বলিলেন, “হ্থায়, অন্যের যোগ দেওয়! এবং তাহার যোগ দেওয়াতে যে কত প্রভ্দ, তাহ যে সে এক মুহুর্তও ভুলিতে পারিতেছে না৷ যজ্জে আত্মবিসর্জন দেওয়ার অধিকার ছড়া আর কোনে! অধিকারই যে তাহার নাই ।..ইম্পীরিয়লতন্ত্র নিরীহ তিব্বতে লড়াই করিতে যাইবেন, আমাদের অধিকার তাহার খরচ জোগানো ; সোমালিল্যাণ্ডে বিপ্রব নিবারণ করিবেন, আমাদের অধিকার প্রাণদান করা; উষ্টপ্রধান উপনিবেশে ফসল উৎপাদন করিবেন, আমাদের অধিকার সম্তায় মজুর জোগান দেওয়া । বড়োয়-ছোটোয় মিলিয়৷ যজ্ঞ করিবার এই নিয়ম ।” রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন, ইহার কারণ--আমর! সত্যই ছূর্বল, আমর! পরনির্ভরশীল, আমরা আত্মশক্তিহীন। মুনিভার্সিটি আইন, বঙ্গ-বিভাগ, ভাষা- বিচ্ছেদ__-ইংরাজ সরকারের প্রত্যেকটি আঘাত বারবার অঙ্গুলিসংকেত করিয়! আমাদের এই দুর্বলতার দিকটি পরিফষারভাবে দেখাইয়া! দিতেছে । তাই তিনি বলিলেন, “আমি পুনরায় বলিতেছি, দেশের বিষ্াশিক্ষার ভার আমাদিগকে গ্রহণ করিতে কইবে ।...অতএব সর্বপ্রযন্থে আমাদিগকে এমন একটি স্বদেশী কর্মক্ষেত্র গড়িয়! ২১৪ তুলিতে হইবে যেখানে হ্বদেশী বিষ্যালয়ের শিক্ষিতগণ শিক্ষকতী, পূর্তকার্ধ, চিকিৎসা প্রভৃতি দেশের বিচিত্র মঙ্গলকর্মের ব্যবস্থায় নিযুক্ত থাকিবেন |" “-*" দেশের সেবা বিদেশীর হাতে চালাইবার চাতুরী, যথার্থ গ্রীতির চিহ্ন নহে; তাহাকে যথার্থ বুদ্ধির লক্ষণ বলিয়াও স্বীকার করিতে পারি না, কারণ এরূপ চেষ্টা কোনে! মতেই সফল হইবার নহে । “এমন একটা স্থান করিতে হইবে যেখানে দেশ জিনিসটা যেকী তাহা ভূরি- পরিমাণে মুখের কথায় বুঝাইবার বুথ। চেষ্টা করিতে হইবে না--যেখানে সেবাস্ৃত্রে দেশের ছোটো-বডে, দেশের পণ্ডিত-মূর্খ সকলের মিলন ঘটিবে। “দেশের বিচ্ছিন্ন শক্তিকে একস্থানে সংহত করিবার জন্য, কর্তব্যবুদ্ধি এক- স্থানে আকৃষ্ট করিবার জন্য আমি যে একটি স্বদেশী সংসদ গঠিত করিবার প্রস্থাব করিতেছি তাহা যে একদিনেই হইবে, কথাটা পাডিবামাত্রই 'অমমি যে দেশেব চারিদিক হইতে সকলে সমাজের এক পতাকাঁব তলে সমবেত হইবে, এমন আঁগি আশ! করি না । ' কিন্তু এক জায়গায় এক হইবার চেষ্টা, যত ক্ষত্র আকাবে হক, আরম্ভ করিতে হইবে। " ” রবীন্দ্রনাথ ম্বদেশী সমাক্ত প্রবন্ধে যে কথ বলিযাছিলেন, তাহাই এখানে আরো! পরিষ্কারভাবে ব্যাখা! কবিলেন ' উপসংহারে তিনি দেশেব যুবকদের আন্বান করিয়া বলিলেন, ৃ “--*এই দুর্ভাগা দেশের “বিনা পুরস্কারের কর্ষে দুর্গম পথে যাত্র। আরস্ত কবি কে কে প্রস্তত আছ, আমি সেই বীর যুবকদিগকে অগ্য আহ্বান করিতেছি-_ রাজঘারের অভিমুখে নয়, পুরাতন যুগের তপঃসঞ্চিত ভারতের স্বকীয় শক্তি যে খনিব মধ্যে নিহিত আছে, সেই খনির সন্ধানে । কিন্ক খনি আমাদের দেশের মর্মস্থানেউ আছে--যে জনসাধারণকে "মবজ্ঞ! করি তাহাদেরই নির্বাক হৃদযের গোপন স্তবের মধ্যে আছে ।” [ সফলতার সছুপায়--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৩য় খণ্ড || পৃঃ ৬৪৪-৪৭ ও ৫৭-৬৮ | এই ধরনের চিন্তা সে যুগের কোনো কণগ্রেস নেতার মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। তবে সে যুগের রাজনৈতিক সংগ্রামগুলির- বিশেষ করিয়া বঙ্গবিভাগ- আন্দোলনের মত প্রতিরোধ সংগ্রামগুলির যে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, কৰি তাহা ঠিক উপলব্ধি করিতে পারেন নাই । রবীন্দ্রনাথ যে এই সকল আন্দোলনের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন, তাহা নহে। বরঞ্চ বু আন্দোলন তিনি সমর্থন করিয়াছিলেন এবং বিশেষ করিয়া বঙ্গভঙ্গ-আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহণ করিয়ছিলেন। আসল কথাটা হইতেছে- এইসব আন্দোলনের কোনো স্থায়ী ২ ফলগ্রস্থ ক্ষমত| বা কার্ধকারিতা সম্বন্ধে তাহার বিশেষ আস্থ। ছিল না। এইজন্যই তিনি স্থায়ী গঠনমূলক কাজে আত্মশক্তি অর্জন করিবার আহ্বান জানাইলেন। এবং তাহাই হইতেছে “ম্বদেশী সমাজ' ৷ এই স্বদেশী সমাজ পরিকল্পন! যে সম্পূর্ণ কল্পনাবিলাস ব। [7৮০7181, এমন মনে করিবার কোনে! কারণ নাই । বহু দেশে এইবপ গঠনমূলক আদর্শ সমাজ মুক্তি-সংগ্রামের সাথে সাথেই অগ্রসর হইয়াছে। ইতিহাসে তাহাব নজিব আছে। চীনের “আঞ্চলিক সবকার' তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। গান্ধীজী মে পরবর্তীকালে আদর্শ গ্রামগুলি সংগঠিত কবিষাছিলেন, তাহার মূলকথ| ববীন্দত্রনাথ-পরিকল্পিত স্বদেশী সমাজেব মধ্যে রহিয়াছে। কিন্ত আসল কথা হইল, বাজনৈতিক মুক্তি-সংগ্রামকে বাদ দিয়! যে এইসব আদর্শ স্বদেশী সমাজের স্বতন্ত্র কোনে। ক্ষমত| ব| ভূমিক। নাই এবং বাস্তবত উহা সম্ভব ও নহে, ইহ ববীষ্নাথ সম্যক উপলব্ধি কবিতে পাবেন নাই । এবং জনগণেব ভন্য কর্মসূচী গ্রহণ কবিলেও, জনসাধাবণেব শক্তিব উপব আস্থ। স্থাপন কবিলেও তিনি ঠিক গণসংগ্রামে (00855 50:08816 ) বিশ্বাস কক্তেন ন|। য্থাসময়েই আমব| এই আলোচনা আসিব । এই প্রবন্ধ ” ঠেব কিছুদিন পব বঙ্গীয সাহিত্য-পবিষদেব পক্ষ হইতে এণ্টান্দ ( প্রবেশিক। ) পবীক্ষার্থী ছাত্রদেব অভ্যর্থন। জানাইবাব জন্য একটি ছাত্র-সভ। আহবান কবা হয (১৭ চৈত্র, ১৩১১ )। এহ সভাঘ ববীন্দ্রনাথ সাভিত্য-পবিষদেব বিভিন্ন বিভাগেব গবেষণামূপক কাষে ছাত্রসমাক্তকে সক্রিষ সাহাষ্য ও সহযোগিতা কব্বাব আ'হ্বান জানাইলেন | ছাত্রদেব সম্বোধন কবিষ| তিনি বলিলেন, “পৰীক্ষাশাল। হইতে আজ তোমব। সগ্য আসিতেছ, সেইজন্য ঘবেব কথ। আজই 'তোমাদিগকে ম্মবণ কবাইবাব যথার্থ অবকাশ উপস্থিত তইশছে-_সেইজন্যই বঙ্গ- বাণীব হইয। বঙ্গী সািত্য-পবিষৎ আজ তৌমাদিগকে আহ্বান কবিযাছেন। “কলেজেব বাহিবে যে দেশ পড়িম। অ'ছে তাহাব মহত্ব একেবাবে ভূলিলে চলিবে ন'। কলেজে শিক্ষাব সঙ্গে দেশেব একটা স্বাভাবিক যোগ স্থাপন কবিতে হইবে । “অন্য দেশে সে যোগ চেষ্ট' কবিয। স্থাপন কবিতে হয না। “স-সকল দেশেব কলেজ দেশেবই একট। অঙ্গ | “এমন অবস্থায আমাদেব (বশেষ চিন্তাব বিষষ এই হইযাছে, কী করিলে বিদেশী-চালিত কলেজেব শিশ্ম!ব সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদিগকে একটা স্বাধীন শিক্ষায় নিযুক্ত কবিয়। শিক্ষা কাখকে যথার্থভাবে সম্পূর্ণ কব। যাইতে পাবে। তাহ! না করিলে খিক্ষাকে কোনোমতে পুথিব গণ্ডিব বাহিবে আন" দঃসাধ্য হইবে ।” ২২৯ দেশের শিক্ষাবিধির মারাত্মক ক্রটিগুলি সম্পর্কে এই বক্তৃতায় রবীন্তরনীথ যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করিলেন, তাহার এঁতিহাসিক মূল্য কম নহে। প্রসঙ্গত স্মরণীয়, এ সম্পর্কে জাতীয় নেতৃবৃন্দের তখনও কোনো! পরিষ্কার ধারণা ছিল ন। এবং এইরূপ সতর্ক-সজাগ দৃষটিও তাহাদের কাহারও ছিল না। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য-পরিষৎকে আবেদন জানাইয়া বলিলেন, "বাংলাদেশ আমাদের নিকটতম-_ইহারই ভাষ সাহিত্য ইতিহাস সমাজতবব প্রভৃতিকে বঙ্গীয় সাহিতা-পরিষৎ আপনার আলোচ্য বিষয় করিয়াছেন। পরিষদের নিকট আমার আবেদন এই. যে, এই আলোচনাব্যাপারে তাহারা ছাত্রদিগকে 'আহ্বান করিয়া লউন। তাহা! হইলে গ্রত্যক্ষবস্তর সম্পর্কে ছাত্রদের বীক্ষণশক্তি ও মননশক্তি সবল হইয়! উঠিবে এবং নিজের চারিদিককে, নিজের দেশকে ভালো করিয়! জানিবার অভ্যাস হইলে অন্ত সমস্ত জানিবার যথার্থ ভিত্তিপত্বন হইতে পারিবে । তা ছাড়া, নিজের দেশকে ভালো করিয়া জানার চর্চা নিজের দেশকে যথার্থভাবে গ্রীতির চর্চার অঙ্গ ।” পরিশেষে আবেগকরুদ্ধকে তিনি ছাত্রসমাজকে আহ্বান জানাইলেন, “-..তোমাদিগকে আহ্বান করিয়া এপর্যন্ত কেহ তো! সম্পূর্ণ নিরাশ হন নাই ;.""আর আজ সাহিত্য-পরিষৎ তোমাদিগকে ষে আহ্বান করিতেছেন তাহার ভাষা মাতৃভাষা! ও তাহার কার্ধ মাতার অন্তঃপুরের কাধ বলিয়াই কি তাহা ব্যথ হইবে**সাহিত্য-পরিষদে আমরা দেশকে জানিবার জন্য প্রবৃত্ত হইয়াছি--দেশের কাব্যে, গানে, ছড়ায়, প্রাচীন মন্দিরের ভগ্নাবশেষে, কীটদই পুঁথির জীর্ণ পত্রে, গ্রাম্য পার্বণ, ব্রতকথায়, পল্লীর কৃষি-কুটিরে পরিষৎ যেখানে ব্বদেশকে সন্ধান করিবার জন্তু উদ্যত হইয়াছেন সেখানে বিদেশী লোকে কোনো! দিন বিন্ময় দৃষ্টিপাত করে না, সেখান হইতে সংবাদপত্্বাহনখ্যাতি সমুদ্রপারে জয়ঘোষণা করিতে যায় না, সেখানে তোমাদের কোনে প্রলোভন নাই-_কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেহ মাতার নি:শব আশিসমাত্রকে যদি রাজমহিষীর ভোজ্যাবশেষের চেয়ে অধিক মনে করিতে পার তবে মাতার নিভৃত-অস্তঃপুরচারী এই-দকল মাতৃসেবকদের পারে আসিয়া দণ্ডায়মান হও এবং দিনের পর দিন বিনা বেতনে বিনা পুরঙ্কারে খ্যাতি- বিহীন কর্মে স্বদেশপ্রেমকে সার্থক করো ।--"” [ ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ_-রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৩য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৮৩-৪২ ] ন২২ ॥ ইম্পীলিয়লিজ,মূ ॥ ইহার অল্প কয়েকদিন পরেই রবীন্দ্রনাথ তাহার বিখ্যাত “ইম্পীরিয়লিজ ম্‌ প্রবন্ধটি ( ভারভী, ১৩১২, বৈশাখ ) লিথিলেন। কিছুদিন পূর্বে লর্ড কার্জন ভারতবর্ষীয়দের 'ক্রিটিশ এম্পায়ারে'র মধ্যে একাত্ম হইয়া মিশিয়া যাইবার আহ্বান জানাইয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ “সফলতার সছুপায়' প্রবন্ধে তাহার যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়াছিলেন, পূর্বেই তাহার উল্লেখ করিয়াছি । -ইম্পীরিয়লিজম্‌ প্রবন্ধে তিনি সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপটি ভালো করিয়া উদ্ঘাটন করিয়া দেশবাসীকে এই সম্পর্কে আর একবার সতর্ক করিয়! দিলেন। তিনি প্রবন্ধের শুরুতেই বলিলেন, “বিলাতে ইম্পীরিয়লিজ মের একট! নেশা ধরিয়াছে। অধীন দেশ ও উপনিবেশ প্রভৃতি জড়াইয়৷ ইংরেজ-সামতরাজাকে একট! বুহৎ উপসর্গ করিয়! তুলিবার ধ্যানে সেদেশে অনেকে নিযুক্ত আছেন ।"*'দেখা! যাইতেছে, এইরূপ.বড়ো৷ বড়ো মতলব পৃথিবীতে অনেক সময়ে অনেক লোকে মনে মনে আটিয়াছে। এসকল মতলব টেকে না; কিন্তু নষ্ট হইবার পূর্বে পৃথিবীতে কিছু অমঙ্গল ন! সাধিয়া যায় না। “তাহাদের দেশের এই খেয়ালের ঢেউ লর্ড কার্জনের মনের মধ্যেও যে তোলপাড করিতেছে মেদিনকার এক অলক্ষণে বক্তৃতা তিনি তাহার আভাস দিয়াছেন। দেখিয়াছি, আমাদের দেশের কোনো কোনো! খবরের কাগজ কখনও কখনও এই বিষয়টাতে একটু উৎসাহ প্রকাশ করিয়া থাকেন। তাহারা বলেন, বেশ কথা, ভরতবর্ষকে ব্রিটিশ “এম্পায়ারে' একাত্ম হইবার অর্ধিকার দাও না।” ব্রিটিশ ইম্পীরিয়লিজ ম্‌ বা! ইংরাজ-সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে দেশের কোনো কোনো! মহলের এই ধরনের মারাত্মক অসতর্ক মন্তব্যে রবীন্দ্রনাথ শংকিত হইয়! উঠিলেন। &ঁ প্রবন্ধে তিনি সাম্রাজ্যবাদের জগৎ-জোড়া রূপটি আর একবার পর্যালোচন৷ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি বলিলেন, প্ধাহারা ইম্পীরিয়লিজ মের খেয়ালে আছেন তীহার৷ দুর্ধলের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ও অধিকার সম্বন্ধে অকাতরে নির্মম হইতে পারেন এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। পৃথিবীর নানা দিকেই তাহার দৃষ্টান্ত দেখা যাইতেছে। “রাশিয়া, ফিনল্যাগ্ু-পোল্যাগ্ডকে নিজের বিপুল কলেবরের মহিত একেবারে বেমালুম মিশাইয়া লইবার জন্ত যে কী পর্যস্ত চাপ দিতেছে তাহা! সকলেই জানেন । ২৩ এতদুর পর্যস্ত কখনোই সম্ভব হইত ন৷ যদি-না রাশিয়া! মনে করিত, তাহার অধীন দেশের স্বাভাবিক বৈষম্যগুলি জবরদস্তির সহিত দূর করিয়া দেওয়াই ইম্পীরিয়লিজ্‌ম্নামক একটা সর্বাঙ্গীণ বৃহৎ স্বার্থের পক্ষে প্রয়োজনীয়। এই স্বার্থকে রাশিয়৷ পোল্যাগ্ড-ফিনল্যাণ্ডেরও স্বার্থ বলিয়৷ গণ্য করে। “লর্ড কার্জনও সেইভাবেই বলিতেছেন, জাতীম়তার কথ! ভূলিয়! এম্পায়ারের স্বার্থকে তোমাদের নিজের স্বার্থ করিযা তোলে|। “কোনো শক্তিমানের কানে এ কথ! বলিলে তাহার ভয় পাইবার কারণ নাই; কেননা, শুধু কথায় সে ভূলিবে না। বস্ততই তাহার স্বার্থ কড়ায় গণ্ডায় সপ্রমাণ হওয়া চাই ৪, “ইংলগ্ডের উপনিবেশগুলি তাহার দৃষ্টান্ত । ইংরেজ ক্রমাগতই তাহাদের কানে মন্ত্র আওড়াইতেছে, 'যদেতৎ হৃদয়ং মম তদন্ত হৃদয়ং তব? ; কিন্তু তাহার! শুধু মন্ত্রে তুলিবার নয়-_পণের টাক! গণিয়া৷ দেখিতেছে। হতভাগ্য আমাদের বেলায় মন্ত্রে কোনো প্রয়োজন নাই, পণের কডি তো! দূরে থাক ।” ভারতবর্ষের পক্ষে এই ব্রিটিশ এম্পায়ারে আত্মসমর্পণের প্ররূত তাৎপধটি কী হইবে, সেই সম্পর্কে তিনি ব্ঙ্গাত্বক স্থুরে বলিলেন, “..-ব্রিটিশ এম্পায়ারের মধ্যে এক হইয়! যাওয়াই ভারতবর্ষের পক্ষে যখন পরমার্থ লাভ তখন সেই মহছুদ্দেশ্টে ইহাকে জাতায় পিষিয়া বিশ্লিষ্ট করাই হিয়ুম্যানিটি' | “ভারতবর্ষের কোনো স্থানে তাহার স্বাধান শক্তিকে সঞ্চিত হইতে ন। দেওয়া উংরেজ-সভ্যনীতি অনুসারে নিশ্চয়ই লঙ্জাকব; কিন্তু যদি মূস্ব বলা যায় “ইম্পীরিয়লিজ ম৮ তবে যাহা মন্তযাত্বের পক্ষে একান্ত লজ্জা তাহা! রাষ্ট্রনীতিকতার পন্দে, চূড়ান্ত গৌরব হইয়। উঠিতে পারে । “নিজেদের নিশ্চিন্ত একাধিপত্যের জন্য একটি বৃহৎ দেশের অসংখ্য লোককে নিরস্ত্র করিয়৷ তাহাদিগকে চিরকালের জন্য পৃথিবীর জনসমাজে সম্পূর্ণ নিঃস্ব নিরুপায় করিয়া তোল| যে কত বড়ে৷ অধর্ম, কী প্রকাণ্ড নিষ্ঠুরতা, তাহ। ব্যাখ্যা করিবার প্রয়োজন নাই ; কিন্তু এই অধর্মের গ্লানি হইতে আপনার মনকে বীচাইতে হইলে একটা বড়ে। বুলির ছায়। লইতে হয়। “সেসিল রোড্‌স্‌ একজন ইন্পীরিয়ল্বাযুগ্রন্ত লোক ছিলেন; সেইজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা হইতে বোয়ারদের স্বাতন্ত্য লোপ করিবার জন্য তাহাদের দলের লোকের কিরূপ আগ্রহ ছিল তাহা সকলেই জানেন ।” ইম্পীরিক্নলিজ মের মূল ব। সাঁরকথ। কি, এই প্রশ্নে তিনি বলিলেন, ২৪ “ব্যক্তিগত ব্যবহারে যেসকল কাজকে চৌর্ধ মিথ্যাচার বলে, যাহাকে জাল খুন ডাকাতি নাম দেয়, একট! ইজ ্প্রত্যয়-যুক্ত শব্ষে তাহাকে শোধন করিয়া কতদূর গৌরবের বিষয় করিয়৷ তোলে, বিলাতি ইতিহাসের মান্তব্যক্তিদের চরিত্র হইতে তাহার ভূরিভূরি প্রমাণ পাওয়। যায় । “এইজন্য আমাদের কর্তাদের মুখ হইতে ইম্পীরিয়লিজ্‌মের আভাস পাইলে আমর! হ্স্থির হইতে পারি না। এতবড়ো রথের চাকার তলে যদি আমাদের মর্মস্থান পিষ্ট হয় তবে ধর্মের দোহাই দিলে কাহারও কর্ণগোচর হইবে ন 1", | ইম্পীরিষলিজ.ম্‌-_ররীন্্-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥। পৃঃ ৪৩১-৩৪ ] রবীন্দ্রনাথের ভাষ।--রাজনীতির ভাষ। নহে।. চিন্ত। করিবার পদ্ধতিটিও (83612০০1985) বৈজ্ঞানিক নহে । তবুও সাম্্রাজাবাদ সম্পর্কে তাহার বিচারটি মুলত মোটামুটি ষথার্থ হইয়াছে । কিন্তু বিন্ময়ের কথা, ইম্পীরিয়লিজম্‌ সম্পর্কে, বিশেষত ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্পর্কে, তণনও কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের কোনো শ্বচ্ছ বিচার- বিশ্লেষণ দেখিতে পাই ন|। কংগ্রেস প্রেসিডেপ্টদের মধ্যে সর্বপ্রথম স্থরেন্দ্রনাথই ঈম্পীরিয়লিজ ম্‌ সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ১৯০২ সালে 'আমেদাবাদ-কংগ্রেসে “1106 ও 17191)0719118178? সম্পর্কে তিনি বলিলেন, *111)1)01121911)0100লে 00০ 5, 1121)0712]180) 19 100 0০ 10751110700, 00071) 10000767020187)) 0005 1506 159600) 1001)15 0১০ 62৮11566101) 01 730165]) 002000705৮৮ 00062005০10 0%1শ- |18০8৮ 107 (71:06 03216210) 81001 0৮ ০০010171য5 21860050৮00 ৮0০ কি 0 €])0 13615] 17512110200, 24যচ 500৮ 10০৮৩], ৪1)6০0126০ 210016 ১০ 10680, 36151) ]10100501818) 1110116505০ 01990 0101018---006 ।8)0]*0 17061178560 100.67610 0৫৮৮০০18 6100 151050191)-5179206706 81101005 (01 1719 115098. ৬০ ৪৮১0 0009100 ৮0০ 19819 01 61015 1০001861010, ৩ 9০ 00৮ 19070816660 00 01307 ০ 0781,010 0: 006 2015 ০01 1701198,. ০ 2 0051166:0 01015 €0 ৪05০ 0100 €0 20111710120 £% 018698506, 489 9, 1৮ 01 806 1210010170) আত ৪০৮ 00৮ ০০18 ০ ০0৮8 47109) 980 0165 89৮০1 8৮91. 48 5109৮ 01 00০ 10101), 9 ৪91৮ 00৮ 6০00198 ৮0 05109) 810. 00 [170181) ৪০101675 1)187)620. 11001707191] 88850810 01) 00০ 1] 01 1১801), (000 19)216515 80071665015 50 £510811)69 ৪০ 00910 2100 ৪০ 17760878015 1০8185610 61)%% 6৮৪18 610০ ৭9০16৮9৮৮ 01 980 1190 710 ০0180016100 ০0:1৮ 411 &.., 88079) দা০ 9: 1710 8০ 010107, ০01 000 0)1)179 67166160 ৮০ 6৪ 87996 00108$1026107)9] [0াশড110598, ড/0 870 [0611810678 2 ৮0০ 1980 ০1 0৬ 10179) সা059 098) 1)0190 20) 80০ 13108) (091010165... ১৬৬ রধীজঙাথ ॥ ১৫ 1 0০10 10059 80 11001960181187) 19101) সা010 0৭ 08 10081 0 13210910105 009 0198 ০0: ৪ 001000010. 0161201091)1]) 8170. দা1)201) ০৪10 9801)07)00 ০0] 89117980906) 1709 10885010608 1001] &1896 ভাতে 21 [02710119202 10 0০101100109 1।যেগঠ/ 0: 13710181) 0012), [ €'01021059 1১731001068] 4$007:608515 : ০1. [. 1)1), 012-13 1 অবশেষে স্থরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “ভারতবর্ষে যে মৃত্তিতে ইন্পীরিয়লিজ ম্‌ 'আমাদের কাছে দেখ! দিতেছে ইহাকে আমরা অভ্যর্থন! জানাইতে পারিব না, বরঞ ইহা অপেক্ষা গ্লাডস্টোনের “লিবারেলজিম” অনেক বেশী কাম্য ।” বল৷ বাহুলা, সথরেন্্নাথের এই বক্তব্যের মধ্যে কোথাও সাম্রাজ্যবাদের মূল চরিত্ররূপ সম্পর্কে সচেতনতার বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে না। ভারতবর্ষ কমনওয়েলথভুক্ত স্থায়তশাসিত রাষ্্রগুলির অনুরূপ কিছু সৃযোগ-স্থবিধ! পাইলে বিনিময়ে তিনি ইংরাজের সাম্রাজ্যলুঠন-যুদ্ধে সৈন্যসংগ্রহ ও অন্যান্তভাবে ইংরাজকে সক্রিয় সমর্থন করিতেও প্রস্তত আছেন। ইহারই প্রমাণ পাওয়৷ যায অনতিকাল পরেই প্রথম মহাযুদ্ধের সময়ে কংগ্রেসের রাজনীতিতে । এই ভাষণে স্থরেন্দ্রনাথ কোথাও ৬ুঁপনিবেশিক শোষ্ণকে, ইংরাজের সাত্রাজ্যলালসাকে ধিক্ত করিলেন না, পরাধীন দেশগুলির জন্য মুক্তি ও স্বাধীনতার দাবী জানাইলেন না। এইখানেই রবীন্দ্রনাথের সহিত কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের চিন্তাধার! ও দৃষ্টিভঙ্গির বিরাট পার্থক্য । ০৬৩০ | দেশীয় রাজা এবং অবস্থা ও ব্যবস্থা | এই বৎসরই আধাঢ় মাসে ব্রিপুরারাজ্যে আঞ্চলিক সাহিত্য-পরিষৎ গঠিত হয়। এই উপলক্ষে আগরতলায় সাহিত্য-সম্মেলনের পক্ষ হইতে কবির নিমন্ত্রণ আমিয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ আগরতলায় পৌছিলে ত্রিপুরারাজ রাধাকিশোর দেব- মাণিক্য সাহিত্য-দশ্মেলনের পক্ষ হইতে কবিকে সভাপতিরূপে বরণ করিয়া! লইলেন (3 আধাঢ় ১৩১২)। এই সাহিত্য-সন্মেলনেই কবি তাহার দেশীয়-রাজ্য প্রবন্ধটি ( বঙ্গদর্ণন, ১৩১২ ) পাঠ করিলেন। এই প্রবন্ধে কবি দেশীয় রাজাগুলির প্রতি একটি বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্য আরোপ করিতে গিয়! বলিলেন, “দেশীয় পা/দ্র ভুলক্রটি-মন্দগতির মধ্যেও আমাদের সাম্বনার বিষয় এই যে, তাহাতে যেটুকু লাভ আছে, তাহা বস্ততই আমাদের নিজের লাভ। তাহা পরের স্বন্ধে চডিবাব লাভ নহে, ভাহা! নিজের পাষে চলিবার লাভ। এই কারণেই আমাদের বাংলাদেশের এই ক্ষুদ্র ত্রিপুরারাজ্যের প্রতি উংস্থৃকদৃষ্টি না মেলিয়া আমি থাকিতে পারি না । ". “আমাদের দেশীয় রাজ্াগুলি পিছাইয়া-পড়িয়। থাকুন, আর যাহাই হউক এই- খানেই ব্বদেশের যথার্থ স্বর্ূপকে আমর! দেখিতে চাই । বিরুতি-অন্থকৃতির মহামারী এধানে প্রবেশলাভ করিতে ন৷ পারুক, এই আমাদের একান্ত আশা ।.**৮ রবীন্ত্রনাথ এ কথা বলিতেছেন দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের দিক হুইতে। পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্ররুতিগত বৈচিত্র্য থাকিলেও, সমাজের মূল বনিয়া", অর্থনোতক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে মানব সভ্যতা যে মূলত কতকগুলি বিশেষ নিয়ম মানিয়! চলিতেছে, তৎকালে সে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের দেশে ছিল না। তিনি আরও বলিলেন, “ইহার কারণ এই নয় যে, ভারতের সভ্যতাই সকল সভ্যতার শ্রেষ্ঠ । যুকোপে সভ্যত৷ মানব জাতিকে যে সম্পত্তি দিতেছে, তাহা! যে মহামূল্য, এ-সন্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করা ধৃষ্টতা ৷ প্অতএব যুরোগীয় সভ্যতাকে নিকষ্ট বলিয়া! বর্জন করিতে হইবে, একথা আমার ৭ বক্তব্য নহে-_তাহা আমাদের পক্ষে অস্বাভাবিক বলিয়াই, অসাধ্য বলিয়াই স্বদেশী আদর্শের প্রতি আমার্দের মন দিতে হইবে ।:*** কিন্ত স্বদেশী সভ্যত৷ ও সংস্কৃতিকে দেশীয় রাজ্যগুলিতে আদর্শীয়িত করিতে গেলে তৎকালীন বাস্তব অবস্থায় সেখানকার সামস্ততান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও যে অক্ষু্ণ রাখিতে হয, এইসব জটিল প্রশ্ন ও তত্ব রবীন্দ্রনাথ ভাবিতেও পারেন নাই । আসল কথ! তিনি ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রশ্নটি প্রধানত শিল্প-সংস্কতির দিক হইতেই বিচার করিতেছেন। তখন তাহার প্রধান চিন্তার বিষয়গুলি হইতেছে, "আর্টভুলে ভর্তি হুইয়াছি, কিন্তু আমাদের দেশে শিল্পকলার আদর্শ যে কী, তাহা আমরা জানিই না। এ আদর্শ দেশের মধ্যেই আছে--একবার যদি আমাদের দষ্টি খুলিয়৷ যায়, তবে ইহাকে আমাদের সমস্ত দেশের মধ্যে, থালায়, ঘটিতে, বাটিতে, ঝুড়িতে, চুপড়িতে, মন্দিরে, মঠে, বসনে, ভূষণে, পটে, গৃহভিত্তিতে নানা-অক্গপ্রত্যঙ্গপরিপূর্ণ একটি সমগ্রমৃত্িরপে দেখিতে পাইতাম, ইহার প্রতি আমাদের সচেষ্ট চিত্বকে প্রয়োগ করিতে পারিতাম--টতৃক সম্পত্তি লাভ করিয়া তাহাকে ব্যবসায়ে খাটাইতে পারিতাম। “*-*বিলাতী সামগ্রীকে যথার্থভাবে চিনিতে শেখা বিলাতেই সম্ভব ।".* আমর! তাহার কিছুই ন৷ জানিয়া কেবল টাকার থলি লইয়। মূর্খ দোকানদারের সাহায্যে অন্ধভাবে কতকগুল! খাপছাড়। জিনিসপত্র লইয়া! ঘরের মধ্যে পু্তীভূত করি! তুলি-_ তাহাদের সম্বন্ধে বিচার করা আমাদের সাধ্যায়ত নহে ।” লক্ষ্য করিবার বিষয়, জাতীয় শিল্প সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের এই বক্তব্যে যে খুব একটা উৎকেন্জ্রিক স্বাদেশিকভার গৌঁড়ামি আছে, তাহা নহে । সেই স্বদেশী যুগের আবেগ-উত্তেজনার প্লাবনে তিনি আমাদের জাতীয় শিল্প-সংস্কতির একটি সঠিক দৃষ্টিভক্ধি দিবার চেষ্টা করিয়াছেন। বিবেকানন্দ, নিবেদিতা, ওকাকুরা, হাভেল, অবনীন্্রনাথ প্রমুখ শিল্প-রসিক ও শিল্পশাস্ত্রীরা প্রায় একই দৃষ্টিভঙ্গিতে জাতীয় শিল্প-সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। তবুও রবীন্দ্রনাথের মত তাহার! এতথানি ভারসাম্য রাখিয়া! চলিতে পারেন নাই। উপসংহারে কি বলিলেন, “যেমন শিল্পে, তেমনই সকল বিষয়ে আমরা বিদেশী প্রণালীকেই একমাজর প্রণালী বলিয়৷ বুঝিতেছি। কেবল বাহিরের সামগ্রীতে নহে, আমাদের মনে, এয়ন কি; হৃদয়ে নকলের বিষবীজ্ প্রবেশ করিতেছে । দেশের পক্ষে এমন বিপদ 'আর হইতে পারে না। “এট মহাবিপদ হইতে উদ্ধারের জনক একমাত্র ধেলীয় রাজ্যের প্রতি আমর! ২ তাকাইয়া আছি। একখ! আমর! বলি না যে, বিদেশী সামগ্রী আমরা গ্রহণ করিব না। গ্রহণ করিতেই হইবে, কিন্তু দেশীয় আধারে গ্রহণ করিব ।:..* [ দেশীয় রাজা স্বদেশ || পৃঃ ৪৫-৫* ] এই সময় রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি জাপানী কবিতার অন্বাদ করেন (ভাণ্ডার, ১৩১২ আধাঢ় )। তখন রুশ-জাপান যুদ্ধ চলিতেছে । রাশিয়ার বিখ্যাত বাণ্টিক নৌবাহিনী দুর্ধর্ষ জাপানী শক্তির নিকট সম্পূর্ণ ধ্বংস হইল। জাপানের এই জয়লাভে ভারতবর্ষে বিপুল আনন্দ ও হর্ষোচ্ছবাস ধ্বনিত হইয়াছিল । জাপানের এই জয় মূলত প্রাচ্য ও এশিযারই জয়-_-এমন একটা ভাব সমগ্র দেশবাসীকে উদ্দীগিত করিয়াছিল, এবং আমাদের জাতীয় আন্দোলনে ইহার একটা পরোক্ষ প্রন্তাব যে কাজ করিয়াছিল, একথাও অস্বীকার করা যায় না। এমন কি রবীন্দ্রনাথ ও তখন জাপান সম্পর্কে অত্যন্ত আগ্রহী হইয়া উঠেন। ইতিমধ্যে ওকাকুরা ৪ তোরিসানের মাধ্যমে তিনি জাপানের জাতীয় অভ্যুদয় সম্পর্কে কিছুটা ওয়াকিবহাল হইযাছিলেন। কিন্তু জাপানের সাম্রাজ্যবাদী লালসার কোন পরিচষ তখনও পথস্থ তিনি পান নাই । তাই তাহার এই সমযকার প্রায় প্রত্যেকটি প্রবন্ধে ( হ্বদেশী সমাজ, সফলতার সছৃপ'য়, ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ, যুনিভার্সিটি বিল ) নবজ্ঞাগ্রত জাপানের মহিম। কীর্তন শুনিতে পাওয়! যায। এদিকে ইংরাক্ত সবকার বঙ্গন্যবচ্ছেদে দুটসংকল্প । অপব দিকে, বাঙালী ৪ উহাকে চ্যালেগ্রন্বরূপ গ্রহণ করিয়া বঙ্গবাবচ্ছেদ প্রতিরোধে দৃঢপ্রতিজ্ঞ । এই প্রতিরোধ আন্দোলন ক্রমশ বযকট-আন্দোলনে রূপান্তরিত হইল । ১৯০৫ সালে ণই আগস্ট (১৩১১ শ্রাবণ ২২) বঙ্গভঙ্গের প্রতিরোধকল্পে সমগ্র ব্রিটিশ পণা বর্জন ( বয়কট ) করিবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইল । নগরে-শহরে-বন্দরে, বাংলার সুদূর গ্রামাঞ্চলে লোকে মুদ্রিত প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করিল--যতদ্দিন না বঙ্ষচ্ছোদ রহিত হয়, ততদিন তাহারা ব্রিটিশ পণ্য ব্যবহার করিবে না। রবীন্দ্রনাথ ইহার প্রায় তিন সপ্তাহ পরে কলিকাত' টাউন হলে “অবস্থা ও ব্যবস্থ' প্রবন্ধাটি পাট করিলেন ( ৯ই ভাদ্র ১৩১২)। কবি স্বদেশী সমাক্ত ও সফলতার সছুপায় প্রবন্ধে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই আরে! তথা দ্বারা এখানে বিশ্তারিত ব্যাখ্য। করিলেন। এই প্রবন্ধে তিনি বয়কট আন্দোলনের নীত্তমূলক দিকটি কেবল সমর্থন করিতে পারিলেন না- যথার্থ শ্বদেশগ্রীতি, শ্বদেশীসমাজের যথার্থ গঠনমূলক কাধপদ্ধতির উপর তিনি উহাতে জোর দিলেন। তিনি বাণলেন, “দেশের প্রতি আমাদের ষে-সকল কর্তব্য আজ আমরা স্থির করিয়াছি, সে যদি দেশের প্রতি গ্রীতির উপরেই প্রতিষ্ঠিত হয় তবেই তাহার গৌরব এবং স্থায়িত্ব, ২২৪৯ ইংরেজের প্রতি রাগের উপরে যদি তাহার নির্ভর হয় তবে তাহার উপরে ভরস। রাখা বড়ো কঠিন ।.. “এখন তবে কথা এই যে, আমাদের দেশে বঙ্গব্যবচ্ছেদের আক্ষেপে আমরা যথাসম্ভব বিলাতি জিনিস কেনা বদ্ধ করিয়া দেশী জিনিস কিনিবার জন্য যে সংকল্প করিয়াছি সেই সংকল্পটিকে স্তব্ূভাবে, গভীরভাবে, স্থায়ী মঙ্গলের উপরে স্থাপিত করিতে হইবে । আমি আমাদের এই বর্তমান উদ্যোগটির সম্বন্ধে যদি আনন্দ অনুভব করি তবে তাহার কারণ এ নয় যে তাহাতে ইংরেজের ক্ষতি হইবে, তাহার কারণ সম্পূর্ণভাবে এও নহে যে, তীহাতে আমাদের দেশী ব্যবসায়ীদের লাভ হইবে. | আমি আমাদের অন্তরের লাভের দিকটা দেখিতেছি । আমি দেখিতেছি, আমরা যদি সর্বদা সচষ্ট হইয়! দেশী জিনিস ব্যবহার করিতে প্রবৃত্ত হই, যে জিনিসটা দেশী নহে তাহার ব্যবহারে বাধ্য হইতে হইলে যদি কষ্ট অনুভব করিতে থাকি, দেশী জিনিস ব্যবহারের গতিকে যদি কতকটা পরিমাণে আরাম ও আড়ম্বর হইতে বর্ধিত হইতে হয়, যদি সেজন্য মাঝে মাঝে স্বদলের উপহাস ও নিন্দা সহা করিতে প্রস্তত হই, তবে স্বদেশ আমাদের হৃদয়কে অধিকার করিতে পারিবে ।:. ” এইসাথে তিনি জাতীয় এঁক্য ও হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত যুগ্ম-নেতৃত্বের উপরও বিশেষ জোর দিলেন। তিনি বলিলেন, "**'এখন হইতে আমর! হিন্দু ও মুসলমান, শহরবাসী ও পল্লীবাসী, পূর্ব ও পশ্চিম, পরস্পরের দৃঢ়বন্ধ করতলের বন্ধন প্রতিক্ষণে অনুভব করিতে থাকিব ।**. মিলন কেমন করিয়! ঘটিতে পারে? একত্রে মিলিয়া কাজ করিলেই মিলন ঘটে, তাহা ছাড়া যথার্থ মিলনের, আর-কোনো! উপায় নাই । “এই অভিপ্রায়টি মনে রাখিয়া দেশের কর্মশক্তিকে একটি বিশেষ কর্তৃসভার মধ্যে বন্ধ করিতে হইবে । অন্তত একজন হিন্দু ও একজন মুসলমানকে আমরা এই সভার অধিনায়ক করিব__তাহাদের নিকটে নিজেকে সম্পূর্ণ অধীন, সম্পূর্ণ নত করিয়! রাখিব; তাহাদিগকে কর দান করিব; তাহাদের আদেশ পালন করিব , নিবিচারে তাহাদের শাসন মানিয়া চলিব; তাহাদিগকে সম্মান করিয়া আমাদের দেশকে সম্মানিত করিন।” কিছুদিন পূর্বে তিনি একজন অধিনায়ক খুঁজিয়। বাহির করিবার কথ! বলিয়াছিলেন ; এখন ভিনি হিন্দু-মুসলমানের যুগ্ম-নেতৃত্বের কথ। বলিতেছেন। তাহার দ্বিতীয় ও প্রধান বক্তব্য-_-ইংরাজ-শাসনের অভ্যন্তরেই ব্বতন্তরভাবে আমাদের জনসাধারণের “দেশী, সমাজ গঠন করিতে হইবে। ইহার যুক্তির স্বপক্ষে তিনি “স্টেটস্ম্যান্ পত্জিকা হইতে জার-শাসিত রাশিয়ার জর্জায়গণ ও ৩৩ আর্মীনিগণ কিভাবে তাহাদের শ্বাধীন ও শ্বতন্্র বিচার-ব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থা! চালাইয়। যাইতেছে তাহার নজির দিলেন, “50 [79288 5০ 078৮ 9098০89010৮ 0006 01. আআ) 1101801) (02602 030000161017) 89011750580 1110085৮000 020মা। (019 ৮00. 796 0১০ 00708 11250 006 11752110201 01027006019619 04 170011৭1100001]165,- 110 10102159105 0 &শা)01]125 তি 201008- 156 1) 187 10০51005151 ০862001181)00. 2 লীযা)1]27 5৪৮2) 01 188606 20) 000 20170] 019016৮ 0£ 0)0 19051109001 72) 20000. 1080]0 67917 076) 0005 1710. 11250619115 801001207600, 00৫ 15010 01 ৫ /0৮শেণেঃ])ে)৮ 55৮০8 01 তে] 80000101908607 200 আগত খো00195/06 1৮1] 0৮ ৮খমখুযমাদ। 00. 00৮09101050 পিট ০ম €0)008111, [৮1015 10116 10001) 2 1019662 01 [5060110802৮ ০৮০] 81100 600০ 80010008810) 01 417)0001%09009018 05 পম 30951 [া)1111562 0£ [1000601), 10015210015 110 105 000 2১) আহিল 1011207 ১০] 2) :$1)0120, )6 718)017 00100786018 01 000 (108309 70109 1102106810700 010800708611)6 78561018401 ৭15001৯0115 00 অকাট) যৃক্তি ও নজির ৷ রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, "আমি কেবল এই বৃত্ান্তটি উদাহরণন্বরূপে উদ্ধত করিয়াছি-_অর্থাং ইহার মধ্যে এইটুকু জুষ্টব্য যে, স্বদেশের কর্মভার দেশের লোকের নিজেদের গ্রহণ কবিবার চেষ্ট। একট। পাগলামি নহে ।*"" “...আবেদনের ছ্বারা সরকারের চাকরি নহে, পৌরুষের দ্বার। স্বদ্দশের কর্ম- ক্ষেত্র বিস্তার করিতে হইবে । যাহাতে আমাদের ডাক্তার, আমাদের শিক্ষক, আমাদের এঞ্জিনিয়ারগণ দেশের অধীন থাকিয়! দেশের কাজেই আপনার যোগ্যতার ্্ডিসাধন করিতে পারেন আমাদিগকে তাহার ব্যবস্থা! করিতেই হইবে ।'. “জর্জীয়গণ, আর্ধানিগণ প্রবল জাতি নহে-__ইহারা যে-সকল কাজ প্রতিকূল অবস্থাতেও নিজে করিতেছে আমর! কি সেই-সকল কাজেরই জন্য দরবার করিতে দৌড়াই না ?"-.” এই প্রসঙ্গে তিনি পল্জীর প্রচলিত পঞ্চায়েতগুলি কিভাবে সরকারী হস্তক্ষেপের ফলে ইংরাজের তাবেদারী শাসণ্যন্ত্রে পরিণত হইতে চলিম্লাছে, তাহার উল্লেখ করিলেন। তিনি বলিলেন, “ভারতবর্ধের যেসকল গ্রামে এখনো গ্রাম্য পঞ্চায়েতের প্রভাব বর্তমান আছে, যে পঞ্চায়েত কালক্রমে শিক্ষার বিস্তার ও অবস্থার পরিবর্তন-অনুসারে স্বভাবতই স্বাদেশিক পঞ্চায়েতে পরিপত হইতে পারিত, যে গ্রামে পঞ্চায়েতগণ একদিন ২৩৯ স্বদেশের সাধারণ কার্ধে পরস্পরের মধ্যে যোগ বাধিয়া দাড়াইবে এমন আশা করা যাইত--সেই-সকল গ্রামের পঞ্চায়েতগণের মধ্যে একবার যদি গবর্মেপ্টের বেনো জল প্রবেশ করে, তবে পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েতত্ব চিরদিনের মতো! ঘুচিল। দেশের জিনিস হইয়া তাহারা! যেকাজ করিত গবর্মেপ্টের জিনিস হইয়া তাহার সম্পূর্ণ উপ্টা রকম কাজ করিবে ।” অর্থাৎ তিনি দেশের অবস্থা ও কালের প্রয়োজনে পঞ্চায়েতগুলিকে স্বদেশী পঞ্চায়েতে পরিণত করিবার আহ্বান জানাইলেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগা-_ গান্ধীজী বা অন্য কেহ তখনও পঞ্চায়েতগুলি সম্পর্কে এই ধরনের চিন্তা করিতে পারেন নাই । উপসংহারে তিনি বলিলেন, “অতএব আর ছিধা না করিয়। আমাদের গ্রামের স্বকীয় শামনকার্ধ আমাদিগকে নিজের হাতে লইতেই হইবে । সরকারি পঞ্চায়েতের মুষ্টি আমাদের পল্লীর কে দৃঢ় হইবার পূর্বেই আমাদের নিজের পল্লী-পঞ্চায়েতকে জাগাইয়া তুলিতে হইবে। “-""এখন আর বাদবিবাদ তর্কবিতর্ক না করিয়া আমরা যে-কয়জনেই উৎসাহ অনুভব করি,..'সেই পাচদশজনেই মিলিয়া আমরা আপনাদের অধিনায়ক নিবাচন করিব, তাহার নিয়োগক্রমে জীবনযাত্র। নিয়মিত করিব, কর্তব্য পালন করিব, এবং সাধ্যমতে আপনার পরিবার প্রতিবেশী ও পল্লীকে লয় স্থখ-্বাস্থ্য- শিক্ষাবিধান সম্বন্ধে একটি স্বকীয় শাসনজাল বিস্তার করিব। এই প্রত্যেক দলের নিজের পাঠশালা, পুস্তকালয়, ব্যায়ামাগার, ব্যবহার্য দ্রব্যাদির বিক্রযুভাগ্ার ( কো-অপারেটিভ স্টোর), ওুষধালয়, সঞ্চম-ব্যাঙ্ক, সালিস নিষ্পত্তির সভা ও নির্দোষ আমোদের মিলনগৃহ থাকিবে । «এমনি করিয়। যদি আপাতত খণ্ড খণ্ড ভাবে দেশের নানা স্থানে এইরূপ এক একটি কতৃভা স্থাপিত হইতে থাকে, তবে ক্রমে একদিন এই সমস্ত খণ্ড সভা- গুলিকে যোগস্ত্রে এক করিয়া তুলিয়৷ একটি বিশ্ববঙ্গ প্রতিনিধি সভ। প্রতিষ্ঠিত হইতে পারিবে” | রবীন্দ্ররচনাবলী £ ৩য খণ্ড ॥ পৃঃ ৬*৭-১৭ ] এই প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গীয় সাছিত্য-পরিষংকে জেলায় ভেলায় আপনার শাখা- সভা স্থাপন করিবার আহ্বান জানাইলেন। ৭৩২ ॥ স্বদেশী সংগাত ॥ ইহার অনতিকাল পরেই রবীন্দ্রনাথ গিরিডি চলিয়া যান। বযকট-আন্দোলন তখন প্রবল বেগে চলিতেছে; সার! দেশে স্বাদেশিক উত্তেজনা ও উন্মাদনার জোয়ার আসিয়াছে । এমনদিনে রবীন্দ্রনাথের কবি-প্রককৃতি সাড়া না-দ্য়ি। পারে ন। | এই গিরিডিতে বসিয়াই তিনি তাহার অধিকাংশ শ্বদেশী কবিত। 9 গান রচন করেম। সেগুলি ভাণ্ডার (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩১২) ও বঙ্গর্শনে ( আশ্বিন । প্রকাশিত হুইয়াছিল। শল্পকাল পরে এগুলি একত্র সংকলন করিঘ। “বাউল নামক পুব্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। সে-যুগের রাজনীতিই ছিল ভাবাবেগ ও উচ্ছ্বাসে ভরা । দেশকে মাতৃজ্ঞানে পজ। কবিষ। ৮"সেগমধী ভাষায বক্তৃতা করিয়! ও গান গাঠিযা দেশবাপীকে উদ্বোধিত কর! হইত । বিশেষ করিষ1, বাংলাদেশ কবিত। 9 গানের দেশ স্বদেশী আন্দোলনের যুগে বাংলাদেশে যেন ্বদেশী গানের 'ভোযাব আদিল । এবং বলিতে কি--বানলাব জাঙার সংগীত ও স্বদেশী সংগীতের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথেবই অবদান সবাপেক্গা বেশী। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে বাংলা সর্বত্র পত “তত জনসভায় হাটে, মাঠে, ঘাটে ববীন্দ্রনাথের এই সব গান গাণ্িয়। হইত । তীন্াব স্বদেশ সংগীত সম্পর্কে এই গ্রন্থে বিস্তাবিত আলোচনার অবকাশ কম। তীভাব এই যুগেব শ্রেষ্ঠ ণানগুলিব মধো নিয়োক্ত গানগুলি বিখ্যাত £ ১।। "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলে! বে। একল। চলে। একল৷ চলে। একল। চলে! রে ॥**"” ২ || "বাঙলার মাটি, বাঙলার জল, বাঙলার বাধু, বাঙগার ফল-__ পুণা হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান্‌ ॥**” ৩॥ "অগ়ি ভুবন-মনোমোহিনী অগ্নি নির্ষল কুধকরোজ্জল ধরণী জনকজননীজননী ॥1**৮ ৪॥ ও আমার দেশের মাটি, তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা । তোমাতে বিশ্বমগ্রীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আচল পাতা ॥|+* ৫।| “আজি বাঙল। দেশের হৃদয় হতে কখন আপনি তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে, জননী ।-*" ৬৩ ৬।। “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাশি |।+*** ৭।| “সার্থক জনম আমার জন্মেছি এ দেশে । সার্থক জনম মা গে। তোমায় ভালোবেসে |...” ৮ “তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে, তা বলে ভাবনা কর! চলবে না ।**"” ৯ || “এবার তোর মরু! গাঙে বান এসেছেএজয় ম।' ব'লে ভাস। তরী ॥..” ১০ ॥ “আমি ভয় করব না, ভয় করব না। ছু বেল। মরার আগে মরব ন। ভাই, মরব ন| ॥--.” ১১ ॥। “যে তোমারে ছাড়ে ছাডক, আমি তোমায় ছাড়ব না, ম|। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে এই গানগুলি দেশবাসীর স্বাদেশিকতাবোধকে জ্াগরিত করিতে যেরূপ সহায়ত। করিয়াছে, এতিহাসিক দিক হইতে তাহার মূল্য ব| অবদান কম নহে । অথচ এই স্বদেশপ্রেমের মধ্যে কোন উগ্র জাতীয়তাবাদ কিংব। জাতিবিদ্বেষ কিংবা স্বদেশ বা স্বজাতি শ্রেষ্টত্ববোধের লেশমাত্র নাই, উগ্র- সাম্প্রদায়িকতাও নাই। অবশ্ট 'ভারতলম্দ্রী' গানটির মধ্যে বিশেষভাবে প্রাচীন হিন্দুসংস্কৃতির মহিমা-কীর্তন করা হইয়াছে । পরবর্তীকালে এই গানটির সম্পকে তিনি পুলিন সেন মহাশয়কে লিখিয়াছিলেন, “একদিন আমার পরলোকগত বন্ধু হেমচন্দ্র মল্লিক বিপিন পাল মহাশয়কে সঙ্গে করে একটি অন্থরোধ নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন । তাদের কথা ছিল এই ষে, বিশেষভাবে দুর্গামূত্তির সঙ্গে মাতৃভূমির দেবীরূপ মিশিয়ে দিয়ে তার! শারদীয়া পূজার অনুষ্ঠানকে নৃতনভাবে দেশে প্রবর্তিত করতে চান, তার উপযুক্ত ভক্তি ও উদ্দীপন! মিশ্রিত স্তবের গান রচনা! করবার জন্যে আমার প্রতি তাদের ছিল বিশেষ অন্থবোধ । আমি অস্বীকার করে বলেছিলুম, এ ভক্তি আমার আস্তরিক হতে পারে না, স্থতরাং এতে আমার অপরাধের কারণ ঘটবে । বিষয়ট! যদি কেবলমাত্র সাহিত্যক্ষেত্রের অধিকারগত হোতে। তাহলে আমার ধর্মবিশ্বাস যাই হোক আমার পক্ষে তাতে সংকোচেপ্ন কারণ থাকত ন!; কিস্তু ভক্তির ক্ষেত্রে, পূজার ক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ গ্থ্যণীয়। আমার বন্ধুরা সন্ধষ্ট হন নি। আমি রচন। করেছিলুম “ভূবনমনোমোহিনী' ।*..এ গান সর্বজনীন ভারতরাষ্ট্রসভায় গাবার উপযুক্ত নয় কেননা এ কবিতাটি একান্তভাবে হিন্দুসংস্কৃতি আশ্রয় করে রচিত। অহিন্দুর এটা স্থপরিচিত ভাবে মর্মঙ্গম হবে না।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পূ: ১২৪ ] ২৩৪ স্বাপশ যাগ ৯৯০৫ )) ২২২ - 1১2011155 | ৃ ৃ স্বদেশী যুগে ও তৎপরবর্তী সম্ত্রাবাঁদী আন্দোলনের যুগে স্বার্দেশিকতাবোধকে তীব্র করিবাব জন্য কালীপুজা, ছুর্গ'পুজ। ও ভবানীপুক্জার প্লাবন আসিয়াছিল। কিন্ত লক্ষ্য করিবার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ এই “শক্তি পূজায় একেবারে সায় দিতে পাবেন নাই। স্বদেশী আন্দোলনের পূর্ববুগে তিনি প্রাচীন বৈদিক ভারতের পুনকুজ্জীবনের স্বপ্ন দেখিতেছিলেন বটে, কিন্ত ঠিক খ্র্দেশী আন্দোলনের স্চনা- কালে (১৯০৪) তিনি হিন্দু জাতীযতাবাদের উধের্ব জাতীয় এঁক্যকে রক্ষ! ও দ্র করিবার কথ| চিস্ত! করিতে শুরু কবেন। এইজন্তই তিনি “অবস্থা ও ব্যবস্থা" প্রবন্ধে হিন্দুমুসলমানের এঁক্য ও উহাদেব যুগ্ধ-নেতৃত্বের প্রস্তাব রাখিলেন। এই প্রসঙ্গে ইহাও লক্ষণীয় যে, স্বদেশী যুগের দেশাত্মবোধক গানগুলির স্থ্র- সংযোজছ্ুনর ব্যাপারে তিনি কোন বিদেশী স্থুব সংযোজন ব। মিশ্রণ করেন নাই । রবীন্দ্রনাথ তখন লোক-সংস্কৃতি ও লোক-সংগীতের পুনরুদ্ধারের উপর পুন:পুনঃ গুরুত্ব আরোপ কবিতেছিলেন। বিশেষ করিয়৷ বাংলার বাউল-সংগীতের উপর ত্ীহার ছিল বিশেষ আকর্ষণ । এইজন্য তিনি অধিকাংশ স্বদেশী গানে বাউল ও সারিগন্নন স্থুর সংযোজন কবিযাছিলেন। স্বদেশী যুগ হইতেই দেশীয় স্থবেব প্রতি তীহাব প্রবল আকর্ষণ লক্গা কবঝ| যায। ববীন্দ্রজীবনীকার প্রণালীবদ্ধভাবে এই যুগেব স্বদেশমূলক গানগুণ্লর একটি তালিক। দিয়াছেন । এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য স্বদেশী আন্দোলনের সমযই ছিজেন্দ্রলাল তাহার বিখ্যাত “বঙ্গ আমাব জননী আমাব' গানটি (১৩১৩ আশ্বিন) বচনা কবিযাছিলেন। এই যুগেই দ্বিজেন্্রলাল পব পব তাহার জাতীযতাবাদমূলক নাটকগুলি বচন! কবেন | প্রতাপনিংহ' (১৩১১), “ছুরগাদাস”, “নৃবজ্ঞাহান' । ১৩১৩), 'মেবারপতন" ও “সাজাহান' (১৩১৫) | ৰল। বাহুলা, দ্বিজেন্দ্রলালেব স্বদেশমূলক ণানগুলিও সবিশেষ জনপ্রিফতা৷ লাভ কবে। রজনীকান্তেব “মাষেব দেওযা মোটা কাপড মাথায় তুলে নে বে ভাই” গানটিও এই যুগে অসাধাবণ জনপ্রিয়তা লাভ কবিয়াছিল। ৩৫ ॥ স্বদেশী আন্দোলনে ও জাতায় শিক্ষার প্রঙ্ে | ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ( ১৩১২ আশ্বিন ৩০) বঙ্গচ্ছেদ ঘোষিত হইল | এই আঘাত বাংলার বুকে যেন একটা আশীর্বাদের মত নামিয়া আসিল।-_বা"ল।- দেশের স্বাদেশিক আন্দোলন যেন এমনই একটি আঘাতের অপেক্ষায় উপ্ুখ হইয়া ছিল। বাংলার অভিজাত ও উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের সহিত মধ্যবিত্ত বৃদ্ধি- জীবীদের মিলন ঘটিল। এই সম্মিলিত জনশক্তি বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারতের স্বাধীনতা-আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক অভিনব রণনীতির প্রবর্তন করিল এবং তাহাই হইতেছে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম" (0100৮ ০৮০0 )| যদিও নিয্শ্রেণীর রুষক ৭ শ্রমজীবী সম্প্রদায় এই আন্দোলনে ঘোগ দিতে পারেন নাই, তবু একথ। নিঃসংশয়ে বলা যায় যে, এতখানি ব্যাপক গণবিক্ষোভ ও গণআন্দোলন ইতিপর্বে সার৷ দেশে আর কোথাও দেখা যায় নাই। রণকৌশলের দিক হইতে “নিষ্ছি প্রতিরোধ-আন্দোলনের (1১৮*71৮6 [1418 ) ইহাই কুত্রপাত। সংগ্রামের বিশেষ প্রকৃতি” বা রূপটির (20) 01 ৪10 ) দিক হইতে বিচার করিলে ইহাকে গান্ধীজীর আসহযোগ-আন্দোলনের পূর্ব-প্রস্তুতি বলিলে ভু হবে ন'। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের আন্দোলন প্রত্যক্ষভাবে ও পরোক্ষভাবে সার! ভারতের জাতীয়-চেতনাকে প্রবলভাবে' উদ্বেলিত করিয়াছে। ১৯*৫ সালে বেনারস-কংগ্রেসে সভাপতি গোখলে বাংলার এই অবদানকে স্বীকৃতি দিয়। বলিলেন, ১০106 চএ05000।8 0100107৮801 090])0120 160117005 11100) 100১ ৮0010180600 13007081 0) ০0175001101)00 (0) 0০ 1)8110101)) 11] €077901860 ॥191)01018710 17) 80010190015 01 08 11861010] 1000৯, 1100 000 11৯৮ 01000 ন1000 1316) এ110 10191)) 8]] 8০0015 টা 1110190 0010)101001)1 স10)006 01901700101) 01 0৪৭6০ 0 01) 108৮6 1000৮ 1810৮001059, 900010101) 1171])00150 2070 10006 00৫ ১011801001১ ৭91 05601179] 10708911700 8০৮ (0000) 11) 01000 10918600180606) €017)11)01) 101), 4 আস 0 62010861019] 001)90101015170885 10105 শ্মিত৮ ০0৮০, 6 190517)0০,.,-10307090)5 10010 ম6%0 7001105687৫ 01007089101) 0 0 10911) 000 00000601100 10109800100 118১ 86010180900. 2100. 61%61960. 911 [10019) 200 1007 ৪011 1595০ 1006 10907) 97000100 1) ৮৪119) সা) &)০5 10050 1911)90 60 00) 01030 ২৩৬ 211 10915 01 050 00712065 17) 8১110108075 2810 1) 2৯)1061000১,-1096 /))095৮ 00056981)0117% 006 01 00০ 5101860170১ 0178 000 1)10)110 116 01 8১৮০ 900৮5 108৮ 101564 আত। 8000850 0£ ৪৮০880৮ 01 ৫০20 111)1)0181)0) 210 107 0015 011 [101% 0৫9 8. 0০) 060৮ 01 07%86001 69 13001, [001৮ 1100165] 00768805 2 ৮ ০]. 1,1১5 696; ১৬ই অক্টোবর (আশ্বিন ৩০ ) বঙ্গচ্েদের ছ্বার। বাঙালীর শক্তিকে বিচ্ছিন্ন ও বিভক্ত করিবার চেষ্ট। হইয়াছিল । বাঙালী তাহার জবাবে এ দিনটিকে স্মরণীয় করিয়। রাখিবার জন্য “রাখীবন্ধন' উৎসবের মাধ্যমে বাঙালীর জাতীয় এক্যকে আর? দুঢতর করিতে চাহিল। রবীন্ধনাথ ও রামেক্স্থন্দর ত্রিবেদী এই উৎসবের পরিকল্পন। করেন |, রবীন্দ্রনাথ বঙ্গদর্শনে লিখিলেন, “আগামী ৩*শে আশ্বিন (১৩১২ ) বাংলাদেশ আইনের দ্বার। বিভক্ত হইবে। কিন্ধ ঈশ্বর যে বাঙালিকে বিচ্ছিন্ন করেন নাই তাহাই বিশেষরূপে স্মরণ 9 প্রচার করিবার জন্য সেই দিনকে আমর! বাঙালির রাখীবদ্ধনের দিন করিয়। পরস্পরের হাতে হবিদ্রাবর্ণের সুত্র বাধিয়া দিব। রাখীবন্ধনের মন্ত্রটি এই “ভাই ভাই এক ঠাই” |” বামেন্্রস্বন্দরের গ্রস্তাঝাত্রমে এ দিনটি সমগ্র বাংলায় “অরন্ধনের দিন" ধায হয। বিশেষ করিয়। এই রাখী-উৎসবেব জন্যই ববীন্দ্রনাথ “বাংলার মাটি বাংলার জল' গানটি রচন| করিলেন। রাখী-উৎসবের দিন এই গশন গাহিতে গাহিতে লোকে পরম্পরের হাতে রাখী-হুত্র বাধিয়। দিতেন । ৩০শে আশ্বিন কলিকাতার রাখী-উৎসবের অনুষ্ঠানে সকলের সহিত রবীন্দ্রনাথও 'অখ গ্রহণ করিলেন এবং শোভাযাত্রার পুরোভাগে থাকিয়া শহর পরিভ্রমণ করিলেন । অবনীন্দ্রনাথ তাহার “ঘরোয়া” গ্রন্থে এই অবিস্মরণীয় দিনটির একটি স্থন্দর চিত্র দিয়াছেন, “ঠিক হল সকালবেলা সবাই গঙ্গান্ান করে সবার হাতে রাখী পরাবে। এই সামনেই জগন্নাথ ঘাট, সেখানে যাব । রবিকাকা৷ বললেন, সবাই হেঁটে যাব, গাড়ি ঘোড়া নয়।-.'রবিকাকা'র পাল্লায় পড়েছি, তিনি তো কিছু শুনবেন না।"''রওনা হলুম সবাই গঙ্গাঙ্গানের উদ্দেশ্টে, রাস্তার ছুধারে বাড়ির ছাদ থেকে আরম্ত করে ফুটপাথ অবধি লোক ফ্রীড়িয়ে গেছে--মেয়ের| ধৈ ছড়াচ্ছে, শীক বাজাচ্ছে, মহ| ধৃমধাম- যেন একটা শোভাযাত্রা । দিনও ছিল সঙ্গে গান গাইতে গাইতে 'রাস্ত। দিয়ে মিছিল চলল-- বাঙলার মাটি, বাঙলার জল বাঙলার বাদ বাঙলার ফল পুণ্য হউক, পুপ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান্‌। ২৩৭ “এ গানটি সে-সময়েই তৈরী হয়েছিল। ঘাটে সকাল থেকে লোকে লোকারণ্য। রবিকাকাকে দেখবার জন্ক আমাদের চারিদিকে ভিড় জমে গেল। ন্বান সারা হল--সঙ্গে নেওয়! হয়েছিল একগাদা! রাখী, সবাই এ ওরএহাতে রাখী পরালুম। অন্তর! যার৷ কাছাকাছি ছিল তাদেরও রাখী পরানে! হল। হাতের কাছে ছেলে- মেয়ে যাকে পাওয়। যাচ্ছে, কেউ বাদ পড়ছে না, সবাইকে রাখী পরানো হচ্ছে গঙ্গার ঘাটে সে এক ব্যাপার। পাথুরেঘাটা দিয়ে আসছি, দেখি বীরু মল্লিকের আস্তাবলে কতকগুলে! সহিস ঘোড়৷ মলছে, হঠাৎ রবিকাকারা৷ ধ1! করে বেঁকে গিয়ে ওদের হাতে রাখী পরিয়ে দিলেন। ভাবলুম রবিকাকার! করলেন কী, ওরা যে মুনলমান, মুসলমানকে রাখী পরালো-_এইবার একটা মারপিট হবে। মারপিট আর হবে কী। রাখী পরিয়ে আবার কোলাকুলি, সহিসগুলে৷ তো হতভম্ব, কাণ্ড দেখে। আসছি, হঠাৎ রবিকাকার খেয়াল গেল চীৎপুরের বড় মসজিদে গিয়ে সবাইকে রাখী পরাবেন। হুকুম হুল, চলো সব। এইবারে বেগতিক--আমি ভাবলুম, গেলুম রে বাবা, মসজিদের ভিতরে গিয়ে মুসলমানদের রাখী পরালে একট। রক্তারক্তি ব্যাপার না হয়ে যায় না ।""' “.*আমর। সব বসে ভাবছি--এক ঘণ্টা কি দেড় ঘণ্টা বাদে রবিকাকার৷ সবাই ফিরে এলেন। আমর! স্থরেনকে দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলুম, কী কী হল সব তোমাদের ।বললে, কী আর হবে, গেলুম মসজিদের ভিতরে, মৌলবী- টৌলবী যাদের পেলুম, হাতে রাখী পরিয়ে দিলুম। আমি বললুম, আর মারামারি ! স্থরেন বললে, মারামারি কেন হবে--ওরা একটু হাসলে মাত্র |.” [ ঘরোয়া || পঃ ১১-১২ ] এদিন অপরাহ্ছে অপার সাকু্লার রোডের পার্বস্থিত ময়দানে এক বিরাট জনদভায় ফেডারেশন হলের ভিত্তি স্থাপন হইল। সভাপতি ছিলেন আনন্দমোহন বন্থ। এই সম্পর্কে প্রফুল্নকুমার সরকার লিখিতেছেন, *...আনন্দমমোহনবাবু তখন বৃদ্ধ-_রোগে শধ্যাশায়ী। তৎসত্বেও সেই জাতীয় সংকটের দিনে তিনি দেশমাতৃকার আহ্বানে রোগশধ্যা হইতেই উঠিয়া আদিলেন ! আমার বেশ মনে পড়িতেছে, তাহাকে “ইনভ্যালিড চেয়ারে' করিয়া সভাস্থলে আনা! হইল।."'এক্যবদন্ধ অথণ্ড বাঙলার প্রতীকম্বরূপ ফেডারেশন হল বা “মিলন মন্দির-এর ভিত্তিও এদিন আনন্দমোহন স্থাপন করিলেন। 'আনন্দমোহন নিজে তাহার লিখিত বক্তৃতা! পাঠ করিতে পারিলেন না, দেশপুজ্য সুরেজনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাহাঁর পক্ষ হইতে এ বক়্ৃতা জলদগন্ভীর স্বরে পাঠ করিলেন । ২৩৮ "রবীন্দ্রনাথ সেই বিরাট সভায় যোগ দিয়াছিলেন এবং তিনিই আনন্দমোহনের বক্তৃতা বাঙলায় অন্তবাদ করিয়া পাঠ করেন ।"*** [ জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ॥ পৃঃ ৬৩-৬৪ ] এই আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ও রামেন্দ্রকুন্দর বাংলার মহিলা সমাজকেও স্বদেশীব্রত গ্রহণের আহ্বান জানাইলেন। এই সময়েই রবীন্দ্রনাথ 'ব্রতধারণ, প্রবন্ধটি লিখিলেন। উহ! “কোনে। শ্ত্রীসমাজে' জনৈক মহিল। কর্তৃক পঠিতঃ হয়। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বাওলাদেশের মহিল! সমাজকে আহ্বান জানাইয়া বলিলেন, “আজ আমাদের বঙ্গদেশ রাজশক্তির নির্দয় আঘাতে বিক্ষত হইয়াছে, আজ বঙ্গমণীদের তা।গের দিন। আজ আমরা ব্রত গ্রহণ করিব । আজ আমরা কোল ক্লেশকে ডরিব না, উপহাসকে অগ্রাহ্ত করিব, আজ "ামরা পীটিত জননীর রোগশঘ্যায় বিলাতের সাঙ্গ পরিয়৷ শৌথিনত। করিতে যাইব না । “.."আমরা যেন পরের অন্নকরণে আরাম এবং পরের বাঙ্জাবে কেনা জিনিসে গৌরববোধ না করি। বিলাতি আসবাব পরিত্যাগ করিয়া আমাদের যদি কিছু কষ্ট হয়, তবে দে কষ্টই আমাদের মন্ত্রকে ভুলিতে দিবে ন|।-""আমাদের দেশের নারীগণ আশ্বীয়ন্বজনের আরোগ্য কামন|। করিঘ! দীর্ঘকালের জন্য কৃচ্ছ ব্রত গ্রহণ করিয়া আসিয়াছেন। নারীদের সেই তপঃসাধন বাঙালির সংসারে যে নিক্ষল হইয়াছে তাহা আমি মনে করি না। আজ আমর! দেশের নারীগণ দেশের জন্য যদি সেইরূপ ব্রত গ্রহণ করি, যদি বিদেশের বিলাস দৃঢ় নিষ্ঠার সহিত পরিত্যাগ করি, তবে আমাদের এই তপস্তায় দেশের মঙ্গল হইবে--তবে এই স্বস্তায়নে আমরা পুণালাভ করিব এবং আমাদের পুরুষগণ শক্তিলাভ করিবেন ।” [ ব্রতধারণ-__রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ৩য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৬২৩-২৫ ] আন্দোলন সর্বাপেক্ষ প্রবল হইয়া উঠিল ছাত্রসমাজের মধ্যে । এবং স্কুল- কলেজের ছাত্ররাই এই আন্দোলনকে দ্রুত সংগঠিত ও প্রসারিত করিতে লাগিলেন। ৭ই আগস্ট হইতেই এই ছাত্র বাহিনীই সভা-সমিতি ও শোভাযাত্রা করিয়! বিদেশী দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশী পণ্য ক্রয়-অভিযানকে গ্রামে গ্রামে প্রসারিত করিতে লাগিলেন। 'বন্দে মাতরম্‌* ধ্বনি এই আন্দোলনের প্রধান ধ্বনি (81985) এবং রবীন্দ্রনাথের ম্বদেশী সংগীতগুলি প্রধান জাতীয় সংগীতে পরিণত হুইল। ছাত্মগণ বন্দে মাতরম্‌ ধ্বনি করিয়া রবীন্দ্রনাথের স্বদেশী সংগীত গাহিতে গাহিতে গ্রামে গ্রামে স্বদেশী পণ্য ফেরি করিয়া ঘুরিতে লাগিলেন। ভারতের ছাত্র-আন্দোলনের ইহাই হুত্রপাত। জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে এই ছাসমাজ সর্বপ্রথম জাতীয় আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করিলেন। ২৩৪ সন্ত্রস্ত ইংরাজ সরকার ছাত্রদের এই আন্দোলনকে দমন করিবার জন্ত তাড়া- তাড়ি কতকগুলি নিয়মশৃঙ্খল! প্রবর্তন করিলেন এবং পরে একটি আইন পাস কিয়! লইলেন (২২শে অক্টোবর, ১৯০৫ )। এই আইনটিই হইল কুখ্যাত “কার্লাইল সাকু'লার'। এই প্রসঙ্গে গ্রফুল্নকুমার সরকার লিখিতেছেন, “..শ্রীঅরবিন্দ প্রমুখ নবীন জাতীয়তাবাদীদের নেতৃত্বে “বন্দে মাতরম্‌” শব্দটি “জাতীয় মন্ত্র হইয়া উঠে। ঠিক এই কারণেই পুলিস ও সিভিলিয়ান__ সংক্ষেপে আমলাতন্ত্বের পক্ষে “বন্দে মাতরম্* শবটি বিষবৎ মনে হইতে লাগিল, তাহারা উহাকে “বিপ্রোহ্ধ্বনি' বলিয়াই গণ্য করিতে লাগিলেন। বাঙল! সরকারের শিক্ষা-বিভাগ এক সাকুর্লার জারি করিয়। বসিলেন যে, কোন ছাত্র স্বদেশী সভায় যোগদান করিলে অথব! “বন্দে মাতরম্‌* ধ্বনি উচ্চারণ করিলে তাহাকে বিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত করা হইবে। ইহাই কুখ্যাত কার্লাইল সাকুলার। এই সাকুলারের ফলে বাঙলার ছাত্র ও যুবক সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবল উত্তেজনার সঞ্চার হইল। উহার প্রতিবাদ করিয়া বাঙলার সর্বত্র জনসভা হইতে লাগিল। রবীন্দ্রনাথ কলিকাতা অঞ্চলে এইরূপ কয়েকটি সভায় সরকারী ন্বেচ্ছাচারের প্রতিবাদে জালাময়ী ভাষায় বক্তৃতা করেন ।-.'যুবক ও ছাত্রেরা ভীত হওয়া দূরে থাকুক, বরং তাহার! আরও দ্বিগুণ উৎসাহে স্বদেশী সভায় যোগ দিতে লাগিল এবং “বন্দে মাতরম্‌* ধ্বনি করিতে লাগিল। ফলে পুলিসের লাঠি তাহাদের মাথায় পড়িল, বহু ছাত্র বিষ্ালয় হইতেও বিতাড়িত হইল। পেষ পধস্ত এমন অবস্থা দাড়াল যে, “বন্দে মাতরম্‌” ধ্বনি উচ্চারণ করাই রাজদ্রোহের তুল্য একটা অপরাধ বলিয়! গণ্য হইয়! উঠিল। ১০. [জাতীয় আন্দোলনে রবীন্নাথ ॥ পৃঃ ৬৫-৬৬ ] স্বদ্দশী আন্দোলনের স্ুচনাকালেই জাতীয় নেতৃবৃন্দ দেশের শিক্ষাকে জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের কথ চিন্ত। করিতেছিলেন। কিন্তু কার্লাইল সাকুলার জাতীয় শিক্ষা-আন্দোলনের প্রশ্নটি তাহাদের নিকট আশু প্রয়োজনীয় করিয়া তুলিল। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রজীবনীকার প্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখিতেছেন, “কার্লাইল সাকুলার ঘোষিত হইবার ছুইদিন পরে ৭ই কাতিক ( ২৪শে অক্টোবর ) ফীল্ভ এনড একাজঢমির ভবনে কলিকাতার নেতৃস্থানীয় ভদ্রলোকদের এক সভ| হয়। সভাপতি ছিলেন আবদুল রসুল, কলিকাতা হাইকোর্টের তরুণ ব্যারিস্টার। ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্্রনাথ রায়, বিপিনচন্ত্র পাল, শ্থামন্থন্দর চক্রবর্তী প্রভৃতি অনেকেই তাহাতে উপস্থিত ছিলেন, সেখানে বগ্গা! উঠিল, গবর্ষেশ্ট স্বদেশী 'আব্দোলন নষ্ট করিবার অন্ত, ছাত্গণকে যোগমান করিতে নিষেধ করিতেছে, ইহার প্রতিকার জাতীয় বিশ্ববিষ্তালয় স্থাপন করিয়া আমাদের শিক্ষাকে ত্বাধীন কর! । দিও “সেইদিনই (লর্ড) সত্যেন্্প্রসম্প সিংহের ভ্রাতা মেজর নরেন্প্রসাদ সিংহের সভাপতিত্বে কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্‌ এও সার্জনস্‌ গৃহে যে সভার অধিবেশন হয়, সেখানেও এই প্রস্তাব গৃহীত হইল যে, 'গবর্মেপ্টের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবর্ষেষ্টের চাকরি দুইই পরিত্যাগ করিতে হইবে । অর্থাৎ নন-কো-অপারেশন |” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ১২৮] রবীন্দ্রনাথ এই ছুইটি সভায় উপস্থিত ছিলেন ন| ৷ ইহার দুই-তিন দিন পর পটলডাঙার মঞ্িক বাড়িতে সহত্ধিক ছাত্রের একটি সভা হয় ৷ রবীন্দ্রনাথ উহার সভাপতি ছিলেন । এই সভায় কৃষ্কুমার মিত্র, বিপিনচন্্র পাল, সতীশ মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি তৎকালীন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন । বীন্দ্রনাথ তাহার সভাপতির অভিভাষণে দেশের বিদ্যা-শিক্ষর ভার দেশবাসী্ক স্বহস্তে গ্রহণ করিবার চন্য পুনরায় আহ্বান জানাইলেন। এঁ বৎসরই ছূর্গাপূ্ার কয়েকদিন ধরিয়! কলিকাতার বিভিন্ন স্থানে পর পর কয়েকটি জনসভায় জাতীয় শিক্ষা-সমস্ত। লয়! আলোচনা চলিতে লাগিল । বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মনীষী ও গণ্যমান্য ব্যক্কিগণ এইসব সভায় উপস্থিত ছিলেন। বনীন্দ্রনাথও এই স১গুলিতে যোগদান করিয! দেশের স্বাধীন হ্লাতীয় শিক্ষার উপর জোর দিয়। বন্তৃত। করেন। ছাত্র-আন্দোলন মফংম্বলেও কয়েক জায়গায় তীব্র আকার ধারণ করে __বিশেষ করিয়। বরিশালে ও রংপুরে | আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য রংপুর স্কুলের কর্তৃপক্ষ কয়েকজন ছাত্রকে দরণ্ডত করিয়াছিলেন। প্রতিবাদে সমস্থ ছাত্র বিগ্যালয় পরিত্যাগ করিয়। বাহির হইয়। আসেন। কালীপ্রসম্ন দাসগ্ুপ্ত ও ব্রজন্বন্দর রায় নামক দুইজন তরুণ অধ্যাপক ইহাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহারাই রংপুরে প্রথম “জাতীয় বিদ্যালব' প্রতিষ্ঠা করিলেন ( ২৩শে কাতিক ১৩১২ )। এর্দিনই কলিকাতায় 'পাস্তির মাঠে" (বর্তমানে কর্নওয়ালিস প্রাটে যেখানে বিষ্যাসাগর কলেজের হোস্টেল অবস্থিত ) এক বিরাট জনসভায় 'জাতীয়-বিশ্ববিদ্ভালয়” স্থাপন করিবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ্থবোধচন্জ্র বন্মল্লিক এই সভায় সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন । তিনি নিজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একলক্ষ টাক! দিবার প্রতিশ্রুতি দেন । এইসময় তরুণ ছাত্রনেতা! শচীন্দ্রপ্রসাদ বন্থ “কার্লাইল ও রিসলী সাকু'লার'-এর বিরুদ্ধে গ্রতিরোধ-আন্দোলনের জন্য 'আ্যান্টি-সাকুলার সোসাইট' প্রতিষ্াঠ করেন । উহার কয়েকদিন পরে (৩শে কাতিক ১৩১২) বেঙ্গল ল্যাওহোন্ডাস 'এ্যাসোপিয়েশন'-এর গৃহে “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে কমিটি গঠন ও বর্তব্য ২৪১ রবীজনাথ ॥ ১৬ নিধারণের অন্ত যে মন্ত্রণাসভা হয় তাহাতে বাংলাদেশের ধনী মানী জ্ঞানী গুণী লোক অনেকে উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাহাদের অন্যতম । জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের নাম দেওয়া হইল 73018:] 00080] ০0£ [906086100. তারকনাথ পালিত, রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়, গণেশচন্দ্র চন্দ্র, কালীনাথ মিত্র, স্থবোধচন্দ্র বস্থ- মল্লিক হইলেন ট্রার্টি।* রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥| পৃঃ ১৩০ ]। প্রায় দিন পঁচিশেক পর পরিষদের সদন্তগণের এক সভায় উহার গঠনতত্ত্রের খসড়া প্রণয়ন হয় (২৪শে অগ্রহায়ণ )। ডাঃ নীলরতন সরকার শিক্ষাঁপরিষদের সম্পাদক নির্বাচিত হন। রবীন্দ্রনাথ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন । কিন্ত এই সকল কার্ধে রবীন্দ্রনাথের সহযোগিতা থাকিলেও প্রথম হইতেই স্বদেশী আন্দোলনের নীতি ও কর্মপন্থ! লইয়া! নেতৃবর্গের সহিত তাঁহার মতভেদ ছিল। সেই কারণে ইহার পরেই (সম্ভবত পরদিনই ) রবীন্দ্রনাথ শাস্তিনিকেতনে ফিরিয়া গেলেন। স্বদেশী আন্দোলন মূলত তখন ক্লোগান ও রাজনৈতিক উত্তেঙ্গনাকেই ব্যাপকতর করিতেছিল, স্বদেশী শিল্পের উন্নতি, জাতীয় শিক্ষা-প্রণালী নির্ণন, গ্রাম-সংগঠন গ্রভৃতি গঠনমূলক কাজে জাতীয় নেতৃবর্গের কোনো উৎসাহ বা বাস্তব কার্যকরী প্রচেষ্ট! লক্ষ্য করা গেল না। এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রে ও কোনো মৌলিক চিন্তাধার৷ বা কর্মস্চী গ্রহণেও তাহাদের প্রচেষ্টা ছিল না। তাহাদের পরিকল্পন। সীমাবন্ধ ছিল কলিকাত। বিশ্ববিষ্ভালয়ের অনুকরণে কোনে শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠায় । স্বভাবতই রবীন্দ্রনাথের পক্ষে উহা! সমর্থন করা সম্ভব হইল না। তিনি শান্তিনিকেতনে ও শিলাইদহে তাহার পরিকল্পনামত গঠনমূলক কার্ধে আম্মনিয়োগ করিলেন। শাস্তিনিকেতন হইতে তাহার মানসিক যন্ত্রণা ও ক্ষোভের কথা কানাই রামেন্দ্রুত্দিরকে লিখিলেন ( ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৩১২ ), “দেশে ঘদ্দি বর্তমান কালে এইরূপ লোকেরই সংখ্যা এবং উহাদের প্রভাব অধিক থাকে তবে আমাদের মতে! লোকের কর্তব্য নিভৃতে যথাসাধ্য নিঙ্গের কাজে মনোযোগ করা ।-**উন্মাদনায় যোগ দিলে কিয়ৎ পরিমাণে লক্ষ্যব্রষ্ট হইতেই হয়, এবং তাহার পরিণামে অবসাদ ভোগ করিতেই হয়। আমি তাই ঠিক করিয়াছি যে, অগ্নিকাণ্ডের আয়োজনে উন্মত্ত ন! হইয়া যতদিন আমু আছে, আমার এই প্রদীপটিকে জালিয়৷ পথের ধারে বসিয়া থাকিব ।” [ বঙ্গবাসী, ১৩২৬ ফাল্গুন ] ২৪৭ ॥ গ্রামসংগঠনে ও এদেশে ইংরাজ-শাসন প্রসঙ্গে | অত্যধিক উত্তেঞ্জনার অবশ্যই একট! গ্রতিক্রিয়৷ আছে, অবসাদ আছে--বিশেষ করিয়া রবীন্দ্রনাথের মতে। কবি ও শিল্পীর পক্ষে । তবুও কলিকাতার স্বদেশী আন্দোলনে তিনি যোগদান না করিয়! থাকিতে পারেন নাই। শুধু তাহাই নহে, কলিকাতার আন্দোলনে তিনি অন্যতম পুরোধাম্বূপ ছিলেন । কিন্ধ অগ্লকাল পরেই তাহার মনে একটি অবসাদ ৪ ক্লান্তি আসে। এই মানসিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি *খেয়া'র অধিকাংশ কবিতা রচনা করেন (১৩১২ আধা --১৩১৩ চ্যাট )। খেয়া'র কবিতাগ্চ্ছেব মধ্যে 'শেষখেয়।' “বিদায়”, প্রতীক” প্রচ্ছন্ন প্রভৃতি কবিতায় খেয়াকাব্যর মূল স্থরটি ধ্বনিত হইয়াছে । “নৈবেগ্ঠে'র যুগে, স্বদেশী সংগীতের যুগে (য বীপায় বলিষ্ঠ সংগ্রামের স্থর গুন! গিয়াছিল নেই বীণাতেই কেন এই অবসাদ ও বৈরাগ্যের ক্লান্ত-করুণ সুর বাজিয়া উঠিল? এই প্রশ্নের জবাব আমাদিগকে কবির মানস-প্ররূতির মধ্যেই খুঁজিতে হইবে । £এবার ফিরা ৪ মোরে', বর্ষশেষ' হইতে শুরু করিয়া! মৃত্যুর শেষদিন পধস্ত কবির এই অন্তর্ঘন্ছ ও অন্তর্বেদনার অস্ত ছিল না। কবি যে নিধাতন ও পীড়নকে ভয় করিতেন এমন নহে। জীবনে বহুবার বহু ক্ষেত্রে দেশের চরম দুষোগ-মুহ্র্তে তিনি মথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়াছেন । স্বদেশীযুগের রাজনৈতিক আন্দোলন হইতে রবীন্্নাথের সরিয়া আসিবার অন্ততম প্রধান কারণ ছিল নেতৃবর্গের মহিত তাহাব মৌলিক আদর্শগত মত-পার্থক্য _-এ অম্পর্কে পূর্বেই আলোচন! করিযাছি। রবীন্দ্রনাথ বয়কট-আন্দোলনকে নিছক বিদেশী পণ্য বয়কট হিহারে, কিংবা ইংরাজ সাম্রাজাবাদকে 'চাগ দিবার নীতি” (7905390 (৪০005 ) হিসাবে দেখেন নাই। প্রকৃত স্বাধীনতালাভ কিংবা ক্ষমতা-লাভের পূর্বেই ইংরাজ-শাসনের অভান্তরেই স্বদেশী সমাজ, ব্ঘদেশী শিক্ষা, স্বদেশী শিল্প, স্বদেশী অর্থনীতি ও স্বদেশী সংস্কৃতি গড়িমনা তুলিতে হইবে, ইহাই ছিল রবীন্দ্রনাথের পরিকল্পনা । এসব কথা তিনি তাহার পূর্বাপর প্রবন্ধগুলিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথের এই 'ম্বদেশী সমাজ' একেবারেই কাল্পনিক (8600189)) ২৪৩ ছিল না। অথচ এই “দেশী সমৃজ' পরিকুম্রনাকে, তৎকালীন নেতরুদ্দ গ্রহণ করিতে পারিলেন না। এ সম্পর্কে আমরা পূর্বেই আলোচন! করিয়াছি। অপর দিকে, রবীন্দ্রনাথের “্ঘদেশী সমাজ বা “আধর্শ ম্বদেশী পঞ্চায়েত” পরিকল্পনারও মূলগত ক্রাট ছিল, এবং তাহা হইল ন্বাধীনতা-আন্দোলন ও ক্ষমৃতাদধলের সংগ্রামের সহিত তিনি উহাদের যোগসীঁধন করিতে পারেন নাই বা করিতে চাহেন নাই। কিন্ত কংগ্রেস যদি যথার্থই গণ-সংগ্রাম চাহিত, তবে এ ধরনের স্বদেশী সমাজ বা স্বদেশী পঞ্চায়েত পরিকল্পনাকে সে ধথার্থ কাজে লাগাইতে পারিত। বঙ্গবিচ্ছেদকে উপলক্ষ করিয়া দেশে যে বয়কট ও ম্বদেশী আন্দোলন শুরু হইল, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় তাহার মাধ্যমে এই সর্বপ্রথম জাতীয় আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করিলেন। বলা বাহুল্য, ইহারা প্রায় সকলেই ছিলেন তরুণ ও যুবক। এই যুবশক্তিকে নেতৃত্ব দিতেছিলেন বিপিনচন্দ্র ও অরবিন্দ ঘোষ। কিন্তু বাংলাদেশে কংগ্রেস নেতৃত্ব তখন ছিল প্রাচীন সংস্কারপন্থীদের হাতে। স্থরেন্্রনাথ, রাসবিহারী ঘোষ, লালমোহন ঘোষ প্রভৃতি নেতৃবর্গ সেই প্রাচীনপন্থীদের নেতৃত্ব করিতেছিলেন । বযকট ও স্বদেশী আন্দোলনকে তৎকালীন নেতৃবুন্দ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে চাপ দিবার অস্ত্র হিসাবেই দেখিতেছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিষ্ঠালয়, স্বদেশী সমাজ, স্বদেশী শিল্প, স্বদেশী অর্থনীতি প্রভৃতি সংগঠিত করিবার কোনো! আস্তরিক ইচ্ছা যেমন তাহাদের ছিল না, তেমনি এই সকল সম্পর্কে তাহার বিস্তারিত কোনো কর্মচ্ছচীও গ্রহণ করেন নাই। অপর দিকে বিপিনচন্তর অরবিন্দ, সতীশ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ চরমপন্থী নেতৃবৃন্দ এবং ডন সোসাইটি ও আ্যার্টি- সাকু'লার সোসাইটির উদীয়মান নেতৃবর্গ পরিচালিত আন্দোলন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যুব্সম্প্রদায়ের মধ্যেই শুধু সীমাবদ্ধ রহিল। ফলে ব্বদেশী আন্দোলন গ্রামাঞ্চলের বিপুল কষক-জনসাধারণের মধ্যে বিশেষ প্রসার লাভ করিতে পারিল না। অথচ এই স্বদেশী আন্দোলনের স্থযোগ পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করিলেন বোম্বাই ও আমেদাবাদের বস্ত্রশিল্পের মালিকেরা । এই সুযোগে তাহার! তাহাদেব ব্যবসাকে স্ীত ও সম্প্রসারিত করিয়৷ তুলিলেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, প্রায় একই সময়ে চীনে ডঃ সান ইয়াৎ-সেনের নেতৃত্বে আমেরিকার পণ্যন্রব্য বয়কট-আন্দোলন বিপুল জনসমর্থন লাভ করে ( ১৯৪ )। এই আন্দোলন ক্রমশ গণবিপ্রবের প্রস্ততিকে জোরদার করিয়াছে । ১৯৬ সালে . চীনে কৃষক ও কয়লাখনির শ্রমিকের একযোগে বিদ্রোহ ঘোষণা করিল। হাস্কাওতে সৈল্তবিস্রোহ দেখা” দিল। কোয়ান্টং প্রদেশে রুষকের! ট্যাক্স বন্ধ ২৪৪ আন্দোলন আরম্ভ করিল। ১৯*৯ সালে এই বিদ্রোহ দক্ষিণাঞ্চল হইতে প্রায় সমগ্র চীন দেশে ছড়াইয়! পড়িল এবং অবশেষে ডঃ সান ইয়াং-সেনের নেড়ে চীনে গ্রঙ্গাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইল ( ১ল! জানুয়ারী, ১৯১৯ )। এই চীনবিপ্লবের সাফল্যের পশ্চাতে রহিয়াছে ডঃ সান ইয়াৎ-সেনের বিখ্যাত “তিন-নীতি' (1012566 চ11001165 )--(১) চীনকে বিদেশীর কবল হুইতে মুক্ত করিতে হইবে, (২) চীন হইতে “মাঞ্চুরাজা'দের বিতাড়িত করিয়| চীনে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে এবং (৩) চীনের জনগণের জীবিকার সংস্থান করিতে হইবে । এই আন্দোলনের সহিত আমাদের স্বদেশী আন্দোলনের পার্থক্য কতখানি, সেসম্পর্কে নিশ্চয়ই আর কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই । যাহা হউক, স্বদেশী শী আন্দোলনের উত্তেজনা হইতে দূরে সরিয়। গিয়া রবীন্দনাথ শান্তিনিকেতন ও শিলাইদহের ক্ষুদ্র সীমাবনধ. এলাকায় তাহার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করিবার চেষ্! শুরু কৃরিলেন। তাহারই চেষ্টায় কুষ্টিয়াতে ব্য়ন-বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। অবশ্ত এই কার্ধে রবীন্্রনাথের প্রধান সহায় ছিলেন গগনেন্্নাথ ও স্থরেন্্রনাথ ঠাকুর । অল্প কিছুদিন পরে তিনি পতিসরে একটি সমবায় ব্যাঙ্ক স্থাপন করিলেন । এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখিতেছেন, “রবীন্দ্রনাথ স্বদেশী সমাজে গ্রামের সমস্ত। ও তাহার সমাধান সম্বন্ধে ষেসব কথা বলিয়াছিলেন, তাহার কয়েকটি কাষ স্বয়ং গ্রহণ করিলেন; প্রজাদের মধ্যে মিতবায়িতা, সংঘকর্ম ও সঞ্চয় অভ্যাস শিক্ষা দিবার জন্য জমিদারিতে সমবায় ব্যাঙ্ক স্থাপন করিলেন, সেই সঞ্চয় ব্যাঙ্ক পতিসর কৃষি ব্যাঙ্ক নামে পরিচিত হয়। এছাড়া কৃষক প্রচ্ঞাদের মধ্যে আত্মসম্মান ও আত্মশক্তি উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য লোকসভা স্থাপন করা হইল ।...তখন বাংলাদেশে সরকারী কো-অপারেটিভ আন্দোলন আরম্ত হয় নাই ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড |! পৃঃ ১৩৩ ] এই সময় যুবরাজ পঞ্চম জর্জ ভারত পরিদর্শনে আসেন (ডিসেম্বর ১৯৯৫ )। অবশ্থট ইহার পশ্চাতে কার্জনের অন্য উদ্দেশ্ও ছিল। যুবরাজের ভারত সফরের ফলে বিক্ষুন্ধ ভারতবাসী কিছুটা শান্ত হইবে-_ইহাই ছিল কার্জনের ধারণা। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ “রাজভক্তি' নামক একটি প্রবন্ধে ( ভাণ্ডার, ১৩১২ মাঘ) যুবরাজের ভারত সফরের প্ররুত উদ্দেশ্তা ও তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করিলেন। প্রবন্ধের শুরুতেই তিনি বলিলেন, “রাজপুত্র আসিলেন। রাজ্যের ঘত পাত্রের পুত্র তাহাকে গণ্ডি দিয়া ঘিরিয়! বসিল--তাহার মধ্যে একটু ফাক পায় এমন সাধ্য কাহারও রহিল না। এই ফাক যতদূর সম্ভব সংকীণ করিবার অন্ত কোটালের পুত্র পাহার! দিতে লাগিল- সেজন্য ৪৫ সে শিরোপা পাইল। তাহার পর? তাহার পর বিস্তর বাজি পুডাইয়৷ রাজপুত্র জাহাজে চড়িয়৷ গেলেন--এবং আমার কথাটি ফুরাল, নটেশাকটি মুড়াল। পব্যাপারখানা কী ।..অবশ্তাই রাজপুরুষেরা ইহার মধ্যে একটা! কিছু পলিসি, কিছু-একটা প্রয়োজন বুঝিয়াছিলেন ; নহিলে এত বাজে খরচ করিবেন কেন।'"* * এইকপ বিদ্রপ-ব্যঙ্গ্যোক্তির পর তিনি যুবরাজের ভারতসফরের প্রকৃত উদ্দেশ্ট ও অভিসন্ধিটি দেশবাসীর সমক্ষে উদঘাটন করিলেন । “এবারে রাজপুত্রকে .ভারতবর্ষে আনা হইল। রাজনীতির তরফ হইতে পরামর্শ উত্তম হইয়াছে । কারণ, সাধারণত রাজবংশীয়ের প্রতি ভারতবর্ধায় হাদয়ের অভিমুখিত! বহুকালের প্রকৃতিগত |... “যাই হোক, ভারতবর্ষের রাজভক্তিকে নাড| দিবার জন্য রাজপুত্রকে সমস্ত দেশের উপর দিয়। বুলাইয়া লওয়া উচিত_-বোধ করি এইরূপ পরামর্শ হইয়া থাকিবে। কিন্তু ভারতবর্ষের ইংরেজ-হৃদয়ের কারবার কোনোদিন করে নাই। তাহারা এদেশকে হৃদয় দেয়ও নাই, এ দেশের হৃদয় চায়ও নাই, দেশেব হৃদয়টা কোথায় আছে তাহার খবরও রাখে ন|।**% ইংরাজ-শাসনের বিরুদ্ধে ইহাই রবীন্দ্রনাথের অন্যতম প্রধান এবং পুবাতন অভিযোগ । “রাজভভ্তি ভারতবর্ষের প্ররুতিগত'_ইহাও মানিয! লইতে তিনি রাজী। কিন্তু এশ্বর্বলোলুপ ও ক্ষমতালোভী এদেশের ইংরাজ্ত শাসকদের হৃন্মহীনতা তাহার নিকট অসহা.। তিনি বলিলেন, “**'বাজভক্তিতে দীক্ষিত ভারতবর্ষের অন্তঃকরণ কাতরভাবে প্রার্থনা কবিতেছে যে, হে স্ভারতের প্রতি বিমুখ ভগবান, আমি এই-সকল ক্ষুদ্র রাজা, ক্ষণিক রাজা, অনেক রাজ! আর সহিতে পারি না, আমাকে এক রাজ। দাও। এমন রাজ! দাও যিনি বলিতে পারিবেন, ভারতবর্ষ আমারই রাজ্য-বণিকের নয়, খনিকের নয়, চাঁকরের নয়, ল্যাংকাশিয়রের নয়। ভারতবর্ধ ধাহাকে অন্তরের সহিত বলিতে পারিবে, আমারই রাজ; হালিডে রাজ! নয়, ফুলর রাজ! নয়, পাযোনিয়র- সম্পাদক রাজ! নয়। [ রাজভক্তি__রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড পৃঃ ৪৩৫-৪০ ] ইহার অল্প কিছুকাল পূর্বে লিখিত কবির “বহুরাজকতা' ( ভাগ্তার, ১৩১২ আধাচ়) প্রবন্ধটি এই প্রসজে উল্লেখযোগ্য ৷ এ প্রবন্ধে তিনি মোটামুটিভাবে এই একই কথা বলিয়াছিলেন, “--"একটা আন্ত জাত নিজের দেশে বাস করিষা অন্ত দেশকে শাসন করিতেছে, ইতিপূর্বে এমন ঘটন! ইতিহাসে ঘটে নাই। অত্যন্ত ভালে! রাজ! হলেও এ রকম অবস্থায় রাজার বোঝা! বহন কর! দেশের পক্ষে বড়ো! কঠিন |." 2৪ "অতএব কংগ্রেসের যদি কোনে। সংগত প্রার্থনা থাকে তবে 'তাহা এই যে, সমাট এভোআর্ডের পুত্রই হউন, স্বয়ং লর্ড কার্জন ব। কিচেনারই হউন, "থব। ইংলিশম্যান-পায়োনিয়রের সম্পাদকই হুউন, ভালো! মন্দ ব1 মাঝারি বে-কোনে! একজন ইংরেজ বাছিয়। পার্লামেন্ট আমাদের রাজ। করিয়! দিল্লির সিংহাসনে বদাইয়া দিন। একটা দেশ যতই রসালো! হউক-না, একজন রাঙ্গাকেই পালিতে পারে, দেশস্ুদ্ধ রাজাকে পারে ন।।” [ বন্থরাঁজকত।-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৪9 ] ব।ংলাদেশের আন্দোলনকে দমন করিবার জন্য ইংরাজ সরকার কী উলঙ্গ বাভৎন মৃতিতে আত্মপ্রকাশ করিতেছে তাহাঁও যেন রবীন্দ্রনাথ মুকুর্ঠের জন্য ক্ীলিতে পারিতেছেন না । তাই যুবরাছ্গের ভারত সফরে তিনি হর্সধবনি ন, করিয়া এই মদোদ্ধত অত্যাচারী খাসকসম্প্রদায়কে উপেক্ষ। 9 অবজ্ঞ। করিবার আহ্বান জানাইয়া রাজভক্ি প্রবন্ধের উপসংহার করিলেন, “.."আমাদের হদয বএ কর। ফুলর, পুযুনিটিভ পুলিস এবং জোর-ভুলুমের কর্ম নহে ! “দেবই হউন আর নানবউ হউন, লাটই হউন আর জ্যাকই হউন, খানে কেবল প্রতাপের প্রকাশ, বলের বাহুল্য, সেখানে ভীত হওয। নত হ ওয়ার মতো আম্মাবমাননা, অন্তরধামী ঈশ্বরের অবমাননা, আর নাই । হে ভারতবয, সেখানে তুমি ভোমাব চিরদিনের উদার অভয ব্রহ্গজ্ঞানেব সাহায্যে এই-সমস্ত লাঞ্চনার উধের্ব তোমার নস্তককে অবিচলিত রাখো, এই সমস্ত বডে৷ বড়ে। নামধারী মিথ্যাকে তোমার সবাস্কঃকরণের দ্বারা অস্বীকার করো , ইহারা যেন বিভীষিকার মুখোশ পরিদা অন্তরাম্মাকে লেশমান্র সংকুচিত করিতে না পারে |" [ রাজভক্তি__রবীন্দর-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ 99১ ] ঠিক সেই সময় বেনারস-কংগ্রেসে যুবরাঙ্ছের ভারত-সফর উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করিষ! প্রথন প্রস্তাবটি গ।স হইয়া গেল। সভ্পতি গোখ লে তাহার অভিভাষণের শুরুতেই বলিলেন, 40000010068) 000 ঠিটিচ 005 ৮0-15-1৮00 01 08 010৯ 1058] 01061 00010] 100189৮ 10 %196017 30521 11181100৭৯5 0৩ [১1060610100 10100৮01৯1১ মো 0) 08101) 0 001৭ 001 ঠ75৮ 5191 0 [11012 0 পাতে 2) 1901800৪00০ 211 [%7৮৮--0050180 21] 000৮0৮0েসাত 16 15 0 10022021৮১৮ 01 0016 1)1018655 070 10000] 8180. 0১0 1000 000খ20 ০:0১0 130090) 10101017641 2 ০িশেো0 002 00010096000 153 11105050103 ২৪৭ 00001)1065 8280 00801 10078 2100. 1201)109006061508) ০ 180৮ 01115 19৩00) & 1055] 0860 95৮ 2150 02107059 ১০ 0616000101৮ 0805 101 1] (056 05 001)10 8100 10101) 101170000. 17) 11821215055 90107000610, 7100), 110019,..% [ (00007655 1270810677618] 4,00708808 : ০], 7. 686 ] রবীন্নাথ গোখ্লের মত সর্বভারতীয় কোনো কংগ্রেস-নেতা ছিলেন না। কিন্তু ব্রিটিশ সম্রাট বা সিংহাসনের এই ধরনের স্তরতিবাদ কখনও তাহার নিকট হইতে শুনা যায় নাই। ক্বদেণী আন্দোলনকারীদের উপর তখন ইংরাজের দমননীতি প্রবলতর হইয়। উঠিতেছে। এমন অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের পক্ষে চুপ করিয়া থাকা সম্ভব হইল না। “্বদেশী আন্দোলনে নিগৃহীতদের প্রতি নিবেদন” নামক প্রবন্ধে ( ভাগ্ডার, ১৩১২ ফান্তুন ) তিনি লিখিলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান স্বদেশী আন্দোলনে কুপিত রাজদণ্ড ধাহাদিগকে পীড়িত করিয়াছে, তাহাদের প্রতি আমার নিবেদন এই যে, তীহাদের বেদনা আজ যখন সমন্ত বাংলাদেশ হৃদয়ের মধ্যে বহন করিয়া লইল তখন এই বেদনা! অমতে পরিণত হইয়া! তাহাদিগকে অমর করিয়! তুলিয়াছে।...ধাহার! মহাত্রত গ্রহণ করিয়া থাকেন বিধাত। জগৎসমক্ষে তাহাদের অগ্নিপরীক্ষ। করাইয়া! সেই ব্রতের মহত্বকে উজ্জ্বল করিয়া গ্রকাশ করেন। অন্য কঠিনব্রতনিষ্ঠ বঙ্গভূমির প্রতিনিধিস্বরূপ যেই কয়ভ্ন এই ছুঃসহ অস্নিপরীক্ষার জন্য .বিধাত| কর্তৃক বিশেষরূপে নির্বাচিত হইয়াছেন তাঁহাদের জীবন সার্থক । রাজরোধরক্ত অগ্নিশিখ! তাহাদের জীবনের ইতিহাসে লেশমাত্র কালিমাপাত ন! করিয়া বার বার স্বর্ণ অক্ষরে লিখিয়। দিয়াছে । বন্দে মাতরমূ।” [গ্রস্থপরিচয়-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড ॥| পৃঃ ৬৬৩ ] রবীন্দ্রনাথ তাহার আপন জমিদীরিতে পলী-উন্নয়ন ও পল্লীর অর্থ নৈতিক ভিত্তিকে পুনর্গঠিত করিবার জন্য নানা রকম পরিকল্পনা করিতেছিলেন, একথা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি । চিরাচরিত মাদ্ধাতা-আমলের কৃষি-পদ্ধতিতে যে গ্রামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতির কোনোই সম্ভাবন! নাই, তাহ! তিনি বিশ্বাস করিতেন। আধুনির উন্নততর বৈজ্ঞানিক প্রণানধীতে কৃষি ও গোপালন-ব্যবস্থা এদেশে প্রবতিত না করিলে গ্রামের অর্থ নৈতিক পুনর্গঠন সম্ভব নহে--এমন কথাও তিনি তখন চিন্তা করিতেছিলেন। এবং এই উদ্দেশ্ে তিনি পুত্র রথীস্্রনাথ ও সম্তোষচন্্র মজুমদারকে আমেরিকায় বিজ্ঞান ও কৃষি-বিস্তা আয়ত্ত করিবার জন্য প্রেরণ করেন (২*শে চৈত্র ১৩১২)। এ সকল বিস্তায় পরদর্শা হইয়া তাহার] এদেশের গ্রামোরয়ন কার্ষে তাহাদের শিক্ষ প্রয়োগ করিবেন, ইহাই ছিল কবির আশা! ও কামন!। ২৪৮ ॥ বল্সিশাল প্রাদেশিক সম্মেলন ॥॥ সকলেই জানেন বরিশালে মহাত্মা অখ্থিনীকুমারের নেতৃত্বে স্বদেশী আন্দোলন কী তীব্র ও ব্যাপক আকার ধারণ করিয়াছিল। ফলে তখন কুখ্যাত অত্যাচারী দাস্তিক ফুলারের নির্দেশে সার| বরিশাল শহরে গুর্থাসৈম্তদের অত্যাচার চরমে উঠে, বয়কটকে উপলক্ষ করিয়া হিন্দু-মুসলমান বিরোধকে প্ররোচিত করিবার চেষ্টা হয়; এবং আন্দোলনকারীদের উপর পিউনিটিভ পুলিসের অত্যাচার সীম। ছাড়াইয়া যায়।_-এমন অবস্থায় নেতৃব্র্গ বরিশাল শহরেই প্রাদেশিক সম্মেলন আহ্বান করিয়। বসিলেন। এই প্রাদেশিক সম্মেলনের সভাপতি মনোনীত হন আবছুল রন্ুল। সেই সাথে প্রাদেশিক সাহিত্য-সম্মেলনেরও আয়োজন হয়। রবীন্দ্রনাথ সেই লাহিভ্য-সশ্সিলনীর সভাপতি মনোনীত হন । কিন্ত সম্মেলনের উদ্বোধনের দিন ( ১লা বৈশাখ ১৩১৩ ) যখন স্থরেন্দ্রনাথ, আবদুল রক্রল ও অন্যান্ত নেতৃবৃন্দের সহিত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মিছিলটি সভা- মণ্ডপেৰ দিকে অগ্রসর হইতেছিল, তখন অকম্মাং পুলিসবাহিনী সেই শোভাযাত্রার উপর বাঁপাইয়! পড়িয়া লাঠি ও বেটন চালাইয়! শোভাযাত্রাটিকে ছত্রভঙ্গ করিয়া! দিল। এইসময় স্ুরেন্জ্নাথ প্রমুখ নেতৃবর্গের অনেকে এবং বহু শোভাষাত্রাকারী পুলিসের লাঠিতে আহত হন। অতংপর ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে প্রাদেশিক সম্মেলন নিষিদ্ধ হইল। “বন্দে মাতরম্‌ ধ্বনি উচ্চারণ করিতে পারিবে ন' এই অপম'নজনক শর্তে নেতৃবুন্দ রাজী না হওয়ায় প্রাদেশিক সাহিত্য-সন্দেলনও স্থগিত রহিল। নিদারুণ অপমান, লাঞ্ছন! পরাজয়ের গ্লানি লইয়া নেতার! ফিরিয়া! গেলেন । রবীন্দ্রনাথ বোলপুরে ফিরিলেন। বরিশালের পরাজয়ের পরই বাংলা-কংগ্রেসে আদর্শ ও নীতিগত বিরোধ দেখ' দিল। যেযুবশক্তি এই আন্দোলনের প্রধান প্রাণশক্তিত্বরূপ ছিলেন, বরিশালে ও দেশের সবত্র তাহাদের উপরই নিধাতনের ঝড় বহিয়৷ গেল। কংগ্রেসের চিরাচরিত নিয়মতাহ্থিক আন্দোলনের উপর ক্রমশই তীহাদের প্রবল ত্বণা ও বিভৃষ্ঞ। জন্মিতে লাগিল। প্রথমেই নেতৃত্ব লইয়া বিরোধের প্রকাশ দেখা গেল। প্রাচীনপস্থীদের নেতৃত্ব করিতেছিলেন স্থুরেন্্রনাথ এবং নব্যপন্থী “এক্সটি,মিস্টস্‌” বা “চরমপন্থী'দের নেতৃত্ব করিতেছিলেন বিপিনচজ্জ । স্থরেন্্রনাথ তখনও বাংলাদেশের একছজ নেত!। ২৪৬, কিন্ত নবীনদের মধ্যে এবং সাধারণ মধ্যবিত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিপিনচন্ত্রের প্রভাবও কম ছিল না। বিশেষত বিপিনচন্দ্রের তেজোদৃণ্ধ বাগ্ীতা ও লেখা বাংলার তরণ ও যুবসমাজের হৃদয় জয় করিয়া লইয়াছিল। তাহা ছাড়া, বয়কট ও নিক্ষিম্ব প্রতিরোধের মূল পরিকল্পনা ছিল বিপিনচন্রের। বিপিনচন্দ্ে জয়লাভের অর্থ--তাহার বয়কট ও অসহযোগনীতির জয়লাভ । সুতরাং নেতৃত্বের জয়পরাজয়ের সহিত আদর্শ ও নীতিগত প্রশ্নট জড়িত ছিল। স্বদেশী আন্দোলনের এই সংকট-মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথ রাজনীতি হইতে একেবারে দূরে থাকিতে পারিলেন না। তাই অল্প কয়েকদিন পরেই তিনি এসম্পর্কে লিখিলেন “দেশনায়ক' প্রবন্ধ এবং তাহা! কলিকাতায় পশুপতিনাথ বস্থর সৌধপ্রাঙ্গণে এক বিরাট জনসভায় পাঠ করিলেন ( ১৫ই বৈশাখ ১৩১৩)। এই প্রবন্ধের প্রথমেই তিনি বরিশালের ঘটনার উল্লেখ করিতে গিয়া! বলিলেন, “এবারে বরিশাল প্রাদেশিক সমিতিতে বাঙালি খুব একটা আঘাত পাইয়াছে, সে কথা সকলেই জানেন ।.**আইন কলের রোলারের মতো নির্মমভাবে আযাদের অনেক আশা দলন করিতে পারে, কিন্তু পুলিসের সাক্ষাৎ হস্তক্ষেপ বলিতে কী বুঝায়, সশরীরে তাহার অভিজ্ঞতালাভ সন্ত্ান্ত ভদ্রলোকদের সদসর্বদা ঘটে না। এবারে অকস্মাৎ তাহার প্রত্যক্ষ পরিচয় পাইয়া দেশের মান্তগণ্য লোকের চিন্ত উদ্‌ভ্রাস্ত হইয়া উঠিয়াছে।"*" “সেদিনকার উপদ্ববে ধাহার! উপস্থিত ছিলেন, তাহারা সকলেই আমাদের ছাত্রদলের, যুবকগণের ও নায়কবর্গের অবিচলিত স্থের্য দেখিয়া বিশ্বযাস্থিত হইয়াছেন 1...* বরিশালের ঘটনার পর সাবা দেশের যুবশক্তি তখন নিক্ষল আক্রোশে ফু'সিতেছে। রবীন্দ্রনাথ এমতাবস্থায় ধৈর্য ধরিয|! আপন লক্ষ্য ও কর্তব্পথে অবিচল থাকিবার জন্য দেশের গ্রতি আহ্বান জানাইলেন। তিনি বলিলেন, “দেশের হিতসাধন একটা বৃহৎ মঙ্গলের ব্যাপার, নিজের প্রবৃত্তির উপস্থিত চরিতার্থসাধন তাহার কাছে নিতান্তই তুচ্ছ। যদি এই বৃহৎ লক্ষ্টাকে আমাদের হৃদয়ের সম্মুখে বথার্থভাবে ধরিয়া রাখিতে পারি, তবে ক্ষণিক উত্তেজনা, ক্ষুদ্র অন্তর্দাহ আমাদিগকে পথভ্রষ্ট করিতে পারে না ।* তারপর তিনি বয়কট আন্দোলনের আদর্শ ও নীতিগত প্রশ্নটি পুনবিচার করিতে গিয়া বলিলেন, "আপনাদের কাছে আমি স্পষ্ট দ্বীকার করিতেছি, বাঙালির মুখে 'বয়কট' শকের আস্ফালনে আমি বারংবার মাথা ছেট করিয়াছি। আমাদের পক্ষে এমন ২৫০ সংকোচজনক কথ! আর নাই। বয়কট দুর্বলের প্রয়াস নহে, ইহা! ছুর্বলের কলহ। আমর! নিজের মঙ্গলসাধনের উপলক্ষে নিজের ভালে! করিলাম না, আক্ত পরের মন্দ করিবার উৎসাহেই নিজ্জের ভালে! করিতে বসিয়াছি, একথা মুখে উচ্চারণ করিবার নহে । আমি অনেক বক্তাকে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে শুনিয়াছি--“আমর! যুনিভার্সিটিকে বয়কট করিব।” কেন করিব। ফুনিভার্সিটি যদি ভালে৷ জিনিস হয়, তবে তাহার সঙ্গে গায়ে পড়িয়। আড়ি করিয়। দেশের অহিত করিবার অধিকার আমাদের কাহারও নাই ।.."কচ দৈত্য পগ্ুরুর আশ্রমে আসিয়া দৈত্যদের উৎ্পীড়ন ও গুরুর অনিচ্ছাসত্বেও ধৈর্য ও কৌশল অবলম্বনপূর্বক বিছ্যালাভ করিয়া! দেবগণকে জুয়ী করিয়াছেন। জাপানও যুরোপের আশ্রম হইতে এইরূপ কচের মতোই বিদ্যালাভ করিয়। আজ জযযুক্ত হইয়াছেন । দেশের যাহাতে ইষ্ট, তাহ। যেমন করিষাই হউক সংগ্রহ করিতে হইবে, সেজন্য সমস্থ সহ কর! পৌরুষেরই লক্ষণ_ তাহার পর সংগ্রহকার্ধ শেষ হইলে স্বাতস্থয প্রকাশ করিবার দিন আসিতে পারে ।"." “আমাদের সৌভাগ্যক্রমে, দেশে স্বদেশী উদ্যোগ আন্গ যে এমন ব্যাপ্ত হইঘা পড়িয়াছে, বয়কট 'ভাহার প্রাণ নহে । একটা তুচ্ছ কলহের ভাব কখনোই দেশের অস্তঃকরণকে এমন করিয়! টানিতে পারিত না । এই যে স্বদেশ! উদ্যোগের আহ্বান- মাত্রে দেশ এক মুকুষ্ঠে সাড়া দিয়াছে, কার্জনের সঙ্গে আডি তাহার কারণ হইত্রে পারে না--.আঙজ্গ আমর| স্বায়ন্তভাবে দেশের শিক্ষার উন্নতিসাধনে প্রবন্ত হইয়াছি, রাগারাগিই যি তাহার ভিত্তিভ্মি হয়, তবে এই বিদ্যালয়ে অমর! জাতীয় অগোৌরবের স্মরণস্ন্ত রচন! করিতেছি ।” রবীন্দ্রনাথ এখানে বয়কটের বিরুদ্ধে কথ! বলিলেও তিনি যে বদ্ধকট আন্দোলনের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে, তাহ| নহে। তিনি পুরেই বারবার যথাসম্ভব বিলাতী পণ্য (বিশেষ করিয়া বিলাসিতার ড্ব্য | বঙ্জন করিয়া স্বদেশ পণ্য বাবহারের আবেঘন জানাইয়াছিলেন। কিন্ত নরমপন্থী ও চরমপন্থী--উভয়পক্ষই বয়কট আন্দোলনকে ইংরাজের বিরুদ্ধে একটা বিশেষ চাপ দিবার অস্ত্র ও কৌশল হিসাবেই দেখিতেছিলেন। ন্বদেশী শিল্প, জাতীয় শিক্ষা-পুনর্গঠন তাহাদের ক'ছে অনেকটা গৌণ ব্যাপার হইয়! উঠিয়াছিল; তাছাড়া পলীসমস্া৷ ও পল্লীউর্ষন সম্পকে ইহাদের কাহারও কোনো আস্তরিক আগ্রহ ছিল না। এবং ইহাই ছিল নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিযোগ । রবীন্দ্রনাথ বয়কটকে রাজনৈতি ক অন্ত হিসাবে না দেখিয়া উহার মাধামে হ্বদেশীয়ানা ও পল্লীসমাজ পুনর্গঠনকেই মুখ্য করিতে চাহিলেন। বয়কট আন্দোলন ও উহার নেতৃত্বের ুবলতা৷ সম্পর্কে পূবেই আলোচনা! করিয়াছি । তবু একথা অনম্বীকাধ যে, ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ১ আন্দোলনে এই বয়কট আন্দোলনের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও অবদান আছে। কিন্ত রবীন্দ্রনাথ উহার তৎপর্যটি সম্যক উপলব্ধি করিতে পারেন নাই । যাহা হউক, দেশের তংকালীন রাজনৈতিক আদর্শ-নীতির বিরোধের প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথ যে কিছুটা বিভ্রান্ত, তাহাতে সন্দেহ নাই। তিনি নীতিগত বিরোধের প্রশ্নটি এড়াইয়! গিয়! নেতৃত্বের প্রশ্নটিই বড়ে। করিয়া তুলিয়া ধরিলেন, “দেশের সমস্ত উদ্ভমকে বিক্ষেপের বার্থত৷ হইতে একের দিকে ফিরাইয়! আনিবার একমাত্র উপায় আছে-_-কোনে। একজনকে আমাদের অধিনায়ক বলিয়া স্বীকার করা ।-..বগড়া করিতে গেলে হট্টগোল করা সাজে, কিন্ত যুদ্ধ করিতে গেলে সেনাপতি চাই |... নেতৃত্বের সেই বিরোধের দিনে তিনি স্থরেন্্রনাথকেই নেত। বলিয়া বরণ করিয়। লইবার আহ্বান জানাইয়৷ বলিলেন, “আপনাদের ষদি অভিমত হয়, তবে আর কালবিলম্বমাত্র না করিয়া বঙ্গদেশের এই মঙ্গলমহাসনে স্থরেন্্নাথকে অভিষেক করি। জানি, এরূপ কোনো প্রস্তাব কখনোই সর্ববাদিসম্মত হইতে পারে না, কিন্তু তাহার জন্য অপেক্ষা করিয়া থাকিলে। চিরদিন কেবল অপেক্ষা! করিয়াই থাকা হইবে । ...” স্থরেন্্রনাথের নাম প্রস্তাব করিলেও তিনি যে স্থরেন্্নাথের বা মডারেটদের রাজনীতিকে সমর্থন করিলেন, তাহা নহে। তাই, সাথে সাথে ভিনি বলিলেন, “যাহার। পিটিশন্‌.বা প্রোটেস্ট, প্রণয় বা কলহ করিবার জন্য রাজবাড়ির বাধ! রান্তাটাতেই ঘন ঘন দৌড়াদৌড়ি করাকেই দেশের প্রধান কাজ বলিয়। গণ্য করেন আমি সে ছুলের লোক নই, সে কথা পুনশ্চ বল! বাহুল্য ।...” তারপর কবি বলিলেন, “তবে নায়ক হইবার সার্থকত। কী, এ প্রশ্ন উঠিতে পারে। নায়কের কর্তব্য চালনা করা ভ্রমের পথেই হউক, আর ভ্রম-সংশোধনের পথেই হউক । অন্রান্ত তত্বদর্শার জন্ত দেশকে অপেক্ষা করিয়া বসিয়া থাকিতে বল! কোনো! কাজের কথা নহে। দেশকে চলিতে হইবে; কারণ, চলা স্বাস্থ্যকর, বলকর।"..ভুল করাকে আমি ভয় করি না, ভুলের আশঙ্কায় নিশ্চেষ্ট থাকাকেই আমি ভয় করি। দেশের বিধাত৷ দেশকে বারংবার অপথে ফেলিয়াই তাহাকে পথ চিনাইয়! দেন-_গুরুমহাশয় পাঠশালায় বমিয়৷ তাহাকে পথ চিনাইতে পারেন না।:.. “অতএব দেশকে চলিতে হইবে । চলিলেই তাহার সকল শক্তি আপনি জাগিবে, আপনি খেলিবে |: [রৰী্-রচনাবলী £ ১*ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৬৫৭-৬০ ও ৬৫৫ (গ্ন্থপরিচয়)এবং পৃঃ ৪৯২-৯৫] ২৫২ পূর্বলিখিত বিভিন্ প্রবন্ধের স্ায় এই প্রবন্ধেও রবীন্দ্রনাথ পলীউন্নমন ও পল্সী- সংস্কারের দিকে দেশকগ্নিগণের মনোযোগ আকর্ষণ করিলেন । ইহার পর রবীন্দ্রনাথ “ডন্‌ সোসাইটির ছাত্রসমাজে পর পর দুইটি বন্তৃত৷ করিলেন। এই বন্তৃতায় তিনি বার বার পল্লী সংগঠনের উপর জোর দেন। একটি বক্তৃত।য় তিনি বলিলেন, “এখন আমাদের ছোটো! ছোটো জায়গায় 0:8810$59000, তৈরি কর! উচিত। কিছুদিন হইতে আমি 'পল্ী-সমিতি' স্থাপনের চেষ্টা করিতেছি, কিন্ত সেটা সফল হয় নাই।'.আমাদিগকে এখন পল্নীর 29071001509 জাগাইয়া তুলিতে হইবে। আমরা যদি পল্লীর সকল অভাবমোচনের ভার নিজের! গ্রহণ করি, তাহা হইলে পল্লীকে গৌরবা্িত করিয়! তুলিতে পারি ।"."আত্মশক্ি চালনা করিয়া কর্তৃত্বের প্রকৃত অধিকারী হওয়ার জন্য এইরূপ 'পল্লী-সমিতি'তে আমাদের এখন হাঁতে খড়ি করিতে হইবে ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ১৪১] রবীন্দ্রনাথ “ম্বদেশী সমাজ' ও অন্যান্য প্রবন্ধে পল্লী-উন্নয়ন সম্পর্কে ষে সব কথা বলিয়াছিলেন, 'পল্লী-সমিতি'র খসড়ায় উহ! আর পরিষ্কার ও সংবদ্ধভাবে উপস্থাপন করিলেন । এই খসড়াটি পাঠ করিলে দেখ! যাষ, পল্লীর যাবতীয় সমস্যা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ কী গভীরভাবে চিন্ত। করিয়াছেন । পলীর শিক্ষা স্বাস্থ্য কুষি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের চন্য রবীন্দ্রনাথ যে সব কথ চিন্ত! করিয়া গিয়াছেন, তাহ! সত্যই বিশ্ময়জনক । আঙ্তও সেগুলির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা খুব কম নহে। রবীন্দ্রনাথ যে এই পলী-সমিতিগুলিকে নিছক পল্লী-উন্নয়ন ও গঠনমূলক কাজেই সীমাবদ্ধ রাখিতে চাহিয়াছিলেন তাহা নহে। এ খসড়ায় ১৫নং অনুচ্ছেদে পরিষ্ষার উল্লেখ করিয়াছিলেন, “জেল! সমিতি, প্রাদেশিক সমিতি ও জাতীয় মহাসমিতির উদ্দেশে [ কন্গ্রেস] ও কাষের সহায়তা করা” এই সমিতিগুলির অন্যতম উদ্দেশ । কিন্তু তবুও একটি কথা এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য “, রবীন্দ্রনাথ গ্রামদেশের প্রধানতম সমস্যা, সেই সামস্ততাস্ত্রিক শোষণ-ব্যবস্থাকে যেন কোথাও দেখিতে পাইলেন না। জমিদার-মহাজনের শোষণ-অত্যাচারের হাত হইতে রক্ষা করিবার হাতিয়ার বা! অস্ত্রহিসাবে এ পল্লী-সমিতিগুলিকে ব্যবহার করিবার কথা তিনি চিন্তা করিতে পারিলেন না । ও ॥ পিক্ষা-সমন্যা! ও রবীজ্দ্রনাথ ॥ স্বদেশী আন্দোলনের যুগে বাংলার জাতীয় চিত্তের যে সামগ্রিক উন্মেষ দেখা দেয়, তাহার ফলেই জাতীয় শিক্ষার প্রশ্নটি বড়ো হইয়া! দেখা দিল। বয়কট ও স্বদেশী আন্দোলনের মুখে নেডৃবুন্দ কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় শিক্ষা- সমস্যা লইয়! চিন্তা-ভাবনা শুরু করিতে বাধ্য হইলেন, পূর্বেই তাহা আলোচিত হইয়াছে । সেই সময়েই “জাতীয় শিক্ষা-পরিষদ” গঠিত এবং কয়েকটি জাতীয় বিষ্যালয়ও প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের কারিগরি শিক্ষা! সম্প্রসারণের জন্ত “বেঙ্গল টেক্নিকেল ইনন্টিটিউট' নামে একটি টেক্নিকেল স্কুলও এই সময় গ্রতিষ্ঠিত হয়। এখন প্রধান প্রশ্ন দেখা দিল-__জাতীয় শিক্ষার আদর্শ ও শিক্ষানীতি কী হইবে? জাতীয় শিক্ষায়তনগুলি কি তৎকালীন ইংরাজ-শাসিত ফুনিভার্সিটিগুলির হুবহু নকল হইবে, না কি স্বকীয় জাতীয় বৈশিষ্ট্যে গড়িয়। উঠিবে ? জাতীয় নেতৃবৃন্দের কেহ কেহ নিজেদের স্বাধীন পরিচালনায় সরকারী প্রভাবমুক্ত একটি বিশ্ববিগ্যালয় গড়িয়৷ তুলিবার কথ! ভাবিতেছিলেন। তাহার! ছিলেন বিলাতের শিক্ষা-বিধি ও শিক্ষাদর্শ এদেশে প্রবর্তন করিবার পক্ষপাতী । জাতীয় নেতৃবৃন্দের অপর এক অংশ আমাদের জাতীয় শিক্ষার মধ্যে হিন্দু ধর্মীয় চিন্ত: ও হিন্দু জাতীয়তার ভাবধার! প্রতিষ্ঠিত করিবার স্বপ্ন দেখিতেছিলেন। এমনএদিনে জাতীয় শিক্ষা-সমস্য। লইয়া রবীন্ত্রনাথও যে বিশেষভাবে চিন্তা ভাবন! করিবেন, তাহাতে বিশ্বয়ের কিছু নাই। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে বারবার তিনি ম্মরণ করাইয়া দিলেন, 'দেশের বিদ্যাশিক্ষার ভার আমাদিগকেই গ্রহণ করিতে হইবে ।' “দেশনায়ক' প্রবন্ধটি পাঠ করিবার পর রবীন্দ্রনাথ দেশের শিক্ষা-সমস্য। লইয়া পর পর চাৰিটি প্রবন্ধ লিখিলেন। ইহার মধ্যে “শিক্ষ/-সংস্কার” প্রবন্ধটি ভাণ্ডার পত্রিকায় (১৩১৩ আযাঢ় ) এবং “শিক্ষা-সমস্থা” “জাতীয় বিষ্ালয়' ও "মাবরণ' নামক গ্রবন্ধ তিনটি বঙ্গদর্শন পত্রিকায়'( ১৩১৩ আবাঢ় ও ভাত্র ) প্রকাশিত হয়। ইংরাজর! কিভাবে আয়র্মপ্ডের জাতীয় ভাষ! ও শিক্ষা-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করিয়া আইরিশদের জোর করিয়া 'ইংরাজ' বানাইবার চেষ্ট/ করিতেছে, শিক্ষাসংস্কার প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাহার বিস্তারিত ইতিহাস তুলিয়া ধরিলেন। তিনি বলিলেন যে, ২৫6 ঠিক অনুরূপ মনোবৃত্তি ও অভিসন্ধি লইয়া ইংরাজরা! আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতিকে ঢালিয়! সাজিবার চেষ্টা করিতেছে । তিনি আরও বলিলেন, “কর্তৃপক্ষ আজকাল আমাদের শিক্ষার মধ্যে পোলিটিক্যাল মতলবকে সাধ করাইবার চেষ্টা করিতেছেন, তাহা৷ বুঝা কঠিন নহে। সেইজন্য তাহারা শিক্ষা- ব্যাপারে দেশীয় লোকের স্বাধীনতা! নানা দিক হইতে খর্ব করিতে উদ্যত হইয়াছেন । শিক্ষাকে তাহারা শাসনবিভাগের আপিসভূক্ত করিয়া লইতে চান। এখন হতে অনভিজ্ঞ ডাইরেক্টরের পরীক্ষিত, অনভিজ্ঞ ম্যাকমিলান কোম্পানির রচিত, অতি সংকীর্ণ, অতি দরিদ্র এবং বিকৃত বাংলার পাঠ্যগ্রস্থ পড়িয়া বাঙালির ছেলেকে মান্য হইতে হইবে এবং বিদ্যালয়ের বইগুলি এমনভাবে প্ররস্তত ও নির্বাচিত হইবে যাহাতে নিরপেক্ষ উদার জ্ঞানচর্চ! পোলিটিক্যাল প্রম্নোজনসিদ্ধির কাছে খণ্ডিত হইয়া যায়। “শুধু তাই নয়। ডিসিপ্রিনের যন্ত্রটাকে যে পরিমাণে পাক দিলে ছেলের! সংযত হয়, তাহার চেয়ে পাক বাড়াইবার চেষ্টা দেখা যাইতেছে, ইহাতে তাহাদিগকে নিঃসব করা হইবে ।-..৮ এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের মূল বক্রব্য, «আমরা বিদ্যালয়ের সাহাযো এদেশে তাবেদারির চিরস্থায়ী ভিন্তিপত্তন করিতে কিছুতেই রাজি হইতে পারি না। কাজেই, সময় উপস্থিত হইয়াছে, এখন বিদ্যাশিক্ষাকে যেমন করিয়! হউক নিজের হাতে গ্রহণ করিতেই হইবে । “-."চাকরির অধিকার নহে, মনুষাত্বের অধিকারের যোগ্য হইবার প্রতি যদি লক্ষ রাখি, তবে শিক্ষ। সম্বন্ধে সম্পূর্ণ স্বাতন্ত্য-চেষ্টার দিন আসিয়াছে, এ-বিষয়ে সন্দেহ নাই |...” [ শিক্ষাসংক্কার-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২৭ খণ্ড ॥ পৃঃ ২৯৩-৯৪] উপসংহারে রবীন্দ্রনাথ রাশিয়ার স্বেচ্ছাচারী ভারের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে মনীষী টলস্টয়ের একটি মন্তব্য উদ্ধত করিলেন । শিক্ষাসমস্া প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ওভারটুন হলের এক বিরাট জনসভায় পাঠ করেন (২৩ জ্যেষ্ঠ ১৩১৩)। এ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ জাতীয় শিক্ষার আদর্শ ও নীতি কী হওয়া উচিত, সেই সম্পর্কে তাহার মতামত বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করিলেন । জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের কয়েন সভা এই পরিষদের স্কুল-বিভাগের একটি গঠন- পত্জিক৷ রচনা] করিবার ভার রবীন্দ্রনাথের উপর অর্পণ করিয়াছিলেন । এই কার্ষে অগ্রসর হইতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ যে সব বাধাবিপত্তি অনুভব করেন, শিক্ষ1! নশবন্ধে তৎকালীন প্রচলিত ধ্যান-ধারণার সহিত যে-সব ক্ষেত্রে তাহার মতাদর্শগত মৌলিক বিরোধ দেখ। দেয়, এই প্রবন্ধে সেইগুলিই তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখা! করিলেন। ৫৫ সর্বপ্রথম তিনি দেশের তৎকালীন প্রচলিত স্কুলগুলির যাস্ত্রিক ব্যবস্থার তীত্র সমালোচন! করিয়া বলিলেন, "ইন্ুল বলিতে আমর! যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া৷ কারখানা খোলে । কল চলিতে আরম্ত হয়, মাস্টারেরও মুখ চলিতে থাকে । চারটের সময় কারখানা বন্ধ হয়, মাস্টার-কলও তখন মুখ বন্ধ করেন, ছাত্ররা ছুই-চার পাত! কলে-ছাটা বিদ্যা লইয়। বাড়ি ফেরে। তারপর পরীক্ষার সময় এই বিদ্যার যাচাই হুইয়া তাহার উপরে মার্ক! পড়িয় যায়।'*" প্ুরোপে মানুষ সমাজের ভিতরে থাকিয়া! মানুষ হইতেছে, ইন্কুল তাহার কথঞ্চিং সাহায্য করিতেছে। "এইজন্য সেখানকার বিদ্যালয় সমাজের সঙ্গে মিশিয়া আছে, তাহা সমাজের মাটি হইতেই রস টানিতেছে এবং সমাজকেই ফলদান করিতেছে । “কিন্তু বিছ্ভালয় যেখানে চারিদিকের সমাজের সঙ্গে এমন এক হইয়। মিশিতে পারে নাই, যাহা বাহির হইতে সমাজের উপর চাপাইয়া দেওয়া, তাহা শু তাহ। নির্জীব। তাহার কাছ হুইতে যাহা পাই তাহা কষ্টে পাই, এবং সে-বিষ্ঠ। প্রয়োগ করিবার বেলা কোনো স্থবিধা করিয়া উঠিতে পারি না। দশটা হইতে চারটে পর্যন্ত যাহা মুখস্থ করি, জীবনের সঙ্গে, চারিদিকের মানুষের সঙ্গে ঘরের সঙ্গে, তাহার মিল দেখিতে পাই ন1।--"এমন অবস্থায় বিগ্ভালয় একট! এঞ্জিন মাত্র হইয়া থাকে-_তাহ! বস্ত জোগায়, প্রাণ জোগায় না । “বিদ্যালয়ে ঘর বানাইলে তাহা! বোষ্জিইস্থুল আকার ধারণ করে। এই বোড়িংইন্থলি বলিতে যে-ছধি মনে জাগিয়! উঠে তাহা মনোহব নয়-_ভাঁর। বারিক, পাগলাগারদ, হাসপাতাল বা! জেলেরই এক গোঠী ভুক্ত |” ইংরাজী স্কুলগুলির শিক্ষাবিধির ক্রটি-বিচ্যাতি সম্পর্কে এমন সুন্দর বিশ্লেষণ সেদিন অস্তত এদেশে আর কাহারও মুখ হইতে শুন] যায় নাই। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন তপোবনের আদর্শে জাতীয় শিক্ষা ও বিস্যানিকেতনগুলি পুনর্গঠিত করবার প্রন্তাব করিলেন। অবশ্ত তিনি যে প্রাচীন তপোবনের হুবহু অন্থুকরণের বা! সেই যুগে প্রত্যাবর্তনের কথা বলিলেন, এমন নহে । তাই তিনি সতর্ক করিয়! দিলেন, "ঠিক সেই দিনকে আজ ফিরাইয়া আনিবার চেষ্টা করিলে সেও একটা নকল হইবে মাত্র । অর্থাৎ প্রাচীন তপোবন বা আশ্রম শিক্ষার মূল ভাবটি আধুনিক যুগোপযোগী করিয়া উহার প্রয়োগ করিতে হইবে । এইনব আশ্রম-বিষ্ঠানিকেতনে ছেলের! '্রহ্ষচ্ধের দ্বারা জীবনকে ও প্রবৃত্তিগুলিকে ২২৫৬ সংযত করিতে শিক্ষা করিবে । ব্রদ্ষচধ বলিতে নীতিকথ! গুনানো নয়; এবং সেইজন্তই তিনি নীতি উপদেশের তীব্র সমালোচনা করিতে গিয়া! বলিলেন, “ত্রক্ষচর্য পালনের পরিবর্তে আজকাল নীতিপাঠের প্রাছুর্ভাব হইয়াছে ।*''ইহাও এঁ কলের ব্যাপার । নিয়মিত প্রত্যহ খানিকটা! করিয়! সালস! খাওয়ানোর মতো! খানিকটা নীভি-উপদেশ--ইহা! একটা বরাদ্দ ; শিশতকে ভালো করিয়া তুলিবার এই একট। বাধ! উপায়। নীতি-উপদেশ জিনিসটা! একটা বিরোধ । ইহা কোনো- মতেই মনোরম হইতে পারে না। যাহাকে উপদেশ দেওয়৷ হয় তাহাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করানো হয় 1... দ্বিতীয়ত আশ্রম-শিক্ষার মধ্যে তিনি বাল্যকাল হইতেই ছেলেদের সহিত বিখুপ্রকৃতির একটি নিবিড় সম্পর্ক গড়িয়া! তুলিয়া শিক্ষাকে আনন্দজনক ও প্রাণবস্ত করিয়া তুলিবার প্রস্তাব জানাইলেন, “সুধু এই ব্র্ধচর্ষপালন নয়, তাহার সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির আহ্ুকুল্য থাকা চাই ।... “.-"গোছপালা, স্বচ্ছ আকাশ, মুক্ত বায়ু, নির্মল জলাশয়, উদার দৃশ্ঠ, ইহারা বেঞ্চি এবং বোর্ড, পুঁথি এবং পরীক্ষার চেয়ে কম আবশ্ঠটক নয় । “যে জলস্থলআকাশবাযুর চিরন্তন ধাত্রীক্রোড়ের মধ্যে জন্মিয়াছে, তাহার সঙ্গে যথার্থভাবে পরিচয় হুইয়! যাক, মাতৃত্তন্যের মতে! তাহার অমৃতরস আকর্ষণ করিয়া লই, তাহার উদ্দারমন্ত্র গ্রহণ করি, তবেই সম্পূর্ণরূপে মানুষ হইতে পারিব 1. “'..আমাদের অক্ষমতা ও বর্বরতাবশত জ্ঞানশিক্ষাকে যদি আমরা আনন্দজনক করিয়৷ ন! তুলিতে পারি তবু চেষ্ট! করিয়া, ইচ্ছা! করিয়া, নিতান্ত নিষ্ট্রতাপূর্বক নিরপরাধ শিশুদের বিদ্যাগারকে কেন আমরা কারাগারের আকৃতি দিই ।-" হরিণবাড়ির প্রাচীর ভাঙিয়৷ ফেলো___মাতৃগর্ভের দশমাসে পণ্ডিত হইয়া উঠে নাই বলিয়া শিশুদের প্রতি সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান করিয়ে না, তাহাদিগকে দয়া করো |” শিক্ষাশাস্ত্রীদের মধ্যে নানা মতপার্থক্য থাকিলেও তাহার! রবীন্দ্রনাথের এই মূল বক্তব্যটির সহিত প্রায় সকলেই একমত হইবেন। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাহার আশ্রমবিদ্ভালয়ের পরিকল্পনার আর একটু বিস্তারিত বর্ণনা করিলেন । ষথা---বিষ্ঠালয়ের সঙ্গে খানিকটা জমি থাকিবে, ছাত্রের! তাহাতে বিস্তালয়ের প্রয়োজনীয় কিছু আহাধ উৎপন্ন কৰিবে, কৃষি ও গোপালনে ছাত্রেরা যোগ দিবে, স্বহন্তে ফুলের বাগান করিবে এবং অযথা টেবিল চেম়্ার ও ইমারতের হাঙ্গাম! ন! করিয়া অনুকূল খতুতে বড়ে৷ বড়ো! ছায়াময় গাছের তলায় ছাত্রদের ক্লাস বসিবে ; এবং সেই সব বিষ্যানিকতনে শিক্ষকগণও আদর্শ-জীবন যাপন করিয়া ছাজদেরও আদর্শ চরিত্রগঠনে উদ্ধন্ধ রুরিবেন। তিনি বলিলেন, ২৫৭. রবীন্রনাথ || ১৭ “.*যেখানে অধ্যাপকগণ জানের চায় স্বয়ং প্রবৃত্ত সেইখানেই ছাত্রগণ বিষ্যাকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পায়; বাহিরে বিশ্বপ্রকৃতির আবির্ভাব যেখানে বাধাহীন, অন্তরে সেইখানেই মন সম্পূর্ণ বিকশিত; ব্র্ষচর্ধের সাধনায় চি যেখানে স্থস্থ এবং আত্মবশ, ধর্মশিক্ষা সেইখানেই সরল ও স্বাভাবিক."।” [ শিক্ষাসমস্তা-_ববীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২শ খণ্ড || পৃঃ ২৯৭-৩১৩ ] বল! বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথ এই পরিকল্পনাটিকে শান্তিনিকেতন ব্রক্ষচধাশ্রমের মধ্যে বাস্তবে রূপায়খের সাধনায় আপনাকে নিয়োজিত রখিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে ইহাও উল্লেখযোগ্য যে, রবীন্দ্রনাথের এই আশ্রম-বিদ্যালয় পরিকল্পনাটি মূলত হিন্দু জাতীয়তাবাদের উপর ছিল প্রতিষ্িত। এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় লিখিতেছেন, “.--ব্ববীন্দ্রনাথ যাহাকে জাতীয় শিক্ষার আঘর্শ বলিয়া প্রচার করিলেন, তাহা যথার্ঘত হিন্দুদের ত্রদ্বচর্যাশ্রমের আদর্শ, তাহার শাস্তনিকেতন বিদ্যালয়ের আদর্শ। বল! বাহুল্য, তখন পর্যস্ত শাস্তিনিকেতনের আদর্শে হিন্দু বাতীত অন্য কোন ধর্মের লোকের স্থান নির্দিষ্ট হয় নাই ;$ এমন কি হরিজনদেরও স্থান পাওয়া কঠিন ছিল; স্থৃতরাং রবীন্দ্রনাথের এই আদর্শকে সর্বদেশ, সবজাতি গ্রহণ করিতে পারে নাই বলিয়া উহাকেও “জাতীয়” বলা যায় না।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ১৫০ ] রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাসমস্া! প্রবন্ধটি লইয়া তখনই এই ধরনের কিছু কিছু সমালোচন! উঠিয়াছিল। এ সময় চট্টগ্রামের কবি জীবেন্্কুমার দত্ত ভাগারে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষানীতির সমালোচনা করিতে গিয়! লিখিলেন, “আমাদের জাতীয় বিদ্যালয়গুলিতে শ্রদ্ধাম্পদ রবীন্দ্রবাবর প্রস্তাবান্নযায়ী শিক্ষাদানপ্রণালী পরিবর্তন করিলে তেমন সার্বজনীন সাম্যভাব সর্বথা রক্ষিত হইতে পারিবে কিনা, তথ্িযয়ে সংশয় আছে । আশ। ছিল তাহার প্রবন্ধে হিন্দুমুসলমান বালকবৃদ্ধের শিক্ষার একট! সুন্দর সামপ্রস্ত দেখিতে পাইব। দুঃখের বি্ষিয়, আমাদের সে আশা তেমনভাবে পুর্ণ হয় নাই। তাহার অভীপ্সিত ব্যবস্থা কেবলমান্র হিন্দুসস্তানগণেরই সর্বাংশে উপযোগী ও কল্যাণকর হইলেও হইতে পারে ।* [ ভাগ্ার, ১৩১৩ জ্োষ্ঠ ] পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথের এই হিন্দুজাতীয়তাবাদের মোহ-আবরণ কিভাবে ভাঙিয়া যায়, কিভাবে তাহার শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচধাশ্রম একদিন নিখিলমানবের ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা-সংক্কতির মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়, যথাসময়ে আমর! সে ইতিহাস আলোচনা করিব। পূর্যোকত প্রবন্ধের প্রায় মাস দেড়েক পর জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের উদ্বোধন সভায় ২৫৬৮ রবীন্দ্রনাথ জাতীয় বিদ্যালয় প্রবন্ধটি পাঠ করেন (২*শে শ্রাবণ, ১৩১৩ )। ডঃ রাসবিহারী ঘোষ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ জাতীয় বিষ্ালয় বা! শিক্ষানীতি লইয়! বিশেষ কিছু আলোচনা করিলেন না। তিনি শুধু আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্যটি সম্পর্কে সতর্ক করিয়া দিয়! বলিলেন, “আজ আমি আশা করিতেছি, এবারে আমরা শিক্ষার নাগপাশ কাটিয়া 'ফেণিয়া শিক্ষার মুক্ত অবস্থায় উত্তীর্ণ হইব। আমর| এতকাল যেখানে নিভৃতে ছিলাম, আজ সেখানে সমস্ত জগৎ আসিয়া! ধ্াড়াইয়াছে, নান! জাতির ইতিহাস তাহার বিচিত্র অধ্যায় উন্মুক্ত করিয়! দিয়াছে, দেশ-দেশাস্তর হইতে যুগধুগাস্তরের আলোকতরঙ্গ আমাদের চিন্তাকে নানা দিকে আঘাত করিতেছে--জ্ঞানসামগ্রীর সীমা নাই, ভাবের পণ্য বোঝাই হইয়। উঠিল। এখন সময় আসিম্াছে, আমাদের দ্বারের সন্মুখবর্তী এই মেলায় আমরা বালকের মতো হতবুদ্ধি হইয়৷ কেবল পথ হারাইয়া ঘুরিয়া বেড়াই না ।_সময় আসিয়াছে ঘন ভারতবর্ষের মন লইয়া এই সকল নান! স্থানের বিক্ষিপ্ত বিচিত্র উপকরণের উপর সাহসের সহিত গিয়া! পড়িব তাহাদিগন্কে *ম্পূর্ণ আপনার করিয়! লইব, আমাদের চিত্ত তাহাদিগকে একটি অপূর্ব এক্যদান করিবে, আমাদের চিন্তাক্ষেত্রে তাহারা যথাযথ স্থানে বিভক্ত হইয়! একটি অপরূপ ব্যবস্থায় পরিণত হইবে ; সেই ব্যবস্থার মধো সত্য নৃতন দীস্থিতে নৃতন ব্যাপ্তিলাভ ক'ববে এবং মানবের জ্ঞানভাগারে তাহা নৃতন সম্পর্তির মধ্যে গণ্য হইয়া উঠিবে।...” এই প্রবন্ধে তিনি আমাদের সংস্কারাচ্ছন্ন শিক্ষা ও ভীরু প্ররুতিটিকে আঘাত করিয়া বলিলেন, “.."হে পূজ্যগণ, আমরা চোখ দিয়া যেন ভালে করিয়। দেখি, পরের বচন দিয়! ন! দেখি ।""পাঠ্যপুস্তকটির সহিত আমাদের যে কথাটি না মিলিবে তাহার জন্য আমর! যেন লজ্জিত ন। হই । এমনকি, আমর। তুল করিতেও সংকোচ বোধ করিব না। কারণ, ভূল করিবার অধিকাব যাহার নাই, পত্যকে আবিষ্কার করিবার অধিকারও সে পায় নাই। পরের শত শত ভূল জড়ভাবে মুখস্থ করিয়া রাখার চেয়ে সচেষ্টভাবে নিজে ভূল কর! অনেক ভালো ।**"” [ জাতীয় বিদ্যালয়--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২শ খণ্ড ॥ পৃঃ ৩২০-২১ ] ৫৪ ॥ হিন্দু-মুসলমান সমন্থা ও গণসংযোগের প্রশ্নে ॥ এই বৎসরই (১৯৬) ডিসেম্বর মাসে কলিকাতায় কংগ্রেসের দ্বাবিংশতম অধিবেশন হয়। এই অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেসের 'নরমপন্থী' ও “চরম- পন্থীদের মধ্যে বিরোধ দেখা! দেয়। কিন্তু সভাপতি, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, দাদাভাই নৌরজীর মধ্যস্থতায় এই বিরোধ সাময়িকভাবে চাপ! রহিল। লালা লাজপৎ রায়, বালগঞ্জাধর তিলক ও বিপিনচন্ত্র পাল চরমপন্থীদের এই তিনজন নেতাই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন । এই অধিবেশনেই বিপিনচন্্র বয়কট প্রস্তাব সমর্থন করিয়! তাহার বিখ্যাত ও এঁতিহাসিক ভাষণ 305০০৮%৮ 01 48830018610) মার, 0:0ড০শ)010)৮ পাঠ করিলেন | দাদাভাই নৌরজী বিরোধ এড়াইবার জন্ এই অধিবেশনেই স্বরাজ বা 9০1£-00০11)11070এর লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করিলেন। সংক্ষেপে তিনি ওঁপনিবেশিক স্বরাজের ব্যাখ্যা! করিয়৷ বলিলেন, £.,,01186680 01 0110 17760 0115 0070), 0151810114০. 07215 01 00] 7101)0 95 ০৮) 0020109500০ 1010 1009৮00 ০) 100 00010)0- 171800 11) 00০ 0]--48901-0 00111770116 0: 1922071 1100 008৮ 01 €)০ [71000 117000]7) 0] 070 00107)1055, [ 00717175 101681061169] 48001708565 : ৬০0]. 1. 0,724 ] অবশ্য দেশ যে তখনে! সেই স্বরাজের জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত হইতে পারে নাই, সাথে সাথে তিনি সে কথারও উল্লেখ করিলেন । তাহার জন্য তিনি দেশকে নিয়মতান্ত্রিক পথে ধাপে ধাপে অগ্রসর হইবার আহ্বান জানাইলেন। মুশকিল বাধিল সংগ্রামের নীতি-কৌশল লইয় । বিপিনচন্ত্রের বয়কট ও নিক্ষিয় প্রতিরোধ আন্দোলন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গৃহীত হইল না বটে, তবে বঙ্গবিচ্ছেদ প্রতিরোধ করিবার ক্ষেত্রে উহার যৌক্তিকত।| স্বীকৃত হইল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের নীতি হইল--সমগ্র দেশব্যাগী এযাজিটেশন আন্দোলনকে ব্যাপকতর ও তীব্রতর করিয়া তোলা । নৌরজী বলিলেন, £.,48010560) 22790 ০0৬৫] 059 11016 100৮) ৪00 1):৩90। ০: [10019 17) 9৮০] 2000৮ 8170 ৫০0০)61---0990660119 01 ০০০২৪৪---1 সাও 739115 2068 &0 6৮ 1086109 7:07) 010) 1301]....0179 2300881098, ] ৪) 190১ 10955 19916 806 198801) 8150 10850 160 (059 1718701)০. ও 54616560 7 8216960 1008108 1ািগাত ]00াগাঠ) 2াঘ0োগাহ 6006 1150197 09010 ছ1)86 63017110065 210-,70000 হাতত 909 30650) 0০০006 06001102650 009 1000101) 1901010 2100. সা) 0105 81)0010. 00 0011. 11 ০ 00 170 81)০4810 ১০১ ৪2৮ ০ 810 8861950,0.7 [ 1910. 0১. 789-49 ] যাহাই হউক, বাংলা দেশের ক্ষেত্রে "স্বরাজ' “ম্বদেশী”, 'বয়কট' ও “জাতীয় শিক্ষা+_এই চারিটি প্রস্তাবই সমর্থিত হইল। সাময়িকভাবে বাংলার চরমপন্থীরা ইহাতে অনেকট। আশ্বন্তবোধ করিলেন । রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের এই অধিবেশনে যোগ দিয়াছিলেন সত্য, তবে কোন বিতর্কে যোগ দেন নাই ব! কোন পক্ষ অবলম্বন করেন নাই ; দিও তিনি বয়কট গমান্দোলনকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করিতে পারেন নাই এবং কিছুদিন আগে স্থরেন্্নাথকেই দেশের নেতা বলিষ। বরণ করিয়! লইবার আহ্বান জানাইয়াছিলেন। এই অধিবেশনে একটি শিল্প-প্রদর্শনী ও সাহিত্য-সম্মেলন হইয়াছিল রবীন্দ্রনাথের প্রধান আকর্ষণ ছিল এই সাহিত্য-সম্মেলনের উপর | এই সম্মেলনেই তিনি "্বদ্শৌ বিবরণ সংগ্র্* করিবার জন্য দেশবাসীর নিকট আহ্বান জানাইলেন। ইতিমধ্যে বয়কট ম্বান্দোলনকে উপলক্ষ করিয়। পূর্ববঙ্গে হিন্দুমুদলমান-বিরোধ ও সংঘর্ষ দেখা দিল। বলা বাহুল্য, এইসব সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পিছনে ইংরাজের অদৃশ হস্ত অনেকণ্ণনি কাজ কবিয়াছে। বয়কট আন্দোলনেব নামে হিন্দুর বিদেশী সন্ত! ও উৎকৃ পণাত্রবাগুলির পরিবর্তে অধিকতর মূল্যবান দেশী পণ্য গুলি গরীব মুসলমানদের ক্রঘ কবিতে বাধ্য করিতেছে--ইহাই দাঙ্গার প্রত্যক্ষ কারণ বলিষা সরকারী মহল হইতে প্রচার কর! হইল। কিন্তু বন্ততপক্ষে ববকট আন্দোলনে এক শ্রেণীব মুপলমান তন্তবাধ ও জোল। সম্প্রদধাযই অনেকথানি লাভবান হইয়াছিল । আমলকথা, বয়কট একটি তুচ্ছ অছিলা৷ মাত্র_পূর্ববঙ্গের একশ্রেণীর অভিজাত মুদলিম সম্প্রদায় যে তধন কোন গোপন শক্তির ইঙ্গিতে গরীব মুদলমানগণকে দাঙ্গা 9 লুটতরাছের উপকানি দিতেচিল, তাহা দিবালোকের মত সকলের নিকট স্পট হইযা! উঠিল । স্তর সৈয়দ আহমদ, বদরুদ্দীন তযাবজী, মুন্সী কেরামত আলি, নাজির আহমদ, মৌলানা শিবান্দি নোমানি প্রন্তুতি নেতৃস্থানীয়দের প্রচেষ্টায় মুসলিম সমাজের মধ্যে আস্তে আস্তে ইংরাজ্জী শিক্ষার প্রপার ঘটিতে থাকে । প্রথম হইতেই মুসলিম সমাজের এই নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে দুইটি কবৌক লক্ষ্য কর: যায়' একটি অংশ জাতীয় আন্দোলনের বিরোধিতা করিয়া ইংরাজের আনুকুলালাভেব চেষ্টা শুরু করেন। সৈয়দ আহমদ ছিলেন ইহাদের নেতৃস্থানীয় । ২৬১ ত্র সৈয়দ আহমদকে আধুনিক মুসলিম সমাজের জনক বলিলে হয়ত তুল বল। হয় না। তিনি প্রথম হইতেই ছিলেন মুসলিমদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে। তিনি যে নিছক কংগ্রেস বিরোধিতাকেই সমর্থন করিতেন, তাহ! নহে। তিনি বুধিয়াছিলেন, গশ্চাৎপদ মুসলিম সমাজকে উন্নত করিতে হইলে আপাতত কোনক্রমেই ইংরাজ-বিরোধিতা৷ করা ঠিক হইবে না। মুসলিমদের ভালে। করা এবং উন্নত করাই ছিল তাহার আস্তরিক ইচ্ছা। “ইংরাজ-তোষণ'কে তাই তিনি কতকটা! কৌশলগত দিক হইতে ব্যবহার করিয়! তাহার স্থযোগ লইতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু এই নীতির পূর্ণ স্থযোগ লইয়াছিল ইংরাজ সাম্রাজ্যবাদ । কারণ, এই নীতির ফলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় মুক্তি আন্দোলন হইতে ভারতের বিরাট মুদলিমসমাজ দূরে থাকিয়া! যায়। এবং ইংরাজ-কুটনীতি এই বিচ্ছেদকে আরও ইন্ধন যোগাইয়া স্থায়ী করিতে থাকে । আর একটি অংশ কংগ্রেসে যোগদান করিয়া জাতীয় আন্দোলনকে শক্তিশালী ও দুঢ় করিতে চাহিলেন। ইহাদের নেতৃত্ব করিতেছিলেন বদরুদ্দীন তয়াবজী, আর. এম. সায়ানী প্রমুখ নেতৃবর্গ। (এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের ত্বদেশী আন্দোলনে একশ্রেণীর শিক্ষিত মুসলমান যোগদান করেন। আবছুল রস্থল ও লিয়াকৎ হোসেন ছিলেন তাহাদের নেতৃত্বে। হ্বদেশী আন্দোলনে তাহাদের অবদান নিতাস্ত অল্প নহে।) অবশ্য সংখ্যা তাহার ছিলেন অতি অরন। হৃতরাং মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহত্তর অংশটি জাতীয় আন্দোলনের বাহিরেই থাকিয়াযায়। এবং তাহার ফলে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলি মুসলিম সমাজের মধ্যে মাথা চাড়! দিয়া উঠিতে থাকে । ইহাদের চেষ্টায় ১৯০৬ সালে আগা খার নেতৃত্বে মুসলিম লীগ' দল গঠিত হইল। মুসলিমদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের নামে কংগ্রেসের বিরোধিতা ও ইংরাজের আহুকুল্যালাভ করাই হইল এইদলের মূল লক্ষ্য । শুধু তাহাই নহে, এইসব প্রতিক্রিয়াশীল নেতবর্গ মুসলিম জনগণের মধ্যে একটি তীব্র সাম্প্রদায়িক চেতনা ও ধর্মীয় উন্মাদনা ৃষ্টি করিতে লাগিলেন। অবশ্ঠ ইহার ক্ষেব্র-প্রস্তুতির জন্য হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে কিছুটা দায়ী, একথা কোন মতেই অস্বীকার কর! যায় না। ভারতের জাতীয় সংস্কৃতিতে এরঙ্সামিক সভ্যতার অবদানগুলিকে তৎকালীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতার! বিশেষ স্বীকৃতি দিতেন ন1। দেশের এইসব গুরুতর সমস্তা রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে শ্চিলিত ও চিন্তিত করিয়! তুলিল। তাই কিছুকাল পরে “ব্যাধি ও প্রতিকার' নামক একটি প্রবন্ধে (প্রবাসী, ১৩১৪ শ্রাবণ ) জাতীয় সমস্যা ও হিন্দু-মুসলমান সমস্যা লইয়া তিনি হ্হ বিস্তারিত আলোচনা করিলেন। বয়কট ও ন্বদেশী আন্দোলনের ব্যর্থতার পর্যালোচনা করিতে গিয়া তিনি এই আন্দোলনের প্রধান ছুর্বলতাগুলি সম্পর্কে আলোচন! প্রসঙ্গে হিন্দুমুসলমান বিরোধের প্রশ্নটি উত্থাপন করিলেন তিনি বলিলেন, “আজ আমর! সকলেই এই কথা বলিয়া আক্ষেপ করিতেছি যে, ইংরেজ মুসলমানদিগকে গোপনে হিন্দুর বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিয়া দিতেছে । বথাটা যদি সত্যই হয় তবে ইংরেজের বিরুদ্ধে রাগ করিব কেন ।""" “মুসলমানকে যে হিন্দুর বিরুদ্ধে লাগানো যাইতে পারে এই তথ্যটাই ভাবিয়া দেখিবার বিষয়, কে লাগাইল সেটা তত গুরুতর বিষয় নয়।.**আমাদের মধ্যে ৬যেখানে পাপ আছে শক্র সেখানে জোর করিবেট.*1” কিন্তু কি সেই পাপ? তাহার উত্তরে কবি বলিলেন, “হিন্দুমুসলমানের সম্বন্ধ লইয়। আমাদের দেশের একট! পাপ আছে। এপাপ অনেকদিন হইতে চলিয়া আসিতেছে । ইহার যা ফল তাহা না ভোগ করিয়! আমাদের কোনো! মতেই নিষ্কৃতি নাই 1... "এবার আমংদিগকে স্বীকার করিতেই হইবে হিন্দু-মুসলমানের মাঝখানে একটা বিরোধ আছে । আমরা যে কেবল স্বতন্ তাহা নয়। আমরা বিরুদ্ধ । “আমরা ব়্" ত বৎসর পাশে পাশে থাকিয়া এক খেতের ফল, এক নদীর জল, এক সুর্যের আলোক ভোগ করিয়৷ আসিয়াছি, আমরা এক ভাষায় কথা কই, আমরা একই স্খতুঃখে মান্ুয--তবু প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিবেশীর যে সম্বন্ধ মন্তষ্যোচিত, যাহা ধর্মবিহিত, তাহা আমাদের মধ্যে হয় নাই ।"." “আমরা জানি, বাংলাদেশের অনেক স্থানে এক ফরাশে হিন্দুমুসলমীনে বসে না--ঘরে মুসলমান আসিলে জাজিমে এক অংশ তুলিয়! দেওয়া হয়, হাঁকার জল ফেলিয়া দেওয়া হয়। “-."যদি-বা শাস্ত্রের সেই বিধানই হয় তবে সে শাসক লইয়া! শ্বদেশ-স্বজাতি- স্বরাজের প্রতিষ্ঠা কোনোদিন হইবে না। মান্তষকে দ্বণা করা যে দেশে ধর্মের নিয়ম, প্রতিবেশীর হাতে জল খাইলে যাহাদের পরকাল নষ্ট হয়, পরকে অপমান করিয়া! যাহাদিগকে জাতিপক্ষা করিতে হইবে, পরের হাতে চিরদিন অপমানিত না হইয়া তাহাদের গতি নাই। তাহারা যাহাদিগকে ঘ্নেচ্ছ বলিয়৷ অবজ! করিতেছে সেই শ্লেচ্ছের অবজ! তাহাদিগকে সহা করিতে হইবেই |” দৌষক্রটিগুলির দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন । মুসলমান বা শ্লেচ্ছ সমাজের ২৬৩ প্রতি হিন্ু-সমাজের ঘ্বপা, অবজ্ঞা এবং সামাদ্িক অবমাননাকর ব্যবহারগুলিই যে পরোক্ষভাবে মুদলমানদের সাম্প্রদায়িক চেতন! ও হিন্দুবিঘ্বেষকে প্ররোচিত করিয়া তুলিতেছে, রবীন্দ্রনাথ তাহা স্পষ্ট করিয়া ঘোষণা করিলেন। স্বদেশকে উদ্ধার করিতে হইলে নিজেদেরকে এই সামাজিক পাপ হইতে উদ্ধার পাইতে হইবে, ইহাই কবির মূল বক্তব্য । ছিতীয়ত এই প্রবন্ধে তিনি পুনরায় জাতির দৃষ্টিকে গ্রাম-সমস্তার দিকে আকর্ষণ করিবার চেষ্ট! করিলেন । কবির বক্তব্য, এই দরিদ্র কষকদের উপেক্ষা ও অবজ্ঞা করার মধ্যেই আমাদের স্বাদেশিক বা জাতীয় আন্দোলনের প্রধান দুর্বলতা নিহিত রহিয়াছে । তাই তিনি বলিলেন, “আজ আমাদের ইংরেজি-পড়া শহরের লোক যখন নিরক্ষর গ্রামের লোকের কাছে গিয়া বলে আমরা উভয়ে 'ভাই'--তখন এই ভাই কথাটার মানে সে বেচার! কিছুই বুঝিতে পারে ন৷। যাহাদিগকে আমরা “চাষ! বেটা” বলিয়া জানি, যাহাঁদের স্থখছুঃখের মূল্য আমাদের কাছে অতি সামাস্ত, যাহাদদের অবস্থা জানিতে হইলে আমাদিগকে গবর্ষেন্টের প্রকাশিত তথ্যতালিকা পড়িতে হয়, স্থুদিনে দুর্দিনে আমর! যাহাদের ছায়৷ মাড়াই না, আজ হঠাৎ ইংরেজের প্রতি স্পর্ধা প্রকাশ করিবার বেলায় জহাদের নিকট ভাই-সম্পর্কের পরিচষ দিয়! তাহাদিগকে চড়া দামে জিনিস কিনিতে ও গুর্থার গুতা খাইতে আহ্বান করিলে আমাদের উদ্দেস্টের প্রতি সন্দেহ জন্মিবার কথা । সন্দেহ জন্মিযাও ছিল। কোনো বিখ্যাত স্বদেশী” প্রচারকের কাছে শ্ুনিয়াছি যে পূর্ববঙ্গে মুসলমান শ্রোতারা তাহাদের বন্তৃত৷ শুনিয়া পরস্পর বলাবলি করিয়াছে যে, বাবুরা বোধ করি বিপদে ঠেকিয়াছে। *"*চাধী ঠিক বুঝিয়াছিল।--.উদ্েশ্তসাধনের উপলক্ষে প্রেমের সম্বন্ধ পাতাইতে গেলে ক্ষুত্রব্যক্তির কাছেও তাহা বিস্বাদ বোধ হয়--সে উদ্দেশ্ট খুব বডো৷ হইতে পারে, হউক তাহার নাম 'রয়কট” বা “ম্বরাজ' দেশের উন্নতি বা আর কিছু ।” হিন্দুমুসলিম এঁক্যের প্রশ্নেও তিনি বলিলেন যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্ট সাধনের উপলক্ষে কখনই এই এঁক্য গড়িয়! উঠিতে পারে না, যদি না তাহা যথার্থ আস্তরিক প্রেম ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার যিশ্পন হয় । উপসংহারে কবি দেশের যুবকবৃন্দকে গ্রামে আসিবার আহ্বান জানাইয়া বলিলেন, “"ফেকোনে। একটি পল্লীর মাঝখানে বসিয়া যাহাকে কেহ কোনদিন ডাকিয়া কথ! কহে নাই তাহাকে জ্ঞান দাও, আনন্দ দাও, আশ! দাও, তাহার সেব। করো, তাহাকে জানিতে দাও মান্য ,বলিয়া তাহার মাহাত্ম্য আছে, সে জগৎসংসারের অবজ্ঞার অধিকারী নহে । অজ্ঞান তাহাকে নিজের ছায়ার কাছেও ত্রত্ত করিয়া ৪ রাখিয়াছে; সেই সকল ভয়ের বন্ধন ছি করিয়া তাহার বক্ষপট প্রশস্ত করিয়া দাও। তাহাকে অন্তায় হইতে, অনশন হইতে, অন্বসংস্কার হইতে রক্ষা করে| । নৃতন বা পুরাতন কোনে! দলেই তোমার নাম না জানুক, যাহাদের হিতের জন্য আত্মসমর্পণ করিয়াছ প্রতিদিন তাহাদের প্রতি অবজ্ঞা ও অবিশ্বাস ঠেলিয়া৷ এক পা এক পা করিয়া সফলতার দিকে অগ্রসর হইতে থাকে ।.."দেশের এক-একটি জায়গায় এক-একটি মানুষ বিরলে বসিয়৷ নিজের সমম্ত জীবন দিয় যে-কোনো একটি কর্মকে গড়িয়া! তৃলিয়! প্রতিষ্ঠিত করিতে থাকুন-__এই আমাদের সাধনা ।...৮ [ রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৬২৭-৩২ ] রবীন্দ্রনাথের এই গ্রাম-সংগঠনের প্রস্তাব স্থির মস্টিষ্কে চিস্তা করিবার মত ফ্বানসিক সর্ব তখন কাহারও ছিল নানা নরমপন্থীদের, ন| চরমপন্থীদের । এই সময় রামেক্দ্রক্ন্দর ত্রিবেদী মহাশয় প্রবাসী পত্রিকায় (১৩১৪ আশ্বিন ) “রবীন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধে নির্দিষ্ট 'পথকেই আমাদের গস্তব্য পথ বলিয়া নির্টিষ্' করিয়াও “সেই পথে বিনা বাধায় চলিতে পাইৰ কিনা” তাহা আলোচনা! করেন, এবং প্রসঙ্গত্রমে রবীন্দ্রনাথের “কোনো কোনে! মন্তব্যের প্রতিবাদও করেন।” যদিও তাভার প্রবন্ধের উপক্রমণিকায় তিনি ব্দেশী আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের 'অত্রুলনীয় অবদানের অকুগ স্বীকৃতি জানাইলেন, “আজ ধিনি আছ।দি?কে আস্ফীলনে ক্ষান্ত হউবার স্তন্য উপদেশ পতেছেন, বাংলার ইতিহ!সে এই নৃতন অধ্যায়ের আরন্তে আমি তীহারই রুতিত্ব দেখিতে পাইতেছি। ইংরেজের নিকট “আবেদন-নিবেদন” করিয়া তাহার প্রসাদ গ্রহণ করিলে কিছুই স্থায়ীলাভ হইবে না, ইংরেজের মুখাপেক্ষা না করিষা আপনার বলে ও আপনার চেষ্টায় যেটুকু পাওয়া যায তাহাই স্থায়ীলাভ, বঙ্গবিভাগের কিছুদিন পূর্ব হইতে তাহার কণম্বর অত্যন্ত উচ্চ ও অত্রন্ত তীব্র হইয়া মুহুমুহ এ কথা আমাদের কানে প্রবেশ করাইতেছিল।".. “স্বদেশী আগুন যখন জলিয়া উঠিয়াছিল, তখন রবীন্দনাথের লেখনী তাহাতে বাতাস দিতে ক্রটি করে নাই । বেশ মনে আছে, ৩০শে আশ্বিনের পৃৰ হইতে হপ্টায় হপ্তায় তাহার একট! নৃতন গান বা কবিতা বাহির হইত, আব আমাদের সামূতন্ত্র কাপিয়া' আর নাচি”' উঠিত। নিক্ষল ও অনাবস্ঠক আন্দোলনে তিনি কখনোই উপদেশ দেন নাই; কিন্তু সে-সময়টায যে উত্তেজনা ও উন্মাদনা ঘটিয়াছিল, তাহার জন্ত রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব নিতান্ত অল্প ছিল না। “উত্তেজনার বশে আমর! দুই বৎসর ধরিয়া ইংরেজের অনুগ্রহ লইব না_ ইংরেজের শাসনযন্ত্র অচল করিয়া দিব বলিয়া লাফালাফি করিয়া আসিতেছি ; এবং ২৬৫ ইংরেজরাজা খন সেই লাফালাফিতে ধৈর্ধষ্ট হইয়া লগুড় তুলিয়া আমাদের গলা চাপিয়া ধরিয়াছেন, তখন আমাদের সেই অস্বাভাবিক আম্ফালনের নিক্ষলত। দর্শনে ব্যথিত হুইয়া রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন--৩ও-পথে চলিলে হইবে না--মাতামাতি- লাফালাফির কর্ম নহে, নীরবে ধীরভাবে কাজ করিতে হইবে ।"** "রবিবাবু কেবল “কাজ করো” “কাজ করো” বলিয়া উপদেশ দিয়! চীৎকারের মাত্রা বাড়াইতেছেন না, বরং কোন্‌ পথে কাজ করা যাইতে পারে তাহার দু-একটা নমুনাও নিজের হাতে লইয়! দেখাইতেছেন।” [ গ্রস্থপরিচয্র_রবীন্দ্ররচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ প্‌ঃ ৬৬৪-৬৫ ] যাহাই হউক, রবীন্দ্রনাথের এই গ্রামে চল+ ধ্বনি রাজনৈতিক উত্তেজনার মুহূর্তে কোথাও বিশেষ স্বীরুতি বা সমাদর পাইল না। রাজনৈতিক মতবিরোধ ও বিতর্কগুলি রবীন্দ্রনাথকে আকৃষ্ট করিতে পারে নাই, তাহার কারণ সেযুগের জনসংযোগহীন বন্ধ্যা রাজনীতি । মুষ্টিমেয় বুদ্ধিজীবীদের এযাজিটেশন-আন্দোলনে যে স্বরাজ পাওয়া যাইবে না, এবং ইংরাজ যে উহাকে ভ্রক্ষেপও করে না» রবীন্দ্রনাথ তাহা! ভালে! করিয়াই বুঝিয়াছিলেন। বয়কট আন্দোলনের সময় গ্রামের গরীব কৃষকদের কোনই সাডা পাওয়া যায় নাই-_উহার কোন তাৎপর্ও তাহারা বোঝে নাই ₹ রবীন্দ্রনাথ তাহা ভালে! করিয়! লক্ষ্য করিয়াছেন। বয়কট আন্দোলনের সমষ নেতার! যে গ্রামে গিষ। গরীব মানুষের কাছে আবেদন জানাইয়াছিলেন, তাহার কারণ তাহাদের কুষকগ্রীতি নহে, পলিটিক্যাল উদ্দেশ্টয সিদ্ধির জন্য জনগণকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করিয়া লইবার মতলব ছাড়া অন্য কোন মহৎ উদ্দেশ্য তাহাদের ছিল ন|। রবীন্দ্রনাথ স্বাদ্দেশিক সংগ্রামে কোথাও কোনোদিন জনগণকে অন্বশক্তি বা “যর হিসাবে ব্যবহার করিয়! লইবার কথা সমর্থন করেন নাই । তিনি গ্রামের মান্তষকে সত্যই গভীরভাবে ভালোবাসিতেন। জনগণই যে দেশের প্রধান শক্তি--একথা গভীরভাবে তিনি বিশ্বাস করিতেন । কিন্ত রবীন্দ্রনাথেৰ এই 'জনগণ” অন্ধ অশিক্ষিত জনসাধারণ নহে,__বলিষ্ঠমনা সচেতন জনগণেরই তিনি অঙ্থুদয়ের স্বপ্র দেখিয়াছিলেন। দেশকর্মীরা গ্রামে গ্রামে জনগণকে শিক্ষিত করিয়া তুলিখে, তাহার৷ গ্রামের যাবতীয় উন্য়নকার্ধে আত্মনিয়োগ করিবে, ইহাই ছিল রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তব্য । উহাকেই তিনি স্বরাজলাভের ধপূর্বশর্ভ' বলিয়া ঘোষণা করিলেন । রবীন্দ্রনাথ শুধু এই উত্তেজনাহীন নীরব সাংগঠনিক কর্মস্থচীর প্রতি দ্েশকর্ষীদের আঙ্বান জান্মাইলেন না, সেইসাথে তিনি নবধুগের বিদ্রোহী চেঁতনাকেও আহ্বান জানাইলেন। ইহার অল্লকাল আগেই তিনি তাহার বিখ্যাত ৬ 'নথপ্রভাত' কবিতাটি রচনা করিয়াছিলেন। বাংলার নবজাগ্রত বিদ্রোহী যুবশক্তিকে মা ভৈঃ জানাইয়৷ তিনি লিখিলেন, “খোলো খোল! দ্বার ওগো গৃহস্থ, থেকে৷ না! থেকে। না লুকায়ে-_ যার াহ। আছে আনো বহি আনো, সব দিতে হবে চুকাষে । ঘুনায়েো! না আর কেহ রে। হৃদযপিণ্ড ছিন্ন করিয়া ভাগ্ড ভরিয়| দেহে রে। ওরে দীনপ্রাণ, কী মোহের লাগি রেখেছিস “মছে স্পেহ রে | উদযের পথে শুনি কর বাণী, €ভয নাই, ওরে ভয নাই । নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয নাই, তব ক্ষয় নাই ।” এই কবিতা অন্বুন্তি কবিতে কবিতে একদিন বাংলার মুক্তিপাগল বীর সম্ভানেব। ঘর ছাডিয়া বাহির হইযা পডিযাছিল, ২৬৭ ॥ অরবিজ্দ ও রহীজ্দ ॥ বাংলাদেশে ইতিমধো রাজনৈতিক মতবিরোধ তীত্র আকার ধারণ করিতে থাকে । নরমপন্থী ও চরমূপন্থী উভয় পক্ষই তাহাদের আপন সংবাদপত্রের মাধ্যমে নিজেদের মতাদশ প্রচার করিতে লাগিলেন । 'বেঙ্গলি', “হিতবাদী' প্রভৃতি পত্রিকাগুলি ছিল নরমপন্থী বা৷ মডারেটদের মুখপত্র; অপরদিকে “অযৃতবাজার পত্রিকা", 'যুগাস্তর', “সন্ধযা' প্রভৃতি পত্রিকাগুলি মুখাত এক্স্টি মিস্টস্‌ বা চরম- পন্থীদেরই মতাদর্শ প্রচার করিত। ইতিমধ্যে “বন্দে মাতরম্‌* পত্রিকার অভ্যাদয় হয়। ১৯০৬ সালের শেষদিকে বিপিনচন্দ্র, অরবিন্দ ঘোষ, শ্যামস্ন্দর চক্রবর্তী ও হেমেন্তর- প্রসাদ ঘোষকে লইয়! এই পত্রিকার সম্পাদকমগ্লী গঠিত হয়। বিপিনচন্ত্র ছিলেন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক | পত্রিকায় বেশির ভাগ লেখাই থাকিত বিপিনচন্ত্র ও অরবিন্দের। প্রথম হইতেই অরবিন্দের কণ্ঠস্বর উচ্চগ্রামে ধ্বনিত হইল। প্রত্যহ্‌ই প্রত্যুষে বন্দে মাতরমে শুনা যাইতে লাগিল তাহার বলিষ্ঠ সংগ্রামের উদাত 'আহ্বান। অবশ্ট অরবিন্দ যতখানি সম্ভব নিজেকে গ্রচ্ছন্ন রাখিয়া কাজ করিয়া যাইতেছিলেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের স্থত্রপাত হইল। ইংরাজের নি্ু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলার স্ঞাগ্রত যুবশক্তি বলি পাক্ষেপে রুখিয়া দাড়াইল। বাংলাদেশের প্রথম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন “বেঙ্গল রেভল্যুশানারি পার্টি' সবার অলক্ষিতে গড়িয়া! উঠিল। ভম্মী নিবেদ্তাই ছিলেন এই আদর্শের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা । প্রথমে পাচজন সাশ্য লইয়া ইহার কাউন্সিল গঠিত হয়। নিবেদিতা ছিলেন তাহার অন্ততম মহিলা সদস্য। তিনিই বরোদা হইতে অরবিন্দকে কলিকাতায় লইয়। আসেন। কলিকাতায় জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের কলেজে অরবিন্দ 'কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। ১৯০৭ সালের মাচমাসে তিনি বন্দে মাতরম্‌ পত্রিকার ভার গ্রহণ করিয়! পত্রিকার মাধামে “বিপ্লববাদ' প্রচার করিতে শুরু করেন। অল্প কয়েকদিন পরেই তিনি বন্দে মাতরম্‌ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে [6 1)০০৮00 ০1 [১88515 [9818691)0০+-এর উপর পর পর সাতটি প্রবন্ধ লিখেন ( ১১-২৩ এপ্রিল ১৯৩৭ )| এই প্রবন্ধগুলিতে অরবিনা মূলত বিপিনচন্দ্রের 1889150 198189006- কে সমর্থন করিলেও ইংরাজের সন্ত্রামূলক দমননীতির বিরুদ্ধে সারা দেশব্যাপী ২৬৮ একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ব| 0৫278156 78818121006 গড়িয়। তুলিবার আহ্বান জানাইলেন [ গিরিজাশংকর রায়চৌধুরী-_প্রীজ্খরবিন্দ ও বাংলার হ্থদেসী যুগ” গ্রন্থ ভরইব্য ]। 10৩1791%0 7581861)0 বলিতে অরবিন্দ সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়া কলাপই বুঝাইতেছিলেন--গণ-প্রতিরোধ সংগ্রাম নহে। আযর্লগ্তের 'সিন্ফিন্‌ সন্ত্রাসবাদ' তাহাকে বিশেষভাবে প্রভাবান্বিত করিয়াছিল। তাছাড়া, প্রত্যক্ষভাবে নিবেদিতার সন্ত্রাসবাদী চিন্তাধারা ও পরিকল্পনার প্রভাবও তাহার উপর কম ছিল না। অরবিন্দ একদিকে প্রকাশ্টে বন্দে মাতরমে তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ প্রবন্ধাবলী লিখিতে লাগিলেন, অপরদিকে বারীন্দ্রকুমার ঘোষ প্রভৃতির সহায়তায় সন্ত্রাসবাদী গুপ্ত সমিতিগুলি সংগঠিত করিতে লাগিলেন । , ৮ বারীন্দ্রের সম্পাদনায় যুগান্তর পত্রিকাও তখন বাংলার যুবশক্তির মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সঞ্চার করিতেছে । প্রায় একই সময়ে সরল! দেবী, ব্যারিস্টার পি. মিত্র ও ঢাকার পুলিন দাসের প্রচেষ্টায় "অন্রশীলন সমিতি'র গুপ্ত সংগঠনগুলি গড়িয়। উঠিতে থাকে । প্রথম হইতেই অরবিন্দ প্রমুখ বাংলার সন্ত্রাসবাদীরা উগ্র হিন্দু জাতীয়তাব'দ্ধেন স্টপর ভিত্তি করিয়৷ জাতীয় মুক্তিসং গ্রামের আহ্বান জানাইলেন। ইতিমধ্যে বিপিনচন্দ্রের সহিত অরবিন্দের মতবিরোধ দেখা দিল। বিপিনচন্দ্র প্রকাশ্ঠেই বন্দে মাতরম্‌ পত্রিকায় গুপ্তহতা। ও সন্ত্রাসবাদী ভাবধারার তীব্র নিন্মাবাদ করিলেন। অপরধিকে অরবিন্দ প্রমুখ সম্পাদকমণ্ডলীর অন্ঠান্ত সান্ত সন্ত্রাসবাদী আদর্শের সমর্থন করিলেন। ফলে বিপিনচন্ত্র সম্পাদকমগ্রলী হইতে নীরবে সরিয়া আসিলেন। ইহার অল্পকাল পরেই বন্দে মাতরমে রা'জদ্রোহ্মূলক প্রবন্ধ লিখিবার অভিযোগে অরবিন্দ গ্রেপ্তার হইলেন (১৬ই আগস্ট ১৯০৭)। এই মামলায় বিপিনচন্র সম্পাদকরপে সাক্ষ্য দিবার জন্য আহত হন। তিনি আদালতে এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করিয়। বলিলেন, “ঢু 00৬০ ০০07৮501010008 0)০6৮:08 98111) (806 0 285 [7০5০০)০]) 1))01) 1 ০6110৮৩600০ 81)]00৭ 0100 110]011008 ৮0 0) 98850 ০৫ 100101012] 1706000) 8700 006 1716765৮ 01 00010110 [76806.7 ফলে আদালত-অবমাননার দায়ে বিপিনচন্দ্রের ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হইল। ইহার অল্নকাল আগেই ঘুগ্রান্তরে রাজপ্রোহমূলক প্রবন্ধ লিখিবার অভিযোগে ভূপেন্্রনাথ দত্তেরও কারাদও হয়। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে থাকিয়াই বন্দে মাতরমের মামলার খবরাখবর রাথিতেছিলেন। এই সময়ই তিনি অরবিন্দের প্রতি গভীর শ্রন্ধ! নিবেদন করিয়া ৬৯ নমস্কার" কবিতাটি লিখিলেন ( ৭ই ভান্র ১৩১৪ )। রবীন্দ্রনাথ তখনও অরবিন্দের সন্ত্রাসবাদী কার্কলাপের কোনো সংবাদ জানিতেন না । অরবিন্দকে শ্রদ্ধানিবেদনের ছলে তিনি হ্বদেশীযুগের বাংলার জাগ্রত যুব-শক্তিকে 'মাভৈঃ জানাইলেন। “***শাস্তি? শাস্তি তারি তরে যে পারে ন! শান্তিভয়ে হইতে বাহির লঙ্বিয়া নিজের গড়া মিথ্যার প্রাচীর-__ কপট বেষ্টন্, যে নপুংস কোনোদিন চাহিয়া ধর্মের পানে নির্ভীক স্বাধীন অন্তায়েরে বলে নি অন্যায়, আপনার মনুত্তত্ব বিধিদত্ত নিত্য-অধিকার যে নির্লজ্জ ভয়ে লোভে করে অস্বীকার সভা-মাঝে, ছুর্গতির করে অহংকার, দেশের দুর্দশা লয়ে যার ব্যবসায়, অন্ন যার অকল্যাণ মাতৃরক্ত-প্রায়-_ সেই ভীরু নতশির চিরশাস্তিভারে রাজকার।-বাঁহিরিতে নিত্যকারাগারে ॥৮ রবীন্দ্রনাথ কিছুদিন আগে স্থরেন্ত্রনাথকে নেতা বলিয়৷ বরণ করিয়া লইবার আহ্বান জানাইয়াছিলেন বটে, কিন্তু স্থরেন্্নাথ বা মডারেটদের রাজনীতিকে কিছুতেই তিনি সমর্থন করিতে পারেন নাই। কংগ্রেসের জন্মকাল হইতেই রবীন্দ্রনা কংগ্রেসের নির্মমতাস্ত্রিক রাঙ্গনীতিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করিয়! আসিতেছেন। পক্ষান্তরে, চরমপন্থীদের রাজনৈতিক আদর্শ ও নীতিকে তিনি সমর্থন না করিলেও তাহাদের বলিষ্ঠ সংগ্রামশীলতার প্রতি তাহার একটি অন্তরের আকর্ষণ ছিল। অরবিন্দের রাজনৈতিক মতবাদের বিস্তারিত খবরও তিনি রাখিতেন কিন! সন্দেহ । তবু অরবিন্দের বলিষ্ট মৃত্যুপয়ী সংগ্রামের আহ্বান যেন তাহাকে মুগ্ধ করিয়াছিল। অরবিন্দের কস্বরে যেন তিনি ম্ৃত্যুপ্রয়ী বাংলার চরণধ্বনি শুনিতেছেন-- “তাই শুনি আজ কোথ! হতে ঝঞ্চা-সাথে সিন্ধুর গর্জন, অন্ধবেগে নির্ঝরের উন্মত্ত নর্ভন পাষাপপিঞ্জর ছুটি, বন্ধগর্জরব ভেরিমন্ত্রে মেঘপুঞ্জ জাগায় ভৈরব। ৭৬ এ উদাত্ত সংগীতের তরঙ্গ-মাঝার অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার ॥ অরবিন্দ বাংলার যুবকদের আত্মশক্তি উদ্ধদ্ধ করিবার জন্ ব্রিটিশ রাজত্ব, "পুলিসী অত্যাচার প্রভৃতি সব কিছুকেই 'মায়া” (1198102) বলিয়া উড়াইয়! দিবার কথা বলিয়াছিলেন; তিনি হিন্দুর আধ্যাত্মিকতা হইতে আত্মশক্তি আহরণের আহ্বান জানাইয়াছিলেন। ববীন্দ্রনাথৎও অনেক আগে হইতেই এই আধ্যাত্মিক শক্তির জয়গান করিষা আসিতেছেন। এই কবিতার উপসংহারেও আমরা সেই স্থরেরই প্রতিধ্বনি শুনিতে পাই, “***ছুঃখ কিছু নয়, ক্ষতি মিথ্য।, ক্ষতি মিথ্যা, মিথ্যা সর্বভয় ; কোথা মিথ্যা রাজা, কোথ! রাজদণ্ড তার, কোথা মৃত্যু, অন্তায়ের কোথ। মত্যাচার । ওরে ভীরু, ওরে মৃঢ, তোলো! তোলো! শির, আমি আছি, তুমি আছ, সত্য আছে স্থির |” অল্পকাল পরে “দদ্ধ্যা' পত্রিকায় রাজদ্রোহমূলক প্রবন্ধ লিখিবার অভিযোগে ্রদ্মবান্ধব উপাধ্যায় গ্রেপ্তার হইলেন (৩১শে আগস্ট )। প্রায় ছুইমাস পরে বিচারাধীন অবস্থায় ক্যান্থেল হাসপাতালে তাহার মৃত্যু হয় ( ২৭শে অক্টোবর )। অত্যন্ত বিস্ময়ের কথা, রবীন্দ্রনাথ ব্রদ্ধবান্ধবের মৃত্যু সম্পর্কে কোনো কিছু লিখেন নাই, অথচ ক্রহ্ধবান্ববই ছিলেন শান্তিনিকেতন ব্রহ্ধবিদ্যালযের মূল সংগঠক । উভযে বহুদিন একসাথে শান্তিনিকেতনে কাজ করিযাছিলেন। যাহা হউক রবীন্দ্রনাথ তখন শাস্তিনিকেতনে “গোরা” উপন্যাস রচনায় ব্যন্ত। তাছাড়! বিদ্যালয়ের বু ব্যাপারেই তাহাকে দেখাশুনা করিতে হয়। এমনি সময় তাহার পারিবারিক জীবনে আর একটি বিপযয় দেখা দিল- কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ মুঙ্গেরে কলের! রোগে আক্রান্ত হইয। মাবা গেল (৭ই অগ্রহায়ণ ১৩১৪ )। রবীন্দ্রনাথ শমীন্দ্রনাথকে পুত্রকন্তাদের মধ্যে সবাধিক ন্সেহ করিতেন। পুত্রের সৃত্যুর পর অগ্রহায়ণের শেষদিকে কবি কিছুদিনের জন্য শিলাইদহে চলিয়া গেলেন। ২৭৯ ।' স্মরাট কংগ্রেস ও পাবন! প্রাদেণিক সাম্মলন ৷ ১৯০৭ সালে ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের এঁতিহাসিক স্থরাট-অধিবেশন হয়। গত বংসর কলিকাত৷ কংগ্রেসে বৃদ্ধ কংগ্রেসনেত৷ নৌরজী স্থকৌশলে নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের যে বিরোধটিকে ধামাচাপা দিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, নুর়াট কংগ্রেসের নুচনাতেই তাহা যেন প্রচণ্ড ভাবে বিস্ফোরিত হইল । বিপিনচন্ত্র তখন কারাগারে । এই স্থযোগে মডারেটপন্থীগণ ব্রিটিশ-বয়কট ও অসহযোগনীতিকে খর্ব করিয়! কংগ্রেসের পুরাতন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিকে এই অধিবেশনে পাস করাইয়৷ লইবার মতলব করিয়াছিলেন। তাহারা পূর্ব হইতেই রাসবিহারী ঘোষকে সভাপতি নির্বাচন করিবেন স্থির করিয়া গিয়াছিলেন। এমনকি, শুনা যায়, সভাপতির অভিভাষণটি পূর্বেই কলিকাতার কোনে! কোনে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়! গিয়াছিল। রাসবিহারী ঘোষ তীঁহার এই অভিভাষণে বয়কট" আন্দোলন ও চরমপন্থীদের তীব্র আক্রমণ করিয়াছিলেন। ইহার ফলে চরমপন্থীদের পুঞ্তীভূত আক্রোশ যেন ফাটিয! পড়িতে চাহিল। প্রথমেই বিরোধ বাধিল সভাপতি নির্বাচন লইয়া । তিলক প্রমুখ চরমপন্থীরা রাসবিহারী ঘোষের পরিবর্তে লালা লাজপৎ রাষের নাম প্রন্তাব করিতে উঠিলেন। স্থরেন্্রনাথ রাসবিহারীর পক্ষ সমর্থন করিয়। উঠিয়া! দীড়াইলেন। তারপর ছুই পক্ষের সমর্থকদের প্রবল তর্ক, চিৎকার, হট্টগোল এবং শেষপর্যন্ত হাতাহাতি, টেবিল-চেয়ার- জুতা ছোড়াছুডিতে সে-যেন এক দক্ষষজ্ঞ বাধিয়া গেল। গোলমাল ও হট্টগোলে অধিবেশন ভা্িয়া গেল। অবশেষে মডারেটপস্থী ও চরমপন্থীরা স্বতন্ত্ভাবে সন্গেলন করিলেন। কংগ্রেসে তধনও মডারেটপন্থীদের প্রবল প্রতাপ। অপর দিকে চরমপন্থী বা সংগ্রামপন্থীরা ছিলেন সংখ্যালঘিষ্ট। বস্ততপক্ষে চরমপন্থীরা কংগ্রেস হইতে একরকম বহিষ্কতই হইলেন বলিতে হইবে । রাসবিহারী ঘোষ তাহার অভিভাষণে পরিফার ঘোষণা করিলেন, “.. ০ 00856 5০৮ 10266 09৮ 076 12601791 0.000:989 18 96ঠি0189]5 ০02716860 0005 $০ ০0186606101)9] 100660005 0৫ 9216510 6 101) 1618 গিরঠ 1000290১ 2100 1 856 100ডা [08৮9 009৪ 180% 87)07৩5ও ০1 ৪001 0)9%1008 110. 08010% ভাত 1)900070100813 8১০ 012) 95৩75005 10018690086 10798 110 101202 10018 00৩ 10919 ৭২ 0৫ &8৪ 00708588, 99969881005 09780029) 18 06 001 900289 0000 ৮0 36,,+,7 চরমপন্থীদের রাজনীতিকে কী চোখে দেখিতেছিলেন তাহা! রাঁসবিহারী ঘোষের বক্তৃতায় অত্যন্ত পন্নিষ্কারভাবে প্রকট হুইয়া উঠিয়াছে। টরমপন্থীদের সম্পর্কে তিনি বলিলেন, £..,] 1009 59 0 7380, 092৮5 20, 1091970051৮ 1088 1086 91] 19119) 1) 9020561৮1610709] 7005610707768 100৮ 1 20066 196 5830. 6০0 168 ০7901 826 1৮ 7195 9189 150 19100 17 [1555109] 10009 100 0003 2 20199 €)৪ 79০00101506 60 195 09599 সা) 00 091906 ০: 10109758776 00৩ 00561100796, 1 200) 01 908189 81999101106 0? 806 1080978, 411 165 0)07909 ৪75 0610000. 1) 0298159 198185)60 0 & 0008 0010000180779156 1870) 0671৮90) ] 010801010) 200, 00৩ 10000০20 1018600 ০1 17010220 978 7090170 10059০৮৮ 01 ৪]) (01095 20020150161 01006796200 2 [0:00107)6 2006 আও 000৪৮ 200196 60 ৪058 (90500767062 220 09780:80 010)0£ 8৪. 19910. 50758176507 89 20610019675 ০1 146278158150 (0000119, [4009] 1308705 ০. 0001010170911655, 130681) 00908 ০ 0056609 98।9013106 1018060. 00007 2 097) 200 00000 ০0 20101608072 81086118660 107 &1000...41] ৪০0.0018 200 ৫0110699 10198176981090 107 8১০ 0৬200)60৮ 81)0010 8150 109 005০0৮690....41] 0018, 10০৮0 1 6০ 0১ 6006850. 006 09 00055102196 00 05 ৪9০89] [02985020707 069 1085 56 87150) 100 [0097৮ 60 0081056] ভ10101)09 ০2 8179 0৮00" 09900) ০01 019 19) বলা বাহুল্য, যথার্থ অভিজ্ঞ ব্যবহারজীবীর মত রাসবিহারী ঘোষ চরমপন্থীদের আন্দোলনের দুর্বলতাগুলি উদঘাটন করিলেন, কিন্তু ইহা কেবল সংগ্রামকে এড়াইবার জন্ত। পরক্ষণই তিনি কংগ্রেসের নিম্নমতান্ত্রিক আন্দোলনের নীতির সপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়া বলিলেন, 4,০0০ 08000600620 000 00 73৭08) 78016 195 1005০068008 5০ 5008018056100, ০0] 0005 01080106 00091 076 079801)6 0100105655)088 0£ (81007)6 50] 001৩0 11098 10 ০০-০7১৪7007, সা) (১০ 00597010706 2) 65৩25 10062901৩ 10101 19 11015 60 0095697) 0৮৩ 7017609] 05900105605 607 ৪০ 1008 29 আও 00 2)0% 891)07 00:7581599 কা০৮)৩ 0৫6 1৮, ৩]5 ৪000 11 1915219770 া2]] 10917751010] 20165 800 1£ 500. 2581)7 926 9615-00551100001085 700. 1006 ৪০ 80১96 500. ৪৮৩ চি 200 5000 2581)00811510560, 00007) 2000. 0090 0015 111 809 10708119) 2৩7 010. [10019 8091 0988 ০0719196]5 80091001891960, 800 3913 00৮ 00116 [ 00706989 79810570609] 4007358866 ১ ০]. * 202, 770-76 ] ২৭৩ রহীজনাখ ॥ ১৮ চরমপন্থী! অরবিদ্দ ঘোষের সভাপতিত্থে স্বত্রভাবে সম্মেলন করিলেন। কিন্তু তীহাদের তখনও কোনো হুম্পষ্ট আদর্শ ও কর্মপন্থা! নির্দিষ্ট হয় নাই। হিভিন্ন নেতা স্ব শখ দৃষ্টিভঙ্গিতে চিন্তা করিতেছেন। তিলক মভারেটদের সহিত 79810025156 ০০-০192%6109 নীতিতে আস্থা প্রকাশ করিলেন। অরবিন্দ তীহার আপসহীন সন্ত্রাসবাদী কর্মনীতির পক্ষে গুরুত্ব দিতে লাগিলেন। বস্ততপক্ষে ভিলক পূর্বেই অরবিন্দের সন্ত্রাসবাদী নীতির বিরুদ্ধেই মত্তপ্রকাশ করিয়াছিলেন। বৎসর খানেক আগে জনৈক ইংরাজ সাংবাদিক বন্ধুর ([9517800,) কাছে তিনি পরিষ্কারভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। রাসবিহারী ঘোষ তাহার ভাষণে ইহার উল্লেখ করিতে ছাড়িলেন না। বিপিনচন্্র তখন কারাগারে । লাজপৎ রায়ও অবশেষে মডারেটদের সহিত সম্মেলনে যোগ দিলেন। ফলত বাংলার দলে অরবিন্দ প্রায় একাকী পড়িয়া! গেলেন। রবীঞ্জনাথ তখন শিলাইদহে। এমন সময় স্থরাট-কংগ্রেসেব দলাদলির খবর পৌঁছিল তাহার কাছে। এই সংবাদে কবি যে কিরূপ মর্মাহত হইয়াছিলেন, তাহা অনুমান কর! শক্ত নহে। শিলাইদহ হইতে গভীর ক্ষোভে ও দুঃখে তিনি বিলাতে জগদীশচন্দ্রকে লিখিতেছেন ( ২৩শে পৌষ ১৩১৪ ), "এবারকার কন্গ্রেসের যজ্ভঙ্গের কথ! তে। গুনিয়াছই--তাহার পর হইতে দুই পক্ষ পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করিতে দিনরাত নিযুক্ত রহিয়াছে। অর্থাৎ বিচ্ছেদের কাট! ঘায়ের উপর ছুই দলে মিলিদ্বাই সনের ছিট! লাগাইতে ব্যন্ত হইয়াছে। কেহ ভূলিবে না, কেহ ক্ষমা করিবে না-_আত্মীয়কে পর করিয়! তুলিবার যতগুলি উপায় আছে তাহা অবলম্বন করিবে । কিছুদিন হইতে গবর্মেন্টের হাডে বাতাস লাগিয়াছে--এখন আর সিডিশনের সময় নাই-ফেটুকু উত্তাপ এতদিন আমাদের মধ্যে জমিয়াছিল তাহা নিজেদের ঘরে আগুন দিতেই নিযুক্ত হইয়াছে। বহুদিন ধরিয়! “বন্দে মাতরম্‌ কাগজে স্বাধীনতার অভয়ম্ত্রাপূর্ণ কোনে! উদার কথ। আর পড়িতে পাই না, এখন কেবল অন্যপক্ষের সঙ্গে তাহার কলহ চলিতেছে । এখন দেশে ছুই পক্ষ হইতে তিন পক্ষ ধ্লাড়াইয়াছে--চরমপন্থী মধাপন্থী এবং মূললমান--চতুর্থ পক্ষটি গবর্মেপ্টের প্রাসাদ-বাতায়নে দীড়াইয়। মুচকি হাসিতেছে। ভাগ্যবানের বোঝ! ভগবানে বয় । আমাদিগকে নষ্ট করিবার জন্ত আর কারো প্রয়োজন হইবে না--মর্দিরও নয় কিচেনারেরও নয়, আমর! নিজেরাই পারিব। আমর! বন্দে মাতরম্‌ ধ্বনি কৰিতে কন্ধিতে পরস্পরকে ভূমিসাৎ করিতে পারিব।” [ প্রবাসী, ১৩৪৫ জযোষ্ঠ || পৃঃ ১৭৫] রনীজনাখ এই ছুটপক্ষের হন্ের উর্ধে দেশের সামগ্রিক ব্বাথটির কথাই বেদী বধ করিয়া দেখিতেছেন। কংগ্রেসের এই আভ্যন্তরীণ ঘন্ব-কলহ যদি শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সংগঠনকেই ভাঙিয়া দেয়, তবে তাহাতে এক ইংরাজের ছাড়া আর কাহারও উদ্দেশ্ত সাধিত হইবে না। প্রসঙ্গত একটি জিনিস লক্ষ্য করিবার মত,--বন্দে মাতরম্‌ কাগজে স্বাধীনতার অভয়মন্ত্রণাপূর্ণ' প্রবন্ধগুলি যে রবীন্দ্রনাথকে বিশেষভাবে 'আকষ্ট করিয়াছিল, এই চিঠিতে তাহার উল্লেখ দেখা যায়। অর্থাৎ বিপিনচন্্ ও অরবিন্দ প্রমুখ চরমপন্থীদের নির্ভীক কণ্ঠন্বর রবীন্দ্রনাথকে আপেক্ষিকভাবে অধিক আকৃষ্ট করে। ইহার অল্প কয়েকদিন পরে সমস্ত ঘটনা! শুনিয়া! ভিনি উভয়পক্ষের সমালোচনা করিয়া প্রবাসীতে (১৩১৪ মাঘ ) “যজ্ঞভঙ্গ' নামে একটি প্রবন্ধ লিখিলেন। এ গ্রীবন্ধে তিনি বলিলেন, “কন্গ্রেস তো ভাঙিয়া গেল। "এবারকার কন্গ্রেসের ধাহার! অধ্যক্ষ ছিলেন তাহারা অপ্রিয় বা বিরুদ্ধ সত্যকে স্বীকার করিবেন না বলিয়া ঘর হইতে পণ করিয়া আসিরাছিলেন। দ্বীকার করিলেই পাছে দ্ডাহাকে খাতির করা হয়, এই তাহাদের আশঙ্কা । “চরমপন্থী বলিয়া একটা দল যে কারণেই হউক দেশে জাগিয়! উঠিয়াছে, একথা লইয়া আক্ষেপ করিতে পারে৷ কিন্তু ইহাকে অস্বীকার করিতে পারো না। এই দলের ওজন কতট! ভাহা বুঝিয়া তোমাকে চলিতেই হইবে । কিন্তু যখন স্বয়ং সভাপতি মহাশয়ের মস্তব্যেও এই দলের প্রতি কটাক্ষপাত করা হইয়াছিল তখন স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে তিনি নিজের বিরক্তি প্রকাশকেই কর্তব্যসিদ্ধি বলিয়া মনে করিয়াছেন. | ইহা যে ওকাঁলতি নহে, বিরুদ্ধ পক্ষকে বক্তৃতার গদ্দাঘাতে পাঁড়িয়া ফেলাই যে এই বুহৎ কাজের পরিণাম নহে, দেশের সকল মতের লোককে একত্রে টানিয়া সকলেরই শক্তিকে দেশের মঙ্গলসাঁধনে নিয়োগ করিতে উৎসাহিত করাই যে ইহার সকলের চেয়ে বড়ো উদ্দেশ্য তাহা সাময়িক উত্তেজনায় তিনি মনে রাখেন নাই |." স্পষ্টতই রবীন্দ্রনাথ মিঃ মালভি, রাসবিহারী, স্থরেন্্নাথ প্রমুখ মডারেট নেতৃবৃন্দের মনোবৃতিকে নিন্দা করিলেন। অপরদিকে চরমপন্থীদের অসহিষুতা এবং মডারেট রাজনীতির যঘ্ণর্থ ভূমিকা ও অবদান হ্বীকার না-করার মনোবৃত্তিকে তিনি সমর্থন করিলেন না। তিনি বলিলেন, "আবার চরমপন্থীরাও এমনভাবে কোমর বীধিয়া কন্গ্রেসের রণক্ষেত্র মধ্যে প্রবেশ করিলেন যেন, যে মধ্যমপন্থীর! এতদিন ধরিয়া! কন্গ্রেসকে চালন! করিয়! আসিয়াছেন, তীহারা এমন একটা বাধা যাহাকে ঠেলিয়৷ অভিভূত করিয়া চলিয়া ৫ যাইবেন; ইহাতে যাহা হয় তা হোক। এবং এটা এখনই করিতে হইবে-- এইবারোই অয়ধ্জা উড়াইয়! ন! গেলেই নয়। “দেশের মধ্যে এবং কন্গ্রেসের সভায় মধ্যপন্থীর স্থানটা যে কী ভাহ। সম্পূর্ণভাবে এবং ধীরতার সহিত হ্বীকার না করিবার জন্ত মনের মধ্যে যেন প্রচণ্ড আগ্রহ ।” এক কথায় তিনি বলিলেন, “বিরুদ্ধ পক্ষের সত্তাকে যথেষ্ট সত্য বলিয়! স্বীকার না করিবার চেষ্টাতেই এবার কন্গ্রেস ভাঙিয়াছে।*..* রবীন্দ্রনাথ নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের রাজনীতির কোনে! বিতর্কের প্রশ্নে গেলেন না। কিন্তু উভয় পক্ষের রাজনীতি যে অন্তঃসারহীন--দেশের জনগণের সহিত যে উহার কোনো সংশ্রব নাই, এই মূল কথাটি তিনি বুঝিয়াছিলেন। উপসংহারে তাই তিনি জনসংযৌগের জন্য আহ্বান জানাইয়া বলিলেন, “এই প্রসঙ্গে আমার নিবেদন এই যে, কন্গ্রেসকে সত্য করিয়া তুলিতে গেলে তাহা কন্গ্রেসের মঞ্চে বসিয়াই করা৷ যাঁয় না । দেশের ভিতরে সত্য কার্ধে প্রবৃত্ত হইলে, সমস্ত দেশের লোককে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয় সত্যমন্ত্ে দীক্ষিত করিয়া তুলিলে, তবেই সমস্ত দেশের যোগে ওই কন্গ্রেস সত্য হুয়া উঠিবে... | কন্গ্রেসকে দিনে দিনে বর্ষে বর্ষে দেশের ভিতর দিয়া সত্য করিয়া তুলিব এই চেষ্টাই কোনো-এক গন্থীর হউক | তাহাকে এ বৎসর ব! ও বৎসর কোনে! রকমে দখল করিয়া বসিব এ চেষ্টা এমন মহৎ চেষ্টা নহে যাহার জন্ ছুই ভাইয়ে লড়াই করিয়া কি্বিদ্ধ্যাকাণ্ডের অভিনয় কর! যাইতে পারে ।” ... [যজ্ঞভঙ্গ-_রবীন্দ্ররচনাবলী £ ১*ম খণ্ড || পৃঃ ৬৩৫-৩৮ ] কিন্ত শুধু উপদেশ “দিয়া ক্ষাস্ত হইবার লোক রবীন্দ্রনাথ ছিলেন না। সেই' সময় তিনি শিলাইদহে কিছু স্থানীয় যুবকর্মী সংঘবদ্ধ করিয়া স্বয়ং পল্লী-উন্নয়ন ও পল্পী-সংস্কার কাধে প্রবৃত্ত হইলেন। এমন সময় ব্যারিস্টার যোগেশ চৌধুরী পাবনায় প্রাদেশিক সম্মেলনের সভাপতিত্ব করিবার প্রস্তাব লইয়া! রবীন্দ্রনাথের নিকট উপস্থিত হইলেন। গত বৎসর বরিশালে প্রাদেশিক সম্মেলন পুলিসী অত্যাচারের ফলে স্থগিত রাধিতে হয় । এদিকে স্থরাট-কংগ্রেসের দক্ষষজ্জের পর বাংলার উভয়- পন্থীদের হ্বন্বববিরোধ আরঙু তীব্র ও ভয়াবহ আকার ধারণ করিয়াছিল । এমন অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ পাবন! প্রাদেশিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করিবার গুরু দায়িত্ব গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত বোধ করিলেন। নরমপন্থী ও চরমপন্থীরা গ্রায় সকলেই রবীন্দ্রনাথকে অত্যন্ত শ্রন্ধা করিতেন, স্থতরাং রবীন্দ্রনাথ সভাপতিত্ব করিলে সম্মেলনে বিরোধের সম্ভাবুন! ছিল ন! বলিলেই চলে। তবুও তাঁহার রিয়োধী পক্ষ যে একেবারেই ছিল না) এমন কথ! বল! যায় না । অলক্ষিতে থাকিয়া! এইসব ব্যক্তি পচ নানা বেনামী পত্রে রবীন্দ্রনাথকে শাসাইয়া পাবনা সম্মেলনে তীহাকে সভাপতিত্ব হইতে নিরম্ত করিতে চাছিলেন। কয়েকদিন পরেই কবি রামেন্রহুম্দর ভ্রিবেদী মহাশয়কে ইহার উল্লেখ করিয়! লিখিলেন ( ১২ই ফান্তুন ১৩১৪), “কনফারেন্স আমাকে সভাপতি পদে আহ্বান করায় সংবাদ পাঠাইবামান্র নানা পক্ষ হইতে গালি সংযুক্ত এত বিনামী পত্র পাইয়াছি যে, আমি কোন্‌ দলের লোক তাহা স্থির করা আমার পক্ষে কঠিন হইয়াছিল ।” [বঙ্গবাসী £ ৬ ভাগ ॥ পৃঃ ১২৩] যাহাই হউক প্রাদেশিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করিতে রবীন্দ্রনাথ পাবনায় উপস্থিত হইলেন। সম্মেলনের উদ্বোধনের দিন ( ১১ই ফেব্রুয়ারী ১৯৮ ) চিরা- চরিত প্রথাম্যায়ী আশুতোষ চৌধুরী মহাশয় অভ্যর্থনা-সমিতির পক্ষ হইতে কবিকে ইংরাজীতেই স্বাগত জানাইলেন। রবীন্দ্রনাথ সেই চিরাচরিত গ্রথ! ও সংস্কার ভাঙিয়া দিয়া বাংলাতেই তাঁহার লিখিত ভাষণটি পাঠ করিলেন। সে-এক শ্ররণীয় এঁতিহাসিক দ্িন। ইহার প্রায় দশ বংসর আগে নাটোরে প্রাদেশিক সম্মেলনে বাংল! ভাষা চালু করিবার চেষ্টায় রবীন্দ্রনাথই বিরোধ স্থষ্টি করিয়াছিলেন, পূর্বেই ইহা! বিস্তাপ্বিতভাবে উল্লেখ করিয়াছি । এইবার পাবনা প্রাদেশিক সম্মেলনে সভাপতির পদাধিকারবলে তিনি লাঞ্ছিত বাংলা ভাষাকে যথার্থ মর্ধাদ! দিবার বহুআকাঙ্খিত স্থযোগ পাইলেন । রবীন্দ্রনাথ সভাপতির অভিভাষণে প্রথমেই কংগ্রেসের এই আভ্যত্তরীণ ছন্থ- কলহ সম্পর্কে বলিলেন, “সমস্ত বৈচিত্র্য ও বিরোধকে একট! বৃহৎ ব্যবস্থার মধ্যে বীধিয়া৷ তোলাই আমাদের পক্ষে সকলের চেষে বড়ো শিক্ষা । এই শিক্ষা যদি আমাদের অসম্পূর্ণ থাকে তবে স্বায়ত্বশাসন আমাদের পক্ষে অসম্ভব হইবে। যথার্থ স্থায়ত্বশাসনের অধীনে মতবৈচিত্র্য দলিত হয় না, সকল মতই আপনার যথাযোগ্যস্থান অধিকার করিয়া লয় এবং বিরোধের বেগেই পরস্পরের শক্তিকে পরিপূর্ণরূপে সচেতন করিয়া রাখে ।” উদাহরণস্বরূপ তিনি ইউরোপীয় দেশগুলির গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার উল্লেখ করিলেন, "ুরোপের রাষ্ট্রকার্ধে সর্বত্রই বহৃতর বিরোধী দলের একত্র সমাবেশ দেখ! যায়। প্রত্যেক দলই গ্রাধান্তলাভের জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছে । লেবার পার্টি, সোস্কালিস্ট প্রভৃতি এমন-সকল দলও রাষ্ট্রসভায় স্থান পাইয়াছে যাহারা বর্তমান সমাজব্যবস্থাকে নান! দিকে বিপর্যস্ত করিয়া! দিতে চায়।” এখানে আমর! রবীন্দ্রনাথকে পরিষ্কার গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রংবলিত সরকার ২৭৭ গঠনের অঙ্গৃকুলে মতগ্রকাশ করিতে দেখি। কংগ্রেসের পার্ট-নীতি হিসাবেও তিনি গণতাঞ্জিক একা-নীতির উপর জোর দিয়। বলিলেন, ”***জমন্ত দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সম্মিলিত চেষ্টা ঘে মহাসভায় আমাদের ইচ্ছাশক্তির বোধন করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে তাহার মধ্যে এমন গঁদার্ধ যদি না থাকে যাহাতে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সকল শ্রেণী ও সকল মতের লোকই সেখানে স্থান পাইতে পারেন তবে তাহাতে আমাদের ক্ষমতার অসম্পূর্ণতা প্রকাশ পায় । “এই মিলনকে সম্ভবপর করিবার জন্ত মৃতবিরোধকে বিলুপ্ত করিতে হইবে এরূপ ইচ্ছা করিলেও তাহা সফল হইবে না, এবং সফল হইলেও তাহাতে কল্যাণ নাই ।'.'রাষ্ট্রসভাতেও নিয়মের স্বারা সংযত হইয়াও প্রত্যেক মতকেই প্রাধান্তলাভের চেষ্টা করিতে না দিলে এরূপ সভার স্থাস্থা নষ্ট, শিক্ষা অসম্পূর্ণ, ও ভবিষ্যৎ পরিণতি সংকীর্ণ হইতে থাকিবে । অতএব মতবিরোধ যখন কেবলমাত্র অবশ্থস্ভাবী নহে, তাহ। ম্গলকর, তখন মিলিতে গেলে নিয়মেব শাসন অমোঘ হওয়া চাই 1**** এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করিয়৷ রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক গঠনভ্ত প্রণয়ন করিবার প্রস্তাব জানাইলেন, “আমর! এপর্যন্ত কন্গ্রেসের ও কনফারেন্সের জন্য প্রতিনিধিনির্বাচনের যথারীতি নিয়ম স্থির করি নাই।..'কিস্ত যখন দেশেব মনট! জাগিয়া উঠিয়াছে.."তখন প্রতিনিধিনির্বাচনকালে সত্যভাবে দেশের সম্মতি লইতে হইবে, এইকপ শুধু নির্বাচনের নহে, কন্গ্রেসেব ও কনফারেছ্সের কার্ধ প্রণালীরও বিধি সুনির্দিষ্ট হওয়ার সময় আসিয়াছে ।” স্বর্ণ থাকিতে পারে, স্থরাট অধিবেশনেই কংগ্রেসের প্রথম গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করিবার জন্ত একটি কমিটি নিযুক্ত হয়। চারমাস পরে এই কমিটি এলাহাবাদে বিশেষ সম্মেলনে [ ১৮-১৯ এপ্রিল, ১৯০৮] তাহাদের খসড়া পেশ করিলে এ সম্মেলনে উহ! আলোচিত ও সংশোধিত হইয়া পাস হইয়া যায় । দ্বিতীয়ত, এই অভিভাষণে রবীন্দ্রনাথ হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক বিরোধ- বিছেষের কারণগুলি উৎপাটিত করিয়া উভয় সম্প্রদায়ের আন্তরিক মিলনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করিলেন । তিনি বলিলেন, “বাহির হইতে এই হিন্দুমুসলমানের প্রভেদকে যদি বিরোধে পরিখত করিবার চেষ্টা করা হয় তবে তাহাতে আমরা ভীত হইব না-_আমাদের নিজের ভিতরে যে ভেবুদ্ধির পাপ আছে তাহাকে দিরঘ্ত করিতে পারিলেই আমরা পরের কৃত উত্ভেজনাকে অতিক্রম করিতে নিশ্চয়ই পারিব।” খপ এই উপলক্ষে তিনি সংখ্যালঘুদের স্যার্থ রক্ষায় প্রয়ে সহৃবয়ত। দেখাইবার জন্গ হিন্দ বুদ্ধিজীবিগণের প্রতি আবেদন জানাইলেন, “***আমরা গোড়া হইতে ইংরেজের ই্ছুলে বেশি মনোযোগের সঙ্গে গড়। মুখস্থ করিয়াছি বলিয়া! গবর্ষেন্টের চাকরি ও সম্মানের ভাগ মুসলমান ভ্রাতাদের চেয়ে আমাদের অংশে বেশি পড়িয়াছে সন্দেহ নাই। এইরূপে আমাদের মধ্যে একটা পার্থক্য ঘটিয়াছে। এইটুকু কোনোমতে ন! মিটিয়৷ গেলে আমাদের ঠিক মনের মিল হইবে না, আমাদের মাঝখানে একট! অস্ুয়ার অস্তরাল থাকিয়! মাইবে। মুসলমানের! যদি যথেষ্ট পরিমাণে পদমান লাভ করিতে থাকেন তবে অবস্থার অসাম্যবশত জ্ঞাতিদের মধ্যে যে মনোমালিন্য ঘটে তাহা ঘুচিয়া গিয়া আমাদের মধ্যে সমকক্ষত৷ স্থাপিত হইবে ।**** রবীন্দ্রনাথ এই নীতিকেই হিন্দুমুসলমান-এঁক্যের পূর্বশর্ত বলিয়া নির্দেশ করিতেছেন। এই নীতি বাস্তবায়িত হইলে শক্ই মুসলমানগণ এই তুচ্ছ রাজ- প্রসাদের মোহ কাটাইয়া উঠিয়া একদিন হিন্দুদের সহিত এক রাষ্ট্রীয় মহাসভার ( কংগ্রেলেক্ ) পতাকাতলে সমবেত হইবেন, ইহাই কবির বক্তব্য । তৃতীয়ত, এই অভিভাষণে কবি চরমপন্থীদের হৃদয়াবেগকে সহৃদয়তার সহিত বুঝিবার চেষ্ট! করিলেন। বঙ্গবিভাগ ও ইংরাজের নিষ্ঠুর দলননীতিই যে দেশের মধ্যে চরমপন্থী চিন্তাধারাকে গ্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্ররোচিত করিতেছে, ইহাই কবির দৃঢ় বিশ্বাস। এজন্য তিনি ইংরাজ শাসননীতিকেই দায়ী করিয়। বলিলেন, “-*"আমরা ছুর্বল হই আর অক্ষম হই, বিধাতা আমাদের যে একটা হৃৎপিণ্ড গড়িয়াছিলেন সেটা তে নিতান্তই একটা মৃৎপিগড নহে, আমরাও সহসা আঘাত পাইলে চকিত হইয়। উঠি; মেট! একটা! স্বাভাবিক প্রতিবৃতিক্রিয়া, যাহাকে ইংরেজিতে বলে রিক্লেব্স আযাকৃশন ।"..* অবশ্ট তাই বলিয়৷ তিনি চরমপন্থীদের রাজনীতিকে সমর্থন করিতে পারিলেন না এই কারণে যে, এই রাজনীতির গতি কখন কোন্‌ দিকে যাইবে তাহাও যেমন বলা যায় না, তেমনি ইহাকে নিয়ন্ত্রিত ও সংযত করিবার ক্ষমতাও ইহীর নেতাদের নাই। ভিনি আরও বলিলেন, «...একক্ট্িমিস্ট, নাম দিয় আমাদের মাঝখানে যে-একট! সীমানার চি টানিয়া দেওয়৷ হইয়াছে সেটা আমাদের নিজের দত্ত নহে। সেটা ইংরেজের কালো কালির দাগ। ন্থুতরাং এই জরিপের চিহ্নট! কখন কতদূর পরত ব্যাপ্ত হইবে বল যায়ন।। দলের গঠন অন্ধুসারে নহে, সময়ের গতি ও কর্তৃজাতির মঞ্জি অন্ুসারে এই রেখার পরিবর্তন হইতে থাকিবে ।* ২৭৪ চতুর্থ স্বীন্্রনাথ এই অভিভাষণে সর্বাধিক পরিমাণে গুরুত্ব আরোপ করিলেন ্বদেলী সমাজ বা পল্লী-সমাজ সংগঠনের উপর । 'ম্বদেশী সমাজ' ও পূর্বাপর ্বন্ধগুলিভে তিনি যে কর্মসথটী উত্থাপন করিন্নাছিলেন এই অভিভাষণে তিনি উহার আরো! বিস্তারিত আলোচন! করিলেন । দেশের রাজনীতিবিদদের ও যুবকর্মীদের উদ্ধেস্ত করিয়! পুনর্বার তাহার পন্নীউন্নয়ন ও পল্লীসংগঠনের পরিকল্পনা পেশ করিলেন, «প্রত্যেক প্রদেশে একটি করিয়া প্রাদেশিক প্রতিনিধি সভা স্থাপিত হইবে । এই সভা যথাসম্ভব গ্রামে গ্রামে আপনার শাখা বিস্তার করিয়া! সমস্ত জেলাকে আচ্ছন্ন করিবে |... দেশের সমস্ত গ্রামকে নিজের সর্বপ্রকার প্রয়োজন সক্ষম করিয়া গড়িয়া তুলিতে হইবে। কতকগুলি পল্লী লইয়া! এক-একটি মণ্ডলী স্থাপিত হইবে ।"'"নিজের পাঠশালা, শিল্পশিক্ষালয়, ধর্মগোলা, সমবেত পণ্যভাগ্ডার ও ব্যান্ব-স্থাপনের জন্য ইহাদিগকে শিক্ষা সাহাষ্য ও উৎসাহ দান করিতে হইবে। প্রত্যেক মণ্ডলীর একটি করিয়া সাধারণ মণ্ডপ থাকিবে, সেখানে কর্ষে ও আমোদে সকলে একত্র হইবার স্থান পাইবে এবং সেইখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধানেরা মিলিয়' সালিশের দ্বার! গ্রামের বিবাদ ও মামল! মিটাইয়! দিবে 1” এই প্রসঙ্গে লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, রবীন্দ্রনাথ গ্রাম্য কুটিরশিল্পের প্রচলিত সেকেলে যন্ত্রপাতির বদলে আধুনিক হাক্কা যন্ত্রপাতি সংবলিত ছোট ছোট সমবায়-শিল্প (০০-00919059 10009%-5) প্রবর্তন করিবার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেছেন, গ্ুরোপে আমেরিকায় কৃষির নানা! প্রকার মিতশ্রমিক যন্ত্র বাহির হইয়াছে-- নিতান্ত দাঁরিজ্যবশত সে-সমম্ত আমাদের কোনো কাজেই লাগিতেছে না-_মল্ল জমি ও অল্প শক্তি লইয়া! সে-সমস্ত যন্ত্রের ব্যবহার সম্ভব নহে। যদি এক-একটি মণ্ডলী অথব! এক-একটি গ্রামের সকলে সমবেত হইয়া নিজেদের সমস্ত জমি একত্র খিলাইয়া দিয়া কৃষিকার্ধে প্রবৃত্ত হয় তবে আধুনিক যন্ত্রাদির সাহায্যে অনেক খরচ বীচিয়া ও কাজের সুবিধা হুইয়া তাহারা লাভবান হইতে পারে ।*** আরে! কথ! এই যে, রবীন্নার়া শহরাঞলে কেন্দ্রীভূত বড়ো বড়ো কলকারখানার ঘোরতর আপত্তি করিতেছেন। তৎপরিবর্তে তিনি গ্রামাঞ্চলে চাষীদের সম্মিলিত ছোটি ছোট হাক্কা যন্ত্রপাতি সংবলিত সমবায়-শিল্প গড়িত্না তুলিবার গ্রন্্ু করিতেছেন। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে--রবীন্ত্রনাথ গ্রামদেশে রাজা-জমিদারদের সামস্ত- তাত্িক শোষণ সম্পর্কে কী চিন্তা করিতেছিলেন? ৬ সে যুগের রাজনীতিতে ভূরমিসংস্কার বা সামস্ততান্ত্রিক শোষণ সম্পর্কে কী নরমপন্থী, কী চরমপন্থী--কেহ একটিও কথা বলেন নাই । তখনও পর্যন্ত সকলেই রাজা-জমিদারদের সামস্ততান্ত্রিক অধিকারকে ঈশ্বর-প্রদত্ত পবিত্র অধিকাররূপে গণ্য করিয়! আসিতেছিলেন। সে-যুগে রবীন্দ্রনাথের পক্ষেও উহার ব্যতিক্রমে কিছু চিন্ত। কর! সম্ভব ছিল না। কিন্তু তবুও এ অভিভাষণে দেশের জমিদারদের সতর্ক করিয়া দিয়া তিনি বলিলেন, “এই উপলক্ষে দেশের জমিদারের প্রতি আমার নিবেদন এই যে, বাংলার পল্জীর মধ্যে প্রাণসঞ্চারের জন্য তাহার! উদ্যোগী না হইলে একাজ কখনোই সুসম্পন্ন হইবে না। পল্লী সচেতন হইয়। নিজের শক্তি নিজে অনুভব করিতে থাকিলে জমিদারের বর্হত্ব ও স্বার্থ খর্ব হইবে বলিয়া আপাতত আশঙ্কা হইতে পারে, কিন্তু এক পক্ষকে হুর্বল করিয়া নিজের স্বেচ্ছাচারের শক্তিকেই কেবলই বাধাহীন করিতে থাকা আর ডাইনামাইট্‌ বুকের পকেটে লইয়া বেড়ানো একই কথা-_একদিন প্রলয়ের অস্ত্র বিমুখ হইয়া অস্ত্রীকেই বধ করে। রায়তদিগকে এমনভাবে সবল ও শিক্ষিত করিয়! রাখা উচিত যে, ইচ্ছা করিলেও তাহাদের প্রতি অন্যায় করিবার প্রলোভনমাত্র জমিদারের মনে না উঠিতে পারে। জধিদার কি বণিকের মতো কেবল দীনভাবে আদায় করিবার পথগুলিই সর্বগ্রকারে মুক্ত রাপিবেন। “-..ইহাদিগকে (রায়তদিগকে-_লেখক) দেখিবামাত্র সকলেরই জিহবা লালায়িত হইবে । এমনি করিয়া দেশের অধিকাংশ লোককেই যদি জমিদার, মহাঙ্জন, পুলিস, কাহ্ছনগো, আদালতের আমলা, যে ইচ্ছা সে অনায়াসেই মারিয়া যায় ও মারিতে পারে তবে দেশের লোককে মান্য হইতে না শিখাইয়া রাজা হইতে শিখাইব কী করিয়! 1” আর যাহ! হউক, ইহা! জমিদারী ব্যবস্থার ওকালতী নহে। রবীন্দ্রনাথ একথাও পরিষাঁর বলিলেন যে, এইসব অত্যাচারিত ও শোধিত রায়তদ্ের “মানুষ হইতে না শিখাইয়া ইহাদের স্বাধীন করিতে যাওয়ার চেষ্টা! বৃথা । উপসংহারে রবীন্দ্রনাথ কংগ্রেসের ছুই বিবদমান গোষ্ঠীর অধিনায়ক ও কর্মীদের লক্ষ্য করিয়া তাহার সাংগঠনিক পরিকল্পনার মূল তত্টি ধীর মস্তিষ্ষে বিচার-বিবেচনা করিয়! দেখিবার অনুনয় জানাইলেন, “দেশের সমস্ত কার্ধই যে লক্ষ্য ধরিয়া চলিবে আমি তাহার মূলতত্ব কয়টি নির্দেশ করিয়াছি মাত । সে-কয়টি এই £ «প্রথম, বর্তমানকালের প্রকৃতির সহিত আমাদের দেশের অবস্থার সামগ্রস্থ করিতে না পারিলে আমাদিগকে বিলুপ্ত হইতে হুইবে। বর্তমানের সেই ৮১ প্রকৃতিটি_-জোটবাধা, ব্য বন্ধতা, অর্গ্যানিজেশ্তন।'..অতএব গ্রামে গ্রামে আমাদের মধ্যে যে বিশ্পিউভা, যে মৃত্যুলক্ষণ দেখা দিয়াছে, গ্রামগ্ুলিকে সত্ব ব্যবস্থাবন্ধ করিয্া তাহ! ঠেকাইতে হইবে । "্িতীয়, আমাদের চেতনা! জাতীয় কলেবরের সর্বত্র গিয়া পৌঁছিতেছে না।"*জনসমাজের সহিত শিক্ষিতসমাজের নানাগ্রকারেই বিচ্ছেদ ঘটাতে জাতির এক্যবোধ সত্য হইয়া! উঠিতেছে না । “তৃতীয়, এই এঁক্যবোধ কোনোমতেই কেবল উপদেশ বা আলোচনার বারা! সত্য হইতে পারে না। শিক্ষিতসমাজ গণসমাজের মধ্যে তাহাদের কর্মচেষ্টাকে প্রসারিত করিলে তবেই আমাদের প্রাণের যোগ আপনি সর্বন্র অবাধে সধারিত হইতে পারিবে । “সর্বসাধারণকে একত্র আকর্ষণ করিয়া! একটি বৃহৎ কর্মব্যবস্থাকে গড়িয়া তুলিতে হইলে শিক্ষিতসমাজে নিজের মধ্যে বিরোধ করিয়া তাহা কখনও সম্ভবপর হইবে, না।.... [ রবীন্ত্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৯৮-৫২১ ] অর্থাৎ এককথায় বলিতে গেলে-_-অর্গযানিজেশন, গণচেতনা ও গণসং ইহাই রবীন্দ্রনাথের সাংগঠনিক পরিকল্পনার মূল তিন নীতি। এই ঈময় বঙ্গদর্শন (১৩১৪ ফাল্গুন) 'শক্তি' নামে অপর একটি প্রবন্ধে তিনি প্রায় একই কথা বলিলেন। দেশের প্রাণশক্তি যে গ্রামের মধ্যে সপ্ত আকারে বিস্ভমান এবং সেই শক্তিকে জাগরিত করিবার প্রশ্নাটই যে এখন আমাদের নিকট প্রধান সমস্ত।-_ ইহাই এঁ প্রবন্ধে কবির মূল বক্তব্য-বিষয়। ইত্তিপূর্বেই শিলাইদহে”একদল উৎসাহী যুবকর্মী লইয়া তিনি যে পল্লীসংগঠন- কার্ধে ব্রতী হইয়াছিলেন, সে-কথ পূর্বেই উল্লেখ করিযাছি। ইহার প্রায় মাসখানেক পরে কবি অবল! দেবীকে এই প্রসঙ্গে লিখিতেছেন, "আমি সম্প্রতি পল্লীসমাজ নিয়ে পড়েছি । আমাদের জমিদারীর মধ্যে পল্পী- গঠনকার্ধের দৃষ্টান্ত দেখাব বলে স্থির করেছি। কাজ আরম্ভ করে দিয়েছি । কয়েকজন পূর্ববঙ্গের ছেলে আমার কাছে ধর! দিয়েছে । তার! পল্লীর মধ্যে থেকে সেখানকার লোকদের সজে "বাস করে তাদের শিক্ষ। স্বাস্থ্য বিচার গ্রভৃতি সকল কাজের ব্যবস্থা তাদের নিজেদের দিয়ে করাবার চেষ্টা করচে। তাদের দিয়ে রাস্তা- ঘাট বাধানো, পুকুর খোড়ানো, ড্রেন কাটানো, জঙ্গল সাফ করানে। প্রভৃতি সমস্ত কাজের উদ্যোগ হচ্ছে ।***আমি সভাম্থলের আহ্বানে আর সাড়া দিচ্ছি নে কিন্তু সেই জন্তেই দেশের যেটা সকলের চেয়ে প্রয়োজন সেটা সাধনের জন্তে আমার হেটুকু সাধ্য ত| প্রয়োগ করতেই হবে।” [ প্রবাসী, ১৩৪৫ আবণ ॥ পৃঃ ৪৬৭ ] চর বল! বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথের এই রাজনৈতিক উত্তেজনাহীন জনসংযোগ ও গল্জী উন্নয়নমূলক কর্মসূচীতে কেহই কর্ণপাত করিলেন ন|। এপ্রিল মাসে এলাহাবাদে কংগ্রেসের বিশেষ কন্ভেন্শনে ( ১৮-১৯শে এপ্রিল ১৯*৮) কংগ্রেসের প্রথম গঠনতন্র পাস হৃইয়! যায়। সেই গঠনতঙ্ত্রের প্রথম অন্গচ্ছেদই (178৮ ৪701৩ ) হইল, প]])6 00090501009 111018) [9610779]1 0001)07988 ৪7০ 19 86৮9117- 17)61)% 09 00৩ 1090016 ০01 111019, ০0 9. 5586010) 01 00৮%62শ7706756 81001] 27 ০ 809৮ 61)10590 05 80০ ৪০1:-206271176 10501101028 01110 131101818 16711176200. 9 08001009000 105 00010 হা) 0১০ 21005 200. 15800081- 0111008 0 ০০ 10010170907 0009], ৮2]পা)৪ 10) (01050 10011)19918- দুি)980 001০০%৪ 2০ ০ 06 901780560 170 ০01)8৮16560709] 11092)8 05 001721706 9008৮ 9 86580 2৪101) 01 006 05160716858 00 8011017)18626012 2170 05 [0:00)00176 17)80070] 10165) 105667106 10100110811 2100. 00510101110 8170 01087191776 009 1176211606021. [5012], ০0601501010 200 11১01186019] 10500706501 0১6 ০০010-5.” [00া)গ্রাণ লা 00581097709] $00798869 : ড ০]. 1. 41006100150 যা ওদিকে বাংলাদেশের চরমপন্থী! তখন বিপিনচন্ত্র ও অরবিন্দের নেতৃত্বে পূর্ণ- ্বরাজ ও বয়কট এবং নিঙ্রিয় প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রচার চালাইতেছেন। অরবিন্দ বলিলেন--« 87৫ 1)7090]) 006 0০076] ০1 01)000911800. 929], এপ্রিলের শেষের দিকে মৈমনসিংনে কিশোরগঞ্জের পল্লীসমিতির এক সভায় অরবিন্দ ঘোষণ! করিলেন, “07106100000 থা) 100৮০] 100 (07 0) 2০0০0 018 18000....., ]7070101) 7010 18 11)07091)70 2100 0)6761076 61005 0 01510000706 ১০ 50010৮ 19০৫১-)০11 0 0০5%2:051106 165 1)1079৩7 07091)5 2150 00170050111... [ 'শ্রাঅরবিন্দ ও বাওলায় হ্বদেশী যুগ” ] প্রকাশ্তে বয়কট আন্দোলনের অন্তরালে অরবিন্দ তখন বারীন্দ্র, নিবেদিতা, হেমচন্দ্র দাস, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধায় প্রভৃতির সহায়তায় গুগ্তভাবে এই ম07৩10) 2010 উৎখাত করিবার যড়যন্জে লি । ৮৩ ॥ সন্ত্রাসবাদ ও রহ্বাজ্জ্নাথ ॥ অকন্মাৎ মজফরপুরে প্রচণ্ড বোমার বিস্ফোরণে সমগ্র ভারতবর্য সচকিত হুইয়৷ উঠিল। কুখ্যাত অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করিতে গিয়া ভূলক্রমে স্ুদিরাম ও গ্রফুল্পের বোমীর আঘাতে মিসেস্‌ কেনেডি ও তাহার কন্যা নিহত হইলেন (৩* এপ্রিল ১৯০৮)। স্রাট-কংগ্রেসের তিনর্দিন আগে গোয়ালন্দে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আযালেন বিপ্লবীদের হাতে অতর্ধিতে গুলিবিদ্ধ হইলেন। একে একে ফড়ঘন্ত্র আবিষ্কৃত হইল । বারীন্দ্, উপেকন্্র, কানাই, সত্যেন, নরেন গৌঁসাই ও অরবিন-_সকলেই একে একে গ্রেফতার হইলেন । দেশের ধমনীতে অকম্মাৎ যেন প্রাণের প্রবল স্পন্দন স্তন! গেল। আনন্দে বিশ্ময়ে আতঙ্কে সমগ্র দেশ শিহরিয়! উঠিল, “এতদিনে বুঝিবা বাঙালীর ভীরু অপবাদ কাটে!” গ্রেফতার হইয়াই বারীন্দ্র বলিলেন, “1 [)138107 1৪ ০০:০১, মন্তব্যের ম্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়৷ তিনি বলিলেন, “আমাদিগকে প্রকাশ্রে রাজঘারে ঘাতকহত্তে শ্রেচ্ছায় যাচিয়া জীবন দিতে না দেখিলে, বুঝি এ মরণভীরু জাতি মরিতে শিখে ন1।” [ আত্মকাহিনী ॥ পৃঃ ৫*-৫১ ]| ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এক অভিনব ধারা আসিয়! মিলিল এবং উহাই হুইল সন্ত্রাসবাদ । অপুরদিকে গভর্নর হইত শুরু করিয়া দেশী-বিদেশী পত্রিকাগুলি একবাক্যে এইসব কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করিতে লাগিলেন । কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাবাও একবাক্যে ইহার নিন্দা ও ভৎসন! করিয়! যুবকদের বহু উপদেশ দিতে লাগিগেন। একমাত্র ভিলকই “কেশরী” পত্রিকায় ইহাকে পরোক্ষভাবে কিছুটা সমর্থন করিলেন । তিলক গভর্নমেন্টের ক্রিয়াকলাপ ও দমননীতিকেই এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্ধকলাপের উত্ভবের কারণ বলিয়া সরকারের প্রতি অভিযোগ করিলেন। ফলে ভিলকের ছয় বখসর কার।ৰণড হইল । এমন অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের পক্ষে চুপ করিয়৷ থাক] সম্ভব হইলনা। কয়েকদিন পর কলিকাতায় আসিয়া! তিনি চৈতন্য লাইব্রেরীতে 'পথ ও পাথেয় নামক প্রবন্ধটি (বঙ্গদর্শন, জ্যোষ্ঠ ১৩১৫) পাঠ করিলেন (১২ই জ্যেষ্ঠ )। যে সব প্রবীণ কংগ্রেস-নেতার! নিরাপদ বিবৃতির অন্তরালে “আমি ইছার মধ্যে নাই); এ কেবল অমুকদলের কীর্তি, এ কেবল অমুক লোকের অন্তায়; আদি পূর্ব ৮৪ হইতেই বলিয়! আসিতেছি, এসব ভালে। হইতেছে না..** ইত্যাদি বলিয়! নিজেদের নির্দোষ বলিয়া প্রমাণ করিবার চেষ্টায় অতিমাত্র উৎসাহিত হুইয়! উঠিয়াছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তাহার ভাষণে প্রথমেই তাহাদের তিরস্কার করিয়া বলিলেন, “কোনো আতঙ্কজনক দুর্ঘটনার পর এই প্রকার অশোভন উৎকষ্ঠার সহিত পরের প্রতি অভিযোগ ব! নিজের ্ুবুদ্ধি লইয়া অভিমান আমার কাছে দুর্বলতার পরিচয় সুতরাং লজ্জার বিষয় বলিয়া! মনে হয়। বিশেষত আমর! প্রবলের শাসনাধীনে আছি এইজন্য রাজপুরুষদের বিরাগের দিনে অন্যকে গালি দিয়! নিজেকে ভালোমান্ষের দলে দাড় করাইতে গেলে তাহার মধ্যে কেমন-একটা হীনতা আসিয়! পড়েই।"*. “তাহার পরে, যাহারা অপরাধ করিয়াছে, ধর! পড়িয়াছে, নির্মম রাজদগ্ড যাদের "পরে উদ্ভত হইয়া উঠিয়াছে, আর-কিছু বিচার না করিয়া কেবলমাত্র বিপদ ঘটাইয়াছে বলিয়াই তাহাদের প্রতি তীব্রত৷ প্রকাশ করাও কাপুরুষত] |” দেশের তৎকালীন অবস্থার পটভূমিতে বাংলাদেশে বিপ্রববাদী প্রচেষ্টার সন্বদ্ধে বলিলেন, “..*বস্তত বঙ্ধিন হইতে বাঙালিজাতি ভীরু অপবাদের ছুঃসহ ভার বহন করিয়া নতশির হুইয়াছে বলিয়াই বর্তমান ঘটনা সম্বন্ধে ন্তায় অন্যায় ইষ্ট অনিষ্ট বিচার অতিক্রম করিয়াও অপমান-মোচনের উপলক্ষে বাঙালির মনে একট। আনন্দ ন৷ জন্মিয়৷ থাকিতে পারে নাই ।, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এই সন্ত্রাসবাদী নীতিকে সমর্থন করিতে পারিলেন না। বোয়ার যুদ্ধের সময় হইতে তিনি পুনঃ পুনঃ একটি কথাই কেবল জোর দিয়! বলিয়া আসিতেছেন যে, ইউরোপের রাষ্ট্রনীতি মানবতা, ন্টায়নীতি ও ধর্মাধ্মবোধকে নিষ্্রভাবে পদদলিত করিয়া আসিতেছে । অগ্যকার ভাষণেও তিনি ইহার বিস্তারিত সমালোচন! করিয়া বলিলেন, “যুরোপের এই অবিশ্বাসী রাষ্ট্রনীতি আজ পৃথিবীর সর্বত্রই ধর্মবুদ্ধিকে বিষাক্ত করিয়া তুলিতেছে। এমন অবস্থায় যখন বিশেষ ঘটনায় বিশেষ কারণে কোনো অধীন জাতি সহসা নিজেদের অধীনতার একাস্তিক মৃত দেখিয়! সর্বাস্তঃকরণে পীড়িত হুইয়। উঠে, অথচ নিজেদের সর্বপ্রকার নিরুপায়তার অপমানে উত্তপ্ধ হইতে থাকে, তখন তাহাদের মধ্যে একঘল অধীর অসহিষ্ণু ব্যক্তি যখন গোপন পন্থা অবলম্বন করিয়া! কেবল ধর্মবুদ্ধিকে নহে কর্মবুদ্ধিকেও বিসর্জন দেয় তখন দেশের আন্দোলনকারী বক্তার্দিগকেই এইজন্য দায়ী করা বলদর্পে-অন্ধ গায়ের জোরের মুড়তা মাঅ। ২৮৫ “অতএব দেশের যে-সকল লোক গুপ্তপন্থাকেই রাষ্ট্রহিত্ড সাধনের একমান্র পন্থা বলিয়া স্থিয় করিয়াছে তাহাদিগকে গালি দিয়াও কোনো ফল হুইবে নী এবং তাহাদিগকে ধর্ষোপদেশ দিতে গেলেও তাহারা হাসিয়া উড়াইয়! দিবে। আমর! যে যুগে বর্তমান এ যুগে ধর্ম যখন রাষ্ট্রীয় স্বার্থের নিকট প্রকাশ্তভাবে কুষ্টিত তখন এরপ ধর্মভ্রংশতার যে ছুঃখ তাহা সমস্ত মানুষকেই নান! আকারে বহন করিতেই হইবে; রাজ! ও প্রজা, প্রবল ও দুর্বল, ধনী ও শ্রমিক কেহ তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইবেনা। রাজাও প্রয়োজনের জন্ত গ্রজাকে ছুর্নীতির দ্বারা আঘাত করিবে এবং প্রজাও প্রয়োজনের অন্য রাজাকেও ছুর্নাতির হ্বারা আঘাত করিতে চেষ্টা করিবে এবং যে সকল তৃতীয়পক্ষের লোক এই-সমস্ত ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে লিপ্ত নহে ভাহাদিগকেও এই অধম সংঘর্ষের অগ্নিদধাহ সহা করিতে হইবে ভবিষ্যৎ ষ্টার মতো রবীন্দ্রনাথ যেন ঘটনাশ্োতের অনিবার্ধ অমোঘ পরিণতি স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করিতেছেন । রবীন্দ্রনাথের ব্যথা ও মানসিক যন্ত্রণাটি যে কোথায়, তাহা বুঝিতে কষ্ট হয় না। যে-সব যুক্তি ও ন্যায়-শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করিয়া ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রনীতি ও সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়িয়া! উঠিয়াছে, ভারতবর্ষের মতো! মহান দেশের মুক্তিআন্দোলন সেই সব নীতির উপরই ভিত্তি করিয়া গড়িয়া উঠিবে, রবীন্দ্রনাথ ইহা কখনই সহ বা সমর্থন করিতে পারেন না। তিনি বলিলেন, “..প্রেয়োজন অত্যন্ত গুরুতর হইলেও প্রশস্ত পথ দিয়াই তাহা মিটাইতে হয় স্পকোনে সংকীর্ণ 'রাম্তা ধরিয়া কাজ সংক্ষেপ করিতে গেলে একদিন দিক হারাইয়! শেষে পথও পাইব না, কাজও নষ্ট হইবে। আমার মনের তাগিদ অত্যন্ত বেশি বলিয়৷ জগতে কোনোদিন রাস্তাও নিজেকে ছা'টিয়! দেয় না, সময়ও নিজেকে খাটে করে না ।” তিনি আরও বলিলেন, “ছুখ সহ করা তত কঠিন নহে, কিন্ত হূর্মতিকে সংবরণ করা অত্যন্ত ভুরহ | অন্কারকে অত্যাচারকে একবার যদি কর্মসাধনের সহায় বলিয়! গণ্য করি তবে অস্তংকরণকে বিকৃতি হইতে রক্ষা করিবার সমস্ত স্বাভাবিক শক্তি চলিয়া যায়; স্টায়ধর্ষের কব কেন্ত্রকে একবার ছাড়িলেই বুদ্ধির নষ্টতা ঘটে, কর্মের স্থিরতা থাকে না, তখন বিশ্বব্যাপী ধর্মব্যবস্থার সঙ্গে আবার আমাদের ত্রষ্ট জীবনের সামঞ্প্ট ঘটাইবার জন্য প্রচণ্ড সংঘাত অনিবার্ধ হইয়া উঠে।” সংগ্রামেক্স নীতি সম্পর্কে ইহাই কবির ( এই ভাষণের ) মূল কখা। 180988- ও [09৫-এর বিতর্ক তখনও ' এদেশে আমদানি হয় নাই। ভারতবর্ষের মুক্তি- চন সংগ্রাম মহোতম স্তায়-নীতি ও ধর্মবুদ্ধির উপর ভিত্তি করিয়! উত্তরোত্তর ক্রম-পরিণতি 'লাভ করুক, ইহাই কবির মূল বক্তব্য । রবীজ্রনাথ রাষ্ট্ররিপ্রবকে একেবারে অন্থীকার করিতেছেন না। কিন্ত াষট্রবিপ্রবের নেতিমূলক অপেক্ষা ইতিমূলক বা গঠনমূলক কর্মপন্ধতির উপর অধিকতর গুরুত্ব অরোপ করিতে গিয়া তিনি বলিলেন, *--বরাষ্ট্র বা সমাজে অসামগ্তম্তের বোঝ! অনেকদিন হইতে নিংশষে পুশ্তীভৃত হইতে হইতে একদিন একট! আঘাতে হঠাৎ তাহা! বিপ্লবে ভাঙিয়! পড়ে। সেই 'সময় দেশের মধ্যে যদি অঙ্গকৃল উপকরণ প্রস্তত থাকে, পূর্ব হইতেই যদি তাহার ভাগ্ারে নিগুঢ়ভাবে জান ও শক্তির স্থল সঞ্চিত থাকে, তবেই সেই বিপ্লবের দারুণ আৃঘাতকে কাটাইয়া সে দেশ আপনার নৃতন জীবনকে নবীন সামগ্রস্ত দান করিয়া গড়িয়া তোলে। ”**"গড়িয়! তুলিবার বাধিয়া তুলিবার একটা শ্বাভাবিক প্রবৃত্তি যাহাদের মধ্যে সজীবভাবে বিদ্যমান, ভাঙনের আঘাত তাহাদের এই জীবনধর্ষকেই তাহাদের ক্জনীশক্তিকেই সচেষ্ট সচেতন করিয়া তোলে। এইরূপে স্থাষ্কেই নৃতন বলে উত্তেজিত করে বণিয়াই প্রলয়ের গৌরব । নতুবা শুদ্ধমাত্র ভাঙন, নিধিচার বিপ্লব «কোনো মতেই কল্যাণকর হইতে পারে না।” রবীন্দ্রনাথ দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনে এই গঠনমূলক প্রচেষ্টার একাস্তই 'অভাব লক্ষ্য করিতেছেন বলিয়াই তিনি কোনো পক্ষেরই রাজনীতিকে সমর্থন করিতে পারিতেছেন না । রাজনৈতিক দলগুলির গ্রতি তাহার অভিযোগ, “*-“্যাহার ভিতরে গড়নের শক্তি নাই ভাঙন তাহার পক্ষে মৃত্যু । জিজ্ঞাসা ক্করি, আমাদের দেশে সেই গঠনতত্বটি কোথায় প্রকাশ পাইতেছে। কোন্‌ স্জনীশক্কি আমাদের মধ্যে ভিতর হইতে কাজ করিয়া আমাদিগকে বীধিয়! এক করিয়৷ তৃলিতেছে। ভেদের লক্ষণই তে৷ চারিদিকে ।*** “**ভারতবর্ষে এত জাতিবিভাগসত্বেও কেমন করিয়! এক মহাজাতি হ্‌হ্য়া স্বরাজ প্রতিষ্ঠা করিবে এই প্রশ্ন যখন উঠে তখন আমাদের মধ্যে ধাহারা বিশেষ তরাহ্থিত তাহা! এই বলিয়া কথাটা সংক্ষেপে উড়াইয়৷ দেন যে, সুইজারল্যাণ্ডেও তে! একাধিক জাতির সমাবেশ হইয়াছে, কিন্তু সেখানে কি তাহাতে স্বরাজের বাধা ঘটিয়াছে।” রবীন্দ্রনাথ তাহার উত্তরে বলিতেছেন, **-“সুইজারল্যাগ্ড যদি নান! জাতিকে লইয়াই এক হৃইয়! থাকে ভবে ইহাই বুঝিতে হইবে সেখানে নানাত্বকে অতিক্রম করিয়াও একত্ব কর্তা হইয়া উঠিতে ৮৭ পারিয়াছে। সেখানকার সমাজে এমন একটি এক্যাধর্ষ আছে। আমাদের দেশে বৈচি্াই আছে, কিন্ত এক্যধর্ষের অভাবে বিশ্লিষ্টভাই ভাষ! জাতি ধর্ম সাজ ও লোফাচারে নানাবিধ আকার ধারণ করিয়া এই বৃহৎ দেশকে ছোটো বড়ো বহুতর তাগে বিভাগে শতধা বিচ্ছিন্ন করিয়া রাখিয়াছে।* আর একদল বলেন, ইংয়াজ সম্াজ্যবাদ আমাদেব সকলেরই সাধারণ শক্রু। কারণ ইংরাজের অত্যাচারে সকল জাতি ধর্ম ও সম্্রদায়গুলি নিম্পেষিত হইতেছে। সুতরাং সকলেই ইংরাজের প্রতি বিদ্বেষভাবাপন্ন এবং ইংরাজের বিরুদ্ধে এই সাধারণ বিদ্বেবই আমাদের “মহাজাতীয় এক্য' গড়িয়া! তুলিবে। রবীন্দ্রনাথ তাহা বিশ্বাস করেন না । উহার জবাবে তিনি বলিলেন, “একথা যদি সত্য হয় তবে বিছেষের কারণটি যখন চলিয়া যাইবে, ইংরেজ যখনই এ দেশ ত্যাগ কবিবে তখনই কৃজ্তিম এক্য্থত্রাট তো৷ এক মুহূর্তে ছিন্ন হইয়া! যাইবে । তখন দ্বিতীষ বিছেষের বিষয় আমরা কোথায় খুঁজিয়া পাইব। তখন আব দূবে খুঁজিতে হুইবে না, বাহিরে যাইতে হইবে না, রক্তপিপান্থ বিহেষবুদ্ধির দ্বাব৷ আমব! পরম্পবকে ক্ষতবিক্ষত করিতে থাকিব 1” রবীন্দ্রনাথেব এই সতর্কবাণীর প্রতি উপেক্ষ৷ আজ অভিশাপেব মত ভারতবর্কে বার বাব আঘাত কৰিতেছে--ভারতেব সাম্প্রতিক ধর্ম, সম্প্রদায়, ভাষা ও জাতিবিদ্বেষ ভারতেব মর্মকেন্দ্রকে পীডিত ও কলুধিত করিয়! তুলিতেছে। অবস্ঠ রবীন্দ্রনাথ যে ভাষা ও জাতি-সমস্তাকে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত দিক হইতে বিচার করিতেছিলেন, এমন নহে। তাহার যূল কথা, ইংরাজের প্রতি বিঘেষের উপর ভিত্তি করিয়া! নয়, আত্মিক ও আধ্যাত্মিক মিলনের উপর ভিত্তি করিয্াই ভারতের যথার্থ জাতীয় এঁক্য গভিয়া উঠিতে পারে। বহুদিন হইতেই ববীন্দ্রনাথ এই তত্বটি প্রতিপন্ন করিবাব চেষ্টা করিয়৷ আসিতেছেন যে, “ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রধান এঁতিহ মিলনমূলক | ভারতবর্ষের ত্বাদেশিক সাধনায় এই মিলনতত্বকেই সচেষ্টভাবে সফল করিয়৷ তুলিতে হইবে--ইহাই কবির বক্তব্য। বন্তৃতার উপসংহারে তিনি আবেগরদ্ধকণ্ঠে বলিলেন, “**"এই ভারতবর্ষে যুগস্ছীাস্তরীয় মানবচিতেব সমস্ত আকাজ্ষাবেগ মিলিত হইয়াছে-_-এইখানেই জ্ঞানের সহিত জ্ঞানের মন্থন হইবে, জাতির সহিত জাতির মিলন ঘটিবে। বৈচিত্র এখানে অত্যস্ত জটিল, বিচ্ছেদ এখানে অত্যন্ত প্রবল, বিপরীতের সমাবেশ এখানে অত্যন্ত বিরোধসংকুন্*--এত বহুত্ব এত বেদনা এত সংঘাত কোনে! দেশই এত দীর্ঘকাল বহন করিয়া বাচিতে পারিত না--কিন্ত একটি অতিবৃহত অস্িমহৎ সময়ের পরম অভিপ্রায়ই এই-সমত্য একান্ত বিরুন্ধতাকে ই ধারণ করিয়! আছে, পরম্পরের আঘাতে কাহাকেও উৎসারিত হইতে দেয় নাই।..'জানিয়। এবং না জানিয়া বিশ্বের মানব এই ভারতক্ষেত্রে মনুষ্যত্বের যে পরমাশ্চর্য মন্দির নানা ধর্ম, নান। শাস্ত্র, নানা জাতির সশ্মিলনে গড়িয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছে সেই সাধনাতেই যোগদান করিব, নিজের অন্তরের সমস্ত শক্তিকে একমাত্র স্বপ্টিশক্তিতে পরিণত করিয়া এই রচনাকার্ষে তাহাকে প্রবৃত্ত করিব। তাহা যদি করিতে পারি, যদি জ্ঞানে প্রেমে ও কর্মে ভারতবর্ষের এই অভিপ্রায়ের মধ্যে সমস্ত প্রাণ দিয়। নিযুক্ত হইতে পারি, তবেই মোহমুক্ত পবিত্র দৃষ্টিতে স্বদেশের ইতিহাসের মধ্যে সেই একসত্য, সেই নিভ্যসত্যকে দেখিতে পাইব । খধির! ধাহাকে বলিয়াছেন, “স সেতুর্ষিধৃতিরেষাং লোকানাম্‌--তিনিই সমস্ত লোকের বিধৃতি, তিনিই সমত্ত বিচ্ছেদের সেতু**1” [ পথ ও পাথেয়-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৪৫-৬৭ ] নিঃসন্দেহে ইহ। অধ্যাত্মববাদী কবির মহৎ ভাবোচ্ছাস। কিন্ত সেইসঙ্গে আরও একটি বিষয় লক্ষণীয় । এতদিন পর্যন্ত-_-বিশেষ করিয়া স্বদেশী আন্দোলনের যুগে রবীন্দ্রনাথ রাজনৈতিক আন্দোলনের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলি বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচন! করিয়৷ জনসংযোগ ও পল্লী-উন্নয়নমূলক কর্মস্চীর ভিত্তিতে দেশের সাংগঠনিক প্রস্তুতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু এই ভাষণে তিনি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের 'আবেগ-উন্সত্ততার মাঝে যেন রাজনীতি কিংব|! সমাজ-উন্নয়ন অপেক্ষ। আধ্যাত্মিক মানবতার উপরই অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করিলেন । হিংসা, বিরোধ ও অত্যাচারের সমস্ত কালিমা ধুইয়া-মুছিয়া ভারতবর্ষেই সর্বজাতি-মিলনের প্রথম ও প্রধান কেন্দ্র গড়িয়া উঠুক-_ইহাই কবির কামনা । ইহার কিছুদিন পরে “সমস্য!” নামক একটি প্রবন্ধে (প্রবাসী, আষাঢ় ১৩১৫) তিনি তাহার বক্তব্য-বিষয়কে আরে! পরিষ্কার করিয়া বলিলেন । ভারতবর্ষের মত বিশাল দেশে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী ও সম্প্রদ্দায় লইয়া এখনও পরধস্ত একটি মহাজাতি বা মহাজাতীয় এঁক্য গড়িয়! উঠিল না" রবীন্দ্রনাথের মতে ইহাই ভারতবর্ষের স্বরাজলাভের অন্যতম প্রধান অন্তরায় । তিনি বলিলেন, “এ কথা বলাই বাহুল্য, যে দেশে একটি মহাজাতি বাধিয়! ওঠে নাই সে দেশে স্বাধীনতা হইতেই পারে না। কারণ স্বাধীনতার ন্থ' জিনিসটা কোথায়? স্বাধীনতা কাহার স্বাধীনত৷ ? ভারতবর্ষে বাঙালি যদি স্বাধীন হয় তবে দাক্ষিণ্:ত্যের নায়ার জাতি নিজেকে স্বাধীন বলিয়! গণ্য করিবে না এবং পশ্চিমের জাঠ যদি স্বাধীনত। লাভ করে তবে পূর্বপ্রান্তের আসামি তাহার সঙ্গে একই ফল পাইল ৮৯ রবীনত্রনাথ ॥ ১৯ বলিয়া গৌরব করিবে না। এক বাংলাদেশেই হিচ্দুর সঙ্গে মুসলমান যে নিজের ভাগ্য মিলাইবার জন্য প্রস্তুত এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাইতেছে ন1 1.” হিন্গুমুসলমান এঁক্যের সমস্ঠায় বলিলেন, “***আমরা হিন্দু ও মুসলমান, আমরা! ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশীয় হিন্দুজাতি এক জায়গায় বাস করিতেছি বটে কিন্তু-'"আমাদের সমস্ত হাদয়বৃত্তি সমস্ত হিতচেষ্ট পরিবার ও বংশের মধ্যে এবং এক-একটি সংকীর্ণ সমাজের মধ্যে এতই অতিশয় পরিমাণে নিবদ্ধ হইয়া পড়িয্বাছি যে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সাধারণ আত্মীয়তার যে বৃহ সন্বন্ধ তাহাকে ন্বীকার করিবার সম্বল আমর! কিছুই উদ্ধত রাখি নাই। সেই কারণে আমর! ঘ্বীপপুঞ্রের মতোই খণ্ড খণ্ড হয়৷ আছি, মহাদেশের মতো ব্যাপ্ত বিস্তৃত ও এক হইয়া উঠিতে পারি নাই ।” রবীন্দ্রনাথ জাতীয় ও সাম্প্রদায়িক অনৈক্যের সমন্তাগুলি বারে বারে বিভিন্ন দিক হইতে দেখিতেছেন। তিনি বলিলেন, “.-“পৃথিবীতে মান্য বর্ণে ভাষায় স্বভাবে আচরণে ধর্মে বিচিত্র _নরদেবত। এই বিচিত্রকে লইয়াই বিরাট--সেই বিচিত্রকে আমরা এই ভারতবর্ষের মন্দিরে একাঙ্গ করিয়া! দেখিব। পার্থক্যকে নির্বাসিত ঝ। বিলুপ্ত করিয়া নহে, কিন্তু সবত্র ব্রদ্মের উদার উপলব্ধি দ্বারা, মানবের প্রতি সর্বসহিষুণ পরমপ্রেমের হবার, উচ্চশীচ আত্মীয়পর সকলের সেবাতেই ভগবানের সেব! শ্বীকার করিয়া । আর কিছু নহে, শুভচেষ্টার দ্বারা দেশকে জয় করিয! ল9-_-ধাহারা তোমাকে সন্দেহ কবে তাহাদের সন্দেহকে ভয় করো, যাহারা তোমার প্রতি বিদ্বেষ করে তাহাদের বিদ্বেষকে পরাম্তড করো।* রুদ্ধ দ্বারে আঘাত করো, বারংবার আঘাত করো-_ কোনে! নৈরাশ্্ে, কোনো আত্মাভিমানের ক্ষুপ্রতায় ফিরিষ! যাইয়ে| না, মান্ষেব হৃদয় মানুষের হৃদয়কে চিরদিন কখনোই প্রত্যাখ্যান করিতে পারে না” [ সমস্তা--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৭৯-৮৩ | ্রাহ্ম ধর্মের এতিহ্সম্পরন পারিবারিক ধর্মসাধনার আবহাওঘাষ ধবীন্দ্রনাথ মানুষ হুইয়াছেন। সুতরাং একদিকে তাহার ঈশ্বর ও ধর্মোপলব্ধি যেমন জাতীয় ও বিশ্ব- সমস্যার ক্ষেত্রে ক্রমশই তাহাক্স চেতনায় একটি অখণ্ড বিশ্ব এক্যান্ুভূতি আনিয়া দ্বিতেছে, অপরদিকে তেমনি স্বদেশ ও স্বজাতির মরণাস্তিক দুঃখ ও সমস্তাগুলি এবং সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপের জাতি-বিদবেষ ও পরজাতিশোষণের নিষ্ঠুর ব্বরূপটি ক্রমশই তাহাকে বিশ্বমানবতার দিকে আকুষ্ট করিতেছে । এক কথায়, জাতীয় সমস্যা ও বিশ্বসমণ্ঠার সমাধানে তাহাকে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় গ্রহণ করিতে হইয়াছে। শরণ রাখা দরকার, তখনও পর্বস্ত এদেশে আধুনিক দর্শন, সমাজবিজ্ঞান ২৯৩ ও বৈজ্ঞানিক অর্থনীতি-রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটে নাই। তাছাড়া ইহাও উল্লেখ- ঘোগ্য যে, এমনকি বিপিনচন্ত্র, অরবিন্দ প্রমুখ সংগ্রামপস্থীর! পর্যন্ত তখন আধ্যাত্মিকতার সহিত প্যাটি রটিজমের অর্থাৎ ধর্মের সহিত স্বাদদেশিকতার মিশ্রণ করিয়া জালাময়ী ভাষায় প্রবন্ধ ও বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের ন্বাদেশিকতাবোধকে জাগ্রত করিতেন । আরও উল্লেখযোগ্য, বিপিনচন্দ্র তখন বক্স! জেলে বসিয়াই 4950505 ০৫ [3100019/), পুস্তক লিখিতেছেন। অরবিন্দের গীতা ও বৈদান্তিক মায়াবাদ ছিল সে-যুগের সন্তাসবাদীদের প্রেরণার প্রধান উৎস। প্রসঙ্গত ইহাও স্মরণীয় যে, সে-যুগে একমাত্র মডারেটপন্থীরাই শুরু হইতেই ধর্ম ও সাম্প্র- দায়িকতাকে যথাসম্ভব রাজনীতি হুইতে দূরে রাখিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। ইন্াণ্ডের পার্সিয়ামেন্টারী রাজনীতির শিক্ষা-দীক্ষাঁয় ইহার। রাজনীতিকে রাজনীতি হিসাবে বিচার করিবার চেষ্ট! করিতেন । পূর্ববঙ্গের স্থানে স্থানে তখনও বয়কট আন্দোলন চলিতেছে । এই উপলক্ষে শিক্ষিত সম্প্রদায় এবং দেশকর্সিগণ স্থানে স্থানে অশিক্ষিত অনুরত শ্রেণীর উপর কিছুটা ঘে বল প্রয়োগ করিতেছিলেন না, এমন নয়। অপরদিকে, মুসলমান সম্প্রদায় বয়কট আন্দোলনের বিরোধিত। করিতেছিলেন। এবং শুধু বয়কট উপলক্ষে ই নয় নান! অজুহাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাজাম। ক্রমশই ব্যাপক আকার ধারণ করিতেছিল। স্বীন্নাথ সমস্ত সংবাদই রাখিতেছিলেন। এমন অবস্থায় দেশনায়ক ও দেশকর্মীদের লক্ষ্য করিয়৷ তিনি “সছুপায়' প্রবন্ধটি লিখিলেন (প্রবাসী, ১৩১৫ শ্রাথণ )। এই প্রবন্ধের প্রথমেই তিনি বয়কট আন্দোলনের বিস্তারিত পর্যালোচনা! করিয়৷ উহার বিপজ্জনক পরিণতিটি স্পষ্ট করিয়। নির্দেশ করিলেন। বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয়, রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে “অখণ্ড বাংলা'র শ্লোগানটি মোহমুক্ত দৃষ্টিতে বিচার করিতে চাহিয়াছেন। তিনি স্মরণ করাইয়া দিলেন, “...বেহারিগণ বাঙাপির প্রতিবেশী এবং বাঙালি অনেকদিন হইতেই বেহারিগণের সঙ্গে কারবার করিতেছে, কিন্তু বাঙালির সঙ্গে বেহারির সৌহদ্য নাই সে কথা বেহারবাসী বাঙালি মাত্রেই জানেন । শিক্ষিত উড়িয়াগণ বাঙালি হইতে নিজেকে সম্পূর্ণ স্বত্ত্ব বলিয়া দাড় করাইতে উতস্থক এবং আসামিদেরও সেইরূপ অবস্থ।। অতএব উডিষ্তা আসাম বেহার ও বাংলা জড়াইয়া আমরা যে দেশকে বহুদিন হইতে বাংলাদেশ বলিয়া জানিয়। আসিয়াছি তাহার সমস্ত অধিবাসী আপনার্দিগকে বাঙালি বলিয়া কখনও স্বীকার করে নাই এবং বাঙালিও ্হারী উড়িয়া এবং আসামিকে আপন ক্রিয্া! লইতে কখনও চেষ্টামাতজ করে নাই, বর তাহাদিগকে নিজেদের অপেক্ষা! হীন মনে করিয়! অবজ্ঞা দ্বারা পীড়িত করিয়াছে । রী ১ “অতএব বাংলাদেশের যে অংশের লোকের! আপনাদিগকে বাঙালি বলিয়৷ জানে সে অংশটি খুব বড়ো নহে." |” “বাঙালিয়ানা'র সের্টিমেন্টকে এতখানি আঘাত করিয়া এমন সত্য ভাষণ সে- যুগে শুন! যায় নাই। ইহার দ্বার! রবীন্দ্রনাথ প্রতিপন্ন করিতে চাহিলেন, "এমন অবস্থায় এই বাঙালির বাংলাটুকুকেও এমন করিয়া যদি ভাগ কর] যায় যাহাতে মুসলমান-বাংলা ও হিন্দু-বাংলাকে মোটামুটি স্বতন্ত্র করিয়া ফেলা যায় তাহ! হইলে বাংলাদেশের মতে! এমন খণ্ডিত দেশ ভারতবর্ষে আর একটিও থাকিবে ন|। “এমনস্থলে বঙ্গবিভাগের জন্য আমর! ইংরেজ-রাজের প্রতি যতই রাগ করি- না কেন, এবং সেই ক্ষোভ প্রকাশ করিবার জন্য বিলাতি-বর্জন আমাদের পক্ষে যতই একান্ত আবশ্যক হউক-ন|, তাহার চেয়ে বড়ে৷ আবশ্ক আমাদের পক্ষে কী ছিল। না, রাজকৃত বিভাগের দ্বার! আমাদের মধ্যে যাহাতে বিভাগ না ঘটে নিজের চেষ্টা তাহারই সর্বপ্রকার ব্যবস্থা করা ।” তিনি আরও বলিলেন, “সেদিকে দৃ্টি ন|! করিষ। আমরা বযকট-ব্যাপারটাকেই এত একমাত্র কর্তব্য বলিয়! ধরিয়া লইযাছিলাম, যেকোনো! প্রকারেই হোক, বয়কটকে জী করিয়া তোলাতেই আমাদের সমস্য জেদ এত বেশিমাত্রায চডিয়া গিয়াছিল যে, বঙ্গবিভাগের যে পরিণাম আশঙ্কা করিয়া পার্টিশনকে আমরা বিভীষিকা বলিয়া জ্ঞানিধাছিলাম সেই পরিণামকেই অগ্রসর হইতে সহাযতা করিলাম |... “ক্রমশ লোকের সম্মতি জম করিষ| লইব।র বিলম্ব আমর! সহিতে পারিলাম না। এই উপলক্ষে আমরা দেশের নিয় শ্রেণীর প্রজাগণের ইচ্ছ। ও স্থবিধাকে দলন করিবার আয়োজন করিয়াছিলাম,.*“তাহার ফল এই হইয়াছে, বাসনাব অত্যুগ্রতার ঘ্বারা আমরা নিজের চেষ্টাতেই দেশের এক দলকে আমাদের বিরুদ্ধে দাড করাইয়াছি।***আমর। যে সকল স্থানেই মুসলমান ও নিম়শ্রেণীব হিন্দুদের অস্থবিধ! ঘটাইয়৷ বিরোধ জাগাইয়া তুলিয়াছি, একথা সত্য নহে । এমনকি, যাহার! বয়কটের কল্যাণে বিশেষ লাভবান হঙ্টুয়াছে তাহারাও যে আমাদের বিরুদ্ধ হইয়াছে এমন প্রমাণও আছে ।” ইহার কারণ কি? রবীন্দ্রনাথ স্বীকার করেন যে, এই বিভেদ বিদ্বেষ সৃষ্টি করার পিছনে ইংরাজেরও হাত আছে, কিন্তু উহা গো কারণ। মুখ্য কারণ হইতেছে, দেশের শিক্ষিত ও অশিক্ষিত, হিন্দু ও মুসলমান, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সত্যকারের ব্যবধান। নিজেদের এই বিভেদ-বিছ্বেষ দূর না করিয়। আমর! ৮২ জোর করিয়া! আমাদের মন্তিষকগ্রস্থত চিন্তাগুলি গরীব হিন্দু-মুসলমানের ঘাড়ে চাপাইয়! দিতে চাহিয়াছি। বয়কট বা স্বদেশী আন্দোলনের কোনো! তাৎপধই এইসব দরিদ্র জনসাধারণ উপলব্ধি করে নাই । তাই তিনি বলিলেন, “আমর! দেশের শিক্ষিত লোকের! জন্মভূমিকে লক্ষ্য করিয়! “মা শব্টাকে ধ্বনিত করিয়! তুলিয়াছি। এই শবের দ্বারা আমাদের হৃদয়াবেগ এতই জাগিয়া উঠে যে আমর! মনে করিতে পারি না, দেশের মধ্যে মা'কে আমরা সত্য করিয়া তুলি নাই।."'এইজন্য দেশের সাধারণ গণসমাজ যদি স্বদেশের মধ্যে মাকে অনুভব না করে তবে আমর| অধৈর্ধ হইয়া মনে করি, সেটা হয় তাহাদের ইচ্ছাকৃত অন্ধতার ভান, নয় আমাদের এক্রপক্ষ তাহাদিগকে মাতৃবিত্রোহে উত্তেজিত করিয়াছে । কিন্তু আমরা যে মা'কে দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করি নাই, এই অপরাধটা আমর! কোনোমতেই নিজের স্বন্ধে লইতে রাজি নহি ।--” অর্থাৎ তিনি জনসংযোগ ও গণচেতনার প্রশ্নে জোর দিতে চাহিলেন। বয়কট" আন্দোলন কার্যকরী করিতে গিয়। স্বদেশীর| যে জোর জুলুম করিতে- ছিলেন, রবীন্দনাথ তাহার তীব্র গ্রতিবাদ করিয়া বলিলেন, “জিজ্ঞাস করি, বাজারে আগুন লাগাইয়৷ অথবা অনিচ্ছুক লোকের মাথা ভাঙিম়া যদি আমর! বিলাতি কাপড় ছাড়াইয়৷ একদল লোককে দেশী কাপড় ধরাই তবে বাহিরে মাত্র দেশ কাপড় পরাইয়। ইহাদের সমস্ত অস্তঃকরণকে কি ম্বদেশীর বিরুদ্ধে চিরদিনের জন্য বিদ্রোহী করিয়! তুলি ন/। দেশের যে সম্প্রদায়ের লোক স্বদেশী-প্রচারের ব্রত লইয়াছেন তাহাদের প্রতি এই-সকল লোকের বিদ্বেষকে কি চিরস্থায়ী কর! হয় না। “এইরূপ ঘটনাই কি ঘটিতেছে ন|। “যাহারা কখনও বিপদে আপদে সুখে দুঃখে আমাদিগকে স্েহ করে নাই, আমাদিগকে যাহার! সামাক্তিক ব্যবহারে পঞ্ডর অপেক্ষ। অধিক ঘ্বণা করে, তাহারা আজ কাপড-পরানো৷ বা অন্ত যেকোনো উপলক্ষে আমাদের প্রতি জবরদস্তি প্রকাশ করিনে ইহ। আমরা সহ করিব না', দেশের নিয়শেণীর মুসলমান এবং নমংশূদ্রের মধ্যে এইরূপ অসহিষুত৷ জাগিয়া উঠিয়াছে । ইহারা জোর করিয়া এমনকি ক্ষতি স্বীকার করিষাও বিলাতী সামগ্রী বাবহার করিতেছে । “তাই বলিতেছি, বিলাতি দ্রব্য ব্যবহারই দেশের চরম অহিত নহে, গৃহ- বিচ্ছেদের মতো! এতবড়ো অহিত আর কিছু নাই ।"**সবলে গল৷ টিপিয়। ধরিয়া মিলনকে মিলন বলে ন1।-:.” উপসংহারে, রবীন্দ্রনাথ এইসব বলপ্রয়োগ এবং গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসবাদী ২৪৯৩ কোর্ধকলাপের নন্গ! করিয়া, সংগ্রামের মৃূলনীতিটি কী হওয়া! উচিত, সেই সম্পর্কে বলিলেন, "একটি কথা আমাদের কখনও ভূলিলে চলিবে না যে, অন্যায়ের হারা, অবৈধ উপায়ের হার! কার্ধোন্ধারের নীতি অবলম্বন করিলে কাজ আমরা! অল্লই পাই, অথচ তাহাতে করিম সমস্ত দেশের বিচারবুদ্ধি বিকৃত হইয়া! যায়।.'অগ্া বারবার দেশকে স্বরণ করাইয়া দিতে হইবে যে অধ্যবসায়ই শক্তি এবং অধৈর্ধই দুর্বলত৷ ; প্রশস্ত ধর্মের পথে চলাই নিজের শক্তির প্রতি সম্মান; এবং উৎপাতের সংকীর্ণ পথ সন্ধান করাই কাপুরুষত', তাহাই মানবের প্রকৃত শক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা, মানবের মনুস্য- ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস।প্রেমের কাজে, স্জনের কাজে, পালনের কাজেই যধার্থ- ভাবে আমাদের সমস্ত শক্তির বিকাশ ঘটে ।..* [ সছুপায়-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পূঃ ৫২৩-৩১ ] কিছুদিন আগে শ্রীমতী নির্ঝরিণী সরকারের গ্রশ্নের উত্তরে তিনি সন্ত্রাসবাদী গুধহত্যার নিন্দা করিয়া লিখিয়াছিলেন ( ২৩শে বৈশাখ ১৩১৫ ), “মাতঃ, ইহা! নিশ্চয় মনে রাখিবে, নিজের বা পরিবারের বা দেশের কাজে ধর্মকে লঙ্ঘন করিলে ঈশ্বর ক্ষমা করেন না। যদি মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে পাপকে আশ্রয় করি তবে তাহার প্রায়শ্চিত করিতে হইবে ।..'দেশের যে ছুর্গতিহুখ আমর! আজ পর্ধস্ত ভোগ করিয়া আসিতেছি তাহার গভীর কারণ আমাদের জাতির অভ্যত্তরে নিহিত রহিয়াছে__প চক্রান্তের হারা নরনারী হত্য। করিয়া আমরা সে কারণ দূর করিতে পারিব না, আমাদের পাপের বোঝ৷ কেবল বাড়িয়াই চলিবে । এই ব্যাপারে যে-সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক ও বিচলিতবুদ্ধি যুবক দগুনীয় হইয়াছে: তাহাদের জন্য হৃদয় ব্যঘিত না হইয়া থাকিতে পারে না-_কিন্ত মনে রাখিতে হইবে, এই দণ্ড আমাদের সকলের দণ্ড_ঈশ্ব7র আমাদিগকে এই বেদন! দিলেন_ কারণ, বেন! ব্যতীত পাগ দূর হইতে পারে ন'-_সহিষ্ণতার সহিত এ সমস্তই আমাদিগকে ৰহন করিতে হইবে-_এবং ধর্মের প্রশস্ততর পথকেই অবলম্বন করিতে হইবে ।:..* [ গ্রস্থপরিচয়--রবীন্দ্র-রচনাবল্পী £ ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৬৬২ ] এই সময় হইতেই রবীশ্রমাথের মধ্যে একটি উগ্র ধর্মবোধ ও কঠোর স্টায়- নিষ্ঠার ভাব লক্ষ্য করা যায়”_-একথা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা আরোপ করিতে চাহিতেছিলেন। বাংলাদেশের সমগ্র স্বদেশী আন্দোলনেরই কেমন যেন একটি আধ্যাত্মিকতা-খেঁষার” প্রত্যক্ষ কর! যায়_-এই মর্ষে সে-সময়ে এদেশের কোনে কোনো ইংরাজী সংবাদপত্রে মন্তব্য প্রকাশিত হুটয়াছিল। কবির উহ! নজরে ২৪৪ আসে। তিনি এই মন্তব্যকে উপলক্ষ করিয়। “দেশহিত' নামক একটি প্রবন্ধে ( বঙ্গদর্শন, আশ্বিন ১৩১৫) সংগ্রামের লক্ষ্য ও পন্থা সম্পর্কে তাহার মতামত জানাই- লেন। প্রবন্ধের শুরুতেই কবি ইংরাজী সংবাদপত্রের এঁ মন্তব্যের উল্লেখ করিলেন, £-.*লেখক বলেন যে, আমাদের দেশের এই স্াদেশিকতার উৎসাহ গভীরতর আধ্যাত্মিকভাবে পূর্ণ ; এইজন্য ইহা! একটা ধর্মসাধনার আকার ধারণ করিতেছে ।” কবি যেন কিছুটা গর্বের সহিত মস্তব্যটি মানিয়৷ লইলেন, “এ কথ নিশ্চয় মনে রাখিতে হইবে যে, আমাদের দেশের কোনো! উদ্যোগ যদি দেশের সর্বসাধারণকে আশ্রয় করিতে চায় তবে তাহা ধর্মকে অবলম্বন ন। করিলে কোনো! মতেই কৃতকার্য হইবে না। কোনে। দেশব্যাপী স্থবিধা, কোনে! রয় স্বার্থসাধনের প্রলোভন কোনোদিন আমাদের দেশের সাধারণ লোকের মনে শক্তি সঞ্চার করে নাই । “অতএব আমাদের দেশের বর্তমান উদ্দীপনা যদি ধর্মের উদ্দীপনাই হইয়া ঈরাড়ায়, দেশের ধর্মবুদ্ধিকে যদি একটা নৃতন চৈতন্যে উদ্‌্বোধিত করিয়৷ তোলে, তবে তাহা মণ হইবে, স্থায়ী হইবে, দেশের সর্বত্র ব্যাপ্ত হইবে সন্দেহ নাই ।” রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, দেশের এই “যজ্জের পবিভ্র হুতাশন'কে ইংরাজের যথেচ্ছাচারই নষ্ই করিতে চাহিতেছে না, পরস্ত একদল বিপথগামী স্বদেশের লোক ইহাকে পণ্ড ও কলুষিত করিতে চলিয়াছে । বল! বাছলা, রবীন্দ্রনাথ এই কথার দ্বারা সন্ত্রাসবাদীদেরই বুঝাইতেছেন। এই প্রবন্ধে কবি সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে শুধু সমালোচনাই করিলেন না, অত্যন্ত কঠোরভাবে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাইবার আহ্বান জানাইলেন। তিনি বলিলেন, “..*কিস্ত যেধানে আমাদের শ্বদেশের লোক আমাদের যজ্ের পবিজ্র ছতাশনে পাপ-পদার্থ নিক্ষেপ করিয়! আমাদের হোমকে নষ্ট করিতেছে, তাহাদিগকে আমরা কেন সমস্ত মনের সহিত ভতৎ্না করিবার, তির্কৃত করিবার শক্তি অন্কভব করিতেছি না। তাহারাই কি আমাদের সকলের চেয়ে ভ্রঙ্কর শত্রু নহে । সঞ্চরণ করিতেছে, একি এক মুহুর্তের জন্য তাহারা সহ করিতে পারেন যাহারা জানেন আত্মহিত, দেশহিত, লোকহিত, যে কোনো হিতসাধনই লক্ষ্য হউক-না কেন, কেবলমাত্র বীর ও ত্যাগী ও তপস্বী তাহারা যথার্থ সাধক । ... “* "ফল লক্ষ্য নহে, ধর্মই লক্ষ্য | ' ফললাভ চরমলাভ নহে, ধর্মলাভেই লাভ, একথ! যদি কেবল দেশহিতের বেলাতেই না খাটে তবে দেশহিত মানুষের যথার্থ হিত নহে।” [ দেশহিত-_ববীন্দ্র-রচনাবলী £ ১৭ম খণ্ড | পৃঃ ৬৩৯-৪২ ] ২৪৫ সম্গাসবাদ সম্পর্কে এতখানি কঠোর উক্তি সত্যসত্যই কানে বাজে। কিস্ত কী কারণে রবীন্দ্রনাথকে এতথানি কঠোর ভাষ প্রয়োগ করিতে হইয়াছে, তাহা আমাদের বুঝিতে কষ্ট হয় না। আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও এঁতিহাসিক ভূমিকা আছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী নীতির নিজন্থ কোনো সাবিক মূল্য ও সত্যতা নাই, অন্তত রবীন্দ্রনাথের মত একজন ধর্মনিষ্ ভাববাদী কবির নিকট উহার কোনো মূল্য ও সত্যত। থাকিবার কথা নয়। প্রয্নোজনের জন্য হিংসা ও মিথ্যা দেশের পুণ্যকর্ম ও সত্যপন্থ! হইতে পারে-_এ তত্ব রবীন্দ্রনাথের মত কবির পক্ষে মানিয়া লওয়! ছিল অসম্ভব । তবে একথাও সত্য যে, কবির অধ্যাত্ম বোধের মধ্যে তাহার বাস্তবতাবোধ বিলুপ্ত হয় নাই । গ্রীম্মের ছুটি ফুরাইলে আষাচের মাঝামাঝি তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরিলেন। কিন্তু যতদিন শিলাইদহে ছিলেন, ততদিন তিনি তাহার পল্লী উন্নয়ন- মূলক পরিকল্পনার একটা-না-একটা দিক বাস্তবাধিত করিবার প্রচেষ্টা সুরু করিয়া- ছিলেন; এই সময় ( ৩০শে আযাঢ় ১৩১৫ ) কবি একখানি পত্রে লিথিতেছেন, “আমাদের জমিদারির মধ্যে একটা কাজ পত্বন করে এসেছি। বিরাহিমপুর পরগনাকে পাঁচটি মণ্ডলে ভাগ করে প্রত্যেক মগ্ডলে একজন অধ্যক্ষ বসিয়ে এসেছি । এই অধ্যক্ষের! সেখানে পল্লীসমাজ স্থাপনে নিযুক্ত । যাতে গ্রামের লোকে নিজেদের হিতসাধনে সচেষ্ট হয়ে ওঠে__পথঘাট সংস্কার করে, জলকষ্ট দূর করে, সালিসেব বিচারে বিবাদনিষ্পত্ভি করে, বিদ্যালয় স্থাপন করে, জঙ্গল পরিষ্কার করে, ছুতিক্ষেব জন্য ধর্মগোলা বসায় ইত্যাদি সর্বপ্রকারে গ্রাম্য সমাজের হিতে নিজের চেষ্টা নিযোগ করতে উৎসাহিত হয়--তারই ব্যবস্থা করা গিষেছে। “আমার প্রজাদের মধ্যে যার মুসলমান তাদ্দেব মধ্যে বেশ কাজ অগ্রসর হচ্ছে-_ হিন্দুপল্লীতে বাধার অস্ত নেই । হিন্দুধর্ম হিন্দুসমাজের মূলেই এমন একটা গভীব ব্যাঘাত রয়েছে যাতে করে সমবেত লোকহিতের চেষ্টা অন্তর থেকে বাধা পেতে থাকে । এই সমস্ত প্রত্যক্ষ দেখে হিন্দুসমাজ প্রভৃতি সম্বন্ধে 11211" কবে কোনো আত্মঘাতী শ্রুতিমধুর মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিতে আর আমার ইচ্ছাই হয না ।” [ স্বতি || পঃ ৭০-৭১ ] কবির হিন্দুয়ানীর মোহ কিভাবে আস্তে আন্তে কাটিয়! যাইতেছে, সেই প্রসঙ্গে শেষোক্ত মন্তব্যটি অত্যন্ত গুরুত্পূর্ণ । কিছুদিন পর তিনি পতিসরে পল্লীসমাজের গ্রাম্য অধ্যক্ষগণকে চাষীদের অর্থ- নৈতিক ও বৈবয্িক উন্নতি সাধনের ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনা দিয়া লিখিলেন (১৭ই শ্রাবণ ১৩১৫ ) ২৪৬ “প্রজাদের বাস্তবাড়ি ক্ষেতের আইল প্রভৃতি স্থানে আনারস, কলা, খেজুর প্রভৃতি ফলের গাছ লাগাইবার জন্য তাহাদিগকে উৎসাহিত করিও । আনারসের পাতা হইতে খুব মজবুত সুতা বাহির হয়, ফলও বিক্রয়যোগ্য। শিমুল-আগুর গাছ বেড়া প্রভৃতির কাজে লাগাইয়া! তাহার মূল হুইতে কিরূপে খাদ্য বাহির করা যাইতে পারে তাহাও প্রজাদিগকে শিখানো আবশ্তক। আলুর চাষ প্রচলিত করিতে পারিলে বিশেষ লাভের হইবে । "'কাছারিতে যে আমেরিকান ভুট্টার বাজ আছে তাহা পুনর্বার লাগাইবার চেষ্ট। করিতে হইবে ।-..রুষি-বিজ্ঞানের উপদেশমত চেষ্টা করিবে ।* [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড || পঃ ১৭২] শ্রাবণের শেষভাগে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় 'আসিলেন। কলিকাতায় সাধারণ ব্রীক্ষসমাজের ছাত্রদের এক সভায় তিনি 'পূর্ব ৪ পশ্চিম নামে একটি প্রবন্ধ (প্রবাসী, ১৩১৫ ভান্র ) পাঠ করিলেন। এই প্রবন্ধটির একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ প্রাচ্য ও প্রতীচ্য' নামে বঙ্গদর্শনে (১৩১৫ ভাদ্র ) প্রকাশিত হয়। নানা দিক দিয়া এই প্রবন্ধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । প্রায় ৭৮ বৎসর পূর্বে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, নববর্ষ, ভারতবর্ষের ইন্ডিহাস প্রভৃতি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ যে দুষ্টিভঙ্গিতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতাকে বিচার করিয়াছিলেন, বর্তমান প্রবন্ধের স্থর তাহ। হইতে বেশ কিছুটা পথক। ভারতবর্ষের প্রাচীন এতিহ্ত ও আদর্শ বলিতে তিনি এতকাল যে হিন্দুয়ানীর সংকীর্ণ দৃষ্টিতে উহার ব্যাখ্যা করিয়৷ আসিতেছিলেন, এই প্রবন্ধে উহাকে অন্বীকার ও বর্জন করিবার চেষ্টা করিলেন। তিনি বলিলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাস শুধু আধ আর অনাধদের ইতিহাস নয়। দীর্ঘ কয়েক শতাববীর মধ্যে মুসলমানগণও এদেশের মাটিকে আপন করিয়া লইয়াছে। সুতরাং ভারতবর্ষের এঁতিত্ত বিশেষ কোনো একটিমাত্র জাতি বা সম্প্রদায়ের নয। এমন কি পশ্চিমী- সভ্যতার পসর। লইয়া যে ইংরাজ আক্ত আমাদের শাসনকর্তীরূপে উপস্থিত হইয়াছে, তাহারও এখানে স্থান আছে--তাহাকে ও যথাথভাবে গ্রহণ করিতে হইবে তিনি বলিলেন, "আজ যে পশ্চিম হইতে ইংরেজ আসিয়৷ ভারতেতিহাসের একটা প্রধান অংশ জুড়িয়া বসিয়াছে ইহা! কি সম্পূর্ণ আকন্মিক, অপ্রয়োজনীয় । ইংরেজের নিকট কি আজ আমাদের শিখিবার ?কছুই নাই। তিন সহজ্র বৎসর পূর্বে আমাদের পূর্বপুরুষগণ যাহা আমাদের দিয়া গিয়াছেন, বিশ্বমানব-ভাগ্তারে তাহা অপেক্ষা নৃতন জ্ঞান কি আর কিছুই থাকিতে পারে না। নিথিলমানবের সঙ্গে জ্ঞান প্রেম কর্মের নানা আদানপ্রাণনে আমাদের অনেক প্রয়োজন আছে; ইংরেজ বিধাতৃ- প্রণোদিত হইয়া তাহারই উদ্যম আমাদের মধ্যে জাগাইতে আসিয়াছে,--সফল না খ্জণ হওয়া পর্যস্ত লে নিশ্চিন্ত হইবে না। সে সফলতা পূর্ব ও পশ্চিমের মিলনে, বিরোধে নহে ।'*"* তিনি অত্যন্ত জোর দিয়! বলিলেন, “আসল কথা এই, পশ্চিমের সহিত প্রাচ্যকে মিলিতেই হইবে । পশ্চিমকে আপনার শক্তিতে আপনার করিয়! লইতেই হইবে |: “-.-শেক্তির নিকটেই যথার্থ মর্ধাদ। প্রকাশ পায়; অতএব সকল দিকেই আমাদিগকে শক্তিশালী হটুতে হইবে । আমাদিগের সকল দ্বাবিই আমাদিগকে জয় করিয়া লইতে হইবে-_হীনতার দ্বারা নহে, কিন্তু মহত্বের দ্বারা, মন্তযত্ছের হ্বারা।... “তীব্র উক্তির দ্বার! নহে, দুঃসাহসিক কাধের দ্বারা নহে, কিন্তু ত্যাগের ছ্বারা আজ আমাদিগকে শ্রেষকে বরণ করিয়! লইতে হইবে ।--.* গ্রস্থপরিচয়-_রবীন্দর-রচনাবলী £ ১২শ খণ্ড ॥ পৃঃ ৬১১-১৩ ] বিংশ শতাব্দীর স্ুচনাকালেই বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নিবেদিতা, ওকাকুরা, প্রমুখ মনীষীদের প্রায় সকলেরই চিন্তায় উগ্র 'প্রাচ্যবাদ' প্রবল হইয়া দেখা দিয়াছিল। স্বদেশী যুগের শেষার্ধে রবীন্দত্রনাথই সর্বপ্রথম এই উগ্র প্রাচ্যবাদ এবং সেইসাথে হিন্দুয়ানীর বিরুদ্ধে আহ্বান জানাইলেন, “পশ্চিমের সহিত প্রাচ্যকে মিলিতেই হুইবে |” ৮০ ॥ প্রায়শ্ডিত ও শারদোৎসব ॥ ১৯০৮ সালের ডিসেম্বর মাস। “আলিপুর বোমার মামলা" চলিতেছে। জেলখানায় রাজসাক্ষী নরেন গৌনাইকে হুত্য। করার অপরাধে কানাই ও সত্যেনের ফাসি হুইয়া গেল ( ১০ই ও ২৩শে নভেম্বর )। গভর্নমেন্ট দেশের সম্ভামবাদী আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করিতে বদ্ধপরিকর হইলেন। ১১ই ও ১২ই ডিসেম্বর শ্যামনুন্দর চক্রবর্তী, কৃষ্ণকুমার মিত্র, ছাত্রনেতা শচীনতরপ্রসাদ বন্থ অশ্থিনী- কুমার দত্ত, সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্থবোধচন্ত্র মল্লিক, মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা, পুলিন দাস ও ভূপেন্ত্রন্দ্র নাগকে একে একে অস্তরায়িত কর! হইল । সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন সাময়িকভাবে যেন কিছুট। স্তিমিত হইয়া আসিল । ১৭ই ডিসেগব মর্জি-প্রস্তাবিত শাসন-সংস্কার প্রকাশিত হইল। মডারেটপন্থীরা উল্লসিত হইয়া! উঠিলেন। ২৮শে ডিসেম্বর মাদ্রাজে কংগ্রেস-অধিবেশন শুরু হইল। রাসবিহারী ঘোষ এবারেও সভাপতি নির্বাচিত হইলেন। অভিভাষণের শুরুতেই বিদ্রোহী চরবপস্থীদের উদ্দেস্ত্ে তিনি বলিলেন, £..]6 0 8 0 1001) 17৮০ ]শ 0৯০ 00৮ 006 (00115 15 83 10:011৮ 2৭ ০৮০০ 000৮6 100৬ 01080 11) 01 এছ) ]নে০০1006 (81) 106 110 1০6008)01]16101) 101) 6০ 111০0010111)10, মলি-প্রস্তাবিত শাসন-সংস্কার সম্পর্কে তিনি বলিলেন, “[0)0 2৫011) 110) 105৮ 110৯ 1001) 2াঠা)01000 জগতে 10 81)80000 ঠা) 0০ 101115971107000]৮ 00৮40061010 00100 00000 10৮ 2) 0011" 10018 0101061১04৮ 21001) 200 061.০৮101, 01 801০৮1/) 2১0 01 41110, .. [100 0]]) 9০1)01)10 18185 190 00006 0০) ৮০৮ ০9101811) 8)০01101)6 001৮ 1006 16 05 17019051016 00 ৯৮5 0৮৮৮ 1৮ 1 0০ ৭8/২০৫])1010 01 111)1)70070018৮,,..] অ০0]0 02৮07০11৬10 ১০২11 8660186101) £0 0১০ 1004 07)00)00 01 ৪০০11110159 1)101)01 100050118- 6108) 01 086 19001910 2) (1১০ 14018129616 (0001)0118, 810 17) 0013 9001)0061017 ] 001] &81 900 60 01091001 08০ 010105610) 01 &০ 01186611610) 01 0০ ০160%০011 ৫০01108,.% [ 0070088 1৩810017618] 4.0078808 : ০]. 1. 119, 779-84]1 ২৪৪ দেশের এই নূতন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সময় আমরা রবীন্দ্রনাথের মনে কোনো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখিতে পাই না । এই সময় হইতে তিনি তাঁহার সমস্ত সময় ও উদ্যম সাহিত্য সৃষ্টি ও শাস্তি- নিকেতন বিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে নিয়োজিত করিলেন। রবীন্দ্রনাথ তখন “গোরা' উপন্যাস রচনায় রত, ইহারই ফাকে তিনি (প্রায়শ্চিত্ত নাটকটি এবং 'শারদোৎসব' গীতিনাটিকাটি প্রণয়ন করিলেন। স্মরণ থাকিতে পারে, প্রায় ছাব্বিশ বৎসর পূর্বে (১২৮৯ পৌষ ) রবীন্দ্রনাথ যে “বৌঠাকুরাণীর হাট” উপন্যাসটি রচনা করিয়া- ছিলেন, তাহারই কাহিনী ভাঙিয়া এবং স্থানে স্থানে পরিব্্তন করিয়া তিনি প্রায়শ্চিত নাটকটি রচন! করিলেন ( ১৩১৫ )। বৌঠাকুরাণীর হাটে রবীন্দ্রনাথ প্রতাপকে যে রকম স্বেচ্ছাচারী, ক্রুর ও অত্যাচারী রাজ! হিসাবে চিত্রিত করিয়াছিলেন, প্রায়শ্চিত্ত নাটকেও প্রতাপকে অন্থরূপভাবে চিত্রিত করিলেন। এই নাটকে তিনি একটি নৃতন ঘটনার সংযোজন করিলেন; তাহা! হইতেছে প্রজাবিজ্রোহ। প্রতাপাদিত্যের স্বেচ্ছাচার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি প্রজাবিদ্রোহ স্ষ্টি করিলেন এবং ধনগ্য় বৈরাগী হইলেন সেই প্রজাবিপ্রোহের নায়ক | ধনগ্রয় মাধবপুর পরগনার ছুই বৎসরের খাজনা দেওয়া বন্ধ করিয়! দিযাছেন। প্রতাপাদিত্য বলিলেন," দেবে কিনা বলো" । নির্ভীক ধনগ্জয় উত্তর দিল, “না মহারাজ দেব না।-:"য! তোমার নঘ, ত তোমাকে দিতে পারব না ।:."আমাদের ক্ষুধার অন্ন তোমার নয। যিনি আমাদের প্রাণ দিয়েছেন এ অন্ন যে তার, এ, আমি তোমাকে দিই কী ব'লে! প্রতাপ প্রশ্ন করিলেন, “তুমিই প্রজাদের বারণ করেছ খাজনা দিতে! অবিচল কে ধনওয় উত্তর করিলেন, হি। মহারাজ, আমিই তো! বারণ করেছি।* এই ধনঞ্রয় বৈরাগী একদিন বিদ্রোহী প্রজাদের লইয়া মিছিল করিষা! চলিলেন যশোহরে, রাজার সহিত বুঝাঁপড! করিতে__মিছিলেব জনতা! সম্পূর্ণ নিরস্ত্র । মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, রবীন্দ্রনাথ প্রতাপ-চরিত্রকে হেয় করিয়া ধনঞুয বৈরাগীর চরিত্রকে আদর্শ দেশনায়করূপে গ্রহণ করিবার আহ্বান জানাইলেন কেন? স্মরণ থাকিতে পারে, দেশাত্মবোধের উজ্জীবনে স্বদেশী যুগের স্চনাকালেই ইতিহাস হইতে আদর্শ বীর চরিত্র খুঁজিয়া বাহির করা শুরু হয়, এবং সেই সময় হইতেই বীরপুজাও শুরু হয়। এমনকি রবীন্দ্রনাথ শিবাজী-উৎসবের জন্য কবিতা লিধিয়াছিলেন। এমন সময় সরল! দেবী বাংলাদেশে শিবাজজী-উৎসবের অনুকরণে 'প্রতাপাদিত্য-উৎসব+ শুরু করিলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ উহা! সমর্থন করিতে পারিলেন না । কেননা এঁতিহাসিক দিক হইতে তিনি যতটুকু তথ্যাদি সংগ্রহ করিতে পারিয়াছিলেন, তাহাতে প্রতাপাদিত্যকে তিনি একজন নিষ্ঠুর অত্যাচারী প্রজাগীড়ক রাজ! হিসাবেই দেখিতে পাইয়াছিলেন, এবং সেই ভাবেই তিনি “বৌঠাকুরাণীর হাটে” প্রতাপচরিত্র অক্ষিত করিয়াছিলেন। গিরিজাশস্কর রায়চৌধুরী মহাশয় লিখিতেছেন, “তিলক-প্রবর্ঠিত শিবাজী-উৎসবের ( ১৮৯৫ খ্রীঃ) অনকরণে সরলা দেবী (১৯৩ এপ্রিল) বৈশাখী পূর্ণিমাতে প্রতাপাদিত্য-উৎসব আরস্ত করিলেন। '*'প্রতাপাদিত্য-উৎসব লইয়া রবীন্দ্রনাথের সহিত সরল! দেবীর মতের অনৈক্য হয়। “বৌঠাকুরাণীর হাটে” রবীন্দ্রনাথ 'প্রতাপাদিত্যকে দিয়। তাহার খুড়া বসন্ত রায়কে খুজ করাইয়াছেন। তিনি বলেন, সরল! একজন খুনী লোককে লইয়া মাতামাতি ও দাপাদাপি করিতেছে । সরল! দেবী বলেন যে, তিনি প্রতাপাদিত্যের বীরত্বকে পূজ| করিতেছেন ।” [ শ্রীঅরবিন্দ ও বাংলায় স্বদেশী যুগ ॥| পৃঃ ৩৩৯-৪১ ] এই রকম সময়ে ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যাবিনোদ 'প্রতাপাদিত্য (১৯০৩, ৯৫ই আগস্ট স্টার বঙ্ষমঞ্চে প্রথম অভিনীত ) ও “বঙ্গের শেষবীর (১৯০৩, ২৯শে আগস্ট ক্লাসিক রঙ্গমঞ্চে গ্রথম অভিনীত ) নাটক রচন। করিয়াছিলেন । তাছাড়।৷ এই স্বদেশী যুগে বঙ্কিমচন্দ্র ও রমেশচন্দ্রের অন্ুলরণে এঁতিহাসিক চরিত্র ও কাহিনী অবলম্বনে তীব্র উত্তেশনাপুর্ণ নাটক প্রণয়ন করিয়। জাতীয়ত। ও দেশাত্মবোধকে উদ্ধদ্ধ করিবার চেষ্ট। হয়। এই যুগে গিরিশচন্দ্র লিখিলেন “সিরাজদ্দৌলা”, 'মীরকাসিম', “ছত্রপতি শিবাজী”; ক্ষীরোদপ্রসাদ লিখিলেন 'পলাশীর প্রায়স্চিত”, 'রঘুবীর" 'আলমগীর” 'প্রতাপাদিত্য” “বাঙলার মস্নদ', 'নন্দকুমার' ; ছিজেন্দ্রলাল লিখিলেন 'ছুর্গাদাস” 'প্রতীপসিংহ', “নূরজাহান”, “সাজাহান”, 'মেবার পতন? । রবীন্দ্রনাথের 'প্রায়শ্চিত্ব' নাটক এই সকল রচনা হইতে সম্পূর্ণ পৃথক । তিনি এতিহাসিক রাজরাজড়াদের শোধ, বীরত্ব, স্বাধীনতাপ্রিয়তা, “সিভ্যালরী'র মহিমা প্রচারে উচ্ছৃসিত হইয়া উঠেন নাই। তাহার আদর্শ লীর চরিত্র-_বুদ্ধ, চৈতন্য, বিশু, সক্রেটিস, ক্রনো । যে চরিত্রের কথ! তিনি “এবার ফিরাও মোরে" কবিতায় উল্লেখ করিয়াছিলেন, সেই ছিল তাহার আদর্শ চরিত্র । “দহিয়াছে অগ্নি তারে, বিদ্ধ নী নল, ছিন্ন তারে করেছে কুঠারে; *** ' শুনিয়াছি, তারি লাগি রাজপুত্র পরিয়াছে ছিম্প কম্থা, বিষয়ে বিরাগী পথের ভিক্ষুক ।” রবীন্দ্রনাথ শিবাজীর বীর সেনাপতির মৃত্ি পূজ! করেন নাই, তিনি শিবাজীর ্মপ্রীতির আদর্শকেই গ্রহণ করিতে বলিয় ছিলেন, প্ধ্বজা করি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরীবসন__- দরিদ্রের বল। “এক ধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে' এ মহাবচন করিব সম্বল ॥” অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ মানুষের ধর্মনিষ্ঠা ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রচণ্ড ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখিবার আহ্বান জানাইতেছেন। এই ন্তায়ধর্ষ ও আধ্যাত্মিক শক্তির সহিত গণশক্তির সংমিশ্রণ ঘটাইয়! তিনি গণবিদ্রোহের ইঙ্গিত দিলেন প্রায়শ্চিত নাটকে । প্রতাপাদিত্য বা রানা! প্রতাপ নয় -ধনঞ্নয় বৈরাগীর মত আদর্শ সন্ন্যাসী-চরিত্রের পুরুষেরাই হইতেছে তাহার নিকট দেশের ভাবীকালের আদর্শ দেশনাযক | প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, ঠিক এই সমবে (১৯*৮ আগস্ট ) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গে সহআ্র সহ ভারতীয় অমিক (11500708700. 191)0978) গান্ধীজীর নেতৃত্বে এক বিরাট বহু/[ৎসবে ঘ্বণ্য অবমাননাকর “পরিচয় পত্রগুলি” (99৯5৫৪) দাহ করিতেছিল। বোষার যুদ্ধ ও জুলু বিদ্রোহে ইংরাজদের অকু সাহায্য করা সত্বেও সেই বোয়ার-আমলেরই দ্বণ্য অবমাননাকর অবস্থা ও আইনগুলিই আবে! দৃঢ় হইয়াছিল ভারতীয়দের ও এশিয়াবাসীদের ভাগ্যে । ইহারই প্রতিবাদে গাত্বীজী তাহার এই এঁতিহাসিক অহিংস সত্যাগ্রহ-সংগ্রামের প্রবর্তন করিলেন । সত্যাগ্রহীর। দলে দলে %[72/)৯5%9] [07001101709 [২590690৮ 03101) অমান্য করিষ। ট্রান্দভালে প্রবেশ কবিতে লাগিল। ট্রীন্সভাল %ভর্নমেণ্ট তাহাদের গ্রেপ্তার করিয়' নাটালে ফিরাইয়া পাঠাইলেন। সত্যাগ্রহীব৷ পুনরা আইন ভঙ্গ করিয়! ট্রান্সভালে প্রবেশ করিল। গভর্নমেন্ট তখন সত্যা গ্রহীদের গ্রেপ্তার করিয| ভারতবর্ষে আনিয়। ছাড়িয়া দিতে লাগিলেন । দীর্ঘ চার বৎসর ধরিয়া এই সংগ্রাম চলিল , গান্ধীজী ও তাহার সহকর্মারা অধিকাংশ সমঘই রহিলেন কারাগারে । গান্ধী্ী পুনঃ পুনঃ ভারতবধের কংগ্রেলনেতৃত্বের নিকট সাহায্য ও সহযোগিতার 'মাবেদন জানাইলেন । কংগ্রেস নেতৃত্বও অত্যন্ত বিব্রত ও চঞ্চল হইয়া উঠিলেন। ১৯০- সালে লাহোর- কংগ্রেসে সভাপতি মদনমোহন মালব্য বলিলেন, “১76 80170170650 01810010116 0001209১600 10109700116 00৮" 10017961010, সা) 15100) ০৮ 110016 10:090)61 117, 0381001)1) 800. 007. 06009 90017065790 195৯ 10৩০1) 51861186100 80৪ 1)00007 0৫ €)৫ [1708918 10916,,..16 সা9৪ 1026 59960095 608৮ ৮09 00561101006 ০01 ৩৩২ 1001900 076 60 ছা তা) &)০ 30) 00০01 ৮০ 8৮০০৫ £0001505 1১017 8156 115015199 1090. 10901 1980] 6:0৮, 1১5 99৪ 130628, 1798 0150 19004161011 190001010 0৪00 81100 070 00 শশাাশ) 109 98651)1181)60 009 [01216 01 15 1১০০০ 90509) 81026 16 তি 22910 ০০ 1900110 ৮৮৮ 6৮০ 9001380830৩) 91)0117 10110৬ ৪ 00780 0 90100206 60577105169 [1100191) 0110-9111)1০প 01701শ1 00) 08০ 0100 10085000. 1১০1070--৮, (00৫01 ০0170110 0071915৮7% 16) 000 012118 01 001000)01) 17111721016 200. 01 19]1073])1]) 8৪ 9101)]10-65 01 & ৫017001) 90৮01:0101) 9...” [ 00102955 1১081000618] 400195598 : ০1. 1. 1). 840-41 ] অত্যন্ত বিস্ময়ের কথা, দক্ষিণ আফ্রিকার এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে থর কোনো প্রতিক্রিয়। লক্ষ্য করা যায় না; অস্তত কোনো প্রতিবাদ লিপিও তিনি লিখিয়াছিলেন বলিয়া জানা যায় না। গাম্ধীজী প্রবতিত সত্যাগ্রহ-সংগ্রাম সম্পর্কেও সেই সময় তিনি কিছু লিখিয়াছিলেন, সেরূপ কোনো প্রমাণ এখনও পর্বস্ত পাওয়া যায় নাই। বে কি প্রায়শ্চিন্ত নাটক কবি-মনে দক্ষিণ আফ্রিকার & রাজনৈতিক পরিস্থিভির প্রতিক্রিয়ার ফল? অথচ ইতিপূর্বে আফ্রিকায় সাম্রাজা- বাদীদের লুষ্ঠনকার্ধের প্রতিবাদে, সেখানকার ভারতীয় ও এশিয়াবাসীদের উপর শ্বেতাঙ্গ রাজপুরুষদের বর্ণবিছ্বেষ, লাঞ্ছনা! ও অবমাননাকর ব্যবহারের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদীদের যেক্ধূপ কঠোর ভত্রন! করিয়াছিলেন, সমকালীন কোনে! ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাকে তাহা! করিতে দেখা যায় নাই। কিন্তু এখন কবির এই নীরবতার হেতু কি? মনে হয়, এই সময় হইতেই কবি একটি কঠিন বাক্‌-সংযম অবলম্বন করিয়াছেন। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে তিনি এতে বেশী কথ' বলিয়াছেন, অথচ সাহা কোনে! মহলেই গ্রাহ্থ হইল না-_এই নিদারুণ অভিমানই বোধ হয় তাহার এই কজ্জিি শ্রীরবতার কারণ। বহির্জগৎ হইতে নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করিয়া কবি শান্তিনিকেতন আশ্রম- বিদ্যালয়টিকে মনোমত রূপদান করিতে চাহিলেন। এই সময়েই ক্ষিতিমোহন সেন শাস্তিনিকিতনে আসেন । ক্ষিতিমোহন আসিয়াই আশ্রমের সকল কাজে কবির সহায়ক হইলেন। জাতীয় শিক্ষা-আন্দৌোলনের যুগে কবি যে সব পরিকল্পনা করিয়াছিলেন, তাহাই এখন তিনি ক্ষিতিমোহন, বিধুশেখর প্রভৃতির সহায়তায় বাস্তবে পরিণত করিতে উদ্যোগী হইলেন। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা-দর্শনের মূলকথাই হইতেছে__্বাধীনতা ও আনন্দের মধ্য দিয়া শিশুমনের সুকুমার প্রবৃতিগুলির উন্মেষ যাহাতে সম্ভবপর হয়, বিদ্যালয়ে ৩৬৩ তাহার অনুকূল পরিবেশ স্থষ্টি করা, এবং সে বিদ্যালয় হইবে আদর্শ তপোবন- বিদ্যালয় । *শিক্ষাসমন্তা” প্রবন্ধে তিনি বলিয়াছিলেন, “***যে জলস্থল'-আকাশবাধুব চিরস্তন ধাত্রীক্রোড়ের মধ্যে জন্মিয়াছি, তাহার সঙ্গে যথার্থভাবে পরিচয় হইয়া যাক, মাতৃস্তন্তের মতো৷ তাহার অমৃতরস আকর্ষণ করিয়া লই, তাহার উদার মন্ত্র গ্রহণ করি, তবেই সম্পূর্ণরূপে মানুষ হইতে পারিব। বালকদের হৃদয় যখন নবীন আছে, কৌতুহল যখন সজীব এবং সমুদয় ইন্দ্রিষশক্তি যখন সতেজ তখনই তাহাদিগকে মেঘ ও রৌদ্রের লীলাভূমি অবারিত আকাশের তলে খেলা! কবিতে দাও ।:."তরুল্তার াখাপল্লবিত নাট্যশালায় ছয় অঙ্কে ছয খতুর নানারসবিচিত্র গীতিনাট্যাভিনয় তাহাদের সম্মুখে ঘটিতে দাও ।**৮ কবি তাহার এই কল্পনাকে এই সময হইতে শাস্তিনিকেতন আশ্রম-বিষ্যালয়ে বাস্তবে রূপদান করিতে লাগিলেন । এই সময হইতেই সেখানে খতু-উৎসব প্রবর্তিত হয, এবং কবি খতু-উৎসবের উপব গান ও নাটিক। লিখিতে প্রবৃত্ত হন। এই প্রসঙ্গে শ্ীপ্রভাতকুমাব মুখোপাধ্যায় লিখিতেছেন, “১৩১৫ সালেব জ্যৈষ্ঠ মাসে বিদ্যালয খুলিলে তিনি (ক্ষিতিমোহন ) কাষে যোগদান করিষাছিলেন ও সেই বৎসরই' বর্ষাকালে কৰিব ইচ্ছান্থুসারে ব্যা-উৎসব নিপ্পন্ন করেন। ক্ষিতিমোহন ও বিধুশেখব বেদাদি গ্রন্থ হইতে বর্ষার উপযোগী প্লোক ও স্তোত্র সংগ্রহ করিষ। ছাত্রদের ছারা 'আবৃত্তিব ব্যবস্থ। কবিলেন। : “ -এইবারকার বর্যা-উৎসবেব সময হইতে আশ্রমেব উৎসবাদিব মধ্যে বৈদিক মন্ত্রাদি প্রচলনেব স্ুত্রপাত হইল |" ' "রবীন্দ্রনাথের প্রগতিপ্রবাধণ মন সংস্কৃতিব ক্ষেত্রে প্রাচীনেব সহিত অচ্ছেছ্যভাবে যক্তু। প্রাচীন সংস্কভ গ্রন্থের প্রতি “শাস্ত্রের মোহ কবির কোনে। কালেই ছিল না। কিন্তু সাংস্কৃতিক পাবম্পর্হেত তাহাদিগেব প্রতি অশ্রদ্পণও কখনে! দেখান নাই । তবে বৈদিকাদি অনুষ্ঠানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব € ককির্ণটা এই সময হইতে ক্রমেই যেন বেশি করিয়া দেখা দিতে থাকে |...” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড | পৃঃ ১৭৭-৭৮ ] বর্-উৎসবের সময় রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে গ্রাম-সংস্কার কাধে ব্যস্ত ছিলেন। উৎসবের সংবাদ পাইবার পর কবি শারদোৎসবের জন্য গান বচনাষ প্রবৃত্ত হইলেন। অল্পকাল পরে শান্তিনিকেতনে ফিরিয়। তিনি “শারদোৎসব" গীতি- নাটিকাটি প্রণয়ন কবিলেন ( ৭ই ভান্র ১৩১৫ )। | বিশ্বমানবত! ও হিশ্বজ্রাগতিকতা-বোধের বিকাশ || শারদোৎ্সবের পর ববীন্দ্রনাথের মধ্যে একটি প্রবল ধর্মজিজ্ঞাসা ও আধ্যাত্িক আকুলত। প্রকাশ পায়। সেই আধ্যাত্মিক তন্ময়তায় তিনি "শান্তিনিকেতন: গ্রন্থের উপদেশমালা রচনা করেন (প্রথম আট খণ্ড--১৭ই অগ্রহায়ণ ১৩১৫ হইতে ণই বৈশাখ ১৩১৬ )। ৬ শান্তিনিকেতন উপদেশমালাব বিস্তারিত আলোচনা! এই গ্রন্থের বিষয়বহিভূর্তি। তবুও একটি কথা এখানে উল্লেখযোগ্য যে, এই উপদেশমালায় রবীন্দ্রনাথ হিন্দ্যানির কিংবা আদি ব্রাঙ্মসমাজেব সংকীর্ণ গণ্ডি ভাঙিয়! নিথখিল-বিশ্বমানবতার সহিত যুক্ত হইয়াছেন । তিনি আব 'ত্রাহ্মবাদী' নহেন, তিনি এখন ক্রন্ষবাদী' । তাহার বিশ্বমানব্তায় আজ হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্ীস্টান-_ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেবিকা- সকলেই স্থান পাইযাছে। তীহাব ধর্মসাধনায় বুদ্ধ, যীন্ড, মহচ্ৰদ, নানক, কবীব, চৈতন্য সকলেরই বাণী প্রেবণা আনিযাছে। কিস্তু ববীন্দ্রনাথেব এট তীব্র আধ্যাম্তিক আকুলত। কিসের ফলক্রুতি ? এই সময়ে কবিব পাবিবারিক জীবনে পব পর কয়েকটি বিয়োগ বিপর্যয় ও শোকাঘাতজনিত মানসিক অবস্থাকে রবীন্দ্রজীবনীকাব ইহার প্রত্যক্ষ কারণ বলিয়া অভিহিত কবিষাছেন। কিন্তু আমাদেব মনে হয়, এই কারণ গোঁণ। পক্ষান্তরে, বিগত বেশ কষেক বৎসরেব ঘটনাপবম্পরার পটভূমিকায় যদি কবির চিন্তাধার। ও কা্স্ছলাপের বিচাব কব! যায, তাহ! হইলে দেখা যাইবে, তাহার এই ধর্মজিজ্ঞাস৷ ও আধ্যাক্িক-স্ম্ছিতির মূল কারণ তৎকালীন দেশের ও বিশ্বের পরিস্থিতি। আরো! গভীরে প্রবেশ করিলে দেখা যাইবে, মানুষই তাহার ধর্মবোধ ও জীবনদর্শনের কেন্দ্র-বিন্দ-_-মানবসমাজের ও যুগের প্রয়োজনে তিনি পুরাতন ধর্মসংস্কারগুলি নির্মমভাবে ছাটিয়া ফেলিঘা যুগোপযোগী নৃতন ধর্মমত ব্যাখ্যান কবিলেন এবং উহাই শান্তিনিকেতন উপদেশমাল! । বিশ্বের মানুষের প্রয়োজনে তিনি বারবার তীহার জীবনদর্শন ও ধর্মাদর্শের সংস্কার করিয়া আসিয়াছেন। পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদী সভ্যতার নৃশংস বর্ধরত৷ ও বর্ণবিদ্বেষ বারবার ধ'বকে মর্মাস্তিক দুখ ও গীড৷ দিয়াছে । তিনি দেখিয়াছেন, পলিটিক্যাল স্বার্থ-প্রয়োজনে পাশ্চাত্যের রাজনীতি কী অমা্ধিক নিষ্ুরতায় স্তায়ধর্ম ও বিচারবুদ্ধিকে পরদলিত ৩৬৫ রবীপ্রনাথ ॥ ২, ফরিতে পারে । আর ভারতবর্ষে কিনা সেই রান্জনীতি-জাদর্শেরই পূজা! হইতেছে ! পাক্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদী লালস! যেন কবিকে পাশ্চাত্যের সব কিছুরই উপর (বিশেষ কিয়া রাজনীতির উপর ) সন্দিগ্ধ কন্িয়! তুলিয়াছে। তাছাড়া, সেইসাথে তাহার গভীর ঈশ্বরপ্রেম ও ধর্মবিশ্বাস বিশ্ব-সমস্তার সমাধানের প্রশ্নটি তাহাকে আধ্যাত্মিক- ভাবেই চিন্তা করিতে বাধ্য করিয়াছে । অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের কাছে তখন নবযুগের ন্ম্যা-ধর্মাদর্শের সমস্ত, রাজনৈতিক বা! অর্থ নৈতিক, সমস্তা নহে--সেই ধর্ধাদর্শের অমস্যা, যাহা সর্বদেশ সর্বজাতি ও বিশ্বমানবকে এক করিয়! মিলাইয়া দিবে । তাই এইবারকার ( ১৩১৫ ) মাঘোৎসবের ভাষণে তিনি এ উৎসবকে 'ব্রান্মোৎসব' না বলিয়া 'ব্রন্মোৎসব আখ্যা দান করিলেন। ব্রাহ্ষসমাজের নহে, উহা! মানব- সমাজের উৎসব বলিয়া আজ তিনি অনুভব করিতেছেন; আজ তিনি ধর্ম-সমম্বয় ও জাতি-সমন্বয়ের কথা চিন্তা করিতেছেন। এই যুগে রবীন্দ্রনাথের ধর্মসাধনার স্বরূপটি সংক্ষেপে বর্থনা করিতে গিয়৷ শ্ীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায লিখিষাছেন, “শাস্তিনিকেতনের উপদেশমালার পব হইতে কবির জীবনে ধর্ম সম্বন্ধে প্রশ্ন নানাভাবে দেখা দিয়াছে । ধর্মের একত্‌ ও সার্বভৌমত্ব সম্বন্ধে কবির যে জ্ঞান এতাবৎকাল উপনিষদের মধ্যে আবহ্ধ ছিল, তাহা! এখন তাহার সংকীর্ণতা ত্যাগ করিয়৷ বিচিত্র ধর্ম ও মতের উদার ক্ষেত্রে আসিষা পভ়িযাছে, ঈশ্বব ষে সম্প্রদাষেব বাহিরে তাহা! স্পষ্টতর হইতেছে । শান্তিনিকেতনের মন্দিরে কবি খুষ্ট এ চৈতন্য মহাপ্রভু সম্বন্ধে শ্বয়ং ভাষণ দান করিলেন এবং অনতিকালের মধ্যে ভগবান বুদ্ধ ও হজরত মহম্মদের স্মরণ দিন .পাল ন-রীতি প্রচলিত হইল ' এছাডা কবির ধর্ম সম্বন্ধে ' যে জ্ঞান এতকাল উপনিধদের মধ্যে আবদ্ধ ছিল, তাহা বিস্তার লাভ করিল মধ্য- যুগীয় সম্ভদের জীবনের মধ্যে । এই সম্ভদের বাণীর মধ্যে করি তাহার অস্তবের বাণীর সায় পাইলেন ।...এই মধ্যযুগীয় সাধকদের সাহ৩ "উাহীর পরিচষ ঘটাইলেন অধ্য।পক ক্ষিতিমোহন সেন।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পঃ ১৮৮] এই উপদেশমালা লিখিবার কয়েকমাস পরেই রবীন্দ্রনাথ 'গীতাঞ্জলি' রচনা, সুরু করেন ( ১৩১৩ আষাঢ় )॥ ইহা'রই ফাকে বিছ্যালয পরিচালনা ও “গোরা উপন্তাস রচনার কাজ জ্রুত চলিতে থাকে । ভান্র মাসের শেষের দিকে রথীন্দ্রনাথ আমেরিক! হইতে পাঠ সমাপন করিয়া দেশে ফিরিলেন। প্রায় মাসখানেক পরে রথীক্রনাথকে সঙ্গে লইয়৷ কবি শিলাইদহে যান। রথীন্ত্রনাথ সেখানে পল্পী-উন্নয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করেন-_ইহাই ছিল কবির ইচ্ছাঁ। এই সময় রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে এই বৎসরের রাখি-উৎসব উদ্যাপনের সম্পর্কে কয়েকটি নির্দেশ সটডত দিয়া অজিতকুমারকে একটি পত্র লিখেন। নানাদিক দিয়া পত্রধানি অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ । কবি লিখিতেছেন, “ছুটি পর্যস্ত আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব মনে ছিল। যদি থাকতুম তাহলে ৩০শে আশ্বিনের উৎসবকে আমি একটা বড়ে৷ দিক থেকে সত্য দিক থেকে দেখবার ও দেখাবার বিশেষ চেষ্টা করতৃম। আমি কোনো সংকীর্ণ বিরোধের ভাব এবং তৎসংক্রাস্ত চিতদাহ্‌কে প্রশ্রয় দিতুম না, আমার রাখিবন্ধনের মধ্যে কোনে! সাময়িকতার ক্ষোভ ও খণ্তা থাকতে দিতৃম না। যে-রাখিতে আত্মপরু শত্র-মিত্র স্বজাতি-বিজাতি সকলকেই বাঁধে সেই রাখিই শাস্তিনিকেতনের রাখি । ঈশ্বর শাস্তির বীজকে বিরোধের ভিতরেই নিহিত করেন, কিন্তু বিরোধকে ভেদ কনে তাকে অতিক্রম করেই সে বড়ে| হযে ওঠে-বিরোধের মাটির ভিতরেই যদি সে থেকে যায় তবে সে পচে মরে। আমাদের রাখিবন্ধনের বীজ্গ বিরোধের ভিতর 'থকে তাকে ভেদ করেই ছাযাময বনম্পতি হয়ে উঠবে। বর্তমান ভারতবর্ষে যাদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিকূলত। আছে এ-বাথি তাদের কাছ থেকেও নিরস্ত হবে ন|।""আমরা বারংবার সহম্রবার সকলকেই গ্রীতির বন্ধনে, এঁক্যের বন্ধনে বাধবার “চেষ্টা করব । ''পূর্ব-পশ্চিম রাজা-প্রস্তা সকলকেই ভারতবর্ষ সকল প্রকার বিরুদ্ধতার ভিতরেও একক্ষেত্রে আকর্ষণ করবার জন্য চিবদিন চেষ্ট। করছে--এই তার ধর্ম, এই তার কাঙ্গ, অন্যদেশেব পোলিটিকাল উতিহাস থেকে এ-সম্বন্বে আমি কোনে। শিক্ষা নিতে প্রস্তত নই, আমাদের ইতিভাস স্বতন্ব। আমাদের দেশে মনুষ্যত্বের একটি অতি উদার অতি বিরাট ইতিহাস স্ষ্টিব আয়োজন চলছে এই আমার নিশ্চয় বিশ্বাস__যেমন ইংরেজ পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গকে সত্যই স্বতস্্ব করে দেবার মালিক নয় তেমনি আমরাও রাঙ্ বন্ধনের গণ্ডির দ্বারা ভারতবর্ষে কেবল আমাদের মনৰ মতো! জাতিকেই গডব এবং অন্যকে বর্জন করব তা৷ চলবে না। যারা আমাদের আমাতু ব্রবন্তেও এসেছে তাদেরও অ'মর। আত্মসাৎ করব, আমাদের উপর এই আদেশ আছে । “তোমাদের আশ্রমে তোমাদেব রাখিবন্ধনের দিনকে খুব একট! বড়োদিন করে তুলো । বড়োদিন মানে প্রেমের ধিন, মিলনের দিন--যে-প্রেমে যে-মিলনে ভাবতের সকলেই আহত, ভারতবর্ষের যজ্ঞক্ষেত্রে আজ বিধাতা যাদের নিমস্্ণ করে এনেছেন আমর! তাদের কাউকে শক্র বলে দুরে ফেলতে পারবো ন1।-" বঙ্গবিভাগের বিরোধ- ক্ষেত্রে এই যে রাখিবন্ধনের দিনের অভ্যুদয় হয়েছে এর অখণ্ড আলোক এখন এই ক্ষেত্রকে অতিক্রম করে সমস্ত ভারতের মিলনের স্থুপ্রভাতরূপে পরিণত হোক। তাহলেই এই দিনটি ভারতের বড়োদিন হবে। তাহলেই এই বড়োদিনে বুদ্ধ, খুস্ট, ৩৩৭ মহস্মদের মিলন হবে। একথা কেউ বিশ্বাস কববে না কিন্তু আমাদেৰ বিশ্বাস করতে হবে।'-"আমাদের মধ্যে অনেকেই সামধিক নেশায় ভোব হয়ে আছি--সেইজস্ক ৩*শে আশ্িনেৰ মতো! দেশব্যাপী উন্মত্ততার দিনে নিত্য সত্যকে অব্জ! করার আশঙ্কা আছে__সেইজন্যই আমি বারবাব কবে তোমাদেব সতর্ক কবতে চাই। যা শরষ্ঠ, য| মহত্বম, ষ। সত্যতম তাব থেকে লক্ষ্য কোনো কাবণেই কোনোমতেই ফেবাতে দিয়ো না। যদি লোকেব কর্ণ বধিব হয় তবু সত্যেব মন্ত্রই শোনাতে হবে-_ অন্তত আমাদের আশ্রমে বেস্থব না বাজে, ধিনি শাস্তং শিবমঘ্বৈতং তাকে যেন কোনোদিনই কোনোমতেই আমবা৷ ন। ভুলি--তাব চেষে আব-কাউকে আমবা যেন বডো কবে নাতুলি। ” [বিশ্বভাবতী পত্রিক।ঃ ১ম বর্ষ ॥ ৫ম সংখ্যা, ১৩৪৯ অগ্রহায্ণ] এই পত্রটিতে আমব! ববীন্দ্রনাথেব তৎকালীন চিন্তাধাবাব একটি পূর্ণ চিত্র পাই । জাতীযতাবাদী বাজনৈতিক আদর্শ মানবতাকে খণ্ড খণ্ড কবিষা (দরিষা নিখিল- মানবেব মাঝে বিভেদ-বিদ্বেষ বাঁডাইয! তুলিতেছে-_বাজনীতিব এই বিভেদমূলক আদর্শ ববীন্দ্রনাথেব মত সত্যনিষ্ট মানবপ্রেমিক কবিকি সন্ধষ্ট কবিতে পাবিল ন।। এমনকি উতবাজবিবোধী জাতী আন্দোলনকেও তিনি “সাময়িকতাব ক্ষোভ: বলিল অভিগ্থত কবিতে দ্বিধা কবিলেন না। বাজনীতিব সামধিক লক্ষ্য হইতে 'আবে। বডে। লক্ষ্য 9 আদর্শ আজ ভাবতবর্ষে উচ্চে তুলিয। ধবিতে হইবে , এব' উহা! হইতেছে সর্বদেশ-সর্জাতি মিলনেব আদর্শ। এঁতিহাসিক ও বাজনীতিবিদেব বিচাবে হযত ববীন্দ্রনাথেব এই অতিমাত্ বিশ্বপ্রেমেব আদর্শ দেশেব তৎকালীন বাজনৈত্বিক অবস্থাব পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রান্তি জনক মতাদর্শ বলিষ বিবেচিত হইবে । ভাবতব্ষেব মন্ত একটি পবাধান দেশে জাতীয মুক্তিলাভই তখন প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হওনা উচিত , পক্ষান্তবে ববীন্রনাথে এই বিশ্বমৈত্রীব আদর্শ পবোক্ষভাবে জাতীয় মুক্তি আন্সেলনেব গুরুত্বকে লঘু কবিষ! দিবে এব" পৰোক্ষভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদে৭ গর্মীয়ত্বকে সহাষতা! কবিবে-_ আপাতদৃষ্টিতে হয়ত এইবপ মনে হইতে পাবে। কিন্তু ভূলিষ! গেলে চলিবে ন! যে, ববীন্দ্রনাথ আসলে মহান মানবপ্রেমিক কবি ৪ ভাবুক। শুধু আজ জয়, “বংশশতাবীব সুচনাকালেই তিনি সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে কী কঠোব ভাষায় আক্রমণ কবিযাছিলেন, তাহাও ম্মবণ রাখা দবকার | «নৈবেগ্”-এ সেদিন কবি লিখিয়াছিলেন, 41150 09000 19855101) 01 ০০1171050 01 2৮101) 2) 15 010100001) 86০]10]) 06 670০0, ১৭ 02010111660 07০ 019০) 01 ৭৮০৫] 2100 08৫ 05117) ৬৪5০৪ 01 01720810965 ৬ রবীন্্নাথের ভয়, জাতিপ্রেনের নামে পাশ্চাত্য দেশের এই জাতিবিদ্বেষ ও পরশ্বাপহরণ প্রবৃত্তি অলক্ষিতে পাছে আমাদিগকেও পাইয়া বসে। তাই তিনি ভারতবর্ষের স্বাদেশিক সংগ্রামে পাশ্চাত্যের জাতীয়তাবাদী 'আদর্শ গ্রহণ করিতে পারেন নাই। এই উন্মত্ত বর্বরতার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ দেখিতেছেন, চারিদিকে আজ সভ্যতা ও আদর্শের সংকট উপস্থিত হইয়।ছে। পৃথিবীর এই সংকট-মুহূর্তে প্রাচ্যদেশ হইতেই, এবং হষত ভারতবর্ষ হইতেই, বিশ্বমানবের মুক্তির ইশীরা ও সন্ধান মিলিবে । আর শান্ঠিনিকেতনই সারা পৃথিবীর সমক্ষে আঙ্গ সেই বিশ্ব মানবতা ও বিশ্বমৈত্রীর আদর্শ তুলিয়! ধরুক, ইহাই কবির কামনা । তাই ভিনি এ পত্র অঙ্গিতকুমারকে বাব বাব মতর্ক করিয়া! দিঘা লিখিলেন, “সাধারণত গামাদের দেশে যে ভাবের ত্তেঙজ্গন!। প্রচলিত হয়েছে আমি সেই ভাবটিকে শাস্তিনিকেতনেব বস্তালয়েব উপযোগী মনে কবি নে- বস্তুত সে-ভাবটি €ও-জায়গার পক্ষে অসংগত 1” ইহার কষেক মাস পবে, ১৫ -অগ্রভামণ, কলিকাতা ওভারটুন হলে কবি তাহার বিগ্যাত 'তপোবন' প্রবন্ধটি ( প্রবাসী, ১৩১৬ পৌষ । পাঠ করিলেন । এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ভাবতের প্রাচীন তপোবন-সভ্যতাকে শ্রেষ্ঠ আদর্শ বলিষ| প্রতিপন্ন করিতে চাহ্িলেন। আধুনিক যুক্তিবাদী দৃষ্টিতে তিনি উহ্হাকে কিছুটা সংস্কার করিয়। লইতেও প্রস্তত । কিন্ত জাতীয় শিক্ষাদশেব প্রশ্নে তিনি প্রাচীন তপোবনের শিক্ষাপ্রণালীব মুল ভাবটিকেই গ্রহণ কবিবার কথ। বলিশেন, “বততমানকালে এখনি দেশে এইরকম তপন্ার স্থান, এইরকম বিদ্যালয় “ অনেকগুলি হবেঃ আমি এমন্তরে। আশা! কবি নে । কিন্ত আমরা যখন বিশেষভাবে জাতীয় বিদ্যালযেরৎপ্রস্থিষ্ঠা করবার জন্যে সম্প্রতি জাগ্রত হযে উঠেছি তখন ভারত- বর্ষের বিদ্যালয় যেমনটি*হ ৭ উঠিগর্জস্তত তার একটিমাত্র আদর্শ দেশের নান চাঞ্চলা, নানা বিরুদ্ধাভাবের আন্দোলনের উধ্র্ধে জেগে এঠা দরকার হযেছে ।” অর্থাৎ তিনি শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়েব কথাই এখানে উল্লেখ করিতেছেন । তিনি আরও বলিলেন, “ন্যাশনাল বিদ্যাশিক্ষা বলতে যুরোপ যা বোঝে আমরা যদি তাই বুঝি তবে তা৷ নিতান্তই বোঝার ভুল হবে। আমাদের দেশের কতকগুলি বিশেষ সংস্কার, আমাদের জাতের কতকগুলি লোকাচার, এইগুলির দ্বারা সীমাবদ্ধ করে আমাদের স্বাজাত্যের অভিমানকে অত্যুগ্র করে তভোলবার উপায়কে আমি কোনোমতে ন্তাশনাল শিক্ষা বলে গণ্য করতে পারি নে। জাতীয়তাকে আমরা পরম পদার্থ বলে পৃজ! করি নে এইটেই হচ্ছে আমাদের জাতীয়তা |". উপসংহারে কবি বলিলেন, “ভাই আজ আমাদের অবহিত হয়ে বিচার করতে হবে যে, যে সত্যে ভারতবর্ষ আপনাকে আপনি নিশ্চিতভাবে লাভ করতে পারে সে সত্যটি কী। সে সত্য প্রধানত বণিগ্বৃত্তি নয়, ব্বরাজ্য নয়, স্বাদেশিকতা নয়, সে সত্য বিশ্বজাগতিকত।। সেই সত্য ভারতবর্ষের তপোবনে সাধিত হয়েছে, উপনিষদে উচ্চারিত হয়েছে, গীতায় ব্যাখ্যাত হয়েছে; বুদ্ধদেব সেই সত্যকে পৃথিবীতে সর্বমানবের নিত্য ব্যবহারে সফল করে তোলবার জহ্বে তপশ্ঠা করেছেন এবং কালক্রমে নানাবিধ ছুর্গতি ও বিকৃতির মধ্যেও কবীর নানক প্রভৃতি ভারতবর্ষের পরবর্তী মহাপুরুষগণ সেই সত্যকেই প্রকাশ করে গেছেন। ভারতবর্ষের সত্য হচ্ছে জ্ঞানে অন্বৈততত্ব, ভাবে বিশ্বমৈত্রী এবং কর্মে যোগসাধনা । ভারতবধের অন্তরের মধ্যে যে উদার তগস্ত। গভীরভাবে সঞ্চিত হয়ে রয়েছে সেই তপস্তা আজ হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ এবং ইংরেজকে আপনার মধ্যে এক করে নেবে বলে প্রতীক্ষা করছে__দাসভাবে নয়, জড়ভাবে নয়, সাত্বিকভাবে সাধকভাবে |.” [ তপোবন- শিক্ষা! ( সংস্করণ £ ১৩৫৭ আধাঢ )।। পঃ ১২৬২৯] এক কথায়, রবীন্দ্রনাথ দেশকে পাশ্চাত্যের উগ্র জাতীয়তাবাদের আদর্শ পরিত্যাগ করিয়া আন্তর্জাতিকতা বা বিশ্বজাগতিকতাব আদর্শ গ্রহণ করিবার আহ্বান জানাইলেন। রবীন্দ্রনাথের এই আস্তর্জীতিকতাবাদকে “আধ্যাত্মিক বিশ্ব- জাগতিকতাবাদ' (91)1061] [11017000001191)) নামে অভিহিত করাই শেয়। ইহার প্রা মাস দুই পরে কলিকাতায মাঘোৎসব উপলক্ষে কবি “বিশ্ববোধ নামক প্রবন্ধটি পাট করিলেন। তপোবন প্রবন্ধে তিনি যে কথা বলিয়াছেন, তাহাই এই ভাষণে আরো জোর দিয়া তিনি বলিলেন, “.”"আমাদের দেশে নানা জাতি এসেছে, বিশহীত্-দর্ণিক থেকে নান! বিরুদ্ধ শক্তি এসে পড়েছে, মতের অনৈক্য, আচারের পার্থক্য, স্বার্থের সংঘাত ঘনীভূত হয়ে উঠেছে । আমাদের সমন্ত শক্তি দিয়ে ভারতবর্ষের বাণীকে আজই সত্য করে তোলবার সময় এসেছে । যতক্ষণ তা ন। করব ততক্ষণ বারবার কেবল আঘাত পেতে থাকব” কেবলি অপমান কেবলি ব্যর্থতা ঘটতে থাকবে, বিধাত। একদিনের জন্তেও আমাদের আরামে বিশ্রাম করতে দেবেন না।” [ শাস্তিনিকেতন--রবীন্ত্-রচনাবলী £ ১৪শ খণ্ড ॥ পৃঃ ৫১৬ ] ৩২৩ || গোদ্লা ॥ ইতিমধ্ো শ্রাবণ মাস ১৩১৬ নাগাদ কৰি “গোরা? উপন্তাসখানি রচনা সমাপ্ত করিলেন। গোরা উপন্াসের বিস্তারিত আলোচন| এই গ্রন্থের বিষয়বহিভূ্ত। কিন্ত এখানে ইহাও উল্লেখযোগ্য যে, গোর! মূলত -রাজনৈতিক উপন্তাস। উনবিংশ তাবীর শো্থের সস্কারবাদী ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূল ধারাটি রবীন্দ্রনাথ স্থনিপুণভাবে এই উপন্যাসে চিত্রিত করিয়াছেন। এই আন্দৌলনেই সমগ্র উপন্তাসথানির পটভূমিকা রচিত হইয়াছে । গোর। উপন্যাসের আখ্যানভাগ সকলেরই নিকট এতই স্থপরিচিত যে উহার উল্লেখের প্রয়োজন নাউ । গোর! চরিত্র মেন রবীন্দ্রনাথের নিজেরই আত্মকাহিনী । গোরার শ্তরু ধর্মে ও সাম্প্রদায়িকতায়, সমাপ্তি ধর্ম ও সম্প্রদায়-নিরপেক্ষতায়। গোরার শুরু হিন্দু জাতীয়তাবাদে, সমাঞ্ধি বিশ্বমানবতায়। উনবিংশ শতাবীর অবসানকালে ও বিংশ শতাব্দীর প্রারস্তে বাংলার বুদ্ধি- জীবীদের মধো হিন্দু জাতীয়তাবাদী অদদর্শ কিরূপ তীব্র ও প্রবল আকার ধারণ করিয়াছিল, সে-কথ! আমর। পূর্বেই বিস্তারিত আলোচন। করিয়াছি । সেই যুগে লিখিত রবীন্দ্রনাথের নববর্ষ, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, হিন্দুত, ব্রাহ্মণ সমাজভেদ প্রভৃতি প্রবন্ধ মুলোচনাকালে আমর। ঠাহার “হিন্দুয়ানি'র একট! বিস্তারিত চিত্র পাইয়াছি। তারপয দেশী, ফ্রগ্শালনের পরব্তীকালে নান ছন্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়া রবীন্দ্রনাথ এই “হিন্দ্যানি'র গণ্ডি অতিক্রম করিয়া এক অখণ্ড বিশ্বমানবতার এ বিশ্বজাগতিকতার সত্যে উপনীত হইতেছেন। হিন্দুধর্ম হইতে সর্বধর্মসমন্তয়, জাতীয়তাবাদ হইতে বিশ্বজাগতিকতাবাদ-কবি-জীবনের এই আদর্শ-অস্বীক্ষার সুদীর্ঘ গতিপথটিই যেন গোরা উপন্যাসের মূল বিষয়বস্ত হইয়! উঠিয়াছে। গোরার মতে বলিষ্ঠ ও প্রবলপ্রাণ চরিত্র বাংলা-সাহিত্যে আজ পযন্ত সৃঠি হইয়াছে কিনা .সন্দেহ। গোরা যেন বিবেকানন্দ, নিবেদিতা, ক্রক্বাদ্ধব, রবীন্দ্রনাথের বলি হৃদয়বততার মূর্ত প্রতীক । গোরা যেন সমগ্র ভারতের অপমানিত ও লাঞ্ছিত জাতীয়তার প্রচণ্ড সংক্ষোভ। তাহার জুন্ধ অশান্ত প্রাণ কালবৈশাখীর ঘন আধির দুর্যোগে যেন বন্ধের মত আকাশে-আকাশে গর্জন করিয়। ফিরিতেছে। ৩১১ গোরার অস্থীক্ষাস্ঈত্বর নয়, ধর্মভত্ব নয়, গ্ায়শান্ত্র নয়। তাহার লক্ষ্য-. পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করিয়া! ভারতের জাতীয় কলঙ্ক মোচন, ভারতের জাতীয় পুনরুত্যুখান। তাহার স্বপ্র-- প্রাচীন হিন্দুভারত। গোরা--গৌঁড়। হিন্ছুত্রাঙ্ষণ। কিন্তু তাহার হিচ্দুত্ব জাতীয়তাবাদের জন্য। সে যে ত্রিবেণীতে গঙ্গাত্সানে চলিয়াছে তাহা পুণ্যসঞ্চয়ের লোভে নয়, গঙ্জান্দানের প্রতি বিশ্বাসবশেও নয় ; পরস্ত “গোরা ষে ভ্রিবেণীতে স্বান করিতে সংকল্প করিয়াছে তাহার কারণ এই যে, মেখানে অনেক তীর্থযাত্রী একত্র হইবে, সেই জন- সাধারণের সঙ্গে গোরা নিজেকে এক করিয়৷ মিলাইয়! দেশের একটি বৃহৎ প্রবাহের মধ্যে আপনাকে সমর্পণ করিতে ও দেশের হৃদয়ের আন্দোলনকে আপনার হৃদয়ের মধ্যে অন্থভব করিতে চায়।:.'দেশের সাধারণের সঙ্ষে সমান ক্ষেত্রে নামিয়া ঈাড়াইয়। মনের সঙ্গে বলিতে চাষ, “আমি তোমাদের, তোমরা আমার |” [ গোর! ( পুনমু্রণ ২ ১৩৩৫ চৈত্র )।| পৃঃ ৫১] স্বদেশের যে মৃতি গোরাকে বিক্ষুন্ধ অশান্ত করিয়৷ তুলিয়াছে, তাহাই কথা- প্রসঙ্গে সে বিনয়কে শুনাইল, “ভাই, আমার দেবীকে আমি যেখানে দেখতে পাচ্ছি সেতো! সৌন্দর্যের মাঝখানে নয় সেখানে ছুঠিক্ষ দারিদ্র্য, সেখানে কষ্ট আর অপমান। সেখানে গান গেয়ে, ফুল দিয়ে পুজো নষ , সেখানে প্রাণ দিয়ে, রক্ত দিযে পুজো করতে হবে__.""এ একটা ছুর্জয় দুঃসহ আবির্ভাব এ নিষ্টুর, এ ভযংকর--এর মধ্যে সেই কঠিন ঝংকার আছে যাতে করে সপ্ত স্থর একসঙ্গে বেজে উঠে তার ছিড়ে পড়ে যায়। মনে করলে 'আমার বুকের মধ্যে উল্লাস জেগে ওঠে_*'রক্তবর্ণ আকাশক্ষেত্রে একট। বন্ধনমুক্ত জোতির্য় ভবিষ্ঘকে দেখতে পাচ্ছি-_ দেখো আমার বুকের ভিতরে কে ডমরু বাজাচ্ছে।” [ এ |) পৃঃ ১২৭-২৮ ] একদিন হুচরিতাকে সে বলিল, “*-'গাপতঙ্েরু নান /এঁকার প্রকাশে এবং বিচিত্র চেষ্টার মধ্যে আমি একটা! গভীর ও বৃহৎ এঁক্য দেখতে পেয়েছি, সেই এঁক্যের আনন্দে আমি পাগল । সেই এঁক্যের আনন্দেই, ভারতবধের মধ্যে যার৷ মূুতম তাদের সঙ্গে এক দলে মিশে ধুলোয় গিয়ে বসতে আমার মনে কিছুমাত্র সংকোচ বোধ হয় না। "আমি আমার ভারতবর্ষের সকলের সঙ্গে এক; তারা আমার সকলেই আপন $ তাদের সকলের মধ্যেই চিরস্তন ভারতবর্ষের নিগৃঢ আবির্ভাব নিয়ত কাজ করছে'*' ।" [এ ॥ পৃঃ ১৯৭ ] গোর! খালি পায়, খালি গান, মাথায় চাদর জড়াইয়! গ্রাম পরিভ্রমণে বাহির হইয়াছে । ঘোষপুর-চরে নীল “কুঠির সাহেব ও পুলিসী দৌরাজ্মের প্রতিবাদে মাজিস্ট্রেট সাহেবকে শাসাইয়া, আসিয়াছে; ছেলেদের পক্ষ লইয়া পাহারাওয়ালা ৩১২ সিপাহীদ্দের ধরিয়া প্রহার করিয়াছে বিচারে একবৎসর কারাদণ্ডও ভোগ করিযাছে। জেলখানা হইতেই মা-আনন্দময়ীকে সে লিথিতেছে, “পৃথিবীতে যখন আমর! ঘরে বসিয়৷ অনায়াসেই আহারবিহার করিতেছিলাম, বাহিরের আকাশ এবং আলোকে অবাধ সঞ্চরণের অধিকার যে কত বড়ে। প্রকাণ্ড অধিকার তাহা অভ্যাসবশত অন্ুভবমাত্র করিতে পারিতেছিলাম না, সেই মুহুর্তেই পৃথিবীর বনহ্ুতর মান্তষই দোষে এবং বিনা! দোষে ঈশ্বরদত্ত বিশ্বের অধিকার হইতে বঞ্চিত হইয়া যে বন্ধন এবং অপমান ভোগ করিতেছিল 'মাজ পর্ধন্ত তাহাদের কথা ভাবি নাই, তাহাদের সঙ্গে কোনো সন্বন্ধই রাখি নাই-_এবার আমি তাহাদের সমান দাগে দাগি হইয়া বাহির হইতে চাই, পৃথিবীর অধিকাংশ রুম ভালোমান্ঘ যাহারা ভদ্রলোক সাজিয। বসিয| আছে তাহাদেব দলে ভিড়িয়। আমি সম্মান বাচাইয়া চলিতে চাই ন|। “মা, এবার পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় হইয়া! আমার অনেক শিক্ষা হইয়াছে 1**. যাহারা দণ্ড পায় না, দণ্ড দেষ, তাহাদেবই পাপের শান্তি জেলের কযেদির! (ভোগ করিতেছে , সপক্নাধ শডিয়া তুলিতেছে- অনেকে মিলিষ।, প্রাষশ্চিন্ত করিতেছে ইহারাই |. | এ ॥ পৃঃ ২৯৬-৯৭ ] আর একদিন বিনয়কে গোবা বলিতেছে, “*** সমস্থ পুথিবী যে-ভারতবর্যকে ত্যাগ কবেছে, যাকে অপমান করেছে, আমি তারই সঙ্গে এক 'অপমানের আসনে স্বান নিতে চাই-_-আমার এই জ্ঞাতিভেদেব ভাবতবর্ষ, আমার এই কুস.স্কারের ভাবতবর্ষ, আমার এই পৌত্তলিক ভাবতবর্ষ । তু এব সঙ্গে ফি ভিন্ন হতে চাও তবে আমার সঙ্গেও ভিন্ন হবে ।” [এ | পঃ ৪৬২7 স্থচরিতাব কাছে গোবা একদিন পবিষ্কাব স্বীকার করিল, “দেখো, আমি তোমাকে সত্য কথা বব । আসিস্পিকুব্কেভক্তি করি কি না ঠিক বলতে পারি নে, কিন্ত আমি আমাব দেশের ভক্তিকে ভক্তি করি । এতকাল ধরে সমস্ত দেশ্রে পুজা যেখানে পৌচেছে আমার কাছে সে পূজনীয । আমি কোনো মতেই খুস্টান মিশনারির ঘতো৷ সেখানে বিষদুষ্টিপাত করতে পাবি নে।” আবে! পরিষ্কার কবিয! গোনা বলিল, “অর্থাৎ, তুমি জ্ঞানতে চাও, আমি কোনোদিনই ঈশ্বরকে চেয়েছি কি না। না, আমার মন ও দিকেই যায নি, ,**কিন্তু আমার দেশের লোকের ভক্তিকে তোমরা যে উপহাস করবে, এও ৬ "মি কোনোদিন সহ করতে পারব নাঁ।"**” [ এ ॥। পৃঃ ৫৩২-৩৫ ] তারপর একদিন কঠিন নির্মম আঘাতে গোরার হিন্দুয়ানির স্বপ্র-সৌধ ভাঙিয়া গেল। সে জানিল--সে মিউটিনির সময় কুডাইয়া-পাওয়! ছেলে, সে আইরিশম্যান। ৩১৩ কঠিন ছুখ ও আঘাতেব মাঝে গোবা সত্যকে আবিষ্কার করিল। ধর্ম ও সাম্জ্রদার়িকতাৰ বাধ ভাঙিয়! গিয়া তাহার মধ্যে আলিল বিশ্বমানবতার প্লাবন। গোর। ছুটিয়৷ পরেশবাবুর কাছে গিয়া আছাড খাইয়া পড়িল, "না, আমি হিন্দু নই | “ভাবতবর্ষেব উত্তব থেকে দক্ষিণ পর্বস্ত সমস্ত দেবমন্দিরের দ্বার আজ আমার কাছে রুদ্ধ হয়ে গেছে-আজ সমম্ত দেশের মধ্যে কোনো পঙ্ক্তিতে কোনো জায়গায় আমার আহাবেব আসন নেই। “আজ আমি মুক্ত, পুরশবাবু। আমি যে পতিত হব, ব্রাত্য হব, সেভয় আব আমাব নেই। আমাকে আর পদে পদে মাটিব দিকে চেষে স্তচিতা বাঁচিয়ে চলতে হবে ন!। « আমি একেবাবে ছাড। পেষে হঠাৎ একটা বৃহৎ সত্যে মধ্যে এসে পড়েছি। আজ আমি সত্যকাব সেবাব অধিকাবী হযেছি, সত্যকার কর্মক্ষেত্র আমার সামনে এসে পডেছে--সে আমাব মনের ভিতবকাব ক্ষেত্র নয_সে এই বাইবেব পঞ্চবিংশতি কোটি লোকেব যথার্থ কল্যাণক্ষেত্র। " আমি যা দিনবাত্রি হতে চাচ্ছিলুম অথচ হতে পারছিলুম না, আজ আমি তাই হয়েছি। আমি আজ ভাবতবধীয়। আমাৰ মধ্যে হিন্দু মুলমান খৃষ্টান কোনে! সমাজেব কোনে। বিবোধ নেই । আজ এই ভাবতবর্ষেব সকলেব জাত 'আমাব জাত, সকলের অন্নই আমাব অন্ন” [ এ ॥॥ পৃঃ ৬৭৩-৭৫ ] এ কথা গোবাব জবানীতে ববীন্দ্রনাথেবই কথা তপোবন প্রবন্ধে যে কথ! মাত্র কয়েকদিন আগেই তিনি বলিষাছিলেন, “ভারতবর্ষে অন্তরেবমধ্যে যে উদাব তপস্য। গভীবভাবে সঞ্চিত হয়ে রয়েছে সেই তপস্যা আজ হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ এবং ইংরেজকে আপনাৰ মধ্যে এক কবে নেবে বলে প্রতীক্ষা কবছে-_দ।পগ্াবে ঘ্বুয়, জডভাবে নয, সাত্বিকভাবে, সাধকভাবে ।” সমগ্র উপন্তাসধানিতে রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ও ব্রাক্মমমাজেব সংকীণতাকে তীক্ষ বিদ্রপ ও উপহাস কবিয়াছেন । ববীন্দ্রনাথ স্বয়ং তখনও আদি ত্রাহ্মসম'জের সম্পাদক, ত৭ুও এই সমাজেব দোষ-ক্রাটগুলিকে নির্মমভাবে সমালোচন। করিতে তিনি দ্বিধাবোধ করেন নাই । মনে-প্রাণে তখন তিনি ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সকল গণ্তিই অতিক্রম করিয়া আসিয়াছেন। গোর। উপন্তাসেও আমরা তাহারই প্রতিফলন দেখিতে পাই । গোর! রচনার পর হইতে রবীন্দ্রনাথ আশ্রমের মধ্যে আস্তে আন্তে সামাজিক সংস্কারগুলি ভাঙিমা ফেলিতে গুরু করিলেন। ইহার মাস পাচ-ছয় পরলে তিনি রখীজনাথের বিবাহ দিলেন। পুত্রবধূ গ্রতিম! দেবী ছিলেন বালবিধব!। ৩১৪ কিছুকাল হইতেই কবি এই বালবিধবা-সমস্যা লইয়া গভীরভাবে চিন্তিত হইয়া উঠিয়াছিলেন। কথা প্রসঙ্গে একদিন তিনি উত্তেজিত হইয়া! বলিয়াছিলেনঃ “আমি রঘীর বিবাহ হয় অসবর্ণে দিব, নয় বিধবার সহিত দিব? শেষপর্যন্ত কবি তাহার এই বথা কার্ধে পরিণত করিলেন। এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখিতেছেন, “মাঘোৎ্সবের তিন দিন পরে রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথের বিবাহ হইল (১৩১৬ মাঘ ১৪)। এই বিবাহের মধ্যে বৈশিষ্ট্য ছিল; রথীন্দ্রনাথের বধূ প্রতিম! দেবী, গগনেন্দ্নাথ ঠাকুরের ভগ্নী বিনয়নী দেবীর বিধব। কন্যা । বিধবাবিবাহ ঠাকুরবাডিতে এই প্রথম, স্থতরাং সামাজিক দিক হইতে আদি ব্রাঙ্মসমাজের পক্ষে ইহা বিপ্রবাত্থক । আইনের সাহাদ্যে হিন্দুসাজের কোনোপ্রকার সামাজিক সংস্কার করা বিষয়ে মহ্র্ষির ঘোর -আাপন্তি ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় 'আইন দ্বারা বিধবাবিবাহ সিদ্ধ করিবার জন্য আন্দোলন করায় মহধির অন্রকুলতা তিনি লাভ করেন নাই । যাহাই হউক, এতকাল পরে ঠাকুর পরিবারের বন প্রাচীন সংস্কার রবীব্রনাথের হাতেই আঘাত পাইল, তবে তিনি কোনে, আইনের দ্বার এই বিবাহ সিদ্ধ করেন নাই । এই ঘটনার পৰ আদিসম'জের বহু সংস্কার একে একে ভাঙিয়া গেল।” " রবখন্্রভীবনী £ ত্য খণ্ড || প্রঃ ২১৯] এই ঘটনার প্রা চার মাস পবে তিনি আশ্রমের মধ্যে একটি অসবর্ণ বিবাহ দিলেন ._অজিতকুমাব চক্রবর্তীব সহিত অ'শ্রমকন্য' লাবপ্যলেখার বিব'হের তিনিই ছিলেন মূল উদ্যোক্তা । ৩১৫ 4 গীতাঞ্জলি || ১৩১৭ সালের শরতের প্রারন্তেই রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি রচন৷ সমাপ্ত করিলেন €২৯শে শ্রাবণ)। পুজার পূর্বেই উহা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। ভাবসম্পদের দিক হইতে শাস্তিনিকেতন উপদেশমালা ও গীতাঞ্জলিব মধ্যে একটি অখণ্ড যোগস্থত্র লক্ষ্য করা যায়। এককথাষ- শান্তিনিকেতন উপদেশমালাব মূল ভাবটি গীতাঞ্জলির কবিত৷ ও গানগুলিতে প্রকাশিত হইয়াছে । এইসকল কবিতা ও গানের অধিকাংশই আমাদের আলোচনার এক্কিযাবেব বাহিরে । কিন্ত গীতাঞ্লির শেষের দিকের “ভারততীর্থ” (১৮ই আষাঢ় ১৩১৭ ); “দীনের সংগীত" (যেথায় থাকে সবার অধম ॥ ১৯শে আধা), “অপমানিত' ( ২০শে আধাঢ় ), "ছাঁডিস নে ধরে থাকিস এঁটে” (২১শে আধা) প্রভৃতি কষেকটি কবিতাষ কবির মানবতাবাদ ও দেশাঝ্মবোধ স্তীব্র হইয়। উঠিয়াছে। ভারততীর্থ একটি এঁতিহাসিক তাৎপধপূর্ণ কবিতা । কৰি স্বপ্ন দেখিতেছেন, ভারতবর্ষেই সর্বজাতির মিলনযজ্ঞের বেদীভূমি প্রস্তত হউবে-_-ভারতবর্ষেই সব প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির আদান-প্রদান ও মিলনের মহোৎসব হইবে, “এসো! হে আর্ধ, এসে! অনাধ, হিন্দু মুসলমান-__ 'এসো এসে। আঙ্গ তুমি ইংরাজ, এসো! এসো খ্রীস্টান । এসো ত্রাঙ্গণ, শুচি করি মন ধরে! হাত সবাকার-_ এসে! হে পতিত, করো অন্পনীতন্লব অপমানভার | মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা, মঙ্গলঘট হয় নি যে ভর৷ সবার-পরশে-পবিক্রকর। তীর্থনীরে আজি ভারতের মহামানবের সাগরতীরে 11” তপোবন ও বিশ্ববোধ প্রবন্ধেও কবি এই কথ! অন্যভাবে বলিম়াছিলেন। অপমানিত কবিতায় তিনি পতিত জাতিগুলির প্রতি উচ্চবর্ণের হিন্দু সমাজের সামাজিক লাঞ্ছনা ও অপমানের বিরুদ্ধে জানাইলেন তীব্র ধিক্কার, “দেখিতে পাও না তুমি, মৃত্যুদূত দাড়ায়েছে ত্বারে,-- অভিশাপ আঁকি দিল তোমার জাতির অহংকারে । ০৩১৬ সবারে না যদি ডাক, এখনো! সরিয়া থাক, আপনারে বেঁধে রাখ চৌদিকে জড়ায়ে অভিমান-- মৃত্যু-মাঝে হবে তবে চিতাভন্মে সবার সমান ॥% প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এই সময় জনৈক নিষ্ঠাবতী হিন্দুরমণীর সহিত কবির ধর্ম ও সমাজসমস্যা সম্বন্ধে পন্রালাপ চলিতেছিল। ২০শে আষাঢ় অর্থাৎ অপমানিত কবিতাটি রচনার দিন তিনি এঁ মহিলাকে এক পত্রে লিখেন, “* আমি আমাদের দেশ-প্রচলিত দেবপৃজ্ার প্রণালীকে কেন-বে সমস্ত মন থেকে ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি ত| নিশ্চয়ই আমার সমন্ত শান্তিনিকেতনে লেখাগু'লর ভিতরে কতকটা! প্রচ্ছন্ন ও ক'তকট। প্রকাশ্তভাবে ব্যক্ত হয়েছে ।... * “***আমাদের দেশে ধর্মই মান্তষের সঙ্গে মীনষের গ্রভেদ ঘটিয়েছে । আমরাই ভগবানের নাম করে পরম্পরকে ঘ্বণ। কবেছি, স্ীলোককে হতা। করেছি, শিশুকে জলে ফেলেছি, বিধবাকে নিতান্ত অকারণে তৃষ্ণায দপ্ধ করেছি, নিরীহ পশুদের বলিদান করছি ।'*আমরা ধর্মের নামে পাছে জাত বায (এ আমার জান। ) অপরিচিত মুতদেহকে সংকার করি নে-_-মানুষের স্পর্শকে বীভৎস জন্তব চেয়ে বেশি ঘণ। করি ।***আর যাই হোক সাধনাকে নীচেব দিকে নামতে দিলে কোনে! মতেই চলবে ন৷। কল্পনাকে, হৃদয়কে, নুদ্ধিকে, কর্মকে কেবলি মুক্তির অভিমুখে আকর্ষণ করতে হবে: । আমি নিজের ভন্য এব দেশের ভন সেই মুক্ত চাই । মনে ককে। ন। সেই মুক্তি-_জ্ঞানেব মধো মুডি সে প্রেমের নধ্যে মুক্তি 1: [ কষেকথানি পত্র-_ প্রবাসী, ১৩৩৪ পৌষ ] গীতাঞ্জলি এই কবিতাগুপিকে রবীন্দ্র 'বনাকাব সমসাময়িক কয়েকটি ঘটনার বিশেষ গ্রতিক্রিয। বলিয়। অন্তমান করির়াছেন। ভিনি লিখিতেছেন, “-**১৯১০ সালে ঘলামতি গোপালরুষ্* গোখলে ভাবতবষে অবৈতনিক আবশ্তিক শিক্ষা (170০ 81)0 85000115017) ব্যবস্থ। গবমেণ্টের সাহায্যে দেশমধ্যে প্রবর্তিত করিবার আন্দোলন উপস্থিত করেন । দেশের প্রায় সবন্রই উচ্চবণের ধনী হিন্দুরা এই প্রস্তাবের বিরোধিত| কবিয়াছিলেন। গাখলে এই বিল ভারতীয় বাবস্থাপক সভাতেও পাস করাইতে পারেন নাই । বিদেশী গবর্মেন্ট যে কেবল জনশিক্ষার বিরোধী ছিল তাহা নহে, দেশের সবহার। শ্রেণী ও সবহারাদের অন্ধত। ঘুচাইতেও পুরাম্ধুখ ।-..এই সময় হিন্দু অসবর্ণ বিবাহ সিদ্ধ করিবার জন্য তৃপেন্দরনাথ বস্থ যে আন্দোলন উপস্থিত করেন? তাহাও শিক্ষিত হিন্দুদের দ্বার! বাধা পাইতেছিল। এই সব পারিপার্বিক ঘটনা কবির মনে যে গভীর রেধাপাত করিয়াছিল, তাহারই প্রতিক্রিয়া কবিত। কয়টির মধ্যে স্থম্পষ্ট 1” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২ খণ্ড || পৃঃ ২৩৯ ] ৩১৭ ॥ অচলায়তন ॥ গীতাগ্রলির পব কবি 'জীবনস্থতি' এবং 'রাজা', “অচলায়তন' ও “ডাকঘর: প্রভৃতি রূপক নাট্যগুলি বচনা কবেন। ইহাদেব মধ্যে অচলায়তনই কিছুটা আমাদেব আলোচনাব আওতাব মধ্যে আসে। অচলাযতন (১৩১৮ আযাঢ ) এবং পববর্তীকালেব “কালেব যাত্রা”, “হাসের দেশ' প্রভৃতি ৰপক নাটাগুলি ভাবসম্পদ্দেব দিক হইতে প্রায় এক শ্রেণীব বচনা। অচলায়তন নগবী মাষ। ও যাছ্মন্ত্র দিষা “ঘবা। পুবোহিততন্ই "সখানে প্রকৃত শাসনকর্তা-_মন্ত্রতত্ত্, সংস্কাব ৪ সনাতন বিধিকে তীহাবা কঠোব হস্তে নিষস্ণ কবিভেছেন, একচুল এদিক-ওদিক হইবাৰ উপাষ নাই । চাবিদিকেই কঠিন নিষেধে সাস্ত্রী খাডা__বাহিবেব আলোবাতাস যাহাতে প্রবেশ কবিতে না পাবে। মহাপঞ্চক এই প্রাচীন রক্ষণশীলতাব মূর্ত প্রতীক। অচলাযতনেব দাদাঠাকুব ব৷ গুরু আয়তনেব দুলজ্ঘ্য ও দৃভেগ্ত প্রাচীবগুলি ভাঙিয়। দিয়া অম্পৃশ্ব ও শ্লেচ্ছদেব লইয়। ভিতবে প্রবেশ করিলেন। বন্তক্ষযী সংগ্রামেৰ মধ্যে অচলাযতন ধ্বংস হইল। কিন্তু শুধু ভাঙনেবই গান নয শুধু ধ্বংসেই সমাপ্তি নয । দাদাঠাকুব পঞ্চকেব উপব ভাব দিলেন নৃতন নগবী গাডিয়। তুলিবাব। সেই বিপ্ব ৪ ধ্ব'সম্তপেব মাঝে দ্াডাইয! দাদাঠাবুব বলিলেন, “আমাদেব পঞ্চকদাদাব সঙ্গে মিলে ভাঙা ভিতেব উপব আবাব গীঁথতে লগে যেতে হবে। সকলে । বেশ, বেশ, বাজি আছি । দাদাঠাকুব। ওই ভিতের উপরে কাল যুদ্ধেব রাত্রে স্থবিবকেৰ বন্তেব সঙ্গে শোনপাংগ্ুব বক্ত মিলে গিয়েছে । সকলে । হা মিলেছে। দাদাঠাকুব। সেই মিলনেই শেষ কবলে চলবে না । এবার আর লাল নয়, এবার একেবারে স্তত্র। নৃতন সৌধের সাদ! ভিতকে আকাশের আলোব মধ্যে অভ্রভেদী করে ফ্লাড় কবাঁও। মেলে! তোমর! ছুই দলে, লাগে৷ তোমাদের কাজে ।” অবন্ঠ মহাপঞ্চককে নির্বাসিত করা হইল না। তাহারও বিশেষ ভূমিক। আছে--“ ' কী করে আপনাকে আপনি ছাড়িয়ে উঠতে হয় সেইটে শেখাবার ৩১৮ ভার ওর উপর। ক্ষধাতৃষ্গ-লোভভগ্ন-জীবনমৃত্যুর আবরণ বিদীর্ণ করে আপনাকে প্রকাশ করার রহ্ন্ত ওর হাতে আছে ।” অচলায়তন যে ভারতের কুসংস্কারাচ্ছন্ম সনাতন হিন্দুসমাজ, তাহা বুঝিতে কষ্ট হয় না। কিন্তু প্রশ্ন এই, রবীন্দ্রনাথ নিপীড়িত অম্পশ্তদের দিম এই সনাতন অচলায্নতন সমাজকে ভাঙিয়! চর্ণবিচূর্ণ করিলেন কেন? রবীন্দ্রনাথ কি সশস্ত্র সমাজ-বিপ্লবকে সমর্থন করিলেন? | কিছুটা তাই বৈকি । ধনগ্রয় বৈরাগী নিরস্ত্র গণ-বিজ্রোহের ইঙ্গিত দিয়াছে, অচলায়তনের দাদাঠাকুর তো রক্তক্ষমী বিপ্লবের মন্ত্র দিলেন। এই বিপ্লবে শুধু ভাঙনই নাই-_নৃতন স্থা্ট ও মুক্তির বাণীও আছে। অবস্থ বিপ্লব সম্পর্কে রকীন্দ্রনাথের নিজস্ব কতকগুলি ধারণ ছিল। “পথ 9 পাথেয়” প্রবন্ধে তিনি সম্ত্াসবাদীদের উদ্দেন্ট করিয়া বিপ্রবের একট! ব্যাখ্যা দিয়াছিলেন। সেদিন তিনি বলিয়াছিলেন, “সকল দেশের ইতিহাসেই কোনো! বৃহৎ ঘটনা যখন মৃত্তিগ্রহণ করিয়া দেখা দেয় তখন তা*ব অব্যবহিত পূর্বেই আমর| একটা প্রবল "মাঘাত ও আন্দোলন দেখিতে পাই । রাষ্ট্রে ৭ সমাজে অসামপ্জস্তের বোঝ। অনেকদিন হইতে নিঃশবে পু্তীভূত হইতে হইতে একদিন একটা আঘাতে হঠাৎ তাহ। বিপ্লবে ভাডিনা পড়ে। সেই সময় দেশের মখ্ে) খধ অন্কুল উপকরণ প্রস্তত থাকে, পুব হইতেই যদি তাহার ভাগারে নিগুঢভাবে জ্ঞান ও শক্তির সম্বল সঞ্চিত থাকে, তবে সেই বিপ্লবের দারুণ আঘাতকে কাটাইয়। সে দেশ আপনার নৃতন ভীবনকে নবীন সামঞ্জস্য দান করিয়া গড়িয়া তোলে ।"-. “***গড়িয়। তুলিবার বীবিয়। তুলিবার একট! স্বাভাবিক প্রবৃত্তি যাহাদের মধ্যে সজীবভাবে বিদ্মীন, ভাঙনের আঘাত তাহাদের সেই ভীবনধর্মকেই তাহাদের সক্রনীশক্তিকেই সচেষ্ট সচেতন করিয়া তোলে । এইরূপে সৃষ্টিকেই নৃতন বলে উত্তেজিত করে ব্লিযাই গ্রলয়ের গৌরব ৷ নতৃবা শুদ্ধমাত্র ভাঙন, নিখিচার বিপ্লব কোনোমতেই কল্যাণকর হইতে পারে না।” [ পথ ও পাথেয়--ববীন্দ্-রচনীবলী £ ১০ম খণ্ড ॥ পুঃ ৪৫৪ ] বিপ্লবের এই মূল ভাবটিই 'চলায়তনে পরিস্ফুট হইয়া! উঠিয়াছে। অচলায়তন প্রকাশিত হইলে অধ্যাপক ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় উহার সমালোচন! করিয়া একজায়গায় অভিযোগ করিলেন যে, রবীন্দ্রনাথ সমাজ ভাডিতেছেন, তিনি খস্ত্রের প্রতি অশ্রন্ধ] প্রকাশ করিয়াছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি । জবাবে রবীন্দ্রনাথ একজায়গায় লিখিলেন, ৩১৪৯ “**অচলায়তনের গুরু কি ভাঙিবার কথাতেই শেষ করিয়াছেন। গড়িবার কথ! বলেন নাই? পঞ্চক যখন তাড়াতাড়ি বন্ধন ছাড়াইয়া৷ উধাও হুইয়া যাইতে চাহিম্বাছিল তখন কি তিনি বলেন নাই “না, তা যাইতে পারিবে না--যেখানে ভাঙা হইল এইখানেই আবার প্রশস্ত করিষা গড়িতে হইবে? গুরুর আঘাত, নষ্ট করিবার জন্য নহে, বড়ে। করিবার জন্যই । তীহার উদ্দেশ্ট ত্যাগ করা নহে, সার্থক করা ।'*:5 কয়েকদিন পর পুনরায় ললিতকুমারকে লিখিতেছেন, “*-*অচলায়তন লেখাঁয় যদি কোনো। চঞ্চলতাই না আনে তবে উহ! বৃথা লেখা হইয়াছে বলিয়। জানিব। সংস্কারের জডতাকে আঘাত করিব, অথচ তাহা আহত হইবে ন!, ইহাকেই বলে নিক্ষলতা ।"'"নিজের দেশের আদর্শকে যে ব্যক্তি যে পবিমাণে ভালোবাসিবে সে-উ তাহার বিকারকে সেই পরিমাণে আঘাত করিবে, ইহাই শ্রেষস্কর ।-**দেশেব মধ্যে এমন অনেক আবর্জন৷ স্তপাকার হইয়৷ উঠিয়াছে যাহা আমাদের্‌ বুদ্ধিকে শক্তিকে ধর্মকে চারি দিকে আবদ্ধ করিয়াছে ।".. অন্তরে যে-সকল মর্মান্তিক বন্ধন আছে বাহিবের শঙ্খল তাহারই স্থুল প্রকাশ মাত্র । অন্তরের সেই পাপগুলাকে কেবলই বাপু-বাছা বলিমা নাচাইব, আর ধিক্কার দিবার বেলায় ওই বাহিবের শিকলটাই আছে? আমাদেব পাপ আছে বলিয়াই শান্তি আছে । ধত লডাই ওই পাস্তিব সঙ্গে আর, ত মমতা ওই পাপের প্রতি ?'" আমার পক্ষে প্রতিদিন উহ! অসুহ হইযা উঠিয়াছে। আমাদেব-সমস্ত-দেশ ব্যাপী এই বন্দীশালাকে একদিন আমিও নান! মিষ্ট নাম দ্িয়। ভালোবাসিতে চেষ্ট। করিয়াছি, কিন্ত তাহাতে অন্থরাত্মা, তৃপ্তি পায় নাই-** | অচলায়তনে আমার সেই বেদন! প্রকাশ পাইযাছে ৷ শুধু বেদনা নয়, আশা 9 আছে ।"""" [ গ্রস্থপরিচয়--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১১৭ খণ্ড ॥ পৃঃ ৫০৬ ও ৫০৮-১০ ] এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা প্রবল হইয়া উঠিতে থাকে । কখনও তিনি ভাবিতেছেন রথীন্দ্রনাথ ও পুত্রবধুকে লইয়! সিঙ্গাপুৰ যাইবেন, কখনও ভাঁবিতেছেন জাপান যাইবেন, আবার কখনও বা ভাবিতেছেন ইউরোপ যাইবেন। এই সময়কার শ্রাষ সমস্ত চিঠিপত্ডেই কবির বিদেশ ভ্রমণের আকাজ্ষা প্রবলভাবে প্রকাশ পাইয়াছে। এই সময়ে নির্ঝরিণী দেবীকে এক পত্রে তিনি লিখিতেছেন ( ২১শে আশ্বিন ১৩১৮ ), ****লমৃন্ত পৃথিবীর নদী গিরি সনুদ্র এবং লোকালয় আমাকে ডাক দিচ্ছে-- আমার চারিদিকের ক্ষুত্র ,পরিবেষ্টনের ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়বায় জন্তে মন উৎন্ুক হয়ে গড়েছে।” [ রবীন্দ্রজীবনী ঃ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ২৪৯ ] ৬৭৪ অল্পকাল পরেই শিলাইদহ হইতে কবি হেমলতা ঠাকুরকে লিগিতেছেন, “নিজের বাইরের আবেষ্টন ভেদ করে আপনার যথার্থ সত্যরূপটিকে লাভ করবার জন্তে মনে ভারি একট। বেদন। বোধ করচি। সেই চিম্ত। আমাকে এক মুহুত বিশ্রাম পিচে ন|। কেবলি বল্চে, বের, বেরও-_না বেরোতে পারলে 'অন্ধকারের পর অন্ধক(র--.আপনার প্রকাশ একেবারে আচ্ছন্ন | '*আমি ঘেন আর সহা করতে পারচি নে, বের ৭, বের, বেরও- সমস্ত অসত্য থেকে সমস্থ স্কলত্ব জড়ত্ব থেকে বের ও, বেরও--একবার নির্মল মুক্তির মধ্যে প্রাণ শুবে নিশ্বাস গ্রহণ কর__ আর নঘ--আব ধিনের পর দিন এন ব্যর্থতার ম্‌ণ্যে কেধলি নষ্ট কবে ফেল। নয় কৌথায় ভম! “কোথায় _কোথাঘ সমুদ্রের হাঁওয়।, আকাশেৰ আলে অপরি'দত প্রাণের বিস্তর |” [ রবীন্দ্রজীবনা £ ২য ৭গ্ু॥। পু ২৫৯ ] কবির প্রণেব এই আকুলত। কী করণে, তাহা বুঝিতে কষ্ট ভঘ না। ভাভার অখণ্ড ভনাচেতন। 9 বিশ্ববোপেন আকাজ্ক। ভিতর হইতে ক্রমাগত ভাহণকে শব জগনেঃর প্রত্যক্ষ পবিচযের জন্য তাগিদ দিতেছে । বিশ্বন্রমণ উড বিশ্বোপলগ্জ সম্ভব নতে, ইউ প্বিব ধারশ। | উদ্দেশ্ঠভান কি.ব নিছক ভ্রমণের জন্য তাতাব। এই বহিলশনণ নহে । 'ডাকখব' রূচণ্াব ( ১৩১৮) পর রবীন্দ্রনাথ কিছুক'্ল তন্বকোদিনী পত্রিকা সম্পাদন! কবেন। এহ জন্য প্রবাসা, ভারতী ও তন্ধলেপিনা পঞকাঘ নি পুনবাধ ধম ও মাপাম্সিক অ.লোচনাঘ প্রনন্ত হন। এই সব প্ত্রকশ্ৰ তিনে '্রাঙ্গ সমজেব সার্থক হত ধিমের অথ পহন্দু বিশ্বাবদ্যালধ+ কূপ এ অরূপ বিষের নব্বণা? 'ধমেব অধিকাব" “ভারতবদেব ইতিহাসের পার প্রভ'ত কতকগুলি প্রবন্ধ লিখেন । ইহাদেব প্রাম সবগ্ুলিহ “পরিচষ” ও “সঞ্চঘ' গ্রঙ্থে সকলিত হভইযাছে । এহ সকল প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ খুব যে নৃত্রন ক। ক বললেন তীহ' নতে , তবে এই পৰের কষেকটি লেগান 'বগসর গি'উবাদ' ব। “অণভব্ক্তবাতে ল (€ব0৬ 15 010000) বেশ কিছুট। প্রশ্তাব লক্ষা কব! যায । যাহাই হউক, এসব প্রবন্ধের বিস্তািত আলোচন। আমাদের এক্িযারের বাহিরে । এই প্রবন্ধগুলির একটি স ক্ষিপ্ুসার হিসাবে আমর! রবান্দ্র জীবণীকারের মন্থবাট্রুকুই মাহ এখানে উদ্ধৃত কর দিতেছি । তিনি পিখিতেছেন, “সঞ্চয়ের ও পরিচয়ের পৃব-আলোচিত নযটি প্রবন্ধের মধ দ্যি। রব'ন্দ্রনাথ ধর্ম দশন ও ভারতীয় সমাজের সমস্া। বিষয়ে যে আলোচন। করিলেন তাহাতে ধের নৈব্যক্তিক, অসাম্প্রদায়িক বটি প্রধানত বাক্ত হইযাছে। বিজ্ঞান বলিতে যেমন ইংরেজের বিজ্ঞান, ভারতীয় বিজ্ঞান বলিয। পৃথক বস্তু থাকিতে পারে পা, বিজ্ঞান ৩২১ রবীন্দ্রনাথ ॥ ২১ সবত্র বিজ্ঞান,-তেমনি ধর্ম বলিতে মানুষের ধর্মই বুঝায়, কোন বিশেষ 79119100 বুঝায় না। বিশেষ ধর্ম যদি মানবধর্মকে আঘাত করে তবে বুঝিতে হইবে অসত্য গোপনে কাজ করিতেছে তাহাই শয়তান, তাহাই মার। নবযুগের ধর্ম হইতেছে মানবের ধম। ধর্মের নবধযুগে ধর্মশিক্ষার আদশ ব্দলাইয়! গিযাছে, ধর্মের অধিকার আজ বিশ্বব্যাপী মানবের জন্মাধিকার। তৎসত্বেও যেসব পুরাতন বিশ্বজনীন ধর্ম আছে, তাহাদিগকেও নৃতন আলোকে নৃতন যুগের সমস্যার সমাধানে প্রবৃত হইতে হইবে ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য খণ্ড ॥ পৃঃ ২৬৯] &ঁ বংসর কলিকাতায় মাঘোৎসবে কবি যোগদান করেন, এবং সেখানেই তাহার বিখ্যাত “জনগণমন" সংগীতটি ব্রহ্ধসংগীতরূপে গীত হয। মাসখানেক পুরে কলিকাতায় কংগ্রেস অধিবেশনেও গানটি গীত হইযাছিল। বহুকাল পবে এক শেণীর পরশ্ীকাতর ও নিন্দুক রাষ্ট্ী করেন যে, সম্রাট পঞ্চম জ্জের দিল্লীধরবার উপলক্ষেই (১২ই ডিসেম্বর ১৯১১) রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনা করিযাছিলেন । শ্রীপুলিনবিহারী সেন এ ব্যাপারে কবিব দৃষ্টি আকর্ষণ কৰিলে ববীন্ত্রনথ এক পত্রে তাহাকে লিখিলেন ( ইং ২০।১১।৩৭ ), “বাজসবকারে প্রতিষ্ঠাবান্‌ আমার কোনে! দন্ধু সম্রাটেব জধগ।ন বচনার জন্যে আমাকে বিশেষ কবে অন্ুবোধ জানিষেছিলেন । শুনে খিশ্মিত হযেছিলুম। এই বিশ্মযেব সঙ্গে মনে উত্তাপেবও সঞ্চাব হযেছিল। তাবই প্রন্ণ প্রতিঞ্িযাব পাক্ষায় আমি জনগণমন-অধিনাধক গানে “সই ভাবতভাগ্যবিধাতার জঘ ঘে'ষণ। কনেছি, পতন-অভ্রাদঘ-বন্ধুব প্থায যুগযুগধা বিত যাত্রাদেন ধিনি চিরসাধখি, ফিনি জনগণের অন্থর্থামী পথপরিচ'্যক 1 “সই যুগধুগান্তরের মানবভাগারথচালক যে পঞ্চম বা ব্ঠ ব। কোনো জক্তই কোনে। প্রমেই হতে পাবেন ন। সে কথ বাকভজ” বন্ধুও 'অগ্তশব করেছিলেনে। কেনন। তার ভক্তি যতই প্রবল থাক, বুদ্িব অভাব হি ন। |” | বিচিত্রা, ১৩৪১ পৌষ ] হিন্দুমেলায মাত্র পনেরে। বংদব বধসে ধিনি দিল্লাদবব।র উৎসবকে বিদ্রীপ করিয়। স্বরচিত কবিত। পাঠ করিষাছিপেন, ধিনি প্রত্যেকটি দবখাবের বিরুদ্ধে তীত্র নিন্দাবাদ কব্ঘি। আ।সঘাছেন, তিনি যে পঞ্চম জর্জের দরবার উপলক্ষে ব্রিটিশ প্রশস্তি গাহিবার কথ কল্পনায় আনিতে পাবেন না, তাহা! বলাই বাহুল্য । এই প্রসঙ্গে প্রবোধচন্দ্র সেন মহাশয়ের ভাবতবর্ষের জাতীয-স.গীত, ও 401101955 90012] 451)001))? পুস্তিক| দুইটি দ্রব্য । প্রবোধচন্ত্র সেন মহাশয় বু তথ্যাদি সংকলন করিয়া শিন্দুকর্দের অপপ্রচারের ভিত্তি খণ্ডন করিয়াছেন। ৩২৭ ১৩১৮ সালে চৈত্রের প্রথম ভাগেই ( €ই চৈত্র) কবি বিলাতযাত্রার আযোজন কবেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার তাহা স্থগিত রাখিতে হয়। অতঃপর কবি অস্থস্ব বীব লইয। শিলাইদহে চলিয়। আসেন। এই শিলাইদহে থাকাকালেই তিনি গীতাঞ্জলির ইংরাজি তর্জমা করিতে থাকেন। এই তর্জমাগুলিই যে একদিন তাহাকে জগঘিখ্যাত করিবে, ইহা কি তিনি সেদিন ্বপ্রে কল্পন। করিতে পাবিযাছিলেন ! শিলাইদহে শুধু যে তিনি কাব্যচর্চাযই রত ছিলেন, তাহ! নহে, এই সমমে তিনি তাহাব জমিদারির কৃষক প্রজাদের আর্বিক সমস্যা ও উন্নঘনের নানাবকম পরিকল্পনাও করেন। এই সময় কবি কলিকাতায় রহীন্দ্রনাথকে এক পত্রে লিথিতেছেন, “বোলপুবে একটি ধানভান। কল চলচে-_সেইবকম একটা কল এখানে আনতে পাবলে বিশেষ কাজে লাগবে । এ দেশ পানেব দেশ-_ বেলপুবেব চেযে অনেক বেশি ধান এখানে জন্মায় । 'আমাব ইচ্ছ। ৫1১০ টাক। ধেমাব কনে এখানকার অনেক চাষাষ মিলে এই কলট! ঘদি চাশাম ত্বাহলেই দরদেব মধ্যে দিলে কাজ কববধব ধথ।থ শ্বএপাঠ হতে পাববে । আমাদের বাঙ্ষ (পরতিসব কৃষিবাঙ ) থেকে খাব দিযে এই ধাঁনভানাব বাবসাটী এখাতন সহজেই চ'্লানে যেতে পাবে। এঠ কলেব সন্গান দগিস। “তাবপবে এখানে চাষাদেরব কান ৭৭৮৬ এখানে তে পতব সই কখ। ভখছিলুম । এখানে ধান ছাড। আব কছু ভন্মা৭ ন-এদেব থ।কবার মণ বধশা এও এঠ্পে মাটি আঙে। আমি দানহে চাই 1১011] 5 সক (6)610.06 111011150 কপে খ্য কণ চলে কিনা | একর বঙবব লিছে কখিল- থা (ছাটগাদেন[010145৮ আশিতে এক গ্রদেব লাৰ দিতে এব জঙমন্ততপ্র কিন।। সুএখমাণব লে ববম নন 2লস ক্ণ্হব কবে এহ এলি ৩উ বম (মাট। গোচ্ছেব প্লট বাটি প্রভাত টব বহে শবে হাহলে পিকাৰ হয। আাবেকট ৮নস আছে ছা 1৭ করতে খগানে 1 কা বকম শেগাবাব লোক তগি পাও যাস তাহলে শিলাইধহ ভঞ্চলে এই কজন ৮৭ এন দেতে পাবে । ষাই হাক ধানভান। বল, 1১০৮5 ব চাক ও হত ইবির শিক্ষকেব খবব নিস গুলিস্নে ।” | চিঠিপত্র £ হয ও 11 %+ ১৯-২০, বখীশ্্রনাথেব এই পৰিকল্পন| সেযুণে কতখানি বাস্তব বা অবান্তত স-হেতকে ন| গিয়াও একথা দৃঢতার সহিত বল। ধা যে, গ্রামাণ ভ বনেব অর্থ সোতক পুনগঠিনের জন্ত রবীন্দ্রনাথ সে যুগে থেকপ চিন্তা ভাবনা কঁবথছেন, ২মক।লীন কোনে। দেশনেত।কে সেরূপ করিতে দেখা যায় নাই। সব হইতে বডো কথা, ৩২৩ রবীন্দ্রনাথ গ্রামের গরীব মানুষের জন্ত গভীরভাবে চিন্তা করিয়া গিয়াছেন, গভীরভাবে তাহাদের ভালোবাসিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের বিলাত যাত্রার পূর্বে দেশের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা এই যে, সম্রাট পঞ্চম জর্জের ঘোষণাবলে দীর্ঘ সাত বৎসর পরে বঙ্গচ্ছেদ রহিত করিয়। পুনরায় অখগুবঙ্গকে নৃতন ভাবে গড়া হইল ( ১লা এপ্রিল ১৯১২)। ১৪৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে, কংগ্রেসের কলিকাতা-অধিবেশনের প্রায় এক পক্ষকাল পূর্বে, দিন্গীদরবারেই পঞ্চম জর্জ বঙ্গচ্ছেদ রহিত করার কথা ঘোষণ| কবেন। মডাবেট পশ্থীরা উল্লসিত হইয়। কলিকাতা-কংগ্রেসে পঞ্চম জর্জ ও ব্রিটিশের প্রশস্তি গ।হিলেন। অপরদিকে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনও দেশে পুনরায় মাথাচাড়া দিয়। উঠিতে লাগিল । দেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমর! এই সময রবীন্দ্রনাথের মনে কোনো! রাজনৈতিক গ্রতিক্রিয৷ দেখিতে পাই না। একদিকে কংগ্রেসের রাজনীতির মধ্যে কোনো নৃতনত্ব ছিল না-_চিরন্তন আবেদন-নিবেদনই ছিল কংগ্রেসের সেই রাজনীতির মৃলকথা। সুতরাং ইহা যে কবি সমর্থন কবিতে পারিবেন না, তাহাতে বিন্ময়েব কিছু নাই। অপবদিকে, সন্ত্রাসবাদী আন্দৌলনেব আদর্শ ৪ নীতিকেও তিনি সমর্থন করিতে পারিলেন না। সেইকারণে দেশেব রাজনৈতিক প্রশ্নে তাহাকে আমর! একটি কঠিন নীরবত| অবলগ্বন করিতে দেখিতে পাই। কবি ভাবিতেছেন, তাহার আদর্শ লই তাহাকে একলাই অগ্রসর হইতে হইবে-_ “যদি তোর ডাক শুনে কেউ ন| আসে তবে একলা চলরে 1” ১০৪ ॥ ততায়বালস বিলাত যাত্র! ॥ ২৭শে মে ১৯১২ রবীন্দ্রনাথ বোম্বাই হইতে ইংলগু যাত্রা করিলেন; সঙ্গে চলিলেন রখীন্দ্রনাথ ও প্রতিম! দেবী । সমুদ্রপথের নৈসগিক চিত্র কবির মনের অস্ত্রীতে বিচিত্র স্থুরের বঙ্কার তুলিতেছে, তাহারই আবেগে তিনি কবিত৷ ও গান লিখিয়! চলিয়াছেন। কখনও বা তিনি জন্তবদদ করিতেছেন । দেশের সমস্য।ও মনে জাগিতেছে। কখনও ব! দেশে চিঠিপত্র লিথিতেছেন। চলার আনন্দে কবি গতির জয়গান গাহিয়! একসময় লিখিলেন (২১শে জ্যেষ্ঠ ১৩১৯), “-*"যাহা-কিছু আমাদের বাধ! তাহাকেই আমাদের চলিবার পথ, আমাদের মুক্তির উপাম কণিয়া লইতে হইবে, আমাদের প্রতি ঈশ্বরেব এই আদেশ আছে। যাহারা এই আদেশ মানিয়াছে তাহারাই পৃথিবীতে ছাড়া পাইযাছে। যাহার! মানে নাই এই পৃথিবীট। তাহাদের পক্ষে কারাগার ।-*- কেবলমাত্র এই চলিবার আনন্দটুকুই পাইব বলিয়া আমি বাহির হুইয়াছি।."* প্রাণ আপনি চলিতে চায়; সেই তাহার ধর্ম । ন! চলিলে সে ষে মৃত্যুতে গিয়। ঠেকে । এইজন্য নান। প্রয়োজনের ও খেলার ছুতায সে কেবল চলে ।.-৮ [ যাত্র।_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ২৬শ খণ্ড || পৃঃ ৪৯২-৯৩ ] ১৬ই জুন রবীন্দ্রনাথ লগ্ডনে পৌছিলেন। লগুনে আসিয়া! প্রথমে তাহারা একটি হোটেলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। . পরে শিল্পী রোদেনস্টাইনের চেষ্টায় হাম্পস্টেড হীথ-এ একটি বাস! ভাডা করিলেন। প্রায় এক বৎসর পূর্বে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী রোদেনস্টাইন ভারতবর্ষে আসিয়া- ছিলেন। সেই সময় কলিকাতায় অবনীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের সহিত তাহার পরিচয় হয়। তিনি এই ছুই প্রতিভাবান শিল্পীকে ইংলগ্ডে আসিবার জন্য পুনঃ পুনঃ অনুরোধ জানাইয়াছিলেন। তারপর লগুনে আসিয়। তিনি রবীন্দ্রনাথের কিছু রচনার সহিত পরিচিত হন এবং তখন হইতেই তিনি কবির জন্য উদগ্রীব হইয়া প্রতীক্ষা করিতে থাকেন । লগ্নে পৌছিয়াই রবীন্দ্রনাথ রোদেনস্টাইনের সহিত দেখা করিয়া! তাহার হস্তে গীতাপ্তলির ইংরাজী অনুবাদ সংবলিত একটি নোটবই দিলেন। রোদেনস্টাইন ৩২৫ গীতাঞলির টাইপকরা কগি ইংলগ্ডের কয়েকজন বিখ্যাত 'ভাবুক-কবির নিকট পাঠাইয়া দিলেন। ইয়েট্‌স্‌ ছিলেন তাহাদের অন্যতম । তাহার পরের ইতিহাস সকলেরই নিকট ম্থপরিচিত। রোদেনস্টাইন ও ইয়েট্‌স-- এই ছুইজনে গীতাঞ্জলি লইয়া সারা ইংলগ্ডের কবি সমাজকে মাতাইয়া তুলিলেন। এই ছুইজন শিল্পীর উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় ইংলগ্ের তৎকালীন প্রসিদ্ধ কবি ও সাহিত্যিকদের সহিত রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘনিষ্ঠ হইয়া উঠিল। ক্রমে কবির সহিত স্ট্যাফোর্ড ক্রক, ব্রাডলে, হাড্‌সান, শ, মেসফীল্ড, ওয়েল্স্, গল্স্ওয়ার্দি, আনেস্টরীস, কুমারী সিনক্রেয়ার, জে. এল. হমাণ্ড, আন্ডারহিল্‌, ফল্সপ্ট্রাংওয়েজ, স্রাগমূর, রবার্ট ব্রীজেস্‌, এজ র! পাউগ প্রতৃতি শ্রেষ্ঠ গুণীজনের সহিত আলাপ হইল। এই লগুনেই এক সাদ্ধ্াভোজের আসরে এগু!ুজের (0. দা. &0070ঘ1৪ ) সহিত কবির প্রথম আলাপ হয়। এগু'জ ছিলেন দিল্লীর সেন্ট স্টিফেনস্‌ কলেজের অধ্যাপক এবং সেই সময় রবীন্দ্রনাথের রচনার সহিত তাহার কিছু কিছু পরিচয় হয়। তবে কবির সহিত তাহার প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল ন|। পরবর্তীকালে এণ্ডজ কিভাবে রবীন্দ্রনাথ ও শাস্তিনিকেতনের সহিত একাত্ম হইয়া গিয়াছিলেন, পরে তাহা! আমরা দেখিতে পাইব। রোদেনস্টাইন ও ইয়েট্স্‌ প্রমুখ কয়েকজন ভারতবন্ধুর প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে ১০ই জুলাই ইগ্ডিয়া সোসাইটির পক্ষ হইতে ট্রকেডারো৷ হোটেলে রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনার আয়োজন হয়। এই সাদ্ধ্যসভায় অন্যান্য গুণীজনের সহিত এইচ.. জি, ওয়েল্স্‌, মিস্‌ মে. সিন্ক্লেয়ার, নেভিন্সন্, হাভেল, কবি রলেস্টন্‌ প্রভৃতি অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে ইয়েট্স্‌ উঠিয়া এক আবেগময়ী ভাষায় , ব্রবীন্ত্রনাথের উচ্ছৃসিত প্রশংসাবাদ করিয়া! তাহাকে অভিনন্দন জানাইলেন। এইদিনের সভায় রবীন্দ্রনাথ যে ক্ষুদ্র ভাষণটি দেন, তাহাতে পূর্ব ও পশ্চিমের মিলনের উপরেই অধিক গুরুত্ব আবোপ করা হইয়াছিল। তিনি তাহার ভাষণের এক জায়গায় বলিলেন, “আজ এই সন্ধ্যায় আপনার! আমাকে যে সম্মানে সম্মানিত করিলেন, আমার ভয় হয়, ষে ভাষার মধ্যে আমি জগ্মগ্রহণ করি নাই সে ভাষায় আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইবার যথেষ্ট ক্ষমতা আমার নাই ।"'সেইজন্ত আমি কেবলমাত্র আপনাদিগকে এইটুকু স্পষ্ট করিয়া বলিতে পারি যে, এদেশে আসা অবধি যে নিরবচ্ছিন্ন প্রীতি হারা আপনারা আমাকে গ্রহণ করিয়াছেন, তাহা আমাকে এত মুগ্ধ করিয়াছে যে আমি প্রকাশ করিয়া বলিতে পারি না। আমি একটি শিক্ষালাভ করিয়াছি--এবং সহত্র মাইল পথ সেই শিক্ষালাভের অন্ত আমার আসা সার্থক যে, ৩২ত বর্দিও আমাদের ভাষা, আমাদের আচার-ব্যবহার সমস্তই পৃথক তথাপি ভিতরে ভিতরে আমাদের হৃদয় এক | নীলনদের তীরে যে বর্যার মেঘ উৎপন্ন হয় সে যেমন স্থদূর গঙ্গার উপত্যকাকে শ্তশ্তামলা করিয়া দেয়, তেমনি পূর্বাকাশের হূর্ধালোকের অনিমেষ দৃষ্টির নিয়ে ষে আইডিয়া আকারপ্রার্চ হইয়াছে তাহাকে হয়ত সমুদ্রপার হইয়া! পশ্চিমে আসিতে হইবে- সেখানকার মনুয্যহৃদয়ের মধ্যে তাহার সম্ভাষণ লাভের জন্ত সেখানকার সমস্ত সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণ করিবার জন্য । প্রাচী প্রাচীই এবং গ্রতীচীও প্রতীচী সন্দেহ নাই এবং ঈশ্বর না করুন যে উহার অন্যথা হয়__-তথাপি এই উভযই মিলিতে পারে । ন|__সখ্যে, শাস্তিতে এবং পরম্পরের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ পরিচষে ইহার! একদিন মিলিবেই |. ইহাদেব মধ্যে ভিতরে প্রভেদ আছে বলিয়াই ইহাদের মিলন আরও সফল মিলন হইবে-_কারণ সত্যকাবেব প্রভেদ কখনই বিলুপ্ত হইবার নয়__-তাহা ইহাদের উভষকে বিশ্বমানবের সাধারণ বেদিকার সম্মুখে এক পবিত্র বিবাহবন্ধনে মিলিত করিবার দিকেই লইযা! চলিবে ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৩০১] বলা বাছুলা, রবীন্দ্রনাথ এখানে পূর্ব ও পশ্চিমেব আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক মিলনের কথাই বলিতেছেন । ম্মরণ থাকিতে পারে, ইতিপূর্বে অল্প বয়সেই যখন তিনি ছুইবাব বিলাতভ্রমণে আসেন, তখনই তিন্জি লগ্ডনে ইউরোপীষ সংগীত ও চিত্রকলা গভীর অভিনিবেশ সহকাবে অন্ধাবন করিবার চেষ্টা কবিয়াছিলেন। দেশে ফিরিযা ইউরোপীষ সংগীতের সহিত দেশী ত্থবের মিশ্রণের নানা পরীক্ষা- নিরীক্ষাও করিযাছিলেন। এসব কথা আমবা পূর্বেই বিস্তারিত আলোচনা করিয়াছি । এবাবেও লগুনবাসকালে তিনি পাশ্চাতা সংগীত ও চিত্রকল! শুনিবার ও দেখিবার স্থযোগ ছাঁডিলেন ন।। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রজীবনীকার লিখিতেছেন, “লগুনে বাসকালে রবীন্দ্রনাথ স্রবিধা ও সময পাউলেই পাশ্চাত্য সংগীত ও অভিনয় দেখিতে যাইতেন। তীহার! যখন লগুনে গৌছিলেন, তখন তথায় সংগীতের আসর ভার্ডিবাব মুখে ' তবুও ভিনি গিষা পাইলেন হানডেল উৎসব । ক্রিস্টাল প্যালেসের গীতশালায বিখ্যাত জার্মান সংগীততষ্টা হানডেল ( 08০0729 চু০0৫710 [81001 : 1685-1759 ) স্মরণে উৎসব--চাবি সহশ্র যন্ত্রী ও গায়ক তঙ্জন্ত মিলিত হুইয়াছে। এই গীত-উৎসব হইতে ফিবিযা কবির মনে ভারতীয ও পাশ্চাত্য সংগীতকলার বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে যেসব চিন্তার উদয় হইতেছে তাহা তিনি “সংগীত' নামক গ্রবদ্ধে লিপিবঙ্ছ করেন। “ভারতীয় সংগীত পাছে মুরোপের সংসর্গে পড়িয়া আপনাকে বিশ্ৃত হয়, এই ভয়ের কথ! আমর! চিরকাল শুনিয়া আসিয়াছি? রবীন্দ্রনাথ তাহ! বিশ্বাস করেন ৩২৭ না, তিনি বলেন তার উল্টা কথাই সত্য; "রোগের সংগীতের সঙ্গে ভালো! করিয়া পরিচয় হইলে আমাদের সংগীতকে আমরা সত্যকার বড়ো করিয়! ব্যবহার করিতে শিখিব।' 'মুরোপের প্রবল সজীব শক্তির প্রথম সংঘাতে কিছুকালের জন্য আমরা দিশে হারিয়ে থাকি কিন্তু শেষকালে আমর! নিজের প্ররৃতিকেই জাগ্রততর করে পাই।..আমাদের শিল্পকলায় সম্প্রতি যে উদ্বোধন দেখা যাচ্ছে তার মূলেও ফুরোপের প্রাণশক্তির আঘাত রয়েছে। সেইজন্য কবি স্পষ্ট করিয়াই বলিলেন, “আমার বিশ্বাস সংগীতেও আমাদের সেই বাহিরের সংল্ব প্রয়োজন হয়েছে ।”:"* [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৩০৫ ] তাছাড়া, রবীন্দ্রনাথ যে সময় ইংলগ্ড পরিভ্রমণ করিতেছিলেন, সে সময় ইংলগ্ডের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় একট! ঘোর প্রতিক্রিয়া ও বিভ্রান্তিতে দিশাহারা হইয়৷ ছিল। টিউডর যুগ হইতে ইংলগ্ডের কবি ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় সার ইউরোপের ক্ষেত্রে যে একটি বিশিষ্ট প্রগতিশীল ভূমিকা গ্রহণ করিয়া আসিতেছিল, উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে তাহার অবসান ঘটে। মিপ্টন-ওয়ার্ডস্ওয়ার্২শেলীর এঁতিহাসম্পন্ন ইংলওড তখন একটা প্রতিক্রিয়ার মোড়ে আসিয়া থম্‌কিয়! দাাইয়াছে। এক কথায় ইংলণ্ড তখন ইউরোপের শ্রেষ্ঠ প্রগতিশীল ভাবন| ও চিন্তারাজির প্রতিনিধিত্ব করিতেছে না, এ-কথা বলিলে বোধ হয় ভুল বল! হইবে না। এবং এই কারণেই রবীন্দ্রনাথের পক্ষে ইংলগ্ডে থাকিয়া ইউরোপের প্রগতিশীল মতাদর্শের সহিত খুব ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হুইবার সুযোগ ঘটিয়! উঠিল না। বার্নার্ড শ বা এইচ. জি, ওয়েলসের সহিত কবির এমনি পরিচয় হইয়াছিল বটে, কিন্তু “ফেবিয়ান সমাঁজে'র চিন্তাধারার'সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ পরিচয় হইয়াছিল বলিয়। মনে হয় ন। ইংলগ্ডের কবিকুল রবীন্দ্রনাথের গীতাণ্তলির ভগবৎপ্রেম ও আধ্যাত্মিক।- লই! মাতিয়া উঠিলেন, কিন্তু তাহার বিশ্বমানবতার ও সর্বজাতিক মিলনমন্ত্রের এতটুকুও আবেদন ছিল না তাহাদের কাছে। ইংলণ্ডে আসিয়া কবি যে বিশেষ চম্ৎ্কৃত হলেন তাহা নহে । একেশ্বরবাদী স্টপফোর্ড ক্রকের সহিত আলাপ অল্লোচনায় তিনি আনন্দ পাইয়াছিলেন বটে তবে ইংলগ্ডের কবিকুলের মধ্যে আইরিশ কবি ইয়েট্স্ই তাহাকে সর্বাপেক্ষা আকুষ্ট করিয়াছিল । এই সময়ই তিনি “কবি ইয়েট্স্‌, প্রবন্ধটি (প্রবাসী, ১৩১৯ কাতিক ) লিখেন। ইংলগ্ডের আধুনিক কবিদের প্রাপশক্তির উৎস মুখ যে শুকাইয়া আসিতেছে এই প্রবন্ধে কবি স্পষ্ট করিয়া তাহাই উল্লেখ করিলেন, “ইংলগ্ডেক্স বর্তমানকালের কবিদের কাব্য ঘখন পড়িয়া দেখি তখন ইহাদের অনেককেই আমার মনে হয়, ইহারা বিশ্বজগতের কবি নহেন। ইহার! ৬৩২৮ সাহিত্যঙ্রগতের কবি। এদেশে অনেকদিন হইতে কাব্যসাহিত্যের সৃষ্টি চলিতেছে, -হুইতে হইতে কাব্যের ভাষা উপম! অলংকার ভঙ্গী বিস্তর জমিয়া উঠিয়াছে। শেষকালে এমন হইয়া উঠিয়াছে যে, কবিত্বের জন্য কাব্যের মূল প্রশ্রবণে মানুষের না গেলেও চলে । কবিরা যেন ওন্ডাদ হইয়! উঠিয়াছে; অর্থাৎ প্রাণ হইতে গান করিবার প্রয়োজনবোধই তাহাদের চলিয়! গিয়াছে, এখন কেবল গান হইতেই গানের উৎপত্তি চলিতেছে । যখন ব্যথা হইতে কথা৷ আসে না, কথা হইতেই কথ! আসে, তখন কথার কারুকার্য ক্রমশ জটিল ও নিপুণতর হইয়৷ উঠিতে থাকে ; আবেগ তখন প্রত্যক্ষ ও গভীরভাবে হৃদয়ের সামগ্রী না হওয়াতে সে সরল হয় না; সে আপনাকে আপনি বিশ্বাস করে না বলিষাই বলপূর্বক অতিশয়ের দিকে ছুটিতে থাকে , নবীনত। তাহার পক্ষে সহজ নহে বলিয়াই আপনার অপূর্বতা-প্রমাণের জন্য কেবলি তাহাকে অদ্ভুতের সন্ধানে ফিবিতে হয়|” রবীন্দ্রনাথের বক্তব্যেব মুলকথা-_-জীবনেব সহিত সংযোগ না থাকাব দরুনই ৮1১10 6০017010166 ও 101%7-এর রকমাবি বৈচিত্র্যই আধুনিক ইংরাজি কাব্য- সাহিত্যের প্রধান উপজীব্য হইয়া ঈাডাইযাছে। ফলে কাব্যেব মূল লক্ষ্য হইতে আজ ?স কেন্দ্রচ্যুত। উহাদের মধো ইযেট্স্ই যেন কিছুটা ব্যতিক্রম । ইষেট্স্‌কে কেন তাহাব ভালো লাগ্াছিল, সে সম্পর্কে তিনি বলিতেছেন, “-*"কবি যেট্সেব কাব্যে আয়র্লগেব দয ব্যক্ত হইযাছে । সকলেই জানেন, কিছুকাল হইতে আযলগ্ডে একটা স্বাদেশিকতাব বেদনা জাগিয়া উঠিযাছে। উলগ্েব শাসন সকল দিক হইতেই আধর্লগ্ডেব চিত্তকে অত্যন্ত চাঁপা দিযাছিল বলিষাই এই বেদনা একসমযে এমন প্রবল হৃইয়া উঠিযাদ্িলশ-অনেক দিন হইতে এই বেদনা প্রধানত পোলিটিক্যাল বিদোহ-রূপেই আপনাকে প্রকাশ করিবার চেষ্টা করিযাছে। অবশেষে তাহার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটা চেষ্ট! দেখ! দিল। আয়র্লগ আপনার চিরে স্বাতস্ত্য উপলব্ধি করিয়া তাহাই প্রকাশ করিতে উদ্যত হইল। « ..আয়লগ্ড নিজেব চিত্তস্বাতন্ত্র প্রকাশ কবিবাব চেষ্টায় নিজের ভাষ। কথা কাহিনী ও পৌরার্ণিকতাকে অবলম্বন করিবার যে উদ্যোগ করিষাছে, সেই উদ্যোগের মধো এক-একজন অসামান্য লোকের প্রতিভা আপনার যথার্থ ক্ষেত্র পাইযাছে। কৰি য়েট্স তাহাদেবই মধ্যে একজন। ইনি আয়ল্ডের বাণীকে বিশ্ব্াহিত্যে জয়যুক্ত করিতে পারিযাছেন।” [ কবি গনেট্্‌--রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ২৬শ খণ্ড ॥ পৃঃ ৫২১-২৭ ] ইয়েট্সের কাবাসাহিত্যের মূল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মতছৈধত! থাকিতে পারে, ৩২৯ কিন্ত এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তব্য বুঝিতে কাহারও অন্থুবিধা হয় না। ইংলগ্ডে থাকাকালে কবির পক্ষে আধুনিক পাশ্চাত্য জড়বাদী দর্শন কিংবা মারকসীয় দর্শনের সহিত পরিচয় ঘটিবার সুযোগ হয় নাই বটে, তবে আধুনিক ইংলগুবাসীর খ্রীস্টান ধর্মমতের মধ্যে কিছু উদারতার লক্ষণ যেন তিনি দেখিতে পাইলেন। ইংলগ্ডের জনৈক খ্রীস্টান পাদরীর আমন্ত্রণে তিনি কিছুদিন তাহার গ্রামের বাড়িতে কাটাইযা! আসেন। এই সময়ই তিনি তত্ববোধিনী পত্রিকার জন্ত ইংলগ্ডের পল্পীগ্রাম ও পানি” প্রবন্ধটি লিখিয়া পাঠান । এই প্রবন্ধে তিনি বলেন যে, ইউরোপের ধর্মবোধে সম্প্রতি একটি যুক্তিবাদী ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি দেখা দিলেও ইউরোপের বাহিরে এ্রস্টান মিশনারীরা ইউরোপের সাত্রাজাবাদী রাষ্ট্রনীতির নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করিয়া পরোক্ষে উহাকে সমর্থন করিতেছেন । তিনি বলিলেন, “***এইজন্য সমস্ত দেশ জুডিযা পাব্্ির দল বসিষা থাক! সত্বেও নিদারুণ দক্থবৃত্তি ও কসাইবৃত্বি করিতে রাষ্্নৈতিক অধিনায়কদের লেশমাত্র সংকোচ বোধ হয় না; তাহাদের সেই পুণ্যজ্যোতি নাই যাহার সম্মুখে এই-সকল বিরাট পাপের কলক্ককালিমা সর্বসমক্ষে বীভৎসরূপে উদঘাটিত হুয়।” [ ইংলগডের পল্সীগ্রাম ও পাদ্রি_ রবীন্্ররচনাবলী £ ২৬শ পযন্ত || পৃঃ ৫৪৭ ] নিছক দেশভ্রমণের উদ্দেশ্তা লইযা কবি ইংলগ্ড আসেন নাই । ইংলগ্ডের শিক্ষাবিধির সহিত সম্যকভাবে পরিচিত হইবার একটা বাসনা তাহার বহুকাল হইতেই ছিল। .ইংলগ্ডে আসিয়৷ তিনি এ সম্পর্কে বু তথ্যাদি সংগ্রহ কবিবার চেষ্টা করেন । রোদেনস্টাইন পরিবারের সহিত ইংলগ্ডের চ্যালফোর্ড নামক একটি গ্রামে তিনি কয়েকদিন কাটান। এই গ্রামে বসিয়া তিনি শিক্ষাবিষষক পব পর ছুইটি প্রবন্ধ লিখিলেন। প্রবন্ধ ছুইটি-_শিক্ষাবিধি” [ প্রবাসী, ১৩১৯ আশ্বিন ] এবং “লক্ষ্য ও শিক্ষা” [ তত্ববোধিনী পত্রিকা, শক ১৮৩৪ অগ্রহায়ণ ]- পরবর্তীকালে “শিক্ষা” পুস্তকে সংকলিত হইয়াছে শিক্ষাবিধি প্রবন্ধের শুরুতেই কবি লিখিলেন, “এখানে আসিবার সময় আমার একটা সংকল্প ছিল, এখানকার বিষ্ভালয়গুলিকে ভালো করিয়া দেখিয়া-শুনিয়! বুঝিয়া লইব--শিক্ষা সম্বন্ধে এখানকার কোনো ব্যবস্থা আমাদের দেশে খাটে কিন! তাহা দেখিয়। যাইব । সামান্য কিছু দেখিয়াছি, কাগজ- পত্রে এখানকার শিক্ষাগ্রণালী সম্বন্ধে কিছু কিছু আলোচনাও পড়িয়াছি। পরীক্ষ। নানা প্রকারের চলিতেছে, প্রণালী নান। রকমের উদ্ভাবিত হইতেছে ।--* হট৩৪ দেশের গভর্নমেণ্টের শিক্ষানীতি সম্পর্কে বলিলেন, “***দেশের মনঃপ্রকৃতিতে একাধিপত্য বিস্তার করিয়৷ সে আপনার আইন খাটাইবে, ইহাই তাহার মতলব । সুতরাং এট বৃহৎ বিস্তার কল কেরানিগিরির কল হইয়া উঠিতেছে। মানুষ এখানে নোটের স্থডি কুড়াইয়া ডিগ্রির বস্তা বোঝাই করিয়া তূলিতেছে, কিন্তু ভাহ! জীবনের থাগ্য নহে । * রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তব্য, হইবে ।:*জাতীয় নামের দ্বার! চিহ্নিত করিয়া আমরা কোনো একটা বিশেষ শিক্ষাবিধিকে উদ্ভাবিত কবিয়! তুলিতে পারি না। যে শিক্ষা স্বজাতির নানা লোকের নান! চেষ্টার দ্বারা নান! ভাবে চালিত হইতেছে তাহাকেই জ্জাতীয় বলিতে পারি। ম্বজাতীযের শাসনেই হউক আর বিজাতীযের শাসনে হউক, যখন কোনো একটা বিশেষ শিক্ষাবিধি সমন্ত দেশকে একটা-কোনে! ধরব আদর্শে বীধিয়া ফেলিতে চায় তখন তাহাকে জাতীয় বলিতে পারিব ন1-_তাহা সাম্প্রদায়িক, অতএব জাতির পক্ষে তাহা সাংঘাতিক ।” [ শিক্ষাবিধি- রবীন্দ্-রচনাবলী £ ২৬শ খণ্ড || পঃ ৫৬৭-৭২ 1 লক্ষ্য ও শিক্ষা প্রবন্ধে কবি বলিলেন, “আমার বলিবার কথা এই, শিক্ষ/ কোনো দেশেই সম্পূর্ণতত ইস্কুল হইতে হয় না, এবং আমাদের দেশেও হইতেছে না। ."মান্ুষেব শক্তি যেখানে বৃহত্ভাবে উদ্যমশীল সেইখানেই তাহার বিদ্যা তাহার প্ররুতির সঙ্গে মেশে 1:::% অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ স্কুলের বাহিরে বৃহত্তর সমাজভীবনে মানষের মহত্মম জীবনাদর্শ ও লক্ষ্যেন্-উপয্ অধিক গুরুত্ব আরোপ করিতে চাহিলেন। তিনি বলিলেন, “...আমাদের দেশেব এই লক্ষাকে যদি আনর' সম্পূর্ণ সচেতনভাবে মনে বাখি তবেই আমাদের দেশের শিক্ষাকে আমর! সতা আকাব দান করিতে পারিব। জীবনের কোনো লক্ষা নাই অথচ শিক্ষণ আছে. ইহার কোন অর্থ ই নাই ।"..” [ লক্ষ্য ও শিক্ষা-__রবীন্দ্র-বচনাবলী £ ২৬শ খণ্ড ॥ পূঃ ৫৭৬-৭১ ] রবীন্দ্রনাথ আবও কযেকমাস ইংলগ্ডে থাকেন । তাহার বিস্তৃত বিবরণ “রবীন্দ্- জীবনী” “বিশ্বভ্রমণে রবীন্দ্রনাথ" প্রভৃতি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হইযাছে । সংক্ষেপে বলিতে গেলে, এই কয়মাস আমরা রবীন্দ্রনাথকে তাহার কবিত! ও নাটকগুলি অনুবাদ করিবার ( এবং অপরকে দিয়া অন্রবাদ করাইবার ) কাজে ব্যস্ত দেখিতে পাই। এই সময়ে জানা গেল, “ইওিয়া-সোসাইটি” হইতে গীতাগ্রলি প্রকাশ করিবার ব্যবস্থা হইয়াছে। অক্টোবরের শেষের দিকে কবি আমেরিকা যাত্রা করিলেন। || আমেরিকায় | ২৮শে অক্টোবব ১৯১২ ববীন্ত্রনাথ নিউইয়র্ক মহাঁনগবীতে পৌছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বধীন্ত্রনাথ, প্রতিমা দেবী ও ভাঃ ডি. এন. মৈত্র। ববীন্দ্রনাথ বেশ কিছুকাল হইতেই অর্শবোগে কষ্ট পাইতেছিলেন। অস্ত্রোপাব না কবিয়া আমেবিকায় হৌমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কবাইবেন স্থিব কবিয়াছিলেন। প্রধানত এই উদ্োশ্তেই হাব আমেবিকায় আসা । আমেবিকায় নামিযাই তাহাৰ তিক্ত অভিজ্ঞত| জন্মাইল। এই প্রসঙ্গে ডাঃ ডি, এন. মৈত্র লিখিতেছেন, “আমেবিকাষ নেমে এক অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞত। আমবা পেয়েছিলাম । মনে কবেছিলম কজন মিলে একটু ঘবোষা! গোছে থাকবো, সেই চেষ্টায় বাহিব হলেম। আমাব যুবোপীষ পোশাক ছিল। একটি বেডিং হাউসে গিষে আমি জিজ্ঞাসা কবি 'ঘব আছে? বলেই, কিন্তু পবমুহূর্তেই কবিব আলখেল্া পরা দীর্ঘ গুক্ষশ্মস্রমণ্তিত চেহাঁবা দেখেই বলে 'না নেই | এমন কযষেক জাযগায় ব্যর্থ হযে আমবা হেবন্ড স্বোযাব হোটেল-এ আশ্রয নিলাম । “কবি অত্যন্ত বিবক্ত ও বিক্ষুধ হলেন এইৰপ অভদ্রোচিত ব্যবহাবে, বিশেষত ভাবতবাসীব প্রতি অবজ্ঞার জন্য ।*" নিউইঘর্কে থাকতে তাৰ মন চাইল না।* [ জ্যোতিযচন্দ্র ঘোষ-_বিশ্বভ্রমণে ববীন্তরনাখু-/১গুঃ ৪৬-৪৭ ] নিউইয়র্কে কিছুদিন জনৈক চিকিৎসকেব অবীনে চিকিৎসা 'কবাইয়। তাহাবা আর্বানায় যাত্রা কবিলেন। 'আর্বানাষ ইউনিটাবিয়েনদেব ক্লাবে ববীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন উপদেশমালাব বিশ্ববোধ, আত্মবোধ, ব্রদ্ষসাখন ও কর্মযোগ-_এই চাবিটি প্রবন্ধের ইংরাজী তর্জম! কবিয়৷ বক্তৃতা কবিলেন। জানুয়ারির শেষেব দিকে কবি আর্বানা হইতে শিকাগো! 'আদিলেন। এইখানে 10819 01 ০ 7101006 0151115861011 0 [10014 এবং 1100 17101] খা॥5 01 7৮1], নামক প্রবন্ধ দুইটি ভাষণ হিসাবে প/ঠ কবিলেন । কয়েকদিন গবেই তাহারা রচেন্টারে পৌছিলেন। রচেস্টারে তখন উদ্দার ধর্মমতাবলম্বীদের এক সম্মেলনেব আয়োজন করা হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ এই সম্মেলনে যোগদান কবিবার আমন্ত্র পাইলেন। সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৩৩২ মনীষীরা যোগদান করেন। এই সম্মেলনেই রবীন্দ্রনাথ তাহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এঁতিহাসিক বক্তৃত! 429০০ 907119৮ পাঠ করিয়াছিলেন । এই বক্তৃতার মূল কথাটা হইতেছে,--মানব সভ্যতার আদিকাল হইতে জাতি- সংঘাত লাগিয়াই রহিয়াছে, এই জাতিসংঘাতের নান! ছন্ঘ, বিরোধ ও বৈষম্যের মাঝেও মান্য তাহ।র আপন প্রয়োজনে একটি এক্যস্থত্র খুঁজিয়। বাহির করিতে চায়, যাহা নানা পরম্পববিরোধী শক্তিগুলিকে সমঘ্িত করিয়া! এক সুত্রে গাঁখিতে পারিবে । ভারতবর্ষের সভ্যতার ইতিহাসের মূলই হইতেছে, তাহার নিজের অভ্যন্তরেব নান| ছন্ব-বিরোধের মধ্যে সামপ্তশ্য স্থাপনের চেষ্ট।। ভারতসভ্যত যে এঁক্যকে আশ্রষ কবিয়াছে তাহ। মিলনমূলক, রবীন্দ্রনাথ একথাবই পুনরাবৃত্তি করিলেন তাহার এই বক্তৃতা । কিস্ধ অধুনাকালের জাতিসংঘ(তেব মধ্যেও তিনি এক মহান ভবিষ্যতেব সম্তাবন! দেখিতে পাইলেন যেন। তাই তিনি বলিলেন, “আজ যে স্মসভ্য মান্ুষেব সম্মুখে এই জ্ঞাতিসংঘাতেব সমস্। উপস্থিত হইয়াছে, ঈ্ছতে আমাদেব আনন্দিত ও উৎসাহিত হইবার কথা । বিশ্বমানবের চেতনার মধ্যে মান্য যে নবজন্ম লাভ করিয়াছে, ইহাই এ যুগের মকলেব চেষে গর্ব কবিবাব বিষষ। -মন্ুয়াত্েব মহ। আহ্বান যখন সমুচ্চ কে ধ্বনিত, তখন মন্তযোব উচ্চতর প্রকৃতি কি তাহাতে সাড। ন। দিষ' থাকিতে প'বে। জান, শক্তি ও জান্তীঘ ?গক্বে মদোন্ন্ত উন্মাদনাব উৎসব-নিশথে মান্তষ সেই আহ্বানকে উপহাস কবিষা উডাইয। তে পাবে, তাহাকে শুন্য ভাবুকত৷ ও দুবলতাব পণ্রচাষক বলিবা ঠেলিয। দিতে পবে__কিন্ত সেই মন্ততাব মধ্যেই,_তাহাব সমস্ত প্রকৃতি যখন প্রতিকূল, তাহার প্রবলুপণক্রমন গখন বিচাবমূড ও স্তাঘঘাতী__সেই সমযেই, এই কথা তাহার মানসপটে সহসা উদ্ভাসিত হইয! উঠে মে নিজেব অন্তন্নিহিত সর্বোচ্চ সত্যকে আঘাত কবা আত্মঘাতেব চবমতম বপ। যখন বৃহবদ্ধ াতীষ স্থাতন্ত্যপরতা, পরভাতি- বিদ্বেষ এবং বাণিজ্যর স্বার্থান্বেষণ অত্যস্থ আঅনাবৃতভাবে তাহার বীভৎসতম রূপ প্রকাশ কবে, তখনি মান্ুযেব জানিবার সময উপস্থিত হয ষে রাষ্ীয় প্রতিষ্ঠানে বা বাপকতব বাণিজ্যেব আযোজনে, কিংব! সামীজিক কোনে যন্ত্রবদ্ধ নৃতন ব্যবস্থায় মানুষের মুক্তি নাই । জীবনেব গভীবতব রূপান্তর সাধনে, চৈতন্তকে সর্ব বাধ। হইতে প্রেমেব মধ্যে মুক্তিদানে এবং নরের মধ্যে নারায়ণের সম্পূর্ণ উপলব্ধিতেই মানুষের যথার্থ মুক্তি ।" [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় ৩ ॥| পৃঃ ৩১৪-১৫ ] বিষয়ের অভিনবন্ধে আমেরিকার পত্রপত্রিকাগুলি সামধিকভাবে একটু চঞ্চল হইয়! উঠ্ঠিষাছিল বটে, কিন্তু ধনতন্ত্রবাদী ও উগ্র নিগ্রো-বিদ্বেধী ব। বর্ণবিদ্বেধী ৩৩৩ আমেরিকার কাছে রবীন্দ্রনাথের এই জাতীয়তাবাদবিরোধী বিশ্বমানবতার আদর্শের কোনে আবেদন ছিল না। আমেরিকা হইতে লেখা চিঠিপত্রগুলি হইতে প্রমাণ পাওয়! ঘায় যে, প্রায় এই সময় হইতেই রবীন্দ্রনাথের মনে শাস্তিনিকেতনের বিদ্ভালয়ের জন্য বিদেশ হইতে অর্থ সংগ্রহ করিবার কল্পনা উদয় হয়। আমেরিকায় থাকিতেই কবি জানিতে পারিলেন, লগ্নে ইত্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক গীতাঞ্জলির ইংরাজী অনুবাদ (43078-0661085' ) প্রকাশিত হইয়াছে; ম্যাকমিলান কোম্পানি উহ! প্রকাশ করেন (১৯১২ নভেম্বর )। গীতাঞ্জলির ইংরাজী অনুবাদ প্রকাখিত হইলে ইংলণ্ড ও আমেরিকায় যে বিরাট চাঞ্চল্য উপস্থিত হইয়াছিল, সে ইতিহাস প্রায় সকলেরই জান|। এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ রবীন্দ্রনাথ আমেরিকা হইতে ইংলগ্ডে ফিরিলেন। কিছুদিন পরে তিনি ক্যাক্স্টন হলে পবপর কয়েকটি বক্তৃতা করিলেন। প্রা সবগুলি বক্তৃতাই শান্তিনিকেতন উপদেশমালার ইংরাজী তর্জমা। সেগুলি হইতেছে-_-7)0 2090) 0£ 0১০ 10001510008] 7100. 80 আ)15শোনিত ( ব্যাট ও সমষ্টির সম্বন্ধ )১ 9011007)80101181)%৭ ( আত্মবোধ )১111)6 1১:00 01 ০51] ( পাপবোধ ), 7১010100880 9০1 (আত্মসমন্ত্া )১ 1১০01576101) 11) 10৮০ ( ভক্তিযোগ )১ 13021156100 1) 9০৮10 ( কর্মযোগ ) 13091188610) 2 [9০80৮ ( সৌন্দ্যবোধ ) ও 18081152610) 01 0070. 11010016 (বিশ্ববোধ )। এইগুলি পরবর্তীকালে ইংরাজী 439017, গ্রন্থে সংকলিত হইয়াছে । ৪ঠ| সেপ্টেম্বর ১৯১৩ রবীন্দ্রনাথ লিভারপুল হইতে দেশের পথে যাত্রা' করিলেন । যাত্রার পূর্বেকার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে রবীন্দ্রীবনীকার £লখিন্ডেচেন, “লিভারপুলে জাহাজে উঠিবার পূর্বেই ১৪ই আগস্ট (১৯১৩) তারিখের একখানি “বেঙ্গলি' দৈনিক কবির হস্তগত হইল; সেই কাগজ হইতে কবি জানিতে পারিলেন যে বর্ধমানে প্রলযংকরী বন্যা হইয়। গিয়াছে । বিদায়কালে যে সব সাংব।দিকের দূল কবির নিকট হইতে বাণী গ্রহণের গন্য উপস্থিত হন, তাহাদের নিকট তিনি অত্যস্ত তীব্রভাবে বলেন যে বাংলাদেশের এতবডে! একটি মমন্তদ ঘটনা! বিলাতের কোনে কাগজে প্রকাশমাত্র হয় নাই; অথচ তিনি জানিতে পারিয়াছেন বন্যার বিস্তারিত সংবাদ জার্মান কাগজে যথাসময়ে বাহির হইয়! গিয়াছিল।-".* [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥। পৃঃ ৩২৫-২৬ ] প্রায় একমাস্‌ পরে-_9ঠা অক্টোবর জাহাজ বোম্বাই পৌছিল। ছইদিন পরে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় পৌঁছিলেন। ॥ মহাযুদ্ধের পূর্ধে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীন্ী ॥ কলিকাতায় জোড়ানাকোর বাড়িতে হে-চৈ ও গোলমালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ যেন অভিষ্ঠ হইয়া উঠিলেন। তাই ছুইদিন পরই তিনি শান্তিনিকেতন যাত্রা করিলেন (৮ই অক্টোবর ১৯১৩ )। কিছুদিন পর বিদ্যালয় খুলিল। তারপর সেই স্মরণীয় এঁতিহাসিক দিন, ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্বের ১৩ই নভেম্বর .ভারতবাসী জানিতে পারিল--১৯১৩ সালের সাহিত্যের “নোবেল গ্রাইজ' রবীন্দ্রনাথকে প্রদত্ত হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্থির পর দেশে ও বিদেশে এবং বিশেষ করিয়া কবির মনে কী প্রতিক্রিয়া হইয়াছিল, তাহা বিভিন্ন পুস্তকে বিস্তারিতভাবে বণিত হইযাছে। এখানে বোধকরি সে-সকলের পুনরুল্লেখ নিপ্রয়োজন। তবে এই প্রসঙ্গে একটি কথা উল্লেখযোগ্য যে, রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি একদিকে যেমন ভারতবাসীর জাতীয় মযাদাবোধ ও আম্মবিশ্বামকে দৃচতর করিয়াছে, অপরদিকে তেমনই পরোক্ষভাবে ইহা! আমাদের জাতীয মুক্তি আন্দোলনকে করিয়াছে বেগবান । অকল্মাৎ মুহুর্তে যেন ভারতবর্ষ পৃথিবীর বিদগ্ধ সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। ইতিমধ্যে শান্তিনিকেতন বিদ্যালষের কিছু পরিবর্তন ঘটিযাছে। রবীন্দ্রনাথ যখন বিলাতে, সেই সময়ই এগুজ. ও তাহার বন্ধু পিযার্পন কবির আদশে মুগ্ধ হইনর্পনীস্তিনিকেতনে যোগধান করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ ইংলগ্ডে থাকিতেই তাহাদের প্রতি আন্তরিক অশিনন্দন জ্ঞাপন করেন। এই দুই আদর্শবাদী ইংরাজ যুবক শুধু শান্তিনিকেতন ও ববীন্্রনাথের মতাদর্শে ই আৰুষট হন নাই, ভারতবর্ষ ও আফ্রিকার পবাধীনতার জন্য ঈহার! অত্যন্ত বেদনা অন্নভব করিতেন। ভারতবধের জাতীয আন্দোলনে যে ইহাদের একটি বিশিষ্ট ভূমিকা আছে, এ-কথা বোধকরি সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিবেন। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীজীর নেতৃত্বে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের এক নৃতন অধ্যাযের হুত্রপাত হইল। এই আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলা দরকার । ট্ান্সভালের সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জের তখনও শেষ হয় নাই। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৭0019) 01309) 40৭0৪? প্রতিষ্ঠিত হইল ( ১৯০৯)। জেনারেল ৩৩৫ স্থাট্‌স্‌ হইলেন তাহার প্রথম বিচারমন্ত্রী। অল্পকালের (১৯১৩) মধ্যেই সেখানকার সপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত হইল যে, অতঃপর দক্ষিণ আফ্রিকায় খ্রীস্টান বিবাহই একমাত্স বৈধ বিবাহ বলিয়া বিবেচিত হইবে । ইহার ফলে, ভারতীয় বিবাহিত মহিলারা আইনের চোখে বারবনিত৷ শ্রেণীর পর্যায়ভৃক্ত হইলেন। এই নিদারুণ অপমানে সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয় সমাজ ক্ষিপ্ত হইয়! উঠিলেন। অপরদিকে নাটালে তখন ভারতীয় শ্রমিকরা মাথাপিছু তিন পাউও ট্যাক্সের বিরুদ্ধে ধর্মঘট-সংগ্রাম শুরু করিয়া দিয়াছে ; 4. 007186010শে" নামক জনৈক ভারতীয় খ্রীস্টান ইহাদের নেতৃত্ব করিতেছিলেন। আর একদিকে নিউ ক্যাসেল- এর ক্য়লাখনির ভারতীয় শ্রমিকর! ভারতীয় মহিলাদের প্রতি অবমাননাকর ব্যবহারের প্রতিবাদে ধর্মঘট ও অহিংস সত্যাগ্রহ সংগ্রাম শুরু করিয়া! দিল। স্বয়ং গান্ধীজী ইহাদের নেতৃত্ব করিতেছিলেন। নিউ ক্যাসেল এবং সমগ্র নাটালে সহত্র সহত্র ভারতীয় শ্রমিক ধর্মঘট ও সত্যগ্রহ সংগ্রামে যোগদান করিল । গভর্নমেপ্ট নৃশংসভাবে এই আন্দোলনকে ধমন করিতে শুরু করিলেন । সহস্র সহস্গ মজুরকে গ্রেপ্তার করিয়া! খনি অঞ্চলে প্রেরণ করা হইল, উদ্যত সঙ্গীনের মুখে তাহাদের কাজ করিতে বাধ্য কর! হইতে লাগিল । এই সংবাদে ভারতবর্ষে তথ। সমগ্র বিশ্বে দারুণ প্রতিক্রিয়ার স্থাট্রি হইল। বড়লাট লর্ড হারডিঞ্ত অবধি দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের এই আচরণের তীব্র নিন্দাবাদ করিলেন। চারিদিকের এই নিন্দাবাদ ও জনমতের চাপে ম্মাট্‌স সরকার কিছুট। নতি স্বীকার করিলেন। শেষ পযন্ত ম্মাট্‌স্‌ এই ব্যাপাবে একটি তদন্ত-কমিশন নিযুক্ত করিলেন। গান্ধীজীও এইরকম একটা শান্তিপূর্ণ মধ্যস্থতা! 'বা আপস- আলোচনার পক্ষেই ছিলেন। তিনি ভারতবর্ষে গোখলের সহিত যোগাযোগ রাখিয়া এ ব্যাপারে পরামর্শ চাহিয়া. পাঠাইলেন। এগঁজ. ও পিয়াসন-সাহেব ভারতবর্ষ হইতে গোখলের পরামর্শ ও নির্দেশ লইয়া দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীজীর নিকট উপস্থিত হইলেন । আফ্রিকাযাত্রার পূর্বে এগুজ. ও পিয়াসন শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ গ্রহণ করিবার জন্য আসিলেন ৷ তাহাদের যাত্রার সাফল্য কামন। করিয়। শান্তিনিকেতনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় । সেদিন মন্দিরের বিশেষ উপাসনায় রবীন্দ্রনাথ আচার্ধের কার্য সম্পন্ন করেন। ৩০শে নভেম্বর ১৯১৩ এপুজ, ও পিয়ার্সন বোলপুর ত্যাগ করিলেন। যাত্রার পূর্বে ছাত্রদের উদ্যোগে এক বিদ্বায়সভায় পিয়ার্সন বলিলেন, “আমি এবং আমার বন্ধুর (এগুজ.) পক্ষ হইতে একটি মাত্র কথা তোমার্দিগকে বন্দিতেছি যে এই শান্তিনিকেতন আশ্রম হইতে যে শান্তি আমর! সঙ্গে করিয়া! লইয়! যাইতেছি তাহা দক্ষিণ আফ্রিকার কার্ধে আমার্দিগকে সাহায্য করিবে ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড । পৃঃ ৩৩৮ ] বিল্ময়ের কথ, দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি কিংব! গান্ধীজী প্রবর্তিত সত্যাগ্রহ- আন্দোলন সম্পর্কে তখনও আমরা! রবীন্দ্রনাথকে কোনে। মন্তব্য করিতে দেখিতে পাই ন|। রবীন্দ্রজীবনীকারও এ সম্পর্কে কোনো তথ্যাদি সরবরাহ করেন নাই। তবে মনে হয় এই আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের মোটামুটি সহানুভূতি ও সমর্থন ছিল। প্রায় মাস ই পরে ( ১৯১৪ ফেব্রুয়াবা ) শান্তিনিকেতন হইতে রবীন্দ্রনাথ এগু,জকে এক পত্রে লিখিতেছেন, “০ 10097 0 1১০৮৮ 10৮ জম১ 710) 500, 1110 5011 +/67%) 10000000172 00050 00) ৮ 200100 সা 117, 0021601101 1070 000860৯- [এ ।। পঃ ৩৩৮] ইংলগ্ ও আমেরিকার ধর্ম ৪ অধ্যাম্মবিষষক বন্তুত। এবং গীতাঞ্জলির স্বীরৃতি ও সমাদর লাভেব ফলে রবীন্দ্রনাথের মনে কেমন যেন একটি ধারণ। ক্রমশই বদ্ধমূল হতে থাকে যে, জগতেব মূল সমস্যাই হইতেছে ধর্ম ও অধ্যাত্সমন্ত। | রাজনীতির প্রয়োজনীযত! ও কাযকারিত! সম্পর্কে ক্রমশই তিনি গভীরভাবে সন্দিহান হইয়া উঠিতে খকেন। এই সকল কারণেই তিনি দেশের ও বিশ্বের রাজনৈতিক ঘটনাবলীর উপব বিশেষ কোনে! গুরুত্ব আরোপ করিতে পাবিলেন ন।। এইখানেই গান্ধীদ্গাব সহিত ববীন্দ্রনাথেব প্রধান পার্থক্য । গাদ্ধাজী দক্ষিণ আফ্রিকাব ভারতায়দের মানবিক অধিকারের দাবিতে রাজনৈতিক সংগ্রাম পবিচালন! করিতেছেন । তিনি প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং গণসংগ্রামে বিশ্বাসী । পক্ষান্তরে, স্বদেশী আন্দোলনের যুগে ববীন্দ্রনাথ গণসংযোগ ও পল্লী উন্নুযুন্র উপর গ্ুকত্ব আবোপ করিলেগু প্রতাক্ষ গণসংগ্রামেব নির্দেশ কখনও দের্ন নাই । প্রায়শ্চিত্ত ও অচলাঘতন নাটকে তিনি গণবজ্রোহ ও সমাজ-বিপ্রবের ইঙ্গিত দিয়াছেন বটে, তবে দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনকে সেইভাবে পরিচালিত করিবার নিদেশ তিনি দেন নাই । ইহার একমীত্র কৈফিযত--রবীন্দ্রনাথ কবি, রাজনীতিবিদ নহেন। গান্ধীজী ভাব-বধীয় ও এশীযদের--বিশেষ করিষা আফ্রিকাবাসী ভাবতবধীযদ্বে স্বার্থের কথা ছাড়া আর কাহারও স্বার্থ ও দা্ব লইষা সংগ্রাম করেন নাই । ভারতবর্ধীয়ের, স্থার্থরক্ষার জন্য তিনি ইংরাজ সাম্রাজাবাদের সহিত সহযোগিতা করিয়া বোয়ারদেব ও জুলুদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাইতেও ছ্বিধা বাধ করেন নাই । ১৯১৩ সালে যখন, দক্ষিণ আফ্রিকায় রেলওয়ে ধর্মঘটের সম্ভাবন৷ দেখা দিল, তখন তিনি ভারতীষদের পরিষ্কারভাবে ইউবোপীয় ধর্মঘটাদেব পক্ষ সমর্থন করিতে ৩৩৭ রবীক্জানাথ ॥ ২২ নিষেধ করিলেন । গান্ধীজীর যুক্তি গভর্নমেন্টের সংকটজনক মুহুর্তের যোগ লইয়া ইউরোপীয়দের ধর্মঘট তিনি সমর্থন করিতে পারিবেন না। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বুকে ইংরাজের সাম্রাজ্যবাদী শোধণকেই নয়, বিশ্বব্যাপী সাত্রাজযবাদের শোষণ ও লুষ্ঠনকে তিনি দেখিতে পাইলেন না; পরস্ত তখনও পর্ধস্ত ( এবং তার পরও বহুদিন পর্ধস্ত)) তিনি ছিলেন ব্রিটিশ এম্পায়ারের একনিষ্ঠ ভক্ত । পক্ষান্তরে, রবীন্দ্রনাথ অতি অল্প বস হইতেই সাম্রাজাবাদের স্বরূপটি সামগ্রিকভাবে বুঝিবার চেষ্টা করিয়াছেন এবং সেই সময় হইতেই তাহাকে অত্যন্ত তীব্র ও কঠোর ভাষায় নিন্দা ও আক্রমণ করিয়া আসিতেছেন। একদিকে যেমন তিনি সাম্রাজ্যবাদের বর্ঁ-বিদবেষ ও মিথ্যা জাত্যাহঙ্কারের প্রতি বিনিপাত জানাইয়াছেন, অপর দিকে তেমনই তিনি এশিয়া ও আফ্রিকার পরাধীন ও লাঞ্ছিত দেশগুলির প্রতি জানাইয়াছেন অকু্ঠ আস্তরিক সমবেদনা | আদর্শের ক্ষেত্রে, রবীন্দ্রনাথ সামগ্রিক ভাবে জাতীয়তাবাদকে (1860051151) নিন্দা ও অস্বীকার করিয়! স্বজাতির মিলন ও বিশ্বমানবতার আদর্শকে সর্বোচ্চ তুলিয়া! ধরিলেন। কিন্তু গান্ধীজী তখনও পযন্ত স্পষ্টভাবে তাহার আদর্শকে রূপদান করিতে পারেন নাই । তখনও তিনি তীহার অন্বিষ্ট খুঁজিয। পান নাই । অবশ্য সংগ্রামের নীতির ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে বেশ একটি এ্রকা দেখিতে পাওয়া যায়। উভয়েই ছিলেন সন্ত্রাসবাদী নীতির ঘোরতর বিরোধী । সংগ্রামের নীতি ও পন্থার ক্ষেত্রে উভয়েই ন্যানীতি ও ধর্মবোগের উপর সংগ্রামের ভিত্তি করিতে চাহিয়াছিলেন ৷ গান্ধীজীর অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনের উপর টলস্টয়ের চিন্তাধারার প্রভাব ছিল। হার ন্তায়নীতিতে *ক্রর কাষকলাপের' সমালোচনা করিবার কিংবা শত্রকে ঘ্বণা অথবা অবিশ্বাস করিবার অধিকার--ছিল না। আফ্রিকায় বার বার স্মাটস কর্তৃক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতার পরও তিন পুনরায় ম্মাট্সের কথার উপর বিশ্বাস স্বাপন করিয়৷ সত্যাগ্রহ আন্দোলন স্থগিত রাখেন । তাহার মতে, “ 01860071)0% 0) & 82692078101 16 0966560) 100 2]] 7:91)09০ 1919 2136 11) 7০ 80৮০১৪7১5০0 1017৮ 88 0801০ 87৪ 250৮ ০০০৮ 29015051007 01৮705৮1901) 60 28569807101 19 0109 9877)6 98 101998070, 1700 11] 180 00201019190 2015]00. 199 8০ 105979 97 ০0 8007176 11)60 07001001695 019৮186.5 [018685% 185. 8100 0 69800688 8২). 886580791)9, 110])1195 &)০ 19210181)17)076 ০0: ৪1] 98105698 8220 0)97901০ 01 01508) 1101) 18 0199]]5 ০0 01 171909 8892) 656 20578877018 7)0% 60109 09র:0560 190৮ 02013 ০০, 0592,5 [ [7190 710001)9715০--0800001 : & 8৮৫5. 00. 90-৪1 ] ৩৮ গাক্ধীজীর সত্যাগ্রহে ফললাভ গৌণ--বেদন। ও ছুখে ভোগই মৃখ্য। পক্ষান্তরে, রবীন্দ্রনাথ এইবপ দৃষ্টিভঙ্গি লইয়া সংগ্রামের চুলচেরা বিচার করেন নাই। মানবতার শক্র সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতিটি অপকর্মের তীব্র সমালোচনা করিয়া তিনি তাহাদের নিপাত জানাইয়াছেন। নৈবেগ্য-এ রুপ্রের নিকট শক্তি ভিক্ষা মাগিয়া তিনি বলিয়াছিলেন, “ক্ষমা! যেথ। ক্ষীণ দুর্বলতা, হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথ। তোমার আদেশে । যেন রসনায় মম সত্যবাক্য ঝলি উঠে খরখড়গাসম তোমার ইঙ্গিতে । যেন রাখি তব মান তোঘার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান । অন্তায় যে করে "সার অন্তায় যে সহে তব ঘ্বণা যেন তারে তৃণসম হে ।।? ইহাই রবীন্দ্রনাথের সংগ্রাম-নীতির মর্মকথা। সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধের সহিত সহযৌগিত। ব। আপসের স্থান ছিল ন। তাভার সংগ্রামের নীতিতে ৷ কিন্তু গান্ধীভী ভারতবর্ষের স্বার্থ চিন্ত। করিম। যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদের সহিত আপস করিয়াছেন । পরবর্তীকাশে প্রথম মহাযুদ্ধেও তিনি সক্রিষভাবে ইংরাজ সাম্রাজ্যবাদের সহিত লহযোগিত|। করেন, যথাপময়েই মামর| তাহার বিস্তারিত আলোচনা করিব । আধুনিক জ্ঞান-বিজখন ও সভ্যতাকে গ্রহণের প্রশ্বেও উভয়ের চিন্তাধারায় বিরাট পার্থকা দেখা যায । গান্ধাজী আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের মৃলেই সন্দ্তে প্রকাশ করিযাছেন এবং প্রকারান্তরে উহাকে বর্জন কবিচাছেন। "৮৯০৯ সালে এক বন্ধুকে তিনি “হিন্দ-্বরাঁজ' গ্রন্থে একটি সংক্ষিপ্তসার দিয় মে পত্রথানি লিখেন, এই প্রসঙ্গে তাহা লক্গণীষ, দধুত 16 91006 01013110151) 10001)16 আ1)0 1 17001106 10012) 000 1৮ 15 1500101) 015111216018) 0002৮ 1৮5 28101955১ ০102001)0), ৮1010101005 8180. 8]78)0১৮ ০৮৫৮5 11050710101) দা1)118 1083 19001) 01811)00 6০100 & 010)])08 01 ০1৮112610, 4), 13011010059 €৭৮00006৮510100 0০ 090)07 01161 01005 01 [001 29 0150 109] 1)128৮00-৭1)0৮5, 56, 6 0371618]) 0810 সাতোতে 10018000 €018)0০৬ 109 [700181) 201৩ 19860. 028 10000) 1180050909১ [11019 জা9]0 0 00 1১০৮6০ ১ ০3০9106 80056 ৪0) সা0০]0 193 991৫ 60 15051 80000. 01 (90 120005 &0৪৮ 2৪ ৩৩৪ 0751160 ৪9১ 60 15752191)0 )100% 000 10019, 01810 01215 0690720 ৪॥:800000 ০0: ঠি0) 26100 0: 10070100 0150. 411)010%, 510 10090109] 80107000 08 00০ ০010061৮8৮০0 088)09 0110190 11880105 08190৮02515 1000)165 1000001910 00 17206 10588805100 1101) 2000010] 81011 0৪ 81101, 41], [309016915 97 0০ 10961010101869 00৮ 000 10051] 1705 1900 81700 101 119 ০) [01100050510 0110 10 10061) 1018 10010 01) 108 [17800010, [1)05 1)০1190801260 51০৮ 10715075800 00027061011 2170 788] 8180... 00৫০ সাং 1১0 17080016918 10৮ ৬শে৫]০] 0195808, 07 ০৮৪]॥ 102. 09079110101)0989 তে 310181018৮6) 168৭ 001)51011)1)8101)) 210 1098 8০12] ৮10৮ 3)01168% 118. “19, [001955 148158610)) 0010517৮৯ 10) 01810৮00110 আ1110৮ 8070 0088 1০]প)৮ 011100 ০ 1১১৮ ডা চা 00750511006 001209, €০1020188) 10031) 12 শোনত 00৮50120100 00 11 1৮৮6 21 ০ 2০. 115, 17/শ০ এ 10 1৯001) 20 07০ ৯৮6৯ 0014 100৮৬71)0 ন০ 18177118600 500105 &৪ ৮০111781006) 200৮০1] 6080010101৯ 01 98০ 1০০19193000 27100 191010%1) 01 1)01111) (৬৫ 070৯1)0 টাবিমাল 869 14 50 10101] 01 8) 101141)71)011))21) 600৬5 11৮00) 1105 95150107)...৮ []), 0 10000101100 2 ৬৮০1, 1,10৭) 13031] উপরোক্ত পত্রটিতে গান্ধীজীর আধুনিক সমাজ-সভ্যত। সম্পর্কে দৃষ্টি ভঙ্গিটি অতি সংক্ষেপের মধো সুন্দরভাবে বাক্ত হুইয়া! উঠিয়াছে। পক্ষান্তরে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উপর রবীন্দ্রনাথের ছিল শ্রদ্ধ! ও আস্থা । পল্লীর অর্থ নৈতিক পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তিনি আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কৃষিবিস্তানকে কিভাবে কাজে লাগাইবার পরিকল্পন।' করিতেছেন, সে-কথা পূর্বেই বিস্তারিতভাবে আলোচিত হইযাছে। রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্যদেশের সাত্রাজ্যলালসা ও পরজাতি- বিদ্বেষের সমালোচন। করিয়াছেন সত্য, কিন্তু পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য ও মনীষার উপর তিনি শ্রদ্ধা হারান নাই। প্রাচীন হিন্দুসভাত| ও তপোবন- সংস্কৃতিকে তিনি কবিকল্পনার দৃষ্টিতে বহুবার বিভিন্নভাবে দেখিয়াছেন বটে, কিন্ত তিনি প্রাচীন যুগে কখনও ফিরিয়া যাইতে চাহেন নাই । প্রাচীন ও আধুনিক যুগের একটি কাব্যিক সমম্থয় করিবার যে স্বপ্র তিনি দেখিয়াছিলেন, তাহ তিনি শান্তিনিকেতন আশ্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। কবির প্রগতিশীল মন'ক্রমশই কিভাবে আধুনিক সভ্যতা ও জান-িজ্ঞানকে গ্রহণ করিতে থাকে, থাসময়ে আলোচন৷ কালে আমরা! তাহা দেখিতে পাইব । 66৩ ইহার অল্প কিছুকাল পরেই প্রমথ চৌধুবী মহাশয়ের সম্পাদনায় “সবুজপত্র' পব্জিকা বহিব হয (১৩২১ বৈশাখ )। এই সবুন্দপত্রেব প্রথম সংখ্যাতেই চির- নবীনের চিরযৌবনের জযগান গাহিযা তিপান্ন বংসবেব প্রৌট কবি লিখলেন ( ১৫ই বৈশাখ, ১৩২১) 'সবুজেব অভিযান? নামক বিখ্যাত কবি্াটি। কবি লিধিলেন, “গুবে নবীন, গুবে আমাব কীচা, ওবে সবুজ, গবে অবুঝ, আবখমবাদেব ঘ। মেবে তুই বাচা । ৮ বক্ষণশীল সনাতনী বুদ্ধ জবদগ্নদেব ল্পণ7 কবিঘ| কবি ক্দ্রিপ কর্বিলেন, “& €ে প্রবীণ, এ দে পবন পাকা, চক্্ষকণ্ণ দ্রটি ঢানাষ ঢাক, “বামায মনে চিত্র পটে-আক অন্ধক।বে ল্ত্কব। খাচাম । ৮ সনাতনী অচলাযততন সমাজের পুঁপিপাদ এ অন্তত 'সনেব বন্ধন ছিন্ন করিবাৰ আহ্বান জানাই করব ব্দন্দেন, “কল 'দবাব এ য পঙজাবেদা ণবকল “ক বইবে খন্ড | পা" লামি, তুই অয বছুষাব ভন মান /ব “টেনে বাধ পথের ক্ষে। £ধ্বাশি। কক অবা্পপণনে, পথ “কটে হস্ত অজ নদ্েব দশে আপদ আছে, ভান আঘাত তাচ্ছে। তাই “নে “তা বক্ষে পবাণ নাচে ঘুচিযে দ ভাই পুঁথি পাডোব কাছে পথে চলাব বির্ধিবিণন ফচ | অয প্রমুর্ত আফ বে আমাব ক চ। ৬ সবুক্রপত্রেব এ বৈশাখ সংাতেই “বিবেচন। ও অবিবেচনা' প্রবন্ধে তিনি দেশেব যুবশক্কিকে 'বাধভাঙাব' আহ্বান জানাইলেন। তিনি বলিলেন, "পথিবীব সমস্ত বডো বডে। সভাতাই দুঃসাহসেব ন্ষ্টি। শক্তিব ছুঃসাহম, বুদ্ধির দুঃসাহস, আকাজ্ষাব ছু'সাহস। যাহাদেব সে দুঃসাহস নাই তাহাবা আজও ৩৪১ মধ্য-আফ্রিকার অরণ্যতলে মৃঢ়তার ত্বকপোলকল্পিত বিভীষিকার কাটার বেড়াটুকুর মধ্যে যুগযুগাস্তর গুড়ি মারিয়া বপিয়া আছে । "এই ছুঃসাহসিকের দল নিজের সমাজের মধ্যেও যে লক্মীছেলে হইয়। ঠা্ড। হইয়া বসিয়৷ আছে তাহা নহে। যাহা আছে তাহাই যে চূড়াত্ত, একথ! কোনো- মতেই তাহাদের যন মানিতে চায় না। বিজ্ঞ মানুষদের নিয়ত ধমকানি খাইযাও এই অশান্তের দল জীর্ণ বেড়া ভাঙিয়া, পুরাতন বেড়া সরাইয়া, কত উৎপাত করিতেছে তাহার ঠিকানা নাই ।.." “আমাদের দেশে সেই জন্মলক্ষ্মীছাড কি নাই ? নিশ্যযই আছে। কারণ তাহারাই যে প্রাণের স্বাভাবিক স্থষ্টি, প্রাণ যে আপনার গরছ্ছেই তাহাদিগকে জন্ম দেয়।".' মানা, মানা, মানা__শুইতে বসিতে কেবলই তাহাদিগকে মান! মাঁনিযা চলিতে হইবে। যাহার কোনো! কারণ নাই, যুক্তি নাই, তাহাকে মানাই যাহাদের নিষত অভ্যাস, মানিয়৷ চল। তাহাদের এমনি আশ্চধ দুরম্ত হইয়! উঠে যে, যেখানে কাহাকেও মানিবার নাই সেখানে তাহার! চলিতেই পারে না।...আমাদের সমাজ সমাজের মানুষগুলাকে লইয়া এই প্রকারের একটা প্রকাণ্ড পুডুলবাজির কারখান! খুলিয়াছে। '-প্রাণীকে এমন কলের পুতুল করিয়া তোল! জগতে 'আর কোথায় ঘটিয়াছে ?” উপসংহারে কবি বলিলেন, “যাহারা দেশকে ঠাণ্ডা করিয! রাখিয়াছিলেন তাহাব। অনেকদিন একাধিপত্য করিয়াছেন ।...কিন্ত দেশের নবযৌবনকে তীহার। আর নির্বাসিত করিয়া রাখিতে পারিবেন ন। | তাহার! চণ্তীমগ্ডপে বসিয়৷ থাকুন, আর বাকি সবাই পথে ঘাটে বাহির হইয়া 'পড়ুক। সেখানে তারুণ্যের জয় হউক । তাহার পায়ের তলায় জঙ্গল মরিয়া! যাক, জঙ্গল সরিয়। যাক, কাট! দলিয়া যাক, পথ খোলসা! হউক ; তাহার অবিবেচনার উদ্ধত বেগে অপাধ্যসাধন হইতে থাক ।” [বিবেচনা ও অবিবেচন।-_কালান্তব ॥॥ পুঃ ২৪-২+] ইতিমধ্যে এগুজ ও পিয়ার্সন দক্ষিণ আফ্রিকা! হইতে ফিরিয়া শাস্তিনিকেতনের কাজে যোগদান করিলেন। ইহার কিছুদিন পর রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে রামগড় যাত্রা করিলেন (মে ১৯১৪)। এই রামগড়ে বসিয়ই কবি পরপর “সবনেশে, “আহ্বান ও 'শষ্ধ' (৫ই, ৬ই ও ১২ই জোর্ঠ, ১৩২১) কবিত। তিনটি লিখিলেন ( বলাকা কাব্যগ্রন্থ তরষ্টব্য )| “সর্বনেশে' কবিতায় তিনি লিখিলেন, “এবার যে এ এলো! সর্বনেশে গো । বেদনায় যে বান ডেকেছে, রোদনে যায় ভেসে গো । ৩৪২ রক্তমেঘে ঝিলিক মারে, বঞ্জ বাজে গহনপাবে, কোন পাগল এঁ বাবে বাবে উঠছে অট্রহেসে গে! । এবাব যে এ এলে সর্বনেশে গে। 0৮ কিন্তু কী সেই 'সর্বনেশে'? কবি কি মহাবুদ্ধেব পূর্বাভাস দেখিতে পাইলেন ? রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এই কবিতাটিব বাখ্যা প্রসঙ্গে অন্য কথ৷ বলিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, «“ "আমার এ অন্তভূতি ঠিক যুদ্ধেব অন্তভূতি নয । আমাঁব মনে হয়েছিল যে, আমর মানবেব এক বুহৎ যুগসদ্ধিতে এসেছি, এক অতীত বাত্রি অবসানপ্রাষ । মৃত্যু-ছুঃখ-বেদনার মধ্য দিষে বৃহৎ নবযুগেব বক্তাভ 'অকণোদয় আসন্ন । সেঙন্ত মনের মধ্যে অকাবণ উদ্বেগ ছিল '।” [ গ্রন্থপবিচয়-_-ববীন্দ্র-বচনাবলী £ ১২শ খণ্ড ॥ পঃ: ৫৯৭ ] “মাহবান' কবিতায় আমবা সবুজেব অভিযানেবই স্থব শুনিতে পাই। “শঙ্খ কাবা কবি যেন পাঞ্চজন্ত আপন হন্ডে তুলিয! লইয়া বোদ্ধব বেশে অবতীর্ণ হইতে চাহিলেন , জগতেব যত কিছু 'অন্যাষ, অত্যাচাব ও অবিচারের বিরুদ্ধে তাহার এই যুদ্ধ ঘোষণা । কবি জাবনদেবতাৰ “নকট শক্তিভিক্ষা কৰিয়া বলিলেন, “ভোমাব কাছে আবাম চেষে পেলেম শুধু লঙ্জ | এবাব সকল অঙ্গ ছেয়ে পবাও বশসক্ষ । বাঘাত আস্বক নব নব, আঘাত খেষে অচল ববো, বক্ষে আমাব চঃথে, তব বাজবে জয ডঙ্ক। দেবে। সকল শক্তি, ল'বো 'অভষ তব শঙ্খ |1% কবি স্বয়ং এই কবিভাটিব ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলিযাছেন, “বলাকাব শঙ্খ বিধাতাব আহ্বানশঙ্খ, এতেই যুদ্ধের নিমন্ত্রণ ঘোষণ। করতে হয _অকল্যাণের সঙ্গে পাপের সঙ্গে অন্তায়ের সঙ্গে উদাসীনভাবে এ শবঙ্খকে মাটিতে পড়ে থাকতে ৩৪৩ দিতে নেই। সময় এলেই ছুঃখ স্বীকারের হুকুম বহন করতে হবে, প্রচার করতে হবে ।” [ গ্রন্থপরিচয়--্রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১২শ খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৯৩] আঁবার অন্ধাত্র কবি বলিতেছেন, "এই কবিত৷ যে-সময়কার লেখা তখন যুদ্ধ শুরু হতে দুমাস বাকি আছে। তারপর শঙ্খ বেজে উঠেছে? উদ্ধত্যে হোক, ভয়ে হোক, নির্ভয়ে হোক তাকে বাজানো! হয়েছে । যে যুদ্ধ হয়ে গেল তা নৃতন যুগে পৌছবার সিংহদ্বারন্বরূপ | এই লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে একটি সর্জজাতিক যজ্ঞে নিমন্ত্রণ রক্ষা করবার হুকুম এসেছে ।-".আরও ভাঙবে, সংকীর্ণ বেড়া ভেঙে যাবে, ঘরছাড়ার দলকে এখনও পথে পথে ঘুরতে হবে। পীশ্চাত্য দেশে দেখে এসেছি, সেই ঘরছাড়ার দল আজ বেরিয়ে পড়েছে । তারা এক ভাবী কালকে মানসলোকে দেখতে পাচ্ছে যে-কাল সর্বজাতির লোকের ।"'শঙ্খের আহ্বান তাদের কানে পৌচেছে। রোমা রোলা, বার্ড রাসেল প্রভৃতি এই দলের লোক । এরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ধ্াড়িয়েছিল বলে অপমানিত হয়েছে, জেল খেটেছে, সর্বজাতিক কল্যাণের কথ! বলতে গিয়ে তিরস্কৃত হয়েছে। এই দলের কত অখ্যাত লোক অজ্ঞাত পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বলছে প্রভাত হতে আর বিলম্ব নেই। পাখির দল যেমন অরুণোদয়ের আভাস পায়, এর তেমনি নৃতন যুগকে অন্তু হিতে দেখেছে । “...বলাকা'য় আমার সেই ভাবের সূত্রপাত হয়েছিল । আমি কিছুদিন থেকে অগোচরে এই "ভাবের প্রেরণায় অস্পষ্ট আহ্বানের পথে অগ্রসর হয়েছিলাম । এই কবিতাগুলি আমার সেই যাত্রাপথের ধ্বজাস্বরূপ হয়েছিল ।” [এ ॥ পঃ: ৫৯৭] সবুজপত্রের প্রথম বর্ষেই ( ১৩২১) রবীন্দ্রনাথ নারী-মুক্তির সমস্যা লইয়া,পর- পর তিনটি ছোট গল্প লিখিলেন। এই গল্প তিনটি হইতেছে,_হৈমস্তী" ( জ্যোট ), “বোষ্টমী” (আষাঢ়) ও ্ত্রীর পত্র (শ্রাবণ)। 'ন্ত্রীর পত্রের মৃণাল বাংলা সাহিত্যে এক অভূতপূর্ব ও বিস্ময়কর সষ্টি। মৃণাল সনাতনী হিন্দু সমাজের অন্ুশাসনের নাগপাশ ছিন্ন করিয়৷ বাংল! সাহিত্যে নারী-মুক্তির ধ্বজ। উড়াইয়। দিল। কেহ কেহ অন্নমান করেন 'ন্্রীর পত্রে' ইব সনের নারীমুক্তির আদর্শের প্রভাব আছে। ৩৪৪ ॥ প্রথম মহাযুদ্ধের সূচলাপর্থে ॥ ১৯১৪ সালে জুলাইযেব শেষদিকে এবং আগস্টেব প্রারন্ডে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জমবাযি প্রজ্লিত হইযা উঠিল। সাম্রাজ্যবাদী শক্কিগুলি সমগ্র বিশ্বকে নিজেদেব মধ্যে পুনবিভাণ ৪ পুনর্বন্টনের জন্য এই মহাযুদ্ধ শুরু করিল। বস্বতপন্গে বনুপবে হইন্েই ভাহাব। মহাযুদ্ধের জন্য ভিতবে-ভিতবে গ্রস্ত হইতেছিল। জামানীব সাম্রাজ্যবাদী কাষকলাপ এই যুদ্ধেব প্রত্যক্ষ কাবণ হইলেও পৃথিবাঁব সমস্ত সমম্রাঙ্গবাদী শক এই মহাযুদ্ধের জন্য দাযী। বেশ কিছুকাল হইতেই জামানীব শিল্পশক্তি, নৌশক্তি ও বিবাট সৈম্তবাহিনা হ'ব! ইউবোপেব ভাবসাম্য বিল্বত ও এবপযস্ত কবিয। তুলিযাছিল। জার্ম'ন'ব গতিবিধি ও কাযবলাপ প্রত্যক্ষ ও পবোক্ষাবে বাশিষ।, ই লগ ও ফ্রান্দেব স্থার্থকে বিদ্বিত কবিতেছিল। ১৮৮২ শ্রীাবে জানাশা, অস্ট্রঘ « ভতাণ শিলিষ। একটি জোট গঠন কাব , উহ ভ্রিশন্ত চুক্তি (111])1 উ111৭1056 ) ন'মে খ্যাত | ইভত্ৰ বিরুদ্ধে ই লগ্ত, ফ্রান্স ও বার্শষ| জামণনীব সম্ভাব্য অককমণ ণকাণ করিবার উদ্দেশে পবম্পব চুক্তিবদ্ধ হয , ইহা “ত্রশকি মিতালি (17110141006 ) নামে খ্যাত। দুই পক্ষই ণোপনে তাহাদেব সামবিক «“৭ভ্তকে জাব্দাব কর্কিে লাগিল। ইতিমধো জনৈক সাবীষ যুবকেব হস্তে অপ্ুঘ ব যুববাজ নিহ * হইলেন +২৮শে জুন, ১৯১৪ )। অল্লক'লেব মাই এই ক্ষুদ্র ঘটনাটিকে উপলক্ষ কবিষ| সাম্নাজাবাদা এক্ডিগুলি পবম্পবেব উপ্ব ঝাপাইযা পল । ১লা আশ জামানী বাশিযাব বিরুদ্ধে বুশ। ঘোষণ। কবিল। ২ব! আগস্ট অস্ট্রযা 9 জামানী ফ্রান্স, বাঁশষা ও সাবঘ। আক্রমণ কবিল। ঠঠ। আগস্ট ই লগ্ড যুগ খোধণ। কবায সমগ্র ত্রিটিশ সাম্রাজ্য এই যুদ্ধে ভড়িত হইয। পিল । ইতাল যুদ্ধেব প্রাবনেই জামানীব পক্ষ তাগ কবিযাছিল, বিছুকাল পবে ইতালি ও জণ্পন ইঙ্গ-ফব।সী পক্ষ অবলম্বন কবিল। আমেবিক প্রথমে এই যছে। “কানে পক্ঘই অবলগ্থন কবে নাই । যুদ্ধজনিত অবস্থাব স্থযোগে আমেবিক। ঢুই পক্ষেব সহিত ব্যবসা-বাণিজ্য কবিষ|, বিশেষত তাহাদ্বে নিকট সামবিব প্শাদ্রবা বিক্রয় কাবিয় প্রচুব মুলাফ। লুটিতে লাগিল । ৩৪৫ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি যুদ্ধের এই প্রস্ততি জনসাধারণের নিকট গোঁপন৷ রাখিয়াছিল। যুদ্ধ শুরু হইলে তাহারা সকলেই সাধু সাজিবার ভান করিল। তাহারা প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিল যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র কর্তৃক তাহারাই আক্রান্ত হইয়াছে ; অতএব এই যুদ্ধ তাহাদের “মহান্‌ পিতৃভূমি রক্ষার জন্য আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ; এবং সেই কারণে ধনী-দরিত্র নিবিশেষে সমস্ত দেশবাসীর এমযুদ্ধে যোগদান কর৷ প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কর্তব্য । এই বিশ্বযুদ্ধ সত্য সত্যই একটি মহা কষ্টিপাথর। এই কষ্টিপাথরেই বিচার হইয়। গেল, কাহারা সত্যই মানবপ্রেমিক । ইউরোপের মানবপ্রেমিক শাস্তিবাদী'রা ([৮৫184৮) এই অবস্থা কিংকর্তব্যবিমুট হইয়া পড়িলেন। রোম রোল", বাট্রণও রাসেল প্রমুখ ছুই-চারিজন মহাপ্রাণ শিল্পী এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করিলেন। যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বার্দে সারা ইউরোপের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় বিবেকবুদ্ধি জলাঞ্জলি দিয়! অতুযুগর জাতীয়তাবাদ ও যুদ্ধোন্নাদনায় মাতিয়া উঠিলেন। সেক্সগীয়র-মিপ্টন-ওয়র্ডসওয়ার্থ- শেলীর এতডিহাসম্পন্ন ইংলগ্ডে রূপার্ট ক্রকের (18810 [3:00] ) মত কবির যুদ্ধোন্নাদী কবিতাগুলি আবৃত্তি করিতে করিতে সারা ইংলগ্ড সামরিক কুচকাওয়াজ করি.ত লাগিল। বুটেনের শ্রমিকদল, এমন কি ফেবিয়ানপন্থীরাও যুদ্ধে সরকারকে সমর্থন করিলেন ( যদ্দিও বার্নার্ড শ ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধকে সমর্থন করেন নাই )। ইউরোপের সোন্তালিস্ট ও শ্রমিক দলগুলি, যাহারা এতকাল যুদ্ধের বিরুদ্ছে গরম-গরম বক্তৃতা করিয়া! আসিতেছিলেন, যুদ্ধের শুরুতেই পিতৃভূমি রক্ষার মহান কর্তব্যের অজুহাতে আপন আপন দেশের সরকারকে যুদ্ধে সমর্থন করিলেন । ব্যক্তি- গতভাবে দুই-চারিজন সোশ্যালিস্ট যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণ| করিম'ছিলেন সত্যকথা, কিন্তু ব্যাপকভাবে একমাত্র লেনিনের নেতৃত্বেই রাশিয়ার বলশেভিক পার্টি এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করিলেন। এক কথায়, সমগ্র ইউরোপের বুকে নামিয়৷ আসিল বিভীষিকার অন্ধকার । রবীন্দ্রনাথ তখন শান্তিনিকেতনে । যুদ্ধের সংবাদে তিনি যে কী পরিমাণ বিচলিত হইয়। উঠিলেন, তাহা অনুমান করা শক্ত নহে। মন্দিরের সাপ্যাহিক উপাসনায় কৰি না মা হিংসী৮ ভাষপটি পাঠ করিলেন (২০শে শ্রাবণ, ১৩২১ )। আকুল হুহী়! রুদ্ধকে তিনি ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা জানীইলেন, “**"সমঘ্ত মানবজাতিকে বাচাও। আমাকে বাচাও। এই বাণী যুদ্ধের গর্জনের মধ্য গুখরিত হয়ে আকাশকে বিদীর্ণ করে দিয়েছে। “স্বার্থের বন্ধনে জর্জর হয়ে, রিপুর আঘাতে আহত হয়ে*''মরছে মানুষ, বাচাও, ৩৪ তাকে । বিশ্বপাপের যে মৃতি আজ বক্তবণে দেখা দিষেছে সেই বিশ্বপাপকে দুব করে| | ''বিনাশ থেকে রক্ষা করে| 1, কিন্ত কেন এই বুদ্ব_কেন এতো বক্তপাত? এই বিশ্ঘাতী আত্মঘাতী মহাযুদ্ধের মূল কোথায়? কবি বলিলেন, “সমস্ত যুবোপে আজ এক মহাযুদ্ধে ঝড উঠেছে । কতদিন ধবে গোপনে গোপনে এই ঝড়ের আযোঙ্গন চলেছিল! অনেকদিন থেকে আপনাব মধ্যে আপনাকে যে নান্ুষ কঠিন করে বদ্ধ কবেছে, আপনাব জাতীয 'অহমিকাকে প্রচণ্ড কবে তুলেছে, তাব দেই অবকদ্ধত। আপনাকে আপনি একদিন বিদীর্ণ কববেই কববে। এক-এক জাতি নিজ নিক্ত "গৌববে উদ্ধত হয়ে সকলেব চেয়ে বলীমন হয়ে উঠবাব জন্য চেষ্ট! কবেছে। বর্মে চর্মে আঙ্গে শন্ষে স্জিত হযে অন্যেব চেয়ে নিজে বেশি শক্তিশালী হবাব জগ্য তাব! ক্রমাগতই তলোযাবে শান দিযেছে । [১০৪৫৪ (000/61%)০০-এ শান্তিস্থাপনেব উদ্যোগ চলেছে , সেখানে (কবলই নান! উপাষ উন্তাবন কবে নানা কৌশলে এই মাবকে ঠেকিযে বাখবাব ভন্ চেষ্টা হষেলে ' কিন্তু, কোনে বাঁজনৈতিক কৌশলে “ক এব প্রতিবোধ হতে পাবে। এ যে মান্ুষেব পাপ পুঞ্ধীভৃত আকার ধাবণ কবেছে , সেই পাঁপই যে মাববে এবং মেবে আপনাব পবিচয দেবে । ফে মাব (থকে বঙ্গ! পেতে ০েলে বলতেই হবে £ ম! মা হিংসীঃ| ৮ [শান্তিনকেতন-_ববীন্দ্র-বচনাবলী £ ১৬ গু || পু* ৪৯৩ ও ৪৯২] এতকাল ধবিযা কবি যে সতর্কবাণী কবিযা আসিতেছিলেন, মন্দিবে উপাসনাস্তিক ভাষণে তাহাবই পুনবাবৃত্তি কবিলেন । যুদ্ধেব সুচনাকালেই বেলজিযান সৈন্য অসীম সাহসিকতাব সহিত জাঃ নীর '্ক্রমণেব বিকদ্ধে প্রতিবোৰ সংগ্রাম চালাইতে থাকে । এই ঘটনাটি কবিব মনে গভীব বেখাপাতত কবে। সমসামযিক একখানি পত্রে কবি ইহাব উল্লেখ কবিযা লিখিযাছিলেন “বে-।জযামেব কীতি মনে খুব লেগেছে-_সেপ্দিন ছেলেদেব এই নিষে কিছু বলেওছিলুম_হযতে। “দখবে কবিতাও একটা বেবিয়ে যেতে পাবে ।” [ চিঠিপঞ্জ £ ৫ম খণ্ড ॥ পত্র ৩১-_৫ই সেপ্টেম্বর ১৯১৪ 1 অবশ্ত ইহাব প্রা এক পক্ষকাল আগেই (৪5, ভাঙা 'গীতালি'ব একটি কবিতাষ কবি লেখেন, “বাধা দিলে বাধবে লডাই মবতে হবে। পথ জুডে কি করবি বডাই ? সবতে হবে ৩৩৭ লুট-করা ধন করে জড় কে হতে চাস সবার বড়, এক নিমেষে পথের ধুলায় পড়তে হবে নাড়া দিতে গিয়ে তোমায় নড়তে হবে ।.*-* পরদিন (৫ই ভাব্র) কবি লিখেন বলাকার 'পাড়ি' কবিতাটি । পাড়ি কবিতাটির মধ্যে সবনেশে কবিতারই মূল ভাবটি নিহিত রহিয়াছে । কয়েকদিন পরে শাস্তিনিকেতন-মন্দিরে রবীন্দ্রনাথ তীহার প্রার্থনান্তিক ভাষণে “পাপের মা্জন।” প্রবন্ধাট পাঠ করেন (৯ই ভাদ্র ১৩২১)। এ ভাষণে তিনি বলিলেন, “আজ এই-যে যুদ্ধের আগুন জলেছে, এর ভিতরে সমস্ত মানুষের প্রার্থনাই কেদে উঠেছে'"বিশ্বপাপ মার্জন। করে৷ । আজ ষে রক্তত্তরোত প্রবাহিত হযেছে, সে যেন ব্যর্থ ন৷ হয। রক্তের বন্যা যেন পুণ্তীভূত পাপ ভাসিয়ে নিয়ে যায়।"." আজ সমন্ত পথিবী জুডে যে দহনযজ্ঞ হচ্ছে, তার কদ্র আলোকে এই প্রার্থনা সতা হোক £ বিশ্বানি দুরিতানি পরাহ্থব |" *” [ শাস্তিনিকেতন-_ববীন্দ্র র5নাবলী ১ ১৬শ খণ্ড | পৃঃ ৪৯৮ | এই সময়ে কবি কেক মাসের ব্যবধানে লিখেন “লোকহিত' ( মবুজপত্র, ভান্্র ১৩২১) ও “লডাইষের মূল" ( সবুজপত্র, পৌষ ১৩৯১) রাজনৈতিক প্রবন্ধ ছুইটি। নান। দিক দিয়। প্রবন্ধ দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দীর্ঘদিন পবে কবি পুনরাষ দেশের ও বিশে রাজনৈতিক সমস্যা লইযা আলোচনা কবিলেন । তখন লোকহিতকর ব| জনহিতকর কাষেব একট|। ধুষা উঠিয়াছে। কিছুদ্দিন হইতেই কংগ্রেস বুঝিতে পারিতেছিল যে, শুধু কথায বিশেষ কাজ হইবে ন।, পিছনে কিছু জনণক্তি বা লোকশক্কিব প্রমদোজন আছে । অর্থাৎ সত্যকারেব জনসাধারণের প্রতি ভালোবাসা হইতে নয__নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যস্ির প্রয়োজনেই আজ তাহার লোকহিতকর কাষের দিকে নজর গেল । ইহাই কবির লোকহিত প্রবন্ধটি লিখিবার পিছনে মুল কারণ । বল৷ বাহুল্য, রবীন্দুনাথ চিরদিনই এই যাস্থিক জনসংযোগ নীতির বিকদ্ধে। তাই এ প্রবন্ধের ভূমিকাতেই তিনি শ্লেষাত্মক সুরে বলিলেন, “লে।কসাধারণ বলিয়া একট! পদার্থ আমাদের দেশে আছে এটা আমব। কিছুদিন হইতে আন্দাজ করিতেছি এবং “এই লোকসাধারণের জন্য কিছু করা উচিত" হঠাৎ এই ভাবনা আমাদেব মাথায় চাপিয়াছে 1." “কিস্ত আমির! লোকহিতের জন্য ঘখন মাতি তন অনেক স্থলে সেই মত্ততার মূলে একটি আত্মাভিমানের ম্দ থাকে । আমরা লোকসাধারণের চেয়ে সকল ৩৪৮৮ বিষয়ে বড়ো, এই কথাটাই রাজকীয় চালে সম্ভোগ করিবার উপায় উহাদের হিত করিবার আয়োজন। এমন স্থলে উহাদেরও আহত করি, নিজেদেরও হিত করি না। “হিত করিবার একটিমাত্র ঈশ্বরদত্ত অধিকার আছে, সেটি গ্রীতি। প্রীতির দানে কোনো! অপমান নাই কিন্তু হিতৈষিতার দানে মানষ অপমানিত হয। মানুষকে সকলের চেষে নত করিবার উপায় তাহার হিত কর! অথচ তাভাকে প্রীতি না করা । “ লোকের সঙ্গে আপনাকে পৃথক রাখিযা৷ যদি তাহার হিত করিতে যাই, তবে সেই উপদ্রব লোকে সঙ্ভ না করিলেই তাহাদের ছিত হইবে 1” তারপর তিনি স্বদেশী ও বয়কট আন্দোপনের বিস্তাবিত পযালোচন। কৰিয়। দেখাইলেন যে, আন্তরিক প্রেম ও ভালোবাসার অভাবেই _জামর! মুসলমান সম্প্রদায় ও গ্রামেব নিযাতিত গরাব সম্প্রদায় গুলিকে আন্দোলনের মধ্যে আনিতে পারি নাই। তিনি বলিলেন, “.**মাতষের সঙ্গে মানুষের যে একট! সাধারণ সামাজিকত। আছে, থে সামাজিকতার টানে মামরা সহজ গ্রীতির বশে মান্তষকে ঘরে ডাকিয়। আনি, তাহার সঙ্গে বসিয়া খাই, যদ্দি বা তাহার সঙ্গে আমাদের পাথক্য থাকে সেটাকে অত্যন্ত স্পষ্ট করিয়া দেখিতে দিই ন।--সেই নিতান্ত সাপাবণ সামাজিকতার ক্ষতে যাহাকে আমর! ভাই বলয়, আপন বলিষ| মানিতে না পারি, দ্াষে পড়িযা রাষ্ট্র ক্ষেত্রে ভাই বলিয়া যথোচিত সতর্কতার সহিত তাহাকে বুকে টানিবাব নাট্যভঙ্গি করিলে সেটা কখনোই সফল হইতে পাবে না। “***বাংলার মুসলমান যে এই বেদনা আমাদেব সঙ্গে এক হয নাই শাহার ক্ব(রণ, তাহাদের সঙ্গে আমবা কোনোদিন হৃদযকে এক হইতে ছিই নাই । “লোকসাধারণের সম্বদ্ধেওত আমাদের ভদ্রসন্প্রাদাযের ঠিক এ অবস্থ।। তাহাদিগকে সবপ্রকারে অপমানিত করা আমাদের চিরদিনের অভ্যাস। যদ নিজেদের হৃদয়ের দিকে তাকাই তবে একথা ম্বীকাব করিতেই হইবে যে, ভারতবধকে আমরা ভদ্রলোকের ভারতবর্ষ বলিষ। জ্ঞানি ।*"" “...তাই একথা স্মরণ করিবার সময আসিষাছে যে, আমর। যাহাদিগকে দুরে রাখিয়। অপমান করি তাহাদের মঙ্গলসাধনের সমাবোহ করিয়া সেই অপমানের মাত্রা বাডাইয়া কোনো ফল নাই ।” এইখানে গান্ধীজী ও রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গির একটি মৃূলগত একা লক্ষ্য কর যায়। গান্ধীজী জনসেবার মাধামে জনগণের মধ্যে আরো গভীরে প্রবেশ করিবার ৩৪৪ চেষ্টা করিয়াছেন। দেশের নিয় জনসাধারণের সহজ অনাড়ম্বর জীবনযাত্রাপ্রণালী স্বেচ্ছায় ববণ করিয়৷ লইয়া তিনি জনগণের সহিত একাত্ম হইবার চেষ্টা করিয়াছেন। যথাসময়ে আমরা ইহার আলোচনা করিব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এ ব্যাপারে ইউরোপীয় দেশগুলি হইতেও বিছু শিক্ষা লইতে গ্রস্তত। ঙিনি লিখিতেছেন, “সম্প্রতি যুরোপে লোকসাধারণ সেখানকার রাষ্্ীয় রঙ্গভূমিতে প্রধান নায়কের সাজে দেখা দিয়াছে ।*"" “শক্তির ধারাট। এখন ক্ষত্রিয়কে ছাডিযা বৈশ্যের কূলে বহিতেছে। লোক- সাধারণের কাধের উপর তাহারা চাপিয়া বসিয়াছে। মানুষকে লইয়া তাহারা অপনার ব্যবসায়ের যন্ত্র বানাইতেছে । মানুষের পেটের জালাই তাহাদের কলের সীম উৎপন্ন করে। “***এখন বৈশ্য মহাজনদের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধ যান্ত্রিক । কমগ্রণালী-ন।মক প্রকাণ্ড একটা জাতা মানুষের আর-সমস্তই গুঁডা করিষা দিয়া কেবল মজুরটুকু মাত্র বাকি রাখিবার চেষ্টা করিতেছে । “ধনের ধর্মই অসাম্য ।**"এইজন্ত ধনকামী নিভ্ের গরজে দারিজ্রয হি করিয়। থাকে। “তাই ধনের বৈষম্য লইয়। যখন সমাজে পার্থক্য ঘটে তখন ধনীর দল সেই পার্থকাকে সমূলে ঘুচাইতে ইচ্ছা! করে না, অথচ সেই পার্থক্যটা যখন বিপদজনক হইয়। উঠে ৩খন বিপদটাকে কোনোমতে ঠেকো দিয়া ঠেকাউযা৷ রাখিতে চায়। “তাই, ও দেশে শ্রমজীবীর দল যতই ওমব্রিয গুমরিয়। উঠিতেছে ততই তাহাদিগকে ক্ষুধার অন্ন না দিয়া ঘুম পাড়াইবার গান গাওষ।' হইতেছে; তাহাদিগকে অয্পস্বল্প এটা-ওটা দা কোনোমতে ভুলাইয়! রাখিবার চেষ্ট| ।*-.৮ তিনি আরও বলিলেন, “এখন ও দেশে লোকসাধারণ কেবল সেন্স রিপোর্টের তালিকাভূক্ত নহে, সে একটা শক্তি। সে আর ভিক্ষা! করে না, দাবি করে। এইজন্য তাহার কথ! দেশের লোকে আর ভুলিতে পারিতেছে না; সকলকে সে বিষম ভাবাইয়া তুলিয়ান্ছে।” রবীন্দ্রনাথ কোনে। 7১০1161991 7:৫010010-র পৃঠ হইতে একথা! বলিতেছেন না। বিদেশ ভ্রমণকালে এবং বিদেশী সংবাদপত্র হইতে ইউরোপের ঘটনাবলীর ষে সব সংবাদ তিনি পাইয়াছিলেন এবং পাইতেছিলেন, তাহাই তাহার স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি হারা,বিষ্লেষণ করিবার চেষ্টা করিলেন। কিন্ত ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির সংকট সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বিশ্লেষণটি প্রায় নিূ্ল হইয়াছে । শুধু তাহাই নহে, ১. খু ইউরোপে জনগণই যে তখন রাসীয় রঙ্গভূমিতে প্রধান নায়কের ভূমিকায় দেখা দিতেছে, ইহাও তিনি লক্ষ্য করিতেছেন | তারপর তিনি এদেশের জনগণের সমস্থার প্রশ্নে ফিরিয়া আদিলেন এবং এট 'লিয়া সতর্ক করিয়া দিলেন যে ইউরোপের জনশক্তির খবরে আমাদের বিশেষ উল্লসিত হইবার কারণ নাই । কেননা, উউরোপের জনগণের সহিত এদেশীয় জনগণের আকাশ পাতাল তফাত। কারণ, “আমাদের দেশে লোকসাধারণ এখনে! নিজেকে লোক বলিয়া জানে না, সেইজন্য জানান দিতেও পারে না।-.. “-*এইজস্ জমিদার তাহাদিগকে মারিতেছে, মহাজন তাহাদিগকে ধরিতেছে, মনিব তাহাদিগকে গাঁলি_ দিতেছে, পুলিস তাহাদিগকে _ শুধিতেছে, গুরুঠাকুর তাহাদের মাথায় হাঁত হাত বুলাইতেছে, মোক্তার তাহাদের গাঁট কাটিতেছে, আর তাহারা কৈবল সেই অুষ্টের নামে নালিশ করিতেছে যাহার নামে সমন-জারি করিবার জো নাই। আমরা বড়োজোর ধর্মের দোহাই দিরা জমিদারকে বলি “মি কর্তব্য করো” মহাজনকে বলি “তোমার স্থ্দ কমা, পুলিসকে বলি 'তুমি অন্তায করিষে। না”--এমনি করিযা নিতান্ত দুর্বলভাবে কতদিন কতদিক ঠেকাইব। চালুনি দ্যা জল আনাইব আব বাহককে বলিব “যতটা পার তোমার হাত দিষ! ছিদ্র সামলাও'-_সে হম না; তাহাতে কোনো এক সমযে এক মুহূর্তের কাজ চলে কিন্তু চিরকালের এ ব্যবস্থা নয 1"* কিন্ত তাহ! হইলে উপায কি? পথ 'কোথায? তাহাব উত্তরে কবি ঘলিতেছেন, “অতএব সব-প্রথমে দরকার, লোকেরা আপনাদের পবম্পরের মধ্যে যাহাতে £ণকটা যোগ দেখিতে পায়। অর্থাৎ তাহাদের পবম্পরের মধ্যে একট। রাস্তা থাকা চাই ।-." “--*লেখাপড়া শেখাই এই রাস্তা**" "আমি কিন্ত সবচেষে কম করিষাই বলিতেছি, কেবলমাত্র লিখিতে পড়িতে শেখা । তাঁহা কিছু লাভ নহে, তাহ কেবলমাত্র রান্তা--সেও পাডার্গীষেব মেটে ্রাস্ত।। আপাতত এই যথেষ্ট, কেননা এই রাস্তাটা না হইলেই মান্রষ আপনার কোণে আপনি বন্ধ হইয়া থাকে ।” ইউরোগীয় জন্গণের শক্তি-রহন্তের অন্তম প্রধান কথাই হইতেছে সেখানকার ব্যাপক জনুশিক্ষ! | তাই তিনি ইউরোপের জনগণের নজির তুলিতেও ছা করিলেন না । তিনি বলিলেন, ৩৫১ "্ুরোপের লোকসাধারণ আজ যে এক হইয়! উঠিবার শক্তি পাইয়াছে তাহার কারণ এ নয় যে, তাহারা সকলেই পরম পণ্ডিত হইয়া উঠিয়াছে।...একথা নিশ্চিত সত্য যে, মুরোপে লোকশিক্ষা আপাতত অগভীর হইলেও তাহা যদি ব্যাপ্ত না হইত তবে আজ সেখানে লোকসাধারণ নামক যে সত আপনার_ শক্তির গৌরবে জাগিয়! উঠিয়া আপন প্রাপ্য দাবি করিতেছে তাহাকে দেখ! যাইত না ।” সমাজহিতৈষীরা নাইট-ইস্কুল খোলার কথা বলেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নীতি- গতভাবে তাহার বিরোধী । তিনি বলিলেন, “...কিন্তু ভিক্ষার দ্বারা কেহ কখনে| সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারে ন৷। আমর! ভদ্রলোকের! যে শিক্ষা লাভ করিতেছি সেটাতে আমাদের অধিকার আছে বলিয়। আমরা অভিমান করি." কিন্তু লোকসাধারণেরও সেই জোরের দাবি আছে; যতদিন তাহাদের শিক্ষার ব্যবস্থা ন। হইতেছে ততদিন তাহাদের গ্রাতি অন্যায় জম| হইয়! উঠিতেছে এবং সেই অন্যায়ের ফল আমরা গ্রত্যেকে ভোগ করিতেছি, একথা যতক্ষণ পবস্ত আমর! স্বীকার না করিব ততক্ষণ দয়া করিয়। তাহাদের জন্য এক- আধট! নাইট ইন্ধুল খুলিয়| কিছুই হইবে ন|। সকলের গোডাঁয় দরকার লোক- সাধারণকে লোক বলিয়া নিশ্চিতরূপে গণ্য করা ।” অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ 'সর্জনীন অবৈতনিক শিক্ষার কথ বলিতেছেন। উপসংহারে কবি বলিলেন, “".আমাদের সমাজ লোকসাধারণকে যে টিটি করিয়া রাখিয়াছে এইখানেই সে নিজের শক্তিকে অপহরণ করিতেছে ।-. “-*এই নিরন্তর সংকট হইতে নিজেদের বাচ! ই. আমাদের দরকার হইয়াছে নিয়শ্রেণীয়দের করা। সেই শক্তি দিতে গেলেই তাহাদের হাতে এমন একটি উপায় দিতে হইবে যাহাতে ক্রমে তাহার। পরস্পর সম্মিলিত, হইতে পারে--সেই উপায়টিই তাহাদের সকলকেই লিখিতে পুড়িতে শেখানে! 1” [ লোকহিত--কালাস্তর ॥ পৃঃ ২৯-৪১ ] লক্ষ্য করিবার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ গ্রামাঞ্চলের গরীব, মানুষের, উপর জমিদার, মহাজন, পুরোহিত মনিব, পুলিসের শোষপ-অত্যাচারকে দেখিতে পাইলেন কিন্ত কোথাও তাহার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামের আহ্বান জানাইতে পারিলেন না । তিনি জননেতাদের প্রতি ব্যাপক জনশিক্ষার কর্মস্চী গ্রহণ করিবার আহ্বান জানাইলেন মাত্র। এইখানেই বীর লহিত. নাতে এন পা (অবশ্ত উহা! অহিংস সত্যাগ্রহ-সংগ্রাম ) শুরু করিলেন। যথাসময়েই অর্রা ইহার বিষ্তারিত আলোচন| করিব । আর্ষিনের মধ্যভাগে রবীন্দ্রনাথ কিছুদিনের জন্য বুদ্ধগয়! ও এলাহাবাদে কাটাইয়। আসেন। এসময় তিনি কয়েকটি গান ও বলাকার কয়েকটি বিখ্যাত কবিত! রচনা করিলেন। নভেম্বরের গোড়ার দিকে তিনি এলাহাবাদ হইতে ফিরিলেন। মহাবুদ্ধের নান। খবর তখন কবির নিকট আসিব! পৌছিতেছে। কয়েকদিন পর আশ্রমে উপাসনান্তে একটি ভাষণে তিনি বলিলেন, “***শয়তান সেই জাতীযতাকেই অবলম্বন করে কত বিরোধ কত আঘাত কত ক্ষুদ্রতাকে দিন দিন তার মধ্যে জাগিষে তুলছে ।:-" “.-*এইখানে (শান্তিনিকেতন আশ্রমে ) আমর। মান্ঠষেব সমস্ত জাতিভেদ £ুলব | আমাদের দেশে চারি.দিকে ধর্মের নাঘে বে অধম চলছে, মানুষকে নষ্ট করবার আয়োজন চলছে ""আমরা এই আশ্রমেই সেই বন্ধন থেকে যুক্ত হব ।-*” [ শান্তিনিকেতন রবীন্দ্ররচনাবলী ২ ১৬শ খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৯৮] মপ্লকাল পরে করনি পুনারায় উত্তর ভাবতে ঘাত্র। করিলেন । এই সময়েই এাহাবাদে “তিনি তাহার বিখ্যাত প্রবন্ধ “লডাইযের মুল" রচনা করেন। এই এঁতিহাসিক প্রবন্ধে ববীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদী মহাযুদ্ধের মূল কারণপগ্ুলিকে গভীরভাবে বুঝিবার চেষ্ট। করিলেন । তিনি লিখিলেন, “সম্প্রতি পৃথিবাতে বৈশ্ঠরাজ্ক যুগ্র পত্তন হইযাছ্ে । বাণিজা এখন আর নিছক বাণিজ্য নহে, সাম্রাজোব সঙ্গে একদিন ভার গান্ধর্ বিবাহ ঘটিয়! গেছে । “এক সমষে জিনিস ছিল বৈশ্ঠের সম্পত্তি, এখন মানুষ তার সম্পন্তি হইয়াছে । এ সম্বন্ধে সাবেক কালের দঙ্গে এখনকার কালের তফাত কী তাহ বুঝিষ দেখা শক। মে আমলে যেখানে রাজত্ব রাজা৭ সেইখানেই ; জমাখরচ সব এক জাগাতে । “কিন্ত এখন বাণিজ্য-প্রবাহের মতে। রাজত্ব-প্রবাহেরও দিনরাত আমদানি রফতানি চলিতেছে । ইহাতে পৃথিবীর ইত্তিহাসে সম্পূর্ণ একটা নৃতন কাণ্ড ঘটিতেছে _তাহা একদেশের উপব আর-এক দেশের রাজত্ব এবং সেই ছুই দেশ সমুজ্রে ছুই পারে। “এত বড়ো বিপুল প্রতৃত্ব জগতে আর-কখনো ছিল ন। “যুরোপের সেই প্রতৃত্বের ক্ষেত্র এশিয়া ও আফ্রিকা । “এখন মুশকিল হইয়াছে জর্মনির। তাঁর ঘুম ভাঙ্রিতে বিলম্ব হইয়াছিল । সে ভোজের শেষ বেলায় হাপাইতে হাপাইতে আসিয়া উপস্থিত । ক্ষুধা! যথেষ্ট, ৩৪৫৩ রুবীন্্রনাথ ॥ ২৩ মাছেরও গন্ধ পাইতেছে, অথচ কাটা ছাড়৷ আর বড়ো-কিছু বাকি নাই । এখন রাগে তার শরীর গগগস করিতেছে । সে বলিতেছে, “আমার জন্য যদি পাত পাড়া না হইয়া থাকে, আমি নিমন্ত্রণপত্রের অপেক্ষা করিব না । আমি গায়ের জোরে ষার পাই তার পাত কাড়িয়া লইব ।' “এক লময় ছিল যখন কাড়িয়া-কুড়িয়৷ লইবার বেলায় ধর্মের দোহাই পাড়িবার কোনে! দরকার ছিল না। এখন তার দরকার হইয়াছে ।... “আজ ক্ষুধিত জর্মনির বুলি এই যে, প্রত এবং দাস এই ছুই জাতের মানুষ আছে। প্রতু সমস্ত আপনার জন্য লইবে, দাস সমন্তই প্রভুর জন্য জোগাইবে-_ যার জোর আছে সে রথ হাকাইবে, যার জোর নাই সে পথ করিয়া দিবে । “সুরোপের বাহিরে যখন এই নীতির প্রচার হয তখন মুরোপ ইহার কটুত্ব বুঝিতে পারে না। “আজ তাহ! নিজের গাষে বাজিতেছে। কিন্ত জর্মন পণ্ডিত যে তত্ব আজ প্রচার করিতেছে এবং যে তত্ব আজ মদের মতে| জর্মনিকে অন্যায় যুদ্ধে মাতাল করিয়| তুলিল, সে তত্বের উৎপস্থি তো জর্মন-পণ্ডিতের মগজের মধ্যে নহে, ব্তমান মুরোপীয় সভ্যতার ইতিহাসের মধ্যে ।” [ লডাইযের মৃল--কালান্তর ॥ পৃঃ ৪৪-৪৬ ] সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের স্বরূপ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথেব এই বিচার-বিষ্লেষণ মোটামুটি ভাবে নিভূলি এবং তাহ।র এই বিশ্লেমণের তাৎপয9 অপরিসীম । এই প্রসঙ্গে মহাযুদ্ধ সম্পর্কে দেশেব তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ৪ দল- গুলির চিন্তা ও কর্মধারার বিষ্লেষণ প্রযোজন। কংগ্রেসের মডারেটপন্থী ৪ চরমপন্থী স্যাশনালিস্ট নেতৃব্_-কেহই তখন এই মহামুদ্ধের স্ববূপ সম্পর্কে সচেহন ছিলেন না । এমনকি তাহার! ব্রিটেনের এই ঢুধিনে “এম্পাযারে'র স্বাথরক্গ।র কথাই চিন্ত। করিতেছিলেন। যুদ্ধ তখন শুরু হইয়াছে । সেউ সময় কংগ্রেসের একটি ডেপুটেশন লগ্নে যাব । কংগ্রেসের পক্ষ হইতে লাল। লাজপত রাষ, গ্িন্ন। লর্ড সিংহ প্রমুখ এই ডেপুটেশনের সদস্যগণ এই সাম্রাঙ্গাবাদী যুদ্ধে এম্পায়ারে'র জয় কামন! করিয়! ব্রিটেনকে সর্বপ্রকারে সাহ।য্যদানের প্রতিশ্মতি দিলেন । যুদ্ধ শুরু হইবার ছুইদিন পরে গান্ধীজী পীড়িত গোখলের সহিত দেখ। করিতে লগুনে উপস্থিত হন, এবং লগ্ডন হইতেই তিনি দেশবাসীকে ব্রিটিশ এম্পায়ারে'র স্বার্থে চিন্ত| করিবার এবং ব্রিটেনেব এই সংকটকালে সক্রিয় সাহায্যের মাধ্যমে ভারতবাসীকে তাহার যথোচিত কর্তব্য করিয়! যাইবার আহ্বান জানাইলেন। সুধু তাহাই নহে, আহ্ষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বেই ব্রিটিশ গভর্নমেন্টের নিকট তিনি তাহার সহযোগিতার প্রস্তাব পাঠাইলেন। এবং ১286 অনতিবিলম্বে তিনি প্রায আশিজন স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করিয়া “ফাস্ট এড ট্রেনিং, গ্রহণ করিলেন । যুদ্ধ শুরু হওয়ামাত্র লর্ড হািএ জার্মানীর আক্রমণ প্রতিহত করিবার জন্য ভারতীয় সৈম্তবাহিনীকে ফ্রান্সের রণাঙ্গনে প্রেরণ করেন। ভারতীয় সেনাদল অসম সাহসিকতার সহিত জার্মান আক্রমণ প্রতিহত করে | এই সংবাদে উল্লসিত হইয়। ভারতীষ নেতৃবর্গ ইহাব প্রতিদান 9 পুরক্কারশ্বরূপ শ্ববাজের দাবি পুনরুখাপন করিলেন। ১৯১৪ সালে ডিসেম্বব মাসে মাপ্রাজে কংগ্রেসের উনত্বিংশ অধিবেশনে € সভাপতি £ ভূপেন্দ্রনাথ বনু) মাদ্রাজের তৎকালীন গভর্নর লর্ড পেপ্টল্যাণ্ডের সমক্ষে ব্রিটিশ এম্পায়ারেব প্রতি কংগ্রেসের আন্বগত্য ও সহযোগিতার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এবং এই আন্তগত্য ও সহযোৌগিতাব বিনিমযে স্বরাজের দাবিটি ও পুনরুখাপন কর। হয। এই সময মিসেস এযানি বেসান্ক “থি€সফি” ছাডিযা বাজনীতিক্ষেত্রে প্রবেশ কবেন। বেসান্ত বলিলেন বে, যুদ্ধে সাহায্য বা সহযোগিতার পুবস্বাবন্বৰপ নহে, পবন্ধ ভাবতবর্ষ তাহাব নভ্ঠাষসঙ্গত অধিকাব-বলেই শ্ববাজজ দাবি করিতেছে ( *১,,518606 1158 16৮810১1070 27 21010 01005 4৮ 2৭00 107165 09 (1:16 00000110114 1)0 106) 10017001002) 1 তিনিই প্রথম থহামরুলের দার উত্থাপন কবিষ| উহ্বাব চন্য আন্দোলন শুরু কর্বলেন । যুদ্ধ শুকব কিছুদিন পুবেউ তিলক মুক্তিলীভ কবেন ( ১৯১৪ জন )। তিনিও হোমরুলেব দাবি সমর্থন কবি মন্দোলন শ্ক কবিলেন। কিন্তু “হামক্লেব দীবিতে দেশে উত্তেজন| ক্র্টি কবিশেও হৃ্ধে ইংবাজকে সাহায্যের শিম তিলক ও বেসনন্ত উভহেই প্রতিরক্ষে। বাহিন'তে 'ঘাগদানেব ভন্য ছাত্র ও ঘুববদেব প্রতি আবেদন জানান । অপবণিকে, যুদ্ধে ইবাজ “ শুশমেন্টেব সহিত সহযোঠিত। কবা ত দূবেখ কথ, পবন্থ এই সময হইতেই (দশের সম্বাসবাদী এক্কিগুপি জামানীব সহিত গে পনে সডযন্ধ কবিষ| ভাবতবমে সশন্ম অস্াখানেব পবিকল্পন। কবিতে লাগিলেন । টেগ্ুলকব লিখিতেছেন, *$1)01) 1110 11101005000 20011007616, 10) 00০ 0000৮ 01 6010 ৮007৮ 000] 00 এ) ১0]0)0৮৮ 010010581৮5 00 0) [য়700) [00000 0 ৮ 0] 8 নন ০00১১৫৮৫৭2৮ 0৭0০ 00৮5 01 ৫৮০7৮ 1110121)) 196 000 োে৮ 02 ২0021 20100219005 6০ ৪111)107৮ 2110. 20১১1561018 ট210৮৮5১৯ 20৬শ্শ00০0৮ 60 0৮ ০০৯৮ 01 10১ 21)11165.2, | 319100702৮০], ]- 0, 190 1 এক কথায়, এই বিধ্বংসী মহাযুদ্ধ সম্পর্কে সারা দেশে তখন এতটুকুও ৩৫৫ সচেতনতা ছিল না। কংগ্রেসের মহা-মহা। রথী হইতে ক্ষুত্র ব্যক্তিটি পর্ধস্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য দেশবাসীকে এই যুদ্ধে “কামানের খোরাক' হিসাবে ইংরাজ কমাগারের হাতে তুলিয়! দিতে লাগিলেন। এমনকি গ্রীনেহরু পথস্ত সেই সময় উত্তর প্রদেশে সৈন্তদলের খাতায় নাম লেখান। কিন্তু দেশের এই অন্ধতার দুর্দিনে বোধহয় একমাত্র ব্যতিক্রম রবীন্দ্রনাথ । তিনিই কেবল মোটামুটি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি লইয়া এই সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের স্বরূপটি বিশ্লেষণ করিয়াছেন এবং ইউরোপের সাম্রাজ্যলোলুপ ও যুদ্ধোন্মাদ রাষ্ট্রগুলির প্রতি জানাইয়াছেন ধিক্কার ও বিনিপাত। পৌধ-উৎসবের পূ্বদিন রবীন্দ্রনাথ উত্তর-ভারত হ্ইন্তে শান্তিনিকেতনে ফিরিলেন (৬ই পৌষ ১৩২১)। ইতিমধো গান্ধীজীর 1)00101% বিদ্যালয়ের ছাত্রের। এগুজের মধ্যস্থতায় কিছুদিনের ভন্য শান্তিনিকেতনে আশ্রয়লাভ করেন । গান্ধীজী তখনও লগুনে ৷ রবীন্দ্রনাথ সানন্দে ভাহার সম্মতি জাশাইয। গান্ধীজীকে এক পত্রে লিখিলেন, “[)98)" ৯17", (981101)1, [006 ০0 ৫০010 0711) 01 10১ ১০)০০| 0৯ 0১০ 01500618100 09 10501511290 আ1)0০ 00] 12176)001 130১৭ 09010 00078100160 দা])মে) 006১ 270 11) 17701 195 হিতে 0001 1870] 100601800577700 086 101018৯1110 10205 19061) 076261) 0101)0150950 100) 1 ৯৮৮৮ 0০৯০ 000 (১০৬১ 11) 002 01000. 6 211] 101] 0716 07610 10011000015 স11] 10001 পোখে৮ ৮8101060087 9০১৮ 210. 11501) 002৮ 006৮ £) 005 0) তা) 12021) ' ৯081১]1700 ২1101) 11] 81095000061), ১৮২৮ 11) 91)21)007010006215 00161], | 2100 001৯ 10692 00 মিঠা 9001 101 011011)88 ৬011] 7005৪ 00 1)06101810 002 1)055 25 ০1] 28190. 67005 1000) 0 11৮11061700 17) 0000 ১০৫77৫71001 1)09% ০011 11৬০5, ০7৮ ৪17)001%১15 50105 [00011)07010900) 1080009% রবীন্দ্রজীবনীকার বলেন, “বোধহয় ইহাই গাম্ধীজীকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম পত্র |” লক্ষ্য করিবার বিষয়, এঁ পত্রের সম্োধনে রবীন্দ্রনাথ 17. 0%1001)1 শব ব্যবহার করিতেছেন, গন্ধীজী তখনও “মহাত্মা” নামে দেশের মধ্যে পরিচিত হন নাই। মহাযুদ্ধের সংবাদে কবি তখন অত্যন্ত বিমর্ষ ও মর্মাহত। কিন্তু তবুও ভয়ে বা হতাশায় তিনি মুহ্মান হইলেন না । ৭ই পৌষ (১৩২১) উৎসবের দিনে উপাসনাস্তে এক ভাষণে তিনি বলিলেন, “একবার ভেবে দেখো দেখি, এই মুহূর্তে খন এখানে আমর! আনন্দেখেসব ৩৫৩৬ করছি তখন সমুত্রের পারে মানুষের সঙ্গে মান্ষের কী নিদারুণ যুদ্ধ চলেছে! সেখানে আজ এই প্রভাতের 'সালোক কী দেখছে, কী গ্রলয়ের বিভীষিক1! সেখানে এই বিভীষিকার উপর দীড়িয়ে মাধ তার মনুম্বত্থবকে প্রচার করছে।..'কে ভূল করেছে, কে ভুল করে নি, এ যুদ্ধে কোন্‌ পক্ষ কী পরিমাণ দায়ী, সে কথ। দরের কথ!]। কিন্ত, ইতিহাসের ডাক পড়েছে; সে ডাক জার্মান শুনেছে, ইংরেক্ত শুনেছে, ফরাসী শুনেছে, বেলজিয়ান শুনেছে, আত্রীয়ান শুনেছে, রাশিষান শুনেছে । ইতিহাসের ভিতর দিয়ে ইতিহাসের দেবত। তার পূজ। গ্রহণ করবেন; এ মুদ্ধের মধ্যে তার সেই উৎসব । কোনে। ্তাতি তার জাতী স্বার্থকে পুধীন্ত করে তার জাতীয়তাকে সংকীর্ণ করে তুলবে ত। হলে ন।, উস্টিহাসবিধাতার এট আদেশ । মান্ষ সেই জাতীর স্বার্থ দানবের পাষে এতদিন ধরে নরবলির উদ্যোগ করেছে, জজ তাই এই অপদেবছার মন্দির ভাঙবার হুকুম ভেছে | ইততিভাসবিধাত। বলেছেন, এ জাতীয় স্বার্থলনবের মন্দিরের প্রাচীর তোমাদের সবাইকে চর্ণ ববে বুলে'য লুটিযে ফিতে হবে, এ নরবললি স।১ লুবে না 1.৮ উপস,হ।রে কবি বলিলেন, «“*.আলন জগহ জে যে ক্রন্দন এবজেছে ছার মবো ভখের শর নেই; তার ভিতর দিমে উতিভাস তৈরি হচ্ছে, তাবই মধ্যে ইতিতাসবিধাতার আনন্দ | এসেই শান্ত শিব, অদ্বৈতমেব মধো মুত্তা গরেছে । তিনি নিজের ভাতে মানধষের ললাটে জমণ্তলক পবিষেছেন | "'কুদ্রের প্রসন্ন হাসি তখনই দেখা ধায় যখন তিনি দেখতে পান “যে উ ব বার সন্তানেব! ছুংখকে অগ্রাহ্থ করেছে". রুদ্রের সেই প্রসন্নত। মাজ উৎসবের দিনে আমদের জীবনের উপচক বিকীর্ণ হ্বোক।" | শান্তিনিকেতন- রবীন্দ্-রঠনাবলী £ ১৬শ খণ্ড || পৃঃ ৫০৩০৪) ইহ| 'অধ্যজ্ববাদী কবি রবীন্দ্রনাথের কথা । আধাত্মিক তন্ময়তায় তিনি দেখিতেছেন, কোনে। এক অনু) শক্তির ই চ্ছায় মনব-ইতিহাসের গতটি নিত ভইছেছে | 'মহাযৃদ্ধের সেই প্রচণ্ড বিধ্ব সের মধ্যে কবি মঙ্গলময় ঈশ্বরের একটি বিশেষ ইচ্ছাও লুক্কারিত দেখিতে পাইলেন , এব, তাহাই হইতেছে নিখিল বিশ্ব মানবের মিলন । কিছুদিন পৃবে তিনি তাহার একটি ভাষণে বলিযা ছিলেন, “..মান্ষের ধর্ম তাকে ভূমার সঙ্গে বডোর সঙ্গে যোগযুক্ত ভরবে, সকলকে এক করবে, এই তো তার উদ্দেস্তা। কিন্তু, সেই ধর্মের মধ্যে শয়তান প্রবেশ করে মানুষের কাকে খণ্ড খণ্ড করে দিচ্ছে" | মানুষের জাতীরতা, ইংরেজিতে যাকে 10810101115 বলে, ক্রমশ উদ্‌ভিন্ন হয়ে উঠেছে এইজন্য যে তার মধ্যে মানযের ৩৫৭ সাধনা মিলিত হয়ে মানুষের এক বৃহৎ রূপকে ব্যক্ত করবে, ক্ষুদ্র স্বার্থ থেকে প্রত্যেক মানুষকে মুক্ত করে বৃহত্মঙলের মধ্যে সকলকে সম্মিলিত করবে । কিন্তু, সেই তপস্তা ভঙ্গ করবার জন্য শয়তান সেই জাতীয়তাকেই অবলম্বন করে কত বিরোধ কত আঘাত কত ক্ষুদ্রতাকে দিন দিন তার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে। মানুষের তপন্তা একদিকে, অন্যদিকে তপন্থা ভঙ্গ করবার আয়োজন--এ ছুইই পাশাপাশি রয়েছে। ছদশাস্তিনিফেতন আশ্রমেও সেই তপস্তা রয়েছে... । এইখানে আমর! মানুষের সমস্ত জাতিভেদ ভুলব । আমাদের দেশে চারিদিকে ধর্মের নামে যে অধর্ম চলছেঃ".. আমর। এই আশ্রমেই সেই বন্ধন থেকে মুক্ত হব। এত বড়ো আমাদের কাজ |» [ শাস্তিনিকেতন- রবীন্দ্ররচনীবলী £ ১৬শ খণ্ড || পৃঃ ৪৯৮ ] মানুষ সমাজ-সচেতন হইয়! কিভাবে যুদ্ধ, সাম্রাজ্যবাদ, ও সংকীর্ণ জাতীয়তা- বাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিয়৷ বিশ্বজাগতিকতার ঞ্রুব আদর্শের দিকে অগ্রসর হয়; সেই বৈজ্ঞানিক তত্ব রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তখনও জান! সম্ভব নয়। ১*ই পৌষ শ্রীস্টোৎসবের দিনে আশ্রমে কবি 'খ্রীস্টধর্ম' নামক প্রবন্ধটি পাঠ করিলেন ( সবুজপত্র, ১৩২১ )। কবি বলিলেন, “আমাদের আশ্রমে আমরা সম্প্রদায়ের উপর রাগ করে সত্যের সঙ্গে বিরোধ করবো না । আমরা খ্রীস্টধর্মের মর্মকথ| গ্রহণ করবার চেষ্ট! করব খ্রীস্টানের জিনিস বলে নয়, মানবের জিনিস বলে ।” উহার ছুইদ্িন পরে (১২ই পৌষ) কবি বলাকার «বিচার' ' কবিতাটি ( বলাকা ॥ ১১ সংখ্যক কবিত৷ ) লিখিলেন । রুদ্রকে উদ্দেশ্ট করিয়। তিনি বলিলেন, “তোমারে কীদিয়া তবে কহি বারংবার-_ এদের মার্জনা! করো, হে রুদ্র আমার ।” কিছুদিন পূর্বে পাপের মার্জনা” নামক ভাষণটিতে কবি যে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাই এই কবিতার মূল মর্মকথা। রবীন্দ্রনাথ এই কবিতাটির ইংরাজি তর্জমা করিয়া খ্রীস্টজন্মোৎসবের ম্মরণে এগু.জকে উপহার পাঠান। ইহার অল্প কয়েকদিন পরে গান্ধীদ্দী উংলণ্ড হঈতে ভারতবর্ষে আসিয! পৌছিলেন (নই জানুয়ারী ১৯১৫)। কিন্তু তিনি নরমপন্থী বা চরমপন্থী-_-কোনো পক্ষেই ভিড়িলেন না। তবে গোখলেকে তিনি অসীম শ্রদ্ধা করিতেন। গোখলের নির্দেশে তিনি সার! ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । ভারতের নিরন্ন গরীব জনসাধারণের সহিত যথার্থ পরিচয়লাভই ছিল তাহার এই ভ্রমণের উদ্দেশ্ট.। দেশের গরীব জনসাধারণের সহিত একাত্ম হইয়া মিশিয়া ৩৫৮ যাইবার চেষ্টায় সর্বত্রই তিনি সাধারণ বেশে রেলের তৃতীয় শ্রেণীতে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। তাহার ফিনিক্স (1)001%) বিছ্যালয়ের ছাত্ররা তখনও শান্তিনিকেতনে ; তাই কিছুদিন পরে তিনি শান্তিনিকেতনে আসিয়। পৌছিলেন (৫ই ফাল্তন ১৩২১)। রবীন্দ্রনাথ তখন কলিকাতায় । ইতিমধ্যে গোখলের মৃত্যুদংবাদ পাইয়। ঢুইদিন পর গান্ধীজ্ভী শন্থিনিকেতন হইতে পুন। যাত্র! করিলেন। প্রায় সতেরে। দিন পরে গান্ধীজী পুন! হইতে পুনবায় শাস্তিনিকেতনে আমিলেন ( ২২শে ফাল্গুন ১৩২১ || ৬ই মাচ ১৯১৫ )। এইদিন ভারতের তথা বিশ্বের ছুই শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষের সাক্ষাৎ প্রথম ঘটিল। আশ্রম পরিদর্শন করিতে গিয়া আশ্রমের বিধিব্যবস্থ। ও কাজকর্ম সম্পর্কে গান্ধীজীর কততগুলি ক্রুটি ট চোখে পড়িল । ছাত্র ও অধাপকগণকে তিনি পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা, রান্নাবান্ন। ও যাবতীয় কাজকর্মে ভূত্য 9 পাচকের উপর নির্ভর না করিয়া স্বাবলম্বী হইবার উপদেশ দিলেন । গান্ধীর উপদেশে কাজ হইল; _ছাত্র- অধ্যাপক সকলে মিলিয়! নব উন্মাদনায় স্বাবলম্বী বার চেষ্টা শ্তরু করিলেন। এই প্রঃঙ্গে ববীন্দ্রজীবনীকার শ্রীপ্র ভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখিতেছেন, “গান্ধীজীর কথা ও কাজ বুঝিতে € গ্রহণ করিতে আশ্রমবাসীদের অধিকাংশেরই ক্ষণমাত্র বিলম্ব হইল ন|। অথচ “যে স্বাবলম্বন-শক্তি অধ্যাপকগণের মধ্যে উদবোধিত করিব'র জন্য রবীন্দ্রনাথ এতাবদ্কাল চেষ্টান্বিত ছিলেন, এবং যাহাকে আশ্রমবাসীর। প্রসন্নচিন্তে কোনোদিন জীবনধর্দে গ্রহণ করিতে পারেন নাই, তাহ আজ উত্তেজনার মুর্তে, নৃতনত্থের মোহে ও অভাবিতের প্রতাশাধ সকলে কিভাবে অন্রমোদন ও গ্রহণ করিলেন, তাহা ভাবিলে আশ্চর্য হইতে হয ।"**রবীন্দ্রনাথ স্ুরুলে আছেন , কবিব সহিত আশ্রম-সংস্কার সম্বন্ধে ৬ লাচনা করিযা ও তাহার অন্তমোদন পাইয! তবে ঠান্ধীজী 'আঅমবাসীদিগকে এই কর্মে প্রবৃত্ত করিলেন। শান্তিনিকেতনের পাকশালায ও ভোজনগৃহে তখন পধন্ত হিন্দু সমাজের জাতিবিচার মানিষা চল। হইত । কির সহিত কথাবার্তায় এই আলোচনাটি উঠে। গাম্ধীজী বলেন যে তাহার মতে আশ্রমের সকলে সমানভাবে থাকিবে, আহারে বিহারে অখনে আসনে কোনো প্রকার পার্থকা থাকা উচিত নহে। তখনকার দিনে ব্রান্গণ ছাত্রর৷ পৃথক পংক্তিতে ভোজন করিত, বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের এবিষয়ে ছাত্রদের কখনো কোনে! উপদেশ দিতেন না, ছাত্ররা নিজ নিঙ্গ অভিভাবকের নির্দেশানুসারে পংক্তিবিচার করিত। গাম্ধীজ্জী বলিলেন, এভাবে পৃথক পংক্তি ভোজন করা ,আশ্রমধর্ম-বিরোধী। রবীন্দ্রনাথ তদুত্তরে বলেন যে, তিনি কোনোদিন ছাত্রদের ধর্ম বা সমাজবিষয়ক মত স্ম্বদ্ধে বল প্রয়োগ ৩৫৪ করেন নাই। জোর করিলে আপাতদৃষ্টিতে তাহারা নিয়ম পালন করিবে নিশ্চয়ই, কিন্ত তাহা তাহাদের অস্তরে গীথ! হইয়া যাইবে না। যে-জিনিস অন্তর হইতে গৃহীত হয় না, তাহা বাহিরের চাপে স্থায়ী ফলগ্রদ হয় না। সেইজন্য তিনি বাহির হইতে নৈতিক চাপের পক্ষপাতী নহেন। "্যাহাই হুউক, ববীন্দ্রনাথের অনুমোদন পাইয়! ছাত্ররা ( ১*ই মার্চ ১৯১৫ || ২৬শে ফাল্গুন ১৩২১) স্বেচ্ছাত্রতী হইয়া আশ্রমের সকল প্রকার কর্ম করিবার দায় গ্রহণ করিল ;-_রাম্না করা, জল তোলা, বাসন মাজা, ঝাড়ু দেওয়া এমনকি মেথরের কাজ পর্বস্ত। অধ্যাপকদের মধ্যে সম্তোষচন্দ্র মজুমদার, এগুজ , পিয়াস, নেপালচন্দ্র রায়, অসিতকুমার হালদার, অক্ষয়কুমার রায়, গ্রমদারঞজন ঘোষ ও লেখক প্রভৃতি অনেকেই /সদিন সহযোগিতা করিয়াছিলেন ; করেন নাই এমন লোকও ছিলেন। ১০ই মার্চ দিনটি এখনো গান্ধীদিবস' বলিয়া শাস্তিনিকেতনে পালিত হয়; সেদিন প্রাতে পাচক চাকর মেথরদের ছুটি দিয়! ছাত্র ও অধ্যাপকের! সকল প্রকার কাজ আপনাদের মধ্যে ভাগাভাগি করিয়া লইয়। মহোৎসব করেন 1” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য খণ্ড || পৃঃ ৩৭৭-৭৮ ] ১১ই মার্চ গান্ধীজী রেঙ্গুন চলিঘ| গেলেন । প্রায় কুডি দিন পর শাস্তিনিকেতনে ফিরিয়া তাহার ছাত্র ও কমীদের লইঘ| তিনি হবিদ্বার যাত্র। করিলেন। ইহার প্রায় ছুইমাস পরে আমেদাবাদের নিকটে একটি গ্রামে (10071) ) গান্ধীজী তাহার আদর্শ “সত্যাগ্রহ-আশ্রম” প্রতিষ্ঠ। করিলেন (১৯১৫ মে )। গাদ্ধীজীর আশ্রমের আদর্শ ও লক্ষ্য ছিল শান্তিনিকেতন আশ্রমের আদশ ও লক্ষ্য হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের । ম্বদেশী ও অভয়মন্ত্রে দীক্ষিত করিবার জন্য আশ্রমবাসীদের কয়েকটি মূল-নীতির উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করিলেন এবং উহা হইতেছে-_ সত্য, অহিংসা, ব্রন্মচর্ধ, রসনা-সংযম; জেচ্ছাকৃত দারিদ্যবরণ ইত্যাদি। প্রায় দুই বৎসর পরে গান্ধীজী “সবরমতী-আশ্রম, প্রত্ষ্ঠা করেন । বাংলাদেশে এই সময় ডঃ দ্িজেন্দ্রনাথ মৈত্র প্রমুখ কয়েকজনের চেষ্টায় “বীয় হিতসাধনমণ্ডলী নামক একটি সমাজ-সংস্কারক প্রতিষ্ঠান গড়িযা উঠে। ইহার মূল প্রেরণা আসিয়াঁছিল রবীন্দ্রনাথের নিকট হইতে। ইতিপূর্বে কবি লোকহিত প্রবন্ধে গ্রাম-সমস্তা সম্পর্কে দেশসেবীদের দুষ্ট আকর্ষণ করিয়াছিলেন । বঙ্গীয় হিতসাধনমগ্ডলীর মাধ্যমে তিনি পল্লীর উন্নয়নমূলক কাজে যুবকদের নিয়োজিত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । মগুলীর অধিবেশনে কবি “কর্মযজ্ঞ, ( সবুজপত্র, ১৩২১ ফাল্গুন) «ও 'পল্লীর উন্নতি' (গ্রবাসী, ১৩২২ বৈশাখ ) প্রবন্ধ দুইটি পাঠ করেন। এই হিতসাধনযণ্ডলীর কর্মস্থচী রবীন্দ্রনাথ হ্বয়ং এইভাবে নির্ধারণ করিয়া ৬৩ দিয়াছিলেন_-(১) নিরক্ষরদিগকে অন্তত যৎসামান্ত লেখাপড়া ও অঙ্ক শেখানো । (২) ছোট ছোট ক্লাস ও পুস্তিকার মাধ্যমে স্থাস্থ্যরক্ষা, সেবাশুশ্রাযাদি সন্বন্ধে শিক্ষাদান । (৩) ম্যালেরিয়া, যন্্র/। ও নানাবিধ অভীর্ণ ও উদরাময় রোগের প্রতিষেধের ব্যবস্থ। । (৪) শিশুমৃত্যু নিবারণের উপায নির্ধারণ ও অবলম্বন । (৫) গ্রামে উৎকৃষ্ট পানীয় জলের ব্যবস্থা | (৬) গ্রামে গ্রামে যৌথ খণদান সমিতি ইত্যাদি প্রত্ষ্ঠ। ও দরিদ্র লোকদিগকে ইহা'র উপকারিত। প্রদর্শন । (৭) দুিঙ্ষ, বন্া, মডক প্রভৃতির সময় দুঃস্থদিগকে বিবিধপ্রকাবে সাহাব্য। কিন্তু গান্ধীজীর মত একমুখী কঠোর একনিষ্ঠ সাধন! রবীন্্রনাথের জন্য নহে | রবীন্দ্রনাথের বন্ধমুখী বিবাট স্ুজনশীল প্রতিভ। নিষতই বিচিত্রমুখে ধাবিত হইফাছে । শিল্পন্ট্টি ও সাহিত্যকর্মের দিক হইতে এই পৰে তাহাব শ্রেষ্ঠ কীন্তির মধ্যে বলাকা, ফাল্গুনী, চক্ররঙ্গ, ঘরে-বাইরে প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ৷ এই সমযই ববীন্রুনাথৎও অবনীন্দ্রনাথের উদ্যোগে জোঢাসাকোব বাড়িতে বিচিত্রাৰ তিভাসিক সাংস্ৃততক আসরের পন্তন হয। অপব একটি উল্লেখহোগা ঘটনা- সাহিত্যে বাস্তবত| লই এই সময বাধাকমল মুখোপাধ্যাম্বে সহিত ববান্্রনাথেব একচোট এবতর্ক হইফ। যায ( সনুজপত্র, ১৩২১-২২ )। তির। জুন ( ১৯১৫ ) সম্মট পঞ্চম ক্জ্তেব জন্ম্দন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথকে নিউ উপাধি দান কর! হম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে জন্থা “'ন্ধীজা এতপ্িন যাহ। ₹ দ্রযান্েন। তাহার জন্য তাতকে 'কাইভাব-ই-হিন্দ' উপাধিতে ভ্ঘত কব। হম । এই সমমকাব একটি উল্লেখযোগা ঘনঈন। ভইল, ববান্দ্রনাথ কণ্লকা। বিশ্ববিষ্ভালযেব পবীক্ষাবিধিব ঘোরন্ব বিবোী হইলেও বাস্তবক্ষেত্রে তাহ" শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালযেব পরীক্ষাবিধি গ্রহণ কবিতে হয । এই লই তীশ্ভাব সহিত পিযার্সনেব মতবিবোধ ঘটে এব" পিযার্সস বিশেষ স্বপ্ন হন। (তষ্টতা- রবীন্দ্জাবনী £ ২য খণ্ড ॥ পৃঃ ৩৯৮) অগপ্লকাল পবেই পিযার্সস ও এগু.জ্ ।ফণ্ভ ঘাপে যাত্র। করিলেন ( সেপেম্বর ১৯১৫ )। কিছুদিন হইতেই রবীন্দ্রনাথ ভপান যাইবণব প্কিল্পনা কবিতেছিলেন, পিয়ার্সস ও এগুজ চলিয। গেলে ব'ভিরে যাইবার জন্য কবব মন পুনর'দ বাকল হইযা উঠিল। মহাযুদ্ধের খবরাখবরেও কবিচিন্ত তখন চিন্তা ৪ বেদনায় "“তাস্ক ভাঁবাক্র ু। এই সময়ই রবীন্দ্রনাথ বিখাত 'ঝডের খেম। কবিতাটি ( বলাকা || ৩৭ সখাক কবিতা ) লিখিলেন। কবি দেখিতেছেন, সাবা পৃথ্থিকী জুডিযা এই ধ্বংসকাচগব মধ্যে বীরের দল মানবসমাজের মহা'ন্‌ ভবিষাতের পানে ছুটিষা চলিযাছে, “বাহিরিয়া এল কারা ? মা কাদিছে পিছে, প্রেয়সী ধ্াড়ায়ে দ্বারে নয়ন মুদিছে। ঝড়ের গর্জন মাঝে বিচ্ছেদের হাহাকার বাজে; ঘরে ঘরে শুন্য হল আরামের শয্যাতল ; 'যাত্র। করো, যাত্রা করো যাত্রীদল' উঠেছে আদেশ-_ “বন্দরের কাল হল শেষ । ” শাশ্বত মানবতার পথের নির্ভীক অভিযাত্রীদের প্রতি মাভৈঃ জানাইয়া কৰি বলিলেন, “বীরের এ রক্তজোত, মাতার এ অশ্রধার।, এর যত মূল্য সে কি ধরার ধুলায় হবে হার! । স্বর্গ কি হবে না কেনা। বিশ্বের ভাগারী শুধিবে না এত খণ? রাত্রির তপশ্য। সেকি আনিবে না দিন। নিদারুণ ছুঃংখরাতে মৃত্যুঘাতে মানুষ চুর্নিল যবে নিজ মর্ঠাসীমা তখন দিবে না দেখা দেবতার অমর মহিমা ? শাশ্বত মানবতার যাত্রাপথের দিকে অঙ্ুলী নির্দেশ করিয়। কবি কিছুকাল 'আগে ( ১১ই মাঘ ১৩২১) বলিযাছিলেন, “এই উৎসব যাত্রীর উৎসব । আমরা বিশ্বযাত্রী* । কোনে। বাধ! মতামতের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে দাড়িষে থেকে উৎসব হয না চলার পথে উৎসব; চলতে চলতে উৎসব ।.** “রুদ্ধ সত্যের সেই করাঘাত কি ভারতবর্ষের ললাটে এসে পড়ে নি। সত্যকে ধাসি পরাতে চেয়েছে যে দেশ সে দেশ কি সত্যের আঘাতে মৃদ্িত হয় নি। অপমানে মাধ হয় নি? সইবে ন| বন্ধন; বড়ো দুঃখে ভাঙবে, বড়ো অপমানে ভাঙবে । সেই উদবোধনের প্রলয়মন্ত্র পৃথিবীতে জেগেছে, সেই ভাঙবার মন্ত্র জেগেছে । বসে থাকবার নয়'""চলবার, ভাঙবার ডাক আজ এসেছে। আজকের এই উত্সব, সেই সত্যের মধ্যে উদ্বোধিত হবার উৎসব। ৩৬২ "***উদ্বোধনের মন্ত্র আজ জগৎ জুডে বাজছে £ যাত্রী বেরিয়ে, এসো, বেরিয়ে এসো । ভেঙে ফেলো তোমার নিঙ্জের হাতের রচিত কারাগার । সেই যাত্রীদের সঙ্গে চল! যার! চন্দ্র-হুর্য-তারার সঙ্গে একতাঁলে পা ফেলে ফেলে চলেছে ।” [ শান্তিনিকেতন-_রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১৬ খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৬১---৬৪ ] ইহাই “ঝড়ের খেয়া" কবিতার মর্মকথা। এই কবিতাটি অ করিতে একদিন বিপদ্সংকুল রান্রি-মন্ধক।রে বাংলার বিপ্লবীর। যাত্র। করিয়াছিল অরুণোদয়ের পথে । ইভার অল্প কয়েকদিন পরে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় রামমোহন লাইব্রেরিতে “খিক্ষার বাহন" নামক প্রবন্ধটি ( সধুজ পত্র, ১৩২২ পৌব) পাঠ করিলেন। এই প্রবন্ধে সর্বপ্রথমেই কবি, দেশে যাহার! সবজনীন শিক্ষার বিরুদ্ধে ছিলেন, তাহাদের বিদ্রপ করিয়! বলিলেন, প্রয়োজনের দিক হইতে দেখিলে বিগ্যাঘ নান্ষের কত প্রযোজন সে কথা বলা বাহুলা । অথচ সে দিক দিয়া মালোচন। করিতে গেলে তর্ক ওঠে । চাষিকে বিগ্ত! শিখাইলে তার চাষ করিবার শক্তি কমে কিন।, স'লোককে বিদ্যা শিখাইলে তার হরিভক্তি ও পত্তিভক্তির বাঘাত হম কিনা, এসব সন্দেহের কথা প্রায়ই শুনিতে পাওনা যায় । অর্থাৎ, দে বেহার! বন্গিয়। বসিয, পাখ; টা্নিবে তার পক্ষে আলোর চেয়ে অন্ধকার বেশি কাজের, যে গোরু ঘানি ঠেলিবে তার পক্ষে খোল! আকাশের চেষে চোখের ঠলিই বডে। সহায়,_-এ কথ! সহজেই মনে আসে। যে দেশে একই চক্রে ঘানি ঠেলাটা৷ সবচেয়ে বডে। কাঙ্ত সে দেশের বিজ্ঞ লোকের! মালোটাকে শক্র মনে করিতে পাবেন। “কিন্তু, দিনের আলোককে 'আমর। কাজের প্ররোক্গনের চেষে আরে বড়ে করিষ| দেখিতে পারি, সে হইতেছে জাগার প্রয়োজন । এবং তার চেয়ে অরো বড়ে! কথ|, এই আলোতে মান্য মেলে, অন্ধকারে মানষ বিচ্ছিন্ন হয । “আমল কথা, আধুনিক শিক্ষ। তার বাহন পায নাই-_তার চলা-ফেরার পথ খোলস। হইতেছে না । এখনকার দিনে সবজনীন শিক্ষা সকল সভ্য দেশেই মাঁনিব! লওয়। হইয়াছে । যে কারণেই হউক, আমাদের দেশে এট। চলিল না। মহাত্ব! গোখলে এই লইয়া লড়িয়াছিলেন। শুনিয়াছি, দেশের মধ্যে বাংলা- দেশের কাছ হইতেই তিনি সবচেষে বাধ। পাইয়াছেন। ব লাদেশে শুভবুদ্ধির ক্ষেত্রে আজকাল হঠাৎ সকল দিক হইতেই একটা অন্তত মহামারীর হাওয়া বহিয়াছে।"-"” স্মরণ থাকিতে পারে, রবীন্দ্রনাথ প্রথম হইতেই বাংলাভাষার মাধ্যমে দেশে ৩৬৩ ব্যাপক শিক্ষার জন্ত বলিয়া আসিতেছেন। এই প্রবন্ধেও তিনি তাহার পুনরাবৃত্তি করিয়া বলিলে, '"পপশ্চিম হইতে য।-কিছু শিখিবার আছে জাপান ত। দেখিতে দেখিতে সমস্ত দেশে ছড়াইয়! দিল তার প্রধান কারণ, সেই শিক্ষাকে তারা দেশি ভাষার আধারে বাধাই করিতে পারিয়াছে। “***আমর| ভরসা করিয়া এ পধস্ত বলিতেই পারিলাম ন| যে, বাংলাভাষাতেই আমর! উচ্চশিক্ষ' দিব এবং দেওয়া যায় এবং দিলে তবেই বিদ্যার ফসল দশ জুড়িয়! ফলিবে।” বাংল! ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রশ্নে তিনি দৃঢ়তার সহিত বলিলেন, “*--ওজর এই যে, বাংলাভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষা অসম্ভব | এট। অক্ষমের, ভ'রুর ওজর। কঠিন বৈকি। সেইজন্যই কঠোর সংকল্প চাই ।.*.” তিনি আরো! বণিলেন, “বাংলায় উচ্চ অঙ্গের শিক্ষা গ্রন্থ বাহির হইতেছে ন। এট! যদি আকেপের বিষয় হয়, তবে তার প্রতিকারের একমান্ত্র উপর বিশ্ববিদ্যালযে বাংলায উচ্চ অঙ্গের শিক্ষা প্রচলন কর।। ব্ধ্সাহিত্যপরিষৎ কিছুকাল হইতে এই কাজের শোড়াপন্তনের চেষ্ট! করিতেছেন । পর্িভাষা-রচন। ও স.কলনের ভার পরিমৎ লইযাছেন, বিছু কিছু করিয়াওছেন। তাদের কাজ টিম। চালে চলিতেছে ব। চল ভইয়। আছে বলিয়। নালিশ করি। কিন্তু ছুপা'ও বে চলিমাছে এইটেই আশ্চষ। 1দশে এই পরিভাষ।-তৈরির তাগিদ কোথায় । ইহার ব্যবহারের প্রয়োজন বা স্ুমেগ কই। দেশে টাকা চপিবে না অথচ টাকশাল চলিতেই থ।কিবে, এমন আ্”র করি কোন্‌ লজ্জায়।” [ শিক্ষ। ॥ পৃঃ ১৮৩-২০২ ] এতখানি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি সে-যুগে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কোনো! দেখনেতার মধ্যে দেখিতে পাওয়! যায় ন৷। এই প্রসঙ্গে একটি কথ| উল্লেখযোগ্য যে অনেকের ধারণ! গোখলেই বুঝি এদেশে সর্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষানীতির প্রথম আন্দোলন তুলেন। কিন্তু তান্ঠা ঠিক নয়। ১৯০৩ সালে কার্জনের শিক্ষা-সংকোচননীতির প্রতিবাদকালে লালমোহন ঘোষই এদেশে সনপ্রথন 0011)1)015015 10৮ 06071 02- 0০॥-এর দাবি তুলেন। ১৯০৩ সালে কংগ্রেসের মাত্রা্-অধিবেশনে তিনি সভাপতির অভিভাষণে বলেন, £.**ছুড 15 0080 59৭6015 0£ 0019)17111507 (০0 00179861011 1)10]) 1005 ['01)0:90. 16 ])05511)10 107 101010901166598 0 ৮70 া01%01016 0178514 €০ 07৮92 150 131166) 170856 01 007/7008 815৫ ০ 11010 6001 0৮1) ৩৪ 02817)66 67056 স])0 05 0120 ০10 01020 10০৮07066]5 51608600. €0172100 1009700 150110১ ০ 10950 5600. 106 দা 000.0001] 20500051059 10০00 80171050417 81)91) 105 000 17000061018 01 0১0 58)710 858601) 0£ 00101118075 000 000026101), [7 010101079) 100] 1)0051৬9 111610118 1৮50 10010 16 10636982559 8001)6 0015 ৮5০৮০0৮৮০10) 8101৭৮2৮01০ 00008 916 00 10700) 60 2810 00 0001)16 60 (8056 11) 61015 ৫1686101011) 0811005৮2] 2)0 না 085৮0 12126076 (01851007160) 911 00 0101711৮601 1207 সা) 906৮ ৮056 005 10101) 15 ৬০75 110010]) 60100 005100,,5% [ (107107655 [মা00)৮9] 1010, 2 ৬০1, 1, 0.053,] গিরিজাশঙ্কর রায়চৌপুরী মহাশঘ9 তাহার 'গ্রীঘরবিন্ধ ও ধা-লায় স্বদেশী যুগ গ্রন্থে এ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিরাছেন। দে যাই ভোক, পরবহ্ীকালে (গাথলে এবিবয়ে আন্দোলন শুরু করিলে বাংলাদেশের অনেক গণ্যমান্য ব্য ইহ্ভার বিপক্ষে গিয়াছিলেন। এই সময় প্রেসিডেন্সি কলেজের জনৈক ইন্রাজ-মপ্যাপক ভারতীয়দের সম্পকে এপ্মানহথচক মন্তব্য করিলে ছাত্র! সেই অধ্যাপককে প্রশ্তার করে । রবীন্দ্রনাথ এই ঘটনাটিকে উপলক্ষ করিয়! “ছাত্রশাসনতগ্থ' নামক প্রবন্ধটি লিখেন ( সবুক্রপত্র, ১৩১২ চৈত্র )। এই প্রবন্ধে তিনি ছাত্রদের পবার্ধীনতাঁর মনে'বেদন। ও তাহাদের বয়ংসান্ধকালোচিত মনোবুন্তিটিকে সজদয়তার সহিত বুঝিবাব চেষ&। করিল্ন। “..“যাদের উচিত ছিল ভেলের দারোগ। বা ড্রিল সার্জেণ্ট ব। ভতের ওঝ! হওয়। তাদেব কোনোমতেই উচিত হয় না ছাত্রদিগকে মানুষ করিবার ভার লওয়া। ছাত্রদের ভার তারাই লইবার অধিকারী য'ার৷ নিজের চেষে বন্সে মন্প, জ্ঞানে অপ্রবীণ ও ক্ষমতায় দুর্বলকেও সহজেই শ্রদ্ধ! করিতে পারেন ; ধারা জানেন, শক্তন্য ভূষণং ক্ষম ; ধার! ছাত্রকেও মিত্র বলিয়। গ্রহণ করিতে কুষ্ঠিত হন না ।” তিনি আরও বলিলেন, “.."তবে কি ছেলেরা য। খুশি তাই করিবে আর সমস্তই সহিয়৷ লইতে হইবে । আমার কথ! এই, ছেলের! যা খুশি তাই কখনোই করিবে না। তারা ঠিক পথেই চলিবে, যদি তাহাদের সঙ্গে ঠিকমত ব্যবহার কর| হয়। যদি তাহাদিগকে অপমান কর, তাহাদের জাতি বা ধর্ম বা আচারকে গালি দাও, যি দেখে তাহাদের পক্ষে স্থুবিচার পাইবার আশা! নাই, যদি অস্ুভব করে যোগ্যতাসত্বেও তাহাদের স্বদেশীয় অধ্যাপকের। অযোগ্যের কাছে মাথা হেট করিতে বাধ্য, তবে ক্ষণে ক্ষণে তার৷ ৩৬৫ অসহিফুতা প্রকাশ করিবেই--যদি না করে তবে আমরা সেটাকে লজ্জ! ও দুঃখের বিষয় বলিয়৷ মনে করিব ।” [ শিক্ষা || পৃঃ ২১২-১৪ ] শাস্তং শিবং অসৈতং' মন্ত্রের উপাসক আচাষ রবীন্দ্রনাথের নিকট হইতে দেশ আজ এ কী কথ! শুনিল। ন্বদেশ ও জাতির অবমাননার বিরুদ্ধে গ্রকারাস্তরে তিনি ছাত্রদের নির্ভীক স্বাদেশিকতাবোধকে অভিনন্দন জানাইলেন । ফ্লান্তন মাসের শেষ।শেষি ( ১৩২২ ) রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গে জমিদারিতে চলিয়া যান। স্মরণ থাকিতে পারে, কিছুকাল পূর্বে তিনি পুনরায় নবোগ্যমে পল্জী- উন্নয়নের কাজে ব্যাপৃত হইয়াছিলেন । এই সময়ে পল্লী-উন্নয়নের কাজে রবীন্দ্রনাথ প্রধানত পাচাট বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করিলেন-__-চিকিৎস। বিধান, প্রাথমিক শিক্ষ। পূর্ত কার্ধ বা কূপ খনন, রাস্তা তৈয়ারি ও মেরামতি, জঙ্গলসাফ ইত্যাদি, খণদায় হইতে দরিদ্র চাষীকে রক্ষার ব্যবস্থা সালিসির মাধ্যমে বিবাদের নিষ্পত্তি । সমসাময়িক একখানি পত্রে তিনি লিখিয়াছেন ( ২৩শে ভান্র ১৩২২ ), পতিসরে আমি কিছুকাল হইতে পল্লীসমাজ গডিবার চেষ্ট! করিতেছি, যাহাতে দরিদ্র চাষী প্রজার! একভ্রে মিলিয়! নিজেদের দারিদ্র অস্থাস্থ্য ও অজ্ঞান দূর করিতে পারে, নিজের চেষ্টায় রাস্তাঘাট নির্মাণ করে এই আমার অভিপ্রায় । প্রায় ৬০০ পল্লী লইয়! কাজ ফাদিযাছি--আমর। যে টাক দিই ও প্রজার! যে টাকা উঠায তাহাতে আমাদের ১১,০০২ টাকার আয দাডাইয়াছে । এই টাক। ইহার। নিজে কমিটি করিধ। ব্যয করে| ইহারা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করিযাছে। কিন্ত অপবাৰ ও উচ্ছৃঙ্খলত! যথেই্ই আছে । এইজন্য কিছুদিন হইল আমি নিজে গিয়। সকলকে ভাকিয়। নৃতন নিষম বাধিয| দিয়! আসিযাছি | এ [ চিঠিপত্র £ ৫ম খণ্ড পত্র ৪১] কিছুদিন পর ( ১৬ই ফাল্গুন ) আত্রাই হইতে পন্লীকর্মী অতুল সেনের নিকট লিখিত কবির একখানি পত্রে তাহার গ্রাম উন্নযন কাষের বিস্তারিত বিবরণ পা ওয়া যায়। (িনিবারের চিঠি” (১৩৪৮ আশ্বিন) এই পত্রটির সহিত রবীন্দ্রনাথের এই যুগের গ্রাম উন্নয়ন কার্ষের একটি বিঃ!রিত বিবরণ দিয়াছিলেন | " শনিবারের চিঠি একক্ায়গায় লিখিয়াছে, “**খণদান হইতে বিপন্ন প্রজাদের রক্ষ। ; ইহা কালিগ্রামে সম্ভব হইয়াছিল। এই পরিকল্পনা রবীন্দ্রনাথের । অথচ বাংলাদেশে একটা জনশ্রুতি আছে রবীন্দ্রনাথ অতিশয় অত্যাচারী জবরদস্ত জমিদার ছিলেন, খণের দায়ে প্রজার ফসল পর্যস্ত গায়ের জোরে ঘরে তুলিতেন। এই মিথ্যা অপবাদ রটিবার একটা হেত ছিল। তাহাই বলিতেছি। প্রজার! স্বভাবতই নিঃস্ব; এক বৎসরের ফসলে পর-বৎসর ০৯১৯১ পর্যস্ত তাহাদের চলে না; কারণ মাঝখানে কাবুলী অথব। কাবুলীগ্রবৃত্তি সম্পর মহাজন বসিয়! থাকে । শুধু স্থদের দায়ে ফদল যায়, খণ যেমনকার তেমনি রহিয়! যায়। চাষী প্রজ! বৎসরের কয়েকমাসই প্রায় অনশনে কাটায়। ইহার গ্রতিকারার্থে রবীন্দ্রনাথ এক উপায় উদ্ভাবন করেন। এস্টেট হইতে প্রজাদিগকে ঠিক প্রয়োন্ন মাফিক শতকরা নয় টাক! হারে খণ দেওয়। হইতে লাগিল। প্রয়োজন মাফিক এইজন্য যে, অনেক সময় তাহার। বুঝিতে ন। পারিয়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত খণ লইয়। বিলাসে তাহ ব্যয় করিয়া বিপন্ন হইয়া পড়ে ।--অতুল সেনের কর্মীসংঘ হিসাব করিয! এই প্রয়োজন নির্ধারণ করিতে লাগিলেন ।.-খণ লইয়া চাষী চাষ করিল। ফসল কিন্তু তাহার ঘরে উঠিল না, খণশোধ বাবদ এস্টেট তাহ। গ্রহণ করিল; এই সময়ে শততকর। তিন টাক। স্থ্‌দ সর্বক্ষেত্রেই মাফ করা হইত, অর্থাৎ প্রজাকে এতকব। ছয় টাকা সুদ দিতে হইত | ফসলের দাম হিসাব করিয়! খণ শোধ করিধ। যাহ! উদ ত্ত থাকিত, প্রজা! তাহা ঘরে লইয়! যাইতে পারিত। যদি টান পড়িত, তাহা হইলে তাহা '্রাফই মাফ করা হইত। ইহার পর খণমুক্ত প্রজা পুনরাঘ প্রয়োজনমত খণ লইবার অধিকারী থাকিত ।:.এই ব্যবস্থার ফলে কালিগ্রাম পরগনাধ প্রজ্ারা বহুদিনের দুঃসহ খণের বোঝ! হইতে দীরে ধীরে মুক্তি পাইতেছিল। ববীন্দ্রনাথের ঘে অপবাদ রটিযাঁছিল তাহ। জমিদারের বাডিতে ওই ফসল উঠানো লইন। 1” | রবীন্দ্রজীবনীর নূতন উপকরণ-_-শনিবারের চিঠি || 2 আপাতদৃষ্টিতে,”গণতন্ত্র ও ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের দুষ্টিভঙ্গি হইতে কাজট। গহিত বলিযা বোধ হইতে পাবে । কিন্ধ রবান্দ্রনাথ বিষসটি অত্যন্থ বাস্তব দৃষ্টিভ্গি হইতে (পিচার করিন। এ পণ্থা গ্রহণ +তে বাধ্য হইযাছিপেন। ববীন্দ্রনাথ চাহিয।ছিলেন, ধেমন কাযা হোক মহাজনের খণ হইতে রুযকদের মু করিতেই হইবে, নতুব! খণেব ছাষে রুমকের সবশ্, মভাজনের বরে উঠিবে। এই গ্রামা মহাজনদের স্বরূপ রবীন্দ্রনাথ তাহাব ভমিদারিতে থাকিধ। পুঙ্খপুঙ্খভাবে পধবেক্ষণ করিয়াছিলেন। ইহাদের স্থদের কোনে। সীমা-পরিসীম! ছিল না। ছলে বলে কৌশলে এই মহাজনশ্রেণী খাতকের ভমিজম1 সবন্ব আত্মসাৎ করিয়া বসিত। ইহাদের কবল হইতে কৃষকদের রক্ষাব উদ্দেশ্ঠে রবান্দ্রনাথ পতিনর সমবায় ব্যাঙ্কটিকে শত সংকটেও বাচাইয। রাখিবার চেষ্টা করেন, এমন কি তাহার “নোবেল প্রাইজে'র এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ( ১,২*,০০০২ টাকা ) এই পতিসর ব্যাক্ষেই গচ্ছিত রাখিয়াছিলেন। এ ব্যাপারে কিকে প্রশ্ন করা **লে তিনি বলেন, গ্রামের উন্নতির জন্ত চাষী কোথায় টাকা পাইবে ; তীহার ধনে তাহার পরিবারের লোকের যেমন দাবি, তাহার প্রজাদের দাবি হা হইতে কম নহে ।” শুধু এই খণ-সমন্তাই নয়, গ্রামের সামগ্রিক সমস্তাকে তিনি যেমনভাবে দেখিয়াছিলেন, তেমনিভাবে দেখিতে সমসাময়িক আর কাহাকেও দেখা যায় না। অতুল সেনের কর্মী-সংঘের মধ্যস্থতায় সালিসি বিচারের ফলে বহুদিন পর্যস্ত এই পরগনা হইতে একটি মামলাও শহরে যায় নাই। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, এই সময় বীকুড়ায় ভয়ঙ্কর দুভিক্ষ দেখ! দিলে রবীন্দ্রনাথ “ফাল্তনী'র অভিনয় দ্বারা সংগৃহীত সমন্ত অর্থ সেখানে পাঠাইয়া৷ দেন। তাছাড়া, গ্রামের অর্থ নৈতিক পুনর্গঠনের জন্য রবীন্দ্রনাথ আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি প্রবর্তন সম্পর্কেও চিন্তা করিতেছিলেন। এসব সম্পর্কে পূর্বেই আমরা বিস্তারিত আলোচন! করিয়াছি । আমাদের দেশের মান্ধাত। আমলের কৃষি-পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতির বদলে কৃষিতে বিজ্ঞানের পূর্ণ বাবহার প্রসঙ্গে কবি কষেক মাস পৃবে এগুজকে একখানি পত্রে লিখিতেছেন, “7/০0 2]] 101) 02৮ 1,019) 50161)69 17) 87০ 0770 ৮111 11011) 1010017, 9))0 ম1]] 10710:0 019 110008916165 08 110 05119 20৫০৭119109 ৮0 ০৮০8" 1110) 50 618 10010)917165 11] 100 1001 1700) 009 65121011901 109৮৮07 /1)101) 180 1)1211)1112608 10070105৯৮1) 208৪৭ 01 1761) 13 0166 11) 165 1)2000৭ 11) 1৮৭ 1707005 91 11011)160 00৯ শ [ 14৮, 1), 04 ] এতথানি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি সমকালীন কোনে। দেশনেতার মধ্যে ছিল না_ স্বয়ং গান্ধবীজীরও নয়। কারণ, গান্ধীজী ছিলেন আধুনিক বিজ্ঞান ও যন্ত্রপাতির ঘোরতর বিরোধী । কিন্তু উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বিষয়ে মূলগত একা দেখ! যায়, তাহা হইতেছে--জনগণের অনন্ত শক্তি ও স্জনশীলতার উপর উভয়েরই ছিল অপরিসীম দুঢ় প্রত্যয় । কিন্তু তবুও একটি জায়গায় তাহাদের বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, তাহা হইতেছে__গণসংগ্রাম। গ্রামের কৃষকদেব যাবতীয় সমস্য! সম্পর্কে রবীন্জনাথের যেরূপ বিস্তারিত বাস্তব অভিজ্ঞত! ছিল, সেরূপ গান্ধীজীর ছিল ন|। গ্রামসংস্কার-আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের যতখানি সামগ্রিক বা সর্বাত্মক কর্মসথচী ছিল, ততখানি গান্ধীজী তখনও চিস্ত! করিয়! উঠিতে পারেন নাই ।' কিন্তু গান্ধীজী দেশে পদার্পণ করিয়াই শোঁধিত মানুষের দুঃখকষ্ট ও লাইনার কারণগুলি লইয়া! আন্দোলন ও গণসংগ্রাম শুরু করেন। ১৯১৫-১৮ সালের মধ্যে তিনি পরপর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংগ্রাম পরিচালনা করিলেন? তন্মধ্যে “বিরামগ্রাম কাস্টম্সএর ও [00180 707716:8007, /০৮-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম, চম্পারনে নল চাবিদেরু সংগ্রাম, আমেদাবাদের কাপড় কলের শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । গান্ধীজী এইসব আন্দোলনের গ্রত্যেকটিতেই স্বয়ং নেতৃত্ব দিয়াছিলেন। সাধারণ ৩৬৮ দরিপ্র মানুষের মধ্যে নি্গেকে সম্পূর্ণভাবে লুপ্ত করিয়। তিনি এমনভাবে মিশিয়া যাইতে পারিয়াছিলেন যে জনসাধারণ আপন হইতেই স্বত্ফতভাবে তাহাকে নেতা বলিয়া বরণ করিয়! লইয়াছিল। কিন্ত রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তাহা সম্ভব হয় নাই; কারণ হ।জার হইলেও রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একজন প্রতিপত্তিশালী জমিদার। যদিও তিনি সরল জীবন যাপন করিতেন, তবুও সাধারণ মানুষের সহিত একাত্ম হইয়া মিশিয়। যাইবার পথে জমিদার হিসাবে তাহার অনেক বাস্তব প্রতিবন্ধ ছিল। এমনকি তিনি মিলিত হইতে চাহিলেও জনসাধারণ তাহার সহিত ব্যবধান রাখিয়! চলিতে চেষ্টা করিত । 'ফাল্তন মাসের শেষভাগে রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ হইতে শান্তিনিকেতনে ফিরিলেন। কবি তখন নানা কাজের মাঝে “ঘরে-বাইরে' উপন্য।স লিখিয়! চলিয়াছেন। মাস- খানেক পরে অপ্রত্যাশিতভাবে আমেরিকা হইতে তাহার বক্তৃতা দিবার আমন্ত্রণ আসিয়া পড়িল। এই বক্তৃতার আয়োজন করিযাছিল আমেরিকার একটি বক্তৃতা- কোম্পানি ; কবিকে তাহার! ১২ হাজার ডলার পারিশ্রমিক দিতে রাজি হইল। এইঝার স্তাহাজে প্রশাস্ত মহাসাগর-পথে আমেরিক! যাইবার স্থযোগ মিলিল। এই স্থযোগে এ পথে জাপানও দেখিয়! যাইতে পারিবেন ভাবিয়। কবি অত্যন্ত উৎসাহিত হইয়| উঠিলেন। নববধের দিন (১৩২৩ ॥ ১৯১৬) তিনি মীরা দেবীকে একখানি পত্রে লিখিতেছেন, (_“কোথাও যাব যাব করছিলুম ।..*এমন সময আমেরিকা থেকে যেই টেলিগ্রাম এল অমনি আমার মনে হল বড় পৃথিবীর নিমন্ত্রণ এসেছে । আমি বারবার পরীক্ষা রবে এবং চেষ্টা করে শেষকালে স্পষ্ট বুঝেছি আমাকে বিধাতা গৃহস্থ ঘরের জন্ত তৈরি করেন নি।.*"বিশ্ব আমাকে বরণ করে নিয়েছে আমিও তাকে বরণ করে নেব।” [চিঠিপত্র £ ৪র্থ খণ্ড ॥ পত্র ২৫] পরদিন কবি কলিকাতা আসিলেন। তাহার কয়েকদিন পরেই তানি বলাকার অন্যতম বিখ্যাত কবিতা [৪৫ সংখ্যক ] “নববর্ষের আশীর্বাদ, রচনা! করিলেন ( ৯ই বৈশাখ ১৩২৩ )। কবি লিখিলেন, “ওরে যাত্রী, ধূসর পথের ধূল! সেই তোর ধাত্রী ; চলার অঞ্চলে তোরে ঘৃর্ণাপাকে বক্ষেতে আবরি ধরার বন্ধন হতে নিয়ে যাক হরি দিগন্তের পারে দিগন্তরে | রবীগ্রণাথ ॥ ২৪ ঘরের মঙ্গলশজ্খ নহে তোর তরে, নহে রে সন্ধ্যার দীপালোক, নহে প্রেয়সীর অশ্রচোখ। পথে পথে অপেক্ষিছে কালবৈশাখীর আশীর্বাদ শ্রাবণরাত্রির বজ্ঞনাদ।” কবিতাটিতে নৃতন ভাব বিশেষ নাই ; 'ঝড়ের খেয়া কবিতা ও মাঘোৎসবের “যাত্রীর উৎমব* ভাষণের মূলভাবটিই এই কবিতার মর্মকথা। জাপান যাত্রার কয়েকদিন পূর্বে সবুজপত্রের সম্পাদককে একটি খোল| চিঠিতে কবি লিখিলেন, "এমনকি যুবকের! পর্যস্ত স্থবির হয়ে উঠেচে। তার! মনে করচে, য কিছু আছে তাকে মেনে চলাটাই দেশভক্তি। একথা একেবারে ভুলে গেছে যে, দেশ যুবকের কাছ থেকে তার যৌবনের দানই চেয়েচে--নতুন করে ভাবব, বুঝব, প্রশ্ন করব, সন্দেহ করব, নেড়ে চেড়ে উল্টে পাণ্টে দেখব; কেবলমাত্র শাস্ত্রের 'পরে নয়, মনুষত্তের *পরে শ্রদ্ধা রাখব, চিন্তা ও চেষ্টার সকল বিভাগেই ছুঃসাহসের জয়পতাকা সগর্বে তুলে ধরে ছুর্গম পথে যাত্রা করব, দেশের কোথাও কিছুকে বদ্ধ হয়ে থাকতে দেব না, যৌবনের চাঞ্চল্যে সমস্তকে নাড়া দিয়ে প্রাণশক্তিকে সকল দিকেই তরঙ্গিত মুখরিত করে তুলব-_দেশের যুবকের কাছ থেকে দেশ যে সেই অস্থির প্রাণ সেই অস্থির বুদ্ধির অধ্যই চেয়েছিল ।".-যা" নৃতন, যা” চঞ্চল, য।” ক্রমশ ব্যক্ত হতে থাকে, ষাকে সংশোধন করতে করতে পরিবর্তন করতে করতে নিজের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে সষ্টি করে তুলতে হবে-__তাকে, বুড়োদের নরুল করে' আজকের দিনের যুবকেরাও ব্যঙ্গ করতে শিখেছে, এতেই আমাদের দেশ তার মর্মে আঘাত পাচ্চে। এই জন্যেই সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে কেউ্থাষ্ট করাবার বর চাচ্চে না, সকলেই কেবলি আবৃত্তি পুনরাবৃত্তি করতে করতে ভালে! ছেলের মতে৷ সামাজিক এগৃজামিনে ছাত্রবৃত্তি পাবার চেষ্টা করচে। কিন্তু আমাদের বৃত্তিটা কি কেবলি ছাত্রবৃত্তি ? [ সবুজপত্র, ১৩২৩ বৈশাখ ] ৩৭৪ ॥ ঘরে-বাইরে ॥ ১৩২২ সালের বৈশাখ মাস হইতে সবুজপত্রে ধারাবাহিকভাবে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত “ঘরে-বাইরে' উপন্তাসখানি প্রকাশিত হইতে থাকে। প্রায় এক বৎসর পরে ১৩২৩ সালের প্রথম দিকে উহা! গ্রস্থাকারে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ তখন জাপানে । ঘরে-বাইরে লইয়া! সে যুগে বাংলাদেশে তুমুল তর্কবিতর্ক ও বিভ্রান্তির স্ট্টি হয়। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং জনৈকা৷ মহিলার সমালোচণার জবাবে এই উপন্যাস রচনার কৈফিয়ত হিসাবে লিখিয়াছিলেন, « -"এর ভিতর থেকে যদি কোনো স্থৃশিক্ষা৷ বা কুশিক্ষা আদায় করবার থাকে সেটা লেখকের উদ্দেশ্তের অঙ্গ নয়। “..-ঘবে-বাইরে গল্প যখন লেখা যাচ্ছে তখন তার সঙ্গে সঙ্গে লেখকের সাময়িক অভিজ্ঞতা জড়িত হয়ে পড়েছে." | তাকে যদি অন্য কোনো উদ্দেশ্টে প্রয়োগ করা যায় "বে সে উদ্দেশ্ট লেখকের নয় পাঠকের 1৮." গ্রস্থপরিচয়-_রবীন্দ্র-রচনাবলা ; ৮ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫২২-২৩ ] অর্থাৎ এই উপন্তাস লিখিবার পিছনে বিশেষ কোন গুঢ উদ্দেশ্য ছিল না, ছিল শুধু উপন্যাদের জন্যই উপন্যাস সৃষ্টির প্রেরণা । সুতরাং এই উপন্যাসের বিস্তারিত আলোচনা যদিও এই গ্রস্থের বিষয়-বহিভূ্ত, তবু ইহ স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, ঘরে-বাইরে মূলত রাজনৈতিক উপন্তাস। এই উপন্াসের ছুই প্রধান চরিত্র, নিখিলেশ ও সন্দীপ দুইটি সম্পূর্ণ পরম্পরবিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করিয়াছে। নিখিলেশ যেন রবীন্দ্রনাথের মানসপুত্র, স্বদেশী আন্দোলনের যুগ হইতে রবীন্দ্রনাথ যে স্বদেশী সমাজ ও পল্ীউন্নয়নমূলক আদর্শের প্রচার করিয়া আসিতেছিলেন, নিথিলেশ যেন সেইরকম আদর্শে নিষ্ঠাবান বলিষ্ঠ উদারচরিত্রের নিরভীক যুবক। অপরদিকে, সন্দীপ বাংলাদেশের তৎকালীন সম্াসবাদী আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয়রূপে এই উপন্যাসে বর্ণিত হইয়াছে । স্থকুমার পেন মহাশয় বলিয়াছেন যে, রবীন্দ্রনীথের কোনে, উপন্যাসে যথার্থ 11110 বা পাষণ্ড নাই--একমাত্র এই সন্দীপ ছাড়া। মন্তব্যটি নেহাত অসঙ্গত নয়, কিন্ত সেইসঙ্গে কতকগুলি প্রশ্ন থাকিয়া যায়-_রবীন্ত্রনাথ সন্দীপকে এনূপ ৩৭১ হীন জঘন্য ও কাপুরুষ হিসাবে চিত্রিত করিলেন কেন? সন্দীপ কি যথাযথভাবে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের আদর্শকে প্রতিনিধিত্ব করিয়াছে? সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের নেতারা কি সকলেই সন্দীপচরিত্রের লোক? রবীন্দ্রনাথ কি ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, কানাই, সত্যেন, অরবিন্দ, মদনলাল খিংড়া, রাসবিহারী ঘোষ, বাঘা যতীন প্রমুখ সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের নেতাগণকে দেখিতে পাইলেন না? সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলিবার জন্য কেন তিনি সন্দীপকেই বাছিয়া লইলেন? এই সকল প্রশ্নের জবাব স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের এঁ কৈফিয়ত, অর্থাৎ ঘরে-বাইরের উপন্তাসধর্মের স্বার্থেই সন্দীপকে প্রয়োজন হুইয়াছিল-_অরবিন্দ বা বাঘা যতীনকে নয়। তবুও এই ধরনের উপন্যাস লেখার (বিশেষত দেশের তদানীত্তন বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ) বিপদট! কোথায়, রবীন্দ্রনাথ তাহা! বুঝিতেন না । তাই পরবর্তীকালে "চার অধ্যায় উপন্যাসখানি লইয়াও এইরকম তুমুল তর্ক-বিতর্ক ও বিভ্রান্তির স্থ্টি হইয়াছিল । এই প্রসঙ্গে স্মরণ রাখা দরকার, সে সময় বাংলাদেশে বাঘ! ষতীন প্রমুখ কয়েক জনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করিয়াছিল। ঘরে-বাইরে যখন সবুজপত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হইতেছে, সেই সময় (৯ই সেপ্টেম্বর ১৯১৫) বুড়ীবালামের তীরে বাঘা ফতীনের নেতৃত্বে মাত্র পাচজন বাঙালী সন্তান অসংখ্য পুলিসের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অসম- সাহসিকতার পরিচর দেন। তাছাড়া, এই সময়কার আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটন! হইল, ইহার কিছুদিন পূর্বে রাসবিহারী ঘোষ ॥১. ঘ. 188০: ছদ্মনামে পূর্বগামী একখানি জাহাজে করিয়! জাপান যাত্রা করেন। অবশ্ত একটি কথা আমাদের স্মরণে রাখা প্রয়োজন যে, নীতিগতভাবে যদিও রবীন্দ্রনাথ সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করিতে পারেন নাই, তবু সন্ত্রাসবাদী তথা বিপ্রবীদের বীরত্ব, ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রতি তাহার ছিল অন্তরের আকর্ষণ ও শ্রদ্ধা। এ সম্পর্কে পূর্বেই আমরা আলোচন। করিয়াছি; পরে যথাস্থানে বিস্তারিতভাবে আলোচন! কর! হইবে। ৩৭২ || জাপানযাত্রা || ২০শে বৈশাখ ১৩২৩ (ইং ওরা মে ১৯১৬) রবীন্দ্রনাথ কলিকাতা হইতে দাপানী জাহাজ “তোষামারু'তে জাপান হইয়। আমেরিকা যাত্রা করিলেন সঙ্গে চলিলেন এজ, পিয়াসন ও মুকুল দে। জাপানের পথে এইবারকার সমুগ্রবাত্রার বিভিন্ন ঘটন। বর্ণন| করিয়া প্রায় প্রতিদিনই কবি একটি করিয়! চিঠি লিখিতে থাকেন। সেগুলি ক্রমে ক্রমে সবুজপত্রে প্রকাশিত হই'তে থাকে, এবং প্রায় তিন বংসর পরে একত্রে “জাপান-যাস্রী” নামে পুস্তকাকারে প্রক(শিত হয (১৩২৬)। পরবর্তীকালে জাপান-বাত্রী 'জাপানে- পারস্তে' গ্রন্থে সংকলিত হয়। ২৬শ বৈশাখ অপরার্ণে জাহাজ রেঙ্গুন বন্দরে পৌছিল। আগে হইতেই ঠিক ছিল, রবীন্দ্রনাথ বেঙ্ুনে নামিবেন। রেঙ্গুনেৰ ভারতীযর। বিরাট মিছিল করিঘ| বন্দর হইতে কবিকে অভ্যর্থনা করিধ! লইয়। গেলেন। পরদিন অপরাহ্থে জুলি হলে রবীন্দ্রনাথকে অভ্যর্থনা জানানো হইল। এই সভায় বাঙালিদেৰ তরফ হইতেও স্বতগ্থভাবে একটি মানপত্র পাঠ কর! হয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, সাহিত্যিক শরংচন্্ই উক্ত বাংল! মানপত্রটি বচন! করেন, এবং ব্যারিস্টার নিষলচন্দ্র সেন উহ! সভায় পাঠ করেন। সাহিত্যিক হিসাবে তখনও শরংচন্তর খ্যাতিলাভ করেন নাই এবং তিনি কবির সহিত পরিচিত হইবার কোনে! চেষ্টাও করেন নাই । ছুইদিন পর রবীন্দ্রনাথ পুনরায় সমূদ্রপথে যাত্র! করিলেন। কয়েকদিন পরই তাহাব। হংকং-এ পৌছিলেন (৯ই জৈয্ঠ)। পথে সাংহাইয়ে একবার কবির নামিবার ইচ্ছা ছিল। কিস্তু জাহাজের কাণ্তেন জানাইলেন ষে, জাপানবাসীর। কবিকে অভ্যর্থন! করিবার জন্য উন্মুখ হইয়াছে, সুতরাং জাপানের কর্তৃপক্ষের জরুরি নির্দেশান্যাধী জাহাজ কোথাও না থামিয়৷ সোজা! জাপান যাইবে । ফলে এ যাত্রায় রবীন্দ্রনাথের পক্ষে চীন দেখ! সম্ভব হইল না । চীনের প্রতি কবির ছিল গভীর শ্রদ্ধা ও আকর্ষণ। হংকং বন্দরে কর্মরত বুঠামদেহী শীনা শ্রমিকদের দেখিয়া! রবীন্দ্রনাথ যেন মহাচীনকে দেখিতে পাইলেন। কবি লিখিলেন, *..১এমন শরীরও কোথাও দেখি নি, এমন কাজও ন1।'-'কাজের তালে তালে সমস্ত শরীরের মীংসপেশী কেবলই ঢেউ খেলাচ্ছে।-.*জাহাজের ঘাটে মাল তোলা- ৩৭৩ নামার কাজ দেখতে যে এত আনন্দ হবে, এ কথ! আমি পূর্বে মনে করতে পারতুম ন1।"*"৮ কৰি বলিতেছেন, “কাজের শক্তি, কাজের নৈপুণ্য এবং কাজের আনন্দকে এমন পুষ্তীভূতভাবে একত্র দেখতে পেয়ে আমি মনে মনে বুঝতে পারলুম, এই বৃহৎ জাতির মধ্যে কতখানি ক্ষমতা সমস্ত দেশ জুড়ে সঞ্চিত হচ্ছে। এখানে মানুষ পূর্ণ পরিমাণে নিজেকে প্রয়োগ করবার জন্যে বহুকাল থেকে প্রস্তুত হচ্ছে।*"চীন স্থুদীর্ঘকাল সেই সাধনায় পূর্ণভাবে কাজ করতে শিখেছে, সেই কাজের মধ্যেই তার নিজের শক্তি উদারভাবে আপনার মুক্তি ও আনন্দ পাচ্ছে_এ একটি পরিপূর্ণতার ছবি । চীনের এই শক্তি আছে বলেই আমেরিকা চীনকে ভয় করছে; কাজের উদ্যমে চীনকে সে জিততে পারে না, গায়ের জোরে তাকে ঠেকিয়ে রাখতে চায় । “এই এত বড়ে। একটা শক্তি যখন আপনার আধুনিক কালের বাহনকে পাবে, অর্থাৎ যখন বিজ্ঞান তার আয়ত্ত হবে, তখন পৃথিবীতে তাকে বাধা দিতে পারে এমন কোন্‌ শক্তি আছে ?..এখন যে-সব জাতি পৃথিবীর সম্পদ ভোগ করছে, তার! চীনের সেই অভ্যুতথানকে ভয় করে, সেই দিনকে তার| ঠেকিয়ে রাখতে চায় ।” রবীন্দ্রনাথ আরও লিখিলেন, “আমাদের জাহাজের বা পাশে চীনের নৌকার দল । সেই নৌকাগুলিতে স্বামী-স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে সকলে মিলে বাস করছে এবং কাজ করছে । কাজের এই ছবিই আমার কাছে সকলের চেয়ে সুন্দর লাগল । কাজের এই মৃত্তিই চরম মৃতি; একদিন এরই জয় হবে। না যদি হয়, বাণিজ্যদানব যদি মান্চষের ঘরকরূনা স্বাধীনত৷ সমস্তই গ্রাস কবে চলতে থাকে, এবং বৃহৎ এক দাসসম্প্রদায়কে সি করে তোলে, তারই সাহায্যে অল্প কয়জনের আরাম এবং স্বার্থ-সাধন করতে থাকে, তা হলে পৃথিবী রসাতলে যাবে ।:""ভারতবর্ষে এই ছবি কবে দেখতে পাব ?."" [ জাপান-যাত্রী ॥॥ পঃ *৬-৬৯ ] বাণিজাদানব বলিতে রবীন্দ্রনাথ এখানে সাম্রাজ্যবাদী বাণিজ্যনীতিরই কথা বলিতেছেন। চীন সম্পর্কে কবির ভবিষ্যদ্বাণী আজ সফল হইয়াছে । ২৯শে মে (১৬ই জ্যেষ্ঠ) জাহাজ জাপানের কোবে বন্দরে পৌছিল। বন্দরেই কবিকে বিরাট অভ্যর্থনা জানান হইল । বনু ভারতীয় এবং বিশিষ্ট জাপানীদের মধ্যে টাইকন, কাট্স্ট।, কাওয়াগুচি প্রমুখ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ,কাহাদের আতিথ্য গ্রহণ করিবেন--এই লইয়। ভারতীয় ও ৩৭৪ জাপানীদের মধ্যে প্রতিঘবন্দিতা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ভারতীয় গুজরাটি বণিক মোরারজীর আতিথ্য গ্রহণ করিলেন। কোবে হুইতে রবীন্দ্রনাথ ওসাকায় আসিলেন। জাপানী প্রেস আযাসো- সিয়েশনের উদ্যোগে ওসাকার টেল্লোজী হলে তাকে বিরাট সংবর্ধনা জানান হইল। কবি এই সভায় ভারত ৪ জাপানের ধর্ম ও সাংস্কৃতিক এক্য সম্পর্কের উপর একটি বন্তৃত৷ করিলেন। কোবে ও €সাকায় থাকিতে ব্রবীন্দ্রনাথ জাপানের কাবা, সাহিত্য, নৃত্য ও চিত্রকল! অর্থাৎ জাপানের সমগ্র সাংস্তিক জীবনকে গভীরভাবে অন্ধাবন করিবার স্রযোগ পান। ওসাকা হইতে তারপর কৰি জাপানের রাজধানী টোকিওতে গেলেন । সেখানে তিনি জাপানের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী টাইকনের আতিথ্য গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রনাথ জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদন। ও সাম্রাজ্যলিপ্দার পরিচয় পাইয়াছিলেন। এই ওসাকায় থাকিতেই তিনি জাপান ও আমেরিকার জন্য জাতীয়তাবাদবিরোধী এঁতিহাসিক বক্তৃতামাল! লিখিলেন। রবীন্দ্রনাথ জাপানে /স সকল বক্তৃত। করেন, সেগুলির মধ্যে 20 80017) ও 2000০ 27060 [£])1) প্রবন্ধ দুইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই সকল বক্তৃতার মূলকথ৷ আমরা যথাস্থানে আলোচনা করিব। টোকি হইতে রবীন্দ্রনাথ ইযোকোহামায় যান এখং ,সখানে কিছুদিন হারাসন নামক জনৈক প্রসিদ্ধ বণিকের আতিথ্য গ্রহণ করেন। জাপানে তিনি প্রায় তিন মাস থাকেন এবং এই তিনমাসেই তিনি সে-দেশকে গভীরভাবে জানিবার ও বুঝিবার স্রযোগ পান। ফলে জাপান সম্পর্কে কবির মনে দুইটি বিরুদ্ধভাবের প্রতিক্রিয! দেখ। দেঘ। |একদিকে জাপানের শিল্প-সাহিতা, ন্তা, চারুকল|, আচার-অন্ুষ্ঠান_-এক কথায জাপানের সাংস্কৃতিক জীবনের গভীর সৌন্যবোধ ও রসবোধ যেমন রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করিয়াছিল, তেমনি অপরদিকে আধুনিক জাপানের সামাজাযলালস! ও উগ্র জাতীয়ত। ত্রাহাকে গভীরভাবে গীড়া দিয়াছিল। জাপানীদের সোন্দ্যবোধ ও রসবোধে কবি কতখানি মুগ্ধ হইয়াছিলেন, তাহা জাপান-যাত্রীর টঠিতে পরিষ্কার ফুটিয়। উঠিযাছে | কবি লিখিতেছেন, «**“অন্য দেশে গুণী এবং রমিকের মধ্যেই বূপরসের যে বোধ দেখিতে পাওয়া যায়, এ দেশে সমস্ত জাতের মধ্যে তাই ছড়িয়ে পড়েছে ।* এখানে দেশের সমস্ত লোক সুন্দরের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। “..ষুরোপে খন গেছি তখন তাদের কলকারখানা, তাদের কাজের ভিড়, ৩৭৫ তাদের এশ্বর্ব এবং প্রতাপ খুব করে চোখে পড়েছে এবং মনকে অভিভূত করেছে । তবুঃ এহ বাহ" । কিন্ত জাপানের আধুনিকতার ছন্মবেশ ভেদ করে ঘা চোখে পড়ে, সে হচ্ছে মানুষের হৃদয়ের কৃষ্টি ।-..জাপান আপনার ঘরে-বাইরে সর্বত্র সুন্দরের কাছে আপনার অর্থ্য নিবেদন করে দিচ্চে ।.''এমন সাবধানে, যত্ধে, এমন শুচিতা রক্ষা করে সৌন্দর্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে অন্য কোনো! জাতি শেখে নি।” [ এ || পৃঃ ৯৭-৯৮] জাপানীদের এই সৌন্দ্বোধ কবিকে এতধানি অভিভূত করে যে, রবীন্দ্রনাথ সেই সময়ই ভারত ও জাপানের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কথ! চিস্তা করিয়া দেশে চিঠিপত্র লিখিতে থাকেন । কবি লিখিতেছেন, “আমরা অনেক আচার অনেক আসবাব ফুরোপের কাছ থেকে নিয়েছি--সব সময়ে প্রয়োজনের খাতিরে নয়, কেবলমাত্র সেগুলো! মুরোগীয় বলেই । মুরোপের কাছে আমাদের মনের এই-যে পরাভব ঘটেছে অভ্যাসবশত সেজন্যে আমরা লঙ্জী করতেও তুলে গেছি। 17য়ুরোপের যত বিষ্তা আছে সবই আমাদের শেখব।র, একথা মানি, কিন্তু যত ব্যবহার আছে সবই যে আমাদের নেবার এ কথা আমি মানি নে। তবু; ষা নেবার যোগ্য জিনিস, ত। সব দেশ থেকেই নিতে হবে, একথ। বলতে আমার আপত্তি নেই |ধঁ'ষে-সব বিগ্যা এবং আচার ও আসবাব জাপানের সম্পূর্ণ নিজের, তার মধ্যে কি আমরা গ্রহণ করবার জিনিস কিছুই দেখি নে? "আমি নিজের .কথা বলতে পারি, আমাদের জীবনযাত্রার উপযোগী জিনিস আমরা এখান থেকে যত নিতে পারি এমন ফুরোগ থেকে নয়। তাছাড়া জীবনযাত্রার রীতি যদি আমরা অসংকোচে জাপানের কাছ থেকে শিখে নিতে পারতুম, ত৷ হলে আমাদের ঘরছুয়ার এবং ব্যবহার শুচি হোত, সুন্দর হোত, সংযত হোত।”**, রবীন্দ্রনাথ আরও বললেন, র "বাংলাদেশে আজ শিল্পকলার নৃতন অভ্যুদয় হয়েছে, আমি সেই শিল্পীদের জাপানে আহ্বান করছি। নকল করবার জন্তে নয়, শিক্ষা করবার জন্যে । শিল্প জিনিসটা যে কত বড়ো জিনিস, সমস্ত জাতির সেটা যে কত বড়ে| সম্পদ, কেবলমাত্র সৌখিনতাকে সে যে কগুদূর পর্বস্ত ছাড়িয়ে গেছে--তার মধ্যে জ্ঞানীর জ্ঞান, ভক্তের ভক্তি, রসিকের রসবোধ যে কত গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে প্রকাশ করবার চেষ্টা করেছে, তা এখানে এলে তবে স্পষ্ট বোঝা যায়।” |. এ || পৃঃ ১০০-১] ভারত-জাপান সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দিক হইতে কবির এ কথার গুরুত্ব খুব কম নয়। স্মরণ থাকিতে পারে, বিংশ শতাবীর সুচনাকালেই জাপানী মনীষী ওফাকুর! সমগ্র এশিয়ার একটি সাংস্কৃতিক মিলনের প্রচেষ্টা করিয়াছিলেন । ভারত ৩৭৬ হইতে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি চিত্রশিল্পী টাইকন ও হিসিদাকে কলিকাতায় অবনীন্দ্নাথের নিকট পাঠাইয়া দেন। অবনীন্দ্রনাথ এই ছুই জাপানী শিল্পীর নিকট হইতে জাপানী চিত্রাঙ্কনপদ্ধতির কলাকৌশল আয়ত্ত করেন। ফলে তাহার চিত্রাঙ্কনরীতির অভিনব পরিবর্তন দেখা যায় । রবীন্দ্রনাথ জাপানে গিয়া! দেখিলেন-_টাইকন ও তানজান তখন সারা দেশে বিরাট খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন। কবি তাহাদের অস্কনরী তিতে মুগ্ধ হন। এই সময় তিনি দেশে প্রতি চিঠিপত্রেই জাপানী চিত্রাঙ্কনপদ্ধতি শিক্ষা ও অন্গধাবন করিবার উপর গুরুত্ব দিয়াছেন । টাইকনের সহিত পরামর্শ করিয়৷ তিনি শিল্পী আরাইকে জোড়াাকোয় বিচিত্তার স্কুলে পাঠাইবার ব্যবস্থ! করিলেন। এই প্রসঙ্গে এক পত্রে তিনি গগনেন্দ্রনাথকে লিখিতেছেন, “বাইরে থেকে একটা নৃতন আঘাত গেলে আমাদের চেতন! বিশ্ষেভানে জেগে ওঠে । এই আর্টিস্টের সংসর্গে অন্তত তোমাদের সেই উপকার হবে ।**. জাপানী তুলি টানার বিদ্যেয় তোমাদের ছেলেদের হাত পাকান দরকার ।” বি রখীন্দ্রনাথকে লিখিতেছেন, “নন্দলালর। যদি এর কাছ থেকে খুব বড় আয়তনের পটের উপর জাপানী তুলির কাজ শিখে নিতে পারে ত।হলে আমাদের আর্ট অনেকখানি বেড়ে উঠবে ।**-* [ ভ্রষ্টব্য-_রবীন্ত্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৩০ ] পরবর্তীকালে “কলাভবন' প্রতিষ্ঠার পর শাস্তিনিকেতনে জাপানী ও চীনা অন্কন্পদ্ধতির পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা যথাস্থানে আমরা আলোচনা করিব । কিন্তু এসব সত্বেও আধুনিক জাপানের সাত্রাজ্যলিগ্দা ও উগ্র স্বাদেশিকতাকে রবীন্দ্রনাথ কিছুতেই ক্ষমা করিতে পারিলেন না। তাই তিনি বলিলেন, “জাপানের যেট। শ্রেষ্ঠ প্রকাশ সেটা অহঙ্কারের প্রকাশ নয়, আত্মনিবেদনের প্রকাশ; সেইজন্যে এই প্রকাশ মাহষকে আহ্বান করে, আঘাত করে না। এই- জন্যে জাপানে যেখানে এই ভাবের বিরোধ দেখি, সেখানে মনের মধ্যে বিশেষ গীড়া বোধ করি। চীনের সঙ্গে নৌযুদ্ধে জাপান জয়লাভ করেছিল--সেই জয়ের চিহ্ছগুলিকে কাটার মতে৷ দেশের চার দিকে পুঁতে রাখা যে বর্বরতী, সেটা যে অন্থন্দর, সে-কথ। জাপানের বোঝা উচিত ছিল 1...” [জাপান-যাত্রী ॥ পৃঃ ৯৯ ] স্মরণ থাকিতে পারে, জাপান ইউরোপের নিকট হইতে বিজ্ঞান ও অস্থ্ের দীক্ষ' গ্রহণ করিয়া সর্বপ্রথমে তাহা! প্রয়োগ করে চীনের উপর । ১৮৯৪-৯৫ সালে জাপান চীনের উপর আক্রমণ শুরু করিল। এই যুদ্ধে চীন জাপানের নিকট পরাজিত হয়। ফলে কোরিয়ার উপর হইতে চীনের আধিপত্যের অবসান হয় ৩৭৭ এবং এঁসাথে চীন জাপানকে ফরমোজা দ্বীপটিও ছাড়িয়! দিতে বাধ্য হয়। ১৯০৫ সালে রুশ-জাপান যুদ্ধে জাপান জয়লাভ করিবার পর জাপানের সাম্রাজ্য ও ক্ষমতালিগ্মা আরও গ্রবল আকার ধারণ করে। তারপর মহাযুদ্ছ আপিয়৷ পড়িল। জাপান এই যুদ্ধে মিত্রশক্তির ( ইংলগ, ফ্রান্স, রাশিয়া ) পক্ষ অবলম্বন করিয়। জার্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিল । জাপান চীন হইতে জার্মানদের বিতাড়িত করিয়া কিয়াচো ও সিঙটাও প্রদেশ দখল করিয়া লইল। জাপানের উদ্দেশ্ট হইল; এই যুদ্ধের স্থযোগে চীনে নিজের আধিপত্য বিস্তার করা এবং যুদ্ধের পরে এশিয়ায় জার্মানীর সাম্রাজাটি দখল কর! । জার্মানী চীন হইতে বিতাড়িত হইলে জাপানকে তাহার সৈন্য সরাইয়া লইবার জন্য চীন অনুরোধ জানাইল। জাপান যুদ্ধজনিত পরিস্থিতির অজুহাতে চীনের দাবি অগ্রাহা করিল। এই সময়ে চীনের কর্তৃত্ব ছিল৷ ক্ষমতালোভী প্রেসিডেন্ট ইয়ান সি-কাই-এর হাতে। জাপানের অনুগ্রহের উপরেই ইয়ান দিকাই-এর কর্তৃত্ব নির্ভরশীল ছিল। জাপান স্থযোগ বুঝিয়! চীনের নিকট “একুশ দফা'র এক দাবি পেশ করিল ( ১৯১৫ )। এই দাবিগুলি মানিয! লইলে চীন আপনার স্বাধীনতা হারাইয়৷ জাপানের আজ্ঞাবহ একটি ভূত্যদেশে পরিণত হইবে। কিন্তু তা সত্বেও জাপানের বেয়নেটের মুখে চীন দাবিগুলি মানিয়৷ লইতে বাধা হইল । ফলে সে জাপানের অর্ধ-উপনিবেশে পরিণত হয় । [রেীন্দরনাথ জাপানে পৌছিয়াই সর্বত্রই জাপানের এই উগ্র সারাজাগিপস। ও যুদ্ধোম্মাদবার আযোজন দেখিলেন। এই উদ্দেশ্যে জাপান সমগ্র দেশটিকে জাতীয়তাবাদের মছ্য পান করাইয়া মাতাল করিয়া তুলিতেছিল। রবীন্দ্রনাথ ইহা গভীরভাবে লক্ষা করিয়াছিলেন । তাই তিনি লিখিলেন, “জাপান যুরোপের কাছ থেকে কর্মের দীক্ষা আর অস্বের দীক্ষ! গ্রহণ করেছে। তার কাছ থেকে বিজ্ঞানের শিক্ষাও সে লাভ করতে বসেছে ।""*জাপানি সভ্যতার সৌধ এক মহল|- সেই হচ্ছে তার সমস্ত শক্তি এবং দক্ষতার নিকেতন। সেখানকার ভাগারের সবচেয়ে বড়ে। জিনিস য| সঞ্চিত হয়, সে হচ্ছে কৃতকর্মতা। সেখানকার মন্দিরে সবচেয়ে বডো দেবতা স্বাদেশিক স্বার্থ। জাপান তাউ সমন্ত মুরোপের মধ্যে সহজেই আধুনিক জর্মনির শক্তি-উপাসক নবীন দার্শনিকদের কাছ থেকে মন্ত্র গ্রহণ করতে পেরেছে; নীট্ঝের গ্রন্থ তাদের কাছে সবচেষে সমাদৃত । তাই আজ পর্যন্ধ জাপান ভালো করে স্থির কবতেই পারলে না-_ কোনো ধর্মে তার প্রয়োজন আছে কি না, এবং ধর্মটা কী |.” [ এ ॥ পৃঃ ১১৪] জাপানে জার্তীয়তাবাদের উগ্র বিভীষিকা-রূপটি প্রত্যক্ করিয়া! গভীর ক্ষোভে ও অস্তর্বেদনায় কবি ইহার পরিণতি সম্পর্কে আর একবার পর্যালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন? ৩৭৮ এবং তাহারই ফলে তাহার জাতীয়তাবাদবিরোধী বক্তৃতামালার স্চ্টি। বিষ নির্ভীক কণ্ঠে কবি এই সাম্রাজ্যলিক্গ! ও উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য জাপানকে কঠিন তিরস্কার করিলেন। জাপানে বসিয়াই জ্জাপানের বিরুদ্ধে এইরূপ কঠোর সমালোচনার ফলে জাপ-সরকাঁর তীশার উপর অত্যন্ত রুষ্ট হইলেন । অবিলম্বে সার! দেশব্যাপী উহার প্রতিক্রিয়া লক্গা কর! গেল। রবীন্দরজীবনীকার লিখিয়াছেন, “জাপানে আমিবার সময় ধাহাকে সমগ্র জাতি অভ্যর্থনা করিয়াছিল--- তাহাকে বিদায় দিবার ক্ষণে জাহাজবাটে কোনো জনতার ভিড় হয় নাই-_ একমাত্র হার/সান তাহার অতিথিকে বিদায় দিবার জন্য উপস্থিত হন। জাপান সরকারের অন্যরটিপুনিতে সমস্ত দেশ কবির প্রতি বিমুখ হইয়া ছিল |...” [ ববীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড পঃ ৪২৫] জাপানে থাকিবার কালে কানাডার একটি প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রনাথকে ভাক্কুভারে আসিবার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কানাডার এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করিয়! বলিয়! পাঠাইলেন মে, যতদিন কানাডায় ভারতীয় ও এশিয়া বাসীদের প্রতি ভেদনীতি প্রচলিত থাকিবে 'এবং যতদিন কানাডায় ভারতবাসী তথ। এশিয়াবাসীর প্রতি অবজ্ঞা ও নিাতন চলিবে ততদিন তিনি কানাডার মাটিতে পদার্পণ করিবেন ন: ৷ কিছুদিন পূর্বে বজবজে 'কামগাটমারু ক্রাহাজে যে নির্মম হত্যাকা অনুষ্ঠিত হয়, তাহার জন্য কানাড।-সরকারও অংশত দায়ী ছিলেন। সে সমঘ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি বিটিশ কমন ওষেলথনুক্ত দেশগুলিতে চীনা, জাপানী ও ভারতী শ্রমিকদের বনু বিধিনিমেপ ও অপমান-লাঞ্ধন! সন্ত করিয়া ও অর্ধোপাজনের জন্য যাইতে হইত | ১৯১৪ সালের এপ্রিল মাসে একদল পঞ্জাবী শ্রমিক কামগাটমার জাহাজে করিয়। কানাডায় উপস্থত হয়। কিন্তু কানাডা- সরকারের নির্দেশে তাহাদের জাহাজ হইতে'নামিতে দে €যা হইল না এবং একরকম জোব করিয়াই তাহাদের দেশে ফিরিতে বাধা করা হইল । নিরুপায শ্রমিকদল ভারতবর্ষের পথে রন! হইল । জাহাজ বজবজে পৌছিলে এই পঞ্জাবী শ্রমিকদের উপর ইংরাজ সরকার অকথ্য অতাচার ও নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায় । যে দেশে স্বদেশবাসী ও এশীযর! এইভাবে নিষাতিত ও লাঞ্ছিত হয়, সেখানে তিনি কিছুতেই যাইতে পারেন না এইকথা বলিয়! সেদিন কবি কানাডা-সরকারের দ্বণা অপকর্ষের যোগ্য প্রত্যুন্রর দিয়াছিলেন। তাছাড়া, এই "টনাটি হইতেই বুঝা। মায়, কবির স্বদেশপ্রেম ও জাতীয় মর্যাদাবোধ কত গভীর ছিল। ৩৭৪ ॥ দ্বিতীয়বার আমেন্সিকায় ॥ ১৯১৬ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ জাপান হইতে আমেরিকা যাত্র। করিলেন, সঙ্গে রহিঙেন পিমার্সন ও মুকুল দে। ১৮ই সেপ্টেম্বর জাহাজ আমেরিকার সিয়াটলে পৌঁছিল। মিঃ পণ্ড কবিকে অভ্যর্থনা করিয়া লইয়া যাইবার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন । 'পণ্ুড লীসিয়াম বুরো' নামক একটি বন্তৃত! কোম্পানি আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথের বন্তৃত৷ দানের ব্যবস্থা করেন। এই কোম্পানিটির সহিত রবীন্দ্রনাথের ৪০টি বক্তার চুক্তি হয়। স্থির হয়, প্রতিটি বক্তৃতার জন্য কৰি পাচশত ডলার (প্রায় ১,৫০* টাকা) পাইবেন। শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের জন্য অর্থের তখন খুবই প্রযোজন। তাই রবীন্দ্রনাথ সিয়াটলে পৌছিয়াই পঞ্ডকে বলিজ্নে,..."তমি যত বন্তৃতার,ব্যবস্থা করিবে, আমি দিব । আমার নিজের কোনো! প্যান নাই; যতই বক্তৃতা হইবে ততই আমার বিদ্যালযের জন্য টাকা হইবে।, বিদ্যালয়ের জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে, সত্য কথা । কিন্তু তুলিলে চলিবে না ষে, কেবল অর্থের প্রয়োজনে আমেরিকার বিলাসী ধনকুবেরদের মনন্ত্টি সাধনের জন্ত কবি আমেরিকায় আসেন নাই। প্রারতবর্য হইতে জাপানের পথে তিনি জাহাজে বনিয়াই আমেরিকায় বক্তৃতার জন্ত পু%078116+-র প্রবন্ধগুলি লিখিয়াছিলেন। কিন্তু জাপানে আসিয়! তিনি যেন মহাযুদ্ধের স্বরূপটি প্রত্যক্ষ করিলেন। পূর্বরপান ব দুরগ্রাচোর কোনো যুদবক্ষেতরের প্রতক্ষ দৃশ্ঠ তাহাকে দেখিতে হয় নাই, কিন্তু জাপানের উগ্র জাত্যাত্মস্তরিতা৷ ও সাম্রাজ্যলিগ্গার বিভীষিকাময় রূপটি দেখিয়া! তিনি যেন মহাযুদ্ধের সমগ্র চিত্রটি দেখিতে পাইলেন। জাপানে বসিয়াই তিনি, সাহাজ্যবাদ ও জাতীয়ভাবাদকে তীব্র ভাষায় নিন্দিত করিয়া “ঘ86008112 গ্রন্ে সংকলিত বক্তৃতাগুলি লিখিলেন। এই বক্তৃতা- গুলির জন্য তিনি জাপানে অপ্রিয় ও জাপ-দরকারের বিরাগভাজন হুইয়াছিলেন। তিনি ইহাও জানিতেন ঘে, ধনতান্ত্রিক অমেরিকাঁয় এইসব বক্তৃতার জন্ত তিনি উপহাসের পাত্র হইবেন। কিন্তু তবুও কবি তাহার সংকল্পে অটল রহিজেন, “19৮10091181 19 & 98৫ 11)01)800,5 ভিনি বলিলেন, ৩৮৪ 1) 8015 অগা 67০ 00140200301 8০ 18610100 1)8৮0 2010100)- 090...-1৮ 19 099 ঠিি) 5০6 01 0৪ 02605 01 920 0100691. পণ্ড কোম্পানির অন্ুষ্ঠানলিপি অন্যায়ী রবীন্দ্রনাথ সিয়াটল, পোর্টল্যাণড, সানফ্রানসিসকো, লদ্এঞ্জেলস্‌্, ডেনভর, চিকাগে, ইপ্ডিয়ানোপোলিস, ডেট্রয়েট, পীটস্বার্গ, ফিলাডেলফিয়া, ক্রকলীন, বোস্টন, নিউইয়র্ক, ক্লীভল্যাগ প্রভৃতি আমেরিকার বিখ্যাত নগরীগুলিতে বক্তৃতা করিলেন । উ্িধিকাংখ জায়গায় তিনি 1১001091109 ও টব 20001)%174)) গ্রন্থছয়ের প্রবন্ধ গুলি পাঠ করেন। বল। বালা, কবির এ যুদ্ধ ও জাতীয়তাবাদবিরোধী বক্তৃতাগুলি ধনতন্ত্বাদী আমেরিকার আদৌ ভালে! লাগে নাই। ভারতবর্ষের মত পশ্চাংপর দেশের এক কবি পাশ্চাত্যের সভাত-সংস্কৃতির সমালোচন। করিবেন- আমেরিকার প্রতিক্রিয়াশীল মহল ইহ। আদৌ সহ করিতে পারেন নাই। ফলে চারিদিকে পত্র-পত্রিকায় কবির ব্ৃতাগুলির বিরূপ ৪ বিকৃত সমালোচন। হইতে লাগিল। অতি উৎসাহে কয়েকটি পত্রিক। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে কবিকে অত্যন্ত হীন ও জঘন্য আক্রমণ কবিতেও ছাড়িল ন৷ ) ১৭ই অক্টোবর আমেরিকার [05 .1)/0109 1751) কবিকে অতি হীন- ভাবে বিদ্ধপ করিয়। লিখিল, “যাহ হক অর্থ রোঙ্গগার হিসাবেও আমেরিকানদের প্রযোজন আছে দেখিতেছি। ঠাকুর মহাশয় তাহাদিগকে তাহাদেব ধনের জন্য সমালোচন! করিয়াছেন- কিন্তু সেখানে আসিযাছেন তে! তাহাদের উপার্জিত ধনের কিছু ংশ গ্রহণ করিতে ।-**ধন খুবই হীন পদার্থ, ধনোপার্জন বৃত্তি অত্যন্ত গর্ত... কিন্ত আমাদের এই সাস্্বনা যে আমাদের এই তুচ্ছধন-_যাহা! তিনি এতই স্তবণা করেন তাহাই তাহাকে এতদুব টানিয়া আনিয়াছে। তিনি যাহা নিন্দ। করেন, তাহাই পাইবার জন্য আসিয়াছেন, এবং এখানে আগিয়া সেই কাজই নিজে করিতেছেন, যার জন্য এত নিন্দাবাদ।” ( রবীন্ত্রজীবনী £ ২য় খণ্ড || পৃঃ ৪৩৮ ] ২৭1৮ [9100 10901) লিখিল, “.* স্যর রবীন্দ্রনাথ আমাদের ধর্ম সম্বন্ধে কেবল দোষ দেখেন নাই, আমাদের রাজনীতি সম্বন্ধে ও দোষ দেখিয়াছেন। কিন্তু এসব কথার আলোচনাষ পৃথিবীর বড়ে৷ বড়ো সমস্তার প্রশ্ন উঠিবে, রবীন্দ্রনাথের ন্যায় দার্শনিকেরই এইসব আলোচনার সময় ও অবসর আছে।” [ এ পৃঃ ৪৩৮ ] সেসময় কবির বিরুদ্ধে এই ধরনের অনেক হীন সমালোচন। হইয়াছিল। কিন্ত আমেরিকার কেন এই অন্তর্দাহ? ল্ারণ থাকিতে পারে, তখনও পর্যস্ত আমেরিকা মহাযুদ্ধে কোন পক্ষই অবলম্বন করে নাই। পরস্ত যুদ্ধ একটা মহাঁআশীর্বাদের মত আমেরিকার নিকট উপস্থিত ছইয়াছিল। এই যুদ্ধের স্থযোগে আমেরিকা _-ইংলগ্ড ও জার্মানী, উভয়পক্ষের নিকটই সমরোপকরণ ও অন্থান্ত পণ্যব্রব্য বিক্রয় করিয়া প্রচুর মুনাফা লুটিতে থাকে । এমন অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের এ যুদ্ধ ও জাতীয়তাবাদবিরোধী বন্ৃতাগুলি চারিদিকে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব স্থঠিতে সহায়তা কত্ধিবে এবং তাহার ফলে সমরোপকরণ উৎপাদনের কাজ ব্যাহত হুইবে, ইহাই ছিল ধনতান্ত্রিক আমেরিকার আশঙ্কা; এবং এইখানেই নিহিত রহিয়াছে তাহার অন্তর্টাহের মূল কারণটি ডেট্রয়টে পুঁজিপতিদের একটি পত্রিকা অত্যন্ত খোলাখুলিভাবেই মন্তব্য করিয়া বিল, “১, 81015 ৪0001৮000 17101008] 100150) 10) 1010) 086 [0079 ০0010. ০0171119000 1301105080০ ০0৮৮ 01 021" (751 [00150 9৮৮০5 [এ ॥ পৃঃ ৪৪] কিন্তু গ্রসঙ্গক্রমে ইহাও স্মরণীয় যে, আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে কৰি চিন্তাশীল স্ধীবর্গ ও সাধারণ মানুষের নিকট হইতে বিপুল সংবর্ধন! লাভ করিয়াছিলেন। ইতিমধ্যে সানফ্রানসিসকোতে রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করিয়৷ একটি অতি বিশ্রী ঘটন! ঘটে, যাহার জের চলিয়াছিল অনেক বৎসর ধরিয়া । ॥এই সময় আমেরিকায় “হিন্দুস্থান গদর পার্টি'র কিছু লোক সক্িম্ন হইয| উঠিয়াছিল।. তাহারা বিদেশী শক্তির সহিত গোপনে যোগাযোগ করিয়| ভারতবর্ষে একটি সশস্ত্র অভ্যুর্খানের পরিকল্পনা করিতেছিল। রামচন্দ্র নামক এক ব্যক্তি ছিলেন এই দলের অন্যতম নেতা । ্রবীন্দ্রনাথের জাতীয়তাবাদবিরোধী বক্তৃতাগুলির প্রকৃত তাৎপধ হৃদয়জম করিতে না পারায় তাহাদের ধারণ! হইল, এই সময় রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের উক্তি ভারতবর্ষের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হইবে। রবীন্দ্রনাথ তখন সানফ্রানসিসকোতে । এই সময় স্টকটন নামে একটি শহর হইতে জনৈক ভারতীয় রবীন্দ্রনাথকে তাহাদের শহরে লইয়। যাইবার জন্য নিমন্ত্রণ করিতে আসে । হোটেলের কাছে রামচন্দ্রের গদর দলের লোকেরা তাহাকে বাধা দেয়। উদ্দেশ্ট-_-কবিকে তাহারা মেলামেশ। করিতে দিতে চাহে ন| ৷ এই ক্ষুদ্র ঘটনাটির পর হঠাৎ চারিদিকে কে বা কাহার! গুজব রটাইল যে, রামচন্দ্রের গদর দলের লোকেরা ববীন্দ্রনাথকে হত্য! করিবার ফড়যন্ত্র করিতেছে । এই প্রসঙ্গে রবীন্ত্রজীবনীকার লিখিতেছেন, "চারিদিকে গুজব ছড়াইল (৫ই) যে গদর দল রবীন্দ্রনাথকে হত্যা করিবে। এই কথা শোনামাত্র স্থানীয় পুলিস ও ডিটেকটিভ রবীন্দ্রনাথের হোটেল ও কলম্বিয়া ৬৮২ থিয়েটারে তাহার বক্তৃতার স্থান বিশেষভাবে রক্ষা করিতে লাগিল। বহুশত হিন্দুকে সভায় তাহার! প্রবেশ করিতে দিল না। ইন্টারন্যাশনাল ডিটেকুটিভ এজেন্সির লোকেরা কবিকে সভার পর বাহির করিয়া লইয়া যায় ও হোটেলেও পিছনকার দরজ! দিয়! তাহার ঘরে পৌছাইয়! দেয় 1... “এইসব ঘটনার পরদিনই কবি 98106 73811)21% শহরে যান ।-"-তিনি সাংবাদিক ডগ্লাস ট্ুর্নিকে (70821 ) মোলাকাতে বলেন যে, “সানফ্লানসিসকে। কাগজে আমাকে হত্য। লইয়া একটা খবর প্রকাশ পায়; আমি তাহ! সমস্ত পড়ি নাই।*"'হত্যা সম্বন্ধে যে গুঙ্গব রটিয়াছে সে-দন্বদ্ধে আমার দেশবাসীর বুদ্ধির প্রতি 'আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে, এবং "মামি আমার সমস্ত কাজ পুলিসের সহায়ত৷ ব্যতীতই করিব। আমি এখানে স্পষ্ট বলিতেছি যে আমাকে হত্যা করিবার কোনো ষড়যন্ত্র হইয়াছিল--তাহ! আমি বিশ্বাস করি না। [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পূঃ ৪৩৬৩৭ ] আসলে এই ঘটনার পিছনে মাঞ্কিন সরকারের একটি হীন অভিসন্ধি ছিল। এই রকম একটি অলীক “ষডমন্ত্র আবিষ্কারের নামে তাহারা পরোক্ষে বিশ্ববাসীকে ইহাই বুঝাইতে চাহিল যে, রবীন্দ্রনাথের স্বদেশবাসীরাই তাহার বক্তৃতায় ক্ষিপ্ত হইয়া তাহাকে হত্য। করিবার ষড়যন্ত্র করিতেছে ; অথচ মাকিন সরকার কবির অমূল্য জীবন রক্ষার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে সদাই তপর। এই ঘটনার বহুকাল পরে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং মাফিন সরকারের এই ভগ্ডামির স্বরূপ উদঘাটন করিয়া “দি আটলান্টিক মান্থ্‌লি' পত্রিকায় লিখিয়াছিলেন, +জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে "স্তর' পদবী ত্যাগ কর! এমনই কী কুকাজ হইয়াছে যে তাহার জন্য আমার নামে কলঙ্ক রটান হইতে,ছ যে, আমেরিকা ভ্রমণের জন্য আমি জার্মানদের'নিকটই হইতে টাঁক৷ গ্রহণ করিয়াছি । সেইজন্য আমাকে প্রেসিডেন্ট উইলসনের নিকট কেব্ল্‌ করিয়া তাঁর প্রতিবাদ করিতে হয়। “এমন কি আমার সানফ্রানসিসকো। নগরে অবস্থিতির সময় গোয়েন্দ। বিভাগের লোক আসিয়৷ “মায়ের অপেক্ষা মাসীর দরদ" দেখাইবার মতো! আমাকে প্রাণ বাচাইবার জন্য পালাইতে বলিয়া! গেল; কারণ হিন্দু সন্ত্রাসবাদী বিপ্রবীরা না কি আমার প্রাণ হরণ করিবে । “কিন্ত ১৯১৬ সালে যখন আমি জাপান হইতে ক্যালিফোনিয়াতে পাড়ি দি-_ আমেরিকাবাসীরা আমায় বহু নগরে সাদরে সংবর্ধনা করে এবং আমার কথা ধীর চিত্তে শ্রবণ করিয়াছিল। আমার বিশ্বভারতীর জন্য টাকাও কিছু সংগ্রহ ৩৮৩ করিয়াছিলাম। যর্দিও স্বার্থাম্থেষিগণ আমার জাতীয়তাবাদমূলক বন্তৃতাগুলির প্রতিকূল সমালোচন! করেন-_তখাপি অনেক ব্যক্তি আমার নিকট আসিয়া ইহার প্রকৃত মর্মকথা জানিয়া যায় ।” [ বিশ্বভ্রমণে রবীন্দ্রনাথ ॥ পৃঃ ৭২-৭৩ ] এইসব ব্যাপারে কবির মন ক্রমশই আমেরিকার প্রতি বিরূপ হইয়া উঠিতেছিল। কিন্তু উপায় নাই--পণ্ড কোম্পানির সহিত তিনি চুক্তিবদ্ধ ; তাছাড়া, শাস্তিনিকেতনের জন্য অর্থেরও প্রয়োজন ৷ নানা প্রতিকূল সমালোচন৷ সত্বেও অধিকাংশ স্থানেই তিনি তাহার জাতীয়তাবাদবিরোধী বক্তৃতাগুলি পাঠ করিতে লাগিলেন। তাছাড়া, আমেরিকায় এশিয়াবাসীদের প্রবেশাধিকার লইয়৷ মাকিন সরকারের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করিতেও তিনি ছাড়িলেন ন!। নিউইয়র্কের সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে কথ উঠিলে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “০.1 60৮50126০01 4815603 28000 ০ 800 01008% ৪1098 ০1 ছা0]]" 159010189] 1110৮, [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৪১ ] আমেরিকার নিগ্রো-বিদ্বেষ ও ব্র্ণবিছেষের সমালোচন। করিতেও কবি ছাড়িলেন না। আমেরিকার কযেকটি পত্র-পত্রিকা! রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমানবতাবাদের প্রতি বিদ্রুপ করিয়৷ লিখিয়াছিল, “ভারতের জাতিভেদ কি ভ্রাতৃন্মেহের উপর প্রতিষ্ঠিত? পু ৪6107811970 3) [01 নামক বক্ৃতাষ কবি উহার পাল্টা জবাবে বলিলেন, “থাড 00901019170 905 ০০00 28] 7010 দা1)26 15 102/101)001776 88 60 &)0 09860 0156170%10185 17) 1077012. 1311৮ 1701) ৮81৭ 00160৮61010 18 88190. [700১ ৮৮ 19 75091]15 00700 16) 2, 511001101 21 110] 00] 660010690 6০ 1)06 €09 92018 000096101 60 0101 41007108) 0216105 া]) ৪ 81101)605001%02107% “57105৮109৮০ 5০০ 00159 710) 00০ 100 1700120) 210 81) [0৮7০ % 20৮ ০00. 109৮০ 1906 00৮ 05৮০: 5011]. 866৮190 ০0£ 98869 02:৭0 £18107, ০০ 1895০ 11590. ড1010126 177061)005 6০ 1০) 81001 2070 0৮0০2 9099১ 1006 01761] 5০00. 1১85০ 80100 ০ 011096101) 10625 17) 4$717621085 500. 1185০ 1)0 11018 60 011056101) 17019, [ 96101891181, 1), 98 ] কিন্তু এইসব প্রতিকুলতাও আজ কবির নিকট অতি তুচ্ছ বিষয়, মহাযুদ্ধ আজ কবির চোখের নিজ্রা হরণ করিয়াছে। কবি ভাবিতেছেন, এই বিশ্বব্যাপী মহাবিধ্ংসের শেষ পরিণতি কোথায়? কোথায় মানুষের মুক্তি? কোথায় সমাধান? (পু ৪8 080190 বক্তৃতাগুলি লিখিবার পর কৰি ক্রমণই আন্তর্জাতিক মিলনের আদর্শের উপর জোর দিতে শুর করিলেন। কিন্তু কিভাবে এই আন্তর্জাতিক দিলন গড়িয়া উঠিবে? রবীন্দ্রনাথ ভাবিতেছেন, একদিন তাহার ৬৮৪ পাস্তিনিকেতনেই_ বিষ্যাশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমেই নিখিল মানবের মিলনযজ্ঞের প্রতিষ্ঠা হইবে । আমেরিকা হইতে তিনি দেশে রখীন্দ্রনাথকে লিখিতেছেন (১১ই অক্টোবর .৯১৪ ), “ধানে সর্জজাতিক মন্থযত্বচর্চার কেন্ত্র স্থাপন করতে হবে-_স্বাঙ্জাতিক সংকীর্ণতার যুগ শেষ হয়ে আসচে, ভবিষ্যতের জন্যে যে বিশ্বজাতিক মহামিলনযজ্ঞের প্রতিষ্ঠা হবে তার প্রথম আয়োজন এ বোলপুরের প্রাস্তরেই হবে। এ জায়গাটিকে সমস্ত জাতিগত ভূগোলবৃতান্তের অতীত করে তুলব এই আমার মনে আছে _ সর্বমানবের প্রথম জয়ধবজ|! এখানে রোপণ হবে। পৃথিবী থেকে স্বাদদেশিক অভিমানের নাগপাশ বন্ধন ছিন্ন করাই. আমার শেষ বয়সের কাজ ।” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৩৯ ] কয়েকদিন পরে অপর একখানি পত্রে কবি লিখিতেছেন (চিকাগো, ২৮শে অক্টোবর ১৯১৬ ), “বাংলাদেশের চিত্ত সর্বকালে সর্বদেশে প্রচারিত হোক্‌, বাংলাদেশের বাণী সর্পঞান্তি সর্বমানবের বাণী হোক্‌। আমাদের বন্দে মাতরম্‌ মন্ত্র বাংলাদেশের বন্দনা-মন্ত্র নয়--এ হচ্চে বিখমাতার বন্দনা-_-সেই বন্দনা-গান আজ যদি আমরা প্রথম উচ্চারণ করি তবে আগামী ভাবী যুগে একে একে সমস্ত দেশে এই মন্ত্র ধ্বনিত হয়ে উঠবে ।'-*আমরা মানববিধাতার রাজপথে মহামানবের গান গেয়ে বেড়াব ।.."মহাবিশ্বের পথকেই আমরা দেশ বলে গ্রহণ করব ।” [এঁ॥ পৃঃ ৪৩৯] বিশ্বভারতী'র পরিকল্পনা ধারে ধীরে কবির মানসপটে রূপ গ্রহণ করিতেছে, বিশ্বভারতীর মাধ্যমেই তিনি আন্তর্জাতিক মহামিলনের ন্বপ্র দেখিতেছেন। বল! বাহুলা, কবির এই চিন্তাধার৷ হঠাৎ কিংবা আকম্মিক কিছু নয়। শান্তিনিকেতন উপদেশমালা ও গীতাঞ্জলির পর্ব হইতেই রবীন্দ্রনাথের মনের মধ্যে বিশ্বজাগতিকতা বা আন্তর্জাতিকত। বোধ ধারে ধীরে স্পষ্ট রূপ গ্রহণ করিতে থাকে। ?কিস্ত মহাযুদ্ধের ফলে কবির মনে আজ বিশ্বমানবতার প্রশ্নটই বড় হইয়া দেখ! দিয়াছে । এক পত্রে তিনি লিখিতেছেন, “দেশের গণ্ডি আমার ঘুচে গেছে, সকল দেশকেই আমার হৃদয়ের মধ্যে একদেশ করে তুলে তবে আমি ছুটি পাব।” [ | পৃঃ ৪৩৯ ] ইহার পর আরও প্রায় ছুইমাস রবীন্দ্রনাথকে আমেরিকায় থাকিতে হয়। অবশেষে দেশে ফিরিবার জঙ্য কবি অধৈধ হইয়া উঠিলেন। ২১শে জানুয়ারি তিনি আমেরিকা হইতে জাপান যাত্রা করিলেন। রবীন্্রনাথ ॥ ২৫ ॥ স্যাশনালিজ মূ ॥ পূর্বেই বলিয়াছি, রবীন্ত্রনাথ জাপান ও আমেরিকায় যে সব বক্তৃতা দেন, সেগুলির প্রায় অধিকাংশই তাহার “0১075015169? ও “৮6101051190 গ্রন্থে সংকলিত হয়। ইহার মধ্যে ২7107021192 গ্রন্থের বিষয়বস্তু আমাদের আলোচ্য বিষয়ের অস্তভূক্তি। যদিও তাহার বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ এখানে নিতান্ত অল্প, তবু উহার মূল কথাটি আমাদের অবশ্থই আলোচনা করিতে হইবে । [%610081150 গ্রন্থে তিনটি গ্রবন্ধ আছে--]ব96101101147 10) 4১০ ভা ০5৮, 46107001190) 11) 01920) ও 11610819011) 11001 তাছাড়া, এই গ্রন্থের পরিশেষে নৈবেগ্ঠর কয়েকটি কবিতার অনুবাদও আছে । বলা বাহুল্য, স্তাশনালিজ ম্‌ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের এই সমালোচনা নৃতন কিছু নহে। বিংশ শতাবীর সুচনাকালেই তিনি বঙ্গদর্শনে আধুনিক ন্াশনালিজ.ম্‌ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইউরোপের এই ন্তাশনালি্কম্‌ যে উদগ্র সাম্রাজ্যলালস। ও উগ্র পরজাতি-বিদ্বেষ ছাড়। আর কিছুই নহে, একথ| রবীন্দ্রনাথ সেইদিনই উপলব্ধি করিয়া দেশবামীকে সতর্ক করিয়া দিয়াছিলেন। ন্তাশনালিজ মূ _বিচারে কবির সমালোচনার ক্রটিব্চ্যিতিগুলি আমর! পূর্বেই, বিস্তারিত আলোচনা করিয়াছি । এখন “৪0010211517, গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তবা বিষয় কী দেখা যাক। “ড71)96 18 8015 [76100 2৮ ন্বয়ং এই প্রশ্ন করিয়! রবীন্দ্রনাথ [ব%810-এর সংজ্ঞা নির্ণয় করিতেছেন, “4 [80009 10 006 86180 01 000 [)011610%1 0110. 0008017810 11101 01৪ 10000019, 18২0172688৫ ছা1)101) 0 1010 1)01)01961018 898011108 সাঃ)61) 01901890107 & 10001210109] 1)011)0১9 [80101191150), 0), 9] কিন্তু নেশনরূগী অর্থ নৈতিক-রাজনৈতিক সংঘের সেই বিশেষ "যান্ত্রিক উদ্দেশ্ত” বা রক্ষ্যটি কী? ববীন্দ্রনাথ বলিতেছেন, লোড ও ব্যক্তিস্বার্থের তীব্র ছন্-সংঘাতই নেশনের যান্ত্রিক উদ্দেশ্তের মর্মকথা। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে মানুষের সামগ্রিক স্বার্থকে রক্ষা করিবার উদ্দেস্তেই মানবসমাজ গঠিত হুইয়াছে। কিন্ত ইতিহাসের এক বিশেষ মুহূর্তে পাশ্চাত্যের এই জাতীয়তাবাদ সমাজের মূল লক্ষ্যকে চি বিনাশ করিবার উদ্দেশ্যেই গড়িয়া! উঠিল। তারপর বিজ্ঞান ও যন্ত্রের উন্ভাবনের পর হুইতে তাহাদের উৎপার্দিক! শক্তি এমনই বাড়িয়া! উঠিল যে উহাদের গভি- বেগকে সংধত কর! আর সম্ভব হইতেছে না । অপরদিকে, সমাজের অভ্যন্তরে লোভ ও স্বার্থের ঘন্দ-সংঘাত এবং প্রতিযোগিতাও তীব্র আকার ধারণ করিয়াছে। সমাজের সহিত ব্যক্তির, ব্যক্তির সহিত ব্যক্তির, পুরুষের সহিত নারীর, কল মালিকের সহিত মজুরের- সর্বত্রই এই স্থার্থের ঘন্ব-সংঘাত। তিনি বলিলেন, ১০০50 015106 190005 01 8091069 800 1১10800170 019১ 200. 1৮170 1910০ 60 1097917 105001)21)108] 07271256100, .06 05 ০ম105 6০ ৮715 8186 আত 185 10961 00012700. 00৮ত০01) 1091 9180 ঘা 01002) 10009/850 0০ 112৮008] 0070000 25 810800017)6 10015150105 তে 60200180 2 10087100109 5 100085080 100200 19 0015018 60 1)001৮5107025019170 13100501112 +/0161) 101 1)11))90]0 2100 0011015 901)011)008])) 01108106010 08061 01 [90৬৫0 107. 1518 ০01) ৯৪০০ 00 107 61১6, ৯৮০01 009 1১150158] 01012100170, 10951170 012) 21010 0 1000 1000 0৮ 0: &০ [1৮ 1)07 0দা1) 1)66]0 081)8100.--"৮ | 111. 1১. 10] তিনি আরও বলিলেন, “10. ৮4126 19 6110 10108101178 0 070৯৫ ১৮1০০৯ 1181000 ০০010070816 ০110) 5০1) 11106 0150 107101015 810700)5 1) & 022 ১611140100৮ হা] $/16]) 70100/০0 10907 02005 61000 0005 8 00৮ 90৬1) 2.1) ১15৮. 07 0])10165 188055091)15 121৮০ 2150 ৮০ ০৮1)281050095 20105008006 61018801715 10650010012) 0100 55100100055 8100 ৬+1)0165017801)53 ০0: ]10015)107) 1060219১100. 1116071011)290)10 06501000010 অ2 19 250010৮0018 €৮1১108] 2000. 181)0007 00 0৮684 01 9210 100 1১00 08281001962 11৮৬6, 2 11801628150. 001111)70100150 01 ১০1111160১৮ ৫2৮8 20৮০০200921) )০ 10119] 5010 01 200186011120100০,-- “1110. 0015 01111610001 [১0110051301 0010)10)0706) 1086 06107" 10810015010 1561018) 1১০০০011)05 ঠ৯1)-1১0 0181 ৮0) ৫০১৮ 01 01২6 11010070109 07 0106 1518)।00 ১০০] 1105 পম 2৮ লি 208 ডো] 05101 10081172810165-,..11)00 2৮ 0119৬516501 60106 (81500. 11060 & 1001100% 01101261018 01 1১০০ 000) 0591৩ 99 পিন ৫0170091010) 16 0101810]0 60 19011900560,” [ 1010. 17১. 11-19 ] ইউরোপের ধনতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্যগুলি মোটামুটিভাবে রঈন্ত্রনাথ ঠিকই ধরিয়াছেন। কিন্তু লক্ষ্য করিবার বিষয়, তিনি ধনতান্ত্রিক সমাজের সহিত “নেশন'কে এক করিমা ফেলিতেছেন। অর্থাৎ, ধনতন্তরকেই তিনি ন্তাশনালিজ ম্‌ নামে অভিহিত করিতেছেন । কিছু পরে আমরা এই আলোচনায় আসিব। পাশ্চাত্যের ন্তাশনালিজ মূ ভারতেবর্ষে তথ! প্রাচ্য ভূখণ্ডে কী বেশে দেখ দিয়াছে, সে সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “115 21056:806 09106) ৮১০ [ঘ86012) 19 1701100 11801,., “130৮ সাও) আ])0 80 00501860১ 82০ 1006 8, 10020 208000018, ড০, 00 00 8100 270 11)015100918 7161) 11511)0 9010811)111605,-,-11 0018 7616 0? 600 0861010 009 50৮01189080 [001"5000.109 8081)1010118 ; 200 0080 ৪9 0১9 808])8080109 0: 9 00107015010115 110958 01 015171200 1079117 2100. 100519019, 1১010191817701)69 20 1280৮০0 001৮১ 1010) 102৬0 ৪. 0:51] 01 1001807105 202099 2 18700 10199001)6 (050৮ 01 070 1)010)81) 1098৮ 100৮ 01990 10018191)11)106 27০ 0991৮ 105 0, 10001 2108050% 1079, 17) 101) ৪ আা])010 19010019610) 01 01801) ০০০17051128 108 15 11070) [09190179115 “] 1895০ 17006 ০01200 10070) 1)0দ10৮০7) 60 0180558 (০ 001056101) ৪৩ 16 20005 105 ০0) 0০01005510৮ 5 16 27000 876 ৮70 01 21] 1701110165,... “1৩ 2০৮91৭11000 1)5 000 600, তি 001070 13716191) 1007 805- 01170 130 716 15 80 81)]1)00, 5010100 200. 00০7007০ 1)101:0 ০0 108 ৪1110112211) 155 101171010)195 1)02005০ 1৮06 0500১..090 205 মেগা গে 101016179৮০ 19০01) 1010060])১ 01110150105 0 1১0৮880১৪27) 165 088018618] 10960795 0010] 10059 76177211390 101101) 0150 1১81180 8%5 0)99 819 100, ...” [ [1910. 101১. 13-17] রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজোডা সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপটি সামগ্রিকভাবে বুঝিবার চেষ্টা করিতেছেন এবং এক্ষেত্রেও মোটামুটিভাবে তাহার বিষ্লেষণ সঠিক হইয়াছে। কিন্তু লক্ষ্য করিবার বিষয়, এখানেও তিনি সাম্রাজ্যবাদের সহিত নেশনকে এক করিয়। ফেলিতেছেন। (অর্থনীতিবিদ্রা যাহাকে “উপনিবেশবাদ” ও “সাম্রাজ্যবাদ” (00107010151) 007)1)0118115]) ) বলিয়। থাকেন, রবীন্দ্রনাথ তাহাকে হ্যাশনালিজ ম্‌ নাঘে অভিহিত করিতেছেন । পাশ্চাত্য ন্যাশানালিজ মের তীব্র নিন্দাবাদদ করিলেও রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্য সভ্যতার মূল মর্মবার্ীুকু গ্রহণ করিবার পক্ষে । তাই এ সাথে তিনি একথাও স্মরণ করাইয়। দিলেন, *, ১৮001002211 9 11859 60 001581007” 0706 0070 7096 15 109095- ৪2৮ ৮0 ৮0০ 7588৮, ০ ৪:9৪ 901101)1017767)97% 60 0900 0০ 09০8880 ০: 001 0116290% 0061908 0900 1119 10101) 1889 0201 0৪ 01761216 281000%8 ০: ৮00), 11756790079 11 1৮ 106 ৮9 09৮ 009 8016 01 015. ০৪৮ 1088 ০0009 01901) 00] 90109 21) 06 £01889 ০01 & ৩৮৮ ৪602) 1৮ 09 109501৮001085 50/৮691106 11577 89005 988৮ 219 11101100181, 48100. 1801) 7 11101 আ০ 199০018১020] 60 89811011906, 1) 001 1100 512৮ 15 1)111227খো16 1) ভা ভোগে 01511126101) দাত 91041] 19০ 11) 08৫ [)0১1610।) 60 01140 29006 & 10০0১011160 01 070৯০ ০ [06 07105 110 স1]] 0011806০021) 0100. 00০ 010০-810০0 0012)1- 1041) 11101) 1১ 17201]11017-,-9 [ 11010. 1১. 1 ] রবীন্দ্রনাথ দেখিতেছেন, পাশ্চাত্যের এই ন্যাশনালিজ ম্‌ ইংরাজ শাসনের মাধামে ভারতবর্ষে আজ ষে বেশে দেখ! দিয়াছে, তাহ! যেখনই কদর্য, তেমনি নশংস ও বীভৎস। ইহার কারণ কি? তিনি দেখিতেছেন, পাশ্চাত্য সভ্যতার মূলেই একটি অস্তরবিরোধ ও ছন্দ-সংঘাত রহিয়াছে । তিনি বলিলেন, £]100 ৮1010) 19 082৮ 000 0৮ 01 ০0াঠািতচ 2100 ০0000 15 8% 07০01710118 0101 10) 000 0০07৮7901৬০) 10000070120 5 15108415 1৯ 1106 500120] ০0-01)05061010,,--01৮ 15 11102 00008000 06 1)7021075 ০0110 01286 [01৭6 101৮৮0165 ড1শ৮11015-,১-]1 নিচে 00৫৭০020075 21৮ ঠ01161)0 181100101 0100127৯৮০৯ 107 00০ ০360114101) ০0 01911 «1611110৭210 (1101110১0৮৮ (045৮৮০10119720070 ৮150 তা লাশ 76101) 1৮5 11106 2 02170 10 0100] ৮০009 10 চে 0521৭) (১1511176101) 1180 000 ০0010৮0107০ ১২০-২৪০৮০1)... “.../8100 অত ০1011061916 79010705120 001৭1001000 680৮ ছা] 01০ শী) 01086 ০৮৮ 0ন])ল চা0শো নল 0210110 01 0০৫০018;) 79 ৮017 01 010 ০9৮ 10105 165 1701) 0100105 0£6 01102)1776101) 11) 00 0100 18১04 76101061059 2110 1110101০7/70010 616 1820 ০৮৮ 10খেশ) 110010100061100 2 079 1010 1)196015 01 100200- [ 010. 7]. ৭1-95 " 'ভ্রারতবর্ষে তথা প্রাচ্য দেশগুলিতে পাশ্মীত্য সভ্যতার শ্রেষ্ঠতম অবদানগুলি কার্যকরী হইবার পথে বাধ! পাশ্চাত্য সভ্যতার ন্যাশনাল সত্তা |. রবীন্দ্রনাথ দেখিতেছেন, নেশনের পরম শন্র নেশন। নূতন কোনো প্রতিছন্থী নেশনকে সে উঠিতে দিতে চায় না! এইজন্য উদীয়মান জাপানকে তাহাদের এত ভয়। তাছাড়া, নেশনগুলির নিজেদের মধ্যেই বিরোধ-সংঘাত লাগিয়াই আছে। তিনি বলিলেন, গ্য)0 [2001)) 10) 21] 16৭ 01150000010] 01 1১0শে, 2010 17109107605 16৭ 782৯ 8000 101009 1007001025 15 01808 1) চামোসি 2 07০ ০101৮) 210. ৮0০ 112 20100 0)0110যেন 01 105 19৮066 1)77217/) 00101106170 00০ ০৮ 018৮ ৮১০ বৈ 96100 8৯ 07৫ 200008৮ ০৮০] (07৮ 0১০ 0107), 01016 21] 15 00100001005 210 26118616210 হা ৩৮৪৯ 109 101০0) 0:15 101107 1) 0১6 0110. 18 21855 101105790. 12) 18 [01770 05 ৮0০ 07080. 0: 81097 [0071], 15 0179 দা19]) 19 0 09 0 009 10010101998 ০01 60৩ 1:০৮ 01 0০ 011১ 1100 807)0 17090065190 870 10200. 2) 600 108715900. 1091) 01 ড101708 1019৮ 0009৮ 0710011) 21159 ৮০ 1100 শো) (0০001180100 8110. 17002761005... 10 0015 010 8610 18ন 120. 250. 8611] 1009 10 01)0ন৮ [09ন্ঢা৩ 7) 8125,5,21 [ 77010. 100), 29-30 ] তিনি আরও বলিলেন, “12৮0 ০ 0019 07৭৮ 26100 276০ 6101 11160659 9081089৪) 0 &৮ 10886 0.0 7006 ০010010৮.... [ 11)1. 1). 40 ] রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন, জাতীয়তাবাদ উগ্রতম নেশ।। এই “জাতীয়তাবাদের ম্' খাইয়া আজ সমগ্র জাতিকে-জাতি বিবেকবুদ্ধি ভুলিয়া যুদ্ক্ষেত্রে ছুটিয়াছে। তিনি বলিলেন, “100 079 109৮ 01 0])9 [5001 185 0110 01 0০ 7,0৯৮ 100/০111] 21866861)06105 0১6 20001) 1099 177500600.. 001)007 050 11011101700 01 15 1017008 0])0 1010 10.01)10 শা) ০০০ 001৮ 165 8556011)19610 1)1001৭817711)6 01 07০ 17)0১৮ ৮170161)6 ৪০]15খে 007 সা10106 1901000190০ 1025 2৬ 06 1065 10001 [০০৯10179110 180৮ ০০]1170 015700700৮1 [0১০।00] 11 1৮ 15 1)011760 00৮. “05 [901000৮) অথথ 06 20009 06 00 অথ 01 601)0061010-,ত, [09 [61018 104 ৮01৮0 1070 01)018 10116118000. 10011101000 2107) 070 210৯৮ ০2961010801 0100, 0৮10 011 01 11১০ 1261018] [00008000605 11) 00110000005 09 74100000006 9100 2000000- 101800) 1001)1)০ল১ 10010000505 ৮811) 01 0000 10101100] 1066৮1018 01 10001010111), নু) ৪০৫1০৮৮ পা 1001 110 110] 1060 2 10970110169 91)0৬ 01 [)0116101005) 50101য5) 17021001002 2170 10779201005 19011160105 জাাযে াশা01000101)65 01 01১0 শেশ।চ 910010180* £,..[) 0015 সা 09০ 0005-00০৮ল 0 ঘ৮া 5৮101) 000৬, ০010017)05060, শ000.61)15) &]] 1 11901010101417) 00111010150 16 1088 ধৃত 809 097)০0+01 0৫ [ন099 ৭10৮৮206165 0 111000)) ৪0৮৮০ 106 00010 17760 006 0114৮ [৮ 5 0০ ?ি9) ৮০৮ 01 000 00005 01 88 01219], “শুগ।0 501] 1769 19901 7815009 0100. 17 8015 00৮0] সত 00 9 ৩৭6 1198 ৪6০০০ 1900 %0 1909 ছা101) 107 0ম) 0186101) ৮০ 1)101) 910০ 17801 00700 196] ৪০0], 179 1008 1000 1)96 16 চগ2]9 15. [ 1910. 00. 43-45 ] ৩৪৯৩ এই ুদীর্ঘ বকৃতাটির প্রতিটি ছত্রে ছত্রে যুদ্ধ, সামাজ্যবাদ ও জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কবির তীব্র দ্বণা ও বিদ্বেষ ফুটিয়া উঠিয়াছে। বিশ্বব্যাগী জাত্যাত্স্তরিতা ও রণোন্মাদনার কোলাহলের মাঝে উচ্চকণ্ঠে রবীন্্রনাথ ঘোষণা! করিলেন, “মহাযুদ্ধেই জাতীয়তাবাদের অস্তিমকাল স্থচিত হইয়াছে...মিথ্য। ও অবাস্তবতার সেই চরম দুঃখজনক বিয়োগাস্ত নাটকের আজ পঞ্চমাঙ্কের পালা চলিতেছে ।* বলা বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথের মূল বক্তব্য মোটামুটি নিল হইলেও ন্যাশনালিজ ম্‌- বিচারে তাহার দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাষ| বিজ্ঞানসম্মত নতে। তাহার কারণ, আধুনিক সমাজ-বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানসম্মত অর্থ নৈতিক-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চিন্তা করিতে কবি অভ্যন্ত ছিলেন না। তাহার আক্রমণের উদ্দেশ্ঠ যদিও শুধুই জাতীয়তাবাদ নহে__ইউরোপের ধনতান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদী সভ্যতা-সংস্কৃতিই কবির আক্রমণের মূল লক্ষ্য, তবু জাতীয়তাবাদকেই তিনি যহ কিছু অনিষ্টের মূল বলিয়া! আক্রমণ করিয়াছেন । 26100811717), 1৮610109]15% 36৮০ এবং €91)1115117- [101)91121157)-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য তিনি দেখিতে পারেন নাই; প্রস্থ এইগুলির সম্মিলিত একটিমাত্র রূপকে তিনি ন্যাশনালিজম্‌ নামে অভিহিত করিয়াছেন । রবীন্দ্রনাথ স্াশন[লিজমৃকেই পুঁজিবাদ বা (411681177- এর জন্য দায়ী করিয়াছেন। অথচ ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ই বিপরীত । (%1)108]1৮7- এরই :জহা।সক প্রযোজনেব তাখিদে গ্যাশনালিজম্‌ গড়িয়। উঠিয়াছে_ €%1)1011510)-এর বাচিবার ও বিকশিত হইবার উপ্ায হইতেছে 18010101171), অর্থাৎ মৃলবিষয় হইতেছে 0%1/0017, যাহা 3৮007210-এর রূপ বা অবয়বে প্রকাশ পাইয়াছে। এই উভয়ের মধো মিলনের কাজ করিতেছে +6৪% (রাষ্ট্র )--যাহ! প্রায় সবত্রই ২৮০07] 486 রূপে আত্প্রক'শ করিয়াছে । রবীন্দ্রনাথ ব80070115/-এব সামশ্রিক যে চিত্রাট তুলিয়া ধরিয়াছেন, তাহা আসলে ইউরোপের পু"জবাদ ও সাম্রাঙ্বাদেরই সামগ্রিক রূপ । কিন্তু পরাধীন উঁপনিবেশিক (এবং এমনকি ইউরোপেরও ) দেশগুলির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের যে একটি বিশেষ প্রগতিশীল ভূমিকা আছে, একথা রবীন্দ্রনাথ সম্যক উপলব্ধি করিতে পারেন নাই । তিনি দেখিয়াছিলেন, এশিয়া ও আফ্রিকাই ইউ.রাপের প্রন্ত্বের ক্ষেত্র । কিন্ত এখিয়। ও আফ্রিকার পরাধীন দেশগুলির প্রতি তিনি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় মুক্তি-আনেণলনের আহ্বান জানাইতে পারিলেন না । অথচ পরাধীন উপনিবেশিক দেশগুলির মুক্তি-সংগ্রামের প্রতি রবীন্দ্রনাথের ছিল অকু দরদ ও সহানুভূতি । তাই এই প্রসঙ্গে স্মরণে রাখা প্রয়োজন যে, কবির মূল বক্তব্য হইল-_পাশ্চাত্যের বীভৎস মানবতাবিরোধী ৩৪৯১ জাতীয়তাবাদ কখনই আমাদের আদর্শ হইতে পারে না। এই কারণেই তিনি সামগ্রিকভাবে নীভিন্রষ্ট জাতীয়ভাবাদের নিপাত জানাইলেন; এবং সেইসাথে বিশ্বমানবের গ্রতি আহ্বান জানাইলেন ন্থায়নিষ্ঠ মানবতার । লক্ষ্য করিবার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ এই সকল ভাষণে পরিষ্কার কোনে! সমাধান দিতে পারিলেন না। তিনি দেখিতেছেন, মহাযুদ্ধের এই ধ্বংসকাণ্ডের মধ্যে মানুষ তাহার শুভবুদ্ধি ও মানবতাবোধকে ফিরিয়া পাইবে, এবং তারপর শুরু হইবে এক নৃতন যুগ । যাহাই হউক, ন্যাশনালিজ.ম্‌, যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদকে রবীন্দ্রনাথ যে দৃষ্টিকোণ হইতেই বিচার করুন না! কেন, পৃথিবীর সেই ছুধোগ মুহূর্তে যুদ্ধ, সাম্রাজ্যবাদ ও উগ্র জাতীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে অবিরাম আপসহীন সংগ্রামের বার্তীবহ হিসাবে তাহার [ঘ281০021197 গ্রন্থখানি এক অবিশ্মরণীয় এতিহাসিক হৃষ্টি। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রজীবনীকারের বক্তব্য স্মরণযোগ্য । একস্থানে তিনি লিখিতেছেন, “-"*কবির ন্াশনালিজ মৃবিরোধী বন্তৃতাগুলি লইয়া জাপানে, আমেরিকায় ও মুরোপে যেরূপ বিরুদ্ধ সমালোচন। হইয়াছিল, বোধহয় তাহার আর-কোনো গ্রন্থ সম্বন্ধে তাহা হয় নাই । [্যোশনালিজম্” গ্রন্থ ১৯১৭ সালে প্রকাশিত হয়, ফরাসীদেশে ইহার অনুবাদ হয় অনেক পরে । শোনা! যায়, যুদ্ধের মধ্যে ট্রেঞ্চে ট্রেঞ্চে টাইপকরা কপি সৈনিকদের মধ্যে চাঁলাচালি হইত 11৪9 1১10%109) নামে একজন তেজন্বী ইংরেজ যুরক ১৯১৪ সালে যুদ্ধে যোগদান করেন, কিন্তু ১৯১৭ সালে '্তাশনালিজম্‌* পাঠ করিয়া তাহার জীবনের আমূল পরিবর্তন হয়। তিনি যুদ্ধ করিবেন না স্থির করায় সমরবিভাগীয় শাস্তি তাহাকে ভোগ করিতে হয়।) রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা পাঠ করিয়! তাহার মনের ভাব কিরূপ হইয়াছিল তৎসম্বদ্ধে তিনি লিখিয়াছেন, “19৮ ৮০ 0০ 1701) 609 [)0150119] 81)0)11986101) 01 81101, ০১ 097009 10106 €0 1080) 1 010. 1006 100 10116 125৮ 1)0৮ 6০ 0০ ৪ 11811) 98 9 101987 8180. 20 000 10)0117916 01 05৮ 20০01161018 11080 088560. 7010) 07071960. ভা 101 ০5০] 2 [ রবীন্দ্রজীবনী : ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৩৪-৩৫ ] এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, এইসময় ইউরোপে কবির এই '্যাশনালিজ ম্‌ বন্তৃতাগুলি পাঠি করিয়! রোম! রোল! রবীন্দ্রনাথের প্রতি আকৃষ্ট হন। যুদ্ধের সৃচনাতেই রোল! তাহার বিখ্যাত “/1১০5০ 6১০ 1১60৩, পুম্তিকায় (১৯১৫) যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইউরোপের বুদ্ধিজীবীদের শুভ বিবেকবুদ্ধির প্রতি আবেদন জানাইয়া- ৩7২ 'ছিলেন। কিন্তু বিকারপগ্রন্ত রণোন্মত্ত ইউরোপের সেকথা শুনিবার অবকাশ ছিল না। ফলে অব্যক্ত মানসিক যন্ত্রণায় রোল? শ্বদেশ হইতে স্বেচ্ছারুত নির্বাসন বরণ করেন। এমন সময় রবীন্দ্রনাথে ন্যাশনালিঙ্গ ম্বিরোধী বন্তৃতাগুলি পাঠ করিয়া তিনি নৃতন আশায উৎসাহিত হইয়। উঠিলেন। রবীন্দ্রনাথের সহিত তাহার তখনও পবিচয় হয় নাই। তবুও কবিব অনুমতির অপেক্ষা ন| রাখিয়াই রোল? তাহার ভগ্মীকে দিষ| এ বক্তৃতাগুলির অংশবিশেষ ফরাসী ভাষায় অন্গবাদ করাইযা প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে এগুজ লিখিতেছেন, “07019060005 08৮6 ০ 01005 00115070011) 70100 ৮৪7৮ 5001 ২:৮০])60 120001১0110 20201] 1১৮৯০010801 01 1000705 আ])1খ]) 1১ 105০2160 1) 0০ 1010০৮70015 জা 0৮ 11) ৮70101109 0710021) 61০১০ 10০৮110৭১1৮ 01066 711)08100 10) “৩1010700600 10016717100 €০ 1$0101211) 201181)0. 10005010201) 1015 51965 00০ 00275515660 07010) 11760 010018 2180.1)01101151)07 01001 0) 21) 21760011০৮0) 01 1015 0) 11) 000 ৮০৮ 00000 01150701011) 00010105601 ৮1০ 50510219 €)11186101), [70 00618000086 2 10৮ ৮০1০0 180 81500 1 80৫ 17৮ 101 001811001110 10060 8010,000051]] 60 11781010170 7110 ০91100 হ11১01) 140100100০0 11৮৮0ো 60116 102 101110111165 2070 2০5? [ 1301181)0 4100 70001, ১,193] মহএুদ্দেব শেষে বোল যখন চিন্তাব স্বাধীনতার দাবিতে বুদ্ধিজীবীদের সংঘবদ্ধ করিবার আন্দোলন শুরু করিলেন, তখন রবীন্দ্রনাথের কথাই তীহার সর্বাগ্রে মনে 'আসিয়াছিল। যথাসমষে আমরা এ আলোচনায আসিব । এই প্রসঙ্গে সর্বশেষে একটি কথা বল! দরকাব ।-_ রবীন্দ্রনাথ জাতীয়তাবাদের ইতিবাচক দিকটি সম্পূর্ণ অস্বীকাঁৰ করিতেন না। ম্মরণ থাকিতে পাবে স্বদেশী আন্দোলনের যুগে তিনি এক অবিস্মরণীয় ভূমিক! গ্রহণ করিয়াছিলেন । কিন্ত সেই সময়ও তিনি “দেশের কথা” প্রবন্ধে জাতীযতাবাদ ও প্যাটি ষটিজ মের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক কবিষা দিযাছিলেন । ॥ মহাযুদ্ধ-কালে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজী ॥ চৈত্রের প্রথমভাগেই রবীন্দ্রনাথ জাপান ও আমেরিকা ঘুরিয়! দেশে প্রত্যাবর্তন করিলেন (৪ঠা চৈত্র ১৩২৩ ॥ ১৭ই মার্চ ১৯১৭ )। ইতিমধ্যেই তাহার জাতীয়তাবাদবিরোধী বক্তৃতাগুলি এদেশের সংবাদপত্রে আংশিকভাবে প্রকাশিত হইতে থাকে । বল! বান্ধল্য, এদেশের কংগ্রেস নেতৃবৃন্দও কবির বক্তৃতাগুলির যথার্থ তাৎপর্য উপলদ্ধি করিতে পারেন নাই; তাহাব৷ প্রায় সকলেই উহার বিরুদ্ধে বিরূপ সমালোচন! করিতে লাগিলেন। স্বয়ং চিত্তরঞ্জন দাস পর্যস্ত প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভামঞ্চ হইতে কবির এঁ বত্ৃতাগুলির বিরূপ ও বিরুদ্ধ সমালোচনা করিলেন। এই সম্পর্কে সমসামধিক পত্র-পত্রিকায় বেশ একটু বাদ-প্রতিবাদ চলে। ইতিমধ্যে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পবিবর্তন সুচিত হইয়াছে । মহাযুদ্ধের অনিবার্ধ প্রতিক্রিযা ভাবতবর্ষেও দ্রেখা দিযাছে। জিনিসপত্র দুমূল্য ও মহার্২ দেশে দুঃখ কষ্টেব সীম! নাই। মভারেটপন্থী ও চরমপন্থীরা যুদ্ধেব সুচনা- কাল হইতেই ইংবাজ সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করিযা আসিতেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধজনিত প্রতিক্রিয়া ক্রমশই মকলেই অনন্তষ্ট হইযা উঠিতে থাকেন। অপরদিকে, এই সহ্য সন্ত্রাসবাদীদেরও কার্যকলাপ তীব্রতর হইয! উঠে। দেশের যুবশক্তি ক্রমশই সম্বাসবাদের দিকে আকৃষ্ট হইতে থাকে । এই জাগ্রত যুবশক্তিকে নিপ্পিষ্ট কবিবার জন্য “ভারতরক্ষা আইনে'ব জীতাকল দেশেব বুকে প্রবলভাবে চাপিযা বসে; এক বাংলাদেশেই ১২০০ শতেব অধিক যুবক এই আইনেব কবলে পড়িয়৷ অন্তরায়িত কিংবা নির্বাসিত হইলেন । ১৯১৬ গ্রীষ্টাব্ধের এপ্রিলে তিলক [70106 [381০ [02078 গ্রতিষ্ঠ। করেন। ইহার প্রায় ছয় মাস পরে ( সেপেম্বর ১৯১৬) আনি বেসান্তও অপর একটি হোম রুল লীগ (পরে ইহার নামকরণ হয় ]1-1001% [30076 130]০ 14091089 ) স্থাপন করেন । চবমপন্থীর। তিলক ও বেসাস্তের নেতৃত্বে ক্রমশই “হোম রুলে'র দাবিকে তীব্র ও প্রবল করিয়। তুলিতে লাগিলেন। অবস্থা বুঝিয়া৷ মডারেটপন্থীরাও উহাতে কিছুটা সায় দিতে বাধ্য হইলেন । অবশেষে, দীর্ঘ নয় বৎসর পরে কংগ্রেসের লক্ষৌ-অধিবেশনে ( ১৯১৬) মডারেটপন্থী ও চরমপন্থী! পুনরায় মিলিত হন। মুসলিম লীগও কংগ্রেসের সহিত ৩৪৪ সমানতালে চলিতে লাগিল। এই লক্ষৌ-কংগ্রেসেই কংগ্রেস ও লীগের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এঁতিহাসিক 007£088-]5990070 9117)9 0 [$080119 পাস হয়। সেই পরিকল্পনার মুখবন্ধের একস্থানে বলা হইয়াছে, £(9)...878 ৮1770 085 0070 আ])খে। [717 1818105650০ 1017 10071])0102- 817001019০0 1১10880 $0 18010 2 10০12117700) 20011120111 617৮1615070 210) 8100. 17600610001 13198 100]1105 &0 ০010 9০11-00৮0117)01)% 0 111015, 2% 81 0১719 0:00, 40১) 1078৮ 00০ 160085৮৭000) 01 07০ 10111017110 9150] 1১9 | ৮0705 30110 05611)0106018 105 08706170600 05 01151180017, 0০ 5৫011110 1)80108200 5000 $1]-10101% 00009 (10171116600 1707010০০0৮ আআ) 00৫ 10] (00010816৮৮০ 20001706005 07০ 41171110172 1119]1]]) 1400010 [10৫ নানি 01 010 ]17011) 86004] (010৮৯ 2 ড০], 1,170, 633] এদিকে মিসেদ্‌ বেশান্তের উচ্চ কণ্ঠস্বর ও সাংগঠনিক তৎপরতায উংরাজ সরকার স্শতঙ্কিত হইয়া উঠিতে থাকে । ফলে অআ্যানি বেশাম্থ অস্তরীণাবদ্ধ হইলেন (১৫ই জুন ১৯১৭ )। এই সংবাদে সার! দেশ বিক্ষুব্ধ ও চঞ্চল হয়! উঠিল । ংগ্রেসের বিভিন্ন মহল হইতেও ইহাব বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান হইল। রবীন্দ্রনা" ঈ সংবাদ পাইম। সংবাদপত্রে ইহার বিকদ্ধে প্রতিবাদ ক্ান'ঈলেন এবং এঁ সাথে বেশান্তের 'প্রতি তাহাব আন্তরিক সহান্তভতি জ্ঞাপন করিলেন । দেশের সমগ্র পরিস্থিতি বিচাব-বিষ্লেষণ করিধা কবি কিছুদিন পরে “কর্তার ইচ্ছায় কর্ম” প্রবন্ধাট রচন। করেন এবং কযেক দিন পৰ তাহ" কলিকাতাষ আলফ্রেড থিষেটারে পাঠ করেন (১১ই আগস্ট ১৯১৭ )। এই প্রবন্ধে তিনি প্রথমেই ভারতের জাতীয আত্মকর্তনত্থের (*০1 0৮011700018) দাবি ঘোষণা করিলেন, “মানুষের পক্ষে সকলের চেযে বড়ো কথাটাই এই যে, কর্তত্বেব অধিকারই মনযাত্বের অধিকার | "আমাদের রাজপুরুষেরাও শাস্থীয় গান্তীষের সঙ্গে এই কথাই বলিষা থাকেন, “তোমর। ভূল করিবে, তোমরা পারিবে না. অতএব তোমাদের হাতে কর্তৃত্ব দেওষা চলিবে ন। 1, “আর যাই হোক, মন্তু-পরাশরের এই আওয়াজটা ইংরেজি গলায ভারি বেস্থুর বাজে, তাই আমরা তাঁদের যে উত্তরটা দিই সেটা তাদেরই সহজ স্থরের কথা । আমর। বলি, ভূল করাটা তেমন সর্বনাশ নয় স্বাধীন কর্তৃত্ব না পাওয়াটা ষেমন। ভুল করিবার স্বাধীনত! থাকিলে তবেই সত্যকে পাইবার স্বাধীনতা থাকে। নিখুত ৩৯৫ তুল হইবার আশায় যদি নিরম্কুশ নির্জাব হইতে হয়, ভবে তার চেয়ে না হয় তবলই করিলাম ।... “এর চেয়েও একটা বড়ো! কথা৷ আমাদের বলিবার আছে, সে এই ঘে, রাষ্ত্রী আত্মকতৃত্থে কেবল ষে সুব্যবস্থা বা! দায়িত্ববোধ জন্মে তা নয়, মানুষের মনের আয়তন বড়ে৷ হয় ।"*'অতএব তুল্চুকের সমস্ত আশঙ্কা মানিয়া লইয়াও আমরা আত্মকর্তৃত্ব চাই। আমর! পড়িতে পড়িতে চলিব ; দোহাই তোমার, আমাদের এই পড়ার দিকেই তাকাইয়া আমাদের চলার দিকে বাধ। দিয়ো না 1” ইতিপুবে রবীন্দ্রনাথ বহুবার বহুক্ষেত্রে এই দাবি জানাইলেও তাহার আমেরিকায় প্রদত্ত "ঘ%6107721151) 11) [19019 ভাষণে ঠিক এই ধরনের দাবি জানাইতে পারেন নাই । হয়ত উগ্র ন্যাশনালিজ ম্বিরোধী সংগ্রামের আত্যস্তিক ঝৌকের মুখে ভারতের জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবির তাৎপর্যটি ভিনি লঘু করিয়া ফেলিযাছিলেন। দ্বিতীয়ত, এদেশের ধর্মতন্ত্র ও সামাজিক নিগ্রহের বিরুদ্ধেও তিনি এই প্রবন্ধে আক্রমণ চালাইলেন। তিনি বলিলেন, “সত্য দেখা দিল বলিয়াই আজ এতট! জোর করিয়৷ বলিতেছি যে, দেশেব যে আত্মাভিমানে আমাদের শক্তিকে সম্মুখের দিকে ঠেল! দিতেছে তাকে বলি সাধু, কিন্ত যে আত্মাভিমান পিছনের দিকের অচল খোঁটায় আমাদের বলির পাঠার মতো বাধিতে চায় তাকে বলি ধিক! এই আত্মাভিমানে বাহিরের দিকে মুখ করিয়া বলিতেছি, রাষ্ট্রতন্ত্রের কর্তৃত্বসভায় আমাদের আসন পাত। চাই ; আবার সেই .অভিমানেই ঘরের“দিকে মুখ ফিরাইয়া হাকিয়া বলিতেছি 'খবরদার! ধর্মতঙে, সমাজতস্ত্রে, এমনকি ব্যক্তিগত ব্যবহারে কর্তার ভ্কুম ছাডা এক পা! চলিবে না"_ ইহাকেই বলি হিন্দ্যানির পুনরুজ্জীবন। দেশাভিমানের তরফ হইতে আমাদের উপর হুকুম আসিল, আমাদের এক চোখ জাগিবে, আর-এক চোখ ঘুমাইবে | এমন হুকুম তামিল করাই দায়” প্রসঙ্গক্রমে তিনি ইংলগু ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের দৃষ্টান্ত তুলিয়া ধরিলেন, “সমাজের সকল বিভাগেই ধর্মতন্ত্রের শাসন এক সময় মুরোপেও প্রবল ছিল। তারই বেড়া'জালটাকে কাটিয়া যখন বাহির হইল তখন হইতেই সেখানকার জনসাধারণ আত্মকর্তৃত্বের পথে যথেষ্ট লম্বা! করিয়। পা ফেলিতে পারিল ।-.. “আজ যুরোপের ছোটো বড়ো যে-কোনো! দেশেই জনসাধারণ মাথা তুলিতে পারিয়াছে, সর্বত্রই 'ধর্মতস্ত্বের অন্ধ কর্তৃত্ব আলগা হইয়া মানুষ নিজেকে শ্রদ্ধা করিতে শিখিয়াছে।” ৩৪৩ রবীন্দ্রনাথ স্মরণ করাইয়া! দিলেন, ধর্ম আর ধর্মতন্ত্র'এক জিনিস নয়। তিনি ধর্মতন্ত্র বলিতে পুরোহিততন্ত্র ও হিন্ুসমাজের কুসংস্কার পূর্ণ আচার-অন্ুষ্ঠান ও বিধি-বিধানকেই বুঝাইতেছেন। আমাদের সামাজিক কুসংস্কারের উদাহরণ দিতে গিয়া তিনি (তীহার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হইতে ) একটি ঘটনার উল্লেখ করিলেন, “আমি জানি, একদিন একজন রাজা কলিকাতায় আর-এক বাজার সঙ্গে দেখা করিতে গ্রিয়াছিলেন। বাড়ি ধার তিনি কলেজে পাস-করা স্থৃশিক্ষিত। অতিথি যখন দেখ! সারিয়! গাড়িতে উঠিবেন এমন সময় বাড়ি ধার তিনি রাঙ্গার কাপড় ধরিয়া টানিলেন ; বলিলেন, “আপনার মুখে পান 1 গাড়ি ধার তিনি দায়ে পড়িয়া মুখের পান ফেলিলেন, কেনন| সারথি মুসলমান । এ কথা জিজ্ঞাসা করিবার অধিকারই নাই, "সারথি যেই হোক্‌, মুখের পান ফেল! যায় কেন?” ধর্মবুদ্ধিতে ব। কর্মবুদ্ধিতে কোথাও কিছুমাত্র আটক না খাইলেও গাড়িতে বসিয়৷ স্বচ্ছন্দ পান খাইবার স্বাধীনতাটুকু যে দেশের মান্তষ অনায়াসে বর্জন করিতে প্রস্তুত, সে দেশের লোক ক'দীনতার অন্ত্যেষ্টিসংকার করিয়াছে । অথচ দেখি, যারা গোড়ায় কোপ দেয় তারাই আগায় জল ঢালিবার জন্য ব্যন্ত।” প্রাচীনদের জন্য রবীন্দ্রনাথের দুঃখ নাই ; তাহার ছুঃখ এই যে, আধুনিক শিক্ষিত যুবকেরা? এই কুসংস্কারের ভূতটা কাধে লইয়। মাতামতি করিতেছে, “.-"এর। এখনও সেই বুডির কোল থেকে নামে নাই যে বুড়ি এদের জাতিকুল ধর্মকর্ম ভালোমন্দ শোওয়াবসা সমস্তই বাহির হইতে বাঁধিয়া দিয়াছে । ইহাদের দোষ দিতে পারি ন1, কেননা বুড়ি এদের মনটাকেই আফিম খাণয়াইয়। ঘুম পাড়াইয়াছে। কিন্তু অবাক হইতে হয় যখন দেখি, এখনকার কালের শিক্ষিত যুবকের|, এমন কি, কলেজের তরুণ ছাত্রেরা১৪ সেই বুড়িতম্বের গুণ গাহিতেছেন। ভারতবর্ষকে সনাতন ধাত্রীর কাখে চড়িতে দেখিয়া ইহাদের ভারি গর্ব; বলেন, €ট| বড়ো উচ্চ জায়গা, ওখান হইতে মাটিত্তেই পা পড়ে না। বলেন, ওই কাখে থাকিয়াই আত্মকর্তৃত্বের রাজদণ্ড হাতে ধরিলে বড়ো! শোভা হইবে ।” তুদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যেন গর্জন করিয়! উঠিলেন, “..-যৃত রাল্জ্যর জাতের বেড়া, আচারের বেড়া মেরামত করিয়। পাক। করাই যদি পুনরুজ্জীবন হয়, যি এমনি করিয়া জীবনের ক্ষেত্রকে বাধাগ্রস্ত ও বুদ্ধির ক্ষেত্রকে সংকীর্ণ করাই আমাদের গৌরবের কথা হয়, তবে “সই সঙ্গে এ কথাও বলিতে হয়, “এই অক্ষমদের দুই বেল! লালন করিবার জন্য দল বাধো।১ কিন্তু ছুই বিপরীত কূলকে এক সঙ্গে বাচাইবার সাধ্য কোনো শক্তিমানেরই নাই ।..” ৩৪৭ অপরদিকে, রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীর প্রতি ইউরোপীয় সভ্যতার মহত্বম অবদান- গুলি গ্রহণ করিবার আহ্বান জানাইলেন। তিনি বলিলেন, “***ইংরেজের সেই অন্তায়ের গোপন লজ্জা আর আমাদের মনুযবত্থের গ্রকাশ্ত সাহস-_-এই ছুয়ের মধ্যে মিল করিতে হইবে । ইংরেজ ভারতের কাছে সত্যে বন্ধ; ইংরেজ যুরোপীয় সভ্যতার দায়িত্ব বহিয়া এই পূর্বদেশে আসিয়াছে; সেই সভ্যতার বাণীই তাহার প্রতিশ্রতি-বাণী। নেই দলিলকেই আমরা! সবচেয়ে বড়ো দলিল করিয়৷ চলিব? একথা তাকে কখনোই বলিতে দিব না যে “ভারতবর্ষকে আমরা টুকরা টুকর| করিয়! মাছ-কাট! করিবার জন্যই সমুদ্র পার হুইয়া৷ আসিয়াছি।' “***মুরোপের প্রধান সম্পদ বিজ্ঞান এবং জনসাধারণের এঁক্যবোধ ও আত্মকর্তৃত্বলাভ। এই সম্পদ, এই শক্তি ভারতকে দিবার মহৎ দায়িত্ব ভারতে ইংরেজ-শাসনের বিধিদত্ত রাজপরোযানা ।-**” ভারতবর্ষের জাতীয় ও সামাজিক জীবনের নানা গলদ ও দোষক্রটি সত্বেও রবীন্দ্রনাথ স্বদেশের আত্মকর্তৃত্বের দাবিটি উত্থাপন করিতে ছাড়িলেন না। পরিশেষে ইংরাজ করতৃপক্ষকে লক্ষ্য করিষ! কবি বলিতেছেন, “***আমাদের চরিত্রে ও অভ্যাসে যদি কতৃশিক্তির বিশেষ অভাব ঘটিয়। থাকে তবে আমাদেরই বিশেষ দরকার কর্তৃত্বের চর্চা ।*** «.-*মানুষ আগে সম্পূর্ণ যোগ্য হইবে, তার পরে স্থযোগ পাইবে, এই কথাটাই যদি সত্য হয় তবে পরথিবীতে কোনো! জাতিই আজ স্বাধীনতার যোগ্য হয় নাই। ডিমক্রেসির দেমাক করিতেছ! কিন্তু মুরোপের জনসাধারণের মধ্যে আজও প্রচুর বীভৎসতা আছে-্-সেসব কুৎসার কথ। খাটিতে ইচ্ছ। করে না । যদি বোনে কর্ণধার বলিত এই সমস্ত তক্ষণ আছে ততক্ষণ ডিমক্রেসি তার কোনে! অধিকার পাইবে না, তবে বীভৎসতা তো থাকিতৃই, আবার সেই পাপের স্বাভাবিক গ্ররতি- কারের উপায়ও চলিয়! যাইত। “তেমনি আমাদের সমাজে, আমাদের ব্যক্তিব্য।তন্ত্ের ধারণায় দুর্বলতা যথেষ্ট আছে, সে কথা ঢাকিতে চাহিলেও ঢাকা পড়িবে না। তবু আমরা আত্মকতৃত চাই।...আজ মন্য্স্থের দেয়ালি-মহোৎ্সবে কোনো দেশই তার সব বাতি পুরা জালাইয়! উঠিতে পারে নাই, তবু উৎসব চলিতেছে । আমাদের ঘরের বাতিটা কিছু কাল হইতে নিবিয়া গেছে; তোমাদের শিখা হইতে যদি ওটাকে জালাইয়! লইতে যাই তবে তা লইয়! রাগারাগি কর! কল্যাণের নহে । কেনন।, ইহাতে তোমাদের আলো! ব্মিবে না, এবং উৎসবের আলো! বাড়িয়া! উঠিবে।” [ কর্তার ইচ্ছায় কর্ষ-_কালাস্তর ॥ পৃঃ ৪৯-৭৪ ] ১9৪৮ রবীন্দ্রনাথের ভাষা রাজনীতির ভাষ! নহে, তবুও এতখানি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতের জাতীয় সমস্যাকে দেখিতে সমকালীন কোনে! দেশনেতাকে দেখা যায় না। গান্ধীজী সবরমতী আশ্রমে “অন্পৃশ্'দের আশ্রয় দিলেন বটে, কিন্তু সনাতনবাদ কিংবা সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কোনো বিপ্লবাত্মক সংগ্রাম তিনি করিতে চাহেন নাই । পরস্ত গান্ধীজী কতকগুলি সংস্কারকে জিয়াইয়া বাখিবারই চেষ্টা করিলেন। সর্বোপরি, গান্ধীজী ছিলেন আধুনিক সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঘোরতর বিরোধী । অথচ রবীন্দ্রনাথ আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতার মর্মবাণীটিকে অভ্যর্থন! জানাইয়াছেন। বিস্ময়ের কথা, রবীন্দ্রনাথের এই ভাষণটির তীব্র সমালোচন। কবিয়! বিপিনচন্দ্র এইসময় “বুদ্ধিমানের কর্ণ নামে একটি প্রবন্ধ (নারায়ণ, ১৩২৪ ভান্র-কাতিক ) লিখেন। বিপিনচন্দ্রের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ ভাবতের ধর্মসাধকদের ধর্মসাধনার মহান এঁতিহের কথা উল্লেখ না করিয়া শুধু 'মশিক্ষিত জনগণের ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মাচরণের সমালোচনা কবিয়াছেন। বল! বাহুলা, রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং আধ্যাত্ম সাধনার পথে ভারতের ধর্মসাধকদের বাণীকে ভিন্ন দৃষ্টিতে গ্রহণ করিষাছেন। এ সম্পর্কে পূর্বেই আলোচনা করা হইয়াছে । তাছাড়া, এ ভাষণে তিনি ধর্ম ও ধর্মতন্বের মধো একটি ন্ুুস্পষ্ট পার্থক্য ও দেখাইয়াছিলেশ। কিন্ত আসল কথা, এই সময় চিত্তরপ্তন, বিপিনচন্দ্র প্রমুখ কষেকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিন্দু রক্ষণশীলতার নব নব ব্যাখ্যায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। চিত্তরঞ্জনের পৃষ্ঠপোষকতায় “নারায়ণ' পত্রিকার অভ্যুদঘও ( ১৩২১ অগ্রহায়ণ ) এই কারণেই। বেশ কিছুকাল হইতে এই পত্রিকার মাধ্যমে চিত্তরঞ্জন ও বিপিনচন্ত্র একাধারে ্রাহ্মধর্ম এবং রবীন্দ্রনাথের প্রগতিশীল মৃতবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাইয়া আসিতেছিলেন ৷ অল্পকালের মধ্যেই নারাষণ পত্রিকা হিন্দু রক্ষণশীল মহলে সমাদূত হইল । রবীন্দ্রনাথ দেশেব নেতৃবগেব মধ্যে এই ধরনেব প্রতিক্রিয়াশীল ধ্যানধারণাষ অত্যন্ত বেদনা বোধ করিতে থাকেন । এদিকে দেশের যুবকদের উপর পুলিসের অত্যাচাব ক্রমাগতই বাড়িয়া! চলিয়াছে। স্মরণ থাকিতে পাবে কিছুকাল পূর্বে বেসাস্তের প্রতি সরকারের অস্তরীণ আদেশের প্রতিবাদ জানাইয়! রবীন্দ্রনাথ সংবাদপত্রে একটি বিবৃতি দিয়াছিলেন। বিলাতের কোনো বন্ধু উহ পাঠ করিয়া কবিকে এক পত্র দেন। কবি উইাগ জবাবে বিখ্যাত দৈনিক 'বেঙ্গলি'তে একখানি খোলা-চিঠি প্রকাশ করিলেন (৭ই সেপ্টেম্বর ১৯১৭)। বাংলার যুবশক্তিকে দমন করিবার জন্য সেদিন চারিদিকে ইংরাজ সরকার ষে ৩৪৪ অত্যাচারের বিভীষিকা জাগাইয়৷ তুলিয়াছিল, রবীন্দ্রনাথ এই খোল।-চিঠিতে তাহার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জাপন করিলেন । কবি লিখিয়াছিলেন, “যা 00 16660 500. 8০92) 1900221608৮ 005 90100010617) ১০701186 2 28809920০01 85771108005 0 0178, 1308910%) 10 1193 1096] 117601৭)00 107৮ ])210110 06601510098 17076, ] 21) 27810 ০০011019700 10) ০009, 02 0:0019108 17795 %[01005%2 €0 5০00 600 9259119101৮ 50 97707117058 1) 280৮ 195 ৮5910. 16010100538 10৮ 08 £1)0 10022] [02010101078 5৮1] 10771811888 1100 প75০5%৮ 01 81] 10700191088 11) 8]] 1005 01 6100 দা 0:10, 1019 9010562910৮ ০010010% 100৮০০ো॥ 0০ 07011)6 0011)91)0 0? 60০ 601805690 0017)10111)165 016 117019 107 2 811109687)618] ৪127 11) 17০ 2,001017719018৮1018 01 0021 ০০01110৮5১ 200 00০ 91011 01 10095611165 018. 909 70%2 01 0০ 00501017007) 1008 01500 118০ 20)01)00 2 001)91- 0.0721019 70101101907 01 018] 50101)08 11108) 60 779061)0905 ০01 চঃ০0101১0০ 0:০0 01 0991)817 2100 01850575৮,710015 108810008 2)1০৮ 105 ১৫ (00501010019) 10 2) 600207621) [0110% 01 2০)7055108ত [ও 30012] 155011 17010070008 01 11701) ০ 1716৮17700 ছা16800৮ €11--2 00৮ 10117106101 00)008 21) 001)08%155 ল0270010017009 2) 1715 2180 10 ৪0112 ০০185 1) 2 টি ০৮০০৪ 07151700000) 60 10521)15 ০৮ 50110100, 15001071507 1৮৮ 15 0৮100 21760 10010100005 10007501১01 18 090]) 810. /10051)72205 010০ (92৮5৮ 9000 001106 01100 10 00017 ০1)11071) ছ])0 10 ৪6101:01) 2৮ 1৮৮ 2010 2য000760 1)01])105৯, “] 00 1506 181) 60০ 11760 05051179006 55 ৪ €0/08] 10170815107 1:07) 98019 80) 058৮ 00০ 18010 ০ড10017০0 10217056 0017) 050 01101 ৮0165 60 0916710. 00005015035 ৪ 80 10961500. 11) 61011008117 01) &. 19750 10101100901 01 01)096 10108151700] 20 11010601065 11)21)9 01 11011) ০৪ 8]99019115 ১০1৪০৮০% %3 ড10117)9 1)5 90০20% 81)108 01819 19008750 6170 18280 170200 €15017750195 00701011515 ০01841)1610719 11) 90100 1)01)10 171181)12 01 90119801509....11) 0715 071815 6)০ 01)]5 10001010057), 110 51758700. 027" 901শ*০0স+ 11101110660 0601 180. 00119101801 1767" ০০0017)৮517102)) 18 7175 470010 (395%126- 11019 788 57196 100. 100 ৮0 ০1)01055 175 ৮৮০] 8017)19600 0] 10027 1001019 ০0111552011) (1018 [)05০1)৮ 110 ভা)যো) 16 15 1021৮10151215 02180070005 60100 0 000 5100 01 1)0117)217165 22551086 10111)0 05009010705, 105911015 01002 78 501) 2 11)1776 8৪ 10011610291 910978055...100% 28 9, 17291) 1 1085 205 1)01720 0 01050 ])0 10259 1980) 20 1009%19 2100. 1১020107070 11117660680 21] 08700 1888 93০81) 8১৪৮ ০£ 7081:9181170 €)9 10010961017) 01 107078] 1950070811)11165,+ [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য় খণ্ড ॥| পৃঃ ৪৬১-৬২ ] রবীন্দ্রনাথের এই প্রতিবাদলিপি সারা দেশের লাঞ্চিত যুবশক্তির মধ্যে এক প্রবল উদ্দীপনা ও সাহসের সশর করিল। রবীন্দ্রনাথ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করিলেন না, কিন্তু বাংলার এই সকল আদর্শনিষ্ঠ নির্ভীক বীরসস্তানের প্রতি তিনি আস্তরিক সহাহুভূতি জ্ঞাপন করিতে ভুলিলেন না। এই সময় কবি 'দেশ দেশ নন্দিত করি' গানটি রচনা করেন । এই প্রসঙ্গে স্মরণীয়, বেশাস্ত ও তাহার সহকর্মীদের প্রতি অস্তরীণ-আদেশের প্রতিবাদে প্রবীণ কংগ্রেস-নেতা ও মাপ্রাজ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সথত্রাক্ষণ্য আয়ার তাহার “ম্তর' উপাধি (121)90700) পরিত্যাগ করেন । ইতিমধ্যে আযানি বেশাস্তের উপর হইতে অন্তরীণাদেশ প্রত্যাহার করা হইল। মুক্তিলাভ করিয়াই তিনি কলিকাতায় রবীন্দ্রনাথের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। কলিকাতায় তখন দারুণ রাজনৈতিক উত্তেজন! । অল্লকাল আগেই বিলাতের পার্লামেন্টে মণ্টেগ্ড ভারতশাসনের সংস্কার-পরিকল্পনার আভাস দেন (২০শে আগস্ট ১৯১৭)। মণ্টেগুর ঘোষণার ফলে সার! দেশে দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। একদিকে মডারেটপন্থীবা উল্লসিত হইয| উঠিলেন, অপরদিকে চরমপন্থী! অত্যন্ত সন্দিষ্কভাবে প্রস্তাবটির বিচারে প্রবৃত্ত হইলেন । ডিসেম্বব মাসে কংগ্রেসে অধি- বেশন। সুতরাং উভষপক্ষই কনফারেন্সের প্রস্ততির জন্য নিজ নিঙ্গ দল ভারি করিতে লাগিলেন। চবমপন্থীরা ক্রমশই কংগ্রেসে প্রধান্ত লাভ করিতেছিলেন। তাহার! আগামী কলিকাতা-কনফারেন্সের সভাপতিপদের জন্য আযানি বেশান্তের নাম প্রস্তাব করিলেন। কিন্তু মডারেটপন্থীবা আপত্তি তুলিলেন। ফলে উভষপক্ষেই মনকষাকষি চলিতে থাকে । এই সময় অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতিপদ লইয়া মৃতদ্বৈধত। দেখা দেষ। প্রফুল্পকুমাব সরকার মহাশয় লিখিয়াছেন, «...স্থুরেন্দ্রনাথ প্রমুখ ম্ডারেটগণ বহরমপুরের প্রখ্যাতনামা বৈকুঠনাথ সেনকে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতিপদে নিবাচিত করিতে চাহেন। কিন্তু নবীন জাতীয়তাবাদী দল ইহাতে সম্মত হইলেন না। তাহারা রবীন্দ্রনাথকে অভ্যর্থন। সমিতির সভাপতির পদ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাহাতে সম্মত হইলেন। এইরূপে ছুই দলে মতভেদ হইষা উঠিল, তখন সৌভাগ্য- ক্রমে একটা আপসের ব্যবস্থা হইল। মডারেট দল মিসেস আ্যানী বেশাস্তকে সভানেত্রীরূপে স্বীকার করিয়া লইলেন। রবীন্দ্রনাথও শেষ মুহুর্তে -বকুষ্ঠনাথ সেনের অনুকূলে অভ্যর্থন৷ সমিতির সভাপতির পদ ত্যাগ করিলেন। কলিকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হইল। রবীন্দ্রনাথ এই অধিবেশনে যোগ দেন এবং “জাতীয় প্রার্থনা* পাঠ করেন।” [ জাতীষ আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ॥ পৃঃ ৯৮ ] ৪৯১ রবীন্রসাথ ॥ ২৬ মণ্টেগুর ঘোষণা লইয়া সারা দেশে যখন উত্তেজনা ও আলোচনা চলিতেছে, তখন অকম্মাৎ বিহারের শাহাবাদ জেলায় এক ভয়াবহ হিন্দুমুসলিম সাম্প্রধাম়িক দাজা দেখ! দিল (সেপ্টেম্বর ১৯১৭)। বকর-ঈদের সময় হিন্দুরা বলপূর্বক গো- কোরবানি বন্ধ করিবার চেষ্টা করে; ইহ্‌। হইতেই দাক্গার সুত্রপাত। অল্পকালের মধ্যেই দাজ। জেলার সর্বত্র পরিব্যাপ্ত হইল। ইতিপূর্বে এমন ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাক্গা আর দেখ! যায় নাই। দেশের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এই সময় “ছোটে! ও বড়ো? প্রবন্ধটি রচন। করেন (প্রবাসী, ১৩২৪ অগ্রহায়ণ), এবং অল্নকাল পরে কলিকাতায় তিনি প্রবন্ধটি পাঠ করেন। এই গ্রবন্ধের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ বিহারের হিন্মুমুসলিম দাঙ্গাটির উল্লেখ করিয়া বলিলেন, “..-হোম্রুলের প্রবল মৈহ্থম হাওয়। আরব-সমুদ্্র পাড়ি দিয়াছে, মুষলধারে বৃষ্টি নামিল বলিয়! ; ঠিক সেই সময়েই মুষলধারে নামিল বেহার অঞ্চলে মুমলমানদের গ্রৃতি হিন্দুদের একটা হাঙ্গাম! “অন্ত দেশেও সাম্প্রদায়িক ঈর্ধাদেষ লইয়া মাঝে মাঝে তুমুল ঘন্দের কথ। শুনি। আমাদের দেশে যে বিরোধ বাধে সে ধর্ম লইয়া যদিচ আমরা মুখে সর্বদাই বড়াই করিয়! থাকি যে, ধর্ম বিষয়ে হিন্দুর উদ্বারতার তুলন| জগতে কোথাও নাই ।"-"* তিনি বলিলেন, “এ কথ! মানিতেই হইবে, আমাদের দেশে ধর্ম লইয়া হিন্দুমুসলমানের মধ্যে একটা কঠিন বিুহ্ধত৷ আছে। যেখানে সত্যতরষ্টতা সেইখানেই অপরাধ, যেখানে অপরাধ সেইখানেই শাস্তি । ধর্ম বদি অন্তরের জিনিস না হুইয়! পান্ত্রমত ও বাহ্‌ আচারকেই মুখ্য করিয়। তোলে তবে সেই ধর্ম যত বড়ো অশান্তির কারণ হয়, এমন আর-কিছু নয়।...অহিংসাকে যদি ধর্ম বল, তবে সেটাকে কর্মক্ষেত্রে দুঃসাধ্য বলিয়া ব্যবহারে না মানিতে পারি, কিন্তু বিশুদ্ধ আইডিয়ালের ক্ষেত্রে তাহাকে স্বীকার করিয়। কমে সেদিকে অগ্রসর হওয়। অসম্ভব নহে ।'''নিজে ধর্মের নামে পশুহত্য। করিব অথচ অন্তে ধর্মের নামে পঞ্তহ্ত্যা করিলেই নরহত্যার আয়োজন করিতে থাকিব, ইহাকে অত্যাচার ছাড়। আর-কোনে! নাম দেওয়া যায় না। আমাদের আশা এই যে, চিরদিন আমাদের ধর্ম আচার-প্রধান হইয়া থাকিবে না। আরো-একটি আশ! আছে, একদিন হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে দেশহিতসাধনের একই রাষ্ট্রীয় আইডিয়াল ঘদি আমাদের রাষট্রত্ত্র বাস্তব হইয়। উঠে তবে সেই অন্তরের যোগে বাহিরের সমন্ত পার্থক্য তুচ্ছ হুইয়৷ যাইবে ।” ৪০২ আমাদের পরাধীনতাই যে এই ধরনের তুল বোঝাবুঝি ও দাঙ্গার মূল কারণ, এই সত্যটিও রবীন্্নাথের দৃষ্টি এড়াইল না । তাই তিনি বলিলেন, “আমাদের নালিশটাই ঘে এই-_কতৃত্থের দায়িত্ব আমাদের হাতে নাই, কর্ত বাহির হইতে আমাদিগকে রক্ষা করিবার ভার লইয়াছে। ইহাতে আমরা ক্রমশই অন্তরের মধ্যে নিঃসহায় ও নিঃসমঘল হইতেছি;..*কর্তৃত্ব যদি থাকিত তবে তাহাকে বজায় রাখিতে ও সার্থক করিতে হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই সমান গরজ থাকিত, সমস্ত উচ্ছঙ্খলতার দায়িত্ব সকলে মিলিয়া অতি সাবধানে বহন করিতে হইত। এমনি করিয়। শুধু আজ নহে, চিরদিনের মতো ভারতবর্ষের পৌলিটিকেল আশ্রয় নিজের ভিত্তিতে পাক। হইত ।” লক্ষ্য করিবার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ এযাবং আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারের গৌডামিকেই হিন্দুমুদলমান-বিরোধের মূল কারণ নির্দেশ করিয়া স্বাদীনতা প্রাপ্তির পূর্বশর্ত হিসাবে সেই সকল গোঁড়ামিকে নিমূ্ল করিবার নির্দেশ দিয়। আসিতেছিলেন। কিন্তু এখানে তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার গুরুত্বটি উপলব্ধি কনির। সামগ্রিক দৃষ্টিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামার সমস্তাটি বিশ্লেষণ করিলেন । এ প্রবন্ধে তারপর তিনি মণ্টেগুর খসড়া-পরিকল্পন! সম্পর্কে বলিলেন, “এই রকম চোর! উৎপাতের সময় সমুদ্রের ওপার হইতে খবর আসিল, আমাদিগকে দান করিবা জন্ত স্বাধীন শাসনের একট। খসড়া তৈরি হইতেছে । মনে ভাবিলাম, ' কর্তৃপক্ষ বুঝিয়াছেন যে, শুধু দমনের বিভীষিকায় অশাস্তি দূর হয় না, দাক্ষিণ্যেরও দরকার ।-..এই কথা যে ইংলগ্ডের মনীষী রাষ্ট্রনৈতিকের! বুঝিতেছেন না তাহা আমি মনে করি না। বুঝিতেছেন বলিয়াই হোম রুলের কথাটা উঠরিয়াছে।” রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস “বড়ো-ইংরেজ" অর্থাৎ ইংলগ্ডের উদ্ারচেতা শাসক- সম্প্রদায় আমাদের জন্য সত্যই কিছু দিতে চাঁন, কিন্তু মাঝখানে ছোটো ইংরেজ' অর্থাৎ ভারতের আযাংলো-ইগ্ডয়ান আমলাতান্ত্রিক শাসকসম্প্রুদায় এইসব শাসন- সংস্কারের পথে বাধা হইয়| দীড়াইয়াছে। তিনি বলিলেন, “বড়ো-ইংরেজ অব্যবহিতভাবে ভারতবর্ষকে স্পর্শ করে না- সে মাঝখানে রাখিয়াছে ছোটো-ইংরেজকে । এইজন্য বড়ো-ইংরেজ আমাদের কাছে সাহিত্যে-_ ইতিহাসের ইংরেজি পু থিতে। এবং ভারতবর্ষ বড়ো-ইংরেজের কাছে আপিসের দফতরে এবং জমা-খরচের পাকা খাতায়, অর্থাৎ ভারতবর্ষ তাঁর ক.ছে স্তপাকার স্ট্যাটিস্টিক্সের সমষ্টি ।-..কিস্তু, সৃষ্টি তো শুধু নীলাকাশ-জোড়া অস্কের তালিকা নয় । সেই অন্বমালার চেয়ে অনেক বেশির হিসাবটা ভারত-আপিসের কোনো ডিপার্ট মেন্ট দিয়! কোনো! মানবজীবের কাছে গিয়া পৌছায় না। ৪৬৩ “কিন্তু ছোটো-ইংরেজ অগ্রসর হইয়া! চলে না ।-''ভারত-অধিকারের গোড়ায় ইহীরা হুজনের কাজে রত ছিল, কিন্তু তাহার পর দীর্ঘকাল ইহার! পাকা সাম্রাজ্য ও পাকা বাণিজ্যকে প্রধানত পাহারা দিতেছে ও ভোগ করিতেছে ।..:* এইজন্য রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীকে সতর্ক করিয়! দিয়া বলিলেন, “অতএব, ওরে মরীচিকালুন্ধ ছুর্ভাগা, বড়ো-ইংরেজের কাছ হইতে জাহাজ বোঝাই করিষ। বর আমিতেছে, কেবল এই আশাটাকে বুকে করিয়াই পশ্চিমের ঘাটের দিকে অন্ত বেশি কলরব করিতে করিতে ছুটিষে। না। এই আশক্কাটাকেও মনে রাখিয়ো যে, ভারতসাগরের তলায় তলায় ছোটো-ইংরেজের মাইন সার বীধিয়। আছে। এটা অসম্ভব নয় যে, তোমার ভাগ্যে জাহাজের ভাঙা কাঠ আছে সেট) স্বাধীনশাসনের অস্ত্যেষ্টিসংকারের কাজে লাগিতে পারে ।-*.* অর্থাৎ, মণ্টেুর সংস্কারপরিকল্পনায় কবীর এতটুকু আস্থা ও মোহ নাই। রবীন্দ্রনাথ রাজনীতিতে চরমপন্থার ঘোরতর বিরোধী । এই প্রবন্ধে তিনি যেমন একদিকে ইংরাজের সন্ত্রামূলক দমননীতিকে তীব্র আক্রমণ করিলেন, অপরদিকে তেমনি দেশের সন্ত্রাসবাদী বিপ্রববাদের বিরুদ্ধ-সমালোচন! করিলেন, "...বিনা বিচারে শত শত লোককে বন্দী কবার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে একখানি ছোটো চিঠি লিখিয়াছিলাম। ইহাতে ভাবতজীবী কোনো ইংরেজি কাগজ আমাকে মিথ্যুক ও 6::৫:0186 বলিয়াছিল। ঠহার। ভারতশাসনের তক্মাহীন সচিব, স্থৃতরাং আমাদিগকে সত্য করিয়। জানা ইহাদের পক্ষে অনাবশ্থাক, অতএব আমি ইহার্দিগকে ক্ষমা করিব ।* তিনি আরও বলিলেন, “...স্বদেশী উত্তেজনার দিন হইতে আজ পর্বস্ত আমি অতিখফপন্থার বিরুদ্ধে লিখিয়া আসিতেছি।..-দিশি ব| বিলিতি যে-কোনো কালিতেই হোক-না আমাব নিজের নামে কোনে লাঞ্ছনাতে আমি ভয় করিব না। আমার যেটা বলিবার কথা সে এই যে, অতিশয়-পস্থা বলিতে আমর| এই বুঝি, যে পন্থ! না৷ ভর, না বৈধ, না প্রকাশ্ত ; অর্থাৎ সহজ পথে ফলের আশা! ত্যাগ করিয়া অপথে বিপথে চলাকেই এক্‌স্টিমিজম্‌ বলে। এই পথটা যে নিরতিশয় গহিত সেকথা আমি জোবের সঙ্গেই নিজের লোককে বলিয়াছি ; সেইজন্যই আমি জোরের সঙ্গেই বলিবার অধিকার রাখি যে, এক্‌স্টি মিজ্‌ম্‌ গবর্ষেন্টের নীতিতেও অপরাধ । আইনের রাস্ত৷ বাধা রাস্ত! বলিয়া মাঝে মাঝে তাহাতে গম্যস্থানে পৌছিতে ঘুর পড়ে বটে, কিন্তু তাই বলিয়া! বেলজিয়ামের বুকের উপর দিয়া সোজা হাটিয়া রাস্তা সংক্ষেপ করার যতো এক্স্টি,মিজ্‌ম্‌ কাহাকেও শোভা পায় না।” বাংলাদেশের সম্থা্সবাদী আন্দোলন সম্পর্কে কবি সেই একট যুক্তি দিলেন, “ বাণ্লাদেশেব একল বালক ও যুবক স্বদেশেব সঙ্গে স্বদেশীর সত্য যোগ- সাধনেব বাধা-অতিক্রমেব যে পথ অবলম্বন করিয়াছে তাহাব জন্য আমর। লজ্জিত আছি। পলিটিক্সের গ্ুপু ও প্রকাশ মিথ্যা! এবং পলিটিক্েব গুপু ও প্রকাশ্থ দনথ্যবৃত্তি পশ্চিম সোনাব সহিত খাদ মিশাঁনোব মতো মনে কবেন, মনে কবেন ওটুকু ন| থাকিলে “সান। শক্ত হয না । আমবাও শিখিযাছি যে, মানষেব পবমার্থকে দেশেব স্বার্থে উপবে বসাউষ। ধর্ম লইয। টিকটিক কবিতে থাকা মুঢতা, দুর্বলতা, ইহ। সেট্টিমেপ্টালিজ ম__বর্ববতাকে দিয়াই সভ্যতাকে একং অধর্মকে দিযাই ধর্মকে মজবুত কবা চাই । * উপবে উদ্ধত অশটিতে ববীন্দ্রনাথেব মতাদর্শ অত্যন্ত পবিষাবভাবে ব্যক্ত হইয়াছে। [অিবস্ঠ বাংলাৰ বৈপ্লবিক আন্দোলনে বীবসম্থ'নদেব কঠোব আদর্শনিা ও মহান আত্মত্যাগে প্রতি তিনি তাহাব শ্রদ্ধা নিবেদন করিতে কখনোই ভুলেন নাই । ত'ই সেই সঙ্গে তিনি লিখিলেন, “কিন্ধ একটা কথ! ভূলিলে চলিবে না “য, দেশভক্তিব আলোকে বাংলা দেশে কেবল যে “চাব-ডাকাতকে দেখিলাম তাহা নহে, বীবকেও দেখিযাছি। মহৎ আম্মত্যাগেব দৈবীশক্তি আজ আমাদের যুবকদেব মধ্যে যমন সমুজ্দল কবিষ! দেখিযাছি এমণ কোনোদিন দেখি নাই । উহ্থাবা ক্ষুত্রু বিষযবুদ্ধিকে জলাগুলি দিষা প্রবল নিষ্ঠাব সঙ্গে দেশেব সেবাব জন্য সমস্ত জীবন উৎসর্গ কবিতে প্রস্তুত হইয়াছে। আজ সহসা ইহাই দেখিয়। পুলকিত হইযাছি যে, বাংলাদেশে এই ধনমানহীন সংকটময দ্র্গম পথে তরুণ পথিকেব অভাব নাই । ইহাব! ক.গ্নেসেব দবখাস্তপত্র বিছাইযা আপন পথ স্থগম কবিতে চাষ নাই । আত্মঘাতী ধচীন্দ্রে অস্তিমেব চিঠি পড়িলে বোঝা যা যে, এ ছেলেকে ঘে ই*বেজ সাজা দিযাছে সেই ই'বেজেব দেশে এ যদ্দি জন্মিত তবে গৌববে বীচিত এব* ততোধিক পশোৌববে নবিতে পাবিত। দেশে্ব সমস্ত বালক ও যুবককে আজ পু্লিসেব গুপ্ত দলনেব হাতে নিবিচাবে ছাডিয' দেওয়া এ কে মনতবো বাষ্ট্রনীতি? এযে পাপকে হীনতাকে বাজপেযাদাব তকম। পবাইযা দেওযা। ইহা হইতেই বোঝা যায়, ববীন্তরনাথ বাংলাব মুক্তিপাগল বীব যুবক-তকখদের ফী অপবিশীম দব্দদি়া ভালোবাসিতেন। ্ববণ থাকিতে পাবে, এইসময় বাংলাদেশে পুলিসী অত্যাচাৰ এক 1 বিভীষিকা স্থষ্টি কবিষাছিল। এই অত্যাচাবেব ফলে কউবেছেলে অকালে মাবী হায়, কত ছেলে যে পাগল হইয! যাষ, তাহা ইয়তা নাই। রংপুরের উকিল যোগেশচন্দ্র দাশগুপ্তের পুত্র শচীন্র পুলিসের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া অন্তরীণ-অবস্থায় গৃহে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি পিতাকে যে চিঠি লিখিয়! যান, তাহা যেমনই বেদনাদায়ক, তেমনি মর্মাস্তিক। দেশে পুলিসী অত্যাচারের বিরুদ্ধে কবি এই প্রবন্ধে আরও বলিলেন, “আর-একটা সর্বনাশ এই যে, পুলিস একবার যে চারায় অল্পমাত্রও দাত বসাইয়াছে সে চারায় কোনো কালে ফুলও ফোঁটে না, ফলও ধরে না। উহার লালায় বিষ অছে। আমি একটি ছেলেকে নিজে জানি, তার যেমন বুদি তেমনি বিষ্তা, তেমনি চরিত্র; পুলিসের হাত হইতে সে বিক্ষত হইয়া! বাহির হইল বটে, কিন্তু আজ সে তরুণ বয়সে উন্মাদ হইয়া বহরমপুর পাগল! গারদে জীবন কাটাইতেছে ।...পুলিসের মারের তো! কথাই নাই, তার স্পর্শ ই সাংঘাতিক ।""" আর বেশি কিছু করিবার দরকার নাই; উহাদের নিশ্বাস লাগিলেই কীচা প্রাণের অঙ্কুর শুকাইতে শুরু করে। উহাদের খাত! যে গুপ্ত খাতা, উহাদের চাল যে গুপ চাল **** বাংলার “হতভাগ্য লক্ষ্মীছাডা”দের জন্য এতখানি দবদভবা সহানুভূতি সেদিন আর কোনে! দেশনেতার কাছ হইতে আসিল না । স্বযং গান্ধীজীর নিকট হইতেও নহে । ঘরে ও বাইরে ইহার! সেদিন পাইযাছে শুধু নিন্দ। ও ভৎসন|। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ দ্ধযর্থহীন ভাষাষ পুনরাষ স্বাধীন শাসনের দাঁবি জানাইলেন। তিনি বলিলেন, “্যদি জিজ্ঞাসা কর, এই ঢুষ্ট সমস্তাব মূল কোথায তবে বলিতেই হইবে-_ স্বাধীন পাঁসনের অভাবে -*1” কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নিকট সমস্থ। আরও গভীরে । ভারতেব ইংরাজ শাসন সম্পর্কে তিনি বলিলেন, “শত বৎসর ধরিয়া মানুষ মান্ষের কাছে আছে অথচ তার সঙ্গে মানবসঘন্ধ নাই, তাকে শাসন করিতেছে অথচ তাকে কোনোমতেই আত্মীয় করিতেছে না, ূর্বধরণীর প্রাচীর ভাঙিম়া পশ্চিম একেবারে তার গোলাবাডির ভিতরে আসিয়া পড়িল অথচ এ মন্ত্র ছাড়িল না যে 476৮০] 000 (211) 9002]] 110৮7 এত বডে। অস্বাভাবিকতার দুঃ'খকর বোঝ! বিশ্বে কখনোই অটল হুইয1 থাকিতে পারে না। যদি ইহার কোনো শ্বাভাবিক প্রতিকার ন| থাকে তবে একটা এতিহাসিক ট্রাজেডির পঞ্চমান্কে ইহার যবনিকাপাত হইবে ।-*" পৃথিবীর সেই“অন্ধকা রাচ্ছনন দুর্ধোগ মুহূর্তে আশাবাদী কবি দৃখকণ্ঠে তাহার আর্শ ও স্বপ্রের কথ। ঘোষণ! করিলেন, 6৩০৬ “বঙ্মানের চেহারা যেমনি হোক্‌, তবু এই আশা, এই বিশ্বাস মনে দৃঢ করিয়াছি যে, পশ্চিম পূর্বের সহিত মিলিবে ।".' পৃথিবীর সেই ভাবী যুগ আসিয়াছে, অস্ত্রের বিরুদ্ধে নিরস্ত্রকে দীডাউতে হইবে । সেদিন যে মারিতে পারিবে তার জিত হইবে না, যে মরিতে পারিবে তারই জয হইবে ।. 'এই মহত্ব প্রমাণ করিবার ভার আমাদের উপর আছে। পূর্বপশ্চিমেব যদি মিলন ঘটে তবে একটা মহৎ আই- ভিয়ালের উপর হইবে । তাহা-..কামান বন্দুক এবং রণতরীর উপরও হইবে না। ছুঃখকে আমাদের সহায কবিতে হইবে, মৃত্যুকে আমাদের সহা করিতে হইবে, তবে মৃতুঞ্য় আমাদের সহায হইবেন ।৮ [ ছোটো ও বডে।_ কালাস্তর || পুঃ ৭৮-১০৭ ] এই বক্তার কযেকদিন পবই রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন চলিয| যান। স্মরণ থাকিতে পাবে এই সময কলিকাতা বিশ্ববিদ্ভালঘ-সংস্কাবের জন্য স্তাডলার-কমিশন নিযুক্ত হয। ন্যাডলাব-কমিশনেব সবস্তগণ শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসিলেন । রবীন্দ্রনাথ এই কমিশনেব সমক্ষে তাহাব শিক্ষাসম্পর্কাঘ মতামত জানান | উহার সাবমর্ষ কমিশনের বিপোর্টে প্রকাশিত হয | নানা দিক দিষ। উহা গ্ররুতপূর্ণ। “115 শা 13509100112000005 00215161001 0150 তা1)1101070012 ৪110111015 ১00110111 0110 00101010101) 001000৮205৮ ১০00180 171720866, 0)০ ০1101 10100111710) 001 11510100101) 11) 2601090]5 (৮100, ০৮৫1) 11) ০0110009 11) 60 0 ০৮৫01 171৮ মোশতৈ এদেশ ১1801000 9০009 2076900 601)1060 . 110০116010১ 0776 006 0১৯0612৮] 001)05 28050 21000 01 06 ০১৮ 91)01110 19০ ৫010১০৫ 10 00 %1)010 130118011 1)601)10 105 1000808 011 %/10619 01001156701 001071026191)9 1)66 010 90015 0৮1) 01015 09০ 00186 00101101) ॥ দা10- 106, 01 00০ ৮০1701১0011 11) 070 ১010015 1501108%1 018 ৮010111011810]) 2৮ 06৬০0010110 000 00000৮20506 ঠা 01000700105, ৮১1)০0118]]5 1৮ 109৮ 01 15000 100৮৮ 200 01 070 ১100) 02105 1৭ (100 1017 70151) 17 (000 10010061 ) 21706006101 00)045101 €]110081) 000 ০]: 01 070 10070], এনে 100৯শেশ 01 10020110150) 18 (111101076১5 01 মে1)01018%81 119011৭0070 9281190 1000 ০0701086107 5110810 ০)008৮৮০01৮ 60 ০৫7100% 01০ 0০০৮ 01 6০ 180010115] 6০07 [051))010) ৮০ ৯0]])]5 1615 11001001001 60 001৮ আ1৮ ৭ ০১] 1800. 1806 1056 0 81৮০ 05010110011) 010 102801609০8 ০০- 01১0%6101) 100) 000৯ 0) 076 হাটেপ্চ হনে 06 0017171610৯ 00 5001৮] 1০৮6০170018 11) 000 105/0006 0110100109১ 01 0108101586101) 10 00 60110০15০ ০০.” [ রবীন্দ্রজীবনী £ ২য খণ্ড, পৃঃ ৪৬৮৬৯ ] ইতিমধ্যে ভারতসচিব মণ্টে্ড ভারতবর্ষে আসিযাছেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের সহিত মিলিত হুইয়! ভারত শাসন- ৪6৬৭ সংস্কার সম্পর্কে তাহাদের মতামত সংগ্রহ কর্সিতে লাগিলেন। ডিসেম্বর মাসের শেষভাগে মণ্টেগড কলিকাতায় আসেন । শোন! যায়, দেশের অবস্থা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ তাহার নিকট একখানি দীর্ঘপত্র লিখিয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন, কবি .এই পত্রে নাকি দেশের জমিদারি প্রথা বিলোপের পক্ষে তাহার মতামত জানাইয়াছিলেন। কিন্তু আজও পর্যস্ত এই পত্রটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নাই, রবীন্দ্রজীবনীকারও এসম্পর্কে বিশেষ কোনে তথ্য সরববাহ করিতে পারেন নাই । ডিসেম্বরের শেষভাগে (১৯১৭) কলিকাতায় কংগ্রেস-অধিবেশন। জ্যানি বেশাস্ত সভানেত্রী । রবীন্দ্রনাথ এই অধিবেখনে যোগদান করেন। কংগ্রেসের উদ্বোধন সঙ্গীতের পরই কৰি তাহার বিখ্যাত €[77018% 7১:১6: আবৃত্তি করিলেন । কিন্ত এই কলিকাতী-অধিবেশনে কংগ্রেসের নীতির তেমন কিছু উল্লেখ- যোগ্য পরিবর্তন হইল না। মোটামুটিভাবে বলিতে গেলে, সকলেই মণ্টেগুর ভারতসফরে আশা ও আনন্দ প্রকাশ করিলেন । এবং সকলেই তাহারা যুদ্ধে ইংরাজকে সাহায্য করিবার প্রশ্নে অটল রহিলেন। ব্রিটিশ সিংহাসনের প্রতি আন্ুগত্য প্রকাশ করিয! এই অধিবেশনে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয, তাহাতে বল! হইযাছে, গ]0015 (01007699) 819০8101118 011 10019911০01 011০ 111)1600. 1)০01)19 ০: 11501910208 76819906081] 60 ০011৮০৬ &0 1719 11210965 05০ 10117 171০7010017, ৫0900 10521658100 [9701001)0 2৮62000108006 60 ১০ (0707069 (5017, 101)551০151705 71192121500 ৮0 8০ 1315615]) ০0101906101), 210. 000] ঠিগোট। 08016 60 96210 105 00০ 0101070 26 £1] 10728105200 8৮ ৪1] 00568.৮ [81917580092 ৬০01. 1. 10, 266 ] মিসেস্‌ বেশাস্ত তাহার সভাপতির অভিভাষণে একদিকে যেমন পুনরায় হোম রুলের দাঁবি উত্থাপন করিলেন, অপরদিকে তেমনি যুদ্ধে ইংরাজপক্ষকে সমর্থন করিলেন। এমনকি তিলকও যুদ্ধে সৈন্য সংগ্রহের কাজ সমর্থন করেন। গাম্ধীজী তখনও কংগ্রেসের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাই, তিনি তখনও চম্পারনের নীল- কৃষকদের সংগ্রাম লইয়া ব্যস্ত । মোট কথা, দেশে কোথাও আশার আলো দেখা গেল না-_নেতারা প্রা সকলেই তখন বিভ্রান্ত | এই সময়ই রবীন্দ্রনাথ 'ম্বাধিকারপ্রমত্তঃ' প্রবন্ধটি লিখিলেন (১৩২৪ মাঘ)। এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের একটি সঠিক পরিপ্রেক্ষিত দিতে চাহিলেন। তিনি বলিলেন, “একথা জোক করিয়া বল! যায় যে, রামমোহন রায়ের জন্ম এবং তাহার তপন্তা আধুনিক ভারতের সকল ঘটনার মধ্যে বড়ো ঘটনা? কারণ পূর্ব ও পশ্চিম ৪০৮ আপন অবিচ্ছিন্নত! অনুভব করিবে, আজ পৃথিবীতে ইহার প্রয়োজন সকলের চেয়ে গুরুতর 1... তিনি আরও বলিলেন, "এই পশ্চিমের বিদ্যালয়ে নিজের জাতির সত্তাকে অত্যন্ত ভীত্র করিষা অনুভব করিতে শেখায়-__এই শিক্ষায় যে স্বাদেশিকত। জন্মে তার ভিত্তি অন্য জাতির প্রতি অবজ্ঞাপরায়ণ পার্থক্যবোধের উপরে প্রতিষ্ঠিত ।-*. “আজ পশ্চিম মহাদেশের লোক হঠাৎ পৃথিবীর সকল জাতির সংশ্রবে আসিয়া পড়িয়াছে। এই মহৎ ঘটনার জন্য তার ধর্মবুদ্ধি সম্পূর্ণ প্রস্তত হইয়! উঠে নাই । তাই ভারতের প্রাচীন বাণিজ্য আজ বিধ্বস্ত, চীন বিষে জীর্ণ, পারস্য পদদলিত; তাই কঙ্গোয় মুরোগীয় বণিকের দানবলীল। এবং পিকিনে বক্সার যুদ্ধে যুরোগীয়দের বীভৎস নিদারুণতা দেখিয়াছি । ইহার কারণ, যুরোপীয়েরা স্বজাতিকেই সবচেয়ে সত্য বলিষা মানিতে শিখিয়াছে |*** "আজ তাই এমন দ্রিন আসিয়াছে মখন পশ্চিমেব মাঁনষ নিজের ঘরেব মধ্যেই বেশ কবিয়। বুঝিতেছে, স্বাজাতিকত৷ বলিতে কী বুঝায় ।"" “***তা হউক, এই সহজ সত্যটুকু তার ভালে। করিযাই জান। দরকার ছিল যে, মনুষ্যত্ব জিনিস একটা! অখণ্ড সত্য, সেট। সকল মান্িষকে লইয়াই বিরাজ করিতিছে। সেটাকে ধণ্ন কেহ স্বার্থের বা স্বজাতির খাতিরে খণ্ডিত করে তখন শীন্রই হোক্‌, বিলম্বেই হোক্‌, তার আঘাত একদিন নিজের বক্ষে আসিয়া! পৌছে |...” বলা বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথের পূর্ব ও পশ্চিমের আধ্যাত্মিক মিলনবাদ অলস ভাববিলাসীদের কোনে অতীক্ড্রিয় রহস্যবাদের কুজ্মাটিকা নহে । যাহা হউক, এই প্রবন্ধে কৰি পাশ্াত্যসভ্যতার মৃহত্রম অবদানগুলিকে আত্মস্থ করিবার 9 আহ্বান জ্ানাইলেন জাতির প্রতি। তিনি 'বলিলেন, “***প্রকৃতি যে মানুষের পরিপূর্ণতালাভের পথে অন্তরায় নহে, প্রকৃতির সহিত সত্য ব্যবহার করিয়া! তবেই আমাদের চিন্ময়কে পপদান করিয়া তাহার বাস্তপ্রতিষ্ঠা করিতে পারি, মুরোপের প্রতি এই সতা-প্রচারের ভার আছে । “বিজ্ঞান যেখ।নে সর্বসাধারণের ছুংখ এবং অভাব-মোচনের কাজে লাগে, সেখানে তার দান বিশ্বজনের কাছে গিয়! পৌছায়, সেইখানেই বিজ্ঞানের মহৰ্‌ পূর্ণ হয়। কিন্তু যেখানে সে বিশেধ বাক্তি বা জাতিকে ধশী ব| প্রবল করিয়া তৃলিবার কাজে বিশেষ করিয়! নিযুক্ত হয় সেইখানেই তার ভয়ংকর পতন।*** “ঈর্যার অন্ধতায় মুরোপের মহত্ব অস্বীকার করিলে চলিবে না ।***” মণ্টেগুর ঘোষণ! সম্পর্কে কবি বলিলেন, "***ভিক্ষার দানে আমরা হ্থাধীন হইব নাঁ_কিছুতেই না। স্বাধীনতা অন্তরের সামগ্রী। "তগন্তার বলে আমর! সেই দানের অধিকার পাইব, ভিক্ষার অধিকার নয়, একথা যেন কোনো প্রলোভনে ন| তুলি ।-."মন্টেগুর ডাক খুব বড়ো! ডাক, আজ এই কথ। বলিয়। ভারতের সভা হইতে সভা, সংবাদপত্র হইতে সংবাদপত্রে ঘোষণা চণ্লতেছে। কিন্ত এই ভিক্ষার ডাকে আমর! মানুষ হইব ন|1"-*৮ [ স্বাধিকাবপ্রমত্তঃ__কালাস্তর ॥ পৃঃ ১১২-২১ ] কিন্তু কী সেই তপশ্যা ? রবীন্দ্রনাথ কী রাজনৈতিক মুক্তি-সংগ্রামের আহ্বান জানাইতেছেন? বলা বাহুল্য, কবি বারবার এইখানেই আসিয়া! থামিয়াছেন। এইখানেই তাহার রাজনীতির ছ্বিধ!। এইখানেই তাহার আধ্যাত্মিকতা আসিয়া দেখা দিয়াছে । তিনি বলিতেছেন, “*-*মানুষ যেহেতু মাঘ এই হেতু বস্তর দ্বার! সে ধাচে না। সত্যের দ্বারাই সে বাচে। এই সত্যই তাহার যে ঃ তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি, নান্ঃ পন্থা বিদ্যাতে অয়নাষ , তাহাকে জ্ঞানিযাই মান্তষ মৃত্যুকে অতিক্রম করে, তাহা'র উদ্ধারের অন্ত কোনো! উপাষ নাই । এই সত্যকে দান করিবার জন্য আমাদের উপর আহ্বান আছে ।'".আমাদের পিতামহেব! অমরলোক হইতে আমাদের আহ্বান করিতেছেন, বলিতেছেন, “তোমর! যে অমৃতের পুত্র এই কথা জানো! এবং এই কথ জানাও ;সৃত্যুছায়াচ্ছন্ন পৃথিবীকে এই সত্য দান কবো যে, কোনো কর্মপ্রণালীতে নয়, রাষ্ট্রতন্থবে নয়, বাণিজ্য ব্যবস্থায় নষ, যুদ্ধ-অগ্্রেব নিদারুণতাঘ নয-_ তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি, নান্ঃ পন্থা বিষ্যাতে অয়নায ৮” [ এ কালাম্ব || পঃ ১২১-২২ ] 'বীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্যের জাত্যাত্মগ্তরিত৷ ও সাম্রাজ্যবাদী লালসাকে দেখিতেছেন, দেশের আত্মকর্তৃত্বের দাবিও ঘোষণ! করিতেছেন, কিন্তু কোথায৪ তিনি যুদ্ধ ও সাঘ্রাজ্যবাদ-বিরোধী গ্রতিরোধ-সংগ্রামের আহ্বান জানাইতে পারিলেন না, জাতীয় মুক্তি-সংগ্রামেরও পরিষ্কার নির্দেশ দিতে পারিলেন ন|। প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রশ্নে কবি বারবার আশ্চর্য রকমের নীরবত। ও ছিধ।-ন্থ দেখাইয়াছেন। কিন্তু ভূলিলে চলিবে না, জগতের যতকিছু অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বারবার তিনি অবিরাম আপসহীন সংগ্রাম করিয়াছেন তাহার লেখনীর মাঁধামে । এবং বিশ্ময়ের কথা এই যে, এই কবি-মানষটির রাজনৈতিক বিচার ও বিশ্লেষণ সেদিন যতখানি সঠিক হইয়াছিল, তদানীস্তন ভারতবর্ষের কোনে' রাজনৈতিক নেতার বোধকরি তাহা! হয় নাই। ৪১৩ ইহার ঠিক তিনমাঁস পরে দিল্ীতে ৮1৪. (071070)00 আহ্বান করা হইল (এপ্রিল ১৯১৮)। ইংলগুকে সর্বতোভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করিবার জন্য ইংলগ্ডের প্রধানমন্ত্রী ভারতবাসীর প্রতি আহ্বান জানান $ তাই এই ঘ৪- (00001) এই সম্মেলনে তিলক ও আনি বেশান্ত বাদে সারা ভারতে প্রায় সমন্তই ছোটো বড়ো! নেতা আমন্ত্রিত হইয়াছিলেন ( অবশ্ঠ আলি ভ্রাতাঘয় তখনও জেলে )। গান্ধাজীও ভাইসরয় কতৃক আমস্থ্রিত হন। প্রায় সকলেই একবাক্যে যুদ্ধ সমর্থন করিলেন । গাদ্ধীজী বলিলেন যে, যদি তাহাকে হিন্দীতে বলিতে স্থযোগ দেওয়। হয়, তবে তিনি ভাষণ দিতে রাজি আছেন । ভাইসরয় তাহাতে অন্থমতি দিলেন। কিন্তু গান্ধীজী কোনে! ভাষণ দিলেন না; হিন্দীতে শুধু একটিমাত্র বাক্যে যুদ্ধপ্রস্তাব সমর্থন করিলেন__“ঘ/ 10], 2. 2]] 50150 01 105 ০91)01751011165 11901 60 9011)1)০2 010 15011761017 ইহার করেকদিন পরেই ভাইসরয় চেমনফেডিকে একটি চিঠিতে গাম্ধীজী ব্রিটেনের উপর পূর্ণ আস্থা ও আন্তগত্য প্রকাশ করিয়৷ এম্পায়ার রক্ষার জন্য সর্বশক্তিতে সহযোগিত৷ রিশার প্রতিশ্রুতি দিলেন । এ পত্রে ভাইসরয়কে তিনি লিখিলেন, “1 006010160 8)46 2) 016 010 01 1৭ 00 ০00 015০১ 85 সে 111৮০ 01000 6০0 121৮০১ 0110011001116 2710 1)00101৮008] 818111701 6০960 0117])10 01 1010) মে 29117 11) 076 1) 00601001901 11) 6 81100056150 5 010 00081101015 ডেমো] 0 0০010 1)12100 17) ৫0111867977 শে। 1০৮00 000 ন্০), 1] ছা061]0. 12100 07910 ৮1৮১0] 21] 00০ €('00৮7০৮ 06৯0]11610118 11801 100 51719190111 00 [010) 2 1091)0181)]0 00৬ ্রেন10শে6 01000 00010007650: ৮১০ 07, 1 01110 17800011018 078৮ 8]] 11০) 01010-1000100 ৪015 88 &, ২2০]000 60 61)0 01101)12১ 2 10 01610] 10001100101-,,% [৬171700082০], 1.1), 277-78] যুদ্ধে ইংরাজকে সাহায্য কবিবার আহ্বান জানাইয়! কিছুদিন পবে দেশবাসীর প্রতি গান্ধীজী বলিলেন, “1 সা 28160 11) 00 0৭০ 61 000) 510) 000 ঘট 100-৯101 0671১761010 নি 01120106569 011 011201৮0110 906 আাখঃ)ডতত১, 110 খেলবে 81711 90৮81911৮৯৮ আয) 00101070509 সা) শিড2] 15 14011011801 000 05710770001 00০ 61))])176ত 11 000 010)1)100 1)00৯1)0৯, 10) 1 1)৮1818 007 ৮,০৭1), 281)1150160)85 01100 ০8৮ 00611 জে 00 1106 লমেশে।] 110103 0086 00) জাতে 010 196 ০0০০1 205, ঢু]।০ 1১0তে 20011170011) 00801100010 01001) 111 190 0006 1১0 অতো 079৮ 00) নিয০হ1 0)080 1101006535 [ 1101170002৮], 1, 1. 980 ] ৪১১ গান্ধীজীর এই যুক্তি অদ্ভুত ও হান্তকর বোধ হইতে পারে, কিন্তু স্মরণ রাখা দরকার, তখনও পর্যন্ত, তিনি সত্যসত্যই ব্রিটিশ “এম্পায়ারে'র উপর পূর্ণ আস্থাবান। তাহার এই বক্তব্যে কোথায়ও কূটনীতি কিংব! ফাকি ছিল না। তাই তিনি শুধু বিবৃতি দিয় কিংবা বক্তৃত৷ করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন না; ম্বধং গুজরাটের খেদ! জেলায় সৈন্ত সংগ্রহ-অভিযান শুরু করিলেন। গান্ধীজীর জীবনীকার টেও্লকর তাই এই অধ্যায়টির নাম দিয়াছেন :[3/.0:01608 900680% 1 এই সৈম্তসংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে অচিরেই গান্ধীজী অত্যন্ত অনুস্থ হুইয়! পড়েন। শুধু গান্ধীজীই নয়, তিলকের মত উগ্র চরম্পন্থীও তখন সৈন্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন। এই সময় তিনি গান্ধীজীকে ৫০,০০২ টাকার একটি চেক দিয়া বলিয়া পাঠান যে, গান্ধীজী যদি ভাইসরয়ের নিকট হইতে এই প্রতিশ্রতি আদায় করিতে পারেন যে, ভারতীয় সৈন্যদের 'কমিশনড্‌ রাঙ্ক” (০01111)015101700 18100) উন্নীত বা নিয়োগ করা হইবে, তাহ! হইলে তিনি স্বয়ং মহারাষ্ট্র হইতে পাচ হাজার সৈন্য সংগ্রহ করিষা দিবেন। তদুত্তরে গান্ধীজী তিলককে সেই চেক ফেরত পাঠাইয়া জানাইয়া দিলেন যে, নীতিগতভাবে তিনি এই ধবনের 1)8%81101117-এর মনোবৃত্তি বা উদ্দেশ্টকে সমর্থন করিতে পারেন না । কেন এই যুদ্ধে ইংরাজকে তিনি সাহায্য করিয়াছিলেন, তাহার কৈফিয়ত হিসাবে ইহার বেশ কিছুকাল পরে গান্ধীজীই বলিষাছিলেন, “] 190৮ [70 1টি 20 00] ছা 80165 00 80 08050 01 09৫ €1001176--86 0006 6010 0 65 1300 9127: 1 29 17) 01081800100 ,280010012509 901৭08,...8% 000 6107) ০1 0০ 2010. ০5০1৮ 10) 86৮] 10) ] 95 10 01)2106 01 8 811171187 ০০0708১ 2৮ 05০ ৮1010 01 00 0001070116৮ 77006 01 00 18৮0 দা] ন1)01) 171900. 01) 10101119170 20109 210 298 2 76901 01 670 9:010110118 (91000160080 85950262০0৮ 01 [)19101185) 210 1956159 11 [8]5]177077% 01 1085 [00111506140 (16017081010, 86 05৩ 781 00100101799 11) 100]1)1) 1 00011055011 10 ৪01) 21) 8০150 7০017161176 02001)9161) 10) 1017605 015656 11050151100 10175 2110 ৮0100, 209100069) 029৮1 0090 হো) 909০]: 06 0901)0:5 11018 10709%50 81109056 69], 1 010 81] 07952 10 1) 10011610796 205 80018 28 18106 10801৭% 610) 01 1005 90005 0 006] 5৮০৮005 21) 00৩ 0111)170.% [ 1189112৮709 :£ ৮০1, []. 100১, 30-31 ] অর্থাৎ ভারতবর্ষের রাজনৈতিক স্বার্থের খাতিরে চার-চারবার গান্ধীজী সামাজ্য- বাদীদের জঘন্য স্বার্থসিদ্ধির কার্ষে সমর্থন ও সহযোগিতা করিয়াছিলেন । অথচ তাহার ন্যায়নীতিতে ফললাভ বা লক্ষ্য (0170) অপেক্ষ! উপায় বা পন্থাটিই (7708/)5) ৪১২ মুখ্য । এবং তাহার সংগ্রামের আদর্শে ফললাভ বা লক্ষ্যের প্রয়োজনে উপায় ব| পন্থার ক্ষেত্রে অন্যায় ব ছুনীতির সহিত আপসের কোনো স্থান ছিল না । গাম্ধীজীর আদর্শ ও কার্ষের মধ্যে বারবার (তখনও পর্বস্ত) আমর! এই ধরনের তীব্র স্ববিরোধিত। দেখিতে পাই । এইখানে গান্ধীজীর সহিত রবীন্দ্রনাথের পার্থকযটি লক্ষণীয়। রবীন্দ্রনাথ কখনও লক্ষ্য বা ফললাভের প্রয়োজনে অন্যায়ের সহিত আপন করেন নাই। তাই একদিকে যেমন তিনি সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধোম্মাদনার প্রতি বিনিপাত জানাইয়াছেন, অপরদিকে তেমনি তিনি দেশের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ এবং মডারেটদের ভিক্ষাবৃত্তি ও ইংরাজ তোষণনীতিকে বিদ্রপ করিয়াছেন। তাই তিনি দেশকে সতর্ক করিয়! দিয়া বলিয়াছিহলন, “-."যে দেম্য, যে জড়তায় এতকাল আমর|। পোলিটিকেল ভিক্ষাবৃত্তিকেই সম্পদলাভের সহুপায় বলিয়। কেবল রাজদরঝারে দবখাস্ত লিখিয়! হাত পাকাইয়া 'আসিয়াছি, দেশগ্রীতির নববসন্তেও 'সেই দৈন্য, সেই জড়ত, সেই আত্ম-অবিশ্বাস পোলিাটিকেল চৌধবৃত্তিকেই রাতারাতি ধনী হইবার একমাত্র পথ মনে করিয়া সমত্ত দেশকে কি কলঙ্কিত করিতেছে ন।? এই চোরের পথ আর বীরের পথ কোনো চৌমাথায় একত্র আসিয়! মিলিবে না। যুরোগীয় সভ্যতায় এই ছুই পথের সম্মিলন ঘটিয়াছে বলিয়! আমর! ভ্রম করি, কিন্তু বিধাতার ঈ্লরবারে এখনো পথের বিচার শেষ হয় নাই সে কথ! মনে রাখিতে হইবে । আর বাহা ফললাভই যে চরমলাভ একথা সমস্ত পৃথিবী যদি মানে তবু ভারতবধ যেন ন৷ মানে বিধাতার ক[ছে এই বর প্রার্থনা করি, তারপর পোলিটিকেল মুক্তি যদি পাই তো ভালো, যদি না পাই তবে তার চেয়ে বড়ো মুক্তির পথকে কলুষিত পলিটিক্মের আবর্জনা দিয়া বাধাগ্রস্ত করিব ন1।” [ ছোটো ও বড়ে!__কালান্তর ॥ পৃঃ ৯৭-৯৮ ] রবীন্দ্রনাথের এই বাণী ও আচরণের মধো কোনে। স্ববিরোধিতা! দেখা যায় ন। | গান্ধীজী যে সামান্যবাদ ও যুদ্ধের স্বরূপ একেবারেই বুঝিতে পারেন নাই, এমন নহে। আফ্রিকায় থাকিতে গাদ্ধীজী স্বয়ং বোয়ারদের ও জুলুদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করিয়াছিলেন । মহাযুদ্ধ সম্পর্কেও তিনি কিছুটা সচেতন ছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি মহাযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন। ঝয়েক বৎসর পরে গান্ধীজী স্বয়ং তাঁহার যুদ্ধকালীন মানসিক চিন্ত।ধারার বিশ্লেষণ করিতে খিয়া বলেন, “০ 00016 16৮ 3 2 10015000 10)011৮0 01)2 1): 01001)690 10)6 6০0 [91011050020 89৩ আগা 0 90005 7 081) 2009117 10009008 ৪5 £) 17015100001] 2৪ 0191)9৭00. ৮০ দাগ] 11010 110 51709 10] 0000৫ ০0০০৮৮৩ 000-51010186 20515021800 টব 07-৮101016 19819110909 ৪১৩ 0717 10110 9011)0 7681 01911)69795690. 807০5100) 80006 1798 সে 079981018 0£ 109, 107 1718021106১ ] আ00]0. 1959 20 96608 6০0 799186 8 98890 09011) 20108818070 761] 106 90010. 7:900%0180 1) 1196. 1019 100 07:01161) 80759 10176 806 01 1011)0 ০2" 0৮0০: 11765118100 1)0% 91৮ 1) 00067701)6 0101, 656 জা0ো0 100 163 1109)5 101509005..., “6 00)0 01065 95 0 0081109 101 920] 00:00) ৮১৩ £০০৭. 01998 ০01১0 96০60870000 01 010 0111)179....] 81) ৮716106 01 11) 10001062110 11) 191 আ])0ো) 1 আল £ 1১011959217 015৩ 01111)179 8100. 165 11111) 80)11160 ৮০ 10611) 11101% 10 1091 00৮0০ 101 £:09007). 780 1 19091) ১০ 1)018-৮10191)৮ 20100] 079৮1 2] 6002591 81)0010 ৫০7৮511919 [006 1956 1)01160 1011 00711] ০৮০০১ ০00৮ 01১9৮, 0 1)01)-510101)09 [ 8000101১95০ 86911700800. 10 09192 163 1)7101)0950,. . 206 10৮ 05 0096 8০ 198) 0 005 18 006 2159 ০৮৭5 0 0150910) 20710956 018111)8 ৪০061011100 ০017010% 0100 161) 61)0 00702:% [ 1171)2,6)) 2 ০]. 1. 100). 281-৮5 ] একটু ভালো! করিয়। লক্ষ্য করিলেই দ্রেখা যাইবে, গান্ধীজীর জীবনদর্শনের সহিত ত্বাহার এই যুক্তির বিশেষ সঙ্গতি নাই; অন্তত গান্ধীজীর মতে! কঠোর ন্যায়নিষ্ঠ সত্যসাধকের নিকট হইতে এঁ যুক্তি কানে অত্যন্ত দুর্বল ও বেস্থরো শুনায়। জগতের বিবেকী মান্নষ গান্ধীজীর নিকট হইতে যুদ্ধের বিরুছ্ে অহিংস সংগ্রাম প্রত্যাশা! করেন নাই; কিন্তু যুদ্ধ যে যুদ্ধই_যুদ্ধ যে অমানুষিক পাশবিক বর্বরতা, স্তত এইটুকু কর্থাও গান্ধীজীর নিকট হইতে তাহার! শুনিবার প্রত্যাশ। করিয়াছিলেন। জগতের যত পাপাচারের বিচারের জন্য গান্ধীজী বিচারাসনে বমিয়া৷ থাকিতে ন| পারেন, কিন্তু তগণিত লক্ষ লক্ষ মান্তষের রক্তবন্তায় ও আর্তরোলে জগৎ ভরিয়! গেল, তাহার জন্য গান্ধীজীর মনে এতটুকু প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না ।- ইহাই নিদারুণ বিস্ময়ের কথ|! পৃথিবীর সেই চরম দুর্যোগ মুহূর্তে এদেশে একমাত্র রবীন্দরনাথই সাম্রাজ্যবাদী . পাঁশবিকতার প্রতি অর্ভিসম্পাত জানাইলেন-_নিপাঁত যাক তোমাদেব এ যুদ্ধবাদী সভ্যতা ! কুদ্ধ রবীন্দ্রনাথ গর্জন করিষ! উঠিলেন, “€[ঘ০১ 107 0০ 89৮০ 0£ ১0 ০৬, ৪৪1৮6100) ] 897 8509 81)%]] 156 200. 8019 25 6009), 16 15 930:920015 0010 01 200 60 ৪25 ৪0% 198৮ [9882৮ 008৮ 107908 0710. 19 9 10019] ০10) 100 1909985749 ও 01100]5 960৩ 60110611959 1৮ 10019908099 16 15 ৪0 171 80 10101 0৫10 1১৩ 05100:069 10 09 60 10079... [ মৈ 86100081150 0, 8 ] ৪8১৪ তিনি বলিলেন, £... 15৩ 61009 0788 002১0 ভ])07) 107 850 8816 0£ 0১9 জ]।010 900:9800. 02107 1207009 81,008]0 18115 10007 10180. ০ [১67501) 97৩ ৮০01019 210800165 01 006 00106 ০91190. 8১৪ [৪107 4১,015 আগ 6১0 00804007985 01 8০ 1960 019৮9 9012011001)000, 91010001919, 21] 165 [)901)21)190া) 00100 17120) 16 1088 09121) 870 09100 ০01 ৮০ 00165) 90766000185 ০0৮1) 1170005 99266971106 61001) 10169 0076 01156 16 0806 8) 2০৮ 01 006 65200 0? ৮1০ 01102]. | 90101121157), [0], 48-44 ] কিন্তু শুধু ধ্বংসই নয়, বিশ্বব্যাপী আর্তের ক্রন্দনরোলের মাঝে রবীন্দ্রনাথ জগতের সর্বজাতিক মিলনের আহ্বান শুনিতে পাইলেন । যুদ্ধের নিদারুণ বীভসতা ও পাঁশবিকতায় অন্তর তাহার ক্ষতবিক্ষত, তবু আশাবাদী কবি অবিচল দুঢ়কগে তাহার আশার কথা ঘোষণ। করিলেন, “বর্তমানের চেহার। যেমনি হোক্‌, তবু এই আশা, এই বিশ্বান মনে দৃঢ় কবিসাছি যে, পশ্চিম পূর্বের সহিত মিলিবে ।."পৃথিবীর সেই ভাবী যুগ আসিয়াছে, অস্থ্ের বিরুদ্ধে নিরস্ত্রকে দীড়াইতে হইবে ।-..পূর্ব ও পশ্চিমের যদি মিলন ঘটে তবে একটা মহৎ আইডিয়ালের উপর হইবে। তাহা নিছক অনুগ্রহের উপরে হইবে ন' এবং কামান বন্দুক এবং রণতরীর উপরও হইবে ন|1-." [ ছোটো ও বডে।-_কালাস্তর ॥ পৃঃ ১০৭ ] এবং সেই মহৎ আইডিয়ালের বাস্তব রূপ কবির “বিশ্বভারতী? । শান্তিনিকেতন বিশ্ববিদ্যালযকে কেন্দ্র করিয়! তাহার স্বপ্র ও সাধনার কথা জানাইয়া আমেরিকা হইতে কবি দেশে রীন্দ্রনাথকে লিখিযাছিলেন, "...এখানে সর্বঙজগাতিক মন্তত্ব চর্চার কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে-_স্বাজ্জাতিক সংকীর্ণতার যুগ শেষ হয়ে আসচে, ভবিম্মতের জন্যে যে বিশ্বজাতিক মহামিলন যজ্ঞের প্রততিষ্ঠ। হবে তার প্রথম আয়োজন এ €বালপুরের প্রান্তরেই হবে। এ জায়গাটিকে সমস্ত জাতিগত ভূগোলবৃত্তান্থের অতীত করে তুলব এই আমার মনে আছে--সবমানবের প্রথম জয়ধ্বজা এখানে রোপণ হবে। পৃথিবী থেকে স্বাদেশিক অভিমাণের নাগপাশবন্ধন ছিন্ন করাই আমার শেষ বয়সের কাজ ।” [ চিঠিপত্র £ ২য় খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৫-৫৬ ] ১৯১৮ সালের মে মাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, এখানে যাহার উল্লেখ বিশেষ প্রয়োজন । এই সময়ে কৰি পুনরায় আমেরিকা যাত্রার পরিকল্পনা করিতে থাকেন। ইতিমধ্যে জাপান ও আমেরিকায় প্রদত্ত (১৯১৬) তাহার যুদ্ধ ও ৪১৫ স্তাশনালিজ্‌ ম্বিরোধী বত্তৃতাগুলি লইযা ইংলগ্ড ও আমেরিকার, শাসকসম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবং কবির বিরুদ্ধে তাহারা জঘন্ত কুৎসা! রটনা করিতে থাকেন । এইসব শুনিয়া ক্ষোভে দুঃখে ঘৃণায় রবীন্দ্রনাথ আমেরিকা- যাত্রা পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেন। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রজীবনীকার লিথিয়াছেন, 4--"এগু.জ দিলি হইতে কলিকাতা ফিরিলেন। কয়েকদিন পরে (নই মে) তিনি বাংলাব লাটগ্রাসাদে লাটসাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারি মিঃ গুর্লের ( 01087195) সহিত কবির বিদেশযাত্রা লইয়৷ কথাবার্তী কহিতে যান। সেইসময়ে কথা প্রসঙ্গে গুরুলে বলেন, সানফ্রানসিসকোতে ব্রিটিশ গবর্ষেন্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে যে কয়জন ভারতীষ যুবকের বিচার হইতেছে, তাহাদের কাগজপত্র হইতে নাকি জান। গিযাছে যে রবীন্দ্রনাথ উহার সহিত সংঙ্ষিষ্ট ছিলেন। গুরুলে বলেন যে, কবির বিরুদ্ধে গুজব যে তিনি ১৯১৬ সালে জাপান হুইয়া৷ আমেরিকায় গিয়াছিলেন জাবমানদের অর্থানকূল্যে। এই হুইল ঝুঁটিশ সরকারের বক্তব্য; আর আমেরিকাঁব গদর দলের বক্তব্য যে রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশের স্যর উপাধি পাইয়া আপনাকে তাহাদের কাছে বিকাইয৷ দিযাছেন। আসলে ন্যাশনালিজ মের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করায় ভারতীয়রা যে বিরক্ত হয, তাহার কারণ তাহার! ভারতের মধ্যে উগ্র জাতীয়তাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহে । আর ব্রিটিশ গবর্মেন্ট যে তাহার উপর সদয় নহে তাহার কারণ কবি যুদ্ধের সমযে ন্যাশনালিজমের বিরুদ্ধে বক্তৃতা কবিষ পাশ্চাত্য যুবমনকে ঘুবাইয! দিতেছেন। সুতরাং উভয় পক্ষই কবির নামে কুৎসা রটাইয়৷ তাহাকে বিদেশ যাইতে দিতে চাহে না। “আমেরিকার, এই সব মিথ্যা অভিযোগের কথা শুনিযা কবি অত্যন্ত বিরক্ত। ফলে তথায় যাইবার সংকল্পই পরিত্যক্ত হইল। রবীন্দ্রনাথ তীহাব বিরুদ্ধে এই মিথ্যা গুজবের প্রতিবাদ করিয়া প্রেসিডেন্ট উইলসনকে এক পত্র দিলেন ও তাহাব প্রতিলিপি পাঠাইয়া দিলেন বডলাটকে ৷ এছা'ড স্বযং গিষা আমেবিকান কন্সালেব মহিতও সাক্ষাৎ করিলেন; কন্সাল তাহাকে বলিলেন যে, আমেরিকানরা তাহার সম্বন্ধে এই অভিযৌগ আদে। 8671081 লইবে না। লোকে তাহাকে পূর্বের স্তায়ই সমাদর করিষ। গ্রহণ করিবেন--আমেরিকায় যাইতে তাঁহাব কোনো বাধা নাই। স্থতবাং বহুন্ত পূর্বের ন্যাযই জটিল থাকিল।” [ ববীন্দ্রজীবনী £ ২য খণ্ড ॥ পৃঃ ৪৭৩ ] ৪১৬ ॥ মহাযুদ্ধের অবসানে ॥ মহাযুদ্ধ শেষ হইতে তখনও কয়েকমাস বাকি-_-১৯১৮ সালের জুন মাসে অণ্টেগু-চেমস্ফোর্ড রিপোর্ট প্রকাশিত হইল। মণ্টফোর্ড সংস্কারের ভিত্তিন্বরূপ রিপোর্টে নিম্বোক্ত চারিটি মূলনীতির উল্লেখ ছিল £ (১) বাহিরের হস্তক্ষেপ ব্যতীত জেলা ও পল্লী অঞ্চলের স্থায়ত্ুশাসন-প্রতিষ্ঠানগুলিকে যথাসম্ভব জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণাধীনে রাখা, (২) প্রদেশসমূহেই সর্বপ্রথম দায়িত্বশীল গণশাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, (৩) ভারতেব কেন্দ্রস্থ শাসন ব্রিটিশ পার্লামেপ্টের কর্তৃত্বাধীনে রাখা কিন্ত ব্যবস্থা-পরিষদের নির্বাচিত সদশ্য-সংখ্য! বুদ্ধি করিয়া উহার প্রভাব ও প্রতিপত্তি কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি করা, এবং (৪) এদেশের জনপ্রতিনিধিবর্গেব শাসন দায়িত্বলাভের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রস্থ শাসন ও প্রাদেশিক শাসনের উপর ত্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ভারত- সচিবের নিয়ঙণ ক্রমে ক্রমে অপসারিত কর] । বল! বাহুল্য, ম্টফোর্ড রিপোর্ট প্রকাশিত হওযার সঙ্জে সঙ্গে ভারতবর্ষের আভ্যন্তরীণ শজনীতিতে বিরাট চাঞ্ল্য ও প্রতিক্রিষা দেখা দিল। বিশেষত, উহার অল্প কয়েকদিন পরেই (৮ই জুলাই) কুখ্যাত *রাওলাট কমিটি'র তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হইলে কংগ্রেস ও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিল। এই রিপোর্টে ভারতের গণআন্দোলন ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্রকে দমন করিবার সুপারিশ ছিল। ইংরাজ্ের কূটনীতির গুঢ উদ্দেশ্ঠটি কাহারও নিকট যেন আর গোপন রহিল,না। অপরদিকে, মণ্টফোর্ড রিপোর্ট প্রকাশিত হওযার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসের মডারেটপন্থী ও জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে তীব্র মৃত-পার্থক্য দেখা দিল; মডারেটপস্থীগণ মোটামুটিভাবে মণ্টফোর্ড পরিকল্পন। গ্রহণ করিবার পক্ষপাতী ছিলেন, কিন্তু অপেক্ষাকৃত উগ্রপস্থী জাতীয়তা- বাদীরা অসন্তোষ প্রকাশ করিলেন--তাহারা পূর্ণ দায়িত্বশীল সবকার (0611 1951)9188190 0০0৮ 0)1)মে)৮ ) ব্যতীত যেন সন্তষ্ট হইবেন না। মণ্টঈফোর্ড রিফর্» আলোচনার জন্য বো্বাইয়ে কংগ্রেসের বিশেশ অধিবেশন আহ্বান কর! হয় (২৯শে আগস্ট ১৯১৮) । মন্টফোর্ড প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা কর! হইবে আশঙ্কা করিয়া মডারেটগণ এই অধিবেশনে যোগদানে বিরত রহিলেন। চারিদিন ব্যাপী আলোচনার পর কংগ্রেসে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হইল যে, ভারতবর্ষ ৪৬৭ রবীজনাথ ॥ ২৭ পূর্ণ দায়িত্বশীল গভর্নমেন্টের সম্পূর্ণভাবে উপযুক্ত এবং অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে অবিলঘ্থে “কংগ্রেস-লীগ পরিকল্পনা'কে কার্যকরী করা প্রয়োজন । বাওলাট রিপোর্টের বিরুদ্ধেও কংগ্রেসে প্রতিবাদ-প্রস্তাব গৃহীত হইল। গান্ধীজী বোদ্বাই-অধিবেশনে যোগদান করেন নাই, তিনি তখনও রিকুটিংয়ে বন্য । তিনি ছিলেন মডারেট ও উগ্রপন্থীদের মাঝামাঝি পন্থ! গ্রহণের পক্ষে। ২৫শে আগস্ট (১৯১৮) এক চিঠিতে তিনি তিলককে লিখিলেন, “[ 00 7006 171697790. 69 26697)0. 6189 (8196015]) 0017%7588 568810). 4180 ] 00 700৮ 37169150. 60 58660150076 16090156985 090897562)06. ] 10911959 0086 ৩ 0817 2000079238৮ 901০5109 €0 118018 109 095061110 6০ ৮১৩ সা০: 0৫ 79011161790 800. 6910170 150178 01 109901019 ভা1618 183. 8475, 13098776 800 5০01 00 106 9759 108 05 519. 1] 8180 10110 8১৪৮ 00০ 16097995 জাঃ]] 100৮ 1১0 0997) 0. 10101776019 ০1. 018 58 000 00106, 1006 96001)0. 61106 19 0086 ০ 91)01810. 20091) ১০ 10110011019 ০01 00০ 10010659110-015610780020, 8015627)9 (06 70:101779) 200. 0192] ৪69৮০ সা1)56052] 01)811698 ৬0 তা) 60 1)0095০, 4180. ৩ 810210 18116 ৮০ 0920) ৮০ £৪% 61096 01)983085 20০0০1)90% [ 111)98099 : 9]. 1.0, 283 ] মন্টফোর্ড রিপোর্ট প্রকাশের পর এ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথকে কোনে! মস্তব্য করিতে আর দেখা যায় না। যদিও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির বিনিময় ও মিলনের প্রশ্নটি তখন তীহার কাছে সরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে কিন্তু ভুলিলে চলিবে না, দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও তিনি তখন চিন্তা ভাবন! করিতেছেন। কিন্তু মণ্টফোর্ড সংস্কার প্রস্তাব জাতীয় ইংরাজের কোনে দয়ার দানে যে তাহার কিছুমাত্র আস্থ। বা মোহ ছিল না, সে-সম্পর্কে তিনি কিছুদিন পূর্বে “ছোটো ও বড়ো” “ম্বাধিকারপ্রমত্ত প্রভৃতি প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করিয়়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন, “ভিক্ষার দানে আমরা স্বাধীন হইব না-_ কিছুতেই না। স্বাধীনতা অন্তরের সামগ্রী ।” কিন্তু যদি ইংরাজের দয়৷ বা ভিক্ষার দানকে বর্জন করিতে হয়, তবে সংগ্রামের পথকে বাছিয়। লইতে হয়। কিন্তু এইখানে আসিয়া রবীন্দ্রনাথ থমকিয়। ধ্রাড়াইয়াছেন, এবং আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন। এইখানেই তীহার যত দ্বিধা, ছন্ এবং সংশয়। তাছাড়া, কবি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তখন বেশ কিছুট! বিভ্রান্ত । এই বিভ্রান্তির জটিল ঘর্ণাবর্ত হইতে সরিয়। গিয়। তিনি দেশের শিক্ষাসমন্য! ও গঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করিতে চাহিলেন। স্বদেশী যুগের মত তিনি পুনরায় গ্রামোন্য়ন ও অর্থ নৈতিক পুনগঠনের প্রশ্নটি দেশের রাজনৈতিক সমন্তার উপরে স্থান দিতে ৪১৮ চাহিলেন। বিশেষ করিয়া, গ্রামের কৃষি ও অর্থ নৈতিক পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সমবায় আন্দোলনকে তিনি সংগঠিত ও বেগবান করিবার আহ্বান জানাইলেন। প্রধানত তীহারই উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় “বঙ্গীয় সমবায় সংগঠন সমিতি? গড়িয়া উঠে। এই সমিতির মুখপত্র নৃতন-প্রকাশিত “ভাগ্ার' পত্রিকায় সমবায়প্রথাকে জনপ্রিয় ও কার্ধকরী করিয়া! তুলিবার আহ্বান জানাইয়। কবি “সমবায়” নামক এঁতিহানিক প্রবন্ধটি লিখিলেন ( ভাগ্ডার--১ম বর্ধ £ ১ম সংখ্যা, ১৩২৫ শ্রাবণ )। প্রবন্ধের শুরুতেই কবি গ্রামের মানুষের দারিত্র্য ও রুজি-রোজগারের সমস্যার কথা উল্লেখ করিয়া বলিলেন, “**আমাদের দেশে টাকার অভার আছে, একথ! বলিলে সবটা বলা হয় না। আসলকথা আমাদের দেশে ভরসার অভাব ।-..আমাদের নিজেদের হাতে যে কোনো উপায় আছে, একথ৷ ভাবিতেও পারি না । “এইজন্যই আমাদের দেশে সকলের চেয়ে দরকার, হাতে ভিক্ষ! তুলিয়া দেওয়। নয়, মনে ভরস! দেওয়| | মানুষ না! খাইয়া মরিবে--শিক্ষার অভাবে, অবস্থার গতিকে হীন হইয়া থাকিবে, এট! কখনোই ভাগ্যের দোষ নয়, অনেকস্থলেই এটা নিজের অপরাধ । দুর্দশার হাত হইতে উদ্ধারের কোনে! পথই নাই, এমন কপা মনে করাই মানুষের ধর্ম নয়। মান্রষের ধর্ম জয় করিবার ধর্ম, হার মাদিবার ধর্ষ নয ।-.. “-**শ হাতা কী? আর কিছু নয়, যে অবস্থায় মানুষের এমন একটি যোগের ক্ষেত্র তৈরি হয় যেখানে প্রতি মানষের শক্তি সকল মান্তুষকে শক্তি দেয় এবং সকল মানুষের শক্তি প্রতি মানুষকে শক্তিমান করিয়া তোলে ।” লক্ষ্য করিবার বিষষ, কবি এখ্মনে মান্তষের সংগ্রামী সত্তার ও সংঘশক্তির মহিমায় মুখর, এখানে তিনি মানুষের সামাজিক সত্তারও জয়গান গাহিতেছেন ! ইউরোপের সমবায় ব। ০০-০1%1%০ আন্দোলনের মূল ভাবটা ব' আইডিয়াট। কবিকে যেন নূতন পথের সন্ধান দিয়াছে । কিন্তু শুধু আইডিম্বার জন্যই আইডিয়া নয়, বাস্তবত দেশের কৃষিসমস্তায় কবি গভীরভাবে বিচলিত হইয়াছিলেন। জমিদারী পারদর্শনকালে তাহার মনে দেশের কৃষি-পদ্ধতি সম্পর্কে কয়েকটি গভীর প্রশ্ন দেখা দ্য । সেই সম্পর্কে কবি স্বয়ং বলিতেছেন, “আমাকে এক পাড়ার্গায়ে মাঝে মাঝে যাইতে হয়। সেখানে বারান্দায় ঈাড়াইয়! দক্ষিণের দিকে চাহিয়া দেখিলে দেখা যায় পাঁচ-ছয় মাইল ধরিয়৷ খেতের পর খেত চলিয়া গেছে । ঢের লোকে এইসব জমি চাষ করে। কারো-ব! ছুই বিঘা! জমি কারো-বা চার কারো-বা দশ । জমির ভাগগুলি সমান নয়, সীমান! জাকাবাকা ।..'হালের গোরু কোথাও-বা জমির পক্ষে যথেষ্ট, কোথাও-ব। 9:১৪ যথেষ্টর চেয়ে বেশি, কোথাও-বা তার চেয়ে কম। চাষার অবস্থার গতিকে কোথাও-বা চাষ যথাসময়ে আরম্ভ হয়, কোথাও সময় বহিয়া যায়। তার পরে আঁকা বাঁকা সীমানায় হাল বারবার ঘুরাইয়া লইতে গোরুর অনেক পরিশ্রম মিছা নষ্ট হয়। হদি প্রত্যেক চাষী কেবল নিজের ছোটো জমিটুকুকে অন্ত জমি হইতে সম্পূর্ণ আলাদ! করিয়া না দেখিত, যদি সকলের জমি এক করিয়া সকলে একযোগে মিলিয়৷ চাষ করিত, তবে অনেক হাল কম লাগিত, অনেক বাজে মেহম্নত বাচিয়া যাইত।.."যদ্দি অনক চাষী মিলিয়! এক গোলায় ধান তুলিতে পারিত ও এক জায়গা হইতে বেচিবার ব্যবস্থা করিত তাহ! হইলে অনেক বাজে খরচ ও বাজে পরিশ্রম বাচিয়া বাইত।--* শুধু তাহাই নহে কবি মান্ধাতা আমলের হাতিয়ারের পরিবর্তে আধুনিক যন্তরবিজ্ঞান প্রয়োগের আহ্বান জানাইয়! বলিলেন, “***হাতের সঙ্গে হাতিয়ারে মিলিয়া আমাদের কাজ চলিতেছিল। এমন সময় বাম্প ও বিদ্যুতের যোগে এখনকার কালের কল-কারখানার ত্যষ্টি হইল। তাহার ফল হইয়াছে এই যে, যেমন একদিন হাতিয়ারের কাছে শুধু-হাতকে হার মানিতে হইয়াছে তেমনি কলের কাছে আজ শুধু-হাতিয়ারকে হার মানিতে হইল ।** “এ কথ! আজ আমাদের চাষীদেরও ভাবিবার দিন আসিয়াছে । নহিলে তাহারা বাচিবে না ।'."যুরোপ-আমেরিকার সকল চাধীই এই পথেই হুহ্ু করিয়া চলিয়াছে। তাহারা কলে আবাদ করে, কলে ফসল কাটে, কলে আঁটি বাধে, কলে গোল! বোঝাই করে ।::* রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন, কৃষিতে ঘন্ত্রবিজ্ানে প্রয়োগ ও ব্যবহার করিতে হইলে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র ক্ষুন্র জোত-জমায় সম্ভব হইবে না--তাহার জন্য বৃহধাকার সমবায় জোত-জমার প্রয়োজন । এবং যত কঠিন কাজই হউক, ধীর মঘ্ডিফবে চাষীদের বুঝাইয়৷ এই পথেই আনিতে হইবে । তিনি বলিলেন, “***ইহার্দিগকে বুঝাইয়া দিতে হইবে, যাহা একজনে ন! পারে তাহা পঞ্চাশ জনে জোট বাঁধিলেই হইতে পারে । তোমরা যে পঞ্চাশ জনে চিরকাল পাশাপাশি পৃথক্‌ পৃথক্‌ চাষ করিয়া আসিতেছ, তোমর! তোমাদের সমস্ত জমি হাল-লাঙল গোলাঘর পরিশ্রম একত্র করিতে পারিলেই গরিব হুইয়্াও বড়ে! মূলধনের স্থযোগ আপনিই পাইবে। তখন কল আনাইয়! লওয়া, কলে কাজ করা, কিছুই কঠিন হইবে না । কোনে চাষীর গোয়ালে যদি তার নিজের প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক সের মাত্র দুধ বাঁড়তি থাকে, সে ছুধ লইয়া! সে ব্যবস! করিতে পারে না। কিন্ত এক-শো দেড়শে। চাধী আপন বাড়তি ছধ একত্র করিলে মাখন-তোল! কল আনাইয়! ৪২৬ খিয়ের ব্যবস! চালাইতে পারে । মুরোপে এই প্রণালীর ব্যবসা অনেক জায়গায় চলিতেছে । ডেন্মার্ক প্রভৃতি ছোটো-ছোটো দেশে সাধারণ লোকে এইরূপে জোট বাঁধিয়া মাখন পনির ক্ষীর প্রভৃতির ব্যবসায় খুলিয়া দেশ হইতে দারিত্রা একেবারে দুর করিয়। দিয়াছে ।*''আমার কাছে মনে হয়, এই কোঅপারেটিভ-প্রণালীই আমাদের দেশকে দারিদ্র্য হইতে বাচাইবার একমাত্র উপায়। আমাদের দেশ কেন, পৃথিবীর সকল দেশেই এই প্রণালী একদিন বড়ে! হইয়া উঠিবে ।.**” [ সমবায় ১-_সমবায়নীতি ॥ পৃঃ ৯-১৬ ] বলা বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথ ইউরোপ-আমেরিকার কোঅপারেটিভ-প্রণালীর আদর্শের চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হইয়াছিলেন। কিস্তু আমাদের দেশে উহা! কাধকরী করার ক্ষেত্রে সে যুগে যে বিশেষ বিশেষ বাস্তব ও জটিল সমস্তাগুলি ছিল, কবি তাহা দেখিতে পান নাই । বিশেষ করিয়া, ভারতবর্ষের মত পরাধীন উপনিবেশিক দেশে যেখানে রুষিতে সামস্ততান্ত্রিক শোষণ জগদ্দল পাথরের মত দৃঢ়ভাবে চাপিয়া বসিয়। আছে, যেখানে মৌলিক ও গণতান্ত্রিক ভূমি-সংক্কার হয় নাই, যেখানে ঞঁখিশার ও মহাজনের দেনার দায়ে চাষীর হাত পা আষ্টেপৃষ্ঠে বাধ!, সেখানে কোঅপারেটিভ প্রথ৷ কাষকরী হওয়ার পথে যে বিস্তর দুরতিক্রম্য বাধা আছে, ইহ। কৰি ভাবিয়! দেখেন নাই । এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, ১৯০৪ সালে লর্ড কার্জনের সময় 40০0-01)07861৮9 0001৮ 9০9106৪ 4০৮ পাস হয়। কিন্তু মূলত উহা গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের খণদান এবং উহার জন্য গ্রামাঞ্চল হইতে পুজি সংগ্রহের উদ্দেস্টে গঠিত হইয়াছিল। ম্বদেশী আন্দোলনের পরে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথই সর্বপ্রথম শিলাইদহে ও উত্তরবঙ্গে এই সমিতি গঠনে উদ্যোগী হইয়াছিলেন। পূর্বেই উল্লেখ কর! হইয়াছে, পতিসর সমবায়-ব্যাঙ্কে তিনি তাহার নোবেল-প্রাইজের সমগ্র অর্থটা জম। রাখিয়াছিলেন। কিন্তু সমবায়-প্রথায় চাষ-বাস ও ক্ষুত্রশিল্প গড়িয়া তুলিবার কথা বঙ্গীয় সমবায় সংগঠন সমিতির নিকট হুইতেই প্রথম শুনা! গেল এবং রবীন্দ্র নাথ ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা । ভারতের কৃষিসমস্যা বা গ্রামের গরীবদের সম্পর্কে এই ধরনের সচেতনত৷ ও সুষ্ঠু পরিকল্পন। গ্রহণ সম্পর্কে সে-যুগের কংগ্রেপী নেতৃবৃন্দের কিছুমাত্র উদ্যোগ ছিল না। পরম্ত তাহারা স্বদেশী আন্দোলনের সময় হইতে জাতীয় পুঁজি ও শিক্প-প্রসারে উদগ্রীন হইয়া উঠেন। তারপর মহাযুদ্ধের কল্যাণে দেশী ও বিদেশী শিষ্পগুলি কিছুটা অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি ও বিকাশলাভ করে। এইজন্তই মহাযুদ্ধে কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দ উল্লসিত হইয়! উঠিয়াছিলেন। মহাঁযুদ্ধে কংগ্রেসের ব্রিটেনকে সমর্থনের পিছনে ইহাও কি 5২৬ অন্ততম গৃঢ় কারণ? বুদ্ধের সময়ই [1)008819] 00010188100 বলে? ১৯১৮ সালের মধ্যভাগে উহার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এঁ বৎসরই ডিসেম্বর ম।সে কংগ্রেসের দিজী-অধিবেশনে এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘে সব আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, এই প্রসঙ্গে তাহা! উল্লেখষোগ্য । সীতারামীয়৷ লিখিতেছেন, “১9 ২৩19০0৮0৮১০ 1000869] 0010107188107)) 01 10101) 1৯908016 19090 71012) 105155152, 1080 19291) ৪ 706701991) 8190 08170 2) (08 30888106786101), 820. 07০ (0011099 1089990. & 29801000101, জা001010211% 169 19901010010092610158 2100. 8১6 0০1105 ৮১৪৮ ৮0০ 0050110717017 77018 7195 20 80৮1591097৮ 10 10:0100606 60৩ 100008012] 00০10101007 0£ 8১৪ ০০০৮০, 200. 1101017)6 838৮ 9100007507)0176 সা0810. 199 015০ 60 11)0190 020169] 270. 20602101189) 200. 17066906101) 80817956 101912, 92001016961010, 00 001000995 19279560 09৮ 075 00005961010 0£ 0105 1090 10900 ০১০11090101 ঠা)০ 5০০0 0 050 (011)1)1188101)58 €1)0111798, 1116 (01)6988 871101)0৮০৭ 01০ 1:90010017)01)0.21018 0? 8০ (0010001/62 01)8৮ 170008098 310010710 179৮০ 5০1977%9 2910293006961012 18 00০ 1760061৮0 (00101] 0: 0)০ (010৮0]1শ811161)6 01 [17019 200 196 ১০১৪ 9130010. 102 12705119011] 10017910625 01 [170018608.... 12052 (001787955 7679৮690 ৮0০ 21056150611) 859 129০৮ 0: 00000070101509610108 102 80010863 07751880610) 10] হি)97)011)0 1100108068 210. 07090. 070 5৮511786 01 1110078018] 10810,” [7১০ [79০75 ০01 856 11১0197) [86078] 00700058 : ৬০0]. 1.1, 158]. ভারতের জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইহা অত্যস্ত মৌলিক ও প্রাথমিক দীবি কিন্ত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ শুধু দেশীয় পুঁজিপতিদের হ্ব্থের খাতিরেই জাতীয় শিল্প সংরক্ষণের ব! সম্প্রসারণের দাবি জানাইলেন, গ্রামাঞ্চলের কুটিরশিল্প বা কুত্রশিল্প পুনগঠনের দাবিতে একটি কথাও তাহাদের বলিতে শুনাঃগেল না। এইখানে রবীন্দ্রনাথের সহিত তাহাদের দৃষ্টিভঙ্গির মূল পার্থক্য । ববীন্দ্রনাথ দেশীয় পুঁজি ও বৃহদাকার শিল্পকে রক্ষার জন্ত যত ন! বেশী আগ্রহী ছিলেন, তদপেক্ষা অধিক আগ্রহী ছিলেনু তিনি বৃহদাকার শিল্পের শোষণের হাত হইতে গরীব ও বেকার মানুষের আত্মরক্ষার উপায় হিসাবে সমবায় পদ্ধতিতে কৃষি ও ক্ষুত্রশিল্প গড়িয়া তুলিতে । রবীন্দ্রনাথের পরিকল্পনার উৎস-- গ্রামের দারিন্রয ও বেকার সমস্যা, পক্ষান্তরে কংগ্রেসের পরিকল্পনার উৎস-_-দেশয় শিল্পপতিদের স্বার্থ । ১৯১৮ সালের নভেম্বর মাসে মহাযুদ্ধের অবসান হুইল (১১ই নতেমর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষিত হয়)। প্রা সাথে সাথেই কংগ্রেল নেতৃবৃন্ম প্রেসিডেন্ট উইলসন্‌ ও লয়ে জর্জ প্রমুখ মিত্রশক্তি প্রধানদের পূর্ব ঘোষণা ০০ অনুযায়ী ভারতের জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রাধিকারের দাবি জানাইলেন। উহার প্রায় দেড়মাস পরেই দিল্লীতে কংগ্রেসের ৩*তম অধিবেশন হয়। এই অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন পঞ্ডিত মদনমোহন মালব্য। সীতারামীয়৷ এই অধিবেশনের মূল সিদ্ধাস্তগুলির সংক্ষিপ্তসার করিয়! লিখিতেছেন, “16 001/698 ০0758560. 13 1059]0 10 87০ 13706 800 90129601861008 01) 896 ৪50068910] %9150109800 01 80৩ ভিত ])101) 9৪ 8200. 10: 8) 11) 200 £90001) 01 21] ১9 19901198 01 &,0 দা0]]0. 4100097 10801000, 79007090. 019 80007001710 01 (06 00170955 ০1006 91197৮7০৮০০ 81150 1000৪ 2710 10877081815 02 916 1007010 8010195910976 01 &09 [100191) 00018 10 0010 0208 01 2990.07)) 10186109 2100. ৪917-0৩607- 110108610105, 481)080)01 70501080017 88890. 101 07০ 29900216107 01 [0019 1১7 07০ 13161817) 1১970187761 9100. 109 009 1909 001106101009 €% 5000 01 090 10007088159 17860170560 সা1)01 070 [01001019 ০1 ১17-00600701086107) 9708]0. 190 810011605...170 007780995 10761701 06718150601 27) .$০% 02 [50018071006 05620179177) ৪6 20) 005 086 €010001666 [7051)017811010 (০0ড০৭)0010)৮ 171 11701927008 91909 107 [10015 51001197 €0 878৮ 01 079 90100৮07010 10017101005 17) 00৩ 10001)০,1:80101. 01 [1[)0119] 1)01160---” [ 11010. 101), 157-88 ] অবশ্ত মস্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে এই অধিবেশনে বোস্বাইয়ের বিশেষ- অধিবেশনের সিদ্ধান্তের পুনরুক্তি করিয়া “কংগ্রেস-লীগ রাষ্ট্রশাসন পরিকল্পনা" কাধকরী করিবার দাবিও জানান হয। যাহাই হউক, ইহা হইতে মহাযুদ্ধকালীন কংগ্রেসের রাজনীতির মূল চিত্রটি পরিষ্ফুট হইয়া! উঠিয়াছে। মহাযুদ্ধের পৈশাচিক তীগুবলীলার উন্মাদ নিশীখের অবসানে ভবিষ্যতের বিশ্বজাতিক মহামিলন-যজ্ঞ প্রতিষ্ঠার প্রথম আয়োজন দেখা দিল বোলপুরের প্রান্তরে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন আশ্রমে । ৮ই পৌষ ১৩২৫ ( ২৩শে ডিসেম্বর ১৯১৮) ম্হাসমারোহে বিশ্বভারতীর ভিততি্রত্তর স্থাপিত হইল। "আমর! মানববিধাতার রাজপথে মহামানবের গান গেয়ে বেড়াব ।*** মহাবিশ্বের পথ, $ই আমরা দেশ বলে গ্রহণ করব*্ইহাই কবিওরুর “বিশ্বভারতী'র মর্মবাণী। ৪২৩ পরিশিষ্ট ১ রবীন্দ্রনাথের স্বাদেশিকতাবোধের উন্মেষ সম্পর্কে গ্রন্থের প্রথমে বিস্তারিত আলোচন! করা হইয়াছে । কবির স্বদেশগ্রীতি ও মানবপ্রেমের নিদর্শন হিসাবে তাহার প্রথম জীবনের রচনাবলী হইতে এখানে আরও কয়েকটি অংশের উদ্ধৃতি দেওয়৷ হইল। মাত্র ১৬।১৭ বৎসর বয়সে কবি লিখিতেছেন, "সেদিন আসিবে গিরি, এখনিই যেন. নাহি ভিন্ন জাতি আর নাই ভিন্ন ভাষা, দূর ভবিষ্বৎ সেই গেতেছি দেখিতে নাই ভিন্ন দেশ, ভিন্ন আচার ব্যাভার ! যেই দিন এক প্রেমে হইয়া নিবন্ধ সকলেই আপনার আপনার লোয়ে নিনিরেরিদিররিরনাজি। পরিশ্রম করিতেছে প্রফুল্প অন্তরে । নি রি, ধনী, অধিপতি, প্রজা, প্রকৃতির সব কার্ধ অতি ধীরে ধীরে, কেহ কারে! কুঠিবেতে করিলে গমন এক এক শতাবীর সোপানে সোপানে, মর্যাদার অপমান করিবে ন! মনে, পৃথ্থী যে শাস্তির পথে চলিতেছে ক্রমে, সকলেই সকলের করিতেছে সেবা, পৃথিবীর সে অবস্থা আসে নি এখনো, কেহ কারে৷ প্রভু নয়, নহে কারো দাস! কিন্তু একদিন তাহ। আসিবে নিশ্চয়” [ কবিকাহিনী-_রবীন্দ্-রচনাবলী (অচলিত সংগ্রহ )£ ১ম খণ্ড] প্রায় ১৭ বৎসর বয়সে কৰি যখন প্রথম বিলাত যান, সেই সময় বলাতের ইঙ্গবন্গদের সম্বন্ধে তিনি লিখিতেছেন, “.** একটি ইঙ্গবঙ্গকে একজন ইংরেজের সম্মুখে দেখো? চক্ষু জুড়িয়ে যাবে। ভদ্রতার ভারে প্রতি কথায় ঘাড় নুয়ে পড়ছে, তর্ক করবার সময় অতিশয় সাবধানে নরম করে প্রতিবাদ করেন ও প্রতিবাদ করতে হল বলে অপর্ধাঞ্ধ দুঃখ প্রকাশ করেন, অসংখ্য ক্ষম! প্রার্থনা করেন। কথা কন আর না কন, একজন ইংরেজের কাছে একজন ইন্গবঙ্জ চুপ করে বসে থাকলেও তীর প্রতি অঙজভঙ্গী, গ্রতি মুখের ভাবে বিনয়ের পরাকাষ্ঠা প্রকাশ হতে থাকে । কিন্তু তাকেই অ'বার তার স্বজাতি- মণ্ডলে দেখো, দেখবে তার মেজাজ |." “আর একটি আশ্চষ ব্যাপার লক্ষ্য করে দেখেছি যে, বাঙালিরা ইংরেজদের কাছে স্বদেশের লোকেদের ও আচারব্যবহারের ঘত নিন্দে করেন, এমন একজন ৪২৫ ভারতছেষী আ্যাংশ্নো-ইত্ডিয়ানও করেন না। তিঙ্গি নিজে ইচ্ছ! করে কথা পাড়েন ও ভারতবর্ষের নানাপ্রকার কুসংস্কার প্রভৃতি নিয়ে প্রাণ খুলে হাম্তপরিহাস করেন। *"* তার নিতান্ত ইচ্ছে, তাকে কেউ ভারতবর্ষীয় দলের মধ্যে গণ্য না করে। সাহেবসাজ! বাঙালিদের প্রতি পদে ভয়, পাছে তার! বাঙালি বলে ধর! পড়েন। ***একজন ইঙ্গবঙ্গ একটি 'জাতীয় সংগীত' রামপ্রসাদী সুরে রচনা করেছেন ***। এ গীত ধার রচনা, তিনি রামপ্রসাদের মতো শ্যামার উপাসক নন, তিনি গৌরীভক্ত । এইজস্ভে গৌরীকে 'সন্বোধন করে বলছেন, _ মা, এবার মলে সাহেব হব; রাঙা চুলে হাট বসিয়ে, পোড়া! নেটিব নাম ঘোচাব । সাদ। হাতে হাত দিয়ে মা, বাগানে বেড়াতে যাব। (আবার) কালো! বদন দেখলে ”রে “ডাকি? বলে মুখ ফেরাব 1” [ মুরোপ-প্রবাসীর পত্র _ রবীন্ত্র-রচনাবলী £ ১ম খণ্ড ॥ পৃঃ ৫৫৬-৫৯ ] তাহার দ্বিতীয় বারের বিলাতযাত্রাকালের একটি ঘটনা সম্পর্কে কবি লিখিতেছেন, “আজ ডিনারটেবিলে একট! মোট! আঙুল এবং ফুলে! গৌঁফওআলা প্রকাণ্ড জোয়ান গোরা তার স্থন্মরী পার্ববর্তিনীর সঙ্গে ভারতবর্ষায় পাখাওআলার গল্প কয়ছিল। স্থন্দরী কিঞ্চিৎ নালিশের নাকিম্বরে বললেন-_পাখাওআলার! রাত্রে পাখা টানতে টানতে ঘুমোয়। জোয়ান লোকটা বললে তার একমাত্র প্রতিবিধান লাঘি কিংবা লাঠি।'"*আমার বুকে হঠাৎ যেন একটা তণ্ত শুল বি'ধল। এইভাবে যারা স্ত্ীপুরুষে কথোপকথন করে তারা যে অকাতরে একসময় একটা দিশি ছুর্বল মানব-বিড়ম্বনাকে 'ভবপারে লাখিয়ে ফেলে দেবে তার আর বিচিত্র কী? আমিও তো! সেই অপমানিত জাতের লোক, আমি কোন্‌ লক্জায় কোন্‌ স্থথে এদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাই এবং একত্রে দত্তোন্সীলন করি । . ” [ মুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি-__রবীন্দ্র-রচনাবলী £ ১ম খণ্ড ॥॥ পঃ ৬১১-১২ ্ত্ীমভুর-সমস্তা সম্পর্কে কবি লিখিতেছেন, “***পৃথিবীর ভার বাড়িয়া উঠিলে ভূভার হরণের জন্য অবতারের আবশ্বক হয়। কলকারখানা সুরোপীয় সমাজের মধ্যে একদিকে প্রকাণ্ড চাপ দিয়া তার ভার-সামঙন্তের যদি ব্যাঘাত করে তবে স্বাভাবিক নিয়মে একটা বিপ্লব উপস্থিত হওয়া কিছুই আশ্চ্ষ,নহে। ব্যাপারটা! কতদূর পর্বস্ত অগ্রসর হইয়াছে আমাদেকর পক্ষে বলা বড়ই শক্ত; কিন্তু এই কথাটা লইয়াই সর্বাপেক্ষা অধিক নাড়াচাড়া ভলিতেছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই। ৭ “কলের প্রাছুর্ভাব হুইয়া অবধি মভ্ুরি সম্বন্ধে শ্ত্ী-পুরুষের প্রভেদ অনেকটা লুপ্ত হইয়া আসিতেছে। পূর্বে বিশেষ কারুকার্ধে বিশেষ শিক্ষার আবশ্তক ছিল; এবং গৃহকাধের ভার স্বভাবতই স্ত্রীলোকদের উপর থাকাতে পুরুষদেরই বিশেষ শিক্ষা ও অভ্যাসের অবসর ছিল। তাহ ছাড়া পূর্বে অধিকাংশ কাজ কতক 'পরিমাণ বাহুবলের উপর নির্ভর করিত, সাধ্য কাজ স্ত্রীলোকের মধ্যে ছিল। এখন কলের প্রসাদে অনেক কাজেই নৈপুণ্য এবং বলের আবশ্তক কমিয়৷ গিয়াছে। সেইজন্য স্ত্রীলোক এবং বালকেও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সহিত দলে দলে মজুরি কার্ধে প্রবৃত্ত হইতেছে। কিন্ত কেবল কলের কাজ দেখিলেই চলিবে না, সমাজের উপরেও ইহার ফলাফল আছে। “সমাজের হিতের প্রতি লক্ষ্য করিয়া কারখানার মজুরদের সম্বন্ধে মুরোপে দুটো একটা করিয়। আইনের সৃষ্টি হইতেছে । কলের আকর্ষণ কথঞ্চিৎ পরিমাণে খর্ব করাই তাহার উদ্দেশ্ত। “সেপ্টেম্বর মাসের “নিউ র্রিভিউ' পত্রিকায় খ্যাতনাম! ফরাসী লেখক মূলসিম ফ্রান্সের গ্বীমজুরদের সম্বন্ধে একটা প্রবন্ধ লিগিয়াছেন। “তিনি বলেন ফ্রান্সে প্রথম খন বালক মঙ্গুরদিগের বয়সের সীম নির্দিষ্ট করিবার জন্য আইন হয তখন একটা কথা! উঠে যে, ইহাতে করিয়া সম্তানদেব প্রতি পিতামাতার স্বাভাবিক অধিকারে হন্তক্ষেপ কর! হইতেছে । তাছাড়া কারধানা- ওয়ালারা ভয় দেখায় যে, শিশু সহায় হইতে বঞ্চিত হইলে কারখানার ব্যয়ভার এত বাড়িয়৷ উঠিবে যে, কারখানা বন্ধ হ্ইয়৷ যাইবে । কিন্ত আইন পাস হইল এবং কারখানা! এখনে! সমান তেজে চলিতেছে 1." বালক মজুরদের পক্ষে প্রথমে আট বৎসর, পরে নয় বৎসর, পরে বারে। বৎসর এবং অবশেষে তেরো! বৎসরের অন্যুন বয়স নির্দিষ্ট হইয়াছে । '্ত্রীমজুরদের খাটুনি সম্বন্ধে যখন কতকগুলি বিশেষ আইন বিধিবদ্ধ করিবার চেষ্ট| হয় তখন ... সকলেই বলিতে লাগিল ইহাতে স্ত্রীলোকের স্বাধীনতা হরণ করা হইতেছে । যদি কোন বয়ঃপ্রাপ্ত স্ত্রীলোক বারো ঘণ্টা খাটিতে ত্বীকার করে আইনের জোরে তাহাকে দশ ঘণ্টা খাটিতে বাধ্য করা অন্তায়। অনেকে বলেন, সত্রীমজুরদের সম্বন্ধে বিশেষ আইন পাস করিলে স্ত্রীজাতির প্রতি কতকট৷ অসম্মান প্রকাশ হয় । তাহাতে বল! হয় যেন তাহার! পুরুষের সমকক্ষ ন'হ। “লেখক বলিতেছেন, যখন গর্ভধারণ করিতে হয় তখন বাস্তবিকই পুরুষের সহিত স্ত্রীলোকের বৈষম্য আছে। কারখানার ডাক্তারদের জিজ্ঞাস! করিলে জানা যায় ফে স্ত্ীযভুরবিগকে প্রায়ই দুরারোগ্য রোগ বহন করিতে হয়। গর্ভাবস্থায় কাজ ২৭ কর! এবং প্রসবের ছুই-তিন দিন পরেই বারো ঘণ্টা ধাড়াইয়। খাটুনি এই সকল' রোগের প্রধানতম কারণ। “কেবল আজীবন রোগ বহন এবং রুয় স্তান প্রসব করাই যে স্ত্রীলোকের অনিয়ন্ত্রিত খাটুনির একমাত্র কুফল তাহ নহে। গৃহকাধে অনবসর সমাজের পক্ষে বড়ো সামান্ত অকল্যাণের কারণ নহে। পূর্ণ মাতৃত্মেহ হইতে শিশুদিগকে বঞ্চিত করিলে তাহা হইতে যে কত অমঙ্গলের উৎপত্তি হইতে পারে তাহ! বে বলিতে পারে। “লেখক বলিতেছেন, বাম্পীয় কল স্ত্রী-পুরুষ উভয়কে নিজের কাজে টানিয়! লইয়া স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাইতেছে। স্ত্রী-মজজুর এখন স্ত্রী নহে মাতা নহে কেবলমাত্র মজুর । “ইহা হইতে যতদূর অনিষ্ট আশঙ্কা করা যায় তাহা এখনো! সম্পূর্ণ পরিণত হইবার সময় পায় নাই । কেবল দেখা যাইতেছে পুরুষদের মধ্যে মদ্যপান এবং পাশবত| ক্রমশ ছ্্দাস্ত হইয়া উঠিতেছে এবং স্ত্রীলোকদের মধ্যে নারীন্থলভ হৃদয়বৃত্তি শুফ হইয়া মানসিক অস্থখ এবং সন্তান পালনে অবহেলা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেছে। “দেখা যাইতেছে যুরোপে আজকাল প্রধান সমস্যা এই- জিনিসপত্র না মনুসবত্ব, কাহার দাম দেশী ?” [ স্ত্রীমজুর- সাধনা, ১২৯৮ মাঘ ] 6২৮ পরিণিষ্ট ২ [ রবীন্দ্রজীবনী : ৪র্থ খণ্ড || পঃ ২৭৭-৭৮ হইতে উদ্ধৃত ] পল্পীসমাজ প্রতি জেলার প্রধান প্রধান গ্রাম, পল্লী বা প্লীসমষ্টি লইয়া এক বা! ততোধিক পল্লীসমাজ স্থাপন করিতে হইবে । শহর, গ্রাম কি পল্জীনিবাসী সকলেই স্ব স্ব পল্নী- সমাজতৃক্ত হইবেন। গ্রাম কি পল্সীবাসীর অভিপ্রাযমত অন্যুন গাঁচ জনের উপর প্রতি পর্লীসমাজের কার্ধনির্বাহের ভার থাকিবে । তাহারা পল্লীবাসীদিগের মতামত ও সহায়ত লইয়! গল্মীসমাজের কার্ধ করিবেন। পল্লীসমাজের প্রধান উদ্দেশ্তগুলি নিয়ে বিবৃত হইল। প্রতি পল্লীর সমাজসাধ্য-মতে এই উদ্দেশ্গুলি কর্ধে পরিণত করিতে যত্ববান হইবেন । উদ্দেশ্য ১। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্য সম্ভাব ও সংবর্ধন এবং দেশের ও সমাজের অহিভকও বিষয়গুলি নির্ধারণ করিয়৷ তাহার প্রতীকারের চেষ্টা । ২। সর্বপ্রকার গ্রাম্য বিবাদ-বিসংবাদ সালিসের দ্বারা মীমাংসা । ৩। ম্বদেশ-শিল্পজাত ভ্রব্য প্রবল এবং তাহা স্থলভ ও সহজপ্রাপয করিবার জন্য ব্যবস্থা এবং সাধারণ ও স্থানীয় শিল্প-উন্নতির চেষ্টা । ৪। উপযুক্ত শিক্ষক নির্বাচন করিয়৷ পল্লীসমাজের অর্ধীনে বিদ্যায় ও আবশ্তকমত নৈশ-বিদ্যালয় স্থাপন কবিষ্ন। বালক-বালিকা সাধারণের স্ুশিক্ষার ব্যবস্থা । ৫ | বিজ্ঞান, ইতিহাস বা মহাপুরুষদিগের জীবনী ব্যাখ্য। করিয়! সাধারণকে শিক্ষ। গ্রদান ও সর্বধর্ষের সারনীতি সংগ্রহ করিয়! সাধারণের মধ্যে গ্রচার ও সর্বতো- ভাবে সাধারণের মধ্যে স্থনীতি, ধর্মভাব, একতা, স্বদেশাহুরাগ বৃদ্ধি করিবার চেষ্টা । ৬। প্রতি পল্লীতে একটি করিয়া চিকিৎসক ও ওধধালয় স্থাপন করা এবং অপারগ, অনাথ ও অসহায় বাকিদের নিমিত্ত গধধ, পথ্য, সেবা ও সংকারের ব্যবস্থ! করা। ৭। পানীয় জল, নদী, নালা, পথ, ঘাট, সৎকার-স্থান, ব্যায়ামশালা ও ক্রীড়াঙ্গেত্র প্রভৃতির ব্যবস্থা করিয়া স্বাস্থ্যের উন্নতির চেষ্টা । ৪6২৪৯ ৮। আদর্শ কৃষিক্ষেত্র বা খামার স্থাপন ও তথায় যুবক বা অন্ত পল্লীবাসী- দিগকে কষিকার্ষে বা গোমহিযাদির পাল দ্বারা জীবিকা উপার্জনোপযোগী শিক্ষা প্রদান ও কৃষিকার্ধের উন্নতি সাধনের চেষ্টা। ৯। ছুঙিক্ষ নিবারণার্থে ধর্মগোলা স্থাপন । ১*। গৃহস্থ স্ত্রীলোকেরা যাহাতে আপন আপন সংসারের আয়বৃদ্ধি করিতে পারেন এবং অসহায় হইলে সংসারের ভার গ্রহণ করিতে পারেন, তদন্ুরূপ শিল্পা শিক্ষা দেওয়া ও তহুপুষোগী উপকরণ সংগ্রহ কর! । ১১। স্থুরাপান ব! 'অন্তরূপ মাদক ভ্রব্য ব্যবহার করিতে লোককে নিবুত কর! । ১২। মিলন-মন্দির ক্লাব স্থাপন ও তথায় সমবেত হুইয়৷ পল্লীর ও স্বদেশের হিতার্থে সমস্ত বিষয়ের আলোচনা | ১৩। পল্লীর তত্ব সংগ্রহ; অর্থাৎ জনসংখ্যা স্ত্রী, পুরুষ, বালক-বালিকার় সংখ্যা, বিভিন্ন জাতির সংখ্যা, জন্ম-মৃত্যুর সংখ্য। অধিবাসিগণের স্থান ত্যাগ ও নৃতন বসতি। বিভিন্ন ফসলের অবস্থা, কৃষির ও বিভিন্ন ব্যবসায় উন্নতি, অবনতি, বিষ্যালয়, পাঠশাল! ও ছাত্র ও ছাত্রীসংখ্যা, ম্যালেরিয়া ( জর ), ওলাউঠ।, বসম্তভ ও অন্তান্ত মহামারীতে আক্রান্ত রোগীর ও এ সব রোগে মৃত্যুর সখ্যা ও পল্লীপুরাবৃত্ত ও বর্তমান উন্নতি ও অবনতির বিবরণ ও কারণ ধারাবাহিকরূপে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখা । ১৪। জেলায় জেলায়, পল্লীতে পল্লীতে, গ্রামে গ্রামে পরস্পরের মধ্যে সম্ভাব সংস্থাপন ও এক্য-সংবর্ধন । ,১৫। জেলা সমিতি, প্রাদেশিক সমিতি ও জাতীষ মহাসমিতির উদ্দেশ্টে [ কন্গ্রেস ] ও কার্ষের সহায়ত করা । অধের ব্যবস্থা পল্লীসমাজের কার্ধ স্বেচ্ছাদান ও ঈশ্বর-বৃত্তি দ্বার চলিবে । যাহাদের বিবাদ- বিসংবাদ সালিসিতে মেটান হইবে তাহার! নিশ্চয়ই স্বেচ্ছাপূর্বক সমান্জের মঙ্গলার্থ কিছু অর্থ সাহায্য করিবেন। বিবাহাদি স্ুভকােও সকলেই স্বেচ্ছাপূর্বক এইরূপ বৃত্তি দিবেন। পল্নীবার্সীমাত্রেই সপ্তাহে সপ্তাহে বা মাসে মাসে কিছু কিছু করিয়। সমাজের কাধনির্বাহের জন্ত যথাসাধ্য দান করিবেন। পন্লীসমাজের অন্তর্গত সমস্থ হাট-বাজার হইতেও ঈশ্বরবৃত্তি সংগৃহীত হইতে পারিবে । প্রতি বৎসর গ্রামে গ্রামে বারোয়ারী পৃজায় নাচ-তামাশায় যে অর্থ বৃথা! নষ্ট হয়, এ সমস্ত অপব্যয় সংকোচ- করিলে সেই অর্থঘার। পল্লী-সমাজের কার্ধের বিশেষ সহায়ত! হইতে পারে । পঞ্জী- সমাজ কার্ধে প্রবৃত্ত হইলে অর্থের অভাব হুইবে ন|। পরিশিষ্ট ও 57100511588 হা 7855৭ “1900 1706 £0 811001016 80805 81৪6 08109) 8)00101)6 010100100- 101 01 990017117 10001ণা, চ1981)0108 01 8011-10066061017, 1306 001৭ 81)0010 005 199 9110700. 609 %0 1১9১0701১07 17786100601 8014 1)1990:526100, ০19০ 11019 107 058৮ 00০78] 19010 19 1)0% 11) 689৪ ঘম081)01)8 ঠ57)90198) 1906 11) 9) 1)% 10 19105 0109০ অ০81)0129 £1)0 %/1)90 19০, 1) 1015 68001০80988 107 [)০00]গ 00016111105 1019 া০৪1)010 ৮ 87০ ০০০৮ 01 1017 01) 80111) 0901) 1৮13 109 1)0 1১ 11) ০৮০৫) 069601 091)061" 0021) 1015 011911710, “.. 2810৮) 1000096 0095০ 2 ঠিগো। হি) 1) 1০ 0808] জা ০1 89505৮01009 6০1১0 91910 ৮০ ১৪০০৮ 6০ 1)07০11 106 80 99611) 179610185 £শ 0১1101106 078৮ 1086) 01 51110106, 107 0০9 27৩ ০0১00100117 0012 1001111110165 010007 0)6 100010191190 19101160০01 0105101286101)- 11) 0116 ৮০ 1001) 910107০1৮০৯ 0) 00৬0 2100 00010 ০0৮১০ 11 ১0191066101). “81115 94780070085 107 52181) 1৭9 170 019 11101658601) 01 &)০ 011৮০], 10080010৭01 6110 040 10116 1০ 8০৫৫1)%11)06 91 610 0006150 [02601 0৮০ ডা ০১৮োন) 1081018811৭17) 25 100] 0৯1). 1307 ১০০1৪] 10081 8৮ 2110005 ১1০৬11)0 917১0 0919 8৮ 00611171005 01 1)011610১. পাখা) 200৭8] 12) ছ1)101 9006 হো ত60৮৮ 015০৮৩1501 1001) 0 00০ 01১৫০৮০7501 015 ত018100] €ন্00) 01৮৮ 17091) 006011)ম8 211] ৮০ 1০0 0)0 100010 1060108111205 1011) 10) 0970০ 11017 তো) 1015 1006 018] 2 ১0100006156 ৮৪11015100৮ 08 1000101005600 0) ০৮০০ 06100700100) 01 0010 1117 71015061015 070 ৭60010১15 0010269 10108] 101110716১১ 2৮110 01016 01 1১8006150) 1] 000 07911, 0156110৮111 0 ৭0100018110. ৮1011) 00811. ++ [ 85610108119), 101). 70-78 ] ৪৩১ পরিশিষ্ট ৪ ১৯১৩ খ্রীষ্টা্ধের জানুয়ারী মাসে আমেরিকার রটেস্টারে অনুষ্ঠিত উদার ষর্ষমভাবলম্বীদের এক সম্মিলন সভায় (00798 01 &) 1861078] [90878107০01 73611010788 [10785 ) রবীন্দ্রনাথ যে "39০০ ০0181 গ্রবন্ধটি পাঠ করেন, তাহার উপদংহারে কবি বলেন, £৪৮ 10) 80169 0: 00080 11176051810 8৭10069017০ ০89০ 1888০ ৪:012]7 81৪৮ 906 50106101018 0109 888170. 71161) 01700010099 ৪1 £798098৮ [৮ 15 51096692100 00079601900 80৪৮ 60৫5 6০ €15111290 2081) 18 ৪০100819 00100006090 10) 0019 [7:0001010 ০0: [809 001)010, 4100 ৮1৩ 27096686 91700 0786 80151 200 05 099 [0০00 0115 0১৩ 018) 0 8181) 11) 8)০ 0010801011817088 ০ 11101. [8 190 1183 1006 10901) 10705100010 1৮ 18 1১0] 11) 1)05975, 168 111091)0% 28 15170 1102190690. 10. 2 তা858100 ৪6911, 51001160105 ৮০৪10) 870 0০০৮ 830৮ 165 095 ০01 8101001)1) 15 21100901)1176, 1619 10170 10: 188 00609 2120 1)::01)1066 2110. 17096 01101171910 ছা 011:075 210 £09য সা] 006 চপ) 102 10706, 0060) ৮9 091] 01 10010191116) 15 1901678705 10818661)6 &)00 009 10160971700 01 0181) 02101106100 [58)070, [01 0০ 0910056 1)927005 ০ 1018 07%0111091) 01109 0 0০9: 010 11961012] 07106 172) 10105 10 8) 1902 8610 ৫700) 1 85 87 95070988101), ০01 ০৪101)688 210. 5010611001)6211917)) 1006 21) 8086 18 ড৪ ]9970য58]) 01 21প:0581)00) ভা1)01) 1015 8010000 15 11008 1)0861]0 2100. 1016 86/90158 11086 19001688 80817)8% 169 1)6 15 509001019 1:610177060 07961618076 01796 101শা) 01 80110109 €0 1011 009 1101708 চাদ) 0790 11) 00100, 1090, 0728101260. 180101791 8019917169৯) 15010] 277৮1109070 870 9000192019] 80178861000 1961) 60 01501%) 0001 0615 06101016199 17. %]] 0)012: 10910907988) 00৫) ০010108 &)০ ৮1000 101 11791 ০100৮ 8186 1)18 ৪9158610107 15 170% 11 1)0116108] 010810128610178 2170 ০7000. 0:00 70186101089 1)0% 21) 05 1100010910108] 109:19171007) ও 80018] 859%0109 100% 1) & 06016] 011816001)06100 01 1116) 11) 1৫ 11700186100 01 ০0180100051)088 11) 1059) 1) 0)০ 10811286101) 0 304 11) 11810, [ 01000) 170510ঘ, 45101] 1919. ] ৪৩৭ পরিশিষ্ট ৫ যুদ্ধকালীন কংগ্রেস-অধিবেশনগুলির সভাপতির অভিভাষণের অংশবিশেষ নিয়ে উদ্ধৃত করা হইন। ১৯১৪ £ ন্বাপ্রাজ-অধিবেশনে সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ বন বলেন, 01018 1898 29906001890. 8১96, 86 01)18 5111)09106 01818 11) 016 1169 006 171910170 6156 ০0] 6946 009 0১5 06 1)67180] 8700 ০0: €)6 17021217910 দা1)101) ৪16 1198 80 1719818 01909. 98615 00৭ 10709111176 19৮ 0০ 110205001১9, আাণ66010 1 0৮০ 01000. 01 1797 9009 ক 036 189300090০0 €০ 24901019160 10901089 ০0: 07০ 10701087921) 42121170105 006 00191070106 01 1001 106861105.7 [ 0000999 1779910917619] .১0.195999 £ ০]. ]া. 0,151] ১৯১৫ £ বোস্বাই-অধিবেশনে সভাপতি সত্যেন্ত্প্রসন্ন সিংহ বলেন, “5 8০৪৮ 00৮ 6০-0৩ 89 2817) 60 185 2৮ ১০০6৮ 01 ০0102: 20100186800. 10910560 9০5076102 00], 01781075170 19815) ০000 81118119৮৩1) 11196181009) 200. 00] 91)61)08195610 1)0717966,, “৩ 001980100 ছা1)10)) 2005৪ £]] ০0807 1১ 91020858176 00: )8)11)09 8৮ 00০ 1)2:09015 175012060% 15 %)6 ০ 2180. €59 9101)76709 19011700 1)101) 211595 210 00172100518 008 01 096]) 80721791018 01 [0০ 5011-1101)0900, 10001) া1)101) 101)121)0 15 1069121170 27) 056 +৮০1610 00: 1110665 8100 10000.0105 200. & 19011) ০0: 190০0100100 1710০ 000৮ 11101% 190. 2006 1911600. 1091517)0 ০0৮0 [১০0৮100৮০01 8) দুয16৭) [1017১ 1006 1095 ৪6০০০. ৪1১00100760 81)091007 10২ €0)010 105 7০ 5100 01 ৮) 11711007191] 17061)01 11) 65০ 1007 01 1867 80799 [12],..,7 [ 10010. 0. 187] ১৯১৭: কলিকাত।-অধিবেশনে সভানেত্রী আযানি বেসাস্ত বলেন, £]11019 10) 1507 01690 5181009 ৪০২7 11) (09762 13716511) 905 81281100108 01 দ9০0.0109 118 091109705 059. 01781010010 01 0981)01১2, 100 810০ ৪৪ 11005. 00121)05 81১0 ৪৮০০৫ 107 01086 1371611) 09811 1092 ০0 1900 0৫ 09900) 200 10০ 0০0০:0159 10219196107 ন্1)10], 011৮1581190. (001প200) 0980061877, 0)0%া 1110 01959 60 109 ঠ0710907) 0908186 010-04001151) 800. 09161020 00002060. ০ 008৮71০৮100 ) 8109 8)011800. &)০ 10176 01 (001৭221) 010 200. 7৩190৮90 (30108) 200000815 60 295০01৮,, [ 11010. 0. 995 ] ৪৩৩ রবীন্নাথ ॥ ২৮ নির্ঘট অজ “অকাল বিবাহ" প্রবন্ধ, ৬৩ অক্ষয়কুমার দত্ত, তেরো, চৌদ্দ, পনেরো! ৪8১ € অক্ষয় চৌধুরী, ২১, ৩৭ অচলায়তন, ৩১৮-২৪ এ গ্রন্থ আলোচনা, ৩১৮-২০১ ৩৩৭ অজিতকুমার চক্রবর্তী স্প্কবির পত্র, ৩০৭-৪৮) ৩৪৯ --বিবাহ, ৩১৫ অতুল সেনকে কবির পত্র, ৩৬৬ “অত্যক্তি' প্রবন্ধ, ১৮৮-৮৯ অনুশীলন সমিতি, ২৬৯ “অপমানমিত' কবিতা, ৩১৬-১৭ «অপমানের প্রতিকার' প্রবন্ধ, ৯৫-১০৬ “অপরপক্ষের কথা” গ্রবন্ধ, ১৩১-৩৩ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১০৬১ ২৯০, ২৩৭, ৩৭৭ অবল! দেবীকে কবির পত্র, ২৮২ “অবস্থা ও ব্যবস্থা” গ্রবন্ধ, ২২৯-৩২ «“অভিমান' কবিতা, ১০৩) ১৪৪ অমৃতবাঙ্গার পত্রিকা, ২৬৮ অরবিন্দ ও রবীন্দ্র, ২৬৮-৭১ অরবিন্দ ঘোষ, ১৯৯) ২৪৪১ ২৬৮-৭১, ২৭৪, ২৮৩) ২৮৪১ ২৯১, ৩৭২ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, চৌদ্দ অশ্বিনীকুমার দত্ত, ১২৬) ২৪৯) ২৯৯ অহিফেন যুদ্ধ ( গ্রথম ), ৩৯ আযাভাম স্মিথ, ১৫৬ আযানি বেসাস্ত, ৩৫৫) ৩৯৪১ ৩৯৫১ ৪০১ ৪৯৮১ ৪১১ আ্যাটি সাকুলার সোসাইটি, ২৪১ ৭৭) আ! আগরতলায় সাহিত্য-সম্মেলন, ২২৭ আগা খা, ২৬২ 'আত্মবোধ' প্রবন্ধ, ৩৩২ আদি ব্রহ্মদমাজ, ৮, ২৫, ৩০৫, ৩১৪ আনডার হিল্‌, ৩২৬ আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ, ২৪ আনন্দমঠ, ৩*, ৩২ আনন্দমোহন বন্থ, জাঠারোঃ ১২১ ৪২, ১২৩) ২৩৮ আফগানিস্তান, ৩৮ আবছুল রস্থুল, ২৪, ২৪৯, ২৬২ 'আবরণ, প্রবন্ধ, ২৫৪ আমেদাবাদে, ২১ আমেরিকা স্প্প্রথমবার যাত্রা ৩৩২-৩৪ দ্বিতীয়বার যাত্রার আমন্ত্রণ, ৩৬৯ __ দ্বিতীয়বার যাত্রা, ৩৮*-৮৫ __তৃতীয়বার যাত্রার সংকল্প, ৪১৬ আমেরিকার স্বাধীনতা! সংগ্রাম, ১২ আরবী পাশা, ৮৬ আরাই, ৩৭৭ আর্নল্ড্‌, এড্‌বিন্‌, ৮* আনন্ড, ম্যাথু; ৭৮ আর্নেন্ট রীস, ৩২৬ আর্বানায় বক্তৃতা, ৩৩২ “আধ ও অনাধ? ব্যঙ্গ রচন।, ৫৪ “আলমগীর, নাটক (ক্ষীরোদপ্রসাদ ), ৩৪১ আলালী ভাষা, যোলে৷ আলিপুর বোমার মামলা, ২৯৯ “আশ্ট1-কনসার্ভেটিত' প্রবন্ধ, ১৩৩-৩৪, ১৪৬ ৪৩৫ আস্ততোষ চৌধুরী, ২৭৭ আন্ুডতোব দেব, বারে! আহমদ খান, মকর সুলতান, এগারো, ২৬২ “আহ্বান' কবিতা, ৩৪৩ 09918 0£ ঘ&৩ 200861/6 015111259- 601৪ 01 70019, প্রবন্ধ, ৩৩২ 4109251১55০ কবিতা, ৪*৮ ই “ইংয়েজ-আফগান সন্ধি, ৩৮ “ইংরেজ ও ভারতবাসী' প্রবন্ধ, ৭৭-৮২, ৮৪ “ইংরেজের আতঙ্ক” প্রবন্ধ, ৮২১ ৮৩-৮৫ “ইংলগ্ডের পল্লী গ্রাম ও পাজি, প্রবন্ধ, ৩৩৬ ইতালির স্বাধীনতা সংগ্রাম, ১০১ ১১ ইঞ্ডিগো কমিশন, সতেরো ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল যাক, ৩ ইত্ডিয়ান গ্াশনাল কনফারেন্স, ৪২ ইন্ডিয়ান লীগ, ১২, ১৪ ইন্দিরা দ্বীচৌধুরাণী, ৭৬ ইম্পীরিয়লিজম্‌, ২২৩ ২৬ এ প্রবন্ধ আলোচনা, ২২৩-২৫ “ইয়ং বেজল' গোষ্ঠী, এগারো) ও সুত্রপাত, ৪১-৪৬ 106 ওত ]101)0211827) ২২৫ 1700197) 811770 ৪৬ 1715019,8 ঘি 86101)9] 10000789৩২২ 10010802] €0110178159101 ৪২২ ঈ ঈশ্বর গুধ, পনেরো যোলো। ৩০ ঈশ্বরচন্্র বিদ্কাসাগর। তেরো, চৌদ্দ, পনেরো, ৪১ ১৩ 9৮৬, উ উইলসন ( প্রেসিডেন্ট )১৩৮৩, ৪২২ উভবার্ন, স্তর জন, ১১৫, ১২৩ “উৎসর্গ' কাব্যগ্রন্থ, ১৯৫ উদ্বোধন' পত্রিকা, ১৬৭ উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ২৮৩ উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ৪৭, ৪৮; ৫৭, ৭৫) ১০৮ এ এইচিশন কমিশন, €৫ এজেল্স্‌, ১৫৬ এগুজ, সি. এফ.১ ৩২৬১ ৩৩৩১ ৩৩৭১ ৩৪২ ৩৭৩) ৪১৬ এগুজ, ও পিয়ার্সন -” শান্তিনিকেতনে যোগন্নান, ৩৩৫ --ফিজিতীপ যাত্রা, ৩৬১ “এবার ফিরাও যোরে' কবিতা, ৯*-৯২, ১৩৬) ১৪২১ ২৪৩১ ৩০১ এলিয়ট সাহেব, ৯৩ 44১0০0598১9 [08৮10 পুন্তিকা (030119779), ৩৯২ £/1) 010. 17111058 170১0 পুস্তিকা (রাজনারায়ণ ), ১৪ ও ওকাকুরা, ১৮২১ ২৪", ২৯৪৯; ২৯৮ ৩৭৬ ওগৃসৎ ব্রেয়াল। ১৬৩ ওয়েল্স্‌, এইচ. জি., ৩২৬, ৩২৮ 90109 1). 1 ১৫৯ ড্া৪: 0০00:0:9709 ( দিল্লী ), ৪১১ তু কংগ্রেস, চার। পাঁচ) ১৪, ৪৭-৫২১ ৫৫ কংগ্রেস অধিবেশন --বোস্বাই (১৮৮৫), ৪৮ --কলিকাত৷ (১৮৮৬ )১ ৪৮১ ৪৯১ “কর্তার ইচ্ছায় কর্ম” প্রবন্ধ, ৩৯৫-৯৮ ৫১, ৫২, ৫৩১ ১৪৫ “কর্মযজ্ প্রবন্ধ, ৩৬৯ _-কলিকাত৷ (১৮৯*) ৫৮ “কর্মষোগ' প্রবন্ধ, ৩৩২ _এলাহাবাদ (১৮৯২), ৭৫ কর্মের উমেদার' প্রবন্ধ, ৭১, ৭২ বছর (৮৯১৮১০ কাইছারই সাক, _-কলিকাত| (১৮৯৬), ১০৫ ৯৯১০৭ জর ও --অমরাবতী (১৮৯৭), ১১২) ১১৬, কাট্‌্সটা, ৩৭৪ ১৫৮ কানাই দত্ত, ২৮৪, ২৯৯, ৩৭২ --মাদ্রাজ (১৮৯৮), ১২৩ কানাডার নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান, ৩৭৯ _ লক্ষ (১৮৯৯), ১৫৯ কান্ট, ইমাস্ুয়েল, এক --লাহোর (১৯), ১৪৮ কামগাটমারু হত্যাকাণ্ড, ৩৭৯ --কলিকাতা (১৯০১), ১৫৯ কার্জন, লর্ড, ১৫১ ১৮৮১ ১৮৯ ২৬১, -স্বেনারস (১৯০৫), ১৯৯) ২৩৬ ২১৭৭ ২১৯) ২২৩, ২২৪) ২9৫) ২৪৭ ২৪৭) ৪২১ -আমেদাবাদ (১৯*২), ২২৫ কার্লাইল সাকু'লাব, ২৪% ২৪১ _-মাঁ্রাজ (১৯০৩), ২০৫ কালা আইন, এগবে॥ বাবে --কলিকাত। (১৯০৬), ২৬৯ “কালান্তব' গ্রন্থ, ১, ৩৩১ ৩৬, ৪০, --স্বাট (১৯০৭), ২৭২১ ২৭৩, ১০৭-১০৮১ ১৮৯১ ৩৪১-৪২॥ ৩৪৮- ২৭৪ ৫২, ৩৫৩-৫৪, ৩৯৫-৩৯৬১ ৩৯৭, --মাডাজ (১৯৯৮), ২৯৯ ৩৯৮, 9০২১ ৪০৩, ৪০৪১ ৪92৫, লাহোর (১৯০৯), ৩০২ ৪০৬, ৪৯৭) ৪০৯) ৪১০১ 9১৩, --মাডাজ (১৯১৪), ৩৫৫ ৪১৫ লক্ষ (১৯১৬), ৩৯৪১ ৩৯৫ কালীরুষ দেব, বারো _ কলিকাতা (১৯১৭), ৪*১ কালীনাথ মিত্র, ২৪২ _-দিল্পী (১৯১৮, ৪২২৯ ৪২৩ কালীগ্রসন্্ দাশগুপ্ত, ২৪১ _ বোম্বাই বিশেষ অধিবেশন “কালেব যাত্রা” রূপকনাটা, ৩১৮ (১৯১৮), ৪১৭ কিংসফোর্ড, ২৮৪ ক গ্রেল গঠনতন্ত্র, ২৮৩ কিচেনাব, ২৪৭ ক গ্রেস ও মুসলমান, ৫২ কুমুদবন্ধু সেন, ১৬৭ কংগ্রেস ও রবীন্দ্রনাথ, ৫৩-৫৮ কুষিয়ায় বয়ন-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ২৪৫ কংগ্রেস বনাম জমিদার বিতগ্ডায় রবীন্দ্র কৃষ্ককুমার মিত্র, ২৪১ নাথ, ১২৯-৩৫ কুষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত, ২১৭ “কণিকা? কাবাগ্রন্থ, ১৩৯ কৃষ্মোহন বন্দ্যোপাধ্যা, ৪ “কগ্ঠবোধ' প্রবন্ধ, ১১৩-১৪ ১১৮ মিসেস্‌ কেনেডির হত্যা, ২৮৪ “কথা ৭ কাহিনী” কাব্যগ্রন্থ, ১৩৯ কেপলাব, এক “কবি য়নেটস্‌। প্রবন্ধ, ৩২৮-২৯ কেরামত আলি, ২৬১ “কমলাকাস্ঘেব দপ্তর" ( বন্ছিমচজ্জ ), ৩* কেশব সেন, ৪, ৫১ ৮ ৯ ৪9৩৭ কোপান্নিকাস এক ক্যাকস্টন হলে কবির ভাষণ, ৩৩৪ ক্যালকাট৷ মিউনিসিপ্যাল বিল, ১২৩ ক্রপটকিন, ৬৪ ক্রফট,, আলফ্রেড, ১৩০ ক্রস, লর্ড, ৫৫, ৫৮ ক্রীস্টলীব, ৩৮ ক্লাইভ, ৮৭ ক্ষণিকা' কাব্যগ্রন্থ, ১৩৯ ক্ষিতিমোহন সেন, ৩০৩ ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্ভাবিনোদ; ৩৯১ ক্ষুদিরাম, ২৮৪১ ৩৭২ 100085988-]99%09 90100179০০৫ 2০0২)5 ৩৯৫ €01)07058 1১০91001019] .8007০৪৬- ৪১ ৪৮১ ৪৯) ৫১১ ৫৮১ ৭৫১ ৭৬, ৮১১ ৯৭) ১০৯; ১১২১ ১১৩, ১১৬, ১১৭১ ১২৩১ ১৪৮১ ১৪৯১ ১৫৮; ১৫৯) ১৯০১ ১৯৪১ ২০০১ ২০৫) ২০৬, ২২৫-২৬১ ২৩৬-৩৭ ২৪৭- ৪৮, ২৬০১ ২৬১) ২৭২-৭৩, ২৮৩১ ২৯৯, ৩০২) ৩০৩১ ৩৬৫৪ ৪৩৩ 50০-0199716 0001 ১০09০190105 80৮) ৪২১ খ €থেম়া' কাব্য গ্রন্থ, ২৪৩ খোল! চিঠি__দমননীতির প্রতিবাদে, গ্রীস্টধর্ম* প্রবন্ধ, ৩৫৮ (011755$01)18675 4.৮ ৩৩৬ গ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ২৪৫, ৩৭৭ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও জাতীষ এক্যের প্রশ্নে, ১১১-১২৮ গণপতি উৎসব, ৮৩, ১১১ গণেক্জনাথ ঠাকুর, ৯১ ১০১ ১২, ১৩ ৩৮ গণেশচজ্ চন্দ্র, ২৪২ গল্স্ওয়ার্দি, ৩২৬ গস, এডমণ্ড ৮* গাক্ধীজী, ১২২, ১৯৩) ২১৫, ৩৩৫) ৩৩৬, ৩৫২, ৩৬৩, ৩৬১, ৪১২, ১৫৬) ২২১ ৩৩৭) ৩৫৪, ৩৬৮, ৪১৩, ১৫৭, ৩৪২১ ৩৩৮) ৩৫৮, ৩৯৯) ৪১৪, ১৫৮ ৩৬৩ ৩৩৯, ৩৫৪৯) ৪৬৮, ৪১৫, ৪১৮ গান্ধীজী ও কবির প্রথম সাক্ষাৎকার, ৩৫৯ গান্ধীজীর নিকট কবির পত্র ৩৫৬ গান্ধীজীর পত্র, চেমস্ফোর্ডকে, ৪১১ গিজো ( 0151206 )১ ১৫০ গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী, ১৭৬, ২৬৯, ৩৬০১) ৩৬৫ গিরিশচন্দ্র ঘোষ, ৩০১ গীতাঞ্জলি' কাব্য গ্রন্থ, ৩০৬, ৩১৬-১৭ গীতাগ্জলির ইংরাজি তর্জমা, ৩২৩ গীতাঞ্জলির ইংরাজি তর্জমা গ্রকাশ, ৩৩৪ গুণেন্্রনাথ ঠাকুর, ৯ গুরলের সহিত এগুুজের সাক্ষাৎকার, ৪১৩ গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ( স্তর ), ৭৪, ২০১ গোখলে, ১৯৯, ২৩৬১ ২৪৭১ ৩১৭) ৩৩৬, ৩৬৪১ ৩৬৫ “গোড়ায় গলদ', ৭৭ গোরক্ষণী সভা, ৮৩ “গোরা” উপন্তাস, ২৭১১ ৩৭০১ ৩০৬, ৩১১-১৫ গ্যারিবন্ডি, ১১ গ্যালিলিও, এক গ্যেটে, ২২ গ্রামসংগঠনে ও এদেশে উংরাজ-শাসন প্রসঙ্গে, ২৪৩-২৪৮ ্রাম্যসাহিত্য, প্রবন্ধ, ১৩৫ গ্লাডস্টোন, ২৩) ৩৫, ৩৮, ২২৬ 317 7 0117১ ৫৫ ঘ “ঘরে বাইরে উপন্তাস, ৩৬১, ৩৬৯, ৩৭১-৭২ “ঘুযাঘুষি' প্রবন্ধ, ১৯২ চ “চতুরঙ্গ' উপন্যাস, ৩৬১ চন্দ্রনাথ বন্থুঃ ৫৭, ৬৩১ ৭১ চন্দ্রশেখর' উপন্যাস ( বঙ্কিমচন্দ্র ), ৩০ চিত্তরঞ্জন দাস, ৩৯৪, ৩৯৯ চিন্তার স্বাধীনতার আন্দোলন, ৩৯৩ “চিত্রাঙ্গৰ।” নাটিকা, ৭৭ সনদ, শ্রমিকদের গ্রাতি, ৩৭৩১ ৩৭৪ চীনে আমেরিকার পণ্যড্রব্য বয়কট, ১৯৭১ ১৯৮, ২৪৪ চীনে জ্ঞাপ-আক্রমণের বিরুদ্ধে, ৩৭৭, ৩০৮ চীনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্টা, ২৪৫ 'ীনেম্যানের চিঠি" প্রবন্ধ, ১৮১ “চে'চিয়ে বলা” প্রবন্ধ ৪৩ “চৈতালি' কাব্যগ্রন্থ, ১০৩ €1121107৬01নযোন উ. 0০১৪৮ ১৪৯ ছু “্ত্রপতি শিবাজী” নাটক ( গিবিশচন্তর ), ৩০১ “ছাডিসনে ধবে থাকিস এটে" কবিত।, ৩১৬ ছাত্র আন্দোলনের সুজ্রপাত; ২৩৯ “ছাত্রদের প্রতি সম্ভীষণ”, ২২১-২২২ ছাত্রশাসনতন্ত্র গ্রবন্ধ, ৩৬৫, ৩৬৬ ছোটো ইংবেজ, ৪*৩ “ছোটো ও বডো' প্রবন্ধ, ৪০২-৪০৭, 9১৫১ ৪১৮ জগদিজ্্রনাথ ( মহারাজ। ), ১০৮ জগদীশচন্দ্র বন্থ্‌, ১৩৯, ১৬৮, ২৭৪ 'জনগণমন' সংগীত, ৩২২ এ সম্পর্কে পুলিনবিহারী সেনকে পত্র, ৩২২ এ সম্পর্কে প্রবোধচন্দ্র সেন, ৩২২ জন্মকাল, ৩-৪ জেমিদাব দর্পণ” নাটক (মীর মশাবফ হোসেন ), ৩২ জমিদার সভ।, ৫ জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, বাবো “জাতীয় বিদ্যালয়” প্রবন্ধ, ২৫৪) ২৫৯ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ২৪১, ২৪২ জাতীয় শিক্ষা! পরিষদ, ২৫৪ জাপানধাত্রা, ৩৭৩-৭৯ জাপানী কবিতার অন্ুাদ, ২২৯ জাপানেব উগ্র জাতীয়তাবাদ ও সাত্রাঙজ₹ লিগ্ষা সম্পর্কে» ৩৭৭, ৩৭৮) ৩৭৯ জাপানেব শিল্পসংস্কৃতি সম্পর্কে, ৩৭৫-৭৬ জিল্না, ৩৫৪ “জীবনস্থৃতি? গ্রন্থ, ৯, ১০১ ১৪, ১৬, ১৭, ২০১ ৩৭, ৩১৮ এ খসড়া, ২১১ ৯৯১ ৬২ জীবেন্ত্রকুমাব দত, ২৫৮ “জুতাব্যবস্থ।' প্রবন্ধ ০* জুলুবিজ্রোহ, ৩৮, ১৫৮ জ্ঞানেন্্রনাথ রাষ। ২৪০ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুব, ৯১ ১, ১১, ১২) ১৯১ ২০১ ৩৭ [| ডের খেষা” কবিত'ঃ ৩৬১, ৩৬২ ৪) টমসন ও গ্যারেট» 9১ টমসন্‌, জর্জ, বারে। টমাস হুড, ৬২ টিলস্টয়, ২৫৫) ৩৩৮ টাইকন, ১৮৩) ৩৭৪, ৩৭৭ টেন, ২১ টেঙলকর, ১৫৮, ৩৫৫ তামাসা প্রবন্ধ, ৪৫ ৮৮ হোটেলে কবির সংবর্ধন/,৩২৬ কবির ভাষণ, ৩২৬ [10005 1১, 5 ৩৪২ 21089] বুহাোগাযোদে।তলে 165৮০- 61018 1311), ৩০২ 111)10 411197500৩৪ ৫ শশ1)16 006010৮5৩৪৫ ঠ ঠাকুর পরিবার, ৫€-৯ ঠাকুর পরিবারের জয়ী সাধনা, ১০ তি "ডাকঘর" নাটিকা, ৩১৮ ডাঁফক্িন, লর্ড, €১ ডারউইন, এক, ৬* ডিসয়েলী, ১৮; ৩৮ [09197)91৬6 05696100 (অরবিন্দের), ই৬৪ তি তত্ববোধিনী পত্রিকা, তেরে! আঠারো, ৪, ৫ এ সম্পাদনা, ৩২১ তত্ববোধিনী সভা, ৫ “তপোবন” কবিতা, ১৭৯ “তপোবন' গ্রবন্ধ, ৩০৯, ৩১০১ ৩১৪ তারকনাথ পালিত, ২৩, ই৪২ তারা্টাদ চক্রবর্তী, এগারে। তাসের দেশ' নাটিকা, ৩১৮ তিলক, বালগঙ্গাধর, ৮৩১ ৮৬১ ১০৫, ১১১) ১১২১ ২১৫১ ২৬০১ ২৭২, ২৭৪, ২৮৪), ৩৫৫) ৩৪৪) ৪০৮, ৪১১, ৪১২, ৪১৮ তৃতীয়বার বিলাত যাঞ্জা, ৩২৫-৩১ ৪৮ দক্ষিণারঞ্জন দুখোপাধ্যাম, এগাযো দয়ানন্দ সরস্বতী, ১২৬ দয়ালু মাংসাশী, প্রবন্ধ, ৩৭, ৩৮ দাস্তে, ২২ 'দবামু ও চামু” ব্যঙ্গকবিতা, ৫৪ দিগস্বর মিঃ তেরো দিদেরে।, এক দিললীদরবার, ১৫, ১৮, ১৯১ ১৮৮১ ৩২২ দীনবন্ধু মিত্র, ৪, ৩০, যোলে। দীনের সংগীত" কব্তা, ৩১৬ দীনেশচন্দ্র সেন, ১৬৭, ১৮৪, ২৪৩ ছুই বিঘ! জমি” কবিতা, ১৯২, ১০৩ ছুর্গাদাস' নাটক ( ছিজেজ্্লাল ), ২৩৫ “ুরস্ত আশা” কবিতাঃ ৫৪ দেকার্তে, এক “দেবী চৌধুরানী? উপন্যাস ( বস্ষিমচন্দ্র), ৩৬, ৩২ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বারো, তেরো, ৪, ৫, ৬, ৭৪৯ “দেশ দেশ নন্দিত করি" গাঁন, ৪০১ “দেশনায়ক' প্রবন্ধ, ২৫০-৫২, ২৫৪ “দেশহিত' প্রবন্ধ, ২৯৫ “দেশীয় রাজ্য প্রবন্ধ, ২২৭-২৯ দেশীয় রাজ্য এবং অবস্থ। ও ব্যবস্থা, ২২৭-২৩২ “দেশের উন্নতি” কবিতাঃ ৫৪ “দেশের কথা' পুস্তক (সখারাম দেউন্বর), ২৩ “দেশের কথা” প্রবন্ধ, ২' ৬০৮১ ৩৯৩ দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী, ৪২ দ্বারকানাথ ঠাকুর, পাচ, ৫ খিজেজ্নাথ ঠাকুর, ৯১ ১০, ১২ ঘিজেন্দ্রনাথ মৈআর ৩৩২, ৩৬৯ ধিজেন্দ্রলাল রায় ২৩৫, ৩*১ পৃ 811860০ 0 &5০ [1001018 [ব91010171 0017£:985 গ্রন্থ (সীতারামিয়া), ৪৭, ৩৯৫, ৪২২, ৪২৩ গুখ]।০। [00818 ০ ৮০০ 1084৮ গ্রস্থ ( ওকাকুর! ), ১৮২, ১৮৩ পু) [8608১ প্রবন্ধ, ৩৭৫ £[)০ 10010191008 01 1721” প্রবন্ধ, ৩৩২ পখ০ 10096101801 00০ 17001510021 2190. 617৫ 17015014৮ প্রবন্ধ, ৩৩৪ £)০ 31716 ০1 ৮1১1১, প্রবন্ধ, ৩৭৫ ৮] ধর্মবোধের দৃষ্টাস্ত' প্রবন্ধ, ১৯৩-১৯৫ ধর্মের অধিকার' প্রবন্ধ, ৩২১ ধর্মের অর্থ' গ্রবন্ধা, ৩২১ ধর্মের নবধুগ' প্রবন্ধ; ৩২১ ন পন্দকুমার" নাটক (ক্ষীরোদপ্রসাদ), ৩০১ নবগোপাল মিত্র, ৯, ১৯১ ১৩১ ১৯ “নববর্ষ” প্রবন্ধ, ১৭৩, ১৭৪ “নববর্ষের ত" শীর্বাদ কবিত।, ৩৬৯, ৩৭৪ “নববর্ষের গান? কবিত।, ১৭৭ “নববর্ষের গান? কবিতা, (উৎসর্গ), ১৯৫ নববর্ষের দীক্ষ।” কবিতা, ১৯৫, ১৯৬ 'নবীন দসেন', পনেরো, আঠারে।, ১০, ৩৬) ৩৪ “নমস্কার কবিতাঃ ২৭৯১ ২৭১ নরেন গৌসাই, ২৮৪, ২৯৯ নরেন্দপ্রসাদ সিংহ ( মেজর )১ ২১১ “নাইট? উপাধি প্রদান, ৩৬১ নাজির আহমাদ, ২৬১ নাট ভ্রাতৃত্বয়, ১১১, ১১২, ১১৩, ১১৬ নাটোরে প্রাদেশিক সম্মেলন, ১০৬ “নারায়ূণ' পত্রিক।, ৩৯৯ নিউটন, এক নিবেদিতা, ১৮২; ১৯৯) ২০০১ ২৬৮, ২৮৩, ২৯৮ “নিঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতা, ২৭, ২৮ ২৯ নির্ঝরিণী দেবীকে পত্র, ২৯৪, ৩২০ নির্লচন্্র সেন, ৩৭৩ নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ আন্দোলন, ১৯৮, ২৩৬, ২৮৩ 'নীলদর্পণ' নাটক ( দীনবন্ধু ), সতেরো, ৩১১ ৩২ নীলবিদ্রোহ, ছুই, যোলোঃ ৩, ১০ নীলরতন সরকার ( ডাঃ ), ২৪২ নেভিন্সন্, ৩২৬ নৃতন ও পুরাতন? প্রবন্ধ, ৬৫, ৬৬১ ৬৭, ৬৮১ ৬৯ নূরজাহান' নাটক (দ্বিজেন্দ্রলাল), ২৩৫ “নেশন কী?" প্রবন্ধ, ১৬, নেহরু, জওহরলাল, ৩৫ ৬ নৈবেছ্য, ১৪২-৪৭, ২৪৩ নৈবেস্ঠ'র ইংরাজী তর্জমা, ৩০৮, ৩৮৬ “নোবেল প্রাইজ' প্রাপ্তি ৩৩৫ নৌরজী, দাদাভাই, ৪৮, ৪৯১ ৫১১ ৮১৯ ১৬০, ৯৭২ ন্যাশনাল পেপার' পত্রিকা, ১৩ ন্যাশন্তাল ফাণ্' ধনভাগার, ৪২ ন্যাশন্তাল ফণ্ড প্রবন্ধ, ৪৩, 88, ৭৩, ম্তাশনালিজম্‌ (42610071150), গ্রন্থ) ৩৮০, ৩৮১, ৩৮৪, ৩৮৬-৯৩, ৪১৫ ০2001191151) 11) 10015 প্রবন্ধ, ৩৮৪ ০ 100):)? পত্রিকা, ১৯১ পপ গঞ্চভূতের ডায়ারি' গ্রন্থ, ৭৭ পঞ্চম জর্জের ভারত সফর. ২৪ পঞ্চায়েত (সরকারী ) সম্পর্কে, ২৩২ পথ ও পাথেয়* প্রবন্ধ, ২৮৪-৮৭, ৩১৯ মিঃ পণ্ড, ৩৮, 'পরবেশ' কবিভা, ১০৩, ১০৫ পরিচয় পুস্তক, ৩২১ পলাশীর প্রায়শ্চিত' নাটক (ক্গীরোদ- প্রসাদ ), ৩০১ “পল্লীর উন্নতি প্রবন্ধ, ৩৬০ “পল্লী সমিতির খসড়া” ২৫৩, ৪২৭-২৮ পল্লীসমিতি' স্থাপন, ২৫৩ পাউগ্ড, এজরা, ৩২৬ পাড়ি” কবিতা, ৩৪৮ পাপের মার্জনা” ভাষণ, ৩৪৮; ৩৫৮ পাবনা প্রাদেশিক সম্মেলনে অভিভাষণ, ২৭৭-৮২ পারিবারিক অধ্যাত্-সাধনার প্রভাব, ২৪-২৯ পাশ্চাত্য সভ্যতা সম্পর্কে মোহভজের স্তর, ৩৫৪৩ পি. মিত্র (ব্যারিস্টার ), ২৬৯ পিয়ারসন, ৩৩৬১ ৩৭৩ পীরালি সমাজ; € “পুরস্কার কবিতা, ৮২ “পূর্ব ও পশ্চিম প্রবন্ধ, ২৯৭ পুলিন দাস, ২৬৯, ২৯৯ পেত্রার্ক; ২২ পেশ্টল্যাগ্ড (লর্ড ), ৩৫৫ "পৌষ উৎসবের ভাষণ, ৩৫৬৫৭ প্যারীচাদ মি, এগারো, তেরো, যোলো প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায় (রাজা), ১২৯ ২৪২ ণ প্রচ্ছন্ন" কবিতা, ২৪৩ প্রতাপচন্জ্র ঘোষ, ৩৩ 'প্রতাপসিংহ' নাটক (ঘজেন্্লাল ), ২৩৫১ ৩৪১ প্রতাপাদিত্য-উতৎ্সব, ৩০০ “প্রতাপাদিত্য' নাটক ( ক্ষীরোদপ্রসাদ ), ৩*১ প্রতিমা দেবী, ৩১৪, ৩২৫১ ৩৩২ “প্রতীক্ষা” কবিতা, ২৪৩ প্রথম মহাযুদ্ধের সুচনাপর্বে, ৩৪৫-৭০ প্রফুল্পকুমার সরকার, ১০৫, ২১৫, ২৩৮, ২৪৯, ৪৯১ প্রফু্প চাকী, ২৮৪, ৩৭২ প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ৬, ৭, ২৫, ৫৭, ৬৪, ৭৪, ১২ ১৪১ ৮৪৪২ প্রভাতসংগীত' কাব্যগ্রন্থ, ২৭ প্রমথ চৌধুরী, ৬৩, ৩৪১ 'প্রসঙ্গ-কথা। রচনা, ১১৫, ১১৮, ১২৪, ১২৫, ১২৮ প্রসন্নকুমার ঠাকুর, চার, বারে! প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য গ্রন্থ (বিবেকানন্দ ), ১৬৬, ১৬৭ প্রা ও পাশ্চাত্য সভ্যত।” প্রবন্ধ, ১৫৪-৫৭ প্রাচ্য ও প্রতীচ্য? প্রবন্ধ, ৬৫) ৬৪ প্রাচ্য ও প্রতীচ্য” প্রবন্ধ ( বঙ্গদর্শন ), ২৯৭ প্রাথমিক শিক্ষাসংস্কার-পরিকল্পনাঃ ২১৭ প্রায়শ্চিত্ত নাটক, ৩৪, ৩০৩৭ ৩৩৭ প্রায়শ্চিত্ত ও শারদোৎসব, ২৯৯-৩৭৪ প্রোটেস্টান্ট ধর্মসংস্কার আন্দোলন, দশ 00৫1801)9]165 গ্রন্থ ৩৮০, ৩৮১১ ৩৮৬ £[৮01১]0))১ ০0৫ ৭০1 প্রবন্ধ, ৩৩৪ ফ ফক্স-স্ট্রাংওয়েজ, ৩২৬ ফরাসী বিপ্লব, দশ, ১০ ফাউলার, হেনরি, ১২১ “ফান্তুনী” ৩৬১ ফিরোজশাহ মেহতা; ৫৭, ৫৮ ফুলার, ব্যামফিল্ড, ২৪৭, ২৪৭ ফেডারেশন হলের ভিত্তি স্থাপন, ২৩৮ বব বন্সার বিদ্রোহ, ১৪৫, ১৫৪ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পনেরো) আঠারে।, ১০১ ৩০-৩২) ৩৪) ৫৩) ৭৭) ১৮৬, ২১৬ ৩০১ বঙ্গচ্ছেদ কার্যকরী, ২৩৬ বঞ্জচ্ছেদ রহিত, ৩২৪ “বঙ্গদর্শন” ( নব পধায়ে )১ ১৫০ বঙ্গার্শনে রাজনৈতিক প্রবন্ধ, ১৮৭-১৯৬ বঙ্গদর্শনে হিন্দু জাতীয়তাবাদ, ১৪৮-১৬৭ “বঙ্গবিভাগ' প্রবন্ধ, ২০২ বঙগভঙ্গের প্রস্তাব, ২০১ বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব ও ফুনিভার্সিটি বিল, ২০১-২১৬ *বঙ্গমাতা' কবিতা, ১০৩, ১০৪ “বঙ্গাধিপ পরাজয়" গ্রন্থ (প্রতাপচন্দ্র ঘোষ), ৩৩ বঙ্গীয় সমবায় সংগঠন সমিতি, ৪১৯ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, ২২১, ২২২, ১৩২ বঙ্গীয় হিতসাধনমগ্ডলীর প্রতিষ্ঠা, ৩৬০ “বঙ্গের শেষবীব' নাটক (ক্ষীরোদ প্রসাদ), ৩০৬ “বডো ইংবেজ', ৪০৩ বদরুদ্দীন তয়াবজী, ২৬১, ২৬২ “বন্দে মাতরম্‌ ধ্বনি, ৩০, ২৩৯, ২৪০, ২৪৯ “বন্দে মাতরম্‌* পত্রিকার অভায, ২৬৮ “বন্দে মাতবম্‌* সংগীত, ৩২ ১০৫ বরিশাল প্রাদেশিক সম্মেলন, ২৪৯-২৫৩ বরিশালে সাহিত্য সম্মেলন, ২৪৯ বলাইঠা” গে'ন্বামী, ২১৩ বযকট আন্দোলন, ১৯৮, ১২৯১ ২৩০) ২৩৯১ ২৪৪১ ২৪৫১ ২৫০১ ২৫১, ২৫৩১ ১৬০১ ২৬১ ২৬৪? ২৭২১ ২৭৩১ ২৮৩১ ২৯১১ ২৯২, ২৯৩ বধকটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ২২৯ “বর্ষশেষ” কবিতা, ১৩৬-৩৮১ ১৪২৯১ ২৪৩ বিহুবাজকত। প্রবন্ধঃ ২৪৬-৪৭ বাংলাদেশের রেনেসাম আন্দোলন, এক, ছুই, পাচ, নয়, দশ, এগারো 'বা লার মসনদ" নাটক (ক্ষীরোদ প্রসাদ), ৩০১ “বাণ্লাব মাটি বাংলার জন' গান, ১৩৩, ২৩৭ বার্ক, ৩৫১ ১০৬ বাঘা যতীন, ৩৭২ “বাধ। দিলে বাধবে লড়াই" কবিতা, ৩৪৭ বোম্বাট।-বিজ্োহ, ১৫৮ বারীন ঘোষ, ১৯৯, ২৬৯, ২৮৩, ২৮৪১ বাকিট, জজ, ১৯১ বাট্রণগ্ড রাসেল, ৩৪৪, ৩৪৬ বায়রন' ৩৫ “বান্মীকি প্রতিভ৷' গীতিনাট্য, ২৭ “বিচার? কবিতা, ৩৫৮ “বিচিত্রা”র পত্তন, ৩৬১ “বিদায়” কবিতা, ২৪৩ “বিদায় অভিশাপ" কবিতা; ৭৭ বিধুশেখর শাস্ত্রী, ৩০৩ বিপিনচন্দ্র পাল, ১৯২১ ১৯৭, ১৯৮, ১৯৯, ২৪০১ ২৪১, ২৪8৪) ৫০, ৬৩০১ ২৬৮, ২৬৯১ ২৭২১ ২৮৩১ ২৯১ বিবেকানন্দ (ম্বামী), ১১১৯ ১৬৬, ১৬৭, ১৭০১ ১৭১১ ১৭২১ ১৭৫১ ১৭১, ১৭৭) ১৭৯১ ১৮০৪ ১৮১১ ১৮২৪ ২০০) ২৯৮; ৩১১ “বিবেচনা ও অবিবেচনা” প্রবন্ধ, ৩৪ ১-৪২ বিয়াত্রীচে,দান্তে ও তাহার কাব্য: প্রবন্ধ, ২২ “বিরোধমূলক আদর্শ প্রবন্ধ, ১৬৩-১৬৩ বিলাত যাত্রা প্রথমবার, ২৩ দ্বিতীষবার, ৫৯ তৃতীয়বার, ৩২৫ বিলাত ভ্রমণ ও বিশ্বসাহিতে। প্রবেশ, ২১০২৩ বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তনের পরে, ৬৩৪-৭৩ 1বশ্ববোধ, প্রবন্ধ, ৩১০১ ৩৩২ বিশ্বভারতী, এ পরিকল্পনা, ৩৮৫, ৪১৫) এঁ ভিত্তি প্রস্তরস্থাপন, ৪২৩ বিশ্বমানবত! ও বিশ্বজাগতিকতা-বোধেব বিকাশ, ৩০৫-৩১০ “বিসর্জন, নাটক, ৫৪ বিহারীলাল গুপ্ত, ৭৬, ৯৫ বীটন, ১* বীরপৃজা, ২১৫ ৪৪৩ বুড়ীবালামের যুদ্ধ, ৩৭২ বুদ্ধিমানের কর্ম প্রবন্ধ, ( বিপিনচজ্ঞ ), ৩৯৪৯ বোয়ার যুদ্ধ, ১৪৪, ১৫৩, ১৫৬) ১৫৭১৪১২ বেকন, এক বেঙ্গল টেকনিকেল স্কুল, ২৫৪ “বেঙ্গলী' পত্রিকা, ২৬৮ বেদাস্তপ্রতিবাস্ত ধর্ম, ৬ বেস্থামঃ এক বের্গস, ৩২১ বেল সাহ্বে, ৯৮ বেলুড রামু মিশন, ১৭১ বৈকুগ্ঠনাথ সেন, ৪০১ “যোষ্টমী" গল্প, ৩৪৪ “বৌঠাকুরানীর হাট” উপন্টাস, ৩৩ ৩৪, ৩৩৩ “ব্যাধি ও গ্রতিকার' প্রবন্ধ, ২৬১-৬৫ এ সম্পর্কে রামেন্্রনুন্দর, ২৬৫-৬৬ ব্রক্তনুন্দর রায়, ২৪১ ব্রজেজ্জকিশোর দেবমাণিক্য, ১৬৯ ব্রজেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যাষ, ১৩ ব্রতধারণ' ভাষণ, ২৩৪ রন্ম্যাশ্রম (শাস্তিনিফেতন), ১৬৮ ২৫৮ ব্রহ্ধবান্ধব উপাধ্যায়, ১৭০, ২৭১ 'ব্র্মসাধন' প্রবন্ধ, ৩৩২ '্রদ্ধোৎসব', ৩৯৬ ব্রাইট, ২৩, ৩৫, ১০৬ ত্রাইটনে, ২৩ ব্রাডলাফ, চার্লস (137801808) )। ৫৫, ৫৬) ৫৮ ব্রাডলে, ৩২৬ “ব্রাঙ্গণ, প্রবন্ধ, ১৫৫, ১৭৭-৭৯ ্রাঙ্ম দলে বিচ্ছো, ৮ ্রাহ্ষধর্ম, দশঃ তেরো, ৬ ৫৩, ৫৪, ২৯ কত্রাঙ্ধর্ম, গ্রন্থ ( দেবেনুনাথ ), তেরো ্রাহ্গবর্মের নামকরণ, ৫ ত্রান্ম সমাজের সার্থকতা? প্রবন্ধ, ৩২১ ব্রিটিশ ইত্ডিয়! সোসাইটি, হারে ৪৪১ ব্রিটিশ ইত্ডিয়ান এসোসিয়েশন, যাক ১২ ক্রুক, রুপা, ৩৪৬ করুক, স্টাফোর্ড, ৩২৬ ৩২৮ ক্রনো, এক ক্ল্যাক বিলের পরাজয়, ১০১ এগারো, বারে! [30190] 0000801] 0 150001861005 ৪২ [30109] [918017010৮৯ 4499001%- 61018 বারে। ১৬ “ভগ্মহাদয়' কাব্যগ্রন্থ, ২৭, ৩৭ ভলটেয়ার, এক “ভার্নাকুলার প্রেস আ্যাক্ট') ১৭ - 'ভারততীর্ঘ* কবিতা, ৩১৬ “ভারতবর্ষীয় ত্রাঙ্মলমাজ', ৮ ভারতবর্ষের ইতিহাস" প্রবন্ধ, ১৮৪-১৮৫, ১৮০৩ ভারতবধের ইভিহাস-বিচাবে রবীন্নাথ, ১৮৪-৮৬ “ভারতবর্ষের ইতিহাসের ধারা? প্রবন্ধ, ৩২১ “ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত' পুস্তিকা, (শ্রবোধচন্দ্র সেন), ৩২২ “ভারতরক্ষ। আইন”, ৩৯৪ “ভারতলঙ্ষমী” গান সম্পর্কে পত্র, ২৩৪ “ভারতসভা” চার, ১২১ ১৪ ভারতে আধুনিক শিল্পধুগ, ৩ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, চার, পাচ, ১৪ ভাষাবিচ্ছেদ পরিকল্পন।, ২.৭ ভিক্টোরিয়া! ( মহারানী ), ১৮, ৫০ ৫১, ১১২ ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ" কবিতা, ১*৮ ভূদেব মুখোপাধ্যায়, ১২ ভূপেন্দ্রচন্ত্র নাগ, ২৯৯ ভূপেন্্রনাথ দঃ ১৬৭, ১৮২, ২৬৯ ভূপেন্ত্রনাথ বস্থ, ৩৫৫ ভোলানাথ চন্দ্র *১ ম “মেঘনাদবধকাব্য' সম্পর্কে কবি, সতেরো, আঠারো মদনলাল ধিংড়া, ৩৭২ মদনমোহন মালব্য, ৩০২ মনোমোহন বস্থ্‌, ১০ অনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা, ২৯৯ মন্টেগুর ঘোষণা, ৪০১ -স্উহার প্রতিক্রিয়া, ৪০১, 9৪*২ মন্টেগুর ভারত আগমন, ৪*৮ মণ্টেগু-চেমস্ফোর্ড রিপোর্ট প্রকাশে, ৪১৭১ ৪ ৮ “মন্ত্রী অভিষেক' প্রবন্ধ, ৫৬, ৫৭ মলি-প্রস্তাবিত শাসন-সংস্কার, ২৯৯ মহাযুদ্ধকালে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজী, ১/৪৯৪-৪১৩৬ মহাযুদ্ধের অবমানেঃ ৪১৭-২৩ “মহাযুদ্ধের পূর্বে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজী, ৩৩৫ ৩৪৪ মহিমচক্জর ঠাকুর (কর্নেল), ১৩৯ মাইকেল মধুসথদন দত্ত, পনেরো+ সতেরো, ৪) ৩৪ “মানস স্ন্দরী” কবিতা, ৮২ “মানসী কাব্যগ্রন্থ, ৫৪, ৬০) ৬৩৯ ৬৪ মানুষের ধর্ম” গ্রন্থ, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ “মা ভৈঠ প্রবন্ধ, ১৮৭-৮৮ “মাম! হিংসী£ শাস্তনিকেতন উপদেশ, ৩৪৬-৪৭ “মায়াব খেলা” নাটিকা, ৫৪ মার্কম্‌ ( কাল ) ৬*১ ১৫৬ মার্টিন লুখার, দশ মালভি, ২৭৫ মিল, এক, আট “মিলে সব ভারতসম্তান' গান (সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ), ১৫ “মিলেছি আজ মায়ের ডাকে" গান, ৫৩) ১৬৬ মিশর বিভ্রোহ। ৮৬ “মীর কাখিম” নাটক (গিরিশচন্দ্র), ৩৯১ মীরা দেবীকে পত্র, ৩৬৪ মুপালিনী দেবীর মৃত্যু, ১৯১ মুকুল দে, ৩৭৩ ৩৮৩ মুধুজ্জে বনাম বাড়ুজ্জে' প্রবন্ধ, ১২৯- ১৩১১ ১৪০ মুদ্রাযস্ত্ের স্বাধীনতা, « মুসলিম লীগ, ২৬২, ৩৯৪, ৩৯৫ মেকলে, ৩৫ মেকেপ্রি। আলেবকজাগ্ার, ১২৩, ১২৪ মেডিকেল কলেজ, ৫ 'মেবার পতন" নাটক ( দ্বিজেন্দ্রলাল ), ২৩৫ “মেয়েলি ছড়া" প্রবন্ধ, ১৩৫ মেস্ফিল্ড, ৩২৬ ম্যাটাবিলি যুদ্ধ, ৮৬, ৮৮ ম্যাংসিনি, ১১ ২15]1760)97 গ্রন্থ (7:000101097 ) ড্০1. [, ১৫৮) ৩৩৯-৪*১ ৩৫৫) ৪০৮১ ৪১১১ ৪১৪) ৪১৮ ৬০]. 11,৪১২ 81091)5 ও 12770) ১৯৩, ২৮৬ য যেজ্ঞভঙ্গ' প্রবন্ধ, ২৭৫-৭৬ “যুগান্তর” পত্রিকা, ২৬৮, ২৬৯ যুনিভার্সিটি বিল, ২০১ “£নিভার্সিটি বিল" প্রবন্ধ, ২৯৪, ২০৫ 'যুরোপ-প্রবাসীর পত্র", ২৩, ৪২৫-৪২৬ 'সুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি', ৫৯, ৪২৬ যোগেন্দ্রনাথ বন্ধ, ৫৪ যোগেন্দ্রনাথ বিভ্ভাভূষণ, ১৮৬ যোগেশ চৌধুরী, ২৭৬ লী রংপুরে জাতীয় বিদ্যালয়, ২৪১ রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়) পনেরো? যোলো, ৩৬ রঙ্ধনীকাস্ত সেন, ২৩৫ রথীজ্জনাথ ঠাকুর, ২৪৮১ ৩৬১ ৩২৩) ৩২৫, ৩৩২, ৩৭৭) ৩৮৫ রবার্ট ব্রিজেস, ৩২৬ রবীন্দ্রজীবনী £ ১ম খণ্ড, ৬, ৭) ২৬১ ৬৪, ৭8) ১৪১ এঁ ২ ২য় খণ্ড, ২১৩১৪, ২৩৪, ২৪-৪১১ ২৪২১ ২৪৫১ ২৫৮, ২৯৭, ৩ ৪১ ৩৯৬, ৩১৫, ৩১৭, ৩২৪, ৩২১) ৩২২১ ৩২৬-২৭, ৩৩৩, ৩৩৪, ৩৩৬-৩৭) ৩৬০১ ৩৭৯, ৩৮১১ ৩৮২, ৩৮৩১ ৩৮৪, ৩৮৫, ৩৪২, ৪০৩) ৪৬৭; ৪১৬ ীীবসী নৃতন উপকরণ, প্রবন্ধ, রবীজলাখ ও ত্রিপুরা-রাজপরিবার, ১৩৯-১৪১ রবীন্দ্রনাথের বাষ্ট্রনৈতিক মত: প্রবন্ধ, ১, ১৯৭-৮১ ১৮৯ রমেশচজ্জ দত, ৩৬) ৩৪, ১৫৪১ ১৮৬; ২৪৯, ২১৬ রলেস্টন্‌ ৩২৬ রসিককৃষ্ণ মলিক, এগারো) ৪ রস্বো, আট রাওলাট কমিটির রিপোর্ট, ৪১৭ ৩৬৩৬, ৩৩ খ ৩০৮ ৩৪৪) 'রাজকুটস্ব” প্রবন্ধ, ১৯২ রাজনারায়ণ বন, আঠারো) ৪, ৯, ১০, ১১ ১২১ ১৪) ১৪৯ (রাজনীতির ছিধা+ গ্রবন্ধ, ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৮৯ 'রাজভক্তি' প্রবন্ধ, ২৪৫-৪৭ রাজা ও প্রজা, ৯৩-১১৬ প্লাজা ও প্রজা; প্রবন্ধ, ৯৩-৯৫ রাজ! ও রানী" নাটক, ৫৪ 'রাজা” নাটক, ৩১৮ ৪৪6৬ রাজেন্দ্রলাল মিত্র, 9 রাডহয়ার্ড কিপলিং, ৮*১ ৯৩, ৯৪, ১৪৬ রাডীচি-দাহেব, ৯৩ রাধাকাস্ত দেব, বারো রাধাকিশোর দেবমাণিক্য, ২৭৭ রাধানাথ শিকদার, এগারে। রামগোপাল ঘোষ, এগারো, বাবেঃ ৪ রামতগ্ণ লাহিড়ী, এগারো 'রামতন্থ লাহিডী ও তৎকালীন বঙ্গ- সমাজ' গ্রন্থ (শিবনাথ শাস্ত্রী), বারো, তেরো, সতেবো।? ৩৮ রামমোহন রায়, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, ৭ ৩) ৫১ ৬ ৪০৮ রামেন্্রনুন্দর ত্রিবেদী, ২৪২, ২৬৫) ২৭৭ রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতি' প্রবন্ধ, ১৯০-৯১ রাসবিহারী ঘোষ, ১৯৮ ২৪৪, ২৫৯, ২৭২, ২৭৩, ২৭৫, ২৯৯ রাসবিহারী বন্ধু, ৩৭২ রিকার্ডো, ১৫৬ রিপন, ৩৮, ৪১ রিস্লী সাকুলার, ২৪১ রুশ-জাপান যুদ্ধ, ১৯৭, ২২৯ রুশো, এক রূপ ও অবপ' প্রবন্ধ, ৩২১ রোদেনস্টাইন, ৩২৫, ৩২৬, ৩৩০ রেন, ১৬০ রোম1 রোল, ৩৪৪, ৩৪৬, ৩৪৯২, ৩৯৩ 03800 0010210% বক্তৃতা, ৩৩২-৩১, ৪৩২ 138)0 (সা. 0.) ১১২ 10911896100, 11) 10৮০ বক্তৃতা, ৩৩৪ 17991189810, 21) 06101) বক্তৃতা ৩৩৪ 09911596100, 2 109865" বক্তৃত। ৩৩৪ 19811581006 60০ 10010160, বন্তৃতা, ৩৩৪ ২১৭১ ২৩৭, 13০00116100 9000028৮৪১২ 1১. 11. ৭518171? ১০৫৭ ২৬২ ল লং, রেভারেও্ড, সতেরে।' ৩২ লকৃ, এক লক্ষ্য ও শিক্ষাঃ প্রবন্ধ, ৩৩০, ৩৩১ 'লডাইয়ের মূল" প্রবন্ধ, ৩৪০, ৩৫ *-£৪ লবেুযুল।, ৮৭ লয়েড জর্জ, ৪১২ ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ৩১৯ লগ্তন ইউনিভা্িটি কলেজে পাঠ, ১৩ লাবণ্যলেখা, ৩১৫ লালমোহন ঘোষ, ১৯৭) ২০৫) ২৪৪, ৩৬৪-৬৫ লাল! লাজপৎ রায়, ২৬০, ২৭২১ ২৭৪, ৩৪৪ লিওনার্দো দা-ভিঞ্চি, এক লিটন, লর্ড, ১৫, ১৭, ১৮, ৩৮১ ৫০ লিয়াকৎ হোল্সন, ২৬২ লেনিন ভি, আই.; ৩৪৬ “লোক-দাহিত্য? গ্রন্থ, ১৩৫ “লোকহিত' প্রবন্ধ, ৩৪৮, ৩৪৯, ৩৫) ৩৫১১ ৩৫২ লোকেন পালিত, ২৩, ৭২, ৭৭ [4৮৮৮০৮ 0£ ০০01)1) (00110871021), পুস্তক (14. [)10151)401) )১ ১৮১ 040১ 40116105 11507985, পত্রিকার মন্তব্য ৩৮১ শর শ, বানাড, ৬০১ ৩২৬, ৩২৮১ ৩৩৬ শক্তি? প্রবন্ধ, ২৮২ শৃঙ্করন নাযার, ১১২ ১১৬১ ১৫৮ এজ” কবিতা, ৩৪২) ৩৪৩) ৩৪৪ শক্তিপূজ। ২৩৫ শচীন সেন, ১, ১০৭১ ১৮৯ শচীন্দ্র দশণপু) ৪০৫) ৪০৬ শচীন্ত্রপ্রসাদ বনু, ২৪১১ ২৯৯ শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ২৭১ শরংচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ৩৭৩ শশধর তর্ক চূড়ামণ্চি ৫৪ “শান্তিনিকেতন? গ্রন্থ ৩৯৫, ৩০৬; ৩১৭৬ ৩৩২১ ৩5৪৭ ৩৪৭) ৩৪৮; ৩৫৩৯ ৩৫৭ ৩৫৮১ ৩৬২-৬৩ শান্তিনিকেতন ব্রহ্গবিচ্যালয়, ১৬৮, ১৮৩ শান্তিনিকেতনে অসবর্ণ বিবাহ্‌, ৩১৫ শান্তিনিকেতনে গান্ধীজী, ৩৫৯, ৩৬৯ শান্তিনিকেতনে 40),00101ঘ" বিচ্যালয়েব ছাত্ররা, ৩৫৬, ৫৯ “শারদোৎসব' গীতিনাটিক।, ৩*৪ শশিক্ষাবিধি' প্রবন্ধ, ৩৩০, ৩৩১ “শিক্ষার বাহন? প্রবন্ধ, ৩৬৩১ ৩৬৪ “শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধ, ৭২, ৭৩, ৭3 “শিক্ষা-সংস্কার' প্রবন্ধ, ২৫৪, ২৫৫ শিক্ষা-সমস্যা ও রবীন্দ্রনাথ, ২৫৪-২৫৯ শশিক্ষা-সমস্যা” প্রবন্ধ, ২৫৪, ২৫৫, ২৫৬৮ ২৫৭, ২৫৮ শিবচন্দ্র দেব, এগারো শিবনাথ শাস্ত্রী, বারো, তেরো, সতেরো, ৩, ৮১৪২ শিবাজী উৎসব, ১১১, ২১৫১ ৩৯১ “শিবাজী উৎসব" কবিতা, ২১৫) ২১৬, ৩৬০ *শ্িবাজী দীক্ষা” পুস্তক ( সখারাম গণেশ দেউস্বর ) ২১৫ শিবালি নোমানি, মৌলানা, ২৬১ শেলী, ১৩৬, ৩২৮, ৩৪৬ €000 ৮০ ৮১০ ০৭6 110, কবিত৷ ( শেলী ), ১৩৬ «শেষ খেষা” কবিতা, ২৪৩ শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, ২৪০১ ২৬৮, ২৯৯ স “সংবাদ প্রভাকর', আঠারে। সংস্বারবাদ, তিন সখারাম গণেশ দেউস্কর, ২০৬, ২১৫ ৪9৪৭ “সয় গ্রন্থঃ ৩২১ সন্ত্রীবনী সভা, ১১, ১৯, ২৪ সতীদাহ নিবারণ, € সতীশ মুখোপাধ্যায়, ২৪১, ২৪৪ সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ১৯৯ সত্যপ্রসাদ, ১৪ সক্যেন ২৮৪১ ২৯৯১ ৩৭২ সতোক্জনাথ ঠাকুর, ৯, ১০১ ২১১ ২৩, ১৬৩ “সছুপায়” প্রবন্ধ, ২৯১-৯৪ সম্তোষচন্জ্র মজুমদার, ২৪৮ সন্ত্রাসবাদ ও রবীন্দ্রনাথ, ২৮৪-৯৮ সম্াসবাদ সম্পর্কে, ২৮৪-৮৭) ২৯৩, ২৯৪ ২৯৫) ৪০৪-৭৬ “সন্ধা” পত্রিকা; ২৬৮ ২৭১ “সন্ধ্যাসংগীত' কাব্যগ্রন্থ, ২৭ ৩৭ সফলতার সচছুপায়, ২১৭-২২ এঁ প্রবন্ধ, ২১৭-২*১ ২২৩ 'সবুজপত্রে'র প্রকাশ, ৩৪১ “সবুজপত্রে'র সম্পাদকের নিকট কবির খোল৷ 2৩৭৩ “সবুজের অভিযান কবিতাঃ ৩৪১ “সভ্যতার সন্কট” প্রবন্ধ, ৩৫, ৪৯ সমবায় আন্দোলন, ৪২১ “সমবায়? প্রবন্ধ, ৪১৯-২১ সমবায় ব্যাস্ক প্রতিষ্টা, ২৪৫ সমস্যা? প্রবন্ধ, ১৮৯ ৯৪ “সমাজ? পুস্তক, ৬৫ “সমাজভেদ' প্রবন্ধ, ১৫৩- ৫ সরলা দেবী, ২৬৯, ৩০১ সর্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষান্নীতির আন্দোলন, ৩৬৪ এ সম্পর্কে লালমোহন ঘোষ, ৩৬৫ “সর্বনেশে' কবিতা, ৩৪২, ৩৪৩ সলমস্বেরি। ৫৫১ ৫৬ সাওতাল বিল্রোহ্‌, ছুই, ৩১ ৪৯, ৮৩, ১২৫ “সাজাহান' নাটক ( দ্বিজেন্দ্ুলাল ), ২৩৫, ৩৬১ €৪৮ সাধনা'র প্রকাশ; ৭১ “সাধনা'র প্রকাশ বন্ধ, ১০২ সাধনার যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধাবলী, ৭ ১৮৪ ডঃ সান ইয়াৎ-সেন, ১৯৭, ২৪৪-৪৫ সানফ্রানসিসকোর ঘটনা, ৩৮২-৮৪ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা (বিহারে ), ৪০২ সাহিত্যে স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ, ৩৬.৩৪ সিডনি ওয়েব, ৬* সিডিশন বিল, ১১২ সিনক্লেয়ার ( মিস্‌ )১ ৩২৬ সিপাহী বিদ্রোহ, দুই, তিম, ৩, ১৪১ ৪৪৯ “সিরাজদ্দৌল! নাটক ( গিবিশচন্ত্র ) ৩০৬ সীতারামিয়া, পষ্টভি, ৪৭, ৪২২, ৪২৩ স্কুমারীর বিবাহ, ৭, ২৪ স্থধীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ৭১১ ১৪২ “মুবিচারের অধিকার, প্রবন্ধ, ১**-*২ স্থবোধচন্দ্র মল্লিক, ৫৭, ২৪১, ২৪২, ২৯৯ সুত্রাঙ্মণ্য আযারের “ম্যর' উপাধি ত্যাগ, ৪০১ স্থরাট-কংগ্রেস, ২৭২-৭৪ স্থরাট-কংগ্রেস ও পাবনা প্রাদেশিক সম্মেলন, ২৭২-৮৩ স্থবেক্জনাথ ঠাকুর, ২১৫ স্থরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যাষ, আঠাবে, ১৯, ১২১ ৪২১ ৯৭) ১০৯১ ১২৭৯১ ১৮৯১, ১৯০১ ১৪৯৮১ ২২৫১ ২৯৬, 5৪৪8, ২৪৯) ২৫২) ২৬১, ২৭২১ ২৭৫১ ৪০১ সেক্সগীয়ব, ৩৫, ৩৪৬ সেক্সপীয়রের অন্থবার্দ, ২১ সেটন্‌ কার, ৪১ সেনিল রোডস; ১৪৪, ২২৪ সৈয়দ আহম্মদ, স্তব, এগারো, ৫২১ ২৬১ “সোনার তরী" কাবাগ্রন্থ, ৬৪, ৭৭১ ৮২ “সোমপ্রকাশ', আঠারো, ৪ সোমেন্দ্রনাথ, ২৪ সোমেশবর দাস, ১৯ ্রাগমূর, ৩২৬ '্্রীমজুর” প্রবন্ধ, ৭২, ৪২৬-২৮ স্ত্রীর পত্র” গল্প, ৩৪৪ “ন্রেহগ্রাস” কবিতা, ১০৩ স্মাটগ্‌ঃ জেনারেল, ৩৩৬ স্যার ওয়েডারবর্ন, ৮৫ স্তর লেপেল গ্রিফিন' প্রবন্ধ, ৭৪ স্টাডলর কমিশন, ৪*৭ _-কমিশনের সমক্ষে কবির সাক্ষ্য- দান, ৪*৭-৪০৮ স্যামুয়েল মূর, ৬০ স্বদেশ? কবিত| (ঈশ্বর গুগ্ক ), পনেরে। স্বদেশ" কবিতা, ১৯৫ স্বদেশ" গ্রন্থ, ৬৫ স্বদেশী আন্দোলন ও জাতীয় শিক্ষার পর, ২৩৬-৪২ স্বদেশী আন্দোলন সম্পর্কে গোখলে, ১৯৯-২০০ ৬-৩৭ “স্বদেশী আন্দেলনে নিগৃহীতদের প্রতি প্রবন্ধ, “১৮ স্বদেশী কাপডের কল, ২* স্বদেশী দেশলাইয়ের কারখানা, ২* স্বদেশী সংগীত, ২৩৩-৩৫ স্বদেশী সমাজ' প্রবন্ধ, ২০৮-১৫, ২২১ স্বদেশী সমাজ প্রবন্ধের পরিশিষ্ট, ২১৩ স্বদেশী সমাজের সদস্যদের প্রতিজ্ঞাপত্রের ভূমিকা, ২১৩-১৪ ন্বপ্রময়ী” নাটক। জ্যোতিরিন্ত্রনাথ ), ১৭ স্বরাজের দাবিতে সিদ্ধাস্তগ্রহণ, ২৬* স্বাদেশিকত। ঃ হি্দুমেলা ও সক্ীবনী সভ।, ১*-২ স্বাদেশিকর্দের সভা, ১৩ 'স্বাধিকারপ্রমত্তঃ, প্রবন্ধ, ৪*৮-১০, ৪১৮ স্বাধীনতা-সংগ্রামে বাংলার স্বদেশী আন্দোলনের স্থান, ১৪৯৭-২০৩ €০301)1/৯ গ্রন্থ, ৩৩৪ রবীক্রনাথ | ২৯ 8816 1870 11901)” পত্রিকা, ৩৮১ 1১০01/2-0201529, কাব্যগ্রন্থ, ৩৩৪ 1300100700101087)689, প্রবন্ধ, ৩৩৪ 139505 ০৫ [71710101900, গ্রন্থ ( বিপিনচন্ত্র )১ ২৯১ ৪০।) 0010) ২৯৮ হ্‌ হবসঃ এক হরকুমার ঠাকুর, বারে হরিশ মুখোপাধ্যায়, বোলো, সতেরো, ৪১ ৩১ হাঞ্চ পামু হাফ, ২৯, হাতে-কলমে" প্রবন্ধ, ৪৫ হানডেল উৎসব, ৩২৭ হাণ্টার, ৮৪, ১২৫ হাঁডিজ, লর্ড, ৩৩৬১ ৩৫৫ হিউম, এক হিউম, আলন অক্টোভিয়ান, ৪৭ “হিতবাদী” পত্রিকা, ২৬৮ “হিন্দ স্বরাজ' সম্পর্কে গাম্ধীজীর চিঠি, ৩৩৪৪৬ হিন্দু কলেজ, ৫ হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবধারা, ১৪, ৩২, ৩৪১ ৮৩, ১১১১ ১২০) ১৫০১ ১৬১-৬৩১ ১৬৮১ ১৬৯১ ১৭৪১ ১৯৮১ ৬১১ “হিন্দু প্যাটিয়ট” পত্রিক।, ষোলো, 1, ৪ “হিন্দু বিশ্ববিষ্ালক্” প্রবন্ধ, ৩২১ “হিন্দুমুসলমান সমস্ত ও গণ-সংযোগের প্রশ্রেঃ ২৬০-৬৭ “হিন্দত্ব' প্রবন্ধ, -৬০১ ১৬১, ১৬২, ১৬৩ “হিন্দুবিবাহ" প্রবন্ধ, ৫৪ হিন্ুমেলা, ১৩) ১৪১ ১২১ ১৯১ ২১৩ হিসিদা, ১৮৩, ৩৭৭ হেগেল, এক হেনরি মর্জি, ২৩ ছেন্রি ক্টাভেজ ল্যাগুর, ১৯৪ হেমচন্ত্র দাস, ২৮৩ হেমচন্ত্র বন্দোপাধ্যায়, পাঁচ, ১৪৪ ৩৬) ৩৪) হহমলত। ঠাকুরকে পত্র, ৩২১ হেমেম্্প্রসাদ ঘোষ, ২৬৮ হেয়ার, পাচ হৈমন্তী? গল্প, ৩৪৪ “হোমরুল? আন্দোলন, ৪9০২, ৪৬৮, ৪১১ হোরিসান, ১৮৩ ২২৯ হথাভেল, ২০ ৩২৬ হ্মাণ্, জে, এল, ৩২৬ হারিস, লর্ড, ৯৪৬ [70006 1019 148609১ ৩৯৪ 4$1] 10018170106 [019 1,680) ৩৪৪ ৩৫৫১ ৩৪৪, [25৮০ ১ ৫৫ রন্থগঞ্জী রামতন্থ লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গনমাজ (তৃতীয় সংস্করণ) _-শিবনাথ শাস্ত্রী সাহিত্যসাধক চরিতমাল! ঃ রামমোহন রায় ( পরি, চতুর্থ সংস্করণ ১৩৫৩) রী টু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( চতুর্থ সংস্করণ ১৩৫৫ ) বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা £ প্রীস্থকুমার সেন উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ ও বাংল! সাহিত্য £ প্রীঅসিত বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত মন্ধানে ( সিগনেট প্রেস) : জওহরলাল নেহরু স্বাধীনতার সংগ্রামে বাংলা, ( গ্রথম প্রকাশ ) £ প্রীনরহরি কবিরাজ শ্রীঅরবিন্দ ও বাংলায় স্বদেশীষুগ £ প্রীগিরিজাশঙ্কর রায় চৌধুরী প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ( সগুদশ সংস্করণ) : স্বামী বিবেকানন্দ ভারতের বৈপ্লবিক সংগ্রামের ইতিহাস ঃ শ্রীন্থগ্রকাশ রায় জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ( ৩য় সংস্করণ ) £ ্রগ্রফুয্কুমার সরকার বিশ্বত্রমণে রবীন্দ্রনাথ (দ্বিতীয় সংস্করণ ) £ প্ীজ্যোতিযচন্দ্র ঘোষ ঘরোগ। ( পুনমুর্্ণ ১৩৫১) £ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রজীবনী প্রথম খণ্ড (পরি. সংস্করণ ১৩৫৩) £ সত্ীগ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় » দ্বিতীয় খণ্ড পরি, * ১৩৫৫) রি ৮ চতুর্থ খণ্ড ( সংস্করণ ১৩৬৩ ) সঞ্চিত (পুনমূ্রণ ১৩৫৪): রবীপ্ররনাথ ঠীকুর জীবনস্থৃতি স্বদেশ (পুনমু্রণ £ ১৩৫৩) ৮ ট কালাস্তর ৯ ॥ গোরা ( পুনমু্ণ £ ১৩৫৩) রর মানুষের ধর্ম ্ শিক্ষ। (পরিবারধত সংস্করণ £ ১৩৫৭) » জাপানযাত্রী ( পুনমুক্রণ £ ১৩৫৬) » রর সমবায-নীতি ( পুনমূর্্ণ £ ১৩৬৭) » বলাক। (পুনধুর্রণ £ ১৩৫৭) » ৮ ৪৫১ 9৫৯ রবীন্-রচনাবলী (বিশ্বভারতী সংস্করণ ) প্রথম খণ্ড (পঞ্চম সংস্করণ £ ১৩৫২ ) তৃতীয় খণ্ড ( সংস্করণ ১৮৭৯ শক ১৯৫৭) চতুর্থ খণ্ড (তৃতীয় সংস্করণ ₹ ১৩৫২ ) পঞ্চম খণ্ড ( পুনমু্রণ £ ১৩৬২) সঞ্ধম খণ্ড ( পুনমুক্রণ £ ১৩৬০ ) অষ্টম খণ্ড ( পুনমু্্রণ ২ ১৩৬৭ ) নবম খণ্ড (পুনর্্ুণ £ ১৩৫৩) দশম খণ্ড ( পুনমুন্্রণ £ ১৩৫৭) একাদশ খণ্ড ( পুনমুক্রণ £ ১৩৫৮ ) দ্বাদশ খণ্ড ( পুনমু দ্রণ £ ১৩৫৮ ) চতুর্দশ খণ্ড ( পুনমু্রণ £ ১৩৬০ ) যষোডশ খণ্ড ( পুনমুর্রণ £ ১৩৬০ ) সপ্তদশ খণ্ড ( পুনমু্রণ £ ১৩৬১) যডবিংশ খণ্ড (প্রকাশ : ১৩৬৫ ) গুখ)০ [71605 0৫ 09০ 1170181) ২96107)91 (00107095, ৬০1. ম. (1895-1935) [০17৮99 : 1946 ডি 1১8৮৮৮0971 শিহ00280785 55 00078077989 177951001015] 400795969 ৬৫. |, 11 (1935 75016107)-0- &. 2805815৫00০, 102015- 1191798)28. ০1. ]. ৫ 270, (1951 14076107) 0), 07 0107 2 220 21005 01 [012 1200555 চ3010708৮5 [0৫015 9৮৭1001০৭10 [গস১দৈ101)) (ঘা 12016101)) -[1171)0755050% ঠ00100০7 03515018749 (1958 /- রি শত 10011211015 10৭ ০৮-010৮৮ (0954) _ [টিং হ]দ70175105) 5006 পু5৪ (0010979196০ ছা 0৭ 01 ৪201 ড15017))0%, ০], 7৬ (069595566 00010)0719] 700160) 1046) ০1, ড (71255261 01670০07121 [01610 1936) ড০], ঢু (1155558%0 881০17)011%] 20১010101) 1940) [961009]89) (1950 7201607)--001101050) 705 (81701101112 পচ 0০, 14৮0.) পৃষ্ঠা লাইন চৌদ্দ ২৭ ১৩ ১৪-১৫ ১১ ২৪-২৯ চা প্‌ ৮ ৪৯ হ ৫৯ ১৬ ৫৪ ২১ ৫৫ ৫-৬ হ্ঙ ২৬ ৬২ ২১ ৮৬ ১৪) ১২৩ € ৯১৫ ১৫৩ ১৯ ১৫৫ ১৭ ১৫৭ ৬ ১৬৩ ও ৩৬ ১৩ ৩৭৭ ৫ ও ১৮ ৪৩৪ ১১ ৪২৭ ১৩ ৪৭৮. ১৭ তদ্ধিপর আঅশদ্ধ চরিত্রপূজা কাপড়ের কল সেকল ও একাল কনিষ্ঠ পুত্র ও জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র্বয়ের ৬০৩ “লোকাল গভনমেন্ট এ্যাক্ট? 'রাজারানী' ব্যবস্থাপক সভ৷ গঠিত হয় টা স্রাডলাফ ৪0106 01 ৮5 (1191 গল্প “লোকাল গভর্নমেন্ট আক: ১৮৯৯ খ্রীষ্টাবে 0718০ কটি € 81১০ €5101)১ আপত্তির পূর্ব-পরস্তুতি রাসবিহারী ঘোষ কবীর ৪০020 দেশী শুদ্ধ চারিত্রপৃজা কোলিয়ারী সেকাল আর এক"ল কনিষ্ঠ পুত্রে্ম ৭ চো দৌহিত্রের ৪৭ “লোকাল সেল্ফ গবর্নমেপ্ট খ্যাক্ট' বাজ! ও রানী' ব্যবস্থাপক সভার সংস্কার হয় চার্লস ব্রাডল (73780151150 90100 ০91 68০ ৭11 গল্প “লোকাল সেল্ফ গবর্মম্ণে এ্যাক্ট' ১৮৯৮ শ্টাবে (781120%6 কির (219০ 0010)৬ আপত্তি পূর্বগামী ও পূর্বাভাস রাসবিহারী কবির 8001) বেশী ৪৫৩